Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

দোষী সাব্যস্ত হয়েই কাঠগড়ায় চিৎকার সঞ্জয়ের

দোষী সাব্যস্ত হয়েই কাঠগড়ায় চিৎকার সঞ্জয়ের

Published on: Published on 2025-01-18 08:59 PM

Share on:

দোষী সাব্যস্ত হয়েও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি আর জি কর কাণ্ডের একমাত্র দোষী সঞ্জয় রায়ের। শনিবার কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তার চিৎকার, “আমি কিছু করিনি। যারা করেছে তাদের কেন ছাড়া হল? আমার কোনও দোষ নেই। সবাই মিলে করেছে।”১৬২ দিনের মাথায় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলার মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করল শিয়ালদহ আদালত। আদালতের বাইরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। তবু ভিড় জমিয়েছিল বহু মানুষ। সকলেই বিচারকের রায়ের অপেক্ষা করছিলেন। বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে হাজির করা হয়েছিল সঞ্জয়কেও। কোর্ট রুমে হাজির ছিলেন ‘অভয়া’র মা-বাবা-সহ পরিবারের ৫ সদস্য। তাদের সামনেই সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সিভিক ভলান্টিয়ারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে অপরাধের বিবরণ শোনানো হয়। বিচারক বলেন, “যেভাবে আপনি গলা চেপে ধরে খুন করেছেন তাতে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে আপনি দণ্ডিত হতে পারেন।” সাজা ঘোষণা সোমবার।দোষী সাব্যস্ত হতেই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে ওঠে সঞ্জয়। বলে, ” আমি কিছু করিনি। যারা করেছে তাদের কেন ছাড়া হল। আমার কোনও দোষ নেই। সবাই মিলে করেছে।” তার আরও দাবি, “আমি পাপ করিনি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা আছে। রুদ্রাক্ষের মালা নিয়ে এই অপরাধ করব!” সঞ্জয়ের যুক্তি,” আমি যদি এই অপরাধ করতাম তাহলে রুদ্রাক্ষের মালা ছিঁড়ে পড়ে যেত। স্যার, আপনি বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই যে আমাকে পুরো ফাঁসানো হচ্ছে।” পুলিশের এক কর্তার দিকেও আঙুল তোলে সে। কাঠগড়ায় কথা বলতে বলতে উত্তেজিত হয়ে পড়ে ধর্ষণ-খুনে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সিভিক ভলান্টিয়ার। তাকে শান্ত হতে বলেন তার আইনজীবী। এর মাঝেই সঞ্জয়কে থামিয়ে দিয়ে বিচারক বলেন, “সব সাক্ষীকে জেরা করে আপনার বিরুদ্ধে যা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আপনার শাস্তি আপনাকে পেতে হবে। কী শাস্তি হবে, সেটা সোমবার জানানো হবে। সোমবার আপনার কথাও শুনব।” এরপর সঞ্জয় হাতজোর করে বিচারককে বলে, “আপনি তো স্যার দোষী সাব্যস্ত করেই দিলেন। আমি গরিব। আমি এই কাজ করিনি। যারা করেছে তারা কেন বাইরে রয়েছে? আমি একজন আইপিএসকেও বলছি।” এদিন কাঠগড়া থেকে নামতে চায়নি সঞ্জয়। আদালত থেকে বের করার সময় সে বারবার বলতে থাকে, “আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” এ প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থসারথী দত্ত বলেন, “সঞ্জয়ের কথার কোনও ভিত্তি নেই। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।”তবে এদিন সঞ্জয়ের দাবি ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। নিজেকে বাঁচাতেই কি নানা যুক্তি খাড়া করছে সে? সিবিআই থেকে শুরু করে আদালতে সামনে সঞ্জয় কোনও ব্যক্তি বিশেষের নাম উল্লেখ করেনি। তাহলে এক্ষেত্রে ‘সবাই’ বলতে কাদের বোঝাচ্ছে সঞ্জয়?  কলকাতা পুলিশ এবং সিবিআইয়ের তদন্তে যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে, তা সূক্ষ্মভাবে খতিয়ে দেখেই রায় দিয়েছেন বিচারক। ফলে একাংশের মতে, কাঠগড়ায় সঞ্জয়ের প্রলাপ অপরাধ গোপনের চেষ্টামাত্র। 

TOP RELATED