Last Update
গণধর্ষণের শিকার আর জি করের তরুণী চিকিৎসক
আর জি করের মৃত তরুণী চিৎসক যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন আগেই আন্দাজ করা হয়েছিল। সোমবার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তা আরও স্পষ্ট হয়েছে। বলা হয়েছে, তাঁকে গলা টিপে, নাক-মুখ চেপে ধরে খুন করা হয়। ফরেনসিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞদের কথায়, এমন নৃশংস কাজ করতে গেলে একাধিক ব্যক্তির প্রয়োজন। কারও একার পক্ষে একইসঙ্গে গলা টিপে, নাকমুখ চেপে ধরে খুন করা সম্ভব নয়। প্রশ্ন একটাই, খুনের আগেই কি তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল? নাকি, খুনের পর ধর্ষণ করা হয়? ফরেনসিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞদের কথায়, তা নির্ভর করবে পারিপাশ্বিক পরিস্থিতির উপর। মৃত্যুর আগে অথবা পরে তরুণীকে নির্যাতন করা হয়েছিল। গণধর্ষণও চলে।ধর্ষণ নাকি গণধর্ষণ? কীভাবে খুন করা হয়েছিল আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে? তা নিয়ে একাধিক তথ্য প্রকাশ্যে। সোশাল মিডিয়াতেও ঘোরাফেরা একাধিক তথ্য। তার কতটা সত্য, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ছিলই। এসবের মাঝে এবার হাতে এল নিহত চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। সেখানেই বলা হয়েছে, গলা টিপে, নাক-মুখ চেপে ধরে খুন করা হয়। ফরেনসিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞদের কথায়, এমন নৃশংস কাজ করতে গেলে একাধিক ব্যক্তির প্রয়োজন। কারও একার পক্ষে একইসঙ্গে গলা টিপে, নাকমুখ চেপে ধরে খুন করা সম্ভব নয়। করা হয়েছে গণধর্ষণও। তবে সোশাল মিডিয়ায় যে হাড় ভাঙার তথ্য মিলছিল, তার উল্লেখ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নেই। ‘সিমেন’ সংক্রান্ত কোনও উল্লেখও নেই। দেশের ফরেনসিক মেডিসিনের প্রবীণ অধ্যাপক ড. অজয় গুপ্তের কথায়, “দুটোই সম্ভব। অর্থাৎ খুন করার আগে বা পরে ধর্ষণের শিকার হতেই পারে। সেজন্যই সম্ভাবনার কথা বলা হয়। কারণ মৃত্যুর খানিক পরেও শরীর গরম থাকে। নির্যাতিতার শরীরে জমে থাকা বীর্যের ডিএনএ পরীক্ষা করলেই জানা যাবে গণধর্ষণ না একই ব্যক্তি এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।”
TOP RELATED