Last Update
বাংলার প্রতিবাদী সত্ত্বায় ‘স্বপ্নপূরণ’ মিঠুনের
দিন পনেরো আগেই আর জি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিলেন, “বাঙালি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা হারাচ্ছি।” তবে বিগত তিন সপ্তাহে বাংলার প্রতিবাদী সত্ত্বা দেখে এবার মত বদলে নিলেন মহাগুরু। আর জি কর ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ঝড় দেখে এবার খুশি তিনি।আর জি কর কাণ্ডে বাংলার শিল্পীমহলের প্রতিবাদ নিয়ে নেটপাড়ার একাংশ যখন নিত্যদিন কটাক্ষ করে যাচ্ছে, তখন নিন্দুক, সমালোচকদের কাঁচকলা দেখিয়ে বারবার সিনেমাপাড়ার সদস্যরা সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে গিয়ে কলকাতার রাজপথে নেমে তিলোত্তমার বিচার চাইছেন। চোখে আঙুল দিয়ে নিন্দুকদের দেখিয়ে দিচ্ছেন, তাঁরা দমে যাওয়ার পাত্রপাত্রী নন! প্রতিটি প্রতিবাদী মিছিলে সমবেতস্বরে একটা ধ্বনি- ‘জাস্টিস ফর আর জি কর।’ ঘটনার তিন সপ্তাহ পেরিয়ে বিচার অধরা থাকলেও আশাহত নন কেউই। সুপ্রিম রায়ের দিকে চোখ সকলের। আর বাংলার আট থেকে আশির চোখে প্রতিবাদী আগুন দেখে খুশি মিঠুন চক্রবর্তী। মহাগুরু বলছেন, “এই বাংলাটাকেই আমি দেখতে চেয়েছিলাম, এখন দেখতে পাচ্ছি, খুব আনন্দ হচ্ছে।”রাজ্যজুড়ে এই আন্দোলন রাজনৈতিক না অরাজনৈতিক? প্রশ্নে যখন উত্তাল সোশাল মিডিয়া, তখন মিঠুন চক্রবর্তীর মন্তব্য, “রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সবাই যেন এই আন্দোলনে একসঙ্গে থাকি। আর আমি এটা বলছি মানেই যে বিজেপি বলছে, সেটা নয় আমি ব্যক্তি মিঠুন চক্রবর্তী হিসেবে বলছি।” সোমবারই কলকাতায় পা রেখেই প্রতিবাদী বাংলা নিয়ে গর্ববোধ করলেন মহাগুরু।এর আগে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এক ভিডিও বার্তায় বিজেপি নেতা তথা মেগাস্টার মিঠুন বলেছিলেন, “আমি অনেক দিন ধরে, অনেক জায়গায় একই কথা বলে এসেছি যে, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠবে। বাঙালি হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। যত দ্রুত সম্ভব তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়া হোক। এটাই আমার কাছে সবথেকে বড় কাম্য।”
TOP RELATED