Last Update
কলকাতার বাসযাত্রীদের প্রাণনাশের হুমকি!
হিন্দু নিপীড়ন নিয়ে বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আতঙ্ক বাড়ছে। বিশেষত ভারতীয় হিন্দুরা সেখানে একেবারেই নিরাপদ বোধ করছেন না। এই নিরাপত্তাহীনতা আরও বাড়ল সম্প্রতি ত্রিপুরার মন্ত্রীর একটি পোস্টে। তাতে দেখা গিয়েছে, ত্রিপুরা লাগোয়া বাংলাদেশ সীমান্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কলকাতাগামী একটি বাস ঘিরে ধরে যাত্রীদের হুমকি দিচ্ছে উত্তেজিত জনতা। প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ভারত বিরোধী স্লোগানও তোলা হয় বলে অভিযোগ। ত্রিপুরার পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর দাবি, এই পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে কলকাতা-বাংলাদেশ বাস পরিবহণে। কেউ আর বাসে যেতে চাইছেন না। ফলে গত দুদিনে একটি টিকিটও বিক্রি হয়নি বলে দাবি তাঁর। শনিবার ছবি-সহ ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন সুশান্ত চৌধুরী। লেখেন, ‘ত্রিপুরা থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোডে আক্রান্ত হয়েছে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস গাড়ি। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গাড়িতে থাকা ভারতীয় যাত্রীরা, বাসটি বিশ্বরোডের এক পাস ধরেই যাচ্ছিলো। হঠাৎ বাসটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুর্ঘটনার কবলে ফেলার জন্য ধাক্কা দেয় পণ্যবাহী একটি ট্রাক। একই সময়ে রাস্তায় থাকা একটি অটো বাসের সামনে চলে আসে এবং শ্যামলী বাসটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকে। তাদের সামনেই ভারত বিরোধী নানা স্লোগান দিয়ে এবং কটু মন্তব্য করে যাত্রীদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীরা। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই এবং বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য সেদেশের প্রশাসনকে দ্রুত হস্তক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এই ছবি অবশ্য বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। যেভাবে সংখ্য়ালঘুদের উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়ছে, তাতে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। বিশেষত ধর্মীয় স্থানগুলি। যদিও সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি, সংখ্যালঘুরা সেখানে নিরাপদেই রয়েছেন। যা বলা হচ্ছে, পরিস্থিতি মোটেও তেমন নয়।
TOP RELATED