Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

৫ কোটি টাকা দিতে হবে ১০ দিনে: উদয়নকে চিঠি KLO-র!

৫ কোটি টাকা দিতে হবে ১০ দিনে: উদয়নকে চিঠি KLO-র!

Published on: Published on 2024-04-24 08:56 PM

Share on:

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ভোটের মাঝে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজ়েশনের (কেএলও) নাম করে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহকে ৫ কোটি টাকা দাবি করে চিঠি। বুধবার সকালে নিজেই সোশাল মিডিয়ায় সেই চিঠির ছবি পোস্ট করেন রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রী। সেখানে স্পষ্টভাবে ১০ দিনের মধ্যে ৫ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই চিঠি সমাজমাধ্যমে ‘হালখাতার চিঠি’ শিরোনামে পোস্ট করলেন মন্ত্রী নিজেই। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। বুধবার দুপুরে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে। লোকসভা ভোটের আবহে মন্ত্রীর কাছে এভাবে তোলা চেয়ে চিঠি ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

বিপ্লব তথা যুদ্ধের স্বার্থে তহবিল প্রয়োজন। এই কারণে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়নকে চিঠি পাঠিয়ে টাকা দাবি করল কেএলও (কেএন গোষ্ঠী)। উদয়নের হোয়াট্‌সঅ্যাপে এই চিঠিটি এসেছে বলে তিনি দাবি করেছেন। বুধবার সকালে সোশাল মিডিয়ায় একটি চিঠিটি পোস্ট করে উদয়ন লেখেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠেই পেলাম হালখাতার চিঠি। কোনও এক কোচ আর্মির অ্যাকাউন্ট থেকে এই চিঠিটি হোয়াট্‌সঅ্যাপে পাঠিয়ে ওঁদের স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য ১০ দিনের মধ্যে মাত্র পাঁচ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।’ এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে উদয়ন বলেন, ‘আমাকে রাজনৈতিক ভাবে চাপে রাখার জন্যই এই কাজ করা হয়েছে। টাকা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না।’ মন্ত্রীর কথায়, ‘এত টাকা পাব কই!’
এই হুমকি চিঠি আসার ঘটনা ইতিমধ্যেই পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন উদয়ন গুহ। দিনহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘ওদের ভয় পাওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। তবে সত্য-মিথ্যা যাচাই করার দায়িত্ব পুলিশের। তাঁরা সেটা দেখবেন।’ পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আগে আমরা দু’জনকে ধরেছিলাম। এখনও তাঁরা জেলে আছেন। এটা কোনও জঙ্গি সংগঠন নয়, হুমকি দিয়ে তোলা আদায় করাই এদের কাজ।’’
এই চিঠিকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগেও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল কামতাপুর লিবারেশন অরগনাইজেশন। সেবার এক তৃণমূল নেতাকে হুমকি দিয়েছিলেন কেএলএ প্রধান। এবার নিশানায় উদয়ন। ভোটের মাঝেও কেএলও-র সক্রিয়তা ফের রীতিমতো চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াল প্রশাসনের কাছে।

TOP RELATED