Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

৪০০ পার করে ব্রিটেন জয় লেবার পার্টির!

৪০০ পার করে ব্রিটেন জয় লেবার পার্টির!

Published on: Published on 2024-07-06 08:44 AM

Share on:

১৯৪৫ সালের পর এই প্রথম বার জুলাই মাসে ভোট হল ব্রিটেনে। এ বারের নির্বাচনে মোট ৪৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় (ভারতে দুপুর সাড়ে ১২টা) শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলেছে রাত ১০টা পর্যন্ত। তার পরেই শুরু হয়েছে গণনা। শুক্রবার সকাল থেকেই ভোটের ফল সামনে আসতে থাকে। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, ৪০০ বেশি আসন জিতে ব্রিটেন জয় করল লেবার পার্টি।

লড়াই ছিল দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল, লেবার পার্টি ও কনজ়ারভেটিভ পার্টির (টোরি) মধ্যে। লেবার পার্টির নেতৃত্বে ছিলেন কায়ের স্টার্মার আর কনজ়ারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বে সুনক। ভোটপর্ব শুরু থেকেই হাওয়া ছিল পালবদলের পালে। বিভিন্ন জনসমীক্ষা আভাস দিয়েছিল, সুনককে আর প্রধানমন্ত্রী চাইছেন না ব্রিটেনবাসী। ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনকের উপর আস্থা হারিয়েছেন তাঁরা।

২০১৯ সালে ভোটে লেবার পার্টি আশা জাগালেও ব্রিটেনবাসী কনজ়ারভেটিভ পার্টির পক্ষেই রায় দিয়েছিলেন। সে বার কনজ়ারভেটিভ পার্টি পায় ৩৬৫টিআসন। আর লেবার পার্টির ঝুলিতে ছিল ২০৩টি আসন। কনজ়ারভেটিভ পার্টির অনুকূলে তথা ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রচারে বিপুল সাড়া মিলেছিল। ‘গেট ব্রেক্সিট ডান’ স্লোগানে ভর করে ব্রিটেন জয় করেছিল তারা। প্রধানমন্ত্রী হন বরিস জনসন। কিন্তু ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সরকারি বাসভবনে আড়াই বছরের বেশি কাটাতে পারেননি তিনি। দলের অন্দরে বিদ্রোহ এবং কোভিডবিধি ভেঙে পানভোজনের আসর বসানোর অভিযোগ মাথায় নিয়ে ২০২২ সালে জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তার পর লিজ় ট্রাসের ৪৯ দিনের প্রধানমন্ত্রিত্ব পর্বের শেষে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন ঋষি।দু’বছর পর জাতীয় নির্বাচনের মুখোমুখি হতে হয় ঋষিকে। তাঁর শাসনকালে একাধিক বিষয় ঋষির বিপক্ষে ছিল। টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকা কনজ়ারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ছিল ‘প্রতিষ্ঠানবিরোধী ক্ষোভ’। শুধু তা-ই নয়, কনজ়ারভেটিভ সরকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল অর্থনীতি, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং অভিবাসন। ব্রেক্সিট–পরবর্তী সময় থেকে ভঙ্গুর অর্থনীতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, অভিবাসন সমস্যা-সহ সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ব্রিটেনের জনগণ বিরক্ত ছিল ঋষি সুনকের সরকারের বিরুদ্ধে। সেটাই ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলল।

লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা এ বারের ভোটে ভাল ফল করল। গত বার তারা মাত্র ১১টি আসন পেয়েছিল। ২০২৪ সালে সেই দলই ৭০-এর বেশি আসন জিতল। এ ছাড়াও নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন কট্টরপন্থী দল রিফর্ম ইউকে-ও নতুন দল হিসাবে ভাল শুরু করল। চারটি আসন তারা জেতে। বলাই চলে, কনজ়ারভেটিভদের ভোট কাটতে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছে লিবারেল।ঋষির স্থলাভিষিক্ত হলেন স্টার্মার। ভোটের ফল স্পষ্ট হতেই সুনক অভিনন্দন জানান তাঁর উত্তরসূরি হতে যাওয়া স্টার্মারকে। এর পরে প্রথা মেনে বাকিংহাম প্রাসাদে গিয়ে রাজা তৃতীয় চার্লসকে ভোটের ফলাফল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন সুনক। এর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরে বিদায়ী বক্তৃতা করেন তিনি।

TOP RELATED