Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

BREAKING NEWS:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Published on 2025-06-23 05:27 PM
Card image cap

স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুরে DM অফিসে বিক্ষোভ

স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার পুলিশ।পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত, গালিগালাজ, হেনস্তা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেই খবর। মীনাক্ষী বলেন, “পুলিশ লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলেই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটত।” পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, তখনই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অন্য চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল। অসুস্থদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি, মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই। তাতে নেতৃত্ব দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখে শুরু করেন মিছিলকারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ওই ঘটনাতেই মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Published on 2025-01-24 07:21 PM
Card image cap

আরও অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যায় ভোগার ফলে গত ২০ জানুয়ারি তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে রাখা হল আইসিসিইউতে। সূত্রানুসারে এমনটাই জানা যাচ্ছে।সোমবার দুপুরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। জেলের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে পাঠানোর। সেদিনই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে পার্থর। কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও রয়েছে সমস্যা। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণেও গোলমাল হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবারও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ। রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত সেখানকার চিকিৎসকদের জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল।২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পার্থর বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। পরবর্তীতে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানান পার্থ। প্রতিবারই কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা। একাধিকবার জেলে অসুস্থও হয়ে পড়েন পার্থ। আদালতের নির্দেশে চলত রুটিন চেকআপও। এদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পার্থকে জামিন দিলেও সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিননা মেলায় জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে।

Published on 2025-01-24 07:19 PM
Card image cap

কলকাতায় ফের হেলে পড়া বাড়ির হদিশ!

বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগরের পর তপসিয়া। ফের খাস কলকাতায় একটি আবাসনের গায়ে হেলে পড়েছে আরও একটি বহুতল। কয়েকটি বিম দিয়ে দুটি বহুতলের মাঝে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। সেই বিমগুলির উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে হেলে পড়া আবাসনটি। আতঙ্কে দুই আবাসনের বাসিন্দারা। এদিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে ওয়ার্ডের সমস্ত বিপজ্জনক আবাসনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনের ঘটনা। স্থানীয় ও আবাসনের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭-৮ বছর আগে হেলে পড়া আবাসনটি তৈরি হয়। বহুতলটি হেলে পড়ায় লোহার বিম দিয়ে পাশের আবাসনের সঙ্গে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি তলায় বিম রয়েছে। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে দুটি আবাসন যে আরও কাছিকাছি এসে পড়েছে, তা দেখা যাচ্ছে।এখানেই প্রশ্ন উঠছে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনটি এই অবস্থায় থাকলেও কেউ জানে না কেন? বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বিশ্বাস জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগে জানতাম না। পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) আমার কাছে ওয়ার্ডের পুরনো বহুতলের তথ্য চেয়েছেন। আমি পাঠিয়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন, তারপরও কেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। তারপর ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সামনে এল তপসিয়ার ঘটনা।

Published on 2025-01-24 07:17 PM
Card image cap

বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে শোকজ তৃণমূলের

বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁকে শোকজ করল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শুক্রবার নবান্নে ডেকে তাঁর হাতে শোকজ লেটার দেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য ওই চিঠিতে উল্লেখ নেই। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেছেন বিধায়ক। আবেগের বশে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেছেন বলেই জানান তিনি।গত ডিসেম্বরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি যেন অন্য বিধানসভা এলাকায় নজর না দেন, তা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন। তবে তারপরেও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। সম্প্রতি অশোকনগরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক ‘চটুল’ রসিকতা করতে থাকেন তিনি। দর্শকাসনে থাকা তরুণীদের উদ্দেশে নানা ধরনের কুকথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টা দলেরও কানে পৌঁছয়।তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। এই আচরণ যে দল কোনওভাবেই অনুমোদন করে না, তা-ও সাফ জানিয়েছিলেন। জেলা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলেও জানান। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল নারায়ণ গোস্বামীর উপর।

Published on 2025-01-24 07:06 PM

VIDEOS:

১৫ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে ছেলের চোখে জল।

Published on 2024-04-27

এ কি যত কান্ড নদীয়ায়? মুঠো মুঠো লঙ্কা খাচ্ছে কিন্তু কেন?

Published on 2024-04-27

সংসারের হাল ধরতে, ভ্যানের স্টারিং ধরল গ্রাজুয়েট

Published on 2024-03-20

মানুষ গড়ার কারিগর দৃষ্টিহীন শিক্ষক

Published on 2024-03-20
View All

TRENDING:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Card image cap

এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে?

প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে ঘামে ভিজে যাতায়াত করার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। সেই লোকাল ট্রেনে এবার এসি-র হাওয়া খাবেন যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই রেল জানিয়েছে, রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ছুটবে লোকাল ট্রেন। এসি ইএমইউ লোকাল ট্রেন চালু হতে আর খুব বেশি দেরী নেই। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনে পৌঁছেছে সেই ট্রেন। তবে এসি লোকালে কি আর আগের মতো কম দামের টিকিটে যাতায়াত করার সুযোগ থাকবে? সামনে এল সেই তথ্য।

জানা গিয়েছে, ট্রায়াল শেষ হয়েছে ইতিমধ্য়েই। ফলে এসি লোকাল চালানোর প্রস্তুতি আরও একধাপ এগিয়েছে। তবে এই এসি লোকাল ট্রেন কোন-কোন স্টেশনে থামবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাড়া যাতে সাধারণ যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিঙ্গল জার্নি অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ২৯ টাকা ভাড়া। ১০ কিলোমিটারের বেশি হলে, ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব যাওয়ার ভাড়া লাগবে ৩৭ টাকা। ১০ কিলোমিটারের জন্য একমাসের সিজন টিকিটের জন্য খরচ পড়বে ৫৯০ টাকা। আর ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটারের জন্য সিজন টিকিটের দাম ৭৮০ টাকা।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত ১২ কোচের দু’টি রেক দেওয়া হচ্ছে। পরে এসি লোকাল ট্রেন আরও বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও জানায়নি রেল।

Card image cap

বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা

ভিড় ভিড় আর ভিড়, সকাল হোক বা বিকাল, সর্বক্ষণই একই ছবি দুই স্টেশনে। বিধাননগর হোক বা দমদম, সারাদিনে প্রতি স্টেশনে প্রায় ২ লক্ষ যাত্রীর পা পড়ে এই স্টেশনে। এদিকে দুই স্টেশনেই ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দোকান। ফলে অফিসের ব্য়স্ত সময় হোক বা দিনের অন্যান্য সময় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এবার সপ্তাখানেকের মধ্যেই ভোলবদল হতে চলেছে দুই স্টেশনের। বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রেল। দুই স্টেশনই আগামী মাসের মধ্যে রেলের মানচিত্রে এক্কেবারে ‘বিক্রেতামুক্ত’ স্টেশন হিসাবে উঠে আসতে চলেছে দুই স্টেশন। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুই স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হবে সব হকারদের। 

রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন যথাক্রমে ২২২ এবং ২১৬ জোড়া লোকাল ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর স্টেশনে চলাচল করে। সাধারণ দিনে বিধাননগর স্টেশনে প্রায় ১.৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। যার মধ্যে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়েই যাতায়াত করেন ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী। অন্যদিকে দমদম স্টেশনে প্রায় ১.৫ লক্ষ যাত্রীর সমাগম হয় প্রত্যহই। 

তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণেই এবার বড় পদক্ষেপের পথে রেল। ব্যস্ত সময়ে যাতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা না ঘটে সে কারণেই সব দোকাল তুলে স্টেশন ফাঁকা করতে চাইছে রেল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুধু স্টেশন ফাঁকা করাই নয়, স্টেশনের সামগ্রিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে বলে খবর। ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করার জন্য ট্রেন ইনফর্মেশন বোর্ড, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে সামগ্রিক অ্য়ানাউন্সমেন্ট সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রেল। দমদমের আরপিএফ ব্যারাকের কাছে নতুন টিকিট বুকিং অফিস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর।

Card image cap

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেল! হাসপাতালে তড়িঘড়ি

ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। 

অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
অনশনরত ১০ জন প্রতিনিধির মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি আরজি কর  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হল বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে  আমরণ অনশনে  বসেছেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । তাঁদেরই একজন এই বলরাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনশন তিন দিনে পড়েছে । শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
নিয়োগে দুর্নীতির  অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যালেনটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মে মাসের শুরু থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারারা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।
 ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। যার যার ফলে, মেডিকেল চেকআপ করে দেখা গিয়েছে উঠে দাঁড়ালেই যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে। সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের।

Card image cap

আজকের রাশিফল

মেষ- আপনি সিনিয়র ও মেন্টরদের সঙ্গ পাবেন যারা আপনার কাজকে সমর্থন করবে। দায়িত্ব পালন করার আপনার ক্ষমতা সবাই প্রশংসা করবে, এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি চ্যালেঞ্জগুলো সুনিপুণভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন। 

বৃষ- ভাগ্যের শক্তিশালী সহায়তা আপনার পাশে থাকবে, যা সব দিক থেকে শুভ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আপনার আত্মবিশ্বাস মনকে উন্নত করবে এবং আপনি সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবেন। 

মিথুন- ব্যক্তিগত কাজগুলোতে কিছু বিলম্ব বা বাধা আসতে পারে, তাই নতুন চুক্তি করার সময় সতর্ক থাকুন। ব্যবসায়িক অংশীদাররা সহযোগিতাপূর্ণ থাকবেন, এবং কাজ সংক্রান্ত আলোচনায় আপনি সক্রিয় ও ভালোভাবে অবগত থাকুন। শৃঙ্খলা ও স্পষ্টতার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

কর্কট- বন্ধু ও সহকর্মীদের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং অভিজ্ঞদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখুন, যেন প্রয়োজনমতো দিকনির্দেশনা পেতে পারেন। তবে, নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা বা কোনো চুক্তিতে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন—সব ধরনের লেনদেনে স্পষ্টতা খুব জরুরি। 

সিংহ- আজ সময় ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব বেশি থাকবে। আপনার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা পেশাগত কাজে উন্নতি আনতে সাহায্য করবে, আর কাজসংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টতা ধীরে ধীরে বাড়বে। সহকর্মীদের কাছ থেকে, বিশেষ করে সেবামূলক কাজে, আপনি সহায়তা পেতে পারেন। 

কন্যা- ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মতো সচেতনতা বৃদ্ধির অভ্যাস গ্রহণ করতে পারেন, যা আপনার জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করবে। ব্যক্তিগত আগ্রহে আপনি সক্রিয় থাকবেন এবং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটি একটি উপযুক্ত সময়।

তুলা- স্বার্থপরতা থেকে দূরে থাকুন এবং প্রতিটি বিষয় সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামলান। বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখান। ব্যক্তিগত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে, এবং অতিথি আসার ফলে ঘরে সুখ ও পজিটিভ পরিবেশ তৈরি হতে পারে।

বৃশ্চিক- ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং পরিবারে অর্থবহ সাক্ষাৎ হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সফলতা আসবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোতে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অগ্রগতি আশা করা যায়।

ধনু- পজিটিভ খবর আসবে, যা আনন্দ এবং লাভ বৃদ্ধির কারণ হবে। বাড়িতে উৎসব বা আনন্দঘন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা হতে পারে। আপনি পারিবারিক কাজে সক্রিয় থাকবেন এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অংশ হতে পারেন। আলোচনার ও কথাবার্তার ফলাফল হবে পজিটিভ। 

মকর- আপনি পরিকল্পনাগুলো ধাপে ধাপে ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবেন। আপনার কথা হবে কোমল ও ভদ্র। পেশাগত বিষয়ে সঠিক পরামর্শ এবং কাছের মানুষদের সহায়তায় ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন।

কুম্ভ- সাবধানে ও ধৈর্যের সঙ্গে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান এবং সব ধরনের আর্থিক বিষয়ে সতর্ক থাকুন। টাকার বিষয়ে ভুল করা থেকে বিরত থাকুন এবং দায়িত্বগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের সহযোগিতা উপকারে আসবে, তবে আইনি বা প্রশাসনিক বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকুন। 

মিন- সব বিষয়কে সৌজন্য ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করুন। লক্ষ্য পূরণের দিকে মনোযোগ আরও দৃঢ় হবে, যার ফলে লাভ ও প্রভাব—দুটোই বাড়বে। নতুন চুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় শান্ত থাকুন। বিভিন্ন কাজে গতি আসবে এবং বন্ধু-বান্ধবরা সহায়ক হবে।

Card image cap

বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয়

ফিল্মি কেরিয়ারে হিটের খরা কিছুতেই কাটছে না অক্ষয় কুমারের। কেরিয়ারে বেশ দুঃসময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন অক্ষয় কুমার। গত চার বছরে হিটের মুখ পর্যন্ত দেখেননি! একের পর এক সিনেমা ফ্লপ। ‘বেল বটম’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘পৃথ্বীরাজ, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘রামসেতু’, ‘মিশন রানিগঞ্জ’ থেকে ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ফ্লপের তালিকা অনেক লম্বা। শুক্রবারই মুক্তিপ্রাপ্ত খিলাড়ির ‘স্কাই ফোর্স’-এর পয়লা দিনের ব্যবসার গ্রাফ যদিও আশা জাগাচ্ছে, তবে এসবের মাঝেই শোনা গেল বোরিভালির সাধের বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় কুমার।বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ওবেরয় রিয়ালিটি সংস্থার নির্মিত স্কাই সিটিতে অক্ষয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছিল। সেই ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টে তিনটি ঘর, স্টুডিও-সহ চোখধাঁধানো অন্দরসজ্জা। ২০১৭ সালে ২.৩৮ কোটি টাকায় সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন অক্ষয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই স্থাবর সম্পত্তির দাম বর্তমানে বেড়েছে। সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে ২১ জানুয়ারি ‘স্কাই ফোর্স’ মুক্তির প্রাক্কালেই পূর্ব বোরিভালির সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিনেতা। প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কেনা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করলেন ৪.২৫ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য, বক্স অফিসে কিছুতেই ম্যাজিক দেখাতে পারছেন না খিলাড়ি! যে অক্ষয়ের হাত ধরে একের পর এক ব্লকবাস্টার দেখেছে বলিউড, সেই অক্ষয়ের ছবি থেকে মুখ ফিরিয়েছে দর্শকরাও। সমস্যা কোথায় অভিনয় না কন্টেন্ট? প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এর আগে একটানা ১৬টি ফ্লপের মুখ দেখেছিলেন তিনি, সেই সংখ্যা যদিও এবার ছুঁতে পারেননি তবে হিটের খরা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ঝুলিতে কিন্তু সিনেমার জোয়ার। পাইপলাইনে একের পর এক ছবি রয়েছে। তবুও কেন বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করলেন খিলাড়ি?প্রসঙ্গত, জুহুতে অক্ষয়-টুইঙ্কলের যে বাংলো রয়েছে, সেটা যেন আস্ত একটা উদ্যান। সমুদ্রমুখী সেই বাংলো সযত্নে সাজিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও গোয়াতে পর্তুগিজ স্টাইলের একটি ভিলা রয়েছে তারকাদম্পতির। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়েই দুই সন্তান আরব, নীতারাকে নিয়ে সময় কাটান অক্ষয়-টুইঙ্কল। এছাড়াও কানাডাতে নাকি বিপুল সম্পত্তি রয়েছে খিলাড়ির। শোনা যায়, টরন্টোর পাহাড়ি এলাকায় সুবিশাল একটা জমি কিনে বিলাসবহুল একাধিক বাংলোও বানিয়ে ফেলেছেন বলিউড তারকা।

YOU MAY ALSO LIKE:

Card image cap

সাতপাকে বাঁধা পড়লেন অনন্ত-রাধিকা

ঠিক যেন স্বপ্নের বিয়ে। রাজনীতি থেকে গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রি, বিশ্বের তাবড় ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতেই ১২ জুলাই, শুক্রবার অনন্ত আম্বানির সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন রাধিকা মার্চেন্ট। মেগাবাজেট বিয়ের অনুষ্ঠানের অতিথি তালিকাতে মহাচমক! এহেন রাজকীয় বিয়ের সাক্ষী যে এর আগে গোটা ভূ-ভারত থাকেনি, তা হলফ করে বলা যায়।গোটা বলিউড তো বটেই এমনকী পশ্চিমী বিনোদুনিয়ার গ্ল্যামারের ছটায় আলোকিত হল বিয়ের আসর। ছাদনাতলায় যাওয়ার আগে ঠাকুরদা ধীরুভাই আম্বানির থেকে আশীর্বাদ নেন অনন্ত। রীতি-রেওয়াজ মেনে মা নীতা আম্বানি ছেলের 'শেহেরাবন্দি' অনুষ্ঠান পালন করলেন। দাদা-বউদি আকাশ-শ্লোক এবং বোন-জামাই ইশা-আনন্দ সকলেই অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে আগত অতিথিদের আপ্যায়ণে কড়া নজর রেখেছিলেন।বারাণসীকে উৎসর্গ করে অনন্ত-রাধিকার বিয়ের থিম ছিল ‘অ্যান অড টু বারাণসী’। বিয়ের থিমের সঙ্গে মিলিয়ে গোলাপি পোশাকে সেজেছে আম্বানি পরিবার। অতিথি আপ্যায়ণেও বিশেষ মেন্যু। মা নীতা আম্বানির প্রিয় বারাণসী স্ট্রিট ফুড প্রাধান্য পেয়েছে এলাহি নৈশভোজের তালিকায়। বারাণসী স্পেশাল চাট, মিষ্টি, লস্যি, চা, খারি, পান এবং মুখসুদ্ধির মতো রকমারি পদ ছিল। ছেলের বরযাত্রীতে সোনার মঙ্গল প্রদীপ হাতে দেখা গিয়েছে নীতা আম্বানিকে। গত দেড় বছর ধরে অনন্ত-রাধিকার স্বপ্নের বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। কখনও দেশে কখনও বিদেশে তারকাখচিত পার্টির ঝলক দেখে নেটপাড়া মজেছে। এবার জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন অনন্ত-রাধিকা।

Card image cap

'সংখ্যালঘুরাই বোমা বাঁধবে আর আপনারা পদ নিয়ে থাকবেন?'

দলের সংখ্যালঘু নেতাদের কাজ নিয়ে এবার নজিরবিহীন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা। কোর কমিটির নেতাদের দিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন সাঁইথিয়া সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতি মহম্মদ ইউনুস। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকে তাঁর মন্তব্য, ''বোমা বাঁধা থেকে শুরু করে লাঠিচালনা, সবই সংখ্যালঘু নেতারা করবে? আর আপনারা কোর কমিটির বড় বড় পদ নিয়ে বসে থাকবেন?'' যদিও এনিয়ে জেলার কোর কমিটি তেমন কিছু বলতে চাননি। বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।

বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বিরুদ্ধে মুখ খুলেই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন সাঁইথিয়া তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতি মহম্মদ ইউনুস ওরফে মাদল। জেলার কোর কমিটির নেতাদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ''বোমা বাঁধা থেকে শুরু করে লাঠিচালনা, সবই সংখ্যালঘু নেতারা করবে? আর আপনারা কোর কমিটির বড় বড় পদ নিয়ে বসে থাকবেন? নিজের বুথেই জিততে পারেন না আপনারা, আবার জেলার দায়িত্ব নেবেন!'' এর পর তাঁর আরও মন্তব্য, এসব চোখে আঙুল দিয়ে বোঝানো দরকার।যদিও এনিয়ে কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী জানান, ''বিষয়টি রাজ্যস্তরে জানিয়েছি। যদি কেউ এমন কথা বলে থাকেন, তাহলে তিনি আর যেই হোন, তৃণমূলের কর্মী নন। রাজ্য নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, এই স্বঘোষিত তৃণমূল নেতাকে সতর্ক করা হবে।'' উল্লেখ্য, কোর কমিটিতে থাকা বোলপুর ও রামপুরহাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বুথ লোকসভা নির্বাচনে দলের জয়জয়কারের মাঝেও বিজেপির থেকে পিছিয়ে আছে। তাই নাম না করে তাঁদেরই কার্যত নিশানা করেছে ইউনুস।

Card image cap

উদ্ধব-পওয়ারের সঙ্গে দেখা করে INDIA জোট নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মমতা

সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নয়, কার্যত জোটসঙ্গীদের হাতেপায়ে ধরে তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির কুর্সিতে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি। এবার কেন্দ্রের প্রতিপক্ষ বিরোধী জোটও বেশ শক্তিশালী। আর এই সরকার যে খুব স্থায়ী হবে না, প্রথম দিন থেকে তেমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মুম্বইয়ে উদ্ধব ঠাকরে অর্থাৎ বিরোধী এক জোট শরিককে পাশে নিয়ে ফের সেকথাই বললেন তিনি। তাঁর সাফ বক্তব্য, বিরোধী জোট খুবই শক্তিশালী এই মুহূর্তে। সরকারকে পদে পদে চাপে ফেলতে প্রস্তুত বিরোধীরা।আম্বানিপুত্র অনন্তের বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে দুদিনের সফরে মুম্বই গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর এই এক সফরে তিনি একাধিক কর্মসূচি রেখেছেন। তারই একটা বিরোধী INDIA জোটের অন্যতম শরিক উদ্ধব সঙ্গে বৈঠক। শুক্রবার বিকেলে মাতোশ্রীতে দুজনের মধ্যে আলোচনার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন তাঁরা। ছিলেন উদ্ধবের ছেলে আদিত্যও। সেখানে একাধিক বিষয় কথা বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে উদ্ধব ঠাকরে বার বারই উল্লেখ করেন, 'দিদি'র সঙ্গে সাক্ষাৎ একেবারেই পারিবারিক, রাজনৈতিক কোনও কথা হবে না। তিনি নিজে কোনও রাজনৈতিক কথা বলেনওনি।

তবে তৃণমূ নেত্রী ন্যায় সংহিতা আইন লাগু নিয়ে কেন্দ্রকে একপ্রস্ত আক্রমণ করেছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রের স্থায়িত্ব নিয়ে তাঁর প্রশ্ন, কীভাবে টিকবে সরকার? বিরোধী জোটের শক্তি নিয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোটে কংগ্রেসের অংশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ''বাংলায় তো কংগ্রেস , সিপিএমের সঙ্গে কোনও জোট নেই। আমরা তো সিপিএমকে হারিয়েই ক্ষমতায় এসেছি। তাই ওদের হাত ধরে চলব না। তবে দিল্লিতে কংগ্রেস-সহ সকলে আমরা একসঙ্গে আছি। আর আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী।''
সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের জেলবন্দি করা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন উদ্ধব ঠাকরের বাড়ি থেকে তিনি চলে যান শরদ পওয়ারের বাসভবনে। সেখানে পওয়ার ছাড়া এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। 'দিদি'কে একগুচ্ছ উপহার দেন তাঁরা।

Card image cap

রাজভবনে দীর্ঘদিন ধরে আটকে বিল, সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি শুক্রবার

গণপ্রহার-সহ আটটি বিল রাজভবনে বন্দি দীর্ঘদিন ধরে। রাজ্যের তরফে বারবার অনুরোধ সত্বেও তাতে অনুমোদন দিতে গড়িমসি করছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার সেই মামলা গড়াল সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের আবেদন মঞ্জুর করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। রাজ্যের আইনজীবী আশা শর্মা এপ্রিল মাসে তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে আবেদন করেন। তা গ্রহণ করে শুক্রবার প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনবেন বলে জানান।

২০২২ ও ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গণপিটুনি রুখতে একটি কড়া আইন পাশ করা হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী আইন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী আইন ও রাজ্য নগরোন্নয়ন সংশোধনী আইন বিধানসভায় পাশ হয়েছে। কিন্তু সবই চূড়ান্ত ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রাজভবনে ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে। এর বেশিরভাগই অবশ্য প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সময়ের। তখন থেকেই বিনা কারণে বিলগুলি রাজভবনে ফাইলবন্দি।কিন্তু এক্ষেত্রে কোনও কারণ না দেখিয়েই বিলগুলি আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ রাজ্যের। তাই শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপের আবেদন করা হয়েছে। এবার শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের আবেদন শুনতে রাজি হওয়ায় এনিয়ে জট কাটবে বলে আশাবাদী ওয়াকিবহাল মহল।

Card image cap

২১ জুলাইয়ের আগে 'চায়ের আড্ডা' তৃণমূলের

বিজেপির শত চেষ্টা নস্যাৎ করে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে দারুণ ফলাফল করেছে রাজ্যের শাসকদল। ৪২ টি আসনের মধ্যে ২৯টিতেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। এহেন 'রেজাল্টে' মেগা উদযাপন হতে চলেছে ২১ জুলাই, শহিদ দিবসের মঞ্চে। এমনই জানিয়েছিলেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শুক্রবার নতুন কর্মসূচির কথা জানা গেল তৃণমূল সূত্রে। শহিদ দিবসের আগের দিন 'চায়ের আড্ডা'য় মিলিত হবে তৃণমূলপন্থী একাধিক সোশাল মিডিয়া গ্রুপ। আড্ডার পাশাপাশি চলবে মত বিনিময়। তাতে যোগ দিতে সকলকে আহ্বান জানানো হয়েছে। আড্ডার স্থান, সময় সবই সোশাল মিডিয়া পোস্টে প্রকাশ করা হয়েছে। রয়েছে আয়োজকদের নাম ও যোগাযোগের নম্বরও।

প্রতি বছরই তৃণমূলপন্থী সোশাল মিডিয়া গ্রুপগুলির সমবেত মিলনোৎসব হয়ে থাকে 'চায়ের আড্ডা'য়। এভাবেই সকলে একজায়গায় মিলিত হয়ে মত বিনিময় করেন। উঠে আছে বেশ কিছু পরামর্শ, যা পরবর্তী সময়ে দলকে আরও এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। কিছু ভুলত্রুটি শুধরে নেওয়ার সুযোগও মেলে এই অনুষ্ঠানে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া সংগঠনগুলি একত্রিত হচ্ছেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিনে। আগামী শনিবার, ২০ জুলাই। ২১ জুলাইয়ের ঠিক আগের দিন। সোশাল মিডিয়া পোস্টে জানানো হয়েছে, হাজরার সুজাতা দেবী স্মৃতি সদনে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলবে এই আড্ডা।

Card image cap

৬ রাশির চাকরি-ব্যবসায় লাভ

চন্দ্র আজ কন্যা রাশিতে অবস্থান করবে। আজ শিব যোগ, সিদ্ধ যোগ ও হস্ত নক্ষত্রের শুভ সংযোগ তৈরি হচ্ছে। আজকের এই শুভ সংযোগের প্রভাবে বেশ কিছু রাশির জাতকদের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বৃদ্ধি পাবে। পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটাবেন। আজ শনির কৃপায় কোন কোন রাশির উন্নতি হবে, কারা লাভবান হবেন তা এখানে বিস্তারিত জানানো হল। পাশাপাশি কোন কোন রাশির জন্য আজকের দিনটি বিশেষ ভালো নয়। তা-ও এখানে জেনে নিন


মেষ রাশির ব্যবসায়ী জাতকরা আজ মিশ্র ফলাফল লাভ করবেন। ব্যবসায়ে কোনও বিশেষ চুক্তি চূড়ান্ত করতে পারবেন, যা ভবিষ্যতের লাভের পথ প্রশস্ত করবে। আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে। রাজকীয় ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভ করবেন। সন্ধ্যাবেলা পরিজনদের সঙ্গে ভালো কাজে সময় কাটাবেন এই রাশির জাতকরা। ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বন্ধুদের সাহায্য নেবেন।



ভাগ্য ৮১ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। দরিদ্র ও বরিষ্ঠদের আশীর্বাদ গ্রহণ করুন।

বৃষ রাশির জাতকদের পরিবারে শুভ অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে, যা আপনাদের ব্যস্ত করে তুলবে। কিন্তু এ কারণে নিজের কাজ উপেক্ষা করবেন না। সংযমী হন। শত্রু প্রবল হবে আজ। দাম্পত্য জীবন সুখে কাটবে। সন্তানকে ধর্মীয় কাজ করতে দেখে আনন্দিত হবেন।



৮৩ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন। গণেশকে লাড্ডুর ভোগ নিবেদন করুন।

মিথুন রাশির জাতকরা আজ সেই কাজ করুন, যার পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন পরিকল্পনা মাথায় আসবে, যা আপনার ব্যবসার গতি বৃদ্ধি করবে। ছাত্রছাত্রীরা উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য বরিষ্ঠদের কাছ থেকে বিশেষ সহযোগিতা পাবেন। সৃজনশীল কাজ করে দিন কাটাবেন।

ভাগ্য ৭৩ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। শিব চালিসা পাঠ করুন।

কর্কট রাশির জাতকদের চাকরি ও ব্যবসার জন্য সময় অত্যন্ত লাভজনক। অফিসে সহকর্মীদের পূর্ণ সহযোগিতা লাভ করবেন। সন্ধ্যাবেলা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাবেন। বিদেশি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত জাতকদের জন্য আজকের দিনটি ভালো। একাগ্রতার সঙ্গে নিজের সমস্ত কাজ সম্পন্ন করলে সফল হবেন। ভাই-বোনের পরামর্শে লাভান্বিত হবেন এই রাশির জাতকরা।

আজ ৯৩ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন। সংকটনাশন গণেশ স্তোত্র পাঠ করুন।

সিংহ রাশির জাতকরা ব্যস্ততায় দিন কাটাবেন। প্রেম জীবনের জন্য সময় বের করতে পারবেন। জীবনসঙ্গীর রাগ দূর করতে সফল হবেন। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী ও বরিষ্ঠ আধিকারিকরা আপনার কাজে বাধা সৃষ্টি করতে পারেন। শ্বশুরবাড়ির তরফে সম্মান লাভ করতে পারেন। ব্যবসায়ীরা অর্থাভাবের মুখোমুখি হবেন। ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় সাফল্য লাভের জন্য কঠিন পরিশ্রম করবেন।

৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনাদের পক্ষে। রোজ রাতে শেষ রুটি কালো কুকুরকে খাওয়ান।

কন্যা রাশির জাতকরা আজ মিশ্র ফলাফল পাবেন। আশপাশের ব্যক্তিদের থেকে সতর্ক থাকুন। কারও সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হবেন না, বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন। পরিবারে কোনও শুভ অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। পরিবারে বয়স্ক সদস্যের পরামর্শের প্রয়োজন হবে। সন্ধ্যা নাগাদ আইনি বিবাদের সমাধান হবে।

ভাগ্য ৮৭ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গ দেবে। কৃষ্ণকে মাখন-মিশ্রীর ভোগ নিবেদন করুন।

তুলা রাশির জাতকদের জমি-সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবারের সদস্য ও আশপাশের লোকেরা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সামাজিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। তবে অর্থ ব্যয় হবে। কাজ ও ব্যবসা সংক্রান্ত সমস্ত বিবাদ সমাপ্ত হবে আজ। ব্যবসায়ে নতুন প্রকল্প কার্যকরী করতে পারেন।

ভাগ্য ৭৭ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গ দেবে। প্রথম রুটি গোরুকে খাওয়ান।

বৃশ্চিক রাশির চাকরিজীবী জাতকদের জন্য আজকের দিনটি ভালো। ব্যবসায় লাভের সুযোগ পাবেন। এর ফলে আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে এই রাশির জাতকদের। পরিবারে সুখ-শান্তি ও স্থায়ীত্ব বজায় থাকবে। চাকরিজীবীরা নিজের কাজে কিছু নতুনত্ব আনতে পারেন, যার দ্বারা ভবিষ্যতে লাভান্বিত হবেন।

আজ ৬৯ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনার সহায় হবে। যোগ প্রাণায়াম অভ্যাস করুন।

ধনু রাশির জাতকরা পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয়তায় অর্থ ব্যয় করতে পারেন। মায়ের স্বাস্থ্য দুর্বল হবে, তাই সতর্ক থাকুন। চাকরিতে বিবাদ উৎপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিজের মধুর বাণীর দ্বারা সকলের মন জয় করতে পারবেন। সন্ধ্যাবেলা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে মন্দিরে যেতে পারেন।



ভাগ্য ৯১ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার পক্ষে। অসহায় ব্যক্তিকে চাল দান করুন।

মকর রাশির জাতকরা অংশীদারীর ব্যবসা করে থাকলে আজকের দিনটি ভালো। মুনাফা হবে। বাড়ির সাজসজ্জার জন্য কেনাকাটা করতে পারেন। পুরনো আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন করার জন্য সময় বের করুন। পরিবারে বিবাহ সংক্রান্ত আলোচনা হতে পারে।

ভাগ্য আজ ৬৮ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গে থাকবে। শিব জপ মালা পাঠ করুন।

কুম্ভ রাশির জাতকদের ব্যস্ততা বাড়বে। তবে স্বাস্থ্য উপেক্ষা করবেন না। স্বাস্থ্যের বিষয়ে গাফিলতি করলে লোকসান সম্ভব। ব্যবসায় লেনদেনের জন্য আজকের দিনটি ভালো। পরিবারে সম্পত্তি সংক্রান্ত আলোচনা শুরু হতে পারে, বিচক্ষণতার সঙ্গে চিন্তাভাবনা করলে ও বয়স্কদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করলে সফল হবেন।

ভাগ্য ৯৩ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য করবে। তুলসী গাছে নিয়মিত জল নিবেদন করুন।

মীন রাশির জাতকরা ব্যবসায়ে ঝুঁকি নেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করে থাকলে লাভ হবে। কাউকে সমস্যায় দেখা তাঁর সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসবেন। পরিবারে কথা কাটাকাটি হতে পারে, আপনার মধুর ব্যবহার তা দূর করবে। চাকরি ও ব্যবসা বুদ্ধি-বিচক্ষণতা প্রয়োগ করে অনেক কিছু অর্জন করতে পারবেন। সন্ধ্যাবেলা বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে সময় কাটাবেন।

আজ ৮৮ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাগ্য আপনার সহায় হবে। লক্ষ্মীকে পায়েসের ভোগ নিবেদন করুন।

Card image cap

বিজেপিকে উৎখাত করতে হাত মেলালো বড় দুই দল

বিজেপিকে উৎখাত করার লক্ষ্য নিয়ে রাজ্যে হাত মেলালো দুই দল। আসন্ন বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে উৎখাত করার লক্ষ্য নিয়ে এক কথায় ময়দানে নামল দুই দল। জানা গিয়েছে, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে একসঙ্গে লড়ার ঘোষণা দিয়েছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল ও বহুজন সমাজ পার্টি।


আজ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন আইএনএলডি নেতা অভয় সিং চৌটালা।


তিনি বলেছেন, "আজ সাধারণ মানুষের কাছে আলাদাই সেন্টিমেন্টের জায়গা হল বিজেপি। দলটি হরিয়ানা রাজ্যকে টানা ১০ বছর ধরে লুট করছে। তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত এবং কংগ্রেস দলকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখা উচিত। আমরা হরিয়ানায় যারা তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠন করেছে, যারা বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়েরই বিরোধী তাদের একত্রিত করব এবং আমরা এমন একটি ফ্রন্ট গঠন করব যেখানে মানুষের বিশ্বাস বাড়বে এবং আগামী দিনে এই রাজ্যে একটি জোট সরকার গঠন করা হবে।"


হরিয়ানার ৯০টি আসনের মধ্যে বিএসপি লড়বে ৩৭টি আসনে। জোটের নেতা হবেন অভয় চৌটালা। জোটের কথা ঘোষণা করে অভয় চৌটালা বলেন, এই জোট স্বার্থপরতার জন্য নয়, মানুষের ইচ্ছানুযায়ী করা হয়েছে। বিজেপি ও কংগ্রেস দেশকে লুঠ করেছে।


প্রকৃতপক্ষে, এই নিয়ে তৃতীয়বার দুই দল একত্রিত হচ্ছে। ১৯৯৬ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল এবং বিএসপি প্রথমবারের মতো একটি জোট গঠন করে। এ বছর আইএনএলডি সাতটি লোকসভা আসনে এবং বিএসপি তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। দুই দলের মধ্যে দ্বিতীয় জোট ছিল ২০১৮ সালে। কিন্তু বিধানসভা ভোটের আগেই সেই জোট ভেঙে যায়।


আইএনএলডি এবং বিএসপির জোট বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে ধাক্কা দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিএসপি ১৯৮৯ সাল থেকে হরিয়ানার রাজনীতিতে নিজেদের ভাগ্য বদলানোর চেষ্টা করছে। ১৯৯৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে মায়াবতী ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধেছিলেন। প্রার্থী দেওয়া হয়েছে তিনটি আসনে। এর মধ্যে একটি আসনে জয় হয়েছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে দুই দল হাত মিলিয়েছিল, কিন্তু নির্বাচনের আগে জোট ভেঙে যায়।


Card image cap

রাত থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি,


পূর্বাভাস ছিলই, আর সেই মতোই দক্ষিণবঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে বৃষ্টি। রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে শহর কলকাতা ও বিভিন্ন জেলায়। সকালেও অব্যাহত বৃষ্টি। কালো মেঘে ঢেকে রয়েছে আকাশ। বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। যদিও মৌসম ভবন অবশ্য জানাচ্ছে আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে কমই হবে বৃষ্টি। তারপরের দুই সপ্তাহে স্বাভাবিক বা তার চেয়েও বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।‌


আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, শনিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায় অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে। হাওয়া অফিস বলছে শুক্র এবং শনিবার ফেয়ারলি ওয়াইড স্প্রেইড রেইন হবে দক্ষিণবঙ্গে। এরপর রবি ও সোমবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।


এদিকে শহর কলকাতাতেও চলছে বৃষ্টিপাত। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এদিন শহরের আকাশ মূলত মেঘলাই থাকবে। সঙ্গে সারাদিনই জারি থাকতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত। শুক্রবার কলকাতায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৫ ডিগ্রি বেশি। পাশাপাশি দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.২ ডিগ্রি কম।


দক্ষিণবঙ্গে যেমন বৃষ্টি বাড়ছে তেমনই উত্তরবঙ্গেও বর্ষণ জারি থাকবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে হাওয়া অফিসের। এক্ষেত্রে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি বা বলা ভালো প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলায়। আর নিচের দিকের তিন জেলাতেও হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। তবে এদিন আগের চেয়ে বৃষ্টি কিছুটা কমতে পারে। যদিও রবিবার পর্যন্ত উত্তরের উপরের দিকের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে বলেই জানা যাচ্ছে। শুক্রবারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায়। পাশাপাশি কোচবিহার ও কালিম্পং জেলাতেও রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। এরপর শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায়।


এদিকে এই বৃষ্টির ফলে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকছে। পাশাপাশি বাড়তে পারে নদীর জলস্তর। একইসঙ্গে নীচু এলাকাগুলিও জলমগ্ন হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে মানুষকে নিরাপদ জায়গায় থাকারই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Card image cap

আলমন্ড খোসা সহ খাওয়া উচিত নাকি খোসা ছাড়া?

আলমন্ড খুবই পুষ্টিকর খাবার। আলমন্ড খাওয়ারও অনেক উপকারিতা আছে। কিন্তু জানেন কি আলমন্ড খোসা সহ খাওয়া উচিত নাকি খোসা ছাড়া? আলমন্ড টিস্যু মেরামত করে এবং ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখে।


কিন্তু আলমন্ড খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় কী যাতে উপকার সবচেয়ে বেশি?


আলমন্ডের খোসা হজম করা কঠিন, তাই এটি ভিজিয়ে খোসা ছাড়িয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।


 আলমন্ড সহজে হজম হয়। আলমন্ডে প্রচুর ভিটামিন এবং মিনারেল পাওয়া যায়। এটি ভিটামিন ই, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি চমৎকার উৎস। এই সমস্ত পুষ্টির সম্পূর্ণ উপকার পেতে, সারারাত আলমন্ড ভিজিয়ে রাখা ভাল বলে মনে করা হয়।


আলমন্ড না ভিজিয়ে ও খোসা না ছাড়িয়ে খেলে রক্তে পিত্তের পরিমাণ বেড়ে যায়। সবচেয়ে ভালো উপায় হল আলমন্ড উষ্ণ গরম জলে ভিজিয়ে সারারাত রেখে খোসা ছাড়িয়ে সকালে খেয়ে নিন। এগুলির সঙ্গে কিসমিস ও খেজুরও খেতে পারেন। আপনি দিনে ১০টি আলমন্ড খেতে পারেন তবে খালি পেটে শুধুমাত্র আলমন্ড খাওয়া এড়িয়ে চলুন। পেট খালি থাকলে সবজি ও ফলমূলের সঙ্গে বাদাম খেতে পারেন।


খালি পেটে আলমন্ড খেলে পিত্ত বাড়ে এবং হজমের সমস্যা হয়। ভেজানো এবং কাঁচা আলমন্ড খাওয়া শুধুমাত্র স্বাদের বিষয় নয়, এটি স্বাস্থ্যকরও।


এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন বাদাম ভেজানো ও খোসা ছাড়াই খাওয়ার উপকারিতা কী? 


প্রথম কথা হল আলমন্ডের ত্বকে ট্যানিন থাকে যা পুষ্টির শোষণে বাধা দেয়।আলমন্ড ভিজিয়ে রাখলে খোসা সহজে উঠে আসে এবং তখন শরীরে আলমন্ডের সমস্ত উপকার পেতে কোনো বাধা থাকে না। ভেজানো আলমন্ডের অনেক উপকারিতা রয়েছে - হজমে সাহায্য করে, হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর।


আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে আলমন্ড খাওয়া আপনার জন্য উপকারী। এটি ক্ষুধা দমনে কাজ করে। এ ছাড়া এটি শরীরে টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে।


সব মিলিয়ে খোসা ছাড়ানো বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই কয়েক কেজি ওজন কমতে পারে। এছাড়াও ভিজিয়ে রাখা আলমন্ডে ভিটামিন B17 এবং ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।

Card image cap

পাটনা থেকে ধৃত বিহারে নিটের প্রশ্নফাঁসের মূল পান্ডা

নিট কাণ্ডে বড় সাফল্য সিবিআইয়ের। বিহারে প্রশ্নফাঁস কেলেঙ্কারির মূল পান্ডাকে গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় সংস্থা। ধৃতের নাম রাকেশ রঞ্জন ওরফে রকি। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে এই মামলায় বিহার থেকে এপর্যন্ত দশজনকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই ।এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রানুসারে, অভিযুক্ত রাকেশ রাঁচিতে একটা হোটেল চালাতেন। অভিযোগ, তাঁর হাতেই এসে পড়েছিল স্নাতক স্তরে ডাক্তারির অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। সে জনৈক চিন্টুর মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেয়। কেবল প্রশ্নপত্রই নয়, সেগুলির লিখিত উত্তরও ছাপিয়ে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। রাঁচি ও পাটনা থেকে বহু এমবিবিএস ছাত্রছাত্রীকে দিয়ে ওই প্রশ্নপত্র সলভ করানো হয়েছিল বলেও জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাকেশের মামা সঞ্জীব মুখিয়াও এই মামলার আর এক অভিযুক্ত। দেশের বিভিন্ন রাজ্য মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তারির সংখ্যা ৩০ ছাপিয়েছে।এদিকে বৃহস্পতিবারই সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে নিট তদন্ত নিয়ে হলফনামা পেশ করেছে। সংস্থার দাবি, স্নাতক স্তরে ডাক্তারির অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হয়েছে বটে তবে সেটা স্থানীয় স্তরে। সোশাল মিডিয়ায় ওই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েনি। ফলে তার প্রভাব ব্যাপক হওয়ার কথা নয়। এই হলফনামায় বিরোধীরা যে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করছিল, সেটা খানিকটা লঘু করে দেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।

Card image cap

মুম্বই পৌঁছেই আম্বানির সঙ্গে দেখা করলেন মমতা

ছেলের বিয়েতে আম্বানি পরিবারের আমন্ত্রণে দুদিনের জন্য মুম্বই গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা মুম্বই পৌঁছেই তিনি সবার আগে দেখা করলেন আহ্বায়ক, শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির সঙ্গে। যাঁর আমন্ত্রণে কলকাতা থেকে এত দূরে ছুটে এসেছেন তিনি, সেই আম্বানির হাতে ফুলের স্তবক দিয়ে তাঁকে ধন্যবাদ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানালেন রিলায়েন্স কর্তা। আর বিবাহ অনুষ্ঠানের আবহে সৌজন্যের সম্পর্ক আরও একবার ঝালিয়ে নিলেন উভয়েই। 

শুধু আম্বানিপুত্রের বিয়ে উপলক্ষে যোগ দিতে নয়, সংক্ষিপ্ত মুম্বই সফরে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিও রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। এদিন মুম্বই রওনা হওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি জানান, উদ্ধব ঠাকরে  ও  শরদ পওয়ার  সঙ্গে দেখা করবেন। বিকেলে অখিলেশ যাদবের সঙ্গে সাক্ষাৎপর্ব রয়েছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেল ৪ থেকে ৫টার মধ্যে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মমতার দেখাসাক্ষাৎ, কথাবার্তা হবে। সন্ধেবেলা বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শনিবার কলকাতায় ফিরে আসবেন।বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা মুম্বইয়ে নেমেই তিনি চলে যান মুকেশ আম্বানির সঙ্গে দেখা করতে। ছেলের বিয়ের হাজারও রীতিনীতি সামলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান আম্বানি। তাঁর পরনে ছিল ঘি-সাদা রঙের ট্র্যাডিশনাল কুর্তা-পাজামা-জ্যাকেট। মমতাকে  উত্তরীয় পরিয়ে উষ্ণ অভ্য়র্থনা জানান আম্বানি। দেখেই বোঝা গেল, 'দিদি'র আগমনে কতটা খুশি হয়েছেন শিল্পপতি। এখন শুক্রবার সন্ধেয় অনন্ত-রাধিকার রাজকীয় বিয়েতে একঝাঁক সেলিব্রিটির মাঝে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতির দিকে তাকিয়ে সকলে। 

Card image cap

আড়িয়াদহর জয়ন্তর 'কীর্তি' জানতই না পুরসভা!

পুকুর বুজিয়ে প্রাসাদোপম বাড়ি! কামারহাটি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের আড়িয়াদহের মৌসুমী মোড় সংলগ্ন এলাকায় জয়ন্ত সিংয়ের প্রাসাদ ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। এই বাড়িটিকে বেআইনি বলেই জানান পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আড়িয়াদহের মৌসুমী মোড় সংলগ্ন প্রতাপ রুদ্র লেনে জয়ন্তর দুটি বাড়ি। একটি পৈতৃক, সেটিতে খাটাল রয়েছে। সম্প্রতি পৈতৃক বাড়ির কাছেই একটি জলাশয়ের পাশে আরেকটি প্রাসাদ তৈরি করেছে জয়ন্ত। অভিযোগ, সেখানে এই প্রাসাদ তৈরি হয়েছে সেই জমিটি একসময় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। বছর দুয়েক আগেই নাকি এই জমিটি নিজের কবজায় নেয় জয়ন্ত। এর পরই রাতারাতি সেখানে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বছরখানেকের মধ্যেই এই জমিতে তৈরি হয় চোখধাঁধানো তিনতলা প্রাসাদ।যে জলাশয়ের পাড়ে এই প্রাসাদ গড়ে উঠেছে, সেই জলাশয়ের অনেকটা অংশ বুজিয়েই বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি তৈরির বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এ প্রসঙ্গে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। তিনি জানান, জমিটি কার তা এখনও জানা যায়নি। তবে জমির দাগ নম্বর পাওয়া গিয়েছে। শীঘ্রই জমির মালিকের খোঁজ পাওয়া যাবে। যে বাড়িটি তৈরি হয়েছে তার অনুমোদন পুরসভা দেয়নি, প্ল্যান পাশ করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর এর পরই প্রশ্ন উঠেছে, পুরসভার বৈধ ছাড়পত্র না থাকা সত্ত্বেও কোন জাদুবলে জয়ন্ত সিং এই বাড়ি তৈরি করতে পারল? কীভাবে গোটা বিষয় স্থানীয় পুরসভার নজরে এড়িয়ে গেল? নাকি সব কিছু জানার পরেও চোখ বুজে ছিল প্রশাসন?
যদিও এই প্রসঙ্গে চেয়ারম্যানের জবাব, কোথায় কত বড় বাড়ি হচ্ছে সেটা সবসময় পুরসভায় বসে জানা সম্ভব হয় না। তবে কেউ যদি পুরসভায় অভিযোগ করে আমরা ব্যবস্থা নেই। এর আগেও এমন অনেক অভিযোগের ভিত্তিতে পুরসভা ব্যবস্থা নিয়েছে। এদিনও সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পরই খোঁজ নেওয়া হয়েছে। জমির মালিকের নাম জানার পরেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ওই বাড়িতে জলের লাইন কীভাবে এসেছে, সেটা আমার জানা নেই। যদি জলাশয় ভরাট হয়ে থাকে তার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।