Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

BREAKING NEWS:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Published on 2025-06-23 05:27 PM
Card image cap

স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুরে DM অফিসে বিক্ষোভ

স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার পুলিশ।পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত, গালিগালাজ, হেনস্তা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেই খবর। মীনাক্ষী বলেন, “পুলিশ লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলেই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটত।” পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, তখনই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অন্য চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল। অসুস্থদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি, মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই। তাতে নেতৃত্ব দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখে শুরু করেন মিছিলকারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ওই ঘটনাতেই মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Published on 2025-01-24 07:21 PM
Card image cap

আরও অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যায় ভোগার ফলে গত ২০ জানুয়ারি তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে রাখা হল আইসিসিইউতে। সূত্রানুসারে এমনটাই জানা যাচ্ছে।সোমবার দুপুরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। জেলের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে পাঠানোর। সেদিনই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে পার্থর। কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও রয়েছে সমস্যা। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণেও গোলমাল হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবারও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ। রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত সেখানকার চিকিৎসকদের জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল।২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পার্থর বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। পরবর্তীতে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানান পার্থ। প্রতিবারই কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা। একাধিকবার জেলে অসুস্থও হয়ে পড়েন পার্থ। আদালতের নির্দেশে চলত রুটিন চেকআপও। এদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পার্থকে জামিন দিলেও সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিননা মেলায় জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে।

Published on 2025-01-24 07:19 PM
Card image cap

কলকাতায় ফের হেলে পড়া বাড়ির হদিশ!

বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগরের পর তপসিয়া। ফের খাস কলকাতায় একটি আবাসনের গায়ে হেলে পড়েছে আরও একটি বহুতল। কয়েকটি বিম দিয়ে দুটি বহুতলের মাঝে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। সেই বিমগুলির উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে হেলে পড়া আবাসনটি। আতঙ্কে দুই আবাসনের বাসিন্দারা। এদিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে ওয়ার্ডের সমস্ত বিপজ্জনক আবাসনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনের ঘটনা। স্থানীয় ও আবাসনের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭-৮ বছর আগে হেলে পড়া আবাসনটি তৈরি হয়। বহুতলটি হেলে পড়ায় লোহার বিম দিয়ে পাশের আবাসনের সঙ্গে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি তলায় বিম রয়েছে। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে দুটি আবাসন যে আরও কাছিকাছি এসে পড়েছে, তা দেখা যাচ্ছে।এখানেই প্রশ্ন উঠছে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনটি এই অবস্থায় থাকলেও কেউ জানে না কেন? বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বিশ্বাস জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগে জানতাম না। পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) আমার কাছে ওয়ার্ডের পুরনো বহুতলের তথ্য চেয়েছেন। আমি পাঠিয়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন, তারপরও কেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। তারপর ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সামনে এল তপসিয়ার ঘটনা।

Published on 2025-01-24 07:17 PM
Card image cap

বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে শোকজ তৃণমূলের

বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁকে শোকজ করল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শুক্রবার নবান্নে ডেকে তাঁর হাতে শোকজ লেটার দেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য ওই চিঠিতে উল্লেখ নেই। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেছেন বিধায়ক। আবেগের বশে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেছেন বলেই জানান তিনি।গত ডিসেম্বরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি যেন অন্য বিধানসভা এলাকায় নজর না দেন, তা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন। তবে তারপরেও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। সম্প্রতি অশোকনগরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক ‘চটুল’ রসিকতা করতে থাকেন তিনি। দর্শকাসনে থাকা তরুণীদের উদ্দেশে নানা ধরনের কুকথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টা দলেরও কানে পৌঁছয়।তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। এই আচরণ যে দল কোনওভাবেই অনুমোদন করে না, তা-ও সাফ জানিয়েছিলেন। জেলা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলেও জানান। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল নারায়ণ গোস্বামীর উপর।

Published on 2025-01-24 07:06 PM

VIDEOS:

১৫ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে ছেলের চোখে জল।

Published on 2024-04-27

এ কি যত কান্ড নদীয়ায়? মুঠো মুঠো লঙ্কা খাচ্ছে কিন্তু কেন?

Published on 2024-04-27

সংসারের হাল ধরতে, ভ্যানের স্টারিং ধরল গ্রাজুয়েট

Published on 2024-03-20

মানুষ গড়ার কারিগর দৃষ্টিহীন শিক্ষক

Published on 2024-03-20
View All

TRENDING:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Card image cap

এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে?

প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে ঘামে ভিজে যাতায়াত করার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। সেই লোকাল ট্রেনে এবার এসি-র হাওয়া খাবেন যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই রেল জানিয়েছে, রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ছুটবে লোকাল ট্রেন। এসি ইএমইউ লোকাল ট্রেন চালু হতে আর খুব বেশি দেরী নেই। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনে পৌঁছেছে সেই ট্রেন। তবে এসি লোকালে কি আর আগের মতো কম দামের টিকিটে যাতায়াত করার সুযোগ থাকবে? সামনে এল সেই তথ্য।

জানা গিয়েছে, ট্রায়াল শেষ হয়েছে ইতিমধ্য়েই। ফলে এসি লোকাল চালানোর প্রস্তুতি আরও একধাপ এগিয়েছে। তবে এই এসি লোকাল ট্রেন কোন-কোন স্টেশনে থামবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাড়া যাতে সাধারণ যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিঙ্গল জার্নি অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ২৯ টাকা ভাড়া। ১০ কিলোমিটারের বেশি হলে, ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব যাওয়ার ভাড়া লাগবে ৩৭ টাকা। ১০ কিলোমিটারের জন্য একমাসের সিজন টিকিটের জন্য খরচ পড়বে ৫৯০ টাকা। আর ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটারের জন্য সিজন টিকিটের দাম ৭৮০ টাকা।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত ১২ কোচের দু’টি রেক দেওয়া হচ্ছে। পরে এসি লোকাল ট্রেন আরও বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও জানায়নি রেল।

Card image cap

বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা

ভিড় ভিড় আর ভিড়, সকাল হোক বা বিকাল, সর্বক্ষণই একই ছবি দুই স্টেশনে। বিধাননগর হোক বা দমদম, সারাদিনে প্রতি স্টেশনে প্রায় ২ লক্ষ যাত্রীর পা পড়ে এই স্টেশনে। এদিকে দুই স্টেশনেই ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দোকান। ফলে অফিসের ব্য়স্ত সময় হোক বা দিনের অন্যান্য সময় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এবার সপ্তাখানেকের মধ্যেই ভোলবদল হতে চলেছে দুই স্টেশনের। বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রেল। দুই স্টেশনই আগামী মাসের মধ্যে রেলের মানচিত্রে এক্কেবারে ‘বিক্রেতামুক্ত’ স্টেশন হিসাবে উঠে আসতে চলেছে দুই স্টেশন। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুই স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হবে সব হকারদের। 

রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন যথাক্রমে ২২২ এবং ২১৬ জোড়া লোকাল ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর স্টেশনে চলাচল করে। সাধারণ দিনে বিধাননগর স্টেশনে প্রায় ১.৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। যার মধ্যে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়েই যাতায়াত করেন ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী। অন্যদিকে দমদম স্টেশনে প্রায় ১.৫ লক্ষ যাত্রীর সমাগম হয় প্রত্যহই। 

তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণেই এবার বড় পদক্ষেপের পথে রেল। ব্যস্ত সময়ে যাতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা না ঘটে সে কারণেই সব দোকাল তুলে স্টেশন ফাঁকা করতে চাইছে রেল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুধু স্টেশন ফাঁকা করাই নয়, স্টেশনের সামগ্রিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে বলে খবর। ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করার জন্য ট্রেন ইনফর্মেশন বোর্ড, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে সামগ্রিক অ্য়ানাউন্সমেন্ট সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রেল। দমদমের আরপিএফ ব্যারাকের কাছে নতুন টিকিট বুকিং অফিস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর।

Card image cap

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেল! হাসপাতালে তড়িঘড়ি

ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। 

অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
অনশনরত ১০ জন প্রতিনিধির মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি আরজি কর  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হল বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে  আমরণ অনশনে  বসেছেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । তাঁদেরই একজন এই বলরাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনশন তিন দিনে পড়েছে । শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
নিয়োগে দুর্নীতির  অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যালেনটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মে মাসের শুরু থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারারা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।
 ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। যার যার ফলে, মেডিকেল চেকআপ করে দেখা গিয়েছে উঠে দাঁড়ালেই যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে। সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের।

Card image cap

আজকের রাশিফল

মেষ- আপনি সিনিয়র ও মেন্টরদের সঙ্গ পাবেন যারা আপনার কাজকে সমর্থন করবে। দায়িত্ব পালন করার আপনার ক্ষমতা সবাই প্রশংসা করবে, এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি চ্যালেঞ্জগুলো সুনিপুণভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন। 

বৃষ- ভাগ্যের শক্তিশালী সহায়তা আপনার পাশে থাকবে, যা সব দিক থেকে শুভ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আপনার আত্মবিশ্বাস মনকে উন্নত করবে এবং আপনি সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবেন। 

মিথুন- ব্যক্তিগত কাজগুলোতে কিছু বিলম্ব বা বাধা আসতে পারে, তাই নতুন চুক্তি করার সময় সতর্ক থাকুন। ব্যবসায়িক অংশীদাররা সহযোগিতাপূর্ণ থাকবেন, এবং কাজ সংক্রান্ত আলোচনায় আপনি সক্রিয় ও ভালোভাবে অবগত থাকুন। শৃঙ্খলা ও স্পষ্টতার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

কর্কট- বন্ধু ও সহকর্মীদের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং অভিজ্ঞদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখুন, যেন প্রয়োজনমতো দিকনির্দেশনা পেতে পারেন। তবে, নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা বা কোনো চুক্তিতে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন—সব ধরনের লেনদেনে স্পষ্টতা খুব জরুরি। 

সিংহ- আজ সময় ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব বেশি থাকবে। আপনার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা পেশাগত কাজে উন্নতি আনতে সাহায্য করবে, আর কাজসংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টতা ধীরে ধীরে বাড়বে। সহকর্মীদের কাছ থেকে, বিশেষ করে সেবামূলক কাজে, আপনি সহায়তা পেতে পারেন। 

কন্যা- ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মতো সচেতনতা বৃদ্ধির অভ্যাস গ্রহণ করতে পারেন, যা আপনার জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করবে। ব্যক্তিগত আগ্রহে আপনি সক্রিয় থাকবেন এবং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটি একটি উপযুক্ত সময়।

তুলা- স্বার্থপরতা থেকে দূরে থাকুন এবং প্রতিটি বিষয় সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামলান। বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখান। ব্যক্তিগত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে, এবং অতিথি আসার ফলে ঘরে সুখ ও পজিটিভ পরিবেশ তৈরি হতে পারে।

বৃশ্চিক- ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং পরিবারে অর্থবহ সাক্ষাৎ হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সফলতা আসবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোতে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অগ্রগতি আশা করা যায়।

ধনু- পজিটিভ খবর আসবে, যা আনন্দ এবং লাভ বৃদ্ধির কারণ হবে। বাড়িতে উৎসব বা আনন্দঘন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা হতে পারে। আপনি পারিবারিক কাজে সক্রিয় থাকবেন এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অংশ হতে পারেন। আলোচনার ও কথাবার্তার ফলাফল হবে পজিটিভ। 

মকর- আপনি পরিকল্পনাগুলো ধাপে ধাপে ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবেন। আপনার কথা হবে কোমল ও ভদ্র। পেশাগত বিষয়ে সঠিক পরামর্শ এবং কাছের মানুষদের সহায়তায় ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন।

কুম্ভ- সাবধানে ও ধৈর্যের সঙ্গে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান এবং সব ধরনের আর্থিক বিষয়ে সতর্ক থাকুন। টাকার বিষয়ে ভুল করা থেকে বিরত থাকুন এবং দায়িত্বগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের সহযোগিতা উপকারে আসবে, তবে আইনি বা প্রশাসনিক বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকুন। 

মিন- সব বিষয়কে সৌজন্য ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করুন। লক্ষ্য পূরণের দিকে মনোযোগ আরও দৃঢ় হবে, যার ফলে লাভ ও প্রভাব—দুটোই বাড়বে। নতুন চুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় শান্ত থাকুন। বিভিন্ন কাজে গতি আসবে এবং বন্ধু-বান্ধবরা সহায়ক হবে।

Card image cap

বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয়

ফিল্মি কেরিয়ারে হিটের খরা কিছুতেই কাটছে না অক্ষয় কুমারের। কেরিয়ারে বেশ দুঃসময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন অক্ষয় কুমার। গত চার বছরে হিটের মুখ পর্যন্ত দেখেননি! একের পর এক সিনেমা ফ্লপ। ‘বেল বটম’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘পৃথ্বীরাজ, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘রামসেতু’, ‘মিশন রানিগঞ্জ’ থেকে ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ফ্লপের তালিকা অনেক লম্বা। শুক্রবারই মুক্তিপ্রাপ্ত খিলাড়ির ‘স্কাই ফোর্স’-এর পয়লা দিনের ব্যবসার গ্রাফ যদিও আশা জাগাচ্ছে, তবে এসবের মাঝেই শোনা গেল বোরিভালির সাধের বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় কুমার।বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ওবেরয় রিয়ালিটি সংস্থার নির্মিত স্কাই সিটিতে অক্ষয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছিল। সেই ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টে তিনটি ঘর, স্টুডিও-সহ চোখধাঁধানো অন্দরসজ্জা। ২০১৭ সালে ২.৩৮ কোটি টাকায় সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন অক্ষয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই স্থাবর সম্পত্তির দাম বর্তমানে বেড়েছে। সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে ২১ জানুয়ারি ‘স্কাই ফোর্স’ মুক্তির প্রাক্কালেই পূর্ব বোরিভালির সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিনেতা। প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কেনা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করলেন ৪.২৫ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য, বক্স অফিসে কিছুতেই ম্যাজিক দেখাতে পারছেন না খিলাড়ি! যে অক্ষয়ের হাত ধরে একের পর এক ব্লকবাস্টার দেখেছে বলিউড, সেই অক্ষয়ের ছবি থেকে মুখ ফিরিয়েছে দর্শকরাও। সমস্যা কোথায় অভিনয় না কন্টেন্ট? প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এর আগে একটানা ১৬টি ফ্লপের মুখ দেখেছিলেন তিনি, সেই সংখ্যা যদিও এবার ছুঁতে পারেননি তবে হিটের খরা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ঝুলিতে কিন্তু সিনেমার জোয়ার। পাইপলাইনে একের পর এক ছবি রয়েছে। তবুও কেন বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করলেন খিলাড়ি?প্রসঙ্গত, জুহুতে অক্ষয়-টুইঙ্কলের যে বাংলো রয়েছে, সেটা যেন আস্ত একটা উদ্যান। সমুদ্রমুখী সেই বাংলো সযত্নে সাজিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও গোয়াতে পর্তুগিজ স্টাইলের একটি ভিলা রয়েছে তারকাদম্পতির। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়েই দুই সন্তান আরব, নীতারাকে নিয়ে সময় কাটান অক্ষয়-টুইঙ্কল। এছাড়াও কানাডাতে নাকি বিপুল সম্পত্তি রয়েছে খিলাড়ির। শোনা যায়, টরন্টোর পাহাড়ি এলাকায় সুবিশাল একটা জমি কিনে বিলাসবহুল একাধিক বাংলোও বানিয়ে ফেলেছেন বলিউড তারকা।

YOU MAY ALSO LIKE:

Card image cap

মুখ্যমন্ত্রীকে ১০ দিনের হেপাজত চেয়ে প্রশ্ন ইডি-র

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক : দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করানো হল আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে। শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাল তারা। শুক্রবার মামলাটির শুনানি হচ্ছে বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক কাবেরী বাওয়েজার এজলাসে। শুক্রবার আদালতে ইডির হয়ে সওয়াল করেন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় কেজরীওয়ালকে। নিয়ম মোতাবেক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। ইডি আদালতে দাবি করে যে, ‘আবগারি দুর্নীতির কিংপিন’ হলেন কেজরীওয়াল। ইডি আদালতে জানায়, অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইনের নির্দিষ্ট ধারা মেনেই গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। আপ প্রধানের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি আরও জানায়, অপরাধে সরাসরি যুক্ত ছিলেন কেজরীওয়াল। কিছু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার জন্যই ওই আবগারি নীতি আপ প্রণয়ন করেছিল বলে দাবি করা হয়েছে। দিল্লির আবগারি মামলায় আপ প্রধান কেজরীকে মোট ন’বার সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু আট বারই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। শেষ পাঠানো সমনে বৃহস্পতিবারই ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু হাজিরা না দিয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরীওয়াল। হাই কোর্ট তা খারিজ করলে সুপ্রিম কোর্টে যান তিনি। অন্য দিকে, হাই কোর্ট রক্ষাকবচ না দেওয়ার পরেই তৎপর হয় ইডি। বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেজরীর বাসভবনে যান ইডি আধিকারিকেরা। তাঁর বাড়ি তল্লাশি করেন। ইডি সূত্রে জানা যায়, কেজরীওয়ালের ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়। ঘণ্টা দুয়েকের তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের শেষে কেজরীকে গ্রেফতার করে ইডি। তখনই জানা যায় শুক্রবার তাঁকে অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ) আদালতে হাজির করানো হবে। আবগারি মামলাতেই রক্ষাকবচ চেয়ে দিল্লির নিম্ন আদালতে গিয়েছিলেন কেজরীওয়াল। সেখানে তাঁর রক্ষাকবচের আবেদন মঞ্জুরও করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হয়। বৃহস্পতিবার নবম হাজিরার দিন কেজরীওয়াল ইডি দফতরে না গিয়ে সরাসরি দিল্লি হাই কোর্টে যান। সেখানে নতুন করে রক্ষাকবচের দাবি জানান তিনি। কিন্তু দিল্লি হাই কোর্ট কেজরীওয়ালের আবেদন খারিজ করে দেয়। আদালতে পেশ করা আবেদনে কেজরীওয়াল বলেছিলেন, “ইডি নিশ্চয়তা দিক যে, তাদের তলবে সাড়া দিলে আমার বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হবে না।” আপের অভিযোগ, ইডির লক্ষ্য জিজ্ঞাসাবাদ নয়। এত দিন ধরেও তারা এই মামলায় কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ পায়নি। তাই লোকসভা ভোটের আগে সমন পাঠিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি সুরেশকুমার কাইত এব‌ং বিচারপতি মনোজ জৈনের ডিভিশন বেঞ্চে কেজরীওয়ালের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। শুনানি শেষে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘আমরা উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। তবে আমরা এই পর্যায়ে মামলাকারীকে কোনও সুরক্ষা দিচ্ছি না।’’ উচ্চ আদালত রক্ষাকবচ না দেওয়ায় সন্ধ্যাতেই রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরীওয়াল। জরুরি ভিত্তিতে মামলা শোনার আর্জি জানান তিনি। তবে সেই শুনানি বৃহস্পতিবার হয়নি। বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ শুক্রবার কেজরীওয়ালের আর্জি শুনতে রাজি হয়। তবে শুনানির আগেই মামলা প্রত্যাহার করে নেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার কেজরীওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি শীর্ষ আদালতে জানান, গ্রেফতারির বিরুদ্ধে কেজরীওয়াল নিম্ন আদালতেই সওয়াল করবেন।

Card image cap

গ্রেফতার কেজরিওয়াল !

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক : দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করল ইডি। আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ৯ বার তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। এর পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় ইডি। ঘণ্টা দুয়েকের তল্লাশি অভিযান শেষে বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর মোবাইল ফোন। এর পরেই রাত ৯টা নাগাদ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের আশপাশের এলাকায় জারি করা হয়েছে ১১৪ ধারা। শুক্রবার পিএমএলএ আদালতে হাজির করানো হবে আপ প্রধানকে। দিল্লির মন্ত্রী তথা আপ নেত্রী অতিশী জানিয়েছেন, কেজরীওয়ালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। তিনি জেলে বসে সরকার চালাবেন। দেশের ইতিহাসে কেজরীওয়ালই প্রথম, যিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হলেন। এর আগে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও গ্রেফতার করে ইডি। তবে গ্রেফতারির আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির পরেই তাঁর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আপ কর্মী-সমর্থকেরা। গোটা রাজধানী জুড়েই প্রতিবাদ শুরু করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, ১২ জনের ইডি আধিকারিকের একটি দল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়েছিল। তল্লাশি অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় নথি দেখিয়েই কেজরীওয়ালের বাড়িতে প্রবেশ করে তারা। তাঁর বাসভবনের সামনে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরীওয়াল। জরুরি ভিত্তিতে মামলা শোনার আর্জি জানানো হয় তাঁর তরফে। তবে সেই শুনানি বৃহস্পতিবার হয়নি। শুক্রবার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিল্লির আবগারি মামলায় আপ প্রধানকে মোট ন’বার সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু আট বারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। শেষ পাঠানো সমনে বৃহস্পতিবারই ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু হাজিরা না দিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরীওয়াল। হাই কোর্ট তা খারিজ করলে সুপ্রিম কোর্টে যান তিনি। আদালতে পেশ করা আবেদনে কেজরীওয়াল বলেন, ‘‘ইডি নিশ্চয়তা দিক যে, তাদের তলবে সাড়া দিলে আমার বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হবে না।” আপের অভিযোগ ছিল, ইডির লক্ষ্য জিজ্ঞাসাবাদ নয়। এত দিন ধরেও তারা এই মামলায় কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ পায়নি। তাই লোকসভা ভোটের আগে সমন পাঠিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সুরেশকুমার কাইথ এব‌ং বিচারপতি মনোজ জৈনের ডিভিশন বেঞ্চে কেজরীওয়ালের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। শুনানি শেষে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘আমরা উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। তবে আমরা এই পর্যায়ে মামলাকারীকে কোনও সুরক্ষা দেওয়ার কথা দিচ্ছি না।’’ হাই কোর্ট রক্ষাকবচ না দেওয়ার পরেই তৎপর হয় ইডি। আবগারি মামলায় বিআরএস নেত্রী কে কবিতাকে দিন কয়েক আগেই গ্রেফতার করেছে ইডি। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। কবিতা ছাড়াও এই মামলায় এখনও পর্যন্ত আপের দুই প্রবীণ নেতা সিসৌদিয়া এবং আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ গ্রেফতার হয়েছেন। রয়েছেন তিহাড় জেলে। অভিযোগ ওঠে, দিল্লি সরকারের ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতি বেশ কিছু মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা করে দিচ্ছিল। এই নীতি প্রণয়নের জন্য যাঁরা ঘুষ দিয়েছিলেন, তাঁদের সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছিল। আপ সরকার সেই অভিযোগ মানেনি। সেই নীতি যদিও পরে খারিজ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে আপের এক নেতা দাবি করেন, ‘‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হলেন আমাদের নেতা। আমরা এমন আশঙ্কার কথাই এত দিন বলছিলাম।’’

Card image cap

কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ !

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক : কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ছিনতাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। এ বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসারও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে সনিয়া বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের আগে পরিকল্পিত ভাবে এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই ঘটনা শুধু কংগ্রেসের উপর নয়, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপরেও জঘন্য আঘাত।’’ রাহুল বলেন, ‘‘দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ আদতে মোদী-শাহের অপরাধমূলক গতিবিধি।’’ অন্য দিকে, বিচার বিভাগ, আয়কর দফতর-সহ সাংবিধানিক সংস্থাগুলির কাছে খড়্গের আবেদন— ‘‘সত্যই যদি দেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চান, তা হলে আমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার অনুমতি দিন।’’ ২০১৮-১৯ মূল্যায়ন বর্ষের আয়কর সংক্রান্ত অনিয়মের জন্য ১০৫ কোটি টাকা জরিমানার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে কংগ্রেসের তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল দিল্লি হাই কোর্টে। কিন্তু বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বেঞ্চ সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলে, ‘‘এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের কোনও উপযুক্ত কারণ দেখছে না আদালত।’’ অভিযোগ এর পরে আয়কর দফতর পদক্ষেপ শুরু করেছে। কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অ্যাকাউন্টে লেনদেন। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সনিয়া বলেন, ‘‘কংগ্রেসকে আর্থিক ভাবে পঙ্গু করার চেষ্টা চালাচ্ছেন মোদী।’’ তবে লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই পরিকল্পিত পদক্ষেপ সত্ত্বেও তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই থেকে সরে আসবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, আয়কর দফতর সূত্রের খবর ২০১৮-১৯ মূল্যায়ন বর্ষের আয়কর সংক্রান্ত অনিয়মের জন্য ১০৫ কোটি টাকা জরিমানা এবং ৩০ কোটির সুদ অর্থাৎ মোট ১৩৫ কোটি কংগ্রেসের কাছে তাদের প্রাপ্য। রাহুলের দলের পাল্টা দাবি, যুব কংগ্রেস-সহ শাখা সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত অতি সামান্য অনিয়মের অভিযোগে (নগদ ১৪.৪০ লাখ টাকা ওই অ্যাকাউন্টে জমা পড়া এবং রিটার্ন জমা দিতে ৪৫ দিন দেরি হওয়ার অভিযোগ) জরিমানা ধার্য করেছিল আয়কর দফতর। যা স্পষ্টতই ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’। কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির বিরুদ্ধে আয়কর বিভাগের পদক্ষেপের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে যে আবেদন জানানো হয়েছিল, গত ৮ মার্চ আপিল ট্রাইবুনাল তা খারিজ করে দেয়। কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, তার পরেই আয়কর দফতর নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে তাদের ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি থেকে জরিমানা হিসাবে ১০৫ কোটি টাকা কেটেছে। এর পরে দিল্লি হাই কোর্ট স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করার পরে ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে লেনদেন কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০২৩ সালের মার্চের শেষে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল ১৬২ কোটি টাকা। পাশাপাশি বিজেপির অ্যাকাউন্টে ছিল ৫,৪২৫ কোটি টাকা। কিন্তু বিজেপির থেকে কোনও আয়কর কাটা হয়নি। প্রসঙ্গত, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে এআইসিসির কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন প্রথম অভিযোগ করেছিলেন, যুব কংগ্রেস-সহ শাখা সংগঠনগুলির কাছে আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে ২১০ কোটি টাকা জরিমানার দাবি জানানো হয়েছিল সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে। তখন বিষয়টি আয়কর ‘অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল’-এর বিচারাধীন ছিল। কিন্তু তার মধ্যেই বেআইনি ভাবে পদক্ষেপ করে আয়কর দফতর দলের চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করে দেয়।

Card image cap

অভিমানী মৌসুম !

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক : অভিমানী মৌসম বেনজ়ির নুর। উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে প্রত্যাশা ছিল তাঁর। কিন্তু দল ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস আধিকারিক প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মৌসমের দাবি, টিকিট পেলে ওই কেন্দ্রে তিনিই জিততেন। যদিও দিনের শেষে নিজেকে দলের ‘অনুগত সৈনিক’ হিসাবে দাবি করে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। মৌসম বলেছেন, ‘‘নিজের প্রত্যাশা থাকলেও দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা মেনেছি এবং সেটা মেনেই চলব।’’ দলবদলের সম্ভাবনাকেও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। মৌসমকে মালদহ উত্তর এবং দক্ষিণের জন্য তৈরি জেলা নির্বাচনী কমিটিতে রাখা হয়েছে। গত ১০ মার্চ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তৃণমূলের ‘জনগর্জন সভা’র র‌্যাম্প থেকে রাজ্যের ৪২ আসনের প্রার্থিতালিকা ঘোষিত হয়েছিল। উত্তর মালদহে তৃণমূল প্রার্থী করেছে প্রসূনকে। তার পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না মালদহের গনি খান পরিবারের সদস্য তথা তৃণমূল সাংসদ মৌসমের। ইদানীং তৃণমূলের প্রচারেও মৌসমকে সে ভাবে দেখা যায়নি। গুঞ্জন দানা বাঁধছিল, মৌসম দলবদল করে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। ‘আত্মগোপন’ থেকে ফিরে মৌসম সাফ জানিয়ে দিলেন, দলবদলের জল্পনা ‘ভিত্তিহীন’। নিজের ব্যক্তিগত কাজে দু’দিনের জন্য দিল্লি গিয়েছিলেন। তার পর অসুস্থতার কারণে কলকাতার বাড়িতে বিশ্রামে ছিলেন। যদিও টিকিট না পেয়ে তাঁর যে অভিমান হয়েছিল, তা গোপন করেননি রাজ্যসভার সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘আমি উত্তর মালদহের দু’বারের সাংসদ ছিলাম, জেলা সভানেত্রীও ছিলাম। অবশ্যই আমার প্রত্যাশা ছিল। এর কারণ হল, গত বার আমি বিজেপির কাছে হেরে গিয়েছিলাম। একই পরিবার থেকে আমরা দু’জনে দাঁড়িয়েছিলাম, তাই ভোটটা ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছিল। এ বার টিকিট পেলে জিতব বলে আমার ধারণা ছিল। একটা প্রত্যাশাও তৈরি হয়েছিল বিজেপিকে হারানোর জন্য। যাই হোক, আমাদের নেত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে প্রার্থী হবেন। সেই সিদ্ধান্তকে দলের একজন সৈনিক হিসাবে আমি স্বাগত জানাই।’’ এর পরেই মৌসম আবার বলেন, ‘‘নিজের প্রত্যাশা থাকলেও দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাকে মেনেছি। সেটা মেনেই চলব। আমি অসুস্থ ছিলাম। ভাইরাল ফিভার হয়েছিল। খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম। তাই কলকাতায় ছিলাম। একটা কাজে দিল্লিতেও যেতে হয়েছিল। এখন মালদহে ফিরে এসেছি। আমাদের প্রার্থীর জন্য, দলের জন্য অবশ্যই আমি নামব। আমি আশা করি, এ বার দু’টো আসনই তৃণমূল পাবে।’’ মৌসমকে মালদহ উত্তর এবং দক্ষিণের জন্য তৈরি জেলা নির্বাচনী কমিটিতে রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মৌসমকে গত লোকসভায় মালদহ উত্তরে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। কিন্তু সেখানে হেরে যান তিনি। তার পর মৌসমকে রাজ্যসভায় পাঠায় তৃণমূল। ২০২৬ সাল পর্যন্ত তাঁর সাংসদপদে থাকার কথা। এর মধ্যেই লোকসভার টিকিট না পেয়ে মৌসমের দলবদল ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়। যদিও নিজে তাকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিলেও উত্তর মালদহে প্রার্থী হতে না পেরে যে তাঁর অভিমান হয়েছিল, নিজের কথার মধ্যে দিয়ে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মৌসম। তবে তিনি দলে থাকবেন না দল থেকে বেরিয়ে যাবেন তা নিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক বিতর্ক।

Card image cap

শুভেন্দু-দিলীপের সম্পর্ক কেমন?

এক সময় বিতর্ক দিলীপ ঘোষের সঙ্গী ছিল। তবে এখন তিনি সে সব থেকে খানিক দূরত্ব তৈরি করেছেন। দলের বাইরের লোকেদের বিরোধিতা তো বটেই, দলের অন্দরেও দিলীপকে নিয়ে বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর অনেক বারই নানা বিষয়ে তাঁর দ্বিমত তৈরি হয়েছে দিলীপের সঙ্গে। দিলীপ-শুভেন্দু ‘মধুর’ সম্পর্ক মেরামত করতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও অনেক সময়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। এ বার দিলীপ নিজেই স্বীকার করে নিলেন, শুভেন্দুর সঙ্গে কোনও দিনই তাঁর গভীর বন্ধুত্ব ছিল না। তবে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একই সঙ্গে শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর শত্রুতা ছিল না বলেও দাবি করেছেন দিলীপ।দিলীপ রাজ্য সভাপতি থাকার সময়েই শুভেন্দু ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর বিজেপিতে যোগ দেন। দিলীপ জমানাতেই শুভেন্দু বিরোধী দলনেতা হন। সেই সময়েই দিলীপকে না জানিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে শুভেন্দু দিল্লি যাওয়ায় প্রকাশ্যে চলে আসে বিজেপির অন্দরের বিতর্ক। তবে বিজেপি নেতারা বলেন, প্রকাশ্যে না এলেও অনেক কিছু নিয়েই দুই নেতার মধ্যে মতের অমিল দলে অস্বস্তি তৈরি করেছিল। তবে কি দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব নেই? ‘দিল্লিবাড়ির লড়াই: মুখোমুখি’ সাক্ষাৎকারে দিলীপের কাছে প্রশ্ন ছিল, তাঁর সঙ্গে শুভেন্দুর সম্পর্কে এত খারাপ কেন? জবাবে দিলীপ বলেন, ‘‘কোনও দিন বেশি খারাপও ছিল না, কোনও দিন বেশি ভালও ছিল না।’’শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে তাঁদের সম্পর্ক কেমন ছিল, তা-ও জানিয়েছেন দিলীপ। বলেছেন, ‘‘উনি যখন বিরোধী দলে ছিলেন, তখন মেদিনীপুরে গিয়ে আমার সম্পর্কে নানা কথা বলে আসতেন। আমিও কখনও কিছু বলতাম। পরে দেখা হলে বলতেন, কী, কাল আমার নামে অনেক কিছু বলেছেন? আমি হেসে বলতাম, আপনার নাম যাতে খবরে আসে, সে জন্য বলেছি।’’ আর বিজেপিতে যোগদানের পরে? ‘বিতর্কিত অধ্যায়’ এড়িয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘বিজেপিতে আসার পরে একসঙ্গে কাজ করলাম। আমি যত দিন রাজ্য সভাপতি ছিলাম, তত দিন ওঁকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করেছি। এখন অন্য সভাপতি। তাঁর সঙ্গে মিলে একসঙ্গে কাজ করছেন। তবে যখন আন্দোলন হয় তখন একসঙ্গে হাঁটি।’’

Card image cap

পথে নেমে পচার তৃণমূল প্রার্থীর

জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী খলিলুর রহমান আজ পথে নেমে প্রচার করলেন। এদিন খড়গ্রামের বিধায়ক আশীষ মার্জিত কে সঙ্গে নিয়েই । প্রচারে নেমে পড়েন প্রার্থী খলিলুর রহমান। মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম ব্লকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে বলিয়া অঞ্চলে প্রচার করলেন জঙ্গিপুরের সংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী খলিলুর রহমান প্রথমে খরগ্রাম ব্লকের খসড়া মোড় এলাকায় ক্ষুদিরামূর্তির পাদদেশে ফুল দিয়ে , তারপর দামালি পাড়া, ফকির পাড়া, মন্ডল পুর, কেশবপুর , বিভিন্ন এলাকা পায়ে হেঁটে প্রচার সারলেন , উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক আসিস মার্জিত, দুই ব্লক সভাপতি হুমায়ুন কবি র ও শাশ্বত মুখার্জি, ও তৃণমূল কর্মী সমর্থক এবং নেতৃত্ববৃন্দ।

Card image cap

জোর কদমে পায়ে হেঁটে প্রচার প্রাক্তন সাংসদদের

যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুললেন। যাদবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের হয়ে প্রচারে নামলেন যাদবপুরের প্রাক্তন সাংসদ সুজন চক্রবর্তী। তিনি নিজেও এবার দমদম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। সৃজন ভট্টাচার্য এদিন কালিবাজার এলাকা থেকে প্রচার শুরু করেন। সুজন বলেন যাদবপুরকে সৃজনশীল গড়ে তুলতে হবে তাই সৃজনকে জেতাতেই হবে। জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সৃজন। যাদবপুর এবার বামেরা পুনরুদ্ধার করবে বলে তিনি আশাবাদী। মহিলাদের প্রকৃত উন্নয়ন করতে হবে বলে তার বক্তব্য। দেশ ও রাজ্যে একাধিক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। মহিলাদের ভোট হিসেবে না দেখে মানুষ হিসেবে দেখা উচিত বলের তার মন্তব্য। সুজন চক্রবর্তী বলেন কবীর সুমন, সুগত বসু ও মিমি চক্রবর্তীর মত প্রার্থীদের উপর যাদবপুরের মানুষ আর ভরসা করতে পারছেন না। মানুষের প্রয়োজনে পাশে থাকবে এইরকম প্রার্থীর প্রয়োজন। তাই মানুষ বামেদের উপর ভরসা রাখছে বলে জানান তিনি।

Card image cap

CAA এর বিরোধিতায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ মতুয়ম ভক্তদের

সিএএ এর বিরোধিতা করে বাগদার হেলেঞ্চাতে পথ অবরোধ মতুয়াদের । কয়েকদিন আগেই কেন্দ্র সরকার জানিয়ে দিয়েছিল সিএএ লাগু হওয়ার বিষয়টি। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাবরার একটি প্রশাসনিক সভায় এসে তিনি দাবি করেছিলেন যদি কেউ সিএএ এর জন্য আবেদন করে তখনই সে দেশের নাগরিকত্ব হারাবে তবে দেশে সিএএ লাগু হবার পরে মতুয়াদের একাংশ খুশি হলেও সিএএ এর বিরোধিতা করে একাংশের মতুয়ারা পথেও নেমেছে । মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার বনগাঁ বাগদা সড়কের হেলেঞ্চাতে সিএএ মানছি না মানবো না লেখা ফ্লেক্স নিয়ে ডঙ্কা কাশি বাজিয়ে পথ অবরোধ করে মতুয়রা । অবরোধের জেরে ৩০ মিনিট অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বনগাঁ বাগদা সড়ক । আন্দোলনকারী মতুয়াদের দাবি আমরা নিঃশর্ত নাগরিকত্ব চেয়েছিলাম এই নাগরিকত্ব আমরা চাইনি। আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে পথে নামার কথাও বলে এদিনের এই অবরোধ কর্মসূচি থেকে। পরবর্তীতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হওয়ায় অবরোধ তুলে নেয় মতুয়ারা।

Card image cap

দক্ষিণবঙ্গে কি বৃষ্টির সম্ভাবনা কি বলছে আবহাওয়া দপ্তর

আজ মঙ্গলবার, দক্ষিণবঙ্গে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। আট জেলায় কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। জেলায় জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি - পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া,উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা , কলকাতায় । দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হওয়া বইতে পারে। সঙ্গত দেবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি হবে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটা কমবে। তবে উপকূলের ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলতে পারে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হওয়া বইবার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি বেশি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া ও নদিয়ায়। দু এক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা ঝড় ও বৃষ্টি হতে পারে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে বৃষ্টি হতে পারে শুক্রবারও ।

Card image cap

IPL শুরুর আগে হার্দিক কি ভাবছে?

নানা রং খেলা করছে যেন তাঁর চোখে-মুখে। এত দিন শুধু প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এত দিন যাই করেছেন, খুব একটা চাপের মধ্যে পড়তে হয়নি। কিন্তু এ বার কেরিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সময়ে পা দিতে চলেছেন হার্দিক । তাঁর প্রতিটা সিদ্ধান্ত মাপবে জনতা, তাঁর প্রতিটা ম্যাচ ফেলা হবে আতসকাচের তলায়, প্রতি মুহূর্তে ভালো-খারাপের জবাবদিহি করতে হবে। এ হেন হার্দিক পান্ডিয়া আইপিএলে নেমে পড়ার আগে নিজে কতটা তৈরি? মানসিক ভাবে কতটা প্রস্তুত চ্যালেঞ্জ সামলানোর জন্য? তাঁর টিমই বা কী ভাবছে? প্রথম বার প্রেস মিটে তুলে ধরলেন সব কিছু। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলা সব সময়ই চাপের। আইপিএলে নামার আগে আমরা কতটা তৈরি, কতটা প্রস্তুতি নিয়েছি, তার উপর কিছুই নির্ভর করবে না। চাপ থাকবেই। ফলাফল আমাদের হাতে নেই। তবে একটা কথা দিতে পারি, আমরা এমন ক্রিকেট খেলব, সবাই উপভোগ করবে। সাফল্য পেতে আমি কখনওই খুব বেশি মরিয়া হয়ে উঠি না। ঠিক সে ভাবেই ব্যর্থতার দায়ও নিজের উপর চাপাই না। আমি যা অর্জন করেছি, তা করতে এই মনোভাব আমাকে ভীষণ ভাবে সাহায্য করেছে। সাফল্য পেতে হলে সময় দিতে হয়। এমন নয় যে, মাঠে নামলাম, শাকালাকা বুম বুম নাচলাম আর ট্রফি জিতে গেলাম। বিশ্বকাপে চোট পাওযার পর একটাই প্রশ্ন ছিল আমার সামনে, আধা ফিট হয়ে খেলতে নামব ভারতের হয়ে? আমার উত্তর ছিল না। চোট থেকে বেরিয়ে আসার পর দেখি, আফগানিস্তান সিরিজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আইপিএলে আমি অলরাউন্ডার হিসেবেই খেলব। চেষ্টা করব যত বেশি ম্যাচ ফিনিশ করতে পারি। ব্যাটিংয়ের প্রতি আমার ভালোবাসি একটু বেশিই। ফিনিশার হিসেবে নিজেকে দেখতে ভালোই লাগে। তবে আমি অলরাউন্ডার হিসেবে যদি নিজেকে তুলে ধরতে পারি, সেটাতে বেশি তৃপ্তি পাব। এ বারের আইপিএলে যত বেশি পারি ম্যাচ খেলার চেষ্টা করব। দীর্ঘ সময় ধরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এক নম্বর বোলার বুমরা। গত বছর ওকে টিম পায়নি। তবে এ বার বুমরাকে পুরো মাত্রায় পাওয়া যাবে। আশা করি ও একই রকম আগুন ঝরাবে। শুধু তাই নয়, বুমরার এত অভিজ্ঞতা, বোলিং ইউনিটকে ওই নেতৃত্ব দেবে। টিমের প্রতি আমার একটা দারুণ অনুভূতি কাজ করে। আজ যেখানে পৌঁছেছি, কখনও সেখানে আসতে পারব, ভাবিনি। ঘরে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। যে টিমের হয়েই খেলি না কেন, সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা সব সময় করি। নিজের টিমের প্রতি সৎ থাকাটা জরুরি। আমরা সবাই একটা টিমের হয়ে নামব।

Card image cap

শিশুর চিত্রশিল্পীর চিত্র প্রদর্শন

হুগলীর চন্দননগরে সাত বছরের শিশু চিত্র শিল্পী সৃজন পোদ্দারের প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী। হুগলীর ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা সাত বছরের শিশু চিত্রশিল্পী সৃজন পোদ্দার। পিতা সমরেশ পোদ্দার ভারত বাংলাদেশ আর্ন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চিত্রশিল্পী।১৫ মার্চ ,২০২৪ থেকে ১৭ মার্চ রবিবার পর্যন্ত হুগলীর চন্দননগরের রবীন্দ্রভবন সংলগ্ন অবনীন্দ্র শিল্প প্রদর্শনালয়ে সৃজন পোদ্দারের এই একক চিত্র প্রদর্শনীশিবির চলবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চন্দননগর পৌরনিগমের পৌরপ্রধান রাম চক্রবর্ত্তী, উপ পৌরপ্রধান মুন্না আগরওয়াল সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ছোট্ট সৃজন মাত্র নয় মাস বয়স থেকেই ছবি অঙ্কণ করছে। এত অল্প বয়সেই সে প্রায় পনেরো হাজারের মতো বেশি ছবি অঙ্কণ করেছে। চন্দন নগরের মহানাগরিক রাম চক্রবর্ত্তী সৃজনের কাজের ভূষসী প্রসংশা করেন ও ওর ভবিষ্যত সাফল্য ও কামনা করেন। চন্দননগর পৌরনিগমের উপ মহানাগরিক মুন্না আগরওয়াল ও ছোট সৃজনের অঙ্কণ দেখে মুদ্ধ। তিনি ও সৃজন কে ভবিষ্যতে আরো সাফল্য অর্জন করার শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানান। পশ্চিমবঙ্গে এত ছোট বয়সে শিশু চিত্রশিল্পী হিসাবে সৃজনের এই নিজ হাতে অঙ্কিত চিত্র প্রদর্শনী সত্যিই উৎসাহমূলক। ইতিমধ্যেই বহু বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ও বিশিষ্ট মানুষজন সৃজনের এই চিত্র প্রদর্শনী দর্শন করে গেছেন। সৃজনের বাবা আর্ন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চিত্রশিল্পী সমরেশ পোদ্দার জানান ছোট্ট থেকেই সৃজনের অঙ্কণের এই আগ্রহ কে উপলব্ধি করেই তারা সৃজন কে উৎসাহ দিয়েছেন। শিশু চিত্রশিল্পী সৃজন পোদ্দার ও জানাই ছোট থেকেই সে যা চোখের সামনে দেখতো তাই সে অঙ্কণ করে ফেলতো রঙ তুলি দিয়ে। মূলত অ্যবস্ট্যাক্ট প্রিন্টিং ই সৃজনের বিশেষ ঝোক। এছাড়াও সৃজন এত অল্প বয়সে অন্য বিভিন্ন বিষয়ের উপর ও চিত্র অঙ্কণে সমান পারদর্শী।

Card image cap

পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

নাবালিকা গৃহকর্মীকে ধর্ষনের অভিযোগ, আসামে গ্রেফতার পুলিশ আধিকারিক । গৃহকর্মীকে দিনের পর দিন ধর্ষনের অভিযোগ। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আসামে গ্রেফতার এক ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ। অভিযুক্ত ডিএসপি কিরণ নাথ বর্তমানে গোলাঘাট জেলার লাচিত বোর ফুকান পুলিশ একাডেমির দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকর্তা। শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ ওঠায় রাজ‍্যজুড়ে সমালোচনার স‍ৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ সূত্রে প্রকাশ, ১৫ বছরের নাবালিকাকে তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে নিজের বাড়িতে আটকে রাখেন অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক কিরণ নাথ। বাড়ির সবরকম কাজ করানোর পাশাপাশি কিরণ এবং তাঁর পরিবারের সদস্য পান থেকে চুন খসলেই মারধর করতেন নাবালিকাকে। এছাড়াও ডিএসপি তাকে লাগাতার ধর্ষন করেছেন বলেও অভিযোগ। সম্প্রতি কোনওভাবে পুলিশকর্তার বাড়ি থেকে পালাতে সক্ষম হয় নির্যাতিতা। নিজের পরিবারকে সব কথা জানায়। এরপর পরিবারের তরফে দেরগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তদন্তে নেমে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক তথ‍্যপ্রমাণ পায় পুলিশ। এরপরই গ্রেফতার করা হয় ডিএসপিকে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধি বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে।