CATEGORY district:

Card image cap

আজ রাতেই কলকাতা আসছেন প্রধানমন্ত্রী, কাল এক দিনে তিন জনসভা তাঁর!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: লোকসভা ভোটের প্রচারে আবার বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৩ মে শুক্রবার রাজ্যে পর পর তিনটি জনসভা রয়েছে তাঁর। বর্ধমান-দুর্গাপুর, কৃষ্ণনগর এবং বোলপুর কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতেই তিনি কলকাতায় আসবেন ও রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন। এরপর শুক্রবার সকালে হেলিকপ্টারে রওনা দেবেন বর্ধমানের উদ্দেশ্যে।

সম্ভাব্য সূচি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার কথা মোদীর। বিমানবন্দর থেকে রাত ৯টা ১০ নাগাদ তিনি রাজভবনে পৌঁছবেন। সেখানেই রাত কাটাবেন। এরপর শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ রাজভবন থেকে বেরিয়ে গাড়ি করে তিনি পৌঁছবেন রেস কোর্সের হেলিপ্যাডে। সেখান থেকে এমআই-১৭ হেলিকপ্টারে উড়ে যাবেন বর্ধমানের উদ্দেশ্যে। বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাঁই কমপ্লেক্সে তাঁর সভার আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১১টা থেকে মোদীর সভা হওয়ার কথা। বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ এবং বর্ধমান পূর্বের বিজেপি প্রার্থী অসীমকুমার সরকারের সমর্থনে প্রচার করবেন তিনি। দুই প্রার্থীরই সভায় উপস্থিত থাকার কথা।
বর্ধমানের সভা শেষ করে পুনরায় সেখান থেকে হেলিকপ্টারে উড়ে যাবেন তিনি কৃষ্ণনগরের উদ্দেশ্যে। সেখানে তাঁর সভা হওয়ার কথা বেলা পৌনে ১টা থেকে। সভার আয়োজন করা হয়েছে শ্যামনগর ফুটবল মাঠে। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী তথা অমৃতা রায় এবং রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের সমর্থনে প্রচার করবেন মোদী। দুই প্রার্থী সভায় থাকবেন বলে খবর।
কৃষ্ণনগরের সভা শেষ করার পরবর্তী গন্তব্য বোলপুরে। দুপুর আড়াইটে নাগাদ সেখানে আমোদপুরের মেলার মাঠে তাঁর সভা রয়েছে। মঞ্চে থাকবেন বোলপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা এবং বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য। ৩টে ১০ মিনিটের মধ্যে এই সভা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। বাংলায় প্রচার শেষ করে মোদী এর পর উড়ে যাবেন ঝাড়খণ্ডে। সিংভূমে আরও একটি সভা করবেন তিনি। অর্থাৎ, এক দিনে মোট চারটি সভা করার কথা রয়েছে তাঁর।
প্রধানমন্ত্রীর রাজ‌্য সফর ঘিরে আজ কলকাতায় বিভিন্ন রাস্তায় যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কাল শুক্রবারও সকালে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকবে। কলকাতাজুড়ে কড়া নিরাপত্তা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট থেকে রাত ১১টা এবং শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন ভারী যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বেঁধে দেওয়া সময় ছাড়াও প্রয়োজনে আরও কিছু ক্ষণ যান নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে বলে খবর কলকাতা পুলিশ সূত্রে। কয়েকটি রাস্তায় নিয়ন্ত্রিত হবে পার্কিংও। বন্ধ থাকবে ট্রাম।

Card image cap

ফের আসল হুমকি মেল! এবার নিশানায় রাজভবন-জাদুঘর!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন। আগামী সপ্তাহেই রয়েছে তৃতীয় দফার ভোট। এর মাঝেই ফের হুমকি মেল। কলকাতায় রাজভবন-জাদুঘর সহ একাধিক সরকারি অফিসে নাশকতার হুমকি। মঙ্গলবার সকালে এই সংক্রান্ত দুটি হুমকি মেইল পৌঁছয় রাজভবনে। উল্লেখ্য, কলকাতা বিমানবন্দরেও দুদিন আগে এমন একটি হুমকি মেল্ আসে। ‘টেরোরাইজার ১১১’ নাম নিয়ে একটি জন্ডি সংগঠন এই মেল পাঠিয়েছে বলে খবর। একাধিক সরকারি দফতরে এই একই মেল আসায় বিষয়টি নিয়ে তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের STF সহ লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা।

সূত্রের খবর, আগামী ২ মে প্রধানমন্ত্রী মোদি রাজ্যে আসছেন। রাত্রিযাপন করার কথা রাজভবনে। তার আগে এধরনের হুমকি মেল চিন্তা বাড়িয়েছে। মেলগুলি পাওয়ামাত্র তদন্তে নামল লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা। মেলগুলি কোথা থেকে পাঠানো হয়েছে, আইপি অ্যাড্রেস খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, দমদম বিমানবন্দরে গত সপ্তাহে তিনদিনের মধ্যেই দুবার এই ধরনের ইমেল পাঠানো হয়েছিল। তারপর গোটা বিমানবন্দর জুড়ে চিরুনি তল্লাশিতেও কিছুই মেলেনি। তারও আগে কলকাতার নামী স্কুলগুলিতেও বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। তবে তদন্তে জানা গিয়েছিল সেই মেলগুলি ভুয়ো ছিল। আর মঙ্গলবার রাজভবন, নবান্ন, জাদুঘর ছাড়াও একাধিক সরকারি দপ্তরে হুমকি মেল পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বিহার ও দিল্লির আধিকারিকরাও পেয়েছেন এমন মেল। প্রাথমিকভাবে লালবাজারের অন্দরের খবর, মেলগুলি ভুয়ো। তা সত্ত্বেও সতর্কতা অবলম্বন করছে পুলিশ প্রশাসন।
লালবাজার সূত্রের খবর, মেলের বয়ান খানিকটা এরকম – আমরা একটি জঙ্গিগোষ্ঠী, নাম টেররাইজার্স ১১১। আমরা আপনাদের বাসভবনের ভিতরে বিস্ফোরক মোতায়েন করেছি। মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত করেছি আমরা। রক্তস্রোতই অন্তিম দশা। বিদায়।” আরও চিন্তা বেড়েছে মোদির রাজভবনে থাকার বিষয়টি ঘিরে। যদিও দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এখনই সেই সূচি নিশ্চিত করেনি।

Card image cap

ভোটের আগে রণক্ষেত্র বাগুইআটি! তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: নির্বাচনের আগে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হল বাগুইআটি। অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে উত্তপ্ত এলাকা। তার পরই এক তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন। বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। দফায়-দফায় বাধে গন্ডগোল আর বাড়ে অশান্তি। নামানো হয় র‌্যাফ। গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে বাগুইআটির অর্জুনপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকার কাউন্সির দেবরাজ চক্রবর্তীরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এ দিন ঝামেলা বাধে। দফায়-দফায় সংঘর্ষ হয় দুই গোষ্ঠী্য মধ্যে, চলে ইটবৃষ্টি। এই ঘটনায় আহত হয় বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে কিছুটা শান্ত হয় এলাকা। অভিযোগ, রাতে পুনরায় এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে সংঘর্ষ বাঁধে। এর পরেই সঞ্জীব দাস ওরফে পটলা ইটের আঘাতে আহত হন। তার পরে তাঁকে টেনে নিয়ে এসে রাস্তায় ফেলে রড, লাঠি, ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয় পরিবারের অভিযোগ। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় এলাকাবাসী তাঁকে স্থানীয় আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে বাগুইআটি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু স্থানীয়রা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিত আরও জটিল হয়ে পড়ে। পুলিশকে শেষে র‍্যাফ নামতে হয়। বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশি আশ্বাসে উত্তেজনা প্রশমিত হয়। যদিও চাপা উত্তেজনায় রয়েছে এলাকায়। আজ সকালেও এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মৃতের মেয়ে ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “এর আগে অনেকবার আমার বাবার উপর আক্রমণ করা হয়েছে। একাধিকবার কেস করা হয়েছে। দেবরাজ চক্রবর্তীর কাছে গিয়েছিলাম। তবে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কিন্তু কেউ সাহায্য করেনি। পুলিশ এল তখন, যখন আমার বাবাটা মরে গেল। পুলিশ অভিযুক্তদের তুলে নিয়ে আসুক। ওদের কঠোর শাস্তি চাই।” অপরদিকে, দেবরাজ চক্রবর্তী বলেন, “পুলিশ তদন্ত করছে। পরিবারকে আমি চিনি অনেক বছর ধরে। এটা গোষ্ঠী সংঘর্ষ নাকি অন্য কিছু সেটা তদন্তে বোঝা যাবে। পুলিশ তদন্ত শেষ করুক।”

Card image cap

বামেদের SSC ভবন অভিযানে ধুন্ধুমার বাম-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: অযোগ্যদের শাস্তি ও ‘যোগ্য’দের চাকরি ফেরানোর দাবি নিয়ে এসএসসি ভবন ঘেরাও কর্মসূচি বাম-ছাত্র যুব সংগঠনের। করুণাময়ী পৌঁছনোর আগে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। সেই বাধা উপেক্ষা করে এগনোর চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। যার ফলস্বরূপ বাম-ছাত্র যুব সংগঠনের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় রাস্তাতেই। তার জেরেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় করুণাময়ী।

উল্লেখ্য, গত সোমবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়। যার ফলে চাকরি হারান ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। চাকরিহারাদের মধ্যে ‘যোগ্য’দের চাকরি ফেরানোর দাবিতে শনিবার এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বাম-ছাত্র যুব সংগঠন। এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। চাকরিহারাদের একাংশও ওই মিছিলে অংশ নেন।
অভিযোগ, করুণাময়ীর আচার্য সদনের সামনে পুলিশ মিছিল আটকায়। বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, এসএফআই-র একাধিক রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বচসা চলতে থাকে পুলিশের। এরইমধ্যে বেশ কয়েকজন কর্মীকে পুলিশ আটক করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দ্রুত তাঁদের না ছাড়লে আন্দোলনের দাপট আরও বাড়বে বলে সুর চড়াতে দেখা যায় মীনাক্ষীদের। এদিকে বিধাননগর পুলিশের আধিকারিকরা সাফ জানান করুণীময়ী থেকে আর এগোনা যাবে না। কিন্তু, এসএসসি ভবন যেতে অনড় বাম কর্মীরা। তাতেই আরও তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। ভেঙে ফেলা হয় একের পর এক ব্যারিকেড। এর পর পুলিশ ধরপাকড় শুরু করে। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে আচার্য সদনের সামনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মীনাক্ষী বলেন, ‘গোটা রাজ্যের সরকার অপরাধীদের বাঁচানো ছাড়া কোন কাজ করেছে? যাঁরা অযোগ্য, যাঁরা ঘুষ নিয়েছিল তাঁদের ধরতে পারে না। সেলাম ঠুকছে। যাঁরা প্রতিবাদ জানাতে এসেছিল তাঁদের নিয়ে গিয়েছে। ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়ে প্ররোচনা দিয়েছে।’ মিনাক্ষীর আরও বলেন, ‘আমরা এসএসসি ভবনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। অনেককে আটক করেছে। তাঁদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে।’ এই ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ ওই এলাকায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।

Card image cap

বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র থেকে পুলিশের পিস্তল, সন্দেশখালিতে আর কী পেল CBI?

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: চলছে দ্বিতীয় দফার ভোট। এরইমধ্যে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের গড়ে চলল রুদ্ধশ্বাস তল্লাশি অভিযান। দিনভর টানাপোড়েনের পর সন্দেশখালিতে তল্লাশি প্রসঙ্গে বিবৃতি জারি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কী কী উদ্ধার হয়েছে, তা বিস্তারিতভাবে জানাল সিবিআই।

সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শেখ শাহজাহানের এক ঘনিষ্ঠের আত্মীয়র বাড়িতে এদিন সুপার থেকে তল্লাশি চালায় CBI টিমের সদস্যরা। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় তদন্ত করছে CBI টিম। উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানের খোঁজে তাঁর ডেরায় হানা দেয় ইডি। সেখানে গিয়ে হামলার শিকার হন আধিকারিকরা। তাঁদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর-সহ অস্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগও ওঠে শাহজাহান অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
তাই সেই তদন্তের ভিটায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার সন্দেশখালির দুটি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। ১০ সদস্যের সিবিআই দল সন্দেশখালির আগারহাটির মল্লিকপাড়ায় স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল খাঁর ভগ্নিপতি আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে হানা দেয়। হাফিজুল খাঁ শেখ শাহজাহান ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই খবর। তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। পরে বিকেলের দিকে ওই এলাকায় যায় NSG কমান্ডোরাও।
নামানো হয় রোবট, ডিটেকশন ডগ। নিয়ে যাওয়া বালিবোঝাই বস্তা। অত্যাধুনিক এই রোবটিক্স ডিভাইস সরবেড়িয়ার গ্রামের পথ ধরে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। এরপর ওই বাড়ি থেকে একটি ব্যাগে নিয়ে বেরিয়ে আসে সেটি। নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যবস্থা করে একের পর এক বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু হয় সন্ধ্যা নামার পর। তবে কী কী উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকে, তার একটি বিবৃতি জারি করল সিবিআই।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ৩টি বিদেশি বন্দুক, ১টি দেশি বন্দুক, ১টি কোল্ট অফিসিয়াল পুলিশ রিভলবার, ১টি করে দেশি ও বিদেশি পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। উল্লেখ্য, কোল্ট অফিসিয়াল রিভলবার একমাত্র পুলিশই ব্যবহার করে। তা ব্যক্তিগতভাবে কীভাবে তা আবু তালেবের বাড়িতে এল, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য। এছাড়া ১২০ রাউন্ড ৯এমএম বুলেট, .৪৫ কার্তুজ ৫০টি, ৯ এমএম কার্তুজ ১২০টি, .৩৮০ কার্তুজ ৫০টি এবং .৩২ কার্তুজ ৮টি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। এছাড়া শেখ শাহজাহানের বেশ কয়েকটি পরিচয়পত্রও আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে বেশ কয়েকটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সবকটি দেশি বোমা বলেই মনে করা হচ্ছে। ওই বোমাগুলি ইতিমধ্যেই নিষ্ক্রিয় করেছে এনএসজি।

Card image cap

৫ কোটি টাকা দিতে হবে ১০ দিনে: উদয়নকে চিঠি KLO-র!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ভোটের মাঝে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজ়েশনের (কেএলও) নাম করে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহকে ৫ কোটি টাকা দাবি করে চিঠি। বুধবার সকালে নিজেই সোশাল মিডিয়ায় সেই চিঠির ছবি পোস্ট করেন রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রী। সেখানে স্পষ্টভাবে ১০ দিনের মধ্যে ৫ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই চিঠি সমাজমাধ্যমে ‘হালখাতার চিঠি’ শিরোনামে পোস্ট করলেন মন্ত্রী নিজেই। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। বুধবার দুপুরে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে। লোকসভা ভোটের আবহে মন্ত্রীর কাছে এভাবে তোলা চেয়ে চিঠি ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

বিপ্লব তথা যুদ্ধের স্বার্থে তহবিল প্রয়োজন। এই কারণে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়নকে চিঠি পাঠিয়ে টাকা দাবি করল কেএলও (কেএন গোষ্ঠী)। উদয়নের হোয়াট্‌সঅ্যাপে এই চিঠিটি এসেছে বলে তিনি দাবি করেছেন। বুধবার সকালে সোশাল মিডিয়ায় একটি চিঠিটি পোস্ট করে উদয়ন লেখেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠেই পেলাম হালখাতার চিঠি। কোনও এক কোচ আর্মির অ্যাকাউন্ট থেকে এই চিঠিটি হোয়াট্‌সঅ্যাপে পাঠিয়ে ওঁদের স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য ১০ দিনের মধ্যে মাত্র পাঁচ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।’ এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে উদয়ন বলেন, ‘আমাকে রাজনৈতিক ভাবে চাপে রাখার জন্যই এই কাজ করা হয়েছে। টাকা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না।’ মন্ত্রীর কথায়, ‘এত টাকা পাব কই!’
এই হুমকি চিঠি আসার ঘটনা ইতিমধ্যেই পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন উদয়ন গুহ। দিনহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘ওদের ভয় পাওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। তবে সত্য-মিথ্যা যাচাই করার দায়িত্ব পুলিশের। তাঁরা সেটা দেখবেন।’ পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আগে আমরা দু’জনকে ধরেছিলাম। এখনও তাঁরা জেলে আছেন। এটা কোনও জঙ্গি সংগঠন নয়, হুমকি দিয়ে তোলা আদায় করাই এদের কাজ।’’
এই চিঠিকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগেও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল কামতাপুর লিবারেশন অরগনাইজেশন। সেবার এক তৃণমূল নেতাকে হুমকি দিয়েছিলেন কেএলএ প্রধান। এবার নিশানায় উদয়ন। ভোটের মাঝেও কেএলও-র সক্রিয়তা ফের রীতিমতো চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াল প্রশাসনের কাছে।

Card image cap

সন্দেশখালি মামলায় শেখ শাহজাহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইডির লুক আউট নোটিস জারি

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজউদ্দিন বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির। সেই কারণেই লুকআউট সার্কুলার জারি।

দেশের সমস্ত বিমানবন্দরকে সতর্ক করার জন্য সিরাজউদ্দিনের ছবি ও তাঁর সম্পর্কিত তথ্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে সীমান্ত এলাকার প্রশাসনকেও। ইডি-র দাবি, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে আধিকারিকদের ওপর হামলার পর থেকেই উধাও শেখ সিরাজউদ্দিন। তাঁকে একাধিকবার নোটিস পাঠালেও সাড়া মেলেনি বলেও দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সির। ঘটনার প্রায় সাড়ে ৩ মাস পর এবার শেখ সিরাজউদ্দিনের নামে জারি হল লুকআউট সার্কুলার।
সব ঘটনার সূত্রপাত গত ৫ জানুয়ারি। জমি দখল করে ভেড়ি বানানো, সাধারণের উপর নির্যাতন-সহ একাধিক অভিযোগে ইতিমধ্যে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহান। রেয়াত করা হয়নি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য, এমনকি সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও। অভিযোগের তির ছিল শাহজাহানের অনুগতদের দিকে। বর্তমানে সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ দেখা দেয় এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের অনেকেই ছিলেন মহিলা। জোর করে জমি দখল থেকে শুরু করে নারী নির্যাতনের মতো একের পর এক গুরুতর অভিযোগে সরব হন তাঁরা। ঘটনার ৫৬তম দিনে গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান। দাদার কুকর্মের দোসর হওয়ায় গ্রেপ্তার এক ভাই আলমগিরও। শাহজাহানের অপর ভাই সিরাজুদ্দিনও এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাই তাঁকেও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সিরাজুদ্দিনের খোঁজ মেলেনি।
ইডির আশঙ্কা, বিদেশে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন তিনি। আর তাই মঙ্গলবার লুক আউট নোটিস জারি করা হল। যদি সে বাইরে পালিয়ে গিয়েও থাকে, তবে দেশে ফেরার চেষ্টা করলেও যাতে সীমান্ত বা বিমানবন্দরে তাঁকে চিহ্নিত করা যায়,তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সবরকম তথ্য দেওয়া হয়েছে ইডির তরফে।

Card image cap

খড়গপুরে শ্যুটআউট! নিশানায় ব্যবসায়ী, চলল ৯ রাউন্ড গুলি!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ফের শ্যুটআউট! নিশানায় এবার ব্যবসায়ী। খড়গপুরে এক ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে পরপর ৯ রাউন্ড গুলি দুষ্কৃতীদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খড়গপুরে। গুলিবিদ্ধ ওই ব্যবসায়ীকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ঘটনার নেপথ্য কে বা কারা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রের খবর, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম নারায়ণ রাও। বাড়ি খড়গপুর শহরের সাউথ সাইড এলাকায়। নারায়ণ খড়গপুর শহরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের আইমা এলাকায় রেলের ওয়াগন শপ চালান। অভিযোগ, বিকেলে যখন দোকান থেকে বেরোচ্ছিল, তখন ওই ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে ৯ রাউন্ড গুলি চালায় ২ দৃষ্কৃতী। চারটি গুলি তাঁর পায়ে লেগেছে। জানা গিয়েছে, দুজন যুবক বাইকে করে এসে নেমেই কোনও কথা না বলে ওই ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় নারায়ণকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় খড়গপুর হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। কিন্তু কেন এই হামলা? তা স্পষ্ট নয় এখনও। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ।

Card image cap

বুথের সামনে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক শিখা!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: প্রথম পর্বের ভোটে দফায় দফায় উত্তেজনা উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। পিছিয়ে নেই জলপাইগুড়িও। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত একাধিক এলাকা শিলিগুড়ি পুরসভার আওতায় পড়ে। তেমনই একটি ওয়ার্ডে ঘোরার সময় ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ধুন্ধুমার বাধল। তাঁর গাড়ি আটকানোরও অভিযোগ উঠেছে। মুহূর্তেই তপ্ত হয়ে যায় এলাকা। পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

প্রথম দফার ভোট চলাকালীন বিজেপির বিধায়িকা শিখা চট্টোপাধ্যায় ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির পশ্চিম ধানতলার ৩০১ নম্বর বুথ চত্বরে যান। তাঁর দাবি, বুকে ঘাসফুল প্রতীক লাগিয়ে তৃণমূলের এক কর্মী ঘোরাফেরা করছেন। তিনি বুথে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন বলেই অভিযোগ। বিষয়টি তাঁর নজরে আসতেই প্রতিবাদ করেন তিনি৷ উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে বিধায়ক ভোটকেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করেন। ওই বুথের ভোটার না হওয়ায় তাঁকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় বিধায়কের। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করুক, এই দাবি জানান খোদ বিধায়ক। আসরে নামেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা তুমুল অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন। এর পর পুলিশ একটি গাড়িতে তুলে নেন বিধায়ক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ প্রসঙ্গে শিখা বলেন, “৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকে দেখি দুনিয়ার পুলিশ চলে এল, আমাকে গ্রেপ্তার করতে। পুলিশের দাবি, আমি নাকি বুথের মধ্যে ঢুকেছি। তাহলে যখন বুথে ঢুকেছিলাম তখনই কেন গ্রেপ্তার করল না? আসল ব্যাপার হল, ওই ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড হল মেয়রের ওয়ার্ড। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী পিছিয়ে পড়লে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছেড়ে দেবেন গৌতম দেবকে? তাই শিখাকে আটকাতে হবে। আমাকে নিয়ে গোলমাল করে বুথ ফাঁকা করিয়ে ফলস ভোট দেবে তৃণমূল, এটাই ছিল পরিকল্পনা।’’
এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে শিলিগুড়ির মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন গৌতম দেব বলেন, ‘‘প্রথম থেকেই উনি প্ররোচনার সৃষ্টি করছেন। প্রার্থীর সঙ্গে বিভিন্ন বুথের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছেন! নিয়ম অনুযায়ী, উনি সেটা পারেন না। ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বিজেপি বিধায়ক। সকাল থেকেই নিয়ম ভঙ্গ করছেন। যাতে পুলিশ ওঁকে গ্রেফতার করে, সেই জন্যই সকাল থেকে এত নাটক!’’

Card image cap

TMC Manifesto 2024: ‘দিদির ১০ শপথ’

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ‘সংকল্প পত্র’ প্রকাশ করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। এবার প্রথম দফা নির্বাচনের ঠিক ৪৮ ঘণ্টা আগে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করা হল তৃণমূলের পক্ষ থেকেও। কেন্দ্রের মোদি গ্যারান্টির পালটা দেশবাসীকে ‘দিদির ১০ শপথে’র অঙ্গীকার করছে তৃণমূল। দিদির সেই ১০ শপথে সমাজের প্রায় সব শ্রেণির মানুষের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতা অমিত মিত্র সাংবাদিক বৈঠকে ইস্তেহার প্রকাশ করেন। লোকসভা নির্বাচনের মুখে কেন্দ্রের বঞ্চনাকেই আরও একবার হাতিয়ার করেছে তৃণমূল। এই ইস্তেহারপত্রে ঠিক কী কী প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে? কোন দশ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে? জেনে নিন।

১। বর্ধিত আয়, শ্রমিকের সহায়: সব জব কার্ড হোল্ডারকে ১০০ দিনের কাজ গ্যারান্টি-সহ দেওয়া হবে। বর্ধিত ন্যূনতম মজুরি হবে ৪০০ টাকা।
২। দেশজুড়ে বাড়ি, হবে সবারই: দেশের সমস্ত গরিব মানুষদের জন্য আবাসন নিশ্চিত করা হবে। প্রত্যেককে নিরাপদ ও পাকা বাড়ি প্রদান করা হবে।
৩। জ্বালানির জ্বালা কমবে, দেশের জ্বালা ঘুচবে: দেশের প্রতিটি BPL পরিবারকে বছরে ১০টি করে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এর ফলে তাঁরা পরিশ্রুত রান্নার জ্বালানি পেতে পারবে। পরিবেশ বান্ধব রন্ধনের অভ্যাস যাতে আরও বাড়ানো যায় সেই জন্য এই উদ্যোগ।
৪। অনেক হয়েছে শাসন, এবার দুয়ারে রেশন: প্রতি মাসে প্রত্যেক রেশন কার্ড হোল্ডারকে পাঁচ কেজি বিনামূল্যে রেশন, চাল ডাল, শস্য প্রদান করা হবে। রেশন প্রত্যেক সুবিধাভোগীর দুয়ারে বিনা মূল্যে পৌঁছে দেওয়া হবে।
৫। আমাদের অঙ্গীকার, নিরাপত্তা বাড়বে সবার: প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যুবকদের উন্নতির স্বার্থে অন্যান্য অনগ্রসর জাতি, তপসিলি জাতি, উপজাতিদের জন্য উচ্চশিক্ষা বৃত্তি বাড়ানো হবে। বৃদ্ধভাতা বাড়িয়ে মাসে এক হাজার টাকা করা হবে। বার্ষিক ১২ হাজার টাকা।
৬। বর্ধিত আয় নিশ্চিত এবার, ফুটবে হাসি অন্নদাতার: স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ভারতবর্ষের কৃষকদের জন্য ন্যূনতম গড় খরচের চেয়ে কম পক্ষে ৫০ শতাংশ বেশি ধার্য করা হবে।
৭। স্বল্প মূল্যে পেট্রপণ্য, ভারতবর্ষের সকলে ধন্য: পেট্রল, ডিজেল, এলপিজির দাম সাশ্রয়ী মূল্যে সীমাবদ্ধ করা হবে। পাশাপাশি দাম কমা বাড়া পরিচালিত করার জন্য প্রাইস স্টেবিলাইজেশন ফান্ডও তৈরি করা হবে।
৮। নিশ্চিত ভবিষ্যত অর্জন, যুবশক্তির গর্জন: ২৫ বছর পর্যন্ত সকল স্নাতক ডিপ্লোমা হোল্ডারকে তাঁদের দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বাড়াতে এক বছরের শিক্ষানুবিশ প্রতিশিক্ষণ প্রদান করা হবে। শিক্ষানুবিশদের অর্থনৈতিকভাবে নিজেদের সহায়তা করার জন্য মাসিক বৃত্তি প্রদান করা হবে। উচ্চ শিক্ষার শিক্ষার্থীদের ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড প্রদান করা হবে।
৯। স্বচ্ছ আইন, স্বাধীন ভারত: ধোঁয়াশাযুক্ত CAA বিলুপ্ত করা হবে। NRC বন্ধ করা হবে। UCC ভারত জুড়ে প্রয়োগ করা হবে না।
১০। এগিয়ে বাংলা, এগোবে ভারত: বাংলার কন্যাশ্রী প্রকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছাত্রীদের বার্ষিক হাজার ও এককালীন ২৫ হাজার টাকা। কন্যাশ্রীর মতো সব মহিলাকে ভাতা দেওয়া হবে। আয়ুষ্মান ভারতের বদলে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। যা ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা।

Card image cap

একই দিনে পর পর দুইবার মেট্রো বিভ্রাট, ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: মঙ্গলবার একই দিনে পর পর দুইবার মেট্রো বিভ্রাট, ভোগান্তির শিকার হল যাত্রীরা। প্রথমে সকালে ও পরে বিকেলে মেট্রো বিভ্রাটের শিকার হন আমজনতা। ঘটনার জেরে নাজেহাল অবস্থা নিত্যযাত্রীদের।


মঙ্গলবার সকালে সাড়ে ১১টায় গড়িয়াগামী মেট্রো শোভাবাজার স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। আজ বেলা সাড়ে 11টা নাগাদ শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনে পৌঁছে ডাউন লাইনের একটি মেট্রো রেকে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়৷ এর ফলে সেখানেই মেট্রোটি বন্ধ হয়ে যায় এবং রেকটিকে পরে কোনওমতেই চালু করা সম্ভব হচ্ছিল না। কোচ নম্বর 3201 সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তাই ঘোষণার মাধ্যমে রেকটি খালি করে দিতে বলা হয়৷ পাশাপাশি বারবার ঘোষণা করা হয় যাতে ডাউন লাইনে সেই মুহূর্তে আর যেন কোনও বুকিং নেওয়া না হয়। এরপরে গোলযোগ দেখা দেওয়া রেকটিকে লাইন থেকে কোনমতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়12টা 18 মিনিট থেকে ডাউন লাইনে আবার মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে।

একদিকে দুপুরবেলার তীব্র রোদ ও গরম, তার মধ্যে অফিসের সময়৷ সপ্তাহের প্রথম দিকেই এই ধরনের বড়সর সমস্যার জন্য চূড়ান্ত নাকাল হতে হয় যাত্রীদের। কারণ শহর কলকাতার লাইফ লাইন মেট্রো৷ লক্ষাধিক লোক মেট্রোর উপর নির্ভরশীল৷ যদি দিনের সবচেয়ে ব্যস্ত সময় এভাবে মেট্রো বিভ্রাট দেখা দেয় স্বাভাবিকভাবেই দুর্ভোগ পোহাতে হয় নিত্য যাত্রীদের।

কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি। সকালের পর বিকেলে ফবন্ধ করে দেওয়া হয় মেট্রো পরিষেবা। ঘড়ির কাঁটায় বিকেল ৪ টে বেজে ৪০ মিনিট। আচমকাই মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশনের পিলারের ভায়াডাক্টে আগুন দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবেই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ও বন্ধ করে দেওয়া হয় মেট্রো পরিষেবা। ৪ টে ৪০ থেকে বন্ধ মহানায়ক উত্তম কুমার থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল। তবে দক্ষিণশ্বরের দিকে স্বাভাবিক ছিল পরিষেবা। বিকেলে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রবল ভোগান্তির শিকার হন অফিস ফেরত যাত্রীরা। দীর্ঘক্ষণ পর সন্ধে ৭ টা বেজে ৫ মিনিট নাগাদ আবার স্বাভাবিক হয়ে যায় পরিষেবা।

Card image cap

গার্ডেনরিচের রেল হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: আজ সাত সকালে গার্ডেনরিচে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বিএনআর হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড। আগুনের খবর পৌঁছতেই আতঙ্ক ছড়ায় রোগী এবং পরিবারগুলির মধ্যে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিন তলায় চোখের অপারেশন কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। তারপরই দ্রুত খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন এসে এক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ততক্ষণে কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ানরা দ্রুত রোগীদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যান।


প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এই হাসপাতাল, যা বিএনআর হাসপাতাল নামে অতি পরিচিত। প্রতিদিন প্রচুর রোগী আসেন এই হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য। রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ সকাল সাতটা নাগাদ আচমকাই তিন তলায় চোখের অপারেশন কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। তারপরই জওয়ানরা সেখানে ছুটে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করেন। অন্যদিকে দমকলের কাছেও খবর পাঠানো হয়। এরপর দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন আসে ঘটনাস্থলে। দমকলকর্মীরা দক্ষতার সঙ্গে এক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শট সার্কিট থেকে এই আগুন লেগে থাকতে পারে। তবে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ সম্বন্ধে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দমকল। আগুন লাগার বিষয়ে কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ান বলেন, “আগুন লাগার পরই আমরা রোগীদের সরিয়ে ফেলি। প্রায় দশ থেকে পনেরো রোগী ছিলেন। আমরাও চেষ্টা করছিলাম আগুন নেভানোর। তবে তা না হওয়ায় দমকলকে খবর দেওয়া হয়।”

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের জেরে কোনও রোগী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়নি। বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতিরও খবর প্রাথমিক ভাবে মেলেনি। যদিও চোখের অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হওয়ায় হাসপাতালের অন্যত্র তা ছড়িয়ে পড়েনি। এর ফলে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন অনেকেই।

Card image cap

কুলটিতে ভরদুপুরে চলল এলোপাথাড়ি গুলি, ‘খুন’ হল সুদ ব্যবসায়ী।

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: সামনেই আসছে ভোট। আর তার ঠিক আগে ফের শুটআউটের ঘটনা আসানসোলের কুলটিতে। ভরদুপুরে এলোপাথাড়ি গুলিতে ঝাঁঝরা এক সুদ ব্যবসায়ী। ঘটনার তদন্তে পুলিশ ৷আতঙ্কে গোটা এলাকা।


ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের কুলটি থানার চিনাকুড়ি এলাকায়৷ প্রকাশ্য দিবালোকে অফিসে ঢুকে পরপর গুলি চালায় দুষ্কৃতী। অফিসটি একটি মাইক্রো ফিন্যান্স সংস্থার। সেই সংস্থার মালিককে উদ্দেশ্য করেই পরপর গুলি চালানো হয়। মৃত ব্যক্তির নাম উমাশঙ্কর চৌহান(51)৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। অফিসের কর্মীরা জানান, এক দুষ্কৃতী হঠাৎ এসে উমা শঙ্কর চৌহানকে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সংস্থার মালিক উমাশঙ্কর চৌহানের। কিন্তু কে এই দুষ্কৃতী? কী কারনে এই খুন, ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করেছে পুলিশ।

মে মাসের ১৩ তারিখ ভোটগ্রহণ আসানসোলে। তার আগে জোরকদমে চলছে প্রচার। এরই মধ্যে এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, রবিবারই চেন্নাই থেকে ফেরেন তিনি। সোমবার কুলটির চিনাকুড়িতে ওই সংস্থার অফিসে ছিলেন উমাশংকর। তার সঙ্গে অফিসের আরও এক সঙ্গী ছিল রাজকুমার। উমাশঙ্কর চৌহানের ওই সঙ্গী তথা প্রত্যক্ষদর্শী রাজকুমার জানান, বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ সেখানে এক ব্যক্তি একাই মুখে গামছা বেঁধে এসেছিলেন। তিনি জানান পেমেন্ট করতে এসেছেন। জনৈক রাহুল পাসওয়ানের বকেয়া টাকা নাকি তিনি মেটাতে এসেছেন। উমাশঙ্কর তখন ওই ব্যক্তিকে জানান তিনি কোনও রাহুল পাসওয়ানকে চেনেন না। এরপর ওই ব্যক্তি নিজের ফোন বের করে কিছুটা দূরে গিয়ে ফোন করতেও শুরু করেন কাউকে। ফোন রেখে পুনরায় ফিরে আসেন এবং উমাশঙ্কর চৌহানের অফিসের কাঁচের দরজার বাইরে থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন।

গুলির আঘাতে কাঁচের দরজা ভেঙে যায় এবং উমাশংকর রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। সেখানেই প্রাণ যায় তাঁর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। সংস্থার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ ওই দুষ্কৃতীকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত অক্টোবর মাসে একইভাবে কুলটির চিনাকুড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আরেক সুদ কারবারির। শম্ভুনাথ পণ্ডিত খুনের মাত্র ৬ মাসের মাথায় ফের খুনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Card image cap

বছরের প্রথম দিনেই অঘটন, ভাগীরথীতে তলিয়ে গেল তরুণ প্রাণ

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: নববর্ষের শুরুতেই ঘটল অঘটন। রবিবার সকালে নবদ্বীপে ভাগীরথী নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল দুই তরুণ প্রাণ। মৃত্যু হল দ্বাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়ার, নিখোঁজ আরও এক। চলছে জোর তল্লাশি। অন্যদিকে, কাটোয়ায় ভাগীরথীতে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে আরও এক যুবক।


স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে নবদ্বীপ পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ফুটবল খেলছিল পাড়ার কিছু বন্ধু। খেলা শেষে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নয়নতারা ঘাটে ৮ বন্ধু মিলে ভাগীরথী নদীতে স্নান করতে যায়। তাঁদের মধ্যে ৪ জন জলে নামে। কিন্তু জলে নামার কিছুক্ষণ পরেই তলিয়ে যান দুই বন্ধু কৌস্তব ও আদিজিৎ। বাকি দু’জন বাঁচানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তাঁরা ব্যর্থ হয়।

সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় নবদ্বীপ থানায়। সেখান থেকে খবর যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে। তাঁরা এসেছে তল্লাশি শুরু করলে উদ্ধার করা হয় আদিজিৎ পালের নিথর দেহ। তাঁকে নবদ্বীপের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। খোঁজ মেলেনি কৌস্তভের।

অন্যদিকে, কাটোয়ায় ভাগীরথীতে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে আরও এক যুবক। এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন সে, নাম সুমন মণ্ডল। জানা গিয়েছে, কাটায়ো শহরের আদর্শপল্লি এলাকায় পিসির বাড়িতে ঘুরতে এসেছিলেন সুমন ও তাঁর কাকার ছেলে অনীক। রবিবার সকালে গঙ্গায় স্নান করার সময় তলিয়ে যেতে থাকেন দুই ভাই। ঘাটে থাকা গাজন সন্ন্যাসীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধার করেন অনীককে। তবে তলিয়ে যান সুমন। খবর যায় পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিখোঁজ যুবকের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Card image cap

বিধ্বংসী আগুনে জ্বলছে দমদমের ঝুপড়ি, আতঙ্কে এলাকাবাসী

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: দমদমে ফের অগ্নিকাণ্ড। দাউদাউ করে জ্বলছে একের পর এক ঘর। শনিবার দমদমের হনুমান মন্দিরের কাছে ছাতাকলের লাগোয়া ঝুপড়িতে ভয়ঙ্কর আগুন লাগে। আচমকাই একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকাবাসী। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আগুন নেভানোর কাজ।


শনিবার বেলা বারোটা নাগাদ দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ছাতাকল মেলার মাঠ এলাকায় ঝুপড়িতে আগুন লাগে। প্রথমে একটি খাটালে আগুন লাগে। পরে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা বসতিতে। একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ শুরু হয়। তার ফলে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় দমকলেও। একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশ কিছুক্ষণ পর দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে দাউদাউ করে জ্বলছে একের পর এক ঘর। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে গোটা এলাকা। চেষ্টা চালানো হলেও এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি আগুনকে। জলা জমি থেকে বালতি করে জল নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন স্থানীয়রাও। বস্তি এলাকায় দাহ্য পদার্থ থাকাতেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এলাকায় প্লাস্টিকের স্তূপ জমা হয়ে রয়েছে। সেগুলিকে সরানো হচ্ছে, যাতে আগুন আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে না পারে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁরা কাজে বেরিয়েছিলেন। খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখেন দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। ওই বস্তিতে প্রায় ২ হাজারের বেশি ঘর ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ভিতরে কেউ আটকে রয়েছেন কি না, সেই নিয়েও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে মানুষ না থাকলেও, খাটালে ভিতরে গরু-বাছুর ছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘিঞ্জি এলাকায় দমকলের ইঞ্জিন ঢুকতেও বেগ পেতে হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান দমদমের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “আপাতত রক্ষা এবং উদ্ধার। খাটালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শুনলাম। অনেকে নাকি খালে ঝাঁপ দিয়ে রক্ষা পেয়েছেন। কী করে হল, না হল, সেসব না হয় পরে তদন্ত হবে। আগে সুরক্ষার দিকে নজর দিতে হবে। এখানে রাজনীতি দেখবেন না কেউ। যতটা পারবেন উদ্ধার করুন।”

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। এছাড়া দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় ও অদিতি মুন্সিও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, “সকালেই খবর পাই আমরা। গাড়ির ব্যবস্থা করেছি। আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন। আমি নিজেও যাচ্ছি। আমাদের একটি রোবট রয়েছে। আগুন নেভাতে রোবটও পাঠিয়েছি। গাড়ি যদি ঢুকতে না পারে, রোবট ব্যবহার করা আগুন নেভানোর চেষ্টা হবে।” তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, কত জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, দেখা হচ্ছে। সেই মতো ব্যবস্থা করবে সরকার। ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুজিত জানান, সব মিলিয়ে ১০টির উপর দমকল ইঞ্জিন পাঠানো হয়। রাস্তা সরু বলে ঢুকতে অসুবিধা হচ্ছিল। আমাদের দুই কাউন্সিলর রয়েছেন সকাল থেকেই। অফিসাররা রয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে রাজ্য সরকার।

Card image cap

মদ্যপান করে ডিভাইডারে ধাক্কা, মৃত্যু দুজনের

মুর্শিদাবাদ : মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া বাইক চালিয়ে মৃত্যু দুই বাইক আরোহীর। মুর্শিদাবাদে সামশেরগঞ্জের বাসুদেবপুরে জাতীয় সড়কে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে ঘটে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনাটি। জানা গিয়েছে, বাইকে মোট তিনজন আরোহী ছিলেন। আরেকজন গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মাঝরাতে সামশেরগঞ্জের বাসুদেবপুর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তিনজন আরোহীই মদ্যপান করে ছিলেন। রাস্তা পারাপার করতে গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারায় ও ডিভাইডারে ধাক্কা মারে বাইকটি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাতে সুতির সাজুর মোড়ের দিক থেকে বাইকে করে সামশেরগঞ্জের বাসুদেবপুর হয়ে ডাকবাংলার দিকে যাচ্ছিলেন তিন যুবক। সে সময় বাসুদেবপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁরা। ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তিনজনকেই সুতির মহেসাইল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও চিকিৎসকরা দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি একজনের চিকিৎসা চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকদের নাম তন্ময় সরকার (১৯) এবং বিমান সরকার (২২)। উভয়ের বাড়ি মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকার ফরিদপুর গ্রামে। অন্যদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশ দেহ উদ্ধার করে জঙ্গিপুর হাসাপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। মধ্যরাতের দুর্ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।

Card image cap

গড়ালো রেলের চাকা

গোপাল বিশ্বাস নদীয়া :-  দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে,মহিলাদের উলুধ্বনি ও কুঁ ঝিক ঝিক আওয়াজের মধ্য দিয়ে  কৃষ্ণ নগর- আমঘাটা হল্টে  গড়ালো রেলের চাকা।খুশি সকলেই। একদা নস্টালজিয়া কৃষ্ণ নগর- স্বরূপগঞ্জের রেলপথ বা ছোট রেল।
দীর্ঘদিন ধরে চলার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেল মন্ত্রী থাকা কালীন এই ন্যানোগেজকে ব্রডগ্রেজ করার ঘোষণা করেছিলো পরবর্তী সময়ে কাজ শুরু পর বিভিন্ন কারনে তা  থমকে যায়, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ পরে থাকার পর  কৃষ্ণনগর -থেকে আমঘাটা প্রায় ৯ কিলোমিটারে রেল পথে রেল চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় রেলের তরফে। সেইমতো শুরু হয়,জোর কদমে কাজ। কিন্তু এইবারে রেলের কাজ জোর কদমে শুরু হলেও স্থানীয় দের মধ্যে ছিলো ধোয়াসা, কারন জানা যায় বেশ কিছু বছর আগে এভাবেই রেল উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করে আবার বন্ধও করে দেয়। তবে বিভিন্ন মহল থেকে খবর আসছিলো এবারে লাইনে রেলের চাকা গড়াতে বদ্ধ পরিকর রেল দপ্তর। 
বর বুধবার ২৭শে মার্চ রেল দপ্তরের পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী  কৃষ্ণ নগর - আমঘাটা  প্রায় ৯ কিলোমিটার রেল পথে গড়ালো রেলের চাকা।আর এলাকায় ব্রডগ্রেজের ট্রেন চলতে দেখে খুশি সকলেই। এদিন দুপুরে প্রথমে আমঘাটায় এসে পৌঁছায় ট্রলি তারপর দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে  এসে পৌঁছায় বৈদ্যুতিক  ট্রেন, পাশাপাশি আমঘাটা স্টেশন চত্বরকেও তোলা হয়েছিলো সাজিয়ে। এদিনের এই বিশেস ট্রায়াল ট্রেনে ছিলেন রেলের ডি আর এম সহ বিভিন্ন আধিকারিক। রেল দপ্তরের সুত্রে জানা যায় কৃষ্ণ নগর থেকে আমঘাটা লাইনের কাজ শেষ তাই বিজ্ঞপ্তি দিশে এদিন ট্রায়াল হিসেবে এই বিশেষ ট্রেনটি চালানো হলো, যাত্রী পরিষেবা দেওয়াও খুব শীঘ্রই শুরু হবে,  সেটাও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হবে।রেল সুত্রে আরও জানা যায় আমঘাটা থেকে নবদ্বীপ ঘাট  পর্যন্ত বাকী রেল পথের কাজও যাতে খুব শীঘ্রই শুরু হয় তার জন্য বিশেষ পদক্ষেপও ইতিমধ্যে নেওয়া শুরু করেছে রেলের তরফে।
পাশাপাশি বুধবার সকালেই  কৃষ্ণ নগরের শরৎপ্লী এলাকায় স্থানীয়রা এলাকায় চলাচলের প্রধান রাস্তা রেল বন্ধ করে দিয়েছে অভিযোগ তুলে পথ অবরোধের সামিল হয়েছিল,  তাদের দাবী ছিলো এলাকার অন্যতম প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পুরো না আটকে গেট করা হোক৷ দীর্ঘ সময় আন্দোলন চলে বলেও জানা যায়, এদিন আমঘাটা থেকে সেই এলাকা বাসী অভিযোগের প্রশ্নে রেলের আধিকারিকেরা জানায় তাদের সাথেও কথা হয়েছে সমস্যা মিটে যাবে।এলাকায় দীর্ঘদিন পর পুনরায় রেল চালু হওয়ায় তা দেখতে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

Card image cap

দোলের দিন বৃষ্টিতে ভিজতে পারে বাংলা

দোল উৎসব মাটি করতে আসবে কালবৈশাখী?৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। আকাশ কালো করে যে কোনও মুহূর্তেই আসতে পারে কালবৈশাখী।আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৮, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। সাবধানে থাকুন এই জেলাগুলি দোলের দিন বৃষ্টিতে ভিজতে পারে বাংলা। আজ ও কাল দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া শুকনো থাকলেও, আগামী সপ্তাহে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী কয়েকদিন ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে পারদ।আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ২৪ ও ২৫ মার্চ বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে বিক্ষিপ্তভাবে স্বল্প সময়ের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৪ মার্চ অর্থাৎ রবিবার, বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়।আগামী দু-তিন দিনে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি বাড়তে পারে। বাড়বে রাতের তাপমাত্রাও।আগামী দু-তিন দিনে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি বাড়তে পারে। বাড়বে রাতের তাপমাত্রাও।