CATEGORY district:

Card image cap

বাগদায় পুলিশি তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাগদায় রোগী কল্যাণ সমিতির অস্থায়ী কর্মী অসিত দাস গ্রেপ্তার হতেই সামনে আসতে শুরু করেছে একাধিক তথ্য। বাংলাদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের জাল পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়া হত টাকার বিনিময়ে। স্বাস্থ্যকর্মী হওয়ার সুবাধে এই কাজ আরও সহজে করত সে। এমন বিষয়ও পুলিশের তদন্তে সামনে আসছে। ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট ছাড়াও আধার কার্ড, ভোটার কার্ডও তৈরি হত বলে খবর।ধৃত অসিত বাগদা হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করত। তার কাছে দৈনিক বহু মানুষ জন্মসংশাপত্র তৈরির প্রয়োজন আসতেন। তাদের মধ্যে বহু বাংলাদেশিরা থাকতেন বলে খবর| অভিযোগ, বাগদা হাসপাতালে বসে কাজ করার সুযোগকে সে কাজে লাগায়। ভুয়ো জন্মশংসাপত্র, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বাংলাদেশিদের কাছে চড়া দামে বিক্রি হত। ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরির কাজে নেওয়া হত বলেও খবর। যাদের টাকা দেওয়ার সামর্থ নেই, তাঁদের থেকে দুই থেকে চার টাকা নেওয়া হত।সুমনকুমার ঘোষ নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর জাল নথি উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, এই দুজন নয়। একটা বড় চক্র এখানে কাজ করছে। এই জাল কতটা দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে? সেই তথ্যই এখন জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ধৃতরা এই চক্রের পাণ্ডা। প্রাথমিকভাবে সেই কথাও মনে করা হচ্ছে।
ধৃত দুই ব্যক্তি বাগদার বারানসীপুর এবং উত্তর কুলবেরিয়া এলাকার বাসিন্দা। বাগদা বাজার ও চ্যাঙ্গা বটতলা এলাকায় অসিত ও সুমনের দুটি দোকান আছে। সেখানে জেরক্স, স্ক্যান, প্রিন্ট আউট হত। আর সেই সবের আড়ালে ওই অসাধু কাজ হত। সেই তথ্যও পুলিশি তদন্তে সামনে আসছে। এখন অবধি বাংলাদেশের কত মানুষকে ভুয়ো নথি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে? সেই মোটা টাকা কোথায় গেল? সেই সব তথ্য জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর| বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই কাজ চলত। যদিও তৃণমূল সেই কথা মানতে চায়নি। বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব সর্দারের দাবি, ওই ব্যক্তি আগে সিপিএম করত। এখন বিজেপির সঙ্গে যুক্ত সে। যারা এই কাজে যুক্ত রয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবি তোলা হয়েছে।

Card image cap

বাড়ি ফাঁকা পেয়ে প্রতিবেশী নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন

নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। গ্রেপ্তার প্রতিবেশী যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বোড়াল এলাকায়। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা ওই নাবালিকা। রবিবার বাড়িতে একাই ছিল সে। সেই সুযোগকে কাজে লাগানোর ফন্দি আঁটে প্রতিবেশী রাজু মালি। অভিযোগ, নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে যুবক। এর পর বাড়িতে কাউকে কিছু না জানানোর জন্য হুমকিও দেয় সে। প্রথমে ভয়ে চুপচাপ ছিল নাবালিকা। তা দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের। তাঁরা জানতে চান কী ঘটেছে। এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে নাবালিকা। গোটা বিষয়টা পরিবারের সদস্যদের কাছে জানান। রাতেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।এই ঘটনায় প্রবল শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার-প্রতিবেশীরা। উল্লেখ্য, আর জি কর কাণ্ডে তোলপাড় বাংলা। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে পথে গোটা বাংলা। তার পরও নিয়মিত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নারী নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। নরেন্দ্রপুরে ফের একইঘটনার পুনরাবৃত্তি তুলে দিচ্ছে বহু প্রশ্ন।

Card image cap

আসানসোলের কংগ্রেস নেতাকে ‘মার’

আবর্জনা ফেলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল আসানসোল পুরনিগমের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনার জেরে তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গে কংগ্রেস নেতার হাতাহাতি বাঁধে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা প্রসেনজিৎ পুইতুন্ডিকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলর অনিমেষ দাসের বিরুদ্ধে। কাউন্সিলের পালটা দাবি, “আমাদের লোকদের মারধর করা হয়েছে।”ঘটনাটা ঠিক কী? ওই ওয়ার্ডের একটি আবাসনের বাইরে দীর্ঘদিন ধরে আবর্জনা জমে ছিল। পরিষ্কার না করার অভিযোগ তুলে আবাসনের বাসিন্দারা সেই আবর্জনা তুলে সামনের রাস্তায় ফেলে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারম্যান অনিমেষ দাস। সেখানে ওই আবাসনের বাসিন্দা তথা কংগ্রেস নেতার সঙ্গে বচসা বাঁধে। তা হাতাহাতির আকার নেয়।আবাসনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুজোর আগের থেকে আবাসনের বাইরে আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল। চায়ের দোকানের আবর্জনা থেকে মরা কুকুর, বিড়ালের দেহ সেখানে জমা হয়।এলাকার স্যানিটরি সুপারভাইজার ও পুরসভাকে বিষয়টি জানিয়েও লাভ হয়নি বলে দাবি। তাঁদের আরও অভিযোগ, এলাকার সুপারভাইজার পুজোর সময় আবর্জনা পরিষ্কার করার কথা বলে তাঁদের থেকে টাকা নেন। কিন্তু তা হওয়ায় বাধ্য হয়ে নিজেরাই আবর্জনা পরিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিবাদে জঞ্জাল সামনের বড় রাস্তায় ফেলে দেন। আবাসনের এক বাসিন্দা রমাশংকর সিং বলেন, “তিন মাসের উপরে আবর্জনা এখানে পড়ে। বিষয়টি কাউন্সিলর, মেয়রকেও জানিয়েছি। কিন্তু কিছু কাজ হয়নি। এখানে মেডিক্যাল বর্জ্যও ফেলা হয়। আমরা বাধ্য হয়ে নিজেরাই পরিষ্কার করছি।”ঘটনাস্থলে কাউন্সিলর যেতেই উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের লোকেরা কংগ্রেস নেতাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। কংগ্রেস নেতা প্রসেনজিৎ পুইতুন্ডি বলেন, “আমরা প্রতিবাদ জানানোর পর তৃণমূল নেতা তাঁর গুন্ডা বাহিনী নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হন। সুপারভাইজার টাকা নেওয়ার পরও কেন এলাকা পরিষ্কার হয়নি? বলতেই ঝামেলা বাঁধে। কয়েকজন আমাদের উপর চড়াও হয়। আমাদের আবাসনের চেয়ারম্যানকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। পায়ে আঘাত পেয়েছেন তিনি।”
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে স্থানীয় কাউন্সিলর অনিমেষ দাস বলেন, “এখানে আবাসনের আবর্জনা ফেলা হয়। পুরসভা তা পরিষ্কার করে। আজকে কিছু জমে থাকা ময়লা ওরা তুলে নিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। তাতে সবার অসুবিধা হয়েছে। ওরা ঝামেলা শুরু করে। আমাদের কয়েকজনকে মারে। তাঁরা আত্মরক্ষা তো করবেই।”
দীর্ঘদিন আবর্জনা পড়ে থাকার অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, “যদি স্যানিটরি সুপারভাইজার কাজ না করেন তাহলে কাউন্সিলর, পুরসভাকে জানানো উচিত। তা না করে রাস্তায় আর্বজনা রাস্তায় ফেলে দেয় ওরা।” উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

Card image cap

মা-সহ ৫ কুকুরছানাকে আস্তাকুঁড়ের ভিতর পুড়িয়ে মারার চেষ্টা দুর্গাপুরে

সারমেয় শাবকরাও শত্রুসম! নইলে কুকুরছানাদের নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে কোন দুর্জন? অথচ বাস্তবে ঘটল তেমনই। দুর্গাপুরের তিলক রোডের এক আস্তাকুঁড়েতে ৬ শাবককে ফেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগে শোরগোল এলাকায়। যদিও এক শাবকের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৫ জনকে অর্ধদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে পাঠানো হয়েছে নিরাপদ স্থানে। তাদের বাঁচানোর চেষ্টায় হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে অন্ধকারে এলাকাবাসী। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এহেন ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে পশুপ্রেমী সংগঠন।ইস্পাত নগরীর তিলক রোডের ৩০ নং স্ট্রিটের একটি গ্যারাজের পাশে ডাস্টবিনে সদ্য ৬ শাবকের জন্ম দিয়েছিল একটি কুকুর। এলাকাবাসী ছোট ছোট ছানাদের বড় হয়ে উঠতে দেখছিলেন। কখনও কখনও তাদের খাবার দিয়ে সাহায্যও করতেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে আচমকাই সেই ডাস্টবিন থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখেন স্থানীয় এক মহিলা। তিনি প্রতিবেশীদের ডেকে ডাস্টবিনের সামনে গিয়ে দেখেন, মা-সহ ৫ সারমেয় শাবকের গায়ে আগুন। তারা প্রাণে বাঁচতে চিৎকার করছে। সেখান থেকে কোনওক্রমে আগুন নিভিয়ে শাবকদের উদ্ধার করা হয়। কিন্তু একটি সারমেয় শাবকের মৃত্যু হয়। পাঁচ শাবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে তাদের চিকিৎসা শুরু করেন। জানা যাচ্ছে, মা ও বাকি চার শাবকের অবস্থা গুরুতর।শনিবার সকালে এই ঘটনা জানাজানি হতেই গোটা এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দা অপর্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন,”রাতে হঠাৎ দেখি, ডাস্টবিনের ভিতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে দেখে আমরা সেখানে যাই। দেখি, ছটি পথ সারমেয় শাবক-সহ তাদের মা আগুনে জ্বলছে! সেখানে বই, খাতা দিয়ে আগুন জ্বালানো হয়েছে। গন্ধ যাতে না ছড়ায় সেই জন্য নুনের প্যাকেটও রাখা হয়েছিল। এই নির্মম ঘটনা দেখে আমরা হতবাক। আমরা ছটি সারমেয় শাবককেই উদ্ধার করি। একটি সারমেয়র মৃত্যু হয়েছে। পাঁচটি শাবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেগুলিকে এলাকাতেই চিকিৎসা করা হচ্ছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি করছি।”পশুপ্রেমী সংগঠনের পক্ষ থেকে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পশুপ্রেমী সংগঠনের পক্ষে অনিন্দিতা সরকারের বক্তব্য, “সদ্যোজাত পথ সারমেয়দের উপর এই নির্মম ঘটনা একেবারে মেনে নেওয়া যায় না। আমরা খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে গিয়েছি। যারা এই ঘটনার সাথে যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তির দাবি করছি।”

Card image cap

গরুর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক!

 গোয়ালঘরে ঢুকে গরুর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ। গ্রেপ্তার পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের যুবক। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করেছে।জানা গিয়েছে, মেদিনীপুরের সবংয়ের চকমাধব গ্রামের বাসিন্দা দেবব্রত ঘাটা। তাঁর বয়স ২৮ বছর। পূর্ব মোহাড় এলাকার বাসিন্দা পরীক্ষিত দাসের অভিযোগ, বুধবার তাঁদের গোয়াল ঘরে ঢুকেছিলেন ওই যুবক। একটি গরুর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে মাতেন তিনি। মালিকের নজরে পড়ে বিষয়টি। স্বাভাবিকভাবেই চিৎকার-চেঁচামেচি করেন তিনি। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। এর পরই অভিযোগ দায়ের করা হয় সবং থানায়।অভিযোগ পাওয়ার পরই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩২৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গবাদিপশু ধর্ষণের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ওই যুবক কীভাবে এমন অমানবিক কাণ্ড ঘটাল, তা ভাবতেই পারছেন না এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন প্রতিবেশীরা। ঘটনার নৃশংতায় শিউরে উঠছেন মনোবিদরাও। উল্লেখ্য, এই ঘটনা প্রথম নয়। রাজ্যে এধরনের অভিযোগ আগেও উঠেছে। অভিযুক্ত কঠোরতম শাস্তি পেয়েছে। তা সত্ত্বেও ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। 

Card image cap

ভাটপাড়ার অশোক সাউ খুনে গ্রেপ্তার অন্যতম অভিযুক্ত জাসুস

ভাটপাড়ায় তৃণমূল নেতা অশোক সাউ খুনে পুলিশের জালে আরও এক। বেলঘরিয়া জুট মিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার অন্যতম এক অভিযুক্ত। ধৃতের নাম সানোয়ার আলি ওরফে জাসুস। ধৃতকে বারাকপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোক খুনের বাকি ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জাসুসের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। জাসুস এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত বলে দাবি। এর পর থেকেই সানোয়ারের খোঁজে নামে জগদ্দল থানার পুলিশ। তবে খুনের পর থেকে ছদ্মবেশে বিভিন্ন স্থানে গা ঢাকা দিয়ে বেড়াচ্ছিল জাসুস। মঙ্গলবার রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে, জাসুস বেলঘরিয়ার প্রবর্তক জুট মিল এলাকায় রয়েছে। খবর পেতেই অভিযান চালায় পুলিশ। তৃণমূল নেতা খুনের ২৮ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। এই নিয়ে মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি বিধানসভা উপনির্বাচনের দিনে খুন হন ভাটপাড়া পুরসভার ১২ নম্বর ওর্য়াডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অশোক। একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন তিনি। সেই সময় ৭-৮ জনের একটি দুষ্কৃতী দল হামলা চালায়। কয়েক রাউন্ড গুলির পর বোমাও ছোড়া হয় বলে দাবি। দাদার খুনের বদলা নিতে মূল অভিযুক্ত সুজল সাউ দলবল নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সিট গঠন করে তদন্তে নামে পুলিশ। সেই খুনে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। 

Card image cap

৩ মাস ধরে নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ

বছর তেরোর নাবালিকাকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সৎ বাবাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বারাসত আদালত। দোষী বছর পঁয়তাল্লিশের টুনটুনি সর্দার নিউটাউন থানা এলাকার বাসিন্দা। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের শুরুতে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার মায়ের। তারপর থেকে সৎ বাবার কাছেই থাকছিল বছর তেরোর নাবালিকা।অভিযোগ, মায়ের মৃত্যুর কয়েকমাস পর অসহায়তার সুযোগ নিয়ে প্রায় তিনমাস ধরে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল টুনটুনি। ভয়ে, লজ্জায় ও মা না থাকায় কাউকেই সেকথা বলতে সাহস পায়নি নাবালিকা। কিন্তু ক্রমেই নির্যাতন বেড়ে চলে। শেষে বাধ্য হয়ে গত ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর সন্ধেয় নির্যাতিতা স্থানীয় ক্লাবে গিয়ে সৎ বাবার কুকীর্তির কথা জানায়। এরপরই ক্লাবের সদস্যরা প্রতিবেশী মহিলাদের সঙ্গে নির্যাতিতার কথা বলানোর ব্যবস্থা করেন। পুরো বিষয়টি জানার পর নিউটাউন থানায় অভিযোগ জানানো হয়। পরের দিন ১৮ অক্টোবর অভিযুক্ত সৎ বাবা টুনটুনি সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।প্রায় তিন বছর দুমাস ধরে বারাসত আদালতে এই মামলা চলে। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। বুধবার তার সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। এই প্রসঙ্গে এই মামলার সরকারি আইনজীবী গৌতম সরকার বলেন, “১৪জন সাক্ষী ও প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার প্রক্রিয়ার শেষে দোষীকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড-সহ ৫০হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এছাড়াও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, দোষীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ৫০হাজার টাকা-সহ সরকারি নিয়মানুযায়ী আর্থিক সাহায্য় নির্যাতিতা পাবে।”

Card image cap

ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের হদিশ

 বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা সংলগ্ন এলাকায় ঘুরছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। যা উসকে দিয়েছে লালগড়ের স্মৃতি। আগের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার তৎপর বনদপ্তর। ঝাড়গ্রাম ও ঝাড়খণ্ডের সীমানার বিস্তীর্ণ এলাকায় চলছে নজরদারি। সতর্ক করা হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদেরও। আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হওয়ার বার্তা দিয়েছেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার সিমলিপাল অভয়ারণ্য থেকে দু-তিন দিন আগে একটি বছর তিনেকের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বেরিয়েছে। বনাঞ্চল ধরে সে এগিয়েছে ঝাড়খণ্ডের দিকে। সূত্রের খবর, বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া বনাঞ্চলে রয়েছে বাঘটি। ঝাড়গ্রামের জামবনি ব্লকে রয়েছে চাকুলিয়ার সীমানা। জামবনি ব্লকে রয়েছে ওড়, আমতোলিয়া,বাঘাখন্দর, দর্পশিলা, চিচিড়া, বাঁকড়া, ফুলবেড়িয়া-সহ বিভিন্ন গ্রাম। এই গ্রামগুলোর থেকে চাকুলিয়ার দূরত্ব দেড় কিমি থেকে তিন-চার কিমির মধ্যে। সেই কারণেই জামবনি ব্লকের গিধনি এবং জামবনি-সহ অন্যান্য রেঞ্জের অফিসার, বনকর্মীরা নিজের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছেন। আর এই পুরো বিষয়টির নেতৃত্বে রয়েছেন ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম। তবে বাঘটি পুরুষ না স্ত্রী, তা এখনও জানাতে পারেননি ঝাড়গ্রাম বনদপ্তরের আধিকারিকরা।বছর ছয়েক আগে, সালটা ২০১৮, লালগড়ে দেখা মিলেছিল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। প্রায় ২ মাস লালগড়, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন জঙ্গলে ঘোরাফেরা করে সে। তার আক্রমণে মানুষের আহত হওয়ার ঘটনার পাশাপাশি বহু গবাদি পশুর মৃত্যু হয়। এত বছর পর বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার জামবনি ব্লকের গ্রামগুলোতে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াল দক্ষিণরায়। যদিও বনদপ্তর আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়েছে। জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং চলছে। এবিষয়ে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, “বাঘটি ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়ার দিকে আছে। বাংলার সীমানা থেকে প্রায় দশ কিমি দূরে। ঝাড়গ্রাম বনবিভাগের অফিসার-সহ পুরো টিম বাংলা বর্ডারে নজরদারি চালাচ্ছেন। মানুষজনকে বলব আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বনদপ্তর পুরো বিষয়টি নিয়ে তৎপর। “

Card image cap

বাংলাদেশিদের ‘নো এন্ট্রি’ শিলিগুড়ির হোটেলে

মালদহ, বারাসতের পর এবার শিলিগুড়ি। বাংলাদেশিদের বয়কটের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন শিলিগুড়ির হোটেল ব্যবসায়ীরা। স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেওয়া হল, এই পরিস্থিতিতে ওপার বাংলার কোনও পর্যটককে হোটেল ভাড়া দেওয়া হবে না। ফলে পর্যটন শিল্পে খানিকটা ক্ষতির আশঙ্কা থাকছেই। তবে দেশের সম্মানের স্বার্থে তা মেনে নিতে প্রস্তুত ব্যবসায়ীরা।গত কয়েকমাস ধরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ধারাবাহিক ঘটনায় গোটা বিশ্বের সমালোচনার কেন্দ্রে এখন বাংলাদেশ। বিশেষ করে হিন্দুদের উপর অত্যাচার মাত্রাছাড়া হয়ে চলেছে ইউনুস সরকারের আমলে। অবাধে ভাঙচুর চলছে মন্দির, উপাসনালয়ে। আর ওদিকে অত্যাচার যত বাড়ছে, এপারে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে আসার প্রবণতা বাড়ছে বাংলাদেশিদের মধ্যে। এদিকে ওপারে হিন্দু নির্যাতন ও ভারতের জাতীয় পতাকার অপমানের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের হোটেলগুলি প্রতিবেশী দেশের বাসিন্দাদের জন্য দরজা বন্ধ করছে। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল শিলিগুড়ি।সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান গ্রেটার শিলিগুড়ি হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটি। ছিলেন সংগঠনের সভাপতি রাজীব দাস, যুগ্ম সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ-সহ অন্যান্যরা। শিলিগুড়ির হোটেল মালিকদের এই সিদ্ধান্তেই আরও বিপাকে পড়তে চলেছে ওপার বাংলার পর্যটকরা। এদিকে খানিকটা হলেও ধাক্কা খাবে ব্যবসা। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, “ক্ষতি হবে না এমনটা নয়। তবে দেশ সবার উপরে। যে ক্ষতি হবে আমরা তা মানিয়ে নিতে পারব। তবে যেভাবে আমাদের দেশের পতাকার অপমান করা হচ্ছে, তা মানতে রাজি নই।”  

Card image cap

সোনা নিয়ে চম্পট কারিগরের

কারিগরকে সোনা গড়তে দিয়েছিলেন বউবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী। কথা ছিল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গয়না ফেরত দেবেন তিনি। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়া পরও সোনা পাননি ব্যবসায়ী। এমনকী বেপাত্তা হয়ে যান কারিগর। মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ জানান ব্যবসায়ী। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের থেকে ৪৪১ গ্রাম সোনা ও ৪৫ হাজার টাকা নগদ উদ্ধার করেছে তদন্তকারীরা। তাঁকে কলকাতায় আনা হচ্ছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অক্টোবর মাসে বিপুল কর্মকার নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী গয়না গড়তে নদিয়ার বাসিন্দা দিলীপকে সোনা দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও সোনা ফেরত দেননি তিনি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার বাসিন্দা। বিভিন্ন সূত্র ও মোবাইল ফোনের লোকেশন ধরে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত কৃষ্ণনগর বাস স্ট্যান্ডের কাছে সঙ্গীতা সিনেমা হলে যাবেন। সেই মোতাবেক কৃষ্ণনগর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তদন্তকারীরা। সেখানেই অপেক্ষা করতে থাকেন তাঁরা। দিলীপ ঘটনাস্থলে আসতেই গ্রেপ্তার করা হয়।ধৃতকে হাতে পেতেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন আধিকারিকরা। তার পরই দিলীপের থেকে চুরি যাওয়া সোনা ও নগদ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। আইনি প্রক্রিয়া মেনে সোনা মালিকের হাতে তুলে দেওয়া হবে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে।

Card image cap

পণের দাবি না মানায় স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন স্বামীর!

বিয়ের মাত্র সাত মাস। প্রায় প্রথম দিন থেকেই পণের দাবিতে চলত অত্যাচার! সেই দাবি না মানায় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। কল্যাণীর হরিণঘাটা থানা এলাকার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য এলাকায়। অভিযুক্তের দাবি, তাঁর স্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তারের পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম নীতিকা বিশ্বাস রায়। বয়স ২২ বছর। তিনি হরিণঘাটা থানার জাহিরা পাড়া বাসিন্দা ছিলেন। প্রায় সাত মাস আগে হরিণঘাটা থানারই বসন্তপুর এলাকার বাসিন্দা, বছর ২৪-এর আকাশ রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। দুজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে।মৃতার বাপের বাড়ির দাবি, আগে সব ঠিক থাকলেও বিয়ের পর থেকে তাল কাটতে শুরু করে। অভিযোগ, তরুণ বার বার পণের দাবি করতে থাকেন। নীতিকা তা না মানায় তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চলত বলে অভিযোগ। বাপের বাড়িতেও তা জানিয়েছেন নীতিকা। এই আবহে, শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর বাপের বাড়ির কাছে খবর যায় বেঁচে নেই নীতিকা। বাবা-মা তড়িঘড়ি ছুটে আসেন বসন্তপুরে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে। পরিবারের দাবি, তাঁরা এসে দেখেন মেঝেয় শোয়ানো রয়েছে নীতিকাকে। খবর যায় হরিণঘাটা থানায়। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হরিণঘাটা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁদের মেয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। হরিণঘাটা থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মৃতার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে আকাশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নীতিকার এক আত্মীয় বলেন, “ওদের দাবি নিতিকা গলায় দড়ি দিয়েছে। আমরা তা মানছি না। আমাদের অনুমান মেয়েকে মারধর করে খুন করা হয়েছে। দোষীর কঠোর শাস্তি চাই।”

Card image cap

বসিরহাটে আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ

ক্যারম খেলাকে কেন্দ্র করে আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে রক্তারক্তি কাণ্ড বসিরহাটের হাড়োয়ায়। আহত মহিলা-সহ ১২ জন। আহতরা হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  ক্যারম খেলাকে কেন্দ্র করেই এই অশান্তি নাকি পিছনে অন্য কোনও কারণ? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বসিরহাটের হাড়োয়ার আটপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি চায়ের দোকানে ক্যারম খেলছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সর্মথকরা। অভিযোগ, সেই সময় আইএসএফ নেতা সেলিম মোল্লা ও সালাউদ্দিন ঢালির নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী তাতে বাধা দেয়। এর পরই লোহার রড ও বন্দুকের বাট দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে বলে দাবি তৃণমূলের। হামলায় বেশ কয়েকজনের মাথা ফাটে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত মহিলারা বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুপক্ষের সংঘর্ষে ১২ জন গুরুতর আহত হন। হাড়োয়ার তৃণমূল নেতা বাপ্পা মণ্ডল বলেন, “আমাদের কর্মী-সমর্থকরা ক‍্যারম খেলছিলেন। তখন হঠাৎ রড, বাঁশ ও বন্দুকের বাট দিয়ে বেধড়ক মারধর করে আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। মহিলারা প্রতিবাদ করলে তাঁদেরকেও মারধর করা হয়। তাঁদের জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়।” অভিযোগ অস্বীকার করে হাড়োয়ার আইএসএফ নেতা পিয়ারুল ইসলাম বলেন, “কিছুদিন আগে হাড়োয়া বিধানসভায় উপনির্বাচন কীভাবে ভোট হয়েছে সেটা সবাই জানে। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ওরা নিজেরাই মারপিট করে আইএসএফের নামে দোষারোপ করছে। এর সঙ্গে আইএসএফের কোনও যোগ নেই।”

Card image cap

বনগাঁয় অনুপ্রবেশ করে গ্রেপ্তার ৩ বাংলাদেশি হিন্দু

চোরাপথে ভারতে এসে বনগাঁয় গ্রেপ্তার তিন বাংলাদেশি। প্রাণভয়ে বুধবার এদেশে অনুপ্রবেশ করে তাঁরা। আশ্রয় নেন এক আত্মীয়ের বাড়িতে। খবর পেয়ে সেখান থেকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করল তাঁদের। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারির ঘটনায় পরিস্থিতি আরও বিগড়েছে। হিন্দুদের উপর অত্যাচার বাড়ছে বলেও অভিযোগ। এই আবহে বুধবারে চোরাপথে বনগাঁয় পালিয়ে আসে এক দম্পত্তি ও তাঁদের ভাগ্নে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম গীতা মণ্ডল, ভবসিন্ধু মণ্ডল ও তাঁদের ভাগ্নে সুদীপ মণ্ডল। ধৃতরা প্রত্যেকেই ওপার বাংলার গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। ওই দম্পতির মেয়ে বর্ণা মণ্ডলের এ রাজ্যে বিয়ে হয়েছে। তিনি শ্রীরামপুরের বাসিন্দা। তাঁর দাবি, বাংলাদেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সে কারণেই তাঁর বাবা-মা ভারতে পালিয়ে এসেছেন। এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা। অনুপ্রবেশকারীরা যাঁর বাড়িতে থাকছিলেন সেই খোকন বিশ্বাস বলেন, “ওদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছে। বেছে বেছে হিন্দুদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এঁরা ভয়ে এক ভাগ্নেকে সঙ্গে নিয়ে এখানে চলে এসেছেন। জানতে পেরে পুলিশ ধরেছে।” একই কথা দম্পতির মেয়ে বর্ণা মণ্ডল মুখে, “বাংলাদেশে সর্বত্র ভয়ের পরিবেশ। ভয়ে বুধবার বাবা-মা এখানে চলে এসেছেন। পুলিশ জানতে পেরে গ্রেপ্তার করেছে।”এদিকে, হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেপ্তারির পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল তা কার্যত স্বীকার করে অন্তর্বর্তী সরকার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, ‘দেশের অস্থির এলাকায় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

Card image cap

সোনার দোকানে দুঃসাহসিক চুরি

গভীর রাতে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক চুরি! শাটার ভাঙার পর দোকান ঘরে ঢুকে ভল্ট ভেঙে সোনা ও টাকা চুরি করা হয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তেহট্ট থানার দেবনাথপুর বাজারে। জানা গিয়েছে, নগদ ৭০ হাজার টাকা-সহ ১০ লক্ষের সোনা ও রুপোর অলংকার নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। যাওয়ার সময় তারা সিসিটিভির হার্ড ডিস্কও নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তেহট্ট থানার পুলিশ।ওই দোকানের মালিক শুভদীপ সরকারের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান, বুধবার দোকান বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে দোকান খুলতে এসে দেখেন পাশের দেওয়ালের শাটার ভাঙা। দোকানের ভিতরের ভল্টের সামনের অংশ ভেঙে আলাদা জায়গায় রাখা রয়েছে। দোকানের সমস্ত জিনিসপত্র এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। ভল্ট কেটে ও ড্রয়ার ভেঙে চুরি হয়ে গিয়েছে সমস্ত জিনিসপত্র। দোকান মালিকের দাবি , সোনা-রুপোর গয়না ও টাকা-সহ ১০ লক্ষ টাকা খোয়া গিয়েছে। ঘটনায় দোকানের ভিতরে লাগানো সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক নিয়েও পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী দিলীপ সরকার বলেন, এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার এই এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। বাজারে বারবার চুরির ঘটনা আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। কে বা কারা এই চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছে তা এখনও পর্যন্ত কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। জানা গিয়েছে, চুরি যাওয়া সোনার গয়নাগুলো বিয়ে বাড়ির বায়না অনুযায়ী করা হয়েছিল। এখন সেই সমস্ত ব্যক্তিদের হাতে কিভাবে অলংকার তুলে দেবেন সেই ভেবেই মাথায় হাত পড়েছে শুভদীপবাবুর। পুলিশ জানিয়েছে, আশপাশে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া চলছে। আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই দুষ্কৃতীদেরগ্রেপ্তার করে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Card image cap

বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই রায়গঞ্জের কারখানা

বিধ্বংসী আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত কেক-বিস্কুট তৈরির একটি কারখানা। মঙ্গলবার গভীর রাতে এই ভয়াবহ আগুন লাগে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। কারখানায় তিন শিফ্টে প্রায় দুই হাজার কর্মী কাজ করতেন। কারখানা পুড়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে তাদের। কাজ হারানোর আশঙ্কা করছেন কর্মীরা। কারখানার আগুনে আশপাশের বেশ কিছু বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।মঙ্গলবার গভীর রাতে কারখানার ভিতর আগুন দেখতে পান কর্তব্যরত কর্মীরা। সেই আগুন অনতিপরেই বিধ্বংসী আকার নেয়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে বেকারির দোতলা-তিনতলার গুদামঘরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ১২ টি দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছয়। রায়গঞ্জের পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ ও বিহার লাগোয়া ডালখোলা থেকেও দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছেছিল। যদিও আগুন ততক্ষণে গ্রাস করে নিয়েছে গোটা কারখানা।দমকলের উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। সেই কারণে আগুন আগে নেভাতে পারা গেল না। সেই অভিযোগ করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও কারখানার কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দমকল কর্মীদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা। ওই বেকারিতে তিন শিফ্টে অন্তত দুই হাজার কর্মী কাজ করতেন। আগুনের জেরে এখন কর্মহীন হয়ে পড়লেন। উত্তরবঙ্গ-সহ বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় এই বেকারির পাউরুটি, কেক, বিস্কুট সরবরাহ করা হত।এত বড় কারখানায় অগ্নি নির্বাপকের পর্যাপ্ত পরিকাঠামো কি ছিল ? আগুন লাগল কীভাবে ? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভোর পর্যন্ত সেই আগুন জ্বলেছে। শটসার্কিট থেকে আগুন লাগল ? নাকি অন্য কোনও ঘটনা ? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। রাতের শিফ্টে বহু কর্মী কাজ করছিলেন। তারা আগুন দেখে কারখানা থেকে দ্রুত বেরোন। প্রাণহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি।

Card image cap

উত্তাল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়

অশিক্ষক কর্মীকে সাসপেন্ডের প্রতিবাদ। রাতভর রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখল টিএমসিপি ও সারা বাংলা শিক্ষাবন্ধু সমিতির সদস্যরা। অশান্তির জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন উপাচার্য। পুলিশ সকালে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলেও বাধার মুখে পড়তে হয়। পরবর্তীতে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।জানা গিয়েছে, সম্প্রতি উপাচার্য দীপককুমার রায়ের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লার্ক তপন নাগের বিরুদ্ধে। এর পরই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। তিনি সারা বাংলা শিক্ষাবন্ধু সমিতির সদস্যও। তার সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ক্যাম্পাস। পরবর্তীতে সাসপেনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথাও জানা যায়। এর পর সোমবার জানা যায়, সাসপেনশন তুলে নেওয়া হলেও আপাতত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না তপনবাবু। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে টিএমসিপি, সারা বাংলা শিক্ষাবন্ধু সমিতি। উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, দুই বিভাগের ডিনকে ঘেরাও করে তারা। রাতভর চলে অশান্তি।এই অশান্তির জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ভিসি দীপককুমার রায়। পুলিশ সকালে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করলেও বাধার মুখে পড়তে হয়। অভিযোগ, ক্যাম্পাসের ভিতরে গাড়িতে উঠতে দেওয়া হয়নি উপাচার্যকে। কোনওক্রমে পুলিশের কাঁধে ভর দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়েন তিন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি তিনি। এদিকে এখনও চলছে অশান্তি। উল্লেখ্য, রসায়নের এক অধ্যাপককেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে সবপক্ষই।

Card image cap

অনুমতি ছাড়াই ৮ তলা বিল্ডিং!

জবরদখল ও বেআইনি নির্মাণ রুখতে কড়া মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো মঙ্গলবার সকালে শহরের প্রাণকেন্দ্রে বেআইনি বহুতল নির্মাণ বন্ধে পদক্ষেপ নিল বর্ধমান পুরসভার পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকার। আগামী সাতদিনের মধ্যে মালিকপক্ষকে সঠিক কাগজপত্র দেখানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। তা দেখাতে না পারলে নির্মাণটি ভেঙে ফেলা ও মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন চেয়ারম্যান।বর্ধমানে কালীবাজার এলাকায় একটি ৮ তলা আবাসন নির্মাণের কাজ চলছিল। অভিযোগ, ওই নির্মাণের জন্য মালিকপক্ষের কাছে পুরসভার অনুমোদন নেই। আরও অভিযোগ, কয়েকবার কাগজ দেখানোর কথা বলা হলেও আমল দেননি তাঁরা। তবে মালিকপক্ষের দাবি, ২০১৮ সালে নির্মাণের জন্য নকশার ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুরসভা পালটা জানিয়েছে, যেখানে ৮ তলা আবাসনের কাজ চলছে সেখানে এই নির্মাণ করা যায় না। মঙ্গলবার সকালে এই নির্মীয়মাণ আবাসনে যান পুরপ্রধান। সঙ্গে ছিলেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। মাপজোখের পর কাজ বন্ধের নোটিস টাঙিয়ে দেন তাঁরা।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে পুরসভার অভিযানের আগে সেখানে কাজ চলছিল। কোনওভাবে পুরপ্রধানের আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যায় সবাই। ঘটনাস্থলে ছিলেন এক সিকিউরিটি গার্ড। তিনি জানান, একটি বেসরকারি সংস্থার তরফ থেকে তাঁকে এখানে নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি কিছুই জানে না। পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকার বলেন, “শহরের প্রাণকেন্দ্রে বেআইনি নির্মাণ চলছিল। মালিকপক্ষকে অনেকবার কাগজপত্র নিয়ে পুরসভায় যেতে বলা হয়েছিল। তাঁরা যাননি। বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধের মতো কড়া সিদ্ধান্ত নিতে হল। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই নির্মাণের সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারলে আইনানুগ ব্যব্স্থা নেওয়া হবে।”

Card image cap

রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি গবেষকরা বিপাকে

অগ্নিগর্ভ পদ্মাপার। বিদেশে গবেষণার ভিসা সরবরাহ প্রক্রিয়া বন্ধ বাংলাদেশে। ফলে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধীনে মৌলিক আবিষ্কারের লক্ষ্যে নিরন্তর গবেষণা আচমকাই থমকে গিয়েছে। যার জেরে বিপাকে কাঁটাতারের ওপারের উচ্চশিক্ষিতরা। স্বাভাবিকভাবেই পিএইচডি ডিগ্রি লাভের সুযোগ হাতছাড়া ওপার বাংলার একঝাঁক মেধাবী শিক্ষার্থীর।প্রায় এক দশক আগে চালু হওয়া উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করতে ওপার বাংলার আগ্রহী মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা আসেন। ইতিমধ্যে ওপারের অনেক কৌতূহলী শিক্ষার্থী পিএইচডি করেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। অনেকে নতুন করে গবেষণার কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু সম্প্রতি উত্তাল বাংলাদেশ থেকে আর রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের আসতে পারছেন না বাংলাদেশের পড়য়ারা। এই আবহে এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে গবেষণা করার ভিসা দেওয়া কার্যত স্তব্ধ।এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩৫ জন গবেষক বাংলাদেশের পড়ুয়া। কিন্তু অধিকাংশ ফাইনাল অ্যাওয়ার্ড হাতে পাননি। বছর দুয়েক আগে ওপারের সুভাষ রায় ইংরেজি বিভাগে গবেষণা করতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কোর্স ইন ওয়ার্কে’ ভর্তি হয়েছিলেন। গবেষণার কাজ শুরু করেও বর্তমানে ভিসা না মেলায় এপারের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারছেন না তিনি। মাঝপথে বন্ধ তাঁর গবেষণা। একই অবস্থা ওপারের অর্থনীতি বিভাগের সরিফুল ইসলামের। গবেষণার কাজ প্রায় শেষ করেও ভিসা না মেলায় রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইনাল অ্যাওয়ার্ড সংগ্রহ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গবেষণার থিসিস পেপার জমা দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আর এ দেশে আসতে পারছেন না।এ বিষয় রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য দীপককুমার রায় বলেন, “অর্থনীতি থেকে শুরু করে ইতিহাস-সহ বাংলা ও ইংরেজি কিংবা বাণিজ্য শাখায় উচ্চতর গবেষণা করতে গত কয়েক বছর ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিতেন বাংলাদেশের অনেক মেধাবী ছাত্রছাত্রী। কিন্তু এখন ওপারের অশান্তির জেরে ভিসা বন্ধ। ফলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের গবেষক ছাত্রছাত্রীরা আসতে পারছেন না।” ওই উচ্চ শিক্ষাকেন্দ্রের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, “বাংলাদেশের রিসার্চ ভিসা না মেলায় রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গবেষণারত ওপারের দশ ছাত্রছাত্রী এ দেশে আসতে পারছেন না। অন্ততপক্ষে আরও দশজনের গবেষণা কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।”