CATEGORY district:

Card image cap

রায়গঞ্জ মেডিক্যালে ঢুকে রোগীকে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টা!

বকেয়া টাকা চাওয়ার জের। মারধরের পর মাঝরাতে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে ঢুকে রোগীর গায়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ২ যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল। প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ বিষয়ে মুখ খোলেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত বারোটা নাগাদ রায়গঞ্জ শহরের অদূরে সুভাষগঞ্জের দাসপাড়া এলাকায় একটি চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন কাঠের মিস্ত্রি সুরজিৎ দাস। হঠাৎ রামপ্রসাদ দাস এবং প্রকাশ দাস নামে দুই গাড়ি চালক ওই দোকানের সামনে পৌঁছন। রামপ্রসাদের কাছে বকেয়া টাকা চান সুরজিৎ। এতেই বিপত্তি। আচমকা সুরজিতকে মারধর শুরু করেন ওই দুই যুবক। আচমকা ইট ছুঁড়ে মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন সুরজিৎ। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ, স্ক্যান করে ফেরার সময় হাসপাতালের মধ্যেই সুরজিৎকে গায়ে পেট্রল ঢেকে আগুন ধরিয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ক্যাম্পাসেই পুলিশ ফাঁড়ি। প্রতিটি ওয়ার্ডে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন রয়েছে। তা সত্ত্বেও বোতলে পেট্রল নিয়ে হাসপাতালের ক্যাম্পাসে দুষ্কৃতীরা কীভাবে প্রবেশ করল? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবিষয়ে হাসপাতালে কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ প্রিয়ঙ্কর রায় বলেন, “রাতের ঘটনা খোঁজ নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।”

Card image cap

পূর্ব বর্ধমানে বেপরোয়া গতির বলি ২

উৎসবের রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায়। চারচাকা গাড়ির বেপরোয়া গতির বলি ২। আহত ৫। আহতরা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়দিনের রাত ৯টা নাগাদ গুসকরা মানকর রোডে ধারাপাড়ার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গুসকরার দিকে আসা একটি চারচাকা গাড়ি বেপরোয়া গতিতে ছুটছিল। এরপর হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি ধারাপাড়ায় রাস্তার ধারে একটি মুদিখানায় ধাক্কা মারে। দোকানটি ভাঙার পর এক পথচারী ও বাইক এবং সাইকেলে ধাক্কা দেয়। তারপর চারচাকা গাড়িটি উলটে যায়। ঘাতক গাড়িটির চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ সাতজনকে উদ্ধার করে গুসকরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম কালীপ্রসাদ পাল ও শ্রীমন্ত দাস। শ্রীমন্তের বাড়ি গুসকরা এলাকার বাসিন্দা। কালীপ্রসাদ বাড়ি ভেদিয়ায় বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর আহত তিনজনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। দুজনের চিকিৎসা চলছে গুসকরা হাসপাতালে। ঘটনায় শহরের পথ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Card image cap

বন্ধ বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে যৌথ কুচকাওয়াজ

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারির পর অবস্থা আরও বিগড়েছে। বেছে বেছে হিন্দুদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। সেই আঁচ এসে পড়েছে ভারতেও। এই আবহে ভারত-বাংলাদেশ বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে বন্ধ দুদেশের যৌথ কুচকাওয়াজ। ফিরে যাচ্ছেন পর্যটকেরা। এই কুচকাওয়াজ পুনরায় শুরু করার দাবি জানিয়েছেন ভারতীয় ও বাংলাদেশিদের একাংশ। পাঞ্জাবের ভারত-পাকিস্তানের ওয়াগা সীমান্তের অনুরূপ ২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত- বাংলাদেশের বনগাঁ সীমান্তে পেট্রাপোলে দুদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যৌথ কুচকাওয়াচ শুরু হয়। প্রতিদিন বিকেলে নো-ম্যানস ল্যান্ডে দুদেশে জওয়ানেরা একসঙ্গে প্যারেড করতেন। এই যৌথ কুচকাওয়াজ দেখতে রাজ্য তথা দেশের বহু মানুষ পেট্রাপোল সীমান্তে ভিড় জমাতেন। স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের নিয়ে হাজির হতেন শিক্ষকরাও। দর্শকদের বসার জন্য দুদেশের নো-ম্যানস ল্যান্ডে গ্যালারিও তৈরি করা হয়। তা এখন ফাঁকা থাকছে।এর আগেও করোনার সময় যৌথ কুচকাওয়াচ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে পরে তা শুরু হয়। তবে প্রতিদিনের বদলে সপ্তাহের দুদিন শনি-মঙ্গলবার সেই কুচকওয়াজ চলত। আধা ঘণ্টার অনুষ্ঠানে প্যারেড দেখতে ভিড় জামাতেন বহু মানুষ। বর্তমানে বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতিতে এই যৌথ প্যারেড বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, তাঁরা ওয়াগাতে যেতে পারবেন কি না ঠিক নেই, বাড়ির সামনে এই অনুষ্ঠান ফের শুরু হোক।

Card image cap

কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে শুটআউট

কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে শুটআউট। বচসার মাঝেই এক ক্রেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ বার মালিকের বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন গুলিবিদ্ধ যুবক। অভিযুক্ত বার মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সামান্য বচসা থেকেই গুলি? নাকি নেপথ্যে অন্য রহস্য, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ যুবক। বিধায়ক সনৎ দে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবক দিনভর মদ্যপ হয়ে থাকেন। আগেও তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্নরকম অভিযোগ উঠেছে।  জানা গিয়েছে, শিবদাসপুর থানা অন্তর্গত কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের পাশেই রয়েছে সোনু বার। সেটির বর্তমান মালিক তন্ময় ঘোষ ওরফে সোনু। সোমবার গভীর রাতে বারে ক্রেতারা ছিলেন। সেখানেই ছিলেন কাঁচরাপাড়ার বাসিন্দা শৈবাল ঘোষ। কোনও কারণে আচমকা তন্ময়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় তাঁর। ক্রমেই তা বিরাট আকার নেয়। এক পর্যায়ে আচমকা সঙ্গে থাকা রিভলবার বের করে শৈবালকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তন্ময়। গুলি লাগে তাঁর পায়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় শিবদাসপুর থানায়। পুলিশ গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে যুবককে। তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতার এক বেসরকারি হাসাপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে শৈবালের। এদিকে বারে বচসার জেরেই গুলি কি না, তাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শীঘ্রই গোটা বিষয়টা প্রকাশ্যে আসবে।  

Card image cap

সীমান্ত পেরতে গিয়ে গ্রেপ্তার ইরানের ৩

প্রেম যে কোন বাধাই মানে না, ফের তা প্রমাণিত। জাল পাসপোর্টে ভারতে এসে দীর্ঘদিন বসবাসের পর নেহাত প্রেমের টানে এই উত্তাল সময়েও ইরানে ফিরতে চেয়েছিলেন অনুপ্রবেশকারী যুবক। কিন্তু সহায় হল না ভাগ্য। বন্ধুর প্রেমের টান বিপাকে ফেলল সঙ্গী ২ যুবককেও। সামশেরগঞ্জ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিএসএফের জালে ইরানের ৩ যুবক।ইরানের বাসিন্দা ওই তিন যুবক। বছর আটেক আগে জাল পাসপোর্ট ও ভিসা বানিয়ে দিল্লিতে এসেছিলেন ইরানের ওই তিনযুবক। উদ্দেশ্য ছিল উপার্জন। রাজধানীর বুকে বিভিন্নরকম কাজ করতেন তাঁরা। তা দিয়েই দিন গুজরান। কিন্তু ঘটনাচক্রে পুলিশের নজরে পড়ে যান তাঁরা। যেহেতু বৈধভাবে আসেননি, ফলে মনে ভয় ছিল। এরপরই নিশ্চিন্ত ঘাঁটি হিসেবে বাংলায় আসার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। বাংলায় তিনজন তিনপ্রান্তে থাকতে শুরু করে। এরাজ্যের বাসিন্দা হিসেবে ভুয়ো পরিচয়পত্রও তৈরি করে ফেলে। এপর্যন্ত সবটা পরিকল্পনামাফিকই চলছিল। সমস্যার শুরু, এক যুবক দেশ অর্থাৎ ইরানের তরুণীর প্রেমে পড়ায়।প্রেমিকার জন্য দেশে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ওই যুবক। বাকি দুজনকে সঙ্গে নিয়েই ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু আগেই ইরান থেকে ভারতে আসার ভুয়ো পাসপোর্ট ছিড়ে ফেলেছেন তাঁরা। কীভাবে ইরান ফিরবেন, তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না তাঁরা। সেই সময় এক দালালের দেখা পান তাঁরা। ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাঁদের দেশে ফেরানোর আশ্বাস দেন ওই যুবক। ঠিক হয়েছিল, সীমান্ত থেকে জলপথে বাংলাদেশ পাঠানো হবে ওই যুবকদের। তারপর সেখানে তৈরি করা হবে ভুয়ো পাসপোর্ট-ভিসা। সেখান থেকে পাঠানো হবে ইরান। তবে পরিকল্পনা ফলপ্রসূ হল না। সামশেরগঞ্জ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে গিয়েই বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যান তিন যুবক।

Card image cap

গ্রেপ্তার অনুপ্রবেশকারী ও আশ্রয়দাতা

জাল নথি বানিয়ে বছরভর বাংলায় বাস বাংলাদেশি নাগরিকের! খবর পেয়ে সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ এলাকা থেকে অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তার আশ্রয়দাতাকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এদিন দুজনকে বালুরঘাট আদালতে তোলা হলে সাতদিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সে কোথা থেকে জাল নথি বানিয়েছিল, জেরা করে জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।ধৃতের নাম রবিউল ইসলাম। বাড়ি বাংলাদেশের দিনাজপুরের দণ্ডপানি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় একবছর আগে সীমান্ত পেরিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরে ঢুকেছিল সে। কুমারগঞ্জের জাকিরপুরের ৪২ বছরের বাসিন্দা খাইরুল মণ্ডলে বাড়িতে আশ্রয় নেয়। দুজনে একসঙ্গে ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজও করত। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে জেলা পুলিশের কানে বিষয়টি পৌঁছতেই অ্যাকশন নিল তারা। অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেপ্তারির পাশাপাশি পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে রবিউলের জাল আধার কার্ডও উদ্ধার করে। কোথা থেকে এই নথি তৈরি করা হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে।দুজনকে আদালতে তুলে দশদিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ। বিচারক সাতদিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন। দুজনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা। জানতে চাইবেন, অনুপ্রবেশে মদত দিয়েছিল কারা? কাদের সাহায্য়ে তৈরি হয়েছিল জাল আধার কার্ড? আর কারা কারা রাজ্যে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছে?সীমান্তের ওপারে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে এ রাজ্যে সতর্ক প্রশাসন। অনুপ্রবেশের দিকে রয়েছে কড়া নজর। আর সেই কড়াকড়ির মধ্যে একের পর এক সীমান্তবর্তী জেলা থেকে অবৈধ নাগরিকদের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে। যারা জাল নথি বানিয়ে দিব্যি বাংলার বাসিন্দা হয়ে গিয়েছে।

Card image cap

কাউন্সিলরের মাথা ফাটাল ছেলে

মদ্যপ ছেলে নিত্য অত্যাচার করে বাবা-মায়ের উপর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত তিনি। বৃদ্ধ দম্পতির মদ্যপ ছেলে মাথা ফাটাল কাউন্সিলরের! ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শংকর সরকার। স্ত্রী বন্দনা ও ছেলে শুভঙ্করকে নিয়ে থাকতেন তিনি। অভিযোগ, প্রতিদিনই টাকার দাবিতে বাবা-মায়ের উপর অত্যাচার করত শুভঙ্কর। রবিবার রাতেও শুরু হয় অশান্তি। বাবা-মাকে বেধড়ক মারধর করেন অভিযুক্ত। খবর পান তৃণমূল কাউন্সিলর জ্যোতি চক্রবর্তী। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান তিনি। বাধা দিতেই শুভঙ্কর কাউন্সিলরের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেন। রক্তাক্ত অবস্থায় জ্যোতি চক্রবর্তীকে ব্যারাকপুর বি এন বসু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে।আক্রান্ত কাউন্সিলর বলেন, “রোজ এমন ঘটনা ঘটে। রবিবার রাতে মাত্র ছাড়িয়ে যায়। মার্বেল নিয়ে অসুস্থ বাবা মা কে মারতে গিয়েছিলেন শুভঙ্কর। আমি বাঁচাতে গেলে আমার অপর চড়াও হয়। মাথায় মারে।” এই ঘটনার পর থেকে ছেলেকে বাড়িতে ঢুকতে দেননি আক্রান্ত দম্পতি। ছেলের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা।

Card image cap

পুলিশের তোলাবাজি এড়াতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারাল ট্রাক্টর!

বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা ইট বোঝাই ট্রাক্টরের তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। ঘটনা ঘিরে মুহূর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দুর্গাপুরের নিউ স্টিল পার্ক মোড়। ঘণ্টা দুয়েক পেরিয়ে গেলেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। পুলিশের তোলাবাজির হাত থেকে বাঁচতে ট্রাক্টরটি তীব্র গতিতে ছুটতে থাকে বলে অভিযোগ তাঁদের। সেই সময় মহিলাকে পিষে দেয় গাড়িটি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।মৃত মহিলার নাম রনেত পারভিন। বয়স ২৫ বছর। শনিবার সকালে স্বামী শেখ সাবিরের সঙ্গে তাঁদের সন্তানকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যান রনেত। বাইকে চেপে নিউ স্টিল পার্ক এলাকার বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। রাস্তা পার করে নিউ স্টিল পার্ক মোড়ে যাওয়ার জন্য রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটিকে ধাক্কা মারে ট্রাক্টরটি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রনেতকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতলে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত শিশু ও শেখ সাবির। তারপরই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকী ইট ছুড়তেও দেখা যায় স্থানীয়দের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের বিশাল বাহিনী। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে খবর।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ স্টিল পার্ক মোড়ের কাছে একটি একটি লিঙ্ক রোড রয়েছে। তার অদূরেই ডিএসপি অফিস। কিছুটা দূরে রয়েছে ত্রিপল টাঙানো অস্থায়ী ক্যাম্প। নির্দেশ অনুসারে, ওই লিঙ্ক রোড দিয়ে সকালে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ। রাতের দিকে মালবাহী গাড়ি চলে।কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে তোলাবাজি করা হয়। বদলে ওই লিঙ্ক রোড দিয়ে গাড়ি চলছে। শনিবার সেই তোলাবাজির হাত থেকে রেহাই পেতে জোরে গাড়ি চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ট্রাক্টরটি। প্রত্যক্ষদর্শী অসীম মিশ্র এবং শেখ রশিদের অভিযোগ, “এখানে দিবারাত্রি তোলাবাজি চলে পুলিশের। আজও পুলিশ তাড়া করছিল ট্রাক্টরটিকে। সেই জন্যই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক্টরটি উলটে যায়। পুলিশের এই তোলা আদায়ের জন্যই আজ মৃত্যুর মুখে পড়তে হল ওই মহিলাকে। আমরা চাইছি পুলিশের তোলাবাজি বন্ধ হোক। সঙ্গে এই রাস্তা দিয়ে দিনের বেলায় ভারী যান চলাচল বন্ধ করা হোক।”

Card image cap

বড়মার নামে আর্থিক প্রতারণায় গ্রেপ্তার ‘গুণধর’

নৈহাটির বড়মার অনলাইনের পুজোর নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা! নৈহাটি বড় কালী পুজো সমিতির তরফে শুক্রবার নৈহাটি থানায় এমনই অভিযোগ দায়ের হলে রাতেই কালপিটকে হুগলির রিষড়া ষষ্ঠীতলার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতের নাম সুরজিৎ কুন্ডু। শনিবার ধৃতকে বারাকপুর আদালতে পেশ করা হলে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি নর্থ গণেশ বিশ্বাস বলেন, “ধৃত কতদিন ধরে এই প্রতারণা চালাচ্ছিল, কত টাকা প্রতারণা করছে তা জানতে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।” ধৃতের কাছ থেকে ল্যাপটপ-সহ ব্যাঙ্কের নথি উদ্ধার হয়েছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। সেগুলি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১০১তম বর্ষের কালী পুজোয় লক্ষাধিক ভক্তের আগমনের অনুমান সহ রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ, বিদেশের বড়মার ভক্তদের পুজোর ব্যবস্থা করতে কয়েকমাস আগেই ‘জয় বড় মা’ অ্যাপ চালু করেছে নৈহাটি বড়কালী পুজো সমিতি। অনলাইনে অফিশিয়ালি এই অ্যাপের মাধ্যমে পুজো দিতে গেলে প্রণামী বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু, গত বৃহস্পতিবার পুজো সমিতির সম্পাদকের কাছে কানাডা থেকে এক ভক্ত জানায় ‘অনলাইন পুজো’ নামে একটি ওয়েবসাইটে বড়মার পুজোর নামে ১০০১ টাকা থেকে ৫০০১টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। এরপরই পুজো সমিতির সদস্যরা জানতে পারেন বহু ভক্তই ওই ভুয়ো ওয়েবসাইটে পুজো দিয়ে প্রচারিত হয়েছেন। পুজো সমিতির সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগ যাচাই করতে পুজো সমিতির সদস্যরা ওয়েবসাইটে গেলে দেখেন বড়মার অসংখ্য ছবি ওয়েবসাইটি সাজানো। সাধারণ মানুষ এক ঝলকে দেখলে বুঝবেন না ওয়েবসাইটটি ভুয়ো না আসল। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পুজো দিতে হলে নাম, ঠিকানা, গোত্র পূরণ করে একজনের জন্য পুজোর দিতে ১ হাজার ১টাকা, পরিবারের পুজো দিতে ২ হাজার ৫০১টাকা ও ভোগ সমেত পুজো দিতে ৫ হাজার ১ টাকার অপশন রয়েছে।এরপরই এক সদস্য ওয়েবসাইটে থাকা ফোন নম্বরে কল করলে তাকে পুজো সংক্রান্ত বিষয় জানতে আরেকটি নম্বর দেওয়া হয়। সেই নম্বরে ফোন করতেই ধৃত সুরজিৎ কুন্ডু ফোন তুলে নিজেকে বড়মা ট্রাস্টের সম্পাদক বলে পরিচয় দেয়। এরপরই প্রতারণার বিষয় নিশ্চিত হয়ে নৈহাটি থানায় অভিযোগ জানালে রাতেই গ্রেপ্তার হয় অভিযুক্ত। বড় কালী পূজার সমিতির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য বলেন, “অনলাইনে আমাদের পুজো দেওয়ার অফিসিয়াল অ্যাপের নাম ‘জয় বড় মা’। গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে সেটি পাওয়া যাবে। কিন্তু সুরজিৎ কুন্ডু ‘পুজো অনলাইন’ নামে একটি ওয়েবসাইট খুলে সেখানে অনলাইনে বড়মার পুজো দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছে। প্রতারণা করতে সে নিজে কাজু-কিশমিশ কিনে প্রসাদ বলে পাঠাচ্ছে। এছাড়াও ওই ভুয়ো ওয়েবসাইটে প্রায় সব হিন্দু দেবদেবীর পুজো দেওয়ার নামেও প্রতারণার ব্যবস্থা আছে। প্রায় সব ব্যাঙ্কেই ওদের অ্যাকাউন্ট আছে। যারা ধর্মের নামে মানুষের আবেগকে এভাবে আঘাত করে তাদের জেলবন্দি থাকা উচিত।

Card image cap

১০ দিন ধরে অমিল পানীয় জল

শীতের শুরুতেই পানীয় জলের সংকট কুলটির ইস্কোর আবাসনগুলিতে। পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছচ্ছে না বলে ক্ষোভ বাসিন্দাদের। এই অভিযোগে শুক্রবার ইস্কোর কুলটি সেইল গ্রোথ ওয়ার্কস কারখানার বাইরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। এদিকে জল না পাওয়ার দায় সরাসরি ডিভিসির উপর চাপিয়েছে ইস্কো।আবাসিকদের অভিযোগ, ইস্কোর তরফে গত ১০ দিন ধরে মিলছে না পানীয় জল। আসানসোল পুরসভার তরফ থেকে জল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু সেই জলে নিত্যদিনের প্রয়োজন মিটছে না। সেই কারণে, বাইরে থেকে প্রচুর টাকা দিয়ে ট্যাঙ্কারের জল কিনে আনতে হচ্ছে। সেই জলই ব্যবহার করছেন বাসিন্দারা। কত দিনে এই সমস্যার সুরাহা হবে? সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে বাসিন্দারা।এই পরিস্থিতিতে আজ শুক্রবার কুলটি, শিমুলতলা, হিল কলোনি, ইন্দিরা কলোনির বাসিন্দারা কারখানার গেট অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ইস্কো কারখানার বিভিন্ন জায়গায় আবাসন আছে। পুরসভার পাশাপাশি ইস্কোর তরফে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। বহু দশক ধরেই এই জল সরবরাহ চলে। কিন্তু এবার সেই জল পাওয়া যাচ্ছে না। টাউনশিপ ও এলাকায় পর্যাপ্ত জল দিতে হবে। সেই জল না পাওয়া পর্যন্ত কারখানা চালু রাখতে দেওয়া হবে না। জোরালো দাবি এদিন তোলেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সেই অবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। গোটা বিষয়টির জন্য আধিকারিকরা ডিভিসির দিকে আঙুল তুলেছেন। দাবি, কারখানাই পর্যাপ্ত জল পাচ্ছে না।কুলটি সেইল গ্রোথ ওয়ার্কসের চিফ জেনারেল ম্যানেজার আন্দোলনকারীদের জানিয়েছেন, ডিভিসি মাইথন থেকে যে জল ছাড়ে, তা পরিস্রুত হওয়ার পর সরবরাহ করা হয়। কারখানাতেও একই পদ্ধতিতে জল আনা হয়। প্রতিদিন টাউনশিপ ও কারখানায় মোট ১৪ হাজার কিউবিক মিটার জলের প্রয়োজন। সেখানে জল আসছে মাত্র দুই-তিন হাজার কিউবিক মিটার। জল না পাওয়ার কারণে কারখানার উৎপাদনেও প্রভাব পড়ছে। ডিভিসিকে ৬ ডিসেম্বর থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই আর্জিতেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও এদিন ফের ডিভিসিকে পর্যাপ্ত দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। এমনই জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

Card image cap

নরেন্দ্রপুরে ‘দাদাগিরি’ কাউন্সিলরের

বাগুইআটির পর নরেন্দ্রপুর। ফের ‘দাদাগিরি’ কাউন্সিলরের। দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীর নাবালক ছেলেকে মারধর করার অভিযোগ উঠল রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জিত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এখানেই থেমে যাননি তিনি, ওই দোকানে ভাঙচুর করার পর তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুব্রত সরকার নামে ওই ব্যবসায়ী। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর।জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রপুর স্টেশনের কাছে বাজারে সুব্রত সরকারের দুটি দোকান আছে। একটি বাসন ও অপরটি উপহার সামগ্রীর। তাঁর দাবি, দুটি দোকানেই ভাঙচুর করে তালা দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত ব্যবসায়ীর ছেলে তন্ময় সরকার বলেন, “উপহার সামগ্রীর দোকান খুলে বসেছিলাম। আমাদের এখানকার কাউন্সিলর রঞ্জিত মণ্ডল এসে দোকানের শাটার বন্ধ করতে বলেন। গালিগালাজ করেন। আচমকা চড়-থাপ্পড়, মাথার চুল ধরে টানেন তিনি। শাটারে লাথিও মারেন। স্থানীয় কয়েকজন আমাকে বাঁচান। তারপর দোকানে তালা মেরে দিয়ে চলে যান।”কিন্তু কেন হঠাৎ এই হামলা? ব্যবসায়ীর দাবি, দোকানের জায়গা দখল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছেন কাউন্সিলর। ব্যবসায়ী আরও বলেন, “সাত বছর আগেও আমার উপর হামলা হয়েছিল।” অভিযুক্ত কাউন্সলার অবশ্য বলছেন, “ওইটুকু বাচ্চা ছেলের গায়ে হাত দেব ! এখনও ১৭ পেরোয়নি। ভোটার লিস্টে নাম ওঠেনি। যাঁরা ছিলেন, তাঁরা বলুন আমি গায়ে হাত দিয়েছি কিনা।” এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। আতঙ্কে দিন কাটছে ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবারের। ভয়ে বাড়ি ছাড়া হয়ে গোপন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

Card image cap

কাটোয়ায় মাছ ধরার জালে আটকে মৃত্যু গাঙ্গেয় ডলফিনের

ফের কাটোয়ার ভাগীরথী নদী থেকে উদ্ধার একটি গাঙ্গেয় ডলফিনের দেহ। বুধবার একটি ডলফিন শাবকের দেহ উদ্ধার হয় কাটোয়া গোয়ালাপারা ঘাটের কাছে। ডলফিনটি ফুট চারেক লম্বা এই। ডলফিনটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। অনুমান জেলের মাছ ধরার নাইলনের জালে আটকানোর ফলেই ডলফিনটির মৃত্যু হয়েছে।বারবার ডলফিনের অপমৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমীরা। বিলুপ্ত প্রায় এই প্রজাতির বারবার মৃত্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। এনিয়ে বনবিভাগের আরও সতর্কতার প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন তাঁরা। পূর্ব বর্ধমানের এডিএফও সৌগত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ধারাবাহিক প্রচার চালাচ্ছি। প্রচারের ক্ষেত্রে অর্থেরও কিছুটা ঘাটতি আছে। তবুও চেষ্টা চলছে। আমরা নদীতে নজরদারির জন্য আরও কয়েকটা বোটও চেয়েছি। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর কাটোয়া শশ্মানঘাট এলাকায় ভাগীরথী নদী থেকে একটি ৬ ফুট লম্বা ডলফিনের দেহ উদ্ধার হয়। ওই ডলফিনটিকেও কার্যত মেরে ফেলা হয়েছিল বলে ধারণা। কারণ মাছ ধরার জালে আটকানোর ফলে সেটি মারা যায়। এভাবে এর আগেও একাধিক ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেখা গিয়েছিল। এদিন ফের একটি শিশু ডলফিনের দেহ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।  দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বনবিভাগ।

Card image cap

স্ল্যাব ভেঙে পায়ে আঘাত পেলেন তৃণমূল বিধায়ক

জনসংযোগ করতে বেরিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। বৃহস্পতিবার দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নিকাশি নালার উপর নড়বড়ে স্ল্যাবে আচমকা তাঁর পা পড়ে যায়। তাতেই বাঁ পায়ে আঘাত পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সেখানে বসিয়ে শুশ্রূষা শুরু করেন দলের কর্মীরা। তবে এই ঘটনায় বিধায়ক নিজেই টের পেয়েছেন এলাকার নিকাশি নালাগুলি কতটা বিপজ্জনক। নিজে চোট পাওয়ার পর নিকাশি নালাগুলির উপর ভাঙা স্ল্যাব সরিয়ে নতুন করে মেরামতির অর্ডার দিয়েছেন অসিত মজুমদার।গত লোকসভা নির্বাচনে চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল পিছিয়ে পড়ার পর থেকেই বিধায়ক অসিত মজুমদার নিজে উদ্যোগী হয়ে নিয়মিত জনসংযোগে নেমেছেন। রোজই কোনও না কোনও এলাকায় তিনি নিজে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার গিয়েছিলেন দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। জনগণ জল-সহ নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ জানাচ্ছিলে তাঁর কাছে। এই সময়েই একটি জায়গায় নিকাশি নালার উপর থাকা স্ল্যাবে পা পড়ে যায় বিধায়কের। তাঁর বাঁ পায়ে আঘাত লাগে।এ প্রসঙ্গে বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ”আজ দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় মানুষের অভিযোগ শুনতে গিয়েই এই বিপত্তি ঘটে। এলাকাবাসীর বিভিন্ন অভিযোগ শুনতে গিয়েই আমার ডান পা একটি স্ল্যাবের উপর পড়ে। তারপর থেকে আমার বাঁ পায়ে যন্ত্রণা টের পাচ্ছি।” সঙ্গে থাকা তৃণমূল কর্মীরা অবশ্য বিধায়কের পাশে থেকে তাঁকে নানাভাবে সেবা করেন। আজকের ঘটনার পর ওই এলাকার বিভিন্ন নিকাশি নালার উপর ভাঙা স্ল্যাবগুলিকে নতুন করে মেরামত করার নির্দেশ দেন বিধায়ক।গোটা বিষয়টি নিয়ে বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউয়ের প্রতিক্রিয়া, ”আমরা সকলেই বিধায়কের সুস্থতা এবং দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। আজ বিধায়ক যে পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন, সাধারণ মানুষ সবসময় সেই সমস্যার মুখে পড়েন। তাই আজ তিনি অনুভব করেছেন। সাধারণ মানুষ প্রত্যহ কীভাবে এই পরিস্থিতির শিকার হন, তা বুঝতে পারছেন। তাই তিনি নিজেই সমস্ত স্ল্যাব মেরামতির নির্দেশ দিয়েছেন।”

Card image cap

শিশু পাচার কাণ্ডে সিআইডির জালে নার্সিংহোমের কর্মী

শিশু পাচার কাণ্ডে সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হল আরও এক ব‌্যক্তি। তাঁর সঙ্গে চক্রের চাঁইয়ের সরাসরি যোগ রয়েছে বলে খবর। চক্রের বাকিদের খোঁজ পেতে দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় সিআইডি।পুলিশ জানিয়েছে, সৌরভ অধিকারী নামে ওই ব‌্যক্তি দক্ষিণ কলকাতার ঠাকুরপুকুরের একটি নার্সিংহোমের কর্মী। বুধবার ধৃত সৌরভকে হাওড়া আদালতে তোলা হয়। ওই ব‌্যক্তির সঙ্গে শিশু পাচার চক্রের অন‌্যতম মাথা গৃহবধূ মুকুল সরকারের যোগ মিলেছে। এদিন নতুন আইনে ফের মুকুল নামে ওই মহিলাকে সিআইডি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।সিআইডির সূত্র জানিয়েছে, নদিয়ার হাঁসখালির বাসিন্দা সৌরভ কয়েক বছর আগে ঠাকুরপুকুরের ওই নার্সিংহোমে কাজ করতে শুরু করে। যাতায়াতের সুবাদে ২০২২ সালে ওই নার্সিংহোমে সৌরভের সঙ্গে মুকুলের পরিচয় হয়। সৌরভকে মুকুলের স্বামী মানিকও চিনত। উল্লেখ‌্য, বিহার থেকে পাচার হওয়া শিশু-সহ শালিমার থেকে সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হয় দম্পতি মানিক ও মুকুল। মুকুলের কাছ থেকে রাজ‌্য পুলিশের সিআইডি আরও কিছু তথ‌্য পেতে চাইছে। তাই ভবানী ভবনে সৌরভ ও মুকুলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Card image cap

গাইঘাটায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি

বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতে ফের অনুপ্রবেশ। ‘প্রাণ বাঁচাতে’ চোরাপথে ভারতে এসে গাইঘাটায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এক ভারতীয় দালালকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী আবির বিশ্বাস বাংলাদেশের নড়াইল জেলার বাসিন্দা। গাইঘাটা থানার পুলিশ খবর পেয়ে দোগাছিয়া বাজার থেকে আবিরকে আটক করে। ধৃত বাংলাদেশি ভারতে প্রবেশ করার বৈধ কোনও নথি দেখাতে পারেননি। তারপরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।কী করে ওপার বাংলা থেকে আবির ভারতে প্রবেশ করলেন? জেরায় তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, গাইঘাটা থানার বাসিন্দা আলম ফকির নামে এক ভারতীয় দালাল মারফত তিনি এদেশে অনুপ্রবেশ করেন। তথ্য পেয়ে পুলিশ ওই দালালকেও গ্রেপ্তার করে।বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের পতন ও হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের পর সে দেশের পরিস্থিতি আরও বিগড়েছে। বেছে বেছে হিন্দুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে অনেকেই ভারতে চলে আসছেন। সেই সুযোগে মানবপাচারকারী চক্র ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই আবহে অনুপ্রবেশকারী ও দালাল দুজনই গ্রেপ্তার হলেন।

Card image cap

মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরই জল চুরি রুখতে সক্রিয় প্রশাসন

বাড়িতে রয়েছে দুটি ট্যাঙ্ক। একটি ছাদের উপরে। অন্যটি নিচে। দেখলে মনে হবে নিচে জল জমা করে তা পাম্পের মাধ্যমে উপরে তোলা হচ্ছে। কিন্তু নিচের ট্যাঙ্কে তালা মারা। আর তাতেই সন্দেহ হয়েছিল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের কর্তা ও বাগনান এক নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ সমীর সামন্তর। বাড়ির মালিককে দিয়ে চাবি খোলাতেই চিচিং ফাঁক! চক্ষু চড়কগাছ জনস্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের ও সমীর সামন্তর। তাঁরা দেখেন নিচের ট্যাঙ্কে জল জমা হচ্ছে না। পাম্পের লাইন ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে গিয়ে সোজা যোগ হয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মূল পাইপলাইনের সঙ্গে। এরপরই ওই ব্যক্তির জলের লাইন কাটা হয়েছে।সম্প্রতি, একাধিক জেলা থেকে জল চুরির অভিযোগ পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। অভিযোগ পেয়েই প্রশাসনিক কর্তাদের তা রুখতে কড়া নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকেই পথে নামে প্রশাসনের কর্তারা। বাগনান এক নম্বর ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে সেই অভিযোগ আসতে থাকে। কয়েকদিন আগে বাগনানের বিধায়ক অরুনাভ সেন পঞ্চায়েত সমিতি এবং ব্লক প্রশাসনকে বিষয়টার উপর নজরদারির নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকা পরিদর্শনে যান বাগনান এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ সমীর সামন্ত ও প্রশাসনের কর্তারা। বুধবার এই অভিযানে বেশকয়েকটি অবৈধ পাইপ লাইনের সংযোগ কেটে দেয় দপ্তরের কর্তারা। শুধুমাত্র তার বাড়িতে পানীয় জলের জন্য একটি মাত্র লাইন রাখা হয়েছে, যাতে পানীয় জলের সমস্যা না হয়।দপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন,  বুধবার সাতজনকে ধরা হয়েছে। বাড়িতে অবৈধ জলের লাইন কাটা হয়েছে। পাশাপাশি, ফের এই বেআইনি কাজ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। সমীর সামন্ত বলেন,  “বাগনান এক নম্বর ব্লক এলাকার প্রত্যেকটা পঞ্চায়েতে পরিদর্শন করা হবে।”

Card image cap

বারাসত কলেজে ধুন্ধুমার

বারাসত কলেজে সেমেস্টার পরীক্ষা চলাকালীন এসএফআইয়ের কর্মসূচি। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে কলেজের গেটের বাইরের বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ-স্লোগান। পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হতে পারে বলে তাঁদের বাধা দিতে যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। আর তার থেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও এসএফআইয়ের মধ্যে ধুন্ধুমার। মারমুখী হয়ে ওঠে দুই পক্ষ। সংঘর্ষ থামাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। হামলার মধ্যে পড়ে এক পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন বলেও খবর।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার বারাসত কলেজে সেমেস্টারের পরীক্ষা চলছিল। বেলার দিকে এসএফআই কর্মী-সমর্থকরা ওই এলাকায় জড়ো হন। আর জি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে মিছিল শুরু করেন তাঁরা। মিছিল ওই কলেজ গেটের সামনে পৌঁছয়। তুমুল স্লোগানিং চলে কলেজ গেটের সামনে। কলেজে পরীক্ষা চলছে। কোনওভাবেই সেখানে স্লোগানিং করা যাবে না। সেই দাবি তুলে পাল্টা কলেজের গেটের সামনে পৌঁছয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের লোকজন। শুরু হয়ে যায় দুই তরফের জন্য বিবাদ। তারপরেই হাতাহাতি।মুহূর্তে সেই জায়গা রণক্ষেত্র হয়ে যায়। ওই কলেজের অদূরেই শিয়ালদহ-বনগাঁ রেলপথ। কলেজের সামনে দিয়েই গিয়েছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক। বিক্ষোভ আরও এগিয়ে যায় ১১ নম্বর রেলগেটের সামনে। সেই বিবাদ অদূরে বারাসত গভর্মেন্ট কলেজের সামনেও শুরু হয়ে যায়। টিএমসিপি ও এসএফআইয়ের মধ্যে সংঘর্ষ আরও ছড়িয়ে পড়ে। গোটা এলাকা যানজটে স্তব্ধ হয়ে যায়। বারাসত থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আরও বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে এক পুলিশ কর্মীর মুখ ফেটে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুই পক্ষকেই পুলিশ দূরে সরানোর চেষ্টা করে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে তা করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে।

Card image cap

জমি-মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে উত্তপ্ত আসানসোল!

মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরও আসানসোলে জমি মাফিয়াদের তাণ্ডব! হিরাপুর থানার অন্তর্গত আপার হিলভিউ এলাকায় একটি জমির মালিকানা নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড। এই আবহে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলাশাসককে চিঠি দিলেন খোদ আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। বৈঠক করে তিনি এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন, কোনও দোষী ছাড়া পাবে না। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা এক সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, হিলভিউ এলাকায় প্রায় ৪০-৫০ জন এক ব্যক্তির বাড়ি ঘিরে রেখে কয়েকজনকে মারধরও করেছে। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও দেখা গিয়েছে। এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও। জানা গিয়েছে, আসানসোল হিরাপুর থানার অন্তর্গত আপার হিলভিউ এলাকায় একটি ফাঁকা জমিতে কাজ শুরু হতেই একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, লাঠি, ডান্ডা নিয়ে জমি মাফিয়ারা তাণ্ডব চালাচ্ছে। জমি সংক্রান্ত বিবাদ থেকেই হামলা। উদ্দেশ্য জমি কেড়ে নেওয়া।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জমি তাদের বলে দাবি করতে থাকে দুষ্কৃতী দল। সেই জমির আরও একটি দলিল রয়েছে অন্য ব্যক্তির কাছে। তিনিও নিজেকে জমির মালিক বলে দাবি করেছেন। এই ঘটনার পর আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা একজোট হয়ে হিরাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি, আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের দ্বারস্থ হন।পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আসরে নামেন খোদ আইনমন্ত্রী। বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। সেখানেই তাঁকে উদ্বিগ্ন দেখিয়েছে। বৈঠকে মন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন সিসিটিভি ফুটেজে তিনি দেখেছেন দুষ্কৃতীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তিনি বলেন, “আমি জেলাশাসককে নিজের প্যাডে চিঠি লিখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এর পিছনে যারাই থাকুক না কেন, শাস্তি পাবে। কাউকে ছাড়া হবে না।” ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার না হলেও পিছনে কারা রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।আসানসোলের মাফিয়াদের বিরুদ্ধে আগেও জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। যে জমিগুলো মাফিয়ারা নিজেদের নামে করে নিয়েছে তা নিয়ে তিনি তদন্ত করার কথা বলেছেন মন্ত্রী। পাশাপাশি, ওই এলাকায় একটি  স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হবে বলে যে জায়গাটি সরকার বেছে রেখেছে, সেই জায়গাটি কীভাবে মাফিয়ারা নিজের নামে নথিভুক্ত করেছে, তা নিয়ে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকদের বিষয়টা খতিয়ে কথা বলেছেন মন্ত্রী। তাঁর হস্তক্ষেপের পর এলাকার মানুষ কিছুটা হলেও আতঙ্ক মুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।জমি দখল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পর উইলসন নামে এক জমি মাফিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জাতীয় সড়কের পাশে সরকারি জমি দখল ও পুকুর ভরিয়ে নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। তারপরে দীনেশ গড়াই নামে আরও এক মাফিয়াকে গ্রেপ্তার হয়। কিন্তু তারপরও মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এবার আসরে নামতে হল খোদ ময়ল ঘটককে।