CATEGORY health:

Card image cap

গ্যাসট্রিকের রোগীরা যে ৫ খাবার ভুলেও মুখে তুলে দেবেন না

সকালের নাস্তাকে দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সারারাত পেট খালি থাকার পর এটি আপনাকে শক্তি যোগায়। সকালের নাস্তা দিনের বাকি সময়ের জন্য শরীর ঠিক করতেও সাহায্য করে। অতএব, সকালে আপনি কী খাচ্ছেন তার খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ।


মেডিক্যাল নিউজ টুডে-এর মতে, আমাদের খাওয়া খাবারের কারণে পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দেওয়া একটি সাধারণ ঘটনা, কারণ শরীর খাবার হজম করার সময় গ্যাস তৈরি করে।


তাই খাবার হজম হতে যত বেশি সময় লাগবে, গ্যাস উৎপাদনের ঝুঁকি তত বাড়বে, ফলে আপনার পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে।


গ্যাসের সমস্যা কমাতে সকালের নাস্তায় আপনাকে অবশ্যই ৫টি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। ভারতীয় পুষ্টিবিদ নমামি আগরওয়ালের মতে, অতিরিক্ত গ্যাস এবং পেট ফাঁপা অস্বস্তিকর, তবে খাদ্যতালিকায় সামঞ্জস্য করতে পারলে তা আপনার গ্যাসের সমস্যা কমিয়ে স্বস্তি দিতে পারে। তিনি সকালে আপনাকে যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে সেগুলোরও উল্লেখ করেছেন এবং এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।


অতিরিক্ত চা এবং কফি


অনেকেই এক কাপ চা বা কফি ছাড়া আপনার দিন শুরু করতে পারেন না। তবে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে পেটে অ্যাসিডের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করতে পারে, যার ফলে গ্যাসের গঠন বৃদ্ধি পায়। চায়ের সঙ্গে দুধ যোগ করলে তা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স বাড়িয়ে দিতে পারে, যা হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই সকালের ঘুম কাটাতে আপনার যদি চা কিংবা কফির প্রয়োজন হয়, তবে ভেষজ চা বেছে নিন।


২. ফুলকপি এবং বাঁধাকপি


ফুলকপি এবং বাঁধাকপি বেশ উপকারী সবজি। তবে এ ধরনের সবজি সকালে এড়িয়ে যাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। সকালে খাওয়ার বদলে এগুলো দুপুরে খেতে পারেন। এই দুই সবজিতে জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে যা হজম করা শক্ত। যে কারণে তা গ্যাস উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়।


আপেল এবং নাশপাতি


প্রতিদিন একটি আপেল ডাক্তারকে দূরে রাখে - আমরা সবাই এই কথা শুনে বড় হয়েছি। কিন্তু এর মানে এই নয় যে এটি দিনের প্রথমে নাস্তা হিসেবে খাবেন। আপেল এবং নাশপাতি উভয়েই প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ এবং ফাইবার থাকে, যা পেট ফাঁপা এবং গ্যাসের কারণ হতে পারে। এর পরিবর্তে আপনার খাদ্যতালিকায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যোগ করার জন্য একমুঠো বেরি খেতে পারেন।


৪. কাঁচা শসা এবং পেঁয়াজ


আপনি যদি সকালের নাস্তায় শসা-পেঁয়াজের সালাদ খেয়ে থাকেন, তাহলে এখনই তা করা বন্ধ করুন।বিশেষজ্ঞের মতে, কাঁচা শাক-সবজি, বিশেষ করে শসা এবং পেঁয়াজের মতো উচ্চ ফাইবারযুক্ত সবজি ভাঙতে অসুবিধা হতে পারে, যা গ্যাস সৃষ্টি করে। এর পরিবর্তে আপনার দিনটির স্বাস্থ্যকর শুরু করতে রান্না বা সেদ্ধ সবজি খেতে পারেন।


৫. ভুট্টা


ভুট্টায় সেলুলোজ থাকে যা এক ধরণের ফাইবার। এটি কারও কারও জন্য হজম করা কঠিন হতে পারে। যদি ভুট্টার তৈরি খাবার অস্বস্তি সৃষ্টি করে, তবে এর বিকল্প হিসেবে কুইনো বা চালের মতো বিকল্প শস্য বেছে নিন।

Card image cap

প্রস্রাব ইনফেকশনের প্রাথমিক লক্ষণ ও ঘরোয়া প্রতিকার

ইউরিন বা প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যায় নারী-পুরুষ ও ছোট-বড় সবাই ভোগেন। আবার অনেকেই প্রাথমিক অবস্থায় টের পান না এই সংক্রমণের বিষয়ে। ফলে এর প্রভাব মাত্রারিক্ত পড়ে শরীরে। দীর্ঘদিনের প্রস্রাব সংক্রমণে বাড়তে পারে লিভার ও কিডনির নানা রোগ।


সারাদিন যত জল পান করা হয় সবই লিভার ও কিডনি ছেঁকে মূত্রনালি দিয়ে বের হয়ে যায়।


সবার শরীরেই দু'টি কিডনি, দু'টি ইউরেটার, একটি ইউরিনারি ব্লাডার (মূত্রথলি) ও ইউরেথ্রা (মূত্রনালি) নিয়ে রেচনতন্ত্র গঠিত।


এই রেচনন্ত্রের যে কোনো অংশে যদি সংক্রমণ ঘটে তাহলে তাকে 'ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন' বলা হয়। কিডনি, মূত্রনালি, মূত্রথলি বা একাধিক অংশে একইসঙ্গে এ ধরণের সংক্রমণ হতে পারে। এই সংক্রমণকেই সংক্ষেপে 'ইউরিন ইনফেকশন' বলা হয়।


সাধারণত সবারই এই সমস্যাটি হতে পারে। তবে নারীদের মধ্যে ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। জেনে নিন যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনি ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত কি না-


> প্রস্রাব গাঢ় হলুদ বা লালচে হওয়া

>> প্রস্রাবে দুর্গন্ধ

>> বারবার প্রস্রাবের বেগ অনুভব করা

>> ঠিকমতো প্রস্রাব না হওয়া

>> প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা অনুভব করা

>> তলপেটে ও পিঠের নিচে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া

>> শরীরে জ্বর জ্বর ভাব

>> কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা ও

>> বমি ভাব ও বমি হওয়া ইত্যাদি।


ইউরিন ইনফেকশনের ঘরোয়া প্রতিকার :


ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন। পাশাপাশি কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকারও অনুসরণ করতে পারেন। জেনে নিন করণীয়-


দিনে অবশ্যই ২-৩ লিটার জল খান। প্রসাবে হলুদ ভাব দেখলেই প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। সাধারণত প্রতি ৪-৫ ঘণ্টা পরপর প্রস্রাব হওয়া উচিত। এরও বেশি সময় ধরে প্রস্রাব না হলে বেশি করে জল খান।


>> পর্যাপ্ত ভিটামিন সি খিতে হবে। চিকিত্সকরা এক্ষেত্রে রোগীদেরকে দৈনিক ৫০০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়ার পরামর্শ দেন। ভিটামিন সি মূত্রথলী ভালো রাখে ও প্রস্রাবের সময় জ্বালা ভাব কমায়। এছাড়াও ভিটামিন সি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।


>> ইউরিন ইনফেকশন হলে বেশি পরিমাণে আনারস খাওয়া উচিত। এতে আছে ব্রোমেলাইন নামক একটি উপকারী অ্যানজাইম। গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত রোগীদেরকে সাধারণত ব্রোমেলাইন সমৃদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। তাই ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রতিদিন এক কাপ আনারসের রস খান।


>> ইউরিন ইনফেকশনের কয়েকদিনের মধ্যেই সংক্রমণ কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ে। তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করানো জরুরি।


 বেকিং সোডা দ্রুত ইউরিন ইনফেকশন সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। এজন্য আধা চামচ বেকিং সোডা এক গ্লাস জলেতে ভালো করে মিশিয়ে দিনে একবার খেলেই প্রস্রাবের জ্বালা ও ব্যথা কমে যাবে।

Card image cap

দুধে মিশিয়ে খেলে মুহূর্তে দূর হবে মন খারাপ!

দুধে মিশিয়ে খেলে মুহূর্তে দূর হবে মন খারাপ! মেয়েদের জন্যেও চরম উপকারী এই ফল



জায়ফল একটি অত্যন্ত উপকারী ফল। মেয়েদের জন্যেও এই ফল উপকারী। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই ফলের চমৎকার কিছু গুণাগুণ..



শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে এই ফল অত্যন্ত কার্যকর। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, জায়ফল ঘুমের সমস্যা মেটাতে ভীষণ সাহায্য করে।


এ ছাড়াও অন্যাক্রম্যতা বাড়াতেও অত্যন্ত কার্যকর জায়ফল। দুধের সঙ্গে জায়ফল খেলে ডিপ্রেশন কাটে। তাই যারা বিষণ্ণতায় ভোগেন তাদের জন্য চমৎকার গুণে ভরপুর হল জায়ফল।


 

এই উপাদান মেজাজা ঠিক রাখতে ভীষণ সাহায্য করে। এটি সেরোটোনিন নামের এক হরমন নিঃসরণ করে যা ঘুম আনতে ও মেজাজ ভালো রাখতে ভীষণ সাহায্য করে।


 

জাই ফল হজমের সমস্যা দূর করতে পারে। শরীরের ফোলাভাব কমায় ও বদহজমের সমস্যা দূর করে।


এটি বমি বমি ভাবও কমায় ও পেটের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে পারে।


 

জায়ফলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি ব্রণর বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং ত্বক পরিষ্কার করতে সহায়তা করে।


 

ন্যাচারাল মেডিসিনস কম্প্রিহেনসিভ ডেটাবেস অনুসারে, জায়ফলের অতিরিক্ত সেবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, যার ফলে বমি বমি ভাব,এবং হ্যালুসিনেশন হতে পারে।

Card image cap

ওজন কমাতে লেবুর জল পান করেন? এই ক্ষতিকর দিকগুলি জানা থাকলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।



সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে লেবু জল। ওজন কমাতে এই জলের উপর ভরসা করেন অনেকে। কিন্তু লেবু জল কি সবার জন্য ভাল ? লেবুর জলে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের জন্য ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত হয়েছে নানা গবেষণায়। কী কী সেই ক্ষতিকর দিক ? দেখে নেওয়া যাক।


দাঁতের বিপদ -  সকালে উঠেই দাঁতের যত্নে মনোযোগী হন প্রায় সকলেই। আর তার ঠিক পরই লেবু জল খান ওজন কমাতে। এই লেবুর রস মেশানো হালকা গরম জল দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করে। দাঁতের চকচকে ভাব চলে যাবে, তাতে আর কী এমন ক্ষতি ? এই ধারণা ভুল। কারণ এনামেল দাঁতকে সুরক্ষিত রাখে। এর অভাবে দাঁতের শিরশিরানি বেড়ে যায় বেশ কয়েকগুণ।


গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা - সাধারণত অতিরিক্ত ফ্যাটজাতীয় খাবার খাওয়ার কারণেই ওজন বাড়তে থাকে তরতরিয়ে। এর ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও বাসা বাঁধে অনেকের পেটে। আর এই অবস্থায় ওজন কমাতে লেবুর জল খেলে কুপ্রভাব পড়তে পারে পেটে। লেবুর জল অ্যাসিডিক। পেটে অ্যাসিডিটির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এটি। ফলে অম্বল, চোঁয়া ঢেকুরের সমস্যা হতে পারে।


বুকজ্বালা ও গলাজ্বালা - অম্বল, চোঁয়া ঢেকুরের মতোই বুকজ্বালা ও গলা জ্বালা হতে পারে। কারণ অ্যাসিডের পরিমাণ পেটে বেড়ে যায়। খাদ্যনালি বেয়ে সেটি গলা পর্যন্ত উঠে আসে।


মাইগ্রেনের সমস্যা - একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে লেবুর জলের এই সমস্যার দিকটি। দেখা গিয়েছে লেবুর জল খাওয়ার পর মাইগ্রেনের সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে অনেকটা। যাদের এই সমস্যা নেই, তাদের মধ্যে মাথা ব্যথার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।


সবটাই খারাপ নয় লেবু জলের


লেবু জলের বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। কিন্তু সবটাই যে খারাপ তা বলা ঠিক নয়। বরং কিছু ভাল দিকও রয়েছে। ওজন কমানো ছাড়াও আরও বেশ কিছু গুণ রয়েছে এই জলের।


লেবু জল কিডনি স্টোন গলিয়ে দেয়। কিডনি স্টোন অক্সালেট যৌগ জমে তৈরি হয়। এই যৌগটিকে গলিয়ে দেয় লেবু জল।


লেবু জল খেলে মেটাবলিজম বাড়ে। যাদের মেটাবলিজম লো, তাদের জন্য বেশ উপকারী এই পানীয়।


শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ বার করে দেয় লেবুর রস। অর্থাৎ এক কথায় শরীরকে ডিটক্স করে লেবুর জল।

Card image cap

কানের সমস্যা অবহেলা করে কতটা ক্ষতি করছেন জানেন?

'কান টানলে মাথা আসে'। বাস্তবিকই তাই। কানের সমস্যায় গুরুত্ব না দিলে তার পরিণতি বিপজ্জনক হতে পারে। যে কোনও সময়ে, প্রভাব পড়তে পারে মস্তিষ্কেও। এমনিতেই করোনা আবহে বাড়িতে বন্দি হয়ে প্রত্যেকেই আরও বেশি করে আঁকড়ে ধরছেন মোবাইল কিংবা ল্যাপটপকে। মানসিক অবসাদ কাটাতে অনলাইন চ্যাট, গেমস বা ওয়েব সিরিজ়ের মধ্যে নিজেদের অবসর খুঁজে পেতে চাইছেন।


সারাক্ষণ কানে গোঁজা রয়েছে ইয়ারফোন বা হেডফোন।


ভার্চুয়াল বৈঠক, ওয়েবিনারের ফলে সর্বক্ষণ কানে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। ছোটদের ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাসও বড় রকমের ক্ষতি করছে, জানাচ্ছেন মেডিসিনের চিকিৎসকরা। করোনা আবহে অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছেন। এই অবহেলার কারণেই কিন্তু কানের সমস্যা আরও বাড়ছে। কানে ছত্রাকের সংক্রমণ বর্ষার মরসুমে একটু বাড়তে পারে, এ ছাড়াও এখন হেডফোনের ব্যবহারও বেড়েছে, তাই কোনও ছোটখাটো সমস্যা মনে হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


কী কী হলে সতর্ক হতে হবে


কানে ব্যথা

কান কটকট করা

কানের ভিতরে চাপ অনুভব করা বা কান ভারী লাগলে

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কান ফুলে যাওয়া

কান থেকে পুঁজ

কানে কম শোনা

হেডফোন বা ইয়ারফোন থেকে সমস্যা কেন, কী খেয়াল রাখতে হবে


এক টানা হেডফোন ব্যবহার করা ক্ষতিকারক।

কানে সংক্রমণ হয়েছে, এমন কারও হেডফোন অন্য জন ব্যবহার করলে তা থেকেও সংক্রমণ হতে পারে।

নিজের ইয়ারফোনও আলাদা বাক্সে ভরে ব্যাগে বা পকেটে নিয়ে বেরতে হবে। ইয়ারফোন ব্যাগের মধ্যে ফেলে রেখে দিলে তাতে ধুলোবালি ও ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। কানে গোঁজার সময়ে তা সহজেই কানের ভিতরে প্রবেশ করে। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকেই যায়।

এক কানে সংক্রমণ থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে অন্য কানেও।

শ্রবণশক্তি কমলে প্রভাব পড়বে শরীরের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রেও। কারণ শরীরের ভারসাম্য রক্ষার জায়গাটি কানেই রয়েছে।

কানে ব্যথা হলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে হালকা সেঁক নেওয়া যেতে পারে চিকিৎসকের পরামর্শে।

কানে জল ঢুকে গেলে অনেকেই বাড ব্যবহার করে বা আঙুল দিয়ে খুঁচিয়ে সেই কান পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন। সেটা কিন্তু একেবারেই উচিত নয়। তোয়ালের মাধ্যমে যতটা জল মুছে নেওয়া যায়, মুছে নিন। বাকিটা ঠিক সময় মতো বেরিয়ে যাবে।

Card image cap

কাজ করতে গেলেই বিরক্তি? রোজের অভ্যাসে ৫ বদল আনলে উৎসাহ ফিরে পাবেন

আলস্যটা ঝেড়ে ফেলা যাচ্ছে না কিছুতেই। সকালে চোখ খুলে আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতেই যেন ক্লান্তিটা ফিরে আসে। রাতে ঘুমের পরেও কেন যে এত ক্লান্তি, তা বুঝতেই বুঝতেই অফিস যাওয়ার সময়টা এসে যায়। 


কোনও রকমে শরীরটাকে টেনে কাজকর্ম সেরে অফিসে তো গেলেন, সেখানেও কি কাজে মন বসছে? খালি মনে হচ্ছে, কুঁড়েমি করেই দিনটা কাটিয়ে দিলে বেশ হত।


কাজে আগ্রহ নেই, চনমনে ভাবটাই যেন উধাও। উৎসাহ কমে যাওয়ায় যে কোনও কাজেই দেরি হচ্ছে। কাজও মনের মতো হচ্ছে না কিছুতেই। ফলে উদ্বেগও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। মনের উপর চাপ যেন কয়েক মন ভারী পাথরের মতো চেপে বসছে। অতিরিক্ত আলসেমি শরীর ও মনের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে।



এখনকার ব্যস্ত সময়ে দু'দণ্ড জিরোবার জো নেই। তার মধ্যেই শরীর, মন জুড়ে পাহাড়প্রমাণ ক্লান্তি। মনোবিদেরা জানাচ্ছেন, আপনার অবচেতন মন কাজের ব্যাপারে উদ্যমী হতে দিচ্ছে না। এর কারণ হল অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা, মানসিক চাপ এবং অবশ্যই জীবনযাপনের কিছু ত্রুটি। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, শরীরচর্চা না করা, তার উপরে নেশা করা, এ সবই আলসেমি দিন দিন বাড়িয়ে দিচ্ছে। তা হলে এর থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় কী?


আলস্য কাটিয়ে মন চনমনে করে তুলুন পাঁচ উপায়ে


১. শরীরচর্চা জরুরি


আলস্য কাটিয়ে উঠতে গেলে আগে জীবনযাপনে কিছু প্রয়োজনীয় বদল আনতে হবে। কুঁড়েমি করে খাওয়া বাদ দেওয়া চলবে না। আজ করব, কাল করব বলে শরীরচর্চা বাদ দিলে হবে না। রোজের একটা রুটিন তৈরি করুন। মনোবিদেদের পরামর্শ, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম এবং সকালে তাড়াতাড়ি ওঠা জরুরি। ঘুম ভেঙে গেলে আর বিছানায় গড়াবেন না। অন্তত মিনিট কুড়ি শরীরচর্চা করে নিন। জিমে যাওয়ার সময় না থাকলে বাড়িতেই হাঁটুন। ছাদে বা বাড়ির সামনে জোরে জোরে হাঁটুন। হালকা যোগব্যায়ামও খুব কার্যকরী। সকাল সকাল শরীরচর্চা করে নিলে সারা দিনটা ঝরঝরে লাগবে। রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে, এন্ডোক্রিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়বে, ফলে কোনও ভাবেই আপনার ক্লান্তি আসবে না। আলসেমি করার ইচ্ছেও থাকবে না।


২. কাজে নতুনত্ব আনুন


গুছিয়ে কাজ করাটা খুব জরুরি। যে কাজটা রোজই করছেন তাতেই হয়তো আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেছেন। ফলে কাজের প্রতি আগ্রহ ও উৎসাহ দুই-ই কমেছে। তাই কাজে নতুনত্ব আনা দরকার। প্রথমেই কাজের জায়গাটা ভাল করে গুছিয়ে ফেলুন। অফিসে যে ডেস্কে কাজ করছেন, সেখানটা সুন্দর করে সাজান। বাড়িতে কাজ করলে সেই জায়গাটা পরিচ্ছন্ন রাখুন। কাজের প্রক্রিয়ায় বদল আনুন। নতুন নতুন ভাবনাচিন্তা করুন। সময়কেও গুরুত্ব দিতে হবে। কখন কোন কাজটা করবেন, সেটা সময় হিসাবে ভাগ করে নিন। কাজ ফেলে রাখবেন না। তা হলেই দেখবেন আগ্রহ ফিরে এসেছে।


৩. দুশ্চিন্তা ছেড়ে মনের জোর বাড়ান



আমাদের রোজকার অভ্যাসে এমন কিছু ভুল আছে, যা মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মনোবিদেরা বলছেন, বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা অবসাদ। মনের অসুখে বেশি ভুগছেন কমবয়সিরাই। এর কারণ হল দুশ্চিন্তা। প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে গিয়ে অনেক বেশি চাপ নিয়ে ফেলছেন তাঁরা মনের উপরে। ফল আশানুরূপ না হলেই হতাশা গ্রাস করছে। তার থেকেই অবসাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে। সব কাজেই যে একবারে সাফল্য আসবে, তা নয়। কিন্তু চেষ্টা ছাড়লে চলবে না। হতাশা থেকেই কাজে উৎসাহ কমছে। আর তখনই আলস্য পেয়ে বসছে। তাই মনের জোর, একাগ্রতা বাড়ানোর পরামর্শই দিচ্ছেন মনোবিদেরা। 


৪. খাওয়াদাওয়ায় বদল আনতেই হবে


কম ঘুম, শরীরে জলশূন্যতা, পুষ্টিকর খাবারের অভাব থেকেও বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। হজমের গোলমাল দীর্ঘ দিন ধরে হতে থাকলে শারীরিক দুর্বলতা আসে। তার জের পড়ে মনের উপরেও। শরীর ঠিক না থাকলে কাজেও মন বসে না। তাই দিনভর যদি তরতাজা থাকতে হয়, তা হলে খাওয়াদাওয়ায় বদল আনতেই হবে। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, বাইরের খাবার একেবারে বর্জন করতে হবে। বাড়িতে কম তেলমশলায় রান্না করা খাবার খান। ভাত, রুটি, দুধ, মাছ, ফল, শাকসব্জি রোজকার খাবারে দরকার। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।


৫. মন ছটফট করলে ধ্যানে বসুন


হঠাৎ হঠাৎ রেগে যাচ্ছেন, আত্মবিশ্বাস একেবারে তলানিতে ঠেকেছে, ঘুম আসছে না, বিছানায় এ পাশ-ও পাশ করেই রাত কাবার। প্রতি দিন দশ থেকে পনেরো মিনিট করে ধ্যান করুন। দেখবেন সপ্তাহখানেক বাদে অনেকটাই ফল পাচ্ছেন। উদ্বেগ কমছে, আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছেন। আলস্যও উধাও হয়েছে।

Card image cap

ব্যায়াম ছাড়াই রোগা হওয়ার কতগুলো সহজ উপায়, রইল কিছু ঘরোয়া টিপস!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: কম সময়ে ওজন কমানো মুখের কথা নয়। রোগা হওয়ার চটজলদি কোনও উপায়ও নেই। রোগা হওয়ার বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। সেগুলি একটার পর একটা পেরোতে হয়। শরীরচর্চা থেকে ডায়েট— খুব সতর্ক হয়ে না করলে রোগা হওয়া সহজ নয়। তবে শরীরচর্চা করতে ইচ্ছা করছে না মানেই রোগা হওয়ার ইচ্ছায় জল ঢেলে দেওয়া, তা কিন্তু নয়। মেদ ঝরানোর ক্ষেত্রেও শরীরচর্চার কিছু বিকল্প কাজ রয়েছে। শরীরচর্চা বদলে কয়েকটি নিয়ম যদি মেনে চলতে পারেন, তা হলে শরীরচর্চা না করেও রোগা হওয়া সম্ভব।

১)রান্নাঘরে বদল আনুন
ওজন কমাতে যে আপনি প্রস্তুত প্রথমে এটা আপনাকেই ঠিক করতে হবে। সেই মত মানসিক ভাবেও নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে। তাই হাতের কাছে থাকা প্রসেসড ফুড, চিনি, ক্রিম মিল্ক, চকোলেট, কার্বোহাইড্রেট এসব একেবারেই সরিয়ে দিতে হবে। কেননা আমাদের পেটের খিদের থেকেও চোখের খিদে অনেক বেশি। তাই মুখরোচক খাবার চোখের সামনে থেকে সরিয়ে নিন। সেই জায়গায় ফল, ডাল, ওটস, কর্নফ্লেক্স, ড্রাই ফ্রুটস এসব রাখুন। যাতে খিদে পেলে এসব ছাড়া অন্য কিছুতে আপনার হাত না যায়।
২) গ্রিন টী পান করুন
দিনের শুরু করুন হেলদি কোনও খাবার দিয়ে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম জলের মধ্যে মধু এবং লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া যদি আপনি মধু লেবু মিশিয়ে গ্রিন টীও খেতে পারেন। এই খাবার খেলে অতিরিক্ত টক্সিন আপনার শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে।
৩) খাবার ধীরে ও চিবিয়ে খান
খুব তাড়াতাড়ি খাবার খেলে যেমন হজম হয় না তেমনই খাবারের স্বাদও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। আস্তে আস্তে চিবিয়ে খেলে তা শরীরকে বেশি খাবার খেতে বাধা দেয় এবং মস্তিস্ককে একটা নির্দেশনা প্রেরণ করে যে আমার পেট ভর্তি হয়ে গেছে। এছাড়াও এটি পাচন প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে। কেননা আপনি খাবার যত ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবেন সেটা খুব দ্রুত হজম হতে সহায়তা করবে। এছাড়াও কোন খাবার যদি প্রতিবার মুখে ৩৫ থেকে ৫০ বার চিবিয়ে খাওয়া যায় এতে আপনার মুখের মেদও যেমন কমতে থাকবে, এর পাশাপাশি খাবারটি ও ভালো করে মিশিয়ে আপনার পেটে যাবে।
৪) খাওয়ার আগে জল খান
দ্রুত রোগা হওয়ার আরও একটি উপায় হল প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া। তবে জল খাওয়ারও নিয়ম আছে। নিয়ম মেনে জল খেলে খিদে কম পাবে এবং হজমের সমস্যাও মিটবে। তাতে ওজন কমার সুযোগ থাকবে বেশি। বিশেষ করে দুপুর বা রাতের খাবার খাওয়ার আগে জল খেতে পারেন। তাতে বেশি খাবার খেয়ে ফেলার প্রবণতা কমবে।
৫) প্রোটিন বেশি খান
শুধু ডায়েট করলেই হবে না। ডায়েটে কী ধরনের খাবার থাকছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। ওজন কমানোর পর্বে প্রোটিন খেতে হবে বেশি পরিমাণে। দুধ, ওট্‌সের বদলে ডিম, মাংসের মতো প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার খান বেশি করে। শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ যত বেশি হবে, মেদ ঝরানোর পরিশ্রম তত সহজ হবে। তা ছাড়া, পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন শরীরে প্রবেশ করলে খিদে কম পায় এবং বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমবে।
৬) পর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বডি মাস ইন্ডেক্স (বিএমআই) বেড়ে যেতে পারে। আর বডি মাস ইনডেক্স বেড়ে যাওয়ায় অর্থ ওজন বৃদ্ধি। চিকিৎসকেদের মতে, এক জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ছ’ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন। ঘুম পর্যাপ্ত হলে শুধু ভিতর থেকে ফিট থাকবে শরীর। নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজনও।

Card image cap

গরমে খান এই ৫ ফল আর দূরে থাকুন ক্যানসার নামক মরণ ব্যাধি থেকে।

Summer Health Tips: গ্রীষ্মের দাবদাহে পুড়ছে বাংলা। চলছে তাপপ্রবাহ। এই অবস্থায় শরীরকে সুস্থ রাখা একটু কঠিন। তাই গরমে যত বেশি হালকা খাবার খাবেন, স্বাস্থ্যের জন্য তত ভালো। এছাড়া যে সব খাবারে জলের পরিমাণ বেশি, সেগুলোই এখন খাওয়া্ দরকার। এর সাথে খাবেন হাতের কাছে থাকা গ্রীষ্মকালীন ফল। ফলের মধ্যে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার রয়েছে। গরমে সুস্থ থাকতে কোন-কোন খাবেন, জেনে নিন।

১) তরমুজ: প্রায় ৯২ শতাংশ জলে ভরপুর তরমুজ। তরমুজের মধ্যে থাকা লাইকোপেন বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের হাত থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখে। জলের পরিমাণ বেশি এবং ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকায় এই ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে। তরমুজের মধ্যে থাকা বিটা-ক্যারোটিন চোখ ও ত্বকের যত্ন নেয়।
২) আম: বছরের এই দু’মাসই আম পাওয়া যায়। কাঁচা হোক বা পাকা, আম অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফাইবারের মতো উপাদান। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে আম। চোখকে ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। এছাড়া দেহে কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে।
৩) লিচু: আমের মতো লিচু দেখা মেলেও গরমের দু’মাস। লিচুর মধ্যে জল ও কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। অন্যদিকে, ফাইবারও রয়েছে। এছাড়া লিচুর মধ্যে আয়রন, কপার, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে, যা হাড় ও হার্টের স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়। এই ফল অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
৪) পেঁপে: শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে পাকা পেঁপে। ভিটামিন এ, সি এবং ই-এর মতো পুষ্টি রয়েছে পাকা পেঁপের মধ্যে। নিয়মিত পাকা পেঁপে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। হজমজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় পাকা পেঁপে।
৫) ন্যাশপাতি: ন্যাশপাতি মধ্যে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে। উচ্চ পরিমাণে জল থাকায় খিদেকে নিয়ন্ত্রণ করে ন্যাশপাতি। এছাড়া ন্যাশপাতি থেকে উপাদান টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এই ফল ওজন কমানোর পাশাপাশি দেহে এনার্জি জোগাতে সাহায্য করে। এমনকি বেশ কিছু ক্যানসারের কোষকে প্রতিরোধ করে ন্যাশপাতি।

Card image cap

এই গরমে পান করুন কুঁজোর জল। জেনে নিন উপকারিতা।

Summer Health Care Tips: গরম পড়লেই শরীর ঠাণ্ডা করতে আমরা ঠাণ্ডা জল পান করি। ফ্রিজের ঠাণ্ডা জলে অনেকেই এক নিঃশ্বাসে খেয়ে নেন। আবার কেউ কেউ বরফ মিশিয়ে জল ঠাণ্ডা করে নেন। এছাড়াও আমরা অনেকেই ঠাণ্ডা পানীয় বাজার থেকে কিনে পান করে থাকি। কিন্তু এগুলি আদৌ কি শরীর ঠাণ্ডা করে? কেন তীব্র গরম পড়লেও ফ্রিজের জল খেতে নেই? কেনই বা খাবেন কুঁজোর জল? বিস্তারিত জেনে নিন।

পুষ্টিবিদদের কথায়, ফ্রিজের জল সবসময় হিমাঙ্কের কাছাকাছি থাকে। অর্থাৎ আর একটু ঠাণ্ডা হলে সেটি বরফ হয়ে যাবে। এছাড়াও এই তীব্র ঠাণ্ডা জল গলা ব্যথা, সর্দি-কাশির কারণ হতে পারে। আমাদের গলায় কিছু রক্তজালিকা থাকে। বারবার ঠাণ্ডা জল খেলে ওই রক্তজালিকার মধ্যে দিয়ে রক্তের প্রবাহ ঠিকমতো হয় না। এমনকি ওই অংশের অনুভব ক্ষমতাও কমে যায়।
ফ্রিজের জলের বদলে কুঁজোর জল খেলে শরীরের উপকার। কারণ কুঁজোর জল প্রাকৃতিক উপায়ে ঠাণ্ডা হয়। কুঁজোর মাটি দিয়ে তৈরি হওয়ায় এর গায়ে প্রচুর ছিদ্র থাকে। এই ছিদ্রগুলি দিয়ে জল বেশ কিছুটা বাইরে বেরিয়ে আসে। এবার এই জল বাষ্পীভূত হয়। তার জন্য প্রয়োজনীয় তাপ কুজোর ভিতরের জল থেকে সংগ্রহ করে। ফলে ভিতরের জল ঠাণ্ডা হয়ে যায়।
কুঁজোর জলের তাপমাত্রা কখনই হিমাঙ্কের কাছাকাছি পৌঁছায় না। ফলে এই জল থেকে ঠাণ্ডা লাগার কোনও আশঙ্কা থাকে না। কুঁজো মাটি থেকে তৈরি হয়। এই মাটির মধ্যে বেশ কিছু জরুরি খনিজ পদার্থ থাকে। ফলে সেগুলিও শরীর পায়। কুঁজোর জলের স্বাদও কিছুটা আলাদা হয়। যা মূলত খনিজ পদার্থগুলির জন্য হয়ে থাকে। এছাড়াও জলের পিএইচ ঠিক রাখে কুঁজোর জল। যা শরীরে জন্য জরুরি।
কুঁজোর মাটি দিয়ে তৈরি হওয়ায় এর গায়ে প্রচুর ছিদ্র থাকে। এই ছিদ্রগুলি দিয়ে জল বেশ কিছুটা বাইরে বেরিয়ে আসে। এবার এই জল বাষ্পীভূত হয়। তার জন্য প্রয়োজনীয় তাপ কুজোর ভিতরের জল থেকে সংগ্রহ করে। ফলে ভিতরের জল ঠাণ্ডা হয়ে যায়।

Card image cap

সানবার্নের সমস্যা? বাড়ি ফিরে ত্বকে ঘষে নিন Aloe Ice

Summer Skin Care: গরমকাল মানেই মুখে তেল চিটচিটে ভাব, ঘাম, র‍্যাশ, ব্রণ, ঘামাচি। এছাড়াও ট্যান ও সানবার্নের সমস্যা রয়েছে। ছাতা ছাড়া রোদে বেরোলেই ত্বক জ্বলে যাচ্ছে। বাড়ি ফিরে মুখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিচ্ছেন। তাতে সাময়িক স্বস্তি মিললেও ত্বকের সমস্যা এড়ানো যাচ্ছে না। এই অবস্থায় মুখে ঘষে নিতে পারেন অ্যালোআইস।
ত্বকের উপর সবসময় দুর্দান্ত কাজ করে বরফ। বরফ ত্বকের উপর কুলিং এফেক্ট এনে দেয়। কমায় ত্বকের প্রদাহ ও র‍্যাশের সমস্যা। পাশাপাশি বাড়িয়ে তোলে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন। আর এই বরফ যদি অ্যালোভেরা জেল তৈরি হয়, তখন এর গুণ আরও বেড়ে যায়। তাই বাড়িতে সহজেই বানিয়ে ফেলুন এই অ্যালোভেরা জেল দিয়ে বরফ, রইল টিপস-
প্রথমে অ্যালোভেরা গাছ থেকে একটি পাতা কেটে নিন। এই পাতা কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখুন। এতে অ্যালোভেরার পাতায় থাকা হলুদ পদার্থ বেরিয়ে যাবে। এবার খোসা ছাড়িয়ে জেল বের করে নিন। মিক্সিতে অ্যালোভেরা জেল ব্লেন্ড করে নিন। এবার এই জেল বরফের ট্রেতে ঢেলে ফ্রিজে রেখে দিন। বরফ জমে গেলেই তৈরি হয়ে যাবে অ্যালো আইস। দিনের যে কোনও সময় আপনি মুখে এই অ্যালো আইস ঘষতে পারেন।
ত্বকের উপর অ্যালোভেরা জেলের তৈরি বরফ ঘষলে একাধিক উপকারিতা পাওয়া যায়। অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের সমস্যা কমাতে সহায়ক। অ্যালো আইস ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। এটি ত্বকের উপর ঘষলে চোখের তলার ফোলাভাব কমে যায়। পাশপাশি ডার্ক সার্কেলের হাত থেকেও মুক্তি মেলে।

Card image cap

গরমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ডায়েটে রাখুন এই ৫টি পানীয়

Summer Health Drinks: এই প্রচন্ড গরমে সুস্থ থাকার একমাত্র উপায় হল হাইড্রেশন। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে গরমে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমে যায়। পাশাপাশি ক্লান্তি কমে যায়। আর শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে।
তবে ঘামের কারণে জলে সঙ্গে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতিও তৈরি হয়। তাই শুধু জল পান করলে চলবে না। গরমে তেষ্টা মেটাতে এবং শরীরকে শীতল রাখতে আপনি প্রাকৃতিক পানীয়ের উপর ভরসা রাখতে পারেন। বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই ধরনের কিছু পানীয়। 

১. মৌরির জল
গরমে সুস্থ থাকতে মৌরির জল খান। মৌরি পেট ঠান্ডা রাখে ও হজমে সাহায্য করে। পরিমাণ মতো জলে মৌরি সারারাত ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন। যদি এই শরবতকে একটু সুস্বাদু বানাতে চান তবে সারারাত মৌরি ভেজানো জলকে ফুটিয়ে তাতে চিনি, এক চিমটে বীট নুন ও লেবুর রস দিয়ে খান।

২. আখের রস
রোদে রাস্তায় বেরিয়ে অনেকেই আখের রসে চুমুক দেন। এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। গরমে আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং দেহে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়। কারণ এই পানীয়ের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল।

৩. বেলের শরবত
বেলের উপকারিতা অনেক। ভিটামিন B,C ও পটাসিয়াম যুক্ত বেল, শরীরকে ঠান্ডা ও আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এই শরবত বানানোও খুব সহজ। বেলকে ফাটিয়ে ভিতর থেকে এর পাল্প বের করে নিন। এরপর পরিমাণ মতো নিয়ে তাতে ছাড়িয়ে রাখা পাল্প দিন। চিনি ও নুন যোগ করুন। এরপর ছাকনি দিয়ে শরবত ছেঁকে নিন। ব্যাস তৈরি আপনার বেলের শরবত।

৪. আম পোড়ার শরবত
আম পোড়ার শরবত গরমের দিনের জন্য দারুণ উপকারী। কাঁচা আমের তৈরি শরবতে ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। এক গ্লাস আম পোড়ার শরবত যেমন শরীরে তরতাজা ভাব এনে দেয়, তেমনই শরীরকে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।

৫. ছাতুর শরবত
ছাতুর শরবত পুষ্টির পাওয়ার হাউস। এই পানীয়ের মধ্যে রয়েছে আয়রন, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও প্রোটিন। নুন, চিনি ও লেবুর রস মিশিয়ে ছাতুর শরবত পান করুন। গরমে স্বাস্থ্যের জন্য এই পানীয় দারুণ উপকারী।

Card image cap

বৈশাখের পূর্বে ত্বকের যত্ন: সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে

Homemade Skin Care Tips: মাত্র তিনটি উপাদান মুখে লাগালেই পয়লা বৈশাখে বাড়বে ত্বকের জেল্লা, উধাও হবে কালচে ছোপ!

জেল্লাদার ত্বক পাওয়র জন্যে পয়লা বৈশাখের আগে সঠিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন। তবে তার জন্যে হাজার হাজার টাকা খরচ করার প্রয়োজন নেই। এই কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদান মুখে লাগালেই মিলবে উপকার আর ত্বকের জেল্লাও হবে দেখার মতো। কী কী সেই উপাদান?  বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন আপনিও।

বেসন
ত্বকের জেল্লা ফেরানো থেকে শুরু করে ত্বকের নানা সমস্যা সমাধান, সবক্ষেত্রেই বেসনের(Gram Flour) গুরুত্ব অপরিসীম। এটি প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। আপনার মুখের মৃত কোষের স্তর পরিষ্কার করে দেয় এবং ফিরিয়ে আনে প্রাকৃতিক জেল্লা। তাছাড়া ত্বকে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে দিতেও এই প্রাকৃতিক উপাদানের জুড়ি মেলা ভার। আপনি আজ বেসনের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে একটি পাত্রে পরিমাণ মতো বেসন ও দুধ নিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপরে সেই মিশ্রণ আপনার মুখে লাগান আর চমক দেখুন!

টক দই
টক দই (Curd) খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে যে ভাল, এ কথা নিশ্চয়ই জানেন। তবে টক দই যে রূপচর্চাতেও কাজে লাগে সে কথা হয়তো অনেকেই জানেন না। প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে টক দই ব্যবহার করতে পারেন, তাতে ত্বকের জেল্লা বাড়বে। তাছাড়া এতে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকে স্ক্রাবিং এজেন্ট হিসেবেও কাজ করে। আর আপনার ত্বকের আর্দ্রতার মাত্রা ধরে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে আপনি টক দই সরাসরি মুখে লাগাতে পারেন। নাহলে ফেসপ্যাকে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যালোভেরা জেল
ত্বকের আর্দ্রতা বাড়াতে এই প্রাকৃতিক উপাদানের জুড়ি মেলা ভার। অ্যালোভেরা জেলের (Aloevera gel) নিয়মিত ব্য়বহার ত্বকের অতিরিক্ত তেল,ময়লা দূর করে ত্বক পরিষ্কার করে থাকে। মুখে সতেজ ভাব এনে দেয়। এটি সেনসিটিভ ত্বকের জন্যও বেশ কার্যকর। তাই আপনার প্রাক নববর্ষ স্কিনকেয়ার রুটিনে অ্যালোভেরা জেল থাকা মাস্ট!আপনি প্রতিদিন দুবেলা অ্যালোভেরা জেল মুখে লাগাতে পারেন। তাতেই উপকার মিলবে ।