CATEGORY country:

Card image cap

কেজরিকে খুনের ষড়যন্ত্র বিজেপি ও দিল্লি পুলিশের!

আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে খুনের সড়যন্ত্র! খোদ বিজেপি ও দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে সরব হলেন দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। শুধু তাই নয়, দিল্লি ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী যৌথভাবে কেজরির নিরাপত্তার দাবিতে চিঠি লিখেছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে।এক সপ্তাহে দুবার হামলা চলেছে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উপর। শনিবারের পর বৃহস্পতিবারও কেজরির উপর হামলার অভিযোগ তুলেছে আপ। দিল্লির শাসকদলের দাবি, দিল্লির হরিনগর এলাকায় একটি জনসভা ছিল কেজরির। সেই জনসভায় যাওয়ার পথেই তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় বিরোধী দলের কর্মীরা। আপের অভিযোগ, দিল্লি পুলিশের সমর্থনেই নাকি হামলা চালানোর সুযোগ পেয়েছে সেই দুষ্কৃতীরা। টালমাটাল এই পরিস্থিতির মাঝেই পাঞ্জাব পুলিশের দেওয়া নিরাপত্তা প্রত্যাহার হয়েছে কেজরির। এই ঘটনায় সুর চড়িয়ে অতিশী বলেন, “হামলাকারীদের থেকে কেজরিকে রক্ষার পরিবর্তে হামলাকারীদের বাঁচাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হত্যা করার ভয়ংকর ষড়যন্ত্র চলছে।” অতিশীর অভিযোগ, “বিরাট এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছে দুই কাণ্ডারি একদিকে বিজেপি। যাঁদের কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কেজরিকে পাথর ছুড়ছে, লাঠি নিয়ে আসছে, স্পিরিট স্প্রে করছে। এবং অন্যদিকে রয়েছে অমিত শাহের অধিনে থাকা দিল্লি পুলিশ।”আসলে দিল্লির পুলিশ এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে কেন্দ্র। রাজধানীর নিরাপত্তা সরাসরি নিয়ন্ত্রিত হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে। ভালো করে বলতে গেলে কেজরিওয়ালের নিরাপত্তার দায়িত্ব অমিত শাহর দপ্তরের। কিন্তু বিজেপির উপর ভরসা করতে না পেরে পাশের রাজ্য পাঞ্জাবের আপ সরকার কেজরিওয়ালকে বাড়তি নিরাপত্তা দিত। কিন্তু দিল্লি পুলিশ এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, পাঞ্জাব পুলিশের কর্মীরা কেজরির সঙ্গে থাকায় বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে।তারপরই বৃহস্পতিবার রাতে পাঞ্জাব পুলিশের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আর তারা নিরাপত্তা দেবে না। আপের দাবি, দিল্লি পুলিশ পাঞ্জাব পুলিশকে বাধ্য করেছে কেজরিওয়ালের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করতে। আবার পালটা বিজেপি বলছে, পাঞ্জাব পুলিশকে ডেকে বাড়তি নিরাপত্তার প্রশ্নটা আসছে কেন? তাহলে কি দিল্লি পুলিশকে ভরসা করতে পারছেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী? এই নিয়ে দুই শিবিরের মধ্যে টানাপোড়েনের মাঝেই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন অতিশী। পাশাপাশি কেজরির পাঞ্জাব পুলিশের নিরাপত্তা ফেরাতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশী।

Card image cap

দিল্লিতে কেজরিওয়ালের গাড়িতে হামলা!

দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উপর হামলা। নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন কেজরিকে কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। এক্স হ্যান্ডেলে সেই হামলার ভিডিও প্রকাশ করেছে আম আদমি পার্টি। ঘটনায় সরাসরি গেরুয়া শিবিরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে আপ। যদিও পালটা তোপ দেগেছে বিজেপি।এই হামলার পরপরই বিজেপির বিরুদ্ধে এক্স হ্যান্ডেলে তোপ দেগেছে আপ। যেখানে তাদের দাবি, ‘হারের ভয়ে বিজেপির মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। নিজেদের গুন্ডাবাহিনীকে ব্যবহার করে কেজরিওয়ালের উপর হামলা করছে ওরা।’ এরপরই আপের তরফে অভিযোগ করা হয়, ‘নির্বাচনী প্রচার করার সময় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উপর ইট-পাথর দিয়ে হামলা চালায় বিজেপি প্রার্থী প্রবেশ বর্মার গুন্ডাবাহিনী। এদের উদ্দেশ্য ছিল যাতে কেজরিওয়ালকে গুরুতর আহত করা যায়, এবং তিনি নির্বাচনী প্রচার না করতে পারেন। তবে বিজেপি, তোমাদের এই হামলায় ভয় পাওয়ার পাত্র কেজরি নন। দিল্লির জনতা তোমাদের এর কড়া জবাব দেবে।’আপের প্রতিক্রিয়ার পালটা এই ঘটনায় কেজরির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলে সরব হয়েছে বিজেপি। নয়াদিল্লি আসনের বিজেপি প্রার্থী প্রবেশ বর্মা অভিযোগ করেন, ”কেজরির কালো রংয়ের গাড়ি আমাদের কর্মীকে ধাক্কা মেরে চলে গিয়েছে। এই হামলার জেরে তাঁর পা ভেঙে গিয়েছে। আমি নিজে তাঁকে দেখতে যাচ্ছে।” একইসঙ্গে আপকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “গত ১১ বছর দিল্লিতে আপের সরকার চলছে। এই দীর্ঘ সময়ে এরা দিল্লিতে দুর্নীতি ছাড়া আর কিছুই করেনি। গোটা দিল্লিকে এরা শেষ করেছে। মানুষের আছে আবেদন এদের এবার উপড়ে ফেলে দিন।”অন্যদিকে কেজরির উপর হামলার অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশের দাবি, তাঁর উপর কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি। দিল্লির লালবাহাদুর সদনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি জনসভা ছিল। সেখানে বিজেপির কিছু সমর্থক উপস্থিত হন ও কেজরিকে প্রশ্ন করতে চান। এই ঘটনাতেই দুই তরফের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে পুলিশ দুপক্ষকে সরিয়ে দেয়।

Card image cap

তামিলনাড়ুতে ষাঁড়-মানুষের লড়াইয়ে মৃত ৭, আহত ৪০০

আবারও পরিচিত ভয়াবহতার ছবি ধরা পড়ল জাল্লিকাট্টুতে। বৃহস্পতিবার তামিলনাড়ুর নানা এলাকায় অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হল ষাঁড়-মানুষের লড়াইয়ে। আহতের সংখ্যা ৪০০ পেরিয়েছে। উল্লেখ্য, জাল্লিকাট্টু নিয়ে মামলা দায়ের হলেও এই প্রথাকে বৈধ বলে আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।স্পেনের ‘সান ফার্মিন’ বা ষাঁড়ের সঙ্গে দৌড় কিংবা আমেরিকার ‘বুল রাইডিং’-এর মতোই অত্যন্ত বিপজ্জনক ‘জাল্লিকাট্টু’। অতীতে একাধিক মর্মান্তিক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। সেই ভয়ানক ঘটনার স্মৃতি আরও একবার ফিরল নতুন বছরে। ষাঁড়ের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০ বছর বয়সি এক ব্যক্তির। জাল্লিকাট্টু দেখতে আসা ৪৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে ষাঁড়ের গুঁতোয়।৫৬ বছর বয়সি পি পেরিয়াস্বামীর মৃত্যু হয়েছে বিনা চিকিৎসায়। জাল্লিকাট্টু থেকে বেরিয়ে আসা ষাঁড় আচমকাই গুঁতিয়ে দেয় বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষারত এক বৃদ্ধকে। ৭০ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য, গোটা তামিলনাড়ু জুড়ে একাধিক জাল্লিকাট্টুর উদ্বোধন করেছেন সেরাজ্যের মন্ত্রীরা। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সেরা ষাঁড়ের মালিক একটি গাড়ি পেয়েছেন পুরস্কার হিসাবে। ষাঁড়কে নিয়ন্ত্রণ করে বাইক জিতে নিয়েছেন আরেকজন। দুটি পুরস্কারই দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন এবং উপমুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিনের তরফে।উল্লেখ্য, জাল্লিকাট্টু ‘এরুথাঝুভুথাল’ নামেও পরিচিত। তামিলনাড়ুতে ফসল কাটার উৎসব পোঙ্গলের অংশ হিসেবে ষাঁড়-মানুষের খেলা দেখা যায়। যা দক্ষিণের দুই রাজ্য তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটকে বিপুল জনপ্রিয়। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও এই খেলার প্রচলন রয়েছে। তিন রাজ্যেই আইনত বৈধ জাল্লিকাট্টু। যদিও প্রাণী হিংসার অভিযোগ এনে শীর্ষ আদালতে মামলা করছিল করেছিল প্রাণী অধিকার সংগঠন পেটা। জাল্লিকাট্টু নিয়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, খেলাটি নিষ্ঠুর হলেও এটিকে রক্তের খেলা বলা যাবে না। বৈধতাও বজায় রাখে শীর্ষ আদালত।

Card image cap

তিনগুণ বাড়বে বেতন?

গুঞ্জন ছিল। অবশেষে সেটাই সত্যি হল। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন অষ্টম পে কমিশন গঠনের। গঠিত হয়েছে এই সংক্রান্ত একটি কমিটিও। প্রসঙ্গত, সপ্তম পে কমিশন গঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালে। যার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের আগামী ৩১ ডিসেম্বর। সুতরাং ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি লাগু হতে চলেছে অষ্টম পে কমিশন।এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ‘ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর’ ২.৫৭ থেকে বাড়িয়ে ২.৮৬ হতে পারে। এর অর্থ কর্মীদের বেসিক বেতন বাড়বে হু হু করে। অর্থাৎ কারও বেসিক বেতন যদি ১৮ হাজার টাকা থাকে, তাঁর বেসিক বেতন বেড়ে হবে ৫১ হাজার ৪৮০ টাকা।আজই অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের অনুমোদন দিয়েছে মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা দীর্ঘদিন ধরে অষ্টম বেতন কমিশনের দাবি করে আসছিলেন। সেই দাবি মেনে নিল সরকার। যদিও এর আগে সংসদে এই সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, অষ্টম বেতন কমিশন সংক্রান্ত কোনও প্রস্তাব নিয়ে তাঁরা ভাবনাচিন্তা করছেন না। নিয়ম হল কোনও বেতন কমিশন গঠিত হলে পূর্বের ডিএ মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। এখন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৫৩ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। নিয়ম অনুযায়ী, সেই ৫৩ শতাংশ ডিএ এখন মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত হবে। অর্থাৎ অষ্টম বেতন কমিশনে যদি ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করে কেন্দ্র সরকার তাহলে অষ্টম বেতন কমিশনের অধীনে ওই শতাংশ ডিএ মিলবে। সেখানে সপ্তম বেতন কমিশনের ৫৩ শতাংশ মূল বেতনের সঙ্গে জুড়ে যাবে। প্রসঙ্গত, প্রতি ১০ বছর অন্তর বেতন কমিশন গঠিত হয়। সপ্তম বেতন কমিশনের আগে যে সব কমিশন গঠিত হয়েছিল সেই সবের মেয়াদ ছিল ১০ বছর করেই। সপ্তম বেতন কমিশন ২০১৬ সালে কার্যকর হয়েছিল। গঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালে। তার ঠিক ১০ বছরের মধ্যে আরও একটি পে কমিশন গড়ে ওঠার অনুমোদন দিল সরকার। নয়া পে কমিশন নিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা পে কমিশন নিয়ে বৈঠক করেন। বৈষ্ণব আরও জানান, এই কমিশনকে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

Card image cap

UPSC জালিয়াতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তিতে পূজা খেদকার

বরখাস্ত হওয়া শিক্ষানবিশ আমলা পূজা খেদকারকে ইউপিএসসি জালিয়াতি মামলায় স্বস্তি দিল শীর্ষ আদালত। বুধবার এই সংক্রান্ত মামলায় আদালতের তরফে জানানো হয়েছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যাবে না পূজাকে। পাশাপাশি তাঁর জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার ও ইউপিএসসি কমিটিকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।২০২৩ সালের ব্যাচের শিক্ষানবিশ আমলা পূজা মহারাষ্ট্রের পুণেতে অ্যাসিসট্যান্ট কালেক্টর হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করতেও বহু নিয়ম বহির্ভূত কাজ করেছেন তিনি। নির্ধারিত সীমার বেশিবার পরীক্ষা দিতে নাম, পরিচয় ও বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল পূজার বিরুদ্ধে। নিয়ম অনুযায়ী ইউপিএসসিতে জেনারেল ক্যাটাগরির প্রার্থী ৩২ বছর বয়সের মধ্যে ৬ বার পরীক্ষা দিতে পারেন। আবার ওবিসি প্রার্থীরা ৩৫ বছরের মধ্যে ৯ বার পরীক্ষায় বসতে পারেন। সূত্রের দাবি, পূজা মোট ১১ বার ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, নিজেকে প্রতিবন্ধী কোটার সুবিধা নিয়ে ভুয়ো সার্টিফিকেট দাখিল করেছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। একের পর এক অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তের পর তাঁকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে ইউপিএসসি কমিটি। অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে দিল্লি পুলিশ।তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে এসেছেন পূজা। এবং গ্রেপ্তারি থেকে বাঁচতে দিল্লি হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান। গত বছরের ১২ আগস্ট হাই কোর্ট তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিলেও, ২৩ ডিসেম্বর সেই জামিন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। গ্রেপ্তারির আশঙ্কার এরপর শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন বহিষ্কৃত শিক্ষানবিশ আমলা। বুধবার এই মামলার শুনানিতে পূজা জানান, সে সব অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে সেই সংক্রান্ত যাবতীয় নথি ইউপিএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে জমা রয়েছে। ফলে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কোনও প্রয়োজন নেই। এবং পূর্বে যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের রেকর্ড নেই তাই অবিবাহিত, বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাকে রেহাই দেওয়া হোক। পূজার এই আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তাঁর গ্রেপ্তারিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। পাশাপাশি জামিন সংক্রান্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্র ও ইউপিএসসির মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ব্যাচের শিক্ষানবিশ আমলা পূজা মহারাষ্ট্রের পুণেতে অ্যাসিসট্যান্ট কালেক্টর হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। তবে চাকরিতে যোগের পরই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, প্রবেশনারি আইএএস অফিসারদের যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা নয়, তাও নিচ্ছিলেন তিনি। নিজের অডি গাড়িতে লালবাতি এবং মহারাষ্ট্র সরকারের বোর্ড লাগিয়ে ঘুরতেন। যদিও সেই অনুমতি নেই প্রবেশনারি আইএএস অফিসারদের। চাকরিতে যোগ দিয়েই ক্ষমতার অপব্যবহারের পাশাপাশি পূজার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে অ্যাডিশনাল কালেক্টর অজয় মোরের অনুমোদন ছাড়াই তাঁর অফিসের আসবাবপত্র সরিয়ে ফেলে অফিসের একাংশ দখলের। পাশাপাশি রেভিনিউ অ্যাসিসট্যান্টকে পূজা নির্দেশ দেন, লেটারহেড দিতে হবে তাঁকে। ঘরের বাইরে রাখতে হবে নেমপ্লেট।

Card image cap

মহাকুম্ভের ‘অলঙ্কার’ নাগা সাধকরা

কুম্ভমেলায় কেউ আসেন গঙ্গাস্নান করতে, কেউ আসেন সাধুসঙ্গ লাভ করতে। আর এই ভক্তকুলকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখেন যাঁরা তাঁরা হলেন নাগা সন্ন্যাসী। কখনও তাঁদের দেখা যায় ঘোড়ার পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়াতে। আবার কখনও বা বিভিন্ন অস্ত্রের সাহায্যে সামরিক কৃতকৌশলের প্রদর্শন করেন তাঁরা। মুগ্ধ হন তীর্থযাত্রীরা। নিছক ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি একটি ঐক্যের উৎসব হয়ে ওঠে নাগা সন্ন্যাসীদের উপস্থিতিতেই।শোভাযাত্রা চলাকালীন তালে তালে নাগা সন্ন্যাসীদের নাচের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে অধীর থাকেন পেশাদার চিত্র সাংবাদিকরা। পাশাপাশি আগত পুণ্যার্থীরাও তাঁদের মোবাইল ক্যামেরায় তুলে রাখেন সেই দৃশ্য। একই ভাবে তাঁদের স্নানের সময়ও দেখা যায় অপূর্ব দৃশ্য। তাঁরা ত্রিবেণী সঙ্গমের ঠান্ডা জলে নেমে একে অন্যের গায়ে জল ছিটিয়ে স্নান করেন।এবার পুরুষ নাগা সাধুদের পাশাপাশি মহিলা নাগা সাধুদেরও উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে। এঁদের জীবনও কিছু কম কঠিন নয়। সংসারের বাঁধন ছিঁড়ে বেরিয়ে আসার পর নিজের পিণ্ডদান করতে হয়। পিণ্ডদান করতে হয় পরিবারের সদস্যদেরও। মহাকুম্ভে পুরুষ নাগা সন্ন্যাসীদের পাশাপাশি মহিলা নাগা সন্ন্যাসীদের নিয়ে ভক্তদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ। ৫০ লক্ষেরও বেশি পুণ্যার্থী ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করেছেন। প্রয়াগরাজে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে ৪০ কোটি পুণ্যার্থীর জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে এক অস্থায়ী নগরী। ১৫ বর্গমাইল এলাকায় গড়ে তোলা সেই অস্থায়ী নগরীর আয়তন নিউইয়র্ক নগরের ম্যানহাটান বরো এলাকার দুই–তৃতীয়াংশ। ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ভারতে হিন্দু পুণ্যার্থীদের সবচেয়ে বড় সমাবেশ। মহাকুম্ভের আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখেননি সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

Card image cap

ট্রাম্পের শপথগ্রহণে থাকবেন জয়শংকর

২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। রেকর্ড ভোটে জয় পেয়ে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা। এবার তাঁর মসনদে বসার পালা। আর সেই অনুষ্ঠানে জয়শংকরের উপস্থিতির ফলে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কই আরও মজবুত হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি নতুন মার্কিন প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকেও অংশ নেবেন জয়শংকর। সেই সঙ্গে ওই সময়ে সেখানে উপস্থিত থাকা অন্য রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বিদেশমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ট্রাম্প ও মোদির বন্ধুত্বের কথা সর্বজনবিদিত। নির্বাচনে জয়লাভ করার পরই ‘প্রিয় বন্ধু’কে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন নমো। শুভেচ্ছাবার্তায় লিখেছিলেন, ‘ঐতিহাসিক জয়ের জন্য প্রিয় বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনেক শুভেচ্ছা। আমি আগামিদিনে তাঁর সাফল্য কামনা করি। আমি খুবই আগ্রহী আমাদের সম্পর্কে পুনর্জীবিত করার জন্য। এই বন্ধন কৌশলগত দিক দিয়ে ভারত-আমেরিকাকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি ও মানবকল্যাণে আমরা একযোগে কাজ করব।’ ফলে মোদি-ট্রাম্পের বন্ধুত্বে এবার আরও মজবুত হবে দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ক।জয়শংকর ছাড়া আরও যে আন্তর্জাতিক আঙিনার অতিথিরা সেদিন উপস্থিত থাকবেন তাঁদের মধ্যে থাকবেন আর্জেন্টিনার প্রসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই, জাপানের বিদেশমন্ত্রী তাকেশি ইওয়াইয়া, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি প্রমুখ। ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু পাসপোর্ট জট কাটিয়ে তিনি আসতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আমন্ত্রিত চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। তিনি না এলেও উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদের পাঠাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।প্রসঙ্গত, মার্কিন মসনদে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘বিজয়ী ভাষণে’ ‘সোনার আমেরিকা’র স্বপ্ন দেখান বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা। দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, “এই জয় ঐতিহাসিক। সর্বকালের সেরা রাজনৈতিক লড়াই দেখল আমেরিকা। আমেরিকাবাসীকে ধন্যবাদ।”

Card image cap

কনৌজে হুড়মুড়িয়ে ভাঙল রেল স্টেশনের ছাদ

সংস্কারের কাজ চলাকালীন স্টেশনের ছাদ ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। শনিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে উত্তরপ্রদেশের কনৌজ রেলওয়ে স্টেশনে। দুর্ঘটনার জেরে অন্তত ২০ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রেল পুলিশ। চলছে উদ্ধারকাজ।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ২টো ৩৯ মিনিট নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে কনৌজ স্টেশনে। স্টেশনে সংস্কারের কাজ চলাকালীন হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে লিন্টেল। সেই সময় ওই অংশে শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। তাঁরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান। অন্তত ২০ জন নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। যার মধ্যে ৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আরপিএফ, জিআরপির পাশাপাশি উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রাজ্যের মন্ত্রী অসীম অরুণ। আহতদের যাতে দ্রুত উদ্ধার করা যায় তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষও কাজে হাত লাগিয়েছেন। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ১২টি অ্যাম্বুল্যান্স। ওই অঞ্চলের মেয়রও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। কোনওরকম প্রাণহানির ঘটনা আটকাতে কোমর বেঁধে নেমেছে প্রশাসন।

Card image cap

শম্ভু সীমানায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যা কৃষকের!

আরও এক মৃত্যুর সাক্ষী হল শম্ভু সীমানার কৃষক আন্দোলন। এদিন বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলেন আন্দোলনরত এক কৃষক। সঙ্গী আন্দোলনকারীরা দ্রুত তাঁকে পাটিয়ালার রাজেন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে যান। যদিও দুপুরে সেখানেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।মৃত কৃষক পাঞ্জাবের তরন তারন জেলার পাহুবিন্দের বাসিন্দা। এদিনও শম্ভু সীমানায় আন্দোলনরত সতীর্থদের সঙ্গে বসেছিলেন তিনি। আচমকা বিষ খান তিনি। ৫৫ বছরের ওই কৃষক অসুস্থ হয়ে পড়তেই দ্রুত তাঁকে পাটিয়ালার রাজেন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আন্দোলনকারী আর এক কৃষক তেজবীর সিংয়ের অভিযোগ, কেন্দ্রের উপর ক্ষোভ থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই কৃষক।গত ১৮ ডিসেম্বরই শম্ভু সীমানায় আত্মহত্যা করেছিলেন এক কৃষক। ওই ঘটনার তিন সপ্তাহের মধ্যেই ফের সেখানে কৃষক-আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। উল্লেখ্য, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি), কৃষিঋণ মকুব, পেনশনের ব্যবস্থা এবং বিদ্যুতের বিল না-বাড়ানোর মতো বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে কৃষকদের এই আন্দোলন চলছে। গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দিল্লি সংলগ্ন পঞ্জাব এবং হরিয়ানার শম্ভু এবং খানাউড়ি সীমানায় অবস্থানে বসে রয়েছেন কৃষকেরা।

Card image cap

মুজিবকন্যার ভিসা বাড়াল ভারত

শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক স্নায়ুযুদ্ধ আরও বাড়ল। মঙ্গলবার মুজিবকন্যার পাসপোর্ট বাতিল করেছিল ঢাকা। এর কয়েক ঘণ্টা পর হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়াল নয়াদিল্লি। বার্তা অত্যন্ত স্পষ্ট, কোনও মূল্যেই প্রত্যার্পণ করা হবে না দেশত্যাগী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে।গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারকে হিংসাত্মক আন্দোলনের মাধ্যমে উৎখাতের পর বাংলাদেশের দখল নিয়েছে ইউনিসের উপদেষ্টা সরকার। এর পরই গোটা বাংলাদেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের উপর চলতে থাকে ভয়াবহ হিংসা। শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের নেতাদের ধরে ধরে হত্যা করা হয়। ভারতের আশ্রয় নেওয়া হাসিনাকে ফেরাতেও শুরু হয় উদ্যোগ। দেশে তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়েরের পাশাপাশি হাসিনাকে ফেরত চেয়ে নয়াদিল্লিকে কূটনৈতিক বার্তা (নোট ভার্বাল) পাঠায় ঢাকা। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাসিনা এবং সহঅভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হতেও বলা হয়। হাসিনাকে প্রত্যার্পণের জন্য ভারতের উপর চাপ বাড়াতে মঙ্গলবার হাসিনার পাসপোর্টও বাতিল করা হয়। তবে বাংলাদেশের এই কূটনৈতিক চালকে কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে দিল নয়াদিল্লি।
দিল্লি সূত্রে জানা যাচ্ছে, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি ‘কূটনৈতিক’ নয়, ‘আইনি’। কোনও অন্তর্বর্তী সরকার স্থায়ী সরকারের কাছে রাজনৈতিক নেতার প্রত্যার্পণ চাইলে তার আইনি দিক খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। বাংলাদেশ যে কূটনৈতিক বার্তা পাঠিয়েছে ভারত অবশ্যই তার উত্তর দেবে। তবে সেই উত্তর দিতে এত তাড়াহুড়ো ভারত চাইছে না। এই পরিস্থিতিতে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতে এটা স্পষ্ট যে তাঁকে কোনওভাবেই বাংলাদেশে পাঠাবে না মোদি সরকার। তবে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক যে বজায় রাখা হবে সে বার্তাও বারবার দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে।উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রত্যার্পণ চুক্তি থাকলেও তাতে স্পষ্ট বলা রয়েছে, যাকে প্রত্যার্পণ করা হবে সংশ্লিষ্ট দেশে তাঁর যদি প্রাণসংশয় থাকে সেক্ষেত্রে ভারত অভিযুক্তকে প্রত্যার্পণ নাও করতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে হাসিনার প্রাণহানির আশঙ্কা যথেষ্ট রয়েছে। সরকারের মদতেই তাকে খুন করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা। সব মিলিয়ে, হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ভারত বুঝিয়ে দিল কূটনৈতিক ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার গুরুত্ব ভারতের কাছে অনেক বেশি।

Card image cap

ধূলিসাৎ নেপাল-তিব্বতের বিস্তীর্ণ এলাকা

নতুন বছরের শুরুতেই ফের ভয়াবহ ভূমিকম্পের স্মৃতি ফিরল নেপালে। রিখটার স্কেলে ৭.১ মাত্রায় কেঁপে উঠেছে নেপাল-তিব্বত সীমান্ত। তার জেরে ইতিমধ্যেই ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। গুরুতর আহত অন্তত ১০০ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। পুরোদমে উদ্ধারকাজ চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেসমিলজি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্পটি অনূভূত হয়। কম্পনের উৎসস্থল নেপাল-তিব্বত সীমান্তের কাছে শিজ্যাং। মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে কম্পন হয় রিখটার স্কেলে ৭.১ মাত্রায়। এই কম্পনের প্রভাব পড়ে দিল্লি, বিহার-সহ উত্তর ভারতের বিরাট অংশে। আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন আমজনতা।প্রথম কম্পনের প্রায় আধঘণ্টার মধ্যেই আরও দুবার আফটার শক হয় ওই এলাকায়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৭টা ২ মিনিটে ৪.৭ মাত্রায় আফটার শক হয়। পাঁচ মিনিটের মাথায় ফের ৪.৯ মাত্রায় কেঁপে ওঠে শিজ্যাং। এখানেই শেষ নয়। আরও তিনবার লাগাতার আফটারশক হয় ওই এলাকায়। সবমিলিয়ে মঙ্গলবার সকালে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ৬ বার কম্পন অনূভূত হয় নেপাল-তিব্বত সীমান্তে। আর তাতেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দুই দেশের বিশাল এলাকা। ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে বাড়ি। ভাইরাল হয়েছে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া শিগতাসে শহরের ভিডিও।  চিনা সংবাদমাধ্যমগুলির মতে, ভূমিকম্পে আপাতত ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে নেপাল এবং তিব্বতে। চিনের সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি সূত্রে জানা গিয়েছে, কম্পনের জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডিংরি কাউন্টি। অন্তত ৬২ হাজার মানুষ বসবাস করেন সেখানে। ইতিমধ্যেই সেখানে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রবল ঠান্ডার কারণে উদ্ধারকাজে সমস্যা বাড়ছে। ফলে বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যাও। আপাতত বিপর্যয় মোকাবিলায় সবরকম চেষ্টা করতে নির্দেশ দিয়েছেন জিনপিং। 

Card image cap

অনশনের জেরে গুরুতর অসুস্থ প্রশান্ত কিশোর

অনশনের জেরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ‘জন সুরজ পার্টি’র প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর। সোমবার নিঃশর্ত জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পাটনার এক হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। প্রশান্ত কিশোরের সমর্থকদের দাবি অনুযায়ী, অনশনমঞ্চ কোথায় হবে সে বিষয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০ টা নাগাদ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সেই সময় হঠাৎ সংজ্ঞা হারান তিনি। চোখে মুখে জলের ছিটে দিলে সংজ্ঞা ফেরে তাঁর। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, অনশনের জেরে ডিহাইড্রেশনের পাশাপাশি গলায় সংক্রমণ রয়েছে প্রশান্তের। এছাড়াও অন্যান্য নানান সমস্যা দেখা গিয়েছে। চিকিৎসক রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, ‘আজ সারাদিন ওনার পরীক্ষা চলবে। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান, অভুক্ত অবস্থায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে থাকার ফলেই এই সমস্যা। সন্ধ্যের দিকে রিপোর্ট আসার পর সবটা স্পষ্ট হবে।’উল্লেখ্য, বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গত ৫দিন ধরে পাটনা গান্ধী ময়দানে অনশন করছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সোমবার ভোর ৪টে নাগাদ সেই অনশনমঞ্চে হানা দেয় বিহার পুলিশ। টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সোমবারই তাঁকে পাটনা আদালতে তোলা হলে ২৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে পিকের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। তবে জামিনের শর্তে জানানো হয়, ভবিষ্যতে এমন অপরাধ তিনি আর করবেন না। এখানেই বাধে সমস্যা। প্রশান্ত কিশোর দাবি করেন, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। ধর্নায় বসা ও আন্দোলন করা তাঁর অধিকার। ভবিষ্যতে তিনি যদি কোনও আন্দোলন করেন তবেন এই শর্তের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করবে।’এই অবস্থায় আদালতে প্রশান্তের আইনজীবীরা তাঁর নিঃশর্ত জামিনের দাবি জানান। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে সোমবার রাতে তাঁর নিশর্ত জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেন পাটনা সিভিল কোর্টের প্রধান বিচারক। এরপর বেউর থানায় ব্যক্তিগত মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান জন সুরজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর এবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন পিকে।

Card image cap

প্যারাশুট জড়িয়ে সমুদ্রে পড়লেন নৌসেনার দুই অফিসার

নৌসেনার মহড়া চলাকালীন ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মাঝআকাশ থেকে মাটিতে নামার সময় প্যারাশুট জড়িয়ে সমুদ্রে পড়লেন নৌসেনার দুই আধিকারিক। গত বৃহস্পতিবার এক দুর্ঘটনা ঘটে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে রামকৃষ্ণ সমুদ্র সৈকতে। সৌভাগ্যবশত জলে পড়ার কারণে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।গোটা ঘটনার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, মাঝআকাশে মহড়া চালাচ্ছিলেন নৌসেনার আধিকারিকরা। ঠিক সেই সময় একে অপরের খুব কাছাকাছি চলে আসেন দুজন। পরিস্থিতি বুঝে ওঠার আগেই প্যারাশুট জড়িয়ে যায় দুজনের। ওই অবস্থায় পাক খেতে খেতে দ্রুত গতিতে নিচের দিকে নামতে থাকেন তাঁরা। এবং মাঝ সমুদ্রে আছড়ে পড়েন। দুর্ঘটনা টের পেয়ে সমুদ্রে তাঁদের উদ্ধারে ছুটে যায় সেনার বোট। দুজনকেই উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, নৌসেনার এই মহড়া দেখতে বৃহস্পতিবার সমুদ্র সৈকতে উপস্থিত ছিলেন বহু মানুষ। এমনকি অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু নিজেও উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। তখনই ঘটে এই দুর্ঘটনা।উল্লেখ্য, জলপথে শক্তি প্রদর্শনের লক্ষ্যে এই ধরনের মহড়ার আয়োজন করে নৌসেনা। যেখানে অপারেশনাল ডেমোনস্ট্রেশনটি ওয়ারশিপ, সাবমেরিন, এয়ারক্রাফ্ট, নেভাল ব্যান্ড এবং মেরিন কমান্ডোস দ্বারা আয়োজিত হয় এই অনুষ্ঠান। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সময় মেপে আয়োজিত হয় এই মহড়া সেখানে এমন একটি দুর্ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Card image cap

আজও জামিন খারিজ চিন্ময়ের

আজও জামিন পেলেন না ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভু। চট্টগ্রাম আদালতে খারিজ হয়ে যায় তাঁর জামিনের আবেদন। বাংলাদেশে প্রায় দেড় মাস ধরে বন্দি সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করেছে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। দোষী সাব্যস্ত হলে সাজা যাবজ্জীবন জেল। তবে হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে মৌলবাদীদের হাতে নিপীড়িত হিন্দুদের হয়ে আওয়াজ তোলার জন্যই তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে, একথা স্পষ্ট।আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সাইফুল ইসলাম চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করে দেন। সকাল সোয়া ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে হওয়া শুনানিতে বন্দি সন্ন্যাসীর পক্ষে সওয়াল করেন সুপ্রিম কোর্টের ১১ আইনজীবীর একটি দল। তবে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে চিন্ময়কে এদিন আদালতে হাজির করা হয়নি। আদালতে আইনজীবীর উপস্থিতিতে ভারচুয়াল হাজিরায় জামিন শুনানি হয়। এদিন সকাল থেকেই আদালত এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।এই প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি সহ-কৌশুলী মহম্মদ রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, জামিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তি জানিয়ে বলেছে, এটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা, এর সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছে। কেউ ক্ষুব্ধ হলে উচ্চ আদালতে যাবার সুযোগ রয়েছে৷চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময়ের জামিন মামলার শুনানি হয়। তবে এই মুহূর্তে তাঁর আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ অসুস্থ হয়ে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি। তাই অন্য তিন হিন্দু আইনজীবী এগিয়ে আসেন সওয়াল করার জন্য। তবে আদালত তাঁদের যুক্তি মেনে নেয়নি। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সবুজ সংকেত দিয়ে চিন্ময় প্রভুর জামিন খারিজ করে দেন বিচারক। ফলে তাঁকে জেলেই থাকতে হবে। এই প্রসঙ্গে কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস বলেন, “আমরা আশায় ছিলাম। এদিনে রায় খুবই হতাশাজনক।”   

গত ২৫ নভেম্বর বিকালে ইসকনের সন্ন্যাসীকে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ২৬ তারিখ চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয় তাঁকে। আনা হয় রাষ্ট্রদোহ মামলা। শুনানি শেষে জামিন খারিজ হয়ে যায় চিন্ময় প্রভুর। এরপর হামলার মুখে পড়ে আইসিইউ-তে ভর্তি হতে হয় তাঁর আর এক আইনজীবীকে। এই গ্রেপ্তারি নিয়ে বাংলাদেশে প্রতিবাদের ঝড় তোলেন হিন্দুরা। কড়া বার্তা দেয় ভারতও। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। প্রায় দেড় মাস হয়ে গেলেও গারদের পিছনেই রয়েছেন চিন্ময় প্রভু। গত ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে তাঁর শুনানি ছিল। কিন্তু ‘প্রাণভয়ে’ ৫১ জন আইনজীবী দলের কেউই চিন্ময়ের হয়ে আদালতে সওয়াল করতে আসেননি। ফলে পিছিয়ে যায় জামিন মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয় ২ জানুয়ারি।

এর মাঝেই হিন্দু সন্ন্যাসীকে জেলবন্দি করে রাখতে নানা ফন্দি আঁটে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার! কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট সংবাদমাধ্যমে দাবি করে, চিন্ময় প্রভুর মুক্তি আটকাতে ৭০ জন হিন্দু সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যাতে কেউ তাঁর হয়ে আদালতে দাঁড়াতে না পারেন।

উল্লেখ্য, চিন্ময় কাণ্ডে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক যে আরও খাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তা স্পষ্ট। পড়শি দেশে ভারত-বিদ্বেষ চরমে পৌঁছলেও আপাতত আস্থার বার্তা দিয়েছে দিল্লি। বদলা নয়, বরং কূটনৈতিক বোঝাপড়ায় আগ্রহী সাউথ ব্লক। তবে এদিন চিন্ময়ের জামিন খারিজ হওয়ায় ঘরে চাপ আরও বাড়বে মোদি সরকারের উপর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তথাকথিত হিন্দু রাষ্ট্রবাদী সরকার কেন ওপার বাংলায় হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না, সে প্রশ্ন ক্রমে জোরাল হচ্ছে। ৯ ডিসেম্বর বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরির ঢাকা সফর কি তাহলে নিষ্ফলা? বিরোধীরাও কেন্দ্রের এহেন ‘নরমপন্থা’য় সরব। ফলে মৌনব্রত অবলম্বন করে দীর্ঘদিন উত্তর এড়িয়ে যেতে পারবেন না মোদি-শাহরা। 

Card image cap

বিহারে চাকরিপ্রার্থীদের উপর পুলিশের লাঠি

বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও কারচুপির অভিযোগ। দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নামা চাকরিপ্রার্থীদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল রাজধানী পাটনা। চাকরিপ্রার্থীদের এই আন্দোলনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে বিহারের জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর-সহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলা দায়ের হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় অন্তত ৬০০ জনের বিরুদ্ধে।চাকরির পরীক্ষায় বেনিয়মের অভিযোগে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে আন্দোলনে নেমেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলার দাবি জানান। যদিও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার পড়ুয়াদের সেই দাবিকে গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ান প্রশান্ত কিশোর হয়, বিহারের বিরোধী শিবির। রবিবার রাতে প্রশান্ত কিশোরের নেতৃত্বে পাটনার গান্ধী ময়দান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশে পদযাত্রা বের করেন পড়ুয়ারা। ব্যারিকেড ভেঙে পড়ুয়ারা এগোতে থাকলে তাঁদের আটকাতে শক্তি প্রয়োগ করে পুলিশ। প্রথমে জলকামান ও পরে পড়ুয়াদের উপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ করা হয়। রাস্তায় ফেলে পড়ুয়াদের বেলাগাম মারধর করা হয়। এই ঘটনাতেই প্রশান্ত কিশোর-সহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ।পুলিশের দাবি, পাটনার গান্ধী ময়দানে জমায়েতের অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলে পিকে। তবে তাঁর সে আবেদন মঞ্জুর করা হয়নি। এর পর পুলিশি নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে তাঁর নেতৃত্বে হাজার হাজার পড়ুয়া জমায়েত করে গান্ধী ময়দানে। এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশে মিছিল বের করা হয়। তাঁদের আটকাতে পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। যদিও লাঠিচার্জের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পাটনা সেন্ট্রালের পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, পড়ুয়াদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল। তাঁরা যেন তাঁদের দাবি আমাদের কাছে রাখেন। তবে পড়ুয়ারা অনড় থাকায় তাঁদের আটকাতে জলকামান ছোড়া হয়েছে।এদিকে বিহার সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রশান্ত কিশোরের অভিযোগ, ‘দীর্ঘ দিন ধরে বিহারে চাকরির পরীক্ষাতে কারচুপি চলছে। বছরের পর বছর ধরে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা চলছে। এবার এর শেষ দেখা দরকার। একজোট হয়ে পড়ুয়াদের এবার লড়তে হবে।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘সরকার এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ব্যক্তিগত প্রয়োজনে উনি (নীতীশ কুমার) বার বার দিল্লি যেতে পারেন অথচ একবার ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করার সময় নেই ওনার।’

Card image cap

দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান দুর্ঘটনা

দক্ষিণ কোরিয়ায় ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনায় সম্ভবত জীবিত মাত্র দুজন! এমনটাই জানা যাচ্ছে। ধ্বংসাবশেষ থেকে সেই দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, পাখির সঙ্গে ধাক্কায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটে গিয়েছে এই দুর্ঘটনা। ব্যাঙ্কক থেকে ফিরছিল বিমানটি। নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে দুর্ঘটনার মুহূর্তের হাড়হিম ভিডিও।সেই ভিডিওতেই দেখা গিয়েছে কীভাবে রানওয়ের উপর থেকে ক্রমেই পিছলে যাচ্ছিল বিমানটি। পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আর সেই কারণেই পরিস্থিতি হাতে বাইরে চলে যায়। চাকা না খোলায় বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ারও চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে বিমানটি গিয়ে রানওয়ের দেওয়ালে আছড়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটে যায় প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। আগুনের শিখা ঝলসে ওঠে। আকাশ ঢেকে ফেলতে থাকে কালো ঘন ধোঁয়া। দেখা যায় ধোঁয়ার ভিতরে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে বিমানটি।ওই বিমানে ১৮১ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ক্রু সদস্য ৬ জন। দুর্ঘটনায় তাঁদের মধ্যে প্রায় সকলেই প্রাণ হারিয়েছেন বলেই অনুমান। জীবিত অবস্থায় মাত্র দুজনকে পাওয়া গিয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দাবি, সম্ভবত মারা গিয়েছেন বাকি ১৭৯ জন।দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। সমস্ত যাত্রীকেই বিমান থেকে বের করার চেষ্টা শুরু হয়। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা নাগাদ বিমানটি ভেঙে পড়ার অব্যবহিত পর থেকেই ঘটনাস্থলে একে একে হাজির হয় দমকলের ইঞ্জিন। অন্তত ৩২টি ইঞ্জিন সেখানে ছিল বলে জানা যাচ্ছে। তৎপরতার সঙ্গে পুরো বিষয়টির মোকাবিলা করা হচ্ছে বলে স্থানীয় প্রশাসন ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে।

Card image cap

মনমোহন সিংকে অপমান মোদি সরকারের!

যোগ্য সম্মান দেওয়া তো দূর। প্রয়াণের পরও মনমোহন সিংকে অপমান করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। বিস্ফোরক অভিযোগ লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর। তাঁর বক্তব্য, যেভাবে নিগমবোধ ঘাট শ্মশানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল, সেটা তাঁর পক্ষে অপমানজনক।মনমোহনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরই সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো বিস্ফোরক পোস্ট করলেন রাহুল। বিরোধী দলনেতা বললেন, ‘মনমোহন সিংহ সর্বোচ্চ সম্মান এবং নির্দিষ্ট ‘সমাধিস্থল’ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু যে ভাবে মোদি সরকার তাঁর শেষকৃত্য অধিকৃত সমাধিস্থলে না করে নিগমবোধ শ্মশানে করল সেটা অপমানজনক।’ রাহুলের দাবি, ‘এর আগে আর কোনও প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য নিগমবোধ শ্মশানে হয়নি। স্মৃতিসৌধ বা অন্ত্যেষ্টিস্থলেই সব প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য হয়, যাতে সাধারণ নাগরিকরা সহজে দর্শন করতে পারেন।”রাহুলের সাফ কথা, “মনমোহন সিং সর্বোচ্চ সম্মান এবং নির্দিষ্ট ‘সমাধিস্থল’ পাওয়ার যোগ্য। এটুকু সম্মান সরকার দেখাতে পারত। নিগমবোধ শ্মশানে শেষকৃত্য করে দেশের প্রথম শিখ প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছে মোদি সরকার।” বস্তুত, মনমোহনের শেষকৃত্যের স্থল এবং সমাধি নিয়ে শুরু থেকেই অসন্তুষ্ট কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি ছিল, অন্য প্রধানমন্ত্রীদের মতো যমুনার তীরে রাজঘাটের আশপাশে কোথাও শেষকৃত্য হোক। সেখানেই মনমোহনের স্মৃতিসৌধ তৈরি হোক।শুরুতে কেন্দ্র মনমোহনের স্মৃতিসৌধ করা নিয়ে কোনওরকম ঘোষণা করেনি। তাতে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লিখে দাবি করেন, রাজঘাটের আশেপাশে কোথাও জমি নির্দিষ্ট করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সমাধিস্থল তৈরি হোক। শুক্রবার গভীর রাতে একপ্রকার চাপে পড়ে সেই দাবি মেনে নেয় অমিত শাহর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু যেখানে স্মৃতিসৌধ তৈরি হবে সেখানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। শেষকৃত্য হয়েছে নিগমবোধ ঘাটে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ রাহুল গান্ধী।

Card image cap

দুই নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের পর খুন!

বাড়ির সামনে থেকে বালিকাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা! চিৎকার শুনে বাঁচাতে গিয়ে যৌন হেনস্তার শিকার বড় দিদি। পরে দুজনকেই খুনের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পুণেতে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম অজয় দাস। সে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। পুণের রাজগুরুনগর থানার অধীনে একটি ছোট হোটেলে রান্নার কাজ করত অজয়। সে যেখানে থাকত সেই বাড়ির পাশেই ৮ ও ৯ বছরের দুই বালিকাকে নিয়ে থাকতেন দম্পতি। ঘটনার দিন বাড়ির সামনেই খেলছিল দুই বালিকা। সেই সময় ধৃত ব্যক্তি ছোট বোনকে ঘরে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সেই সময় চিৎকার শুনে অজয়ের ঘরে যায় ৯ বছরের দিদি। তারপর দুজনকে যৌন নিগ্রহের পর খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।বাড়িতে না ফেরায় স্থানীয় থানায় নিখোঁজের অভিযোগ জানায় পরিবার। পুলিশি তল্লাশির সময় বাড়ির কাছেই একটি জলের ড্রামের ভিতর থেকে দুুই বালিকার দেহ উদ্ধার হয়।পুলিশ জানিয়েছে, “আমরা খবর পাই অভিযুক্ত ব্যক্তি শহর ছেড়ে উত্তর ভারতের কোথাও পালিয়ে যাওয়ার ছক কষছিল। খবর পেয়ে পুণের একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।” অভিযুক্তের গ্রেপ্তারের পর দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে নির্যাতিতাদের পরিবার ও স্থানীয়রা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।