CATEGORY country:

Card image cap

ইন্ডিগোর বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ান গোয়েন্দা আধিকারিক!

 ইন্ডিগোর বিমানে ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। নাগপুর থেকে কলকাতাগামী ওই বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনায় আগেই এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। মঙ্গলবার জানা গেল, ধৃত ব্যক্তি একজন গোয়েন্দা আধিকারিক! তিনি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আই বি)-র নাগপুর শাখায় কর্মরত। অন্তত তেমনটাই তাঁর আইনজীবীর দাবি। খোদ গোয়েন্দা আধিকারিক ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছেন? বিষয়টি হজম করা কঠিন হয়ে উঠছে তদন্তকারীদের পক্ষে।গত ১৪ নভেম্বর নাগপুর থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগোর বিমানে বোমতঙ্ক ছড়ায়। বিমানটিকে ছত্তিশগড়ের রায়পুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। দ্রুত ১৮৭ জন যাত্রী এবং ৬ বিমানকর্মীকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়। যদিও বিমানে তল্লাশি চালিয়ে বোমার হদিশ মেলেনি। শেষ পর্যন্ত স্পষ্ট হয়, বিমানে বোমা থাকার খবরটি ছিল ভুয়ো।এর পর ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। রায়পুর থেকে অনিমেষ মণ্ডল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা হয়। অনিমেষের আইনজীবী ফয়জল রিজভি দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেল আদতে এক জন গোয়েন্দা আধিকারিক। শুরুতে অনিমেষের পরিচয় গোপন রাখা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এই আইনজীবী। যদিও পালটা রায়পুর পুলিশের সুপার সন্তোষ সিং দাবি করেছেন, আই বি এবং স্থানীয় পুলিশের যৌথ জিজ্ঞাসাবাদের পরেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, সরকারি হিসাবে চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৯৯৪টি বিমানে বোমা রাখার ভুয়ো তথ্য ছড়ায়। এর জেরে বিঘ্নিত হয়েছে স্বাভাবিক পরিষেবা। হেনস্তার শিকার হয়েছেন যাত্রীদের পাশাপাশি বিমানবন্দর ও বিমান সংস্থার কর্মীরাও। তদন্তে দেখা গিয়েছে, মূলত সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ভুয়ো বার্তা ছড়ানো হচ্ছে। যার জেরে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সোশাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। এমনকী বিমান ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়াতে আইনে সংশোধনের বিষয়েও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে কেন্দ্র। এই আবহে কদিন আগে বিমানবন্দর নিরাপত্তা শাখায় বিশেষ ইউনিট চালু করেছে সিআইএসএফ।

Card image cap

সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন বিক্রমের

পারস্পরিক আস্থা ফেরাতে গঠনমূলক পথে হাঁটবে ভারত ও বাংলাদেশ। বিভিন্ন কারণে দুই দেশের সম্পর্ক মেঘলা হয়েছে, তা দূর করতে হবে। সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরির বৈঠক শেষে এমন বার্তাই দেওয়া হল উভয় পক্ষে। এইসঙ্গে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে দিল্লির উদ্বেগের কথাও আলোচনা হয়েছে বিক্রম-ইউনুস বৈঠকে। এর আগে দুপুরে বাংলাদেশের বিদেশ সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পরে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্কের বার্তা দেন বিক্রম। এইসঙ্গে পদ্মাপাড়ে সংখ্যালঘু নিরাপত্তা এবং উপাসনাস্থলে হামলা নিয়ে যে নয়াদিল্লি উদ্বিগ্ন, দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে সেকথা জানান।সোমবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিক্রম মিসরি। বৈঠকে তিনি বার্তা দেন, গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল বাংলাদেশের জন্য সব সময় সমর্থন রয়েছে ভারতের তরফে। পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধা এবং একে অপরের স্বার্থের প্রতি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে ইচ্ছুক ভারত। বিদেশ সচিব মনে করান, জনগণই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূল সূত্র। ফলে বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে ভারত সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিক্রম মিসরি। বিশেষত সংখ্যালঘু নিরাপত্তা প্রশ্ন তোলেন তিনি। ধর্মীয়স্থান, সংখ্যালঘুদের সম্পত্তিতে হামলার বিষয়টি উল্লেখ করেন।সংখ্যালঘু নির্যাতন, সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারি ঘটনায় গত কয়েক সপ্তাহে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দুই দেশে। নয়াদিল্লি ও ঢাকার বিবৃতি ও পালটা বিবৃতির ঘটনায় উভয় দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়। এই অবস্থায় সোমবার বাংলাদেশের বিদেশ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। প্রায় দুঘণ্টার বৈঠক শেষে বিক্রম বলেন, “আগস্ট পরবর্তী সময় বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে। সেই সময় থেকেই দুদেশের নেতৃত্বের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীই প্রথম ব্যক্তি যিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদে বসার পর ড. মহম্মদ ইউনুসকে প্রথম শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। তার পরেও দুজনের মধ্যে টেলিফোনে সৌহার্দ্যপূর্ণ কথোপকথন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল সাউথ সামিটে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন তিনি। দুদেশের বিদেশ সচিব এবং বিদেশ উপদেষ্টার মধ্যেও নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জর সাধারণ সভা চলাকালীন দুজনের মধ্যে কথাও হয়েছে। এর পরবর্তী পদক্ষেপ স্বরূপ আমার ঢাকা সফর। এই প্রথম সরকারিভাবে দুদেশের সচিব পর্যায়ে বৈঠক হল।”বিদেশ সচিব জানান, “ভারত চায়, আগের মতোই বাংলাদেশের সঙ্গে  দ্বিপাক্ষিক ইতিবাচক, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকুক। উভয় দেশ যেন সমান সুযোগ-সুবিধা পায়।” ১২০ মিনিটের বৈঠকে উঠে এসেছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গও। এই বিষয়ে বিক্রম মিসরি বলেন, “সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। কিছু দুঃখজনক ঘটনা নিয়েও আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও কূটনৈতিক পরিকাঠামোয় হামলা অনভিপ্রেত বলে জানিয়েছি।”প্রসঙ্গত, গত আগস্টে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক চিত্র বদলে যায়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তবর্তী সরকার গঠিত হলেও অবনতি হয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির। মৌলবাদী শক্তির উত্থানে দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্ত হন সংখ্যালঘুরা। বিশ্লেষকদের দাবি, বিএনপি বা জামাত নয়, অন্তর্বর্তী সরকারে ছড়ি ঘোরাচ্ছে মৌলবাদী শক্তি। হাসিনার আমলে যারা ঠান্ডা ঘরে ছিল। এই অবস্থায় উগ্র ভারত বিরোধিতাই পদ্মাপাড়ের নয়া রাজনৈতিক এজেন্ডা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘৃতাহুতি পড়ে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারি এবং জামিন না মঞ্জুর হওয়ার ঘটনায়। টালামাটাল এই পরিস্থিতিতে ভারতের বিদেশ সচিবের ঢাকা সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Card image cap

চলতি অধিবেশনেই সংসদে ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল!

চলতি শীতকালীন অধিবেশন কিংবা পরবর্তী অধিবেশনে সংসদে পেশ হতে চলেছে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন বিল’। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিল নিয়ে আলোচনা ও ঐক্যমত জোগাড় করতে এটি ‘যৌথ সংসদীয় কমিটি’তে পাঠানোরও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের পাশাপাশি বিধানসভার স্পিকারদেরও এই বিষয়ে মতামত জানানোর আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে খবর।চলতি বছর লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি যুক্তি দেন, ঘন ঘন নির্বাচনে দেশের উন্নয়নমূলক কাজে বাধা পড়ে। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, গোটা দেশ এই প্রক্রিয়াকে সমর্থনও জানাচ্ছে। সব রাজনৈতিক দলগুলিকে এই বিষয়ে সমর্থন করার আহ্বানও জানান তিনি। মোদির সেই বার্তার পর জল্পনা তৈরি হয়েছিল এনডিএ সরকারের চলতি মেয়াদেই কার্যকর হবে এক দেশ, এক নির্বাচন রীতি। এ বিষয়ে সরকার পক্ষের দাবি, এই ব্যবস্থা চালু হলে ভোট প্রক্রিয়ার জন্য যে বিপুল অঙ্কের খরচ হয়ে থাকে, তা অনেকটাই কমে যাবে।‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’-এর বাস্তবতা খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্র। গত মার্চ মাসে সেই কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। যেখানে ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’-এর পক্ষে সায় দেওয়া হয়েছে। যদিও বিরোধী দলগুলি শুরু থেকেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর বিরোধিতা করে এসেছে। বিরোধী নেতারা অভিযোগ করেছেন, এই নীতি ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংসদীয় গণতান্ত্রের পরিপন্থী।কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম-সহ বিজেপি-বিরোধী দলগুলির আশঙ্কা, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতি কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সাংসদ এবং বিধায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে বিভিন্ন ফলাফল দেখা যায়, সেই বৈচিত্র বিনষ্ট হবে। এই সুযোগ কাজে লাগাবে বিজেপির মতো অর্থনৈতিক ভাবে প্রবল শক্তিশালী দল। তাদের প্রচারের ঢেউয়ে ভেসে যাবে তুলনায় ছোট আঞ্চলিক দলগুলি। ফলে এই বিল সংসদে পেশ হলে এর তীব্র বিরোধিতায় সরব হবে বিরোধী দলগুলি।

Card image cap

ফের ‘দিল্লি চলো’র ডাক কৃষকদের

রবিবার ‘দিল্লি চলো অভিযান’ করবেন পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের একাংশ। শুক্রবার শম্ভু সীমানায় আটকে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু শনিবারই কৃষক নেতা সরওয়ান সিংহ পান্ধের ঘোষণা করেন, ফের রবিবার তাঁরা মিছিল করবেন। এদিকে শম্ভু সীমানায় নিরাপত্তা আরও কড়া করেছে পুলিশ। ফলে অভিযান ঘিরে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।গত শুক্রবার কৃষকরা এগোতে চেষ্টা করতেই শম্ভু সীমানায় আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। কার্যত দুর্গে পরিণত করা হয় ওই অঞ্চলকে। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। চলে লাঠি। ৬ জন কৃষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই পরিস্থিতিতে সেদিনের মতো অভিযান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন বিদ্রোহীরা। কৃষক নেতা সরওয়ান সিংহ পান্ধের দাবি করেন, কথাবার্তা চালানোর কোনও ইশারা এখনও কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হয়নি। তাঁর কথায়, ”কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কোনও কথা বলবে না। ওরা চেষ্টা করছে আমাদের জোর করে থামিয়ে দিতে। কিন্তু আমরা দিল্লিতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখেই পৌঁছতে চাই, কালকের মতোই। মোদি সরকার কথা বলতেই চাইছে না। আমরা রবিবার দুপুর বারোটায় ১০১ জনের প্রতিনিধি দল পাঠাতে চাই কথা বলার জন্য।”কৃষকদের তরফে যে ৫ দফা দাবি তোলা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, পুরনো ভূমি অধিগ্রহণ আইনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ১০ শতাংশ প্লট এবং ৬৪.৭ শতাংশ বর্ধিত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ১ জানুয়ারি, ২০১৪ সালের পর অধিগ্রহণ করা জমির জন্য বাজারমূল্যের চার গুণ ক্ষতিপূরণ এবং ২০ শতাংশ প্লট দিতে হবে। এর পাশাপাশি সকল ভূমিহীন ও ভূমিহীন কৃষকের সন্তানদেরও কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের সুবিধা দিতে হবে। এই বিষয়ে অবিলম্বে সরকারি নির্দেশিকা জারি করার দাবি জানিয়েছেন কৃষক নেতারা। কৃষকদের তরফে বার বার দাবি তোলা হয়েছে, শুধু মৌখিক আশ্বাস নয় সংসদে এই বিষয়ে আইন আনা হোক। সরকার আশ্বাস দিলেও শুধু আশ্বাসে চিড়ে ভিজছে না। এই পরিস্থিতিতে রবিবার ফের দিল্লিমুখী অভিযানে কৃষকরা।

Card image cap

বাংলাদেশ আবহে মোদিকে খুনের হুমকি!

 হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে ভারতের। এর মাঝেই ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খুনের হুমকি দেওয়া হল মুম্বই পুলিশকে। হোয়াটসঅ্যাপে বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে মোদির প্রাণনাশের বার্তা দেওয়া হয় তাদের। যে নম্বর থেকে মেসেজ এসেছিল তা রাজস্থানের আজমেঢ়ের বলে খবর। মুম্বই পুলিশের এক বিশেষ দল অভিযুক্তকে ধরতে সেখানে রওনা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, আজ শনিবার সকাল মুম্বই ট্র্যাফিক পুলিশের হেল্পলাইনে নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপে হুমকি বার্তাটি আসে। সেখানে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের দুই এজেন্টের নাম উল্লেখ করা হয়। জানানো হয়, কীভাবে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খুন করার ছকও। এর থেকে বেশি আর কোনও তথ্য জানানো হয়নি পুলিশের তরফে।জানা গিয়েছে, হুমকি বার্তা পেয়েই তদন্ত শুরু করা হয়। যে নম্বর থেকে মেসেজটি এসেছিল সেটি রাজস্থানের আজমেঢ়ের বলে চিহ্নিত করে পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে ধরতে মুম্বই পুলিশের একটি দল মরু রাজ্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তবে তদন্তকারীরা প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন, অভিযুক্তের কোনও মানসিক সমস্যা থাকতে পারে। অথবা সে মত্ত অবস্থায় এই মেসেজ করে থাকতে পারে। সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই হুমকির ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর মুম্বই পুলিশের কাছে মোদিকে খুনের হুমকি আসে মুম্বই পুলিশের কাছে। বার্তায় বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীকে খুনের ছক কষা হচ্ছে। হত্যার অস্ত্রও প্রস্তুত করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। যে মোবাইল থেকে ফোন করা হয়েছিল তা পরীক্ষা করে দেখা যায় সেটি এসেছিল আন্ধেরি থেকে। দ্রুত খবর যায় আন্ধেরি থানায়। তৈরি করা হয় পুলিশের এক তদন্তকারী দল। কিন্তু কলারকে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই দেখা যায় ফোনটি সুইচড অফ। অবশেষে আটক করা হয় সন্দেহভাজন এক ৩৪ বছরের মহিলাকে। সেই ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছিল, ওই মহিলার পড়াশোনা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। তিনি অবিবাহিত। একাই থাকেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলার সময় দেখা গিয়েছে, তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত রয়েছেন। এর ঠিক ১০ দিনের মাথাতেই ফের প্রধানমন্ত্রীর প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হল। 

Card image cap

ভয়ংকর গৃহযুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত সিরিয়া

গৃহযুদ্ধে রক্তাক্ত সিরিয়া। যতদিন যাচ্ছে আরও ভয়ংকর হচ্ছে পরিস্থিতি। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর লড়াইয়ে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর আলেপ্পো। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতবিক্ষত সিরিয়ায় রয়েছেন বহু ভারতীয়। যাঁদের নিয়ে আজ শুক্রবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। জানালেন, এদেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য সব রকম পদক্ষেপ করবে সিরিয়ার ভারতীয় দূতাবাস। আজ সাপ্তাহিক সম্মেলনে নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন রণধীর জয়সওয়াল। উঠে আসে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ার প্রসঙ্গও। তখনই বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, “সিরিয়ার সাম্প্রতিক যুদ্ধের উপর আমরা তীক্ষ্ণ নজর রাখছি। সমস্ত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এই মুহূর্তে সিরিয়ায় প্রায় ৯০ জন ভারতীয় রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে অনেকেই সেখানে রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করছেন। ভারতীয় দূতাবাসগুলো তাঁদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টা যোগাযোগ রাখছে।”বিবিসি সূত্রে খবর, আজও সিরিয়ার নানা প্রান্তে ব্যাপক লড়াই জারি রেখেছে বিদ্রোহীরা। সংঘর্ষের মুখে পিছু হঠতে বাধ্য হচ্ছে সরকারি বাহিনী। গত সপ্তাহেই জানা গিয়েছিল, হঠাৎ হামলা চালিয়ে সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর একটি বড় এলাকা দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। এবার তারা অগ্রসর হয়েছে প্রধান শহর হোমস-এর দিকে। শেষ পাওয়া খবর মোতাবেক, আর মাত্র এক কিলোমিটার দূরে রয়েছে বিদ্রোহীরা। অন্যদিকে, হামা শহরে প্রেসিডেন্ট আসাদের বাবা তথা দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হাফেজ আল আসাদের মূর্তি ভেঙে দিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে রুশ নাগরিকদের দ্রুত সিরিয়া ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক।আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সিরিয়ার এই বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দিচ্ছে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। আলেপ্পো শহরের অর্ধেকই এখন নাকি তাদের নিয়ন্ত্রণে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের পরিচালক রামি আবদুল রহমানের কথায়, লড়াই ছাড়াই অনেক জায়গায় সরকারি বাহিনী পিছু হটেছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এই তাহরির আল-শাম আল কায়দার শাখা সংগঠন হিসেবেই পরিচিত। অর্থাৎ, গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াই এখন কার্যত জেহাদিরা হাইজ্যাক করে নিয়েছে।উল্লেখ্য, ২০০০ সাল থেকেই শক্ত হাতে সিরিয়া শাসন করছেন আসাদ। তবে জলঘোলা হতে শুরু করে ২০১১ সালে। আরব বসন্তের হাওয়ায় উত্তাল হয়ে ওঠে মরুপ্রদেশটি। আকাশ বাতাস কেঁপে ওঠে একনায়ক হঠাও, গণতন্ত্র ফেরাও স্লোগানে। শুরু হয়ে যায় গৃহযুদ্ধ। আসাদকে গদিচ্যুত করতে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিদ্রোহীদের যৌথমঞ্চ ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস’ (এসডিএফ)। কুর্দ বাহিনী পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটের (ওয়াইপিজি) নেতৃত্বে আরম্ভ হয় এক অসম যুদ্ধ। শুরুর দিকে লড়াইয়ে আলেপ্পো হাতছাড়া হলেও, ২০১৬ সালে তা পুনরোদ্ধার করে আসাদ বাহিনী। পাশাপাশি, ইরান ও রাশিয়ার মদতে বিদ্রোহীদেরও কোণঠাসা করে দেওয়া হয়। তবে সময়ের সঙ্গে মার্কিন ও পশ্চিমের দেশগুলির মদতে সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে জবরদস্ত পালটা মার দিতে শুরু করে বিদ্রোহীরা। সবমিলিয়ে রাশিয়া, আমেরিকা, ইরানের মতো শক্তিগুলোর আধিপত্য বিস্তারের খেলায় বোড়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে সিরিয়া।

Card image cap

নতুন বছরেই ভারতে পা রাখবেন পুতিন!

২০২৫ সালে ভারতে আসবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কয়েকদিন আগেই এই ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছিল ক্রেমলিন। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের তরফেও কার্যত এমনটাই জানানো হল। এদিন মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, আগামী বছর ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বার্ষিক সম্মেলন বসবে ভারতের মাটিতে। তবে ঠিক কোন সময় ওই বৈঠক হবে তা এখনও ঠিক হয়নি বলেই জানাচ্ছেন তিনি।এদিন তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আমরা রাশিয়ার সঙ্গে বার্ষিক সম্মেলনে মিলিত হব। গতবারের সম্মেলন হয়েছিল মস্কোয়। যাতে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী মস্কোয় গিয়েছিলেন। আগামী বছরের সম্মেলন হবে ভারতে। যদিও কোন সময় তা হবে, তা কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার পরই ঠিক হবে।”প্রসঙ্গত, পুতিনের ভারত সফরের দিকে লক্ষ্য রাখবে আন্তর্জাতিক মহল। বৃহস্পতিবারই মোদি সরকারের ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ নীতির প্রশংসার পাশাপাশি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নিয়েও উচ্ছ্বসিত হতে দেখা গিয়েছে রুশ রাষ্ট্রনায়ককে। সেই সঙ্গেই ভারতে বিনিয়োগ নিয়েও উৎসাহ ব্যক্ত করেছেন তিনি। পুতিনের এমন মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সম্প্রতি মার্কিন মসনদে দ্বিতীয়বারের জন্য বসতে চলা ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার আগেই নানা হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছেন। দেখা দিয়েছে শুল্ক সংশয়।বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন ডলার ব্যবহার না করলেই ১০০ শতাংশ শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হবে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির উপরে। ৯ সদস্যের ব্রিকসে রয়েছে ভারতও। ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির কথা মাথায় রেখেই ভারতের বাজারে বিনিয়োগের স্পষ্ট বার্তা দিয়ে পুতিন নিজের ‘কাজ’টি করলেন বলেই ওয়াকিবহাল মহলের মত। এই পরিস্থিতিতে পুতিন ভারত সফরে এলে যে সেই বিষয়েই কথাবার্তা আরও এগোবে বলে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Card image cap

মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ ফড়ণবিসের

অবশেষে ‘নাটকে’র সমাপ্তি। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণন। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  উপমুখ্যমন্ত্রী পদে  শপথ নিলেন দুজন- এনসিপির অজিত পওয়ার এবং শিব সেনার একনাথ শিণ্ডে।  সকলকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই নিয়ে তৃতীয়বার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। ১+২ মডেল অর্থাৎ দুই উপমন্ত্রীকে নিয়ে চলবে তাঁর মন্ত্রিসভা। যদিও মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যদের শপথ হয়নি বৃহস্পতিবার।  তা পরে হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে মহারাষ্ট্রে এই সরকার গঠন নিয়ে কম টানাপড়েন চলেনি এতদিন ধরে। এমনকী শোনা যাচ্ছে, শপথের দিন সকালেও নাকি উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে ‘নাটক’ জারি রেখেছিলেন একনাথ শিণ্ডে। দুপুরের পর তিনি নিমরাজি হন। আর সন্ধ্যাবেলা শপথ গ্রহণ করেন। শপথের পর দুই ডেপুটিকে নিয়ে মন্ত্রণালয় অর্থাৎ সরকারি কার্যালয়ে পৌঁছন ফড়ণবিস। সরকার চালানোর প্রাথমিক আলোচনা সেরে নেন।  ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ২৩৫ আসন পেয়ে সরকার গঠন করল মহাজুটি। মুম্বইয়ের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা, অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। ছিলেন বি টাউনের সেলিব্রিটিরাও। রণবীর সিং, রণবীর কাপুর, সঞ্জয় দত্ত-সহ একাধিক তারকাকে দেখা গিয়েছে ফড়ণবিসের শপথ অনুষ্ঠানে। তবে বিরোধী জোট মহাবিকাশ আঘাড়ির কোনও নেতা উপস্থিত ছিলেন না। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। 

Card image cap

‘ঋণ’ শোধ করলেন শিণ্ডে!

এ যেন ঋণ শোধ। আড়াই বছর আগে একনাথ শিণ্ডের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি ছেড়েছিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। সেই ঋণ শোধ করতেই এবার ‘আত্মত্যাগ’। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েই বুঝিয়ে দিলেন একনাথ শিণ্ডে।বুধবার দুপুরেই রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের কাছে গিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানিয়ে এসেছেন মহাজুটির তিন নেতা। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দেবেন্দ্র ফড়ণবিস একপ্রকার নিশ্চিত করে দেন, এবার একনাথ শিণ্ডের নামের পাশে উপমুখ্যমন্ত্রী বসতে চলেছে। তিনি বলেন, “গতকালই আমি শিণ্ডেজিকে মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে অনুরোধ করেছিলাম। আশা করি তিনি থাকবেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর পদটা এক্ষেত্রে শুধুই টেকনিক্যাল একটা পদ মাত্র। আমরা সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিতাম। আগামী দিনেও সেটাই নেব।”মহারাষ্ট্রের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী তথা হবু উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে এরপরই খানিক মজাচ্ছলে বলে দেন, “আড়াই বছর আগে ফড়ণবিস মুখ্যমন্ত্রী পদে আমার নাম প্রস্তাব করেছিলেন। এবার আমরাই ওর নাম প্রস্তাব করলাম।” সরাসরি না বললেও ইশারায় শিণ্ডে বুঝিয়ে দিলেন, আড়াই বছরের পুরনো সেই ‘ঋণ’ শোধ করে দিলেন তিনি।গত কয়েকদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে কার্যত দড়ি টানাটানি চলছিল মহারাষ্ট্রে। বিজেপির তরফে মুখ্যমন্ত্রী পদে ফড়ণবিসের নাম মোটামুটি ঠিক করে রাখা হয়েছিল আগেই। প্রয়োজন ছিল শুধু শিণ্ডের সম্মতির। মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর একনাথ শিণ্ডে নিজের বাসভবনে ফিরতেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান দেবেন্দ্র তিনি। সূত্রের খবর, সেখানেই শিণ্ডেকে বুঝিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য রাজি করিয়ে নেন ফড়ণবিস। সব ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে ফড়ণবিস এবং দুই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শিণ্ডে ও অজিত পওয়ার শপথ নেবেন।

Card image cap

১২৩ বছরে উষ্ণতম এবারের নভেম্বর

বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে দুশ্চিন্তার মেঘ রয়েছে। এল নিনোর দাপটে চলতি বছর পুড়েছে গোটা দুনিয়া। পশ্চিমের দেশেও এবার আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা ছিল বিশেষ লক্ষ্যনীয়। ভারতেও গ্রীষ্মে পারদ বেড়েছিল লাফিয়ে। আর এবার নতুন এক তথ্য সামনে আসছে। শতাব্দীর দ্বিতীয় উষ্ণতম মাস চলতি বছরের নভেম্বর। মৌসম ভবনের তরফ থেকে সেই কথাই জানানো হয়েছে।সদ্য নভেম্বর মাস শেষ হয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শীত কড়া নাড়ছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। উত্তর ভারত থেকে কনকনে হাওয়া ঢুকতে শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গেও তাপমাত্রা নামতে শুরু করছে। তবে সদ্য বিদায় নেওয়া নভেম্বর মাসে ভারতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় অনেকটাই বেশি। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও বেড়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ০.৬২ ডিগ্রি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১.০৫ ডিগ্রি বেড়েছে। এই তাপমাত্রার বৃদ্ধির হার যথেষ্ঠ উদ্বেগ বাড়িয়েছে আবহবিদদের। দিনের গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ০.২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।১৯০১ সাল থেকে গোটা শতকেও এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেখেনি কোনও নভেম্বর। ২০০০ সালের পরও এতটা তাপমাত্রা বাড়তে দেখা যায়নি। এবার দ্বিতীয় উষ্ণতম নভেম্বরের সাক্ষী রইল ভারত। দেশের উত্তর পশ্চিম দিকে এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। আগামী দিনে কতটা প্রভাব ফেলবে, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নভেম্বর মাস জুড়ে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রির বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল গড়ে প্রায় ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। গতমাসে বঙ্গপোসাগর ও আরব সাগরে দুর্যোগ দেখা গিয়েছে। একাধিক ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। দুই সাগরের জলের তাপমাত্রা বাড়ছে। তার প্রভাবও পড়েছে ভারতের তাপমাত্রার উপরে।

Card image cap

সংসদে বাংলাদেশ ইস্যু

সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে মঙ্গলবার উঠল বাংলাদেশ ইস্যু। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন অনুযায়ী এদিন লোকসভায় শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর আর্জি জানালেন লোকসভার তৃণমূল দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কাজের জন্য রাষ্ট্রসংঘের সাহায্য নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এদিন জিরো আওয়ারে এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে উঠে দলনেত্রীর কথা অনুযায়ী সেই আবেদন জানান তৃণমূল সাংসদ। আলোচনায় পালটা বিজেপি সাংসদদের নিশানায় ছিল বাংলায় অনুপ্রবেশের অভিযোগ। লোকসভা ও রাজ্যসভায় এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ সরকার ও শমীক ভট্টাচার্য।দিনের শুরুতে লোকসভায় রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বাংলাদেশ ইস্যুতে সরব হন। তাঁর প্রশ্ন, ”বাঙালি হিন্দু হওয়া কি অপরাধ? বাংলাদেশের যেভাবে রাষ্ট্রীয় মদতে বাঙালি হিন্দুদের চিহ্নিত করে তাঁদের উপর অপরাধ হচ্ছে, তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হলে আন্দোলনকারী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দিনের পর দিন অনুপ্রবেশকারীরা এসে আমাদের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করে দিচ্ছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “এগুলি হচ্ছে সরকার পক্ষের মতে। বিভিন্ন জেলায় সন্ত্রাস পরিস্থিতি আটকাচ্ছে না সরকার।” অন্যদিকে, রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যর অভিযোগ, খাস কলকাতাতেই রোহিঙ্গা শিবির গড়ে উঠেছে। যা নিয়ে ভ্রূক্ষেপ নেই রাজ্য সরকারের। এর জন্য পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকার জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।এর পর জিরো আওয়ারে এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে ওঠেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কেন্দ্র অবিলম্বে রাষ্ট্রসংঘের সাহায্য নিয়ে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠাক। প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন রুখতে তারা পদক্ষেপ নিক। উল্লেখ্য, সোমবারই বিধানসভায় এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তিরক্ষা বাহিনী, রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হওয়া নিয়ে বিবৃতির পাশাপাশি তিনি সংসদীয় দলের মাধ্যমে সরকারের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলেন। নেত্রীর নির্দেশ মেনে এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে লাগাতার হিন্দু নির্যাতন নিয়ে কেন্দ্রের জাতীয়তাবাদী সরকারের খুব সক্রিয় ভূমিকা এখনও পর্যন্ত চোখে পড়েনি। বিদেশমন্ত্রক বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে কোনও কড়া বার্তাও পৌঁছয়নি ঢাকার কাছে। সংসদ চলাকালীন বাংলাদেশ নিয়ে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী, এই দাবি তুলেছে তৃণমূল।

Card image cap

কলকাতার বাসযাত্রীদের প্রাণনাশের হুমকি!

হিন্দু নিপীড়ন নিয়ে বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আতঙ্ক বাড়ছে। বিশেষত ভারতীয় হিন্দুরা সেখানে একেবারেই নিরাপদ বোধ করছেন না। এই নিরাপত্তাহীনতা আরও বাড়ল সম্প্রতি ত্রিপুরার মন্ত্রীর একটি পোস্টে। তাতে দেখা গিয়েছে, ত্রিপুরা লাগোয়া বাংলাদেশ সীমান্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কলকাতাগামী একটি বাস ঘিরে ধরে যাত্রীদের হুমকি দিচ্ছে উত্তেজিত জনতা। প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ভারত বিরোধী স্লোগানও তোলা হয় বলে অভিযোগ। ত্রিপুরার পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর দাবি, এই পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে কলকাতা-বাংলাদেশ বাস পরিবহণে। কেউ আর বাসে যেতে চাইছেন না। ফলে গত দুদিনে একটি টিকিটও বিক্রি হয়নি বলে দাবি তাঁর। শনিবার ছবি-সহ ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন সুশান্ত চৌধুরী। লেখেন, ‘ত্রিপুরা থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোডে আক্রান্ত হয়েছে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস গাড়ি। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গাড়িতে থাকা ভারতীয় যাত্রীরা, বাসটি বিশ্বরোডের এক পাস ধরেই যাচ্ছিলো। হঠাৎ বাসটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুর্ঘটনার কবলে ফেলার জন্য ধাক্কা দেয় পণ্যবাহী একটি ট্রাক। একই সময়ে রাস্তায় থাকা একটি অটো বাসের সামনে চলে আসে এবং শ্যামলী বাসটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকে। তাদের সামনেই ভারত বিরোধী নানা স্লোগান দিয়ে এবং কটু মন্তব্য করে যাত্রীদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীরা। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই এবং বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য সেদেশের প্রশাসনকে দ্রুত হস্তক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এই ছবি অবশ্য বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। যেভাবে সংখ্য়ালঘুদের উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়ছে, তাতে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। বিশেষত ধর্মীয় স্থানগুলি। যদিও সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি, সংখ্যালঘুরা সেখানে নিরাপদেই রয়েছেন। যা বলা হচ্ছে, পরিস্থিতি  মোটেও তেমন নয়। 

Card image cap

‘অমানবিক অত্যাচার, বাংলাদেশের হিন্দুদের বাঁচান’

বাংলাদেশের হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে গর্জে উঠল আরএসএস। পড়শি দেশে অমানবিক অত্যাচার হচ্ছে সংখ্যালঘুদের উপর। ভারত সরকারের উচিত, হিন্দুদের বাঁচাতে সম্ভাব্য সমস্তরকম পদক্ষেপ করা। বিবৃতি দিয়ে আরজি জানাল সংঘ।আরএসএসের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলে হয়েছে, “বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দু-সহ অন্য সংখ্যালঘুদের উপর কট্টরপন্থী ইসলামিক মৌলবাদীরা খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ চালাচ্ছে সেটা ভীষণ উদ্বেগজনক। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এই হিংসার নিন্দা করছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর ঘৃণ্য এই আক্রমণ রুখতে কোনও পদক্ষেপ না করে সেদেশের সরকার ও অন্যান্য এজেন্সি নীরব দর্শকের ভূমিকায়। বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর নতুন করে অন্যায় এবং অবিচারের স্রোত বয়ে যাচ্ছে।”চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গেও বাংলাদেশ সরকারকে তুলোধোনা করেছে আরএসএস। সংঘের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “চিন্ময় কৃষ্ণ দাস শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন। যেভাবে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে সেটা অন্যায়। সংঘ বাংলাদেশ সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছে, দ্রুত হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ হোক। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক।”আরএসএস মনে করছে, বাংলাদেশের হিন্দুদের বাঁচাতে ভারত সরকারের আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া উচিত। সংঘের ওই বিবৃতিতে ভারত সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, “ভারত সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর নির্যাতন রুখতে সম্ভাব্য সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে বিশ্বমঞ্চে এই নারকীয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে। এই সংকটের সময়ে ভারত-সহ সমস্ত আন্তর্জাতিক মঞ্চের উচিত বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানো। বিশ্বভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার জন্য সব দেশের সরকারের এগিয়ে আসতে হবে।”হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনে সংখ্যালঘু নির্যাতন লাগামছাড়া আকার নিয়েছে বাংলাদেশে। পরিস্থিতি শোধরাতে কোনও উদ্যোগ তো দূর, নয়া আইন এনে এবার বাংলাদেশের সংখ্যালঘু মুখ সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। অভিযোগ, বর্তমানে পড়শি দেশে সংখ্যালঘুদের রীতিমতো নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে বাংলাদেশিদের। সেটারই নিন্দা করল আরএসএস।

Card image cap

বাংলাদেশের উপর চাপ বাড়াল ভারত

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি আরও জানান, যেভাবে বাংলাদেশে চরমপন্থী ভাবধারা ছড়িয়ে পড়ছে, ভারত তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষিত রাখতে বাংলাদেশ সরকার যেন উপযুক্ত পদক্ষেপ করে, সেই বার্তাও দেন জয়সওয়াল।হিন্দুদের উপর লাগাতার নির্যাতন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারি, ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আবেদন- নানা কারণে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। যেভাবে প্রত্যেক দিন আঘাত নেমে আসছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর, সেই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে ভারত, ব্রিটেন। প্রতিবেশী দেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এহেন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশকে আরও একবার রাষ্ট্রীয় কর্তব্য মনে করিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র।সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়সওয়াল বলেন, “হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা হচ্ছে, তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়গুলো বারবার বাংলাদেশ সরকারের কাছে তুলে ধরেছে ভারত। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষিত রাখাটা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব, সেটা পালন করা উচিত। বাংলাদেশে হিংসার ঘটনাগুলোকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখাচ্ছে সংবাদমাধ্যম, এই ধারণা আঁকড়ে ধরে রাখা মোটেই ঠিক নয়। সংখ্যালঘুদের নিরাপদ রাখার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ করতে হবে মহম্মদ ইউনুস সরকারকে।”ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারিতে জ্বলছে বাংলাদেশ। দিকে দিকে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছেন হিন্দুরা। এই নিয়ে আগেও বিবৃতি দিয়েছিল কেন্দ্র। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রণধীর বলেন, “আশা করি প্রত্যেককে যথাযথ সম্মান দিয়ে বিচার করা হবে। স্বচ্ছ পদ্ধতিতে বিচার হবে বলে আশা করি।” ইসকনকে নিষিদ্ধ করার মামলা নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিক্রিয়া, গোটা বিশ্বে সমাজসেবার জন্য বিখ্যাত ইসকন। উল্লেখ্য, ইসকনকে নিষিদ্ধ করার মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের আদালতে।

Card image cap

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ হেমন্তর

চতুর্থবারের জন্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হলেন হেমন্ত সোরেন। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটেয় সেরাজ্যের চতুর্দশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তিনি। মোরাবাদী ময়দানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ইন্ডিয়া জোটের শীর্ষ নেতৃত্বের সামনেই মসনদে প্রত্যাবর্তন ঘটালেন হেমন্ত। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল সন্তোষকুমার গাঙ্গোয়ার।এবারের নির্বাচনে বারহায়িত বিধানসভা কেন্দ্রে ৩৯,৭৯১ ভোটে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে দেন হেমন্ত। লোকসভা নির্বাচনের পর ইন্ডিয়া জোট একের পর এক ধাক্কা খেয়ে চলেছে। এর আগে হরিয়ানায় কার্যত ‘নিশ্চিত জয়’ হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের। মহারাষ্ট্রেও মহা বিকাশ আঘাড়ি মহাজুটিকে সমানে সমানে টক্কর দেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। কিন্তু মারাঠাভূমে একপেশেভাবে জয় পেয়েছে বিজেপি জোট। ইন্ডিয়া জোট কার্যত ধরাশায়ী। সেখানে একমাত্র হেমন্ত সোরেন ইন্ডিয়া জোটের মানরক্ষা করেছেন। গোটা দেশে হতাশার মধ্যে হেমন্তই আশার আলো। সম্ভবত সেকারণেই তাঁর শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানকে মেগা শো হিসাবে তুলে ধরতে চেয়েছে ইন্ডিয়া জোট। আর তাই এদিনে হেমন্তর শপথগ্রহণের মঞ্চ ছিল কার্যতই চাঁদের হাট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, সমাজবাদী পার্টি অখিলেশ যাদবও ছিলেন সেখানে। গত ৩১ জানুয়ারি জমি দুর্নীতি মামলায় আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেপ্তার হন হেমন্ত। তার আগেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। জেএমএমের চম্পাই সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হন। প্রায় পাঁচ মাস জেলে থাকার পর গত ২৮ জুন হেমন্তকে জামিন দেয় ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। এর পরই চম্পাই ইস্তফা দিলে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে কামব্যাক করেন তিনি। এবার নির্বাচনে জিতে নতুন করে মসনদে ফিরলেন তিনি। 

Card image cap

উত্তরপ্রদেশে গণধর্ষিতা নার্স!

এক নার্সকে ভয়ংকর গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, সব মিলিয়ে ৬ জন এই কাণ্ডে জড়িত। তবে ধর্ষণ করেছে দুজন। এছাড়াও অভিযোগ, তরুণীর গোপনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো ও লাঠি প্রবেশ করানোর। পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে তারা।নির্যাতিতার স্বামী জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী একজন নার্স হিসেবে কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার তিনি স্কুটারে করে কাজে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই তাঁর পথ আগলে দাঁড়ায় অভিযুক্তরা। তার পরই তাঁকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের ঝোপে। সেখানেই পাশবিক নির্যাতন করা হয় নির্যাতিতাকে। অভিযুক্তদের মধ্যে এক মামা ও তার ভাগ্নেও ছিল বলে দাবি তাঁর। সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, তরুণীর গোপনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো ছেটানো হয়েছে। প্রবেশ করানো হয় লাঠি।এএসপি প্রদীপকুমার বর্মা জানাচ্ছেন, খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। তরুণী বেশ কিছু ভয়ংকর অভিযোগ করেছেন। যার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এদিকে ওই তরুণীর সঙ্গে গ্রামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেও জানা যাচ্ছে। সেই ব্যক্তি ও তাঁর পরিবার তাঁকে মারধর করেছিল বলেও অভিযোগ।

Card image cap

চিন, হংকংয়ে ৪৮০০ কোটি টাকা পাচার!

বেআইনি প্রক্রিয়ায় ৪৮০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ। বুধবার দিল্লির বাসিন্দা দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করল ইডি। তাঁরা সম্পর্কে আপন ভাই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী দু-ভাই বেআইনি প্রক্রিয়ায় প্রায় ৪৮০০ কোটি টাকা হংকং এবং চিনে পাচার করেছেন। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট।বুধবার খবর প্রকাশ্যে এলেও ২৫ নভেম্বর ইডি হেফাজতে নেয় ময়ঙ্ক ও তুষার ডাংকে। আর্থিক তছরুপের অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিম্ন আদালত বৃহস্পতিবার অবধি ইডি হেফাজত দিয়েছে দুই ভাইকে। এর আগে একই মামালায় মনিদীপ মাগো এবং সঞ্জয় শেঠি নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৪৮১৭ কোটি টাকা অবৈধ ভাবে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। সন্দেহজনক ভাবে টাকা পাঠানো হয়েছে চিন এবং হংকংয়ে। এর জন্য ভুয়ো তথা নকল ইনভয়েস তৈরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।ইডি দাবি করেছে, মাগো এবং তার সহযোগী বিদেশি সংস্থাগুলি এমন কোনও পরিষেবা দেয়নি, যার জন্য কোটি কোটি টাকা চিনা কোম্পানিগুলিকে পাঠানো যেতে পারে। এর পিছনে আসল উদ্দেশ্য কী ছিল তা খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের আধিকারিকরা।

Card image cap

সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতিকে অসম্মান!

সংসদ ভবনে সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘অসম্মান’ করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এই অভিযোগ করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি সমাজমাধ্যমে সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানের ভিডিও পোস্ট করে আরও অভিযোগ করেছেন, জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীনও অস্থির ছিলেন রাহুল।মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ছিল সংবিধান দিবস। এই উপলক্ষে সংসদ ভবনে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভা ও রাজ্যসভার স্পিকার, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী এবং একাধিক বিরোধী দলনেতা। সেখানেই মল্লিকার্জুন খাড়গের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধীও। জাতীয় সঙ্গীতের ভিডিওটি ছাড়াও আরও একটি ভিডিও পোস্ট করে মালব্য অভিযোগ করেছেন, “কংগ্রেস চিরকাল অসম্মান করেছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। যেহেতু তিনি আদিবাসী মহিলা হওয়া সত্ত্বেও সর্বোচ্চ পদে বসেছেন। রাহুল গান্ধী এবং ওঁর পরিবার SC, ST এবং OBC-দের ঘৃণা করে। এটা স্পষ্ট হয়ে গেল।”মালব্যর পোস্ট করা ভিডিও নিয়ে অনলাইনে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকেই বিজেপি নেতার বক্তব্যের সঙ্গে সহমত হয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, মহারাষ্ট্রে হারের ফলে মাথার ঠিক নেই রাহুলের। যদিও কংগ্রেস এবং রাহুলের সমর্থকরা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি কংগ্রেস কিংবা স্বয়ং রাহুল গান্ধী।