CATEGORY country:

Card image cap

বেজিং যাবেন মোদি, ট্রাম্প আসবেন নয়াদিল্লিতে

আর মাত্র কয়েকদিন পরই বিদায় নেবে ২০২৪। ইতিমধ্যেই ২০২৫ সালের বিদেশ নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এই সপ্তাহেই আমেরিকায় যাচ্ছেন। নতুন বছরে ভারতে আসতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আবার মোদি যেতে পারেন আমেরিকায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে সম্ভাবনা, চিনে এসসিও সামিটে যোগ দিতে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেই সময় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি মিলিত হতে পারেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে।২০২৫-এর গোড়াতেই মার্কিন মসনদে বসবেন ট্রাম্প। আর তার আগেই আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন জয়শংকর। ট্রাম্পের হবু দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সেই সঙ্গেই ট্রাম্পকে ভারতে আসার আমন্ত্রণও জানাবেন। ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলা কোয়াড সম্মেলনে যোগ দিতে বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতার আসার কথা ভারতে। সেই সঙ্গেই মোদির মার্কিন সফরে যাওয়ার কথাও রয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে বার্ষিক সম্মেলনও হওয়ার কথা নয়াদিল্লিতে। যদি সেটা হয়, তাহলে এবার যেমন মোদি রাশিয়ায় গিয়েছিলেন, সেভাবেই রুশ রাষ্ট্রপ্রধানও আসবেন ভারত সফরে। যদি তাই হয়, তাহলে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পর এই প্রথম তিনি এদেশে আসবেন। এছাড়াও এবার চিনের এসসিও সামিটের মতোই সকলের চোখ থাকবে ব্রাজিলে হতে চলা ব্রিকস সম্মেলনের দিকেও।২০২৫ সালের শুরুতেই যে রাষ্ট্রপ্রধান ভারতে আসবেন তিনি থরমন শানমুগারাথাম। জানুয়ারির মাঝামাঝিই এদেশে আসবেন সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট। এরপর ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবো সুবিয়ান্তো জোজোহাদিকোসুমো, চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বরিস ফন্টও ভারতে আসার কথা। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমেরিকা, চিন ছাড়াও ফ্রান্সে যেতে পারেন। যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জাপানেও। পাশাপাশি জি২০ সামিটে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আসিয়ান সামিটে যোগ দিতে মালয়েশিয়াও যাওয়ার কথা তাঁর।

Card image cap

কাজাখস্তানে ভেঙে পড়ল যাত্রীবাহী বিমান

ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা কাজাখস্তানে। বুধবার আক্তৌ বিমানবন্দরে অবতরণের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই বিমানে ক্রু মেম্বার-সহ ৬৭ জন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে ৩০ জনের বেশি যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী দল।প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের এই বিমানটি বুধবার সকালে যাত্রীদের নিয়ে আজারবাইজান থেকে বিমানটি রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। তবে মাঝপথে বিমানটিতে কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ায় জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন পাইলট। অনুমতি মেলার পর আক্তৌ বিমানবন্দরে অবতরণের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিমানটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে আছড়ে পড়ে রানওয়েতে সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে যায় বিমানটিতে।বিমানটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। কিছু সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিমানে ১০৫ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রু মেম্বাই ছিলেন। যদিও কাজাখস্তানের পরিবহন বিভাগের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করা হয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমানটিতে ৬২ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রু মেম্বার ছিলেন। সব মিলিয়ে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৬৭ জন। যার মধ্যে ৩৭ জন আজারবাইজানের, ১৬ জন রাশিয়ার, কাজাখস্তানের ৬ জন ও অন্যান্য আরও ৩ যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর ৩০ জনের বেশি যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আহত হয়েছেন বাকি যাত্রীরা।দুর্ঘটনার আরও এক ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে। দ্বিখণ্ডিত বিমানটির সামনের দিকের অংশ কিছুটা দূরে আগুনে জ্বলছে। পিছনের অংশে তখনও বেশ কয়েকজন আহত যাত্রীকে বের করে আনছেন উদ্ধারকারীরা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে মৃতের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।

Card image cap

সংসদ ভবনের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা

বুধবার দুপুরে দিল্লির সংসদ ভবনের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক যুবক। ওই যুবকের শরীরের অনেকটা অংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসার জন্য তাঁকে দ্রুত রামমোহন লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কী কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন যুবক তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে পৌছায় পুলিশ। যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনাস্থল ঘিরে তদন্ত শুরু হয়েছে। যেখানে গায়ে আগুন দেন যুবক, সেখানে থেকে পেট্রল উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফরেনসিক দল। এই ঘটনা কি নিছক আত্মহত্যার চেষ্টা নাকি নাশকতার ছক ছিল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।একটি সূত্রে দাবি, যুবকের নাম জিতেন্দ্র। ছাব্বিশ বছর বয়স। তিনি উত্তরপ্রদেশের বাগপতের বাসিন্দা। ঘটনাস্থল থেকে দুপাতার একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। যদিও সেই নোটের অর্ধেক পুড়ে গিয়েছে। বাকি অংশে পুলিশের বিরুদ্ধে মুর্দাবাদ লেখা আছে। দলিতদের প্রতি বঞ্চনার, অপমানের কথা লেখা আছে।

Card image cap

অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন মোদি

কেন্দ্রীয় বাজেটের জন্য মতামত ও পরামর্শ গ্রহণের জন্য দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশে কীভাবে আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা যায়, এই বৈঠকে সে বিষয়েও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনও।মঙ্গলবারের নীতি আয়োগের দপ্তরে রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে বাজেটের বিষয়ে পরামর্শ করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া কীভাবে কৃষি, ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্পক্ষেত্র (এমএসএমই) এবং উৎপাদন ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করে তোলা যায় এবং এই ক্ষেত্রগুলি থেকে কীভাবে আরও বেশি মাত্রায় কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হতে পারে সে বিষয়েও দেশের অর্থনীতিবিদের কাছ থেকে বৈঠকে পরামর্শ চাওয়া হয় বলেই জানা গিয়েছে। যা তাৎপর্যপূর্ণ। দেশে যে বেকার সমস্যা ক্রমবর্ধমান এবং কেন্দ্র সরকারের এই সমস্যার মোকাবিলা করতে এখনও সক্ষম নয় বলেই অভিযোগ রয়েছে নানা মহল থেকে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখলে, কেন্দ্রীয় বাজাটের আগে প্রথামাফিক হলেও এদিনের বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।পাশাপাশি, এদিনের বৈঠকে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত কীভাবে উন্নত দেশ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারবে সে বিষয়ে অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে খবর। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে মোদি দেশকে ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’ লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য নানা পদক্ষেপের উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন। তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে বিশদে আলোচনাও হয়েছে। পাশাপাশি ১৫ জন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কৃষি অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাটি-সহ সুরজিৎ ভাল্লা, ডি কে যোশীসহ একাধিক বিশিষ্টজন এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।পাশাপাশি বৈঠকে অর্থনীতিবিদদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান সুমন বেরি, প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অনন্ত নাগেশ্বরণও উপস্থিত ছিলেন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ, শনিবার সংসদে বাজেট পেশ করবেন নির্মলা।

Card image cap

দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী

এবার রাজধানী দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। পাচারচক্রের হাত ধরেই এদেশে ঢুকেছিল তারা বলে খবর। মঙ্গলবার শহরে অভিযান চালিয়ে মোট এগারো জনকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। গোয়েন্দাদের নজর রয়েছে অন্তত ১৭৫ জনের উপর।জানা গিয়েছে, এক খুনের ঘটনার তদন্তে গিয়ে এই চক্রের হদিশ পায় দিল্লি পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে এগারো জনকে গ্রেপ্তারি করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত বাংলাদেশিদের কাছে উপযুক্ত কোনও নথি ছিল না। তারা ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করছিল। বাকিরা জাল নথি বানাতে তাদের সাহায্য করে। তদন্তকারীদের সন্দেহের তালিকায় রয়েছে আরও বহু। তদন্তকারীদের কাছে খবর রয়েছে, সাম্প্রতিক সময় প্রায় ১১০০ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে ভারতে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, মুম্বইয়ের মতো বিভিন্ন জায়গায় ঘাঁটি গেড়েছে তারা।উল্লেখ্য, শেখ হাসিনাহীন বাংলাদেশে ক্রমেই সক্রিয় হচ্ছে জেহাদি শক্তি। যাদের সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গিরা হাত মেলাচ্ছে বলে খবর। ওপার বাংলায় বসেই ভারতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর ছক কষছে আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) মতো জেহাদি সংগঠন। সম্প্রতি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মারফত এমনই তথ্য পেয়ে অভিযানে নামে অসম এসটিএফ। দেশের মোট ৮টি রাজ্যে শুরু হয় ‘অপারেশন প্রঘাত’। গত ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল পুলিশের সঙ্গে তাদের যৌথ অভিযানে ধরা পরে এবিটির ৮ জঙ্গি। এদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় অসম থেকেই।এদিকে পশ্চিমবঙ্গ ও অসম পুলিশের যৌথ অভিযানে মুর্শিদাবাদ থেকে ধরা পড়ে বাংলাদেশের এই জঙ্গি সংগঠনটির দুই সদস্য। জেরায় ধৃতরা জানায়, তাদের নিশানা ছিল ‘শিলিগুড়ি করিডর’। ভূকৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় আঘাত হেনে গোটা ভারত উত্তপ্ত করার ছক কষেছে আল কায়দার ছায়া সংগঠন এবিটি। শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে আনসারুল্লা।

Card image cap

সবজি বাজারে ঘুরে দাম শুনে বিস্মিত রাহুল

‘এককালে যে রসুনের দাম ছিল ৪০ টাকা তা আজ ৪০০ টাকা কেজি!’ হঠাৎ সবজি বাজারে বেরিয়ে জিনিসপত্রের আগুন দাম শুনে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এই ইস্যুতেই মোদি সরকারকে কড়া সুরে আক্রমণ শানিয়ে সাংসদের অভিযোগ, ‘দেশে মূল্যবৃদ্ধি ভয়াবহ আকার নিয়েছে, অথচ কুম্ভকর্ণের ঘুম ঘুমাচ্ছে মোদি সরকার।’মঙ্গলবার সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন রাহুল। যেখানে দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন মহিলার সঙ্গে একটি সবজি বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদ। দোকানদারের কাছে জিজ্ঞেস করছেন সবজির দাম। বাজারে জিনিসপত্রের ভয়াবহ দাম শুনে ভিডিওতে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করতে দেখা যায় রাহুলকে। মূল্যবৃদ্ধির জন্য মোদি সরকারকে দায়ী করে সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘একটা সময় রসুনের দাম ৪০ টাকা ছিল তা এখন ৪০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। ভয়াবহ মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের রান্নাঘরের বাজেট উলটে পালটে দিয়েছে। অথচ এই ঘটনায় সরকারের তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। মোদি সরকার কুম্ভকর্ণের ঘুম ঘুমাচ্ছে।’এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মহিলাদের সঙ্গে বাজারে দরদাম করছেন রাহুল। সেখানে মহিলারা তাঁর কাছে অভিযোগ করছেন বাজারে জিনিসপত্রের দাম নিয়ে। বাজারে দোকানির সঙ্গে রসুন, মটর নিয়ে দরদাম করতে দেখা যাচ্ছে মহিলাদের। যেখানে রসুনের দাম ৪০০ টাকা কেজি, মটশুটির দাম ১২০ টাকা কেজি। মূল্যবৃদ্ধি কেন হচ্ছে সে বিষয়ে ক্রেতাদের প্রশ্ন করেন রাহুল। তাঁরা অভিযোগ করেন, এই সরকার শুধু ভাষণ দিচ্ছে। অথচ মধ্যবিত্তের দিকে খেয়াল নেই। ৫০০ টাকার বাজেট এক হাজার টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। ভয়ংকরভাবে বাড়ছে দাম। মানুষ খাবে কী? এক মহিলার বাড়িতে গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে চায়ের বৈঠকে যোগ দেন। সেখানে তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন কংগ্রেস সাংসদ। সেখানেই হাতে টমেটো নিয়ে বলেন, তুলনায় এর দাম কিছুটা কম। এখনও ১০০ টাকা ছোঁয়নি।

Card image cap

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে আদালতে বিজেপি

এবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি। ওয়ানড়ের বিজেপি প্রার্থী নব্যা হরিদাসের দাবি, নির্বাচনী হলফনামায় ভুল তথ্য দিয়েছেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক। তাই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করা হোক। এই মর্মে কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।গত ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচনে কেরলের ওয়ানড় লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শপথ নিয়ে পুরোদমে সাংসদ জীবন শুরুও করেছেন তিনি। এবার তাঁর সাংসদ পদ খারিজের আর্জি জানিয়ে কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেত্রী নব্যা হরিদাস। বিজেপি নেত্রীর দাবি, প্রিয়াঙ্কা মনোনয়নপত্রে তাঁর এবং পরিবারের সম্পত্তির সঠিক হিসাব দেননি এবং ‘মিথ্যা তথ্য’ দিয়েছেন। যা আদর্শ নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের শামিল এবং অনৈতিক বলে তিনি দাবি করেন।২৩ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি হাই কোর্টে ছুটি থাকবে। তাই আগামী বছরের জানুয়ারিতে আবেদনের শুনানি হতে পারে, জানিয়েছেন নব্যা। মামলা দায়ের করা আইনজীবী হরি কুমার জি নায়ার বলেছেন, আবেদনে ‘প্রিয়াঙ্কার এবং তাঁর পরিবারের মালিকানাধীন বিভিন্ন সম্পত্তির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন’ এবং ‘ভোটারদের বিভ্রান্ত করা, ভুল তথ্য দেওয়া’র অভিযোগে তাঁর নির্বাচন রদ করার দাবি করা হয়েছে।প্রায় ২ দশক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনীতির ময়দানে থাকলেও এই প্রথম সরাসরি ভোট রাজনীতিতে নেমেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। দাদা রাহুল গান্ধীর ছেড়ে আসা কেরলের ওয়ানড় আসন থেকে লোকসভার লড়াইয়ে নামেন তিনি। বলা বাহুল্য, ওয়ানড়বাসী ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কাকে। প্রথমবার ভোট ময়দানে নেমেই দাদা রাহুলের জয়ের ব্যবধানকে ছাপিয়ে গিয়েছেন তিনি। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ওয়ানড় থেকে ৩ লক্ষ ৬৪ হাজারের বেশি ভোটে জেতেন রাহুল গান্ধী। সেখানে প্রিয়াঙ্কা জিতেছেন ৪ লক্ষেরও বেশি ভোটে। সেই নির্বাচনকেই এবার চ্যালেঞ্জ করছে বিজেপি।

Card image cap

জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বহু পণ্যে বাড়ল করের বোঝা

আশা ছিল বহু প্রতিক্ষিত জীবনবিমা এবং স্বাস্থবিমার প্রিমিয়ামে কমানো হবে জিএসটি। যদিও রাজস্থানের জয়সলমেঢ়ে জিএসটি কাউন্সিলের ৫৫তম বৈঠকে এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তই নেওয়া হল না। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের উপস্থিতিতে বৈঠক সম্পন্ন হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্মাট চৌধুরী। যদিও তবে বহু পণ্যে জিএসটির হার পরিবর্তন করা হয়েছে।বৈঠক শেষে জানা গিয়েছে, নুন-মশলা মাখানো প্যাকেট করা নয়, এমন পপকর্ন বা ভুট্টাভাজার উপর ৫ শতাংশ জিএসটি বসানো হচ্ছে। প্যাকেট করার আগে ভুট্টাদানার উপর ১২ শতাংশ জিএসটি এবং ক্যারামেল কোটেড পপকর্নের উপর ধার্য থাকবে ১৮ শতাংশ জিএসটি। পুরনো বৈদ্যুতিন গাড়ি এবং ব্যবহৃত জ্বালানি তেলে চালিত গাড়ি বিক্রির উপর বাড়ানো হয়েছে জিএসটি। এক্ষেত্রে ১২ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশ কর গুনতে হবে। বোতলবন্দি জল এবং ১০ হাজার টাকার নীচে থাকা সাইকেলের দামের ক্ষেত্রে জিএসটি কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব আনা হয়েছে। তবে সম্রাট চৌধুরী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জীবনবিমা এবং স্বাস্থবিমার প্রিমিয়ামে এক্ষেত্রে কর কমানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে জিএসটি কাউন্সিল।জিএসটি বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পোশাকের উপর। দেড় হাজার টাকার মধ্যে দামের পোশাকে ৫ শতাংশ, ১০ হাজার টাকা দামের পোশাকের উপর ২৮ শতাংশ জিএসটির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। এমন প্রস্তাবের বিরোধিতায় সরব হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরের বিখ্যাত শালে যদি ২৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হয় তবে এই শিল্প ব্যাপকভাবে মার খাবে। এটা শুধু কাশ্মীরীদের রুজিরুটি নয়, কাশ্মীরের একটি আন্তর্জাতিক পরিচয়।’

Card image cap

রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস বিজেপির

এবার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস। রাহুলের সাসপেনশনের দাবিতে তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিরুদ্ধে ওই একই নোটিস পাঠিয়েছে বিরোধী শিবির। সেটারই পালটা এবার এল শাসক শিবির থেকে।নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ, অমিত শাহর ভুয়ো ভিডিও শেয়ার করেছেন রাহুল। যা ঘোরতর অপরাধ। এটা একই সঙ্গে স্বাধিকার ভঙ্গ এবং সংসদের অবমাননা। অবিলম্বে রাহুলকে সাসপেন্ড করা উচিত। বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যসভায় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বিরুদ্ধেও একই রকম স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দেওয়া হচ্ছে।মঙ্গলবার রাজ্যসভায় সংবিধান সংক্রান্ত বিতর্ক চলাকালীন শাহ বলেন, “এখন এক ফ্যাশন হয়েছে- আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর। এতবার যদি ভগবানের নাম নিত তব সাতজন্ম স্বর্গবাস হয়ে যেত।” শাহের ‘ফ্যাশন’ মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধী শিবির। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধীদের দাবি, শাহ যেভাবে ওই কথাগুলি বলেছেন, তাতে আম্বেদকরের চূড়ান্ত অবমাননা করা হয়েছে। বুধবারই শাহের বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ মোশন আনেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। বৃহস্পতিবার শাহের বিরুদ্ধে একইভাবে প্রিভিলেজ মোশন আনেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।কিন্তু বিজেপির দাবি, শাহের মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। যে ভিডিও বিরোধীরা প্রকাশ করেছে সেটা বিকৃত। এভাবে শাহী ভিডিও বিকৃত করে আসলে আম্বেদকরকেই অপমান করা হয়েছে। রাহুল এবং খাড়গে ওই ভিডিও শেয়ার করে সংসদের অবমাননা করেছেন বলে অভিযোগ শাহের।

Card image cap

হাতাহাতি কাণ্ডে এবার রাহুলের বিরুদ্ধে FIR!

রাহুল গান্ধীর ধাক্কাতেই আহত হয়েছেন দলের দুই সাংসদ। এই অভিযোগে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল বিজেপি। অনুরাগ ঠাকুর-সহ ৩ বিজেপি সাংসদ সংসদ মার্গ থানায় রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে বিজেপির দুই আহত সাংসদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন মোদি।বৃহস্পতিবার সকালে সংসদ চত্বরে বেনজির হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস এবং বিজেপি সাংসদরা। তাতে ওড়িশার বালাসোরের সাংসদ প্রতাপ সারেঙ্গীর মাথা ফেটেছে। গুরুতর জখম হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদের সাংসদ মুকেশ রাজপূতও। বিজেপির অভিযোগ, ওই দুই সাংসদই জখম হয়েছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর ধাক্কায়। রাহুল গান্ধী ফারুখাবাদের সাংসদ মুকেশ রাজপুতকে ধাক্কা মারেন। তিনি পড়ে যান প্রতাপ সারেঙ্গীর উপর। সারেঙ্গীর মাথা ফেটে রক্ত ঝরে। মুকেশও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলছেন, “রাহুল গান্ধীর ধাক্কায় দুই বিজেপি সাংসদ গুরুতর জখম হয়েছেন। কোনও সাংসদ কীভাবে সংসদ চত্বরে বল প্রয়োগ করতে পারেন? কোন আইন এটার অনুমতি দিচ্ছে। আপনি কি কুংফু-ক্যারাটে অন্য সাংসদদের মারধর করার জন্যই শিখেছেন?” বিজেপি সূত্রের খবর, আহত দুই সাংসদই হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।কংগ্রেস অন্য কথা বলছে। কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুরের অভিযোগ, কংগ্রেস সাংসদরা সংসদে ঢুকতে গেলে বিজেপি সাংসদরা বাধা দেন। লাঠিসেটা হাতে করে সংসদে এসেছিলেন বিজেপি সাংসদরা। রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেকে লক্ষ্য করে স্লোগান দেওয়া হয়, কটূক্তি করা হয়। রাহুল গান্ধীর নিজের দাবি, “আমি সংসদে ঢুকতে গেলে বিজেপি সাংসদরা ঘিরে ধরেন। আমাকে ধাক্কা দেওয়া হয়। ধাক্কাধাক্কি বলতে এটুকুই হয়েছে।”

Card image cap

দায়িত্ব ছাড়ছেন নাড্ডা

আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব ছাড়তে চলেছেন জেপি নাড্ডা। তাঁর জায়গায় মোদি মন্ত্রিসভার কোনও সদস্য অথবা দলের সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে কেউ দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর। দলের এক শীর্ষ নেতা জানান, সদস্যপদ গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যে নিচুতলায় অর্থাৎ মণ্ডলস্তরে নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে সাংগাঠনিক স্থরে নির্বাচন শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।দলের সংবিধান অনুসারে সর্বভারতীয় সভাপতি নিবর্বাচনের আগে রাজ্যস্তরে নির্বাচন শেষ করতে হবে। যেহেতু ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নয়া সভাপতি নির্বাচনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে তাই নিচুতলায় সাংগাঠনিক নির্বাচন শুরু করে দেওয়া হয়েছে। কারন সংবিধান অনুযায়ী সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের আগে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ রাজ্যে সাংগাঠনিক নির্বাচন শেষ করতেই হবে। কিন্তু নাড্ডার জায়গায় পরর্বতী সভাপতি কে হতে পারেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে সূত্রটি জানাচ্ছে। তবে মোদি মন্ত্রীসভা অথবা সংগঠনের শীর্ষে থাকা কেউ দায়িত্ব পেতে পারেন। কোনওটাই অসম্ভব নয়।একটা সময় বিজেপি সভাপতি হওয়ার দৌড়ে শিবরাজ সিং চৌহান, মনোহরলাল খাট্টার, ভুপেন্দ্র যাদবদের নাম শোনা গিয়েছিল। পরে তাঁরা প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। বিজেপির অঘোষিত নীতি বলে, দলের সংগঠনে বড় পদের কেউ মন্ত্রিসভায় থাকেন না। সেই সূত্র মেনে সভাপতি পদ ছাড়তে হয়েছিল অমিত শাহকেও। কিন্তু এবার শোনা যাচ্ছে মন্ত্রিসভার কোনও সদস্যই বিজেপির সভাপতি হতে পারেন। সেক্ষেত্রে পরে তাঁকে মন্ত্রীপদ ছাড়তে হতে পারে।শোনা যাচ্ছে, চৌহান, খাট্টারদের পরে বিজেপি সভাপতি হওয়ার দৌড়ে ঢুকে পড়েছেন গুজরাট বিজেপি সভাপতি সিআর পাটিলও। পাতিলের নাম অবশ্য গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের পর থেকেই ভাসছিল। লোকসভা নির্বাচনেও গুজরাটে বিজেপি ২৬টি আসনের মধ্যে ২৫টি পেয়েছে। সেই কৃতিত্বও পাতিলের ঝুলিতে গিয়েছে। যা তাঁকে সভাপতি পদের দৌড়ে এগিয়ে রেখেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহর পছন্দের লোক বলেও পরিচিতি রয়েছে পাতিলের।

Card image cap

প্রিয়াঙ্কাকে নিশানা যোগীর!

প্যালেস্টাইন লেখা ব্যাগ নিয়ে এবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে বিঁধলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ! কংগ্রেস সাংসদকে নিশানা করে তিনি বললেন, “আমরা ইজরায়েলে ছেলে পাঠাচ্ছি আর কংগ্রেস ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে”। কয়েকদিন আগেই গাজায় ‘গণহত্যা’ নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন সোনিয়া-কন্যা। এনিয়ে এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিল বিজেপি।   গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বুকে বেনজির হামলা চালিয়েছিল প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। যার বদলা নিয়ে গাজায় যুদ্ধ ঘোষণা করে দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তারপর থেকেই গাজায় জারি রয়েছে মৃত্যুমিছিল। প্রথম থেকেই প্যালেস্তিনীয়দের দুর্দশা নিয়ে সরব হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। ওয়ানাড়ের সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম সংসদ অধিবেশনেও ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। গতকাল সোমবার তাঁকে দেখা যায় বিশেষ এক ব্যাগ কাঁধে নিয়ে লোকসভায় ঢুকতে। যা নজরে কাড়ে সকলের। ব্যাগটিতে বড় বড় অক্ষরে লেখা প্যালেস্টাইন। এর ঠিক নিচেই আঁকা রয়েছে একটি তরমুজ। যা প্যালেস্তিনীয়দের সংহতির প্রতীক।আজ মঙ্গলবার এই ব্যাগকে হাতিয়ার করেই প্রিয়াঙ্কার পাশাপাশি কংগ্রেসকেও কটাক্ষ করেন যোগী আদিত্যনাথ। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “আমরা সাড়ে ৫ হাজারের উপর যুবককে ইজরায়েলে পাঠিয়েছি। অথচ একজন কংগ্রেস নেত্রী প্যালেস্টাইন লেখা ব্যাগ নিয়ে পার্লামেন্টে ঘুরছেন। উত্তরপ্রদেশ থেকে ছেলেরা গিয়ে সেখানে নির্মাণকর্মী হিসাবে কাজ করছেন। তাঁরা মাসে অন্তত মাসে অন্তত দেড় লক্ষ টাকা বেতন পান। শুধু তাই নয়, বিনামূল্যে তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ইজরায়েলি সরকার তাঁদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাও নিশ্চিত করেছে।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এদিন যোগী এটাই স্পষ্ট করলেন যে, কেন্দ্র একদিকে যুবকদের কর্মসংস্থান করছে সেখানে কংগ্রেস বিরোধীতা করে প্যালেস্টাইনকে সমর্থন করছে। এর আগে এই ব্যাগ নিয়ে প্রিয়াঙ্কাকে কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ গুলাম আলি খাতনা বলেছিলেন, “খবরে আসার জন্য অনেকে এমন কাজ করেন। সাধারণ মানুষ প্রত্যাখ্যান করলে মানুষ এরকমই পথ অনুসরণ করে থাকেন।”উল্লেখ্য, ইজরায়েলে বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থায় কাজ করতেন কয়েক হাজার প্যালেস্তিনীয় শ্রমিক। কিন্তু গত এক বছরে পরিস্থিতি পুরোটাই বদলে গিয়েছে। গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তাদের মধ্যে অধিকাংশকেই কাজ থেকে ছাঁটাই করে ফেলেছে ইজরায়েল। ফলে পেটে টান পড়েছে প্যালেস্তিনীয়দের। কিন্তু এতে লক্ষ্মীলাভ হয়েছে ভারতীয় শ্রমিকদের। গত বছরের নভেম্বরে ১ লক্ষ ভারতীয় শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল ইজরায়েল। এবছরের এপ্রিল ও মে মাসে ইহুদি দেশটিতে কাজ করতে গিয়েছেন ছয় হাজারের উপর ভারতীয়। এখনও বহু যুবক কাজ করতে এদেশ থেকে ইজরায়েলে যাচ্ছেন।

Card image cap

‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে তৎপর মোদি মন্ত্রিসভা

আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সংসদে পেশ হতে চলেছে ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল। জানা যাচ্ছে, দুপুর ১২টায় লোকসভায় এই বিল পেশ করবেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। পাশাপাশি, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীর ও পুদুচেরির জন্য আলাদাভাবে পেশ হবে বিল। ইতিমধ্যেই বিলের কপি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সব সাংসদদের।গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা সংবিধান (১২৯ সংশোধনী) বিল, ২০২৪, এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী বিল), ২০২৪ অনুমোদন করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেগুলি সাংসদদের কাছে পাঠিয়েও দেওয়া হয়। কথা ছিল সোমবার সংসদে পেশ হবে ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল। আইনমন্ত্রী বিলগুলি পেশ করার পর তা যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানো হতে পারে আলোচনার জন্য। যদিও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল করে কেন্দ্র সরকার। পরে যে চূড়ান্ত কার্যসূচি ঘোষণা করা হয়, তাতে দেখা যায় এক দেশ-এক ভোট বিল নেই। সংশয় তৈরি হয় বিলটি আদৌ এই অধিবেশনে পেশ হবে কিনা। এরই মাঝে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামিকাল মঙ্গলবারই পেশ হতে চলেছে বিলটি।প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কমিটি ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করেছিল। এক দেশ, এক ভোট নিয়ে এর আগে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো বিরোধী দলগুলি। তাদের যুক্তি ছিল, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয়, সাংসদ এবং বিধায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেটুকু বৈচিত্রের সম্ভাবনা রয়েছে, বিজেপির আগ্রাসী প্রচারের মুখে তা ভেঙে পড়তে পারে। দেশের একেক রাজ্যে বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয় একেক সময়। একসঙ্গে ভোট করাতে হলে কোনও কোনও রাজ্যের ভোট এগিয়ে আনতে হবে। কোনও কোনও রাজ্যের ভোট পিছিয়ে দিতে হবে। যা পদ্ধতিগতভাবে চরম সমস্যার। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিরোধীদের আপত্তিতে এই বিলকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠতে পারে সংসদ।যদিও বহুদিন ধরেই ‘এক দেশ, এক ভোটে’র পক্ষে সওয়াল করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রের যুক্তি, এর ফলে নির্বাচন করার বিপুল খরচে রাশ টানা যাবে। যেমন সরকারের খরচ কমবে, তেমন রাজনৈতিক দলগুলিরও খরচ কমবে। বারবার নির্বাচনের জন্য সরকারি কাজকর্ম, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে থমকে যায়। একসঙ্গে ভোট হলে তা কমে যাবে। ভোটকর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীদের খাটুনিও কমবে। একসঙ্গে বিধানসভা এবং লোকসভার ভোট হলে ভোটের হার বাড়তে পারে বলেও মত অনেকের। রাজনৈতিক দলগুলিও সারা বছর ভোটপ্রচারের ঝক্কি না থাকায় মানুষের কাজে অনেক বেশি মনোনিবেশ করতে পারবে।

Card image cap

প্রধানমন্ত্রীর ‘ঝাঁজালো’ ভাষণকে ‘বোরিং’ বললেন প্রিয়াঙ্কা

সংসদে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ ভাষণ দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইস্যু ধরে ধরে তোপ দাগলেন গান্ধী পরিবারের প্রতিটি প্রজন্মকে। সংবিধান নিয়ে আলোচনায় মোদির ওই ভাষণকে বিরোধীদের মিথ্যাচারের বেশ ঝাঁজালো জবাব বলেই মনে করছিল বিজেপি। কিন্তু সদ্য সংসদে প্রবেশ করা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মোদির এই ভাষণকে যেন ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিলেন। বলে দিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ওই দীর্ঘ ভাষণ পর পর দুটো অঙ্ক ক্লাসের মতোই বোরিং।প্রিয়াঙ্কার কথায়, “প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে নতুন কিছুই নেই। পুরনো কথাগুলিই ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বলেছেন। বক্তব্য শুনে যেন কয়েক দশক আগের সেই স্কুলে বসে অঙ্কের পর পর ক্লাস করার মতো লাগছিল। আমাদের ভীষণ বোর করেছেন মোদি। ভাষণের সময় সংসদের সবাই বিরক্ত হচ্ছিলেন।” কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদকের দাবি, বিজেপি নেতারাও মোদির ভাষণে বিরক্ত হচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “জেপি নাড্ডা হাত কচলাচ্ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নজর পড়ার পর এমন ভাব করলেন যেন মন দিয়ে শুনছেন। অমিত শাহ মাথায় হাত দিয়ে বসেছিলেন। আর পীযূষ গোয়েল তো প্রায় ঘুমিয়েই পড়েছিলেন।”শনিবার সংসদে সংবিধান দিবসের জবাবি ভাষণে প্রজন্ম ধরে ধরে গান্ধী পরিবারকে তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরার জরুরি অবস্থা থেকে রাজীবের শাহ বানো মামলা। নেহেরুর ৩৭০ ধারা থেকে সোনিয়ার ন্যশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে সব ইস্যুই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংবিধান সংসদে গৃহীত হওয়ার পর ৭৫ বছরে ৫৫ বছরই রাজত্ব করেছে একটা পরিবার। কংগ্রেসের সেই পরিবার সংবিধানকে আঘাত করার কোনও সুযোগ ছাড়েনি।” দুর্নীতি ইস্যুতেও কংগ্রেসকে বিঁধেছিলেন মোদি। যার পালটাও এল মোদির তরফে।কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক বলছেন, মোদির যখন দুর্নীতি এতই অপছন্দ তাহলে তিনি আদানি ইস্যুতে কেন আলোচনায় সায় দিচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রীর গোটা ভাষণে আদানি ইস্যুর কোনও উল্লেখ নেই কেন? প্রিয়াঙ্কা যেভাবে মোদির ভাষণকে বোরিং বলে দিলেন, সেটা সাম্প্রতিক অতীতে বেনজির।

Card image cap

সংসদে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

যে অভিযোগে বারবার বিদ্ধ হতে হয় তাঁকে, এবার সেই অস্ত্রেই বিরোধীদের বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদে সংবিধান নিয়ে আলোচনার জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বললেন, “ভারত বৈচিত্রের দেশ। কিন্তু এই বৈচিত্রের ভারতে বিভেদের বিষ ছড়াচ্ছে কেউ কেউ।”সংসদে সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫ বছর পূর্তিতে আয়োজিত আলোচনা সভার জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ভারত আজ শুধু বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র নয়, এটা গণতন্ত্রের জননী। মোদির কথায়, “ভারত বৈচিত্রের দেশ ঠিকই। কিন্তু সেই বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যই আমাদের বৈশিষ্ট। ভারত আসলে অনেকগুলি গণতন্ত্রের সমাহার।” সংসদে প্রধানমন্ত্রী বললেন, “একেবারে শুরু থেকে ভারতীয় সংবিধান বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের গুরুত্ব বুঝেছে। ভারতের গণতন্ত্রের অতীত খুবই প্রগতিশীল। কিন্তু আজ অনেকে এই সংবিধান দিবসের উৎসবে যোগ না দিয়ে বিভেদের বিষ ছড়াচ্ছে।”এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে দৃপ্ত কন্ঠে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপনের সময় ভারত উন্নত দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে। মোদির দাবি, দেশের উন্নতির পথে যাবতীয় বাধা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। সার্বিক উন্নয়নে মহিলাদের যোগদান বাড়ানো হচ্ছে। সার্বিকভাবে দেশের ঐক্যের জন্য জিএসটির মতো করকাঠামো চালু হয়েছে। ৩৭০ ধারার মতো বাধা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।এর পরই সরাসরি গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “সংবিধান সংসদে গৃহীত হওয়ার পর ৭৫ বছরে ৫৫ বছরই রাজত্ব করেছে একটা পরিবার। কংগ্রেসের সেই পরিবার সংবিধানকে আঘাত করার কোনও সুযোগ ছাড়েনি। কংগ্রেসের সেই কুবিচার, কুনীতির প্রভাব আজও রয়েছে। দেশকে আজও ভুগতে হচ্ছে। এই পাপ কোনওদিন মোছা যাবে না।” প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, সংবিধান যখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তখনই সেটাকে বদলে ফেলার পক্ষে সওয়াল কর‍তেন। আর ইন্দিরার আমলের জরুরি অবস্থার দাগ কোনওদিন মোছা যাবে না।

Card image cap

গত দশ বছরে আপনারা কী করেছেন? সংসদে প্রশ্ন প্রিয়াঙ্কার

সংসদে প্রথম ভাষণে শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষের নজর কেরেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সংবিধান-বিতর্কে নিজের বক্তব্যে কথায় কথায় মোদি-শাহদের নেহরুকে আক্রমণ নিয়েও তোপ দাগেন তিনি। প্রিয়াঙ্কা প্রশ্ন তোলেন, কথায় কথায় নেহরুকে ‘স্মরণ’ করেন। গত দশ বছরে আপনারা (মোদি সরকার) কী করেছেন?ভারতীয় সংবিধান সংসদে গৃহীত হওয়ার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার লোকসভায় বিশেষ অধিবেশন ছিল। সেখানে প্রথমে বক্তব্য রাখেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। নাম না করে রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে রাজনাথ বলেন, “কয়েকজন শুধু সংবিধান পকেটে নিয়ে ঘোরে। বিদেশের মাটিতে বসে ভারতকে অপমান করে। কিন্তু আমরা সংবিধানের কাছে মাথা নত করি।” এদিন পালটা দিলেন প্রিয়াঙ্কা। ওয়ানড়ের সাংসদ বলেন, “গত ১০ বছরে এনডিএ সরকারের আমলে সংবিধানের রক্ষাকবচ অনেকখানি দুর্বল হয়েছে। যদি এবারের নির্বাচনে এনডিএ আরও বেশি আসন পেত তাহলে নিশ্চয়ই বদলে যেত ভারতের সংবিধান।”এদিন নিজের বক্তৃতায় ভারতীয় সংবিধানের রূপকারদের তালিকায় সব শেষে জওহরলাল নেহরুর নাম উচ্চারণ করেন কংগ্রেস নেত্রী। এবং নেহরুর মতোই শ্রদ্ধা জানান বিআর আম্বেদকর, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ এবং চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারীকে। তিনি বলেন, সংবিধান রচনা ও প্রণয়নের মাধ্যমে ভারতবাসীকে ‘ন্যায়ের রক্ষাকবচ’ দিয়েছেন ওঁরা। মোদি সরকারকে নিশানা করার সময় আদানি ইস্যু থেকে দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি, উন্নাও ও হাথরস ধর্ষণ থেকে সম্ভল হিংসা, মণিপুর প্রসঙ্গে গর্জে ওঠেন ইন্দিরার নাতনি।ইদানীংকালে সংসদের ভিতরে ও বাইরে বারবার মোদি-শাহদের ‘সফট টার্গেট’ হয়েছে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর ‘ভূত’। কারণে, অকারণে নেহরুর নিশানা করেছে গেরুয়া শিবির। কার্যত মৃত্যুর ৬০ বছর যেন বেঁচেই উঠেছেন নেহরু! এদিন বিজেপি সাংসদদের উদ্দেশে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘‘সব দোষ কি একা নেহরুর?’’ যদিও কেবল নেহরুকে দোষ দিয়ে ক্ষান্ত নয় শাসক শিবির। কার্যত নেহরু ‘লেগাসি’কে মুছে ফেলতে তৎপর তারা। সেই লক্ষে যোজনা কমিশের নাম বদলে হয়েছে নীতি আয়োগ। গত বছর স্বাধীনতা দিবসে বদলে ফেলা হয়েছে নয়াদিল্লির তিন মূর্তি ভবনের জওহরলাল নেহরু সংগ্রহশালা। সেটির নতুন নাম হয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা এবং গ্রন্থাগার সোসাইটি’ (প্রাইম মিনিস্টার মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি সোসাইটি বা পিএমএলএল সোসাইটি) নামে।’’ এদিন প্রিয়াঙ্কা শাসক পক্ষকে কটাক্ষ করেন, কথায় কথায় নেহরুকে স্মরণ করেন। কিন্তু গত দশ বছরে আপনারা কী করেছেন?

Card image cap

স্বামীর ঋণ মেটাতে দেড় লক্ষে সন্তান বিক্রি মহিলার!

স্বামীর মাথার উপর ঋণের বোঝা। এদিকে ৭ সদস্যের পরিবারের ভরণ পোষণে নাকানি চোবানি খেতে হচ্ছে। চরম আর্থিক সংকট থেকে রেহাই পেতে নিজের এক মাসের পুত্র সন্তানকে বিক্রি করে দিলেন মা। বিষয়টি জানার পর স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহিলার স্বামী। ঘটনার তদন্তে মহিলা-সহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর রামনগর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির মা ও বাবা দুজনেই দিনমজুর। ৫ সন্তানের পরিবার টানতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছিল তাঁদের। এদিকে মাথার উপর ছিল ৩ লক্ষ টাকার দেনা। এই অবস্থায় স্বামীর ঋণ মেটাতে স্বামীকে সন্তান বিক্রির পরামর্শ দেন মহিলা। যদিও সে প্রস্তাব নাচক করে দেন যুবক। তবে স্বামীর কথা না শুনে নিজে থেকে ক্রেতা খুঁজে নিজের একমাসের সন্তানকে দেড় লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেন মহিলা। পরে সন্তানকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন যুবক।গত ৭ ডিসেম্বর যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্ত মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে বেঙ্গালুরুর এক মহিলার কাছে নিজের সন্তানকে বিক্রি করেন মহিলা। সেই সূত্র ধরেই শিশুর মা, যার কাছে সন্তান বিক্রি করা হয়েছে সেই মহিলা ও আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা সন্তান বিক্রিতে মহিলাকে সাহায্য করেছিলেন। শিশুটিকে উদ্ধার করে আপাতত হোমে পাঠিয়েছে পুলিশ।পুলিশের কাছে শিশুটির বাবা জানায়, টাকার জন্য সন্তান বিক্রির প্রস্তাব আগেই দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। সে প্রস্তাবে তিনি রাজি হননি। পরে বাড়ি ফিরে সন্তানকে দেখতে না পেয়ে তিনি স্ত্রীকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে মহিলা জানান, অসুস্থ হওয়ার কারণে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তাকে ডাক্তারের কাছে পাঠিয়েছেন। তবে পরের দিনও সন্তান বাড়ি না ফেরায় সন্দেহ হয় এবং থানায় অভিযোগ জানান যুবক। এর পরই প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা। এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শিশু বিক্রির ঘটনার সঙ্গে কোনও পাচার চক্র সক্রিয় রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Card image cap

কোস্ট গার্ডের জালে ৭৮ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

ভারত-বাংলাদেশ টানাপোড়েনের আবহে ভারতীয় উপকূলরক্ষা বাহিনীর হাতে আটক ৭৮ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী। জলসীমা অতিক্রম করে অনুপ্রবেশের অভিযোগে দুটি বাংলাদেশি ট্রলার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ৭৯ জন মৎস্যজীবীকে আটকে রেখেছে বাংলাদেশ। তাঁদের আইনি সাহায্য দেওয়া হলেও এখনও মুক্তি দেয়নি ঢাকা। এর মধ্যেই ৭৮ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে আটক করা হল। এদিন ভারতীয় উপকূলরক্ষা বাহিনীর তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, “ভারতীয় জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগে একটি অভিযান চালিয়ে দুটি ট্রলার-সহ ৭৮ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে আটক করা হয়েছে। ট্রলার দুটি পারাদ্বীপের কাছে আনা হয়েছে।” বাজেয়াপ্ত ট্রলার দুটি হল এফ ভি লায়লা-২ এবং এফ বি মেঘনা-৫। একাধিক ছবিও পোস্ট করা হয়েছে ভারতীয় উপকূলরক্ষা বাহিনীর তরফে। একটি ছবিতে গিয়েছে, আটক ট্রলারে হাত মাথার পেছনে রেখে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা। তাঁদের পেছনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভারতীয় কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। আরেকটি ছবিতে সাগরে বাংলাদেশের দুটি ট্রলার চলতে দেখা গিয়েছে, তৃতীয় ছবিটি ছিল জেটিতে ট্রলার দুটি আনার।বাজেয়াপ্ত ট্রলার দুটি সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন। ইতিমধ্যে ট্রলার দুটি উদ্ধারে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার এবং সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেড। এখন প্রশ্ন হল, পশ্চিমবঙ্গের যে ৭৯ জন মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন বাংলাদেশে, তাঁদের কবে মুক্তি দেবে ঢাকা?