CATEGORY district:

Card image cap

লুকিয়ে ভিন রাজ্যে আলু পাচারের চেষ্টা!

দাম নিয়ন্ত্রণে ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানিতে আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে প্লাস্টিকের চালানের মধ্যে লুকিয়ে ভিন রাজ্যে আলু পাচারের ছক! তবে নজরদারির জেরে সেই ছক বানচাল হয়েছে। আসানসোলের বারাবনির কাছে ঝাড়খণ্ড সীমানায় ট্রাক থেকে পাঁচশো বস্তা আলু বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চালক ও খালাসিকে। জানা গিয়েছে, আলুগুলি গোপনে বিহারে রপ্তানি করা হচ্ছিল।রবিবার সকালে বারাবনির কাছে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় নজরদারি চলছিল পুলিশের। সেসময় নজরে পড়ে একটি ট্রাক প্লাস্টিক ঢাকা অবস্থায় যাচ্ছে বিহারের দিকে। সঙ্গে সঙ্গে তা আটক করে চালান দেখতে চায় টহলরত পুলিশ। দেখেন, চালানে লেখা যে লরিতে রয়েছে প্লাস্টিকের ব্যাগ। তাতে সন্দেহ হওয়ায় গাড়িটি থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। দেখা যায়, প্লাস্টিকের আড়ালে লুকিয়ে বস্তা বস্তা আলু। গুনে দেখা যায়, মোট ৫১০ টি বস্তা রয়েছে ট্রাকের মধ্যে।পুলিশ সূত্রে প্রাথমিক খবর, সাধারণত ১৯ নং জাতীয় সড়ক গোপনে পাচারের রুট। কিন্তু এখন রুট বদল হয়েছে। এবার বারাবনি ও ঝাড়খণ্ডের নলা সীমানার গৌরান্ডি ব্রিজ দিয়ে আলু পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই বারাবনি থানার পুলিশ ট্রাকটিকে ধরে ফেলে। চালক ও খালাসিকে আটক করা হয়েছে। তাদের জেরা করে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, হুগলির পান্ডুয়া থেকে বিহারের গয়ায় পাচার করা হচ্ছিল ৫০০ বস্তা আলু। এই ঘটনার পর আরও সতর্ক হল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ। এমনিতেই মঙ্গলবার থেকে আলু ব্যবসায়ীরা ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় বাজারে জোগান নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তার মধ্যে এভাবে ভিনরাজ্যে পাচার করলে আরও টান পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তা রুখতেই সীমানায় নজরদারি আরও বাড়ানো হল। 

Card image cap

কল্যাণীতে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ’

ফের বাংলায় লালসার শিকার নাবালিকা। এবার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে। মুখ বন্ধ রাখতে নির্যাতিতাকে টাকা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কথা না মানলে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে নদিয়ার কল্যাণীতে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।জানা গিয়েছে, নদিয়া জেলার কল্যাণী পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই নাবালিকা। তার বয়স ১৩ বছর। ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল অ্যাম্বুল্যান্স চালক রঘু সরকারের বিরুদ্ধে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে নাবালিকাকে পাশের বাড়িতে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। এর পর মুখ বন্ধ রাখার জন্য কিছু টাকাও দেয় সে। মুখ খুললে নির্যাতিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মারারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু পরিবারের কাছে ভেঙে পড়ে নাবালিকা। গোটা বিষয়টি জানিয়ে দেয়।রাতেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। থানায় যান প্রতিবেশীরাও। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলেন সকলে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন কল্যাণী পুরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ মুখোপাধ্যায়। তিনিও এ বিষয়ে ধিক্কার জানিয়ে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। শনিবার ভোরে অভিযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Card image cap

বন্ধুদের সঙ্গে নৌকাবিহারে গিয়ে ছাত্রের রহস্যমৃত্যু

বন্ধুদের সঙ্গে নৌকাবিহারে যাওয়াই কাল। তলিয়ে মৃত্যু হল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গঙ্গাধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হেড়িয়াদহ গ্রামে। নিছক দুর্ঘটনা নাকি খুন? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মৌসম বাঙাল। বয়স ১৮ বছর। গঙ্গাধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হেড়িয়াদহের বাসিন্দা তিনি। আগামী বছর উচ্চ মাধ্যমিক দিতেন তিনি। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার সকালে ওই ছাত্রকে ডেকে নিয়ে যায় তাঁর তিন বন্ধু। কথা ছিল স্থানীয় পদ্ম পুকুরে ডিঙি নৌকো চেপে ঘুরবেন। এর পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি তিনি। স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের তরফে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু লাভ হয়নি। ফোন ছিল বন্ধ। এর পর এক বন্ধুর থেকে জানা যায় তাঁরা সবুজ দ্বীপে ঘুরতে গিয়েছিলেন। এর পরই চণ্ডীতলা থানার পুলিশকে জানানো হয় বিষয়টা। গতকাল রাত দশটা নাগাদ জলাশয় থেকে ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় প্রবীর ঘাউ নামে এক যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় মৌসমের। ক্রমেই বন্ধুত্ব গভীর হয়। তার পরই এই ঘটনায় পরিবার ওই যুবকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ইতিমধ্যেই চণ্ডীতলা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই মৃত্যুর পিছনে কি রহস্য, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। উল্লেখ্য, প্রবীরের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ হয়েছে থানায়।

Card image cap

অশোকনগরে সোনা, অস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার ৩

অশোকনগর থানা এলাকার ঘটনায় প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার বিস্কুট, একটি পাইপগান, এক রাউন্ড কার্তুজ ও একটি ছুরি-সহ গ্রেপ্তার হয়েছে তিন দুষ্কৃতী।ঘটনা ঠিক কী? বুধবার রাতে অশোকনগর থানায় পুলিশের কাছে খবর আসে, দোগাছিয়া এলাকায় তিনজন যুবকের মধ্যে প্রবল কথা কাটাকাটি চলছে। কোনও ঝামেলা হয়ে থাকতে পারে। খবর পেয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। তদন্ত শুরু করতেই জানা যায় সম্পূর্ণ অন্য কাহিনি। পুলিশ জানতে পারে, বনগাঁ থানা এলাকার বাসিন্দা বিভূতি বিশ্বাস ৬টি সোনার বিস্কুট নিয়ে দত্তপুকুর স্টেশনে এসেছিলেন। সেসময় কয়েকজন পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় অশোকনগর থানার দোগাছিয়া এলাকার একটি গাড়িতে। পুলিশকে দেখে সেই গাড়িটি চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গাড়ি-সহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।জানা যায়, বাদুড়িয়ার বাসিন্দা রাজেশ ঠাকুর ও স্বরূপনগরের শুভঙ্কর হালদার – এই দুজন বিভূতির কাছ থেকে সোনা ছিনতাইয়ের উদ্দেশে ধস্তাধস্তি করছিল। কিন্তু তন্নতন্ন করে খুঁজেও কারও থেকে সোনা মেলেনি প্রথমে। পরে তল্লাশি চালিয়ে বিভূতির কাছে থাকা একটি সিগারেটের প্যাকেটের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ছটি সোনার বিস্কুট। যার বাজারমূল্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। এছাড়া শুভঙ্করের কাছ থেকে উদ্ধার হয় পাইপগান ও এক রাউন্ড কার্তুজ। রাজেশ ঠাকুরের কাছ থেকে মেলে একটি চাকু। পুলিশ জানিয়েছে, বিভূতি সোনাগুলো লুট করে পালাচ্ছিল। তবে কোথায় কেন নিয়ে যাচ্ছিল, তা এখনো জানা যায়নি। সে কোনও বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি। অপর দুই দুষ্কৃতী ছিনতাইয়ের উদ্দেশে বিভূতির কাছ থেকে সোনাগুলি নেওয়ার চেষ্টা করছিল। তিন অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে পাঠানো হয়েছে বারাসত আদালতে। 

Card image cap

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চালু বড়মা পুলিশ ফাঁড়ি

যেমন কথা তেমন কাজ। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নৈহাটির বড়মার মন্দিরের কাছে পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধন হয়ে গেল। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশে বুধবার বিকেল থেকে চালু হয়ে গেল ফাঁড়ি। উদ্বোধন করলেন বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া। ছিলেন নবনির্বাচিত বিধায়ক সনৎ দে, বড়কালী পুজো সমিতির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য, পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়-সহ পুলিশ কমিশনারেটের একাধিক কর্তাব্যক্তি।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈহাটি রেল স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে স্টেশন রোড সংলগ্ন অরবিন্দ রোড গিয়ে শেষ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নামাঙ্কিত বড়মা ফেরিঘাটে। এই অরবিন্দ রোডের প্রায় মাঝামাঝি অবস্থিত বিখ্যাত বড়মার কালীমন্দির। গত বছর শতবর্ষে এই মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করে পাকাপাকিভাবে স্থাপন করা হয় কষ্টিপাথরের বড়মার মূর্তি। তার পর থেকে প্রতিদিনই ভক্তদের ভিড় বাড়ছে মন্দিরে।চলতি কালীপুজোয় ঘোর কৃষ্ণবর্ণে একুশ হাতের দীর্ঘদেহী বড়মার দর্শনে এবং দণ্ডি কাটার জন্য রেকর্ড ভিড় হয়েছিল। ফলে প্রতিদিন আগত অসংখ্য ভক্তদের যাতে কোন সমস্যা না হয় ও তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত থাকে, সেই জন্য মঙ্গলবার বড়মার মন্দিরে পুজো দিতে এসে ফাঁড়ি তৈরির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরের দিন বিকেলেই বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তৎপরতায় মন্দিরের তিনতলায় উদ্বোধন হল ‘বড়মা পুলিশ আউটপোস্ট’।সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “বড়মার মন্দিরে প্রতিদিন দশ থেকে কুড়ি হাজার ভক্ত পুজো দিতে আসেন। এছাড়াও অরবিন্দ রোড এবং স্টেশন চত্বরের মার্কেট সবসময় জমজমাট থাকে। তাই পুজো দিতে আসা ভক্তরা বিশেষ করে মহিলাদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, মন্দির কমিটির পুজোর আয়োজনে যাতে কোনও সমস্যা না হয় এবং মার্কেট এলাকায় যাতে কোন অপরাধ না হয় – এই তিন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ফাঁড়ির উদ্বোধন হল। মূলত এই বিষয়গুলিই ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকবে।” পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে খবর, বড়মা পুলিশ আউটপোস্টের দায়িত্বে থাকবেন একজন সাব ইন্সপেক্টর। সঙ্গে মোতায়েন থাকবেন ৩ জন এএসআই, ৮জন কনস্টেবল ও ৮জন সিভিক ভলান্টিয়ার।

Card image cap

দূষণে দিল্লিকেও টেক্কা দুর্গাপুরের

 দূষণে দিল্লিকেও টপকে গেল দুর্গাপুর! মঙ্গলবার দুপুরে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বাতাসে গুণগত মানের সূচক (একিউআই) ছিল ৪৫৩.৮। যেখানে দিল্লির AQI কমে ৩৯৪। দুর্গাপুরের বাতাসে ১০ মাইক্রোমিটার (পিএম ১০) ধূলিকণার পরিমাণও বেশি। যদিও এদিন বাতাসের বেগ একটু বেশি থাকায় কমেছে ২.৫ মাইক্রোমিটার (পিএম২.৫) ধূলিকণার পরিমাণ। উদ্বিগ্ন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ অসহনীয় দূষণ বাগে আনতে রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা-সহ একাধিক বেসরকারি কারখানার বিরুদ্ধে সত্ত্বর ব্যবস্থা গ্রহণের পদ্ধতি শুরু করেছে।মঙ্গলবার দুপুর দুটো নাগাদ দেশের মধ্যে সবথেকে দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে চলে যায় দুর্গাপুর। বেশ কিছুদিন ধরেই দিল্লির দূষণের মাত্রা নিয়ে সরগরম ছিল গোটা দেশ। এমনকি কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও উঠে এসেছিল রাজাধানীর দূষণ। এবার সেই দিল্লিকেও হার মানালো দুর্গাপুর। এদিন দুপুর দুটোয় রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ডিজিটাল অ্যানালাইজারে সিটি সেন্টারের AQI ৪৫৩.৮। বিধাননগরে ৪০৫ ও দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীতে ৩৯০। যেখানে ওই সময়ে দিল্লির সাদিপুরে সর্বোচ্চ AQI ৩৯৪। মুম্বইতে ১১৯। কোলকাতা ১৪৮। হাওড়া ৩৮৬। হরিয়ানায় ২৬৯। আসানসোল ৩৭৭। চন্ডীগড় ২৬৯। একিউআইয়ের স্বাভাবিক পরিমাণ ১০০ থেকে ১৫০।গত ১০ নভেম্বর থেকে অভাবনীয়ভাবে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বাড়তে থাকে দূষণ। ওই দিন দুর্গাপুরের AQI ছিল ৭৬। তার পর থেকেই বাড়তে বাড়তে মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ স্থানে। দুর্গাপুরের ক্রমবর্ধমান দূষণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। এদিন দুপুরে দুর্গাপুরের বাতাসে প্রতি ঘন মিটারে ১০ মাইক্রোমিটার (পিএম ১০) ধূলিকণার পরিমাণ ছিল ২৫২। স্বাভাবিক পরিমাণ ১৫। অন্যদিকে প্রতি ঘনমিটারে ২.৫ মাইক্রোমিটার ধূলিকণার পরিমাণ ছিল ১১২। স্বাভাবিক পরিমাণ ৫। এই পরিমাণ এদিন একটু কমেছে। ১৬ নভেম্বর এর পরিমাণ ছিল ১৪২। এদিন বাতাসের বেগ প্রতি ঘন্টায় ৮ কিলোমিটার হওয়ায় বাতাসে ওই ছোট ধূলিকণার পরিমাণ কমেছে। দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীতে এই রকমের দূষণ মাত্রা আগে কোনওদিন দেখা যায়নি বলেই দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দাবি।অভাবনীয় দূষণ গ্রাসে আক্রান্ত দুর্গাপুরকে বাঁচাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দুর্গাপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের মুখ্য বাস্তুকার অরূপ দে বলেন, “নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে কাঁকসার বামুনাড়া শিল্পতালুকের দুটি ইন্ডাকশন ফার্নেস কারখানার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্পাত কারখানা ও আরও দুটি বেসরকারি লৌহ ইস্পাত কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পদ্ধতি শুরু হয়েছে। শিল্প এলাকায় কৃত্রিম ওয়াটার স্প্রিকলিং শুরু হয়েছে। এই ওয়াটার স্প্রিকলিং আরো বাড়ানো হবে।”

Card image cap

লটারির দোকানে হানা দুষ্কৃতীদের

রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার চেষ্টা। গভীর রাতে দোকানে ঢুকে সমস্ত লটারির টিকিট নিয়ে চম্পট দিল একদল যুবক। সাতসকালে দোকান খুলে মাথায় হাত ব্যবসায়ীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য অন্ডালের উখড়ায়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্ডাল থানার উখড়া বাজারে শেখ করিমের একটি লটারির দোকান রয়েছে। রবিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন তিনি। সোমবার সকালে দোকান খুলতেই দেখেন অ্যাসবেস্টসের ছাদ কাটা। ভিতরে থাকা কাঁচের বাক্সে রাখা সব লটারি টিকিট উধাও। ক্যাশ বক্সে থাকা কয়েক হাজার টাকাও নেই। এখানেই শেষ নয়। পাশের একটি কাঠের গোডাউনেও দুষ্কৃতীরা ঢোকে। সেখানে অবশ্য টাকা না থাকায় খালি হাতেই বেরিয়ে যায়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই চরম চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা বাজারজুড়ে। খবর পেয়ে পৌঁছয় উখড়া ফাঁড়ির পুলিশ।লটারি ব্যবসায়ী শেখ করিম বলেন,”কয়েকদিন আগেও পাশের একটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। এবার আমার দোকানে চুরি করল দুষ্কৃতীরা। সব চলে গেল আমার। চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। কিছু ব্যাবস্থা করুক পুলিশ।” পাশের এক ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ কর দাবি করেন,”আমার অ্যাসবেস্টারের ছাদও কেটেছিল দুষ্কৃতীরা। শুধু কাঠ দেখতে পেয়ে পালিয়ে যায়। তবে নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি করছি আমরা।” তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

Card image cap

পাথর ছিটকে ভাঙল বাড়ি, রানিগঞ্জে ব্যাপক উত্তেজনা

কয়লাখনিতে ডিনামাইট বিস্ফোরণের জেরে পাথর ছিটকে ভাঙল আশপাশে বাড়িঘর। শনিবার বিকেলের এই দুর্ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়াল রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়ি খোলামুখ খনি এলাকায়। পাথর ছিটকে এগাড়া গ্রামের সিং পাড়ার একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা নিয়ে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা ভাঙচুর চালাল খনি এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পার ও গাড়িতে। পরে ভাঙচুর চলে খনি কর্তৃপক্ষের অফিসঘরেও।শনিবার বিকেলে হঠাৎ করেই রানিগঞ্জের এগাড়া গ্রামে বেজে ওঠে সাইরেন। এটি নারায়ণকুড়ি খোলামুখ খনির লাগোয়া এলাকা। সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গে কেঁপে উঠল সিং পাড়ার বেশ কয়েকটি বাড়ি। ছাদে দুমদাম শব্দ। কারও বাড়ির টালি ভেঙে পড়ে। কারও অ্যাজবেস্টাস ফুটো হয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ল বড় বড় পাথরের চাঁই। সেসময় কেউ ঘুমাচ্ছিলেন, কেউ আবার বিকেলে বসে চা খাচ্ছিলেন বারান্দায়। আচমকাই সাইরেনের শব্দ এবং হুড়মুড়িয়ে ছাদ ভেঙে পড়ার দৃশ্য দেখে কিছু বুঝে ওঠার আগেই সবাই আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে পালাতে থাকেন।পরে জানা যায়, খোলামুখ খনিতে ডিনামাইট বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। যার জেরে বড় বড় পাথর গিয়ে পড়েছে গ্রামে এবং তার আঘাতে বাড়িঘর ভেঙেছে। এই ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। খনি এলাকায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পার ও গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। ভয়ে খনি ছেড়ে পালিয়ে যান আধিকারিক ও কর্মীরা। এই এলাকাটি ইসিএল কুনুস্তরিয়া এরিয়ার মধ্যে পড়ে। কেন যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়ে খনিতে ডিনামাইট ফাটানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। পাশাপাশি খনি কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি মেরামত করে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

Card image cap

ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে ঝুলে রইল ট্রেলার

১ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা। উলটে গেল তার বোঝাই ট্রেলার। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উড়ালপুলের ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে ঝুলতে থাকে গাড়িটি। ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটেছে ১ নম্বর জাতীয় সড়কের ডিভিসি মোড়ে। ঘটনায় আহত গাড়ির চালক ও খালাসি। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তারের বান্ডিল বোঝাই ট্রেলারটি ডিভিসি মোড়ের উড়ালপুলে উঠছিল। তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উড়ালপুলের ডিভাইডারে ধাক্কা মারে সেটি। অভিঘাতে ইঞ্জিনটি ডিভাইডারের উপরে উঠে যায়। সেখান থেকেই বিপজ্জনকভাবে ঝুলে থাকে। ট্রেলারটি ভর্তি থাকায় নিচে পড়েনি বলে অনুমান। পড়ে গেলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতেই পারত বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।ট্রেলারটি আটকে পড়ায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় জাতীয় সড়কে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুর্গাপুর ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ। ইঞ্জিনটিকে সরিয়ে রাস্তা ফাঁকা করার কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, “ট্রেলারটি বাঁকুড়ার দিক থেকে আসছিল। ডিভিসি মোড়ের উড়ালপুলে ওঠার সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেলারটি ভর্তি না থাকলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।” দুর্ঘটনার জন্য জাতীয় সড়কের পরিকাঠামোকে দায়ী করে তাঁরা বলেন, “এই উড়ালপুলটির পরিকাঠামোর ঠিক নেই। সেই জন্যই এই ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে গাড়িগুলো।” 

Card image cap

কুলটিতে মিলল প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারির পর অ্যাকশনে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। কুলটির একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে হানা এসটিএফের। উদ্ধার ১০টি ফায়ার আর্মস ও ৫৪টি কার্তুজ। গ্রেপ্তার ২। রবিবার ধৃতদের আসানসোল আদালতে তোলা হয়েছে।শনিবার বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার পুরনো কুলটির কল্যানেশ্বরী এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে হানা দেয় এসটিএফের আধিকারিকরা। জাতীয় সড়কের কাছের ওই আবাসন থেকে ১০টি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ৯ এমএম পিস্তলের ৪ রাউন্ড কার্তুজ ও ৮ এমএম বন্দুকের ৫০ রাউন্ড কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করেছে তাঁরা। অস্ত্রগুলো ভিন রাজ্য থেকে আনা হয়েছিল বলেই খবর।অভিযানে ধৃত মিনারুল ইসলাম ও সফিকুল মণ্ডল। দুজনেই মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানার বাসিন্দা। তাদের এদিন আদালতে পেশ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চালাবে এসটিএফ। তবে এ বিষয়ে মুখ খোলেনি কুলটি থানার পুলিশ।এই প্রথম নয়। একাধিকবার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করেছে এসটিএফ। ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার রূপনারায়ণপুর চেক পোস্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেন গোয়ান্দারা। ২টি নাইন এমএম মেশিন কার্বাইন, ৩টি ম্যাগাজিন, ২টি সেভেন এমএম পিস্তল, ৩টি নাইন এমএম পিস্তল, ৫টি ওয়ান শাটার, এছাড়া ৩৫ রাউন্ড কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করা হয়। জানা যায়, বিহারের মুঙ্গের ও ভাগলপুর থেকে অস্ত্রগুলো আনা হয়েছিল।
ওই বছরের ২৫ মার্চ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চিতলডাঙা উপরপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় সালানপুর থানার রূপনরায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ। নাটবল্টু কারখানার আড়ালে বেআইনি অস্ত্র তৈরি কারখানার হদিশ পায় পুলিশ। সেখান থেকে ১২টি অসম্পূর্ণ আগ্নেয়াস্ত্র-সহ অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সামগ্রী, লেদ মেশিন, প্রচুর কাঁচামাল ও একটি মোটর সাইকেল বাজেয়াপ্ত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা রাজকুমার চৌধুরী, প্রবীণ কুমার, মহম্মদ ইকবাল নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। একের পর ঘটনায় এসটিএফের অভিযান ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয় পুলিশের বদলে বার বার কেন এসটিএফকে অভিযানে নামতে হচ্ছে সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

Card image cap

মমতার হুঁশিয়ারির পরই গ্রেপ্তার দুর্গাপুরের ২ TMC নেতা

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কয়লা-বালি পাচার নিয়ে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েকঘণ্টার মধ্যেই লোহা ও বালি পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার দুর্গাপুরের দুই দাপুটে তৃণমূল নেতা। এই গ্রেপ্তারি নিয়ে মুখ খুলেছে বিরোধীরাও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত রিন্টু পাঁজা ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রিয়াঙ্কি পাঁজার স্বামী। বর্তমানে তিনি নিজে তৃণমূলের ৩ নম্বর ব্লকের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। অরবিন্দ নন্দী দুর্গাপুরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর। দীর্ঘদিন ধরে রিন্টুর বিরুদ্ধে লোহা ও অরবিন্দের বালি পাচারের অভিযোগ উঠছিল। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত দুই তৃণমূল নেতাকে কোকওভেন থানায় ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার পর নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর থানায়। আজ ধৃতদের তোলা হবে আদালতে। বিরোধীদের দাবি, পুরোটাই ‘আই ওয়াশ’। ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় এই গ্রেপ্তারি।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিচুতলার পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, নিচুতলার পুলিশের একাংশ সিআইএসএফের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কয়লা-বালি পাচারের যুক্ত। তিনি বলেন, “নিচুতলার পুলিশকর্মীদের অনেকেই নানা অন্যায়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। রাজনৈতিক নেতা ৫ টাকা খেলে বলা হয় ৫০০ টাকা খেয়েছে! নেতারা টাকা খাওয়ার আগে তবু ভাবে। নিচুতলার কিছু কর্মী এবং পুলিশের লোক, যারা সরকারকে ভালোবাসে না, তারা এসব নিয়ে ভাবে না। তারা শুধু নিজেদের স্বার্থটা দেখে।” এই পরিস্থিতিতে এই গ্রেপ্তারি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।

Card image cap

কম্পিউটার ক্লাসে শিক্ষকের ‘মার’

শিক্ষার নামে মারধর! শিক্ষকের সেই মারে এক চোখে দৃষ্টি হারানোর আশঙ্কা সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের। উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে এমন গুরুতর ঘটনায় কাঠগড়ায় বেসরকারি কম্পিউটার শিক্ষক। তাঁর বিরুদ্ধে জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আহত ছাত্রের পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ছাত্রের দৃষ্টিশক্তি হারানো নিয়ে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হচ্ছে আত্মীয়দের।আহত শ্যামনগরের এক নামী ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। দু বছর ধরে শ্যামনগরের ২৪ নং রেলগেটের কাছে একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কম্পিউটার শিখছে সে। কিন্তু তাল কাটল গত ১৪ তারিখ। অভিযোগ, ক্লাস করার সময় কম্পিউটার শিক্ষক সুসময় বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ছাত্রের মুখে আঘাত করেন। বাঁ চোখে সেই আঘাত লাগে। এর পর সে বাড়িতে ফিরে চোখে আঘাতের কথা বলে। সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান বাবা-মা। চিকিৎসক আঘাত পরীক্ষা করে দেখে অপারেশনের প্রস্তাব দেন। এসব শুনে আর দেরি করেনি পরিবার। ছেলেকে নিয়ে হায়দরাবাদে উড়ে যান তাঁরা। সেখানকার এক বেসরকারি হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু দৃষ্টি ফেরা নিয়ে আশ্বস্ত করতে পারেননি চিকিৎসকরা।এনিয়ে ছাত্রের পিসি নিবেদিতা মোদক জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কম্পিউটার শিক্ষক সুসময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। নিবেদিতাদেবী জানান, ”ছেলেটার এমন অবস্থা, কোথায় শিক্ষক আর তাঁর পরিবার সহানুভূতি প্রকাশ করে পাশে দাঁড়াবে, তা তো করেইনি। তাঁরা বার বার বলতে চাইছেন, এটা একটা দুর্ঘটনা, কিছু করার নেই। আমাদের ছেলেটা এত ভালো পড়াশোনায়, কম্পিউটারেও দারুণ। ক্লাসে র‌্যাঙ্ক করে, কম্পিউটারে ভালো নম্বর পায়। কিন্তু ওর চোখের দৃষ্টি ফিরবে কি না, আমরা এখনও জানি না। ছেলেটার ভবিষ্যত তো অন্ধকার হয়ে গেল! দোষীর কড়া শাস্তি চাই।” যদিও বিষয়টি নিয়ে ওই শিক্ষক বা তাঁর পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Card image cap

বসিরহাটে ‘খুন’ ব্যবসায়ী

প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ার জের। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রাণ গেল সবজি ব্যবসায়ীর। এখানেই শেষ নয়। প্রৌঢ়ের কাছে থাকা টাকা ও গয়না নিয়ে পালায় যুবক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল বসিরহাট মহকুমার মাটিয়ায়। অভিযুক্তের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর উত্তেজিত জনতার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার মাটিয়া থানার কোড়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা বছর ৫৫-এর জব্বর মোল্লা। তিনি পেশায় সবজি ব্যবসায়ী। জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে প্রতিবেশী নিজামউদ্দিন মোল্লা ওই প্রৌঢ়ের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। তা নিয়ে দুই পরিবারের একাধিকবার বচসা হয়। জব্বরকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এসবের মাঝেই অন্যত্র মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন প্রৌঢ়। তাতেই রেগে আগুন হয়ে যায় নিজাম।মঙ্গলবার রাতে ব্যবসার কাজ সেরে হাসনাবাদ থেকে ফিরছিলেন। অভিযোগ, মালতিপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তাঁর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজাম। জব্বরকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে সে। খুনের পর ,প্রৌঢ়ের সোনার চেন ও সঙ্গে থাকা নগদ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে পালায় নিজাম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এদিকে রাগে ফুঁসে ওঠে এলাকাবাসী। অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় তাঁরা। পরে মাটিয়া থানার পুলিশ গিয়ে আয়ত্তে আনে পরিস্থিতি।

Card image cap

বারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে গ্রেপ্তার ৩

উত্তর বারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের জালে অভিযুক্তরা। সুইসাইড নোটের সূত্র ধরে জয়শ্রী দাস, শুভজিৎ বিশ্বাস ওরফে সন্তু, এবং শুক্লা বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে আর কার কার যোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।উত্তর বারাকপুর পুরসভার  দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত শনিবার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। পাশেই মিলেছিল একটা সুইসাইট নোট। সেই চিঠি অনুযায়ী উঠে এসেছিল ব্ল্যাকমেলের তত্ত্ব। জানা গিয়েছিল জয়শ্রী দাস-সহ মোট ৪ জনের কথা। মৃতের পরিবারের দাবি ছিল, মোবাইলে ভুয়ো ভিডিও দেখিয়ে সত্যজিৎকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল। যার জেরে সত্যজিৎবাবু অবসাদে ভুগছিলেন। পরবর্তীতে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটের ভিত্তিতেই ৪ জনকে জেরা করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩ জনকে।প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, খুন নয় আত্মহত্যাই করেছেন সত্যজিৎবাবু। কিন্তু তার পিছনে লুকিয়ে অন্য রহস্য। ঠিক কী করেছিলেন জয়শ্রী-সহ বাকি ধৃতরা? কেন ব্ল্য়াকমেল? কেন আত্মহত্যার পথ বাছতে বাধ্য হলেন সত্যজিৎ, তা জানার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। 

Card image cap

মূক ও বধির মহিলাকে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ

গভীর রাতে শৌচালয়ে গিয়েছিলেন মূক ও বধির মহিলা। ওই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের ঘটনা। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম চাঁদু ধাড়া ওরফে চাঁদু মাজি। বয়স ২৮ বছর। ভাতারের কাশীপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। নির্যাতিতার গ্রামে চাঁদুর মামাবাড়ি। প্রায়ই মামাবাড়িতে থাকত চাঁদু। রবিবার রাতে এলাকা থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতকে সোমবার বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয়। নির্যাতিতা মহিলাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বর্ধমানে পাঠানো হয়েছে।নির্যাতিতা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। বয়স ৪২ বছর। অবিবাহিতা। দাদা-বউদির কাছে থাকেন। জনমজুর পরিবার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ শৌচাগারে যাওয়ার জন্য উঠেছিলেন মহিলা। বাড়িতে সীমানাপ্রাচীর নেই। অভিযোগ ফাঁকা জায়গায় একা পেয়ে ওই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মহিলাকে জোর করে টেনে নিয়ে যায় চাঁদু। কিছুটা দুরে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ভোরের দিকে মহিলাকে বাড়ির লোকজন দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। ফাঁকা জায়গায় একটি তেঁতুল গাছের নিচে বিধ্বস্ত অবস্থায় মহিলাকে দেখতে পান পরিবারের লোকজন। তখনও অভিযুক্ত চাঁদু সেখানে ছিল। মহিলার বাড়ির লোকজনদের দেখতে পেয়ে ছুটে পালিয়ে যায় সে।রবিবার সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে চাঁদু ধাড়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা গিয়েছে চাঁদুর আগে বিয়ে হয়েছিল। কয়েকবছর আগে তাঁর স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। নেশাখোর ও বদস্বভাবের বলে এলাকায় চাঁদুর বদনাম রয়েছে।

Card image cap

অপরিণত শিশুকে নিয়ে গেল কুকুর!

অপরিণত সদ্যোজাতকে মুখে করে নিয়ে গেল পথকুকুর। বিস্তর খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া গেল না শিশুটিকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলল পরিবার। আতঙ্কে কাটা অন্য রোগীরাও। কর্তৃপক্ষের সাফাই, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছে। রাতে যাঁরা ডিউটিতে ছিলেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সোমবার সন্ধ্যায় মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সোনামুখী গ্ৰামীণ হাসপাতালে।পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন প্রায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়া রায়। তিনি সোনামুখী ব্লকের কোচডিহি গ্রামের বাসিন্দা। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রসূতিকে ইউরিন টেস্টের কথা বলেন। ননদ কল্পনা রায়ের সঙ্গে হাসপাতালের শৌচালয়ে যান তিনি। সেখানেই অপরিণত শিশুর জন্ম দেন ওই গৃহবধূ। তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন কর্তব্যরত নার্সদের ডাকেন। অভিযোগ, নার্সরা আসতে দেরি করেন। পরে প্রসূতিকে শয্যাতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সদ্যোজাত সেখানেই পড়ে থাকে। কিছুক্ষণ পরই প্রসূতির ননদ বাথরুমে এসে দেখেন শিশুটি সেখানে নেই। তিনি খোঁজাখুঁজি শুরু করলে অন্যান্য রোগীর আত্মীয়রা জানান, একটি কুকুর ওই সদ্যোজাতকে মুখে করে নিয়ে গিয়েছে।আত্মীয়রা কুকুরটির পিছনে ধাওয়া করলে সে বাচ্চাটিকে নিয়ে পাশের ঝোপে চলে যায়। বিস্তর খোঁজাখুজির পরও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। পরে হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ এসে ঝোপটিতে তল্লাশি চালালেও হদিশ মেলেনি বলেই খবর। ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বচসা বাধে। পরিবারের। পরে রোগীকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।প্রসূতির ননদ কল্পনা রায় বলেন, “সন্ধ্যায় প্রিয়ার পেটে ব্যথা শুরু হলে ওঁকে নিয়ে হাসপাতালে আসি। সাড়ে ৭টা নাগাদ ডাক্তারবাবু, নার্সরা ইউরিন পরীক্ষার জন্য বলেন। বাথরুমে নিয়ে গেলে ওখানেই সন্তান প্রসব করে। নার্সদের খবর দেওয়া হলেও অনেক পরে আসেন তাঁরা। বাচ্চাটিকে ছাড়াই ওঁকে প্রসূতি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। ফিরে এসেই দেখি শিশুটি নেই। আশপাশে জিজ্ঞাসা করতে তাঁরা বলেন শিশুটিকে একটা কুকুর মুখে করে নিয়ে গিয়েছে। বাচ্চাটিকে আর খুঁজে পাইনি।” অভিযোগ, বাচ্চাটির বিষয়ে আর উচ্চবাচ্য না করে রোগীকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কল্পনার কথায়, “পুলিশ বলে, রোগী চিকিৎসার জন্য বিষ্ণুপুর নিয়ে যান। আমরা ওই রাতেই সোনামুখী হাসপাতাল থেকে বিষ্ণুপুরে দশটার দিকে এসে পৌঁছাই।”এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কর্মীদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কী করে হাসপাতালের ভিতরে কুকুর ঢুকল? একটি সদ্যোজাতকে কুকুর নিয়ে চলে গেল কেউ দেখতে পেলেন না? মঙ্গলবার সকালেও হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে দেখা যায় ঘুরে বেড়াচ্ছে একাধিক পথকুকুর। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতালে। সন্তান হারিয়ে কপাল ঠুকছেন মা।

Card image cap

ভাটপাড়ায় তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেপ্তার ‘মূলচক্রী’

ভাটপাড়ায় চায়ের দোকানে ঢুকে তৃণমূল নেতাকে গুলিতে ঝাঁজরা করা, বোমাবাজির ঘটনায় মূলচক্রী হিসেবে চিহ্নিত সুজল প্রসাদকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সোমবার জগদ্দল এলাকার বারুইপাড়া নামে একটি জায়গা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খুনের পর এই এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছিল সুজল। গত কয়েকদিনে ধৃতদের লাগাতার জেরার পর তার খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সুজলের গ্রেপ্তারিতে এই ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চারে। আরও বেশ কয়েকজন পলাতক বলে পুলিশ সূত্রে খবর।গত ১৩ নভেম্বর, নৈহাটিতে উপনির্বাচনের দিন পাশের কেন্দ্র ভাটপাড়ায় সাতসকালে শুটআউটের ঘটনা ঘটে। চায়ের দোকানে বসে থাকা অশোক সাউকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ হয়। চলে বোমাবাজিও। তাতে মৃত্যু হয় তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি অশোক সাউ। রোমহর্ষক সেই ঘটনার তদন্তে নেমে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ প্রথমে কওসর আলি নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। তার সূত্র ধরে সুজল পাসোয়ান নামে আরেকজনকে জালে আনেন তদন্তকারীরা। তবে মূল অভিযুক্ত সুজল প্রসাদকেই খুঁজছিল পুলিশ। সে গত পাঁচদিন ধরে পাশের এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছিল। ধৃতদের জেরা করে সুজলের সন্ধান পান গোয়েন্দারা। জগদ্দল থানা এলাকার অদূরে বারুইপাড়া থেকে সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, ধৃত সুজল প্রসাদ ২০২০ সালে ভাটপাড়ার একই জায়গায় নিহত আকাশ প্রসাদের ভাই। দাদার খুনের বদলা নিতেই সুজল তৎকালীন তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি অশোক সাউকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল। চার বছর ধরে নিখুঁত পরিকল্পনা করেই অপারেশন হয়। পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া জানান, সুজলের বিরুদ্ধে আগেও অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ ছিল। সে বিহারে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে ট্র্যাক করে রাজ্যে ফিরিয়ে আনে। মামলা দায়ের হয়। জামিনে মুক্ত ছিল সুজল। তারই মাঝে সে অশোক সাউ হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। কমিশনার জানান, এই ঘটনায় সক্রিয়ভাবে ৫ জনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। বাকি কয়েকজনও জড়িত বলে জানা গিয়েছে।

Card image cap

ডোমজুড়ের নার্সিংহোমে ধুন্ধুমার

পরিবারের অনুমতি না নিয়েই সন্তান প্রসবের সময় প্রসূতির জরায়ু কেটে বাদ দিলেন ডাক্তাররা! এমনই অভিযোগ উঠল ডোমজুড়ের একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে ডোমজুড়ের কাটলিয়ার একটি নার্সিংহোমে। ঘটনার পর প্রসূতির পরিবারের লোকজন নার্সিংহোমে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ভাঙচুরের চেষ্টা চালায় বলেও অভিযোগ। এমনকী চিকিৎসকের গাড়ি আটকে বিক্ষোভও দেখানো হয়। পরে ডোমজুড় থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এদিন সকাল ৮টা নাগাদ অঙ্কুরহাটির বাসিন্দা নাসিরা বেগম নামে ওই মহিলা সন্তান প্রসবের জন্য ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা জানান, ওই মহিলার সিজার করতে হবে। সেইমতো সিজার হয়। কিন্তু নাসিরা বেগমের পরিবারের এক সদস্য শেখ সফিউলের অভিযোগ, সিজার করার সময়ই পরিবারের লোকেদের অনুমতি না নিয়ে জরায়ু কেটে বাদ দিয়ে দেন চিকিৎসক। যার ফলে নাসিরা বেগম আর কোনওদিন মা হতে পারবেন না। এমনকী ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেলেও ছেলে না মেয়ে সন্তান প্রসব হয়েছে তা পরিবারকে জানানো হয়নি। উলটে বলা হয়েছে, রক্তের জন্য টাকা দেওয়া হোক তবে মা ও শিশুকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ানো হবে।এদিকে নার্সিংহোমের যে চিকিৎসক নাসিরা বেগমের সিজার করেন সেই চিকিৎসক অন্তরা দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, “সিজারের সময় প্রচণ্ড রক্তপাত হচ্ছিল মহিলার। সন্তান প্রসব করানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। মা ও সন্তান দু’জনেরই প্রাণসংশয় হয়েছিল, তাই মহিলার স্বামীর অনুমতি নিয়েই জরায়ু কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। মহিলার স্বামী লিখিতভাবে সেই অনুমতি আমাদের দিয়েছেন।”