CATEGORY games:

Card image cap

ওয়ানডে সিরিজে প্রোটিয়াদের ওড়াল পাকিস্তান

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ সহজেই জিতে নিল পাকিস্তান। রানে ফিরলেন বাবর আজম, উইকেট পেলেন শাহিন আফ্রিদিও। প্রোটিয়াদের ঘরের মাঠে সিরিজে হারিয়ে নতুন রেকর্ড তৈরি করলেন রিজওয়ানরা। যা একুশ শতকে আর কোনও দেশের নেই। সেই সঙ্গে কি আশা জাগিয়ে তুললেন রোহিত শর্মাদেরও মনে?তিন ওয়ানডে ম্যাচের সিরিজের প্রথমটি পাকিস্তান জেতে ৩ উইকেটে। এদিন দ্বিতীয় জয়টি তারা তুলে নিলেন ৮১ রানে। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান তোলে ৩২৯ রান। বাবর আজম করেন ৭৩ রান। অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ান করেন ৮০ রান। কামরান গুলামের রান ৬৩। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৪৮ রানে। হেনরিখ ক্লাসেনের ৯৭ রানও প্রোটিয়াদের বাঁচাতে পারেনি। শাহিন আফ্রিদির শিকার ৪টি। নাসিম শাহ তুলে নেন ৩টি উইকেট।এই সিরিজ জয়ের সৌজন্যে নয়া রেকর্ড গড়ল পাকিস্তান। একুশ শতকে দ্রুততম দল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে গিয়ে তিনটি ওয়ানডে সিরিজ জিতল তারা। এর আগে ২০১৩ ও ২০২১-এ সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান। এই শতাব্দীতে সেদেশে মোট ৭টির মধ্যে ৩টি জিতল। অস্ট্রেলিয়াও তিনটি জিতেছে, তবে তারা খেলেছে ১০টি সিরিজ। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে এই জয় আত্মবিশ্বাস জোগাবে পাকিস্তানকে।অন্যদিকে কিছুটা স্বস্তি পাবে ভারতও। কেন? এর পর দুটি টেস্ট খেলবে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডে সিরিজের ফর্ম ধরে রাখতে পারলে ভালো ফল করতে পারেন রিজওয়ানরা। তাতে সুবিধা পাবে ভারতও। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দৌড়ে সবার আগে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে ভারত দাঁড়িয়ে আছে তৃতীয় স্থানে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তান যদি দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেস্ট সিরিজে হারিয়ে দিতে পারে, তাহলে ফাইনালের রাস্তা চওড়া হবে ভারতের জন্য।

Card image cap

অপমান সহ্য করতে না পেরেই অবসর!

বারবার অপমানিত হতে হয়েছে! লাগাতার অসম্মান সহ্য করতে না পেরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ছেলে অবসর নেওয়ার পরের দিন এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন অশ্বিনের বাবা। ছেলের এমন সিদ্ধান্তে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন বলেও জানান তিনি।বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি চলাকালীনই আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন অশ্বিন। ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ড্রয়ের পর আচমকাই সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হন তিনি। অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে পাশে নিয়ে অবসর ঘোষণা করেন। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেললেও ক্লাব স্তরে দেখা যাবে তারকা স্পিনারকে। হঠাৎ করে এইভাবে অবসর নেবেন অশ্বিন, সেটা আন্দাজ করতে পারেননি কেউই।অশ্বিনের অবসর প্রসঙ্গে রোহিত জানান, সিরিজের শুরু থেকেই অবসর নিয়ে ভাবছিলেন তারকা স্পিনার। খানিকটা জোরাজুরি করেই সিরিজের তিনটি টেস্ট পর্যন্ত অশ্বিনকে আটকে রেখেছিলেন ভারত অধিনায়ক। কিন্তু ব্রিসবেনের পরেই আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থাকতে চাননি অশ্বিন। সিরিজের মাঝপথেই তিনি ফিরে আসবেন দেশে।দিন তিনি বলেন, “একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে আমরা জানতে পারি ও অবসর নিতে চলেছে। অবসর নেওয়া একেবারেই ওর নিজস্ব সিদ্ধান্ত। সেটা নিয়ে আমরা কিছু বলতে পারি না। ১৪-১৫ বছর ধরে ভারতের জার্সিতে খেলেছে, সেটা হঠাৎ পালটে গেলে শক তো লাগবেই। তবে এমন কিছু ঘটতে পারে আন্দাজ করেছিলাম। দিনের পর দিন অপমানিত হতে হচ্ছিল ওকে। আর কতদিন সহ্য করবে? তাই নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।”
কেন এমন বিস্ফোরক দাবি? অশ্বিনের বাবা সরাসরি কিছু বলেননি। কিন্তু তাঁর ইঙ্গিত, বিদেশের মাটিতে নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছিলেন না তারকা স্পিনার। তাতেই হয়তো অপমানিত বোধ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবসর নিয়েই অপমানের জ্বালা মেটাতে চাইলেন অশ্বিন, বলছেন বাবা।

Card image cap

মহিলা সাংবাদিকের উপর রেগে কাঁই কোহলি

মেলবোর্নে পৌঁছতেই অজি সংবাদমাধ্যমের ‘কোপে’ পড়লেন বিরাট কোহলি। বৃহস্পতিবার ভারতীয় দল মেলবোর্নে পৌঁছয়। কিন্তু বিমানবন্দরেই এক সাংবাদিকের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন বিরাট। জানা গিয়েছে, কিং কোহলির সন্তানদের ছবি তোলা নিয়েই সমস্যা শুরু হয় দুপক্ষে।পরিবার এবং সন্তানদের গোপনীয়তা নিয়ে বরাবরই খুব সচেতন বিরাট কোহলি। সবসময় সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেন সন্তানদের ছবি না তুলতে। কিন্তু মেলবোর্নে নামতেই একঝাঁক ক্যামেরা ধেয়ে আসে বিরাট ও তাঁর পরিবারের দিকে। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কিং কোহলি। বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সাংবাদিকের সঙ্গে।ঠিক কী ঘটেছে মেলবোর্ন বিমানবন্দরে? সূত্রের খবর, পরিবারের সঙ্গে বিমানবন্দর থেকে বেরচ্ছিলেন বিরাট। সেই সময়েই অজি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ৭-এর এক সাংবাদিক ক্যামেরা নিয়ে এগিয়ে আসেন। সপরিবার বিরাটের ছবি তুলতে শুরু করেন। তবে সেই সময়ে বাধা দেন তারকা ক্রিকেটার। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁর পরিবারের ছবি তুলতে গেলে অনুমতি নিতে হবে। এই কথা বলে খানিকটা এগিয়ে যান বিরাট।কিন্তু বিরাটকে উদ্দেশ্য করে ওই সাংবাদিক বলেন, বিমানবন্দর একটি পাবলিক প্লেস। তাই ছবি তুলতে গেলে অনুমতির প্রয়োজন নেই। সেই কথা শুনেই পালটা সুর চড়িয়ে এগিয়ে আসেন বিরাট। খানিকটা কথা কাটাকাটি শুরু হয় দুজনের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সমস্যা মেটে। করমর্দন করতে দেখা যায় দুজনকে।
উল্লেখ্য, ক্রিকেটারদের বিপাকে ফেলার জন্য অজি সংবাদমাধ্যমের ‘দুর্নাম’ রয়েছে। এবার তাদের রোষে পড়লেন বিরাট। প্রসঙ্গত, কন্যা ভামিকা এবং পুত্র অকায়কে প্রচারের আলো থেকে একেবারে দূরে রাখতে চান বিরাট। তাই সংবাদমাধ্যমকে সবসময়ই অনুরোধ করেন সন্তানদের ছবি না তোলার জন্য। নিজেরাও সন্তানদের ছবি প্রকাশ্যে আনেন না বিরুষ্কা।

Card image cap

‘শামি ২০০ শতাংশ ফিট হলে তবেই ভাবব’

চোট থেকে সুস্থ হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত বল করেছেন। কিন্তু মহম্মদ শামির অস্ট্রেলিয়া যাওয়া অনিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে। শামি কবে অস্ট্রেলিয়া যাবেন, সেই ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু বলা যাচ্ছে না। আপাতত বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতেই ট্রেনিং করবেন তিনি।চোট কাটিয়ে ফিরে এসে রনজিতে বল করেছেন। তার পর সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ধারাবাহিকভাবে উইকেট তুলছেন শামি। তিনি টেস্টের দীর্ঘ স্পেলের ধকল সামলাতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্নের সদুত্তর মেলেনি। সেই সঙ্গে উঠে আসছে আরেকটি প্রসঙ্গও। দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে এবং অস্ট্রেলিয়ায় শামির খেলা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন রোহিত। তাঁর এই মন্তব্যে বেশ বিরক্তই হয়েছিলেন শামি।গাব্বা টেস্ট শেষেও তাঁকে নিয়ে মুখ খুললেন রোহিত শর্মা। এবার তিনি দায় ঠেললেন এনসিএ-র ঘাড়ে। তাঁর বক্তব্য, “আমার মতে এবার এনসিএ-র কারওর উচিত শামিকে নিয়ে সামনে এসে কথা বলা। শামি তো জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাব করছে। ওদেরই উচিত সামনে এসে আমাদের তথ্য দেওয়া। আমি বুঝতে পারছি যে, শামি ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর ম্যাচ খেলছে। কিন্তু ওর গোড়ালির চোট নিয়েও অনেক অভিযোগ আছে। আমরা চাই না কেউ এখানে আসার পর চোটের জন্য মাঝপথে ছিটকে যাক।”এই প্রথম নয়, এর আগেও শামির ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রোহিত। এমনকী অ্যাডিলেস্ট টেস্টের পর তিনি বলেছিলেন, শামির গোড়ালি ফুলেছে। এবারও ফের সেই চোট নিয়ে ‘অভিযোগ’-এর কথা ফিরিয়ে আনলেন তিনি। তার সঙ্গে বললেন, “আমরা শামিকে নিয়ে ১০০ শতাংশ নয়, ২০০ শতাংশ নিশ্চিত হতে চাই। যতক্ষণ না সেটা হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না। আমি আগেও সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছি, আবারও বলছি, শামির জন্য দরজা খোলা রয়েছে। যদি এনসিএ-র লোকেরা বলে যে, ও সম্পূর্ণ সুস্থ, এবার খেলতে পারে। তাহলে আমার চেয়ে বেশি খুশি আর কেউ হবে না।” তাহলে কি বর্ডার গাভাসকর ট্রফির শেষ দুটি টেস্টে দেখা যাবে শামিকে? রোহিত কিন্তু ধোঁয়াশা রেখে দিলেন।

Card image cap

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আচমকাই আলবিদা অশ্বিনের

টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি। সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বুধবার অবসর ঘোষণা করে দিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দীর্ঘ ১৪ বছরের কেরিয়ার শেষে আবেগঘন স্পিনার জানালেন, ক্রিকেটের জন্যই জীবনে সব পেয়েছেন। তাঁর বিদায়ের সঙ্গে নিঃসন্দেহে আধুনিক ভারতীয় স্পিনের বর্ণোজ্জ্বল এক অধ্যায়ের অবসান ঘটল। বর্ডার গাভাসকর টেস্টের পরই ক্রিকেটকে আলবিদা জানাতে পারেন অশ্বিন। এমন গুঞ্জন প্রকট হয়েছিল সম্প্রতি। তবে সিরিজ শেষ না হতেই সেই গুঞ্জনে পড়ল সিলমোহর। ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ড্রয়ের পর আচমকাই সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির রবিচন্দ্রন অশ্বিন । অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে পাশে নিয়ে অবসরের কথা জানিয়ে দেন তিনি। বলেন, “আজ থেকে জাতীয় দলের হয়ে আর খেলব না। এখনও আমার মধ্য়ে ক্রিকেট বাকি আছে। তাই ক্লাব স্তরে খেলা চালিয়ে যাব। কিন্তু দেশের হয়ে এখানেই শেষ করলাম। আমার সতীর্থ এবং কোচেদের অনেক ধন্যবাদ। ইতিমধ্যেই আমার অনেক সতীর্থ অবসর নিয়েছে। আজ আমার দিন। রোহিত, বিরাট, অজিঙ্ক, পূজারাদের কাছে কৃতজ্ঞ। অনেক ক্যাচ ধরে আমায় উইকেট পেতে সাহায্য করেছে।” এরপরই জুড়ে দেন, “নিঃসন্দেহে এটা আমার কাছে ভীষণই আবেগঘন মুহূর্ত। তাই আপাতত কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। আরও একবার সকলকে ধন্যবাদ। এই খেলাই আমায় সব দিয়েছে।”২০১১ সালে বিশ্বজয়ী দলের সদস্যের ঠিক তার আগের বছর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অভিষেক ঘটেছিল। ২০১১-তেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট অশ্বিনের। লাল বলের ক্রিকেটে তার গড়েছেন একের পর এক রেকর্ড। ১০৬টি টেস্টে ৫৩৭টি উইকেটের মালিক তিনি। একমাত্র ভারতীয় তারকা হিসেবে চারবার একই টেস্টে সেঞ্চুরি এবং পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজিরও গড়েছেন তিনি। পাঁচদিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সিরিজ সেরা হওয়ার রেকর্ডও তাঁর ঝুলিতেই। এহেন তারকার বিদায়বেলায় ড্রেসিংরুমে বসেই ভিজল চোখ। আবেগঘন সতীর্থকে জড়িয়ে ধরলেন বিরাট কোহলি। 

Card image cap

বুমরাহ-আকাশ দীপের লড়াইকে কুর্নিশ অজিদের কোচের

একটা সময় মনে হচ্ছিল, ফলো অনের লজ্জা জুড়বে ভারতের সঙ্গে। সেখান থেকে টিম ইন্ডিয়াকে উদ্ধার করল জশপ্রীত বুমরাহ-আকাশ দীপের জুটি। তার সঙ্গে কি গাব্বায় টেস্টজয়ের আশা ছাড়ছে অস্ট্রেলিয়া? অজিদের বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেত্তোরির কথায় কিন্তু সেরকমই ইঙ্গিত পাওয়া গেল।শেষবেলায় বুমরাহ ও আকাশ দীপ মিলে জুড়েছেন ৩৯ রান। গাব্বায় এটাই দশম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। চতুর্থ দিনের শেষে ভারতের রান ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫২। ফলো অন বাঁচালেও ভারত পিছিয়ে আছে ১৯৩। বুমরাহ অপরাজিত ১০ রানে, আকাশ দীপের রান ২৭। এদিকে মাঝেমধ্যেই বাধ সাধছে বৃষ্টি। পঞ্চম দিনে ভারতকে অলআউট করে, ফের ব্যাট করতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। তারপর জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় লক্ষ্য রাখতে হবে তাদের। সব মিলিয়ে গাব্বায় টেস্টজয়ের কাজটা একপ্রকার অসম্ভব।সেটা স্বীকার করে নিচ্ছেন ভেত্তোরি। তিনি দোষ দিচ্ছেন বৃষ্টিকেও। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং কোচ বলছেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বৃষ্টির জন্য অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। এখন যা অবস্থা, তাতে এই ম্যাচ থেকে কোনও ফল পাওয়া কঠিন।” তার সঙ্গে তিনি কুর্নিশ জানাচ্ছেন বুমরাহ-আকাশ দীপের লড়াইকে।ভেত্তোরির বক্তব্য, “ওদের ফলো অন করাতে পারলে ফলাফলের আশা ছিল। শেষ উইকেট তুলতে আমরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলাম। জাদেজা আউট হয়ে যাওয়ার পর ভেবেছিলাম, এবার আমাদের কাছে সুযোগ আছে। কিন্তু বুমরাহ ও আকাশ দীপের লড়াকু পার্টনারশিপকে কৃতিত্ব দিতেই হয়।” বর্ডার গাভাসকর ট্রফির ফলাফল আপাতত ১-১। এই সিরিজের উপর নির্ভর করে আছে ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের অঙ্কও।

Card image cap

গাব্বা টেস্ট ভেস্তে গেলে WTC ফাইনালে যেতে পারবে ভারত?

গাব্বা টেস্টে ভারতের পরিত্রাতা কি বৃষ্টি? প্রথম দিনের পর তৃতীয় দিনের বেশিরভাগ সময় নষ্ট হয়েছে বৃষ্টির জন্য। তাতে অবশ্য কিছুটা লাভই হয়েছে ভারতের। ৫১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ভারতকে এই টেস্ট জিততে অবিশ্বাস্য করতে হবে। নয়তো একমাত্র রক্ষাকর্তা হতে পারে বৃষ্টিই। আর এই টেস্টে হারলে আরও কঠিন হয়ে যেতে পারে রোহিতদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের অঙ্ক।প্রথম ইনিংসে ৪৪৫ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। সেখানে ব্যাট করতে নেমে যথেষ্ট চাপে টিম ইন্ডিয়া। বাকি দুদিনও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ব্রিসবেনের হাওয়া অফিসের মতে, পরের দুদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। সেক্ষেত্রে ভেস্তে যেতে পারে গাব্বা টেস্ট। বর্ডার গাভাসকর ট্রফির ফলাফল আপাতত ১-১। তাতে ভারতের সামনে কোন অঙ্ক দাঁড়াবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য? লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়া ছাড়া এগিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
অঙ্ক ১: মেলবোর্ন ও সিডনিতে জিতলেই সরাসরি WTC ফাইনালে চলে যাবে ভারত। সেক্ষেত্রে বর্ডার গাভাসকর ট্রফির ফলাফল হবে রোহিতদের পক্ষে ৩-১।
অঙ্ক ২: ভারত যদি ২-১ ব্যবধানে জেতে, তাহলে শ্রীলঙ্কা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজে অন্তত চুনকাম এড়াতে হবে।

অঙ্ক ৩: যদি এই সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র হয়, তাহলেও তাকিয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কার দিকে। সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাদের সিরিজ জিততেই হবে।

অঙ্ক ৪: আর যদি ভারত বাকি দুটি টেস্টে হেরে এই সিরিজ হারে, তাহলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দরজা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাবে ভারতের জন্য।

এবার দেখার এই টেস্টের পরিণতি কী দাঁড়ায়? একইসঙ্গে বাকি দুই টেস্টেও ভারত জয় ছিনিয়ে নিতে পারে কিনা।

Card image cap

বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের মিট ভারতে

শেষ কয়েক বছরে নীরজ চোপড়া বারবারই জানিয়েছেন, দেশের মাটিতে প্রথম সারির আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় লড়াই করতে চান তিনি। এবার সত্যি হতে চলেছে তাঁর সেই স্বপ্ন। আগামী বছর ১০ আগস্ট ভুবনেশ্বরে হতে চলেছে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের একটি কন্টিনেন্টাল টু-র ইভেন্ট, যা ব্রোঞ্জ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা।ভারতে অন্তত দু’দশক কোনও বড় গ্লোবাল অ্যাথলেটিক্স মিট অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০০৪ সালে দিল্লিতে হওয়া ‘হাফ ম্যারাথন’ চ্যাম্পিয়নশিপের পর এই মিটই এদেশে প্রথম বড় প্রতিযোগিতা হতে চলেছে। তার আগে গত শতকের শেষদিকে পরপর কয়েকটি আন্তর্জাতিক পারমিট মিট হয়েছে ভারতে। অবশেষে সেই খরা কাটতে চলেছে আগামী ১০ আগস্ট। রবিবার এই প্রতিযোগিতার কথা ঘোষণা করেছে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। যা নিয়ে ফেডারেশনের এক কর্তার বার্তা, “অনেকদিন পর আমরা বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে চলেছি। এই মিট এদেশে অ্যাথলেটিক্সের উন্নতিতে সহায়তা করবে।” কন্টিনেন্টাল টু-র বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের অধীনে হওয়া প্রতিযোগিতা যেখানে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের বিভিন্ন ইভেন্ট হয়। ডায়মন্ড লিগের ঠিক পরই এর স্থান। ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে টোকিওয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবে। তার আগে ভুবনেশ্বরের এই মিট থেকে র‍্যাঙ্কিং পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ রয়েছে অ্যাথলিটদের সামনে। এএফআই সভাপতি আদিল সুমারিওয়ালা এই প্রসঙ্গে বলেন, “সেপ্টেম্বরে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ হবে। তার আগে এই মিট ভারতীয় অ্যাথলিটদের কাছে দেশের মাটিতে নিজেদের মেলে ধরার সেরা সুযোগ।” সূত্রের খবর, এই মিট সফলভাবে আয়োজনের মাধ্যমে একটি আন্তর্জাতিক জ্যাভলিন মিট আয়োজনের জন্যও দাবি জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের।বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের কন্টিনেন্টাল টু-রে ব্রোঞ্জ পর্যায়ের মিট আয়োজনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। তারমধ্যে তিন হাজার দর্শকাসনের স্টেডিয়াম, অন্তত দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদাবিশিষ্ট ছয় লেনের ট্র্যাক, অ্যাথলিটদের থাকার জন্য তিনতারা হোটেল-সহ আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামোর মতো বিষয় রয়েছে। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ অ্যাথলেটিক্স স্টেডিয়াম এই সব শর্তই পূরণ করে। কারণ এখানে ফটো ফিনিশ সিস্টেম, একজোড়া বৈদ্যুতিন বোর্ড, ভিডিও স্ক্রিনের মতো পরিকাঠামো রয়েছে। এখানে বিভিন্ন জাতীয় মিটের পাশাপাশি ২০১৭ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপও হয়েছে। এমনকী বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের সভাপতি সেবাস্টিয়ান কো এই স্টেডিয়ামের প্রশংসা করেছেন। গ্লোবাল অ্যাথলেটিক্স আয়োজনের জন্য কলিঙ্গকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বলে ফেডারেশন সূত্রে খবর।

Card image cap

হেডের পর স্মিথের সেঞ্চুরিতে বড় রানে অস্ট্রেলিয়া

ট্র্যাভিস হেডের পর স্টিভ স্মিথ। দুই অজি ব্যাটারের সেঞ্চুরি। জসপ্রীত বুমরাহর দাপটের পরও রানের পাহাড়ে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিনের শেষে অজিদের স্কোর ৭ উইকেটে ৪০৫ রান।ট্র্যাভিস হেড এবং স্টিভ স্মিথ। একজন অধুনা ভারতীয় বোলারদের ত্রাস। অপরজন একসময়ের ‘চোখের বালি’। অজি শিবিরের এই দুই স্তম্ভ ফের কাঁপিয়ে দিল ভারতকে। বৃষ্টিতে প্রায় ধুয়ে যাওয়া প্রথম দিনের বিনা উইকেটে ২৮ থেকে শুরু করেছিল অজিরা। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনও ছিল ভারতের দখলে। ৭৫ রানের মাথাতেই ৩ উইকেট তুলে নেন ভারতীয় পেসাররা। বুমরাহ ফেরান খোয়াজা এবং ম্যাকসুইনিকে। নীতীশ রেড্ডি ফেরান লাবুশানেকে।কিন্তু তারপরই শুরু ট্র্যাভিস হেডের তাণ্ডব। অধুনা ভারতীয় বোলারদের ত্রাস হয়ে উঠেছেন তিনি। অন্য ব্যাটাররা যখন প্রতিটি রানের জন্য লড়াই করছেন, তখন এই বাঁহাতি অজি ব্যাটার অবলীলায় বাউন্ডারি হাঁকিয়ে গেলেন। রানের গতিও বাড়তে থাকল। হেডের সাবলীল ব্যাটিং দেখে স্মিথও যেন নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে গেলেন। দুই প্রান্ত থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি। চতুর্থ উইকেটের জুটিতে ২৪১ রান তুলে ফেললেন তাঁরা। দুই ব্যাটারই হাঁকালেন সেঞ্চুরি। হেডের সেঞ্চুরিটি এল মাত্র ১১৫ বলে। দেড়শোও তিনি পেরিয়েছেন মাত্র ১৫৭ বলে। অন্যদিকে স্মিথ এদিন কেরিয়ারের ৩৩ তম শতরানটি হাঁকালেন।যদিও এর পরই পালটা আঘাত হানেন বুমরাহ। প্রথমে তিনি ১০১ রানে ফেরান স্মিথকে। দ্রুত আউট হয়ে যান মিচেল মার্শও। ১৫২ রানের মাথায় হেডকেও ফিরিয়ে দেন তিনিই।  দ্বিতীয় দিন আর একটি উইকেট তুলেছে টিম ইন্ডিয়া। ২০ রানে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে ফেরান সিরাজ। দিনের শেষে অজিদের স্কোর ৭ উইকেট ৪০৫ রান।  যা পরিস্থিতি তাতে প্রথম ইনিংসেই ভারতের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যেতে পারে অজিরা।   

Card image cap

মাঠে নামতেই প্রবল কটাক্ষ সিরাজকে!

ব্রিসবেনে দর্শকদের কটাক্ষের মুখে পড়লেন মহম্মদ সিরাজ। শনিবার গাব্বায় টেস্ট খেলতে নামে ভারত। সেখানে তারকা পেসার বল করার সময়েই তাঁকে তিরস্কার করেন অজি দর্শকরা। উল্লেখ্য, ট্র্যাভিস হেডের সঙ্গে সংঘাতের পর থেকেই অজি দর্শকদের কাছে ‘ভিলেনে’ পরিণত হয়েছেন সিরাজ।অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় দিনে হেড আউট হওয়ার পর রীতিমতো আগ্রাসী ভঙ্গিতে অজি ব্যাটারকে বাইরের পথ দেখান সিরাজ। পালটা হেডও কটূক্তি করেন। দুজনের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় অবশ্য খুব বেশিদূর গড়ায়নি। খেলা শেষ হয়ে যেতে দুই ক্রিকেটার একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। কিন্তু দুজনকেই পরে দোষী সাব্যস্ত করে আইসিসি। অন্যদিকে, রেগে গিয়ে ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকা মার্নাস লাবুশানের দিকে বল ছোড়ার অভিযোগও ওঠে সিরাজের বিরুদ্ধে। আইসিসির তরফে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ার পরেও সিরাজকে কাঠগড়ায় তুলছেন প্রাক্তন অজি ক্রিকেটাররা। কারও মতে, সেলিব্রেশন করতে গিয়ে অতিরিক্ত আগ্রাসন দেখাচ্ছেন সিরাজ। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের উচিত সিরাজের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলা। পাশাপাশি, সিরাজকে নিয়ে নেতিবাচক ধারণা ছড়ায় অজি জনমানসে। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে অহেতুক জলঘোলা হচ্ছে বলে পালটা দাবি করেন হরভজন সিং।বিতর্কের আবহেই গাব্বা টেস্টে খেলতে নামে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসেন সিরাজ। সেই সময়ে তারকা পেসারকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ করতে থাকেন দর্শকরা। যদিও সিরাজকে সেভাবে প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি। খুব বেশিক্ষণ অবশ্য দর্শকদের দুর্ব্যবহার সহ্য করতে হয়নি সিরাজকে। মাত্র ১৩.২ ওভার খেলা হওয়ার পরেই বৃষ্টিতে ভেস্তে যায় গাব্বা টেস্টের প্রথম দিন।

Card image cap

শাকিবের বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করল ইসিবি

ঘোর দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসান। এবার ‘নিয়মবিরুদ্ধ’ অ্যাকশনের জন্য শাকিবের বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করল ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। আপাতত ইসিবি আয়োজিত কোনও টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন না তিনি।এই মুহূর্তে নিজের দেশে ঢোকা নিষেধ শাকিবের। বিদেশের মাটিতে তাঁকে খেলানো হবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়ে গিয়েছে। ফলে দেশের জার্সি গায়ে খেলার পাট মোটামুটি চুকে গিয়েছে। আপাতত শাকিবের ভরসা শুধু কাউন্টি এবং বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। সেখানেও এবার বড় ধাক্কা খেলেন তিনি। বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়কের বোলিং অ্যাকশন নিয়মবিরুদ্ধ বলে মনে করছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।জানা গিয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের একটি ম্যাচে শাকিবের অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আম্পায়াররা। ওই ম্যাচে সমারসেটের বিরুদ্ধে সারের হয়ে নেমেছিলেন তিনি। আম্পায়ারের সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সমীক্ষা চালায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। ইসিবি জানিয়েছে, তাঁদের সমীক্ষা অনুযায়ী শাকিব নিয়মবিরুদ্ধভাবে বল করছেন। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনও স্পিনার বল করার সময় কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি ভাঙতে পারেন না। কিন্তু শাকিবের কনুই তার চেয়ে বেশি ভাঙছে। সে কারণেই তাঁকে আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত কোনও টুর্নামেন্টে আপাতত শাকিব বল করতে পারবেন না। তবে, অ্যাকশন শুধরে নিয়ে আবারও পরীক্ষা দিতে পারেন শাকিব। সেই পরীক্ষায় পাশ করলে ফের বল করার সুযোগ পাবেন তিনি।ইদানিং ব্যাট হাতে একেবারেই ফর্মে নেই শাকিব। মূলত বোলার হিসাবেই তিনি খেলছেন অধিকাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। ব্যাট হাতে রান পেলে সেটা ‘বোনাস’ হিসাবেই দেখছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। কাউন্টিতে শাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার অর্থ আগামী দিনে অন্য লিগেও আম্পায়ারদের কড়া নজরে থাকবেন তিনি। সেক্ষেত্রে অ্যাকশন শুধরে নিজের সেরাটা না দিতে পারলে শাকিবের কেরিয়ার নিয়েই প্রশ্ন উঠে যেতে পারে।

Card image cap

হাই কোর্টে পিছোল বাবরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলার শুনানি


ধর্ষণের মামলায় এখনও স্বস্তি পেলেন না বাবর আজম। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মামলা চলছে পাক ব্যাটারের বিরুদ্ধে। কিন্তু বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করা থাকলেও সেটা পিছিয়ে দেওয়া হল। ফলে আরও দীর্ঘায়িত হল বাবরের সুবিচার পাওয়ার অপেক্ষা।২০২১ থেকে ধর্ষণের মামলা ঝুলছে বাবরের বিরুদ্ধে। যৌন হেনস্তা, শারীরিক নির্যাতন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ- একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছিল প্রাক্তন পাক অধিনায়কের বিরুদ্ধে। নিজেকে বাবরের স্কুলজীবনের বন্ধু বলে দাবি করে অভিযোগ এনেছিলেন এক তরুণী। তাঁর দাবি, বাবর বছরের পর বছর তাঁকে ব্যবহার করেছেন, নিজের যাবতীয় খরচের টাকা নিয়েছেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছেন, এমনকী বাবরের সঙ্গে সহবাসের পর মহিলা নাকি অন্তঃসত্ত্বাও হয়েছিলেন। তাঁকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করেন বাবর।অভিযোগকারিণী আরও বলেন, পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সেই ২০১০ সাল থেকে। তখনও বাবরের এত খ্যাতি ছিল না। স্কুলে পড়াকালীনই বাবর তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। এমনকী, তাঁরা পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্তও নেন। কিন্তু এরই মধ্যে জাতীয় দলে ডাক পেয়ে যান বাবর। এবং খ্যাতির শিখরে পৌঁছতেই বেঁকে বসেন। মহিলাকে নাকি এই ঘটনা প্রকাশ্যে না আনার জন্য চাপ দেওয়া হত। মারধর করা হত, এমনকী, খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি মহিলার।বছরতিনেক ধরে বাবরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা চলছে লাহোর হাই কোর্ট। গত শুনানিতে রিপোর্ট পেশ করে পুলিশ। সেখানে বলা হয়, অভিযোগকারিণী বা তাঁর পরিবারের কারোর বিরুদ্ধে কোনও অন্যায় করেননি বাবর। তারপরে বৃহস্পতিবার লাহোর হাই কোর্টে বাবরের মামলার শুনানি হওয়ার ছিল। কিন্তু পাক তারকার আইনজীবী নিজেই উপস্থিত ছিলেন না আদালতে। ফলে শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। আগামী ১৬ ডিসেম্বর মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।

Card image cap

বিশ্বজয়ী গুকেশকে সম্মান জানাতে বিশেষ পদক্ষেপ তামিলনাড়ুর

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ডি গুকেশের জন্য ৫ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করল তামিলনাড়ু সরকার। বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তরুণ দাবাড়ু। পরের দিনই বিরাট অঙ্কের পুরস্কার পেলেন নিজের রাজ্য তামিলনাড়ুর তরফ থেকে।শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেন। তিনি লেখেন, ‘কনিষ্ঠতম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গুকেশের অনবদ্য সাফল্যকে সম্মান জানাতে ৫ কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করা হল। গুকেশের এই জয় গোটা দেশকে গর্বিত করেছে। খুশি এনে দিয়েছে দেশবাসীর মনে। আশা করি আগামী দিনেও এইভাবেই এগিয়ে যাক গুকেশ।” তামিলনাড়ুর উপমুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিনকেও কুর্নিশ জানিয়েছেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তরুণ দাবাড়ুকে সাহায্য করেছেন উদয়নিধি, এমনটাই মত স্ট্যালিনের।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার গুকেশ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতেই তরুণ দাবাড়ুকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে একাধিক রাজনৈতিক নেতা। সেই তালিকায় ছিলেন তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীরাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের তরুণ দাবাড়ুকে। গুকেশকে মেডেল পরিয়ে দেওয়ার ছবি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন স্ট্যালিন। তারপরের দিনই ৫ কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেন তিনি।প্রসঙ্গত, সোশাল মিডিয়ায় চর্চা চলছে, বিশ্বজয়ী হয়ে কত টাকা পাবেন গুকেশ? চ্যাম্পিয়নশিপের প্রতিটি ক্লাসিকাল ম্যাচ জিতলে পাওয়া যায় ২ লক্ষ ডলার। গুকেশ তিনটি ম্যাচ জেতায় পেয়েছেন ৬ লক্ষ ডলার। অন্যদিকে দুই ম্যাচ জিতে লিরেন পেয়েছেন ৪ লক্ষ ডলার। ২৫ লক্ষ ডলার মোট পুরস্কার মূল্যের বাকিটা ভাগ হয়েছে দুজনের মধ্যে। অর্থাৎ সেখানে গুকেশের প্রাপ্তি ৭.৫ লক্ষ ডলার। সব মিলিয়ে ১৩.৫ লক্ষ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। এবার আরও ৫ কোটি টাকা পুরস্কার গেল গুকেশের ঝুলিতে।

Card image cap

যশস্বীকে হোটেলে ফেলেই বিমানবন্দরে রোহিতরা!

গোলাপি বলের টেস্টে হেরে কোণঠাসা ভারত। তার মধ্যেই ব্রিসবেনে পৌঁছে গেলেন জয় শাহ। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মেন ইন ব্লুর প্র্যাকটিসে হাজির থাকবেন আইসিসি চেয়ারম্যান। বুধবার অ্যাডিলেড থেকে ব্রিসবেনে পৌঁছেছে টিম ইন্ডিয়া। তবে টিমের সঙ্গে বাসে দেখা যায়নি যশস্বী জয়সওয়ালকে।১০ উইকেটে অ্যাডিলেড টেস্ট হারের পর থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারত। প্রশ্ন উঠছে রোহিত শর্মার ফর্ম এবং অধিনায়কত্ব নিয়ে। ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া দুই দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটাররাই মেন ইন ব্লুর সমালোচনা করছেন। এহেন পরিস্থিতিতে বুধবার অ্যাডিলেড ছেড়ে ব্রিসবেনে পাড়ি দিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু দলের সকলে হোটেল থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছে গেলেও সেখানে যশস্বীর দেখা মেলেনি।পরে শোনা যায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিম বাস পর্যন্ত এসে পৌঁছতে পারেননি তরুণ ওপেনার। তাই যশস্বীকে বাদ দিয়েই বিমানবন্দরের উদ্দেশে পাড়ি দেয় টিম বাস। পরে নিরাপত্তা আধিকারিকের সঙ্গে বিমানবন্দরে আসেন যশস্বী। টিমের সঙ্গেই ব্রিসবেনে পৌঁছন তিনি। বুধবার বিকেলে ব্রিসবেনে নেমেছে ভারতীয় দল। আগামী কাল থেকে অনুশীলন শুরু করবে ভারত।রোহিতদের প্র্যাকটিস দেখতে হাজির থাকবেন স্বয়ং জয় শাহ। বিসিসিআই সচিব থেকে সদ্য আইসিসি চেয়ারম্যান হয়েছেন তিনি। গত ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন দুবাইয়ের অফিসে। বুধবার সেখান থেকেই তিনি পৌঁছে যান ব্রিসবেনে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিরাট কোহলিরা অনুশীলনে নামবেন। তার পরে প্র্যাক্টিস করবে অস্ট্রেলিয়াও। উল্লেখ্য, শনিবার থেকে শুরু হবে ব্রিসবেন টেস্ট। গাব্বায় জিতে কি সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারত? অনুশীলনে আইসিসি চেয়ারম্যানের উপস্থিতি কি তাতিয়ে তুলবে মেন ইন ব্লুকে? 

Card image cap

বাংলাদেশকে হুঁশিয়ারি দিন্দার

ঢাকাতে ভারতের জাতীয় পতাকাকে অপমান করার বিরুদ্ধে এবার গর্জে উঠলেন অশোক দিন্দা। জাতীয় দলের প্রাক্তন পেসার তথা বিজেপি বিধায়কের দাবি, গোটা ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। যতদিন পর্যন্ত সেটা না হচ্ছে, ততদিন যেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভার‍ত কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেলে। সেটা নিশ্চিত করতে বিসিসিআইকেও যথাযথ পদক্ষেপ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন দিন্দা।সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ভারতের তেরঙ্গা মাটিতে ফেলে মাড়িয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশের আমজনতা। ঢাকার এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফুঁসছেন ভারতীয়রা। বাংলাদেশিদের চিকিৎসা করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিলিগুড়ির ডাক্তাররা। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার জাতীয় পতাকার অপমানে গর্জে উঠলেন ময়নার বিধায়ক দিন্দা।জাতীয় দলের প্রাক্তন পেসার বুধবার বলেন, “বাংলাদেশে যেভাবে আমাদের জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে, সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসাবে আমি বিসিসিআইয়ের কাছে অনুরোধ করছি, এই ঘটনার প্রতিবাদে পদক্ষেপ করা হোক। লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে বলা হোক বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডকে। যতদিন পর্যন্ত না বাংলাদেশ বোর্ড লিখিতভাবে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইছে, ততদিন পর্যন্ত সেদেশের সঙ্গে ভার‍ত যেন কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেলে।”উল্লেখ্য, ভারতীয় দল কবে কার বিরুদ্ধে খেলবে সেই সূচি নির্ধারণের দায়িত্বে থাকে বিসিসিআই। সেজন্যই দেশের ক্রীড়া বোর্ডের কাছে দিন্দার বার্তা, “আমি সিএবির সদস্য়। তাই এই ব্যাপারে কঠিন পদক্ষেপ করার জন্য জন্য বিসিসিআইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।” উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসেই ভারত সফরে এসেছিল বাংলাদেশ। দুটি টেস্ট খেলে তারা। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও মুখোমুখি হতে পারে দুই দেশ। তবে দিন্দার দাবি, বাংলাদেশ ক্ষমা না চাইলে তাদের সঙ্গে ক্রিকেটীয় সম্পর্ক কার্যত ছিন্ন করে দিক ভারত।

Card image cap

প্রথম একাদশে বদলের ডাক পূজারার

অ্যাডিলেডে হারার পর কামব্যাকের জন্য মরিয়া টিম ইন্ডিয়া। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির ফলাফল বর্তমানে ১-১। পরের লড়াই ব্রিসবেনে। যে গাব্বায় গতবার তেরঙ্গা উড়িয়ে এসেছিলেন ঋষভ পন্থরা। ভেঙেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ‘অহংকার’। সেখানে নামার আগে রোহিত-গম্ভীরদের পরামর্শ দিলেন চেতেশ্বর পূজারা। অন্যদিকে বিরাট কোহলির নয়া পরিকল্পনা ফাঁস করলেন হরভজন সিং।অ্যাডিলেডে ১০ উইকেটে হেরেছে ভারত। ব্যাটে-বলে টেক্কা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। গাব্বার লড়াইয়ের আগে চেতেশ্বর পূজারা মনে করেন, রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেওয়া উচিত। সেই জায়গায় ফেরানো দরকার ওয়াশিংটন সুন্দরকে। পূজারার বক্তব্য, “আমার মতে একটাই পরিবর্তন আসা উচিত। যেহেতু ব্যাটিং ভালো হয়নি, তাই অশ্বিনের জায়গায় ওয়াশিংটন সুন্দরের আসা দরকার।”আর হর্ষিত রানা? অ্যাডিলেডে তাঁর বোলিং একেবারেই নজর কাড়েনি। পূজারা অবশ্য তরুণ পেসারের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। তিনি বলছেন, “হর্ষিত রানার জায়গায় অন্য কাউকে আনার দরকার নেই। তুমি ওকে সমর্থন জুগিয়েছ। আর প্রথম টেস্টে ও যথেষ্ট ভালো খেলেছে। একটা ম্যাচ খারাপ খেলেছে বলেই, হর্ষিতকে বাদ দেওয়া যায় না।”অন্যদিকে প্রথম টেস্টে সফল হলেও অ্যাডিলেডে রান পাননি কোহলি। সেই দুর্বলতা কাটাতে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন তিনি। কী পরিবর্তন এসেছে কোহলির ব্যাটিংয়ে? হরভজন বলছেন, “বিরাট ফ্রন্ট ফুটের প্লেয়ার। ভারতের মাটির বাউন্স সামলানোর জন্য সেটাই অস্ত্র। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বাউন্স সামলাতে হলে ব্যাকফুটে ভালো খেলতে হবে। আজ দেখলাম ও ব্যাকফুটে প্রচুর বল খেলছে। গাব্বায় এই ধরনের বলের মোকাবিলা করতে হবে। সেটার জন্যই চেষ্টা করছে বিরাট।”

Card image cap

রোহিতের সঙ্গে ঝগড়ার জেরেই দলে ‘ব্রাত্য’ শামি!

চোট সারিয়ে তিনি পুরোপুরি ফিট। নিজে সবুজ সংকেত দিলেই বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে দলে যোগ দিতে পারবেন মহম্মদ শামি। ভারতীয় পেসারের শিবিরে প্রত্যাবর্তন নিয়ে এমন খবরই পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু এবার যে তথ্য সামনে এল, তাতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, রোহিত শর্মার সঙ্গে নাকি ঝগড়া শামি ! সেই কারণেই কি দলে ব্রাত্য? উঠছে প্রশ্ন।বিষয়টা ঠিক কী? একটি সর্বভারতীয় হিন্দি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, ফিটনেস নিয়ে দুই তারকা একেবারে উলটো কথা বলছেন। শামি জানিয়েছিলেন তিনি সম্পূর্ণ ফিট। মাঠে নামতে প্রস্তুত। কিন্তু দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে এবং অস্ট্রেলিয়ায় শামির খেলা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন রোহিত। তিনি বলে দেন, শামি ১০০ শতাংশ ফিট নন। ফলে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে তাঁকে দলে রাখার ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। রোহিতের এই মন্তব্যে বেশ বিরক্তই হয়েছিলেন শামি। বেঙ্গালুরুতে কিউয়িদের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের সময় রোহিতের সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। সেখানেই নাকি দুই তারকার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। আর এতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি ফিট থাকা সত্ত্বেও ভারত অধিনায়কের ‘আপত্তি’তেই দলে ফেরা হচ্ছে না বাংলার পেসারের?পারথ টেস্টে দাপটের সঙ্গে জিতলেও অ্যাডিলেডে কামিন্সদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে রোহিত অ্যান্ড কোং। গোলাপি বলের অ্যাসিড টেস্টে ১০ উইকেটে পরাস্ত হয় দল। এবার কি শামিকে ফেরানো হবে দলে? এই প্রশ্ন ধেয়ে আসে রোহিতের দিকে। যাতে রোহিত জানান, শামির জন্য দলের দরজা খোলা। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট পেসারকে নিয়ে কোনওরকম তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না। শুধু তাই নয়, চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতেও শামির পারফরম্যান্স নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন হিটম্যান। বলেন, “ওর (শামি) বিষয়ে আমরা ১০০ শতাংশেরও বেশি নিশ্চিত হতে চাই। কারণ অনেকদিন ও দলে নেই। ওকে চাপে ফেলতে চাই না। কতটা চাপ নিয়ে খেলতে পারছে, সেসব দেখেই ওর ফেরা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” অর্থাৎ বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে শামির দলে ফেরা যে এখনও বিষ বাঁও জলে, তা বলে দেওয়াই যায়।

Card image cap

ফাইনালে উঠতে পাকিস্তানের মুখাপেক্ষী রোহিতরা!

অ্যাডিলেড টেস্টে অজিবাহিনীর কাছে পরাস্ত হয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ব়্যাঙ্কিং শীর্ষস্থান হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। এবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ জয়ে আরও জটিল হয়ে গেল ভারতের WTC ফাইনালে ওঠার পথ। প্যাট কামিন্সদের বিরুদ্ধে সিরিজ ৪-১-এ সিরিজ জিততে না পারলে পাকিস্তানের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে রোহিত শর্মাকে।ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কাকে ২-০-তে হোয়াইটওয়াশ করেছে প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় টেস্ট ১৪৩ রানে জিতে নেন টেম্বা বাভুমারা। আর সেই সৌজন্যেই WTC ব়্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে পৌঁছে গেলেন তাঁরা। তাঁদের ঝুলিতে ৬৩.৩৩ পয়েন্ট পারসেন্টেজ। দ্বিতীয় স্থানে নেমে এল অস্ট্রেলিয়া। ৫৭.২৯ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত তিন নম্বরে ভারত। ফলে তৃতীয়বার টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছনোর লড়াইটা রোহিতদের জন্য বেশ কঠিন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন অঙ্কে ফাইনালে উঠতে পারে টিম ইন্ডিয়া।বর্তমানে পাঁচ ম্যাচের বর্ডার গাভাসকর সিরিজে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ফল ১-১। হাতে বাকি তিনটে ম্যাচ। রোহিতরা ৪-১ ব্যবধানে জিতলে সরাসরি পৌঁছে যাবে ফাইনালে। তবে তিনটির মধ্যে একটিতে জিতলে অস্ট্রেলিয়ার নিচেই থাকবে ভারত। সেক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম পাকিস্তানের টেস্ট সিরিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের। কারণ ওই সিরিজে পাকিস্তানকে হারালে ফাইনাল খেলবে প্রোটিয়ারা। অর্থাৎ ভারতের ফাইনাল খেলার আশা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু পাকিস্তান দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাস্ত করলে কিংবা সিরিজ ড্র হলে দুই নম্বরে উঠে আসার সুযোগ থাকবে ভারতের কাছে। এদিকে জানুয়ারিতে দুটি টেস্ট খেলতে শ্রীলঙ্কা যাবে অস্ট্রেলিয়া দল। সেখানে লঙ্কাবাহিনীকে হারালে অস্ট্রেলিয়া সহজেই ফাইনালে পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ কামিন্স এবং বাভুমাদের পারফরম্যান্সের উপর অনেকখানি নির্ভর করবে ভারতের ভবিষ্যৎ।