CATEGORY games:

Card image cap

কোহলি ফিরতেই হতাশায় মুখ ঢাকলেন অনুষ্কা!

মেলবোর্নে ফের ব্যর্থ বিরাট কোহলি। অফ স্ট্যাম্পের বলে খোঁচা দিয়ে ফিরে গেলেন তিনি। গ্যালারিতে তখন উপস্থিত তাঁর স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা। হতাশায় মুখ ঢেকে ফেললেন বলি অভিনেত্রী। পাশে বসে থাকা কেএল রাহুলের স্ত্রী আথিয়া শেঠি পুরো স্তম্ভিত।এদিন মিচেল স্টার্ক রীতিমতো ফাঁদে ফেলে আউট করেন কোহলিকে। সেই অফ স্ট্যাম্পের লোভনীয় বল। সেই খোঁচা। উসমান খোয়াজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন। ২৯ বলে ৫ রানে আউট হন কোহলি। তারপরই ক্যামেরায় ধরা পড়লেন অনুষ্কা শর্মা। হতাশায় মুখ ঢাকলেন তিনি। পাশেই বসে ছিলেন আথিয়া শেঠি। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও তিনি মেলবোর্নে হাজির হয়েছেন ভারতীয় দলকে সমর্থন করার জন্য।কিন্তু হতাশ করলেন কেএল রাহুলও। এদিন রানের খাতাই খুলতে পারলেন না। যে ওভারে রোহিত শর্মা আউট হলেন, সেই একই ওভারে তিনিও ফিরে গেলেন। খেললেন মাত্র ৫টি বল। এই সিরিজে যথেষ্ট ভালো ফর্মে আছেন রাহুল। কিন্তু মেলবোর্নে প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে আউট হয়েছিলেন। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ‘ডাক’ করে ফিরলেন।মেলবোর্নে চতুর্থ দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৮। শেষ উইকেটে উঠেছিল ৫৫ রান। পঞ্চম দিনে অবশ্য সেটা আর বেশি দূর এগোয়নি। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২৩৪ রানে। ৫ উইকেট তোলেন জশপ্রীত বুমরাহ। তাতেও ভারতের জন্য ৩৪০ রানের বিরাট লক্ষ্য রেখেছে অজিরা। আর সেখানে ভারতের ব্যাটিংয়ের শুরুতেই বিপর্যয়।

Card image cap

বিশ্ব র‍্যাপিড দাবায় দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হাম্পি

বিশ্ব দাবায় ফের উড়ল ভারতের ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা। রবিবার নিউ ইয়র্কে বিশ্ব র‍্যাপিড চ্যাম্পিয়নশিপের মহিলা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হলেন ভারতের দাবাড়ু কোনেরু হাম্পি। এই নিয়ে দু’বার এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলেন হাম্পি। এর আগে ২০১৯ সালেও এই খেতাব জিতেছিলেন। এছাড়া গতবছর রানার্স হয়েছিলেন। আর ২০১২ সালে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন তিনি।প্রতিযোগিতার অন্তিম রাউন্ডে ইন্দোনেশিয়ার দাবাড়ু আইরিন সুকন্দরকে খেতাব নিশ্চিত করেন হাম্পি। দিন কয়েক আগেই বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে ডিং লিরেনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ভারতের নবীন দাবাড়ু ডি গুকেশ। ভারতীয় দাবার এই জয়যাত্রা হাম্পিও বজায় রাখলেন। শুধু
তাই নয়, এবারের দাবা অলিম্পিয়াডেও ভারত পুরুষ এবং মহিলা উভয় বিভাগেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ৩৭ বছরের দাবাড়ু হাম্পি ৮.৫ পয়েন্ট পেয়ে এবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। বিশ্বের দ্বিতীয় মহিলা দাবাড়ু হিসাবে একাধিকবার বিশ্ব র‍্যাপিড দাবায় চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। এর আগে এই কৃতিত্ব ছিল চিনের জু ওয়েনজুনের। জয়ের পর উচ্ছ্বসিত হাম্পি বলেন, “আমি ভীষণই উচ্ছ্বসিত। একইসঙ্গে খুব খুশি। সত্যি কথা বলতে কী, জানতাম শেষ রাউন্ডে কঠিন লড়াই হবে। শেষপর্যন্ত আমি খেতাব জিতেছি। তবে পুরোটাই আমার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। কারণ, গোটা বছরটাই আমাকে কাটাতে হয়েছ কঠিন সময়ের মধ্যে। প্রচুর লড়াই করতে হয়েছে আমাকে। তাই চ্যাম্পিয়ন হয়ে ভালো লাগছে।”এদিন হাম্পি কালো ঘুঁটি নিয়ে খেলেন। এই ভারতীয় দাবাড়ু প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডে হেরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেন। হাম্পি বলছিলেন, “প্রথম রাউন্ডে হারের পর কখনও ভাবিনি যে চ্যাম্পিয়ন হতে পারব। তবে পরপর চারটি গেম জেতার ফলে খেতাব জয়টা সহজ হয়েছে।” শুধু দাবার বোর্ডে নয়, বোর্ডের বাইরেও পরিবেশজনিত সমস্যায় পড়েছিলেন হাম্পি। তাঁর বক্তব্য, “ভারতের সময়ের সঙ্গে আমেরিকার সময়ের পার্থক্য রয়েছে। ফলে ভালোভাবে ঘুমোতে পারিনি। এই পরিস্থিতিতে খেলাটা মোটেই সহজ ছিল না। তবে যাবতীয় সমস্যা সামলে আমি খেতাব জিতেছি।” তিনি একইসঙ্গে জানিয়েছেন, তাঁর সাফল্য ভারতের বর্তমান প্রজন্মকে দাবা খেলার ব্যাপারে উৎসাহিত করবে। হাম্পি বলেন, “আমার তো মনে হয় বর্তমান সময়টা ভারতের জন্য খুবই উপযুক্ত। সদ্যই গুকেশ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমিও র‍্যাপিডে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলাম। তাই আমার মনে হয়, ভারতের নবীন প্রজন্মকে পেশাদার দাবা খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।”

Card image cap

ইতিহাস গড়ে ২০০ উইকেট বুমরাহর

প্রশ্নাতীতভাবেই বর্তমান প্রজন্মের সেরা পেসার তিনি। এবার জসপ্রীত বুমরাহর তুলনা শুরু হল সর্বকালের সেরাদের সঙ্গে। মেলবোর্ন টেস্টে ইতিহাসের খাতায় নাম তুলে দিলেন ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক। দ্রুততম ভারতীয় পেসার হিসাবে টেস্টে ২০০ উইকেটের গণ্ডি পেরোলেন। একই সঙ্গে গোটা বিশ্বে একমাত্র বোলার হিসাবে কুড়ির নিচে গড় রেখে ২০০ উইকেটের গণ্ডি পেরোলেন তিনি।রবিবাসরীয় মেলবোর্নে ট্র্যাভিস হেডকে ১ রানে প্যাভিলিয়নের ফেরানোর সঙ্গে সঙ্গেই টেস্ট ক্রিকেটে বুমরাহ ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন। কেরিয়ারের ৪৪তম টেস্টে ২০০ তম উইকেটটি পেলেন ভারতীয় দলের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। যা ভারতীয় পেসারদের মধ্যে দ্রুততম। অন্যান্য ভারতীয় বোলারদের মধ্যে একমাত্র রবিচন্দ্রন অশ্বিন তাঁর চেয়ে কম ম্যাচে ২০০ উইকেট তুলেছেন। অশ্বিন ওই মাইলফলক ছুঁয়েছেন ৩৭ টেস্টে। জাদেজাও বুমরাহর মতোই ৪৪টেস্টে ২০০ উইকেট পান।তবে আরও বেশি চমকপ্রদ হল, এদিন ২০০ উইকেটের মাইলফলক বুমরাহ যে গড় বজায় রেখে ছুঁলেন, সেটা সর্বকালের সেরা বোলারদেরও হার মানায়। বুমরাহই গোটা বিশ্বের একমাত্র বোলার যিনি কুড়ির কম গড়ে ২০০ উইকেট পেলেন। ২০০তম উইকেট পাওয়ার সময় বুমরাহর গড় ছিল ১৯.৫৬। এর আগে ম্যালকম মার্শাল সর্বনিম্ন ২০.৯ গড় রেখে ওই মাইলফলকে পৌঁছন। জোয়েল গার্নার ২০০ উইকেট পাওয়ার সময় তাঁর গড় ছিল ২১.০। একই গড় ছিল কার্টলি অ্যামব্রোসেরও।এদিন বুমরার বিধ্বংসী স্পেল এবং সিরাজের সঙ্গতে মেলবোর্ন টেস্টে খানিকটা কামব্যাক করেছে ভারত। চতুর্থ দিনের চা বিরতি পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট খুইয়ে ফেলেছে অজিরা। যদিও অস্ট্রেলিয়ার লিড ২৪০ পেরিয়েছে। হাতে আরও ৪ উইকেট। এদিন অন্তত গোটা দুই সহজ ক্যাচ ফসকেছেন ভারতীয় ফিল্ডাররা। সেটা না হলে খেলার পরিস্থিতি অন্যরকম হত।

Card image cap

গুকেশের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রধানমন্ত্রীর

মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বজয় করেছেন ডি গুকেশ। ৬৪ খোপের যুদ্ধে সেরা হওয়ার পরই ভারতীয় দাবাড়ুকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এবার গুকেশের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী। উপহার হিসেবে পেলেন একটি সুদৃশ্য দাবার বোর্ডও।বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে ১৪ গেমের লড়াইয়ে গুকেশের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন চিনের ডিং লিরেন। একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে জয় নিশ্চিত করেন গুকেশ। ৭.৫ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন তিনি। কনিষ্ঠতম হিসাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন, গ্যারি কাসপারভের নজির ভেঙে। বিশ্বনাথন আনন্দের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন গুকেশ।এদিন গুকেশের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন দাবাড়ুর বাবা-মাও। গুকেশ মোদির হাতে তুলে দেন একটি সুদৃশ্য দাবার বোর্ড। তাতে গুকেশ ছাড়াও সই ছিল তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ডিং লিরেনের সইও। প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেন গুকেশের ধৈর্য্য ও লড়াকু মনোভাবের। পরে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘ভারতের গর্ব, বিশ্বজয়ী দাবাড়ুর সঙ্গে দারুণ কথাবার্তা হল। গত কয়েক বছর ধরেই ওর সঙ্গে কথা বলছি। যেটা আমাকে সবচেয়ে বেশি চমকে দেয়, সেটা হল গুকেশের একাগ্রতা ও লড়াকু মনোভাব। ওর আত্মবিশ্বাস রীতিমতো অনুপ্রেরণা দেবে। আমি একটা ভিডিও দেখেছিলাম, যেখানে গুকেশ বলেছিল যে সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে চাই। ওর নিজের পরিশ্রমের জন্যই সেই ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়েছে।’উল্লেখ্য, গুকেশের বিশ্বজয়ের পরই নেটদুনিয়ায় ভাসতে থাকে ৭ বছর পুরনো ভিডিও। একটি সাক্ষাৎকারে গুকেশকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তাঁর স্বপ্ন কী? আত্মবিশ্বাসী দাবাড়ু উত্তর দিয়েছিলেন, সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে বিশ্বজয়ী হওয়া। সেই স্বপ্ন সফল করেছেন গুকেশ। বিশ্বজয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিই গুকেশকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।

Card image cap

টেস্টে চাপ সামলে দুরন্ত সেঞ্চুরি নীতীশ রেড্ডির

৯৬ রানে ব্যাট করছেন ছেলে নীতীশ কুমার রেড্ডি। আমজনতার মাঝে গ্যালারিতে বসে চোখ বন্ধ করে প্রার্থনা করছেন বাবা মুত্যালা রেড্ডি। তারই মাঝে আবার লাথান লিয়নের বলে ৫০ রানে আউট হলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। এরপরই শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন জশপ্রীত বুমরাহ। তখনও সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে নীতীশ। তবে বাবার প্রার্থনা ব্যর্থ হয়নি। অবশেষে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। অজি বাহিনীর পাহাড় প্রমাণ রানের চাপ সামলে টেস্ট প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকালেন নীতীশ। মেলবোর্ন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ৪৭৪ রানের বোঝায় যখন তৃতীয় দিনের শুরুতে ধুকতে শুরু করেছিল ভারত, তখনই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন বিশাখাপত্তনমের নীতীশ। প্রথম একাদশে তাঁকে রাখা নিয়ে বিশ্লেষকদের ভিন্ন মত অব্যাহত। কিন্তু বর্ডার গাভাসকর সিরিজে নিজেকে প্রমাণ করতে কোনও খামতি রাখেননি তিনি। ঋষভ পন্থ এবং রবীন্দ্র জাদেজার মতো গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেটের পতনের পর দলকে অক্সিজেন জুগিয়ে চললেন নীতীশ। সাত উইকেট ২২১ রান থেকে স্টার্ক, কামিন্স, লিয়ন, বোলান্ডদের সামলে স্কোরবোর্ডে একশোর বেশি রান যোগ করলেন। আর ১৮১ বলে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে দলকে লড়াইয়ের মতো জায়গায় পৌঁছে দেন তিনি।এদিন আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হাফ সেঞ্চুরি করেই আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা’ স্টাইলে সেলিব্রেট করেছিলেন নীতীশ। আর শতরানের পর ব্যাট মাটিতে সোজা করে রেখে তার উপর রাখলেন হেলমেট। তারপর উপর দিতে হাত তুলে প্রণাম করলেন। মনে করালেন ‘বাহুবলী’ ছবির কথা। গ্যালারিতে বাবার তখন চোখে জল বাঁধ ভেঙেছে। বিদেশের মাটিতে টেস্টে ছেলের প্রথম সেঞ্চুরির সাক্ষী থাকতে পেরে আপ্লুত তিনি। নীতীশের এই লড়াকু ইনিংসের সৌজন্যেই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে রানের ব্যবধান অনেকটাই কমাতে সফল ভারত। তবে তারকা অলরাউন্ডারকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তবে এদিন খারাপ আলোর জন্য নির্ধারিত সময়ের খানিক আগেই খেলা শেষ হয়ে যায়। তৃতীয় দিনের শেষে ক্রিজে ১০৫ রানে অপরাজিত রেড্ডি এবং ২ রানে নটআউট মহম্মদ সিরাজ। ৯ উইকেট ৩৫৮ রান করায় আপাতত ১১৬ রানে পিছিয়ে ভারত।

Card image cap

মেলবোর্নে হেনস্তার শিকার বিরাট

শুক্রবার দিনভর অজি দর্শকদের কটাক্ষের শিকার হলেন বিরাট কোহলি। ফিল্ডিং করার সময় হোক বা ব্যাটিং, কিং কোহলির উদ্দেশে লাগাতার কটু কথা উড়ে এল। এমনকি আউট হয়ে ফেরার সময়েও বিরাটকে অপমানজনক মন্তব্য করা হয়। তারপর দর্শকদের দিকে রাগতভাবে তাকাতেও দেখা যায় বিরাটকে। ভাইরাল হয়েছে সেই মুহূর্তের ভিডিও।বক্সিং ডে টেস্টের শুরু থেকেই চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন বিরাট। প্রথম দিন স্যাম কনস্টাসের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয় তাঁর। সেই ঘটনার জেরে তুমুল বিতর্ক বাঁধে। ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয় বিরাটের। তবে অজি সংবাদমাধ্যমের মতে, মোটেই যথেষ্ট শাস্তি মেলেনি তারকা ব্যাটারের। একজন তরুণ ক্রিকেটারের অভিষেক টেস্টে তাঁকে ধাক্কা মারার অপরাধে আরও বেশি শাস্তি পাওয়া উচিত ছিল বিরাটের, এমনটাই মত অজি সাংবাদিকমহলের। সবমিলিয়ে মেলবোর্নে বিরাটকে ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত।তার মধ্যেই বক্সিং ডে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মাঠে নামেন বিরাট। দিনের শুরুতে দলের সকলের সঙ্গে ফিল্ডিং করতে নামেন তিনি। সেসময়ে গ্যালারি থেকে কটাক্ষ করা হয়। চাপানের বিরতির পরে ব্যাট করতে আসেন বিরাট। বেশ ভালো ছন্দে ছিলেন। হঠাৎই গ্যালারির দিকে এগিয়ে যান অজি তারকা স্যাম। দুহাত তুলে বার্তা দেন, দর্শকরা যেন আরও চিৎকার করে উদ্বুদ্ধ করেন অজিদের। তরুণ তুর্কির আবেদনে সাড়া দিয়ে বিরাটের বিরুদ্ধে গলা ফাটাতে শুরু করেন দর্শকরা।খানিক বাদেই আউট হয়ে যান বিরাট। মাঠ ছেড়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার সময়ে তাঁকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করে দর্শকদের একাংশ। প্রথমে সেদিকে লক্ষ্য না করে চলে যাচ্ছিলেন বিরাট। কিন্তু খানিক পরে পিছিয়ে এসে রাগতভাবে তাকান দর্শকদের দিকে। পরিস্থিতি কোনওমতে সামাল দেন মাঠে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বিরাটকে। তবে সেই মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। সেই ভিডিও শেয়ার করে জনপ্রিয় স্পোর্টস অ্যাঙ্কার তথা জশপ্রীত বুমরাহর স্ত্রী সঞ্জনা গণেশন বলেছেন, ক্রিকেটের আদর্শ বজায় রাখা উচিত সকলেরই।

Card image cap

সন্তোষ ট্রফির সেমিফাইনালে বাংলা

ফিরছে বঙ্গ ফুটবলের গৌরব। দাপটের সঙ্গে সন্তোষ ট্রফির সেমিফাইনালে উঠে গেল বাংলা দল। বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের ডেকান এরিনায় পিছিয়ে পড়েও ওড়িশাকে ৩-১ গোলে হারালেন সঞ্জয় সেনের ছেলেরা।এমনিতে সন্তোষ ট্রফির সবচেয়ে সফল দল বাংলা। তবে গত সন্তোষ ট্রফিতে ভালো ফল করতে পারেনি রাজ্যের দল। এমনকী মূল পর্বে যোগ্যতা পর্যন্ত অর্জন করতে পারেনি বঙ্গ ফুটবল দল। শুধু গত বছর নয়, কয়েক বছর ধরেই বাংলার অবস্থা সন্তোষ ট্রফিতে ভালো নয়। সেই পরিস্থিতি বদলাতে এবার মরশুম শুরুতে দায়িত্ব দেওয়া হয় মোহনবাগানকে আই লিগ জেতানো কোচ সঞ্জয় সেনকে। সঞ্জয়ের হাতে পড়তেই বাংলা দল ছুটছে অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো। গ্রুপ পর্বে কোনও দল হারাতে পারেনি নরহরি শ্রেষ্ঠা, রবি হাঁসদাদের।তবে কোয়ার্টার ফাইনালের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলার। গোটা টুর্নামেন্টে যে রক্ষণকে অভেদ্য মনে হচ্ছিল সেই রক্ষণেই এদিন সমন্বয়ের অভাব চোখে পড়ল। যার ফলশ্রুতিতে ম্যাচের ২৪ মিনিটেই রাকেশ ওঁরাও-য়ের গোলে এগিয়ে যায় ওড়িশা। এর পরও এগিয়ে যেতে পারত ওড়িশা। একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিল তারা। কিন্তু কিছুটা ভাগ্যের সঙ্গ পেয়েছে বাংলা দল। তীরে এসে তরী না ডোবে সে বিষয়ে সতর্ক ছিলেন বাংলার কোচ। দলের সমস্যা হচ্ছে বুঝতে পেরে আধঘণ্টার মধ্যেই প্রথম বদলি করেন কোচ সঞ্জয় সেন। তিনি নামান ইসরাফিল দেওয়ানকে। সেটার পরই খেলার গতি বদলে যায়।প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে নরহরি শ্রেষ্ঠার অনবদ্য গোলে এগিয়ে যায় বাংলা দল। তবে লিড পেতে বাংলাকে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৭৭ মিনিট পর্যন্ত। এবারে অনবদ্য গোল করলেন রবি হাঁসদা। যেভাবে বক্সের ধার থেকে তাঁর বাঁ-পায়ের শট ওড়িশার জালে জড়াল সেটা এককথায় দৃষ্টিনন্দন। ম্যাচের একেবারে শেষলগ্নে মনতোষ মাঝি গোল করে ওড়িশার কফিনে শেষ পেরেক পোঁতেন। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে জিতে সন্তোষের সেমিতে পৌঁছে গেল সঞ্জয় সেনের বাংলা দল।

Card image cap

বিরাট ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দিয়েছেন!

স্যাম কনস্টাস। মেলবোর্ন টেস্টে সবচেয়ে চর্চিত ১৯ বছরের যুবকের নাম। প্রথমে ব্যাট হাতে বুমরাহকে ‘শাসন’, পরে আবার বিরাট কোহলির সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি। জোড়া ঘটনা জীবনের প্রথম টেস্টেই শিরোনামে এনে দিয়েছে প্রতিভাবান অজি ব্যাটারকে। যদিও কনস্টাস মাঠের বাইরে বেশ বিনয়ী। তিনি সাফ বলে দিচ্ছেন, যে ধাক্কা নিয়ে এত চর্চা হচ্ছে, সেটা সম্ভবত ঘটেছে দুর্ঘটনাবশত। তবে তা সত্ত্বেও বিরাটকে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে।বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই কনস্টাস বিবাদে জড়ান তাঁর ‘প্রিয়’ ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সঙ্গে। অবশ্য তাঁর বিশেষ দোষ ছিলেন না। ওভার শেষে ক্রিজের এপার থেকে ওপারে যাচ্ছিলেন কোহলি। দুই অজি ব্যাটারও আসছিলেন নিজেদের মধ্যে কথা বলতে। দু’জনের কাঁধে ধাক্কাধাক্কি হয়। কনস্টাসের বিষয়টি পছন্দ হয়নি। তিনি কোহলিকে কিছু একটা বলেন।পালটা কোহলি কড়া জবাব দেন তাঁকে। যদিও আর এক ব্যাটার উসমান খোয়াজা এবং আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি বেশিদূর এগোয়নি। ভিডিও দেখে মনে হয়েছে, কোহলি যেন ইচ্ছাকৃতভাবেই ধাক্কা দিয়েছেন অজি ব্যাটারকে। যা আইসিসির রুল ২.১২ অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।যদিও ম্যাচের শেষে কনস্টাসকে ওই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলে দিয়েছেন, তাঁর মনে হয় ওই ধাক্কাটা দুর্ঘটনাবশত। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কোহলি আপনার প্রিয় ক্রিকেটার। হঠাৎই মাঠের মাঝে ঝগড়া লাগল। কী বলেছিল? জবাবে কনস্টাস বলেন, “ওভার শেষে আমি নিজের গ্লাভস ঠিক করছিলাম। তখন দুর্ঘটনাবশত বিরাট আমাকে ধাক্কা মারে। তবে এ রকম হতেই পারে। এটাই টেস্ট ক্রিকেটের উত্তেজনা।”কনস্টাস বিরাটের ধাক্কাকে ‘দুর্ঘটনা’ মনে করলেও ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট মনে করছেন, বিরাট ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দিয়েছেন। ম্যাচ শেষে পাইক্রফট কিং কোহলিকে তলব করেন। মিনিট দশেক কথা হয় দুজনের। সূত্রের খবর, বিরাট নিজের অপরাধ শিকার করেছেন। পাইক্রফট শাস্তি হিসাবে বিরাটকে এক ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছেন। ফলে কোনও ম্যাচে নির্বাসিত হতে হবে না প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে। তবে তাঁর ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা হিসাবে কাটা হবে।

Card image cap

খেলরত্ন পুরস্কারে ‘বৈষম্যে’র অভিযোগ প্যারালিম্পিকে সোনাজয়ী তিরন্দাজের

মনু ভাকেরের পর এবার হরবিন্দর সিং। প্যারিস প্যারালিম্পিকে সোনাজয়ী তিরন্দাজের নাম খেলরত্ন পুরস্কারের মনোনয়নে নেই। এবার ‘বৈষম্য’-এর অভিযোগ তুলে সরব হলেন হরবিন্দর। সোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি।সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘খেলাধুলোর জগতে বৈষম্য। ২০২০-র প্যারালিম্পিকে সোনাজয়ীরা মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার পেয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৪-র প্যারালিম্পিকে সোনাজয়ীরা কেন পাবেন না? একই প্রতিযোগিতা, একই সোনা, একই গৌরব। কিন্তু পুরস্কারের ক্ষেত্রে বৈষম্য কেন?’ সেখানে হরবিন্দর ট্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। জাতীয় তিরন্দাজি কোচ ও দ্রোণাচার্য্য সম্মানে ভূষিত জীবনজ্যোত সিং তেজাও হরবিন্দরকে খেলরত্ন দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।পুরুষদের ব্যক্তিগত রিকার্ভ ওপেনে সোনা জিতেছিলেন ভারতের হরবিন্দর সিং। প্রথম ভারতীয় তিরন্দাজ হিসাবে প্যারালিম্পিক থেকে সোনার পদক নিয়ে ফিরেছেন হরবিন্দর। টোকিও প্যারালিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন হরবিন্দর। পরপর দুই প্যারালিম্পিকে পদক জেতার নজিরও গড়েছেন। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রীতি পালের সঙ্গে তেরঙ্গা পতাকা বহনের দায়িত্বেও ছিলেন হরবিন্দর সিং।উল্লেখ্য, অলিম্পিকে জোড়া পদক পেয়েও মনু ভাকের মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পাননি। ভারতের হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং, প্যারালিম্পিকের সোনাজয়ী প্রবীণ কুমাররা মনোনয়ন পেয়েছেন। ক্রীড়ামন্ত্রকের সূত্র বলছে, মনু নাকি আবেদনই করেননি। আবার মনুর বাবা বলছেন, তাঁরা আবেদন করেছেন। কিন্তু ক্রীড়া মন্ত্রকের তরফে কোনও জবাবই মেলেনি। এ নিয়ে ভারতীয় ক্রীড়ামহলে রীতিমতো ঝড় বয়ে গিয়েছে। সেখানে ‘বঞ্চনা’র অভিযোগ তুলে সরব হরবিন্দরও।

Card image cap

ওপেনিংয়ে ফিরছেন রোহিত

পরীক্ষানিরীক্ষা ব্যর্থ! বক্সিং ডে টেস্টে ভারতীয় দল ফিরতে পারে পুরনো ফর্মুলায়। সূত্রের খবর, শেষ দুই টেস্টে ৬ নম্বরে খেলে বিফল হওয়ার পর মেলবোর্নে ফের ওপেনিংয়ে ফিরতে পারেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এ ছাড়াও দলে একাধিক বদল আসার সম্ভাবনা রয়েছে।সন্তান জন্মের জন্য বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম ম্যাচে ছিলেন না রোহিত। তাঁর জায়গায় ওপেন করতে এসে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন কে এল রাহুল। প্রথম টেস্টে বেশ ঝকঝকে মনে হয়েছিল রাহুল-জয়সওয়াল জুটিকে। ফলে রোহিত ফেরার পরও সেই ওপেনিং জুটিতে আর হস্তক্ষেপ করা হয়নি। রোহিত ওপেনিং স্লটে ফেরেননি। তিনি অ্যাডিলেড এবং ব্রিসবেনে ব্যাট করতে নামেন ৬ নম্বরে। কিন্তু দুই টেস্টেই চূড়ান্ত ব্যর্থ হন ভারত অধিনায়ক। শোনা যাচ্ছে, মেলবোর্নে তিনি ফিরছেন পছন্দের ওপেনিং স্লটে। টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করছে, রোহিতকে ৬ নম্বরে ব্যাট করানো অর্থহীন।রোহিত ওপেন করতে এলে ফের ওপেনিং স্লট ছাড়তে হবে কেএল রাহুলকে। অবশ্য রাহুলকে খুব একটা নিচে ব্যাট করতে হবে না। তাঁকে পাঠানো হতে পারে ৩ নম্বরে। ৩ নম্বরে আবার খেলেন শুভমান গিল। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে বিদেশের মাটিতে গিলের ফর্ম একেবারেই পাতে দেওয়ার মতো নয়। ২০২১ সালের পর বিদেশের মাটিতে টেস্টে হাফ সেঞ্চুরিও নেই ভারতীয় দলের উদীয়মান তারকার। সেক্ষেত্রে মেলবোর্নে আদৌ গিল প্রথম একাদশে থাকবেন কিনা সংশয় আছে।ভারতীয় শিবির সূত্রের খবর, মেলবোর্নে দুই স্পিনার খেলানো হতে পারে। আসলে এই মুহূর্তে মেলবোর্নে খটখটে রোদ। প্রথম দু-তিন দিন সামান্য বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও ম্যাচের বেশিরভাগ সময় চড়া রোদ থাকার কথা। তার উপর পিচে ৬ মিলিমিটার ঘাস রয়েছে। সেই ঘাস শুকিয়ে গেলে শেষদিকে স্পিনাররা সাহায্য পেতে পারে। টিম ইন্ডিয়া দুই স্পিনারের ফর্মুলায় গেলে গিল বা নীতীশ কুমার রেড্ডির বদলে দলে ঢুকবেন ওয়াশিংটন সুন্দর। চলতি সিরিজে ফর্মের বিচারে নীতীশ গিলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। ফলে নিতান্তই যদি সুন্দরকে খেলাতে হয়, সেক্ষেত্রে গিল বাদ পড়ার সম্ভাবনা বেশি। গিল বাদ পড়লে রাহুল খেলবেন ৩ নম্বরে। তবে সবটাই চূড়ান্ত হবে বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া এবং পিচের পরিস্থিতি দেখে। 

Card image cap

বক্সিং ডে টেস্টে পিচ বিতর্ক

বক্সিং ডে টেস্টের আগে পিচ বিতর্কে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্রিকেটমহল। অভিযোগ, ভারতের অনুশীলনের জন্য পুরনো পিচ দেওয়া হয়েছে। সেই বিষয়ে সাফাই দিয়েছিলেন মেলবোর্নের পিচ কিউরেটর। এবার পিচ বিতর্কে মুখ খুললেন রোহিত শর্মা। জানিয়ে দিলেন, পুরনো পিচই দেওয়া হয়েছিল অনুশীলনের জন্য। সেই সঙ্গে জানালেন, তাঁর হাঁটুর চোট কীরকম আছে?অস্ট্রেলিয়া যেখানে সবুজ পিচে অনুশীলন করছে, সেখানে রোহিতদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ‘পাটা’ পিচ। অথচ এমসিজি-র মাঠে অন্তত ৬ মিলিমিটার ঘাস থাকার কথা। রোহিত স্পষ্ট বলছেন, “যে পিচে আমাদের প্র্যাকটিস করতে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো পুরনো। আমার মনে হয় সেগুলো বিগ ব্যাশের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। শুধু আজই আমরা নতুন পিচ দেখার সুযোগ পেলাম। আমরা গিয়ে দেখি, সেটার কী অবস্থা। সেই অনুযায়ী অনুশীলন করব।”সাংবাদিক সম্মেলনের পরই রোহিত শর্মারা সোজা হাঁটা লাগালেন পিচের দিকে। সেখানে ছিলেন কোচ গৌতম গম্ভীর ও তারকা পেসার জশপ্রীত বুমরাহ। যোগ দেন প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরও। প্রায় আধঘণ্টা কথা বলেন তাঁরা। তারপর নেটের দিকে রওনা দেন। আগেরদিনই পিচ কিউরেটর ম্যাট পেজ জানিয়েছিলেন, পিচ ঘাসে ঢাকা থাকবে। বোলারদের সঙ্গে ব্যাটাররাও সাহায্য পাবেন।তবে প্রথম একাদশ কী হবে সেই বিষয়ে খোলসা করেননি রোহিত। তিনি বলেন, “আপাতত আমরা আবহাওয়া-সহ অন্যান্য বিষয়ে নজর রাখছি। এখনও উইকেট দেখিনি। পরিস্থিতি বুঝে আমরা সেরা একাদশ বেছে নেব। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত স্পিনার খেলাব কিনা, সেটাও ভেবে দেখতে হবে।” ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ খুলতে নারাজ তিনি। তবে নিজের চোট নিয়ে সুখবর দিলেন। রোহিত নিজেই জানাচ্ছেন, “আমার হাঁটুতে কোনও সমস্যা নেই।”মেলবোর্নে থ্রো-ডাউন অনুশীলনের সময় হাঁটুতে চোট লেগেছিল রোহিতের। যা নিয়ে ভারতীয় পেসার আকাশ দীপের বক্তব্য ছিল, পুরনো পিচে বল আচমকা নীচু হচ্ছে। তাই চোট লেগেছে। কিন্তু কেন পুরনো পিচ দেওয়া হয়েছিল? কিউরেটর ম্যাট পেজ বলেছিলেন, টেস্টের তিনদিন আগে নতুন পিচ দেওয়া হয় না। কিন্তু ভারত যে এখানে অনুশীলন করবে, সেটা তো দুমাস আগেই জানানো হয়েছিল। তাহলে এই অব্যবস্থা কেন? দায় ঝেড়ে পেজের উত্তর, এগুলো অস্ট্রেলিয়া ও ভারতীয় বোর্ডের ব্যাপার। তিনি নাকি কিছুই জানেন না।

Card image cap

খেলরত্নে বাদ পড়ে ক্ষুব্ধ মনু

চলতি বছরের অলিম্পিকে ইতিহাস গড়েছিলেন মনু ভাকের। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম অ্যাথলিট হিসাবে একই অলিম্পিকে জোড়া পদক জয়ের নজির তাঁর নামের পাশে। কিন্তু এবার খেলরত্নের জন্য মনুর নাম মনোনীত হয়নি বলেই খবর। তা জানতে পেরে পদকজয়ী মনুর আক্ষেপ, ‘অলিম্পিকে পদক জেতাই উচিত হয়নি’। সেই ক্ষোভ প্রকাশ্যে আনলেন মনুর বাবা রামকৃষ্ণ ভাকের।মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান। ভারতের হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং, প্যারালিম্পিকের সোনাজয়ী প্রবীণ কুমাররা মনোনয়ন পেয়েছেন। কিন্তু মনোনয়নের চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে মনুর নাম। তাঁর বাবা বলছেন, “আমার এখন আক্ষেপ হচ্ছে, কেন মনুকে শুটিংয়ে এনেছি। এর থেকে ওকে ক্রিকেটার বানাতে পারতাম। তাহলে সব সম্মানই ও পেত। আজ পর্যন্ত কেউ এক অলিম্পিকে জোড়া পদক পায়নি। দেশের জন্য আমার মেয়ে আর কী করতে পারে? আমি মনুর সঙ্গে কথা বলেছি। ও খুব হতাশ হয়ে বলেছে, ‘আমার অলিম্পিকে যাওয়া এবং দেশের জন্য পদক জেতা উচিত হয়নি। সত্যি বলতে, আমার খেলোয়াড় হওয়াই উচিত হয়নি’।”কেন মনু মনোনয়ন পেলেন না? ক্রীড়ামন্ত্রকের দাবি, মনু নাকি খেলরত্নের জন্য আবেদনই করেননি। আবার মনুর বাবা রামকৃষ্ণ ভাকেরের বক্তব্য, তাঁরা আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কমিটির তরফ থেকে কোনও উত্তর আসেনি। অলিম্পিকে পদকজয়ীর বাবার বক্তব্য, “মনু বলেছে, ও খেলরত্নের জন্য আবেদন করেছিল। সেক্ষেত্রে কমিটির উচিত ছিল, ওর নাম মনোনয়নে রাখা। যাই হোক, ফেডারেশন থেকে ক্রীড়ামন্ত্রককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মনুর নাম মনোনয়ন তালিকায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।”এই প্রসঙ্গে ফিরে আসছে ২০২১ সালে খেলরত্ন পুরস্কারের প্রসঙ্গ। টোকিও অলিম্পিকে যাঁরা পদক পেয়েছিলেন, তাঁরা মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পেয়েছিলেন। তাহলে এবারও কেন সেই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না? উঠছে সেই প্রশ্নও।

Card image cap

হাসপাতালে ভর্তি বিনোদ কাম্বলি

গুরুতর অসুস্থ বিনোদ কাম্বলি। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারকে থানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল হলেও আশঙ্কা পুরোপুরি কাটেনি বলেই খবর। তবে কাম্বলির ঠিক কী হয়েছে, তা জানানো হয়নি। জানা যাচ্ছে, শনিবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে কাম্বলির অসুস্থতা নিয়ে বারবার উদ্বেগ বেড়েছে। আগস্ট মাসে ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায় রীতিমতো টলছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় পড়েন ক্রিকেটভক্তরা। এর মধ্যে ভাইরাল হয় আরেকটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, কোচ রমাকান্ত আচরেকরের স্মৃতিসৌধ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে বন্ধু শচীন তেণ্ডুলকরের হাত ধরে টানছেন কাম্বলি। যা দেখে তাঁর অসুস্থতা নিয়ে আশঙ্কা আরও দৃঢ় হয়।
তারপর নিজের অসুস্থতা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কাম্বলি। তিনি জানিয়েছেন, প্রস্রাবের সংক্রমণে ভুগছেন। এমনকী মাসখানেক আগে অজ্ঞানও হয়ে যান। এর মধ্যে শনিবার আচমকা তাঁর শারীরিক অবস্থা ফের খারাপ হয়। তবে চিকিৎসকদের তরফ থেকে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এর আগে ২০১৩ সালে দুবার অস্ত্রোপচার হয় কাম্বলির। তখন চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেছিলেন শচীন তেণ্ডুলকর। সম্প্রতি কাম্বলি অসুস্থ হওয়ার পর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন ১৯৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটাররা। তবে তার জন্য একটি শর্তও ছিল। কাম্বলিকে স্বেচ্ছায় রিহ্যাবে যেতে হবে। তবেই পুরো খরচ দিতে তৈরি ছিলেন কপিল দেবরা। উল্লেখ্য, কাম্বলির বিরুদ্ধে মদ্যপান ও উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনের অভিযোগ বারবার উঠেছে। 

Card image cap

PF কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় ক্ষুব্ধ উথাপ্পা

প্রভিডেন্ট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে তিনি কোনওভাবেই যুক্ত নন। বিবৃতি দিয়ে দাবি করলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার রবীন উথাপ্পা। তাঁর দাবি, যে সংস্থা এই পিএফ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে, সেই সংস্থার সঙ্গে তাঁর কোনও সক্রিয় যোগাযোগ নেই। বরং তিনিও ওই সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই লড়ছেন।স্ট্রবেরি লেন্সারিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামক বেঙ্গালুরুর একটি কোম্পানির ডিরেক্টর উথাপ্পা। অভিযোগ সেই কোম্পানি প্রভিডেন্ট ফান্ডের ২৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬০২ টাকা বকেয়া অর্থ জমা করেনি। কোম্পানির কর্মচারীদের থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য টাকা কাটা হলেও তা তাদের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়নি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পিএফ বিষয়ক আঞ্চলিক কমিশনার সদাক্ষরা গোপাল রেড্ডি প্রাক্তন কেকেআর ব্যাটারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর প্রকাশ্যে আসতেই উথাপ্পা জানিয়ে দিলেন, ওই সংস্থার সঙ্গে কোনও সক্রিয় যোগাযোগ নেই তাঁর।উথাপ্পার দাবি, তিনি ওই সংস্থায় কিছু টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। সেকারণেই ২০১৮-১৯ সালে ওই সংস্থা তাঁকে ডিরেক্টর নিয়োগ করে। কিন্তু নিজের ব্যস্ততার কারণে কোনওদিনই সংস্থার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হননি তিনি। ক্রিকেট, ধারাভাষ্য এবং টিভির অন্যান্য অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকায় তাঁর পক্ষে সংস্থার কাজকর্মের খোঁজখবর রাখা সম্ভবও ছিল না। তাছাড়া এ বিষয়ে তিনি বিশেষজ্ঞও নন। তাই সংস্থার নিত্যদিনের কাজকর্মেরও খবর তিনি রাখতেন না।উথাপ্পার বক্তব্য, ওই সংস্থাটি তাঁর প্রাপ্য টাকাও মেটায়নি। সেজন্য সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও করেন। যা এখন বিচারাধীন। প্রাক্তন ক্রিকেটার জানিয়েছেন, প্রভিডেন্ট ফান্ড কর্তারা তাঁর অফিসে যোগাযোগ করলে তিনি সব তথ্য দিয়েছেন। জানিয়েছেন সংস্থার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি পথেই হাঁটবেন তিনি।

Card image cap

অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

খেলার মাঠে ফের বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিল ভারত। ওপার বাংলার মেয়েদের ধরাশায়ী করে প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের খেতাব জিতে নিলেন ভারতের মেয়েরা। ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া জিতল ৪১ রানে।কুয়ালালামপুরের বেউয়েমাস ওভালে রবিবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১১৭ রান তোলে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার শুরুটা ভালো না হলেও গঙ্গাদি তৃষা একাই ভারতের ব্যাটিংকে টেনে নিয়ে যান। মাত্র ৪৭ বলে ৫২ রান করেন। পাঁচটি বাউন্ডারি এবং দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি। তৃষা ছাড়া ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে দুই অঙ্কে পৌঁছান শুধু অধিনায়ক নিকি এবং মিথিলা বিনোদ। মিথিলা ১৭ রান করেন।জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ব্যাটাররা শুরু থেকেই রীতিমতো খাবি খেতে থাকেন। ১৮ ওভার ৩ বলে মাত্র ৭৬ রানে শেষ হয় বাংলাদেশে ইনিংস। পড়শি দেশের ব্যাটারদের মধ্যে জুয়াইরিয়া ফেরদৌস ২২ এবং ফাহমিদ চোয়া ১৮ রান করেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে আয়ুশী শুক্লা একাই নেন ৩টি উইকেট। ভারত ৪১ রানের বিরাট ব্যবধানে জিতল।মাসখানেক আগেই অনূর্ধ্ব-১৯ ছেলেদের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল ভারত। মাস ঘোরার আগেই সেই হারের বদলা নিয়ে নিলেন ভারতের মেয়েরা। এবারই প্রথম মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের আয়োজন করেছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। তাতেই চ্যাম্পিয়ন হল ভারত।

Card image cap

উত্থাপ্পার বিরুদ্ধে জারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার রবিন উত্থাপ্পার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অভিযোগ তাঁর পরিচালিত কোম্পানি প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে প্রতারণা করেছে। যার পরিমাণ ২৩ লক্ষ টাকা। অভিযোগ, কোম্পানির কর্মচারীদের থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য টাকা কাটা হলেও তা তাদের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়নি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পিএফ বিষয়ক আঞ্চলিক কমিশনার সদাক্ষরা গোপাল রেড্ডি প্রাক্তন কেকেআর ব্যাটারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। বেঙ্গালুরুর পুলকেশিনগরের পুলিশকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।উত্থাপ্পা সেঞ্চাউরুস লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডস নামক একটি কোম্পানির ডিরেক্টর। সেই কোম্পানি প্রভিডেন্ট ফান্ডের ২৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬০২ টাকা বকেয়া অর্থ জমা করেনি। সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে উত্থাপ্পার হাতে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে। যদি তার মধ্যে তিনি বকেয়া অর্থ জমা না করেন, তাহলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে। কিন্তু পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, যে ঠিকানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে, সেখানে উত্থাপ্পা বর্তমানে থাকেন না। গত এক বছর তিনি দুবাইয়ে থাকেন বলেই খবর। উত্থাপ্পার থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, “আমরা একসপ্তাহ আগে পিএফ অফিস থেকে চিঠি পাই। যেখানে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার জন্য আবেদন করা হয়। উত্থাপ্পা আগে পুলকেশিনগরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন। আমাদের প্রতিনিধিরা সেই জায়গায় গিয়ে জানতে পারেন, গত একবছর ধরে তিনি সেখানে থাকেন না। বর্তমানে তিনি দুবাইয়ে থাকেন। আমরা এই বিষয়ে পিএফ অফিসের সঙ্গে কথা বলেছি।”উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন উত্থাপ্পা। ২০০৬ সালে অভিষেক হয় তাঁর। দেশের হয়ে ৪৬টি ওয়ানডেতে ৯৩৪ রান ও ১৩টি টি-টোয়েন্টিতে ২৪৯ রান করেছে। ২০০৭ সালে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। কেকেআরের হয়েও আইপিএল জিতেছেন। ২০১৪ সালে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন।

Card image cap

নেটে চোট পেলেন কেএল রাহুল

ব্রিসবেন টেস্টে ভারতের ড্রয়ের অন্যতম নায়ক কেএল রাহুল। চাপের মুখে ৮৪ রান করেছিলেন ভারতীয় ওপেনার। পরের টেস্ট মেলবোর্নে। সেখানেও ওপেনিংয়ের দায়িত্ব সামলানোর কথা রাহুলের। কিন্তু মেলবোর্নের প্র্যাক্টিস সেশনে যে ছবি ধরা পড়ল, তা দেখে চিন্তায় পড়তে পারেন দেশের ক্রিকেটভক্তরা।ঠিক কী ঘটল সেখানে? আচমকা দেখা গেল ডান হাতের গ্লাভস খুলে ফেলেছেন রাহুল। ফিজিও শুশ্রূষা চালাচ্ছেন। কিছুক্ষণ কবজি ঘুরিয়ে দেখেন সাবলীল হতে পারছেন কিনা। সোশাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভক্তদের মধ্যে। তবে কি অনুশীলনে চোট পেয়েছেন রাহুল? যদিও সেই সংক্রান্ত তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। এমনকী পরে রাহুল ফের অনুশীলন করেছেন কিনা, সেটাও জানা যায়নি।তাতে অবশ্য দুশ্চিন্তা কমছে না। গাব্বা টেস্টে ব্যর্থ হয়েছিলেন রোহিত-বিরাটের মতো তারকারা। রান পাননি ঋষভ পন্থ, যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমান গিলরা। সেখানে মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছিলেন রাহুল। কামিন্স-স্টার্কদের সামলে ৮৪ রান করেন। পরে রবীন্দ্র জাদেজা, বুমরাহ, আকাশ দীপরা ফলো অন বাঁচাতে সাহায্য করেন।বর্ডার গাভাসকর ট্রফির প্রথম টেস্টেও ৭৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন। সেই টেস্ট রোহিত শর্মা না থাকায় ওপেনিংয়ের সুযোগ পান রাহুল। পরে রোহিত ফিরে এলেও তাঁর জায়গা বদলায়নি। অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। কিন্তু গাব্বায় জ্বলে উঠেছেন। রাহুলের মতে, ধৈর্য্য ধরেই সাফল্য পেয়েছেন। তবে মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে যদি তিনি না থাকেন, তাহলে নিঃসন্দেহে চাপ বাড়বে ভারতের উপর।

Card image cap

‘অশ্বিনের জমকালো বিদায় প্রাপ্য ছিল’

প্রবল অনাড়ম্বরে যে ভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, তা মনঃপুত হয়নি কপিল দেব নিখাঞ্জের। ভারতের প্রথম বিশ্বজয়ী অধিনায়কের মতে, একটা বিদায়ী সংবর্ধনা বা যথাযথ ফেয়ারওয়েল প্রাপ্য ছিল অশ্বিনের।মাত্র চব্বিশ ঘণ্টা আগে ক্রিকেটবিশ্বকে হতবাক করে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছেন অশ্বিন। ব্রিসবেন টেস্ট শেষে স্রেফ নিজের অবসর ঘোষণা করে চলে যান তিনি। কোনওরকম ফেয়ারওয়েলের সুযোগ না দিয়ে। টেস্টে ৫৩৭ উইকেটের মালিকের এ হেন অনাড়ম্বর বিদায় পছন্দ হয়নি কপিলের। বরং তাঁর মনে হয়েছে, ভারতীয় অফস্পিনার কোনও একটা বিষয় নিয়ে অখুশি। “ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারদের একজন যে ভাবে গতকাল হঠাৎ খেলা ছেড়ে দিল, তা দেখে আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি। ভারতীয় সমর্থকরা হতাশ তো হয়ে পড়েছেন বটেই, একই সঙ্গে অশ্বিনের মুখেও আমি বেদনার ছায়া দেখতে পেয়েছি। ওকে দেখে খুশি মনে হয়নি আমার। আর সেটাই মন খারাপ করে দেওয়ার মতো বিষয়। আমার মতে, একটা ভালো ফেয়ারওয়েল প্রাপ্য ছিল অশ্বিনের। একটা জমকালো বিদায় ওর প্রাপ্য ছিল,” বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলে দিয়েছেন কপিল।উঁহু, এখানেই যে ভারতবর্ষের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার থেমে গিয়েছেন, ভাবার কারণ নেই। কপিল আরও বলেছেন, “অশ্বিন অপেক্ষা করতেই পারত। দেশের মাটিতে টেস্ট খেলে অবসর নিতে পারত। জানি না, হঠাৎ কেন খেলা ছেড়ে দিল ও। আমি অশ্বিনের দিকটাও শুনতে চাই। আরে, অশ্বিনকে ওর প্রাপ্য সম্মানটা তো দেবেন।। ছেলেটা দেশের হয়ে ১০৬- টা টেস্ট খেলেছে। আমার তো মনে হয় না, ভারতীয় ক্রিকেটে অশ্বিনের মতো বিশাল অবদান আর কারও আছে বলে।”কপিল আশা করেন, বোর্ড দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্পিনারকে যোগ্য মর্যাদা-সহ বিদায় জানানোর বন্দোবস্ত করবে। করা উচিতও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সমস্ত ফর্মাট মিলিয়ে ৭৬৫ টেস্ট উইকেট-একমাত্র অনিল কুম্বলে ছাড়া কারও নেই। “কী অকুতোভয় ক্রিকেটার ছিল অশ্বিন। ম্যাচের যে কোনও সময় বল করার ক্ষমতা রাখত ও। এ রকম বোলার সচরাচর পাওয়া যায় তো? একদিকে যার ক্রিকেট মেধা দারুণ, ক্রিকেট বোধ দারুণ। আবার আর একদিকে, সমস্ত পরিস্থিতির সঙ্গে যে মানিয়ে নিতে পারে। ক্রিকেটে ক্যাপ্টেন্স গো টু ম্যান বলে একটা কথা রয়েছে। অশ্বিন ঠিক তাই ছিল,” বলতে থাকেন কপিল। “স্পিনারদের মধ্যে খুব বেশি কাউকে নতুন বলে বোলিং করতে দেখবেন না। অনিল কুম্বলে সেটা পারত বলে মনে আছে। আমার ভাগ্য ভালো, দলে জায়গা পেতে আমাকে অশ্বিনের সঙ্গে লড়তে হয়নি। তা হলে আমি হয়তো সুযোগই পেতাম না দেশের হয়ে খেলার। অশ্বিন ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং, সব দারুণ ভাবে করতে পারে। ওর হাতে ক্যারম বল আছে। স্লোয়ারটা মারাত্মক দেয়। প্রয়োজনে আবার লেগস্পিনও করে দেয়। ক্রিকেট মাঠে একজন ক্রিকেটারের পক্ষে যা যা করা সম্ভব, সবই করতে পারে অশ্বিন,” যোগ করেছেন পঁয়ষট্টি বছরের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক। সরব কপিল।