CATEGORY games:

Card image cap

বর্ষবরণের বিকেলে ইডেনে নাইটদের ম্যাচে রাজকীয় মেলবন্ধন

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: নববর্ষের বিকেলে শহরে বাদশাহী জৌলুস। কলকাতা নাইট রাইডার্স- লখনউ সুপার জায়ান্টস মহারণ।এই বর্ষবরণের বিকেলেই ফের রাজকীয় মেলবন্ধনের সাক্ষী হতে চলেছে শহর কলকাতা। ইডেনে নাইটদের ম্যাচ দেখতে আসছেন কিং খান। শাহরুখের উপস্থিতিতেই সন্ধের ইডেনে শোনা যাবে করবো, লড়বো, জিতব রে।

শাহরুখ খান উপস্থিত মানেই আরও উজ্জীবিত নাইট শিবির, শাহরুখ খান মানেই গ্যালারিতে এনার্জি আর এনার্জি। খেলার শেষে শাহরুখ নেমে পড়েন মাঠে। গোটা স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করেন। দারুণ এক দৃশ্যকল্প তৈরি হয় ইডেনে। এমন দৃশ্য আগেও দেখেছে ইডেন। এর আগে চলতি মরশুমে ইডেনে একটি ম্যাচই খেলেছে কেকেআর (KKR)। সেদিনও মাঠে ছিলেন বলিউড বাদশাহ। সেদিন রাসেল-রিঙ্কুরা হায়দরাবাদকে হারানোর পরও শাহরুখের মুখে দেখা গিয়েছিল চেনা উচ্ছ্বাস। খেলা শেষে মাঠ নেমে পড়ে নাইটদের সঙ্গে মেতেছিলেন উৎসবে। চমকে দিয়েছিলেন রঘুবংশী, হর্ষিতদের মতো তরুণ তারকাদের।

এবার আবার কেকেআর-এলএসজি ম্যাচে শাহরুখ খান থাকবেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত থাকতে পারেন বলিউডের অন্যান্য তারকারাও। আইপিএলে (IPL 2024) চলতি মরশুমের শুরুটা দারুণ করেছে কেকেআর। প্রথমবার প্রথম তিন ম্যাচেই জয়ের মুখ দেখেছে শ্রেয়স আইয়ার ব্রিগেড। মেন্টর হিসেবে গৌতম গম্ভীরের উপস্থিতি এবার কেকেআর শিবিরে বাড়তি প্রাণশক্তি সঞ্চার করেছে। তাই শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে বিশ্রী হারেও বিশেষ আমল দিচ্ছে না নাইট শিবির। অন্যদিকে গম্ভীরের প্রাক্তন দল লখনউ এবার চেনা ছন্দে নেই। তাই রবিবার সন্ধ্যায় শাহরুখের উপস্থিতিতেই ইডেনে শোনা যাবে ‘করবো, লড়বো, জিতব রে।’

Card image cap

সঞ্জু স্যামসন বনাম ভিরাট কোহলি: কে হবে আসন্ন বিশ্বকাপের হিরো?

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক:২০২৪ আইপিএল টুর্নামেন্টে রাজস্থান রয়্যালস দলের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন, চলতি আইপিএল টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছেন। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে ইতিমধ্যেই তিনি তিনটে হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেছেন। অন্যদিকে পিছিয়ে নেই বিরাট কোহলিও। তিনিও একটি শতরানের পাশাপাশি জোড়া হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের তিন নম্বর ব্যাটার হিসেবে কাকে সুযোগ দেওয়া হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।

২০২৪ আইপিএল টুর্নামেন্টে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে আপাতত চার নম্বরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সঞ্জু স্যামসন। রাজস্থান রয়্যালস দলের অধিনায়ককে এবারের টুর্নামেন্টে যেন এক নয়া অবতারে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই তিনি ১৫৭.৬৯ স্ট্রাইক রেটে মোট ২৪৬ রান করেছেন। ভারতের এই উইকেটকিপার-ব্যাটার ইতিমধ্যেই নিজের যোগ্যতার প্রতি সুবিচার করেছেন এবং আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট স্কোয়াডে নিজের নামটা সবার আগে তুলে ধরেছেন। এবারের আইপিএল টুর্নামেন্টে স্যামসন ইতিমধ্যে তিনটে হাফসেঞ্চুরি করেছেন এবং তাঁর ব্যাটিং গড় ৮২.০০।

অন্যদিকে, ২০১৬ সালের পর থেকে নিজের হারানো ফর্ম খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছেন বিরাট কোহলি। বর্তমানে আইপিএল টুর্নামেন্টে কমলা টুপি অর্জনকারী বিরাট মনে করেন যে ক্রিকেট থেকে এখনও তাঁর অনেককিছু অর্জন করা বাকি রয়েছে। চলতি আইপিএল টুর্নামেন্টে তিনি শুরুটা বেশ ধীরগতিতে করলেও, ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন। সবথেকে বড় কথা, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে একাই লড়াই করে যাচ্ছেন বিরাট।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ব্রিগেডের একমাত্র যোদ্ধা  কিং কোহলি, গত চার ম্যাচে  ইতিমধ্যেই ৩১৬ রান করে ফেলেছেন। ২০২৪ আইপিএল টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক রানের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন কোহলি। তাঁর ব্যাট থেকে একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুটো হাফসেঞ্চুরিও সকলের নজর কেড়েছে। তবে বিরাটের স্ট্রাইক রেট নিয়ে কিন্তু অবশ্যই একটা চিন্তা রয়ে গিয়েছে।

অনেকেই হয়ত বিরাট কোহলির স্ট্রাইক রেট নিয়ে তর্ক জুড়তে পারেন। তবে এক্ষেত্রে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে কোহলি যখন শতরানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, সেইসময় RCB-র কোনও ব্যাটারই তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিতে পারেনি। বর্তমানে বিরাট কোহলি ১৪৬.৩০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করছেন। তবে কোহলির মধ্যে যে অগাধ অভিজ্ঞতা রয়েছে, তা অন্য যে কোনও ব্যাটারের থেকে তাঁকে আলাদা করবে। আর এই জায়গাতেই কিং কোহলি আসন্ন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে অনায়াসে নিজের নাম লেখাতে পারেন।

Card image cap

IPL শুরুর আগে হার্দিক কি ভাবছে?

নানা রং খেলা করছে যেন তাঁর চোখে-মুখে। এত দিন শুধু প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এত দিন যাই করেছেন, খুব একটা চাপের মধ্যে পড়তে হয়নি। কিন্তু এ বার কেরিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সময়ে পা দিতে চলেছেন হার্দিক । তাঁর প্রতিটা সিদ্ধান্ত মাপবে জনতা, তাঁর প্রতিটা ম্যাচ ফেলা হবে আতসকাচের তলায়, প্রতি মুহূর্তে ভালো-খারাপের জবাবদিহি করতে হবে। এ হেন হার্দিক পান্ডিয়া আইপিএলে নেমে পড়ার আগে নিজে কতটা তৈরি? মানসিক ভাবে কতটা প্রস্তুত চ্যালেঞ্জ সামলানোর জন্য? তাঁর টিমই বা কী ভাবছে? প্রথম বার প্রেস মিটে তুলে ধরলেন সব কিছু। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলা সব সময়ই চাপের। আইপিএলে নামার আগে আমরা কতটা তৈরি, কতটা প্রস্তুতি নিয়েছি, তার উপর কিছুই নির্ভর করবে না। চাপ থাকবেই। ফলাফল আমাদের হাতে নেই। তবে একটা কথা দিতে পারি, আমরা এমন ক্রিকেট খেলব, সবাই উপভোগ করবে। সাফল্য পেতে আমি কখনওই খুব বেশি মরিয়া হয়ে উঠি না। ঠিক সে ভাবেই ব্যর্থতার দায়ও নিজের উপর চাপাই না। আমি যা অর্জন করেছি, তা করতে এই মনোভাব আমাকে ভীষণ ভাবে সাহায্য করেছে। সাফল্য পেতে হলে সময় দিতে হয়। এমন নয় যে, মাঠে নামলাম, শাকালাকা বুম বুম নাচলাম আর ট্রফি জিতে গেলাম। বিশ্বকাপে চোট পাওযার পর একটাই প্রশ্ন ছিল আমার সামনে, আধা ফিট হয়ে খেলতে নামব ভারতের হয়ে? আমার উত্তর ছিল না। চোট থেকে বেরিয়ে আসার পর দেখি, আফগানিস্তান সিরিজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আইপিএলে আমি অলরাউন্ডার হিসেবেই খেলব। চেষ্টা করব যত বেশি ম্যাচ ফিনিশ করতে পারি। ব্যাটিংয়ের প্রতি আমার ভালোবাসি একটু বেশিই। ফিনিশার হিসেবে নিজেকে দেখতে ভালোই লাগে। তবে আমি অলরাউন্ডার হিসেবে যদি নিজেকে তুলে ধরতে পারি, সেটাতে বেশি তৃপ্তি পাব। এ বারের আইপিএলে যত বেশি পারি ম্যাচ খেলার চেষ্টা করব। দীর্ঘ সময় ধরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এক নম্বর বোলার বুমরা। গত বছর ওকে টিম পায়নি। তবে এ বার বুমরাকে পুরো মাত্রায় পাওয়া যাবে। আশা করি ও একই রকম আগুন ঝরাবে। শুধু তাই নয়, বুমরার এত অভিজ্ঞতা, বোলিং ইউনিটকে ওই নেতৃত্ব দেবে। টিমের প্রতি আমার একটা দারুণ অনুভূতি কাজ করে। আজ যেখানে পৌঁছেছি, কখনও সেখানে আসতে পারব, ভাবিনি। ঘরে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। যে টিমের হয়েই খেলি না কেন, সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা সব সময় করি। নিজের টিমের প্রতি সৎ থাকাটা জরুরি। আমরা সবাই একটা টিমের হয়ে নামব।