CATEGORY state:

Card image cap

মৃত প্রসূতির পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বিষাক্ত স্যালাইন কাণ্ডে তোলপাড় বাংলা। এই পরিস্থিতিতে মেদিনীপুর মেডিক্যালে মৃত প্রসূতির পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারের এক সদস্যকে দেওয়া হবে চাকরি। ঘটনার সূত্রপাত গত ৮ জানুয়ারি। ওইদিন রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঁচ প্রসূতির সি সেকশনের ঘটনায় যত বিপত্তি। মৃত্যু হয় প্রসূতি মামণি রুইদাসের। সদ‌্যোজাত পুত্রসন্তানকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তবে দুদিন পরই ফের তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। জণ্ডিসের উপসর্গ ছিল তার। মাতৃমা বিভাগের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল সে। পরবর্তীতে তাকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। পাঁচ প্রসূতির অসুস্থতাকে কেন্দ্র করেই ওঠে বিষাক্ত স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তিন প্রসূতিকে গ্রিন করিডর করে পাঠানো হয় কলকাতায়। এখানেই চলছে চিকিৎসা। এসবের মাঝে বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে অসুস্থ রেখা দাসের সদ্যোজাত সন্তানের। এদিনই নবান্ন থেকে মেদিনীপুর কাণ্ডে ঘটনার সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকদের একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাফ বললেন, চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করলে এই পরিস্থিতি হত না।এদিন নবান্ন থেকেই মামণি রুইদাসের মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, মৃতার পরিবারকে এককালীন ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে। এছাড়া পরিবারের এক সদস্যকে দেওয়া হবে চাকরি। এদিন তিনি আরও বলেন, স্যালাইন কাণ্ডে স্বাস্থ্যদপ্তর ও সিআইডির জোড়া তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে চিকিৎসকদের গাফিলতি প্রমাণিত হয়েছে। সেই কারণে হাসপাতালের সুপার-সহ জুনিয়র এবং সিনিয়র মিলিয়ে মোট ১২ চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য। সাসপেন্ড হওয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত চলবে।

Card image cap

বাঘাযতীনে ফ্ল্যাট ভাঙার ২ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার প্রোমোটার

বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনিতে ফ্ল্যাট ভেঙে পড়ার ঘটনার দুদিনের মধ্যে গ্রেপ্তার প্রোমোটার। বৃহস্পতিবার দুপুরে সুন্দরবন জেলা পুলিশের সাহায্যে অভিযান চালিয়ে বকখালি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার বহুতল বিপর্যয়ের পর তিনি বকখালিতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। ফ্রেজারগঞ্জ থানার পুলিশের জালে সুভাষ রায় নামে ওই প্রোমোটার।মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। ইতিমধ্যেই প্রোমোটার সুভাষ রায় ও আট বাসিন্দার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। তাতে বলা হয়েছে, প্রশাসনকে না জানিয়েই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করা হয়েছিল। মাটি পরীক্ষা না করে চলছিল ‘হাইড্রলিক জ্যাকিং’। প্রোমোটার সুভাষ রায়ের সংস্থা নাগরা কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড এই কাজ করছিল। মঙ্গলবার রাতেই শুরু হয়েছিল বিল্ডিংটি ভাঙার কাজ।এই ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন প্রোমোটার সুভাষ রায়। পুলিশ তদন্তে নেমে তাঁর খোঁজ করতে গিয়ে দেখে, এলাকাতেই নেই তিনি। মোবাইলে ফোন করলে সুইচড অফ বলা হয়। তবে তাঁর সন্ধানে তল্লাশি জারি রেখেছিল পুলিশ। সূত্রের খবর, বুধবার রাতে একবার মোবাইল ফোন অন করেন সুভাষ রায়। তাতেই তাঁর টাওয়ার লোকেশন জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্র জানা যায়, বকখালির এক আবাসিক হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছেন সুভাষবাবু। বৃহস্পতিবার সকালে সুন্দরবন জেলা পুলিশের অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ থানার পুলিশের সাহায্যে ওই হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে শেষপর্যন্ত বাগে আনে সুভাষ রায়কে। তাকে বকখালি থেকে কলকাতায় আনা হচ্ছে। 

Card image cap

ওয়েবসাইটে এফআইআর তুলতে গড়িমসি!

হাওড়া ও কলকাতা পুলিশের ওয়েবসাইট নিয়ে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। একটি এফআইআর দায়েরের পর আপলোড করতে হাওড়া ও কলকাতা কমিশনারেটের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। অথচ এক্ষেত্রে অন্য জেলা অনেকটাই এগিয়ে। এই অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।থানায় এফআইআর দায়ের হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটি ওয়েবসাইটে আপলোড হওয়াই নিয়ম। অথচ এক্ষেত্রে হাওড়া কমিশনারেটের অবস্থা খুব খারাপ। অভিযোগ, দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তারা এফআইআর নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে আপলোড করে না। শুধু হাওড়া নয়, কলকাতা পুলিশেরও একই দশা। এনিয়ে মামলাকারী কার্তিক মিশ্র চারবছর ধরে বিভিন্ন ফোরামে মামলা করেছেন।জানা গিয়েছে, কলকাতার ক্ষেত্রে এফআইআর আপলোড করার ক্ষেত্রে ভালো হলেও আবেদনকারীকে এত বেশি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে মূল পেজে আসতে হয় যার ফলে ব্যবহারকারীদের অসুবিধা হয়। অন্যান্য রাজ্য, শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে এমন কোনও সমস্যা নেই। এমনকী, বাংলার অন্যান্য জেলাতেও এই সমস্যা নেই। অথচ এই দুই কমিশনারেটে সমস্যা চলছে। যদিও হাওড়া পুলিশ আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে, এই অভিযোগ সত্যি নয়। তারা সব আপলোড করেছে। একই মত কলকাতা পুলিশের। 

Card image cap

শিয়ালদহ থেকেও ছুটবে বন্দে ভারত!

এতদিন হাওড়া থেকে মিলত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আমজনতার জন্য সুখবর। এবার শিয়ালদহ থেকেও চলবে এই ট্রেন। আপাতত প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর কাজ চলছে বলে রেল সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, তিনমাসের মধ্যেই শিয়ালদহ থেকেই পেতে পারেন এই সেমি হাই স্পিড ট্রেন।রেল সূত্রে খবর, কলকাতা টার্মিনাল লাগোয়া কাশীপুরে আধুনিক কোচিং ডিপো তৈরি করা হবে। তার জন্য খরচ হবে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। ট্র্যাকের কাজও হবে। কাজ শেষ হলেই শিয়ালদহ থেকে বন্দে ভারত ছুটবে। ইতিমধ্যেই ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার-সহ পদস্থ আধিকারিকরা। অর্থাৎ শুধু সময়ের অপেক্ষা।উল্লেখ্য, রেলের তরফে সারা দেশে বন্দে ভারত চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কয়েকবছর আগে। তালিকায় স্বাভাবিকভাবেই ছিল বাংলাও। এরাজ্যে প্রথম বন্দে ভারত চালু হয় হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি রুটে। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট নয়টি রুটে চলে এই সেমি হাই স্পিড ট্রেন। হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি, হাওড়া-পুরী, নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি, হাওড়া-পাটনা, নিউ জলপাইগুড়ি-পাটনা এবং হাওড়া-রাঁচি, হাওড়া-ভাগলপুর, হাওড়া-গয়া ও হাওড়া রৌরকেল্লা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। 

Card image cap

মালদহ শুটআউটে নয়া তথ্য

মালদহ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নামতেই পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্ত জাকিরের সঙ্গে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের শত্রুতা ছিল গুলিবিদ্ধ বকুল শেখের। আগে বহুবার অশান্তিতে জড়িয়েছিলেন তাঁরা। পরবর্তীতে দিন পনেরো আগে তৃণমূলে যোগ দেয় জাকির। তারপরই এই ঘটনা। কিন্তু কেন? একাধিক মোটিভ বাড়াচ্ছে ধন্দ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক রিকশা চালক-সহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।এক তৃণমূল নেতাকে খুন ও অঞ্চল সভাপতিকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তাল মালদহের কালিয়াচক। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান ছিল, রাজনৈতিক কারণে এই ঘটনা। কিন্তু এর নেপথ্যে উঠে এসেছে পুরনো শত্রুতা, ভাগ বাটোয়ারা সংক্রান্ত অশান্তি। জানা গিয়েছে, এলাকা কার দখলে থাকবে তা নিয়ে বকুলের সঙ্গে জাকির শেখে শত্রুতা কমপক্ষে ১০ বছরের। একাধিকবার তা বিরাট আকারও নিয়েছে। পরবর্তীতে রাজনীতিতে যোগ দেন বকুল। এদিকে এলাকার আরেক তৃণমূল নেতা রফিক শেখের সঙ্গে বকুলের সম্পর্ক বিশেষ ভালো ছিল না। রফিক চেয়েছিলেন কালিয়াচকের অঞ্চল সভাপতির দায়িত্ব পেতে। কিন্তু দল সেই দায়িত্ব দেয় বকুলকে। এরপরই দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন রফিক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন।সম্প্রতি রফিক দলে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। জাকিরও তৃণমূলে যোগ দেবে বলে ঠিক করে। দিন পনেরো আগে দুজনই তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন। সূত্রের খবর, জাকিরকে তৃণমূলে নেওয়া হোক তা চাননি বকুল। কিন্তু তার সিদ্ধান্ত ছাড়াই জাকিরকে তৃণমূলে নেওয়া হয়। তার ১৫ দিনের মাথায় এই ঘটনা। কিন্তু কেন তৃণমূলে যোগ দিয়েই বকুলকে খুনের চেষ্টা? নাকি খুনের প্ল্যান করেই তৃণমূলে যোগ, তা জানার চেষ্টায় পুলিশ। যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে, তাদের জেরা করে কিছু তথ্য মিলতে পারে বলে আশাবাদী পুলিশ।

Card image cap

গঙ্গাসাগর মেলার পরই নবান্ন অভিযান

গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হওয়ার ঠিক পরেরদিন অর্থাৎ আগামী ১৬ জানুয়ারি নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে একটি সংগঠন। ওইদিনই গঙ্গাসাগর থেকে ঘরে ফিরবেন দূর-দূরান্তের পুণ্যার্থীরা। নবান্ন অভিযানের কারণে, তাঁদের যাদের সমস্য়া না হয় সেই দাবিতেই আদালতে দায়ের জনস্বার্থ মামলা। আগামী বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভাবনা।সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নানের জন্য প্রতিবছরই গঙ্গাসাগরে আসেন কয়েক লক্ষ মানুষ। শুধু বাংলা নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দারা শামিল হন গঙ্গাসাগর মেলায়। দেখা মেলে বিদেশিদেরও। সংক্রান্তির পর একে একে ঘরে ফেরেন সকলে। ১৫ তারিখ গঙ্গাসাগর মেলার শেষদিন। স্বাভাবিকভাবেই তারপরই ঘরে ফিরবেন রাজ্য ও দেশের বিভিন্নপ্রান্তের দর্শনার্থীরা। অধিকাংশই হাওড়া থেকে ট্রেন ধরেন। এদিকে ১৬ তারিখ একটি সংগঠনের তরফে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে।নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে এর আগে একাধিকবার প্রবল অশান্তি দেখা গিয়েছে। রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলত ১৬ তারিখের নবান্ন অভিযানে অশান্তি হলে পুণ্যার্থীরা বিপাকে পড়তে পারেন, এই আশঙ্কায় আদালতে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার দাবি জানানো হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৬ তারিখ মামলার শুনানি।

Card image cap

খাস কলকাতায় ফের ভেঙে পড়ল বহুতল!

 খাস কলকাতায় ফের ভাঙল বহুতল! মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ড বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ল। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে গিয়েছে। তবে আপাতত হতাহতের কোনও খবর নেই। অভিযোগ, আবাসনে মেরামতি কাজ চলছিল। তখনই বিপত্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের লোকজন পৌঁছে গিয়েছেন। রয়েছেন কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করবে পুরসভা। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে তৈরি হয়েছিল বহুতলটি। কিছুদিন আগে সেখানে ফাটল দেখা দেয়। খবর দেওয়া হয় ফ্ল্যাটের প্রোমোটারকে। তিনি মেরামতের আশ্বাস দেন। এদিকে ফাটল দেখা দেওয়ার পরই কিছু বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে হাইড্রোলিক জ্যাক দিয়ে আবাসনটি উঁচু করার কাজ চলছিল। মেরামতির কাজে কাউন্সিলরের অনুমতি ছিল না বলেই খবর। মিস্ত্রিদের কাজ বন্ধ রাখতেও বলেছিলেন তিনি। তারপরেও কাজ চলছিল বলে অভিযোগ। এর মাঝেই মঙ্গলবার হেলে পড়ল বাড়িটি। এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর মিতালী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমি খবর পেয়ে এসেছি। বাড়িটিতে যখন মেরামতির কাজ চলছিল, আমি মিস্ত্রিদের কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিলাম। আমার অফিসে এসে অনুমতি নিতে বলেছিলাম। এর মধ্যেই আবাসনটি হেলে পড়ল।”পুরসভা ইতিমধ্যে আটকে পড়া বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এদিকে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে তারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই এলাকায় তিনতলা ফ্ল্যাট তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে চারতলা বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “পুরনো বাড়িগুলির প্ল্যান খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিন আবাসনটিতে কেউ ছিল না। কোনও হতাহত হয়নি, এটাই সৌভাগ্য।”

Card image cap

সাত বছরের শিশুর যৌন হেনস্তা!

 সাত বছরের শিশুকে বাঁশবাগানে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্তা! কাঠগড়ায় প্রতিবেশী যুবক। শনিবারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থানাতে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। অভিযুক্তকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। এদিকে এই ঘটনায় এনকাউন্টারের দাওয়াইয়ের পক্ষে সওয়াল করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।প্রতিবেশী ও নির্যাতিতা শিশুটির মায়ের দাবি, গতকাল দুপুরে পাড়ার মোড়ে ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল। তখনই প্রতিবেশী যুবক ফারুক কাজী তাকে পাশের বাঁশের বাগানে ফুঁসলে নিয়ে যায়। সেখানে ফারুক এবং আরও দুজন যুবক মিলে তার উপর নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত রামনগর এলাকা। পরিবার ও প্রতিবেশীরা থানার বাইরে জড়ো হন।ইতিমধ্যে রামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে যুবকের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে। হেনস্তার শিকার হওয়া শিশুটির পরিবার বিজেপির সঙ্গে যুক্ত বলে খবর। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব থানার বাইরে জড়ো হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষী গ্রেপ্তার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, “যোগী রাজ্য হলে বলতাম এনকাউন্টার করে দিক। এখানেও এই অভিযুক্তদের এনকাউন্টার করা উচিত।”

Card image cap

ভেন্টিলেশনে সঙ্কটজনক ২ প্রসূতি, বাকিরা আইসিউতে

স্যালাইনের বিষক্রিয়ার জেরে মেদিনীপুর মেডিক্যালের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চার প্রসূতি। তাঁদের ডায়ালিসিস থেকে একাধিক পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। দুজন ভর্তি ভেন্টিলেশনে। দুজনকে রাখা হয়েছে আইসিউতে। এছাড়াও হাসপাতাল চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে।জানা গিয়েছে, ভেন্টিলেশনে রাখা প্রসূতিদের অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁদের একাধিক শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তাঁদের ডায়ালিসিস থেকে বায়োপসি-সহ একাধিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। আইসিউতে থাকা বাকি দুই রোগী চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বলেই খবর। তাঁদের অবস্থা স্থিতীশীল বলে জানা গিয়েছে। তাঁদেরও বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন চিকিৎসকদের দল।এদিকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল চত্বর। পুলিশে ছয়লাপ এলাকা। রবিবার বিক্ষোভ দেখান ডিওয়াইএফওয়াই। শনিবার তাদের কর্মীদের আটক করা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেয় তারা।মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুতে একের পর এক মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ, নিম্নমানের স‌্যালাইন ও ওষুধপত্র ব‌্যবহার করা হয়েছে রোগীদের। স‌্যালাইনের বোতলে ছত্রাকও মজুত ছিল বলে অভিযোগ সামনে এসেছে।  তার মধ্যেই শুক্রবার সকালে মারা যান মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতি। তারপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শনিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছয় স্বাস্থ্যভবনের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। কীভাবে এই গাফিলতি ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে এই দল গঠন করা হয়েছে। 

Card image cap

গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথে পুণ্যার্থীদের সর্বস্বান্ত করার ছক!

পুণ্যার্জনের আশায় তীর্থে এসে পকেট সাফের আশঙ্কা! পুণ্যার্থীদের ভোগান্তির আগেই ব্যবস্থা নিল রেল। আর তাতেই কেল্লাফতে। গঙ্গাসাগরের পুণ‌্যার্থীদের নিঃস্ব করতে হাওড়া স্টেশনে জড়ো হয়েছিল বিহারের ‘বেগুসরাইয়ের গ‌্যাং’। সেকেন্দ্রাবাদ গরীবরথ এক্সপ্রেসে অপরাধ সংগঠিত করার ছক নিয়ে হাজির তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আরপিএফের সিআইবির গোয়েন্দারা। তাদের কাছে থেকে প্রচুর মাদক ট‌্যাবলেট, ক্রিম বিস্কুট ও জলের বোতল আটক করেছে আরপিএফ।হাওড়া ৭ নম্বর প্ল‌্যাটফর্মে শিকার ধরতে জড়ো হয়েছিল ৩ জন। ট্রেনটির যাত্রীদের সঙ্গে ভাব জমিয়ে তাঁদের মাদক মিশ্রিত জল ও বিস্কুট খাওয়ার জন‌্য পীড়াপীড়ি করার মুহূর্তে টহলদার আরপিএফের নজরে আসে। তখনই তিনজন শম্ভু পাশোয়ান, গোবিন্দ মাহাতো ও মহম্মদ ইরফানকে পাকড়াও করে আরপিএফ। তাদের কাছ থেকে প্রচুর মাদকজাতীয় ট‌্যাবলেট, জল ও বিস্কুট পাওয়া যায়।জেরার মুখে ধৃত দুষ্কৃতীরা জানিয়েছে, গঙ্গাসগরের পুণ‌্যার্থীদের মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে তাদের সর্বস্ব লুঠের পরিকল্পনা নিয়ে হাওড়া এসেছিল। ধৃত তিনজনকে জিআরপির হাতে তুলে দেওয়া হয়। পূর্ব রেলের আরপিএফের আইজি যাত্রীদের সচেতন করে বার্তা দিয়েছেন, অপরিচিত কারোর দেওয়া খাবার ট্রেন বা স্টেশনে খাবেন না। কেউ সে জন্য পীড়াপীড়ি করলে পুলিশকে জানান। প্রায়ই এই অপরাধীদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারান অনেক যাত্রী। উল্লেখ্য, খাবারে বাড়তি ড্রাগে অচৈতন্য হয়ে অনেকেই মারা গিয়েছেন আগে। ফলে সচেতন থাকা জরুরি।

Card image cap

পার্ক স্ট্রিটে ব্যাঙ্কের লকার থেকে গয়না লুটে গ্রেপ্তার দায়িত্বপ্রাপ্তরাই

যাঁদের উপর ভরসা করে ব্যাঙ্কের লকারে মহামূল্যবান হিরে, সোনার গয়না রেখেছিলেন গ্রাহকরা, তাঁরাই কিনা ধরা পড়লেন চুরির দায়ে! এমনই অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছে পুলিশে। পার্ক স্ট্রিটের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা কর্মী এবং তাঁর ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১.২৫ কোটি মূল্যের সোনা ও হিরের গয়না। বাজেয়াপ্ত প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা নগদ, ল্যাপটপ, মোবাইল, বিলাসবহুল গাড়িও। আদালতে পেশ করা হবে ধৃতদের। তাঁদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে মরিয়া গোয়েন্দারা।জানা গিয়েছে, বাড়তি নিরাপত্তার জন্য পার্ক স্ট্রিটের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকারে প্রচুর গ্রাহক সোনা ও হিরের গয়না রেখেছিলেন। লকারের দায়িত্বে ছিলেন মৌমিতা শী নামে বছর তিরিশের এক তরুণী। তিনি কসবার বাসিন্দা। শশী পাসরি নামে এক গ্রাহক নিজের গয়না আনতে গিয়ে তা না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ জানান। তা লালবাজারের গোয়েন্দা দপ্তরের কাছে যায় তদন্তের জন্য। তদন্তে নেমে মৌমিতার উপরই সন্দেহ গিয়ে পড়ে গোয়েন্দাদের। দিনকয়েক তাঁর উপর নজরদারি চালিয়ে গোয়েন্দারা বুঝতে পারেন, সর্ষের মধ্যেই ভূত!গোয়েন্দাদের দাবি, কসবার বাসিন্দা মৌমিতা ও তাঁর দাদা মিঠুন শী মিলে লকারের গয়না সরিয়ে তা দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি, দামি মোবাইল, আই ফোন, ল্যাপটপ, গয়না কিনেছেন। হাতে রেখেছেন বহু নগদ অর্থ। মৌমিতা ও মিঠুনকে কসবা এবং লেকটাউন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। চুরির পাশাপাশি গ্রাহকদের বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে মৌমিতা-মিঠুনের বিরুদ্ধে।

Card image cap

‘বিষাক্ত’ স্যালাইনে প্রসূতি মৃত্যুতে রিপোর্ট চাইল নবান্ন

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘বিষাক্ত’ স্যালাইনের জেরে প্রসূতির মৃত্যুর জের গড়াল নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন। ২ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্যভবনকে এই রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, শনিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যদপ্তরের ১৩ তদন্তকারীরা। কলেজের সুপার ও অধ্যক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় তাঁদের। তার ভিত্তিতে তৈরি হচ্ছে রিপোর্ট। রবিবারের মধ্যে তা নবান্নে জমা দেওয়া হতে পারে। তারপর তা খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিকে, মেদিনীপুর মেডিক্যালে মৃত মামনি রুইদাসকে নিষিদ্ধ ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পরই তড়িঘড়ি ওই স্যালাইন-সহ পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি ১০ টি ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যভবন তরফে নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজকে পাঠানো হয়েছে। বলা হচ্ছে, যে সংস্থার তৈরি স্যালাইন নিয়ে এত বিতর্ক, তাদের তৈরি অন্যান্য স্যালাইনও আপাতত নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। সেসবের নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণাগারে পাঠানো হবে। পরীক্ষার ফলাফল হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে।

Card image cap

শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে ভয়াবহ আগুন

দিনের ব্যস্ত সময়ে শিয়ালদহ স্টেশনের ঠিক বাইরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। শনিবার বিকেলে স্টেশনের বাইরে একটি খাবারের দোকান থেকে ছড়িয়ে পড়ে দাউদাউ আগুন। এত জনবহুল এলাকায় আগুনের খবরে স্বভাবতই তুমুল আতঙ্ক ছড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর পাঠানো হয় দমকলে। তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। তবে আতঙ্কের পরিবেশ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। অগ্নিকাণ্ডের জেরে ওই এলাকায় যানজট তৈরি হয়। বিকেলের ব্যস্ত সময় তা সামলাতে কিছুটা চাপে পড়ে ট্রাফিক পুলিশ। তবে শোনা গিয়েছে, ওই রাস্তা দিয়ে সমস্ত যানবাহনের রুট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, বিকেলে ৪ টে নাগাদ শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে রেলের কোচের মধ্যে যে অত্যাধুনিক রেস্তরাঁ চালু হয়েছে, সেখানেই আগুন লাগে। এসময় রেস্তরাঁয় বেশ ভিড় ছিল। আচমকা অগ্নিকাণ্ডের খবরে সকলে আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত রেস্তরাঁ থেকে বেরতে চান। সেসময় ভিড়ের চাপে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে খবর। খবর পেয়ে বিকেল ৪টে ১৫ নাগাদ দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। আধঘণ্টার মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে আসে বলেও খবর। উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেই রেলের কোচকে ঝকঝকে করে রেস্তরাঁয় পরিণত করা হয়েছে। তাতে ভালোই ভিড়  হচ্ছে। যাত্রী ছাড়াও অনেকেই শিয়ালদহ স্টেশন সংলগ্ন এই রেস্তরাঁয় খাওয়াদাওয়া করতে আাসেন। শনিবারও তেমন ভিড় ছিল। এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে আপাতত রেস্তরাঁটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবার কবে খুলবে, তা নিয়ে চিন্তিত কর্তৃপক্ষ। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, রান্নার সরঞ্জাম থেকেই আগুন লেগেছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কী কারণে আগুন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Card image cap

ভ্যানের হেডলাইটের আলোয় হলদে কালো ডোরাকাটা!

ঝাড়খণ্ডের চাণ্ডিল বনাঞ্চলের চৌকা থানার বাড়োদার একটি স্কুলের পাশ দিয়ে পার হয়ে যায় সে। ওই দিনই এক ঘন্টা পর – রাত ৮.৩০। চাণ্ডিলের বিখ্যাত গোলচক্কর থেকে ৫০০ মিটার দূরে। রুদিয়া-দড়দা রাস্তায় হলদে কালো ডোরাকাটার শরীরের উপর পড়ল গাড়ির হেডলাইটের আলো। চমকে গাড়িচালক ব্রেক কষতেই সেখান থেকে সরে যায় সে।চাণ্ডিলের রাঁচি-জামশেদপুর জাতীয় সড়ক থেকে ২ কিমি দূরে নারগাডিহর পাশে রাত আটটার সময় আবার রাস্তায় চলে আসে সে। পিকআপ ভ্যানের চালক অরুণ কর্মকার চার চাকার গাড়ির হেডলাইটের আলোয় স্পষ্ট দেখতে পান ওই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। পাওয়া যায় পায়ের ছাপও।ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা-খরসোওয়া জেলার চাণ্ডিল শহর লাগোয়া এলাকায় পরপর দুদিনের এই ঘটনাকে বনদপ্তর তালিকাভুক্ত করলেও রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের অবস্থানে আমল দেয়নি। নারগাডিহতে পাওয়া পায়ের ছাপকে বাঘের বলে সিলমোহর দেয়নি ঝাড়খণ্ড বনবিভাগ। তাহলে কি পরপর দুদিন ধরে স্রেফ গুজব? চাণ্ডিল বনাঞ্চলের আধিকারিক শশীরঞ্জন প্রকাশ বলেন, “বাঘের বিষয়টি আমরা গুজব বলব না। তবে গত দুদিনের তিনটি ঘটনায় স্থানীয় মানুষজন যে চিহ্নকে বাঘের পায়ের ছাপ বলছেন, তা কিন্তু নয়। বাঘের গলায় রেডিও কলার না থাকায় আমরা বাঘের সঠিক অবস্থান বুঝতে পারছি না। তবে আমাদের ধারণা, চাণ্ডিল বনাঞ্চলেই বাঘ রয়েছে।”পরিস্থিতি যাই-ই হোক, চাণ্ডিল শহর একেবারে ‘বাঘ’ আতঙ্কে কাঁটা! দিনের বেলায় বাজার জমজমাট হলেও বুধবার থেকে সন্ধ্যা নামার আগেই যেন রাত নামছে পাহাড়ঘেরা চাণ্ডিল শহরে। গত শনি-রবিবার চাণ্ডিল ড্যামের পাশে তিন-চারটে পিকনিক পার্টি থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকে আর ওই এলাকায় সেভাবে কোনও পিকনিক পার্টি দেখা যাচ্ছে না। অথচ ভরা শীতের মরশুম। উইকেন্ডেও এই সময় চাণ্ডিল জলাধার লাগোয়া এলাকার প্রতিদিনই পিকনিকের ভিড় থাকত। পুরুলিয়া থেকে বহু মানুষ পরিকল্পনা করতেন, চাণ্ডিল জলাধারের পাশে পিকনিক করার। কিন্তু এই ছোটনাগপুর মালভূমির পিকনিক স্পটের তালিকায় কার্যত বাদ চাণ্ডিল ড্যাম। শুধু পিকনিক পার্টি নয়, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষামূলক ভ্রমণেও পড়ুয়াদের ওই জলাধারে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার থেকে সেই ছবি একেবারে উধাও। তবে বাঘের আতঙ্ক সেই ৩১ ডিসেম্বর থেকেই। তবে বুধবার থেকে সন্ধ্যাতেই যেন শুনশান হয়ে যাচ্ছে চাণ্ডিল শহর।ওই রাতে পিকআপ ভ্যানের চালক অরুণ কর্মকার নারগাডিহ-চালকবেড়া রাস্তা ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় রাঁচি-জামশেদপুর জাতীয় সড়ক থেকে ২ কিলোমিটার দূরে নারগাডিহ এলাকাতে সেই মঙ্গলবারের মতোই গাড়ির হেডলাইটে ডোরাকাটাকে দেখা যায় বলে দাবি। চালক অরুণ কর্মকারের কথায়, “আমি গাড়ি করে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎই শুনশান রাস্তায় বাঘ দেখতে পাই। ওই অবস্থায় কী করব, বুঝে উঠতে পারিনি। গাড়ি পিছনে করে দিই। তারপর আর কিছু দেখা যায়নি।”এরপর ওই চালক এলাকার বাসিন্দাদের বললে বহু মানুষ সেখানে জড়ো হয়ে যান। তিনি নিজে বনদপ্তরে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে বনদপ্তর সেখানে যায়। কিন্তু তারা ওই ঘটনার আমল দেননি। কিন্তু ওই ঘটনার পর পার হয়ে গিয়েছে ২৪ ঘন্টা। কিন্তু এখনও ওই চালকের কাঁপুনি যায়নি। তাঁর কথায়, “দুদিন আগে নারগাডিহ গ্রামের পাশে আমার বাড়ির লোকজনও বাঘের গর্জন শুনেছিল।” এই ঘটনায় চাণ্ডিল শহর-সহ ছুঁয়ে থাকা বিভিন্ন গ্রাম ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে। চাণ্ডিলের গ্রামাঞ্চল এলাকায় সন্ধ্যাতেই দরজায় খিল দিচ্ছেন মানুষজন। এদিকে চাণ্ডিল ড্যাম লাগোয়া গাঙ্গুডি-পুনর্বাস এলাকার মানুষজন যাঁরা জঙ্গলের উপর নির্ভরশীল, তাঁরা আর ওই জলধার সন্নিহিত জঙ্গলে যাচ্ছেন না।

Card image cap

মেখলিগঞ্জে BSF-কে বাধা BGB-র

মালদহের পর এবার কোচবিহার। ফের অরক্ষিত সীমান্তে কাঁটাতার বসানো নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে ঝামেলা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবির। মেখলিগঞ্জের এই ঘটনায় শেষে বিএসএফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেয়। এই জটিলতার জেরে আপাতত কাঁটাতার বসানোর কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে বিএসএফ-বিজিবির ফ্ল্যাগ মিটিং হওয়ার সম্ভাবনা বলে খবর। ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা তিন বিঘা করিডরের দহগ্রামে।শুক্রবার দুপুরে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের বাগডোকরা ফুলকাডারি গ্রাম পঞ্চায়েতের দহগ্রাম সীমান্তের অরক্ষিত অংশে কাঁটাতার লাগাচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা। গুঞ্জন, বিএসএফই গ্রামবাসীদের দিয়ে এই কাজ করাচ্ছিল। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ফেন্সিংয়ের কাজ হয়ে গিয়েছিল। এরপরই ওপার থেকে বিজিবি তাঁদের কাজে বাধা দেয় বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। বিজিবি-র তরফে বলা হয়, এখানে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যাবে না। গ্রামবাসীরা জানান, দু কিলোমিটার কাঁটাতার দিতে হবে, আরও কাজ বাকি। তাতে বাধা দেয় বিজিবি। এনিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিজিবি-র বচসা শুরু হয়। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ছুটে আসে বিএসএফ। দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। বিকেলে দুপক্ষের পতাকা বৈঠক হতে পারে।এর আগে মালদহের বৈষ্ণবনগর এবং সুখদেবপুরে এলাকার অরক্ষিত এলাকায় কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তার জেরে বৃহস্পতিবার বনগাঁর পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে ফ্ল্যাগ মিটিং হয় দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। তাতে বিজিবি-কে সমঝে দেওয়া হয়, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে দেশের সীমান্ত সুরক্ষা করা বিএসএফের দায়িত্ব। তাই কাঁটাতারহীন এলাকায় তা বসানো হবে। কিন্তু তারপরও শুক্রবার একই পরিস্থিতি হল কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে।

Card image cap

খাস কলকাতায় ৪ পথচারীকে পিষে দিল বাস

ব্যস্ত সময়ে খাস কলকাতার বড়বাজার চত্বরে বাস দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাথে থাকা ৪ পথচারীকে পিষে দিল যাত্রী ভর্তি বাস। মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে একজনের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল মহাত্মা গান্ধী রোড ও কলাকার স্ট্রিটের সংযোগস্থলে। বেশ কিছুক্ষণ ব্যহত হয় যান চলাচল।জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে হাওড়া থেকে শিয়ালদহ যাচ্ছিল ওই যাত্রী ভর্তি বাসটি। মহাত্মা গান্ধী রোড ও কলাকার স্ট্রিটের সংযোগস্থলে ঘটে দুর্ঘটনা। ব্রেক ফেল করে বাসটি। বেঁকে গিয়ে ধাক্কা দেয় ফুটপাথে। সেখান থেকে হেঁটে যাচ্ছিলেন ৪ মহিলা। বাসটি একেবারে পিষে দেয় তাঁদের। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে। খবর পেয়েই পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের তৎপরতায় আহতদের পাঠানো হয় হাসপাতালে। সেখানেই এক মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাসটি নতুন। তা সত্ত্বেও কেন এই ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বাসটির যান্ত্রিক গোলযোগ আগে থেকেই ছিল কি না, বা গোলযোগ রয়েছে জানা সত্ত্বেও রাস্তায় নামানো হয়েছিল কি না, তা জানার চেষ্টায় তদন্তকারীরা। এদিকে ইতিমধ্যেই মৃতার বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে।

Card image cap

ভিড় মেট্রোয় তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা!

ভরা মেট্রো। অফিস যাত্রীদের ভিড়। একে অপরের গায়ে নিশ্বাস ফেলছেন। তিল ধারণের জায়গা নেই। হঠাৎ মহিলার চিৎকার, “কী করছেন আপনি? এখনই পুলিশে ধরিয়ে দেব। ভিড়ের সুযোগ নিচ্ছেন?” যুবকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রেক। কয়েকটি চড়, থাপ্পড়ও খেলেন যুবক।দমদম থেকে কবি সুভাষ যাওয়ার পথে শ্যামবাজার ও শোভাবাজার সুতানুটির মাঝের ঘটনা। মহিলার অভিযোগ, ওই যুবক ভিড়ের সুযোগ নিয়ে আপত্তিজনকভাবে তাঁর শরীর স্পর্শ করেছেন। প্রায় প্রত্যেকে প্রতিবাদ করতে মেট্রো থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। নিজের স্বপক্ষে সঠিক যুক্তিও দিতে পারেননি যুবক। আমতা আমতা করে তিনি বলেন, “হাত আমার ব্যাগের উপর রেখেছিলাম। আপানার গায়ে হাত দিতে চাইনি।” ঘটনায় কোনও থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে কি না জানা যায়নি।ঘোষণা অনুযায়ী, সব মেট্রো কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত ছুটছে। তবে দুটি ট্রেনের মাঝে ব্যবধান বেড়েছে। সকালের দিকে সর্বোচ্চ ১৪ মিনিটের ব্যবধানে মেট্রো চলছে। পরে বেলার দিকে ৭ মিনিটের ব্যবধান রয়েছে। তবে যাত্রী একাংশের অভিযোগ, দিনভর সাত মিনিট অন্তর মেট্রো চলার কথা বলা হলেও আদৌও তেমনটা হচ্ছে না। সেই ব‌্যবধান নানা সময়ে নানা রকম থাকছে। ফলে বাড়ছে ভিড়। সেই সুযোগ নিয়ে ভদ্রতার মুখোশ পরা নিম্ন মানসিকতার ওই যুবক শ্লীলতাহানির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠছে। যা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন যাত্রীরা। 

Card image cap

শান্তি বজায় রাখতে বেনাপোলে বৈঠকে BGB-BSF

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সীমান্তে কাঁটাতারহীন এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের ঝুঁকি বেড়েছে। সীমান্ত সুরক্ষায় তাই বাড়তি নজর দিয়েছে বিএসএফ। চলতি সপ্তাহেই কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে মালদহের বৈষ্ণবনগর সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবি নজিরবিহীন সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। পরে অবশ্য কাঁটাতারের কাজ হয়েছে। পরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় সুখদেবপুরেও। বিজিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ, বারবার কাঁটাতার বসানো নিয়ে আপত্তি তুলেছেন ওপার বাংলার সীমান্তরক্ষী জওয়ানরা। এই আবহে বৃহস্পতিবার বেনাপোল সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিন দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করে দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা সমন্বয় ও শান্তি বজায় নিয়ে আলোচনা করেন।বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার দুদেশের সীমান্তে পেট্রাপোল-বেনাপোলে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের আইজি, বিএসএফ শ্রী মণীন্দর পি.এস পাওয়ার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ হুমায়ুন কবীর, পিএসসি-র মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সীমান্তে সমন্বয় ও শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি দুই সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর আলোচনা হয়। কমান্ডাররা যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আন্তঃসীমান্ত অপরাধের বিরুদ্ধে যৌথ প্রচেষ্টা, সীমান্ত এলাকায় চলমান উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম প্রতিরোধের ব্যবস্থা এবং কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনা।এই বৈঠক অবশ্য পূর্ব পরিকল্পিত। মালদহ সীমান্তে পরপর দুবার কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে বিজিবি-র বাধার পরিপ্রেক্ষিতে মালদহ রেঞ্জের ডিআইজি বুধবার দেখা করেন বিএসএফের আইজি-র সঙ্গে। সেখানে দুজনে কথাবার্তা বলে এদিন পতাকা বৈঠক বা ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের আয়োজন করেন। সেই বৈঠকই হল বনগাঁর পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে।দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের আইজি শ্রী মণীন্দর পি.এস পাওয়ার সীমান্তে আরও নিরাপদ পরিবেশ, স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং এই অঞ্চলে সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্বের উপর জোর দেন। উভয়পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার এবং ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।