CATEGORY state:

Card image cap

হঠাৎ সংজ্ঞা হারালেন ‘কালীঘাটের কাকু’

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ গুরুতর অসুস্থ। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। জেল সূত্রে খবর, সোমবার সকালে হঠাৎ সংজ্ঞা হারান তিনি। হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন ‘কাকু’। সেই সংক্রান্ত অসুস্থতা থেকেই সংজ্ঞা হারান বলে মনে করা হচ্ছে।নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত ‘কাকু’। প্রাথমিকে এই সংক্রান্ত ইডির মামলায় চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সোমবার সেই মামলার শুনানিও রয়েছে বিচারভবনে। এই মামলায় সোমবারই নির্দেশ দেবেন বিচারক। কিন্তু তার আগে জেলে ‘কাকু’ অসুস্থ হয়ে পড়লেন।

নিয়োগ মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ‘কাকু’। সেই মামলায় কিছু দিন আগে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। কিন্তু সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়। সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ‘কাকু’ আবার প্রেসিডেন্সি জেলে ফিরে গিয়েছিলেন।

দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ‘কাকু’। জেল হেফাজতেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। জেলের হাসপাতালে ছিলেন দীর্ঘ দিন। অসুস্থতার কারণে একাধিক বার আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তিনি সশরীরে হাজিরা দিতে পারেননি। এর ফলে তাঁর সিবিআই হেফাজতও পিছিয়ে গিয়েছিল বার বার। পরে চার্জ গঠনের সময়ে তিনি আদালতে সশরীরে হাজিরা দিয়েছেন। কিন্তু আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ‘কাকু’।

Card image cap

হিমেল পরশ বঙ্গজুড়ে

পৌষে শীতের প্রকৃতি বেশ হতাশ করেছে। হাড়কাঁপানো ঠান্ডা দূর অস্ত, দক্ষিণবঙ্গে শীতের আমেজটুকুও তেমন টের পাওয়া যাচ্ছে না। বড়দিনের পর থেকে তাপমাত্রা উর্ধ্বমুখী। তবে বর্ষশেষে শীত ফিরবে বলে সুখবর শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। মঙ্গলবার থেকে পরপর কয়েকদিন ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পারদ পতনের পূর্বাভাস। উত্তুরে হাওয়ায় হিমেল পরশ পাওয়া যাবে রাজ্যজুড়ে। ফলে ২০২৪ কে বিদায় দিয়ে ২০২৫কে স্বাগত জানানোর লগ্নে সঙ্গী হবে শীতের ছোঁয়া। তবে কুয়াশার দাপট থাকবে, কমবে দৃশ্যমানতা।আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পয়লা জানুয়ারি থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায় তৈরি হতে চলেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে ১ এবং ৬ জানুয়ারি। এছাড়া জেডস্ট্রিম উইন্ড রয়েছে উত্তর পশ্চিম ভারতে। পূর্ব বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। এছাড়া রাজস্থানে রয়েছে একটি সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত। রাজস্থানের ঘূর্ণাবর্ত থেকে গুজরাট পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা রয়েছে।আগামী তিনদিনে তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বিভিন্ন জেলায়। পরপর পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তুরে হাওয়ার পথে কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফলে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহতেও জাঁকিয়ে শীত বা কনকনে ঠান্ডা অধরাই থেকে যাবে বলে আভাস হাওয়া অফিসের। এদিকে আগামী ৪৮ ঘন্টায় কুয়াশার দাপট থাকবে উত্তরবঙ্গে। রাতে ও সকালের দিকে কুয়াশায় দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের নিচে নেমে আসতে পারে বেশিরভাগ এলাকায়। কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নামতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের তরফে।দক্ষিণবঙ্গে সোম ও মঙ্গলবার কুয়াশার সম্ভাবনা। বেশি কুয়াশা হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ – এই চার জেলায়। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলাতে কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় মূলত পরিষ্কার আকাশ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। মঙ্গলবার থেকে পারদ পতনের সম্ভাবনা। তিন দিনে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। কলকাতায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৬ ডিগ্রি। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৪৬ থেকে ৮৮ শতাংশ।

Card image cap

সন্দেশখালি সফরে মমতা

লোকসভা ভোটে বসিরহাটে বিশাল জয় পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, সন্দেশখালিতে যাবেন। কথা রাখলেন তিনি। সোমবার দুপুরে সন্দেশখালির মিশন মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি সভা। প্রায় ২০ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে সরকারি পরিষেবা। মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে সন্দেশখালি। জেটিঘাটে বাড়তি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়ে তিনি কী বার্তা দেন, আপাতত সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সন্দেশখালি সফরের কথা জানান। ওইদিন তিনি বলেন, “ভোটের আগে অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, দিদি সন্দেশখালি যাবেন না? বলেছিলাম পরে যাব। আমি ৩০ ডিসেম্বর সন্দেশখালি যাব। সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেব। আমি মঞ্চ থেকে ১০০ জনের হাতে পরিষেবা পৌঁছে দেব। তবে আলাদা আলাদা ক্যাম্প থেকে অন্তত ২০ হাজার মানুষের হাতে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে সেদিন।”বলে রাখা ভালো, লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্দেশখালির ‘ত্রাস’ শেখ শাহজাহানের নাম সামনে আসে। জোর করে জমি দখল, মহিলাদের নির্যাতন-সহ তৎকালীন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জোর চাপানউতোর তৈরি হয়। সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রভাব ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হবে বলেই ভেবেছিলেন বিরোধীরা। যদিও সন্দেশখালি কাণ্ড সেভাবে অক্সিজেন জোগাতে পারেনি বিরোধী বিজেপিকে। সন্দেশখালিতে ফোটে ঘাসফুল। বছর শেষে সেই সন্দেশখালিতে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

Card image cap

আলিপুর পশু হাসপাতালে জিনাত

বাঁকুড়ায় খাঁচাবন্দি জিনাত এখন কলকাতায়। আলিপুর পশু চিকিৎসালয়ের কোয়ারেন্টাইন রুমে রাখা হয়েছে বাঘিনীকে। আপাতত কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাকে। তারপর ওড়িশার সিমলিপালের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে জিনাতকে। যদিও বন আধিকারিকদের দাবি অনুযায়ী, সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে বছর তিনেকের জিনাত।গত ১৫ নভেম্বর, মহারাষ্ট্রের তাডোবা ও আন্ধেরি ব্যাঘ্রপ্রকল্প থেকে সিমলিপালে আনা হয় জিনাতকে। গত ২৮ নভেম্বর ঘরছাড়া হয় সে। ঝাড়খণ্ডে জামশেদপুর বনবিভাগ হয়ে চাকুলিয়ার জঙ্গলে আসে। বেলপাহাড়ির কাঁকরাঝোড়ে দিনদুয়েক ছিল বাঘিনী। তারপর ময়ূরঝর্ণা হয়ে পুরুলিয়ায় রাইকা পাহাড়ে যায়। খাবার, জল ও পাহাড় লাগোয়া জঙ্গলে বাসস্থান অনুকূল থাকায় সেখানেই দিব্যি ছিল সে। তবে হাতি তাড়ানোর কৌশল অবলম্বন করেন বনদপ্তরের কর্মীরা। হুলাপার্টি, মশাল, পটকায় বিরক্ত হয়ে লোকালয়ে চলে যায় জিনাত। মানবাজারের ডাংরডির জঙ্গলে ছিল সে।তবে শুক্রবার রাতে জালের নিচ দিয়ে পালায় জিনাত। তারপর থেকে বর্তমানে মুকুটমণিপুরের কংসাবতী জলাধারের কোল ঘেঁষা রানিবাঁধ ব্লকের বন পুকুরিয়া ডিয়ার পার্কের কাছে গোঁসাইডিহিতে চলে যায়। বাঘিনীর ডেরা বদলের খবর পাওয়ামাত্রই এলাকায় পৌঁছন রাজ্যের মুখ্য বনপাল (দক্ষিণ পশ্চিম চক্র ) বিদ্যুৎ সরকার, বাঁকুড়ার ডিএফও দক্ষিণ প্রদীপ বাউড়ি, এডিএফও মধুরমিলন ঘোষ-সহ বনদপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিক, সুন্দরবন থেকে আসা শুটারের দল।শনিবার বিকেলে গোঁসাইডিহিতে প্রথমবার বনদপ্তরের কর্মীদের ক্যামেরাবন্দি হয় জিনাত। বাঘিনীকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। তবে সে সময় গুলি লক্ষ্যভেদ হয়। এরপর দ্বিস্তরীয় জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। নেটের বাইরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ১০ মিটার অন্তর অন্তর নেট ফেনসিং বরাবর একজন করে কর্মীকে রাখা হয়। রাতে আরও দুটি ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়।তবে বারবার বনকর্মীদের চোখে ধুলো দেয় জিনাত। রবিবার বিকেল ৩টে ৫৮ মিনিট নাগাদ আবারও জিনাতকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তাতেই কাজ হয়। ঘুমপাড়ানি গুলিতে অচেতন হওয়ার পর জাল দিয়ে বাঘিনীকে ঘিরে ফেলা হয়।এরপর বনদপ্তরের গাড়িতে তোলা হয় বাঘিনী জিনাতকে। রবিবার ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত প্রায় ১২ টা ৯ মিনিট। বাঁকুড়ার গোঁসাইডিহির জঙ্গল থেকে গ্রিন করিডর করে আলিপুর পশু চিকিৎসালয়ে নিয়ে আসা হয় বাঘিনীকে। তার চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এক বন আধিকারিকদের দাবি অনুযায়ী, প্রায় ৯ দিন ভালো করে খাওয়াদাওয়া হয়নি জিনাতের। আপাতত পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও খাওয়াদাওয়ার প্রয়োজন। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাকে। তারপর ওড়িশা সরকারের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে জিনাতকে।

Card image cap

বহরমপুরে লক্ষ্য করে চলল গুলি

মুর্শিদাবাদে দুষ্কৃতী নিশানায় তৃণমূল নেতা! শনিবার রাতে বহরমপুর টাউন তৃণমূলের যুব সভাপতিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। যদিও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে দুষ্কৃতীরা। কে বার কারা কী উদ্দেশে এই ঘটনা ঘটাল তা স্পষ্ট নয়। তবে তৃণমূল নেতার সন্দেহে ঘটনার নেপথ্যে বিরোধীরা রয়েছে।গতকাল গভীর রাতে চারচাকা গাড়ি করে বাড়ি ফিরছিলেন যুব তৃণমূল নেতা পাপাই ঘোষ। বহরমপুরের রিংরোড হয়ে বাড়ির ঢোকার সময় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। ওই ঘটনায় গাড়ির পিছনের কাচ ভেঙে যায়। তবে যুব তৃণমূল নেতা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, সবসময় পাপাই ঘোষের সঙ্গে একজন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। গতকাল ঘটনার সময় তাঁর নিরাপত্তারক্ষী সঙ্গে ছিলেন না। সেই সুযোগে ওই যুব নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।কে বা কারা ওই ধরনের ঘটনা ঘটাল, তার তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে পাপাই ঘোষ জানান, তিনি রাজনীতি করেন। বিরোধীরা কেউ ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতেই পারেন। এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। সেই ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ তদন্ত করলেই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে। ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বহরমপুর পুরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে।

Card image cap

বেহালায় ট্রাভেল এজেন্সির আড়ালে জাল পাসপোর্ট চক্র

বেহালায় ট্রাভেল এজেন্সির আড়ালে জাল পাসপোর্ট তৈরি! মোটা টাকার বিনিময়ে চলত নকল আধার তৈরির কারবারও! এবার সেই কারবারের মাথাকে চাঁদপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশ। রবিবার তাকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে। পাসপোর্ট কাণ্ডে এটা সপ্তম গ্রেপ্তারি।ধৃতের নাম মনোজ গুপ্তা। শনিবার গভীর রাতে তাকে গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়ার স্টেশন রোডের একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ভুয়ো নথি ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরি চক্রের মাথা ছিল সে। সূত্রের দাবি, বেহালার সখের বাজারে ট্রাভেল এজেন্সি সংস্থার আড়ালে চলত জাল পাসপোর্ট তৈরি। পাসপোর্ট বানানোর জন্য় তৈরি হত ভুয়ো পরিচয়পত্র। এর মধ্যে অন্যতম ছিল আধার কার্ড।সূত্রে দাবি, অন্যের আধার কার্ড সংগ্রহ করে আধার নম্বর এক রেখে অন্যের নাম. ছবি, ঠিকানা দিয়ে তৈরি হয়ে যেত ভুয়ো আধার। আর তার উপর ভিত্তি করে বানানো হল জাল পাসপোর্ট। ধৃত মনোজের নিজস্ব কম্পিউটারেই বানানো হত জাল নথি। এর আগেও তার খোঁজে দুবার তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। অবশেষে শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হল। ইতিপূর্বে এই ট্রভেল এজেন্সিতে কর্মরত দীপঙ্কর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। 

Card image cap

বাঘিনীকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি!

১৯২ ঘণ্টা পর অবশেষে দেখা মিলল জিনাতের। বাঁকুড়ার রানিবাঁধের কাছে গোঁসাইডিহিতে ক্যামেরাবন্দি বাঘিনী। সূত্রের খবর, ওই এলাকায় তাকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। তা তার গায়ে লেগেছে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে কি অবশেষে বাগে বাঘিনী? বনদপ্তরের তরফে এখনও এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।শনিবার দুপুরের দিকে বনকর্মীরা বাঘিনীকে হেঁটে জঙ্গলে ঘেরা রাস্তা পারাপার করতে দেখেন। তাঁরাই বাঘিনীকে লেন্সবন্দি করেন। রাজ্যের মুখ্য বনপাল (দক্ষিণ-পশ্চিম চক্র) বিদ্যুৎ সরকার জানান, যে জায়গায় বর্তমানে বাঘিনী রয়েছে সেখানে খাঁচা পাতা সম্ভব নয়। সে কারণে ওই এলাকাটিকে দুটি স্তরে জাল দিয়ে ঘেরা হয়েছে। নেটের বাইরে জ্বালানো হয়েছে আগুন। বনদপ্তর সূত্রে খবর, লোকালয় থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে রয়েছে বাঘিনী। তার সঠিক গতিবিধি জানতে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্য নিচ্ছে বনদপ্তর।সূত্রের খবর, বাঘিনীকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয়েছে। বাঘিনীর গায়ে গুলি লেগেছে কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানাননি তিনি।প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর, মহারাষ্ট্রের তাডোবা ও আন্ধেরি ব্যাঘ্রপ্রকল্প থেকে সিমলিপালে আনা হয় জিনাতকে। গত ২৮ নভেম্বর ঘরছাড়া হয় সে। ঝাড়খণ্ডে জামশেদপুর বনবিভাগ হয়ে চাকুলিয়ার জঙ্গলে আসে। বেলপাহাড়ির কাঁকরাঝোড় দিনদুয়েক ছিল বাঘিনী। তারপর ময়ূরঝর্ণা হয়ে পুরুলিয়ায় রাইকা পাহাড়ে যায়। খাবার, জল ও পাহাড় লাগোয়া জঙ্গলে বাসস্থান অনুকূল থাকায় সেখানেই দিব্যি ছিল সে। তবে হাতি তাড়ানোর কৌশল অবলম্বন করেন বনদপ্তরের কর্মীরা। হুলাপার্টি, মশাল, পটকায় বিরক্ত হয়ে লোকালয়ে চলে যায় জিনাত। মানবাজারের ডাংরডির জঙ্গলে ছিল সে। তবে শুক্রবার রাতে জালের নিচ দিয়ে পালায় জিনাত। তারপর থেকে বর্তমানে মুকুটমণিপুরের কংসাবতী জলাধারের কোল ঘেঁষা রানিবাঁধ ব্লকের বন পুকুরিয়া ডিয়ার পার্কের কাছে গোঁসাইডিহিতে চলে যায়। বাঘিনীর ডেরা বদলের খবর পাওয়ামাত্রই এলাকায় পৌঁছন রাজ্যের মুখ্য বনপাল (দক্ষিণ পশ্চিম চক্র ) বিদ্যুৎ সরকার, বাঁকুড়ার ডিএফও দক্ষিণ প্রদীপ বাউড়ি, এডিএফও মধুরমিলন ঘোষ-সহ বনদপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিক, সুন্দরবন থেকে আসা শুটারের দল। স্থানীয়দের দাবি, বাঘিনীর আতঙ্কে ৫টি পরিবারকে গোঁসাইডিহি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের পর্যাপ্ত জল, খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি বলেই অভিযোগ।

Card image cap

অভিষেকের নামে তোলাবাজি

অভিষেকের নামে তোলাবাজি কাণ্ডে তদন্তে তৎপর কলকাতা পুলিশ। কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-কে তলব। শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ ই-মেলের মাধ্যমে তলব করেছে তাঁকে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে ফোন করে বলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে ফোন করা হচ্ছে। বলা হয়, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একাধিক জায়গা থেকে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। যে কোনও মুহূর্তে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। তাঁর আরও দাবি, যদি ৫ লক্ষ টাকা দেন, তাহলে পুলিশি ধরপাকড় থেকে মুক্তি পাবেন বলে ফোনে বলা হয়েছিল। যে মোবাইল নম্বর দিয়ে ফোন করা হয়েছিল সেটির লোকেশন ট্র্যাক করে দেখা যায়, হুগলি থেকে ফোনটি এসেছিল। পাল্টা চেয়ারম্যানকে দিয়ে প্রতারকদের টোপ দেয় পুলিশ। যে নম্বরে ফোন এসেছিল সেই নম্বরে চেয়ারম্যান ফোন করে তাদের দাবিমতো টাকা দিতে রাজি বলে জানিয়ে এমএলএ হস্টেলে ডাকেন ওই প্রতারকদের। এমএলএ হস্টেলে বিজেপি বিধায়ককে দিয়েই ইমরান শেখ নামে এক যুবক ঘর বুকিং করেছিল। কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র ঘরটি বুক করা হয়েছিল।এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিধানসভাপ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একজন বিজেপি বিধায়কের সুপারিশেই ঘর দেওয়া হয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। এমএলএ হস্টেলের অফিসিয়াল রেকর্ড থেকে তা জানানো হয়েছে। যাঁকে ঘর দেওয়া হয়েছিল তাঁর নাম, আধার কার্ড নম্বর সব রেকর্ড করা হয়েছে। আমাদের নিরাপত্তার দিক থেকে যতটুকু নেওয়ার আমরা নিই। কিন্তু এটা জানা থাকে না যে কার সুপারিশে কে ভিতরে ঢুকছেন। কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ভিতরে ঢুকে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নেব।” এরপরই বিজেপি বিধায়কের সুপারিশ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্পিকার বলেন, “আগে জানি তাঁর চিঠি, সুপারিশের বিষয়গুলি। সব দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেব।” এরপর পুলিশি তলবের মুখে কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক।

Card image cap

কড়া পদক্ষেপ কলকাতার নগরপালের

জাল পাসপোর্ট নিয়ে আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে কলকাতা পুলিশ। প্রকাশ্যে এসেছে, ভেরিফিকেশনের সময় পুলিশি গাফিলতির একাধিক উদাহরণ। এমন পরিস্থিতি পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় পুলিশি ভূমিকায় বদল আনছে কলকাতা পুলিশ। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সে কথা জানালেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। আরও কড়া হচ্ছে পুলিশি ভেরিফিকেশন।নয়া প্রক্রিয়া নিয়ে প্রতিটি থানায় নির্দেশিকা পাঠাচ্ছেন নগরপাল। যেখানে বলা হয়েছে, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাসপোর্ট দেওয়ার আগে সব থানার ওসিকে নোডাল অফিসারের সঙ্গে কথা বলতেই হবে। ভেরিফিকেশনের সময় ভিনরাজ্য় থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অপরাধের তথ্য এবং জন্ম তারিখের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সতর্ক হয়ে ঠিকানা যাচাই করতে হবে। ভেরিফিকেশনের সময় পুলিশ কী ভূমিকা পালন করছে, তা খাতায় কলমে নথিবদ্ধ করতে হবে, যাতে পুলিশকে আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে না হয়। পাসপোর্ট আবেদনকারীর ঠিকানা যাচাই করবেন এসিপি, ডিসিপিরা। শুধু ঠিকানা যাচাই নয়, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের গোটা প্রক্রিয়াই যাচাই করতে হবে তাঁদের। যাচাই করা তথ্য জাতীয়স্তরের পোর্টালেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।সীমান্তের ওপারে অশান্ত পরিস্থিতি। মাথাচারা দিয়েছে ভারত বিদ্বেষ। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে এপাল সন্ত্রাসের জাল বুনছে জেহাদিরা। এমন অবস্থায় বর্ষশেষ ও বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে মাতবে তিলোত্তমা। স্বাভাবিকভাবেই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক কলকাতা পুলিশ। নগরপাল জানিয়েছেন, “কলকাতায় যেসমস্ত বহিরাগতরা আশ্রয় নিয়েছে তাদের দিকে নজর রাখা হচ্ছে। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনে কোথায় গলদ হয়েছে, তা দেখা হচ্ছে।”

Card image cap

চার্জগঠনের পরই ইডির মামলা থেকে পার্থ জামিন পাবেন

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির মামলায় অব্যাহতি চাইলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আইনজীবীর দাবি, তিনি এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত নন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ একটি স্বশাসিত সংস্থা। সেখানে পার্থর কোনও ভূমিকা নেই বলেই দাবি পার্থর আইনজীবীর।  ২০২২ সালের ২২ জুলাই, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। ওই একইদিনে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার অভিজাত আবাসনে লাগাতার তল্লাশি চালায় ইডি। সবমিলিয়ে নগদ ৪৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেন ইডি আধিকারিকরা। সেই প্রসঙ্গ তুলে শুক্রবার আদালতে পার্থর আইনজীবী জানান, ওই বছরের ৪ আগস্ট অর্পিতা স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ি থেকে যে টাকা উদ্ধার হয় সেটা তাঁর নয়, পার্থর টাকা। কিন্তু লিখিত বয়ানে কোনও সই নেই। পার্থর প্রশ্ন, “কী করে জানবো কারও কাছ থেকে জোর করে লিখিয়েছে কি না? কারও থেকে কিছু পেলে কী আমি দায়ী?”ইডির অভিযোগ, ৩টে ডামি কোম্পানি তৈরি করে অর্থ তছরূপ হয়েছে। পার্থ ‘ডামি’ ডিরেক্টর রেখেছিলেন। পার্থর আইনজীবী পালটা দাবি করেন, ইডি কতগুলো কোম্পানি নাম বলেছিল। সেখানের ৫ জন ডিরেক্টরের কথা বলে তারা। তাঁদের মধ্যে ২ জনের স্টেটমেন্ট রেকর্ড করা হয়েছে। ১ জন পার্থকে চেনেনই না। পার্থ দাবি করেন, “আমার বাড়ি থেকে কিছু পাওয়া যায়নি।”  আইনজীবীর আবেদন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কোনওভাবেই এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন,  তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। এই মামলায় গত সোমবার চার্জ গঠনের কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন জানান ৯ অভিযুক্ত। তাতেই পিছিয়ে যায় চার্জ গঠন। বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়-সহ মোট ৫৪ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই দিনই বিচারক জানান শুক্রবার অভিযুক্তদের অব্যহতি চাওয়ার শুনানি শুরু হবে। সেই মোতাবেক আজ শুনানি হল।

Card image cap

আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকেও সেমেস্টার

নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক শিক্ষায় বড়সড় রদবদল। এবার থেকে প্রাথমিকেও চালু সেমেস্টার পদ্ধতি। ছোট ছোট পড়ুয়াদের উপর থেকে চাপ কমাতে এবং পড়াশোনায় উৎসাহী করতে চালু হবে ক্রেডিট পয়েন্ট সিস্টেমও। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান গৌতম পাল।তিনি জানান, প্রাথমিকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত চালু হবে সেমেস্টার পদ্ধতি। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রথম সেমেস্টার এবং জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় সেমেস্টার। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ‘পেন অ্যান্ড পেপার লেস’। অর্থাৎ খাতায় কলমে কোনও শিশু শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে হবে না। সারাবছর ক্লাসে কী করবে সে, তা দেখে মূল্যায়ন করা হবে। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের পরীক্ষা দিতে হবে।গৌতম পালের আরও জানান, ২০০৯ রাইট টু এডুকেশন আইন অনুসারে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ‘নো ডিটেনশন’ পলিসি আছে। প্রাক প্রাথমিকে ‘ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক’ আনা হবে না। প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে গোটা শিক্ষাবর্ষে ৮০০ ঘণ্টা এবং তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে গোটা শিক্ষাবর্ষে ১০০০ ঘণ্টা অতিক্রম করতে হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে এক একটি সেমেস্টারে ৩৭৬ ঘণ্টা করে ও তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ৪৬০ ঘণ্টা সেমেস্টারে কাটাতে হবে। লিখিত পরীক্ষা হবে ৬০ ঘণ্টার।এছাড়া নতুন বছরে পড়ুয়াদের জন্য থাকছে ‘ক্রেডিট স্কোর’ও। প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণিকে মোট ৩৭৬ ঘণ্টা ক্লাসের উপর দেওয়া হবে ‘ক্রেডিট স্কোর’। সর্বোচ্চ ‘ক্রেডিট স্কোর’ ১৩.৫। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে বছরে ৪৬০ ঘণ্টা ক্লাসের জন্য সর্বোচ্চ ‘ক্রেডিট স্কোর’ ১৬.৫। নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রশ্নপত্র তৈরি করার দায়িত্ব স্কুলের হাতে থাকবে না। প্রাথমিকের প্রশ্নপত্র তৈরি করবে পর্ষদই। গোটা রাজ্যে একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে। তবে খাতা দেখবে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাই।

Card image cap

সীমান্ত পার করিয়ে হাজতে ৫ দালাল

অশান্ত বাংলাদেশ থেকে ক্রমেই বাড়ছে অনুপ্রবেশ। তাই সীমান্তে কড়া হচ্ছে নজরদারিও। চলছে বিশেষ অভিযানও। এমন পরিস্থিতিতে কাঁটাতার পেরিয়ে এপারে ঢোকার পর নদিয়া থেকে গ্রেপ্তার ১০ অনুপ্রবেশকারী। সঙ্গে ৫ দালালকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, ১০ জন বাংলাদেশি ও ৫ জন দালালকে গ্রেপ্তার করেছে রানাঘাট পুলিশ জেলার হাঁসখালি এবং ধানতলা থানার পুলিশ। গতকাল রাতে যৌথভাবে বিশেষ অভিযান চালায় তারা। মোট ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের চারটি মামলায় আদালতে তোলা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে ভারতীয় দালালদের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রে খবর। রানাঘাট পুলিশ জেলার ডিএসপি (বর্ডার) সোমনাথ ঝাঁ জানান, “সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢোকার খবর পেয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৫ ভারতীয় দালালকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মানবপাচার চক্রের শিঁকড়ের খোঁজ করা হবে।”বাংলাদেশে পরিস্থিতি বদল হতেই সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে ঢোকার প্রবণতা বেড়েছে। কেউ রুটিরুজির তাগিদে ভারতে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে। কেউ আবার জেহাদের জাল বুনতে সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই চক্রান্ত বানচাল করতেই সীমান্তে কড়া নজরদারি চলছে। তারই ফলস্বরূপ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করল জেলা পুলিশ।

Card image cap

জিনাতের আতঙ্কে শুনশান রাস্তা

সন্ধ্যা ছটা না বাজতেই গৃহবন্দি পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়তলি। ঝুপঝাপ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দরজা। বাইরের আলো জ্বললেও নিভিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঘরের আলো। যাতে ঘরের মানুষ আছে তা যেন টের না পায়। ওড়িশার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে আসা বাঘিনী জিনাতের ভয়ে এমনই ছবি। তাই বুধবার সকাল থেকেই দেখা যায় রাইকা পাহাড়তলি এলাকার মানুষজন আত্মরক্ষার্থে লাঠি হাতে ঘুরছেন। বৃহস্পতিবারও একই ছবি ধরা পড়ল।রাহামদা, উদলবনি, কেসরা, লেদাশোল, ঘাঘরা, কেন্দাপাড়া, পোপো একেবারে সিঁটিয়ে রয়েছে জিনাত আতঙ্কে। রবিবার- সোমবার ওই ছবিটা ছিল না। বাঘিনী আসায় ওই এলাকার বনাঞ্চল সমৃদ্ধ হবে এমন কথাও মুখে মুখে ফিরতে থাকে। মঙ্গলবার দুপুরের পর সেই ছবিটা আমূল বদলে যায় । ওই দিন দুপুরে রাইকা পাহাড়ের টিলা ঝাঁঝা-ভাঁড়রি থেকে একের পর এক মৃত ও জখম ছাগল উদ্ধার হতেই ভয় বাড়তে থাকে রাইকা পাহাড়তলির। রাহামদা- লেদাশোল, লেদাশোল-ঘাঘরা রাস্তায় দিনের বেলাতেও মানুষজনের যাতায়াত কমে গিয়েছে। একইভাবে দিনের বেলাতেও শুনশান ঝাঁড়া-ভাঁড়রি টিলা ও রাইকা পাহাড়ের মাঝে থাকা রাস্তাও।মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে রাহামদা গ্রামের শবর টোলা পাহাড় ঘিরে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও আতঙ্ক কাটেনি। রাহামদা গ্রামের শবর টোলার বাবুরাম শবর, লক্ষণ শবর বলেন, “আমরা ভীষণ ভয়ে রয়েছি। জানি না গ্রামে বাঘিনী ঢুকে গেলে কী হবে? জাল কি আটকাতে পারবে?” রবিবার রাইকা পাহাড়ে বাঘ ঢোকার পর বনদপ্তরের মাইকিং-র জেরে ওই এলাকার মানুষজন গবাদি পশু জঙ্গলে পাঠাননি। সোমবার রাত পর্যন্ত বাঘিনীর গতিবিধির কোনও খবর না পাওয়ায় মঙ্গলবার ভোর থেকেই জঙ্গলে পাঠালে বিপদ বাড়ে। মৃত ও জখম ছাগল উদ্ধার হওয়ার পর বুধবার থেকে কোনও গবাদি পশু আর জঙ্গলে পাঠাচ্ছে না রাইকা পাহাড়তলির মানুষজন। এদিন সকাল পর্যন্ত ২০ টি ছাগলের খোঁজ মেলেনি। বনদপ্তর জানিয়েছে, যে সকল ছাগল মারা গিয়েছে বা জখম হয়েছে তাদের দ্রুত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।

Card image cap

ফের নন্দীগ্রামে খুন তৃণমূল কর্মী!

ফের নন্দীগ্রামে খুন তৃণমূল কর্মী! ১৭ দিনের মাথায় আবারও তৃণমূল কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে উত্তাল এলাকা। বৃহস্পতিবার সকালে নিজের দোকানের কাছ থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। খুনের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ এলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম মহাদেব বিষয়ী। বয়স ৫২ বছর। নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের গোকুলনগর পঞ্চায়েত এলাকার বৃন্দাবন চকের বাসিন্দা। তৃণমূল বুথ কর্মী ছিলেন মহাদেব। দলের প্রায় সব কর্মসূচিতেই তাঁকে দেখা যেত। বৃন্দাবন চকের বাজার এলাকায় চা-খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। অভিযোগ, বুধবার রাতে দোকান বন্ধ করে ফেরার পথে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় একদল দুষ্কৃতী। রাতে বাড়ি ফেরেননি বৃন্দাবন। এদিন সকালে দোকানের সামনে থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। পা দুটো ভাঙা ছিল। হাতেও ক্ষত ছিল তাঁর। পুলিশ খবর পেতেই দেহ উদ্ধার করতে আসে। সেই সময় তৃণমূল কর্মীরা তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। খুনের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, “মহাদেব দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেম। বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে গিয়ে ওঁকে খুন করেছে। কিছুদিন আগে আমাদের দলের আরও এক কর্মী খুন হয়েছে। বিজেপি ক্রমাগত এধরনের কাজ করছে। দোষীর কঠোর শাস্তি দাবি করছি।”উল্লেখ্য, ৮ ডিসেম্বর ছিল তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ভোট। শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম এক এবং দুই নম্বর ব্লকে বিজেপি ১৩টি আসনে জয়ী হয়ে। সেই জয়ের দম্ভ ভোট পরবর্তী প্রতিহিংসায় পরিণত হয়। চরম তাণ্ডবের শিকার হন নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের ৭ নম্বর জলপাই গ্রামের বিষ্ণুপদ মণ্ডল। অভিযোগ, রবিবার রাতে ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয় বিজেপি আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী। তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের মারধরে জখম হন তৃণমূল কর্মীর দাদা গুরুপদও। এই ঘটনার ১৭ দিনের মাথায় ফের নন্দীগ্রামে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী। 

Card image cap

অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকা পার্থরই!

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির বিশেষ আদালতে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি, অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৫০ কোটি টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরই। জেরায় ইডির কাছে সেকথা অর্পিতাই জানিয়েছেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। বৃহস্পতিবার চার্জ গঠনের সময় ইডির আইনজীবী দাবি করেন, শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন পার্থ। তাই তিনিই মাস্টারমাইন্ড। তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে দ্বিতীয় অভিযুক্ত ছিলেন পার্থ। তবে অর্পিতা বারবার জেরায় দাবি করেছেন, তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়ার টাকার পুরোটাই পার্থর। ভুয়ো সংস্থা খুলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করেছেন বলেই দাবি তাঁর। অর্পিতার নামে পার্থ অ্যাকাউন্ট খুলতেন বলেই জানিয়েছে ইডি।প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২২ জুলাই, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। ওই একইদিনে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তাঁর টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার অভিজাত আবাসনে লাগাতার তল্লাশি চালায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে সোনার গয়নাগাটি, বিদেশি মুদ্রা-সহ নগদ প্রায় ২২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে। তার ঠিক দিনপাঁচেক পর ফের বেলঘরিয়ার অভিজাত আবাসনে তল্লাশি চালান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা।সেখান থেকেও বিপুল টাকা উদ্ধার করা হয়। সবমিলিয়ে নগদ ৪৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেন ইডি আধিকারিকরা। এছাড়া ৫ কোটিরও বেশি মূল্যে গয়নাগাটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। নামে, বেনামে বহু সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর ফ্ল্যাটকে ‘মিনি ব্য়াঙ্ক’ হিসাবে কাজে লাগিয়েছেন বলে বারবারই দাবি করেন অর্পিতা। যদিও সেকথা অস্বীকার করেছেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Card image cap

জুনিয়র ডাক্তাদের নিশানায় সিবিআই

আর জি কর কাণ্ডে প্রকাশ্যে এসেছে সিএফএসএলের রিপোর্ট। তারপর থেকেই চাঞ্চল্য বাড়ছে। এবার সেই রিপোর্ট হাতিয়ার করে সিবিআইকে বিঁধল জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট। তাদের একটাই প্রশ্ন, সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবের রিপোর্টে যে অসঙ্গতির কথা বলা হয়েছে তা এখনও সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করা হল না কেন? কিন্তু যে আন্দোলনকারীরা রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা না রেখে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিল তাঁরাই এখন সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করায় জুনিয়র চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে অনিকেত মাহাতো-কিঞ্জল নন্দ-দেবাশিস হালদার-আশফাকুল্লা নাইয়ারা একঝাঁক প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের দাবি, ১১ নভেম্বর সিএফএসএল পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেয়। আন্দোলনকারীরা প্রশ্ন তুলেছেন, রিপোর্টের একমাস পর প্রাথমিক চার্জশিটে এবং আরও দুমাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এই রিপোর্টের কোনও প্রতিফলন CBI-এর প্রাথমিক চার্জশিটে উল্লেখ নেই কেন? ফের একবার তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগও তুলেছেন তারা। এই ‘অপরাধে’ যুক্ত কারও বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না?এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলা হয়েছে, “CFSL সর্বশেষ পাতার রিপোর্ট অনুযায়ী বিছানা এবং কাঠের তক্তা তে কোন সম্ভাব্য হাতাহাতির চিহ্ন নেই। এমনকি সেমিনার হলের মধ্যে বিছানা বা কাঠের তক্তা ছাড়া ঘরের কোনও জায়গা থেকে কোনও রক্তচিহ্ন অথবা শারীরিক কোন অংশ তথ্য প্রমান হিসেবে পাওয়া যায়নি, তাহলে প্রশ্ন উঠছে ঘটনাস্থল কি আদৌ সেমিনার রুম? আর তার কোন বিশদ উল্লেখ CBI চার্জশিট নেই কেন?” সবমিলিয়ে ফের একবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।সেমিনার হল থেকে দেহ উদ্ধারের পরই দেওয়াল লাগেয়া ঘর ভাঙা হয়েছিল সংস্কারের জন্য। সেই কাজ শুরুর জন্য সবুজ সংকেতে স্বাক্ষর ছিল জুনিয়র ডাক্তারদেরই অথচ এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে ফের সেই সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তাঁরা। প্রশ্ন করলেন, সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও। কিন্তু দেবাশিসদের এহেন মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।ওয়াকিবহাল মহল বলছে, যে সিবিআই-কে তারা ডেকে এনেছিল, আজ তাদেরই তদন্ত পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে কিঞ্জল-অনিকেতরা। অথচ তাঁদের কার্যকলাপ, টাকা তোলা নিয়ে যে অভিযোগগুলো উঠেছে তার কোনও ইতিবাচক জবাব দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ।

Card image cap

এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদহ লাইনে সফল ট্রলি ট্রায়াল রান মেট্রোর

দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান! বউবাজারে সুড়ঙ্গে লাইন পাতার কাজ শেষ হয়েছিল কয়েকদিন আগে। এবার এসপ্ল্যানেড- শিয়ালদহ লাইনে সম্পূর্ণ হল ট্রলি ট্রায়াল। তার মধ্যে রয়েছে বউবাজার এলাকাও। সোমবার মেট্রো রেলের চেয়ারম্যান পি উদয়কুমার রেড্ডি, প্রধান ইঞ্জিনিয়ার অনুজ মিত্তল ও অন্যান্য সিনিয়র আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ট্রায়াল রান সফল হয়।এই রুটে বউবাজার থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত কাজে বারবার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে বউবাজারে মেট্রো স্টেশনে কাজ চলাকালীন দুর্গা পিতুরী লেন ও স্যাকরা পাড়া লেনের একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরে। টানেলের ভিতরে জল ঢুকতে থাকে। আটকে পড়ে মেট্রোর খননকারী একটি যন্ত্র। তারপর দীর্ঘ টালবাহানার পর ফের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের মে মাসে ফের জল ঢুকতে থাকতে টানেলে। ফাটল ধরে আরও বহু বাড়িতে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই অক্টোবর মাসেও একই ঘটনা ঘটে। এরপর বেশ কিছু দিন বন্ধ থাকে এই অংশে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ। পরে কাজ শুরু হলেও আশঙ্কা ছিলই।তবে কিছুদিন আগে ওই সুড়ঙ্গের কাজ শেষ হয়। লাইনও পাতা হয়। অবশেষে সোমবার ট্রলি ট্রায়াল রান সফল হয়েছে। খুশির হাওয়া মেট্রোর শীর্ষ আধিকারিক থেকে কর্মীদের মধ্যে। ট্রায়াল রান সফল হওয়ায় এই ‘যুদ্ধে’র সঙ্গে যুক্ত সকলের প্রশংসা করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
এই কাজ শেষ হয়ে গেলে সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হবে। কলকাতার সঙ্গে উপকন্ঠের শহর হাওড়ার সংযোগ আরও মজুবত হবে।

Card image cap

বাংলাদেশি জঙ্গিদের নিশানায় শুভেন্দু!

বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদের জের। পদ্মাপারের জঙ্গি গোষ্ঠীর নিশানায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বড়দিনের পরদিন অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর তাঁর উপর হামলার আশঙ্কা করে রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তার ভিত্তিতে তৎপরতা বাড়িয়েছে পুলিশ-প্রশাসন।জানা গিয়েছে, গত ১৬ ডিসেম্বর গোয়েন্দা সংস্থার তরফে রাজ্যকে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, হারকাতুল-মুজাহিদিন-বাংলাদেশ ও হিজবুত তাহিরি-র জঙ্গিদের নিশানায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। হামলার ছক কষে ইতিমধ্যেই ৩ জঙ্গি বাংলায় ঢুকে পড়েছে বলে খবর। প্রতিমুহূর্তে শুভেন্দু অধিকারীর উপর চলছে নজরদারি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জনসভা বা যাতায়াতের পথে হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনিতেই জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান শুভেন্দু। তাতে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। গত কয়েকমাস ধরে উত্তাল বাংলাদেশ। দিনে দিনে বাড়ছে মৌলবাদীদের অত্যাচার। চরমে হিন্দু নির্যাতন। একাধিকবার হিন্দু নির্যাতন নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই কারণেই এই হামলার ছক বলে খবর। এ বিষয়ে এক বিজেপি নেতা বলেন, তাঁরা এই আশঙ্কা আগেই করেছিলেন। তবে এভাবে ভয় দেখানো যাবে না। শুভেন্দু অধিকারী হিন্দুজের জন্য লড়াই করবেন।