Last Update

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় | কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের | এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে? | বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা | অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম | আজকের রাশিফল | বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় |

BREAKING NEWS:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Published on 2025-06-23 05:27 PM
Card image cap

স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুরে DM অফিসে বিক্ষোভ

স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার পুলিশ।পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত, গালিগালাজ, হেনস্তা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেই খবর। মীনাক্ষী বলেন, “পুলিশ লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলেই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটত।” পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, তখনই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অন্য চার প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক ছিল। অসুস্থদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি, মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকা থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই। তাতে নেতৃত্ব দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখে শুরু করেন মিছিলকারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ওই ঘটনাতেই মীনাক্ষী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Published on 2025-01-24 07:21 PM
Card image cap

আরও অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যায় ভোগার ফলে গত ২০ জানুয়ারি তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে রাখা হল আইসিসিইউতে। সূত্রানুসারে এমনটাই জানা যাচ্ছে।সোমবার দুপুরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। জেলের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে পাঠানোর। সেদিনই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে পার্থর। কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও রয়েছে সমস্যা। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণেও গোলমাল হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবারও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ। রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত সেখানকার চিকিৎসকদের জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল।২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পার্থর বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। পরবর্তীতে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানান পার্থ। প্রতিবারই কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা। একাধিকবার জেলে অসুস্থও হয়ে পড়েন পার্থ। আদালতের নির্দেশে চলত রুটিন চেকআপও। এদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পার্থকে জামিন দিলেও সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিননা মেলায় জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে।

Published on 2025-01-24 07:19 PM
Card image cap

কলকাতায় ফের হেলে পড়া বাড়ির হদিশ!

বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগরের পর তপসিয়া। ফের খাস কলকাতায় একটি আবাসনের গায়ে হেলে পড়েছে আরও একটি বহুতল। কয়েকটি বিম দিয়ে দুটি বহুতলের মাঝে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। সেই বিমগুলির উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে হেলে পড়া আবাসনটি। আতঙ্কে দুই আবাসনের বাসিন্দারা। এদিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে ওয়ার্ডের সমস্ত বিপজ্জনক আবাসনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনের ঘটনা। স্থানীয় ও আবাসনের বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭-৮ বছর আগে হেলে পড়া আবাসনটি তৈরি হয়। বহুতলটি হেলে পড়ায় লোহার বিম দিয়ে পাশের আবাসনের সঙ্গে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি তলায় বিম রয়েছে। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে দুটি আবাসন যে আরও কাছিকাছি এসে পড়েছে, তা দেখা যাচ্ছে।এখানেই প্রশ্ন উঠছে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনটি এই অবস্থায় থাকলেও কেউ জানে না কেন? বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বিশ্বাস জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগে জানতাম না। পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) আমার কাছে ওয়ার্ডের পুরনো বহুতলের তথ্য চেয়েছেন। আমি পাঠিয়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন, তারপরও কেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। তারপর ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সামনে এল তপসিয়ার ঘটনা।

Published on 2025-01-24 07:17 PM
Card image cap

বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে শোকজ তৃণমূলের

বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁকে শোকজ করল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শুক্রবার নবান্নে ডেকে তাঁর হাতে শোকজ লেটার দেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য ওই চিঠিতে উল্লেখ নেই। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেছেন বিধায়ক। আবেগের বশে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেছেন বলেই জানান তিনি।গত ডিসেম্বরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি যেন অন্য বিধানসভা এলাকায় নজর না দেন, তা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন। তবে তারপরেও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। সম্প্রতি অশোকনগরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক ‘চটুল’ রসিকতা করতে থাকেন তিনি। দর্শকাসনে থাকা তরুণীদের উদ্দেশে নানা ধরনের কুকথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টা দলেরও কানে পৌঁছয়।তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। এই আচরণ যে দল কোনওভাবেই অনুমোদন করে না, তা-ও সাফ জানিয়েছিলেন। জেলা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলেও জানান। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল নারায়ণ গোস্বামীর উপর।

Published on 2025-01-24 07:06 PM

VIDEOS:

১৫ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে ছেলের চোখে জল।

Published on 2024-04-27

এ কি যত কান্ড নদীয়ায়? মুঠো মুঠো লঙ্কা খাচ্ছে কিন্তু কেন?

Published on 2024-04-27

সংসারের হাল ধরতে, ভ্যানের স্টারিং ধরল গ্রাজুয়েট

Published on 2024-03-20

মানুষ গড়ার কারিগর দৃষ্টিহীন শিক্ষক

Published on 2024-03-20
View All

TRENDING:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Card image cap

এসি লোকালে উঠতে কত ভাড়া লাগবে?

প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে ঘামে ভিজে যাতায়াত করার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। সেই লোকাল ট্রেনে এবার এসি-র হাওয়া খাবেন যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই রেল জানিয়েছে, রানাঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ছুটবে লোকাল ট্রেন। এসি ইএমইউ লোকাল ট্রেন চালু হতে আর খুব বেশি দেরী নেই। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনে পৌঁছেছে সেই ট্রেন। তবে এসি লোকালে কি আর আগের মতো কম দামের টিকিটে যাতায়াত করার সুযোগ থাকবে? সামনে এল সেই তথ্য।

জানা গিয়েছে, ট্রায়াল শেষ হয়েছে ইতিমধ্য়েই। ফলে এসি লোকাল চালানোর প্রস্তুতি আরও একধাপ এগিয়েছে। তবে এই এসি লোকাল ট্রেন কোন-কোন স্টেশনে থামবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাড়া যাতে সাধারণ যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিঙ্গল জার্নি অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ২৯ টাকা ভাড়া। ১০ কিলোমিটারের বেশি হলে, ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব যাওয়ার ভাড়া লাগবে ৩৭ টাকা। ১০ কিলোমিটারের জন্য একমাসের সিজন টিকিটের জন্য খরচ পড়বে ৫৯০ টাকা। আর ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটারের জন্য সিজন টিকিটের দাম ৭৮০ টাকা।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত ১২ কোচের দু’টি রেক দেওয়া হচ্ছে। পরে এসি লোকাল ট্রেন আরও বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও জানায়নি রেল।

Card image cap

বড় পদক্ষেপের পথে রেল , বদলে যাচ্ছে বিধাননগর-দমদম স্টেশনের চেহারা

ভিড় ভিড় আর ভিড়, সকাল হোক বা বিকাল, সর্বক্ষণই একই ছবি দুই স্টেশনে। বিধাননগর হোক বা দমদম, সারাদিনে প্রতি স্টেশনে প্রায় ২ লক্ষ যাত্রীর পা পড়ে এই স্টেশনে। এদিকে দুই স্টেশনেই ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দোকান। ফলে অফিসের ব্য়স্ত সময় হোক বা দিনের অন্যান্য সময় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এবার সপ্তাখানেকের মধ্যেই ভোলবদল হতে চলেছে দুই স্টেশনের। বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রেল। দুই স্টেশনই আগামী মাসের মধ্যে রেলের মানচিত্রে এক্কেবারে ‘বিক্রেতামুক্ত’ স্টেশন হিসাবে উঠে আসতে চলেছে দুই স্টেশন। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুই স্টেশন থেকে তুলে দেওয়া হবে সব হকারদের। 

রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন যথাক্রমে ২২২ এবং ২১৬ জোড়া লোকাল ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর স্টেশনে চলাচল করে। সাধারণ দিনে বিধাননগর স্টেশনে প্রায় ১.৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। যার মধ্যে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়েই যাতায়াত করেন ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী। অন্যদিকে দমদম স্টেশনে প্রায় ১.৫ লক্ষ যাত্রীর সমাগম হয় প্রত্যহই। 

তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণেই এবার বড় পদক্ষেপের পথে রেল। ব্যস্ত সময়ে যাতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা না ঘটে সে কারণেই সব দোকাল তুলে স্টেশন ফাঁকা করতে চাইছে রেল। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুধু স্টেশন ফাঁকা করাই নয়, স্টেশনের সামগ্রিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে বলে খবর। ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করার জন্য ট্রেন ইনফর্মেশন বোর্ড, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে সামগ্রিক অ্য়ানাউন্সমেন্ট সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রেল। দমদমের আরপিএফ ব্যারাকের কাছে নতুন টিকিট বুকিং অফিস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর।

Card image cap

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম

অনশনে চাকরিহারাদের ভাঙছে শরীর, বিগড়োচ্ছে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেল! হাসপাতালে তড়িঘড়ি

ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। 

অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
অনশনরত ১০ জন প্রতিনিধির মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি আরজি কর  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হল বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের  বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে  আমরণ অনশনে  বসেছেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক । তাঁদেরই একজন এই বলরাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনশন তিন দিনে পড়েছে । শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
নিয়োগে দুর্নীতির  অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যালেনটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মে মাসের শুরু থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারারা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।
 ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। যার যার ফলে, মেডিকেল চেকআপ করে দেখা গিয়েছে উঠে দাঁড়ালেই যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে। সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের।

Card image cap

আজকের রাশিফল

মেষ- আপনি সিনিয়র ও মেন্টরদের সঙ্গ পাবেন যারা আপনার কাজকে সমর্থন করবে। দায়িত্ব পালন করার আপনার ক্ষমতা সবাই প্রশংসা করবে, এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আপনি চ্যালেঞ্জগুলো সুনিপুণভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন। 

বৃষ- ভাগ্যের শক্তিশালী সহায়তা আপনার পাশে থাকবে, যা সব দিক থেকে শুভ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আপনার আত্মবিশ্বাস মনকে উন্নত করবে এবং আপনি সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবেন। 

মিথুন- ব্যক্তিগত কাজগুলোতে কিছু বিলম্ব বা বাধা আসতে পারে, তাই নতুন চুক্তি করার সময় সতর্ক থাকুন। ব্যবসায়িক অংশীদাররা সহযোগিতাপূর্ণ থাকবেন, এবং কাজ সংক্রান্ত আলোচনায় আপনি সক্রিয় ও ভালোভাবে অবগত থাকুন। শৃঙ্খলা ও স্পষ্টতার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

কর্কট- বন্ধু ও সহকর্মীদের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং অভিজ্ঞদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখুন, যেন প্রয়োজনমতো দিকনির্দেশনা পেতে পারেন। তবে, নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা বা কোনো চুক্তিতে যাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন—সব ধরনের লেনদেনে স্পষ্টতা খুব জরুরি। 

সিংহ- আজ সময় ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব বেশি থাকবে। আপনার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা পেশাগত কাজে উন্নতি আনতে সাহায্য করবে, আর কাজসংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টতা ধীরে ধীরে বাড়বে। সহকর্মীদের কাছ থেকে, বিশেষ করে সেবামূলক কাজে, আপনি সহায়তা পেতে পারেন। 

কন্যা- ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মতো সচেতনতা বৃদ্ধির অভ্যাস গ্রহণ করতে পারেন, যা আপনার জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করবে। ব্যক্তিগত আগ্রহে আপনি সক্রিয় থাকবেন এবং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটি একটি উপযুক্ত সময়।

তুলা- স্বার্থপরতা থেকে দূরে থাকুন এবং প্রতিটি বিষয় সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামলান। বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখান। ব্যক্তিগত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে, এবং অতিথি আসার ফলে ঘরে সুখ ও পজিটিভ পরিবেশ তৈরি হতে পারে।

বৃশ্চিক- ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং পরিবারে অর্থবহ সাক্ষাৎ হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সফলতা আসবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোতে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অগ্রগতি আশা করা যায়।

ধনু- পজিটিভ খবর আসবে, যা আনন্দ এবং লাভ বৃদ্ধির কারণ হবে। বাড়িতে উৎসব বা আনন্দঘন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা হতে পারে। আপনি পারিবারিক কাজে সক্রিয় থাকবেন এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অংশ হতে পারেন। আলোচনার ও কথাবার্তার ফলাফল হবে পজিটিভ। 

মকর- আপনি পরিকল্পনাগুলো ধাপে ধাপে ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবেন। আপনার কথা হবে কোমল ও ভদ্র। পেশাগত বিষয়ে সঠিক পরামর্শ এবং কাছের মানুষদের সহায়তায় ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন।

কুম্ভ- সাবধানে ও ধৈর্যের সঙ্গে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান এবং সব ধরনের আর্থিক বিষয়ে সতর্ক থাকুন। টাকার বিষয়ে ভুল করা থেকে বিরত থাকুন এবং দায়িত্বগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের সহযোগিতা উপকারে আসবে, তবে আইনি বা প্রশাসনিক বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকুন। 

মিন- সব বিষয়কে সৌজন্য ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করুন। লক্ষ্য পূরণের দিকে মনোযোগ আরও দৃঢ় হবে, যার ফলে লাভ ও প্রভাব—দুটোই বাড়বে। নতুন চুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় শান্ত থাকুন। বিভিন্ন কাজে গতি আসবে এবং বন্ধু-বান্ধবরা সহায়ক হবে।

Card image cap

বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয়

ফিল্মি কেরিয়ারে হিটের খরা কিছুতেই কাটছে না অক্ষয় কুমারের। কেরিয়ারে বেশ দুঃসময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন অক্ষয় কুমার। গত চার বছরে হিটের মুখ পর্যন্ত দেখেননি! একের পর এক সিনেমা ফ্লপ। ‘বেল বটম’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘পৃথ্বীরাজ, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘রামসেতু’, ‘মিশন রানিগঞ্জ’ থেকে ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ফ্লপের তালিকা অনেক লম্বা। শুক্রবারই মুক্তিপ্রাপ্ত খিলাড়ির ‘স্কাই ফোর্স’-এর পয়লা দিনের ব্যবসার গ্রাফ যদিও আশা জাগাচ্ছে, তবে এসবের মাঝেই শোনা গেল বোরিভালির সাধের বাড়ি বিক্রি করে দিলেন অক্ষয় কুমার।বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ওবেরয় রিয়ালিটি সংস্থার নির্মিত স্কাই সিটিতে অক্ষয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছিল। সেই ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টে তিনটি ঘর, স্টুডিও-সহ চোখধাঁধানো অন্দরসজ্জা। ২০১৭ সালে ২.৩৮ কোটি টাকায় সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন অক্ষয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই স্থাবর সম্পত্তির দাম বর্তমানে বেড়েছে। সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে ২১ জানুয়ারি ‘স্কাই ফোর্স’ মুক্তির প্রাক্কালেই পূর্ব বোরিভালির সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিনেতা। প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কেনা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করলেন ৪.২৫ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য, বক্স অফিসে কিছুতেই ম্যাজিক দেখাতে পারছেন না খিলাড়ি! যে অক্ষয়ের হাত ধরে একের পর এক ব্লকবাস্টার দেখেছে বলিউড, সেই অক্ষয়ের ছবি থেকে মুখ ফিরিয়েছে দর্শকরাও। সমস্যা কোথায় অভিনয় না কন্টেন্ট? প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এর আগে একটানা ১৬টি ফ্লপের মুখ দেখেছিলেন তিনি, সেই সংখ্যা যদিও এবার ছুঁতে পারেননি তবে হিটের খরা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ঝুলিতে কিন্তু সিনেমার জোয়ার। পাইপলাইনে একের পর এক ছবি রয়েছে। তবুও কেন বোরিভালির বাড়ি বিক্রি করলেন খিলাড়ি?প্রসঙ্গত, জুহুতে অক্ষয়-টুইঙ্কলের যে বাংলো রয়েছে, সেটা যেন আস্ত একটা উদ্যান। সমুদ্রমুখী সেই বাংলো সযত্নে সাজিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও গোয়াতে পর্তুগিজ স্টাইলের একটি ভিলা রয়েছে তারকাদম্পতির। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়েই দুই সন্তান আরব, নীতারাকে নিয়ে সময় কাটান অক্ষয়-টুইঙ্কল। এছাড়াও কানাডাতে নাকি বিপুল সম্পত্তি রয়েছে খিলাড়ির। শোনা যায়, টরন্টোর পাহাড়ি এলাকায় সুবিশাল একটা জমি কিনে বিলাসবহুল একাধিক বাংলোও বানিয়ে ফেলেছেন বলিউড তারকা।

YOU MAY ALSO LIKE:

Card image cap

‘বাবা নারী নিগ্রহকারী, ছেলে খুনি! এই না হলে ‘মোদির পরিবার’! BJP প্রার্থী ব্রিজভূষণের ছেলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ তৃণমূলের

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ফের বিতর্কে বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ সরণ সিং। এবার তাঁর ছেলে কর্ণভূষণের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ। জানা গেছে, বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ সিংহের ছেলের কনভয়ের গাড়ি চাপা দিল তিন জনকে, যার মধ্যে এক কিশোর এবং এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছেন এক মহিলাও। উত্তর প্রদেশের গোন্দায় বৈকুণ্ঠ ডিগ্রি কলেজের কাছে কর্নেলগঞ্জ-হুজুরপুর এলাকায় পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিরোধীরা। ঘটনাকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের কটাক্ষ, ‘বাবা নারী নিগ্রহকারী, ছেলে খুনি! এই না হলে ‘মোদির পরিবার’! উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের পুত্র তথা বিজেপি প্রার্থী কর্ণভূষণ সিংহের কনভয়ের ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই শিশুর। আহত হলেন আরও একজন। নেতা সেজে বসে থাকা এই জনবিরোধীদের অবিলম্বে গণতান্ত্রিক পথে সমূলে উৎখাত করুন। নাহলে সমূহ বিপদ’!
উল্লেখ্য, হুজুরপুরের দিকে এগোচ্ছিল কর্ণভূষণের কনভয়। গোন্দার বৈকুণ্ঠ ডিগ্রি কলেজের সামনে তাঁর কনভয়ের একটি গাড়ি এসে ধাক্কা মারে একটি বাইকে। দুই আরোহীই ছিটকে পড়েন রাস্তায়। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুইজনের। গাড়ির ধাক্কায় আহত হন আরও কয়েকজন পথচারী। যে ফরচুনার গাড়িটি ধাক্কা মেরেছে, সেই গাড়িটিও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে।
ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এলাকা জুড়ে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে কনভয়ে কর্ণভূষণ ছিলেন কি না, তা তদন্ত সাপেক্ষ। ইতিমধ্যেই ফরচুনার গাড়ির চালককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তবে পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্টে বিজেপি প্রার্থীর নাম উল্লেখ নেই বলেই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন নিগ্রহের অভিযোগে এবার ব্রিজভূষণকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। তবে উত্তরপ্রদেশের কৈসরগঞ্জ লোকসভা আসনে তাঁর ছেলে কর্ণভূষণকে প্রার্থী করা হয়। ব্রিজভূষণের আরেক ছেলে, প্রতীক ভূষণ গোন্দা সদর আসনের বিজেপি বিধায়ক।

Card image cap

এমন ব্যবস্থা নেব যে, এদের আগামী প্রজন্মও দুর্নীতি করার আগে ১০০ বার ভাববে: তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: অশোকনগরে নির্বাচনী প্রচারে এসে ফের বাংলার দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। একই সঙ্গে দাবি করলেন তাঁর আমলে গত ১০ বছরে কেন্দ্রে কোনও দুর্নীতি হয়নি। মোদীর কথায়, “গত ১০ বছরে কেন্দ্রীয় স্তরে একটাও দুর্নীতি হতে দিইনি। বাংলায় দুর্নীতিকারীদের এমন ব্যবস্থা করব যে, এদের আগামী প্রজন্মও দুর্নীতি করার আগে ১০০ বার ভাববে।’’

উল্লেখ্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরে দুর্যোগের সাক্ষী থেকেছে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে উঠে এলে ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গ। অশোকনগরের সভার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর বলেন, প্রথমেই মা কালীকে প্রণাম জানাচ্ছি। তাঁর আশীর্বাদেই আমরা সকলে মিলে ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা করেছি। ঘূর্ণিঝড়ের উপরে লাগাতার নজর রেখেছিল ভারত সরকার। আমিও লাগাতার যোগাযোগ রেখেছিলাম। আমাদের এনডিআরএফ ও বাকিরা ভালো কাজ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার সবদিক থেকে রাজ্য সরকারকে যতটা সম্ভব সাহায্য করছে।
এদিন অশোকনগরের নির্বাচনী প্রচারমঞ্চে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ প্রধানমন্ত্রীর। টেনে আনলেন সন্দেশখালি থেকে কেশপুরের সন্ত্রাসের প্রসঙ্গও। তৃণমূলের পাশাপাশি বাম এবং তারও আগের কংগ্রেস সরকারকে দায়ী করেছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গে কারখানা বন্ধ, চাকরি নেই। এই দুর্দশা কে করল? প্রথমে কংগ্রেস লুটেছিল। তার পর বামেরা লুটেছিল। এখন তৃণমূল দুই হাতে লুট করছে। তিনজনেই পশ্চিমবঙ্গের দোষী।”
হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “তৃণমূল তো দূরে থাক, কারও ক্ষমতা নেই মোদীকে তাঁর সঙ্কল্প থেকে সরিয়ে দেয়। ক্ষমতায় এলে এক এক টাকার হিসাব হবে। দুর্নীতিকারীদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এর আগে লুট হওয়া ১৭ হাজার কোটি টাকা মানুষকে ফেরত দিয়েছে বিজেপি সরকার। ক্ষমতায় এলে বাংলায় লুট হওয়া টাকাও জনগণকে ফেরত পেতে সাহায্য করা হবে। অশোকনগরের প্রচারমঞ্চ থেকে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলায় লাগাতার খুন আর হামলার ঘটনা ঘটছে। ভোটের আগে বিজেপিকে কর্মীদের জেলে ভরা হচ্ছে। এই সব অত্যাচার সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক মানুষ বেরিয়ে এসে নিজের ভোট নিজে দিচ্ছেন।” আবার ওবিসিদের শংসাপত্র বাতিলের প্রসঙ্গও টানেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল এবং জোট ‘ইন্ডিয়া’র আপনাদের উন্নয়নের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। এরা শুধু নিজেদের ভোটব্যাঙ্ককে তুষ্ট করতে চায়। সংবিধানের ক্ষতি হচ্ছে বলে চিৎকার করতে থাকা মানুষদের পশ্চিমবঙ্গে এসে দেখে যেতে বলুন। এখানকার ওবিসিদের ধোঁকা দিয়েছে তৃণমূল। আদালতে তা প্রকাশ্যে এসেছে। কলকাতা হাই কোর্ট বলেছে, ৭৭ মুসলিম সম্প্রদায়কে ওবিসি ঘোষণা করা অসাংবিধানিক। তৃণমূল লক্ষ ওবিসি যুবদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে জিহাদিদের মদত জোগানোর জন্য। আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর মুখ্যমন্ত্রীর রূপ দেখে আমি স্তম্ভিত। বিচারকদের উপর প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। আমি তৃণমূলীদের প্রশ্ন করতে চাই, এ বার কি বিচারকদের পিছনেও গুন্ডা পাঠাবে!’’
তৃণমূলকে আক্রমণ করে মোদী বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিধায়ক হিন্দুদের ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে। এখানকার সন্তরা সেই ভুল শুধরে নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তৃণমূল সেই সন্তদেরই গালিগালাজ করেছে। রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম, ইস্কনের সন্ন্যাসীদের অপমান করা হয়েছে। ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে এবং ভোট জিহাদদের এগিয়ে নিয়ে যেতে এমনটা করা হয়েছে।’’
বসিরহাটের প্রার্থী রেখা রেখা পাত্র-র প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বসিরহাটের প্রার্থী রেখা কত সুন্দর ভাষণ দিয়েছেন! তৃণমূলের এ রকম কোনও নেতা নেই। এক জন গরিবের মেয়েকে সংসদে পাঠাতে বিজেপি কী ভাবে এত বড় পদক্ষেপ করল, তা দেশবাসী দেখল। আমার বিশ্বাস, তিনি নারীশক্তির প্রতিনিধিত্ব করছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন। আমি ওঁর সাহসকে কুর্নিশ জানাচ্ছি। রেখাকে দেখে মনে হয় মা দুর্গার পূজারি রেখা। শাহজাহান শেখদের মতো নেতাদের সাহস যাতে না বাড়ে, তার জন্য রেখার জেতা প্রয়োজনীয়। তৃণমূল মাকে ভয় দেখিয়েছে, মাটিকে অপমান করেছে। তাই বাহাদুর বেটি রেখাকে জেতাতে হবে।’’
মোদী আরও বলেন, ‘‘মতুয়াদের কুর্নিশ জানাই। আপনাদের নাগরিকত্ব পেতে কেউ বাধা দিতে পারবে না। কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সংবিধান এ অধিকার দিয়েছে। তৃণমূল কেন, কোনও শক্তিই মোদীর সংকল্পকে নড়াতে পারবে না।’’

Card image cap

সাতসকালে লিলুয়ায় লাইনচ্যুত লোকাল ট্রেন! বিঘ্নিত হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখায় ট্রেন চলাচল!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: সাত সকালে চরম দুর্ভোগ। লিলুয়া ও হাওড়ার মাঝে লাইনচ্যুত ডাউন শেওড়াফুলি লোকাল। ঘটনার জেরে হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত। ফলস্বরূপ নিত্য যাত্রীদের ব্যাপক ভোগান্তি। তবে ট্রেনটি ফাঁকা থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেনি।

রেমালের জেরে সোমবারই শিয়ালদহ শাখায় একাধিক ট্রেন বাতিলের খবর এসেছিল। যার জেরে প্রবল সমস্যায় পরে যাত্রীরা। সেই দুর্ভোগের ছবি মঙ্গলবারও অব্যাহত। অফিস টাইমে ফের ট্রেন বিভ্রাট। সকালবেলাই খবর আসছে পূর্ব রেলের হাওড়া মেইন লাইনে ব্যাহত হয়েছে পরিষেবা। একটি লোকাল ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় এই বিপত্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলের আধিকারিকরা। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে।
ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে শেওড়াফুলি স্টেশন থেকে একটি ফাঁকা লোকাল ট্রেনটি আসছিল হাওড়ার উদ্দেশ্যে। লিলুয়া স্টেশনের কাছে সকাল ৭ টা বেজে ১০ মিনিট নাগাদ আচমকাই ট্রেনটির একটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ট্রেনটি ডাউন মেন লাইন থেকে রিভার্স লাইনে যাওয়ার সময়ই ঘটে যায় বিপত্তি। স্বাভাবিকভাবেই ওই লাইনে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। এরপর হাওড়া থেকে অ্যক্সিডেন্ট রিলিফ ট্রেন ডেকে পাঠান হয়। অন্যদিকে খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের আধিকারিকরাও। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (সিপিআরও) কৌশিক মিত্র বলেন, ‘শীঘ্রই স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে, এবং ট্রেনটি কেন লাইনচ্যুত হল তা খুঁজে বের করতে একটি বিস্তারিত তদন্তও করা হবে। যাত্রী ও রেল কর্মীদের নিরাপত্তাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

Card image cap

ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে রাজ্যে প্রাণ হারালেন ৫ জন!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় রেমালের (Cyclone Remal) জেরে রাজ্যে একের পর এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির কলনাবগ্রামের কোঙারপাড়ার তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের। এছাড়া মহেশতলাতেও তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। কলকাতা, নামখানা, মহেশতলা, মেমারি, পানিহাটি মিলিয়ে এই নিয়ে রাজ্যে রেমালের দাপটে প্রাণ হারালেন মোট ৫ জন।

রবিবার থেকে মেমারিতে তীব্র ঝড়বৃষ্টি। ফলে বেশ কয়েক জায়গায় ভেঙে গিয়েছে গাছ। এমনকি উপড়ে গিয়েছে কিছু বিদ্যুতের খুঁটিও। সোমবার সকালে মেমারির কলনাবগ্রামের কোঙারপাড়ায় ঝড়ে ভেঙে পড়া কলাগাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বাবা-ছেলের। কলাগাছের গায়ে বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে ছিল, তারের সংস্পর্শে আসাতেই দুর্ঘটনা। প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন বাবা, বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছেলে। মৃত ব্যাক্তিদের নাম ফড়ে সিং(৬৪) ও তরুন সিং(৩০)। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে বড়শুল হাসপাতাল ও পরে বর্ধমান মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বাবা ও ছেলে দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণ করেন।
অন্য দিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের নুঙ্গি মেটেপাড়ায় বাড়িতেই তড়িদাহত হয়ে প্রাণ হারান তাপসী দাস নামে এক মহিলা। মৃত অবস্থায় ওই মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় মহেশতলা থানায়। পুলিশ ও কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
রেমাল-দুর্যোগের মধ্যে ইতিমধ্যেই মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর মিলেছে কলকাতা এবং নামখানাতেও। রবিবার রাতে ঝড়বৃষ্টির মাঝে এন্টালির ১৫ নম্বর বিবির বাগানে বাড়ির কার্নিশের চাঙড় ভেঙে মৃত্যু হয় শেখ সাজিদ নামে এক ব্যক্তির। ক্যামাক স্ট্রিটেও ভেঙে পড়ে বাড়ির একাংশ। এদিকে নামখানার মৌসুনির বাগডাঙায় অশীতিপর এক বৃদ্ধা নিজের বাড়িতেই প্রাণ হারান।
প্রসঙ্গত প্রতিবছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে রেমালের দাপটে প্রাণ গেল মোট ৫ জনের।

Card image cap

চিপক স্টেডিয়াম গর্জে উঠল ‘করব, লড়ব, জিতব রে’! আইপিএল 2024-এর চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স!

Kolkata Knight Riders vs Sunrisers Hyderabad, IPL 2024: ৮ উইকেটে জয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স।

অবশেষে ২ মাসের প্রতীক্ষা অবসান হল। ৭৩ ম্যাচের পর চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে শোনা গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) জয়জয়কার। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মেগা ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে (SRH) হারিয়ে আইপিএলের (IPL 2024) ট্রফি নিজেদের নামে করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ৮ উইকেটে তারা হারাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। মাত্র ১০.৩ ওভারে ১১৪ রান তুলে নেন গুরবাজ-ভেঙ্কটেশরা। এই নিয়ে তৃতীয় বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন শাহরুখ খানের টিম। এই ঐতিহাসিক জয়ের সাক্ষী রইলেন স্বয়ং কিং খান। শাহরুখের সামনেই দাপটের সঙ্গে ম্যাচ জিতে নিল কেকেআর। চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়াম গর্জে উঠল ‘করব, লড়ব, জিতব রে…’
উল্লেখ্য লিগ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হয়েছিল এই দু-দল। প্রথম লড়াইয়ে জিতেছিল কেকেআর। এরপর কোয়ালিফায়ারেও মুখোমুখি হয় দু-দল। সানরাইজার্সকে দ্বিতীয় সাক্ষাতেও হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে কেকেআর। তবে আজকে ছিল ট্রফির ম্যাচ। তাই আজকের ম্যাচ ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে কেকেআর কলকাতা নাইট রাইডার্স ২০১২ ও ২০১৪ মরশুমে গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে দুবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০১২ সালে প্রথমবার কেকেআর খেতাব জেতে চেন্নাই সুপার কিংসকে ফাইনালে ৫ উইকেটে হারিয়ে। সেই ফাইনালটিও চিপকেই হয়েছিল। ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার আইপিএল জেতে কেকেআর। ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল নাইটরা। আর এবারে ৮ উইকেটে কেকেআর হারাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। 

Card image cap

শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’! জেনে নিন অবস্থান সাথে জেলা ভিত্তিক হেল্পলাইন নম্বর!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ক্রমশ এগিয়ে আসছে রেমাল। সাগর থেকে ১৬০ কিমি দূরে এই মুহূর্তে। ক্যানিং থেকে দূরত্ব ১৯০ কিলোমিটার। সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায়। ক্ষয়ক্ষতির আতঙ্কে কাঁপছে বঙ্গের উপকূল ও বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। কলকাতা-সহ ৬ জেলায় আজ লাল সতর্কতা। জেলায়-জেলায় সকাল থেকেই ঝড়বৃষ্টি, দমকা হাওয়া, জলোচ্ছ্বাস।

আবহাওয়া দফতরের আপডেট, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান ভয়ংকর ‘রেমাল’। বাংলাদেশের মংলাতে ল্যান্ডফল করবে এই ঘূর্ণিঝড়। তবে, ঝড়ের প্রভাব সবথেকে বেশি পড়ার আশঙ্কা দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, নদিয়া জেলায়। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি সেরে রাখছে কলকাতা পুরসভা। দুর্যোগ মোকাবিলায় দুর্যোগ মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে কলকাতা পুরসভা। ঝড়ের কারণে চালু করে দেওয়া হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ২৪ ঘণ্টা চালু থাকছে কন্ট্রোল রুম। নবান্নর কন্ট্রোল রুম নম্বর – 033-2317985 / 033-231 7982 । ঝড়-বৃষ্টির জন্য কলকাতা শহরের বাসিন্দাদের হেল্পলাইন নম্বর হল – 9432610428 / 94326 10429।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় রেমালের ল্যান্ডফলের সময় যত এগোচ্ছে রাজ্যজুড়ে খারাপ হচ্ছে আবহাওয়া। সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টির সঙ্গে চলছে ঝোড়ো হাওয়া। দীঘার সমুদ্রে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। ঝড়ের তাণ্ডবের কথা মাথায় রেখে পর্যটকদের দিঘা ছাড়ার আর্জি জানিয়ে মাইকিং করছে প্রশাসন। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামার বারণ রয়েছে। তাঁদেরকে পরিবার নিয়ে সতর্কতা মেনে সমুদ্রতট ছেড়ে সুরক্ষিত জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।
জেলাভিত্তিক কিছু হেল্পলাইন নম্বর নীচে দেওয়া হলো:
দক্ষিণ ২৪ পরগনা – 18005325328। হাওড়া – ৬২৯২২৩২৮৭০। উত্তর ২৪ পরগনা – 9073940058, 9073936323 ও 9073940039। পূর্ব মেদিনীপুর – 90739 39804। নদিয়া – 03472-252106, 7548975303 (WBSEDCL কন্ট্রোল রুম নম্বর – 03472-251150)। মালদা – 03512 252 058 / 03512 253 056
এছাড়াও ঝড়ের জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য সমস্ত জেলাতেই WBSEDCL-এর তরফে সতর্কতা থাকছে। WBSEDCL জানিয়েছে, 8900793503 / 8900793504 নম্বরে যোগাযোগ করে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত অভিযোগ বা জিজ্ঞাস্য থাকলে ফোন করা যাবে। এছাড়া 19121 নম্বরে যোগাযোগ করে অভিযোগ জানানো যাবে। রেমাল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজ ঝড় দুর্যোগ হবে। ৬টার পর থেকে এই ঝড় বাড়বে। কোস্টাল এলাকাতে হলেও কলকাতাতে ৮০ থেকে ১০০ কিমি বেগে ঝড় বইবে।”

Card image cap

ভোটে রণক্ষেত্র ঝাড়গ্রাম, BJP প্রাথীকে লক্ষ করে ইটবৃষ্টি! মাথা ফাটল সিআইএসএফ জওয়ানের!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ভোটে ব্যাপক উত্তপ্ত ঝাড়গ্রামের গড়বেতা। গড়বেতার মোগলাপাতায় বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুর দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে একজন মহিলা ভোটারকে মারধর করার অভিযোগ। আর তার জেরেই বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ে স্থানীয়রা৷ পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে প্রার্থীর নিরাপত্তায় থাকা সিআইএসএফ জওয়ানের মাথা ফেটে যায়। কার্যত বুথ থেকে ছুটে পালাতে দেখাতে যায় প্রার্থী ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের।

জানা গিয়েছে, এদিন ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা বিধানসভার খড়কুশমা উত্তর এলাকায় ২১২ নম্বর বুথে পরিদর্শনে যান বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু। তৃণমূলের অভিযোগ, সেখানেই ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলা ভোটারের উপর হামলা ও তাঁকে মারধর করেন প্রণত টুডুর নিরাপত্তারক্ষীরা। এই ঘটনার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পাল্টা বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। প্রার্থী ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে ইট পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।
এই অবস্থায় প্রার্থীর নিরাপত্তায় থাকা জওয়ানরা তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু ইটের আঘাতে মাথা ফেটে যায় সিআইএসএফ জওয়ানের। ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি ঘটনার জেরে বিজেপি প্রার্থীর গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। প্রণত টুডুর অভিযোগ, “আমার মাথায় লেগেছে। মাথায় ইট লেগেছে। ব্যথা করছে। গাড়ির কাচও ভেঙে দিয়েছে। তৃণমূল এইসব শুরু করেছে… নিরাপত্তারক্ষীরা না থাকলে বেঁচে ফিরতাম না।” ঘটনার কথা জানার পর এনিয়ে রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন। দ্রুত আরও বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

Card image cap

ব্যায়াম ছাড়াই রোগা হওয়ার কতগুলো সহজ উপায়, রইল কিছু ঘরোয়া টিপস!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: কম সময়ে ওজন কমানো মুখের কথা নয়। রোগা হওয়ার চটজলদি কোনও উপায়ও নেই। রোগা হওয়ার বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। সেগুলি একটার পর একটা পেরোতে হয়। শরীরচর্চা থেকে ডায়েট— খুব সতর্ক হয়ে না করলে রোগা হওয়া সহজ নয়। তবে শরীরচর্চা করতে ইচ্ছা করছে না মানেই রোগা হওয়ার ইচ্ছায় জল ঢেলে দেওয়া, তা কিন্তু নয়। মেদ ঝরানোর ক্ষেত্রেও শরীরচর্চার কিছু বিকল্প কাজ রয়েছে। শরীরচর্চা বদলে কয়েকটি নিয়ম যদি মেনে চলতে পারেন, তা হলে শরীরচর্চা না করেও রোগা হওয়া সম্ভব।

১)রান্নাঘরে বদল আনুন
ওজন কমাতে যে আপনি প্রস্তুত প্রথমে এটা আপনাকেই ঠিক করতে হবে। সেই মত মানসিক ভাবেও নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে। তাই হাতের কাছে থাকা প্রসেসড ফুড, চিনি, ক্রিম মিল্ক, চকোলেট, কার্বোহাইড্রেট এসব একেবারেই সরিয়ে দিতে হবে। কেননা আমাদের পেটের খিদের থেকেও চোখের খিদে অনেক বেশি। তাই মুখরোচক খাবার চোখের সামনে থেকে সরিয়ে নিন। সেই জায়গায় ফল, ডাল, ওটস, কর্নফ্লেক্স, ড্রাই ফ্রুটস এসব রাখুন। যাতে খিদে পেলে এসব ছাড়া অন্য কিছুতে আপনার হাত না যায়।
২) গ্রিন টী পান করুন
দিনের শুরু করুন হেলদি কোনও খাবার দিয়ে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম জলের মধ্যে মধু এবং লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া যদি আপনি মধু লেবু মিশিয়ে গ্রিন টীও খেতে পারেন। এই খাবার খেলে অতিরিক্ত টক্সিন আপনার শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে।
৩) খাবার ধীরে ও চিবিয়ে খান
খুব তাড়াতাড়ি খাবার খেলে যেমন হজম হয় না তেমনই খাবারের স্বাদও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। আস্তে আস্তে চিবিয়ে খেলে তা শরীরকে বেশি খাবার খেতে বাধা দেয় এবং মস্তিস্ককে একটা নির্দেশনা প্রেরণ করে যে আমার পেট ভর্তি হয়ে গেছে। এছাড়াও এটি পাচন প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে। কেননা আপনি খাবার যত ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবেন সেটা খুব দ্রুত হজম হতে সহায়তা করবে। এছাড়াও কোন খাবার যদি প্রতিবার মুখে ৩৫ থেকে ৫০ বার চিবিয়ে খাওয়া যায় এতে আপনার মুখের মেদও যেমন কমতে থাকবে, এর পাশাপাশি খাবারটি ও ভালো করে মিশিয়ে আপনার পেটে যাবে।
৪) খাওয়ার আগে জল খান
দ্রুত রোগা হওয়ার আরও একটি উপায় হল প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া। তবে জল খাওয়ারও নিয়ম আছে। নিয়ম মেনে জল খেলে খিদে কম পাবে এবং হজমের সমস্যাও মিটবে। তাতে ওজন কমার সুযোগ থাকবে বেশি। বিশেষ করে দুপুর বা রাতের খাবার খাওয়ার আগে জল খেতে পারেন। তাতে বেশি খাবার খেয়ে ফেলার প্রবণতা কমবে।
৫) প্রোটিন বেশি খান
শুধু ডায়েট করলেই হবে না। ডায়েটে কী ধরনের খাবার থাকছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। ওজন কমানোর পর্বে প্রোটিন খেতে হবে বেশি পরিমাণে। দুধ, ওট্‌সের বদলে ডিম, মাংসের মতো প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার খান বেশি করে। শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ যত বেশি হবে, মেদ ঝরানোর পরিশ্রম তত সহজ হবে। তা ছাড়া, পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন শরীরে প্রবেশ করলে খিদে কম পায় এবং বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমবে।
৬) পর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বডি মাস ইন্ডেক্স (বিএমআই) বেড়ে যেতে পারে। আর বডি মাস ইনডেক্স বেড়ে যাওয়ায় অর্থ ওজন বৃদ্ধি। চিকিৎসকেদের মতে, এক জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ছ’ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন। ঘুম পর্যাপ্ত হলে শুধু ভিতর থেকে ফিট থাকবে শরীর। নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজনও।

Card image cap

রাত পোহালেই ষষ্ঠ দফার নির্বাচন! সাথে ভাগ্যপরীক্ষা একঝাঁক হেভিওয়েটের! বাংলার ভোটচিত্র একনজরে…

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যে ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচন। প্রায় শেষের দিকে পৌঁছে গিয়েছে দেশের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। আগামীকাল রাজ্যের আটটি কেন্দ্রে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন সংগঠিত হতে চলেছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বিষ্ণুপুর, মেদিনীপুর, তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম – এই ৮টি কেন্দ্রের ভোট। নির্বাচন কমিশনের তরফে অশান্তি রুখতে বাড়তি নজরদারি রয়েছে। ইতিমধ্যে এই আটটি কেন্দ্রের জন্য ৯১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। থাকছে অন্যান্য অত্যাধুনিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত পদক্ষেপ।

শনিবার বাংলা ছাড়া ভোট হচ্ছে বিহার (৮), হরিয়ানা (১০), ঝাড়খণ্ড (৪), ওড়িশা (৬), উত্তরপ্রদেশ (১৪), দিল্লি (৭) ও কাশ্মীরে (১)। এর মধ্যে কাশ্মীরের অনন্তনাগ আসনটিতে ভোট আগেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়া এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্যার জন্য ভোট পিছিয়ে ষষ্ঠ দফায় করা হয়। তবে প্রত্যেক দফার মতো এই দফাতেও নজর থাকবে হেভিওয়েট প্রার্থীদের উপর।
এই দফার নির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৮৮৯ জন। যার মধ্যে রয়েছেন বাংলার একঝাঁক তারকা। নজর থাকবে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) দিকে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি নির্বাচনের আগে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই। এছাড়াও রয়েছেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব (Dev)। টানা তিনবার সাংসদ হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির হিরণ। এছাড়াও মেদিনীপুরে অভিনেত্রী জুন মালিয়া বনাম ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পলের লড়াই হবে ষষ্ঠ দফার ভোটে। কাঁথির বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীও এই দফার অন্যতম হেভিওয়েট প্রার্থী।
বর্তমানে রাজ্যেজুড়ে রয়েছে ১০২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যে আগামীকাল ষষ্ঠ দফা নির্বাচনে ৮ টি লোকসভা আসনের নির্বাচনের জন্য কাজে লাগানো হবে ৯১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। বাকি কোম্পানি থাকবে স্ট্রং রুমে নিরাপত্তায় এবং বাকি জেলায়। এর মধ্যে বাঁকুড়াতে থাকবে ১৭৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, ঝাড়গ্রামে থাকবে ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, পূর্ব মেদিনীপুর ২৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১৬ কোম্পানি কেন্দ্রে বাহিনী এবং পুরুলিয়া জেলায় ১৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। এদিকে ৮টি লোকসভা কেন্দ্র মিলিয়ে মোট রাজ্য পুলিশ মোতায়েন থাকবে ২৯,৪৬৮ জন। এর মধ্যে বাঁকুড়ায় ৬৫২১, ঝাড়গ্রাম ২৪৩৬ জন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৬৯০১জন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৭১৪ জন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৭৪৩২ জন, পুরুলিয়া জেলায় ৫৪৬৪ জন।

Card image cap

‘রেমাল’ রুখতে নবান্নে বিশেষ কন্ট্রোল রুম! অন্যদিকে ক্ষতি এড়াতে বাতিল বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ (Cyclone Remal)। তার ধাক্কা সামলাতে শুক্রবার থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। শুক্রবার তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিব রাজীব গৌবা, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেইসঙ্গে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে সতর্কতামূলক নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে দুই রাজ্যে। তার আগে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নবান্নে বিশেষ কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব নিয়েছে IAS-রা।

উপকূলে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড় বইতে পারে কলকাতায়। একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তীব্র ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হল দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে। রবিবার ২৬ মে হাওড়া-দিঘা কাণ্ডারী এক্সপ্রেস, পাশকুড়া-দিঘা মেমু, পাশকুড়া-দিঘা ইএমইউ বাতিল করা হয়েছে। আবার ২৭ মে সোমবার দিঘা-পাশকুড়া ইএমইউ, দিঘা-পাশকুড়া মেমু বাতিল করা হয়েছে।
হাওয়া অফিসের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, রবিবার মাঝরাতেই পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূলের মাঝখানে ল্যান্ডফল হতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমালের। শনিবারই শক্তি বাড়িয়ে এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। শনিবার থেকেই বাংলার আকাশে তার প্রভাব দেখা যাবে।
ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার WBCS আধিকারিকদের নিয়ে বিশেষ কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। জেলায় জেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করেছেন জেলাশাসকরা। নবান্নে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুমে এখন থেকেই তুমুল সতর্কতা। ঝড়বৃষ্টিতে সাধারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হলে হট লাইনের মাধ্যমে যাতে যোগাযোগ রাখা যায় তার ব্যবস্থাও করে হয়েছে। সাথে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বাংলাদেশগামী ওয়েল ট্যাংকারের যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে। সকাল থেকে শুরু হয়েছে মাইকিং। মাঝ সমুদ্র থেকে মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। পর্যটকদেরও শনিবার সকাল থেকে এলাকা খালি করতে বলা হয়েছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সচিব ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শনিবার রাজ্যের ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচন (2024 Lok Sabha Election)। পূর্ব মেদিনীপুরের মতো উপকূলবর্তী জেলায় ভোটগ্রহণ। এ বিষয়ে নবান্নের এক আধিকারিক জানালেন, রবিবার রাতে যেহেতু ল্যান্ডফল তাই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ভোট মিটলেই ঝড়বৃষ্টি হওয়ায় কথা। তবু সাবধানের মার নেই। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের আশপাশে শক্ত ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়। যাতে বিপর্যয়ের সময় এগিয়ে এলে ভোটাররা যাতে সেখানে বৃষ্টির সময় আশ্রয় নিতে পারেন।
অন্য দিকে বিদ্যুৎ, পূর্ত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, পরিবহণ, শিক্ষা, কৃষি-সহ বিভিন্ন দপ্তরকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। রাস্তাঘাট, জেটি, বন্দরের কোনও ক্ষতি হলে যাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতি শুরু করতে বলা হয়েছে। কর্মীদের ছুটি বাতিল করল কলকাতা পুরসভা (KMC)। শিক্ষাদপ্তরকে উপকূলবর্তী কিছু স্কুলকে ফাঁকা রাখতে বলা গিয়েছে। যাতে প্রয়োজনে সেসব স্কুলগুলি শেল্টার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। নিচু এলাকায় লোকজনদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়েছে। হাসপাতালের নিচতলা থেকে রোগীদের প্রয়োজনে উপরের স্থানান্তরিত করার কথা বলা হয়েছে। সেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছে রাজ্য সরকার। প্রয়োজনে যাতে সাহায্য নেওয়া যায়।

Card image cap

মেট্রো যাত্রীদের জন্য সুখবর! রাত এগারোটাতেও মিলবে পরিষেবা।

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: নিত্য মেট্রো যাত্রীদের জন্য বড়ো খবর। কয়েকদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম জানিয়েছিলেন, শেষ মেট্রো রাত ১০টায়, সেই সময়সীমা আরও একটু বাড়ালে সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হয়। অবশেষে কলকাতাবাসীর জন্য সুখবর দিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে রাত ১১টাতেও মিলবে মেট্রো। শুক্রবার অর্থাৎ আজ থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হচ্ছে এই বিশেষ মেট্রো পরিষেবা।

কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র শুক্রবার এই বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, আপাতত ব্লু লাইনে শুক্রবার অর্থাৎ ২৪ মে থেকে রাতে পরীক্ষামূলকভাবে এই বিশেষ মেট্রো চালানো হবে। শনি ও রবিবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি সব দিন একদিকে কবি সুভাষ থেকে ও অন্যদিকে দমদম স্টেশন থেকে এই শেষ মেট্রো রাত ১১ টায় ছাড়বে। অর্থাৎ ব্লু লাইনের আপ ও ডাউন লাইনে চলবে এই মেট্রো। যাত্রাপথে এই বিশেষ মেট্রো থামবে সব স্টেশনেই। টিকিট পেতেও কোনো অসুবিধা হবে না। প্রতিটি স্টেশনে একটি করে টিকিট কাউন্টার খোলা থাকবে। টোকেন ও স্মার্ট কার্ড পাওয়া যাবে সেখানে। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে চললেও শীঘ্রই পুরদমে এই মেট্রো চালু করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, শেষ মেট্রোর সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। অফিসযাত্রীদের কথা মাথায় রেখে রাতেও মেট্রো পরিষেবা চালুর আর্জি জানিয়ে এই মামলা হয় উচ্চ আদালতে। আবেদনকারীর আর্জি শুনে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘এটি খুবই প্রয়োজনীয় আবেদন। যাত্রীদের কথা চিন্তা মেট্রোকে এ নিয়ে বিবেচনা করতে হবে।’’ মেট্রোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা রয়েছে। সেই কারণেই শেষ মেট্রোর সময় বাড়ানো হচ্ছে না। কিন্তু দেশের অন্যান্য শহরে রাত ১১টা পর্যন্ত মেট্রো পাওয়া যায়। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে শেষ মেট্রোর সময় বাড়ানো যায় কি না, তা বিবেচনা করে দেখতে বলেছিলেন প্রধান বিচারপতি। সিদ্ধান্তের কথা হাইকোর্টেও জানাতে বলা হয়েছিল।

Card image cap

ঘাটালে বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ ২৪ লক্ষ টাকা!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: শনিবার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের ভোট। আর তার ঠিক আগের দিনই বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে উদ্ধার হল নগদ ২৪ লক্ষ টাকা। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার সকালে দাসপুরের খুকুড়দায় এলাকায় নাকা চেকিংয়ের সময় দাসপুরের বিজেপি নেতা প্রশান্ত বেরার গাড়ি তল্লাশি করতেই মেলে এক ব্যাগ নগদ টাকা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাঁর দাবি, এই টাকা নির্বাচন খাতের। যা পার্টি অফিস থেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা হিরণের দাবি, বিজেপি নেতাদের ফাঁসানো হচ্ছে। এই নিয়ে মুখ খুললেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দেবও।

জানা গিয়েছে, প্রশান্ত বেরা দাসপুর বিধানসভার নির্বাচন কমিটির বিজেপির কনভেনর। ২০২১ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছেন। আগামিকাল ঘাটাল লোকসভা আসনে ভোট। তার ঠিক আগেরদিন সকালে এই ঘটনার জেরে শোরগোল পড়েছে গোটা এলাকায়।
খুকুড়দা পয়েন্টে নাকা চেকিংয়ের সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত এসডিপিও অনিমেষ সিংহ রায় বলেন, “আমাদের কাছে নির্দিষ্ট খবর ছিল একটি লাল রঙের গাড়িতে কিছু টাকা যাচ্ছে। সেই মতো আমরা এই গাড়িটিকে আটকাই। তার মধ্যে এক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়, যার নাম প্রশান্ত বেরা। তিনি দাসপুরে বিজেপির কনভেনার। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর কাছে ২৪ লাখ টাকা পাওয়া গিয়েছে। তিনি এখনও সদুত্তর দিতে পারেননি। উনি আপাতত আমাদের কাছে কোনও বৈধ নথিপত্র দেখাতে পারেননি। আমাদের তদন্ত এখনও চলছে।”
এবিষয়ে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যেভাবে আমার আপ্তসহায়কের বাড়িতে এসেছিল, এটাও সে রকমই এক চক্রান্ত। টাকা, বন্দুক, বোমা বাড়িতে, গাড়িতে ঢুকিয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।” হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেই তৃণমূল পুলিশকে দিয়ে এসব করাচ্ছে বলে দাবি হিরণের।
অন্য দিকে শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল তারকা প্রার্থী দেব বলেন, “গোরু চুরির টাকা তো এদের কাছে রয়েছে। কোটি কোটি টাকা ধরা পড়ছে। আমার মনে হল এবার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এখানে ওরা টার্গেট করেছিল দেবকে। ফেক অডিয়ো ভাইরাল করেছে। এবার মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে কে কী ভাবে জিততে চায়ছে। নামের আগে ভুয়ো ডক্টরেড ডিগ্রি লাগাচ্ছে।”