CATEGORY country:

Card image cap

চিন্ময় প্রভুকে নিয়ে গর্জে উঠল ইসকন

বাংলাদেশে ইসকনের সন্ন্যাসী তথা বাংলাদেশের সম্মিলিত জাগরণ জোটের প্রধান মুখপাত্র চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল  কলকাতার ইসকন কর্তৃপক্ষ। তাদের তরফে সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাসের স্পষ্ট বক্তব্য, ”বিক্ষোভ থামাতেই তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুধু চিন্ময় প্রভুই নন, বাংলাদেশে আরও বেশ কয়েকজন হিন্দু সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে এই মামলা রুজু করা হয়েছে। এটা কোনওমতেই মেনে নেওয়া যায় না।” এ বিষয়ে তিনি রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে পুলিশ চিন্ময় প্রভুকে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। হাজার হাজার হিন্দু পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। একটাই দাবি, নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে সনাতন হিন্দু প্রতিনিধি চিন্ময় প্রভুকে। কিন্তু মুক্তি দূর অস্ত, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে দেশদ্রোহের মামলা। মঙ্গলবার ৫১ জন আইনজীবী চিন্ময় প্রভুর হয়ে লড়াই করলেও জামিন মেলেনি।আর এনিয়ে মঙ্গলবার কলকাতার ইসকন শাখার তরফে ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাস বলেন, ”গতকাল চিন্ময় প্রভুর এক সহকারী আমাকে ফোন করে জানান যে তাঁকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ শুনলাম, তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা হয়েছে। তার জন্য হিন্দুরা সকলে পথে নেমেছেন। অথচ প্রতিবাদীদের উপর মৌলবাদীরা আক্রমণ চালাচ্ছে, পুলিশও তাতে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাচ্ছি। আমরা এসব মেনে নিচ্ছি না। ভারত সরকারের কাছে আবেদন, বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন রুখতে পদক্ষেপ নেওয়া হোক।”  

Card image cap

‘ধর্মনিরপেক্ষ’ মুছে ফেলার দাবি, কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?

১৯৭৬ সালে সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে যুক্তি হয় ‘সমাজতান্ত্রিক’, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দ দুটি। ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে এই তিন শব্দ বাদ দেওয়ার দাবিতে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার এই মামলা খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।মামলা ওঠে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে। এদিন আদালত জানায়, ১৯৪৯ সালের সংবিধানের সঙ্গে ১৯৭৬ সালের প্রস্তাবনার বিশেষ অমিল নেই। প্রধান বিচারপতি খান্না বলেন, ১৯৭৬ সালে সংশোধনীতে ‘সমাজতান্ত্রিক’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটির প্রস্তাব করা হলেও ১৯৪৯ সালের সংবিধানের সঙ্গে তার চরিত্রগত মিল রয়েছে। প্রধান বিচারপতি ব্যাখ্যা দেন, ভারতে ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দটির অর্থ কল্যাণকর বা ‘সেবামূলক রাষ্ট্র’। অন্যদিকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’তা হল ভারতীয় সংবিধানের ভিত্তিভূমি। উল্লেখ্য, ভারত রাষ্ট্রের পরিচয় হিসাবে আগে থেকেই সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লিখিত ছিল সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক এবং প্রজাতান্ত্রিক, এই তিনটি শব্দ। ১৯৭৬ সালে তার সঙ্গে যুক্ত হয়, নতুন দু’টি শব্দ।প্রধান বিচারপতি যোগ করেন, অন্য দেশের ‘সমাজতন্ত্রে’র সঙ্গে ‘ভারতীয় সমাজতন্ত্রে’র পার্থক্য রয়েছে। ‘কল্যাণকর রাষ্ট্র’ থেকে আমরা সকলেই সুবিধা পাই। প্রত্যেক নাগরিক সমান সুযোগসুবিধা পান। উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালে ইন্দিরা গান্ধী সরকার সংবিধানের ৪২তম সংশোধনী প্রস্তাব আনে। এর জেরে ‘সমাজতান্ত্র’, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’, শব্দ দুটি ভারতীয় সংবিধানে প্রস্তাবনায় যুক্ত হয়।

Card image cap

নিয়োগ মামলায় জামিন অর্পিতার

শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় জামিন পেলেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ৫ লক্ষ টাকার বন্ডে তাঁকে জামিন দিল ইডির বিশেষ আদালত। জমা রাখতে হবে পাসপোর্ট। যেতে পারবেন না কলকাতার বাইরে।

শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় জামিন পেলেন পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ৫ লক্ষ টাকার বন্ডে তাঁকে জামিন দিল ইডির বিশেষ আদালত। তবে মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত। জমা রাখতে হবে পাসপোর্ট। যেতে পারবেন না কলকাতার বাইরে।সূত্রের খবর, শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন 'অপা'র অর্পিতা। ৫ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অর্পিতাকে জামিন দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি শর্তও দেওয়া হয়েছে। মামলা চলাকালীন বাইরে যেতে পারবেন না অর্পিতা। পাসপোর্টও জমা রাখতে হবে পাসপোর্ট।
শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ২২ জুলাই নাকতলায় পার্থর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। দীর্ঘ তল্লাশি এবং জেরার পর ২৩ জুলাই সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পার্থের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালানো হয়। দুই জায়গায় তিনটি ফ্ল্যাট মিলিয়ে মোট ৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা নগদ এবং ৫ কোটি ৮ লক্ষ টাকার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। সাতটি বিদেশি মুদ্রাও ছিল।তখন শুধুমাত্র দুর্নীতি মামলায় অর্পিতার কাছ থেকেই নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। এছাড়া আর কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি কোথাও থেকে। শুধুমাত্র অর্পিতার কাছ থেকেই নগদ টাকা এবং গয়না উদ্ধার হওয়ায় অনেকেরই মনে হয়েছিল, জামিন পাওয়া মুশকিল হবে অর্পিতার। কিন্তু বাস্তবে দেখা গল, পার্থের আগে জামিন পেলেন তাঁর বান্ধবী অর্পিতাই।
এদিকে, পার্থের জামিনের বিষয়টি নিয়ে একমত হতে পারেননি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়।

Card image cap

মহারাষ্ট্রের বিজয় মঞ্চে স্পষ্ট বার্তা মোদির

মহারাষ্ট্রে বিরাট সাফল্য পেয়েছে মহাজুটি। উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পওয়ার ভূপতিত করার পর বিজেপির সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে ঝাঁজালো ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরিবারতন্ত্র থেকে তোষণের রাজনীতি, ইস্যু ধরে ধরে বিরোধীদের নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি তাঁর মুখে উঠে এল কাশ্মীর প্রসঙ্গ। দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফিরবে না।সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনে জয়ী হয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোট। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেই কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর বার্তা দিয়েছেন ওমর আবদুল্লা। তবে বিরোধীদের এই স্বপ্ন সত্যি হবে না বলে শনিবার বার্তা দিলেন মোদি। তিনি জানালেন, “কিছু রাজনৈতিক দল দেশে দুই রকম সংবিধান চাইছে। তবে মহারাষ্ট্রে জয়ের পর আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, দেশে শুধুমাত্র বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধান থাকবে। দ্বিতীয় কোনও সংবিধান হবে না। কেউ কেউ জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরাতে চাইছে। কিন্তু তাঁদের আজ আমি বলে দিচ্ছি, চাইলেও তারা কেউ ৩৭০ ধারা ফেরাতে পারবে না।”এখানেই অবশ্য থামেননি নরেন্দ্র মোদি। ওয়াকফ আইনের প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “কংগ্রেস তোষণের জন্য আইন বানায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেরও তোয়াক্কা করেনি তারা। সংবিধানে ওয়াকফ আইনের কোনও জায়গাই নেই। ভোটব্যাঙ্ক তোষণের জন্য আলাদা করে ওয়াকফ আইন বানিয়েছে কংগ্রেস।” মহারাষ্ট্র রাজনীতির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “কংগ্রেস বালাসাহেব ঠাকরের আদর্শ মানে না। বীর সাভারকরকে অপমান করে এসেছে ওরা। এর পর ভোট বৈতরণী পার করতে কয়েকদিন গালিগালাজ বন্ধ রেখেছে। এখানেই স্পষ্ট হয়ে যায় কংগ্রেসের দ্বিচারিতা।এর পর কংগ্রেসকে পরজীবী বলে আক্রমন শানিয়ে তিনি বলেন, “নিজের দক্ষতায় সরকার গড়ার ক্ষমতা কংগ্রেসের নেই। তবু ওদের অহংকার সর্বদা সপ্তমে।” মহা বিকাশ আঘাড়ির পরাজয়ের জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করে তিনি বলেন, “কংগ্রেস নিজেও ডোবে, অপরকেও ডোবায়। মহারাষ্ট্রের ফলাফলেও তা দেখা গেল। মহা বিকাশ আঘাড়ির শরিক দলগুলিকে ডুবিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস।” 

Card image cap

ফড়ণবিশের প্রত্যাবর্তন!

২০১৯ সালের ডিসেম্বর। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথ নেওয়ার পর মাত্র চারদিন পেরতে না পেরতেই ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। পাঁচ বছর পরে সেই দেবেন্দ্র ফড়ণবিসকেই দেখা যাচ্ছে কুরসির কাছাকাছি। আর সেই সময় ফিরে আসছে এক পুরনো ভিডিও। যেখানে এক কবিতা শুনিয়ে বিজেপি নেতা বলেছিলেন, তিনি সমুদ্র ফিরে আসবেন।এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাজুটি এগিয়ে ২২৮ আসনে। তাদের প্রত্যাবর্তন যে স্রেফ সময়ের অপেক্ষা তা বলার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না। আর এই পরিস্থিতিতে ফিরে আসছে পাঁচ বছর আগের এক মুহূর্ত। উদ্ধব ঠাকরের কাছে হেরে সরে যাওয়ার পর বিরোধী নেতা নির্বাচিত হয়ে বিধানসভায় তিনি মারাঠি ভাষায় বলেছিলেন, ”মি পুনহা ইয়েন।” অর্থাৎ ‘আমি ফিরে আসব’। এর পরই তিনি বলেন, ”মেরা পানি উতারতে দেখ কিনারে পর ঘর মত বানা লেনা। ম্যায় সমন্দর হুঁ। লওট কর ভাপিস আউঙ্গা।” যার বাংলা তর্জমা করতে দাঁড়ায়, ‘আমার জল সরে গিয়েছে দেখে পাড়ে ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলো না। আমি সমুদ্র। ফিরে আসব।’নতুন করে ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। যা দেখে বহু নেটিজেন বলছেন, নিজের কথা রেখেছেন বিজেপি নেতা। তাঁর এই প্রত্যাবর্তন দেখে ভালো লাগছে। প্রসঙ্গত, নিজের কেন্দ্র নাগপুর দক্ষিণ পশ্চিমে ২৭ হাজার ৩৮৬ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন ফড়ণবিস।এদিকে পরিস্থিতি যা তাতে বিজেপির ‘একক’ মহিমা অনেকটাই বাড়বে মহারাষ্ট্রে। দি সত্যিই ১২৫টি আসন অন্তত তারা পেয়ে যায়, সেক্ষেত্রে যেটুকু আসন বাকি থাকবে সরকার গড়তে তা পেতে হলে অজিত পওয়ার কিংবা একনাথ শিণ্ডে শিবিরের উপরে অতটাও নির্ভর করতে হবে না। ফলে শিণ্ডে কিংবা অজিত, নয় মসনদে ফিরতে পারেন ফড়ণবিসই। এই সম্ভাবনা ক্রমেই জোরাল হচ্ছে। শেষপর্যন্ত শিণ্ডের পরিবর্তে তিনিই তৃতীয়বারের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হন কিনা সেটাই দেখার।

Card image cap

দিল্লিতে ভোটের দামামা বাজিয়ে ১১ প্রার্থীর নাম ঘোষণা আপের

 দিল্লি বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বৃহস্পতিবার দলের কেন্দ্রীয় কোর কমিটির বৈঠক শেষে আপের তরফে ১১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী যে কেজরিই, এদিন তাও স্পষ্ট করা হয়।বছর ঘুরলেই দিল্লি বিধানসভার ভোট। যদিও এখনও দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি কমিশন। তার আগে এদিন আচমকাই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ১১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিল আম আদমি পার্টি। ১১ আসনের মধ্যে তিনটিতে দলের বিধায়কদের টিকিট দেয়নি আপ। সেখানে বিজেপি ও কংগ্রেস থেকে আসা প্রাক্তন বিধায়ক কিংবা সাংসদকে প্রার্থী করেছে আম আদমি পার্টি। বিজেপির অভিযোগ, কেজরির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই আচমকা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল আম আদমি পার্টি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন বলে অভিযোগ তুলে বিজেপি আন্দোলন শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার তারা বড় জমায়েত করে কেজরির বাড়ির সামনে। তিনি আর আম আদমির নেতা নন, প্রচার শুরু করেছে পদ্ম শিবির।বোঝাই যাচ্ছে, বিধানসভা ভোটে কেজরির ঠাটবাট অন্যতম ইস্যু করতে চলেছে বিজেপি। এদিকে, আপের প্রথম সারির নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বৃহস্পতিবারই বলেছেন, বিধানসভা ভোটে অরবিন্দ কেজরিওয়ালই আপের মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসাবে লড়াই করবেন। দল ক্ষমতায় ফিরলে ফের তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। সরে যাবেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। সত্যেন্দ্র জৈনের কথায়, কেজরি জনতার রায় নেবেন বলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে গিয়েছেন। নিজে বিপুল ভোটে জিতে এবং দলকে জিতিয়ে এনে তিনি প্রমাণ করে দেবেন, আবগারি দুর্নীতি এক বানানো গল্প এবং দিল্লিবাসী বিশ্বাস করেন না যে তিনি দুর্নীতি করেছেন।

Card image cap

আদানির সঙ্গে জড়িত মোদিও, বলছেন রাহুল

গৌতম আদানিকে অনৈতিক সুবিধা দিচ্ছে সরকার! গত কয়েক বছর লাগাতার এই অভিযোগে সরব রাহুল গান্ধী। কয়লা কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর শিল্পপতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রাহুল। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর পথে নেমে আন্দোলন করেছে কংগ্রেস। যদিও তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি। বৃহস্পতিবার মার্কিন আদালত শিল্পপতির বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ তুলতেই ফের সরব রাহুল। এবার তাঁর অভিযোগ, “আদানি যে ২ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি করেছেন, তাতে কোনও তদন্তও হবে না, গ্রেপ্তারিও হবে না। কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদি খোদ আদানির সঙ্গে জড়িত।”মার্কিন আদালতের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধী দলনেতা সাংবাদিক সম্মেলন থেকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন। রাহুলের বক্তব্য, “আমরা যেটা বলতাম, সেটাই পরিষ্কার হয়ে গেল। আদানিজি মার্কিন ও ভারতীয়-দুই দেশের আইনই ভেঙেছেন। এর পরও কীভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে পারছেন? এ দেশে মুখ্যমন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হন, আদানি কেন নন? আসলে প্রধানমন্ত্রীও ওঁর সাথে জড়িত।” মোদিকে খোঁচা দিয়ে রাহুল বললেন, “প্রধানমন্ত্রী আসলে এক হ্যায় তো সেফ হ্যায় মন্ত্রে বিশ্বাসী। ১০-১৫ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হন, অথচ ২০০০ কোটির দুর্নীতিতে আদানির কিছু হয় না।”রাহুলের দাবি, আজই আদানিকে গ্রেপ্তার করা উচিত। একই সঙ্গে একপ্রকার চ্যালেঞ্জের সুরে বিরোধী দলনেতা বললেন, “২০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি। অথচ আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি কোনও তদন্তও হবে না। গ্রেপ্তারিও হবে না। প্রধানমন্ত্রী ওকে বাঁচায়, উনি বিজেপিকে সাহায্য করেন, এটা প্রমাণিত সত্য। মোদি চাইলেও কিছু করতে পারবেন না। তাঁর ক্ষমতাই নেই। এই দেশের প্রধানমন্ত্রী আদানির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।”আদানির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে তাতে আর কিছু হোক বা না হোক মোদির বিশ্বাসযোগ্যতা, ভাবমূর্তি ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। অন্তত এমনটাই দাবি রাহুলের। তিনি বলছেন, “যারা দেশকে হাইজ্যাক করছে, সবার মুখোশ প্রকাশ্যে আনব। এর জন্য বিরোধী দলগুলো, নানা মানুষ একযোগে কাজ করছে। মোদিজির বিশ্বাসযোগ্যতা, ভাবমূর্তি ভেঙে চুরমার করে দিয়েছি। ধীরে ধীরে গোটা নেটওয়ার্ক প্রকাশ করে দেব।”

Card image cap

নিম্ন আদালতকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে কেজরি

আবগারি দুর্নীতি মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে কেজরিওয়ালকে সমন পাঠিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেই সমনের বিরুদ্ধেই এবার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি হাই কোর্টে তাঁর দাবি, এভাবে স্বতঃপ্রণোদিত সমন পাঠাতে পারে না নিম্ন আদালত। নিম্ন আদালতের এই মামলা খারিজ করারও আবেদন জানিয়েছেন কেজরিওয়াল।গত ১৭ সেপ্টেম্বর আবগারি দুর্নীতি কেজরিওয়ালকে সমন পাঠিয়েছিল নিম্ন আদালত। তবে সেই আবেদনে সাড়া দেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। পালটা এই সমন ও তাঁর বিরুদ্ধে চলা মামলা খারিজের আবেদন জানিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে আর্জি জানালেন তিনি। অনুমান করা হচ্ছে, আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হতে চলেছে দিল্লি হাই কোর্টে। এ বিষয়ে কেজরিওয়ালের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, ট্রায়াল কোর্টের বিচারক পিএমএলএর ধারা ৩-এর অধীনে অপরাধের স্বীকৃতি নিতে ভুল করেছেন। এবং অপরাধের সময় মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বর্তমানে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্তরবর্তীকালীন জামিনে মুক্ত রয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।উল্লেখ্য, আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডি। পরে আবগারি মামলায় কেজরিকে জামিন দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। সেই স্থগিতাদেশ চলাকালীনই তিহাড় জেলে গিয়ে কেজরিকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। আবগারি দুর্নীতি এবং বিরাট আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গত ১২ জুলাই ইডির মামলায় জামিন পান কেজরি। কিন্তু জেল থেকে বেরতে পারেননি কেজরি। কারণ সিবিআই গ্রেপ্তারির কারণে তাঁকে জেল হেফাজতে রেখেছিল আদালত। সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে ফের নতুন করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন কেজরি। সেখানেই মেলে জামিন।

Card image cap

কর্নাটকে এনকাউন্টারে খতম ‘কমরেড’ বিক্রম

গত ২০ বছর ধরে পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ লিস্টে ছিলেন। দিনের পর দিন তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল তদন্তকারীদের। অবশেষে মিলল সাফল্য। পুলিশের হিট লিস্টে থাকা শীর্ষ মাওবাদী নেতা ‘কমরেড’ বিক্রম গৌড়াকে খতম করল কর্নাটক পুলিশ। সোমবার কর্নাটকের উদুপিতে কাবিনেল জঙ্গলে মাও বিরোধী অভিযান চলাকালীন পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।জানা গিয়েছে, উদুপি পুলিশের কাছে গোপন খবর আসে ৫ জন মাওবাদী হেবরি তালুকের কাছে এক দোকানে জিনিসপত্র কিনছে। সেই খবরের ভিত্তিতে পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হয় অ্যান্টি নকশাল ফোর্সের সঙ্গে। এর পরই ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। সেখান থেকে কয়েক মিটার দূরে কাবিনেল জঙ্গলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। পুলিশের উপস্থিতির খবর পেয়েই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পালটা জবাব দেয় নিরাপত্তাবাহিনীও। দীর্ঘক্ষণ দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ের পর এক মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, নিহত এই মাওবাদী বিক্রম গৌড়া। গত ২০ বছর ধরে তাঁর সন্ধান করছিল পুলিশ।কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর জানিয়েছেন, ‘এই বিক্রম গৌড়া রাজ্যে মাওবাদীদের অন্যতম বড় মুখ। গত কয়েক দশক ধরে তাঁর সন্ধান চালাচ্ছিল পুলিশ। অভিযান চলাকালীন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিক্রম। পালটা জবাবে মৃত্যু হয়েছে এই মাওবাদী নেতার।’ দীর্ঘ বছর পর বিক্রমের মতো শীর্ষ মাওবাদী নেতার মৃত্যু নিরাপত্তাবাহিনীর জন্য বড় সাফল্য হিসেবে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বাকি ২ থেকে ৩ জন মাওবাদী গভীর জঙ্গলের দিকে পালিয়ে গিয়েছে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।হেবরি পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মহেশ টি এম জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া ওই দেহ যে শীর্ষ মাওবাদী নেতা বিক্রমের সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। হেবরি তালুকের নাদরালুর কুদলু গ্রামের বাসিন্দা মাওবাদী নেতা বিক্রম গৌড়া ২০ বছর ধরে পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে অভিযান চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

Card image cap

G20 সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাজিল সফরে মোদি

জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে শনিবার ব্রাজিলের উদ্দেশে রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাঁচ দিনের এই সফরে ব্রাজিলের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী যাবেন আফ্রিকার নাইজেরিয়া ও গায়ানাতে। এই সফরে একাধিক বৈঠকে যোগ দেবেন নরেন্দ্র মোদি। কূটনৈতিক দিক থেকে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।চলতি বছরের জি২০ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজিত হচ্ছে ব্রাজিলে। আগামী ১৮ ও ১৯ নভেম্বর একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতাদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সামিল হচ্ছেন এই বৈঠকে। সেই উদ্দেশে শনিবার দুপুরে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সফরে প্রথমে নাইজেরিয়া যাবেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানে ওঠার আগে প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দেন, ‘নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ টিনুবুর আমন্ত্রণে নাইজেরিয়াতে এটি আমার প্রথম সফর। পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলির মধ্যে নাইজেরিয়া ভারতের অন্যতম বন্ধু দেশ। এই সফর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।’ উল্লেখ্য ১৭ বছর পর এই প্রথম কোনও ভারতীয় রাষ্ট্রনেতা পা রাখছেন নাইজেরিয়াতে।সেখান থেকে হয়ে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে যাবেন নরেন্দ্র মোদি। জি২০ সম্মেলন সারার পর প্রধানমন্ত্রীর গন্তব্য হবে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গায়ানা।আগামী ১৯ থেকে ২১ নভেম্বর গায়ানাতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এখানে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতার পাশাপাশি ও সেখানকার সংসদে ভাষণ দেবেন তিনি। প্রসঙ্গত, ১৯৬৮ সালের পর এই দেশের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট মহম্মদ ইরফান আলির আমন্ত্রণে প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পা রাখছেন গায়ানায়।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে জি২০ শীর্ষবৈঠকের আয়োজক দেশ ছিল ভারত। গত বছরের ১০ নভেম্বর দিল্লিতে সেই বৈঠকের শেষে মোদি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলার হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে সভাপতিত্বের ‘গাভেল’ তুলে দেন। প্রথা মেনে এ বারের শীর্ষবৈঠকের আয়োজক দেশ ব্রাজিল। বৈঠকে বাণিজ্য এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আলোচনা হতে পারে ইউক্রেন ও পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও।

Card image cap

মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা উন্মত্ত জনতার

 উত্তপ্ত মণিপুরে এবার উন্মত্ত নাগরিকদের নিশানায় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি। শনিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের বাড়িতে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। দরজা ভেঙে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয় পুলিশকে। শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, তাঁর মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রীর হামলা চালিয়েছে উত্তেজিত জনতা।জিরিবাম জেলায় ৬ মেইতেই নাগরিকের দেহ উদ্ধার ঘিরে নতুন করে আগুন জ্বলছে মণিপুরে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে, এই দাবিতে প্রায় গোটা রাজ্যে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ শুরু করেছে মেইতেইদের একটা বড় অংশ। শুক্রবারই কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন করে রাজ্যের ৬টি থানাকে আফস্পার অধীনে আনা হয়। কিন্তু শনিবার জিরিবাম থেকে অপহৃত ৬ মেইতেই নাগরিকের মৃত্যুর খবর আসার পর পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়।শনিবার বিকালের পরই গোটা ইম্ফলে কারফিউ জারি করা হয়। সেনা, অসম রাইফেলস এবং মণিপুর পুলিশের নিরাপত্তারক্ষীরা কার্যত গোটা ইম্ফল শহর ছেয়ে ফেলেন। কিন্তু তারপরও থামানো যায়নি বিক্ষোভ। রাতে রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং তিন বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এমনকী, হামলা চালানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও। প্রথমে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের থামানোর চেষ্টা করা হয়। পরে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে বাধ্য হন নিরাপত্তারক্ষীরা। যদিও হামলার সময় মুখ্যমন্ত্রী বাসভবনে ছিলেন না বলেই খবর। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর জামাই তথা বিজেপি বিধায়ক আরকে ইমো, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সাপম রঞ্জন এবং উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী এল সুসীন্দ্র সিংয়ের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে উন্মত্ত জনতা।মণিপুর পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলার খবর স্বীকার করে নিয়েছে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয়েছে সেটাও মেনে নিয়েছে পুলিশ। শনিবার রাতে সব মিলিয়ে মোট ৮ জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

Card image cap

ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে ফের গুলির লড়াই

মাওবাদী মুক্ত ভারতের লক্ষ্যে ফের বড় সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর। শনিবার সকাল থেকে চলা অভিযানে ছত্তিশগড়ে খতম ৫ মাওবাদী। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। পাশাপাশি গুলির লড়াইয়ে দুই জওয়ান আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের চিকিৎসার জন্য এয়ার লিফট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রায়পুরে।ছত্তিশগড়ের বস্তার রেঞ্জে নারায়ণপুর কাঙ্কের সীমান্তবর্তী এলাকায় মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে অভিযানে নামে যৌথবাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। নিরাপত্তাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে এবং পিছু হঠার জায়গা না পেয়ে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পালটা জবাব দেয় বাহিনীও। দীর্ঘক্ষণ ধরে দুপক্ষের গুলির লড়াই চলার পর ৫ মাওবাদির মৃত্যু হয়। তাদের কাছ থেকে ৫টি সংক্রিয় রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। এদিকে অভিযান চলাকালীন ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের দুই জওয়ান আহত হন। দ্রুত কপ্টারে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে রায়পুরের নারায়না হাসপাতালে। বর্তমানে তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা যাচ্ছে।এই ঘটনা প্রসঙ্গে বস্তার রেঞ্জের আইজিপি পি সুন্দররাজ বলেন, গোটা এলাকা ঘিরে রেখে এখনও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ডিআরজি, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং বিএসএফ-এর যৌথ বাহিনী। আরও বেশ কয়েকজন মাওবাদী ওখানে রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখনও চলছে গুলির লড়াই। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিজাপুরে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে মৃত্যু হয়েছিল ৩ মাওবাদীর। এই তিনজনের মধ্যে একজনের মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা।প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ভারত মাওবাদী-মুক্ত হবে বলে ঘোষণা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যে লাগাতার চলছে মাও-বিরোধী অভিযান। ইদানীংকালে মাওবাদী অভিযানে সবচেয়ে বড় সাফল্য মিলেছে গত অক্টোবর মাসে। ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স এবং ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড’-এর অভিযানে ৩৮ মাওবাদী খতম হয়। যদিও অভিযানে শেষে ফেরার পথে মাওবাদীদের আইইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় সেনা জওয়ানের। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ১৭ জন পুলিশকর্মী এবং ৫০ জনেরও বেশি নাগরিক মাওবাদীদের হানায় প্রাণ হারিয়েছেন। বরং উলটো দিকে ২০২৪ সালে ২৫০ জনেরও বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন ৮১২ জন। আত্মসমর্পণ করেছেন ৭২৩ জন মাওবাদী।

Card image cap

হাতি তাড়াতে আদালত অবমাননা!

হাতি তাড়াতে আদালত অবমাননা রাজ্যের! নির্দেশ অমান্য করে এখনও হাতি তাড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে জ্বলন্ত মশাল ও গজাল। এমনই অভিযোগে রাজ্যসরকারকে নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের অভিযোগ, ২০১৮ সালের ১ আগস্ট ও ৪ ডিসেম্বর হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে তা কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যার জেরেই রাজ্যের কাছে জবাব তলব করেছে বিচারপতি বি আর গভই ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ।গত ১৫ আগস্ট ঝাড়গ্রামে হাতি তাড়ানোর জন্য লোহার রড, গজাল ও জ্বলন্ত মশাল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে হুলা পার্টির বিরুদ্ধে। যার জেরে মৃত্যু হয় এক হস্তিনী ও তার গর্ভস্ত সন্তানের। হাতি তাড়াতে এই ধরনের অস্ত্র যাতে না ব্যবহার করা হয় তার জন্য ২০১৮ সালে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এ বিষয়ে আদালতে মুচলেকা দিতে হয়েছিল কর্নাটক, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা রাজ্যকে। রাজ্যগুলির তরফে জানানো হয়, ধাতব অস্ত্র তো বটেই এমনকি জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া জ্বলন্ত মশাল ব্যবহার করবে না রাজ্য। অভিযোগ বাকি রাজ্যগুলি এই নির্দেশ মানলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বিষয়ে কোনও সদর্থক উদ্যোগ নেয়নি। যার জেরেই রাজ্যের প্রিন্সিপাল কনজারভেটার অফ ফরেস্টস-এর জবাব তলব করেছে শীর্ষ আদালত।প্রেমা সিং বিন্দ্রা মামলায় ছয় বছর আগে আদালত নির্দেশ দিলেও হাতি তাড়াতে এখনও কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনা রাজ্য তৈরি করেনি রাজ্য। বরং বনদপ্তরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই হাতিদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে। অভিযোগ উঠেছে, আদালতের নির্দেশ মতো হাতি তাড়াতে নিযুক্ত হুলা পার্টির উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি। গ্রামের সীমানায় লাগানো হয়নি সোলার লাইট। এলইডি বা সোলার টর্চ দেওয়া হয়নি গ্রামবাসীদের।নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল লঙ্কার গুঁড়োর ধোঁয়া বা ড্রাম বাজিয়ে হাতি তাড়ানোর। সেটাও পালন করেনি রাজ্যের বনদপ্তর। এর পাশাপাশি হাতি চলাচলের আগাম খবর আদান-প্রদানের ব্যবস্থা ও গ্রামবাসীদের শস্যের ক্ষতি হলে ক্ষতিপুরণের ব্যবস্থা না করারও অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।

Card image cap

মোদির দিল্লিগামী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি

যান্ত্রিক ত্রুটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিল্লিগামী বিমানে। দেওঘর বিমানবন্দরে আটকে ছিল বিমানটি। সেই কারণে মোদির দিল্লি ফেরায় বিলম্ব দেখা দিয়েছে। অবশেষে ফিরলেন বায়ুসেনার বিমানে। সব মিলিয়ে দেরি দুঘণ্টা।জানা গিয়েছে, শুক্রবার আচমকাই মোদির বিমানটি খারাপ হয়ে যায়। আর তার ফলে বিমানবন্দরেই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে মোদিকে। এখনও পর্যন্ত খবর অনুসারে, বিমানটি ওড়ার আগেই আচমকা দেখা যায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞের দল বিমানটি পরীক্ষা করে দেখে। আঁটসাঁট করা হয়েছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা।বীরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবারই ঝাড়খণ্ডে আসেন মোদি। পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন মুন্ডার প্রতিকৃতিতে। ৬৬৪০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলন্যাসও করেন প্রধানমন্ত্রী। দুটি জনসভায় ভাষণ দেন তিনি। সামনেই ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। তার আগেই এই সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। এখান থেকে দিল্লি ফেরার কথা তাঁর। কিন্তু আচমকাই বিমানে ত্রুটি ধরা পড়ায় বিলম্বিত হল ফেরার প্রক্রিয়া।এদিকে এরইমধ্যে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় আটকে পরে রাহুল গান্ধির হেলিকপ্টারও। সূত্রের খবর, ছাড়পত্র না পাওয়াতেই রাহুল গান্ধির হেলিকপ্টার আধ ঘণ্টা ধরে গোড্ডায় আটকে রয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর সভার কারণেই রাহুলের হেলিকপ্টারকে অবতরণের ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।

Card image cap

উপনির্বাচন চলাকালীন অতিরিক্ত জেলাশাসককে সপাটে চড়!

গতকাল উপনির্বাচন ছিল রাজস্থানের দেওলি-উনিয়ারা বিধানসভা কেন্দ্রে। সেখানে এক ভোটকেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগে অতিরিক্ত জেলাশাসককে সপাটে চড় মারার অভিযোগ ওঠে ওই কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী নরেশ মীনার বিরুদ্ধে। চড় মারার সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। বৃহস্পতিবার সকালে মীনাকে গ্রেপ্তার করল রাজস্থান পুলিশ। একপ্রস্থ নাটকের পরে নির্দল প্রার্থীকে হেফাজতে নেওয়া সম্ভব হয়।বুধবার ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বিধানসভা কেন্দ্রের একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক অমিত চৌধুরী। আচমকাই অমিতের উপরে চওড়া হন নির্দল প্রার্থী নরেশ মীনা। সপাটে চড় মারেন তিনি জেলাশাসককে। সঙ্গে চলছিল বচসা। এক সময় পুলিশ এসে বাধা দেয়। এই ঘটনার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই হইচই পড়ে যায় গোটা রাজস্থানে। মীনাকে গ্রেপ্তারির নির্দেশ দেয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সেই গ্রেপ্তারির সময় বাধার মুখে পড়ে পুলিশ।এদিন পুলিশ মীনাকে ধরতে গেলে তাঁর সমর্থকরা বাধা দেয়। জনতার উদ্দেশ্যে নির্দল প্রার্থী চিৎকার করে বলতে থাকেন, “আমি আত্মসমর্পণ করব না।” এমনকী সমর্থকদের পুলিশকে ঘিরে ধরারও নির্দেশ দেন তিনি। যদিও হেলমেট, বর্ম, লাঠি সঙ্গে তৈরি হয়েই এসেছিল পুলিশ। ফলে শেষ পর্যন্ত সমর্থকদের এড়িয়ে মীনাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় তারা।

Card image cap

মঞ্চে আচমকাই মোদিকে প্রণাম করতে গেলেন নীতীশ!

তৃতীয় বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণের আগে তাঁকে প্রণাম করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে তাঁকে বিরোধীদের খোঁচার মুখেও পড়তে হয়েছিল। ভোটের আগে এক জনসভাতেও একই কাজ তিনি করেছিলেন। সেই দৃশ্যেরই পুনরাবৃত্তি হল বুধবার। ফের মোদিকে প্রণাম করতে গেলেন তিনি। যা দেখে দ্রুত তাঁকে নিবৃত্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী। করমর্দন করলেন জেডিইউ নেতার সঙ্গে।ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, ভরা মঞ্চে একসঙ্গে বসে রয়েছেন মোদি ও আরও অনেকে। আচমকাই মঞ্চে প্রবেশ করেন নীতীশ কুমার। দ্রুত এগিয়ে এসে তিনি স্পর্শ করতে যান প্রধানমন্ত্রীর পা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হাত ধরে ফেলেন মোদি। পরিবর্তে করমর্দন করেন।এই প্রথম নয়। এর আগেও এই বছর এমন দৃশ্য দুবার দেখা গিয়েছে। গত জুন ও এপ্রিলে। জুনের প্রণামের পর ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর তাঁকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, ”মানুষ আমার কাছে জানতে চায় কেন আমি নীতীশ কুমারের সমালোচনা করি, যেখানে আমি অতীতে ওঁর সঙ্গে কাজ করেছি। উনি আসলে তখন একেবারেই একদম অন্য একটা মানুষ ছিলেন। নিজের আত্মাকে বিক্রি করতে চাননি। একজন রাজ্যের প্রধানের জন্য মানুষ গর্বিত হয়। কিন্তু নীতীশ কুমার বিহারকে লজ্জিত করেছেন মোদির পা ছুঁয়ে।” সেই সঙ্গে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ”উনি চান মোদির পা ধরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে।”
গত এপ্রিলে বিহারে এক জনসভায় তাঁদের একই মঞ্চে দেখা যায়। পাশে বসে থাকা মোদির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। তা নিয়ে সেই সময়ও চর্চা হয়েছিল। মজার বিষয়, মোদি ও নীতীশের বয়স প্রায় সমান। প্রধানমন্ত্রীর যেখানে বয়স ৭৪, সেখানে নীতীশের বয়স ৭৩। তবে নীতীশের এহেন প্রণাম-প্রীতি কেবল মোদির ক্ষেত্রেই নয়, অন্য ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি চিত্রগুপ্ত পুজো উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রবীণ বিজেপি নেতা আর কে সিংয়ের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেন নীতীশ। এর পরই বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দেন বর্ষীয়ান আর জে ডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব। বলেন, “মানুষের পায়ে ধরাই তো ওর স্বভাব।”

Card image cap

দায়িত্ব নিয়েই ‘সুপ্রিম’ নিয়মে বড় বদল প্রধান বিচারপতির

আর মৌখিকভাবে নয়। এবার থেকে সুপ্রিম কোর্টে যে কোনও মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানাতে হলে, সেটা জানাতে হবে লিখিতভাবেই। প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব নিয়েই চন্দ্রচূড়ের আমলের নিয়মে বদল আনলেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। শুধু তাই নয়, কোনও মামলার দ্রুত শুনানি চাইলে ঠিক কী কারণে দ্রুত শুনানি চাওয়া হচ্ছে, সেটাও স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে।অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের আমলে সুপ্রিম কোর্টে মৌখিকভাবে দ্রুত শুনানির আর্জি জানানোর চল ছিল। কোনও মামলার দ্রুত শুনানি চাইলে আইনজীবীরা মৌখিকভাবে সেটা জানাতে পারতেন। সচরাচর দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়, কোনও জরুরি রাজনৈতিক মামলা, গ্রেপ্তারির আশঙ্কা, বা নির্মাণ ভাঙার মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়। এতদিন সেটা মৌখিকভাবে জানানো যেত।নতুন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ঠিক করে দিলেন এবার থেকে কোনও মামলার দ্রুত শুনানির জন্য ইমেলের মাধ্যমে বা সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট স্লিপেই আবেদন করতে হবে। মৌখিক আবেদন গ্রহণ করা হবে না। যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রীতিতে বদল আসতে চলেছে।সোমবার দেশের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিয়েছেন সঞ্জীব খান্না। গত ১৭ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি পদে সঞ্জীব খান্নার নাম প্রস্তাব করা হয়। তার পর ২৪ অক্টোবর সেই প্রস্তাবে সিলমোহর দেয় কেন্দ্র। অবশেষে ১১ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন সঞ্জীব। আগামী সাত মাসের জন্য প্রধান বিচারপতি পদে থাকবেন সঞ্জীব। ২০২৫ সালের ১৩ মে তিনি অবসর নেবেন। দায়িত্ব নিয়েই কড়া নিয়ম করার ইঙ্গিত দিলেন তিনি।

Card image cap

গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে অযোধ্যার রামমন্দির!

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের পর এবার খলিস্তানিদের নিশানায় অযোধ্যার রামমন্দির! হিন্দুদের আস্থার এই মন্দির বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিল খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত সিং পান্নুন। এক ভিডিও বার্তায় হুমকি দেওয়া হয়েছে, ১৬ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে হামলা চালানো হবে অযোধ্যার রামমন্দিরে। জানা যাচ্ছে, এই ভিডিও শুট করা হয়েছে কানাডার ব্রাম্পটনে। যেখানে কিছুদিন আগেই হামলা চালিয়েছিল খলিস্তানি সমর্থকরা।ওই ভিডিও বার্তায় পান্নুনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, হিন্দুত্ববাদী বিচারধারার ভিত হল অযোধ্যা। সেখানকার মাটি আমরা কাঁপিয়ে দেব। এই ভিডিও বার্তায় দেশের একাধিক হিন্দু মন্দিরের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাম মন্দিরের উদ্বোধন করছেন এমন একটি ছবি। রাম মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকির পাশাপাশি কানাডার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ চন্দ্র আর্যকেও হুমকি দিতে দেখা দিয়েছে পান্নুনকে। খলিস্তানি জঙ্গির বার্তা, ‘কানাডায় বাস করেও ভারতীয় বংশোদ্ভূত একাধিক ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদির বিচার ধারা নিয়ে চলেন। তাঁদের জন্য স্পষ্ট বার্তা, কানাডার প্রতি সৎ না হলে দেশ ছেড়ে চলে যান।’বিদেশের মাটিতে বসে পান্নুনের এমন হুমকি অবশ্য প্রথমবার নয়, এর আগে এয়ার ইন্ডিয়ায় বোমা হামলার হুমকি দিয়েছিল এই খলিস্তানি জঙ্গি। এক ভিডিও বার্তায় শিখ দাঙ্গার ৪০ তম বর্ষপূর্তির প্রসঙ্গ তুলে খলিস্তানি সংগঠন শিখস ফর জাস্টিসের নেতা পান্নুন বলে, ‘১ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে সফর করবেন না। এটা শিখ নরসংহারের ৪০ তম বর্ষপূর্তি। ফলে এই সময় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে হামলা হতে পারে।’উল্লেখ্য, খলিস্তানের নামে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ায় সিদ্ধহস্ত পান্নুন। সরকারের বিরুদ্ধে পাঞ্জাবের শিখ যুবককে অস্ত্র ধরার জন্য লাগাতার উস্কানি দিয়ে চলে এই নেতা। ২০২০ সালে ইউএপিএ আইনে জঙ্গি ঘোষণা করা হয় পান্নুনকে। পাশাপাশি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় তার সংগঠন শিখস ফর জাস্টিসকে। ভারতে গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় আমেরিকায় আস্থানা গেড়েছে এই জঙ্গি। আমেরিকার পাশাপাশি তার কাছে রয়েছে কানাডার নাগরিকত্বও।