CATEGORY district:

Card image cap

জোড়াবাগানে প্রৌঢ় ‘খুন’, ঘনীভূত রহস্য

কালীপুজোর সকালে খাস কলকাতার জোড়াবাগানে ভয়ংকর কাণ্ড। ঘর থেকে উদ্ধার প্রৌঢ়ের রক্তাক্ত দেহ। মেঝেয় মিলেছে চাপ চাপ রক্ত। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। কেন এই খুন? নেপথ্যে কে বা কারা? জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, মৃতের নাম অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বয়স ৫২ বছর। জোড়াবাগানের সেন লেনের বাসিন্দা তিনি। পেশায় এলআইসি এজেন্ট ছিলেন। পাঁচতলা বাড়ির একাংশে একাই থাকতেন তিনি। নিচে দিদি থাকতেন। প্রতিদিন দিদির বাড়ি থেকে চা যেত অভিজিৎবাবুর কাছে। এদিনও তার অন্যথা হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে দিদির ঘর থেকে অভিজিৎবাবুর জন্য চা পাঠানো হয়। দরজা ধাক্কা দিলেও তাঁর কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এর পর পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকতেই দেখা যায়, মেঝেয় পড়ে রয়েছেন অভিজিৎবাবু। ঘরের মেঝেয় চাপ চাপ রক্ত। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল এলাকায়।সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিানো হয়েছে। কেন এই ঘটনা? নেপথ্যে কে বা কারা? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। জানা গিয়েছে, বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল, তবে আততায়ী ঘরে ঢুকল কী করে? তবে কি পরিচিত কেউই এর নেপথ্যে? জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Card image cap

জামিন ছাড়াই জেলমুক্ত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী!

জামিন না পেয়েও জেলমুক্ত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল বনগাঁ আদালত চত্বরে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? কারা আছে এর নেপথ্যে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আইনজীবীদের দাবি, কোনও বিশেষ চক্রের দুর্নীতিতেই জামিন ছাড়া জেলমুক্ত হচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।বুধবার সকালে বনগাঁ আদালত চত্বরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বনগাঁ ল ইয়ারস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সমীর দাস। সমীরবাবুর অভিযোগ, গত ২১ অক্টোবর খলিল খালাসী নামে এক বাংলাদেশি চোরাপথে এদেশে আসার সময় বাগদা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাঁকে। বনগাঁ মহকুমা আদালতের বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার জন্য নির্দেশ দেন। ৪ নভেম্বর তারিখ জেল হেফাজত শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু মামলার আইনজীবী মনোজকুমার সাহা মঙ্গলবার খবর পান ওই আসামী জামিনে মুক্ত হয়ে গিয়েছে। সে পালিয়ে যায়নি, ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর করে আসামিকে রিলিজ করে দিয়েছে। জি আর সেকশন থেকে এই ‘রিলিজ লেটার’ লেখা হয়েছে। বিষয়টি কলকাতা হাই কোর্টকে জানানো হবে। উল্লেখ্য, খলিল খালাসীর এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।সমীরবাবু আরও অভিযোগ করেন, “আরও বড় ঘটনা ঘটছে এখানে। বিভিন্ন ল ইয়ার বা ল ক্লার্ক যারা রিলিজ করেন, তাঁরা আমাদের জানিয়েছেন, ডাকাতি-খুন-ধর্ষণ- বধূহত্যার মতো ৩০০ থেকে ৩৫০ মামলার নথি হারিয়ে গিয়েছে। কোনও হদিশ নেই।” রেকর্ডগুলো কি বিক্রি হয়ে গেল না কি কেউ চুরি করল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবীরা। এই বিষয়টিও কলকাতার হাই কোর্টের রেজিস্টারের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।সূত্রের খবর, এই মামলায় বাংলাদেশিকে অনুপ্রবেশের সহযোগিতা করার অভিযোগে অভিজিৎ মণ্ডল নামে এক ভারতীয়কেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই দিন তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি। কিন্তু জি আর সেকশনের গাফিলতিতেই জামিন ছাড়াই মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, এমনই দাবি আইনজীবীদের। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি তুলে সোচ্চার হয়েছেন বনগাঁ আদালতের আইনজীবী ল’ক্লার্ক সংগঠনের সদস্যরা |

Card image cap

গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে মৃত্যু ফরাক্কার ব্যবসায়ীর

সাতসকালে শুটআউট। মুশির্দাবাদের ফরাক্কায় ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল এলাকায়। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তদন্ত।জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ইয়াদ আলি। মুর্শিদাবাদের সুতি থানার কাশিমনগরের বাসিন্দা তিনি। কাশিমনগরেই তাঁর একটি হার্ডওয়্যারের দোকান রয়েছে। অন্যান্যদিনের মতোই বুধবার সকালে দোকানে যান ইয়াদ আলি। সাড়ে ৯ টা নাগাদ কাবিরুল শেখ নামে এক ব্যক্তি দোকানে যান সিমেন্ট কিনতে। তিনি দোকানে থাকাকালীন বাইকে দুই যুবক ইয়াদ আলির দোকানে যায়। অভিযোগ, কাবিরুলকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তাঁরা। ঘটনাচক্রে কাবিরুল সরে গেলে গুলি গিয়ে লাগে ইয়াদ আলির বুকে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।এদিকে অভিযুক্তদের ধাওয়া করে স্থানীয়রা। তবে বাইক ফেলে চম্পট দিয়েছে তাঁরা। কিন্তু কে এই কাবিরুল? কেনই বা গুলি? জানা গিয়েছে, জুয়ারি হিসেবে এলাকায় পরিচিত কাবিরুল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা। যদিও এবিষয়ে পুলিশ এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানাতে পারেনি। তবে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।

Card image cap

পুকুরে যুবকের দেহ, খুন নাকি দুর্ঘটনা?

বালির যুবকের রহস্যমৃত্যু। হুগলির ডানকুনি এলাকার পুকুর থেকে উদ্ধার দেহ। মিলেছে বাইকও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল এলাকায়। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কীভাবে মৃত্যু? জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।জানা গিয়েছে, অন্যান্যদিনের মতোই মঙ্গলবার সকালে ডানকুনির বাসিন্দারা কাজে বেরচ্ছিলেন। তাঁরাই দেখতে পান ডানকুনির খরিয়ালের পুকুরে কিছু একটা ভাসছে। পরে সাফাই কর্মীরা এসে জঙ্গল পরিষ্কার করার সময় পুকুরে চাকা দেখতে পান। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে পুকুর থেকে একটি বাইক ও এক যুবকের দেহ উদ্ধার করে। পাশ থেকে মিলেছে একটি ব্যাগ। তড়িঘড়ি দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, যুবকের নাম দীপক সিং। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, তাঁর বাড়ি বালিতে। রাতে খড়িয়ালের রাস্তা ধরে ডানকুনির দিকে যাওয়ার সময় কোনও কারণে বাইক-সহ পুকুরে পড়ে গিয়ে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।

Card image cap

প্রতিবেশীর অত্যাচারে হালিশহরে ‘খুন’ বৃদ্ধ

দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ঝগড়ার জেরে খুন বৃদ্ধের। প্রতিবেশীর লাঠির গায়ে প্রথমে জখম এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে প্রবল উত্তেজনা। হালিশহর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।নিহত বছর সত্তরের পরশনাথ সাউ। হালিশহরের বেলুড়পাড়ার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। রবিবার পরশনাথ সাউয়ের মেয়ে বাড়ির সামনে জামাকাপড় শুকতে দেন। তা নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়। অভিযোগ, ঝগড়াঝাটি চলতে চলতে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল আকার নেয়। তিন প্রতিবেশী পরশনাথকে মারধর করতে শুরু করে। লাঠি দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করা হয় বলেও অভিযোগ। তার জেরে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পরশ। অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তাঁর নাক দিয়ে রক্ত বেরতে থাকে।তড়িঘড়ি স্থানীয়দের সহযোগিতা পরিবারের লোকজন পরশনাথকে নৈহাটি হাসপাতালে নিয়ে যান। তাতে শেষরক্ষা হয়নি। তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তাঁকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ চিকিৎসাও হয় তাঁর। তবে পরে চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে পরশনাথের।পরশনাথের মৃত্যুর পর থেকে উত্তপ্ত গোটা এলাকা। অভিযুক্ত বিকি এবং অজয় চৌধুরীর বিরুদ্ধে হালিশহর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে বিকি এবং অজয় দুজনেই গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। সামান্য জামাকাপড় শুকতে দেওয়া নিয়ে বিবাদই ভয়ংক রূপ নিল নাকি এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Card image cap

সোশাল মিডিয়ায় প্রেমের ‘টোপ’ দিয়ে নারীপাচার!

সোশাল মিডিয়ায় প্রেমের টোপ দিয়ে প্রথমে নাবালিকাদের ডেকে অপহরণ, তার পর ভিনরাজ্যে পাচার। আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের সদস্য হিসেবে এসবই করে চলছিল জনা কয়েক যুবক। তাদের দায়িত্ব ছিল, সোশাল মিডিয়ায় প্রেমের টোপ দিয়ে কিশোরীদের জালে টানা। তবে এই ‘ছক’ আর বেশিদিন কাজ করল না। হুগলি জেলা পুলিশের তৎপরতায় সেই চক্রের পর্দাফাঁস হয়ে গেল। গ্রেপ্তার হয়েছে তিন দুষ্কৃতী। তাদের কলকাতা, অশোকনগর ও বিহার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। ধৃতদের নাম মিজানুর ওরফে রাহুল, শ্রীরাম রায় ও নন্দকিশোর কুমার।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জুলাই মাসের ১৩ তারিখে তারকেশ্বর এলাকা থেকে সতেরো বছরের এক নাবালিকার অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিলল তারকেশ্বর থানায়। তার পরিবারের অভিযোগ ছিল, মেয়েকে সোশাল মিডিয়ায় প্রেমের ‘ফাঁদ’ পেতে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের কবলে পড়েছে ওই নাবালিকা। ওই গ্যাংকে পাকড়াও করতে সক্রিয় হয়। পালটা ফাঁদ পাতে তারকেশ্বর থানার পুলিশ। আর তাতেই আসে সাফল্য! ফাঁদে ধরা পড়ে অভিযুক্ত মিজানুর ওরফে রাহুল ও তার সাগরেদ শ্রীরাম।ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, সোশাল মিডিয়ায় প্রেমের টোপ দিয়ে নাবালিকাকে অপহরণ করার দায়িত্ব ছিল তাদের উপর। সেইমতো তারকেশ্বরের ওই নাবালিকাকেও ভুলিয়ে অপহরণ করে বিহারের চম্পারণ এলাকায় পাচার করে নন্দকিশোর কুমারের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার কথা জানতে পেরে পুলিশ বিহারে যায় ও চম্পারণ থেকে নন্দকিশোর কুমারকে গ্রেপ্তার করে। ওই এলাকায় তার একটি স্থানীয় নাচের দল ছিল, যার আড়ালে গোপনে সেক্স র‌্যাকেট চলত। অবশেষে পুলিশ গত জুলাই মাসের ১৯ তারিখে সেখান থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে।শুধু তাই নয়, পুলিশের নাগাল থেকে বাঁচতে এরা সকলে নেপালে পালানোর পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের। আগেও তারা নেপালে গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ মনে করছে, সুযোগ পেলে ওই নাবালিকাকেও নেপালে পাচারের মতলব করছিল ধৃতরা। এই নারীপাচার চক্র আরও কতদূর বিস্তীর্ণ তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Card image cap

‘ডানা’ পরবর্তী দুর্যোগে জোড়া মৃত্যু বারাকপুরে

 ‘ডানা’ পরবর্তী দুর্যোগের পরিবেশে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জোড়া মৃত্যু বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। আমডাঙা ও খড়দহে বিদ্যুতের ছোবলে প্রাণ হারালেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও এক শ্রমিক। দুটি ঘটনাতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঝড়জলের মধ্যে এভাবে প্রাণঘাতী খোলা বিদ্যুতের তার রাস্তায় কেন? প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।প্রথম ঘটনা বারাসতের আমডাঙা এলাকার। চণ্ডীগড় পঞ্চায়েতের শশীপুর গ্রামের বাসিন্দা গিয়াসউদ্দিন শাহজির বাসিন্দা গিয়াসউদ্দিন শাহজির বাড়িতে শনিবার ভোররাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছিল। তিনি বেরিয়ে তা ঠিক করতে যান। বিদ্যুতের তারে কাজ করতে গিয়ে ইলেকট্রিক শক লেগে আহত হন। তড়িঘড়ি তাঁকে আমডাঙা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পর সেখান থেকে রেফার করা হয় বারাসত হাসপাতালে। তখন চিকিৎসকরা গিয়াসউদ্দিনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা যায়, পথেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।পুলিশ সূত্রে খবর, আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন গিয়াসউদ্দিন শাহজি। পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোররাতে ঘরে কেউ উপস্থিত ছিলেন না এবং তখন তিনি বাড়িতে ইলেকট্রিকের কিছু কাজ করছিলেন। এর পরই ঘরে এসে তাঁর মা ছেলেকে ওই অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তখনই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।অন্যদিকে, খড়দহে বিলকান্দার বাসিন্দা অরবিন্দ রায় শর্মারও মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। তিনি বলাগড়ের একটি কারখানায় কাজ করতে যান। সেখানে গ্রাইন্ডারে কারেন্টের শক লাগে। বন্দীপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রহড়া থানার পুলিশ।

Card image cap

বিশেষ নজরে ‘বড়মা’

বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে কালীপুজোর মূল আকর্ষণ নৈহাটি। আলোর উৎসবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একদিকে যেমন প্রসিদ্ধ বারাসত, অপরদিকে নৈহাটির পুজোরও বেশ খ্যাতি আছে। এই দুই জায়গাতেই ভিড় জমান উৎসাহী দর্শনার্থীরা। আর নৈহাটির ‘বড়মা’ পুজোয় তো ভক্তদের ঢল স্বাভাবিক চিত্র। এবার তাকে কেন্দ্র করেই কালীপুজোয় নিরাপত্তা ব্লুপ্রিন্ট সাজিয়েছে পুলিশ। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে শনিবার বৈঠক করে নিরাপত্তায় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এনিয়ে গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেছেন পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া।‘বড়মা’র পুজোকে কেন্দ্রে করে প্রতি বছর ভিড় বাড়ছে নৈহাটিতে। তাছাড়া গঙ্গাপাড়ের এই শহরে রয়েছে আরও ২২-২৩টি বড় কালীপুজো। এবছর ভিড় সামাল দিতে বিশেষ তৎপর বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। প্রতি বছরই শহরের একাধিক রাস্তা ‘নো এন্ট্রি’ থাকে। তাই ট্রেনে করেই নৈহাটির পুজো দেখতে দর্শনার্থীরা। সেই ভিড় থাকবে এবারও। সবমিলিয়ে উৎসবের মরশুমে এখানকার সুরক্ষায় মোতায়েন থাকবে ‘আদ্যা’ অর্থাৎ পিঙ্ক পুলিশ। বিসর্জন উপলক্ষেও থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কারণে রেল পুলিশের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। সুষ্ঠুভাবে পুজো পরিচালনার জন্য বড়কালী পুজো সমিতি-সহ সবকটি পুজো কমিটির সঙ্গেই আলোচনা করেছেন কমিশনারেটের পুলিশ কর্তারা। শনিবার নৈহাটির পুজো সংক্রান্ত গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেন পুলিশ কমিশনার আলোক রাজোরিয়া। তিনি জানান, ”পুজোয় নারী সুরক্ষা নিয়েও আমার বিশেষভাবে তৎপর। কালীপুজোর কটা দিন আদ্যা (পিঙ্ক পুলিশ) সহ উইনার্স টিমের কড়া নজরদারি থাকবে।” ৪ নভেম্বর এখানকার প্রতিমা বিসর্জন। ওইদিনের নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রতি বছর ব্যাপক ভিড় ও যান নিয়ন্ত্রণের জন্য আবাসিকদের সমস্যা হয়। তাই এবছর বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ ‘পাস’ ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।

Card image cap

বারাকপুরে ১২ বছরের মেয়েকে ‘খুন’ মায়ের

স্ত্রী স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। কিন্তু বছর বারোর কন্যাসন্তানকে দিব্যি আগলে রাখতেন। মেয়েকে ছাড়া এক মুহূর্ত যেন থাকতে পারতেন না। ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে মেয়ে। দিনকাল ভালো নয়, বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর তাঁর সঙ্গে নানা অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটতে পারে – দিনরাত এই আশঙ্কায় ভুগতেন মা। আর তার জেরে নিজের হাতে একমাত্র সন্তানকে খুন করলেন মা। এমন অভিযোগ ঘিরে উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরের আনন্দপুরীর ডি রোডে জোর শোরগোল।শ্যামনগরের গাঙ্গুলিপাড়ার বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ। বছর পনেরো আগে বিয়ে হয় তাঁর। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর বাবা-মা ওই দম্পতি। দিনকয়েক আগে বারাকপুরের আনন্দপুরীর ডি রোডে বসবাস শুরু করেন তাঁরা। প্রতিদিন দুপুরে মেয়েকে নিয়ে আলাদা ঘরে ঘুমোন মা। সেই মতো শুক্রবারও আলাদা ঘরে শুতে যান দুজনে। দুপুর গড়িয়ে সন্ধে হলেও ঘর থেকে বেরোচ্ছেন না মা-মেয়ে। তা দেখে সন্দেহ হয়। বাবা দরজা ঠেলে ভিতরে ঢোকেন। দেখেন বিছানায় শুয়ে রয়েছে বছর বারোর কন্যাসন্তান রাজন্যা ঘোষ। ঘরে পায়চারি করছেন স্ত্রী। তাঁর আচরণ একেবারে অন্যরকম। সমানে বিড়বিড় করে চলেছেন। বলছেন, “বড় হচ্ছে। ওর উপরে অন্যেরা অত্যাচার করবে, এটা হতে পারে না। আর কেউ ওর কিছু করতে পারবে না।”
মৃত মেয়েকে দেখে কার্যত তাজ্জব হয়ে যান ইন্দ্রজিৎবাবু। খবর দেন পুলিশে। খবর পাওয়ামাত্রই টিটাগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ছাত্রীর মাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইন্দ্রজিৎবাবু বলেন, “স্ত্রী স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় ভুগছে। তার চিকিৎসা চলছে। মেয়েকে আগলেই রাখত। কিন্তু এমন করবে ভাবতে পারছি না।” পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঘুমন্ত সন্তানের গলা টিপে খুন করেছেন ওই মহিলা। তাকে জেরা করে ঘটনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে বলেই আশা তদন্তকারীদের।

Card image cap

বীরভূমে শুটআটউ

বীরভূমে শুটআটউ। যুবককে গুলি করে খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। সাতসকালে জাতীয় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে দেহ। ইতিমধ্যেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুজয় মণ্ডল। তাঁর বয়স ৩৫ বছর। বীরভূমের মহম্মদবাজারের বাসিন্দা ওই যুবক। সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পান তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে সন্দীপ নামে এক যুবক তাঁকে ফোন করে ডাকে বলে খবর। জানান, পুলিশ তাঁর গাড়ি আটকেছে। সুজয়ের পুলিশের সঙ্গে পরিচিতি থাকায় তাঁকে ডেকে পাঠান। খবর পেয়ে ছুটে যান যুবক। কাজ সেরে দুই যুবক সুজয়ের মাসির বাড়িতে যান। সেখানে রাতের খাওয়া-দাওয়া সারেন। এর পর সাড়ে ১২ টা নাগাদ সেখান থেকে বের হন দুজন। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি কেউই।শুক্রবার সকালে চন্দ্রপুর ও সেরেন্ডার কাছে একটি দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দা অমিত মণ্ডল। জানা যায়, সেটি সুজয়ের। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গুলি করে খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। কিন্তু কেন? পুরনো শত্রুতা নাকি নেপথ্যে অন্য কিছু? তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই সন্দীপের গাড়ি চালককে খুন করেছে পুলিশ।

Card image cap

আসছে দানা, নদীবাঁধ নিয়ে চিন্তায় বসিরহাট

ফের ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। বাঁধের চিন্তায় তাঁরা। কোথাও দরমার বেড়া দিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার কোথাও ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের উপর পলিথিন দিয়ে বাঁধে ধস রোখার চেষ্টা চলছে।বুধবার সকাল থেকে সুন্দরবন লাগোয়া এলাকা হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাসনাবাদ, মিনাখাঁ, বসিরহাটের ব্লকগুলিতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসনের লোকজন। ত্রাণ শিবিরে খাবার মজুত রাখা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরাও আছেন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।এর আগে আয়লা, ইয়াস, উম্পুন, বুলবুল, ফণীর দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এলাকার বাঁধগুলি। একের পর এক ঘূর্ণিঝড় ঘর-রোজগার কেড়েছিল মানুষের। সেই ক্ষত এখনও ভুলতে পারেনি এই এলাকার লোকজন। এ দিন সকাল থেকেই এলাকার লোকজন দানা কোথায়, কখন তার ল্যান্ডফল হচ্ছে— সে বিষয়ে নজর রেখেছেন। এই এলাকার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে বিদ্যাধরী, ইছামতী, কালিন্দী, রায়মঙ্গল, কলাগাছি, ডাঁসা-সহ একাধিক নদী। সদ্য বর্ষা ও নিম্নচাপের প্রভাবে সেই নদীগুলি ফুঁসছে।সন্দেশখালির আতাপুর, তালতলারঘাট, মণিপুর, ভাঙা তুষখালি, ধামাখালি, হিঙ্গলগঞ্জের সর্দারপাড়া, যোগেশগঞ্জ, গোপালেরঘাট, সাহেবখালি, দুলদুল, হাসনাবাদের ট্যাংরামারি, বিশপুর, বাঁশতলি, বসিরহাটের আখারপুর, বাগুণ্ডি এলাকার বাঁধের অবস্থা খারাপ। তার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় চিন্তায় মানুষজন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, সেচ দপ্তরের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের উপর মাটি দেওয়ার কাজ চলছে। বুধবার সকাল থেকে বসিরহাট মহকুমার ধামাখালি, হিঙ্গলগঞ্জ ও হাসনাবাদে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের লোকজন মাইকে প্রচার করছেন। নদীর গুরুত্বপূর্ণ ঘাটগুলিতে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তর, সেচ ও স্বাস্থ্য দপ্তরকে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ও বসিরহাটে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।বসিরহাটের মহকুমাশাসক আশিস কুমার বলেন, ‘পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী ব্লকে রাখা আছে। প্রয়োজন হলে ত্রিপল, খাবার পাঠানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। গবাদি পশুদের খাবারও মজুত আছে। মহকুমার বহুমুখী সাইক্লোন সেল্টার-সহ ত্রাণ শিবিরগুলিকে পরিষ্কার করে বাসযোগ্য করে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে সেখানে নিচু এলাকার মানুষকে এনে রাখা হবে।’

Card image cap

পর পর ৬ রাউন্ড গুলি!

চিকিৎসা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হল না। এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন পড়লেন গুলিবিদ্ধ শিবপুরের তৃণমূল কর্মী আবদুল কাদের। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে খুরশিদ নওয়াজ আনসারি নামে এক যুবককে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অস্ত্র।ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ শিবপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত আবদুল কাদের। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেই সময় বাইকে করে কয়েকজন দুষ্কৃতী সেখানে যায়। যুব তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তাঁরা। কমপক্ষে ৬ রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলেই দাবি। মুহূর্তের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। লোকজন জড়ো হয়ে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বাইক নিয়ে দ্রুত গতিতে এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় আক্রান্তকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা শুরু হলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে।পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই যুবক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। একাধিকবার তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এদিকে স্থানীয়দের দাবি, মৃত যুবক তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ওই যুবক তৃণমূল করতেন। তবে দলের কোনও পদে ছিলেন না তিনি। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জেরা করে একাধিক তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

Card image cap

বিশেষভাবে সক্ষম টোটো চালকের গলা কেটে খুন বহরমপুরে

ছিনতাইয়ে বাধা পেয়ে বিশেষভাবে সক্ষম টোটো চালককে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার গভীর রাতে হাড়হিম এই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের  বহরমপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম কেয়াশিস শেখ (৪৭)। তিনি বহরমপুরের নেতাজি রোডের বাসিন্দা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষভাবে সক্ষম ওই ব্যক্তি টোটো চালিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ করতেন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও টোটো নিয়ে বেরিয়েছিলেন কেয়াশিস। নতুন বাজারের দিকে যাওয়ার সময় পথে তাঁর টোটো আটকায় একদল দুষ্কৃতী। কেয়াশিসকে নামিয়ে টোটো নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। স্বাভাবিকভাবেই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন কেয়াশিস। বাধা পেয়ে তাঁর গলার নলি কেটে টোটো নিয়ে পালায় অপরাধীরা। এই ঘটনার পর রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় কেয়াশিসকে পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।অন্যদিকে, টোটো নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় একটি লরিকে ধাক্কা মারে দুষ্কৃতীরা। এই দুর্ঘটনা দেখে স্থানীয়রা জড়ো হয় সেখানে। সেখানেই অন্য এক টোটো চালক কেয়াশিসের ছিনতাই হওয়া টোটো দেখে চিনতে পারেন। অপরিচিত লোকজন সেই টোটো নিয়ে যাচ্ছে দেখে ছিনতাইকারীকে তিনি প্রশ্ন করেন, কোথা থেকে তিনি এই টোটো পেলেন? বেগতিক বুঝে এর পর টোটো ফেলেই সেখান থেকে চম্পট দেয় ছিনতাইকারী। নৃশংস এই খুনের ঘটনায় হত্যাকারীকে ধরতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।এদিকে বাড়ির একমাত্র রোজগেরে পুরুষের আচমকা মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। মৃতার দিদি বলেন, ‘আমার ভাই বিশেষভাবে সক্ষম। সে রাতেই গাড়ি চালাত। প্রতিবন্ধী হওয়ার সুযোগ নিয়ে তাঁর টোটো কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এর পর বাধা পেয়েই তাঁকে খুন করা হয়।’ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে কড়া শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে পরিবার।

Card image cap

দোকানে মিলল প্রৌঢ়ের রক্তাক্ত দেহ

সাতসকালে ভয়ংকর কাণ্ড। দোকান থেকে উদ্ধার প্রৌঢ়ের গলা কাটা দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল ভাঙড়ের শাকসা এলাকায়। কেন এই হত্যাকাণ্ড? নেপথ্যে কে বা কারা? জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, মৃতের নাম জব্বর মোল্লা। বয়স ৫৫ বছর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের শাকসা এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তিনি। সেখানে চায়ের দোকান চালাতেন। রাতে ওই দোকানেই ঘুমোতেন তিনি। অন্যান্যদিনের মতোই সোমবার রাতে দোকানেই ঘুমিয়েছিলেন জব্বর মোল্লা। মঙ্গলবার ভোরে পরিবারের সদস্যরা দেখেন, দোকানের ভিতর পড়ে তাঁর গলা কাটা দেহ। রক্তে ভেসে যাচ্ছে দোকান।ঘটনাটি জানাজানি হতেই প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর দেওয়া ভাঙড় থানায়। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। কে বা কারা এর নেপথ্যে রয়েছে? মৃত প্রৌঢ়ের সঙ্গে কারও কোনও অশান্তি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Card image cap

শক্তি বাড়াচ্ছে ‘ডানা’, উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র!

বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার ভোরের মধ্যে যেকোনও সময় স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। ওড়িশার পুরী ও বাংলার সাগরদ্বীপের মাঝে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। আজ, মঙ্গলবার থেকেই জলোচ্ছ্বাস দিঘার সমুদ্রে। প্রশাসনের তরফে শুরু হয়েছে সর্তকতামূলক প্রচার।২৩ ও ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে ভারী ও অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী ও সমুদ্রবাঁধের উপর নজরদারি চালানোর জন্য সেচদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে ত্রাণসামগ্রী মজুত রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্থানীয়দের সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।সেক্ষেত্রে উপকূলবর্তী এলাকার ৬০টি মাল্টি পারপাস সাইক্লোন শেল্টার-সহ স্কুল ভবন নিয়ে প্রায় ৫০০টি ত্রাণ শিবির খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন অফিসে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু হয়েছে। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শংকরপুর, দত্তপুর, জলধা-সহ উপকূলীয় এলাকার মানুষদের সতর্ক করতে মাইকিং শুরু হয়েছে। সোমবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।আমফান, যশ, একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয় হলদিয়া, দিঘার উপকূলে। তাই ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন তিন কোম্পানির এনডিআরএফ কর্মী চেয়েছে।
পাশাপাশি, চার মহকুমা শাসক এবং ২৫টি ব্লকের বিডিওকে সতর্ক করা হয়েছে। সব জায়গায় পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজোর ছুটির মধ্যে এমনিতেই দিঘায় পর্যটকদের ভিড় রয়েছে। পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নামতে দেওয়া হচ্ছে না বলেই খবর। দুর্যোগের মধ্যে যাতে কোনও অঘটন না ঘটে, সে জন্য সতর্ক প্রশাসন। দিঘায় আসা এক পর্যটক চঞ্চল সরকার বলেন, “আমাদের জলে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। নামার পরিস্থিতি নেই বলেই মনে হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জলোচ্ছ্বাস বাড়ছে।” 

Card image cap

বাড়ির উঠোন থেকে কিশোরীকে টেনে নিয়ে গেল চিতাবাঘ!

বাড়িতে ঢুকে স্কুল ছাত্রীকে টেনে নিয়ে গেল চিতাবাঘ। পড়শিরা বন্যপ্রাণীটিকে তাড়া করলেও শেষরক্ষা হল না। চিতাবাঘের হামলায় মৃত্যু হল একটি কিশোরীর। জঙ্গলের পাশে রক্তাক্ত দেহটি ফেলে সে চম্পট দেয়। খবর পেয়ে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে এলে চরম বিক্ষোভ দেখায় জলপাইগুড়ির মাল বাজার এলাকার দক্ষিণ খেরকাটা গ্রামের বাসিন্দারা।মৃত কিশোরীর নাম সুশীলা গোয়ালা। বয়স মাত্র ১২ বছর। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নাগরাকাটা ব্লকের দক্ষিণ খেরকাটা গ্রামে। জানা গিয়েছে, কিশোরী বাড়ি উঠোনে হাত-পা ধুয়ে ঘরে যাচ্ছিল। সেই সময় চিতাবাঘ তার উপর হামলা করে। তুলে নিয়ে যায়। সেই সময় নাবালিকার বাড়িতে কেউ ছিল না। কিশোরীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন চিতাবাঘটিকে তাড়া করে। যদিও ততক্ষণে চিতা বাঘের হামলায় তার মৃত্যু হয়েছে।শেষমেষ চিতাবাঘটি কিশোরীকে জঙ্গলের কাছাকাছিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ওই গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এর পর খবর পেয়ে ছুটে আসেন বনকর্মীরা। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটনা প্রসঙ্গে গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের রাজীব দে বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। নাবালিকার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে।”

Card image cap

চিকিৎসার গাফিলতিতে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ!

ফের চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মৃতের পরিজনেরা। যা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম আদিত্য মহন্ত। তিনি বালুরঘাট খাসপুর এলাকার বাসিন্দা। যুবক দিল্লিতে শ্রমিকের কাজ করতেন। পুজোয় বাড়িতে এসেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার কারণে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার বিকেল থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। গভীর রাতে মারা যান যুবক। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক সময়ে না আসায় ও ঠিক মতো পরিষেবা না পাওয়ায় আদিত্যর মৃত্যু হয়েছে।তাঁদের আরও দাবি, শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলেও অক্সিজেন পাওয়া যায়নি। এছাড়া, রোগীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য সুপার স্পেশালিটি ওর্য়াডে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্য চাওয়া হলে তা পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ। রাতেই হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবার। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানাবেন। এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Card image cap

হাসপাতালেই নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানি!

আর জি কর কাণ্ড, কৃষ্ণনগরের ছাত্রী মৃত্যু-সহ একাধিক ঘটনায় নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই আবহে পাথরপ্রতিমার গদামথুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ। কাঠগড়ায় এক অ্যাম্বুল্যান্স চালক। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার ধৃতকে কাকদ্বীপ এসিজেএম আদালতে তোলা হয়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম পবিত্র হালদার। পাথরপ্রতিমারই দিগম্বরপুরের বাসিন্দা ওই যুবক। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যাম্বুল্যান্স চালকের কাজ করে। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি থাকা ১৪ বছরের নাবালিকাকে ফোনের চার্জার দেওয়ার নাম করে একটি ঘরে ডেকে নিয়ে যায় পবিত্র। সেখানে শ্লীলতাহানি করা হয়। এর পরে ফিরে এসে পরিবারকে বিষয়টি জানায় নির্যাতিতা।কিশোরীর পরিবারের তরফে থানায় অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ  অভিযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালক পবিত্রকে গ্রেপ্তার করে। কী করে হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন রোগীকে অন্য ঘরে নিয়ে গেল অ্যাম্বুল্যান্স চালক, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের রোগী নিরাপত্তা। আতঙ্কে রোগী ও তাঁর আত্মীয় পরিজনেরা।