CATEGORY district:

Card image cap

অশোকনগরে রেল অবরোধ, যশোর রোডে যানজট

অশোকনগরে রেল অবরোধ। অফিস টাইমে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা। সকাল আটটা থেকে স্টেশনে ঢোকার মুখে দাঁড়িয়ে ট্রেন। রেলগেটও খোলা যায়নি। বিশাল যানজট যশোর রোডেও। সবমিলিয়ে চূড়ান্ত হয়রানি বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখায়। অবরোধ তুলতে লাঠি চালায় পুলিশ। অনেকে জখম হয়েছেন বলে খবর। ২ ঘণ্টা পর ট্রেনের চাকা গড়ায়।প্রতিদিন সকালে বনগাঁ থেকে একটি ট্রেন টালা পর্যন্ত আসে। এই শাখার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের আর জি কর হাসপাতালে পৌঁছনোর ভরসা এই লোকাল। শুক্রবার সকালে ঘোষণা করা হয়, ট্রেনটি বারাসত পর্যন্ত যাবে। যা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের দাবি, প্রায়শই এই লোকালের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়। ফলে ভোগান্তি বাড়ে। এর প্রতিবাদেই এদিন অশোকনগরে অবরোধ শুরু হয়। জানা গিয়েছে, আটটা নাগাদ ডাউন মাঝেরহাটটি অশোকনগরে ঢোকার মুখেই অবরোধ শুরু হয়। ফলে স্টেশনে ঢোকার আগেই সেটি আটকে যায়। আপ লাইনেও একের পর এক ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। এদিকে অশোকনগরে ঢোকার মুখে ট্রেন আটকে যাওয়ায় খোলা যায়নি রেলগেট। যশোর রোডে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। সবমিলিয়ে অশোকনগরে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ভোগান্তির শিকার হয় নিত্যযাত্রীরা। বেলা ১০টা পর্যন্ত অশোকনগরে অবরোধ ওঠেনি। তার পর ট্রেনের চাকা গড়ায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অনেকেই আহত হয়েছেন বলে খবর। 

Card image cap

পরিবারের চারজনকে হাতুড়ি দিয়ে থেঁতলে দেওয়ার চেষ্টা!

গভীর রাতে একই পরিবারের চারজনকে হাতুড়ি দিয়ে থেঁতলে দেওয়ার চেষ্টা! প্রাণ গেল একজনের। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনা ঘটেছে আলিপুরদুয়ারে। অভিযুক্ত পরিবারের আশ্রিত। ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। ইতিমধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জংশন চেচাখাতা সূর্য সেন কলোনির বাসিন্দা ব্যবসায়ী অসীম আচার্য। তাঁর স্ত্রী নন্দিতা আচার্য, মা প্রীতিলতা আচার্য ও মেয়ে শ্রীয়া আচার্যকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতেন। বছর খানেক আগে বাইরের রাজ্যে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার সময় ঝাড়খণ্ডের যুবক সঞ্জয় সিংয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁদের। তার পর থেকে অসীমবাবুদের বাড়িতেই থাকত সঞ্জয়। সে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা।জানা গিয়েছে, গতকাল মাঝরাতে পরিবারের সকলের উপর হাতুড়ি ও বাটাম নিয়ে আক্রমণ চালায় বাড়িতে ‘আশ্রিত’ সঞ্জয়। মাথা থেঁতলে দেওয়ার চেষ্টা করে। গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদের মধ্যে বৃদ্ধা প্রীতিলতা আচার্যের মৃত্যু হয়। অন্যান্য জখমরা কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারের সকলের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা বাড়িতে হাজির হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় তারা। এর মাঝে সঞ্জয় পালানোর চেষ্টা করলেও তাকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কী উদ্দেশ্যে এই হামলা, তদন্ত করছে পুলিশ।

Card image cap

‘রাশিয়ার বিষ দিয়ে আমাকে-শুভেন্দুকে খুনের ষড়যন্ত্র, বিস্ফোরক অর্জুন!

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে খুনের ষড়যন্ত্র! খুন করা হতে পারে ভাটপাড়ার প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংকেও। আর তা বিদেশ থেকে বিষাক্ত স্প্রে আনা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন খোদ অর্জুন সিং-ই।ভাটপাড়া পুরসভায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে অর্জুন সিংকে আগেই নোটিশ দিয়েছিল সিআইডি। এদিন সকাল ১১টার মধ্যে তাঁর ভবানী ভবন পৌঁছনোর কথা। সময়ের মধ্যে তিনি পৌঁছেও যান। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ জগদ্দলের বাসভবন থেকে রওনা দেওয়ার সময় বিস্ফোরক দাবি করলেন তিনি। অর্জুনের দাবি, “তৃণমূলের বিরোধিতা করলেই টার্গেট করা হচ্ছে।” এর পরই খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করলেন তিনি।ভাটপাড়ার প্রাক্তন সাংসদের কথায়, “অর্জুন সিং, শুভেন্দু অধিকারী, মতো আরো চারজন বিজেপি নেতৃত্বকে প্রাণে মেরে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার। রাশিয়া থেকে একটি রাসায়নিক বিষ জাতীয় জিনিস দিয়ে আমাদের মারার চক্রান্ত করা হচ্ছে।” এর পর তাঁর আরও বিস্ফোরক দাবি,”আজ সিআইডির মুখোমুখি হচ্ছি। যদি আগামী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে আমার মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয় তাহলে তার দায় রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের।”উল্লেখ্য, আইবির ‘থ্রেট পারসেপশন’ রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এর পর অর্জুনের এই দাবি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

Card image cap

বনগাঁয় নেশা করিয়ে ১৩ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণ!

সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে আবারও নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানা এলাকায়। এবার নেশা করিয়ে ১৩ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এলাকার এক বিবাহিত যুবকের বিরুদ্ধে। মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, রবিবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে জগদ্ধাত্রী পুজোর মেলায় গিয়েছিল ছাত্রী। সেখানে স্থানীয় যুবক প্রদীপ ঘরামী নাবালিকাকে ফুঁসলিয়ে অপর এক যুবকের বাড়িতে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সেখানে তাকে নেশা করিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে দাবি পরিবারের। শুধু তাই নয়, অপর এক যুবকের সঙ্গে নাবালিকার মিথ্যে বিয়ের ছবি তুলে সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেয় অভিযুক্ত প্রদীপ ঘরামি। এর পর সোমবার নাবালিকা সুস্থ হলে ঘটনার কথা বুঝতে পারে। সে সময় ওই নাবালিকা ছাত্রী অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে বলে দাবি পরিবারের। সে সময় তাকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়।হাসপাতাল থেকে ফিরে বুধবার রাতে নাবালিকা ও তার মা গাইঘাটা থানার দ্বারস্থ হন। নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই গাইঘাটা থানার ঢাকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ ঘরামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাশাপাশি নাবালিকা ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাবালিকার বয়ান অনুযায়ী ঘটনায় সহযোগী যুবকদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

Card image cap

দাদার খুনের প্রতিশোধ নিতে শুটআউট, খুন তৃণমূল নেতা?

চার বছর পর বদলা! দাদার খুনের প্রতিশোধ নিতে শুটআউট, বোমাবাজি এবং হত্যাকাণ্ড? তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি অশোক সাউ খুনের নেপথ্যে এমনই কাহিনি শোনা গেল এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই খুন সুজল সাউ নামে এক সমাজবিরোধী ও তার গোষ্ঠীর কাজ। এই সুজলের দাদা আকাশ সাউ খুন হন ২০২০ সালে। সেসময় ভাটপাড়ার ১৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি অশোক সাউ। তার বদলা নিতেই আজকের হত্যাকাণ্ড বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এটা সমাজবিরোধীদের কাজ। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং কঠোরতম শাস্তির দাবি বারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিকের।সালটা ২০২০। ভাটপাড়ার পালঘাট রোডে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছিল আকাশ সাউ নামে একজনের। সে এলাকায় দাগি দুষ্কৃতী বলে পরিচিত। মাদকের ব্যবসা থেকে শুরু করে পেশাদার খুনি, সবই ছিল এই আকাশ। কোনও একটা মামলায় আকাশকে হাতের কাছে পেয়ে গণপ্রহার করেন জনতা এবং তার মৃত্যু হয়। সেসময় ঘটনাস্থল অর্থাৎ ভাটপাড়ার ১৬ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন অশোক সাউ। তিনি ১২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আকাশের দলবল তাঁকেই টার্গেট করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, চারবছর ধরে সুদীর্ঘ পরিকল্পনা এবং নৈহাটি উপনির্বাচনের দিন সাতসকালে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।ভাটপাড়া তৃণমূল নেতৃত্ব সূত্রে জানা যাচ্ছে, হত্যার মূল ষড়যন্ত্রকারী বছর আঠাশের সুজল সাউ সম্পর্কে আকাশের ভাই। সেও কুখ্যাত সমাজবিরোধী বলে এলাকায় পরিচিত। বুধবার সকালে এলাকার চায়ের দোকানে তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি অশোক বসে থাকার সময় তাঁর উপর হামলা চালায় ৭-৮ জনের একটি দুষ্কৃতী দল। কয়েক রাউন্ড গুলির পর বোমাও ছোড়া হয় বলে দাবি। এর পর দোকানে ঢুকে প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতিকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর দেহে চারটি গুলি লাগে। পরে হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় মৃত্যু হয় অশোকের। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, হত্যাকারী সুজল এবং তার দলবদল জগদ্দলের দাপুটে তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠ। ফলে এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনাও হতে পারে।যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে বলছে, এমন কোনও ব্যাপার নয়। অশোক খুন হয়েছে সমাজবিরোধীদের হাতেই। তাই হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারি ও কড়া শাস্তির দাবি করা হয়েছে। বারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিকের কথায়, ”খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমাদের দলের একজন সক্রিয় নেতার মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড। তাও আবার আজকের ইলেকশনের দিন। আমরা ওদিকে ব্যস্ত ছিলাম। সেই সুযোগে এমনটা ঘটে গেল। আসলে বারাকপুর এলাকায় এতদিন ধরে অর্জুন সিং যে গুন্ডারাজের চাষ করেছে, তার রেশ হিসেবে এসব চলছে। অর্জুন সিং জেনে রাখুন, এই গুন্ডারাজ শেষ করবই। তখন তাকেও ভাটপাড়া ছেড়ে চলে যেতে হবে।”

Card image cap

পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে ব্যবসায়ীকে গুলি দুষ্কৃতীর

বনগাঁর পর হুগলি। সাতসকালে কোন্নগরে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ব্যবসায়ীর মাথায় গুলি দুষ্কৃতীর। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। পুরনো ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব নাকি ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা? জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর নাম শামসুদ্দিন আনসারি। হুগলির রিষড়া বাঘ-খাল এলাকায় বালির ব্যবসা ছিল তাঁর। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে খবর, সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ ব্যবসায়ী জৈনুদ্দিন আনসারির সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন শামসুদ্দিন। তখনই খুব কাছ থেকে তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায় রঞ্জন নামে এক যুবক। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ব্যবসায়ী। শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। খবর দেওয়া হয় থানায়। এই পরিস্থিতিতে পাঁচিল টপকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। এলাকায় তল্লাশি চালালেও তাঁর খোঁজ মেলেনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। শুরু হয়েছে চিকিৎসা। তবে কী কারণে এই গুলি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, পুরনো শত্রুতার জেরেই এই ভয়ংকর কাণ্ড।

Card image cap

নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তি

ফের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। এবার কাঠগড়ায় দাদু! ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিনের পর দিন কিশোরীকে অচৈতন্য করে ধর্ষণ কার হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা বনগাঁর চাঁদা এলাকায়। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তবে পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দাদুর এহেন ‘কীর্তি’তে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি নাবালিকা। এই ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব তাঁরা।মায়ের মৃত্যুর পর থেকে বনগাঁর চাঁদা এলাকায় দাদু শংকর বিশ্বাসের বাড়িতে থাকত দুই নাবালিকা। কিন্তু রক্ষকই যে এখানে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করতে পারে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি তারা। ধীরে ধীরে দাদুর আচরণ পালটাতে থাকে। অভিযোগ, বছর চোদ্দর নাতনিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচৈতন্য করার পর শারীরিকভাবে লিপ্ত হতো দাদু। একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, এসব কথা কাউকে বললে শংকর তাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হতো বলে অভিযোগ। আশ্রিতা নাবালিকাও ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি।কিন্তু রবিবার দুপুরে আচমকাই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবার, প্রতিবেশীরা তা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠতেই পাড়ার এক মহিলাকে দাদুর ‘কীর্তি’র কথা সবিস্তারে জানায় নাবালিকা। এর পর ওই প্রতিবেশীর তৎপরতায় বনগাঁ থানায় দাদু শংকর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নাতনিকে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমে শংকরকে আটক করে, পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাবালিকাকে চিকিৎসার জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দাদুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়েছে। মাতৃহারা নাতনিরা যে দাদুর বাড়িতে  সুরক্ষিত নয়, তা নিয়েও কথা হচ্ছে।

Card image cap

বনগাঁয় মাছ ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি!

সাতসকালে বনগাঁয় চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ এক ব্যবসায়ী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল বনগাঁ থানার বক্সিপল্লি এলাকায়। গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। ভেড়ি নিয়ে বচসায় এই গুলি? নেপথ্যে কে বা কারা? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ মাছ ব্যবসায়ীর নাম অসিত অধিকারী। বনগাঁ থানার বক্সিপল্লি এলাকার বাসিন্দা তিনি। তাঁর বাড়ির পাশেই একটি ভেড়ি রয়েছে। সোমবার সকালে ভেড়িতে ছিলেন অসিতবাবু। অভিযোগ, সেই সময় পিছন দিক থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পিঠে গুলি লাগে অসিতের। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় স্থানীয় হাসপাতালে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে রেফার করা হয়েছে কলকাতার হাসপাতালে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। দেখা হচ্ছে, এলাকার সিসিটিভি আছে কি না। থাকলে সেক্ষেত্রে ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি গুলিবিদ্ধের সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাতসকালে এহেন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। 

Card image cap

উস্তির বিজেপি নেতাকে ‘খুন’

প্রায় চারদিন নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার মধ্যরাতে উস্তির দলীয় কার্যালয় থেকে উদ্ধার হয় বিজেপি কর্মীর রক্তাক্ত দেহ। তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁদের দাবি, বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সোশাল মিডিয়া কনভেনর পৃথ্বীরাজ নস্করের খুনের নেপথ্যে রাজনীতি নেই। একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই খুন হয়েছেন উস্তির বিজেপি কর্মী। ইতিমধ্যে এক মহিলাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) মিতুন কুমার দে জানান, এই খুনের ঘটনায় রাজনীতির কোনও যোগ নেই। সুজাতা পোদ্দার নামে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত মহিলা জানিয়েছেন, মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন ওই বিজেপি কর্মী। তাঁকেও মদ খাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল পৃথ্বীরাজ। যৌন সংসর্গ করতেও তাঁকে জোরাজুরি করা হয়। তখনই ওই মহিলা টেবিলে পড়ে থাকা ব্লেড দিয়ে যৌনাঙ্গে আঘাত করেন। প্রচন্ড রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মীর।৪ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন বিজেপি কর্মী। সেদিন বিকেলের পর থেকে আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। দুদিন অপেক্ষা করেও পৃথ্বীরাজের কোনও খোঁজ না পেয়ে, ৭ অক্টোবর উস্তি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। মৃত কর্মীর বাড়ির কাছেই রয়েছে বিজেপি পার্টি অফিস। পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার রাতে বাড়ির জানলা দিয়ে উঁকি মারতেই একজনের দেহ চাদর দিয়ে ঢাকা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। কিন্তু গেটে তালা দেওয়া থাকায় ভিতরে ঢুকতে পারেননি। পুলিশ এসে তালা ভেঙে পৃথ্বীরাজের রক্তাক্ত দেহ বেঞ্চের উপর পড়ে থাকতে দেখে। পৃথ্বীরাজের বাবার অভিযোগ ছিল, তাঁর ছেলেকে শাসকদলের হাতেই খুন হতে হয়েছে। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল সেই রহস্য উদঘাটনে নেমে পড়ে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ। শুরু হয় খোঁজখবর। পৃথ্বীরাজের দেহের কাছে কোনও ফোন পাওয়া যায়নি। পুলিশ মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, ওই নেতার দুই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সেই মতো তাঁদেরকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ জন্য ডেকে পাঠানো হয়। সেই জিজ্ঞাসাবাদেই ভেঙে পড়েন সুজাতা। স্বীকার করে নেন অপরাধের কথা।

Card image cap

ব্যথা হাতে, পায়ে এক্স রে করানোর পরামর্শ চিকিৎসকের

ব্যথা হাতে, আর চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনে লিখলেন পায়ের ডিজিটাল এক্স রে করাতে! প্রেসক্রিপশনে কী লেখা, তা রোগী লক্ষ্যই করেননি। এক্স রে রুমে গেলে টেকনিশিয়ান রোগীর পা ধরে টানাটানি করেন – পায়ের এক্স রে হবে যে। রোগী বলেন হাতের কথা। টেকনিশিয়ান জানান, প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী হাত নয়, হাঁটুর এক্স রে করানোর কথা লেখা আছে। মহা ফাঁপড়ে পড়েন রোগী! ফের ওই সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে নতুন করে প্রেসক্রিপশন করিয়ে তবে হাতে এক্স রে করানো হয়। প্রেসক্রিপশন বিভ্রাটে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী পূর্ব বর্ধমানের মেমারি গ্রামীণ হাসপাতাল।বিভ্রান্তিকর বিষয়টি নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস বালা ফোনে জানান, “এখনও লিখিত কোনও অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া ওই সময় জরুরি বিভাগে যে চিকিৎসক দায়িত্বে ছিলেন, তাঁর কাছ থেকেও বিষয়টি জানতে হবে। সঠিক কী ঘটেছিল, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”জামালপুর থানার আঝাপুর গ্রামের বাসিন্দা কৌশিক চট্টোপাধ্যায়ের হাতে ব্যথা হচ্ছিল। গত বুধবার রাতে তিনি মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করাতে যান। সেই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে প্রেসক্রিপশন করে দেন। কৌশিকবাবু বলেন, “ডাক্তারবাবু মুখে বলেছিলেন, হাতের একটি এক্স রে করাতে। প্রেসক্রিপশনে উনি কী লিখেছেন তা বুঝতে পারিনি।” পর দিন তিনি ওই হাসপাতালে এক্স রে বিভাগে যান। সেখানে কর্তব্যরত টেকনিশিয়ান তাঁর পায়ে এক্স রে করতে যান। কৌশিকবাবু বাধা দেন। জানান, পায়ে নয়, হাতে আঘাত লেগেছে তাঁর। কিন্তু ওই টেকনিশিয়ান জানান, প্রেসক্রিপশনে পায়ের এক্স রে করার কথাই লেখা রয়েছে। তা শুনে প্রথমে চমকে গেলেও এক্স রে না করিয়ে কৌশিকবাবু ফের জরুরি বিভাগে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছ থেকে নতুন করে একটি প্রেসক্রিপশন লিখিয়ে নেন। দ্বিতীয় প্রেসক্রিপশনে অবশ্য ভুল হয়নি। সেখানে হাতের এক্স রে করানোর কথাই বলা হয়েছে। আর তা দেখিয়ে হাতের এক্স রে করাতে পারেন কৌশিক চট্টোপাধ্যায়।কৌশিকবাবু বলেন, “কেমন গাফিলতি বলুন। এখনও কোথাও অভিযোগ করিনি। একটু সুস্থ হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাব।” সামাজিক মাধ্যমে কৌশিকবাবুর দুটি প্রেসক্রিপশন ভাইরাল হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে ঘটনার কথা শুনে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। যে চিকিৎসকের ভুলে হাতের বদলে পায়ের এক্স রে করা হচ্ছিল, তাঁর সঙ্গে এদিন কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে পুরোটা জেনে তার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Card image cap

৯ কুকুর ছানাকে ‘ডুবিয়ে মারল’ দম্পতি

অমানবিক! ঘরের মধ্যে সন্তান প্রসবের অপরাধে ৯ কুকুর ছানাকে পুকুরে ‘ডুবিয়ে মারল’ দম্পতি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল উলুবেড়িয়া পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বাহিরতফা গ্রাম। ইতিমধ্যে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে পরিবার।গনেশ মণ্ডল ও জগবন্ধু মণ্ডল বাড়ির ঘরের মধ্যে একটি সারমেয় নটি বাচ্চা প্রসব করে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির মালিক একটি বস্তার মধ্যে বাচ্চাগুলিকে ভর্তি করে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পুকুরের মধ্যে ফেলে দেয়। খবর চাউর হতেই শুক্রবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার সকালে কুকুর বাচ্চাগুলি পুকুরে ভেসে ওঠে। এর পরই স্থানীয় মানুষজন বাচ্চাগুলিকে উদ্ধার করে অভিযুক্তর বাড়িতে বিক্ষোভ দেখায়।অভিযুক্ত জগবন্ধু ও গণেশ এলাকা থেকে পলাতক। গণেশের স্ত্রী দেবশ্রী মণ্ডল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, “কুকুরটি কখন ঘরের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল জানি না। আমরা একটি ঘরের মধ্যে বাস করি। তাই কুকুর বাচ্চাগুলোকে রাস্তার ধারে রেখে এসেছিল। কোনও পুকুরে ফেলা হয়নি। গ্রামের মানুষ মিথ্যা অভিযোগ করছে।” অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Card image cap

ছেলেকে শিকলে বেঁধে মার! কাঠগড়ায় বাবা

স্কুল থেকে দেওয়া বৃত্তির টাকা জমা পড়েছে কি না, তা জানতে বাবাকে না জানিয়ে দাদুর সঙ্গে ব্যাঙ্কে গিয়েছিল ছেলে। আর সেটাই ছিল অপরাধ! তার চরম ‘শাস্তি’ পেতে হল নাবালককে। বাড়ি ফেরার পর ছেলেকে শিকলে বেঁধে বেধড়ক মারের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর গোপালনগরের এমন অমানবিক ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় কর্মকার। পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। তিনি গোপালনগর থানার শুল্ক দুর্গাপুর এলাকার বাসিন্দা। সেখানেই স্ত্রী দীপা কর্মকার ও সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছেলেকে নিয়ে থাকেন। অভিযোগ, না জানিয়ে ব্যাঙ্কে যাওয়া ও ফিরে এসে পড়তে না বসার ‘অপরাধে’ ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে সঞ্জয়। সারারাত শিকল দিয়ে নাবালককে বেঁধে রাখা হয় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে স্ত্রীকে মারধর ও একইভাবে বেঁধে রাখার হুমকি দেয় অভিযুক্ত সঞ্জয়। ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে কোনওরকমে ছেলের শিকল খুলে তাকে নিয়ে বাপের বাড়ি বনগাঁয় চলে আসেন স্ত্রী সোমা কর্মকার। সেখান থেকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে থানায় খবর দেওয়া হয়। স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সঞ্জয় মাঝেমধ্যেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্ত্রীকে মারধর করেন। বাদ যায় না ছেলেও। ধৃতের স্ত্রী সোমা বলেন, “মাঝেমধ্যেই আমাকে মারধর করে। ছেলেকেও মারে। বুধবার ছেলে ব্যাঙ্কে যায়। ফিরে এসে পড়তে না বসার কথা শুনে শিকল দিয়ে বেঁধে মারধর করে। ছেলে সারারাত ওই অবস্থাতেই ছিল। বাধা দিলে আমাকেও মারে। বলে, একইভাবে শিকলে বেঁধে রাখবে।” বাবার নির্যাতনের শিকার ওই পড়ুয়া জানায়, “স্কুলে বন্ধুদের থেকে শুনেছিলাম, ঐক্যশ্রী প্রকল্পের টাকা ব্যাঙ্কে জমা পড়ছে। আমার অ্যাকাউন্টে সেই টাকা এসেছে কি না, তাই জানতে দাদুর সঙ্গে ব্যাঙ্কে গিয়েছিলাম। বাবা তখন দেখেছিল। বাড়ি ফেরার পর বাবা শিকল দিয়ে বেঁধে মারতে থাকে। বাবাকে পুলিশ নিয়ে গিয়েছে, খারাপ লাগছে।”

Card image cap

বর্ধমানে বাদাই গানে ‘বাঁধন’ খোঁজেন দিনমজুররা

দু-তিন জন বাদে সকলেই দিনমজুর-খেতমজুর। কেউ-কেউ শিক্ষিত। অধিকাংশের অক্ষরের সঙ্গে পরিতচিত হতে পারেননি। পরিবারে অনটন। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দশা। একদিন কাজ না জুটলেই বিচলিত হন। তবু দিনের শেষে সেই মনেতেই সুর ধরে। রোদে পোড়া সেই শরীরেই ওঠে বিভিন্ন ধরনের সাজ পোশাক। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে গান গেয়ে মাঠে ঘাটে খাটার মত সমান দক্ষতায় তাঁরা আবার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ও করেন। নেশায় ও রক্তে মিশে থাকা ‘বাদাই গান’ আজও তাঁদের পিছু তাড়া করে। তাই নিজেরাই গান বেঁধে, সুর দিয়ে বছর ভর চর্চা চালিয়ে যান। নভেম্বরের শুরুতেই মন্তেশ্বরের করন্দা গ্রামে পাড়ায়-পাড়ায় ‘বাদাই উৎসব’ মেতে ওঠেন। দু-দিন ধরে চলা সেই গানের চর্চাতেই সমাজ সচেতনতা-সহ সাংস্কৃতিক চেতনায় এলাকাবাসীকে উৎসাহিত করে চলেছেন চল্লিশ জন মেঠো শিল্পীর দল।প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকগান ‘বাদাই’। গ্রামীণ এলাকার প্রেম-প্রকৃতি, সামাজিক ও জীবনের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে সেই গান রচনা করা হয়। একসময় গ্রামবাংলায় বাদাই গানের রমরমা থাকলেও বর্তমানে তা বিলুপ্তপ্রায়। মন্তেশ্বরের করন্দা গ্রামে এই গান একসময় চালু থাকলেও মাঝখানে চর্চার অভাবে তা বন্ধও হয়ে যায়। কিন্তু প্রায় দেড় দশক আগে থেকে সেই গানের চর্চা করে আবার সেই জনপ্রিয় ‘বাদাই’ কে ফিরিয়ে আনেন বংশপরম্পরায় এই গানের সঙ্গে যুক্ত পেশায় খেতমজুর পশুপতি দাস, বিষ্ণু দাসের মত গ্রামের একাধিক শিল্পীরা। তাঁদের সঙ্গেই গান গাওয়া ও অভিনয়তেও সমান পারদর্শী হয়ে ওঠেন দিনমজুর কালীরাম রাজবংশী, স্বরূপ সাঁতরা, অশোক হাজরারা।তা দেখে পিছিয়ে থাকেননি এলাকার বাসিন্দা ও ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়র উজ্বল দে, গৃহশিক্ষক দেবজিৎ মুখোপাধ্যায়, তন্ময় দে-র মত গান রচনাকারী ব্যক্তিরা। বর্তমানে তাঁদের রচিত গানে সুর দিতে সমান দায়িত্ব পালন করেন বিকাশ পাল, অনুপ চক্রবর্তীরা।
করন্দা গ্রামে মঙ্গলবার থেকে দুদিন ধরে চলা বাদাই উৎসবের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক সুদীপ মণ্ডল ও রাজীব মুখোপাধ্যায় জানান, উৎসবে প্রতিদিনই দশটি দলে ভাগ হয়ে গ্রামের চৌদ্দো পাড়ায় একক, ডুয়েট, আবার কোথাও ৩-৪ জন শিল্পী বাদাই গান গাওয়ার পাশাপাশি অভিনয় করেছেন। পৌরাণিক থেকে রাধাকৃষ্ণ, রোমান্টিকতা থেকে সামাজিক সচেতনতা, শিক্ষামূলক থেকে ব্যাঙ্গাত্মক গান গেয়ে গ্রামজুড়ে সংস্কৃতি চর্চা করে চলেছেন এইসব শিল্পীরা।
মাঠেঘাটে খাটা দিনমজুর-খেতমজুর পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকা এই সব মানুষজনই একসময় গানও রচনা করতেন। বর্তমানে সেই গানে সুর দিয়ে গান গেয়ে, অভিনয় করে বছরভর চর্চা করেন তাঁরা। দিন আনা, দিন খাওয়া পরিবারের এই মানুষজন রুটিরুজির টানে দিনভর মাঠেঘাটে ছুটলেও দিনের শেষে আজও তাঁরা সাংস্কৃতিক চেতনায় এলাকার মানুষকে উৎসাহিত করেন।

Card image cap

বাড়ি ফাঁকার সুযোগে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ!

ফের বাংলায় লালসার শিকার নাবালিকা। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাসনাবাদে। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বৃদ্ধকে। ধৃতের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব নির্যাতিতা, তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশীরা।জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের বাসিন্দা ওই নাবালিকা। দশম শ্রেণির ছাত্রী সে। বুধবার সকালে তার বাবা-মা কিছু প্রয়োজনে কলকাতা চলে গিয়েছিলেন। ফলে বাড়িতে একাই ছিল নাবালিকা। সেই সময় তাদের বাড়ি যান এলাকার বাসিন্দা এক বৃদ্ধ। পরিচিত হওয়ায় সহজেই বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি পান তিনি। সেখানেই সমস্যার সূত্রপাত। অভিযোগ, বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করেন ওই বৃদ্ধ।বাবা-মা বাড়ি ফিরতেই নাবালিকা কান্নায় ভেঙে পড়ে। গোটা বিষয়টা বাড়িতে জানায়। এর পর ওই ছাত্রী জানায় সোজা হাসনাবাদ থানায় হাজির হয়। বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিনই ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তাকে ১৪ দিনের পুলিশে হেফজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ।

Card image cap

শুল্ক অফিসারের পরিচয় দিয়ে লুট

শুল্ক বিভাগের স্টিকার লাগানো গাড়ি, সেই বিভাগের অফিসার সেজে যাত্রীদের গাড়িতে তুলে লুটপাট। কিন্তু এত কৌশলের পরও শেষরক্ষা হল না। সিভিক ভলান্টিয়ারদের তৎপরতায় যোগীরাজ্যের সেই গাড়ি-সহ চালক গ্রেপ্তার হল। তবে বাকি দুজন পলাতক। গাড়িটি উত্তরপ্রদেশের বলে জানা গিয়েছে। বীরভূমের নলহাটির লোহাপুর ফাঁড়ির পুলিশ তদন্তে নেমেছে। খোঁজ চলছে পলাতকদের। তাদের নাগালে পেলে পুলিশ লুটের সামগ্রী ফিরিয়ে দিতে পারবে বলে আশাবাদী।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে নলহাটি থানা এলাকার লোহাপুর বাজারের কাছে। এদিন রামপুরহাটের বড়জোল গ্রামের অনুপ মণ্ডল, তাঁর স্ত্রী-পুত্র সন্তানকে নিয়ে মুর্শিদাবাদ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাসের জন্য জীবন্তি এলাকায় অপেক্ষা করছিলেন। আচমকা তাঁদের পাশে সাদা পোশাকের এক যুবক নিজেকে সেনা জওয়ান পরিচয় দিয়ে দাঁড়ায়। প্রস্তাব দেন, নিজেদের গাড়িতেই অনুপবাবুর পরিবারকে রামপুরহাট পৌঁছে দেবেন। তা শুনে তাঁরা গাড়িতে উঠে যান। এর পরই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখে পড়েন অনুপবাবু ও তাঁর পরিবার। সমস্ত লুট করা হয় বলে অভিযোগ করেন।অনুপবাবুর পরিবারের আরও অভিযোগ, লুটপাটের পর শুল্ক বিভাগের স্টিকার লাগানো গাড়িটি তিনজনকে নলহাটির গোপালপুর পেট্রোল পাম্পের কাছে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় শুল্ক বিভাগের গাড়িটি। যাত্রীরা দ্রুত গাড়ির নম্বর দেখে কয়থা মোড়ে থাকা সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জানায়। তাঁরা ওই গাড়িটিতে ধরতে উদ্যোগী হয়। মুর্শিদাবাদের দিকে পালানোর সময় গার্ডরেল দিয়ে পথ আটকে গাড়িটি ধরার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু জাতীয় সড়কে বাধা পেয়ে ওই প্রতারকরা রাজ্য সড়কে লোহাপুর বাজার দিয়ে গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। গাড়ি লক্ষ্য করে লোহাপুর মোড়ে থাকা কর্তব্যরত তিন সিভিক ভলান্টিয়ার – শিস মহম্মদ হুমায়ুন কবীর এবং মুরসালিম শেখ গাড়িটিকে ধাওয়া করে। লোহাপুর বাজারে গাড়িটি রেলগেটে আটকে যায়। সেই সুযোগে গাড়িতে থাকা দুজন প্রতারক দৌড়ে পালিয়ে যায়। তবে ওই তিন সিভিক ভলান্টিয়ার গাড়ির চালক-সহ গাড়িটিকে আটক করেন। লোহাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে গাড়িটিকে নিয়ে যাওয়া হয়।প্রতারিত যাত্রী অনুপ মণ্ডল জানান, গাড়িতে যাওয়ার সময় তাঁদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও সোনার আংটি খুলে নেয় সেনা জওয়ানের পরিচয় দেওয়া ওই দুজন। তাঁর কথায়, ”আমরা প্রতারিত হয়েছি বলে বুঝতে পেরেছিলাম। ছেলেকে বাঁচাতে আমরা চিৎকার করিনি। তবে সিভিকদের তৎপরতায় উত্তরপ্রদেশের চালক-সহ গাড়িটির বিষয়ে তদন্ত করছে। গাড়িতে থাকা বাকি দুজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”

Card image cap

২৪ ঘণ্টায় জোড়া হত্যাকাণ্ড রায়দিঘিতে!

২৪ ঘণ্টার মধ্যে দু-দুটি নৃশংস খুনের ঘটনায় ত্রস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা রায়দিঘি। দুটি হত্যাকাণ্ডই ঘটেছে গলার নলি কেটে, এমনই জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার সকালে ভাইপোকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে কাকার বিরুদ্ধে। আর এই হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী রায়দিঘির বোলের বাজারের একটি চায়ের দোকান। পর পর দুদিন এমন ঘটনায় তুমুল আতঙ্কিত এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে রায়দিঘি থানার পুলিশ।ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থানার নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোলের বাজার। জানা গিয়েছে, ভাইপো শেখ বাহাদুরের সঙ্গে কাকা  শেখ সাহাদাতের পারিবারিক বিবাদ চলছিল আর্থিক লেনদেন নিয়ে। তা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বচসা থেকে এই ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে ছুরি হাতে বোলের বাজারের কাছে লুকিয়েছিল সাহাদাত। কিছুক্ষণ পর সেখানের একটি চায়ের দোকানে চা খেতে যান শেখ বাহাদুর। অভিযোগ, তাঁকে দেখেই অতর্কিত হামলা চালায় কাকা সাহাদাত। মুহূর্তের মধ্যে ছুরি দিয়ে গলার নলি কেটে সারা শরীরে এলোপাথাড়ি কোপ দিতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায় হামলাকারী।চোখের সামনে এমন খুনোখুনি দেখে মুহূর্তের জন্য থমকে যান সকলে। পরে সম্বিত ফিরে পেয়ে শেখ বাহাদুরকে উদ্ধার করতে ছুটে যান পথচলতি মানুষ, দোকানিরা। কোনওক্রমে উদ্ধার করে রায়দিঘি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এখনও গ্রেপ্তার হয়নি অভিযুক্ত সাহাদাত। সোমবার ভোরে রায়দিঘিতেই রাস্তার উপর গলাকাটা অবস্থায় এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তাঁকেও খুন করা হয়েছে বলে অনুমান। ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই ফের রাস্তায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ত্রাসের পরিবেশ।

Card image cap

ভাইয়ের হাতে ‘খুন’ দাদা

নেশাই কাল! একসঙ্গে বসে মদ্যপানের সময় কথা কাটাকাটি থেকে ভয়ংকর কাণ্ড। ভাইয়ের হাতে খুন দাদা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর এলাকায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।জানা গিয়েছে, মৃতের নাম অংশুমান ঢালি। গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগরের কেষ্টনগরের বাসিন্দা তিনি। কর্মসূত্রে বিদেশে থাকতেন তিনি। স্ত্রী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে ঠাকুরনগরের বাড়িতে দুই সন্তানকে নিয়ে ভাইদের সঙ্গে থাকতেন অংশুমান। সূত্রের খবর, অংশুমান ও তাঁর ছোটভাই অমৃত দুজনই দিনভর মদ্যপান করতেন। রবিবার রাতেও তাঁরা একসঙ্গে মদ্যপান করছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় শুরু হয় অশান্তি। তার জেরেই নেশার ঘোরে দাদার মাথায় আঘাত করে ভাই অমৃত। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অংশুমানের।রাতে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়ে অমৃত। সকালে উঠে যুবক দেখে পড়ে রয়েছে দাদার নিথর দেহ। বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করে সাড়া না পেড়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে যুবক। সে নিজেই এলাকার বাসিন্দাদের জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৃতের প্রতিবেশীদের দাবি, স্রেফ নেশার কারণেই এই ভয়ংকর কাণ্ড।

Card image cap

স্ত্রীকে ‘খুন’! আত্মঘাতী স্বামী, চাঞ্চল্য বারাকপুরে

দীর্ঘদিন ধরে মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীর উপর অত্যাচার। শেষমেশ স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের পর আত্মঘাতী স্বামী। বারাকপুরের সূর্যপুর এলাকার ঘটনায় এমনই অনুমান পুলিশের। শনিবার সকালে ঘর থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় মহিলার। ঘরের বাইরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিলেন স্বামী। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে মোহনপুর থানার পুলিশ। স্বামী-স্ত্রী মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিবার। ভেঙে পড়েছেন বছর তেইশের একমাত্র পুত্র।ঘটনা বারাকপুরের শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সূর্যপুর এলাকার। মৃতা বিমলা কর্মকারের ছেলে লিটন জানিয়েছেন, বাবা কমল কর্মকার প্রায়ই মদ্যপান করে বাড়ি ফিরে মাকে মারধর করত। তাই ছোটবেলাতেই তাকে নিয়ে মামারবাড়িতে চলে এসেছিলেন বিমলা। কিন্তু স্বামী সেখানেও গিয়ে মাঝেমাঝে অত্যাচার করত। ছেলে লিটন তার সাক্ষী। তাই তিনি বাবার সঙ্গে বেশি কথাও বলতেন না। শুক্রবার রাতে মায়ের ঘরেই ছিলেন লিটন। বাবা কমল এসে বিমলার খোঁজ করেন। ছেলে জানায়, মায়ের জ্বর হয়েছে, তিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন। তা শুনে বাবা প্রথমে চলে গেলেও পরে ফিরে আবার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা কেমন আছে, তা জানতে চায়। এর পর ছেলে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল।শনিবার সকালে বাড়ির লোকজন দেখতে পান, শ্বশুরবাড়িতে শ্যালকের ঘরের দরজার সামনে পড়ে রয়েছেন কমল কর্মকার। তাঁর মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরচ্ছে। ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় খাটে পড়ে রয়েছেন বিমলা। সঙ্গে সঙ্গে কমলকে উদ্ধার করে বারাকপুরের বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে বিমলার মৃত্যুর খবর পেয়ে মোহনপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কর্মকার দম্পতির ছেলে লিটন জানান, তাঁর বাবা-মায়ের মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি ঘটত, যার জেরে সম্ভবত নিজের স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন কমল কর্মকার। মোহনপুর থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে।