CATEGORY district:

Card image cap

ভূত তাড়ানোর নামে কিশোরকে বেদম মার

ভূত তাড়ানোর নামে নাবালককে গাছের ডাল দিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল ওঝার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে গোপালনগর মামুদপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। যুক্তিবাদী মঞ্চের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাতেই ওই বালককে উদ্ধার করে। বুধবার যুক্তিবাদী মঞ্চের পক্ষ থেকে গোপালনগর থানায় ওই ওঝার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে।পুলিশ ও যুক্তিবাদী মঞ্চের তরফে জানা গিয়েছে, বছর ১৫-র সম্প্রতি মাছ ধরতে গিয়ে পড়ে যায়। মাথায় আঘাত লেগে নার্ভের সমস্যা হয়। তার পর থেকে মাঝেমধ্যে চিৎকার করছিল, ভুল বকছিল। মঙ্গলবার পরিবারের লোকেরা তাকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে আনলে চিকিৎসকরা তাকে কলকাতায় রেফার করে। কিন্তু পরিবারের লোকজন কলকাতায় যাওয়ার বদলে গ্রামে ফিরে যায়। ছেলেটিকে মামুদপুরে অভিযুক্ত ওঝার কাছে নিয়ে যায়। অভিযোগ ওঝা বলেছিল, কিশোরকে ভূতে ধরেছে। ভূত তাড়াতে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।খবর পেয়ে যুক্তিবাদী মঞ্চের লোকজন নহাটা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। তারা কিশোরকে উদ্ধার করে। ওঝার দাবি, “ছেলেটা দোষ পেয়েছিল। ওকে ভূতে ধরেছিল তাই ওকে ঝাড়িয়ে ঠিক করছিলাম। আগেও অনেককে ভূতে ধরেছিল। আমি এভাবেই তাদের ঝাড়িয়ে ভূত তাড়িয়ে দিয়েছি।” যুক্তিবাদী মঞ্চের সম্পাদক প্রদীপ সরকার বলেন, “মামুদপুর গ্রামে এক ওঝার ভূত ছাড়ানোর নাম করে ১৫ বছরের এক বালকের উপর নির্মম অত্যাচার করছে। গায়ে গরম জল ঢেলে দেওয়া হচ্ছে। ছেলেটির স্নায়ু রোগের সমস্যা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বনগাঁ হাসপাতাল থেকে ট্রান্সফার করলে বাড়িতে এনে স্থানীয় ডাক্তার দেখায়। তিনিও কলকাতা নিয়ে যেতে বলেছিলেন। তা না করে বাড়ির লোকজন বাচ্চাটির উপর অমানবিক অত্যাচার করতে দিল। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দিই।”

Card image cap

প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে স্বামীকে খুন!

স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জেনে ফেলেছিলেন স্বামী, বাধাও দিয়েছিলেন| সেই বাধা সহ্য করতে পারেননি গৃহবধূ। প্রেমিকের সঙ্গে মিলে প্রথমে স্বামীকে মারধর, পরে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ ওঠে বনগাঁর গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযোগ আরও গুরুতর হয়ে ওঠে যখন ঘর থেকে স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। রবিবার সকালে বনগাঁর নিমতলা এলাকার ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল। স্ত্রী এবং তার প্রেমিকই খুনের ঘটনায় জড়িত, এই অভিযোগে তাদের মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় প্রতিবেশীরা।রবিবার সকালে নিমতলার বাসিন্দা রাজু কুণ্ডুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে| গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ওই দেহ চোখে পড়ে প্রতিবেশীদের। তাঁরা তৎক্ষণাৎ বনগাঁ থানার পুলিশে খবর দেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। আত্মহত্যা নাকি খুন করে ওভাবে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, স্ত্রী পূজা কুণ্ডু নিজের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে ‘বাধা’ কাটাতেই রাজুকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে। এতে তাকে সাহায্য করেছে প্রেমিক অনিল মালও।পরিবার ও প্রতিবেশীদের সূত্রে খবর, মাস সাতেক ধরে রাজুর স্ত্রী পূজার সঙ্গে বনগাঁ কুড়ির মাঠ এলাকার অনিল মালের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এনিয়ে প্রায়শয়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই গন্ডগোল চলত| মাস তিনেক আগে স্বামী ও তিন সন্তানকে রেখে পূজা বাড়ি ছেড়ে গিয়ে অনিলের সঙ্গে থাকতে শুরু করে| পরে রাজু ও পরিবারে লোকজন তাকে বুঝিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। অনিলকে নিয়ে তার পরেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি, গন্ডগোল হতো। অভিযোগ, শনিবার রাতে পূজার প্রেমিক অনিল রাজুকে বেধড়ক মারধর করে চলে যায়। ভোর রাতে ঘর থেকে উদ্ধার হয় রাজুর ঝুলন্ত দেহ। তা জানতে পেরে উত্তেজিত হয়ে পড়েন প্রতিবেশীরা। অভিযুক্ত পূজা ও অনিলকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সকালে বনগাঁ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Card image cap

যৌন হেনস্তা’য় জঙ্গল থেকে ধৃত অভিযুক্ত

উচ্চতা মেরেকেটে চার ফুট দুই ইঞ্চি। খর্বকায় গাট্টাগোট্টা চেহারা নিয়ে জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে পড়েছিল। ঝোপঝাড়ের নড়াচড়া ড্রোন ক্যামেরায় লক্ষ্য রেখে চলছিল পুলিশ। পুলিশকর্মীদের হাতে ছিল ড্রাগন লাইট। আর তাতেই কাজ হাসিল করে ফেলল পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় সাড়ে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্ত চরণ মাঝি (৪২) ওরফে সেমন্তকে বিকেহাট এলাকার জঙ্গল থেকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। অপকর্ম ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রায় ১৪ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল অভিযুক্ত।পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রাহুল পাণ্ডে বলেন,” অভিযোগ আসার পরেই অভিযুক্তকে ধরার জন্য পুলিশবাহিনী তল্লাশি শুরু করেছিল। আশপাশের থানাগুলিতেও অভিযুক্তের বিবরণ জানিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশকর্মীরা সিভিক ভলেন্টিয়ার মিলে শতাধিক কর্মী অভিযুক্তকে ধরতে তল্লাশি শুরু করেছিল। শুক্রবার গভীর রাতে কাটোয়ার বিকেহাট জঙ্গল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি।”কাটোয়ার আলমপুর পঞ্চায়েত এলাকার একটি গ্রামে সাড়ে চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চরণ মাঝি ওরফে সেমন্ত মাঝির বিরুদ্ধে। কাটোয়ার বিকেহাট এলাকায় বাড়ি ছিল অভিযুক্তের। দ্বিতীয়বার বিয়ে করার পর নির্যাতিতাদের গ্রামেই দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়াবাড়িতে থাকত। ঠেলাগাড়িতে করে ভুট্টা পুড়িয়ে বিক্রি করত চরণ। শুক্রবার সকালে ঠাকুমার সঙ্গে রেশন দোকানে গিয়েছিল ওই শিশু। রেশন তুলে ঠাকুমা মাঠে কাজে চলে যান। তখন শিশুটিকে ভুট্টা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ঘরে নিয়ে গিয়ে চরণ যৌন অত্যাচার চালায়। রক্তাক্তবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। গুরুতর জখম হয়ে কাটোয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটি।দশটি সেলাই দিতে হয়েছে।ঘটনার পরেই ওই গ্রামের লোকজন জড়ো হতে দেখেই অভিযুক্ত চরণ গাঢাকা দেয়।
জানা গিয়েছে পালিয়ে যাওয়ার পর ‘নিরাপদ’ আশ্রয় হিসাবে বেছে নেয় নিজের এলাকা বিকেহাটকেই। কিন্তু ওই এলাকার বাসিন্দারাও চরণের কুকর্ম ততক্ষণে জেনে যায়। তারাও নজর রেখে চলছিলেন। না স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বিকেহাট এলাকায় রেলপথের ধারে ধারে রয়েছে বেশকিছুটা জঙ্গল এলাকা। সেই জঙ্গলের মধ্যেই গাঢাকা দিয়েছিল চরণ। এদিকে স্থানীয় এলাকা থেকে পুলিশ খবর পায় ঘটনার কিছুক্ষণ পর বিকেহাটের সুখদেব বাবার আশ্রমের আশপাশে তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল। পুলিশ অনুমান করে নেয় জঙ্গলের মধ্যেই অভিযুক্ত থাকতে পারে।
কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কাশীনাথ মিস্ত্রি এবং কাটোয়া থানার আইসি তীর্থেন্দু গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী তল্লাশি শুরু করে। কাজে লাগানো হয় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। কিন্তু জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে অভিযুক্তের তল্লাশি চালাতে পুলিশের হিমসিম অবস্থা হয়। তখন পুলিশ ড্রোন ক্যামেরা এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সার্চ লাইট ‘ড্রাগন লাইট’ এর সাহায্য নেয়। শুক্রবার রাত প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ বিকেহাটের ওই জঙ্গল এলাকা থেকেই ধরা পড়ে যায় অভিযুক্ত চরণ। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন,” বেঁটে চেহারার কারণে ঘন ঝোপঝাড়ের মধ্যে যখন সে লুকিয়ে পড়েছিল তখন তার সন্ধান করতেই হিমসিম খেতে হচ্ছিল। কার্যত চিরুনি তল্লাশির পর ধরা পড়ে যায়।” এদিকে, শনিবার পর্যন্ত শিশুটিকে কাটোয়া হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে । শিশুর মা এবং ঠাকুমা বলেন,”একটা দুধের শিশুর সঙ্গে এত জঘন্য অপরাধ করেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” ধৃতের কঠোর সাজার দাবি উঠেছে কাটোয়ার নাগরিক সমাজের মধ্যেও।

Card image cap

বিশ্বভারতীর হস্টেলে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু

আর জি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে তোলপাড় বাংলা। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতীর আম্রপালি হস্টেলে এক ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ছাত্রীটি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম অনামিকা সিংহ। বারাণসীর বাসিন্দা তিনি। বিশ্বভারতীর শিল্প সদনে পড়াশোনা করছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ আম্রপালি গার্লস হস্টেলে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই ছাত্রী। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীকে উদ্ধারের পর প্রথমে তাঁকে বিশ্বভারতীর নিজস্ব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে দ্রুত বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।তবে কীভাবে মৃত্যু, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করা হলেও, এর পিছনে কোনও রহস্য আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। হস্টেলের আবাসিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ছাত্রীর মৃত্যুর খবরে পুরো বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহপাঠীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা হতবাক ও মর্মাহত। শিক্ষার্থী এবং হস্টেল কর্তৃপক্ষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এবিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে নারাজ তারা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেন কেউ গুজব না ছড়ায় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

Card image cap

ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ!

আর জি কর হাসপাতালের নৃশংস ঘটনায় এখনও গনগনে আন্দোলনের আঁচ। দ্রুত সুবিচারের দাবিতে রোজই কোথাও না কোথাও জমায়েত, মিছিল, প্রতিবাদ সভা হচ্ছে। আর এসবের মাঝে ফের এক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নদিয়ার ভীমপুর। অভিযোগ, গৃহবধূর স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে কয়েকজন তাঁকে ধর্ষণ করে। এর পর ইটের ঘায়ে তাঁকে জখম করে পালিয়ে যায়। কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। ঘটনার খবর পেয়ে ভীমপুর থানার পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। দ্রুত দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব এলাকাবাসী।ভীমপুর থানার অন্তর্গত ডিগ্রি পূর্বপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে ঘটেছে ঘটনাটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাড়িতে ছিলেন না ওই গৃহবধূর স্বামী। রাতেই একাই ঘুমিয়েছিলেন তিনি। গভীর রাতে জনা কয়েক ব্যক্তি ওই গৃহবধূর স্বামী বাইরে থাকার সুবিধা নিয়ে তাঁর বাড়িতে সিঁদ কেটে ওই গৃহবধূর ঘরে ঢোকে। এর পর তাঁকে ধর্ষণ করা হয় এবং মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গৃহবধূর চিৎকারে তাঁর শাশুড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এলাকাবাসীর সহায়তায় বধূকে উদ্ধার করে দ্রুত কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করার কথা বলেন চিকিৎসকরা।কিন্তু কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই নির্যাতিতার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। প্রতিবেশী এক যুবক এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বলে সংশয় পরিবার ও প্রতিবেশীদের। আশুতোষ বিশ্বাস নামে সন্দেহভাজন যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে ভীমপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। এনিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে নারাজ পুলিশ। তবে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারিতে পুলিশ সক্রিয় বলে দাবি। আর জি কর আবহে এই ঘটনায় নতুন করে শোরগোল ফেলেছে নদিয়ায়।

Card image cap

খুনের আশঙ্কার পরই ট্রেনে মৃত্যু

 ভিন রাজ্যের কর্মস্থল থেকে ট্রেনে বাড়ি ফেরার পথে পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ছড়াল চাঞ্চল্য। কালনার বাসিন্দা ওই পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার একমাত্র ছেলেকে খুন করার অভিযোগে সরব। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শুভ দত্ত, বয়স ৩২ বছর। তাঁর বাড়ি কালনা শহরে। মুম্বইয়ের আন্ধেরিতে ১৬ বছর বয়স থেকে এক সোনার দোকানে কাজ করতেন শুভ। হুগলির পাণ্ডুয়ায় তাঁর বিয়ে হলেও বিবাহ বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে। শুভর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। রেলপথে তাঁর মৃত্যু হওয়ায় ঘটনার তদন্তে নেমেছে জিআরপি।পরিবার সূত্রে খবর, গত শনিবার রাত ৯ টা নাগাদ শুভ হাওড়া-মুম্বই মেল ট্রেনে চড়ে কালনার বাড়িতে ফিরছিলেন। রবিবার দুপুরে ট্রেন থেকেই তাঁর পরিবারকে ভিডিও কল করে জানান, তাঁকে কয়েকজন প্রাণে মারার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, তাকে ট্রেনের ভিতর ছোটাছুটি করতেও দেখা গিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ ভয়েস কলে এক বন্ধুকে সে জানায়, “ওরা মনে হয়, আমাকে কিন্তু ট্রেন থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ঠিক আছে। আমি বলে দিলাম। আমাকে আর খুঁজে পাবি না। আমার পিছনে লোক ঘুরছে। মা কালীর দিব্যি, মাকে বললাম মা বিশ্বাস করছে না। তোকে বার বার বলছি। ব্লেড, রড, সব নিয়ে যাচ্ছে।”এর পর শুভকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে ওই ফোন থেকেই সোমবার তাঁর পরিবারকে মোবাইলে ছবি পাঠিয়ে জানানো হয় যে, ছেলে মারা গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের নাগপুরে রেললাইন থেকে কিছুটা দূরে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা শুভর বাবা সুবীর দত্ত কষ্ট সামলে বলেন, “ছেলেকে খুন করা হয়েছে। কারণ ছবিতে দেখা গিয়েছে, ছেলের মাথার পিছনে আঘাত করা হয়েছে। শরীরে ব্লেডের দাগ রয়েছে। শনিবার রাতে ছেলে ট্রেনে ওঠে। সেদিন ছেলের সঙ্গে ভিডিও কলে আমার আর ওর মায়ের কথা হয়। রবিবার সকাল পর্যন্ত ভালোভাবে কথা হলেও হঠাৎ করে ট্রেনের ভিতর থেকেই ভিডিও কলে ছেলে জানায় যে ওকে কেউ মারতে চাইছে। এক বন্ধুকে এই নিয়ে ভয়েস মেসেজও করে যে তাকে কেউ মারতে চাইছে। ওইদিন দুপুরের পর থেকে ছেলের ফোন সুইচ অফ হয়ে যায়।”এমন পরিস্থিতিতে ওই পরিবার কালনা জিআরপির ও থানার দ্বারস্থ হন। তারাও যথেষ্ট সহযোগিতা করেন। যোগাযোগ করা হয় মহারাষ্ট্র পুলিশের সঙ্গে। সোমবার সকালে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে যান ওই যুবকের বাবা ও কয়েকজন। জিআরপি, আরপিএফের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। সোমবারই সকাল সাড়ে নটা নাগাদ ছেলে শুভর ফোন থেকে বাবা সুবীর দত্তের ফোনে ফোন আসে। রেলকর্মীর পরিচয় দিয়ে একজন তাঁকে জানান, যে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের পরে একটি স্টেশন এলাকায় রেললাইনের ধারে একটি মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাঁর কাছে এই মোবাইলটি পাওয়া গিয়েছে।পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। কালনা জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, নাগপুরের থেকে কিছুটা দূরে ওই যুবকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক, জিআরপির সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পারা যায় ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। চলন্ত ট্রেনের ভিতরেই তিনি ছোটাছুটি করছিলেন। অসংলগ্ন আচরণ করছিলেন। তাই প্রাথমিক অনুমান, ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছে জিআরপি।

Card image cap

সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি!

আর জি কর আবহে সপ্তম শ্রেণির নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের বামনখালি এলাকায়। অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারনের দাবিতে স্কুলের গেটে তালা দিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে অভিভাবকরা।দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গঙ্গাসাগরের বামনখালি এমপিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী নির্যাতিতা নাবালিকা। অভিযোগ, গত শুক্রবার স্কুল চলাকালীন অভিযুক্ত শিক্ষক নাবালিকাকে আলাদাভাবে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে। তার শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। নাবালিকা বাড়ি গিয়ে গোটা বিষয়টা জানায়। এর পরই পরিবারের লোকজন এবং গ্রামবাসীরা স্কুলে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকে বিষয়টি জানায়। অভিযোগ, নাবালিকা ঐ ছাত্রীর পরিবারের তরফে যাতে পুলিশের কাছে কোনওরকম অভিযোগ না করা হয় তার জন্য বারবার হুমকি দেয় অভিযুক্ত।এর পরই সোমবার অভিযুক্ত শিক্ষক ও স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ, অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি ও সকল ছাত্রীদের নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবক এবং গ্রামবাসীরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গঙ্গাসাগরের বামনখালি এমপিপি উচ্চ বিদ্যালয় চত্বর। বিক্ষোভ চলাকালীন বিক্ষোভকারীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বেশ কিছুক্ষণ পর আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। 

Card image cap

বাবুঘাটে শুটআউট! আহত ২

আর জি কর কাণ্ডে সুবিচারের দাবিতেএকদিকে রানি রাসমনি অ্যাভিনিউতে নাগরিক সমাজের ধরনা, রাতভর অবস্থানে সেলিব্রিটিরা, ঠিক তখনই ধরনামঞ্চ থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে বাবুঘাটের কাছে মাঝরাতে শুটআউট! পর পর ৬ রাউন্ড গুলি চলে বলে খবর। গুলিতে দুজন আহত হয়েছেন। বালি কেনাবেচা নিয়ে ঝামেলার জেরে এই ঘটনা বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ বাবুঘাট সংলগ্ন এলাকায় অজিত রায়ের কাছ থেকে বালি কিনতে এসেছিলেন তপসিয়ার প্রোমোটার আসিফ আলি, যিনি টিংকু নামে বেশি পরিচিত। ৩২ হাজার টাকার বালি ২৮ হাজারে কিনতে চাইছিল টিংকু। কিন্তু বালির মালিক তাতে রাজি ছিলেন না।  সেসময় তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণ বাকবিতন্ডার পর হঠাৎই বন্দুক বের করে এলোপাথাড়ি ৬ রাউন্ড গুলি চালিয়ে দেয় টিংকু, অভিযোগ এমনই। গুলিতে আহত হন বালির মালিক অজিত এবং তাঁর চালক। তাঁদের SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।যদিও অভিযুক্ত টিংকুর পরিবারের দাবি, বালি কিনতে বাবুঘাট গিয়েছিল সে। সেখানে চালকদের সঙ্গে বচসা হয়। টিংকু এবং তাঁর ভাই দুজনেই আহত হয়েছেন, রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদেরকেও SSKM হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের আরও দাবি, অভিযুক্ত টিংকু নিজেকে পুলিশ বলে দাবি করে। এমনকী তার গাড়িতে ‘পুলিশ’ লেখা লোগোও আছে। বাবুঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রায়শই বালি কিনে নিয়ে যায় টিংকু। এদিনও বালি কিনতে এসেই বচসার জেরে শুটআউটের ঘটনা ঘটল। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগের ভিত্তিতে একযোগে তদন্তে নেমেছে ময়দান ও নর্থ পোর্ট থানার পুলিশ। আসিফ ও আরিফ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর।

Card image cap

৭ বছরের নাবালিকাকে ‘যৌন হেনস্তা’

আর জি কর আবহে উত্তপ্ত রাজ্য। দিকে দিকে প্রতিবাদ আন্দোলন চলছে। সোশাল মিডিয়া জুড়েও চলছে প্রচার। তার পরেও একের পর এক যৌন নির্যাতনের খবর প্রকাশ্যে আসছে। এবার ‘যৌন হেনস্তা’র শিকার সাত বছরের নাবালিকা।শনিবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে মধ্যমগ্রামের রোহান্ডা পঞ্চায়েতের রাজবাড়ি এলাকা। পুলিশের সামনে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান তুলে অভিযুক্ত ও তার আত্মীয়দের বাড়ি ভাঙচুর করে। এমনকী স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে ভাঙচুর করে তারা।খবর পেয়ে ছুটে আসে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশকে দেখেই ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিতে শুরু করে গ্রামবাসীরা। পুলিশের সামনেই ব্যাপক ভাঙচুর চালায় স্থানীয় মানুষজন। এমনকী ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতেও ভাঙচুর চলে। পঞ্চায়েত সদস্য এই অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।এর পর পরিস্থিতি সামলাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসও ছোড়ে। গভীর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে অবশেষে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ।

Card image cap

এবার প্রেসক্রিপশনে ‘বিচার চাই’

রাস্তায় রাস্তায় মিছিলে-স্লোগানে যোগ দিয়ে গর্জে ওঠা নয়। রাত দখলও নয়। পথসভার ভাষণে কিংবা সামাজিক মাধ্যমে সরব হওয়া নয়। এবার রোগীদের প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকের নির্দিষ্ট পরামর্শের পাশে ‘আর জি করের বিচার চাই’ স্ট্যাম্প দিয়ে রীতিমতো অভিনব প্রতিবাদে মুখর রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক! মেডিসিন বিভাগের বর্ষীয়ান চিকিৎসক দেবব্রত রায়ের প্রতিবাদের ধরনে অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসকও প্রেসক্রিপশনের পাশে আর জি করের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হলেন। প্রেসক্রিপশনে রাবার স্ট্যাম্প দিয়ে চিকিৎসকদের এই নতুন প্রতিবাদী ভাষা নজর কাড়ছে সকলের। সমর্থন জানাচ্ছেন রোগীরাও।শুক্রবার থেকে কয়েকজন রোগীর এহেন প্রেসক্রিপশন সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। আর তাতেই আর জি কর হাসপাতালের নারকীয় ঘটনায় প্রতিবাদীদের সাহস আর উৎসাহ – দুইই আরও জোরাল করবে বলে সাধারণ বাসিন্দারা মনে করছেন। যদিও এমন অভিনব প্রতিবাদ যাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত, রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালের যক্ষ্মা বিভাগের সেই চিকিৎসক দেবব্রত রায় বলছেন, “আর জি করের ঘটনা মানতে পারছি না। এ এক বড় দুঃসময়! প্রতিবাদ সর্বত্র আছে। আমার মতো হাজার হাজার মানুষ আজ আর জি করের জন্য রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন।”আর জি করের প্রতিবাদে আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েও মুখ্যমন্ত্রী বার বার বলেছেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে ফিরুন। তা উপেক্ষা করেই অবশ্য নিজেদের প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। এবার রাস্তার প্রতিবাদ উঠে এল চিকিৎসকের এহেন প্রতিবাদে উত্তর দিনাজপুরের কার্যত আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে নিজের প্রেসক্রিপশন রোগীদের চিকিৎসার পরামর্শের পাশে ‘আর জি করের বিচার চাই’ স্ট্যাম্প দিয়ে রোগীদের হাতে তুলে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম ভদ্রের মতো অনেকেই। সকলের একটাই দাবি, আর জি কর কাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি দিতে হবে।

Card image cap

চিকিৎসকদের গাফিলতিতে শিশুমৃত্যুর অভিযোগ

চিকিৎসকের গাফিলতিতে সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে। এই খবর পাওয়ার পর চিকিৎসকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে জন্ম হয় শিশুটির। জন্মের পর থেকে বিভিন্ন শারীরিক অসুখে ভুগছিল সে। তার শ্বাসের সমস্যা রয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। সেই মতো চিকিৎসার জন্য অন্য জায়গায় রাখা হয় তাকে। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল শিশুটির। এর পরে শিশুটির সমস্যার আরও বেড়ে গেলে বাড়ির লোক চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও হাসপাতাল রেফার করতে চায়নি বলে অভিযোগ তুলেছে পরিবার।এর পর যখন পরিবারের লোকজন শিশুটিকে দেখতে যান তখন চিকিৎসক জানান, তাদের শিশুর শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে। বাচ্চাটির বাবা কাছে গিয়ে বুঝতে পারে সে মারা গিয়েছে। তার পরই চিকিৎসকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে পরিবারের লোকেরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরে পরিবারের তরফ থেকে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।শিশুটির মা বলেন, “জন্মের পর থেকে ওর কিছুর সমস্যা ছিল। ওকে আলাদা জায়গায় রাখা হয়েছিল। পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করলে আমরা বলি রেফার করে দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা মানেনি। বলে প্রথমে আমাকে ছুটি দেবে তার পর বাচ্চার রেফার। সে কাজে আরও সময় লেগে যায়। পরে রেফার করতে রাজি হলেও দেখা যায় আমার বাচ্চা মারা গিয়েছে। চিকিৎসকদের গাফিলতিতে আমার সন্তান মারা গেল।”

Card image cap

অভিষেকের প্যাড ব্যবহার করে ৪ কোটি টাকা ‘তোলাবাজি’

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্যাড ব্যবহার করে তোলাবাজির অভিযোগ। প্রায় ৪ কোটি টাকা সে প্রতারণা করেছে বলেই অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে শেক্সপিয়র থানার পুলিশ তৃণমূল যুব নেতা কৌশিক সরকারকে গ্রেপ্তার করে। নিউটাউন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।নিউটাউনের তৃণমূলের যুব নেতা কৌশিক সরকার আদতে দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্যাড ব্যবহার করে কমপক্ষে চার কোটি টাকা তোলাবাজি করেছে বলেই অভিযোগ। এই কৌশিক সরকারের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক তোলাবাজির অভিযোগ ছিল। একাধিক নেতাদের নাম করে সে তোলাবাজি করত বলেই অভিযোগ। নিজেকে কখনও কখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেও দাবি করত সে। বৃহস্পতিবার রাতে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ নিউটাউনের চিনার পার্ক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।উল্লেখ্য, বার বার মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলে থাকতে হলে ‘লোভ পরিত্যাগ’ করতে হবে। অসাধুদের বেছে দলমত নির্বিশেষে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। কৌশিক সরকারের মতো তৃণমূল যুব নেতাও তাই রেয়াত পাননি। তোলাবাজির অভিযোগ পাওয়ামাত্রই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।

Card image cap

বাড়িতে ঢুকে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টা’

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে উত্তাল গোটা বাংলা। তারই মাঝে ফের শিরোনামে ধর্ষণ। নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা দুষ্কৃতীদের। এই ঘটনায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারিতে ব্য়াপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই নাবালিকা বর্তমানে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।ওই নাবালিকা পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। বুধবার রাতে নিজের ঘরে পড়াশোনা করছিল। পড়াশোনা শেষে নিজের ঘরেই শুয়ে পড়ে। রাত ১টা নাগাদ হঠাৎ মেয়ের চিৎকারে জেগে ওঠেন নাবালিকার মা। ঘটনার পর নাবালিকার মা ঘরে ঢুকতে যান। অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি নাবালিকার মাকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এর পরই ঘরে ঢুকে নাবালিকাকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান তার মা। ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার পর প্রথমে নাবালিকাকে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চলছে তাঁর চিকিৎসা।নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করে গলা চেপে খুনের চেষ্টা করা হয়। নির্যাতিতার মা ও বউদি পুলিশের দ্বারস্থ হন। খবর পেয়ে ঘটনার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য, গঙ্গারামপুর থানার আইসি শান্তনু মিত্র-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় এখনও কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।

Card image cap

বন্‌ধের মাঝেই ভাটপাড়ায় শুটআউট!

বিজেপির ডাকা বাংলা বন্‌ধের মাঝে ভাটপাড়ায় শুটআউট! অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বিজেপি যুব নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে সাতসকালে চলল গুলি। আহত হয়েছেন দুজন। এক ব্যক্তির কানে গুলি লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ভাটপাড়ায়। আহতকে দেখতে হাসপাতালে যান অর্জুন সিং । তাঁর অভিযোগ, মোট ৬ রাউন্ড গুলি চলেছে। হামলাকারীরা তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গী। অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এনিয়ে পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ভাটপাড়ার যুব বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকায় তিনি বেঁচে যান। ঘটনাস্থলের কাছেই এক ব্যক্তির কানে লাগে একটি গুলি। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। রবি সিং নামে ওই যুবককে দ্রুত উদ্ধার করে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সঙ্গে ছিলেন ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিংও। এই হামলার নেপথ্যে তিনি সম্পূর্ণত দায়ী করেছেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ককে। অভিযোগ, টিটুয়া ও সোনুয়া নামে দুই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী, যাঁরা সোমনাথ শ্যামের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, তাদেরই কাজ এটা।  তাঁর আরও অভিযোগ, পুলিশের সামনেই এভাবে প্রকাশ্যে গুলি চালানো হয়েছে।হামলার একটি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় ৬ জন ছিল। অর্জুন সিংয়ের কথায়, ”খুল্লমখুল্লা তারা গুলি চালিয়েছে। বোমাবাজিও হয়েছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখেছে। পুলিশ তৃণমূলের তাঁবেদারি করছে। আর কতদিন এভাবে চলবে?” তিনি জানান, স্থানীয় হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই যুবককে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কলকাতার এক হাসপাতালে। তৃণমূলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের পালটা অভিযোগ, অর্জুন সিংয়ের কাজ নেই, তাই এসব অভিযোগ করছেন। এর সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নেই। 

Card image cap

আইটিআই পড়ুয়া ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

আইটিআই পড়ুয়া এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। মঙ্গলবার সকালে ইসলামপুর শহরের কলেজ পাড়ায় ঘরের দরজা ভেঙে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ছাত্রীর নাম রূপা সিনহা (২১)। তাঁর বাড়ি মালদার পাকুয়া এলাকায়। তিনি ইসলামপুর আইটিআই-এর ছাত্রী ছিলেন।পড়াশোনার কারণে ইসলামপুরের কলেজ পাড়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ছাত্রীর এই অস্বাভাবিক মৃত্যু নিছকই আত্মহত্যা নাকি পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে মৃত ছাত্রীর পরিবারকে। ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার জবি থমাস বলেন, ‘মৃত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস তিনেক ধরে মালদার পাকুয়ার বাসিন্দা ওই ছাত্রী ইসলামপুর শহরের কলেজ পাড়ায় পেশায় শিক্ষক সুরেশ বিশ্বাসের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। মঙ্গলবার সকালে ডাকাডাকির পরেও কোনও সাড়া না মেলায় দরজা ভেঙে বাড়ির মালিক ও অন্যরা দেখতে পান, গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরে ঝুলছে ছাত্রীর দেহ।সুরেশবাবু বলেন, ‘সকালে দেখি ঘরের বাইরে ওই ছাত্রীর এক বান্ধবী এসে অনেকক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করছে। আমিও বারবার ডাক দিলেও সাড়া না পেয়ে একটি শাবল এনে আমার ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতেই ঘরের দরজা ভাঙি। মেয়েটিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে আর ঘরে ঢুকিনি, কাউকে ঢুকতেও দিইনি। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তাঁরাই এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।’
সুরেশবাবুর দাবি, মেয়েটি এমনিতেই শান্ত। কী ভাবে তাঁর এমন পরিণতি হলো তা বুঝে উঠতে পারছেন না।

Card image cap

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে মহিলার ‘শ্লীলতাহানির চেষ্টা’

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল শহর। পথে নেমে আন্দোলনে শামিল প্রায় সকলেই। আর সেই প্রতিবাদ মিছিলে শামিল মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ। কাঠগড়ায় এক কনস্টেবল। তিনি মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করছিলেন বলেই অভিযোগ। হালিশহর থানায় ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।কাঁচরাপাড়া, হালিশহর এলাকার ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকরা আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হন। পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ এক মহিলা কাজ সেরে ফেরার পথে মিছিল দেখেন। তিনিও মিছিলে অংশ নেন। হালিশহর থানার এক কনস্টেবল সুকুমার মাণ্ডি ওই মিছিলের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগ, কর্তব্যরত ওই কনস্টেবল মদ্যপ ছিলেন। অন ডিউটি ওই আধিকারিক কেন মদ্যপান করেছেন সেই প্রশ্ন করেন মহিলা। এই প্রশ্ন করায় তাঁকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মহিলার আরও দাবি, ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য পুলিশকর্মীরা ‘মদ্যপ’ কনস্টেবলকে সমর্থন করেন। এর পর ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশ। কিছুক্ষণ পর আবার ফিরে আসেন পুলিশ কনস্টেবল। ওই মহিলাকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিকর মন্তব্য করেন বলেও অভিযোগ।
তাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মিছিলকারীরা। পরিস্থিতি যেকোনও সময় আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে, এই আশঙ্কায় পুলিশকে ঘিরে ধরেন মিছিলকারীদের একাংশ। তাঁকে স্থানীয় জনতাই কর্ডন করে থানায় নিয়ে যায়। ওই পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে হালিশহর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তিরও দাবি জানানো হয়। হালিশহর থানার সামনে বিক্ষোভও দেখান আন্দোলনকারীরা।

Card image cap

বৈদ্যবাটিতে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার ৫

নাকা চেকিং চলাকালীন গাড়িতে করে অস্ত্র পাচারের অভিযোগ। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। বৈদ্যবাটি দিঘাঙ্গি মোড় এলাকায় দিল্লি রোডে নাকা তল্লাশির সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নবান্ন অভিযানের নামে অশান্তির ছক ছিল ওই পাঁচজনের, উঠছে প্রশ্ন।পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে বৈদ্যবাটি দিঘাঙ্গি মোড় এলাকায় দিল্লি রোডের উপর পুলিশের নাকা চেকিং চলছিল। সেই একটি গাড়িকে আটক করে পুলিশ। শুরু হয় তল্লাশি। গাড়ি ছেড়ে পালায় চালক। তাতে সন্দেহ আরও জোরাল হয়। ওই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ গাড়ি থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে শ্রীরামপুর থানায় পুলিশ।ধৃতরা হল নাম শিবনাথ বিশ্বাস (৩৬) , সৌম সুরুল (৩৩), সুমিত দাস(২০) ,স্বস্তি দাস (৩০) , দীপক সিং( ২৬)। ধৃতরা সকলেই শ্রীরামপুরের বাসিন্দা। তাদের শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হয়। কী কারণে তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল, তা এখনও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, রাত পোহালেই মঙ্গলবার ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে এক সংগঠনের নবান্ন অভিযান। তাতে অশান্তির আশঙ্কা করছে রাজ্য প্রশাসন। সে কারণে নিরাপত্তায় বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। তারই মাঝে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অশান্তির আশঙ্কা যেন আরও জোরাল হচ্ছে।

Card image cap

প্রেমিকে’র সঙ্গে রাত কাটানোর পর উদ্ধার মহিলার দেহ

স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক। থাকেন বিহারে। সেই সুযোগেই নাকি ছেলের মেসোশ্বশুরের সঙ্গে তৈরি হয় ঘনিষ্ঠতা। শনিবার রাতে একসঙ্গে রাতও কাটান দুজনে। এর পর রবিবার সকালে রামপুরহাটের নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সম্পর্কে বেয়াইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।নিহত বছর ছত্রিশের ফুচু মাল। বীরভূমের নলহাটি থানা এলাকার বাসিন্দা। ওই মহিলা পেশায় দিনমজুর। তাঁর স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি বর্তমানে বিহারে রয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, স্বামীর অনুপস্থিতিতে ছেলের মেসোশ্বশুর ভানু মালের (৪০) সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ভানু পেশায় রাজমিস্ত্রি। নির্মীয়মাণ বহুতলেই কাজ করছিলেন দুজনে। জানা গিয়েছে, শনিবার ভানু ও ফুচু দুজনেই সাঁইথিয়ায় গিয়েছিলেন। রাতে নির্মীয়মাণ বহুতলেই ছিলেন তাঁরা।রবিবার সকালে অন্যান্য শ্রমিক কাজ করতে গিয়ে দেখেন নির্মীয়মাণ বহুতলের দোতলার ঘরে পড়ে রয়েছেন মহিলা। তড়িঘড়ি রামপুরহাট থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। মৃতার পরিবারের দাবি, ভানুই খুন করেছে মহিলাকে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ভানুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।