CATEGORY district:

Card image cap

‘দুষ্প্রাপ্য’ বিষ বের করতে গিয়ে মৃত্যু কোটি টাকার সাপের

দুষ্প্রাপ‌্য মূর্তি নয়। কোটি টাকার সাপের বিষ।
চিৎপুর থেকে অ‌্যান্টিক ব‌্যবসায়ীকে গয়ায় নিয়ে গিয়ে অপহরণ করার পিছনে এই দুষ্প্রাপ‌্য সাপ ও ততোধিক দুষ্প্রাপ‌্য কোটি টাকার সাপের বিষের ‘কাহিনী’ রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশের কাছে খবর, ৬ ফুট ৯ ইঞ্চির ওই ‘দুষ্প্রাপ‌্য’ সাপের মুখ থেকে বিষ বের করতে গিয়ে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেন ওই অ‌্যান্টিক ব‌্যবসায়ী। সেই সাপের মৃত্যুর শোধ তুলতেই গয়ার একটি হোটেলের ব‌্যাঙ্কোয়েট হলে আটকে রেখে ৪০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চায় অপহরণকারীরা।

অপহরণের জন‌্য রীতিমতো ওই ব‌্যাঙ্কোয়েট হলটি বুক করে তিন অপহরণকারী। অজিত নামে এক অপহরণকারী গ্রেপ্তার হয়েছে। টিঙ্কু পাশোয়ান-সহ দুই অপহরণকারী পলাতক। কালো রঙের ওই সাপটির ভিডিও ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। সেটি কী প্রজাতির ও আদৌ বিষাক্ত কি না, তা নিয়ে রীতিমতো সন্দিহান লালবাজারের গোয়েন্দা আধিকারিকরাও। যেহেতু সাপটির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে খবর, তাই কলকাতা পুলিশের পক্ষে ওই ফুটেজটি বিহারের বন দপ্তরকে পাঠানো হতে পারে।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, অপহৃত ওই অ‌্যান্টিক ব‌্যবসায়ী শুধু যে অ‌্যান্টিক বস্তুর দাম নির্ধারণ করে শংসাপত্র দিতেন, তা নয়। তিনি রীতিমতো সাপের বিষদাঁত বা বিষ থলে থেকে বিষ বের করতে পারেন। সেই বিরল বিষ কাচের কৌটোয় ভরে অ‌্যান্টিক পাচারকারীরাই তা পাচার করত বিদেশে। সম্প্রতি উত্তর কলকাতার ওই অ‌্যান্টিক ব‌্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে পাচারকারী টিঙ্কু পাশোয়ানরা। তারা জানায়, গয়া সংলগ্ন এলাকার জঙ্গল থেকে অতি বিরল একটি বড় সাপ ধরা পড়েছে। তার বিষ অত‌্যন্ত দুষ্প্রাপ‌্য ও দাম অন্তত কোটি টাকা। ওই বিষ সাপের বিষের থলি থেকে ব‌্যবসায়ীকে বের করার জন‌্য অনুরোধ জানায় তারা। ব‌্যবসায়ী রাজি হয়ে যান। তাঁর ব‌্যাঙ্ক অ‌্যাকাউন্টে টিঙ্কু, অজিতরা অনলাইনে ৭০ হাজার টাকা আগাম পাঠায়। গত সপ্তাহে ব‌্যবসায়ী গয়ায় পৌঁছলে একটি ডেরায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। ঝুড়ি থেকে সাপটি বের করে সেটির বিষ বের করার চেষ্টা করেন ব‌্যবসায়ী। কিন্তু বড় চেহারার শক্তিধর সাপটি বাধা দেয়। তার মুখের ভিতর জোর করে যন্ত্র প্রবেশ করানো হয়। তাতেই মৃত্যু হয় সাপটির।
কোটি টাকার সাপের’ মৃত্যু হওয়ার ফলে বিষ পাচার চক্রের যাবতীয় রাগ এসে পড়ে ব‌্যবসায়ীর উপর। অপহরণ করে হোটেলের রাখার পর তারা চিৎপুরে তাঁর পরিবারের লোকেদের কাছে ৪০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাইলেও ৩৫ লক্ষ টাকায় চূড়ান্ত হয়। গয়ার রেললাইনের কাছে মুক্তিপণের টাকা নিতে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় অজিত। পলাতকদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Card image cap

৫ মিনিটের ‘অপারেশনে’ লুট ৬ লক্ষ টাকা!

মালদহের কৃষ্ণপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে ডাকাতির ঘটনায় নয়া মোড়। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় যুক্ত স্থানীয় ব্যক্তি। সে-ই রেইকি করে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে ওই সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ৬ লক্ষ টাকা দুষ্কৃতীরা লুট করে বলেই দাবি তদন্তকারীদের। ভিনরাজ্যের কেউ জড়িত কিনা, আগ্নেয়াস্ত্রই বা দুষ্কৃতীরা পেল কোথা থেকে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় ধৃত দুজনকে জেরা করে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বলেই আশা পুলিশের।

বুধবার দুপুরে মালদহের কৃষ্ণপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। তার পর বোমাবাজি করতে করতে বোলেরো গাড়ি চড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। সাতটি দলে ভাগ হয়ে শুরু হয় ডাকাতদের খোঁজে তল্লাশি। ডাকাতদল দক্ষিণ দিনাজপুরের পালানোর ছক কষে। সূত্রের খবর,পুরাতন মালদহের ভাবুকের সুখানদিঘি এলাকায় গাড়ি বদল করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। দুজনের পায়ে গুলি লাগে। তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেই আপাতত দুষ্কৃতী দলের দুজনের চিকিৎসা চলছে।
ধৃত দুই দুষ্কৃতীর মধ্যে সমীর মণ্ডল মালদহের কৃষ্ণপুরের বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সে-ই রেইকি করে। তার পরই ডাকাতির ছক কষা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সমীর স্বীকার করেছে ডাকাতির সময় দরজায় পাহারা দিচ্ছিল সে। এই ঘটনায় বাকি অভিযুক্তরা চাঁচলের বলেই জানা গিয়েছে। তবে ভিনরাজ্যের কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, সে বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ধৃত দুই অভিযুক্ত বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর জেরা করে আরও বিস্তারিত তথ্য সামনে আসবে বলেই আশা তদন্তকারীদের।

Card image cap

স্টেশনে মহিলাদের গা ঘেঁষে ছবি তোলার চেষ্টা

মহিলাদের গা ঘেঁষে ছবি তোলার চেষ্টা যুবকের। মঙ্গলবার হিন্দমোটর স্টেশনে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। শেষমেশ যুবককে ধরে আরপিএফের হাতে তুলে দেয় যাত্রীরা। এর পর রেল পুলিশের হাতে তাঁকে তুলে দেয় আরপিএফ।

ধৃতের নাম কিষাননন্দন দ্বিবেদী। বিহারের বাসিন্দা হলেও এখন উত্তরপাড়ায় থাকে ওই যুবক। অভিযোগ, দুপুরে হিন্দমোটর স্টেশনে মহিলাদের গা ঘেঁষে ছবি তুলে যাচ্ছিল সে। যার জেরে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল। অনেকেই সরে গেলেও শেষমেশ হিন্দমোটরবাসী এক যুবতী প্রতিবাদ করেন। সঙ্গে তাঁর মা-ও ছিলেন। তিনিও রেগে যান।

এর পর যুবক সেই ছবি মুছে দেয়। যদিও ততক্ষণে জড়ো হয়ে যান অনেক যাত্রী। মারধর করার পর আরপিএফে এলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে। বেলুড় রেল পুলিশ যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছে।


Card image cap

দিলীপের সুরেই এবার বিস্ফোরক অর্জুন

এবার বিজেপির আত্মসমালোচনা অর্জুন সিংয়ের গলায়! দিলীপ ঘোষের সুরেই ভোট করানো নিয়ে বিজেপির সমালোচনায় সরব হলেন বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর সাফ কথা, “আমরা ভোট করাতে পারি না। বিরোধী হলেও তাদের (তৃণমূল) থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।” রবিবারই একই ধরনের কথা শোনা গিয়েছিল দিলীপ ঘোষের গলাতেও।

রবিবার বিষ্ণুপুরে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “ভোট কীভাবে করাতে হয় আমরা জানি না।” এই প্রসঙ্গ টেনেই সোমবার ভাটপাড়ায় নিজের বাড়ি মজদুর ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অর্জুন সিং বলেন, “দিলীপদা অনেক সিনিয়র নেতা। এই ঘটনা উনি গতদিন অনুভব করতে পেরেছেন। আমি অনেকদিন ধরেই বলছি বাংলায় ভোট হয় না, ভোট করাতে হয়। এবার নিচুস্তর নিয়ে দলকে ভাবতে হবে, সংগঠন কার হাতে দিতে হবে, কোন লোক কাজ করবে।” বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদের আরও সংযোজন, “আমি কাউকে ছোট করছি না তবে, একজন তৃণমূলের ইউনিয়নের অধীনে টোটো চালাবে আবার সেই যদি বিজেপির মণ্ডল সভাপতি, বুথ সভাপতি বা শক্তি প্রমুখ হয় তাহলে তো কোনওদিনই কাজ করতে পারবে না। তার তো সবসময় ভয় থাকবে টোটো বন্ধ হয়ে যাওয়ার।”
উদাহরণ টেনে অর্জুনের দাবি, “আমি এমনও মণ্ডল প্রেসিডেন্ট দেখেছি, অটো চালাচ্ছে আর অটোর পিছনে তৃণমূলের প্রচারের ব্যানার লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভোটের দিন তাঁর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। দিলীপদা অনেক পরে বুঝলেন। তাও ভালো, ওঁর মত লোক যদি সরব হন তাহলে বিজেপির নিচুস্তরে সাংগঠনিক যে ত্রুটি আছে আমরা ঠিক করতে পারব।” এর পরই বিস্ফোরণ ঘটান অর্জুন। বলেন,”আমাদের কর্মীরা-মিছিল মিটিং ভালো করতে পারে কিন্তু বাংলায় তো ভোট হয় না, মানুষ ভোট দিতে পারে না। তাই ভোট করাতে হয়। আমি এমনও দেখেছি একজন লোকসভার কনভেনার, সেই লোকই বুথের ইনচার্জ, সেই আবার বুথে বসছে। তাঁর বাড়ির লোক শক্তি প্রমুখ। তারা জীবনের কোনদিনও ভোটার স্লিপ বিলি করে না, প্রচারে বাড়ি বাড়ি যায় না। আমরা ভোট করাতে পারি না, বিরোধী হলেও তাদের থেকে অনেক কিছু সেখার দরকার আছে। শিখলে কিন্তু আমরা ভোট করাতে পারব।”

Card image cap

ত্রাতা তৃণমূল সাংসদ

রাজধর্মের পাঠ সেই ২০০২ সালে পড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। তবে রাজধর্মের বাস্তব প্রয়োগ আজও অধরা বিজেপিতে! অতীতের গুজরাট ছাড়িয়ে সেই ছবিটা এবার ধরা পড়ল এই বাংলায়। ক্যানসার আক্রান্তের সাহায্যের আর্তি শুনে মুখের উপর ‘দরজা বন্ধ’ করলেন এলাকার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। অভিযোগ তুললেন, রোগী তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে ফলে মিলবে না প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফাণ্ডের জন্য শংসাপত্র। অন্যদিকে, নিজের সংসদীয় ক্ষেত্র না হওয়া সত্ত্বেও ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর ‘ত্রাতা’ হয়ে এগিয়ে এলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ।

পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষ থানার মুইধাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত। দুবছর আগে বেঙ্গালুরুর এক বেসরকারি হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ইতিমধ্যেই ৭ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন তিনি। কেমো থেরাপির জন্য এখনও প্রয়োজন ১.৪০ লক্ষ টাকা। তবে অর্থের অভাবে আটকে রয়েছে চিকিৎসা। এহেন পরিস্থিতিতে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফাণ্ডে আবেদনের জন্য বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌমিত্র খাঁর কাছে যান নজরুল। তবে তিনি না থাকায় তাঁর পিএকে সবটা জানান। পিএ বিষয়টি নিয়ে ফোনে কথা বলেন সৌমিত্রর সঙ্গে। নজরুলের অভিযোগ, সাংসদের পিএ তাঁকে জানান, এই সার্টিফিকেট তাঁকে দেওয়া হবে না। কারণ, তিনি তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন তাই সাংসদ স্পষ্টভাবে সার্টিফিকেট দিতে নিষেধ করেছেন।এই পরিস্থিতিতে শনিবার বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কীর্তি আজাদের সঙ্গে দেখা করেন নজরুল ইসলাম। কীর্তি তাঁর কাছে জানতে চান তাঁর এলাকার সাংসদ কে? রোগী এর পর সৌমিত্র অফিসে যাওয়া ও বিতাড়িত হওয়ার কথা জানান কীর্তিকে। তাঁর কাছ থেকে সব শোনার পর সঙ্গে সঙ্গে সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করে দেন কীর্তি।এই ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কীর্তি আজাদ বলেন, “আমি ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচির জন্য কলকাতা যাচ্ছিলাম। রাস্তায় এই খবর পেয়ে বর্ধমানের পার্টি অফিসে যাই এবং ওই ব্যক্তিকে শংসাপত্র দিই।” পাশাপাশি সৌমিত্রকে আক্রমণ শানিয়ে বলে, “ভোটের পর এখন তিনি সবার সাংসদ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে ভোট দিয়েছে, কে তাকে ভোট দেয়নি সেই হিসেব করে তিনি প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফাণ্ডের সার্টিফিকেট দিচ্ছেন। এটা কোনওভাবেই কাম্য নয়।”

Card image cap

অবশেষে পুলিশের জালে সোনারপুরের ‘ত্রাস’ জামালউদ্দিন

তিনদিন ধরে লাগাতার তল্লাশি। এলাকার বাইরে গা ঢাকা দিয়েও শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল সোনারপুরের ‘ত্রাস’ জামালউদ্দিন। শুক্রবার রাতে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা ও সোনারপুর  এলাকার মাঝের একটি ডেরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আপাতত নরেন্দ্রপুর থানায় নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে জামালকে। শনিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

গত ৭ জুলাই জামালের বিরুদ্ধে সালিশি সভার নামে এক মহিলার পায়ে শিকল বেঁধে মারধর করার অভিযোগ দায়ের হয়। তার তদন্তে নেমে জামালের দুই সঙ্গীকে গ্রেপ্তার  করেছিল সোনারপুরের থানার পুলিশ। কিন্তু সঙ্গীরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে আর  জামালের খোঁজ মিলছিল না। সে গা ঢাকা দিয়েছিল। এদিকে, জামালের বিরুদ্ধে সালিশি সভা বসিয়ে হেনস্তা, তোলাবাজির একাধিক অভিযোগ জানাচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা। তাতে তদন্ত আরও গুরুত্ব সহকারে শুরু করে পুলিশ। যার জেরে তিনদিনের মধ্যেই জালে এল জামাল।

Card image cap

একাকী বৃদ্ধার গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ব্যাপক লুটপাট!

বৃদ্ধার গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে দুঃসাহসিক ডাকাতি! ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায়। শুধু লুটপাটই নয়, বৃদ্ধাকে খুনের হুমকিও দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর প্রতিবেশীদের সাহায্যে জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বৃদ্ধা। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে। তবে দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা।

জানা যাচ্ছে, ভাটপাড়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের আতপুর নতুন পাড়া এলাকার বাসিন্দা বছর বাষট্টির বৃদ্ধা সর্বাণী ভট্টাচার্য। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, বুধবার রাতে নিজের ঘরে একা শুয়েছিলেন। অভিযোগ, গভীর রাতে এক দুষ্কৃতী তাঁর ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে হাতের, কানের গয়না খুলে নেয়। আলমারিতে থাকা ঠাকুরের সোনার গয়নাও নিয়ে চম্পট দেয়। সর্বাণীদেবীর বাড়ির ছাদের দরজা নেই বলে জানা গিয়েছে। অনুমান, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পাশের বাড়ির দেওয়াল বেয়ে ছাদে উঠেছে দুষ্কৃতী। তার পর অনায়াসে নিচে নেমে বৃদ্ধার ঘরে ঢুকে প্রায় এক ঘন্টা অপারেশন চালায় কোনও বাধা ছাড়াই। সেই সময় পাশের তিনটি ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। সর্বাণীদেবীর অনুমান, একজন দুষ্কৃতী ঘরের ভিতরে ঢুকলেও বাকি আরও করেকজন বাইরে ছিল বলেও অনুমান করা হচ্ছে।বৃদ্ধা সর্বাণী ভট্টাচার্যের কথায়, “রাতে শুয়েছিলাম। রাত দুটো-আড়াইটে নাগাদ দরজার আওয়াজ শুনে চোখ খুলে দেখি, হাতে ছুরি নিয়ে একজন দাঁড়িয়ে আমার সামনে। সে বলে, যা আছে বার করে দিতে হবে। লাইট জ্বালালে বা চিৎকার করলে খুন করবে বলেও হুমকি দেয়। আমার কানের এবং হাতের গয়না খুলে নেয়। তার পর আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে আলমারি খুলে ঠাকুরের সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয়।” ভাটপাড়ার মতো জমজমাট জায়গায় রাতে একাকী বৃদ্ধার বাড়িতে এমন ডাকাতির ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। যথাযথ নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী।

Card image cap

অবশেষে গ্রেপ্তার কুলতলির ‘এল চাপো’ সাদ্দাম

দু’দিন লুকিয়ে থাকার পর অবশেষে গ্রেপ্তার কুলতলি কাণ্ডের মূল পাণ্ডা সাদ্দাম সর্দার। পুলিশের জালে পড়েছে তার এক সঙ্গীও বলে খবর।

জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে কুলতলির ঝুপড়িঝাড়ার বাণীরধল এলাকার একটি আলাঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাদ্দামকে। পাশাপাশি ওই ভেড়ির মালিক তথা কুলতলির সিপিএম নেতা মান্নান খানকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হল। আজই সাদ্দামকে আদালতে হাজির করা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
কুলতলির জালাবেরিয়া-২ পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সাদ্দমের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। গত সোমবার সাদ্দামের বাড়িতে অভিযানে যায় পুলিশ। সাদ্দামকে ধরে ফেলে তারা। এর পরেই বাড়ি এবং আশেপাশের মহিলারা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। সাদ্দামের ভাই সাইরুল পুলিশকে নিশানা করে গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। এই সুযোগে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায় সাদ্দাম এবং সাইরুল। অভিযুক্তের বাড়ির খাটের নিচে একটি সুড়ঙ্গের হদিশ মেলে। সেখান দিয়েই সাদ্দাম পালিয়ে যায়। পুলিশ আসলে যাতে খবর পেয়েই দ্রুত পালিয়ে যেতে পারে তার জন্য বাড়ির খাটের নিচেতে সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিল সাদ্দাম। সুড়ঙ্গটির মুখ পার্শ্ববর্তী একটি খালে।
উল্লেখ্য, কুলতলির জালাবেরিয়া-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাজুড়ে দীর্ঘদিন চলছিল নকল সোনার কারবার। শুধু নকল সোনা নয়, সোনার মূর্তি চুরি করে এনে এখান থেকে বিক্রিও করা হতো। কখনও কখনও মানুষকে ফাঁদে ফেলে মূর্তি বিক্রির নামে সর্বস্বান্ত করা হতো ক্রেতাদের। শুধু তাই নয় এর আগেও এক ব্যক্তিকে খুন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এইসব মূর্তি চোর দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় রমরমিয়ে চলছিল এই ব্যবসা। এসব কাণ্ডকারখানার নেপথ্যে সাদামের হাত রয়েছে বলেই অভিযোগ।

Card image cap

পুলিশকে গুলি করে খাটের নিচের সুড়ঙ্গপথে পগার পাড়

কুলতলির সাদ্দাম সর্দার যেন মেক্সিকোর কুখ্যাত ড্রাগ লর্ড এল চাপো! ২০১৫ নাগাদ মেক্সিকোর প্রায় অভেদ্য আলতিপলানো জেল থেকে সুড়ঙ্গ পথে পালিয়েছিলেন ড্রাগ লর্ড জোয়াকিম গুজম্যান ওরফে এল চাপো। ঠিক তাঁরই কায়দায় পুলিশের ভয়ে সোমবার কুলতলির নিজের বাড়ি থেকে খাটের নিচের সুড়ঙ্গপথে চম্পট দেন সাদ্দাম সর্দার। যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে কুলতলি থানার পুলিশের।

কুলতলির জালাবেরিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাজুড়ে দীর্ঘদিন চলছিল নকল সোনার কারবার। শুধু নকল সোনা নয়, সোনার মূর্তি চুরি করে এনে এখান থেকে বিক্রিও করা হতো। কখনও কখনও মানুষকে ফাঁদে ফেলে মূর্তি বিক্রির নামে সর্বশ্রান্ত করা হতো ক্রেতাদের। শুধু তাই নয় এর আগেও এক ব্যক্তিকে খুন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এইসব মূর্তি চোর দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় রমরোমিয়ে চলছিল এই ব্যবসা। এবার সেই নকল সোনার কারবারি ও মূর্তি চোরদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ করলে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তবে ঘটনায় কোনও পুলিশকর্মী হতাহত হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানার জালাবেরিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর সোমবার সকালেই ওই এলাকায় এক দল পুলিশ কর্মী তল্লাশিতে যায়। তখনই তাঁদেরকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। অভিযান শেষ না করে তাঁরা ফিরে আসে ওই এলাকা থেকে। পালিয়ে যায় সোনার চোরের কারবারের সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীরা। এর পর দুই মহিলাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা হয় কুলতলি থানাতে। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের তরফে গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করা হয়েছে।তবে পুলিশ জানিয়েছে যে ব্যক্তিকে ধরার জন্য ওই এলাকায় অভিযান চালিয়েছিল সেই ব্যক্তির নাম সাদ্দাম সর্দার। সাদ্দামের বিরুদ্ধে কুলতলি থানাতে বেশ কয়েকদিন আগে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছিল তার থেকে সোনার মূর্তি দেওয়ার নাম করে বেশ কিছু টাকা প্রতারণা করা হয়েছে সেই। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সোমবার তল্লাশিতে যায় পুলিশ। পুলিশ তল্লাশিতে এলাকায় যেতেই চারিদিক থেকে শুরু হয় হইচই। সেই সময় সুযোগ বুঝেই পালিয়ে যায় সাদ্দাম। সাদ্দামের বাড়ির খাটের নিচে একটি সুড়ঙ্গ আছে। যে সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে সাদ্দাম পালিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। পুলিশ আসলে যাতে খবর পেয়েই দ্রুত পালিয়ে যেতে পারে তার জন্য বাড়ির খাটের নিচেতে সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিল। যে সুড়ঙ্গ পার্শ্ববর্তী একটি খালের সঙ্গে সংযোগ। ধৃত দুই মহিলা সাদ্দামের বাড়িতে সদস্য বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার তাদের আলিপুর মহকুমা আদালতে খোলা হবে।

Card image cap

বন্ধ লেভেল ক্রসিংয়ে দু’টি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনে

ভয়ংকর দুর্ঘটনা খড়দহ রেল স্টেশন সংলগ্ন লেভেল ক্রসিংয়ে। ডাউন হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসের সঙ্গে দুটি গাড়ির সংঘর্ষ। অল্পের জন্য বড় বিপদ থেকে রক্ষা পান দুটি গাড়ির চালকরা। তবে হতাহতের খবর নেই। রেলগেট অস্বাভাবিক যানজট এবং হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে থাকার কারণে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে পথ চলতি মানুষদের।

ঘটনার সময় খরদহ স্টেশন সংলগ্ন লেভেল ক্রসিংয়ের গেটটি খোলা ছিল। চলাচল করছিল যানবাহনও। হঠাৎ করেই গেটটিকে নামিয়ে দেন গেটম্যান। তখনই গেটের ভেতরে আটকে যায় দু'টি গাড়ি। একই সময় ডাউন হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস ডিঙোচ্ছিল খরদহ স্টেশন সংলগ্ন ওই লেভেলক্রসিং। তাতেই বিপত্তি হয়। রেল গেটের ভেতরে আটকে যাওয়া দুটি গাড়িতে ধাক্কা মারে দ্রুতগামী হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস। ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে মুছড়ে যায় গাড়ি দুটি পিছনের অংশ। তবে স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রাণহানি হয়নি। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলরাম সেবা সদন হাসপাতালে। কিন্ত কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল? দোষ কার?
এই ঘটনায় রেলেকর্মীদের কাজে সমন্বয়ের অভাব এবং দুই গাড়ি চালকের দুঃসাহসিকতাকে দোষ দিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে পূর্বরেল জানিয়েছে, জোর করে যে দুটি চার চাকা গাড়ি লেভেল ক্রসিংয়ে ঢুকেছিল, সেটি গেটের বুমেও ধাক্কা মারে, তারপর ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ঘটনার পর রেলের তরফে ওই গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

Card image cap

'সংখ্যালঘুরাই বোমা বাঁধবে আর আপনারা পদ নিয়ে থাকবেন?'

দলের সংখ্যালঘু নেতাদের কাজ নিয়ে এবার নজিরবিহীন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা। কোর কমিটির নেতাদের দিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন সাঁইথিয়া সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতি মহম্মদ ইউনুস। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকে তাঁর মন্তব্য, ''বোমা বাঁধা থেকে শুরু করে লাঠিচালনা, সবই সংখ্যালঘু নেতারা করবে? আর আপনারা কোর কমিটির বড় বড় পদ নিয়ে বসে থাকবেন?'' যদিও এনিয়ে জেলার কোর কমিটি তেমন কিছু বলতে চাননি। বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।

বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বিরুদ্ধে মুখ খুলেই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন সাঁইথিয়া তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতি মহম্মদ ইউনুস ওরফে মাদল। জেলার কোর কমিটির নেতাদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ''বোমা বাঁধা থেকে শুরু করে লাঠিচালনা, সবই সংখ্যালঘু নেতারা করবে? আর আপনারা কোর কমিটির বড় বড় পদ নিয়ে বসে থাকবেন? নিজের বুথেই জিততে পারেন না আপনারা, আবার জেলার দায়িত্ব নেবেন!'' এর পর তাঁর আরও মন্তব্য, এসব চোখে আঙুল দিয়ে বোঝানো দরকার।যদিও এনিয়ে কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী জানান, ''বিষয়টি রাজ্যস্তরে জানিয়েছি। যদি কেউ এমন কথা বলে থাকেন, তাহলে তিনি আর যেই হোন, তৃণমূলের কর্মী নন। রাজ্য নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, এই স্বঘোষিত তৃণমূল নেতাকে সতর্ক করা হবে।'' উল্লেখ্য, কোর কমিটিতে থাকা বোলপুর ও রামপুরহাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বুথ লোকসভা নির্বাচনে দলের জয়জয়কারের মাঝেও বিজেপির থেকে পিছিয়ে আছে। তাই নাম না করে তাঁদেরই কার্যত নিশানা করেছে ইউনুস।

Card image cap

শিক্ষাঙ্গনই এইচআইভির আঁতুড়ঘর

শিক্ষাঙ্গনই আঁতুড়ঘর মারণ সংক্রমণের।ত্রিপুরায় উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে এইচআইভি সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই সংক্রমণের বলি ৪৭ জন পড়ুয়া। এইচআইভি পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ৮২৮ জনের। এরা সকলেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ‌্যালয়ের শিক্ষার্থী। আরও স্পষ্ট করে বললে, ২২০টি স্কুল, ২৪টি কলেজ এবং বিশ্ববিদ‌্যালয়ের শিক্ষার্থী। এমনটাই দাবি ত্রিপুরা স্টেট এডস কন্ট্রোল সোসাইটির (টিসিএসিএস) রিপোর্টে। টিসিএসিএস-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত আমরা ৮২৮ জন এইচআইভি পজিটিভ পড়ুয়ার নাম নথিবদ্ধ করেছি। এর মধ্যে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৫৭২ জন এখনও বেঁচে আছেন এবং এখনও এই রাজ্যে আছেন। বাকিরা উচ্চশিক্ষার জন‌্য রাজ্যের বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে চলে গিয়েছেন বলেই খবর।’’শুধু তাই নয়, রিপোর্টে এ-ও জানা গিয়েছে যে, ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত ত্রিপুরায় মোট সক্রিয়, নথিবদ্ধ এইচআইভি আক্রান্তের সংখ‌্যা ৮,৭২৯ জন। এই তালিকাটিতে অবশ‌্য শুধু পড়ুয়ারা নন, সমাজের নানা স্তরের-বয়সের এবং পেশার মানুষ আছেন। রাজ্যের বিভিন্ন ‘এআরটি’ (অ‌্যান্টি-রেট্রোভাইরাল থেরাপি) সেন্টারগুলিতে এই আক্রান্তদের নাম রয়েছে। এর মধ্যে এখনও বেঁচে আছেন ৫,৬৭৪ জন (পুরুষ ৪,৫৭০ জন, মহিলা ১,১০৩ জন এবং এক জন রূপান্তরকামী)।কিন্তু কেন এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি? কী করে এত ব‌্যাপক হারে রাজ্যে ছড়াচ্ছে প্রাণঘাতী হিউম‌্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি) সংক্রমণের ঘটনা? টিসিএসিএস-এর পর্যবেক্ষণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর মূলে রয়েছে মাদকাসক্তি। অধিকাংশ পড়ুয়ার পরিবারে বাবা-মা দু’জনেই চাকরিজীবী। ফলে তাঁদের অজান্তেই তাঁদের সন্তানরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছেন। যথেচ্ছ হারে বাড়ছে ব‌্যবহৃত সুচ/সিরিঞ্জ-এর প্রয়োগে মাদক গ্রহণ। এতে রক্তের মাধ‌্যমে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। এছাড়াও এইচআইভি ছড়াতে পারে ‘প্রোটেকশন’বিহীন যৌনাচারের মাধ‌্যমে, একাধিক যৌনসঙ্গী থাকলে। তা বাদে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গর্ভস্থ সন্তানের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এমনকী, সন্তান প্রসবকালে কিংবা স্তন‌্যপানের মাধ‌্যমেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া সম্ভব বলেই দাবি। সাধারণভাবে এইচআইভি সংক্রমণের উপসর্গগুলি হল জ্বর, মাথাব‌্যথা, ডায়েরিয়া, ওজন দ্রুত হ্রাস, পেশি-সহ গাঁটে গাঁটে ব‌্যথা প্রভৃতি। এরই ‘অ‌্যাডভান্সড স্টেজ’ হল এডস। এর অন‌্যতম লক্ষণগুলি হল সারা শরীরে কাঁপুনি, ঘাম, জ্বর, ডায়েরিয়া, ক্লান্তি, শরীরজু়ড়ে র‌্যাশ প্রভৃতি।

Card image cap

সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর উপরে হামলা

সোনারপুরে বিজেপি কর্মী এবং তাঁর স্ত্রী, পুত্রের উপরে হামলার অভিযোগ। শনিবার ভোররাতে তাঁদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। প্রথমে তিন জনকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এম আর বাঙুর হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁরা চিকিৎসাধীন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।ঘটনাটি সোনারপুরের চৌহাটি এলাকার। সেখানকার বাসিন্দা গোবিন্দ অধিকারী। তিনি বিজেপি করেন বলে খবর স্থানীয় সূত্রে। এ বারের নির্বাচনে বিজেপির পোলিং এজেন্টও হয়েছিলেন গোবিন্দ। শনিবার ভোর ৩টের পর তাঁর বাড়িতে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে, তাঁর স্ত্রীকে এবং পুত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। বাড়িতে গোবিন্দের কন্যাও ছিলেন। তবে তাঁর উপর হামলা হয়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোবিন্দের স্ত্রী নমিতা অধিকারী এবং পুত্র গৌরব অধিকারী গুরুতর জখম।

Card image cap

১১১ ফুটের ফাইবারের প্রতিমা!

দুই বিঘা জমি। চারিদিক খোলা। জমির অনেকটা অংশে বাঁশের অস্থায়ী তাঁবু। দিনের শুরুতে প্রায় ১০-১২ জন প্রতিমা শিল্পী পরিকল্পনায় ব্যস্ত। তার পরেই কাজ শুরু। রূপ দেওয়া হচ্ছে দুর্গা প্রতিমার। না অনেকগুলো প্রতিমা নয়। একটি প্রতিমা তৈরিতে নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন শিল্পীরা। এক বিরাট যজ্ঞে সামিল তাঁরা! গড়ে উঠছে প্রায় ১১১ ফুটের দুর্গা প্রতিমা।রানাঘাটের কামালপুর এলাকায় অভিযান সংঘ তৈরি করছে বাংলার সবথেকে বড় প্রতিমা! এবারের তাঁদের দুর্গা পুজোর ৫৫ তম বর্ষ। গতবছরের পুজোর পর থেকেই পুজো কমিটি ভাবতে থাকে বিশেষ কিছু করার। সেই থেকেই এই সিদ্ধান্ত। প্রায় ১ বছর ধরে আলোচনা। বাংলা নববর্ষের দিন থেকে কাজ শুরু। শুধু মাটির তৈরির অত বড় প্রতিমা দাঁড় করানো কঠিন। তাই থাকবে ফাইবারের কাজ। প্রাথমিক উচ্চতা যা বলা হচ্ছে, তার থেকেও উচ্চতা বাড়বে বলে দাবি শিল্পীদের।

Card image cap

স্কুলের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বিতর্ক

স্কুলের নবীন বরণ অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্ক। স্কুল মঞ্চে প্রকাশ্যে সাম্প্রদায়িক চর্চা। ছাত্রছাত্রীরা পরিচয় পর্বে নিজের ধর্মীয় পরিচয় দেওয়াকে ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। তা চরমে ওঠে রবিবার। সিউড়ি দুই ব্লকের পুরন্দরপুর হাইস্কুলের সেই ভিডিও নিজের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।তিনি দাবি করেন, “ছাত্ররা নিজেদের পরিচয় পর্বে রাম রাম বলায় ওই স্কুলের এক সহ শিক্ষক তাতে বাধা দেন। তিনি তৃণমূলের শিক্ষক সেলের জেলা সভাপতি। অভিযোগ বকলমে তিনিই স্কুল পরিচালনা করেন। স্কুল কি তৃণমূলের রাজনৈতিক আখড়া হয়ে উঠল।” যদিও সহ শিক্ষক অভিজিৎ নন্দন বলেন, “স্কুল সকলের কাছে মন্দির। সেখানে কোনও ধর্মীয় পরিচয় নেই। আগেও কিছু ছেলে ইসলামিক রীতিতে পরিচয় পর্ব সারছিল। তারপরেই বাকি হিন্দু ছাত্ররা জয় শ্রী রাম বলে। প্রধান শিক্ষক সে সময় মঞ্চে উপস্থিত না থাকায় অনান্য শিক্ষকদের কথা মত আমি উঠে ছাত্রদের শুধু ‘নমস্কার’ বলার নির্দেশ দিই। এটা নিয়ে কেউ অযথা রাজনীতি করছে।”ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার। ১৩২ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী স্কুল পুরন্দরপুর স্কুল। সকালের স্কুলচলাকালীন স্কুলের রীতি মেনে একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীদের নবীনবরণ চলছিল।স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে বাণিজ্য, কলা , বিজ্ঞান তিনটি বিভাগই আছে। তবে বাণিজ্য বিভাগে কেউ ভর্ত্তি হয়নি।কলা বিভাগে ১৫৬ জন ছাত্র ছাত্রী। বিজ্ঞানে ৪০ জন।এই দুশো ছাত্র ছাত্রী স্কুলের হাজার দুয়েক ছেলের সামনে মঞ্চে উঠে নিজের নাম ও পরিচয় পর্ব জানাচ্ছিল। তাল কাটল কিছু ছাত্র ছাত্রী ইসলামিক রীতিতে ছাত্র ছাত্রীদের অভিবাদন করায়। তারপরেই বাকি ছাত্ররা জয় শ্রী রাম বলে সম্বোধন করে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছিল।যে পরিচয় পর্বের জেরে মঞ্চের নিচে থাকা ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছিল। কারন স্কুলে সব ধর্মের ছাত্র ছাত্রী আছে।স্কুলের হিসাবে সেখনে ৪০ শতাংশ সংখ্যালঘু ছাত্র ছাত্রী। পরিস্থিতি বেসামাল হতেই মঞ্চে থাকা স্কুলের ইংরাজির শিক্ষক অভিজিৎ নন্দন ছাত্রদের কাছে মাইক নিয়ে নির্দেশ দেন, “শুধু নমস্কার বলে নিজের নাম বলবে।অন্য কোনও কথা নয়।”
তাকে ঘিরেই বিজেপির রাজনীতি শুরু। জগন্নাথবাবু জানান, “আমরা পশ্চিমবঙ্গে না পশ্চিম বাংলাদেশে আছি। স্কুলে কেন ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি। পরিচয় পর্বে অন্য ধর্মের যারা নিজেদের পরিচয় দিচ্ছিলেন তখন কেন ওই শিক্ষক বাধা দেন নি। কেন এই প্রশ্রয়। পরে ছাত্রছাত্রীরা রাম নাম বললে কি উদ্দেশ্যে তিনি থামিয়ে দিলেন।” যদিও এই বিতর্কে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শান্তনু আচার্য্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক আশিস বিশ্বাস বলেন, “কোমলমতি ছাত্রদের মাথায় যদি এভাবে স্কুলে সাম্প্রদায়িক চর্চা ঢুকে যায় তাহলে ভবিষ্যৎ বাংলায় বিপদের শঙ্কা।আমরা ক্লাসে যায় ভারতের ভাবী নাগরিক গড়তে। সেখানে তৃণমূল-বিজেপি দু দলই যদি তাদের রাজনীতির স্বার্থে এভাবে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে স্কুলেও ধর্মীয় বিভাজন করে সেটা চরম লজ্জার।”

Card image cap

বারাসত শিশু খুনে নয়া তথ্য

বারাসতের কাজিপাড়ায় কিশোর খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা জেলা। ছড়িয়ে পড়েছে ছেলেধরা গুজব। আতঙ্কিত অভিভাবকরা। এরই মাঝে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভাইপোকে খুনের পর পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ছেলেধরা গুজব ছড়ায় ধৃত কাকুই। রবিবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানালেন বারাসতের জেলা পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝারখড়িয়া। তিনি জানান, “একাধিক এলাকাবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মৃতের কাকুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ধৃতের বয়ানেও অসঙ্গতি মেলে। তার পর ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাদ করায় সে খুনের অভিযোগ স্বীকার করে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে ধৃতের সঙ্গে মৃত ফারদিন নবীর বাবার বিবাদ ছিল। খুনের আগের দিনও দুই পরিবারের অশান্তি হয়েছিল। তখন মৃত কিশোর কাকুর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিল বলে অভিযোগ। আর সেই কারণেই ইনজার নবী তাকে খুন করেছে বলে দাবি করেছে জেরায়। কিশোরের দেহ উদ্ধারের পর জেলাসদরে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে পরে। সোশাল মিডিয়ায় শুরু হয় ছেলেধরার পোস্ট, শেয়ার। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। বারাসত সংলগ্ন অশোকনগর, বারাকপুর এবং বাগদাতেও এর আঁচ গিয়ে পড়ে। শিশু অপহরণকারী সন্দেহে এইসব এলাকায় শুরু হয় গণপিটুনি। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। জানা যাচ্ছে, কিন্তু এই ছেলেধরার গুজব মূলত ভাইপোকে খুনের পর পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই রটিয়েছিল ধৃত।পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝারখাড়িয়া জানান, চাকদহের এক মহিলাকে ঘিরে প্রথম ছেলেধরার গুজব ছড়ায়। একইসঙ্গে মৃতের শরীরে কিডনি-সহ অন্যান্য অংশ নেই বলেও প্রচার হয়েছিল। তার পরই এই গুজব সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। গোটাটাই ধৃত করেছিল পুলিশকে বিভ্রান্ত করে ভাইপোকে খুন আড়াল করতে। এমনকি সে নির্দিষ্ট স্থান থেকে মাইকিং করেও গুজব ছড়িয়েছিল বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে।

Card image cap

লোকসভার স্পিকারের দায়িত্বে কংগ্রেসের নেতার নাম! বিজেপির তরফে জানানো হল কেনও তিনি পেলেন না

বিজেপি সাংসদ সম্বিত পাত্র এবার জানিয়েছেন লোকসভার প্রো-টেম স্পিকার হিসাবে কেনও ভর্তৃহরি মাহতাবকে বেছে নেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের সাংসদ কে সুরেশের পরিবর্তে।


তিনি বলেছেন, "প্রো-টেম স্পিকার একটি কনভেনশনের মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়, আইন নয়। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতে এটি একটি দীর্ঘ সম্মেলন চলছে।


এখন, কংগ্রেস এই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। টানা সপ্তমবারের মতো সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ভর্তৃহরি মাহতাব। কনভেনশনে বলা হয়েছে, দীর্ঘতম মেয়াদে অবিচ্ছিন্ন চাকরির সাংসদকে প্রো-টেম স্পিকার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে। সুতরাং, এই ১৮ তম লোকসভায়, ভর্তৃহরি মাহতাব প্রো-টেম স্পিকার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যতদূর (কংগ্রেস সাংসদ) কে সুরেশ সম্পর্কিত, তিনি টানা ৮ বার অবিচ্ছিন্ন সাংসদ হিসাবে কাজ করেছেন না। তিনি ১৯৯৮ সালেও হেরেছেন এবং ২০০৪ সালেও হেরেছেন। সেই হিসাবে এটি কে সুরেশের টানা চতুর্থ মেয়াদ। অপরদিকে এটি ভর্তৃহরি মাহতাবের টানা সপ্তম মেয়াদ। সুতরাং, নিয়ম ভঙ্গ হয়নি।"