CATEGORY games:

Card image cap

অজিদের হারিয়ে সেমির দৌড়ে আফগানরা

টি-২০ বিশ্বকাপে বড়সড় অঘটন। আফগানিস্তানের কাছে হেরে সেমিফাইনালের লড়াই কঠিন করে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। কিংসটাউনে টানটান ম্যাচে অজিদের বিরুদ্ধে ২১ রানে জিতলেন রশিদ খানরা। আর এই জয় দিয়েই সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে চলে এলেন আফগানরা। যদিও চলতি বিশ্বকাপে রশিদ খান-গুরবাজরা যেভাবে পারফর্ম করেছেন, তাতে এদিনের জয়কে অনেকেই অঘটন বলতে রাজি নন।
কিংসটাউনে টস জিতে এদিন প্রথমে আফগানিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠান অজি অধিনায়ক মার্শ। প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান ২০ ওভারে করে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান। দুই ওপেনার গুরবাজ এবং জাদরান প্রথম উইকেটের জুটিতেই তুলে দেন ১১৮ রান। গুরবাজ ৪৯ বলে ৬০ এবং জাদরান ৪৮ বলে ৫১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। কিন্তু এর পর অজিদের হয়ে খেলা ঘোরান প্যাট কামিন্স। অনবদ্য হ্যাটট্রিক নিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান প্রাক্তন টি-২০ অধিনায়ক। পর পর তিন বলে রশিদ খান, করিম জানাত এবং গুলবদিন নাইবকে আউট করেন তিনি। প্রথম বোলার হিসাবে বিশ্বকাপে পর পর দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার অনবদ্য রেকর্ড গড়লেন অজি অধিনায়ক। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৮ রানেই আটকে গেল আফগানরা। টপ অর্ডারের রানের গতি ধরে রাখা গেলে আরও বড় টার্গেট দেওয়া যেত অজিদের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে একেবারে গোড়া থেকেই চাপে পড়ে যায় অজিরা। প্রথম ওভারে শূন্য করে ফেলেন ট্রাভিস হেড। মাত্র ৩২ রানে পড়ে যায় তাঁদের ৩ উইকেট। এর পর খানিকটা লড়াই করেন ম্যাক্সওয়েল। ৪১ বলে ৫৯ রান করেন তিনি। কিন্তু আর কোনও অজি ব্যাটারই সেভাবে প্রতিরোধ করতে পারেননি। যার ফলে অজিদের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১২৭ রানে। আফগানরা জেতে ২১ রানে।
এই জয়ের ফলে বিশ্বকাপের সেমির দৌড়ে প্রত্যাবর্তন হল আফগানদের। নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারালেই শেষ চারে চলে যেতে পারেন রশিদরা। অন্যদিকে সোমবার ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ অজিদের জন্য মরণ-বাঁচন ম্যাচে পরিণত হল। সেমিফাইনালে যেতে হলে রোহিতদের বিরুদ্ধেও বড় ব্যবধানে জিততে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। এদিন আফগানরা জেতায় ভারতও শেষ চারে নিশ্চিত হতে পারছে না। শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে হারা চলবে না টিম ইন্ডিয়ারও। যদিও দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে জেতায় অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তানের তুলনায় কিছুটা স্বস্তির জায়গায় টিম ইন্ডিয়া।

Card image cap

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে প্রোটিয়ারা

গ্রুপ পর্ব থেকে সুপার এইটের রাস্তাটা একেবারেই মসৃণ ছিল না ইংল্যান্ডের। স্কটল্যান্ডের মতো দেশের সঙ্গে রীতিমতো টক্কর দিতে হয়েছে তাদের। অন্যদিকে ৪ ম্যাচে ৪টি জয় নিয়ে শেষ আটে পৌঁছেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই অপরাজিত ধারাই বজায় রাখল তারা। এদিন সেন্ট লুসিয়ার স্টেডিয়ামে শেষ হাসি হাসলেন মার্করামরা। বিশ্বকাপের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের দিকে এক পা দিয়ে বাড়িয়ে রাখল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিন টসে জিতে দুরন্ত শুরু করেছিল প্রোটিয়ারা। নেপথ্যে কুইন্টন ডি ককের দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি। অন্যদিকে হেনড্রিকসের (১৯) ব্যাট ততটা চলেনি। কিন্তু ডি ককের সামনে অসহায় দেখাচ্ছিল ইংরেজ বোলারদের। ৩৮ বলে ৬৫ রানে থামে তাঁর ইনিংস। যদিও একমাত্র ডেভিড মিলার (৪৩) ছাড়া কেউই রানের গতি বজায় রাখতে পারলেন না। ক্লাসেন (৮), মার্করাম (১), ত্রিস্তান স্টাবস (১২), মার্কো জানসেনরা (০) সকলেই ব্যর্থ। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থামে ১৬৩ রানে।
কিন্তু ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ের টপ অর্ডারের সেই ধারটাই দেখা গেল না আজ। ফিল সল্ট ১১ রান করে আউট হয়ে গেলেন। পরের তিন ব্যাটারের স্ট্রাইকরেট ১০০-র নিচে। জস বাটলার (১৭), জনি বেয়ারস্টো (১৬), মইন আলিদের (৯) ধীর ব্যাটিংয়েই অনেকটা পিছিয়ে পড়ল গতবারের চ্যাম্পিয়ন। বলা যায়, তাঁদের বেঁধে রাখল কেশব মহারাজের (২৫/২) স্পিন। কিন্তু পরের দিকে মারকুটে ব্যাটিং করেন হ্যারি ব্রুক (৫৩) আর লিয়াম লিভিংস্টোন (৩৩)। আর সেখান থেকেই রুদ্ধশ্বাস দিকে ঘুরে গেল ম্যাচটা। যা এতক্ষণ দক্ষিণ আফ্রিকার হাতের মুঠোয় মনে হচ্ছিল, তা ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন দুই ইংরেজ ব্যাটার। জঘন্য বোলিং করে তাঁদের আজ আরও সহজ করে দিয়েছিলেন প্রোটিয়া বোলাররা। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার দুরন্ত ফিল্ডিংই বাঁচিয়ে দিল তাঁদের। মার্করামের ক্যাচে ফিরে গেলেন হ্যারি ব্রুক। আর সেখানেই ম্যাচের ভবিষ্যৎ প্রায় লেখা হয়ে গেল। স্যাম কুরানের (১০) চেষ্টাও জেতাতে পারল না ইংল্যান্ডকে। 
দুটো দলই সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতেছিল। ফলে এই ম্যাচ যারাই জিতুক তারাই অ্যাডভান্টেজ। পয়েন্ট টেবিলে অঙ্কের অনেক জটিলতা মাথায় রেখেও নির্দ্বিধায় বলা যায় সেই কথা। আর সেই কাজটাই করল দক্ষিণ আফ্রিকা। সঙ্গে অনেকটাই বাড়িয়ে রাখল রানরেট। ২ ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালের পথে পা বাড়িয়ে রাখলেন মার্করাম।

Card image cap

ইউরোয় এগিয়ে গিয়েও ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ড্র

জিতলেই ইউরো কাপের শেষ ১৬ নিশ্চিত হয়ে যেত ইংল্যান্ডের। হ্যারি কেনের গোলে এগিয়েও গিয়েছিল তারা। কিন্তু রক্ষণের ভুলে ড্র করতে হল তাদের। ডেনমার্কের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও ১-১ গোলে ড্র করল ইংল্যান্ড। ফলে এখনও পরের রাউন্ড পাকা হল না গ্যারেথ সাউথগেটের ছেলেদের। অন্য দিকে পর পর দু'ম্যাচ ড্র করে লড়াইয়ে টিকে থাকল ডেনমার্ক।


সার্বিয়ার বিরুদ্ধে জিতলেও মাঠে দাপট দেখাতে পারেনি ইংল্যান্ড। বেশ কয়েক বার তাদের গোলের সামনেও বিপদ দেখা দিয়েছিল। ডেনমার্কের বিরুদ্ধেও ইংল্যান্ডের রক্ষণের ফাঁক দেখা দিল। শুরু থেকে বেশ আত্মবিশ্বাসী ফুটবল শুরু করে ডেনমার্ক। মাঝমাঠের লড়াই চলছিল। দু'দলই বলের দখল রাখার চেষ্টা করছিল। 


১৮ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষ ফুটবলারের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে ডান প্রান্ত ধরে বক্সে ঢোকেন কাইল ওয়াকার। পাস বাড়ান তিনি। সেই বল বার করতে পারেনি ডেনমার্ক। অরক্ষিত দাঁড়িয়ে থাকা কেনের কাছে বল পৌঁছয়। বাঁ পায়ে গোল করতে ভুল করেননি ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার। চলতি ইউরোয় প্রথম গোল করলেন তিনি। 

গোল খাওয়ার পরে আরও আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে ডেনমার্ক। ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন, হয়বিয়ের, উইন্ডেরা অনেক বেশি পাস খেলা শুরু করেন। ফলে ইংল্যান্ডের রক্ষণ চাপে পড়ে যায়। তার ফল পায় ডেনমার্ক। ৩৪ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ডের রক্ষণের ভুল থেকে বল পান মর্টিন হুলমান্ড। বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ে মাটি ঘেঁষা শট মারেন তিনি। পায়ের জঙ্গলের মধ্যে সেই বল দেখতে দেরি হয় জর্ডন পিকফোর্ডের। ফলে বলের কাছে পৌঁছতে পারেননি পিকফোর্ড। পোস্টে লেগে বল গোলে ঢুকে যায়। সমতা ফেরায় ডেনমার্ক। ২০১৬ সালের পরে ইউরোয় গ্রুপ পর্বে এই প্রথম কোনও গোল খেল ইংল্যান্ড। ১-১ গোলে বিরতিতে যায় দু'দল। 


দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার এগিয়ে যাওয়ার জায়গায় চলে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের। ৫৬ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে ফিল ফডেনের বাঁ পায়ের শট পোস্টে লেগে ফেরে। ইংল্যান্ডের সব আক্রমণ হচ্ছিল ডান প্রান্ত ধরে। বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণ না হওয়ায় ডেনমার্কের রক্ষণের সুবিধা হচ্ছিল। তবে তার মধ্যেই বেশ কয়েক বার বুকায়ো সাকা বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেননি তিনি। জুড বেলিংহ্যাম আগের ম্যাচে গোল করলেও এই ম্যাচে দেখাই গেল না তাঁকে। ফলে সমস্যায় পড়ল ইংল্যান্ড। 


৬৯ মিনিটের মাথায় সাহস দেখান ইংল্যান্ডের কোচ সাউথগেট। কেন, ফডেন, সাকাকে একসঙ্গে তুলে নেন তিনি। তরতাজা ফুটবলার নামান। কিন্তু তাতে আক্রমণের ছবি বদলায়নি। উল্টে ৮০ মিনিটের পরে অন্তত দু'বার গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছিল ডেনমার্ক। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করায় গোল করতে পারেনি তারা। 


বাকি সময়ে অনেক চেষ্টা করেও দু'দল গোল করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হয় ইংল্যান্ড ও ডেনমার্ককে। সার্বিয়ার পরে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের রক্ষণ যা খেলল তা চিন্তা আরও বাড়াবে সাউথগেটের। বড় বড় নাম থাকলেও বড় দলের মতো খেলতে পারছে না ইংল্যান্ড। নক আউটে এই ভুল করলে কিন্তু আরও এক বার ব্যর্থ হয়েই ফিরতে হবে কেনদের। 


স্লোভেনিয়া-সার্বিয়া ম্যাচ ড্র বৃহস্পতিবার অন্য ম্যাচে স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করল সার্বিয়া। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পরে দ্বিতীয়ার্ধে ৬৯ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় স্লোভেনিয়া। গোল করেন জান কার্নিচনিক। দেখে মনে হচ্ছিল, সেই গোলই খেলার ফয়সালা করে দেবে। কিন্তু সংযুক্তি সময়ের শেষ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান সার্বিয়ার লুকা জভিচ। ১-১ ড্র করে মাঠ ছাড়ে দু'দল।

Card image cap

আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিয়ে সুপার এইট অভিযান শুরু করল ভারত

প্রত্যাশামতোই আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিয়ে সুপার এইট অভিযান শুরু করল ভারত। স্কোরবোর্ডে বড় রান না উঠলেও মূলত বুমরাহর দাপটে আফগান ব্যাটিংকে আগাগোড়া চাপে রেখে অনায়াস জয় ছিনিয়ে নিল রোহিত বাহিনী। 
এদিন টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত। কিন্তু ম্যাচের তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে তিনি (৮) যখন আউট হলেন তখন স্কোরবোর্ডে মাত্র ১১ রান। মনে হচ্ছিল, তাহলে কি প্রথমে ব্যাট না করলেই ভালো হত। কিন্তু দ্রুত খেলাটা ঘোরাতে শুরু করেন পন্থ। কিন্তু ভালো শুরু করেও অযথা অ্যাডভেঞ্চারার্স হতে গিয়ে তিনি (২০, ৪x৪) রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে উইকেট খোয়ালেন।
আইপিএলে রানের তুবড়ি জ্বালালেও কোহলি  এখনও পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে রান পাননি। সুপার এইটের লড়াই শুরু হতেই তিনিও ফর্মে ফিরবেন, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল। এবারের বিশ্বকাপে তাঁর ব্যাট থেকে প্রথম ছক্কাটিও আজও পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ তিনি ২৪ রান করে তুলে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়ে গেলেন। স্ট্রাইক রেটও ছিল একশো। অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাকি দুই ম্যাচে কিন্তু ‘কিং’-এর ব্যাটকে কথা বলতেই হবে। 
শিবম দুবে (১০) আউট হওয়ার পর সূর্যকুমার ও পাণ্ডিয়া চমৎকার লড়লেন। সূর্য ৩৬০ ডিগ্রির দিকে না গিয়ে অনসাইডে ছোট বাউন্ডারি থাকার সুযোগ নিতে বুদ্ধিমানের মতো সুইপ মেরে গেলেন। অনেক পরিণত দেখাচ্ছিল আজ তাঁকে। কিন্তু যখন তাঁকে ভয়ংকর মনে হচ্ছে তখনই তিনি ফিরে গেলেন ৫৩ (৩x৬, ৫x৪) করে। মনে হচ্ছিল হার্দিক হয়তো ঠিকঠাক ফিনিশ করবেন। কিন্তু তিনিও (৩২) ফিরে যান পরের ওভারে। খেলা তখন শেষের দিকে। অক্ষর প্যাটেল ৬ বলে ১২ রান করে স্কোর ১৮১-তে পৌঁছে দেন। আফগান বোলারদের মধ্যে রশিদ খান (২৬/৩) ও ফারুকি (৩৩/৩) দুজনই তিনটি করে উইকেট তুলে নিয়ে জোর ধাক্কা দেন ভারতীয় ব্যাটিংকে।
আফগানিস্তানের শুরুটা ছিল চমকে দেওয়ার মতো। প্রথম ওভারের প্রথম বলেই গুরবাজ অর্শদীপকে মাথার উপর দিয়ে তুলে দিলেন। সীমানার আগে একবার মাটি ছুঁয়ে বল সীমানার বাইরে গেল। পঞ্চম বলে হেলায় মিড উইকেট দিয়ে তরুণ পেসারকে একেবারে মাঠের বাইরে ফেলে দিলেন। কিন্তু পরের ওভারেই ‘বুম বুম’ বুমরাহ এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। পেসের হেরফের ঘটিয়ে বোকা বানালেন গুরবাজকে (১১)। 
সেই যে ভারত চাপ দেওয়া শুরু করল, আর ফাঁস কেটে বেরতে পারেননি আফগান ব্যাটাররা। তবে বোলারদের মধ্যে যথারীতি সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন বুমরাহই। তিনি ৪ ওভারে দিলেন ৭ রান। একটি ওভার মেডেনও পেলেন। তুললেন তিন উইকেট। অর্শদীপও তিন উইকেট পান। কুলদীপ দুটি।  সব মিলিয়ে কোনও সময়ই আফগানিস্তানকে লড়াইয়ে ফিরতে দেননি ভারতীয় বোলাররা। আজমাতুল্লা ওমরজাই (২৬) ছাড়া কোনও ব্যাটারই কুড়ির কোঠা টপকাতে পারেননি। ফলে অনায়াসে ৪৭ রানে জয় ছিনিয়ে নিতে অসুবিধা হল না রোহিতদের। 

Card image cap

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজ জয় ভারতের

একই ম্যাচে চার সেঞ্চুরি। দুই দল থেকেই শতরান হাঁকিয়েছেন দুই ব্যাটার। তবে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি ফুটেছে উইমেন ইন ব্লুর মুখে। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ জিতে নিল ভার‍ত। তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ এগিয়ে গিয়েছেন হরমনপ্রীত কউররা। 
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম মানেই রানের পাহাড়। এদিন দুই দলই ঝোড়ো ব্যাটিং করেছে বেঙ্গালুরুর স্টেডিয়ামে। টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক লরা উলভার্ডট। কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেন স্মৃতি মান্ধানা। সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচেও ১২০ বল খেলে তাঁর ব্যাট থেকে এল ১৩৬ রান। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ব্যাটিং করেন অধিনায়ক হরমনপ্রীতও। ৮৮ বলে ১০৩ রান করে নট আউট থাকেন তিনি। দুই ব্যাটারের তাণ্ডবে ৩২৫ রানে গিয়ে থামে ভারত। 
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকান ওপেনার লরাও। প্রোটিয়া অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ১৩৫ রান। তাঁকে আউট করতে পারেননি ভারতের কোনও বোলার। পাঁচ নম্বরে নামা ম্যারিজান কেপ মাত্র ৯৪ বলে ১১৪ রান করেন। তবে জোড়া সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ম্যাচ জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। জেতার জন্য শেষ বলে ছক্কা হাঁকানোর দরকার ছিল। স্ট্রাইকে ছিলেন সেঞ্চুরি হাঁকানো অধিনায়ক নিজে। কিন্তু পূজা বস্ত্রকরের বলে রানই নিতে পারেনি লরা। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মাত্র ৪ রানে জয়ী হয় ভারত। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ একটি ম্যাচ বাকি থাকতেই জিতে নিল উইমেন ইন ব্লু। ম্যাচের সেরার শিরোপা পেলেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত। 

Card image cap

শাস্তির কবলে বাংলাদেশের পেসার তানজিম

বাংলাদেশের পেসার তানজিম শাকিব ও নেপাল অধিনায়ক রোহিত ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। তানজিম শাকিব কড়া নজর হেনেছিলেন নেপাল অধিনায়কের দিকে। সেই ঘটনায় জরিমানা করা হয়েছে বাংলাদেশের বোলার তানজিম শাকিবকে। আইসিসি আচরণবিধি ভঙ্গ করায় বাংলাদেশ বোলারকে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে।

আইসিসির পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তানজিম বল করার পর রোহিতের দিকে আক্রমণাত্মক ভাবে এগিয়ে যান। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন দুজন। পরে অবশ্য আম্পায়ার স্যাম নোগাসকির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়াও আইসিসি-র আচরণবিধির ২.১২ ধারা ভেঙেছেন তানজিম। এর সঙ্গেই তানজিমের শৃঙ্খলা রেকর্ডে ১ ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ করা হয়েছে।  

নেপালের বিরুদ্ধে ১০৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তাড়া করতে নেমে নেপাল থেমে যায় ৮৫ রানে। নেপালের ইনিংসে ধস নামান তানজিম। সাত রান দিয়ে চার-চারটি উইকেট নেন তিনি। মূলত তাঁর দুরন্ত বোলিংয়েই নেপালের ইনিংস তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে সুপার এইট অভিযান শুরু করছে বাংলাদেশ।

Card image cap

ফের ‘সোনা’র ছেলের ‘সোনা’ জয়

ফের সোনার ছেলের সোনা জয়। প্যারিস অলিম্পিকের এক মাস আগেই জ্যাভলিন ছুঁড়ে ফের সোনা জিতে নিলেন নীরজ চোপড়া। মঙ্গলবার রাতে ফিনল্যান্ডে পাভো নুরমি গেমসে সোনার দ্যুতি ছড়ালেন তিনি। তবে এবারও অধরা পাখির চোখ ৯০ মিটার। ৮৫.৯৭ মিটারের সীমা ছুঁয়েই থামতে হল তাঁকে।রিও অলিম্পিক থেকে ‘সোনা’র দৌড় শুরু হয়েছে নীরজের। জ্যাভলিন প্রতিযোগিতায় সেবার সোনা জয়ের পর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। দোহায় ডায়মন্ড লিগে রুপো এবং ভারতে ফেডারেশন কাপে সোনা এসেছে তাঁর ঝুলিতে। গতবার চোটের কারনে পাভো নুরমি গেমসে অংশ নিতে পারেননি তিনি। এবার আর এক মাস বাদেই প্যারিসে বসবে  অলিম্পিকের আসর। তার আগে শেষবার নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল নীরজের কাছে। এদিন সেই সুযোগ কাজে লাগালেন তিনি। 
এদিন চেনা ছন্দেই শুরু করেন ভারতের ‘সোনার ছেলে’। প্রথম থ্রোয়ে ছোঁড়েন ৮৩.৬২ মিটার। কাছাকাছি ছিলেন মাত্র দুজন। ফিনল্যান্ডের টনি কেরানের থ্রো ছিল ৮২.৫৯ মিটার। তার ঠিক পিছনেই ছিলেন গ্রেনাডার অ্যান্ডারসন পিটার্স। তাঁর থ্রো ছিল ৮২.৫৮ মিটার। দ্বিতীয় চেষ্টায় নীরজ ছোড়েন ৮৩.৪৫ মিটার। সেই সময়ে তাঁকে ছাপিয়ে এগিয়ে যান ফিনল্যান্ডের ওলিভার হেলান্ডার।

তবে তৃতীয় থ্রো ছিল নীরজের কামব্যাক। তাঁর ৮৫.৯৭ মিটারের ধারেকাছে ছিলেন না কেউ। এই রাউন্ডেই ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায় নীরজের। চতুর্থ রাউন্ডে ছোড়েন ৮২.২১ মিটার। লিডও ধরে রাখেন তিনি। পঞ্চম চেষ্টায় নীরজের থ্রো ফাউল হলেও খুব একটা তফাৎ কেউ গড়তে পারেননি। বরং ষষ্ঠ রাউন্ডে ৮২.৯৭ মিটার থ্রো করেন অলিম্পিক পদকজয়ী ভারতীয় তারকা।

পাভো নুরমি-তেও ফেভারিট হিসেবে প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন নীরজ। আশাহত করলেন না দেশকে। তাঁর তৃতীয় থ্রো-ই শীর্ষ স্থান এনে দেয়। তবে তাঁর পাখির চোখ ৯০ মিটার থেকে বেশ কিছুটা দূরেই থেমে গেল তাঁর বর্শা। সেই আক্ষেপই কি অলিম্পিকের আগে নীরজের গলার কাঁটা হয়ে রয়ে গেল? উত্তর মিলবে প্যারিসে। 

Card image cap

হাঙ্গামা এড়াতে বিরাট প্ল্যানিং বাবরদের, করলেন এই কাণ্ড

এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের চূড়ান্ত ব্যর্থতার পর ইংল্যান্ডে উড়ে যাচ্ছেন প্রতিবেশী দেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। অবশ্য খেলতে নয়, তাঁরা ইংল্যান্ডে ছুটি কাটাতে যাচ্ছেন। এই তালিকায় আছেন খোদ পাকিস্তান দলের অধিনায়ক বাবর আজম।


এছাড়াও আছেন আজম খান। যে আজম খানকে রাত দেড়টার সময় নিউইয়র্কের ফুড কোর্টে গিয়ে খেতে দেখা গিয়েছিল।

যা দেখে অনেকেই নিন্দায় সরব হয়েছিলেন। তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন যে, আজম খান টি-২০ বিশ্বকাপে সম্ভবত ছুটি কাটাতে এসেছেন। এবার বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর আজম খান ইংল্যান্ডে ঘুরতে যাওয়ায় সেই অভিযোগে কার্যত সিলমোহর পড়ল। সূত্রের খবর, বাবর আজম ও আজম খানের পাশাপাশি, আরও চার পাকিস্তানি খেলোয়াড় ইংল্যান্ডে বেড়াতে গিয়েছেন।


আগামী ১৯ জুন পাকিস্তান দল আমেরিকা থেকে পাকিস্তানে ফিরবে। ওই দিনই শুরু হচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার ৮ পর্ব। আর, সেদিনই আজম খান, বাবর আজমরা দলের সঙ্গে দুবাই হয়ে পাকিস্তানে না ফিরে ব্রিটেনে উড়ে যাবেন। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডও ব্যাপারটা জানে। আর, বাবর আজম-সহ ওই পাঁচ ক্রিকেটারকে পাকিস্তানকে পরিবার-সহ ছুটি কাটাতে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইংল্যান্ডগামী ফ্লাইটে পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন বাবর আজমের সঙ্গে থাকবেন আজম খান, হারিস রউফ, শাদাব খান, মহম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম। সূত্রের খবর, ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপের বিপর্যয়ের পর নতুন করে ঝাঁপানোর আগে একটু তরতাজা হতেই ছয় ক্রিকেটার ইংল্যান্ড যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২০০৯ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান এবারের বিশ্বকাপে অত্যন্ত হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেছে। তার জেরে গ্রুপ পর্ব থেকে পাকিস্তানকে বিদায় নিতে হয়েছে।

এবার গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের সঙ্গে ছিল ভারত, আমেরিকা, কানাডা, আয়ারল্যান্ড। তার মধ্যে পাকিস্তান আমেরিকা এবং ভারতের কাছে হেরেই নিজের সর্বনাশ ডেকে আনে। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তারা উদ্বোধনী ম্যাচ খেলেছে। আর, ভারতের কাছে হেরেছে ছয় রানে। সূত্রের খবর, ইংল্যান্ডে ছুটি কাটানোর ফাঁকে সেখানকার স্থানীয় ক্রিকেট লিগেও খেলে নেওয়ার চেষ্টা করবেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। এই মুহূর্তে পাকিস্তান দলের হাতে কোনও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট নেই। দুই টেস্ট-এর সিরিজ আছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তারও এখনও দুই মাস বাকি। আর, এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছেন বাবর আজম-সহ ওই ছয় পাকিস্তানি ক্রিকেটার।

Card image cap

বিশ্বকাপে ইতিহাস ফার্গুসনের

 টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিশ্বরেকর্ড। অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে নজির গড়লেন নিউ জিল্যান্ডের বোলার লকি ফার্গুসন। নিউ জিল্যান্ড ও পাপুয়া নিউ গিনির আপাত গুরুত্বহীন ম্যাচে এই নজির গড়লেন লকি ফার্গুসন। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে চারটিই মেডেন নেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে তিন-তিনটি উইকেট। 
তাঁর আগে ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর কানাডার সাদ বিন জাফর পানামার বিরুদ্ধে ৪ ওভার বল করে ৪টিই মেডেন দিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এতদিন এটিই ছিল সর্বোচ্চ ডট বল করার রেকর্ড। লকি ফার্গুসন নতুন নজির গড়লেন সোমবার। 
অথচ ফার্গুসন মাঠে নামার আগে সব চেয়ে বেশি ডট বল করার রেকর্ড এদিন সকালেই গড়েছিলেন বাংলাদেশের তানজিম হাসান শাকিব। নেপালের বিপক্ষে ২১ টি ডট বল করেছিলেন তিনি। সেই রেকর্ড ২৪ ঘন্টাও টিকল না। পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে নতুন নজির গড়লেন ফার্গুসন।   
ফার্গুসনকে এদিন খেলতেই পারেননি পাপুয়া নিউ গিনির ব্যাটাররা। তাঁর এই স্বপ্নের স্পেলে তিন-তিনটি উইকেট নেন লকি। আসাদ ভালা, চার্লস আমিনি ও সোপারের উইকেট নেন কিউয়ি বোলার। পঞ্চম ওভারে তাঁর হাতে বল তুলে দেওয়া হয়। তখন টিম সাউদি প্রথম উইকেটটি নেন পাপুয়া নিউ গিনির ইনিংসে।
প্রথম বলেই লকি ফার্গুসন উইকেট পান। আসাদ ভালাকে স্লিপে তালুবন্দি করেন ডারিল মিচেল। পরবর্তী ওভার গুলোয় ফার্গুসন ক্রমাগত লাইন ও লেন্থের পরিবর্তন করে পাপুয়া নিউ গিনির ব্যাটারদের বিব্রত করতে থাকেন। চার্লস আমিনিকে এলবিডব্লিউ করেন লকি। সোপারকে বোল্ড করেন তিনি। অসামান্য এক কীর্তি তৈরি করে গেলেন লকি।

Card image cap

জিতে ইউরো শুরু ইংল্যান্ডের

মাদ্রিদে কার্লো আন্সেলোত্তির স্ট্র্যাটেজিতে খুব বেশি নিচে নামতে হয় না বেলিংহ্যামকে। কিন্তু তিনি যে নিচে এসে ডিফেন্সকেও সাহায্য করতে পারেন, তা রবিবার সার্বিয়া ম্যাচেই বুঝিয়ে দিলেন ইংলিশ মিডফিল্ডার। আবার পূর্ব ইউরোপের দেশটির বিরুদ্ধে ১-০ ব্যবধানে জেতার ম্যাচে একমাত্র গোলটিও করলেন তিনিই। ১৩ মিনিট নাগাদ সার্বিয়া বক্সের ডানদিক থেকে শট নিয়েছিলেন বুকায়ো সাকা। প্রতিপক্ষ ফুটবলারের পায়ে লেগে উঠে যাওয়া সেই বলে চিতার ক্ষিপ্রতায় হেড করেন বেলিংহ্যাম। আর এই গোলেই শেষ পর্যন্ত তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ল ইংল্যান্ড।
এদিন মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে একটি রেকর্ড গড়েন বেলিংহ্যাম। কনিষ্ঠতম ফুটবলার হিসাবে অন্তত তিনটি বড় আসরে খেলার রেকর্ড। ক্লাব ফুটবলে রিয়ালের জার্সিতে দূরন্ত ফর্মে ছিলেন তিনি। ইউরোতেও সেই ফর্ম ধরে রাখতে পেরে খুশি বেলিংহ্যাম “আজ আমাদের প্রতিপক্ষ বেশ ভালো দল। ওরা আমাদের সেভাবে জায়গা দেয়নি। তবে আমরা সব সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আরও বড় ব্যবধানে জিততাম। নিজে গোলটা করতে পেরে ভালো লাগছে। চেয়েছিলাম, ইউরোতেও যেন রিয়ালের মতো ফর্মে থাকি। প্রথম ম্যাচে নিজের পারফরম্যান্সে আমি খুশি।”
সার্বিয়ার বিরুদ্ধে স্ট্যাটেজিতে একটা চমক দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। রাইট ব্যাক ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডকে মাঝমাঠে এনে জুড়ে দিয়েছিলেন ডেকলান রাইসের সঙ্গে। আসলে রাইট উইংয়ে খেলা সাকা সেভাবে ডিফেন্সকে সাহায্য করতে পারেন না। তার উপর সার্বিয়ার দলে আলেকজান্ডার মিত্রোভিচের মতো স্ট্রাইকার ছিলেন। তাই ডানদিকটা সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি মাঝমাঠে ট্রেন্টের গতি কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন সাউথগেট। তাঁর পরিকল্পনা অনেকটাই সফল হয়েছে এদিন। মিত্রোভিচ বিশেষ একটা সুযোগ পাননি ম্যাচে। অন্যদিকে, ডিফেন্স ও মাঝমাঠের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে ইংল্যান্ড আক্রমণকে ঠেকানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল সার্বিয়া। কোচ ড্রায়গো স্টয়কোভিচের সেই ভাবনা বিশেষ ভুল প্রমাণিত না হলেও আক্রমণের ভুলে ম্যাচে প্রভাব ফেলতে পারেনি তারা।

Card image cap

চিপক স্টেডিয়াম গর্জে উঠল ‘করব, লড়ব, জিতব রে’! আইপিএল 2024-এর চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স!

Kolkata Knight Riders vs Sunrisers Hyderabad, IPL 2024: ৮ উইকেটে জয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স।

অবশেষে ২ মাসের প্রতীক্ষা অবসান হল। ৭৩ ম্যাচের পর চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে শোনা গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) জয়জয়কার। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মেগা ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে (SRH) হারিয়ে আইপিএলের (IPL 2024) ট্রফি নিজেদের নামে করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ৮ উইকেটে তারা হারাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। মাত্র ১০.৩ ওভারে ১১৪ রান তুলে নেন গুরবাজ-ভেঙ্কটেশরা। এই নিয়ে তৃতীয় বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন শাহরুখ খানের টিম। এই ঐতিহাসিক জয়ের সাক্ষী রইলেন স্বয়ং কিং খান। শাহরুখের সামনেই দাপটের সঙ্গে ম্যাচ জিতে নিল কেকেআর। চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়াম গর্জে উঠল ‘করব, লড়ব, জিতব রে…’
উল্লেখ্য লিগ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হয়েছিল এই দু-দল। প্রথম লড়াইয়ে জিতেছিল কেকেআর। এরপর কোয়ালিফায়ারেও মুখোমুখি হয় দু-দল। সানরাইজার্সকে দ্বিতীয় সাক্ষাতেও হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে কেকেআর। তবে আজকে ছিল ট্রফির ম্যাচ। তাই আজকের ম্যাচ ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে কেকেআর কলকাতা নাইট রাইডার্স ২০১২ ও ২০১৪ মরশুমে গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে দুবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০১২ সালে প্রথমবার কেকেআর খেতাব জেতে চেন্নাই সুপার কিংসকে ফাইনালে ৫ উইকেটে হারিয়ে। সেই ফাইনালটিও চিপকেই হয়েছিল। ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার আইপিএল জেতে কেকেআর। ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল নাইটরা। আর এবারে ৮ উইকেটে কেকেআর হারাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। 

Card image cap

RCB vs DC: টলল দিল্লির মসনদ, প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইল RCB

Royal Challengers Bengaluru vs Delhi Capitals IPL 2024: চলতি আইপিএল টুর্নামেন্টে প্লে-অফের লড়াই ক্রমশ জমে উঠছে। এখনও পর্যন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্সই একমাত্র দল যারা প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে। অন্য দিকে পাঞ্জাব কিংস এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে। বাকি সাতটা দল অবশিষ্ট তিনটি আসনের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। এই ম্যাচের আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর নেট রান রেট ছিল প্লাস ০.২১৭। আজকের ম্যাচে দিল্লির বিরুদ্ধে জয়ে ২ পয়েন্ট এবং নেট রান রেটও বাড়িয়ে নিলেন বিরাটরা। ছাপিয়ে গেলেন দিল্লি-লখনউকে। পাঁচ নম্বরে উঠে এল আরসিবি।
দিল্লি ক্যাপিটালসকে প্রথমে ব্যাট করে ১৮৮ রানের টার্গেট দেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম এবং পিচে এই স্কোর খুব একটা সুরক্ষিত নয়। দিল্লি ক্যাপিটালস টিমে জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুরুক, অভিষেক পোড়েলের মতো বিধ্বংসী ওপোর ছিলেন। যদিও এই ম্যাচে অভিষেক নয়, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ডেভিড ওয়ার্নারকে ওপেনিংয়ে পাঠায় দিল্লি। তবে এই পরিকল্পনা কাজে দেয়নি।
পাওয়ার প্লে-তেই চার উইকেট তুলে নেয় আরসিবি। এখান থেকেই মনে হচ্ছিল ম্যাচ পুরোপুরি আরসিবির দখলে। যদিও শেই হোপ ও স্ট্যান্ড ইন ক্যাপ্টেন অক্ষর প্যাটেল জুটি ভরসা দেয়। অবশেষে জুটি ভাঙেন লকি ফার্গুসন। ত্রিস্তান স্টাবসের ইনিংসও দীর্ঘ স্থায়ী হয়নি। রানের জন্য দৌড়ন স্টাবস। ক্যামেরন গ্রিন উল্টো প্রান্তে গিয়ে বল তুলে নন স্ট্রাইকারের দিকে উইকেট ভেঙে দেন।
দিল্লি ইনিংসের ১৫তম ওভারের শেষ বলে রশিকের উইকেট নেন ক্যামেরন গ্রিন। শেষ ৩০ বলে ৬১ রান টার্গেট দাঁড়ায় দিল্লির। অক্ষর ছাড়া ভরসা দেওয়ার মতো বিকল্প নেই। সেই আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়। স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটের পরই অর্থাৎ ১৬তম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের উইকেট নেন যশ দয়াল। শেষ ওভারের প্রথম বলেই কুলদীপকে বোল্ড করে দিল্লিকে অলআউট করেন যশ। ৪৭ রানের বড় জয় আরসিবির।

Card image cap

SRH vs RR: শেষ বলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই! রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১ রানে রাজস্থানকে টেক্কা দিল সানরাইজার্স

SRH vs RR: আজ উপ্পল স্টেডিয়ামে ছিল অরেঞ্জ ও পিঙ্ক আর্মির লড়াই। অর্থাৎ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ vs রাজস্থান রয়্যালস। দুটো টিমই ২০২৪-এর আইপিএলে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। একদিকে পয়েন্ট টেবলের টপার রাজস্থান রয়্যালস। অন্যদিকে এ বারের আইপিএলে রানের রেকর্ড গড়া সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তবে দাঁত চেপে লড়াই কীভাবে করতে হয়, সেটা আরও একবার দেখিয়ে দিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। হায়দরাবাদের ঘরের মাঠে জয়ের মুখে পৌঁছে গিয়েছিল রাজস্থান। কিন্তু ভুবনেশ্বর কুমারের অসাধারণ স্পেলে শেষ মুহূর্তে রাজস্থানের মুখের গ্রাস কেড়ে নিল হায়দরাবাদ।

বৃহস্পতিবারের (২ মে) এই ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান তুলেছে। তবে শুরুর দিকে হায়দরাবাদের ব্যাটিং একেবারেই অচেনা লাগছিল। পাওয়ার প্লে চলাকালীন ৩৭ রানের মধ্যে তারা ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর ট্রাভিস হেড একদিক থেকে দলের হাল ধরতে শুরু করেন। আর অন্যদিকে নীতীশ কুমার রেড্ডি। দুজনের মধ্যে তৃতীয় উইকেটে ৫৭ বলে ৯৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। ৪৪ বলে ৫৮ রান করে ফিরে যান ট্রাভিস হেড। এরপর নীতীশের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে অপরাজিত ৭০ রানের জুটি বাঁধেন হেনরিক ক্লাসেন। এই ম্যাচে নীতীশ শেষপর্যন্ত ৪২ বলে ৭৬ রান করেন। অন্যদিকে ক্লাসেন ১৯ বলে ৪২ রান করে মাঠ ছাড়েন। তবে এই ম্যাচে নীতীশের ব্যাটিং আলাদা করে নজর কেড়েছে। কভারের উপর দিয়ে তাঁর হাঁকানো ছক্কার প্রশংসা সকলেই করেছেন।
এরপর শুরু হয় রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটিং। ২০২ রানের টার্গেট রাজস্থানের মতো ধারাবাহিক টিমের জন্য কঠিন ছিল না। কিন্তু যে টিমে ভুবনেশ্বর কুমার নামের একজন বোলার রয়েছেন, সেই টিম যে কয়েক যোজন এগিয়ে তা আরও একবার প্রমাণিত হল। জস বাটলার এবং সঞ্জু স্যামসন এই দুই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট প্রথম ওভারে পকেটে ভরে ফেলেন ভুবনেশ্বর কুমার। সেখানেই রাজস্থানকে বড়সড় ক্ষত দিয়ে দেয় অরেঞ্জ আর্মি। এরপর অবশ্য যশস্বী জয়সওয়াল ও রিয়ান পরাগ মিলে তৃতীয় উইকেটে ঝড় বইয়ে দেন। তাঁদের ৭৮ বলে ১৩৪ রানের পার্টনারশিপ হয়।

Card image cap

আইপিএল প্রেমীদের জন্য সুসংবাদ! ইডেনে রাতে ম্যাচ দেখে বাড়ি ফেরার জন্য বিশেষ ট্রেন!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ঘরের মাঠ ইডেনে হইহই করে আইপিএলের ম্যাচ দেখতে পৌঁছে যান ক্রিকেট প্রেমীরা। তবে রাতের ম্যাচ শেষ হতে প্রতিদিনই সাড়ে ১১টার বেশি দেরি হয়ে যায়৷ তাই বেশি রাতে বাড়ি ফিরতে সমস্যায় পড়তে হয় বহু দর্শকদের৷ বিশেষ করে যারা কলকাতার বাসিন্দা নন৷ বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনই যাঁদের সবচেয়ে বড় ভরসা৷ এবার তাঁদের ‘দুঃখে’র অবসান ঘটাতে আসরে নামল পূর্ব রেল। কেকেআরের খেলার দিনগুলোতে দর্শকদের কথা মাথায় রেখে বিশেষ ট্রেন চালাবে পূর্ব রেল।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৬ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল এবং ১১ মে খেলা শেষ হওয়ার পর দর্শকদের তাঁদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে পূর্ব রেল। ওই দিনগুলিতে রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে একটি ১২ কোচের EMU ট্রেন প্রিন্সেপঘাট থেকে ছেড়ে বারাসতে পৌঁছবে রাত ১টায়। এই ট্রেনটি প্রিন্সেপঘাট থেকে যাত্রা শুরু করে ইডেন গার্ডেন্স, বিবাদি বাগ, বাগবাজার, কলকাতা, দমদম জংশন, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, বিরাটি ও মধ্যমগ্রাম হয়ে বারাসত পৌঁছবে।
ওই দিনই অপর একটি ১২ কোচের EMU ট্রেন মধ্যরাতে ১২:০২ মিনিটে বিবাদী বাগ থেকে ছেড়ে ইডেন গার্ডেন্স, প্রিন্সেপঘাট, মাঝেরহাট, নিউ আলিপুর, বালিগঞ্জ, সোনারপুর হয়ে বারুইপুর পৌঁছবে রাত ০১:৩২ মিনিটে। পূর্ব রেলের তরফে এই ঘোষণার পর স্বাভাবিক ভাবেই খুশির বন্যা বয়েছে ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে।

Card image cap

নবাবি জয় লখনউয়ের

লড়াইয়ে থাকতে গেলে এই ম্যাচ জয় লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একানা স্টেডিয়ামে লড়াইটা যে সহজ হবে না তা অনুমান করা হয়েছিল। চেন্নাইয়ের সামনে লড়াই কঠিন হলেও LSG-র ব্যাটিংয়ের সময় সেটাকে সহজ করে দিলেন কেএল রাহুল ও কুইন্টন ডি কক। CSK-কে আট উইকেটে পরাস্ত করল লখনউ।
এদিন টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কেএল রাহুল। তাঁর এই সিদ্ধান্তটা কাজে লেগেছে। ওপেন করতে নেমে চেন্নাই সুপার কিংস ভালো শুরু করতে পারেনি। এই ম্যাচেও ব্যর্থ হন রাচিন রবীন্দ্র। তিনি প্রথম বলেই ক্লিন বোল্ড হন। মহসিন খানের বলে তিনি আউট হন। এরপর রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও অজিঙ্কা রাহানে দলের হাল ধরেন। তবে এদের ইনিংস বেশি কার্যকর হয়নি, বেশি দূর যেতে পারেনি। ৩৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় CSK। রুতুরাজ গায়কোয়াড় ১৭ রান করে আউট হন। এরপর রাহানে ফেরেন ৩৬ রানে। ওপেন করতে নামলেও তিনি ২৪ বলে ৩৬ রান করেন। এরপর জাদেজা নেমে দলের হাল ধরেন। তিনি টিকে থাকেন। স্লো পিচ হলেও জাদেজা সময় দেন নিজের ইনিংসে। শিবম দুবে করেন তিন রান ও সমীর রিজভি করেন এক রান। এই দুই প্লেয়ার ব্যর্থ হলেও বুড়ো হাড়ে বাজিমাত করতে যায় CSK। মইন আলি করেন ৩০ রান। এরপর নামেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিনি ব্যাট হাতে নামতেই রান তোলার গতি বেড়ে যায়। ধোনি নয় বলে ২৮ রান করেন। অন্যদিকে জাদেজা ৪০ বলে ৫৭ রান করেন। এই দুই তারকা অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে CSK।
রান তাড়া করতে নেমে সবথেকে ভালো শুরু করে লখনউ সুপার জায়ান্টস।লখনউয়ের হয়ে দুটি উইকেট নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। একটি করে উইকেট নেন মহসিন খান, যশ ঠাকুর, রবি বিষ্ণোই ও মার্কোস স্টোইনিস। CSK যেই খারাপ শুরু করেছিল তার উল্টো শুরু করে LSG। কে এল রাহুল ও কুইন্টন ডি কক ওপেন করতে নেমে ১৩৪ রান করে। তাদের জুটিকে ভাঙতে CSK-র সময় লাগে ১৪.৬ ওভার। ৪৩ বলে ৫৪ রান করে আউট হন কুইন্টন ডি কক। এরপরও রানের গতি থামার রান ছিল না। নিকোলাস পুরান ব্যাট করতে নেমে রানের গতি বাড়িয়ে দেন। শেষের দিকে রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত ক্যাচে আউট করেন কে এল রাহুলকে। ৮২ রান করে ফেরেন তিনি। শেষে নিকোলাস পুরান ও মার্কোস স্টোইনিস সহজেই ম্যাচ শেষ করেন। ১৯ ওভারে ম্যাচ শেষ করে দেন তাঁরা।

Card image cap

নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে দিল্লির দাদাগিরি! ডুবল টাইটান্স!

GT vs DC IPL Match Result: ঘরের মাঠে গিয়ে বিপক্ষকে হারাতে পারে অনেক কম দল। হারালেও সেই ম্যাচগুলো হয় হাড্ডাহাড্ডি। তবে এবার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে দেখা গেল অন্য ছবি। দিল্লি ক্যাপিটালস গুজরাট টাইটান্সকে ৮৯ রানে গোটানোর পর মাত্র ৮.৫ ওভারে ম্যাচ শেষ করল দিল্লি। বড় ব্যবধানে জিতল দিল্লি শিবির।

টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। প্রথমে ব্যাট করতে হলেও চিন্তিত ছিলেন না গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক শুভমন গিল। পরিষ্কার বলেন, গত কয়েক দিন শিশিরের প্রভাব দেখা যায়নি, তাই সেটা নিয়ে ভাবছি না। তবে বোর্ডে যে লড়াই করার মতো রানই তুলতে পারবেন না, সেটাই বা কতটা জানতেন শুভমন! মাত্র ৮৯ রানেই শেষ গুজরাট টাইটান্স ইনিংস।
বিপক্ষের জন্য বিছিয়ে দেওয়া জালে যদি নিজে ফেঁসে যাওয়ার উদাহরণ দিতে হয় তাহলে গুজরাট টাইটান্স বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচের উদাহরণ দিতে হবে। অহমেদাবাদে গুজরাট টাইটান্সের ঘরের মাঠে তাদের ব্যাটিং নিয়ে ছেলে খেলা করল দিল্লি ক্যাপিটালস। নিখুঁত পরিকল্পনা আর উইকেটের পিছনে পন্থের দুর্দান্ত কিপিং দিয়ে ম্যাচ জিতে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস। গুজরাটকে তাদের ঘরের মাঠে ছয় উইকেটে হারাল দিল্লি।
শুভমন গিলের নেতৃত্বে লজ্জার রেকর্ড গুজরাট টাইটান্সের। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোরের রেকর্ড। টাইটানিকের মতোই ডুবল গুজরাট টাইটান্স ব্যাটিং। ম্যাচের আগে অবশ্য ব্যাপক স্বস্তি ছিল গুজরাট শিবিরে। তার প্রধান কারণ ঋদ্ধিমান সাহা এবং ডেভিড মিলার। চোটের জন্য বেশ কিছু ম্যাচে পাওয়া যায়নি এই দু-জনকে। তাঁরা ফিরলেও লজ্জা আটকাতে পারল না টাইটান্স।
গুজরাটের ব্যাটিংয়ে বলার মতো পারফর্ম করেন একমাত্র রশিদ খান। সর্বাধিক ৩১ রান রশিদ খানের ব্যাটেই। টাইটান্স ইনিংস শেষ ১৭.৩ ওভারে। দিল্লি বোলারদের মধ্যে ৩ উইকেট মুকেশ কুমারের ঝুলিতে। ২টি করে উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা ও পার্টটাইম স্পিনার ত্রিস্তান স্টাবস।
বোর্ডে মাত্র ৯০ রানের টার্গেট। দিল্লি ক্যাপিটালস চাইছিল যত দ্রুত সম্ভব ম্যাচ শেষ করতে। তাড়াহুড়োতে উইকেট পড়লেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং থেকে সরেনি দিল্লি ক্যাপিটালস। শেষ অবধি ৬৭ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয় দিল্লির। বলের নিরিখে এটিই দিল্লির সবচেয়ে বড় জয়।

Card image cap

ইতিহাস গড়ল মোহনবাগান, আইএসএলে প্রথম বার মুম্বইকে হারিয়ে লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন!

ISL 2023-24, Mohun Bagan Super Giant vs Mumbai City FC: যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তৈরি হল ইতিহাস। গর্বের ইতিহাস। অবিশ্বাস্য একটা মুহূর্ত। লিগ শিল্ডের রং সবুজ-মেরুন। যুবভারতী জুড়ে শুধুই মোহনবাগান আর মোহনবাগান। ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে আবেগের বিস্ফোরণ। প্রথমবার লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান।


মোহনবাগানের কাছে ঘরের মাঠে এই ম্যাচের গুরুত্ব কতটা ছিল, এ আর নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। আইএসএলে এ বার মাঝ পথে খেই হারিয়েছিল মোহনবাগান। ইংরেজি বছরের শুরুতেই কোচ বদলও হয়। দায়িত্ব দেওয়া হয় আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে। তাঁর হাতে দল পড়তেই আবারও সেই আগ্রাসী মোহনবাগানকে খুঁজে পাওয়া যায়। একদিকে যেমন ইন্ডিয়ান সুপার লিগে প্রথম বার লিগ শিল্ড জয় মোহনবাগান, তেমনই ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে প্রথম বার মুম্বই সিটি এফসিকে হারাল মোহনবাগান।

প্রসঙ্গত, গত বারের আইএসএল চ্য়াম্পিয়ন মোহনবাগান। যদিও গত বার লিগ শিল্ড অধরাই ছিল। এ বারও প্রবল চড়াই উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছে মোহনবাগান। আজ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ম্যাচের ২৮ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। তবে এক গোল কোনওদিনই স্বস্তির নয়। মোহনবাগান শিবিরেও অস্বস্তি ছিল। অবশেষে লিড মেলে দ্বিতীয়ার্ধে। ৮০ মিনিটে ২-০ লিড নেয় মোহনবাগান। জেসন কামিন্স লিড দেন দলকে। যদিও পরিস্থিতি কিছুক্ষণের মধ্যেই বদলে যায়। মোহনবাগান ডিফেন্ডার ব্রেন্ডন হ্যামিল রেড কার্ড দেখেন।

এরপর ৮৯ মিনিটে ছাংতে ব্যবধান কমান মুম্বইয়ের হয়ে। কিন্তু এই মোহনবাগানকে রোখে কার সাধ্যি। ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনে মোহনবাগান এক ঢিলে যেন দুই পাখি মারল। আগের সাক্ষাতে হারের বদলা নিল। সেই সঙ্গে লিগ শিল্ড জিতল।

Card image cap

কলকাতার ‘কল্পতরু’ মিচেল স্টার্ক, লখনউয়ের বিরুদ্ধে ‘হালখাতা’ KKR-র!

Kolkata Knight Riders vs Lucknow Super Giants, আইপিএল 2024:

লখনউ সুপার জায়ান্টস: ১৬১/৭ (রাহুল ৩৯, পুরান ৪৫, মিচেল স্টার্ক ২৮/৩)
কলকাতা নাইট রাইডার্স : ১৬২/২ (সল্ট* ৮৯, শ্রেয়স* ৩৮, মহসিন খান ২৯/২)
৮ উইকেটে জয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স।

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: পয়লা বৈশাখেই এল সুখবর। হালখাতা আর ম্যাচ জয়ের আনন্দে আত্মহারা বাঙালি। লখনউয়ের বিরুদ্ধে এই ঐতিহাসিক জয়ের সাক্ষী রইলেন স্বয়ং কিং খান। শাহরুখের সামনেই দাপটের সঙ্গে ম্যাচ জিতে নিল কেকেআর (Kolkata Knight Riders)। নিয়ন্ত্রিত বোলিং আর ব্যাটে ফিল্ট সল্টের কালবৈশাখী ঝড়ের সামনে কার্যত খড়কুটোর মত উড়ে গেল লখনউ সুপার জায়ান্টস।

আজকের ম্যাচ সবদিক দিয়েই গুরুত্বপূর্ণ ছিল কলকাতার কাছে। লখনউকে হারানোর দুটো উদ্দেশ্য ছিল কেকেআরের। এক তো পয়েন্ট টেবিলে জায়গা ধরে রাখতে ম্যাচ জিততেই হত। সেই সাথে রেকর্ড ভাঙার জন্যেও লখনউকে হারাতেই হত। কারণ এর আগে আইপিএলে লখনউকে কখনই হারাতে পারেনি নাইটরা। ৩টি সাক্ষাতের প্রতিটিই হেরেছে। গত মরশুমে প্লে অফে উঠতে হলে শেষ ম্যাচে লখনউয়ের বিরুদ্ধে জিততেই হত রাসেলদের। কিন্তু মাত্র ১ রানে হেরে যায় তারা। সেই সমস্ত হিসেব নিকেশ মেলানোর জন্য বোধহয় পয়লা বৈশাখের দিনটাই বেছে নিয়েছিল নাইটরা।

এইদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রেয়স আইয়ার। ইডেনে রাতের দিকে শিশিরের আশঙ্কা থাকে। স্বাভাবিক ভাবে লখনউকে আগে ব্যাট করতে পাঠালেন নাইট অধিনায়ক। আর প্রথম থেকেই তীব্র বোলিং আক্রমণে চাপে পড়ে গেলেন রাহুলরা। দ্রুত ফিরে গেলেন ডি কক (১০) আর দীপক হুডা (৮)। আগের ম্যাচে লখনউয়ের নায়ক আয়ুষ বাদোনিও (২৭ বলে ২৯) বেশি রান করতে পারলেন না। রাহুল কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা আর হলনা (২৭ বলে ৩৯)। শেষ দিকে নিকোলাস পুরানের (৪৫) ঝোড়ো ইনিংস না থাকলে ১৫০ রানের গণ্ডিও পেরনো হত না। এইদিন লখনউয়ের খেলা থামে মাত্র ১৬১ রানেই।

অন্যদিকে নববর্ষের দিনে যেন কলকাতার ‘কল্পতরু’ হয়ে উঠলেন মিচেল স্টার্ক (২৮/৩)। ২৫ কোটির ক্রিকেটারের ফর্ম নিয়ে নানা মন্তব্য ধেয়ে এসেছে। এমনকী তাঁকে বসিয়ে দেওয়ার দাবিও উঠেছিল। কিন্তু মেন্টর গম্ভীরের মগজাস্ত্রে অন্যরকম পরিকল্পনা ছিল। সঠিক দিনে, সঠিক সময়ে জ্বলে উঠলেন স্টার্ক ও সমস্ত সমালোচনার যোগ্য জবাব দিল তার বল। দুর্ধর্ষ ডেলিভারিতে বোল্ড করলেন আর্শাদ খানকে। শাহরুখ খানও উঠে দাঁড়ালেন দলের সবচেয়ে দামী বোলারের প্রশংসায়। ২৮ রানের বদলে ৩টি উইকেট নিয়ে আজকের ম্যাচ জেতানোর অন্যতম কারিগর তিনি। সেই সাথে যোগ্য সঙ্গ দিলেন কলকাতার ব্যাটাররাও। ৪৭ বলে ৮৯ রান করলেন ফিল সল্ট। বোলিং-র ক্ষেত্রেও লখনউয়ের বোলিংয়ে ময়ঙ্ক যাদবের অভাব বার বার বোঝা গেল।

ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতের ইডেনে রান ওঠানো অনেকটাই সহজ। আর এইদিন টসে জিতে সেটারই পূর্ণ ফায়দা নিয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ার। লখনউ এদিন মাঠে নেমেছিল সবুজ-মেরুন জার্সি পরে। কিন্তু ইডেনের ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই গোটা স্টেডিয়াম জুড়ে জ্বলে উঠল ফ্ল্যাশলাইটের আলো। বিন্দু-বিন্দু আলোতেই মোহময়ী রূপে ধরা দিল পয়লা বৈশাখের ইডেন। সঙ্গে তো কিং খানের নিজস্ব দ্যুতি ছিলই। আইপিএলে প্রথমবার লখনউয়ের বিরুদ্ধে জিতে তৈরি করলেন নতুন ইতিহাস। নববর্ষের সন্ধ্যার হালখাতায় ২ পয়েন্ট জমা করেই মাঠ ছাড়ল নাইটরা।