CATEGORY games:

Card image cap

হারের পর কামব্যাকের ইতিহাস রোহিতের গলায়

মাত্র ১০৩১টা বল। তার মধ্যেই গুঁটিয়ে গেল অ্যাডিলেডে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট। ১০ উইকেটে হারল টিম ইন্ডিয়া। এত কম বলে এর আগে কখনও দুই যুযুধান প্রতিপক্ষের টেস্ট ম্যাচ শেষ হয়নি। পিঙ্ক বলে ফের হার ধাওয়া করল। আর পিতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে নেতৃত্ব ফিরে পাওয়ার পরই হারের সম্মুখীন হতে হল রোহিত শর্মাকে।ম্যাচের পর তিনি বললেন, “একটা খারাপ সপ্তাহ গেল। ম্যাচ জেতার মতো ভালো খেলতে পারিনি। অস্ট্রেলিয়া আমাদের থেকে ভালো খেলেছে। ম্যাচ জেতার সুযোগ আমাদের কাছেও ছিল, কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। সেই জন্যই হারতে হয়েছে। এবার সামনের দিকে তাকাতে হবে। আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই। যেগুলো ভালো দিক আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। পারথে যেভাবে জিতেছি। কিংবা আগের সফরে যখন এখানে এসেছিলাম, তখন কী কী ঠিকঠাক হয়েছিল।”সত্যিই তাঁর হাতে বেশি সময় নেই। বর্ডার গাভাসকর ট্রফির অবস্থা এখন ১-১। শুধু পারথ বা আগের সিরিজের কথা ভাবলে তো হবে না। ১৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা টেস্টে মাঠে নেমে পারফর্মও করতে হবে। কিন্তু গোলাপি বলে হার কি বাঁধাধরাই ছিল? রোহিত বলছেন, “পারথে আমরা যেভাবে জিতেছি, সেটা খুব খুব স্পেশাল ছিল। এখানেও আমরা সেই কাজটাই করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু টেস্ট ম্যাচের নিজস্ব কিছু চ্যালেঞ্জ থাকে। আমরা জানতাম গোলাপি বলে আমাদের সেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। আর সেখানে অস্ট্রেলিয়া সব দিক থেকেই ভালো খেলেছে।”দিন-রাতের টেস্টে ব্যাটিং তো ব্যর্থ হয়েছেই, ডুবিয়েছে বোলিংও। বুমরাহ ছাড়া কেউই দাগ কাটতে পারেননি। সেক্ষেত্রে কি আশাভরসা চোট সারিয়ে মাঠে ফেরা মহম্মদ শামি? ভারত অধিনায়কের বক্তব্য, “দরজা তো খোলাই আছে। আমরা নজর রাখছি। কিন্তু একই সঙ্গে শামিকে নিয়ে খুব খুব সাবধান থাকতে হবে। আমরা ওর উপর কোনও চাপ দিতে চাই না। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত যারা নেওয়ার, তারাই নেবে। তবে শামির জন্য এখানে এসে খেলার দরজা খোলাই আছে।” উল্লেখ্য, সিরিজ শুরুর আগে রোহিতই বলেছিলেন, ‘আধাফিট’ শামিকে নিয়ে যেতে চান না। আর এখন তিনি চাইলেও পরিস্থিতি অতোটা সহজ নয়। শামি খেলবেন কিনা, সেটা নির্ভর করছে শামির নিজের উপরই। যতক্ষণ না তিনি নিজেকে ১০০ শতাংশ ফিট মনে করছেন, ততক্ষণ চাইলেও শামিকে পাবেন না রোহিত।

Card image cap

অ্যাডিলেডে হেরে WTC পয়েন্ট টেবিলে পতন

পারথ টেস্টে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছিল ভার‍ত। কিন্তু একটা ম্যাচ পরেই পালটে গেল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের ছবিটা। অ্যাডিলেড টেস্টে হেরে এক থেকে সটান তিন নম্বরে নেমে গেল রোহিত ব্রিগেড। ফলে WTC ফাইনালে খেলার সমীকরণ আরও কঠিন হল টিম ইন্ডিয়ার পক্ষে।অ্যাডিলেড টেস্টে ভারত শেষ পর্যন্ত হারল ১০ উইকেটে। প্রথম ইনিংসে ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৮০ রানে। ৬ উইকেট তোলেন মিচেল স্টার্ক। জবাবে অস্ট্রেলিয়া করে ৩৩৭ রান। ১৫৭ রানের লিড সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও ভারতকে নাজেহাল করেন অজি পেসাররা। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে কোনও উইকেট না হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। বর্ডার গাভাসকর ট্রফির ফলাফল এখন ১-১। হাতে এখনও তিনটি টেস্ট আছে ঠিকই। তবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার অঙ্ক বেশ খানিকটা জটিল হল ভারতের কাছে।অ্যাডিলেড টেস্ট শেষ হওয়ার পরে WTC পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। ৬০.৭১ শতাংশ পয়েন্ট রয়েছে তাদের ঝুলিতে। দ্বিতীয় স্থানে ৫৯.২৬ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। হারের পর ভারতের ঝুলিতে মাত্র ৫৭.৭ শতাংশ পয়েন্ট। ফলে সরাসরি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে উঠতে গেলে পরের তিন টেস্টের মধ্যে অন্তত দুটো জিততেই হবে ভারতকে। কোনও টেস্ট হারা যাবে না।বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে বাকি থাকা তিন টেস্টের একটাতেও যদি ভারত হেরে যায়, তাহলে ফাইনালে যাওয়ার জন্য শ্রীলঙ্কার উপরে নির্ভর করতে হবে রোহিতদের। দ্বীপরাষ্ট্রে দুই ম্যাচের সিরিজ খেলতে যাবে অস্ট্রেলিয়া। ওই সিরিজে অন্তত একটি ম্যাচে ড্র করতে হবে লঙ্কা ব্রিগেডকে। ভারত যদি সিরিজ ড্র করে, তাহলে শ্রীলঙ্কাকে জিততে হবে ১-০ ফলে। আর ভারত যদি বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি হারে, তাহলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার আশা শেষ হয়ে যাবে।

Card image cap

চেন্নাইকে হারিয়ে ‘লাস্ট বয়’ তকমা মুছল ইস্টবেঙ্গল

অবশেষে ‘লাস্ট বয়ে’র তকমা মুছল ইস্টবেঙ্গল। চেন্নাইয়িনের ঘরের মাঠে গিয়ে তাদের বধ করল অস্কার ব্রুজোর দল। কাজটা কঠিন হলেও শেষ পর্যন্ত পিভি বিষ্ণু ও জিকসনের গোলে জয় পেল লাল-হলুদ বাহিনী। জোড়া গোলে জোড়া লাফ দিয়ে লিগ টেবিলে ১৩তম স্থান থেকে ১১তে উঠে এল তারা। ৯ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট দাঁড়াল ৭।কাজটা অবশ্য একেবারেই সহজ ছিল না। প্রথম থেকেই লাল-হলুদ ডিফেন্সের উপর চাপ বাড়ায় চেন্নাই। একের পর এক আক্রমণে গোলের মুখ খোলার চেষ্টা করতে থাকে তারা। মরিয়া ডিফেন্স করতে থাকে হেক্টর-হীন ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগ। কখনও পরিত্রাতা হয়ে ওঠে প্রভসুখন গিলের হাত। তার মধ্যেই গোলের সহজ সুযোগ মিস করে লাল-হলুদের প্রাক্তনী ড্যানিয়েল চিমা চুকু। অন্যদিকে দিয়ামান্তোকোসকে বন্দি করে রেখেছিলেন চেন্নাইয়ের ডিফেন্ডার এডওয়ার্ডস।কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আচমকাই জেগে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। কিছুটা খেলার গতির বিরুদ্ধে গিয়েই প্রথম গোলটি তুলে নেয় তারা। চেন্নাই ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন সল ক্রেসপো। সুযোগসন্ধানীর মতো গোলের কাছে চলে আসেন পিভি বিষ্ণু। ক্রেসপো পাস থেকে জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। তার পর খেলার রাশ হাতে তুলে নেয় তারা। ৮৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোল এল জিকসনের দূরপাল্লার শট থেকে। দর্শনীয় গোলে ইস্টবেঙ্গলের জয়ও নিশ্চিত করে দেন তিনি।তবে চেন্নাই থেকে তিন পয়েন্টের সঙ্গে চিন্তা নিয়েও ফিরবেন অস্কার। যার মধ্যে সবার আগে আসবে সল ক্রেসপোর চোট। এদিন ম্যাচের রং বদলানোর পর চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। চোট কতটা গুরুতর এখনই বোঝার উপায় নেই। মাঠের বাইরে গিয়েও রেফারির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে হলুদ কার্ড দেখেন। যে কারণে তাঁকে এমনিতেও পরের ওড়িষা ম্যাচে পাওয়া যাবে না। তার সঙ্গে রইল ডিফেন্স নিয়ে উদ্বেগ। হেক্টর না থাকায় ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগে নেতৃত্ব দেওয়ার কেউ ছিলেন না। ফলে পর পর দুই ম্যাচ জিতেও খুব একটা নিশ্চিন্ত হতে পারবেন না অস্কার। 

Card image cap

ফের ব্যর্থ রোহিত-বিরাট

সকালে ট্রাভিস হেডের তাণ্ডব। সন্ধে হতেই গোলাপি বলে হিমশিম খেলেন ভারতের ব্যাটাররা। ফের ব্যর্থ বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথমজনের সংগ্রহ ১১ রান, দ্বিতীয়জন করলেন মাত্র ৬। অ্যাডিলেডে কামিন্স, স্টার্ক, বোলান্ডের বল যেন সর্ষেফুল দেখাচ্ছে ভারতীয় ব্যাটারদের চোখে। এখনও লড়ছেন ঋষভ পন্থ ও নীতিশ রেড্ডি। ৫ উইকেট হারিয়ে ভারত পিছিয়ে আছে ২৯ রানে। দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের রান ১২৮। প্রথম ইনিংসে ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৮০ রানে। প্রথম দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া পিছিয়ে ছিল মাত্র ৯৪ রানে। আর দ্বিতীয় দিনে শুরু হল ট্রাভিস হেডের তাণ্ডব। হর্ষিত রানা, মহম্মদ সিরাজদের নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেললেন তিনি। ৪ উইকেট তুলে নজর কাড়লেন একমাত্র বুমরাহই। মার্নাস লাবুশেনকে ফেরান নীতীশ রেড্ডি। স্টিভ স্মিথ, মিচেল মার্শ, অ্যালেক্স ক্যারিরা রান না পেলেও হেডের হাত থেকে মুক্তি মিলল না। শেষ পর্যন্ত ১৪১ বলে ১৪০ রান করে আউট হন হেড। সিরাজ ৪ উইকেট নিলেও দেদার রান বিলোলেন। অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হয় ৩৩৭ রানে। তাদের লিড ছিল ১৫৭ রানের।জবাবে শুরুতেই ধাক্কা। ৭ রানের মাথায় ফিরে গেলেন কেএল রাহুল। কিন্তু অন্যদিকে চালিয়ে খেলছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। ২৪ রান করে বোলান্ডের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন তিনি। বেশিক্ষণ টিকলেন না শুভমান গিলও। তিনি ২৮ রানে আউট হন। ফের ব্যর্থ হলেন বিরাট কোহলি। বোলান্ডের একটা আপাত নির্বিষ বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন কোহলি। সংগ্রহ মাত্র ১১ রান। একই অবস্থা রোহিত শর্মারও। প্রথমেই স্টার্কের বলে আউট হন তিনি। কিন্তু ভাগ্য ভালো যে সেটি নো বল হয়। তার সুফল আর তুলতে পারলেন কোথায়? ১৫ বলে ৬ রান করে কামিন্সের বলে সোজা বোল্ড। আপাতত ভারতের ইনিংস সামলাচ্ছেন ঋষভ পন্থ ও নীতীশ রেড্ডি। লড়াকু মেজাজে ২৮ রান করে অপরাজিত পন্থ। নীতীশের রান ১৫। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ভারতের রান ১২৮। কিন্তু এখনও পিছিয়ে ২৯ রানে। এই টেস্ট জিততে গেলে এখন অলৌকিক কিছুই ভরসা!

Card image cap

এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের জুনিয়ররা

শ্রীলঙ্কাকে অনায়াসে উড়িয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে গেল ভারত। বৈভব সূর্যবংশীদের দাপটে ৭ উইকেটে জয় পেল টিম ইন্ডিয়া। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারার পর টানা তিন ম্যাচ জিতল মহম্মদ আমানরা। ফাইনালে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ।এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। চেতন শর্মার দুই উইকেটের সাহায্যে ৮ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। একমাত্র লড়াই চালায় লাকভিন আবেসিংহে। ১১০ রানে ৬৯ রান করে সে। শারুজান শানমুগানাথান ৭৮ বলে ৪২ করে। বাংলার পেসার যুধাজিৎ গুহ ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নেয়। চেতন শর্মা ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তোলে। আয়ুষ মাত্রের শিকার ২ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৪৬.২ ওভারে শ্রীলঙ্কার ইনিংস থেমে যায় মাত্র ১৭৩ রানে।জবাবে বিন্দুমাত্র চাপে পড়তে হয়নি ভারতকে। আয়ুষ মাত্রে ও বৈভব সূর্যবংশীর ওপেনিং জুটিতেই প্রয়োজনীয় রানের অর্ধেক উঠে যায়। ২৮ বলে ৩৪ রান করে আউট হয় আয়ুষ। আন্দ্রে সিদ্ধান্ত ২৭ বলে করে ২২ রান। কিন্তু একদিক থেকে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় বৈভব। ১৩ বছর বয়সি ক্রিকেটারকে আইপিএলে নিলামে ১.১০ কোটি টাকায় কিনে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। সেটার প্রমাণ দিল বৈভব। ৫টি ছক্কার সঙ্গে ৬টি চারও মারে সে। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৬৭ রানে থামে তার ইনিংস। বাকি কাজ শেষ করেন অধিনায়ক মহম্মদ আমান ও কার্তিকেয় কেপি। ২১.৪ ওভারে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারত। তখনও হাতে ছিল ৭ উইকেট। অন্যদিকে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেল বাংলাদেশও। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটের এশিয়া সেরা হওয়ার লড়াই ৮ ডিসেম্বর।

Card image cap

দিন-রাতের টেস্টে ধুঁকছে ভারত

 অ্যাডিলেডে প্রথম দিনের শেষে প্রবল চাপে ভারত। ব্যাট হাতে যেমন বড় রান তুলতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া, তেমনই বল হাতেও সাফল্য এল না। প্রথমে ব্যাট করে ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১৮০ রানে। ৬ উইকেট তোলেন মিচেল স্টার্ক। সেখানে প্রথম দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ১ উইকেট হারিয়ে ৮৬। অজিরা এখনও পিছিয়ে আছে ৯৪ রানে।অ্যাডিলেডের এই মাঠেই ৩৬ অলআউটের কলঙ্ক রয়েছে ভারতের। এবার বর্ডার গাভাসকর ট্রফির পরিস্থিতি অবশ্য আলাদা। পারথ টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে আছে ভারত। দ্বিতীয় টেস্টেও কিন্তু পারথের মতোই প্রথম ইনিংসে বড় রান করতে পারলেন না রোহিত-বিরাটরা। স্টার্কের আগুনে পেস-সুইংয়ে হার মানল ভারত।এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। ওপেন করতে নামেন যশস্বী জয়সওয়াল ও কেএল রাহুল। কিন্তু প্রথম বলেই এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন যশস্বী। সেখান থেকে  ভারতের ইনিংসের হাল ধরেন রাহুল ও শুভমান গিল। আশা করা হচ্ছিল, দুজনের ব্যাটে ভর করে বড় রান করবে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু স্টার্কের অতিরিক্ত বাউন্সে আউট হন রাহুল। মাত্র ৭ রানে ফিরে যান কোহলিও। ৮১ রানের মাথায় গিলেরও উইকেট হারায় ভারত।রাহুলকে ওপেনিংয়ের জায়গা ছেড়ে ছয় নম্বরে নেমেছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু তাতেও ফর্মে ফেরা হল না। স্কট বোলান্ডের বলে ৩ রান করে আউট হন ভারত অধিনায়ক। প্যাট কামিন্সের আচমকা অতিরিক্ত বাউন্সে ফেরেন ঋষভ পন্থ। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের হাল ধরেন নীতীশ কুমার রেড্ডি। ২২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে যান অশ্বিন। শেষের দিকে অজি পেসারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেন নীতীশ। ৫৪ বলে ৪২ রান করেন তিনি। ৩টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ভারত থেমে যায় ১৮০ রানে।জবাবে অস্ট্রেলিয়ার সামনে সেভাবে চাপ তৈরি করতে পারেননি ভারতীয় পেসাররা। সেই বুমরাহ ছাড়া দাগ কাটতে পারলেন না আর কেউই। যদিও তাঁর বলেই ম্যাকসুইনির ক্যাচ সহজ পড়ে। দিনের শেষে অজি ওপেনার অপরাজিত আছেন ৩৮ রানে। তবে উসমান খোয়াজাকে ফিরিয়ে দেন বুমরাহ। এছাড়া ফ্লাডলাইটের আলোয় সিরাজ, রানারা উইকেট পেলেন না। নীতীশ রেড্ডি, অশ্বিনকে নিয়ে এসেও খুব একটা কাজের কাজ হল না। প্রথম দিনের শেষে ম্যাকসুইনিকে ২০ রানে সঙ্গ দিচ্ছেন মার্নাস লাবুশেন। অস্ট্রেলিয়া পিছিয়ে আছে মাত্র ৯৪ রানে। 

Card image cap

মুস্তাক আলির নক আউটে বাংলা

সেই চেনা মহম্মদ শামি। আবার ব্যাট হাতে অভিষেক পোড়েলের ঝোড়ো ইনিংস। দুইয়ের দাপটে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে সহজেই জয় পেল বাংলা। যোগ্য সঙ্গে দিলেন শাহবাজ আহমেদ, অধিনায়ক সুদীপ কুমার ঘরামিরাও। রাজস্থানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে মুস্তাক আলির নক আউটে উঠে গেল বাংলা।রাজকোটে নামার আগে শামিদের কাছে অঙ্কটা ছিল খুব সহজ। রাজস্থানকে হারাও এবং নক আউটে চলে যাও। রান রেটে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও, সেটা আর গুরুত্বপূর্ণ ছিল না সুদীপ কুমার ঘরামিদের জন্য। আর সেখানে শুরুতেই কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন শামিরা। নিরঞ্জন শাহ স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা। শুরুতেই আঘাত হানেন শামি। প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন অভিজিৎ তোমারকে। সায়ন ঘোষের বলে ফিরে যান আরেক ওপেনার ভরত শর্মা। দীপক হুডার সঙ্গে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা কার্তিক শর্মাকে ফেরান শাহবাজ আহমেদ। তার পর আরও দুটি উইকেট তুলে নেন শামি। রাজস্থানকে মাত্র ১৫৩ রানে বেঁধে ফেলে বাংলা।জবাবে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন অভিষেক পোড়েল। মুস্তাক আলিতে বিধ্বংসী ফর্মে আছেন তিনি। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। করণ লাল রান না পেলেও ৪৮ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন অভিষেক। ম্যাচের সেরাও তিনি। ৭টি চারের পাশাপাশি ৪টি ছয় দিয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। অধিনায়ক সুদীপ কুমার ঘরামি ৪৫ বলে করেন অপরাজিত ৫০ রান। দুজনের দাপটে জয়ের কাছে পৌঁছে যায় বাংলা। শেষের দিকে ১২ বলে ১৮ রান করেন শাহবাজ আহমেদ। ৯ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় তারা। বাংলা জেতে ৭ উইকেটে। সেই সঙ্গে ৭ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল সুদীপ ঘরামির দল।

Card image cap

দলের স্বার্থে ‘কঠিন’ সিদ্ধান্ত নিলেন রোহিত

অ্যাডিলেডে ওপেন করবেন কে এল রাহুলই। যাবতীয় জল্পনায় ইতি টেনে ঘোষণা করে দিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এতদিন বাদে মিডল অর্ডারে খেলা তাঁর পক্ষে কঠিন সিদ্ধান্ত, মেনে নিয়েও ভারত অধিনায়ক বললেন, “দলের স্বার্থে সিদ্ধান্তটা নিতেই হত।”দিনরাতের টেস্টের ২৪ ঘণ্টা আগে ভারত অধিনায়ক বলে গেলেন, “অ্যাডিলেডে রাহুলই ওপেন করবে। আমি মিডল অর্ডারে কোথাও খেলব।” রোহিত মেনেছেন, মিডল অর্ডারে খেলাটা তাঁর পক্ষে চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এক্ষেত্রে দলের স্বার্থ প্রাধান্য পাচ্ছে তাঁর কাছে। আর এই মুহূর্তে ফর্মের বিচারে ওপেনিং স্লট রাহুলেরই প্রাপ্য। ভারত অধিনায়ক এদিন বললেন, “রাহুল যেভাবে জয়সওয়ালের সঙ্গে প্রথম টেস্টে ওপেন করেছে, সেটা আমাদের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। তাছাড়া ভারতের বাইরে রাহুল এতদিন যেভাবে ব্যাট করে এসেছে তাতে ওঁরই এটা প্রাপ্য। আমি মিডল অর্ডারে ব্যাট করব। আমার জন্য ব্যক্তিগতভাবে মিডল অর্ডারে খেলা সহজ হবে না। কিন্তু দলের স্বার্থে এটা খুব সহজ সিদ্ধান্ত।”পারথে বর্ডার-গাভাসকর সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে পারেননি রোহিত। ভারত যে টেস্ট ২৯৫ রানে জেতে। তার চেয়েও বড় কথা, পারথে যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে কেএল রাহুল যান ওপেন করতে। এবং দ্বিতীয় ইনিংসে দু’জন মিলে ২০১ রানের জুটি গড়েন। তাই নয়, প্রথম ইনিংসে ২৬ রানের মাথায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হওয়ার আগেও বেশ সাবলীল দেখিয়েছে তাঁকে। দীর্ঘদিন বাদে পারথ টেস্টে ওপেন করার সুযোগ পেয়েছিলেন রাহুল। তাতে তিনি এতটাই নজর কেড়েছেন যে অ্যাডিলেড টেস্টে তাঁকেই ফের ওপেনার হিসাবে খেলানোর দাবি উঠছিল। রোহিত শর্মাও সেটা মেনে নিলেন।এর বাইরে অন্য খবর বলতে, শুক্রবার দিনরাতের টেস্টে সম্ভবত ফিরছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। পারথে যাকে জায়গা খোয়াতে হয়েছিল তরুণ ওয়াশিংটন সুন্দরের কাছে। রোহিত এ নিয়ে কিছু না বললেও ভারতীয় দলের অনুশীলনে সেই ইঙ্গিত মিলেছে। অনুশীলনে অজি পেসারদের মোকাবিলার জন্য আলাদা করে ব্যাটিং প্র্যাকটিস করেছেন অশ্বিন। তাঁকে নিয়ে আলাদা করে ক্লাস করিয়েছেন কোচ গম্ভীর।

Card image cap

রোহিতদের অনুশীলনে সমর্থকদের ‘অভব্যতা’

অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় দলের অনুশীলনে লজ্জার ছবি। ক্রিকেটারদের সঙ্গে ‘অভব্যতা’ সমর্থকদের। যার জেরে শেষ পর্যন্ত অনুশীলনে সমর্থকদের নিষিদ্ধ করে দিল বিসিসিআই।মঙ্গলবার অ্যাডিলেডে ‘খোলা মাঠে’ অনুশীলন করেছেন রোহিতরা। অর্থাৎ অনুশীলনে অবাধ প্রবেশ ছিল সমর্থকদের। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম ছিল। শেষে দেখা যায়, অজিদের অনুশীলনে সমর্থকদের বিশেষ আগ্রহ না থাকলেও ভারতীয় অনুশীলন ভিড় উপচে পড়েছে। কামিন্সদের প্রস্তুতি দেখতে যেখানে মোটে জনা ৭০ লোক জড়ো হয়েছিলেন, সেখানে রোহিতদের অনুশীলনে সমর্থক ছিলেন হাজার তিনেক। এতদূর পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। সমস্যা তৈরি হয় অতি উৎসাহী সমর্থকরা হল্লা শুরু করতেই।ভারতীয় শিবির সূত্রের খবর, সমর্থকরা অনুশীলনের সময় ক্রিকেটারদের বিব্রত করেছেন। কাউকে কাউকে রীতিমতো লাঞ্ছিত করা হয়েছে। কারও শরীরের গড়ন নিয়ে কটাক্ষ ছুটে এসেছে সমর্থকদের মধ্যে থেকে। পন্থ-রোহিতদের উদ্দেশে উড়ে এসেছে ছক্কা হাঁকানোর আবদার। ফলে অনুশীলনে মনসংযোগ করতে বেশ সমস্যা হয়েছে রোহিতদের। বোর্ডের এক সূত্র বলছে, সমর্থকদের চাপে বিরাট কোহলি-শুভমান গিলরা রীতিমতো কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে গিয়েছিলেন। অন্য একজন ক্রিকেটারের শরীরের গড়ন নিয়ে টিটকিরি দেওয়া হয়েছে।”বিসিসিআই সূত্র বলছে, অনুশীলনে সমর্থকদের ওই অভব্যতার পরই ভারতীয় বোর্ডের তরফে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছে অভিযোগ জানানো হয়। বিসিসিআইয়ের অনুরোধের পর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ভারতীয় দলের অনুশীলনে সমর্থক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর কোনও টেস্টেই অনুশীলনের সময় অবাধে প্রবেশ করতে পারবেন না সমর্থকরা। এমনকী সিডনি টেস্টের আগে যে ফ্যান’স ডে’র আয়োজন করা হয়েছিল, সেটাও বাতিল করা হচ্ছে।

Card image cap

আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে পড়লেন যশস্বী-বিরাট

আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে বড়সড় ধাক্কা ভারতীয় ব্যাটারদের। টেস্ট ক্রমতালিকায় দ্বিতীয় স্থান হারাতে হল ভারতীয় দলের উদীয়মান তারকাকে। র‍্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে পড়লেন পারথ টেস্টে সেঞ্চুরি করা বিরাট কোহলিও।অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ও দ্বিতীয় টেস্টের মধ্যে দিন দশেকের ফারাক। এদিকে এর মধ্যে ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের টেস্ট সিরিজ চলছে। সেই সিরিজের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বদলে গিয়েছে টেস্ট ক্রমতালিকা। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অনবদ্য সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক সোজা উঠে এসেছেন দ্বিতীয় স্থানে। ফলে পিছিয়ে পড়তে হল যশস্বীক। এক নম্বরে এখনও ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট। অর্থাৎ ক্রমতালিকায় প্রথম দুই ব্যাটারই ইংল্যান্ডের। তৃতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন।দিন কয়েক আগেই কেরিয়ারের সেরা দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছিলেন যশস্বী। এবার সেই স্থান খুইয়ে চারে নেমে এলেন তিনি। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৮২৫। পারথে ১৬১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দ্বিতীয় স্থানে এসেছিলেম তিনি। সেই ইনিংসের পর সাময়িক যে বিরতি টিম ইন্ডিয়া পেয়েছে সেটারই খেসারত দিতে হল যশস্বীকে। এই একই কারণে পারথে সেঞ্চুরি করার পরও পিছিয়ে পড়তে হল বিরাট কোহলিকেও। তিনি এক ধাপ পিছিয়ে আপাতত রয়েছেন ১৪ নম্বরে। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৬৮৯। অবশ্য দিন দুই পরই অ্যাডিলেডের দিনরাতের টেস্টে এই র‍্যাঙ্কিং শুধরে নেওয়ার সুযোগ পাবেন ভারতীয় ব্যাটাররা।অন্য ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম দশে রয়েছেন একমাত্র ঋষভ পন্থ। তিনি আগের মতোই ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন। পন্থের রেটিং পয়েন্ট ৭৩৬। তরুণ ব্যাটার শুভমান গিলও একধাপ নেমে গিয়েছেন ১৮তম স্থানে। তার রেটিং পয়েন্ট ৬৭৩।

Card image cap

পিঙ্ক বল টেস্টের আগে অনুশীলনে ডুবে রোহিত

প্রথম টেস্টে খেলতে পারেননি পারিবারিক কারণে। প্রস্তুতি ম্যাচে মিডল অর্ডারে নেমেও রান পাননি। তাই বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির দ্বিতীয় টেস্টের আগে নিজেকে অনুশীলনে ডুবিয়ে রেখেছেন রোহিত শর্মা। অ্যাডিলেডে প্রথম প্র্যাক্টিসের দিনই এক ঘণ্টা আগে নেটে পৌঁছে গিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। দুদফায় ব্যাট করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম টেস্টের আগেই পুত্রসন্তানের বাবা হয়েছেন রোহিত। তার জন্য সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন ক্রিকেট থেকে। তবে প্রথম টেস্ট চলাকালীনই পারথে পৌঁছে গিয়েছিলেন রোহিত। সেখানেই গোলাপি বলে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ক্যানবেরায় গোলাপি বলে প্রস্তুতি ম্যাচে একেবারেই ভালো খেলতে পারেননি রোহিত। ওপেনিং ছেড়ে চার নম্বরে নেমেছিলেন হিটম্যান। ১১ বল খেলে মাত্র ৩ রান করেন তিনি।অ্যাডিলেডে রোহিতের ওপেন করা উচিত কিনা, সেই নিয়ে জোর চর্চা চলছে ক্রিকেটমহলে। সেই চর্চার মধ্যেই মঙ্গলবার অনুশীলনে নেমে পড়েছেন ভারত অধিনায়ক। এদিনই অ্যাডিলেডে ভারতের প্রথম অনুশীলন ছিল। স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় অনুশীলনে আসার কথা ছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগেই নেটে হাজির হন রোহিত। ভারত অধিনায়কের সঙ্গী ছিলেন ঋষভ পন্থও। প্রথম দফায় ৪০ মিনিট টানা ব্যাটিং করেন রোহিত। খানিকক্ষণ পরে দ্বিতীয় দফার ব্যাটিং শুরু করেন।অন্যদিকে, অ্যাডিলেড টেস্টের আগে অজি শিবিরে চিন্তা বাড়ালেন স্টিভ স্মিথ। মঙ্গলবার অনুশীলন করতে গিয়ে হাতে চোট পেলেন তিনি। মার্নাস লাবুশেনের থেকে থ্রোডাউন নেওয়ার সময়ে আঙুলে এসে বল লাগে। তবে চোট সেরকম গুরুতর নয় বলেই জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এদিন দুই দলের প্র্যাক্টিস দেখতে হাজির ছিলেন ভক্তরাও। অ্যাডিলেডে পৌঁছে দলের প্র্যাক্টিসে যোগ দিয়েছেন ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীরও।

Card image cap

পিঙ্ক বল টেস্টের আগেই বিরাটের চোট!

অ্যাডিলেড টেস্টের আগে চোট আতঙ্ক ভারতীয় দলে? মঙ্গলবার অনুশীলনে দেখা গেল, বিরাট কোহলির হাঁটুতে ব্যান্ডেজ বাঁধা হচ্ছে। তার পর থেকেই জল্পনা, তাহলে কি চোট পেলেন তারকা ব্যাটার? অ্যাডিলেড টেস্টে নামতে কি বিরাটের সমস্যা হবে? উঠছে সেই প্রশ্নও।মঙ্গলবার অ্যাডিলেডে ভারতের প্রথম অনুশীলন ছিল। স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় অনুশীলনে আসার কথা ছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের। শুভমান গিলের সঙ্গে অনুশীলনে যান কোহলিও। ব্যাটিং শেষে হঠাৎ দেখা যায়, দলের ফিজিও এসে বিরাটের হাঁটুতে ব্যান্ডেজ বাঁধছেন। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ ছড়ায় ক্রিকেটমহলে। তবে পরে দেখা যায়, হাঁটুতে ব্যান্ডেজ থাকলেও স্বাভাবিকভাবেই চলা ফেরা করছেন বিরাট।উল্লেখ্য, পারথে সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট। কিন্তু ক্যানবেরায় অজি প্রধানমন্ত্রী একাদশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে তিনি ব্যাট করতে নামেননি। প্রস্তুতি ম্যাচে কেন নামলেন না কিং কোহলি, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও ম্যাচ শুরুর আগে নেটে জশপ্রীত বুমরাহর সঙ্গে অনুশীলন করতে দেখা যায় তাঁকে। এবার অনুশীলনে বিরাটের হাঁটুতে ব্যান্ডেজ দেখে ক্রিকেটমহলে প্রশ্ন, তাহলে কি চোটের সমস্যা রয়েছে কোহলির? অ্যাডিলেড টেস্টে কি সম্পূর্ণ ফিট হয়ে নামতে পারবেন তিনি?অন্যদিকে, অ্যাডিলেড টেস্টের আগে অজি শিবিরে চিন্তা বাড়ালেন স্টিভ স্মিথ। মঙ্গলবার অনুশীলন করতে গিয়ে হাতে চোট পেলেন তিনি। মার্নাস লাবুশেনের থেকে থ্রোডাউন নেওয়ার সময়ে আঙুলে এসে বল লাগে। তবে চোট সেরকম গুরুতর নয় বলেই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির দ্বিতীয় টেস্টের আগে নিজেকে অনুশীলনে ডুবিয়ে রেখেছেন রোহিত শর্মা। অ্যাডিলেডে প্রথম প্র্যাক্টিসের দিনই এক ঘণ্টা আগে নেটে পৌঁছে গিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। দুদফায় ব্যাট করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

Card image cap

অস্ট্রেলিয়া প্রধানমন্ত্রী একাদশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে জয় ভারতের

অ্যাডিলেডে দিনরাতের টেস্ট। তার আগে গোলাপি বলে বিশেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলল ভারত। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামলেনই না বিরাট কোহলি। যদিও বিরাটকে বাদ দিয়েও প্রস্তুতি ম্যাচে জয় পেয়েছে ভারত। আঙুলের চোট সারিয়ে ফিরে এসে হাফ সেঞ্চুরি করেন শুভমান গিল।গতবার অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে অ্যাডিলেডে লজ্জার নজির গড়েছিল ভারত। মাত্র ৩৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল মেন ইন ব্লু। তিন বছর পরে আবারও অ্যাডিলেডে পিঙ্ক বল টেস্টে খেলতে নামবে ভারত। কঠিন সেই টেস্টের আগে অস্ট্রেলিয়া প্রধানমন্ত্রী একাদশের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে নামে ভারত। খেলার প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলেও দ্বিতীয় দিন ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলল দুই দল।প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অজি প্রধানমন্ত্রী একাদশের ওপেনার স্যাম কনস্টাস সেঞ্চুরি করেন। চার উইকেট তুলে নেন তরুণ পেসার হর্ষিত রানা। বঙ্গ পেসার আকাশ দীপের ঝুলিতে গিয়েছে দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন মহম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, ওয়াশিংটন সুন্দর এবং রবীন্দ্র জাদেজা। এদিন উইকেটকিপিং করতে দেখা যায় ঋষভ পন্থ এবং সরফরাজ খান। ৪৪ ওভারে ২৪০ রানে অলআউট হয়ে যায় অজি প্রধানমন্ত্রী একাদশ। তবে প্রস্তুতি ম্যাচে বল করেননি জশপ্রীত বুমরাহ। ভারতের হয়ে এদিন ওপেন করতে নামেন যশস্বী জয়সওয়াল এবং কে এল রাহুল। তার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি অ্যাডিলেডে ওপেন করতে নামবেন না রোহিত শর্মা? প্রস্তুতি ম্যাচে তিন নম্বরেই ব্যাট করতে নেমেছেন আঙুলের চোট সারিয়ে ফেরা শুভমান গিল। চারে নামেন রোহিত। তবে মাত্র ১১ বল খেলে ৩ রানে আউট হয়ে যান তিনি। নীতীশ রেড্ডিও ভালো রান পেয়েছেন প্রস্তুতি ম্যাচে।
তবে সকলকে অবাক করেছে বিরাটের খেলতে না নামা। পারথে সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচে কেন নামলেন না কিং কোহলি, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও ম্যাচ শুরুর আগে নেটে বুমরাহর সঙ্গে অনুশীলন করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে প্রস্তুতি ম্যাচ জিতে নিয়েছে ভারত। রোহিত এবং সরফরাজ বাদে ব্যাটারদের প্রত্যেকেই রান পেয়েছেন।

Card image cap

গ্রেপ্তার বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর-সহ ৩ প্রোটিয়া ক্রিকেটার

ক্রিকেটে গড়াপেটার কাণ্ডে গ্রেপ্তার দক্ষিণ আফ্রিকার তিন প্রাক্তন ক্রিকেটার। ফিরে এল হ্যান্সি ক্রোনিয়ের ঘটনার স্মৃতি। এই তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। এঁদের মধ্যে একজন আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানেও ছিলেন।ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগের ঘটনাটি ঘটে ২০১৫-১৬ সালে। সেই সময় রাম স্ল্যাম টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় গড়াপেটার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ক্রিকেটার লনওয়াবো সতসোবে, এথি এমভালাতি ও থামি সোলেকিলেকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, তারা নিজেরা গড়াপেটার জন্য টাকা নিয়েছেন। একই সঙ্গে অন্য ক্রিকেটারদেরও প্রলোভন দেখান। এই নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ সংস্থার শাখা ‘হকস’ তদন্ত করছে।দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্নীতি বিরোধী আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্তত ৩টি ম্যাচে গড়াপেটার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে চেষ্টা করা হলেও, গড়াপেটা হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ওই তিন ক্রিকেটারকে নির্বাসিত করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে সতসোবে দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে ৬১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। ২০১২ সালে আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ের প্রথম স্থানে ছিলেন।এই তিনজন ছাড়াও প্রাক্তন ক্রিকেটার জিন সিমস, আলভিরো পিটারসেন, পুমি মাতশিকউইয়ি ও গুলাম বোদির নাম জড়িয়েছে গড়াপেটা কাণ্ডে। তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, খেলায় স্বচ্ছতা ফেরানোর জন্য তারা লড়াই করছে। দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডও তাদের পাশে রয়েছে। এই প্রসঙ্গে উঠে আসছে ২০০০ সালের কথা। যখন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার হ্যান্সি ক্রোনিয়ের গড়াপেটার ঘটনায় ক্রিকেট দুনিয়া কেঁপে গিয়েছিল।

Card image cap

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে পাকিস্তানের কাছে পর্যুদস্ত ভারত

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই হারের সম্মুখীন হতে হল ভারতকে। তাও সেটা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে। ব্যাটিং-বোলিং কোনও বিভাগেই পাল্লা দিতে পারল না ভারতের ছোটদের দল। বৈভব সূর্যবংশীরা হারল ৪৪ রানে।এদিন দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক সাদ বাইগ। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলতে থাকে পাকিস্তান দল। কোনওভাবেই সুবিধা করতে পারেনি সমর্থ নাগরাজ, যুধাজিৎ গুহদের বোলিং বিভাগ। ওপেনিং জুটিতেই উঠে যায় ১৬০ রান। উসমান খান করেন ৬০ রান। অন্যদিকে আরেক ওপেনার শাহজাইদ খান ১৪৭ বলে ১৫৯ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে এই প্রথম কেউ এত বড় রানের ইনিংস খেলল। বাংলার পেসার যুধাজিৎ সেভাবে নজর কাড়তে পারলেন না। ১০ ওভারে ৪৬ রানে দিলেন ১ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান করে ২৮১ রান।জবাবে ভারতের দরকার ছিল ভালো শুরু। স্বাভাবিকভাবেই নজর ছিল বৈভব সূর্যবংশীর দিকে। আইপিএলের নিলামে ১৩ বছর বয়সি এই ক্রিকেটারকে রাজস্থান রয়্যালস কিনে নিয়েছে ১.১০ কোটি টাকা দিয়ে। কিন্তু এই ম্যাচে ব্যর্থ হল সে। ৯ বল খেলে মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে যায় বৈভব। তার পর ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। আয়ুষ মাত্রে, আন্দ্রে সিদ্ধার্থ, অধিনায়ক মহম্মদ আমান কেউ বড় রান পায়নি। বরং মাঝের দিকে ইনিংসের হাল ধরে নিখিল কুমার। ৭৭ বলে ৬৭ রান করে সে। কিন্তু কিরণ চোরমালে, হরবংশ সিং পাঙ্গালিয়া কেউই সঙ্গ দিতে পারেনি। শেষের দিকে মহম্মদ এনান লড়াকু ইনিংস খেললেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হয়। পাকিস্তানের আলি রাজা তিনটি উইকেট তোলে। ভারতের ইনিংস থেমে যায় ২৩৮ রানে। প্রথম ম্যাচেই ৪৪ রানে হারতে হল ভারতের ছোটদের।

Card image cap

ফিফার বর্ষসেরা হওয়ার দৌড়ে মেসি

একসময় তাঁর রাজত্ব ছিল ইউরোপীয় ফুটবলে। এখন তিনি ইউরোপ থেকে অনেক দূরে। ভাটা পড়েছে ক্ষীপ্রতাতেও। চলতি মরশুমে কোপা আমেরিকা জিতলেও পুরনো খেলার ঝলক পাওয়া যায়নি লিওনেল মেসির পা থেকে। ভুগিয়েছে চোট-আঘাতের সমস্যা। তার পরও কীভাবে ফিফার ‘সেরা’ প্লেয়ারের পুরস্কার জয়ের তালিকায় তিনি ঢুকে পড়লেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।চলতি মরশুমে দেশ ও ক্লাবের জার্সিতে ৩০টা গোল করেছেন। অ্যাসিস্ট রয়েছে ১৯টা। যদিও কোপা আমেরিকাতে করেছেন মাত্র একটি গোল। চোট পাওয়ায় ফাইনালে পুরো ম্যাচ খেলতে পারেননি। ইন্টার মিয়ামির হয়ে সাপোটার্স শিল্ড জিতেছেন, কিন্তু এমএলএস কাপ জেতার সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। নাম ছিল না ব্যালন ডি’ওর তালিকাতেও। কিন্তু সম্প্রতি ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারদের মধ্যে মনোনয়ন পেয়েছেন মেসি। ইউরোপের ক্লাবগুলোর বাইরে থেকে একমাত্র আর্জেন্টিনিয়ার তারকারই নাম আছে এই তালিকায়।ফিফার ওয়েবসাইটে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, ‘৩৭ বছর বয়সি মেসির ইন্টার মিয়ামি ও আর্জেন্টিনার সাফল্যের পিছনে বড় অবদান রয়েছে। তাঁর অনবদ্য পারফরম্যান্সের ফলে মিয়ামি ২০২৪-এ সাপোটার্স শিল্ড জিতেছে। কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ছিলেন মেসি। এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বে ২৬ ম্যাচে ৬টি গোল করেছেন’। মেসি ছাড়াও মনোনীত ফুটবলারদের মধ্যে আছেন জুড বেলিংহ্যাম, দানি কার্ভাহাল, আর্লিং হালান্ড, টনি ক্রুস, কিলিয়ান এমবাপে, রদি, ভালভের্দে, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, ফ্লোরিয়ান উইর্টজ, লামিনে ইয়ামাল। এঁদের মধ্যে ইয়ামাল সদ্য ফিফার ‘গোল্ডেন বল’ পুরস্কার পেয়েছেন।তবে মেসিকে নিয়ে বিতর্ক থামছে না। গোলের সংখ্যায় রোনাল্ডো তাঁর থেকে অনেকটাই এগিয়ে। সৌদির ক্লাব আল নাসরের জার্সিতে ৪৯টা গোল ও ৭টা অ্যাসিস্ট করেছেন পর্তুগিজ তারকা। কিন্তু কোনও ট্রফি জেতেননি। তাহলে মোহম্মদ সালাহ বা হ্যারি কেনরা কেন বাদ পড়ছেন, সেই প্রশ্নও তুলছে অনেকে।

Card image cap

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে কাটল না জট

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ কী হয়, সেটার জন্য আইসিসি-র মিটিংয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল ক্রিকেটদুনিয়া। কিন্তু এদিনের মিটিং থেকে কোনও সদুত্তর মিলল না। শেষ পর্যন্ত কোথায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে, সেই প্রশ্নের জটও ছাড়ল না এইদিন। জানা গিয়েছে, শনিবার ফের আলোচনায় বসবে আইসিসি। সেখান থেকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।কেন কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো গেল না? জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের নাছোড়বান্দা মনোভাবের জন্যই এই পরিস্থিতি। ভারত যে পাকভূমে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাবে না, তা বহুদিন ধরেই পরিষ্কার। যে কারণে এখনও সূচি প্রকাশ করা যায়নি। সেক্ষেত্রে বিকল্প বলতে রয়েছে হাইব্রিড মডেল। যেরকম হয়েছিল এশিয়া কাপের সময়। কিন্তু এই ফরম্যাটে প্রবল আপত্তি পাক বোর্ডের। সূত্রের খবর, এদিনও তাদের সেই ‘গোয়ার্তুমি’র মাশুল দিতে হল। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স হাইব্রিড মডেলে হবে কিনা, কিংবা বিকল্প কী হবে, তারও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো গেল না। তাতে বিপাকে পড়ল আইসিসি। সাধারণত কোনও প্রতিযোগিতার অন্তত তিনমাস আগে সূচি ঘোষণা করে দিতে হয়। এখনও সেটা করতে পারেনি আইসিসি। ফলে আইসিসির বিরাট আর্থিক ক্ষতি হতে পারে বলেই অনুমান। জানা যাচ্ছে, সেই জটিলতা কাটানোর চেষ্টা ব্যাহত হয়েছে মূলত পাকিস্তানের অনড় অবস্থানের জন্য। আগামী শনিবার এই নিয়ে মিটিংয়ে বসবে আইসিসি। সেখানে হাইব্রিড মডেলের পথেই হাঁটার কথা উঠবে। কিন্তু তাতেও কি সমাধান বেরোবে? আপাতত সেদিকেই নজর ক্রিকেটবিশ্বের। 

Card image cap

ক্রিকেট নিয়ে মোদিকে ‘কড়া’ বার্তা অজি প্রধানমন্ত্রীর

বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। সেখানেই অজি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জমাটি আড্ডায় মেতে উঠতে দেখা গেল বিরাট কোহলিদের। উল্লেখ্য, আগামী শনিবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী একাদশের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত এ দল। সেই ম্যাচের আগে ভারতীয় দলের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন অ্যালবানিজ।পারথে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বিরাট। ১৬ মাস অপেক্ষার পরে নিজের টেস্ট কেরিয়ারে ৩০তম সেঞ্চুরি এসেছে কিং কোহলির ব্যাট থেকে। বিরাটের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন অজি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “পারথে ভালো সেঞ্চুরি করেছ।” তবে অ্যালবানিজের মতে, ওই সময়ে অস্ট্রেলিয়া এমনিতেই খুব কঠিন অবস্থায় ছিল। বিরাটের সেঞ্চুরিতে আরও বিপাকে পড়েন প্যাট কামিন্সরা। অজি প্রধানমন্ত্রীর কথার উত্তরে রসিকতার সুরে বিরাট বলেন, “একটু মশলা তো দিতেই হয়।” তাতে আবার অ্যালবানিজের পালটা, “ভারত তো, মশলা হবেই।” দুজনের কথোপকথনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়।অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ভবনে ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করেন অজি প্রধানমন্ত্রী। পার্লামেন্টে বিশেষ বক্তৃতা দেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। তিনিই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন দলের প্রত্যেক সদস্যের। ভারতীয় দলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অ্যালবানিজ জানান, ম্যাচ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। আগামী শনিবারের ম্যাচ নিয়ে অজি প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ” প্রধানমন্ত্রী একাদশ মানুকা ওভালে বেশ কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তবে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলেছি, এই ম্যাচ জিততে অজিদের সমর্থন করব।” পারথ থেকে আপাতত ক্যানবেরায় পৌঁছেছে টিম ইন্ডিয়া। সেখান থেকে রোহিতরা যাবেন অ্যাডিলেডে। আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে সেখানে দিনরাতের টেস্ট খেলতে নামবে দুই দল। পাঁচ টেস্টের সিরিজে ইতিমধ্যেই ১-০ এগিয়ে গিয়েছে ভারত।