CATEGORY politics:

Card image cap

একইদিনে দুই হাজিরা এড়ালেন অর্জুন

একইদিনে দুই তলব এড়ালেন অর্জুন সিং। মুখ্যমন্ত্রীকে কটূক্তি করায় বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ তলব করেছিল ভাটপাড়ার বিজেপি নেতাকে। অন্যদিকে পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন টাকা নয়ছয়ের অভিযোগের ডেকে পাঠিয়েছিল সিআইডি। শনিবার সেই দুই তলবে সাড়া দিলেন না অর্জুন।শুক্রবারের পর শনিবারও হাজিরা এড়ালেন বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গত বুধবার জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ভাটপাড়া পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর অভিমন্যু তিওয়ারি। এরই তদন্তে শুক্রবার সকাল ১১টায় বিজেপি নেতাকে তলব করেছিল জগদ্দল থানার পুলিশ। অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে সেদিনই বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তভার নেয়। দ্বিতীয়বার শনিবার বিকেল পাঁচটায় বিজেপি নেতাকে তলব করা হয়েছিল। ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন ‘চেয়ারম্যান রিলিফ ফান্ড’ কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। ২০২০ সালের অভিযোগের ভিত্তিতে এদিনই তৎকালীন চেয়ারম্যান অর্জুনকে সিআইডিও তলব করেছিল। তাতেও এদিন সাড়া দেননি তিনি।একইদিনে দুটি তলবই অর্জুন সিংয়ের এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে এবার সরব হল তৃণমূল। জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বললেন, “রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করা যায়! এখন তো ভয়ে পেয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, তাই হাজিরা দিচ্ছে না। উনি (অর্জুন সিং) যে কথাগুলি বলেছেন তার প্রমাণ দিতেই হবে। জেলের হওয়া ওকে খেতেই হবে।” যদিও বারাকপুর কমিশনারেট ও সিআইডির কাছে ফের এদিন অর্জুন সিং সময় চেয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। এবিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, “বারবার বলেছি আগামী ২ তারিখ পর্যন্ত ব্যস্ত আছি। এদিনও আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে সেকথা দুটি সংস্থাকে জানিয়েছি। ২ তারিখের পর তারিখ দিলে হাজিরা দিতে পারব।” তাঁর দুবার তলব এড়িয়ে সময় চাওয়ার প্রসঙ্গে বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার আলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, “চিঠিতে সময়ের চেয়ে যে কারণ দর্শানো হয়েছে তা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতার বারবার হাজিরা এড়ানোর পিছনে সত্যিই যুক্তিযুক্ত কোনও কারণ যদি না থাকে তাহলে গ্রেপ্তারি এড়াতেই প্রাক্তন সাংসদ এমনটা করছেন বলেই অনুমান করতে পারেন গোয়েন্দারা। সেক্ষেত্রে বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের স্পেশাল উইংস কি পদক্ষেপ নেয় এখন এদিকেই তাকিয়ে আছেন গঙ্গাপারের শিল্পাঞ্চল।

Card image cap

হিডকোর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি জানালেন ফিরহাদ

হিডকোর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ফিরহাদ হাকিমের। শুক্রবার কলকাতার মেয়র নিজেই সেকথা জানান। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে এই পরিবর্তন বলেই জানান তিনি।ফিরহাদ হাকিম বলেন, “গুঞ্জনের কিছু নেই। আমাকে একসময় হিডকোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন উনি নিয়ে নিয়েছেন।” তবে হিডকোর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির কারণ নিয়ে অবশ্য স্পষ্টভাবে কিছুই বলেননি ফিরহাদ হাকিম। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “উনি কোনও কারণে নিশ্চয়ই নিয়েছেন। এর মানে এই নয় যে আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমি দলের অনুগত সৈনিক। দল যে কাজ দেবে, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা দেবেন, সেটাই আমি মাথা পেতে নেব। আমি দলের প্রথম দিনের সৈনিক।”বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে হিডকো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঠিক করা হয়, হিডকোকে পুর ও নগরোন্নয়ন উন্নয়নের দপ্তরের অধীনে আর রাখা হবে না। আনা হবে প্রশাসনিক সংস্কার এবং কর্মিবর্গ দপ্তরের অধীনে। বলে রাখা ভালো, বাম আমলে হিডকো ছিল আবাসন দপ্তরের অধীনে। সেই সময় গৌতম দেব দীর্ঘদিন ছিলেন হিডকোর চেয়ারম্যান। তবে রাজ্য সরকারের পালাবদলের পর পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের অধীনে আনা হয়েছিল হিডকোকে। এবার সেই সিদ্ধান্ত বদল করা হল। তবে আচমকা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য মন্ত্রিসভা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে স্বাভাবিকভাবেই জোর শোরগোল।

Card image cap

অর্জুন সিংকে খুঁজতে পুলিশ গেল মজদুর ভবনে

নোটিস পাঠানো হয়েছিল আগেই। এবার বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে গেলেন পুলিশ আধিকারিকরা। শুক্রবার সকালেই বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট ও জগদ্দল থানার পুলিশ হানা দেয় মজদুর ভবনে।আজ শুক্রবার জগদ্দল থানায় বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি এদিন উপস্থিত হননি। অর্জুন সিং বাড়িতে থাকবেন না। আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি থানায় যেতে পারবেন না। সেই কথা আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে পুলিশের কাছে জানিয়েছেন অর্জুন সিং। তারপরেই মজদুর ভবনে পুলিশ আধিকারিকরা পৌঁছে যান বলে খবর। বেশ কিছুক্ষণ তাঁরা ওই বাড়িতে থাকেন। তিনি সত্যিই কি বাড়িতে নেই? সেই বিষয় খতিয়ে দেখতেই কি পুলিশ ভাটপাড়ার বাড়িতে গেল? সেই প্রশ্নও উঠেছে।বুধবার ভাটপাড়ার বাড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অর্জুন সিং। সেখানে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রীকেও নিশানা করেছিলেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খুনের আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য পুলিশের এজেন্সির সঙ্গে জেহাদিদের যোগসাজশ থাকার অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেতা। এরপরই ভাটপাড়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অভিমন্যু তিওয়ারি অর্জুন সিংয়ের নামে জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এই বিজেপি নেতাকে তলব করেছিলেন। অর্জুন সিংকে ইমেল মারফত নোটিস পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে গিয়েও নোটিস দেয় জগদ্দল থানার পুলিশ। আজ শুক্রবার তাঁর জগদ্দল থানায় যাওয়ার কথা ছিল।

Card image cap

সন্দেশখালি সফরে মুখ্যমন্ত্রী

“ভোটের আগে অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, দিদি সন্দেশখালি যাবেন না? বলেছিলাম পরে যাব। আমি ৩০ ডিসেম্বর সন্দেশখালি যাব।” বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে একথা নিজেই জানান মুখ্যমন্ত্রী। সন্দেশখালিতে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ভোটের আগে অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, দিদি সন্দেশখালি যাবেন না? বলেছিলাম পরে যাব। আমি ৩০ ডিসেম্বর সন্দেশখালি যাব। সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেব। আমি মঞ্চ থেকে ১০০ জনের হাতে পরিষেবা পৌঁছে দেব। তবে আলাদা আলাদা ক্যাম্প থেকে অন্তত ২০ হাজার মানুষের হাতে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে সেদিন।”বলে রাখা ভালো, লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্দেশখালির ‘ত্রাস’ শেখ শাহজাহানের নাম সামনে আসে। জোর করে জমি দখল, মহিলাদের নির্যাতন-সহ তৎকালীন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জোর চাপানউতোর তৈরি হয়। সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রভাব ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হবে বলেই ভেবেছিলেন বিরোধীরা। যদিও সন্দেশখালি কাণ্ড সেভাবে অক্সিজেন জোগাতে পারেনি বিরোধী বিজেপিকে। সন্দেশখালিতে ফোটে ঘাসফুল। বছর শেষে সেই সন্দেশখালিতে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও জানান, আগামী ১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস। ওইদিন মা, মাটি, মানুষ দিবস হিসাবে পালন করা হয়। তাই ব্লকে ব্লকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হবে। ২ জানুয়ারি সব দপ্তরের কাজ পর্যালোচনায় প্রশাসনিক বৈঠক হওয়ার কথা। আগামী ৬ জানুয়ারি গঙ্গাসাগরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে ভারত সেবাশ্রম সংঘে যাবেন। সেখান থেকে কপিল মুনির আশ্রম। গঙ্গাসাগর মেলার আগে প্রতিবারই পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর আগামী ৮ জানুয়ারি মিলেনিয়াম পার্কের বিপরীতের মেলায় যাবেন। হাওড়া থেকে বেলুড়মঠ, দক্ষিণেশ্বর যাতায়াতের ই-ভেসেলের উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও বছরের শুরুতে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।

Card image cap

দলের শক্তি বাড়াতে দিলীপেই আস্থা বিজেপির

নিচুতলায় সংগঠনের হাল খারাপ। যার প্রভাব পড়ছে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে। পাশাপাশি একের পর এক নির্বাচনে হতাশাজনক ফল ছাব্বিশের আগে চিন্তায় রেখেছে বঙ্গ বিজেপিকে। আদি-নব্য দ্বন্দ্বে পুরনোরা ব্রাত্য বঙ্গ বিজেপিতে। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে দলের আদি শিবিরকে ফের মাঠে নামাতে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপরই ভরসা করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কারণ, উনিশের লোকসভা ভোটে দিলীপের নেতৃত্বে বঙ্গ বিজেপি সংগঠিতভাবে লড়ে সর্বাধিক আঠারোটি আসন পেয়েছিল। তারপর দিলীপকে কার্যত কোণঠাসা করা হয় বঙ্গ বিজেপিতে। দলের পুরনোদের সক্রিয় করে তুলতে ফের দিলীপ ঘোষকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বলা হয়েছে বলে খবর।দিলীপ ঘোষের সঙ্গে একাধিক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির দুই পুরনো মুখ সায়ন্তন বসু ও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সুকান্ত মজুমদারের আমলের আগে দিলীপের টিমের দুই প্রধান সেনাপতি ছিলেন এই সায়ন্তন-রাজু। সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরের একাংশ সায়ন্তনকে দূরে সরিয়ে দেয় দল থেকে। আর রাজুকে তো দলীয় বৈঠকে বা কর্মসূচিতে ডাকাই হয় না বলে খবর। তবে শুধু সুকান্ত-রাজুরাই নয়, উনিশের লোকসভা ভোটের সময় বিজেপির সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া প্রাক্তন রাজ্য সহসভাপতি রাজকমল পাঠক-সহ একাধিক প্রাক্তন জেলা সভাপতিকে আবার সক্রিয় করে তুলতে চাইছেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্তমান কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। সদস্য সংগ্রহ অভিযানেও দিলীপ ঘোষকে নিয়মিত নামতে বলা হয়েছে। আর দিলীপও তাঁর সেই পুরনো স্টাইল চায়ে পে চর্চার পাশাপাশি সদস্য সংগ্রহে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেই সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে নামানো হয়েছে মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদকে। ক’দিন আগেই জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে ঝাঁপিয়েছিলেন দিলীপ। তারপর আলিপুরদুয়ার ও শিলিগুড়িতেও তিনি সদস্যতা অভিযান করেন। পশ্চিম মেদিনীপুরজুড়েও নামানো হয় তাঁকে। গোটা রাজ্যজুড়েই সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমেছেন দিলীপ ঘোষ। জল্পনা, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে দিলীপ ঘোষের মতো বিজেপিতে জনপ্রিয় ও কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য নেতাকে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। সেটা রাজ্য সভাপতি হয়তো নাও হতে পারে। তবে সম্ভাব্য নয়া রাজ্য সভাপতির তালিকায় দিলীপ ঘোষের নামও রয়েছে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর। এদিকে, ধাপে ধাপে রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক বদলের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। জানুয়ারি থেকেই বুথস্তর থেকে শুরু হচ্ছে সাংগঠনিক নির্বাচন। বুথ, মণ্ডল, জেলা সভাপতি নির্বাচন হবে। ৩১ জানুয়ারির পর রাজ্য সভাপতি নির্বাচন। স্টেট রিটার্নিং অফিসার দীপক বর্মন, মধুছন্দা কর, মলয় সিনহা।

Card image cap

মিঠুনের মন্তব্য ঘিরে অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি

সদস্য সংগ্রহের ব্যর্থতা থেকে গোষ্ঠীকোন্দল, বঙ্গ বিজেপির হাল নিয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। হুগলিতে দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই লোকসভা ভোটে সেখানে হারতে হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। বঙ্গ বিজেপির কোন্দল নিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। প্রকাশ্যে দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা বলে রাজ্য বিজেপি নেতাদের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন মহাগুরু।গোটা বঙ্গ বিজেপিতে চরম কোন্দল চলছে। এক গোষ্ঠী, অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরব। পাশাপাশি বাংলায় দলের সংগঠনও তলানিতে। নির্বাচনেও খারাপ ফল হচ্ছে। সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রাও ‘ফেল’ করেছে। পাণ্ডুয়ায় বিজেপির সক্রিয় সদস্যতা অভিযান কর্মসূচির এক বিশেষ বৈঠক শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ছিলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব ও পদাধিকারীরা। কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল দলের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি ও সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা। কিন্তু সেই বৈঠকে গিয়েই দলের কাজকর্ম নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহাগুরু। মিঠুন বলেন, “এখানে যতগুলো বিধানসভা আমি দেখেছি সবগুলোতেই জেতা আছে। কিন্তু আমরা জিততে পারিনি। এর একমাত্র কারণ নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যেটা খুবই দুঃখের। যদি সবাই কাজ করত এখানে তা হলে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারতে হত না। এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বদ্ধ কাজ করেছে।”এর পরই সদস্য সংগ্রহ অভিযানে দলের ব্যর্থতা নিয়ে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন মিঠুন। গত ২৭ অক্টোবর সল্টলেক ইজেডসিসি- তে রাজ্য বিজেপির সদস্য সংগ্রহের অভিযানের সূচনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে বক্তা ছিলেন মিঠুনও। বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলায় সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লক্ষ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৫১ হাজার সদস্য হয়েছে। সক্রিয় সদস্যের ক্ষেত্রেও অনেকটাই খামতি রয়েছে। সক্রিয় সদস্য সংগ্রহ করার কথা ছিল ৩০০০ সেখানে ৩৬৩ জন মোটে সক্রিয় সদস্য হয়েছেন। আর এই তথ্য দেখে ক্ষুব্ধ হন মহাগুরু। কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আমি বসের (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশে এসেছি। বসকে কী জবাব দেব?”এর পরই ক্ষুব্ধ মহাগুরু কর্মীদের বলেন, “কী জোস দেখলাম। মালা পরানোর ধুম লেগে গেল। এর আগেও দেখেছি, ভাবলাম কিছু হবে। কিন্তু কিছু হয় না। আমাকে ডেকে আনবেন। আমি মুড়ি, গুড় খেয়ে প্রচার করব। আর তার রেজাল্ট হবে জিতে যাওয়া সিট হার। কী লজ্জা! আমি কথা দিয়েছিলাম তাই এসেছি। না হলে পার্টিকে সময় দিয়ে কী লাভ। আমি প্রধানমন্ত্রীকে কথা দিয়েছি। আমাকে কী, কী না অফার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমার বিশ্বাস পার্টি শক্তিশালী হলে সব হবে।” এর পরই তাঁর হুঁশিয়ারি, “বস (প্রধানমন্ত্রী) আমাকে বলে রেখেছেন নো মার্সি। যারা কাজ করবে না তাদেরকে সরে যেতে হবে। এত জায়গায় ঘুরে এলাম, সব জায়গায় কি জিততে পেরেছি? না। কারণ, আমরা সব জায়গায় কাজই করতে পারিনি।”

Card image cap

বিজেপি যুব নেতার বাড়িতে গোয়েন্দা হানা

পুরনো এক মামলায় ভাটপাড়ায় বিজেপি যুব নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের বাড়িতে গোয়েন্দা হানা। শনিবার রাতের দিতে তাঁর বাড়িতে নোটিস দিতে যান বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। প্রিয়াঙ্গু অনুগামীরা বাধা দেন বলে অভিযোগ। দুপক্ষের হাতাহাতিতে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি ভাটপাড়া পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের ৬ নং গলি এলাকা। খবর পেয়ে সেখানে যান বারাকপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। পুলিশের বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের উপর হামলা ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ তোলেন তিনি।জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের পুরনো একটি মামলায় প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের নাম থাকায় শনিবার তাঁর বাড়িতে নোটিস দিতে যান বারাকপুর কমিশনারেটের আধিকারিকরা। তাঁদের বাধা দেন সেসময় বিজেপি নেতার বাসভবনে থাকা অন্যান্য দলীয় কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন পুলিশ আধিকারিকরা। এমনকি পরিস্থিতি এমন হয় যে রীতিমতো পুলিশের সঙ্গে দলীয় কর্মীদের সাময়িক হাতাহাতির পরিস্থিতিও তৈরি হয়। প্রিয়াঙ্গুর অনুগামীরা পুলিসের উপর আক্রমণ করে কাজে বাধা দেয় বলে অভিযোগ।খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভাটপাড়া থানার পুলিশ। তখনই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দ্রুত প্রিয়াঙ্গুর বাড়িতে যান অর্জুন সিংও। তিনি পুলিশ আধিকারিকদের কাছ থেকে প্রিয়াঙ্গুর বিরুদ্ধে নোটিস দেখতে চান। তাঁকে সেই নোটিস দেখাতে পারেনি পুলিশ কর্তারা। এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অর্জুন সিং অভিযোগ তোলেন, প্রিয়াঙ্গুকে খুনের চক্রান্ত করছে পুলিশ প্রশাসন।পুলিশ সূত্রে খবর, ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন অর্জুন সিং পিপিপি মডেলে একটি প্রকল্পের চুক্তি করেছিলেন। প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের সম্পত্তিতে এই প্রকল্পটি ৭০-৩০ শতাংশ চুক্তিতে হবে বলেই ঠিক হয়েছিল। কিন্তু সেই চুক্তি মত কাজ না হওয়ায় পুরসভার অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন সন্ধ্যায় পুলিশ সেই সংক্রান্ত নোটিস দিতে প্রিয়াঙ্গুর বাড়িতে যায় এবং তা ঘিরে এই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। 
এই প্রসঙ্গে ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, ”পিপিপি মডেলে চুক্তি অনুযায়ী প্রিয়াঙ্গু পান্ডে ৩০শতাংশ সম্পত্তি এখনোও পর্যন্ত পুরসভাকে হস্তান্তর করেননি। সেই কারণেই পুলিশ নোটিস দিতে এসেছিল। বিষয়টি সম্পূর্ণ পুলিশ প্রশাসনের এক্তিয়ারভুক্ত।” আর প্রিয়াঙ্গুর দাবি, ”আমাকে এর আগে খুনের চক্রান্ত করা হয়েছিল। বিজেপি করার অপরাধে এদিন পুলিশ নোটিস দেওয়ার নাম করে অভিযান চালায়। আমার দুই সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।”

Card image cap

দুর্নীতির গঙ্গাসাগর জ্যোতিপ্রিয়

রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জামিনের বিরোধিতায় আদালতে একের পর এক বিস্ফোরক বিশেষণে প্রয়োগ করল ইডি। কখনও তাঁকে ‘রিং মাস্টার’, কখনও ‘দুর্নীতির গঙ্গাসাগর’ বলে অভিহিত করলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। শনিবার ইডির বিশেষ আদালতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জামিন মামলার শুনানিতে তদন্তকারীদের একের পর এক আক্রমণে কার্যত তাঁর আইনজীবীর সওয়াল-জবাব ধোপেই টিকল না।এদিন আদালতে দাঁড়িয়ে ইডির আইনজীবীর বক্তব্য, ”এই দুর্নীতি যদি পাখির চোখে (বার্ডস আই ভিউ) দেখা হয়, তাহলে দেখা যাবে জ‍্যোতিপ্রিয় হলেন ‘গঙ্গাসাগর’। গঙ্গা, ভাগীরথী ও অন‍্য শাখা-প্রশাখা যেমন গঙ্গাসাগরে এসে মিশেছে, এই দুর্নীতির সমস্ত স্রোত এসে মিশেছে জ্যোতিপ্রিয়র কাছে। চাল বিক্রি থেকে গম বিক্রি, রেশন দুর্নীতি – সমস্ত টাকা এসেছে তাঁর হাতে। তাঁরই পরিচালিত তিন সংস্থা সবচেয়ে লাভবান হয়েছে। ওই তিন সংস্থায় আবার তাঁরই লোক বসে। অ‍্যাকাউন্টও খোলা হয়েছে তাঁরই পরিচিত লোকেদের নিয়ে।”ইডির আইনজীবীর আরও দাবি, জ্যোতিপ্রিয় রেশন দুর্নীতি মামলার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী। উনি রিং মাস্টার। আড়ালে থেকেই দুর্নীতি পরিচালনা করেছেন। যে সময়কাল ধরে রেশন বণ্টনে দুর্নীতি হয়েছে, সেসময় উনি ক্ষমতাশালী ছিলেন। খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাই প্রভাব বিস্তার করে অনেক কিছুই করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। পরে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়েছে বলে সওয়াল করেন ইডি আইনজীবী। বছর দুই ধরে রেশন দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর পরে গ্রেপ্তার হয়েও একাধিক ব্যক্তি আপাতত জামিনে মুক্ত। তাই জ্যোতিপ্রিয়ও জামিন চান। তবে ইডি এদিন যেভাবে তাঁর দুর্নীতির ব্যাপ্তির কথা আদালতে তুলে ধরল, তাতে জামিনের পথ আরও জটিল হল বলে মনে করা হচ্ছে।

Card image cap

আম্বেদকর ইস্যুতে এবার পথে নামছে তৃণমূল

আম্বেদকর ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আরও জোরদার করছে শাসকদল তৃণমূল। সংসদের ভিতরে-বাইরে এনিয়ে প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। এবার বাংলাতেও উঠতে চলেছে প্রতিবাদের ঝড়, মিছিলেন নামতে চলেছে দল। শুক্রবার সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন। আগামী ২৩ ডিসেম্বর, সোমবার দুপুরে কলকাতা পুরসভার ওয়ার্ড এবং রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে মিছিল করবেন দলের নেতা, কর্মীরা।শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমাদের সংবিধান প্রণেতা বাবাসাহেব আম্বেদকরের অপমান মানছি না, মানব না! এই জাতিবিদ্বেষী বিজেপি সরকারকে ধিক্কার। সংবিধান-বিরোধী বিজেপি বারংবার এই মহান দেশের গণতন্ত্রের উপর আঘাত হেনেই চলেছে। যত দিন যাচ্ছে, তত তাদের দলিত-বিরোধী মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদের মর্যাদাকে লঙ্ঘন করেছেন এবং আমাদের সংবিধানের জনক, বাবাসাহেব ড. বি.আর. আম্বেদকর এবং সংবিধানের খসড়া কমিটির বাকি সকল বরণীয় এবং স্মরণীয় ব্যক্তিদের প্রতি বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। এটি কেবলমাত্র বাবাসাহেবের অপমান নয়, এটি আমাদের সংবিধানের মেরুদণ্ডের উপর একটি আঘাত এবং আমাদের দলিত ও আদিবাসী ভাইবোনদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। বাবাসাহেব আম্বেদকরের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদে এবং আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি অপমানের বিরুদ্ধে সরব হতে, আগামী ২৩ ডিসেম্বর দুপুর ২টো থেকে ৩টে পর্যন্ত, রাজ্যের প্রতিটি ব্লক ও পুরসভাতে এবং কলকাতার প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিবাদ মিছিল সংঘটিত হবে। আসুন, আমরা সকলে গণতন্ত্র রক্ষার্থে এই মিছিলে সামিল হই। এই ঘৃণ্য, স্বৈরাচারী বিজেপির সকল চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। আমি আপনাদের সবাইকে আহ্বান জানাই, আসুন আমরা বাবাসাহেবের উত্তরাধিকার এবং আমাদের সংবিধানের মূল্যবোধ রক্ষা করার জন্য একত্রিত হই।’সংসদে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবিধান প্রণেতা বাবাসাহেব আম্বেদকরকে নিয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে সমালোচনার ঝড় থামছেই না। তৃণমূল আগেও এনিয়ে একাধিকবার সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছে। সংসদে দাঁড়িয়ে আলাদাভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংসদরা। বৃহস্পতিবার খ্রিস্টমাস কার্নিভালের অনুষ্ঠানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, ”আম্বেদকরকে যেভাবে অপমান করা হয়েছে, তাতে আমি স্তম্ভিত।” আর শুক্রবার তিনি দলের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করে দিলেন। সোমবার দুপুর ২টো থেকে ৩টে পর্যন্ত মিছিল হবে কলকাতার প্রতিটি ওয়ার্ডে, রাজ্যের প্রতি ব্লকে।

Card image cap

রাজ্য শাখার ভোটে ফের জয়ী শান্তনু সেন

ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ-র রাজ্য শাখার ভোটে ফের জয়ী শান্তনু সেন। সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৪৩০টি।এই পদে মোট তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে শান্তনু সেন ৪৩০টি ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চিকিৎসক সুকান্ত চক্রবর্তী ১১৬টি ভোট পেয়েছেন। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বীর ঝুলিতে মোটে ২৬টি ভোট। এই ভোটগণনা কেন্দ্র করে যাতে কোনও অশান্তি না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হয়েছিল। গন্ডগোলের আশঙ্কায় বাউন্সার নিয়োগ করা হয়।উল্লেখ্য, আইএমএ রাজ্য শাখার নির্বাচন গত ২ মাস ধরে চলছিল। রাজ্য দপ্তরের তার গণনা ছিল বুধবার। প্রথমে ভোটে লড়বেন না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শান্তনু। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে তিনি সিদ্ধান্ত নেন ভোটে লড়ার। অবশেষে মিলল জয়। আরও একবার আইএমএ-র রাজ্য সম্পাদক পদে শান্তনু সেন। ভোটে জয়ের পরই নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। আর জি করের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ৯০ দিন পার হওয়ার পরেও কেন সিবিআই চার্জগঠন করতে পারল না, সেই ব্যর্থতাকে তুলে ধরে আগামী ২৩ ডিসেম্বর সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানের ডাক দিয়েছে। শান্তনু সেন বলেন, “চিকিৎসকদের ও চিকিৎসা ব্যবস্থা স্বার্থে সকলকে নিয়ে আইএমএ ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবে। অতীতের মতো রাজ্য সরকারের যেকোনও ভালো কাজে সদর্থক ভূমিকা নিয়ে সহযোগিতা করবে।”

Card image cap

বড়দিনের ছুটি বাতিল নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা

বাবাসাহেব আম্বেদকরকে নিয়ে অমিত শাহের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। এই ইস্যুতে ফের মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শাহী মন্তব্যে ‘স্তম্ভিত’ মুখ্যমন্ত্রী।বিজেপিকে বিঁধে তিনি বলেন, “কলকাতা হল কালচারাল ক্যাপিটাল অফ ইন্ডিয়া। কলকাতা সম্প্রীতিরও। আম্বেদকরকে যেভাবে অপমান করা হয়েছে, তাতে আমি স্তম্ভিত। ক্রিসমাস মানে আনন্দ। ক্রিসমাস মানে শান্তি। ক্রিসমাস মানে একতা। ২৫ ডিসেম্বরের ক্রিসমাসের ছুটি কেন্দ্রীয় সরকার বাতিল করে দিয়েছিল। আমাদের রাজ্য তা করে না। করবে না।” এদিন অ্যালেন পার্ক ক্রিসমাস কার্নিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।এর আগে গত বুধবারই X হ্যান্ডেলে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি লেখেন, “সংসদে যখন সংবিধানের ৭৫ বছর উদযাপন হচ্ছে তখন অমিত শাহ অপমানকজনক মন্তব্য করে আম্বেদকরের ভাবমূর্তি নষ্টের পথ বেছে নিলেন। সেটাও গণতন্ত্রের মন্দির সংসদে দাঁড়িয়ে। তাতেই ওদের বর্ণবিদ্বেষী, দলিত বিরোধী মানসিকতা স্পষ্ট বোঝা যায়। ২৪০ আসন পাওয়ার পরই ওরা এমন আচরণ করছে, ৪০০ আসনের স্বপ্ন সত্যি হয়ে গেলে হয়তো আম্বেদকরের সব অবদান ভুলে নতুন ইতিহাস লিখে দিত। অমিত শাহর এই মন্তব্য সেই লক্ষ লক্ষ মানুষকে আঘাত করছে যারা আম্বেদকরের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন, তাঁর দেখানো পথে চলেন। কিন্তু যে দলটা বিভেদ এবং ঘৃণায় বিশ্বাস করে, সেই দলের থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশাও করা যায় না।”উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাজ্যসভায় সংবিধান সংক্রান্ত বিতর্ক চলাকালীন শাহের মন্তব্য ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তিনি বলেন, “এখন এক ফ্যাশন হয়েছে- আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর। এতবার যদি ভগবানের নাম নিত তব সাতজন্ম স্বর্গবাস হয়ে যেত।” সঙ্গে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “১০০ বার ওর (বিআর আম্বেদকর) নাম নিলেও কিন্তু ওঁকে নিয়ে আপনাদের কী আবেগ ছিল? তফসিলি জাতি বা তফসিলি উপজাতিদের প্রতি সরকারের আচরণ নিয়ে খুশি ছিলেন না আম্বেদকর।”
শাহের ‘ফ্যাশন’ মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধী শিবির। বৃহস্পতিবার সকালে সংসদের মকর দ্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন কংগ্রেস-সহ বিরোধী সাংসদরা। বিজেপি সাংসদরা সেসময় সংসদে প্রবেশ করতে চাইলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। দুই শিবিরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হাতাহাতির রূপ নেয়। হাতাহাতিতে রক্ত ঝরে বালাসোরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সারেঙ্গীর। তাঁর দাবি, হাতাহাতির মধ্যে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এক সাংসদকে ধাক্কা মারেন। সেই সাংসদ এসে তাঁর গায়ের উপর পড়ে যান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে FIR -ও দায়ের হয়। 

Card image cap

প্রোমোটারকে মারধরে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ

কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ প্রোমোটার। ইমেল মারফত দায়ের অভিযোগ। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ও বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণ চক্রবর্তীকেও ইমেল করে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে এখনও বেপাত্তা অভিযুক্ত কাউন্সিলর। তাঁর খোঁজ না পেয়ে বাড়িতে নোটিস টাঙিয়েছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।বিধাননগর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নির্মাণকাজ করছিলেন প্রোমোটার কিশোর হালদার। রবিবার সেখানেই প্রোমোটারের ওপর হামলায় চালায় একদল দুষ্কৃতী। রিভলভারের বাট দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় রবিবার রাতেই রমেন মণ্ডল ও শুভেন্দু মণ্ডল নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বাগুইআটি (Baguiati ) থানার পুলিশ। প্রোমোটারকে মারধর ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তীর মদত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগ, দাবি মতো টাকা না দেওয়ায় লোক পাঠিয়ে প্রোমোটারকে মারধর করেন কাউন্সিলর। অভিযোগের পর থেকে কাউন্সিলরেরও খোঁজ মিলছে না। তাঁর খোঁজে সোমবার কাউন্সিলরের বাড়ি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র কাউন্সিলরের উত্তর দেশবন্ধু নগরের বাড়িতে একাধিকবার আসে পুলিশ। সেখানে কাউন্সিলরের দেখা মেলেনি। তবে তাঁর স্ত্রী বাড়িতে রয়েছেন। কাউন্সিলরের মোবাইল ফোনেও বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু, ফোনেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে বাগুইআটি থানার পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁর বাড়ির দেওয়ালে নোটিস লাগিয়ে দেওয়া হল। তাঁকে বাগুইআটি থানায় দেখা করার কথা বলা হয়েছে। এর পর রাতে কিশোর হালদার মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং বিধাননগর পুরসভার মেয়রের কাছে ইমেল মারফত অভিযোগ জানানো হয়।এদিকে প্রোমোটারের উপর হামলার ঘটনায় রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা গোবিন্দ দাসেরও নাম জড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি এবং অফিসে যায় পুলিশ। কিন্তু বাড়ি ও অফিস দুটিই বন্ধ থাকায় ফিরে আসে পুলিশ।

Card image cap

দীপ্সিতার দাবি ঘিরে বিতর্ক

কলেজের পরীক্ষা চলছে। কিন্তু তাতে কী? স্বপন কোলের মৃত্যুদিনে কলেজের ভিতরেই শহিদ দিবস পালন করতে যায় এসএফআই। তাই নিয়ে তুমুল হট্টগোল হাওড়ার আন্দুল প্রভু জগবন্ধু কলেজে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে এসএফআই কর্মী-সমর্থকদের বচসাও চলে। এসএফআই নেত্রী দীপ্সিতা ধর বলেন, “কলেজে পরীক্ষা চলছে বলে আমরা ঢুকলাম না। নাহলে গেট ভেঙে আমরা কলেজে ঢুকতাম।” এই মন্তব্য নিয়েও তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়েছে।আজ, সোমবার আন্দুল কলেজে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের আভ্যন্তরীণ পরীক্ষা চলছিল। একই দিনে ইন্দিরা গান্ধী মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার আসনও পড়েছিল ওই কলেজেই। নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শুরু হয়। হাওড়া জেলার এসএফআইয়ের কর্মী-সমর্থকরা ওই কলেজের সামনে হাজির হন। ওই কলেজের ছাত্র ছিলেন স্বপন কোলে। ২০০৯ সালে ওই কলেজে এসএফআই ও টিএমসিপির মধ্যে জোর বিবাদ হয়। প্রাণ হারান এসএফআই কর্মী স্বপন। তাই সেখানেই শহিদ দিবস পালিত হবে। এমনই কর্মসূচি নিয়েছিল এসএফআই। এছাড়াও কলেজের অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়ার কথা ছিল তাদের। নেত্রী দীপ্সিতা ধর নিজে উপস্থিত ছিলেন সেখানে। আর সেখান থেকেই শুরু হয় বচসা।পরীক্ষার জন্য ওই কলেজের প্রধান ফটক এদিন বন্ধ ছিল। ফলে দীপ্সিতারা কলেজের ভিতরে ঢুকতে পারেননি। বাইরে তুমুল বিক্ষোভ-স্লোগান শুরু হয়। কলেজের ভিতর থেকে পালটা স্লোগান দিতে থাকেন টিএমসিপি কর্মীরা। দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা হয়। সমস্যায় পড়েন পরীক্ষার্থীরাও। সুদীপ্ত মাজি নামে ওই কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ছাত্রের অভিযোগ, তাঁকে কলেজে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সাঁকরাইল থানার পুলিশ। দুই পক্ষকেই সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে এসএফআই কলেজের বাইরেই শহিদ দিবস পালন করে। হাওড়া-আন্দুল রোড কিছু সময়ের জন্য অবরোধও করেছিলেন তাঁরা।গোটা ঘটনার জন্য টিএমসিপির দিকে অভিযোগের তুলেছেন দীপ্সিতা। পরীক্ষা না চললে কলেজের গেট ভেঙে তাঁরা ঢুকতেন। তাঁর এহেন মন্তব্যে বিতর্কও দানা বেঁধেছে। এদিকে হাওড়া সদর জেলা টিএমসিপির সাধারণ সম্পাদক অভিজ্ঞান মাজির অভিযোগ, দীপ্সিতা ধরের নেতৃত্বে কলেজের বাইরে বহিরাগতরা জড়ো হয়েছিল। কলেজের বাইরে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও ছেঁড়া হয়েছে। পতাকার লাঠি দিয়ে গেটের বাইরে থেকে মারধরের চেষ্টাও হয়।

Card image cap

বিজয় দিবসে বীর-সম্মান মমতার

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দৃপ্তকণ্ঠে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার রেসকোর্সের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্বকে সম্মান জানান তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতাকেও শ্রদ্ধা জানাতে ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। বক্তব্যের শেষে দৃপ্তকণ্ঠে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও দেন মমতা। যা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তাৎপর্যপূর্ণ।২০২০ সালে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল বাংলাদেশ হাই কোর্ট। যদিও হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে খারিজ হয়েছে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করার সেই ঐতিহাসিক রায়। সোজা ভাষায়, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। কার্যত বঙ্গবন্ধু মুজিবকে মুছে ফেলতে তৎপর ইউনুস। কারণ জয় বাংলা সাধারণ স্লোগান নয়, বরং বাঙালি জাতিসত্ত্বার প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি যোদ্ধাদের সাহসিকতার স্মারকও। এপার বঙ্গে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে কার্যত সেই কথাই মনে করিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। যখন আমি ক্লাস টু-থ্রিতে পড়ি, তখন তিনি মারা যান। কিন্তু প্রতিদিন তিনি আমায় বলতেন, কীভাবে ১৯৬৫-তে ইন্দো-চিন যুদ্ধে আমাদের সেনারা কাজ করেছিলেন। তাঁদের আত্মত্যাগের কথা। একইভাবে শুনতাম ‘৭১-এ পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের কথা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা।” লতা মঙ্গেশকরের গানের স্মৃতিচারণ করে মমতা বলেন, “মনে পড়ে যাচ্ছে সেই পরিচিত গান। ‘জো শহিদ হুয়ে হ্যায় উনকি জারা ইয়াদ করো কুরবনি’। আজ লতাজি নেই কিন্তু আমাদের শহিদ জওয়ানদের জন্য গাওয়া তাঁর এই গান চিরকাল অমর হয়ে থাকবে।” বক্তব্যের শেষেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন মুখ্যমন্ত্রী।

Card image cap

তন্ময়ের সাসপেনশন তুলল সিপিএম

তন্ময় ভট্টাচার্যের সাসপেনশন প্রত্যাহার করল সিপিএম। মহিলা সাংবাদিকের শ্লীলতাহানির অভিযোগের দলীয় তদন্ত শেষে আলিমুদ্দিনের তরফে ক্লিনচিট পেলেন তিনি। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার জেলা গ্রুপে এই বার্তা দিয়েছেন সিপিএম জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী। জেলা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মৃণালবাবু লিখেছেন, ‘গতকাল রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম আমাদের জানিয়েছেন, আমাদের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কমরেড তন্ময় ভট্টাচার্যকে তদন্ত সাপেক্ষে যে সাসপেন্ড করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে তন্ময় ভট্টাচার্য পার্টির স্বাভাবিক কাজকর্মে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।’ দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তন্ময় বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম, এটা পরিকল্পিত কুৎসা। তবে এটা আমার আক্ষেপ যে ঘটনাটা এমন সময় ঘটল যখন আমার পার্টির একাধিক সম্মেলন চলছে। এমনকী, আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার সম্মেলনও যোগ দিতে পারিনি।” তন্ময় জানিয়েছেন, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তাঁকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের অফিসে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। সেখানে ‘অভিভাবকে’র মতো দলের কাজ নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু ঘুণাক্ষরের সাসপেনশন তোলার কথা জানাননি। বরং শনিবার জেলা সম্পাদকের মেসেজ থেকে বিষয়টি জেনেছেন বলে দাবি তন্ময়ের।এক মহিলা সাংবাদিকের করা ফেসবুক লাইভকে কেন্দ্র করে সমস্যার সূত্রপাত হয়েছিল অক্টোবরের শেষের দিকে। তিনি বামনেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। সেদিনই তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সিপিএম। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এদিকে বরানগর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়। একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি পড়তে হয়েছে তন্ময়বাবুকে। দলের তরফেও তদন্ত করা হচ্ছিল। সেই তদন্ত শেষেই এবার তন্ময় ভট্টাচার্যকে ‘ক্লিনচিট’ দিল সিপিএম।

Card image cap

রাজ্যসভার সাংসদ হলেন তৃণমূলের ঋতব্রত

 জহর সরকারের ছেড়ে যাওয়া পদে অবশেষে এলেন তৃণমূলের শ্রমিক নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হলেন। শুক্রবার তৃণমূলের তরফে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই সুখবর জানানোর পাশাপাশি ঋতব্রতকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। বাংলার শাসকদলের মত, জনতার কাজে যেভাবে ঋতব্রত নিজেকে সঁপে দিয়েছেন, তার সুফল পেলেন এবং তাঁর রাজ্যসভায় যাওয়া গণতান্ত্রিক কাঠামোকে আরও মজবুত করবে।মাস কয়েক আগে রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রাক্তন আইএএস জহর সরকার। আর জি করের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ার কথা জানান দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই পদটি ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় গুঞ্জন চলছিল, জহর সরকারের জায়গায় কাকে পাঠানো হবে সংসদের উচ্চকক্ষে। গত শনিবার, ৭ ডিসেম্বর সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এক্স হ্যান্ডলে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করে রাজ্যের শাসকদল। এই আসনে ঋতব্রতর বিরুদ্ধে আর কেউ মনোনয়ন জমা দেননি। তাই ১৩ ডিসেম্বর, শুক্রবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঋতব্রতকেই জয়ী ঘোষণা করা হল। তিনি হলেন রাজ্যসভার নতুন সাংসদ।ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল সিপিএম। কিন্তু দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের মতো গুরুতর অভিযোগে ২০১৭ সালে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ঋতব্রতর বিরুদ্ধে দলে তদন্তও হয়। সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হয়ে তৃণমূলে যোগ দেন ঋতব্রত। তাঁকে শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি তিনি। তার পাশাপাশি এবার রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ হলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।

Card image cap

‘আমরা বিদ্যুৎ না পাঠালে অন্ধকার হয়ে যাবে বাংলাদেশ’ : শুভেন্দু

ক্রমেই বাংলাদেশের পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। হিন্দুদের উপর আক্রমণ নেমে আসার ঘটনাও সামনে আসছে। বাংলাদেশ ইস্যুতে আরও সুর চড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। “আমরা বাংলাদেশের উপর নির্ভর করি না। বাংলাদেশ আমাদের উপর নির্ভর করে।” ফের নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চিনের সঙ্গে সামরিক শক্তিতে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা ভারতের আছে। সেই কথাও মনে করালেন তিনি।বাংলাদেশে ইসকন সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আপাতত জেলবন্দি। একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাঁর নামে। শুভেন্দু অধিকারী ফের চিন্ময় প্রভুর মুক্তির জন্য সরব হলেন এপারের সীমান্ত এলাকা থেকে। আজ মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা সীমান্তে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন। সনাতনী হিন্দুদের সংগঠনের তরফ থেকে জমায়েত ছিল। সেখানেই বাংলাদেশ ইস্যুতে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তিনি।”বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তাল হচ্ছে। বাংলাদেশের একাধিক জায়গা থেকে আগে ভারত সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক কথা বলা হচ্ছিল। এখন ওই দেশের নেতাদের একটা অংশ  ভারত সম্পর্কে প্রবল আক্রমণাত্মক বার্তা দিচ্ছেন। তার প্রেক্ষিতে এবার শুভেন্দু আরও সুর চড়িয়েছেন। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমরা ৯৭ টি পণ্য না পাঠালে তোদের ভাত-কাপড় জুটবে না। ঝাড়খণ্ড থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ফরাক্কা দিয়ে না পাঠালে ৮০ ভাগ গ্রামে আলো জ্বলবে না।” আবারও যুদ্ধবিমান পাঠানোর হুমকি দিলেন তিনি। “হাসিমারায় ৪০ টি যুদ্ধবিমান রাখা আছে। দুটো বিমান পাঠিয়ে দিলেই কাজ হয়ে যাবে।” ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৭ হাজার ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছিলেন। এদিন সেই কথাও মনে করিয়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।এর আগে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে কর্মসূচি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পণ্য পরিষেবার গাড়ি আটকানো ও রাস্তা অবরোধের চেষ্টা হয়েছিল সেই সময়। গত সপ্তাহে কলকাতার রানি রাসমণি রোডের মঞ্চ থেকে ঘোজাডাঙা কর্মসূচির কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এদিন সকাল থেকেই ঘোজাডাঙা সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তার কড়াকড়ি ছিল প্রশাসনের।

Card image cap

এবার হাই কোর্টে আরাবুল

পঞ্চায়েত সমিতির হারানো ঘর ফিরে পেতে এবার আদালতের দ্বারস্থ আরাবুল ইসলাম। সোমবার এবিষয়ে হাই কোর্টে আর্জি জানালেন তিনি। আরাবুলের যুক্তি, চেনা ঘর, চেনা চেয়ারে না বসলে কাজে গিয়ে আমজনতা সমস্যায় পড়বে।একটা-দুটো বছর নয়, টানা ১২ বছর একই ঘরে বসে এলাকার মানুষকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসাবে পরিষেবা দিয়েছেন আরাবুল ইসলাম। ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠলেই সামনের প্রথম ঘরটিকে সবাই সভাপতির ঘর বলে চেনেন, জানেন। অভিযোগ, আরাবুল জেলে যেতেই সেই ঘরটি দখল করে নিয়েছেন আরাবুল বিরোধী তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ খাইরুল ইসলাম। হাই কোর্টের রায়ে আরাবুল দশ মাস পরে পঞ্চায়েত সমিতিতে ফিরলেও তাঁর পুরনো ঘর ফিরিয়ে দিতে নারাজ খাইরুল। সেই ঘর ফিরে পেতেই এবার আইনের দ্বারস্থ একদা ভাঙড়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আরাবুল ইসলাম।আরাবুল ইসলাম বলেন, “২০১৩ সাল থেকে ওই ঘরটায় আমি বসছি। এক বার সহ-সভাপতি এবং দু’বার সভাপতি হিসাবে আমি ওই ঘরেই বসে কাজকর্ম করেছি। দোতলাতেই বিডিও, সহকারী সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষদের অফিস আছে। এখানেই সভাপতির ঘর হলে সাধারণ মানুষ সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা পাবেন। আমি যদি অন্যত্র বসি তাহলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।”