CATEGORY politics:

Card image cap

ভাঙড়ে আরাবুল-নওশাদকেও একযোগে তোপ শওকতের

ফের বেলাগাম তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। নাম না করে আরাবুল ইসলামকে আক্রমণ করেছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর নিশানায় ছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। আরাবুল ইসলাম জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই ভাঙড় এলাকায় চাপা উত্তেজনা শুরু হয়েছে। আরাবুল ও নওশাদ গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদও দেখা যাচ্ছে। সেই সবের মধ্যেই আরও একবার কড়া আক্রমণ করলেন শওকত মোল্লা।শওকত বলেন, “একজন আছেন হাফ প্যাসেঞ্জার। কোর্টের একটা রায়ে তিনি উজ্জীবিত হয়ে বলছেন, আমি ভাঙড়ের শেষ কথা। ভাঙড়ের জন্য যা কিছু করার সব আমিই করেছি। তাহলে এই মঞ্চে যারা বসে আছে, তারা কারা? এই মঞ্চে সমস্ত অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধান, জেলা পরিষদের সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা বসে আছে। তাহলে কি এরা কিছু করেনি দলের জন্য?”আইএসএফের মাধ্যমে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়। হাই কোর্টে পাঁচটি পিটিশন করা হয়েছিল। সেই কথাও মঞ্চ থেকে বলেন তৃণমূল বিধায়ক। রবিবার শোনপুরে একটি সভায় একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। শওকত মোল্লা বলেন, “অনেক চক্রান্ত করেছে আমার বিরুদ্ধে। কিন্তু কিছু করতে পারেনি। এই সমস্ত বেইমানদের আপনারা চিনে রাখুন। এই বেইমানরাই ২০২৪ সালে জেলের মধ্যে ছিল। তখন আমরা ৮৭ হাজার ভোটে জিতেছি। আমার উপর আপনারা ভরসা রাখুন, ২০২৬ সালে এই ভাঙড় বিধানসভা থেকে তৃণমূলের বিধায়ক এক লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতবেন।” পঞ্চায়েত সমিতি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা লুট হয়েছে। ব্যবসায়ীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেই অভিযোগও করেছেন তিনি। সাধারণ মানুষ কার দিকে থাকবেন? সেই প্রশ্নও ছুঁড়ে দিয়েছেন শওকত।সভামঞ্চ থেকে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকেও আক্রমণ করেছেন তিনি। বলেন, “আর একজন আছেন আইএসএফের দালাল। ১৫ বছরের বাচ্চা ছেলেদের হাতে গুলি, বোমা বন্দুক তুলে দিয়েছেন। ভাঙড়কে অশান্ত করে দিয়েছেন। এদেরকে আর কোনও সুযোগ নয়। ভাঙড় কলকাতা পুলিশের আওতায় এসে একটাই ভালো কাজ হয়েছে। আইএসএফের সমস্ত সমাজবিরোধীদের তারা ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে। এক বছর ধরে ভাঙড়ে আর বোমার কোনও আওয়াজ নেই।”
শওকত মোল্লার বক্তব্যের পালটা দিয়েছেন ভাঙড়ের আইএসএফ নেতা জেলা পরিষদ সদস্য রাইনুর হক। তিনি বলেন, ভাঙড়ে যা কিছু অশান্তি, সবই শওকত মোল্লার জন্য। শোনপুরে যে সভা হয়েছে, তা পুরোপুরি ফ্লপ।

Card image cap

মহুয়ার বিরুদ্ধে বিধায়কদের নালিশ শুনে সাফ বললেন মমতা

কারও সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সংগঠন চালাচ্ছেন ইচ্ছেমতো। মর্জিমাফিক রদবদল করছেন। এমনটা চললে সংগঠন চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে দায়িত্বে থাকা স্থানীয় বিধায়কদের। কৃষ্ণনগরের সাংসদ তথা জেলা সংগঠনের সভানেত্রী মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন নদিয়ার ৬ বিধায়ক। সোমবার বিধানসভায় দেখা হতেই মহুয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি মমতার কাছে নালিশ জানালেন তাঁরা। তার জবাবও অবশ্য পেলেন। শুনেই মমতা সাফ জানিয়ে দিলেন, ”এখন নয়, জেলাওয়াড়ি বৈঠক যখন হবে, তখন এনিয়ে যা বলার বলব।”দিন চারেক আগেকার কথা। গত ৫ ডিসেম্বর কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর ‘খামখেয়ালিপনা’র বিরুদ্ধে ৬ বিধায়ক সরব হন। তালিকায় কৃষ্ণনগর দক্ষিণের উজ্জ্বল বিশ্বাস, নাকাশিপাড়ার কল্লোল খাঁ, চাপড়ার রুকবানুর রহমান, করিমপুরের বিমলেন্দু সিংহরায়, পলাশিপাড়ার মানিক ভট্টাচার্য, কালিগঞ্জের নাসিরুদ্দিন আহমেদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই জেলা সংগঠনের সভানেত্রী মহুয়া সম্প্রতি ১৭৮ জন বুথ সভাপতি আর ১৭ জন অঞ্চল সভাপতিকে বদলি করেছেন। উলটে যাঁদের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ, তাঁদের সামনে আনা হচ্ছে। এমনটা চলতে থাকলে সুস্থভাবে সংগঠনের কাজ চালানো তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে বক্তব্য কল্লোল খাঁ, উজ্জ্বল বিশ্বাসদের।এই পরিস্থিতিত সোমবার বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সরাসরি নালিশ জানান ৬ বিধায়ক। জেলা সংগঠনের সভানেত্রীর পদ থেকে মহুয়াকে সরানোর দাবিও ওঠে। কিন্তু এই মুহূর্তে এসব নালিশকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, ”এ নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, যখন জেলাওয়াড়ি বৈঠক হবে তখনই যা বলার বলব।” অর্থাৎ এখনই নিজের আস্থাভাজন মহুয়াকে নিয়ে অভিযোগকে আমল দিতে নারাজ দলনেত্রী।

Card image cap

বিএলও-দের ধমক মুখ্যমন্ত্রীর

ভোটার তালিকায় মৃতরাও! বাদ যাচ্ছে না রাজ্য় থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে চলে যাওয়া শ্রমিকরাও। বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-দের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ‘কাণ্ডে’ যাদের নাম উঠে আসছে সেই সমস্ত বিএলআরও-দের নামের তালিকা চাইলেন তিনি। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন।সোমবার মন্ত্রী, সচিব ও জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘জল চুরি’ নিয়ে আলোচনার মাঝেই ভোটার তালিকায় নাম বাতিল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। মমতার অভিযোগ, “আমার কাছে খবর রয়েছে, স্থানীয়রা বলার পরও বহু এলাকায় বিএলও-রা ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম রেখে দিয়েছেন। অনেকে বহুদিন এলাকা থেকে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। তাঁদেরও নাম রেখে দেওয়া হয়েছে।” এর পরই তাঁর প্রশ্ন, “কাদের স্বার্থে এটা করেছেন বিএলও-রা?” উল্লেখ্য, ভোটার তালিকায় নাম তোলা, সংশোধনের কাজের দায়িত্বে থাকেন এই বিএলও-রাই।এই ইস্যুতে জেলাশাসকদেরও কার্যত ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “কিছু বিএলওর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে আমাদের কাছে। এগুলো ডিএমরা লক্ষ্য রাখবেন না কেন? ভোটার লিস্ট নিয়ে যদি কোনও কমপ্লেন আসে তার জন্য আমি কিন্তু ডিএমদের ছাড়ব না।” এমনকী, ভোটার তালিকা তৈরি নিয়ে কিছু বিএলও নিজের দায়িত্ব পালন করছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। মমতা বলেন,”ভোটার তালিকার মতো সিরিয়াস কাজের ডিউটিতে শেষ দিনেও অনেক বিএলও নিজের ডিউটি পালন করেননি। কারা কারা ছিলেন না, কেন ছিলেন না এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আমার চাই। দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিন।”ভোটার তালিকার সঙ্গে ভোটে কারচুপির সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “আগের দিন ২৫ শতাংশ, পরের দিন দেখাল ৪০ শতাংশ। এভাবেই কারচুপি হয়। ভোটার লিস্টটাই মূল। আপনারা (ডিএমরা) এভাবে দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না।”

Card image cap

বৈশালী ডালমিয়ার বাড়িতে বোমা!

রাতের অন্ধকারে বৈশালী ডালমিয়ার বাড়িতে বোমা! শনিবার  দুই যুবক বোমা মেরে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ বিজেপি নেত্রীর। অল্পের জন্য রক্ষা পান বৈশালি ও তাঁর ছেলে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তদন্তে পুলিশ।বৈশালী জানিয়েছেন, রাত পৌনে ১২টা নাগাদ তিনি বাড়ির বারান্দায় বসেছিলেন। সেই সময় হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে বাড়ি। আগুনের ঝলকানি দেখতে পান। প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও তাঁর দাবি, পরে তিনি বুঝতে পারেন বাড়ি লক্ষ্য করেই বোমা মারা হয়েছে।কী কারণে হামলা? বিজেপি নেত্রী জানাচ্ছেন, তাঁর সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই। কারা, কেনই বা এই হামলা চালাল তা নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছেন তিনি। বৈশালী বলেন, “বড় দেওয়াল ও তারকাঁটায় আটকে গেল তাই। না থাকলে সোজা আমার জানলাতেই লাগত। আমি বারান্দায় বসেছিলাম। প্রচণ্ড আওয়াজ শুনতে পাই। হিন্দি সিনেমার দৃশ্যের মতো আগুনের ঝলকানি দেখতে পাই। কী কারণে এই হামলা বুঝতে পারছি না।” এছাড়াও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “আমি ও আমার ছেলে বিভিন্ন সময় গাড়িতে যাতায়াত করি। ওরা তো গাড়িতেও হামলা চালাতে পারত। তখন কী হত?” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Card image cap

রাজ্যসভার প্রার্থী শ্রমিক নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়

শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বের পর এবার প্রাক্তন সিপিএম নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। জহর  সরকারের বদলে রাজ্যসভার ওই আসনটিতে ঋতব্রতর নাম ঘোষণা করল দল। দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি পদে রয়েছেন ঋতব্রত। এদিন সোশাল মিডিয়ায় এই খবর জানিয়ে তাঁকে  শুভেচ্ছাবার্তা দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। পালটা সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ঋতব্রত জানান, নেত্রীর চরণে প্রণাম। আগামী ২০ ডিসেম্বর রাজ্যসভা নির্বাচন। বাংলায় একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তৃণমূল। মাস কয়েক আগে রাজ্যসভায় এই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রাক্তন আইএএস জহর সরকার। আর জি করের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি রাজ্য়সভার সাংসদ পদ ছাড়ার কথা জানান দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার পর দিল্লি গিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন।  সেই পদটি ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় গুঞ্জন চলছিল, জহর সরকারের জায়গায় কাকে পাঠানো হবে সংসদের উচ্চকক্ষে। শনিবার সেই জল্পনার অবসান ঘটল। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে ওই আসনের জন্য ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করল রাজ্যের শাসকদল। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মনে করছেন, ঋতব্রত এই পদের যোগ্য। নিজের দক্ষতা, যোগ্যতা আর পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন শ্রমিক নেতা। উল্লেখ্য, ঋতব্রত বন্দ্য়োপাধ্যায় বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁকে রাজ্য়সভায় পাঠিয়েছিল সিপিএম। কিন্তু দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের মতো গুরুতর অভিযোগে ২০১৭ সালে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ঋতব্রতর বিরুদ্ধে দলে তদন্তও হয়। সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হয়ে তৃণমূলে যোগ দেন ঋতব্রত। তাঁকে শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবার ফের রাজ্যসভায় পাঠানো হয়েছে তাঁকে। 

Card image cap

বাংলায় বসেই ইন্ডিয়া জোট চালাতে পারি: মমতা

ইন্ডিয়া জোট তিনিই তৈরি করেছিলেন। প্রয়োজনে বাংলায় বসেই তা চালনাও করতে পারেন। শুক্রবাসরীয় সন্ধ্যায় নিউজ ১৮ বাংলার সম্পাদক বিশ্ব মজুমদারকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনটাই জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে মোদির বিরুদ্ধে মমতাকেই প্রধান বিরোধী নেত্রী হিসাবে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা ক্রমেই উজ্জ্বল হয়েছে। এদিন ফের সেই প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন তিনি।এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া জোট সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান, ”আমি তো ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স তৈরি করে দিয়েছিলাম।” কিন্তু সেই জোট সেভাবে একজোট হতে পারছে না কেন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”রাখতে পারছে না তো আমি কী করব? আই অ্যাম নট লিডিং দ্যাট ফ্রন্ট। যারা লিডার, তাদের এটা দেখা উচিত। তবে আমার সঙ্গে সমস্ত আঞ্চলিক ও জাতীয় দলের যোগাযোগ রয়েছে। আই মেনটেন দ্য বেস্ট রিলেশন।”
সেক্ষেত্রে এই জোটের নেতৃত্বে কি তাঁকে দেখা যেতে পারে না? এমন প্রশ্নের জবাবে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ”যারে দেখতে নারি তার চলন ব্যাঁকা। আমাকে দেখতেই পারে না… তবে আমি দায়িত্ব পেলে এটুকু বলতে পারি… যদিও আমি তা চাই না। আমি বাংলার মাটি ছেড়ে কোথাও যেতে চাই না। এখানেই জন্মেছি, শেষ নিশ্বাস এখানেই ত্যাগ করব। কারণ বাংলাকে আমি এতটাই ভালোবাসি। কিন্তু এটুকু আমি মনে করি, এখানে বসেও আমি এটা চালিয়ে দিতে পারি।”প্রসঙ্গত, বাংলার উপনির্বাচনে ৬টির মধ্যে ৬টিতেই জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেখানে সদ্য মহারাষ্ট্রে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে কংগ্রেস। ১০২টি আসনে লড়ে হাত শিবির জয় পেয়েছে মাত্র ১৬টিতে। বিজেপির সঙ্গে সম্মুখ সমরে যেভাবে কংগ্রেস বার বার মুখ থুবড়ে পড়েছে, সেখানে ঘাসফুল শিবির ধাক্কা দিতে সমর্থ হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। ফলে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, মোদির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রধান বিরোধী নেত্রী হিসাবে ক্রমেই উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন। এই পরিস্থিতিতে এদিন মমতা পরিষ্কার জানালেন, বাংলার মাটি থেকে প্রয়োজনে বিজেপি-বিরোধী ইন্ডিয়া জোটকে তিনি নেতৃত্ব দিতেই পারেন।

Card image cap

বাংলাদেশ ইস্যুতে ফের সোচ্চার শুভেন্দু

বাংলাদেশের ইস্যু নিয়ে আরও সুর চড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। আবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অবরোধের ডাক দিলেন তিনি। এবার উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা সীমান্তে তিনি কর্মসূচির ডাক দিলেন। এছাড়া আরও একাধিক কর্মসূচির ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।বাংলাদেশে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে গ্রেপ্তার করে জেলবন্দি রাখা হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর আক্রমণ হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি যথেষ্ঠ উদ্বিগ্ন। সেই ইস্যুতে আরও একবার সরব শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার কলকাতার ধর্মতলায় সনাতনীদের সমাবেশ ছিল। হিন্দু নিপীড়নের প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয় রানি রাসমণি রোডে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসকেও প্রবল আক্রমণ করেন তিনি।এর আগে পেট্রাপোল সীমান্তে জমায়েত করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সন্ন্যাসীদের সঙ্গে নিয়ে পেট্রাপোল সীমান্ত অবরোধ করেন। এদিন শুভেন্দু বলেন, “একদিন শুধু পেট্রাপোল বন্ধ করেছিলাম। ৪০ গাড়ি পিঁয়াজ পচে গিয়েছে। একদিনেই হালুয়া টাইট। সাতদিন বন্ধ করলে ইউনুসের চামড়া তুলে নেবে বাংলাদেশের লোক। আর কিছু করতে হবে না।” আরও একবার সীমান্তে প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন তিনি।একাধিক কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। আগামী কাল, শুক্রবার রাজ্যের সর্বত্র শৌর্য দিবস পালন করার কথা জানানো হয়েছে। এছাড়াও শ্যামবাজার থেকে সিঁথির মোড় পর্যন্ত মিছিল করা হবে। মিছিলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিজেও উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার ঘোজাডাঙা সীমান্ত বন্ধের কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।

Card image cap

ধর্ষণ-খুনে মাত্র দুমাসেই দোষীর ফাঁসির রায় নজিরবিহীন, পুলিশকে ধন্যবাদ মমতার

জয়নগর খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ফাঁসির সাজা দিল নিম্ন আদালত। ৬২ দিনের মধ্যেই বিচার প্রক্রিয়া শেষ হল বারুইপুরের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন ফাস্ট ট্রাক কোর্টে। এবার সেই বিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে প্রতিক্রিয়া জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রাজ্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকা সকল ব্যক্তিকেও তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই ঘটনায় টুইট করেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।জয়নগর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনার তদন্তের জন্য সিট গঠন হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও বিচার চেয়েছিলেন। ঘটনার ৬১ দিনের মাথায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় মুস্তাকিন সর্দারকে। আজ শুক্রবার তাকে ফাঁসির সাজা শোনানো হল। আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের তদন্তে সিবিআই। চার মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনও বিচার মেলেনি। সেখানে জয়নগর কাণ্ডে রাজ্য পুলিশের সক্রিয়তা প্রশংসা কুড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, অক্টোবর মাসের চার তারিখে জয়নগরে এক নাবালিকা মেয়েকে নৃশংস ধর্ষণ ও খুন করা হয়। এই নৃশংস ঘটনার মাত্র ৬২ দিনের মধ্যে অভিযুক্তকে আজ বারুইপুরের পকসো আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। মাত্র দুই মাসের মধ্যে এমন একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া, রাষ্ট্রের ইতিহাসে নজিরবিহীন।মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, “এই অসামান্য কৃতিত্বের জন্য আমি রাজ্য পুলিশ এবং প্রসিকিউশন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সকলকে অভিনন্দন জানাই। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রতি সরকারের জিরো টলারেন্স রয়েছে। ন্যায়বিচার যাতে বিলম্বিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ঘটনায় টুইট করেছেন। অভিষেক লিখেছেন, “যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার হতে হবে দ্রুত ও কঠোর! আজ, বারুইপুরের পকসো আদালত জয়নগরে নাবালিকা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ৬২ দিনের মধ্যে অভূতপূর্ব রায় দিয়েছে।”পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সাংসদ। পুলিশ সুপার পলাশ ঢালীর নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছিল। তাদের অসাধারণ কাজের জন্য ২৫ দিনের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করা হয়। সেই কথাও উল্লেখ করেছেন অভিষেক। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে আরও লেখেন, পরবর্তী বড় পদক্ষেপ হল অপরাজিতা অ্যান্টি-রেপ বিলের দেশব্যাপী বাস্তবায়ন। কারণ, শক্তিশালী আইন এই ধরনের নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করার একমাত্র উপায়।

Card image cap

আরাবুল ইসলামের গাড়িতে লাঠি-উইকেট

আরাবুল ইসলামের গাড়িতে তল্লাশি পুলিশের। গাড়ির ডিকি খুলতেই বেরিয়ে পড়ল লাঠি, কোদালের বাট, উইকেট। গাড়িতে এই সব কী কারণে রাখা হয়েছে ? তাই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসাও হয় ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের। বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙড়ের বিডিও অফিস এলাকায় এই নিয়ে বচসা শুরু হয়। গতকাল বিধায়ক শওকত মোল্লার অনুগামীদের সঙ্গে আরাবুল ইসলামের লোকজনের বিবাদ দেখা যায়। তার পরদিনই এই লাঠি উদ্ধার করা হল। তাহলে কি ফের অশান্তির ছায়া ভাঙড় এলাকায় ? সেই প্রশ্ন উঠছে।এদিন সকালে আরাবুল ইসলাম পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে যান। পঞ্চায়েত সমিতির অফিস এলাকাতেই বিডিও অফিস। সেই কারণে ওই প্রশাসনিক চৌহদ্দির এলাকায় পুলিশ গাড়িতে তল্লাশি চালায়। অন্যান্য গাড়িরও তল্লাশি চালানো হয়। সেই হিসেবে আরাবুল ইসলামের গাড়িতেও তল্লাশি হয়। পুলিশ গাড়িতে তল্লাশি চালাতে শুরু করে। গাড়ির ডিকির ভিতর থেকে বেরিয়ে পড়ে  লাঠি, উইকেট, কোদালের বাট। পুলিশ সেই বিষয়ে প্রশ্ন করে আরাবুল ইসলামকে। বচসা বেঁধে যায় আরাবুল ইসলামের সঙ্গে পুলিশের।আরাবুল ইসলাম সদ্য জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। সেই সঙ্গে ভাঙড়ে আরাবুল ইসলাম অনুগামীরাও ফের অক্সিজেন পেয়েছেন। তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার অনুগামীদের সঙ্গে চাপা উত্তেজনা হতে দেখাও গিয়েছে। ফের অশান্তির আঁচ ভাঙড় এলাকায়? সেই কথাও চর্চায় উঠেছে। এবার আরাবুলের গাড়িতে মিলল এই লাঠি, উইকেট। কী কারণে ওই সব গাড়িতে রাখা হয়েছিল? সেই বিষয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

Card image cap

আদালতে আর্জি পার্থর

‘আমি কিছু করিনি, যা করেছে বোর্ড’, জামিন মামলার শুনানিতে বিস্ফোরক প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আইনজীবী দাবি করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নির্দোষ। দুর্নীতিতে তাঁর মক্কেলের ভূমিকা ছিল না। এর পরই কাতর কন্ঠে পার্থ প্রশ্ন করেন, “আর কতদিন আটকে থাকব?” এদিকে ফের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই।জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জামিন মামলার শুনানি ছিল। এদিন ভারচুয়ালি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে আদালতে পেশ করা হয়। জামিনের আর্জি জানিয়ে এদিন পার্থর আইনজীবী বলেন, “মন্ত্রী হিসেবে এই দুর্নীতির সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যুক্ত নন। তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না। নিয়োগের বিষয় পুরো দেখে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এস বসু রায় সংস্থার সঙ্গেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও যোগাযোগ ছিল না।” এর পরই তিনি বলেন, মক্কেলর বয়স ৭৩ বছর, তিনি অসুস্থ। যে কোনও শর্তে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।এদিন আদালতে পার্থ নিজে বলেন, “আমি নির্দোষ। আমি কিছুই করিনি। যা করেছে বোর্ড করেছে। আমাকে জামিন দিন। আমাকে বাঁচান…। ট্রায়াল শুরু হচ্ছে না। কত দিন আটকে থাকব?” এর পরই জামিনের বিরোধিতা করেছে সিবিআই। তাঁদের আইনজীবী বলেন, ১৫২ জন যোগ‍্য চাকরিপ্রার্থীর নাম তালিকাভুক্ত করা হয়নি। বিভিন্ন এজেন্ট মারফত টাকা তুলে ৭৫২ জন অযোগ‍্য প্রার্থীকে নিয়ে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। ৩১০ জন অযোগ্য চাকরি প্রার্থীর চাকরি সুনিশ্চিত করা হয়েছিল। আর এই তালিকা পার্থ নিজে পাঠিয়েছিলেন বলেই অভিযোগ। ফলে এই মুহূর্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন দিলে তদন্ত ব্যাহত হতে পারে বলেই দাবি সিবিআইয়ের।

Card image cap

জনতার জন্য ‘সেবাশ্রয়’ কর্মসূচি অভিষেকের

‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ কে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ফের নয়া কর্মসূচির সূচনা করলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।  জনতার স্বাস্থ্য পরিষেবায় তাঁর সংযোজন, ‘সেবাশ্রয়’ কর্মসূচি। যার আওতায় আগামী ৭৫ দিন ধরে ডায়মন্ড হারবারের ৭ বিধানসভা এলাকায় চলবে ২৮০০ স্বাস্থ্যশিবির। শনিবার আমতলায় ‘ডক্টরস কনভেনশন’ অনুষ্ঠানে নতুন কর্মসূচিকে ‘কর্মযজ্ঞ’ বলে উল্লেখ করলেন। জানালেন, টিম ওয়ার্কে বিশ্বাসী তিনি। সবাই মিলেই কাজ করলে সাফল্য বাঁধা।আগেই ঘোষণা করেছিলেন, ৩০ নভেম্বর তিনি চিকিৎসক সমাবেশের আয়োজন করছেন এবং সেখান থেকে সংসদীয় এলাকার মানুষজনের জন্য সহজে চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে। সেইমতো এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে সমাবেশে যোগ দেন প্রায় ১৩০০ চিকিৎসক। বিভিন্ন জেলা থেকে তাঁরা এসেছিলেন। আমতলা স্টেডিয়ামে অভিষেক তাঁদের সামনে রেখে রোগী ও চিকিৎসকদের মধ্যে সেতুবন্ধনে প্রয়াসী হন।জনগণের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার কথা বলতে গিয়ে অভিষেক ফের ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ প্রসঙ্গ তুললেন। বুঝিয়ে দিলেন, অনেকে এই মডেল নিয়ে কটাক্ষ করলেও কেন কোভিড কালে তা সত্যিই আদর্শ হয়ে উঠেছিল। তাঁর কথায়, এমন কাজ হয়েছিল করোনার সময় যে এটা দেখে শিক্ষা পেয়েছে গোটা দেশ। সেই কাজই আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চালু হচ্ছে সেবাশ্রয় কর্মসূচি। আগামী ৭৫ দিন ধরে চলবে স্বাস্থ্যশিবির। সেখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা করানোর পাশাপাশি একাধিক পরীক্ষাও করাতে পারবেন এলাকাবাসী। ১০০০ চিকিৎসক, ১৫০০ স্বেচ্ছাসেবক এর দায়িত্ব নিয়েছেন। প্রত্যেক বিধানসভায় এলাকায় অন্তত ৪০ টি ক্যাম্প হবে। ১২ টি হাসপাতাল এই কর্মযজ্ঞে অংশ নিতে আগ্রহী। অভিষেকের কথায়, ”আমি চাইলেই যে এই ব্যবস্থা হয়ে যেত তা নয়। সবাই মিলে এই কর্মসূচি আয়োজন করেছেন। আমি টিম ওয়ার্কে বিশ্বাস করি।”তাঁর কথায়, ”রোগী আর চিকিৎসকদের সম্পর্কের বন্ধন থাকা দরকার। অনেক সময় শুনতে পাই, চিকিৎসকরা অভিযোগ করেন যে রোগীর পরিবার তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। আমি বলছি, আমাদের মতো জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও অনেক সময় খারাপ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বলব, আপনারা তাঁদের কাছে যান, বোঝান। কথা বলুন। আপনাদের কোথাও কোনও অসুবিধা হলে আমি দেখব সেটা। আমি ইতিমধ্যে একটা হেল্পলাইন নম্বর চালু করতে বলেছি। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও খুলতে বলেছি। ১০ জনের একটা কোর টিম গড়ে দিয়েছি। সমস্যায় পড়লে আপনারা যোগাযোগ করুন, সাহায্য পাবেনই।”

Card image cap

বাংলাদেশ ইস্যুতে কড়া বার্তা দিলীপের

হিন্দু নির্যাতনকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাংলাদেশ। অশান্তির আঁচ পড়েছে কলকাতাতেও। এবার বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়ে ফুঁসে উঠলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। বললেন, “আমরা চাল, ডাল না পাঠালে তো খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।” অবিলম্বে পরিস্থিতি শান্ত না হলে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিলেন তিনি।ইসকনের সন্ন্যাসী তথা চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের প্রধান চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারি এবং তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা রুজু করা নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ। তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সে দেশে হিন্দুদের প্রতিবাদ যত বেড়েছে, ততই চরমে উঠেছে পুলিশ ও সেনার দমনপীড়ন। প্রতিবাদী মাত্রই আটক হচ্ছেন। বিশেষত টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে হিন্দুদের ধর্মস্থানগুলি। চিন্ময় প্রভুর পর সে দেশে একে একে ইসকনের তিন ভক্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন। সকলে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতিবেশী দেশের এই অবস্থায় কড়া অবস্থান নিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির তরফে একাধিকবার সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তায় ইউনুস সরকারকে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে এনিয়ে উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠক করেছেন।বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছে, এই ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশেই রয়েছে রাজ্য সরকার। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কড়া বার্তা দিয়েছেন। এবার সুর চড়ালেন দিলীপ ঘোষ। তিনি শনিবার বলেন, “আমরা যদি চাল, ডাল পাঠানো বন্ধ করে দিই তাহলে তো খেতে পাবে না। চিকিৎসা থেকে বিয়ের বাজার, সবকিছুর জন্যই ওদের কলকাতায় আসতে হয়। হিন্দুদের উপর নির্যাতন বন্ধ না হলে এবার সীমান্ত অবরোধ করে সব আটকে দেব। তখন দেখব, কত দম্ভ!” এর পরই তিনি বলেন, দুই দেশের সরকার সিদ্ধান্ত নেবে পরিস্থিতি কীভাবে আয়ত্তে আনা হবে তা নিয়ে। তবে এভাবে অত্যাচার চললে মুখ বুজে তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলেও সাফ জানালেন দিলীপ। উল্লেখ্য, হিন্দু নিপীড়ন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে শুক্রবার মহম্মদ ইউনুসের নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেওয়ার কথা বলেছিলেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

Card image cap

'ওয়াকফ বিল বিরোধিতায় নেতৃত্বে আমরাই’, বিধানসভায় বললেন মমতা

বিধানসভায় ওয়াকফ সংক্রান্ত আলোচনায় কেন্দ্রকে একের পর এক তিরে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা সাফ বলে দিলেন, ওয়াকফ সংক্রান্ত যে বিল কেন্দ্র এনেছে, সেটা রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই আনা হয়েছে। এটা ফেডারাল স্ট্রাকচারের বিরোধী। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, লোকসভায় ওয়াকফ বিরোধী প্রতিবাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে তৃণমূলই।রাজ্য বিধানসভায় ওয়াকফ বিল বিরোধী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওয়াকফ বিল নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা সরকার করেনি। কেন্দ্র যে আইন এনেছে তা লাগু হলে ওয়াকফ ব্যবস্থা ধ্বংস হবে। আমি মনে করি রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। কারণ রাজ্যেও ওয়াকফ সম্পত্তি আছে।” মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, “এই বিলের মাধ্যমে একটি ধর্ম কে নির্দিষ্ট করে টার্গেট করা হচ্ছে। এই বিল একটি ধর্মের বিরুদ্ধে। এটা সাম্যের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।”মুখ্যমন্ত্রী ওয়াকফ বিলের একাধিক ত্রুটি তুলে ধরেন। মমতা বলেন, “এই বিলটির মাধ্যমে ২৬ নম্বর ধারায় প্রদত্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার ও ১৪ নম্বর ধারায় সাম্যের অধিকার লঙ্ঘিত করা হয়েছে। এই কারণে আমরা এই বিলটির কঠোর প্রতিবাদ করছি। এই বিল এইভাবে নিয়ে এসে রাজ্য বিধানসভাকেও অপমান করা হয়েছে।” মমতা স্পষ্ট করে বলে দেন, বাংলায় বুলডোজার নীতি চলবে না। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “ওয়াকফ সম্পত্তিতে শুধু মুসলিমরা দান করে, তা নয়। অন্য সম্প্রদায়ের মানুষও দান করে। অনেক উন্নয়নের কাজ হয়। তাঁদের কি বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ করে দেওয়া হবে এই বিলে এনে?” আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, রাজ্যের ওয়াকফ সম্পত্তি কতটা দখলমুক্ত হয়েছে? জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট একটা অর্ডার দিয়েছে। বুলডোজার দিয়ে সম্পত্তি ভাঙা যাবে না। এখানে ওয়াকফ সম্পত্তি দখলমুক্ত করার জন্য বোর্ড নোটিস দিয়েছে ওয়াকফ আইনের আওতায়। ১৫৫ টা কেস হয়েছে। এইগুলো ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে।”ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আবার লোকসভায় তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা দেন তিনি। তিনি বলেন, “লোকসভায় এটা অনেকে বিরোধিতা করছে অনেকে সমর্থন করছে। সেখানে আমাদের যা সাংসদ সংখ্যা তারা যদি সবাই বিষয়টা তোলে।” সঙ্গে সঙ্গে মমতা বলে দেন, “লোকসভার বিষয় এটা যদিও। তবে কারা কোন দল এটা নিয়ে কী করছে, সেটা তাদের নিজের ইমোশোনের ব্যাপার। এটা নিয়ে তৃণমূল লিড করছে। এইটুকু বললাম। আমি বুলডোজার পাঠিয়ে কারও সম্পত্তি ভেঙে দিতে পারব না।”

Card image cap

বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশে থাকার বার্তা দিয়েও খোঁচা মমতার

বাংলাদেশ ইস্যুতে এবার কেন্দ্রকে খোঁচা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বললেন, “নির্দিষ্ট ধর্ম নিয়ে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি কেন্দ্রের।” তবে তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে কেন্দ্র যা সিদ্ধান্ত নেবে, রাজ্য তাতে পাশে থাকবে বলেই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, “একটা দেশকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত দেশই নিতে পারে।”বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধানসভায় বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশে থাকার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বিকেলে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ফের সেকথাই স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বললেন, ” আমরা শান্তির পক্ষে। আমি আবারও বলছি বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশ। এবিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা কেন্দ্র নেবে। প্রয়োজনে দুই দেশের সরকার কথা বলবে। কিন্তু এখানে রাজ্যের কোনও অবস্থানের বিষয় নেই।”তবে এখানেই শেষ নয়। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত তা জানিয়েও বিজেপি সরকারকে বিঁধতে ছাড়লেন না মমতা। এদিন তিনি বলেন, “আমাদের কেন্দ্র সরকারেরও একটা নির্দিষ্ট ধর্ম নিয়ে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। আমি সেসবে যাচ্ছি না। আমরা চাই সবাই একসঙ্গে মিলে মিশে থাকুন। মন্দির-মসজিদ-গির্জা সব থাকুক।” মমতার কথায়, ধর্ম নিয়ে হানাহানি না করে একসঙ্গে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকাটাই কাম্য।উল্লেখ্য, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার বেড়েছে। চলতি নভেম্বর মাসে তা লাগামছাড়া হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৫ নভেম্বর ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন চট্টগ্রামের এক মুসলিম ব্যবসায়ী। ইসকনকে ‘জঙ্গি সংগঠন’-এর তকমা দেন তিনি। যার পরই স্থানীয় হিন্দুদের বিক্ষোভে কার্যত রণক্ষেত্রের রূপ নেয় চট্টগ্রাম। সেই বিক্ষোভ দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এর মাঝেই ইসকন মন্দিরের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভু ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা আনা হয়েছে। খারিজ হয়েছে জামিন। যা নিয়ে হিন্দুদের বিক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশ। যার আঁচ এসে পড়েছে ভারতেও।

Card image cap

স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেবেন মুখ্যমন্ত্রী

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বহু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বিশেষত স্বাস্থ্যবিভাগের নিরাপত্তা এবং দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির। এনিয়ে আন্দোলনও কিছু কম হয়নি। রাজ্য সরকারও এই সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরে বহু রদবদল করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও বিরোধীদের প্রশ্নের শেষ নেই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিধানসভায় চলছে শীতকালীন অধিবেশন। আর বৃহস্পতিবার সেই অধিবেশন থেকে স্বাস্থ্যদপ্তরের সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেবেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। এমনই খবর বিধানসভা সূত্রে।সদ্যসমাপ্ত ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন হেমন্ত সোরেন। বৃহস্পতিবার তাঁর শপথ। তাতে আমন্ত্রিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিন তিনি যাবেন রাঁচি, হেমন্তের শপথে অংশ নিতে। সূত্রের খবর, ওইদিন প্রথমার্ধ্বে বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে তার পর রাঁচি যাওয়ার বিমান ধরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর জবাবের দিকে নজর বিরোধীদেরও। এছাড়া আগামী কয়েকদিন বিধানসভা অধিবেশনে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তার রূপরেখাও তৈরি হয়েছে।শুক্রবার কেন্দ্রীয় আবাস যোজনায় বঞ্চনা নিয়ে প্রস্তাবের উপর বিধানসভায় আলোচনা হবে। সোম ও মঙ্গল দুদিন কেন্দ্রের ওয়াকফ বিলের উপর আলোচনার কথা। আগেই ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। তবে ঠিক কোন কোন জায়গায় বিরোধিতা হবে, তা নিয়ে দুদিন ধরে আলোচনা হওয়ার কথা। বিরোধীদেরও অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিকে, সংসদ অধিবেশনেও ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনা হলে তৃণমূলের সংসদীয় কমিটি বিরোধিতা করবে বলে দলীয় স্তরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Card image cap

বড়মার মন্দিরে পুজো দিয়ে অর্জুনকে নিশানা মমতার!

বিজেপির হাত থেকে লোকসভা ভোটে বারাকপুর ছিনিয়ে নেওয়া, নৈহাটি উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় তৃণমূলের। জোড়া জয় নিয়ে এই মুহূর্তে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ঘাসফুল শিবির রীতিমতো উজ্জীবীত। আর এই আবহে মঙ্গলবার বড়মার মন্দিরে পুজো দিতে নৈহাটি গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলে মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। শোনালেন ৫ বছর আগেকার স্মৃতিকথা। কীভাবে তিনি নিজে পার্টি অফিসে বসে নৈহাটিবাসীকে অভয়বাণী দিয়েছিলেন, সেকথাও বললেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, ভাটপাড়া সংলগ্ন নৈহাটিতে পুজো দিয়ে আসলে অর্জুন সিংকেই নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আগেই বলেছিলেন, মঙ্গলবার বড়মার মন্দিরে পুজো দিতে যাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর আগমন বার্তা পেয়েই তড়িঘড়ি প্রস্তুত হয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। এদিন ডালায় শাড়ি, ফুল, মালা, মিষ্টি সব নিয়ে দুপুরে মন্দিরে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরোহিতরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে প্রতিমার সামনে নিয়ে যান। পুজো দেন। প্রণাম করে প্রসাদ গ্রহণ করে বেরিয়ে এসে জানান, এতদিন পর এখানে পুজো দিয়ে ভালো লাগছে। আগেই আসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আসা হয়ে ওঠেনি। এবার নৈহাটি উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের পর অবশেষে এলেন।এর পরই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এল অতীতে নৈহাটি এলাকার ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা। শোনালেন, কীভাবে বাম আমলের অস্থির সময় তিনি নিজে পার্টি অফিস খুলে বসে এলাকাবাসীকে অভয় দিয়েছিলেন। বললেন, ”আমাদের দলীয় কার্যালয় খুলতে হবে বলে আমি খুলিনি। আমি চেয়েছিলাম, আমাদের দেখে যাতে এলাকাবাসী আশ্বস্ত হন। তার আগে তো রাস্তায় কেউ বেরতে পারছিলেন না। আমি সবসময় চাই, এই বারাকপুর, নৈহাটি, ভাটপাড়া এলাকায় শান্তি বজায় থাকুক।” এর পর এলাকার উন্নয়নে একগুচ্ছ ঘোষণা করেন তিনি। উপনির্বাচনে জয়ের জন্য জনতাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”নৈহাটি ও ভাটপাড়া হাসপাতালে ওপিডি করা হবে। তাহলে আর এক্স রে বা অন্যান্য পরীক্ষা করতে অন্যত্র ছুটোছুটি করতে হবে না। বড়মার মন্দিরের কাছে একটি পুলিশ ফাঁড়ি হবে। এখানে যে ফেরিঘাট আছে, তার সংস্কারের কাজ হবে। ঘাটের নাম হবে বড়মার নামে। সাংসদ তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা
বরাদ্দ করা হল।” 

Card image cap

‘মৌলবাদী’ ইউনুসকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। একাধিক জেলায় পথে নেমে প্রতিবাদে শামিল সনাতন হিন্দু সমাজের প্রতিনিধি। তার রেশ আছড়ে পড়েছে এপার বাংলাতেও। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন বঙ্গের সনাতন হিন্দুরা। চিন্ময় প্রভুকে দ্রুত মুক্তির দাবি তুলে ইউনুস সরকারকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধের কথা বলেছেন তিনি। দিল্লির হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।সোমবার বাংলাদেশের নিপীড়িত হিন্দুদের প্রতিনিধি ইসকনের চিন্ময়কৃষ্ণ দাস প্রভুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঢাকায়। এই খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তেই সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে প্রতিবেশী দেশ। ঢাকা, চট্টগ্রাম-সহ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ‘সম্মিলিত সনাতনী জোটে’র নেতার গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেন হাজার হাজার মানুষ। অবিলম্বে চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবি জানান তাঁরা। এইসঙ্গে হাসিনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিচারের দাবি জানান হিন্দুরা। তাতে আহতের সংখ্যাও কম নয়।
এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু। ইউনুস সরকারকে ‘মৌলবাদী’ বলে তোপ দেগে তাঁর হুঁশিয়ারি, ”চিন্ময় প্রভু ওখানে সনাতন হিন্দু সমাজের সম্মানীয় প্রতিনিধি। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি লড়াই করছেন। তাঁকে দ্রুত না ছেড়ে দিলে আমরা সব পরিষেবা বন্ধ করে দেব। মনে রাখবেন, এখান থেকে কিন্তু সমস্ত পণ্য পৌঁছয় ওপার বাংলায়।” মঙ্গলবার এনিয়ে বিধানসভার বাইরে বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের হাতের পোস্টারে লেখা, ‘চিন্ময় মহাপ্রভুর নিঃশর্ত মুক্তি চাই।’ সুকান্ত মজুমদারের দাবি, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুন।

Card image cap

কর্মসমিতিতে বিমান-কল্যাণ-মালা-সহ ৫ নতুন মুখ

শেষ কালীঘাটের কর্মসমিতির বৈঠক। বেরিয়ে দলের তরফে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। জানান, উপনির্বাচনের ফলের জন্য রাজ্যবাসীকে মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এর পরই দলের কর্মসমিতির নতুন ৫ সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন চন্দ্রিমা। এছাড়া জানান, মোট তিনটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তাতে কারা থাকবেন, সেই তালিকাও প্রকাশ করেন তিনি। বৈঠকে সিদ্ধান্তর অনুযায়ী, নতুন মুখপাত্রদের নামও জানালেন চন্দ্রিমা। শৃঙ্খলারক্ষায় আরও কঠোর হল তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের তরফে তিনটি কমিটি গঠিত হল। সোমবার দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের অন্যতম মুখপাত্র চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানালেন, শৃঙ্খলারক্ষায় তিনটি কমিটি তৈরি করা হল। একটি সংসদীয়, একটি পরিষদীয় এবং দলীয় স্তরে। কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে তাঁকে শোকজ নোটিস দেওয়া হলে জবাব দিতেই হবে। অন্যথায় পর পর তিনটি শোকজ নোটিসে ওই সদস্যকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হবে।