CATEGORY politics:

Card image cap

কালীগঞ্জে কিস্তিমাত তৃণমূলের

১৭৫৭ সালে আজকের দিনেই এই কালীগঞ্জ ব্লকে হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ! আজ সেখানে অন্য যুদ্ধের উত্তেজনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ।  ৫০ হাজার ৪৯ ভোটে এগিয়ে কিস্তিমাত তৃণমূলেরই। ছাব্বিশের আগে অক্সিজেন পেল শাসক। কালীগঞ্জে কিস্তিমাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভোট গণনা শুরু হয়। গত ১৯ মে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেদিনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল সারাদিন।  এই কেন্দ্রে ৩০৯টি বুথ। ভোটগণনা কেন্দ্র দেবগ্রাম পানিঘাটা হাইস্কুলে দুটি রুমে ১৪টি টেবিলে ২২ রাউন্ডে এই গণনাপর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তেমনই ঘটেছে।কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে মোট ভোটার-- ২৫২৬৭০ জন; ১৯ জুন সেখানে ভোট পড়েছিল ৭৩.৩৬%! পুরুষ ভোটার ৯৫০৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৯০৩২৫ জন! তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার চারজন এর মধ্যে অবশ্য বড় ছন্দপতন ঘটেছে কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে  মৃত্যু ঘটেছে এক কিশোরীর। ঘটনায় গ্রেফতার ১।

প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৫৪৫, বিজেপি ১১১২, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ১৮৩০টি ভোট। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে কখনও রয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেইখ, কখনও বিজেপির আশিস ঘোষ। প্রথম রাউন্ডের শেষে ভোট গণনা হয়েছে ৭৫৯২টি। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন ৫৯.৮৭ শতাংশ ভোট। কাবিল উদ্দিন শেইখ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ২৪.১ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৬৫ শতাংশ। নোটায় পড়েছে ১০৫টি ভোট, শতাংশ হিসেবে যা ১.৩৮। দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃণমূল ৮৭২৫, বিজেপি ৪১৭৬ এবং বাম-কং জোট ৩২৮২। তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩৭৬১, বিজেপি ৬২৯৭, এবং বাম-কং জোট পেয়েছে ৫৩০১টি ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে ছবিটা এরকম: তৃণমূল কংগ্রেস ১৮১৭২, বিজেপি ৭৯৯১, এবং বাম-কং জোট ৭৪২৬। পঞ্চম রাউন্ডে তৃণমূল পেয়েছে ২৩ হাজার ৮৩২টি ভোট, বিজেপি ৯২০৬টি, বাম-কং জোট ৯৩৭০! ১৪৪৬২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। এটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বড় পরীক্ষা, ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ জায়গা, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছেও কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন যেন একটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল।

Card image cap

আরও অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যায় ভোগার ফলে গত ২০ জানুয়ারি তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে রাখা হল আইসিসিইউতে। সূত্রানুসারে এমনটাই জানা যাচ্ছে।সোমবার দুপুরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। জেলের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে পাঠানোর। সেদিনই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে পার্থর। কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও রয়েছে সমস্যা। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণেও গোলমাল হচ্ছে।গত বৃহস্পতিবারও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পার্থ। রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে খবর পাঠানো হয়। দ্রুত সেখানকার চিকিৎসকদের জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল।২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পার্থর বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। পরবর্তীতে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানান পার্থ। প্রতিবারই কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা। একাধিকবার জেলে অসুস্থও হয়ে পড়েন পার্থ। আদালতের নির্দেশে চলত রুটিন চেকআপও। এদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পার্থকে জামিন দিলেও সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিননা মেলায় জেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে।

Card image cap

বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে শোকজ তৃণমূলের

বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁকে শোকজ করল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শুক্রবার নবান্নে ডেকে তাঁর হাতে শোকজ লেটার দেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য ওই চিঠিতে উল্লেখ নেই। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেছেন বিধায়ক। আবেগের বশে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেছেন বলেই জানান তিনি।গত ডিসেম্বরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি যেন অন্য বিধানসভা এলাকায় নজর না দেন, তা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন। তবে তারপরেও লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। সম্প্রতি অশোকনগরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক ‘চটুল’ রসিকতা করতে থাকেন তিনি। দর্শকাসনে থাকা তরুণীদের উদ্দেশে নানা ধরনের কুকথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টা দলেরও কানে পৌঁছয়।তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেন। অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর আচরণ ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। এই আচরণ যে দল কোনওভাবেই অনুমোদন করে না, তা-ও সাফ জানিয়েছিলেন। জেলা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলেও জানান। তার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল নারায়ণ গোস্বামীর উপর।

Card image cap

মালদহে পৌঁছে মৃত কাউন্সিলরের স্ত্রীর পাশে মমতা

সোমবার বিকালে মালদহে নেমেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে গেলেন মৃত কাউন্সিলর দুলাল সরকারের বাড়ি। চৈতালী সরকারের সঙ্গে বেশ কিছু সময় কথা বললেন। এদিন বিকেলে চারটের কিছু আগে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় ওই বাড়ির সামনে এসে থামে। মুখ্যমন্ত্রী নেমে বাড়ির ভিতর ঢুকে যান। রাজনৈতিকভাবে এই ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।বিকেল সাড়ে চারটের পর মুখ্যমন্ত্রী মৃত কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। তিনি বলেন, “বাবলার অসম্পূর্ণ কাজ চৈতালী করবেন। বাবলা আমার চিরকালের পরিচিত। ও আমাদের একজন নিরলস কর্মী ছিলেন। এলাকায় মানুষের কাছেও পপুলার ছিলেন।”  মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, “মালদহের রাজনীতিটা আমি ঠিক বুঝি না। এমপি ইলেকশনও আপনারা দেখলেন, দুটো সিটেই আমরা হারলাম। ইংলিশবাজারে এমএলএ ইলেকশনেও হেরেছি। কিন্তু কাউন্সিলর ইলেকশন জিতে যাই। রহস্যটা কী?” এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি চৈতালীর সঙ্গে ডিটেলস আলোচনা করলাম। আপনারা দেখতে পারলেন আমার সঙ্গে কেউ আসেনি। আমি একা এসেছি। আমার সঙ্গে এসপি, আইবি এসেছেন।”  যে যতই বড় হোক না কেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাও জোরালোভাবে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  ২ জানুয়ারি মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল ওরফে বাবলা সরকার খুন হন। সেদিন সকালে নিজের কারখানায় যাচ্ছিলেন কাউন্সিলর। চার দুষ্কৃতী কাউন্সিলরকে ধাওয়া করে একাধিকবার গুলি চালায়। সেই খুনের পরেই মালদহের রাজনীতিতে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। ঘটনার কথা জানতে পেরে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলা পুলিশ সুপারকে ‘অপদার্থ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তারপর ঘটনার তদন্তে একাধিক তথ্য উঠে আসে।তৃণমূল নেতা খুনে পরবর্তীকালে গ্রেপ্তার হন জেলার তৃণমূলেরই অপর দুই নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মা। তাঁরা ঘটনার অন্যতম চক্রী বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এখনও অবধি ওই ঘটনায় মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দিন কয়েক আগে বিহারের পূর্ণিয়া থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন শার্প শুটার মহম্মদ আসরার। খুনের ঘটনার পর থেকেই দুলাল সরকারের স্ত্রী চৈতালী সরকার একাধিক মন্তব্য করেছিলেন। তিনি ঘটনার পিছনে চক্রান্তের কথাও বলেছিলেন। এদিন সেই চৈতালী সরকারের সঙ্গেই দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।এদিন চৈতালী সরকার বলেন, “আমার যা বলার আমি দিদিকে বলেছি। মুখ্যমন্ত্রী ধৈর্য ধরে শুনেছেন। আমি এদিনের অপেক্ষায় ছিলাম। দিদিকে অনেক ধন্যবাদ, আমার কথা শোনার জন্য। আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।” 

Card image cap

মাইনে চাইতে বিধানসভায় জ্যোতিপ্রিয়!

 ১৫ মাস পর বিধানসভায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু। বন্দি থাকাকালীন স্বাভাবিক নিয়মেই বন্ধ ছিল বিধায়কের বেতন ও ভাতা। জামিনে মুক্তি পেতেই বিধানসভায় বকেয়া বেতনের আর্জি জানালেন তিনি। তবে নিয়ম মেনে জমা দিতে হবে বেশ কিছু নথি।রেশন দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘদিন আগেই নাম জড়িয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। পরবর্তীতে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। ১৫ মাস জেলবন্দি থাকার পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। ফিরেছেন বাড়িতে। তারপরই সোমবার দুপুরে বিধানসভায় হাজির হলেন জ্যোতিপ্রিয়। জানা গিয়েছে, নিয়ম মেনে জামিনের নথি বিধানসভায় পেশ করতে হয়। সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতেই এদিন বিধানসভায় গেলেন হাবড়ার বিধায়ক।এদিন তিনি খোঁজ নেন অধিবেশনে যোগ দিতে কী করতে হবে, কীভাবে আবেদন করতে হবে, বকেয়া বেতন পেতে কী করতে হবে। জানা গিয়েছে, জেল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে আবেদন করতে হবে প্রাক্তন মন্ত্রীকে। তারপরই জেলের তরফে কোন মামলায় গ্রেপ্তার ও জামিন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে। তা জমা দিতে হবে বিধানসভায়। আইনি সেই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিয়ম মাফিক বিধানসভায় যোগ দিতে পারবেন না বালু। আগামিকাল জেলের আইনি সব কাগজ নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে যাবেন তিনি।

Card image cap

গুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে মালদহ যাচ্ছেন মমতা

উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মালদহে পৌঁছবেন। প্রশাসনিক স্তরে এই কথা জানার পরেই ব্যস্ততা শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের তরফেও জোর প্রস্তুতি চলছে।প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ জেলায় কর্মসূচি শেষ করে আগামী ২০ জানুয়ারি বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মালদহ যাবেন। পুরাতন মালদহের মহানন্দা ভবনে তিনি রাত্রিবাস করবেন। পরের দিন ২১ জানুয়ারি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। মালদহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে এই সরকারি অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তিনি বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করবেন বলেও খবর। এছাড়াও বেশ কিছু গ্রাহকদের হাতে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে বলে খবর।সভাস্থল তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। মাঠে ছাউনির পাশাপাশি সুবিশাল মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। মাঠের একটা অংশেই মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার নামবে। ফলে সেখানে হেলিপ্যাড তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। সেজন্য শনিবার হেলিকপ্টার মহড়াও হয়ে গেল। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখেন জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা। প্রস্তুতির কাজ খতিয়ে দেখতে যান ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, ইংরেজবাজার থানার আইসি সঞ্জয় ঘোষ-সহ প্রশাসনিক কর্তারা।কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা আধিকারিকদের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশ সব কিছু খতিয়ে দেখছে। পিডব্লুউডি-সহ অন্যান্য বিভাগরাও কাজ করছে।” মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে আসছেন, শোনার পরেই ব্যস্ততা বেড়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের। প্রচুর সংখ্যায় মানুষ যাতে উপস্থিত থাকেন সেদিন, সেজন্য প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকে কী বার্তা দেবেন, তারই অপেক্ষা মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। মালদহ সফরের পর আলিপুরদুয়ার জেলা যাবেন বলে খবর।

Card image cap

অসুস্থ জেলবন্দি পার্থ

আচমকা অসুস্থ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএমে জানানো হয়েছে। দ্রুত সেখানকার চিকিৎসকদের জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছে।২০২২ সালের ২২ জুলাই পার্থের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশির পর গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তিনি জড়িয়ে পড়েন বলেই অভিযোগ ওঠে। গ্রেপ্তার হওয়ার ১৩ মাস পর কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেন পার্থ। কিন্তু লাভ হয়নি। পরবর্তীতে গত অক্টোবরে জামিনের জন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। ইডির মামলায় ইতিমধ্যেই শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন পার্থ। কিন্তু শর্তপূরণ না হওয়ায় জামিনের নির্দেশ বলবৎ হয়নি।এদিকে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সাক্ষীদের বয়ান সংগ্রহ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ওই তালিকায় থাকা প্রথম সাক্ষী বয়ান দেন আদালতে। রুদ্ধদ্বার এজলাসে বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়। বৃহস্পতিবার ছিল দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ। পার্থ ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। আদালতে উপস্থিত ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আদালত কক্ষ থেকে বেরনোর সময় মামলা সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে দাঁড়ান। প্রায় মিনিট দশেক কথা হয়। সেই সময় অর্পিতাও চলে আসেন। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ কথা বলেন দুজনে। আদালত ছেড়ে বেরনোর সময় পার্থ অর্পিতাকে বলেন, “আসি, ভালো থেকো।” এরপর রাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন পার্থ। বুকে ব্য়থা অনুভব করেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় এসএসকেএমে। প্রসঙ্গত, প্রতিমাসেই নিয়ম মেনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়।

Card image cap

অর্পিতাকে পার্থ বললেন, ‘ভালো থেকো’

একজন সদ্য জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আরেকজন এখনও জেলবন্দি। এজলাসে একাধিকবার দেখা হয়েছে দুজনের। কখনও মিষ্টি হাসিও হেসেছেন একে-অপরে। এবার আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে কথা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। মামলা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা হয় তাঁদের। আদালত থেকে ফেরার পথে পার্থ বললেন, “আসি, ভালো থেকো।”প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সাক্ষীদের বয়ান সংগ্রহ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ওই তালিকায় থাকা প্রথম সাক্ষী বয়ান দেন আদালতে। রুদ্ধদ্বার এজলাসে বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়। বৃহস্পতিবার ছিল দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ। পার্থ ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। আদালতে উপস্থিত ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আদালত কক্ষ থেকে বেরনোর সময় মামলা সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে দাঁড়ান। প্রায় মিনিট দশেক কথা হয়। সেই সময় অর্পিতাও চলে আসেন। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ কথা বলেন দুজনে। আদালত ছেড়ে বেরনোর সময় পার্থ অর্পিতাকে বলেন, “আসি, ভালো থেকো।”এর আগে মঙ্গলবার আদালত কক্ষের বাইরে দেখা হয় পার্থ ও অর্পিতার। চোখাচোখি হয় দুজনের। মুখে হাসি পার্থর। পালটা সলজ্জ হাসি অর্পিতারও। ওইদিন আদালতের বাইরে বিচারপর্ব সংক্রান্ত বিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিচারব্যবস্থার উপর ভরসা আছে। সত্য একদিন সামনে আসবে।” উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ২০২২ সালের ২২ জুলাই, গ্রেপ্তার হন পার্থ ও অর্পিতা। তল্লাশি চালিয়ে অর্পিতার বাড়ি থেকে নগদ ৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। বর্তমানে জামিনে মুক্ত অর্পিতা। তবে ইডির মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ। তবে এখনও জেলবন্দি তিনি।

Card image cap

স্যালাইন কাণ্ডে স্বাস্থ্যভবন অভিযান শুভেন্দুর

স্যালাইন কাণ্ডে সল্টলেক স্বাস্থ্যভবন অভিযান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তারিও দাবিও তোলা হয়েছে। শুভেন্দুর এই স্বাস্থ্যভবন যাওয়াকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ায় প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। আরও চার প্রসূতি গুরুতর অসুস্থ। ওই স্যালাইনের কারণেই এই ঘটনা বলে দাবি তুলেছে তাঁদের পরিবার। ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। রাজ্য সরকারের নির্দেশের পর সিআইডি তদন্তও শুরু করেছে।আজ বুধবার সল্টলেক স্বাস্থ্যভবনে স্যালাইন ইস্যুতে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতাদের। বিধাননগর পুলিশের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ভবনের কয়েকশো মিটার দূরেই ব্যারিকেট করে রাখা হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী ভিতরে ঢুকতে গেলে বাধা পান। কেন তাঁকে স্বাস্থ্যভবনে ঢুকতে দেওয়া হবে না? সেই প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। বেশ কিছু সময় স্বাস্থ্যভবনের অদূরে দাঁড়িয়ে থাকেন বিরোধী দলনেতা। পরে বাধা সরিয়ে স্বাস্থ্যভবনের ভিতর তাঁকে যেতে দেওয়া হয়। সেখানে তিনি আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন।পরে শুভেন্দু দাবি করেন, প্রমাণ লোপাটের জন্যই স্যালাইন-কাণ্ডে সিআইডি তদন্ত দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এই ঘটনায় ইস্তফা দিতে হবে। তাঁকে গ্রেপ্তারেরও দাবি তোলেন তিনি। স্বাস্থ্যভবন অভিযান শেষে বিকেলে, বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার হাজির হন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের নামে এফআইআর দায়ের করেন রানাঘাট উত্তর-পূর্বের বিজেপির বিধায়ক অসীম বিশ্বাস।করতে গিয়েছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “মেদিনীপুরে প্রসূতির মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, নিন্দনীয় ঘটনা। যদি স্যালাইনে কোথাও কোনও গণ্ডগোল থাকে, কীভাবে এল, কেন থেকে এল? তদন্ত, ব্যবস্থা, যা যা হওয়ার হোক। পাশাপাশি একটা বড় গাফিলতি ওখানে পাওয়া যাচ্ছে।”
এদিন কুণাল ঘোষ আরও বলেন, “যে সিনিয়র ডাক্তারদের ওটি করার কথা, সেই চারজন সিনিয়র ছিলেন না।  কাঁচা হাতে করা হয়েছে। যে ওটিগুলো ৪০-৪৫ মিনিটে হয়ে যায়, প্রায় দুই আড়াই ঘণ্টা ওপেন করে রাখা হয়েছে৷ তদন্তে এসব কিছু বিষয়ই আসবে।”

Card image cap

১৪ মাস পর জেলমুক্ত জ্যোতিপ্রিয়

১৪ মাস পর জেলমুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বুধবার রেশন দুর্নীতি মামলায় তাঁকে জামিন দিয়েছে বিশেষ ইডি আদালত। এরপর আইনি প্রক্রিয়া মিটিয়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেলের বাইরে এলেন বালু। তবে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জামিন পাওয়ার খবর পেয়েই প্রেসিডেন্সি জেলের বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন তাঁর অনুগামীরা। এসেছিলেন মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিকও। জামিনের আইনি প্রক্রিয়া মিটিয়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ জেল থেকে বের হন বালু। পরতে সবুজ পাঞ্জাবা, সাদা পাজামা ও মাথায় কালো টুপি। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক জেলের বাইরে কারোর সঙ্গে কথা বলেননি জ্যোতিপ্রিয়। নিজের আইনজীবী ও মেয়ের সঙ্গে বাড়ির পথে রওনা দেন।সল্টলেকে বালুর বাড়ির বাইরেও অনুগামীরা ভিড় জমিয়েছিলেন। তাঁদের হাতে ছিল মালা। তবে বাড়ির সামনে নেমেও কারোর সঙ্গে কথা বলেননি। সোজা বাড়িতে ঢুকে যান। উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রেশন দুর্নীতি মামলায় একের পর এক অভিযুক্ত বাকিবুর রহমান, শঙ্কর আঢ্যরা আগেই জামিন পেয়েছেন। একা জ্যোতিপ্রিয়ই ছিলেন জেলে। আদালতে বালুর আইনজীবী বাকিবুর-শঙ্করের জামিনকে হাতিয়ার করে তাঁর মক্কেলের মুক্তির পক্ষে সওয়াল করেছেন। আজ জামিন পেলেন জ্যোতিপ্রিয়।তবে এই জামিন শর্তসাপেক্ষ। জেলমুক্তির পরও কয়েকটি বিষয় তাঁকে মেনে চলতে হবে।
তদন্তকারী আধিকারিকদের সহযোগিতা করতে হবে।
বিচারপ্রক্রিয়ায় নিয়মিত উপস্থিত থাকতে হবে।
সাক্ষীদের প্রভাবিত করা চলবে না।
পাসপোর্ট-ভিসা জমা রাখতে হবে।
আদালতের অনুমতি ছাড়া রাজ্যের বাইরে যেতে পারবেন না।

Card image cap

জেলে বসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা পার্থর!

জেলে বসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত কথা বলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার সরাসরি তা নিয়ে প্রশ্ন করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। জবাবে তিনি বললেন, “পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায়!”সম্প্রতি জেলের পরিকাঠামো নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দাবি করেছিলেন, জেলে বসেই অপরাধীরা অপরাধ জগতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। সেই সময়ই শুভেন্দু বলেছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নাকি জেলে বসেই নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন, কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সেই কারণেই নাকি পার্থ জেলে বসেও পছন্দের খাবার পান বলে দাবি করেন তিনি। মঙ্গলবার এই নিয়েই প্রশ্ন করা হয় পার্থ চট্টোাধ্যায়কে। অভিযোগ রীতিমতো ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২২ জুলাই পার্থের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশির পর গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তিনি জড়িয়ে পড়েন বলেই অভিযোগ ওঠে। গ্রেপ্তার হওয়ার ১৩ মাস পর কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেন পার্থ। কিন্তু লাভ হয়নি। পরবর্তীতে গত অক্টোবরে জামিনের জন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। ইডির মামলায় ইতিমধ্যেই শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন পার্থ। কিন্তু শর্তপূরণ না হওয়ায় জামিনের নির্দেশ বলবৎ হয়নি। 

Card image cap

তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড শান্তনু সেন, আরাবুল ইসলাম

তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হল চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন। দ্বিতীয়বারের জন্য সাসপেন্ডেড ‘তাজা নেতা’ আরাবুল ইসলাম।  দলের তরফে শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগেই দুজনের বিরুদ্ধে এত কড়া পদক্ষেপ করা হল।শুক্রবার বিকেলে আচমকাই দলের দুই পুরনো নেতার সাসপেনশনের খবর প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, দলবিরোধী কাজের অভিযোগে ভাঙড়ের আরাবুল ইসলাম এবং চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেনকে সাসপেনশনের পথে হেঁটেছে শাসকদল। এর আগেও আরাবুলকে দল সাসপেন্ড করেছিল ৬ বছরের জন্য। পরে তা প্রত্যাহার করে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। গত পঞ্চায়েত ভোটে আরাবুল জয়ী হয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও হন। তবে সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার চাপা দ্বন্দ্ব চলছিল। তা মাঝেমাঝে প্রকাশ্যেও আসে। এই বিষয়টিকে দল মোটেও ভালো চোখে দেখেনি। আগেও বারবার দলনেত্রী সতর্ক করেছিলেন, দলে কোনওরকম দ্বন্দ্ব একেবারেই মেনে নেওয়া হবে না। সকলকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। তা সত্ত্বেও আরাবুল-শওকত দ্বন্দ্ব এড়ায়নি।  এরপরই আরাবুলকে সাসপেনশনের পথে হাঁটল শাসকদল।অন্যদিকে, দলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন মুখপাত্র ডাঃ শান্তনু সেনকে নিয়েও দলের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছিল। আর জি কর কাণ্ডের সময়ে তাঁর  ভূমিকাকে ভালো চোখে দেখেনি তৃণমূল। এতদিন যে হাসপাতালের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন, সেই আর জি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দলের মুখপাত্র হিসেবেও বাদ পড়েন শান্তনু সেন। আর এবার শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করল দল। দলের এই সিদ্ধান্ত জানার পরই কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন শান্তনু সেন। অভিযোগ, দলকে ভুল বোঝানো হয়েছে তাঁকে নিয়ে। আর জি কর কাণ্ডের পর সন্দীপ-বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। সেই কারণেই কি কোপে পড়তে হল? প্রশ্ন তাঁরও।  চব্বিশের লোকসভা ভোটের পর দলের বৈঠক ডেকে তৃণমূল নেত্রী সতর্ক করে দিয়েছিলেন, দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতেই হবে। কারও বিরুদ্ধে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ উঠলে শোকজ করা হবে। তিনবার শোকজ  চিঠির ঠিকঠাক উত্তর না পেলে ওই ব্যক্তিকে বহিষ্কারের পথে হাঁটবে দল। সে তিনি দলের যত বড় ব্যক্তিত্বই হোন না কেন, একইরকম শাস্তি পেতে হবে। 

Card image cap

ভবানীভবনে সিআইডির মুখোমুখি অর্জুন সিং

ভাটপাড়া পুরসভায় চেয়ারম্যান রিলিফ ফান্ডের টাকায় বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে! সেই মামলায় এবার রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সদর দপ্তর ভবানীভবনে তলব করা হয়েছে বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা তৎকালীন পুরসভার চেয়ারম্যান অর্জুন সিং-কে। গোয়েন্দা তলবের পরই আজ, বৃহস্পতিবার তদন্তকারীদের মুখোমুখি হবেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। এদিন সকালে জগদ্দলের নিজের বাসভবন থেকে ভবানীভবনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি।প্রসঙ্গত, একাধিক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অর্জুন সিং ও তাঁর ছেলে ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিংকে বারবার পুলিশি নোটিস পাঠানো হচ্ছে। সূত্রের খবর, ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন চেয়ারম্যান রিলিফ ফান্ডের টাকা ব্যক্তিগত কাজে লাগানো হয়েছে, এই অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার ভবানীভবনে ডাকা হয়েছে তাঁকে। ইতিপূর্বে একাধিক তলব এড়িয়েছেন তিনি।সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ তদন্তকারীদের মুখোমুখি হচ্ছেন সময় প্রাক্তন সংসাদ অর্জুন সিং। ভবানীভবনে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে বারংবার আমাকে পুলিশ দিয়ে হেনস্তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। চেয়ারম্যান রিলিফ ফান্ডের টাকা থেকে অনেক সময় গরিব মানুষের সাহায্য করা হয়েছে। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যখন কর্মীদের বেতন দিতে পারতেন না, চেয়ারম্যান রিলিফ ফান্ড থেকে মাইনে দেওয়া হয়েছে। বারবার ভবানী ভবনে ডেকে গাড়ির তেল, আমার সময় নষ্ট করছে এরা। এবার সুপ্রিম কোর্টে যেতে হতে পারে।”

Card image cap

অর্জুন সিংকে তলব পুলিশের

পুরনো একটি মামলায় ফের বারাকপুরের প্রাক্তন ‘বাহুবলী’ সাংসদ অর্জুন সিংকে তলব করল বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। বুধবারই তাঁকে গোয়েন্দা দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে বলে নির্দেশ নোটিসে। তদন্তে সহযোগিতায় রাজি অর্জুন সিংও। মঙ্গলবার নোটিস পেয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, বুধবার কমিশনারেটের গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হবেন। তবে গোটা বিষয়টিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলেই ব্যাখ্যা দিলেন অর্জুন সিং। এদিন তাঁর ছেলে, ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিংকে অন্য একটি মামলায় নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাঁকেও হাজিরা দিতে হবে বুধবার।রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) বিরুদ্ধে। সেই সংক্রান্ত মামলায় অর্জুনকে বুধবার বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর বক্তব্য,  “২০১৮সালের ঘটনা। বাড়িটি সিসি পেয়েছে। তারপরেও মামলা, ভাবুন! আসলে ভয় পেয়েছে, তাই আমাকেও ভয় দেখাবে ভাবছে। বুধবার বেলা ১২টায় ডেকেছে। যাওয়ার ইচ্ছে আছে। কিন্তু, এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি।” এর আগেও একাধিকবার ভবানী ভবন ও বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দপ্তরের তরফে প্রাক্তন সংসদ অর্জুন সিংকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ভবানী ভবনে হাজিরা দিলেও আইনি রক্ষাকবচের জেরে অর্জুন সিংকে বরাবরই তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে হয়নি। অন্যদিকে, ভাটপাড়ার বিজেপি বিধায়ক অর্জুনপুত্র পবন সিংকেও অন্য মামলায় তলব করা হয়েছে। তাঁকেও বুধবার হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তকারীরা।  এনিয়ে পবন সিংয়ের অভিযোগ, ”অর্জুন সিংয়ের ছেলে বলেই রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে পুলিশ এসব করছে। হয়তো আমাকেও মিথ্যেভাবে জেলে যেতে হতে পারে। আমি সবদিক থেকে প্রস্তুত। আমি ভবানী ভবনে হাজিরা দেব।” অর্জুন-পবনের বক্তব্যকে কটাক্ষ করে ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলছেন, ”ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন অর্জুন সিং যা যা দুর্নীতি করেছেন, সেইগুলো সব সামনে আসছে। উনি মিথ্যে যুক্তি খাঁড়া করে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। তদন্ত কোন পথে যাবে সেটা তদন্তকারীদের দেখার বিষয়।”

Card image cap

মানিকের চিকিৎসার বিল জমা বিধানসভায়!

ফের বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়কের চিকিৎসার বিল জমা দেওয়া ঘিরে বিতর্ক! এবার স্ক্যানারে পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। অভিযোগ, তিনি নাকি জেলে থাকাকালীন চিকিৎসা সংক্রান্ত বিলও বিধানসভায় জমা করেছেন। এবিষয়ে পরামর্শ নিতে আইনজ্ঞদের ডাকা হয়েছিল বিধানসভায়। এমনকী, প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকেও ডেকেছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিষয়টা কী?
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। তারপর থেকে দীর্ঘসময় তিনি জেলবন্দি। সদ্য জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তারপরই বিধানসভার টিএ-ডিএ সেকশনে জমা দিয়েছেন চিকিৎসা সংক্রান্ত একাধিক বিল। আর সেই বিল নিয়েই ধোঁয়াশা বেড়েছে। অভিযোগ, জেলে থাকাকালীন চিকিৎসার বিলও বিধানসভায় জমা পড়েছে। বিলগুলি খতিয়ে দেখার পরই প্রশ্ন ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে বিধানসভার সচিবালয়ে বিষয়টি জানানো হয়। তারপর তার গুরুত্ব বিবেচনা করে তা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো হয়। বিলটি খতিয়ে দেখার পর স্পিকার ডেকে পাঠান প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে। সোমবার সুপার দেখাও করেন।নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণত বিধায়করা তাঁর নিজস্ব কিংবা স্ত্রীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাসপাতালের বিল বিধানসভায় জমা দেওয়ার সুযোগ পান। সেই টাকা তাঁরা ফেরতও পান। বহু বিধায়কের জটিল রোগের চিকিৎসার খরচ বহন করেছে বিধানসভা। মেডিক্যাল বিলের ক্ষেত্রে কোনও ঊর্ধ্বসীমা থাকে না। শুধুমাত্র চশমার ক্ষেত্রে খরচের উর্ধ্বসীমা বাঁধা রয়েছে ৫ হাজার টাকা। তবে জেলে থাকাকালীন বন্দির চিকিৎসার দায়িত্ব জেল কর্তৃপক্ষের। দায় অন্য কারও নয়। সেই বিল বিধানসভায় কেন জমা পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে অন্য একটি সূত্র বলছে, পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের জেলযাত্রার আগে কোনও রোগ থাকলে, যদি ধারাবাহিকভাবে সেই চিকিৎসা চলতে থাকে এবং জেলে যাওয়ার পরেও বাইরে থেকে তাঁর সেই চিকিৎসা বা ওষুধের বন্দোবস্ত পরিবারকে করতে হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে বিধানসভায় মেডিক্যাল বিলও জমা দিতেই পারেন বিধায়ক।

Card image cap

দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে বচসা অভিজিৎ-বাবুলের

একেবারে হাইওয়ের মাঝে গাড়ি থামিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়ালেন  বিজেপি সাংসদ ও তৃণমূল বিধায়ক। গাড়ির গতি নিয়ে ঝামেলার জেরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর গাড়ি থামিয়ে বচসা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়  ও বাবুল সুপ্রিয়। অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে লক্ষ্য করে অনর্গল কুকথা বলতে থাকেন সাংসদ। তার প্রতিবাদ করে বাবুল তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলেন। কিন্তু অভিজিৎবাবু তাতে নারাজ। ফলে অশান্তি আরও চরম আকার নেয়। খবর পেয়ে হাওড়া সিটি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর হয়। তবে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মতো জায়গায় এভাবে দুই ভিভিআইপি-র গাড়ি থেমে যাওয়ায় যাানজট তৈরি হয়। ঘটনা ঠিক কী ঘটেছে? যার জেরে দুই যুযুধান শিবিরের দুই জনপ্রতিনিধি এভাবে রাস্তার উপর বচসায় জড়িয়ে পড়লেন? জানা যাচ্ছে, প্রচণ্ড গতিতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ঘড়িতে তখন ৯টা পেরিয়ে। একই সময়ে সেখান দিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। অভিজিৎবাবুর গাড়ির গতি নিয়ে আপত্তি করেন বাবুল। অভিযোগ, তা শুনেই তাঁকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করে বসেন বিজেপি সাংসদ। আরও অভিযোগ, বাবুলের গাড়িকে ওভারটেক করার জন‌্য রীতিমতো একপাশে চেপে দিতে চাইছে ওই গাড়িটি। প্রথমে না বুঝতে পারলেও পরে বিষয়টি বোঝামাত্র বাবুল সেই গাড়িটিকে থামান ব্রিজের উপর। নীলবাতি লাগানো সেই গাড়ি থামিয়ে চালককে প্রশ্ন করার সময়ই বাবুল দেখেন, পিছনের আসনে বসে রয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ‌্যায়।চালককে বাবুল এত দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণ জিজ্ঞাসা করেন। অভিযোগ, সেসময়ই আচমকা পিছন থেকে কুৎসিত ভাষায় তাঁকে আক্রমণ শুরু করেন অভিজিৎ। বাবুল তাঁকে বুঝিয়ে বলেন, বিপজ্জনক গতিতে তাঁর গাড়ি চলছে। এর ফলে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ট্রাফিকের যে স্পিড লিমিট রয়েছে, তা মানছেন না অভিজিৎ। সেইসঙ্গে নিয়ম না মেনে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ‌্যায় নীল রঙের আলো ব‌্যবহার করছেন, যা তিনি কখনওই করতে পারেন না। এসব শুনেই খেপে যান অভিজিৎবাবু। রীতিমতো অকথ্য ভাষা ব‌্যবহার করেন বলে অভিযোগ।বাবুল ও অভিজিতের এই তর্কাতর্কির সময়ে দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের উপর লোকজন জড়ো হয়ে যায়। খবর পেতেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট ও কর্মীরা। বাবুল সাফ জানান, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ‌্যায় ক্ষমা না চাইলে তাঁকে যেতে দেওয়া হবে না। এরপরই অভিজিৎ তাঁর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ‌্য করে বলতে থাকেন, ‘‘বাবুলকে এখনই গ্রেপ্তার কর।’’ বাবুল তার প্রতিবাদ করে বলেন যে, এভাবে কখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় না। আর উনি কোন এক্তিয়ারে এই কথা বলছেন? উনি কোনও বিচারপতিও এখন নন। ফলে এই ধরনের নির্দেশ অত‌্যন্ত আপত্তিজনক। উত্তেজনা একটা সময় চরমে ওঠে। শেষ পর্যন্ত বাধ‌্য হয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে রণে ভঙ্গ দেন অভিজিৎবাবু। বাবুল পরে বলেন, ‘‘উনি নিয়ম ভাঙছেন। আবার তার প্রতিবাদ করলে জঘন‌্য ভাষায় কথা বলছেন। তবে শেষ পর্যন্ত উনি ক্ষমা চাইতে বাধ‌্য হয়েছেন।’’

Card image cap

কাটমানি ইস্যুতে কড়া হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

চলতি বছর সংবাদ শিরোনাম দখল করেছিল সন্দেশখালি । নেপথ্যে ছিলেন ‘সন্দেশখালির বাঘ’ শেখ শাহজাহান। সেই পরিস্থিতি আজ অতীত। আপাতদৃষ্টিতে শান্ত সন্দেশখালিতে প্রায় ১ বছর পর পা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মঞ্চে দাঁড়িয়েই কার্যত রণংদেহি মেজাজে ধরা দিলেন মমতা। বর্তমানে রাজ্য জুড়ে যেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কাটমানি ইস্যু, সেই প্রসঙ্গে নেত্রীর কড়া জবাব, সরকারি প্রকল্পের জন্য যদি কোনও নেতা আপনাদের কাছে টাকা চান, তাঁদের টাকা দেবেন না।’

শনিবার থেকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে। যখন বাড়ির জন্য সার্ভের কাজ শুরু হয়েছিল, তখন প্রায়শই সামনে এসেছে কাটমানির প্রসঙ্গ। এই বিষয়ে বার বার নাম জড়িয়েছে তৃণমূল নেতাদের। এই প্রসঙ্গ টেনেই এদিন সন্দেশখালি থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, ‘সরকারের প্রকল্প সাধারণ মানুষের জন্য। এটা আপনাদের হকের। কেউ যদি বলে সরকারি প্রকল্পের সুবিধে পেতে গেল টাকা দিতে হবে, তাঁদের স্পষ্ট জানান দেব না।’

এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, ‘মেয়ে-মহিলা-বোনেদের বলছি, কেউ যখন তখন ডাকলে যাবেন না। সকলে মিলেমিশে থাকবেন। দুষ্টু লোকের খপ্পরে পড়বেন না।’

Card image cap

পাসপোর্ট জালিয়াতি নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা কুণালের

বাংলাদেশে অশান্তির আবহে পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগ উঠছে বারবার। গ্রেপ্তার হয়েছেন অনেকে। এই চক্রের দৌরাত্ম্য নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এরই মাঝে গোটা ঘটনার জন্য কেন্দ্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বললেন, “সীমান্ত থেকে ঢুকছে কীভাবে? সীমান্ত সুরক্ষিত রাখা শাহের দায়িত্ব।”হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে উত্তাল বাংলাদেশ। মৌলবাদীদের নির্যাতনে বিপন্ন হিন্দুরা। সকলেই চেষ্টা করছেন কোনওক্রমে ভারতে প্রবেশের। এদিকে সীমান্তগুলোতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এই পরিস্থিতিতে হদিশ মিলেছে জাল পাসপোর্ট চক্রের। জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। জাল পাসপোর্ট নিয়ে আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে কলকাতা পুলিশ। প্রকাশ্যে এসেছে, ভেরিফিকেশনের সময় পুলিশি গাফিলতির একাধিক উদাহরণ। অথচ পাসপোর্ট সংক্রান্ত নথি যাচাইয়ের দায়িত্ব পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের। সেক্ষেত্রে একাধিক ফাঁক রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্য় পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের। বিষয়টি নিয়ে বিদেশ মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে রাজ্য পুলিশ।এই পরিস্থিতিতে পাসপোর্ট জালিয়াতি ও অনুপ্রবেশের দায় আবারও কেন্দ্রের কাঁধেই ঠেললেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বললেন, “পাসপোর্ট জালিয়াতি আর সীমান্ত পারাপার এমনভাবে দেখানো হচ্ছে যে বিষয়টা নতুন। এগুলো যুগ যুগ ধরে হয়ে এসেছে। বাম আমলেও হয়েছে। এই যে চক্র কাজ করছে তারা ২০২৪ সালে হঠাৎ শুরু করেছে, এসব ভাবা ভুল। মূল প্রশ্ন হল ঢুকছে কী করে সীমান্ত দিয়ে? সীমান্ত অরক্ষিত রাখা তো শাহের দায়িত্ব।”