CATEGORY politics:

Card image cap

এই প্রথম জোড়াফুল ফুটল মাদারিহাটে!

‘উত্তাপহীন’ উপনির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের নজর ছিল মাদারিহাট কেন্দ্রে। কারণ, ছয় বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে একমাত্র এই কেন্দ্রটিই ছিল বিজেপির দখলে। ‘বার্লা’ কাঁটা উপরে এখানে ফের পদ্ম ফোটে না কি উন্নয়নে ভর কর সবুজ ঝড় ওঠে, সেদিকে নজর ছিল সকলের। কিন্তু ভোটবাক্স খুলতেই বোঝা গেল প্রার্থী নির্বাচনের ‘গেঁরো’ আর ‘বার্লা কাঁটা’য় বিদ্ধ পদ্ম। বাংলার নির্বাচনী রাজনীতির ইতিহাসে প্রথমবার মাদারিহাট বিধানসভাটি জিতে নিল তৃণমূল।চা বলয়ে গোটা বীরপাড়া-মাদারিহাট ব্লক ছাড়াও জলপাইগুড়ি জেলার সাকোয়াঝোরা ও বিন্নাগুড়ি – এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত মাদারিহাট বিধানসভার অন্তর্ভূক্ত। এর আওতায় রয়েছে টোটোপাড়াও। ২০১৪ সালের প্রবল ‘মোদি ঝড়ে’ও লোকসভা ভোটে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রটি জিতেছিল তৃণমূল। তবে মাদারিহাট বিধানসভায় এগিয়ে ছিল বিজেপি। সেই ট্রেন্ড ধরে রেখেই ২০১৬-র বিধানসভাটি জিতে নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। এর পর ২০১৯-এর লোকসভা, ২০২১-এর বিধানসভা এমনকী, ২০২৪ সালের লোকসভাতেও এখানে পদ্ম ফুটেছে। কিন্তু এবার বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে ভিন্ন সুর ছিল এই চা বলয়ে।চব্বিশের লোকসভা ভোটের সময় থেকে বিজেপির মাথাব্যথা বাড়িয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা। তবু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে লোকসভা ভোটে জয় এসেছিল। কিন্তু উপনির্বাচনের আগে থেকেই ‘বেসুরো’ ছিলেন তিনি। বার বার তোপ দেগেছেন দলের বিরুদ্ধেই। বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে দেখা যায়নি জন বার্লাকে। এমনকী, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গেও তাঁকে ওঠাবসা করতে দেখা গিয়েছিল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, বার্লা তলায়-তলায় ঘাসফুল শিবিরকে সাহায্য করেছেন। শুধু ‘বার্লা ফ্যাক্টর’ নয়, বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়েছে প্রার্থী বাছাইও। উপনির্বাচনের লড়াইয়ে মাঠে নামিয়েছিল ভূমিপুত্র রাহুল লোহারকে। বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহারের বাবা তারকেশ্বর লোহার সিটু নেতা ছিলেন। বীরপাড়ার দলগাঁও চাবাগানের এই সিটু নেতার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের অত্যাচার করার অভিযোগ ছিল। ২০০৩ সালের ৬ নভেম্বর ক্ষুব্ধ চাবাগানের শ্রমিকরা দলবদ্ধভাবে তারকেশ্বর লোহারের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেদিন তারকেশ্বর লোহারের বাড়িতে থাকা ১৯ জন আগুনে পুড়ে মারা যান। কোনওক্রমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তিনি। তাঁর ছেলেকে প্রার্থী করার বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি এলাকাবাসী।প্রায় ২৮ হাজার ভোটে তৃণমূল প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পোর কাছে হেরে বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহার এবং আলিপুরদুয়ারে সাংসদ মনোজ টিগ্গা মেনে নিয়েছেনস এলাকায় রাজ্য সরকারের উন্নয়ন বড় ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। চা বাগানের শ্রমিকদের পাট্টা দেওয়া থেকে শুরু করে, শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য ক্রেস তৈরি, চা শ্রমিকদের পিএফের জন্য আন্দোলনের মতো বিষয়গুলিও ঘাসফুলকে অক্সিজেন জুগিয়েছে। ডলোমাইট দূষণ থেকে রেলের ওভার ব্রিজ তৈরিতে রেলের গাছাড়া মনোভাব নিয়েও তারা লাগাতার আন্দোলন করেছে। তা মাদারিহাটের মানুষের মধ্যে প্রভাবও ফেলেচে। তা স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়েছে ভোটবাক্সে। আর এই তিন কারণের যোগফলেই প্রথমবার ঘাসফুল ফুটল মাদারিহাটে।

Card image cap

মিষ্টি-সহ মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যপালের

তিক্ততা ছেড়ে ‘মিষ্টি’ সম্পর্কের পথে রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী! বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে সিভি আনন্দ বোসের ২ বছর পূর্তি হয়েছে শুক্রবার। সেই উপলক্ষে রাজভবন থেকে মিষ্টি, ফল পাঠানো হল মুখ্যমন্ত্রীকে। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ও শাসকদলের প্রতিনিধিদের রাজভবনে আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। পালটা উপহার হিসেবে শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে রাজ্যপালকেও পাঠানো হল মিষ্টি। এর এই ‘মিষ্টি’ বিনিময়ের খবরে জল্পনা শুরু হয়েছে, রাজ্যের প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক প্রধানের মধ্যে যেটুকু তিক্ততা তৈরি হয়েছিল, তা মিটতে চলেছে অবশেষে।সূত্রের খবর, শুক্রবার মিষ্টি ও ফলের ডালির সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুখ্যমন্ত্রী চিঠিও পাঠিয়েছেন। তাতে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, প্রথম বছরটা রাজ্য সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও দ্বিতীয় বছর সেই সম্পর্কে ‘কাঁটা’ দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মতানৈক্য হয়েছে।  কিন্তু তৃতীয় বছরে তিনি আপ্রাণ চাইছেন, রাজ্য সরকারের হাতে হাত রেখে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলতে। রাজভবনের এই উপহারের পালটা শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফেও মিষ্টি পাঠানো হয়েছে বলে খবর। তবে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।উল্লেখ্য, এর আগে সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে রাজভবনেরই এক মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে শোরগোল শুরু হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে যেতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে রাস্তায় দেখা করে কথা বলবেন, কিন্তু রাজভবনে যাবেন না। কারণ, সেখানে নারীদের নিরাপত্তা নেই। এর পর ১৫ আগস্ট চিরাচরিত চায়ের নিমন্ত্রণে রাজভবনের লবিতে গেলেও চা না খেয়ে ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর আর তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাননি। এখন দেখার, দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে আনন্দ বোসের চিঠিতে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান কিনা।এদিকে, রাজ্যপালের কর্মসময়ের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শনিবার দিনভর রাজভবনে অনুষ্ঠান রয়েছে। তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ নিজেই নিজের মূর্তি বসানো। ভারতীয় জাদুঘরের তত্বাবধানে সিভি আনন্দ বোসের একটি মূর্তি তৈরি হয়েছে। এদিন রাজভবনে সেই মূর্তি বসিয়ে নিজেই উদ্বোধন করেছেন রাজ্যপাল। ছোটদের অঙ্কন কর্মশালায় নিজে ছবিও এঁকেছেন তিনি। এছাড়া সন্ধেবেলা রাজভবনের প্রেক্ষাগৃহে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আছে।

Card image cap

‘জমিদার নই, মানুষের পাহারাদার’, পোস্ট মমতার

 উপনির্বাচনে একেবারে ছক্কা হাঁকিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। ছটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিরোধীদের দুরমুশ করে ছটিতেই জিতেছেন ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থীরা। শনিবার এই ফলপ্রকাশের পর সোশাল মিডিয়া পোস্টে জয়ীদের শুভেচ্ছা জানালেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। X হ্যান্ডলে মা-মাটি-মানুষকে এই জয়ের কাণ্ডারি বলে উল্লেখ করে মমতার স্পষ্ট বার্তা, ‘আমরা জমিদার নই, মানুষের পাহারাদার।’ আর অভিষেক বিঁধলেন বিজেপির ‘জমিদারি’ মনোভাবকে। তৃণমূলের এই ফলাফল অবশ্য প্রত্যাশিত ছিল। চিন্তা ছিল একমাত্র বিজেপির দখলে থাকা মাদারিহাট নিয়ে। শনিবার সকালে ভোটগণনার শুরু হয়। বেলা যত গড়িয়েছে, ততই ঘাসফুল শিবিরের জয়ের রাস্তা মসৃণ হয়েছে।  মাদারিহাটের গেরুয়া গড়ও  হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে ঘাসফুলের দাপটের কাছে। আর তার পরই ছয় প্রার্থীর জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি কৃতিত্ব দিয়েছেন মা-মাটি-মানুষকে। সেইসঙ্গে লিখেছেন, ‘আমরা জমিদার নই, মানুষের পাহারাদার।’ 
জয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। X হ্যান্ডলে  তিনি অবশ্য বিরোধীদের কার্যত তুলোধোনা করেছেন। অভিযোগ তুলেছেন, বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে কলকাতা হাই কোর্টেও গিয়ছিলেন বিরোধীরা। তা পুরোপুরি স্বার্থান্বেষণের জন্যই ছিল। পাশাপাশি বিজেপি গড় মাদারিহাটেও তৃণমূল জেতায় সেখানকার বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিষেক। তৃণমূল স্তরের কর্মীদের কৃতিত্বের কথাও তুলে ধরেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।    

Card image cap

অনুব্রতর প্রত্যাবর্তন নিয়ে কী বললেন শতাব্দী?

দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। ধীরে ধীরে দলের দায়িত্ব বুঝে নিচ্ছেন। সম্প্রতি কোর কমিটির বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এসবের মাঝেই বেফাঁস শতাব্দী রায়। তৃণমূল সাংসদ বললেন, “কেষ্টদা ফিরতেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে”। যদিও সুকৌশলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়ে বোলপুর ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। কেষ্টর ঘরে ফেরা যে তাঁর অনুগামীদের চাঙা করেছে তা বলাই বাহুল্য। বৃহস্পতিবার মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার পার্টি অফিস দখলের অভিযোগ ওঠে অনুব্রতর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে দুপক্ষের তুমুল অশান্তিও হয়। শুক্রবার সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের শক্তিপুরে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এবিষয়ে মুখ খুললেন শতাব্দী রায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বীরভূমের সাংসদ বলেন, “চন্দ্রনাথ দা আর কেষ্টদার দুটো গোষ্ঠী আছে? আমার জানা নেই। আমি জানি ওনারা মিলেমিশেই কাজ করেন।” এর পরই বেফাঁস মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, “তবে কেষ্টদা ফিরতে তাঁর সমর্থকরা কেউ অতি উৎসাহী হয়ে উঠেছে। অনেকে আবার বিশেষ খুশি নন। ফলে সব মিলিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে কোথাও কোথাও।”উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় পুজোর আগে জামিনে মুক্তি পান বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অনুপস্থিতিতে এলাকায় দাপট বেড়েছিল কাজল শেখের। কেষ্ট ফিরতেই দুজনের দ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। তবে কোর কমিটির বৈঠকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে কাজল-অনুব্রতকে। এই পরিস্থিতিতে শতাব্দীর এদিনের মন্তব্য একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

Card image cap

মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ফুঁসে উঠলেন মমতা

উর্ধ্বমুখী বাজার দর। ব্যাগ ভরে সবজি কিনে বাড়ি ফিরতে কার্যত নাভিশ্বাস উঠছে আমবাঙালির। এই পরিস্থিতি মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ফুঁসে উঠলেন মুখ্য়মন্ত্রী। প্রশ্ন তুললেন, কেন তাঁকে না জানিয়ে ভিনরাজ্যে রপ্তানি করা হচ্ছে আলু। নিশানা করলেন পুলিশ কর্মীদের একাংশকে।বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই একাধিক ইস্যুতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সুর চড়ান আলু, পেঁয়াজ-সহ সমস্ত সবজির দাম বৃদ্ধি নিয়ে। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্স নজরদারি চালানো সত্ত্বেও ফড়েদের দাপট নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। বললেন, “আমি এক পয়সাও নিই। তাহলে অন্যরা নিলে ছাড় পাবে কেন? আমার টাকার দরকার নেই। আমার দলের জন্য টাকার দরকার হলে প্রয়োজনে আমি মানুষের কাছে আঁচল পেতে টাকা নেব।”এর পরই মমতা প্রশ্ন করেন, বাংলার মানুষকে বিপদে ফেলে আলু বাইরে পাঠানোর সাহস হচ্ছে কীভাবে? তাঁর কথায়, “আমি তো বলেছিলাম, আলু অতিরিক্ত হলে আইসিডিএস, মিড ডে মিলে নেব। তার পরও কেন রপ্তানি?” অবিলম্বে পদক্ষেপের নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, একশ্রেণির পুলিশ কর্মীরা চেষ্টায় খামতি রাখছেন না। অন্যশ্রেণির কর্মীরা নিজেদের স্বার্থ দেখছেন।

Card image cap

বেলডাঙা যাওয়ার পথে বাধার মুখে সুকান্ত

বেলডাঙা যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । কৃষ্ণনগরে তাঁকে আটকায় পুলিশ। সেখানেই পুলিশ ও বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বচসায় জড়ান। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ময়দানে নামে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও ব়্যাফ। প্রবল উত্তেজনা এলাকায়।দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে শনিবার রাতে অশান্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা। পরবর্তীতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। এই ঘটনায় হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। এই পরিস্থিতিতে বুধবার বেলডাঙা যাচ্ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কৃষ্ণনগরে তাঁর কনভয় আটকায় পুলিশ। এর পরই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান সুকান্ত। মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ময়দানে নামে ব়্যাফও। আটকে দেওয়া হয় জাতীয় সড়ক। এদিকে নিজের অবস্থান থেকে একবিন্দুও সরতে রাজি হননি সুকান্ত। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান তিনি।সুকান্তবাবু বলেন, “পুলিশ বলছে, গেলে অশান্তি হবে তাই আটকানো হচ্ছে। তাহলে পুলিশ এসকর্ট করে নিয়ে যাক। পুলিশ সঙ্গে থাকুক। তাতেও রাজি হচ্ছে না প্রশাসন। বেলেডাঙায় মন্দির ভাঙার সময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। তাহলে হাতে বন্দুক কেন? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ের বিয়েতে ফাটানোর জন্য?” যদিও দীর্ঘ অশান্তির পরও সুকান্ত বেলডাঙা যাওয়ার অনুমতি পাননি। বিজেপি সাংসদ ও কয়েকজন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় থানায়।

Card image cap

মমতাকে নিয়ে মন্তব্য বোসের

রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্ক বরাবরই অম্লমধুর! নতুন বছরে তাঁদের সমীকরণ কোনদিকে মোড় নেবে, তা নিয়ে আগাম মুখ খুললেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। কী বললেন তিনি?রাজ্যপালের কথায়, “প্রথম বছর আমাদের সম্পর্ক ছিল মিষ্টি ও আলোক উজ্জ্বল। দ্বিতীয় বছর সেই সম্পর্কের আকাশে ঘন কালো মেঘ দেখা দিয়েছিল।” তৃতীয় বছর এই সম্পর্ক ‘নতুন আকাশ, নতুন পৃথিবী’ দেখবে বলেই আশা বোসের। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির নিরিখে রাজ্যপালের এহেন মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বোসের আরও দাবি, বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক অনেক ভালো। দেশের মধ্য়ে এই রাজ্য়েই যেন দুজনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সম্পর্কের নজির তৈরি হয়, তার চেষ্টাই তিনি করবেন।একাধিক ইস্যুতে রাজ্য-রাজভবনের সংঘাত চলছে। তবে প্রথম দিক থেকে পরিস্থিতিটা এরকম ছিল না। বরং রাজ্যপাল আনন্দ বোসকে বাংলা ভাষা শেখানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতেখড়িও হয়েছিল তাঁর। তার পর অবশ্য় গঙ্গা নিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা থেকে রাজভবনের কর্মীর শ্লীলতাহানি ইস্যুতে ফাটল ক্রমশ চওড়া হয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে দুজনকে একসঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে সম্পর্কের নতুন দিশা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।

Card image cap

‘ঘোমটার নিচে খ্যামটা নাচন আর নয়’, কটাক্ষ সুকান্তর

ফিরহাদ হাকিমের পর বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের চেষ্টার পর শহরের নিরাপত্তা ও বেআইনি অস্ত্র ঢোকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সৌগত বলেন, “শহরে পিস্তল ঢুকছে, পুলিশ ধরতে পারে না।” সেই মন্তব্যের পালটা দিয়ে বরানগরের একটি অনুষ্ঠানে সৌগত ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করুন।”সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টা ও ভাটপাড়ায় তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতিকে খুনের ঘটনায় চাপে রাজ্যের শাসকদল। অপরাধ ও রাজ্যে অস্ত্রের প্রবেশ রোখা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। সেই আবহে ফিরহাদ ও সৌগত মুখ খোলায় চাপ সৃষ্টি হয়েছে দলের অন্দরে। স্বাভাবিকভাবেই সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি বিজেপি। রবিবার সৌগতের মন্তব্যকে হাতিয়ার করেন সুকান্ত। বরানগর সিটিজেন ফোরামের আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ঘোমটার নিচে খ্যামটা নাচন আর নয়। উনি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু প্রশ্নটা যদি তুলতে হয় তাহলে পুলিশমন্ত্রীর উপর তুলুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করুন।”অনুষ্ঠানে আর জি কর কাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে আনেন তিনি। রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, “রাজা যদি উলঙ্গ হয়, নির্লজ্জ হয় তাহলে প্রজারা সুখে থাকতে পারে না। এই মমতাময়ীর তাড়নায় একজন ডাক্তারের প্রাণ চলে গেল।” অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যের বেকারত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি, “পড়াশোনা করে এখন বাংলাতে চাকরি পাওয়া যায় না। বিষাক্ত মদ খেয়ে মারা গেলে তবে পরিবারের লোকেরা চাকরি পান। এটাকেই সম্ভবত বলে এগিয়ে বাংলা।”

Card image cap

‘জয়শ্রী’র ব্ল্যাকমেলের বলি উপ পুরপ্রধান?

ব্ল্যাকমেলের বলি উত্তর বারাকপুর পুরসভার নিখোঁজ ভাইস চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়? তাঁর নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রহস্য ঘনাচ্ছে আরও। এক মহিলার বিরুদ্ধে সত্যজিৎবাবুকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা হাতানোর অভিযোগ তুলেছেন আত্মীয় ও স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ তদন্তকারীরা। আর সেই সুইসাইড নোটের উপর ভিত্তি করেই পরিবারের অভিযোগ, ওই মহিলা ব্ল্যাকমেল করে লাখ লাখ টাকা আদায় করেছেন এবং সত্যজিৎবাবুকে ঠেলে দিয়েছেন আত্মহত্যার পথে। তবে ঘটনা ঠিক কী ঘটেছে, তা জানতে চলছে তদন্ত।জানা গিয়েছে, সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৮৪ সাল থেকে টানা উত্তর বারাকপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। গত পুরসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর দল তাঁকে ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়। তাঁর বাড়ি উত্তর বারাকপুরের আনন্দমঠ বি-ব্লকে। সম্প্রতি সেই বাড়ির সংস্কারের কাজ চলায় পাশের একটি বাড়িতে তিনি পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোর পাঁচটা নাগাদ সত্যজিৎবাবু বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন। তার পর আর ফেরেননি। রাত সাড়ে ৮টা-৯টা নাগাদ ভাইস চেয়ারম্যানের মোবাইল বন্ধ পেয়ে দলীয় কার্যালয় ও পরিচিতদের কাছে খোঁজ নিলেও হদিশ মেলেনি। ফলে দুশ্চিন্তায় রাতেই নোয়াপাড়া থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার।এর পর শনিবার সকাল দশটা নাগাদ ভাড়া বাড়ির ছাদের একটি পরিত্যক্ত ঘরে সত‍্যজিৎবাবুর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারের সময় একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (নর্থ) গণেশ বিশ্বাস জানান, “তদন্ত একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে, একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেটি যাচাই করা হচ্ছে।” তবে সুইসাইড নোট সম্পর্কে পুলিশ খোলসা করে কিছু বলতে না চাইলেও আত্মীয় ও স্থানীয়রা তার ভিত্তিতেই এক মহিলাকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন। পরিবারের সদস্যরা বলেন, “দাদার (সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়) মৃত্যুর জন্য জয়শ্রী দাস দায়ী। সব কথা দাদা চিঠিতে লিখেছেন। বছর খানেক ধরে এই জয়শ্রী ব্ল্যাকমেল করে দাদার থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছে। এই কারণেই দাদা খুবই চাপে ছিল,অনেক কষ্ট পেয়েছে। আমরা জয়শ্রী দাসের শাস্তির চাই।”জানা গিয়েছে, জয়শ্রী নামে ওই মহিলার বাড়ি মোহনপুরের লম্ফ বাজার এলাকায়। ইতিমধ্যেই সুইসাইড নোট যাচাই করার পাশাপাশি ভাইস চেয়ারম্যানের ফোনের কল লিস্ট, মেসেজ-সহ আনুষঙ্গিক বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উত্তর বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ জানিয়েছেন, “বৃহস্পতিবার বিকেলেও পুরসভায় সত্যজিতের সঙ্গে আমার অনেকক্ষণ কথা হয়েছে। শুক্রবার তাঁর পরিবারের থেকে নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু এদিন সকালে তাঁর দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছি।ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে, পুলিশের তদন্তেই সবটা পরিষ্কার হবে।”

Card image cap

মমতার ফোন পেয়ে নতুন করে লড়াইয়ের বার্তা কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের

কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে গুলিচালনা, অল্পের জন্য প্রাণরক্ষা – শুক্রবার রাতের ঘটনা ঘিরে এই মুহূর্তে তোলপাড় শহর।  গতকাল রাতে খবর পেয়েই সুশান্ত ঘোষকে ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শনিবার তাঁকে ফোন করেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, দল পাশে আছে। শনিবার মমতার ফোনের কথা জানিয়েছেন সুশান্তবাবু নিজেই।এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কাউন্সিলরের আরও বক্তব্য, শুক্রবার ঘটনার অভিঘাতে তিনি রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু দলের সমর্থন পেয়ে এবং এতদিনকার রাজনৈতিক কেরিয়ারের কথা ভেবে পরে মতবদল করেছেন। সুশান্তবাবুর কথায়, ”নিজের বাড়ির সামনে এমন ঘটনায় আমি এতটাই হতাশ হয়েছিলাম যে  সাময়িক অভিঘাতে রাজনীতি ছাড়ার কথা ভাবছিলাম। কিন্তু রাতে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে সেই মত বদলেছি। এতদিন ধরে এখানে রাজনীতি করছি, মানুষের সেবা করেছি। এখন আমি এখান থেকে সরে গেলে এ ধরনের সমাজবিরোধী শক্তি আরও মাথাচাড়া দেবে। তৃণমূলে থেকেই এদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।” সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে যারা এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েছে, তারা ভিনরাজ্যের। পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছে, খুনের জন্য আড়াই হাজার টাকা অগ্রিম সুপারি নিয়েছিল। তবে শেষমুহূর্তে বন্দুকের ট্রিগার জ্যাম হয়ে যাওয়ায় গুলি বেরয়নি বলে কাউন্সিলর প্রাণে রক্ষা পান। এনিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুলিশকে নিশানা করে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। শনিবার দুপুরে তিনি সুশান্তবাবুর রাজডাঙার বাড়িতেও যান। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফিরহাদের সঙ্গে একমত হলেন না সুশান্তবাবু। তিনি বললেন, ”আমার মনে হয় না, পুলিশের শৈথিল্য আছে। ১২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। গলসি থেকেও একজন গ্রেপ্তার হয়েছে বলে খবর পেলাম। তদন্ত চলছে। যেটুকু যা বাকি আছে, তাও পুলিশ দু-একদিনের মধ্যে সমাধান করে ফেলবে বলে আমি আশা করি।”

Card image cap

কোর কমিটিতে কেষ্টর অন্তর্ভুক্তির পর জোরাল ঐক্যের বার্তা কাজলের

যাকে বলে একেবারে হাইভোল্টেজ বৈঠক। খোদ দলনেত্রীর নির্দেশ বলে কথা! সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে শনিবার বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে বসে তাঁরই তৈরি করে দেওয়া তৃণমূলের কোর কমিটি। আর ঘণ্টা দেড়েকের বৈঠকের পর সকলেই একবাক্যে জানালেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন কমিটির সাত সদস্য। উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া কোর কমিটি ছিল ৬ সদস্যের। শনিবার তাতে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ায়  সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল সাতে। তাঁকে ‘অভিভাবক’ বলে উল্লেখ করে দ্বন্দ্বের গুঞ্জন ওড়ালেন কাজল শেখ। আর কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী জানালেন, জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এতদিন পর তিনি জেলায় ফিরেছেন।তাঁকে সঙ্গে নিয়ে কাজে এগোবে কোর কমিটি।যাঁর সঙ্গে অনুব্রতর দীর্ঘকালীন দ্বন্দ্ব নিয়ে জেলার অন্দরে এত জল্পনা, জেলা পরিষদের সভাতিপতি সেই কাজল শেখ হাসিমুখে জানালেন, উনি অভিভাবক। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলবেন সকলে। বৈঠক শেষে কোর কমিটির অন্যান্য সদস্যরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেও অনুব্রত মণ্ডল এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। কোর কমিটির পরবর্তী বৈঠক হবে ১৫ ডিসেম্বর। প্রতি মাসেই একবার করে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বীরভূমের তৃণমূল নেতৃত্ব। সমস্ত বৈঠকে হাজির থাকার কথা অনুব্রত মণ্ডলের। এদিন বৈঠকের পর কাজল শেখকে বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেল। জেলার পার্টি অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন, ”উৎসবের মরশুম শেষে আমরা বৈঠকে বসলাম। খুব ভালোভাবে আলোচনা হয়েছে। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেলা সংগঠনের কাজ করব। ছাব্বিশে বিধানসভা নির্বাচন। জেলায় ভালো ফলাফলের জন্য সকলে একসঙ্গে ঝাঁপাব। কীভাবে কাজ হবে, তা আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।” এর পর অনুব্রত প্রসঙ্গ উঠতেই কাজল শেখ জানান, ”উনি আমাদের অভিভাবক। আমার রাজনৈতিক গুরু। উনি যেভাবে বলবেন, আমরা সবাই চলব।” পরে কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর বক্তব্যেও একই সুর। তিনি আবার কটাক্ষের সুরে বললেন, ”অনুব্রত-কাজল নিয়ে অনেক গান হচ্ছিল। আজ স্পষ্ট হয়ে গেল, তাঁদের মধ্যে কখনও কোনও দ্বন্দ্ব ছিল না,নেইও। আমরা সবাই একসঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব।”

Card image cap

জেলে গুরুতর অসুস্থ প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী

গুরুতর অসুস্থ রেশন দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি, প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সূত্রের খবর, দিন পাঁচেক আগে জেলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। নাক,মুখ দিয়ে রক্ত বেরতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাইপাসের ধারে নামী বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থায় বেশ কিছুটা সংকটজনক ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে বর্তমানে খবর, জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক আপাতত স্থিতিশীল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের ভিতরে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গত একবছর ধরে তিনি জেলবন্দি। বার বার জামিনের আবেদন সত্ত্বেও তা মেলেনি। শনিবার তাঁর নাক-মুখ থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে বলে জানা যায়। তাঁর প্রেশার বেড়ে গিয়েছে। হাইপারগ্লাইসিমিয়ায় ভুগছেন তিনি। জেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসা হয় বরাবর।  চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কিডনি, ডায়বেটিসের সমস্যা রয়েছে। পাশাপাশি তাঁর শরীরের একাধিক জটিল সমস্যা ধরা পড়েছে। তবে আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় জড়িত অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে ধরা পড়েন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। এর পর জেলবন্দি অবস্থায় তিনি একাধিকবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে এবার মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি ঘটে। জ্য়োতিপ্রিয়র অসুস্থতার যুক্তি দেখিয়ে বার বার জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী। কিন্তু রেশন দুর্নীতিতে ধৃত বাকিদের জামিন হলেও ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্বে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর জামিন বার বার খারিজ হয়েছে। হাসপাতাল থেকে কবে ছাড়া পাবেন তিনি? তা এখনও জানা যায়নি। আপাতত তাঁকে সিসিইউ-তে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।  

Card image cap

হাসপাতালে ভর্তি বর্ষীয়ান বামনেতা

জ্বর উপেক্ষা করেই উত্তরবঙ্গে কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন বিমান বসু । অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতে কলকাতায় ফেরামাত্রই তাঁকে ভর্তি করা হল হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি এই মুহূর্তে স্থিতিশীল। অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। আজ তাঁর রক্ত পরীক্ষা করা হবে।  জানা গিয়েছে, তিনদিন ধরেই জ্বর বিমান বসুর। তা সত্ত্বেও দক্ষিণ দিনাজপুরে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন তিনি। ট্রেন সফরে ঠান্ডা হাওয়া লাগায় অসুস্থতা বাড়ে। কমছিল না জ্বর। তা নিয়েই কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। ফেরার সময় মালদহে থাকাকালীন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি তিনি। চেয়েছিলেন আলিমুদ্দিনের কার্যালয়েই হোক চিকিৎসা। কিন্তু কলকাতা পৌঁছতেই পরিস্থিতি বিবেচনা করে শেক্সপিয়র সরণির হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি এই মুহূর্তে স্থিতিশীল। অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। আজ তাঁর রক্ত পরীক্ষা করা হবে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, “৩ দিন ধরে জ্বর ছিল। জ্বর না কমায় বিমানদাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুপুরে ডাক্তারেরা দেখবেন। তার পর কীভাবে চিকিৎসা এগোবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” উল্লেখ্য, ৮৮ বছরের এই বামনেতা অত্যন্ত নিয়মের মধ্যে দিনযাপন করেন। আলিমুদ্দিনের কার্যালয়ই তাঁর ঠিকানা। 

Card image cap

দার্জিলিং যাওয়ার আগে আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যের ছটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীদের জেতানোর আহ্বান জানালেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে তিনদিনের দার্জিলিং সফরের আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ”বাংলার জনতাকে ধন্যবাদ, আপনারা সবসময়ে আমাদের সঙ্গে থেকেছেন। এই উপনির্বাচনেও তাঁদের জেতান। উন্নয়নের কাজ হবে। যাঁরা ইতিমধ্যে বিধায়ক, সাংসদ আছেন, তাঁরা তো কাজ করছেনই। এবার নতুনদের হাত ধরে আরও ভালোভাবে কাজ হবে।” সোমবার দমদম বিমানবন্দর থেকে বাগডোগরা রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ”সিতাই, মাদারিহাট, মেদিনীপুর, নৈহাটি, হাড়োয়া, তালড্যাংরায় ১৩ তারিখ উপনির্বাচন। সিতাইয়ে সঙ্গীতা, মাদারিহাটে জয়প্রকাশ, মেদিনীপুরে সুজয়, নৈহাটিতে সনৎ, হাড়োয়ায় রবিউল আর তালড্যাংরায় ফাল্গুনী সিংহবাবু লড়ছে আমাদের দল থেকে। ওঁরা সবাই খেটেছে। আমি সকল মা-বোনকে বলতে চাই, আমাদের প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করুন। এমনিতে আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ যে আপনারা সবসময়ে আমাদের পাশে থেকেছেন, ভরসা রেখেছেন। এবারও প্রার্থীদের জেতান। উন্নয়নের কাজ আরও ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করুন।”নিজের দার্জিলিং সফর নিয়েও এদিন বললেন মমতা। কয়েকটি কর্মসূচি নিয়ে সেখানে রওনা দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের বললেন, ”অনেকদিন পর দার্জিলিংয়ে যাচ্ছি। নানা কারণে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। এমনকী লোকসভা নির্বাচনের সময়ও যেতে পারিনি। কার্শিয়ং পর্যন্ত গিয়েছিলাম। ওখানে অনীতরা (অনীত থাপা) সব কাজ করেছে।”  এবার একাধিক কর্মসূচি নিয়ে তিনি যাচ্ছেন দার্জিলিংয়ে। মঙ্গলবার জিটিএ ও অন্যান্য উন্নয়ন বোর্ডগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। পরেরদিন, বুধবার দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তায় সরস মেলার উদ্বোধন করবেন।  তার পরের দিন ফিরবেন কলকাতায়। মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।  

Card image cap

ফের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী

তালিকায় একগুচ্ছ কর্মসূচি। রাজ্যের ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচনের মাঝে আগামী সপ্তাহে ফের উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে তিনি দার্জিলিংয়ে পৌঁছবেন। চারদিনের কর্মসূচি সেরে ১৪ নভেম্বর কলকাতায় ফেরার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। জিটিএ-র সঙ্গে বৈঠক, দার্জিলিংয়ে মেলার সূচনা, বীরসা মুন্ডা দিবস পালন-সহ একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে এখনও থেকেই প্রস্তুতি তুঙ্গে। খুশি পাহাড়বাসী।নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর নিয়ে শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, ১১ তারিখ অর্থাৎ সোমবার রাতে তিনি পৌঁছবেন দার্জিলিংয়ে। পরদিন, ১২ তারিখ বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ জিটিএ সদস্য এবং পাহাড়ের বিভিন্ন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর বুধবার দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তায় সরস মেলার উদ্বোধন করার কথা তাঁর। দুদিন দার্জিলিংয়ে থাকার পর কর্মসূচি সেরে ১৪ তারিখ বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী।এর পর ১৫ তারিখ, শুক্রবার রাজারহাটের আদিবাসী ভবনে বীরসা মুন্ডার ১৫০ তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। তাতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। এবছর সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে ১৫ থেকে ২১ নভেম্বর, সাতদিন ধরে রাজ্যের প্রত্যেক জেলায় পালিত হবে বীরসা মুন্ডার জন্মদিন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মাঝে মূলত নজর থাকবে উত্তরবঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে থাকাকালীন উত্তরবঙ্গের দুটি বিধানসভা কেন্দ্র – সিতাই ও মাদারিহাটে উপনির্বাচন। এদিকে দক্ষিণবঙ্গেও উপনির্বাচন হবে আর চার কেন্দ্রে। তারই মাঝে জিটিএ এবং পাহাড়ের অন্যান্য উন্নয়ন বোর্ডগুলির সঙ্গে বৈঠকে ঠিক কী কী বিষয় উঠে আসে, সেদিকে নজর পাহাড়বাসীর। 

Card image cap

অন্য অ্যাকাউন্টে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা! কীভাবে?

দুটি জেলায় ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের ট‌্যাবের টাকা বেশ কয়েকজন ছাত্রের অ‌্যাকাউন্টে না ঢুকে অন‌্য অ‌্যাকাউন্টে গিয়েছে। সাইবার অপরাধীরা অ‌্যাকাউন্ট হ‌্যাক করে এই কাজ করেছে বলেই জানা গিয়েছে। কীভাবে এটা ঘটল, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিলেন ক্ষুব্ধ মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি যাদের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে, অবিলম্বে তাঁদের টাকা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মু্খ্যমন্ত্রী।এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার শিক্ষা দপ্তরের সচিবকে অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ‌্যসচিব মনোজ পন্থ। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পটি রাজ্য সরকারের অন‌্যতম সেরা প্রকল্প। মুখ‌্যমন্ত্রী স্বয়ং এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। এইক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি বরদাস্ত করা হবে না। সবাইকে আরও সতর্ক থাকতে হবে ভবিষ‌্যতে অর্থ বণ্টনের ক্ষেত্রে। হ‌্যাকের ফলে যাদের টাকা অন্য অ‌্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে, তাদের ব‌্যাঙ্ক অ‌্যাকাউন্টে অবিলম্বে টাকা পাঠানোর নির্দেশও মুখ‌্যমন্ত্রী দিয়েছেন।উল্লেখ্য, এই ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয় রাজ্যে সরকারের তরফে। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে পড়ুয়াদের তালিকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ রাজ্যে শিক্ষা দপ্তরে পাঠানো হয়। সেই অনুযায়ী প্রকল্পের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। কিন্তু বহু পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে সেই টাকা না ঢুকে অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু নির্দিষ্ট কোনও জেলা নয়, বিভিন্ন জেলা থেকে এই অভিযোগ সামনে এসেছে।

Card image cap

অভয়ার বাবাকে ফোন শাহের

অভয়ার বাবাকে ফোন করলেন খোদ অমিত শাহ। দেখা করার কথা বলেছেন তিনি, এমনটাই খবর। আগে দেখা করার আর্জিতে সাড়া না মিললেও শাহের ফোন পেয়ে কিছুটা স্বস্তিতে অভয়ার বাবা-মা।সূত্রের খবর, বুধবার অভয়ার বাবাকে ফোন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর জি কর ইস্যুতে কিছুক্ষণ কথা হয়েছে তাঁদের। অভয়ার বাবা জানিয়েছেন, শাহ তাঁকে দেখা করার কথা বলেছেন। তবে কবে, কোথায় তা এখনও ঠিক হয়নি। কিন্তু বৈঠক হবে, তা জানিয়েছেন মৃতার বাবা। প্রসঙ্গত, আর জি কর কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। অভয়ার সুবিচার-সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এসবের মাঝেই কিছুদিন আগে নিজেদের অসহায় পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন অভয়ার বাবা-মা। মৃতার বাবা অমিত শাহকে মেল করেছিলেন। মেয়ের মৃত্যুর পরবর্তীতে তাঁদের যে মানসিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তা তুলে ধরেছিলেন। দেখা করতে চেয়ে অমিত শাহের সময় চান তিনি। তার পরবর্তীতে অমিত শাহ কলকাতা এসেছিলেন। মনে করা হচ্ছিল, ওইদিনই অভয়ার বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি দেখা করবেন। কিন্তু তা হয়নি। দেখা না করেই দিল্লি ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। তা নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল। এবার নিজেই অভয়ার বাবাকে ফোন করলেন অমিত।

Card image cap

সংগঠনে রদবদলের খসড়া তালিকা মমতাকে দিলেন অভিষেক

চোখের চিকিৎসার জন্য একটা দীর্ঘ সময় রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। প্রায় মাস দেড়েক তাঁকে দেখা যায়নি। কিন্তু কালীপুজোর ঠিক আগে শহরে ফিরে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নিজের জন্মদিনে অনুরাগীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়, কেক কাটার পর কালীঘাটের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। দীর্ঘ বিরতিতে যাওয়ার আগে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কাজ তিনি সেরে গিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম জেলা সংগঠনে রদবদল। এদিন অভিষেক জানালেন, বিদেশ যাওয়ার আগে তিনি সেই খসড়া করে দলনেত্রীর হাতে দিয়ে গিয়েছেন। বদল শুধু সময়ের অপেক্ষা।চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার শাসকদলের ফল ছিল নজরকাড়া। বিয়াল্লিশের মধ্যে ২৯ টি আসনই এসেছিল তৃণমূলের দখলে। বিজেপি আটকে গিয়েছিল বারোয়। তবে এমন ফলাফলে আত্মতুষ্টি নয়, বরং আরও সতর্ক হয়েছে শাসক শিবির। তৃণমূল স্তর থেকে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে খোলনলচে বদলে ফেলার নীল নকশা করেও ফেলেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাইয়ের মঞ্চেই সেকথা ঘোষণা করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, তিনমাসের মধ্যে জেলা সভাপতি পদে রদবদল করা হবে। বলামাত্রই কাজও শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। কারা বাদ পড়ছেন, কারা নতুন পদে আসছেন, সেসব অভিষেক নিজে সুপারিশ করে গিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে সেই খসড়া তিনি তুলেও গিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার নিজের জন্মদিনে সেসব কথা জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, আপাতত কলকাতা ছাড়া বাংলা জুড়ে ১২৫ টি পুর এলাকায় রদবদল হবে। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে জেলা সভাপতি পদেও বদল হবে। তার সম্ভাব্য তালিকাও দেওয়া আছে দলনেত্রীর কাছে। তবে সবটাই সুপারিশ। সংগঠনে বদল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। এদিন অভিষেক আরও বলেন, বীরভূমে কোর কমিটির নেতৃত্বে ২০২৪-এর ভোটে সেখানে ভালো ফলাফল হয়েছে। দুই সাংসদের লিড বেড়েছে। তাই কোর কমিটি থাকা উচিত বলে মনে করছেন তিনি। আর জি কর ইস্যুতে সিপিএমকে খোঁচা দিয়ে অভিষেকের বক্তব্য, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে যে ভূমিকা পালন করেছে বামেরা, তাতে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে তাদের ফলাফল আরও খারাপ হবে।