CATEGORY politics:

Card image cap

সিপিএমের অভ্যন্তরীণ কমিটির তলবের মুখে তন্ময়

সাক্ষাৎকারের সময় তরুণী সাংবাদিককে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এবার দলের অভ্যন্তরীণ কমিটির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে চলেছেন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। বুধবার সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক। সেখানেই স্থির হতে পারে, কবে তাঁকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সদর দপ্তরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ হবে। এই প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন তন্ময় ভট্টাচার্য। এদিকে, বুধবার সিপিএম নেতাকে ফের বরানগর থানায় তলব করা হয়েছে। ফের একপ্রস্ত প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে।ঘটনা সপ্তাহ দুই আগেকার। এক তরুণী সাংবাদিক অভিযোগ করেন, সাক্ষাৎকারের সময় নিজের বাড়িতে তাঁকে শ্লীলতাহানি করেছেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। তাঁর কোলে উঠে বসে পড়েন। তাতে অত্যন্ত অস্বস্তি বোধ করলেও পেশাদারিত্বের কারণে নিজের কাজ শেষ করেন সাংবাদিক। পরে তিনি গোটা ঘটনা সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে জানান এবং বরানগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যে দুবার থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তন্ময়কে। সেইসঙ্গে এবার তিনি দলের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে চলেছেন সিপিএম বিধায়ক।গতবারের রাজ্য সম্মেলনে মহিলাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি তৈরি করেছিল সিপিএম। সর্বভারতীয় স্তরেও এই কমিটি রয়েছে। বাংলায় এই কমিটির মাথায় রয়েছেন বর্ধমানের মহিলা নেত্রী অঞ্জু কর। তন্ময়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরেই তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি সাসপেন্ড থাকবেন বলে জানিয়েছে আলিমুদ্দিন। দলের এই সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছিলেন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক। তা সত্ত্বেও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সবরকম তদন্তে সাহায্য করতে রাজি তিনি। দলের অভ্যন্তরীণ কমিটি কেন এখনও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এবার কমিটির সদস্যরা তলব করবেন সাসপেন্ডেড সদস্যকে। 

Card image cap

পুরনো মামলায় অর্জুন সিংকে তলব সিআইডির

বিজেপি নেতা তথা বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংকে তলব করল সিআইডি। আগামী ১২ নভেম্বর তাঁকে ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ২০২০ সালের একটি  তছরুপের মামলায় অর্জুনকে ডাকা হয়েছে বলেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান থাকার পাশাপাশি ভাটপাড়া নৈহাটি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কেরও চেয়ারম্যান ছিলেন অর্জুন সিং। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময় কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এরই তদন্তে অর্জুনকে সিআইডির তরফে তলব করা হয়েছে বলেই খবর। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১৩ তারিখ বারাকপুর লোকসভার অন্তর্গত নৈহাটি বিধানসভার উপনির্বাচন। এর ঠিক আগের দিন তলব করা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন অর্জুন সিং। তিনি বলেন, “ভোটের আগের দিন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে ডাকা হয়েছে। তৃণমূলে থাকলেই গুড বয়, আর বিজেপি করলে ওদের চোখে ব্যাড বয়।”এদিকে নৈহাটির নির্বাচনের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই জানিয়ে পালটা দিতে ছাড়েননি তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। অর্জুন সিংকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “২০২০ সালে ভাটপাড়া নৈহাটি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে বিপুল পরিমাণ আর্থিক তছরুপের অভিযোগ আমি করি। জালি ওয়ার্ক অর্ডার নিয়ে কো-অপারেটিভ থেকে লোন নেওয়া হয়েছিল। এই লোন প্রাক্তন সাংসদের অনুগামীদের নামে হয়েছিল। তাঁর ভাইপো পাপ্পু সিং এই অভিযোগে ২০২১ সালে গ্রেপ্তার হয়। ছমাস জেলও খাটে। এবার ওনাকেও জেল খাটতে হবে।”  

Card image cap

নৈহাটির তৃণমূল প্রার্থীকে একযোগে সমর্থন ময়দানের তিন প্রধানের

ভোট ময়দানে এবার সরাসরি নামছে ক্লাব ফুটবল! শুনতে অবাক লাগলেও নজিরবিহীনভাবে এটাই সত্যি হতে চলেছে আসন্ন উপনির্বাচনে। নৈহাটির তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে-র সমর্থনে এবার একযোগে বার্তা দিলেন ময়দানের তিন প্রধান। সনৎ দে-কে জেতাতে জনতার কাছে আবেদন জানিয়েছেন দেবাশিস দত্ত, দেবব্রত সরকার, মহম্মদ কামারুদ্দিন। আর তাঁদের বক্তব্যকে নিজেদের সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছে তৃণমূল। অনেকেই বলছেন, এক প্রার্থীকে জেতাতে ময়দানের দ্বন্দ্ব ভুলে তিন প্রধান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছেন। শুধু তাইই নয়, তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন আইএফএ সচিবও।২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বারাকপুর কেন্দ্র থেকে জিতেছেন নৈহাটির প্রাক্তন বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। তিনি সাংসদ হওয়ায় নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রটি বিধায়কশূন্য। নতুন জনপ্রতিনিধি খুঁজে নিতে সেখানে উপনির্বাচন হচ্ছে। আগামী ১৩ তারিখ ভোট। এই কেন্দ্রের শাসক শিবিরের প্রার্থী স্থানীয় নেতা সনৎ দে। তিনি ফুটবল ভক্ত হিসেবে যেমন পরিচিত, তেমনই দক্ষ সংগঠক। নৈহাটিতে বিভিন্ন ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনে সনৎবাবুর আগ্রহ ও দক্ষতা দেখে আপ্লুত মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত, লাল-হলুদের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার এবং মহামেডানের শীর্ষকর্তা মহম্মদ কামারুদ্দিন। এমনকী আইএফএ-র সচিব অনির্বাণ দত্তও তাঁর কাজের প্রশংসা করতে গিয়ে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। অচিরেই সনৎবাবু তাঁদের কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন।এবার উপনির্বাচনে সনৎ দে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে সমর্থনের জন্য একযোগে ভিডিও বার্তা দিলেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডানের কর্তারা। ভিডিও বার্তায় বার বার তাঁদের মুখে শোনা গিয়েছে সনৎ দে-র প্রশংসা। আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত থেকে প্রাক্তন ফুটবলার সংগ্রাম মুখোপাধ্যায়, সকলে চান, এবার নৈহাটি থেকে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে জিতুন। তাহলে নৈহাটিবাসী একজন কাজের মানুষ পাবেন বলে মত তাঁদের। ময়দানের প্রধানদের এহেন ‘রাজনৈতিক’ বার্তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। বলা হচ্ছে, এভাবে শাসকদলের প্রার্থীকে ময়দানের তিন প্রধান থেকে রাজ্যের ফুটবল নিয়ামক সংস্থার সমর্থন বেনজির। 

Card image cap

নারী নির্যাতন নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন’ রাজ্যপাল বোস

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের এখনও সুবিচার অধরা। তার পর থেকে রাজ্যে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা লেগেই রয়েছে। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। পালটা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্তার অভিযোগের কথা মনে করালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সোমবার রাজভবনে জয় জওয়ান দিবস পালন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজ্যপাল নারী নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এই ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধে সাধারণ মানুষের আরও সজাগ ও সচেতন হওয়া উচিত।” জয় জওয়ান দিবস নিয়ে তিনি আরও বলেন, “শহিদদের ত্যাগের জন্য গোটা দেশ চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকবে। সেনাবাহিনী দেশবাসীর সুরক্ষায় যে দায়িত্ব পালন করছে, তা অনস্বীকার্য। দেশের ১৪০ কোটি নাগরিকের উচিত তাঁদের পাশে দাঁড়ানো।”যদিও রাজ্যপালের উদ্বেগ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, “রাজ্যপালের বিরুদ্ধেই দুজন মহিলার অভিযোগ রয়েছে। রাজ্যপাল সাংবিধানিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদন্ত ঠেকিয়ে রেখেছেন। আপনার বিরুদ্ধে যে দুজনের অভিযোগ রয়েছে, তাদের মুখোমুখি হয়ে সেসব ঘটনার সুরাহা করুন। তার পর তাজ প্যালেসের সেই ঘটনা আছে। সেসবের সমাধান হোক, তার লাইভ স্ট্রিমিং হোক। উপরের দিকে থুতু ছুঁড়লে নিজের দিকে পড়বে।” বলে রাখা ভালো,চলতি মাসেই দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি হবে রাজ্যপালের। সে কারণে একগুচ্ছ কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। তাঁকে নারীদের আত্মরক্ষায় বিশেষ প্রশিক্ষণমূলক কর্মসূচি নিয়েছেন।

Card image cap

সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলী থেকে বাদ পড়বেন তন্ময়?

শ্লীলতাহানির অভিযোগের জের। এবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলী থেকেও বাদ পড়তে চলেছেন তন্ময় ভট্টাচার্য। বিরোধীরা তো বটেই, নিজের দলের অন্দরেও ভর্ৎসিত হচ্ছেন এই নেতা।আর জি কর আবহে নারী সুরক্ষা নিয়ে মাঠে নামা সিপিএম এবার তন্ময় ভট্টাচার্যকে নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে। আর তাই আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ না দিয়েই তরুণী সাংবাদিককে শ্লীলতাহানির ঘটনায় তড়িঘড়ি সাসপেন্ড করা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা সিপিএমের এই দাপুটে নেতাকে। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হবে না, মনে করছে দলেরই একাংশ। যে কোনও ঘটনাকেই খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে বঙ্গ সিপিএম। কিন্তু দলের রক্তক্ষরণ কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। একের পর এক ভোটের ফলেই তা প্রমাণিত। এই আবহে তন্ময় ভট্টাচার্যকে তড়িঘড়ি সাসপেন্ডের পর আসন্ন জেলা সম্মেলনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলী থেকেও তাঁকে বাদ দিতে চলেছে আলিমুদ্দিন।আগামী জানুয়ারি মাসে উত্তর ২৪ পরগনা সিপিএমের জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এমনিতেই এর আগে জেলা সম্মেলনে তন্ময় ভট্টাচার্যকে সম্পাদকমণ্ডলীর সদস‌্য করা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তন্ময় ও তাঁর গোষ্ঠীর কাছে হার মানতে হয়েছিল আলিমুদ্দিনকে। কারণ, পার্টির গাইড লাইন অনুযায়ী, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে তাঁরাই থাকতে পারবেন, যাঁরা হোলটাইমার। অবসর না নেওয়া পর্যন্ত চাকরি করেছেন, পেনশনভোগী বা ব‌্যবসা করেন, এমন নেতারা থাকতে পারবেন না জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে। এরকম মানুষকে যদি নিতেই হয় তা হলে আমন্ত্রিত সদস‌্য করতে হবে। কিন্তু নিজেদের যৌবন কমিউনিস্ট পার্টির জন‌্য উৎসর্গ না করেও উত্তর ২৪পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস‌্য হয়ে গিয়েছেন তন্ময় ভট্টাচার্য-সহ আরও দু’জন। আগের জেলা সম্মেলনে নন-হোলটাইমারদের সম্পাদকমণ্ডলীতে নেওয়া নিয়ে জেলা কমিটির বৈঠকে তীব্র বিতণ্ডা হয়েছিল।তন্ময় শিবিরের পক্ষে যুক্তি খাড়া করা হয়েছিল, তিনি পার্টি থেকে সাম্মানিক হিসাবে ১ টাকা নেন। ফলে আগের জেলা সম্মেলনে তন্ময় ভট্টাচার্যকে রাখা নিয়ে বিতর্ক ছিলই। আর এবার তরুণী সাংবাদিককে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে পড়ায় আসন্ন জেলা সম্মেলনে সম্পাদকমণ্ডলী থেকে তন্ময় ভট্টাচার্যকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া দলের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর। 

Card image cap

শাহর বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ তৃণমূলের

আগামী ১৩ তারিখ রাজ্যের ছয় কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সপ্তাহ দুয়েক আগে তার দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। আর তার পর থেকে লাগু হয়ে গিয়েছে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি। তারই মাঝে রাজ্যে এসে সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পেট্রাপোল সীমান্তে গিয়ে ভারত-বাংলাদেশের যাত্রীদের জন্য অত্যাধুনিক টার্মিনাল ‘মৈত্রী দ্বার’ উদ্বোধন করেছেন। সেখানে একপ্রস্ত নির্বাচনী প্রচারও সেরেছেন। সরকারি সুযোগ-সুবিধাও নিয়েছেন।  আর এনিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনে চিঠি দিল তৃণমূল। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি কমিশনকে লেখা চিঠিতে অমিত শাহকে শোকজ নোটিস পাঠানোর আবেদন জানিয়েছেন।হাড়োয়া, নৈহাটি, সিতাই, মাদারিহাট, মেদিনীপুর, তালড্যাংরা – এই ছটি বিধানসভা কেন্দ্রে আগামী ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচন। এইসব এলাকায় স্বভাবতই জারি আদর্শ আচরণবিধি। তারই মধ্যে গত রবিবার, ২৭ অক্টোবর বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে ‘মৈত্রী দ্বার’ উদ্বোধন করেছেন। সেখান থেকে ২০২৬-এ বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারও সেরেছেন তিনি। পরিবর্তনের ডাক দিয়ে অমিত শাহর বক্তব্য ছিল, “বাংলায় অশান্তির মূলে রয়েছে অনুপ্রবেশ। তা বন্ধ হলে বাংলায় শান্তি ফিরবে। ২০২৬ সালে বাংলায় পরিবর্তন আনুন। অনুপ্রবেশ রুখবে বিজেপি।”আর এই ভোটপ্রচার নিয়েই মূলত আপত্তি তুলল তৃণমূল। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির তরফে নির্বাচন কমিশনের চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী যেসব জায়গায় ভোট বা উপনির্বাচন, সেখানে মন্ত্রীরা সরকারি অনুষ্ঠানে গেলেও প্রশাসনের কোনও সুবিধা গ্রহণ করা যায় না। সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে ভোটের প্রচারে রাজনৈতিক মন্তব্য করা যায় না। কমিশনকে লেখা চিঠিতে এসব নিয়মের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। অমিত শাহ সেই নিয়ম ভেঙেছেন বলে অভিযোগ। তাই তাঁকে শোকজ করার দাবি তুলেছেন তিনি।

Card image cap

অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে বোমাবাজি মামলায় আদালতের প্রশ্নের মুখে রাজ্য

পুজোর আগে বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। এনআইএ তদন্ত দাবি জানিয়েছিলেন বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ। সেই মামলায় এবার রাজ্যের রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাই কোর্ট।৫ অক্টোবর সকালে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা ইট, বোমা ও গুলি চালায় বলে অভিযোগ। জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে উত্তেজনা ছড়ায়। বোমার স্পিন্টার তাঁর পায়ে লাগে বলেই অভিযোগ। তৃণমূল নেতা নমিত সিং ও তাঁর দলবল এই কাজ করেছে বলেই দাবি প্রাক্তন সাংসদের। ঘটনায় এনআইএ তদন্ত দাবি করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি। সেখানেই অর্জুন সিংয়ের আইনজীবী দাবি করেন, সিসিটিভিতে স্পষ্ট অভিযুক্তদের দেখা যাচ্ছে। তাঁরা সকলেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে দাবি করা হয়। এদিকে কেন্দ্রের আইনজীবী জানান, এনআইএ তদন্তের জন্য রাজ্যের তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়নি।এর পরই এই ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। অর্জুন সিংয়ের বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে নিয়মিত বেঞ্চে। উল্লেখ্য, এই ঘটনা জানিয়ে অমিত শাহকেও চিঠি দিয়েছিলেন অর্জুন সিং।

Card image cap

‘২০২৬ সালে বাংলায় পরিবর্তন আনুন বার্তা শাহের

আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগে বাংলায় এসে আগামী ২০২৬ সালে পরিবর্তনের ডাক দিলেন অমিত শাহ। পেট্রাপোলে বিএসএফের একটি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়েও আর একবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।শাহ বলেন, “বাংলায় অশান্তির মূলে রয়েছে অনুপ্রবেশ। অনুপ্রবেশ বন্ধ হলে বাংলায় শান্তি ফিরবে। ২০২৬ সালে বাংলায় পরিবর্তন আনুন। অনুপ্রবেশ রুখবে বিজেপি।” অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্ত সুরক্ষা আরও বাড়ানো হচ্ছে বলেও দাবি শাহে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে সব রাজ্যের ডিজিদের সতর্কবাতা আগেই পাঠিয়েছে কেন্দ্র। সতর্কবাতায় উল্লেখ করা হয়, পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে প্রচুর বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ করছে। অনুপ্রবেশকারীদের সাহায্য করছে রাজ্যের এক শ্রেণির দালাল। ভারতে প্রবেশ করার পরই তাদের আধার কার্ড পাইয়ে দিতে সাহায্য করছে দালালরা। আধার কার্ড হাতে আসতেই কাজের খোঁজে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে। এই অনুপ্রবেশকীদের অনেকেই বাংলাদেশের জামাতের মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। সূত্রের খবর, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও পারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।অনুপ্রবেশ ইস্যুতে অমিত শাহের এই মন্তব্যের পালটা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন,”অমিত শাহ রাজনৈতিক পর্যটক। অনুপ্রবেশ হলে সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা।” বার বার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভা থেকে পালটা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন শাহ। তাঁর অভিযোগ, “গত ১০ বছরে মোদি সরকার ২ লক্ষ ৯ হাজার কোটি টাকা গিয়েছে। তা সত্ত্বেও উন্নয়নের কাজ হয়নি। উন্নয়নের টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটে ঢুকে গিয়েছে। তাহলে আর উন্নতি হবে কী করে?” পালটা কুণাল ঘোষের তোপ, “১০০ দিনের কাজের টাকা এখনও দেয়নি বিজেপি।”

Card image cap

শহরে পা রাখলেন শাহ

একগুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নিয়ে শনিবার রাতে শহরে পা রাখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন রাত ১০.২৫ মিনিটে অমিত শাহকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিএসএফের বিমান। এর পর বিমান বন্দর থেকে বেরিয়ে রাত্রিবাসের জন্য রাজারহাটের এক হোটেলের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। তবে এই সফরে আর জি করের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে বিএসএফের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হেলিকপ্টারে কল্যাণী যাবেন তিনি। দুপুরে ফের কলকাতায় ফিরে বিজেপির ‘সদস্য সংগ্রহ অভিযান’ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। এর পর বঙ্গে আসন্ন উপনির্বাচন উপলক্ষে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে একদফা বৈঠক করার কথা রয়েছে শাহের। সেখানে শুভেন্দু-সুকান্তদের কাছে খোঁজ নেবেন বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক হাল-হকিকত সম্পর্কে। তার পর রাজারহাটের হোটেলে ফিরে মধ্যাহ্নভোজ সেরে ফের কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। সন্ধ্যাতেই দিল্লি পৌঁছবে শাহের বিমান। তবে এই নির্ধারিত সফর সূচির মাঝেই কোনও একটি সময় বের করে আর জি করের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি।পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা খুনের ঘটনায় প্রকৃত দোষী এবং স্বাস্থ্য দপ্তরে তৈরি হওয়া ঘুঘুর বাসা ভাঙার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থন জানিয়ে। এমতাবস্থায় অমিত শাহের মতো কোনও সর্বভারতীয় নেতা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের বিচারের দাবিকে সমর্থন জানালে এই আন্দোলন আরও দৃঢ় হবে। তাই রাজ্য বিজেপি চাইছে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করুন শাহ। তবে অমিত শাহ আদৌ নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন কিনা, তা এখনও চূড়ান্ত নয়।

Card image cap

ছটপুজোয় বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ

কালীপুজো, ভাইফোঁটার পর ছটপুজো। এই রাজ্যে বসবাসকারী বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে আসা মানুষেরা মূলত ছটপুজোয় মাতেন। ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ পরবর্তী সময়ে ছটপুজোয় বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের।বৃহস্পতিবার রাতভর নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র দিকে নজর রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ‘ডানা’ পরবর্তী পরিস্থিতিতে নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। ছটপুজো প্রসঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “বারাকপুর, হাওড়া, হুগলি, চন্দননগরে অনেকগুলো ঘাট আছে। কলকাতার ঘাটগুলোতেও অনেক মানুষ যান। তাই প্রত্যেকটি ঘাট পরিষ্কার করতে হবে। ঘাটগুলির সিঁড়ি যাতে পিছল না থাকে, খেয়াল রাখতে হবে। ঘাটের কাছে ব্যারিকেড করতে হবে। পুলিশকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে একসঙ্গে সবাই না নামেন। যেহেতু ৭ নভেম্বর সন্ধেয় ছটপুজো, তাই ভালো করে ঘাটগুলিতে আলো লাগাতে হবে।” এছাড়া যাতে ঘাটের কাছে ভিড়ভাট্টায় কোনও সমস্যা না হয়, তাই ভিআইপিদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর মতো ছটপুজোও চলে চারদিন। প্রথম দিন নহায় খায়, দ্বিতীয় দিন খরনা, তৃতীয় দিন সন্ধ্যা অর্ঘ্য, শেষ দিন সূর্যোদয় অর্ঘ্য। এই পুজোর রীতিনীতি বেশ কঠিন। সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে ছটের ডালা সাজানোই সবচেয়ে বড় কাজ। ‘ছটি’, ‘ছট পরব’, ‘ছট পূজা’, ‘ডালা ছট’, ‘ডালা পূজা’, ‘সূর্য ষষ্ঠী’র মতো নানা নামে পরিচিত ছটপুজো। বলা যায় সূর্যকে ধন্যবাদজ্ঞাপনের উৎসব ছটপুজো। তাই সূর্য দেবতার কাছে মানত করেন ভক্তরা। যাঁরা ব্রত রাখেন তাঁরা প্রায় ৪০ ঘন্টা একেবারে নির্জলা উপবাস করেন। উৎসবের শেষ দিন সূর্যোদয় অর্ঘ্যর পর প্রসাদ খান। পুজো পার্বণের সময় আমিষ নৈব নৈব চ!উৎসবের প্রথম দিন সকালে স্নান সেরে পরিষ্কার কাপড় পরে রান্না করেন মহিলারা। এদিন দুপুরের খাবারে থাকে লাউ ভাত। অর্থাৎ ভাতের সঙ্গে লাউয়ের তরকারি। সঙ্গে চানা ডাল এবং নানারকম সবজি। তবে এই সব রান্নায় নুন ব্যবহার করা যাবে না। যিনি ব্রত রাখেন তিনি ছাড়া এদিন পরিবারের সকলকেই দুপুরে লাউয়ের তরকারি দিয়ে ভাত খেতে হয়। তবে রাতে যেকোনও রকমের নিরামিষ খাবার খাওয়া যেতে পারে। উৎসবের দ্বিতীয় দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যিনি ব্রত রাখেন তিনি দিনভর উপবাস করেন। ওইদিন বাড়িতে সূর্য দেবতার পুজো করা হয়। উপাচার হিসাবে ক্ষীর, রুটি, কলা দেওয়া হয়। এরপর ছটপুজোর মূল উপকরণ ঠেকুয়া বানানোর কাজ শুরু হয়।
উৎসবের দ্বিতীয় রাত থেকে ছটের ডালা সাজানোর প্রস্তুতি চলে। তারপর বিকেলে জলাশয়ে গিয়ে ডুবন্ত সূর্যকে পুজো করা হয়। পুজো শেষে প্রদীপ জলাশয়ে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। পুজোর ডালায় ফল ছাড়াও থাকে ঠেকুয়া। উৎসবের শেষ সকালে সূর্য ওঠার আগেই ব্রতপালনকারীরা আবার জলাশয়ে যান। সেখানে অর্ঘ্য দেন। তারপর পুজো শেষ হয়। পুজো শেষে বাড়ি আসার পরই খরনার সন্ধে থেকে প্রায় ৪০ ঘন্টা পর ঠেকুয়া, আদা, জল, গুড় খেয়ে উপবাস ভাঙেন।

Card image cap

৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নামবে জল’, আশ্বাস ফিরহাদের

ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে রাতভর বৃষ্টি। তার প্রভাবে জলের তলায় বিস্তীর্ণ এলাকা। কলকাতায় বেশ কিছু জায়গায় ভেঙেছে গাছও। তবে জলযন্ত্রণা দূর করতে তৎপর কলকাতা পুরসভা। আগামী ৪ ঘণ্টা আর বৃষ্টি না হলে কলকাতার কোথাও জলমগ্ন হয়ে থাকবে না বলেই আশ্বাস মেয়র ফিরহাদ হাকিমের।ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র দিকে নজর রাখতে বৃহস্পতিবার রাতভর নবান্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভায় ছিলেন মেয়র। শুক্রবার দুপুরে ‘ডানা’ পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ফিরহাদ। বলেন, “বেলা ১২টা পর্যন্ত বালিগঞ্জে ১১৯ মিলিমিটার, চেতলায় ৯৯ মিলিমিটার, মোমিনপুরে ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ঘণ্টায় ২০ মিলিমিটার পর্যন্ত জল নামাতে পারে কলকাতা পুরসভা। তবে তার থেকে বেশি জল জমলে ৩-৪ ঘণ্টা সময় দিতেই হবে।” ঠনঠনিয়া-সহ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। তিলোত্তমার রাস্তায় কোথাও জমেছে গোড়ালি জল। আবার কোথাও কোথাও সকালের দিকে হাঁটুজল জমতেও দেখা গিয়েছে।ফিরহাদ আরও বলেন, “ঠনঠনিয়াতে গত ৫০ বছর ধরেই জল জমে। লো টাইডেও জল বিপদসীমার উপরে ছিল। তাই আমরা জল নামাতে লকগেট খুলতে পারিনি। পাম্পিং করা হয়েছে। এসএসকেএম থেকে বর্তমানে জল আর নেই। আর বৃষ্টি না হলে ৪ ঘণ্টার মধ্যে জল নেমে যাবে। কারণ, লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে।” জলমগ্ন কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানি রুখতে তৎপর পুরসভা। মেয়র জানান, “জল একেবারে না শুকনো পর্যন্ত কালীপুজোর জন্য লাগানো সমস্ত আলো বন্ধ থাকছে।” তবে বৃষ্টি না হলে আগামী ৩ ঘণ্টার মধ্যে জল নেমে, মেয়রের এই আশ্বাসকে ‘ছেঁদো কথা’ বলে কটাক্ষ কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের। তিনি বলেন, “বাম আমলে কলকাতার নর্দমাগুলি পরিষ্কার করা হয়েছে। তাই আজকে কলকাতার মানুষ সুফল পাচ্ছেন। কলকাতার আদি বাসিন্দারা সব জানেন। মানুষ সব বোঝেন।”

Card image cap

ওয়ানড়ে মনোনয়ন জমা প্রিয়াঙ্কার

তিনি যে ওয়ানড়ে লড়বেন সেটা আগেই জানিয়েছিল কংগ্রেস। অবশেষে রাহুল গান্ধীর ছেড়ে আসা আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বুধবারই মনোনয়ন জমা দিলেন সোনিয়াকন্যা। গতকাল,  মঙ্গলবার মা সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মাইসুরু পৌঁছন তিনি। রাতেই ওয়ানড়ে চলে আসেন তাঁরা।এদিন সোনিয়া, রাহুল ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে-সহ অন্যান্য স্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের উপস্থিতিতে নিজের মনোনয়ন জমা দিলেন প্রিয়াঙ্কা। কিছুক্ষণের মধ্যেই রোড শো করার কথা তাঁর। প্রসঙ্গত, আজই সরকারিভাবে নির্বাচনী রাজনীতিতে পা রাখলেন তিনি।চব্বিশের লোকসভা ভোটে গান্ধী-গড় রায়বরেলি ও নিজের কেন্দ্র ওয়ানড়– দুটি আসন থেকেই লড়েন রাহুল গান্ধী। দুই আসনেই বিশাল ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। একটি আসন তাঁকে ছাড়তেই হত। শেষ পর্যন্ত মায়ের ছেড়ে যাওয়া আসন রায়বরেলি রেখে ওয়ানড় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন রাহুল। আর দাদার ছেড়ে যাওয়া সেই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রার্থী হলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।প্রিয়াঙ্কা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বহুদিন ধরেই। কিন্তু ভোটে লড়াইয়ে সোনিয়াকন্যার আগমন নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে জল্পনা-কল্পনা চলেছে। যে কোনও বড় নির্বাচন এলেই ভেসে ওঠে তাঁর নাম। এমনকী গত লোকসভা নির্বাচনে বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়েও জল্পনা ছিল। যদিও শেষপর্যন্ত প্রিয়াঙ্কাকে সেই কঠিন লড়াইয়ে ফেলেনি দল। অবশেষে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ওয়ানড় কেন্দ্র থেকে লড়ছেন তিনি। এতদিন দলীয় অভ্যন্তরীণ বৈঠক, প্রচারে সক্রিয় থাকলেও সরাসরি ভোটের লড়াইয়ে প্রিয়াঙ্কা এই প্রথম। ওই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী দেবে কংগ্রেসেরই ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গী সিপিআই। প্রিয়াঙ্কার মূল লড়াই বামপন্থী দলটির সঙ্গেই।

Card image cap

আর জি কর বিক্ষোভকে কটাক্ষ দিলীপের

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নির্যাতিতা বিচার না পেলে যারা পিছন থেকে আন্দোলন পরিচালনা করেছেন, তাদের দায় নিতে হবে। উপনির্বাচনে আবহে নৈহাটি বিধানসভার বিজেপি প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে নাম না করে এমনভাবেই আক্রমণ করলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বিচার চেয়ে রাত দখলের আন্দোলনকেও এদিন ‘লোক দেখানো’ বলে তির্যক মন্তব্য করেন তিনি।মঙ্গলবার সন্ধেয় হালিশহর বাগমোড়ের রাসবিহারী ভবনে বারাকপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হয়। নৈহাটির লাগোয়া হওয়ায় উপস্থিত ছিলেন উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী রূপক মিত্র। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতেই আমরা নির্বাচন লড়ব। আমরাও দেখতে চাই সাধারণ মানুষ খালি আন্দোলন করে রাত জাগছেন, নাকি সরকারের পতনের চাইছেন।” এর পরই নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে রাত দখলকারীদের উদ্দেশ্যে তাঁর কড়া মন্তব্য,”যদি উপনির্বাচনে এর (নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে আন্দোলন) প্রভাব না পড়ে, তাহলে মনে করতে হবে জনগণ লোক দেখানো জন্য এই আন্দোলন করছেন। রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য নয়।”কর্মরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের মর্মান্তিক পরিণতির ঘটনায় ন্যায় বিচারের আন্দোলন পেরিয়েছে প্রায় আড়াই মাস। তিনিও নির্যাচিতার বিচারের অপেক্ষায় আছেন, একথা জানিয়ে নাম না করে দিলীপ ঘোষের আক্রমণ, “আমরা অভয়ার বিচারের অপেক্ষায় আছি। মানুষ অনেক আশা নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন। তার পরও যদি বিচার না হয়, তাহলে এই আন্দোলনকে যারা পিছন থেকে চালিয়েছেন, তাদের দায় নিতে হবে।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চিকিৎসকদের বৈঠক ও লাইভ স্ট্রিমিং প্রসঙ্গে বিজেপি নেতার সংযোজন, “এখন মনে হচ্ছে জিনিসগুলি অনেকটা সাজানো হচ্ছে।” তবুও জনগণের আন্দোলনকে ঐতিহাসিক অরাজনৈতিক আখ্যা দিয়ে তাঁর প্রত্যাশা, “এর লাভ যেন জনতা পায়।”উল্লেখ্য, আর জি কর আন্দোলনে দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি। প্রথম দিকে শুভেন্দু অধিকারীদের কিছুটা সক্রিয়তা দেখা গেলেও জুনিয়র ডাক্তাররা সাফ জানিয়ে দেন, “এটা অরাজনৈতিক আন্দোলন। রাজনীতির রং লাগাবেন না।” তাঁরা মুখে অরাজনৈতিক বললেও ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে যায় যে আন্দোলনের নেপথ্যে কাজ করছে বেশ কিছু অতি বাম শক্তি। তারা কার্যত হাইজ্যাক  করে ডাক্তারদের আন্দোলন। সম্প্রতি উপনির্বাচনে নৈহাটি আসনটি সিপিআইএমএল-কে ছেড়েছে সিপিএম। রাজনৈতিক মহলের মতে যা এই আন্দোলনের পুরস্কার। মনে করা হচ্ছে, সেই সমীকরণ থেকেই এদিন দিলীপ নাম না করে এই আন্দোলনের মদতদাতাদের নিশানা করলেন। 

Card image cap

বোতল হাতে কল্যাণ-মূর্তিতে আতঙ্কিত জগদম্বিকা!

যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ধুন্ধুমার। ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বিজেপি ও তৃণমূল সাংসদদের মধ্যে তীব্র বচসার ঘটনায় এবার মুখ খুললেন যৌথ সংসদীয় কমিটির সভাপতি জগদম্বিকা পাল। জানালেন, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বোতল ছুড়েছিলেন, তাতে তাঁর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারত।এদিন এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ”উনি যেভাবে বোতল ছুড়েছেন, ঈশ্বরের কৃপা যে আমার সামনে এসে বোতল পড়ে গেছে। আমার দিকে যেভাবে বোতল ছোড়া হয়েছে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হতেই পারত। কারও মধ্যে যদি এত রাগ থাকে তিনি একজন সাংসদ হতে পারেন না। যা করেছেন, তা অপরাধ।”
এদিন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় কল্যাণের। অভিযোগ, এর পরই কাচের বোতল ছোড়েন তিনি। তাতেই হাতে চোট পান শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ।নিশিকান্ত দুবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কমিটি থেকে পাকাপাকিভাবে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু জেপিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁকে একটি বৈঠকের জন্য সাসপেন্ড করার। আর সেই প্রসঙ্গেই জগদম্বিকার বক্তব্য, ”যা ঘটেছে তা অত্যন্ত অনভিপ্রেত, নজিরবিহীন এবং অসংসদীয়। আমার চার বারের সাংসদ জীবনে এই ঘটনা কখনও দেখিনি। আশা করব উনি এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেবেন। বিরোধিতার একটি প্রক্রিয়া থাকে। মতভেদ হতেই পারে। কিন্তু আজ যে ঘটনা ঘটেছে তা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। শুধু বোতল ছুড়ে মারা নয়, প্রথমে বোতল ভেঙে তার পর ছুড়ে মারা হয়েছে। কাল কেউ রিভলভার নিয়েও চলে আসতে পারে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আজ এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে আমাকে।”সেই সঙ্গেই তাঁর বক্তব্য, ”উনি সংসদের অভ্যন্তরে অধিবেশন চলাকালীন ও এই ধরনের আচরণ করেন। সেখানে হয়তো প্রচার পাবার জন্য এধরনের কাজ করেন। কিন্তু এটা জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির বৈঠক ছিল। উনি আর যেভাবে গালিগালাজ করছিলেন তা কখনওই গ্রহণযোগ্য নয়। উনি নিজে যখন ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন তখনও চেয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছিলেন। স্পিকার ওম বিড়লার কাছে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। সাংসদদের প্রতিনিধিদল স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেছেন।”
এদিকে এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও কল্যাণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ”ওঁকে আগে ভদ্রতা শিখতে বলুন। ওঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলুন।” অতীতেও কল্যাণকে নিয়ে এই ধরনের প্রতিক্রিয়াই জানাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই পুরনো তিক্ততার রেশই কি এবার সংসদে পড়ল? উঠছে প্রশ্ন।

Card image cap

জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মাওবাদীদের তুলনা!

আর জি কর ইস্যুতে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মাওবাদীদের তুলনা দেবাংশু ভট্টাচার্যের। বললেন, “মানুষ মারাকে যদি প্রতিবাদের অস্ত্র হয়, তাহলে আমি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মাওবাদীদের কোনও তফাৎ দেখছি না।” এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।রবিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে দেবাংশু ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে সেখানেই মুখ খোলেন তিনি। বলেন, “আমি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মাওবাদীদের কোনও তফাৎ দেখছি না। মাওবাদীরা বলে, আমরা মানুষ মারি প্রতিবাদের জন্য। জুনিয়র ডাক্তাররা বলছে, আমরা মঙ্গলবার থেকে চিকিৎসা বন্ধ রেখে মানুষ মারব।” দেবাংশুর ব্যাখ্যা, “ডাক্তারদের এই হুমকির মানে কী? এর অর্থ আমাদের আবদার না মানা হলে আমরা মানুষ মারা শুরু করব। চিকিৎসা বন্ধ রাখা মানেই মানুষ মারা। মানুষ মারাকে যদি প্রতিবাদের অস্ত্র হিসাবে গ্রহণ করে তাহলে আমি জুনিয়র ডাক্তার বাবুদের সঙ্গে মাওবাদীদের কোনও তফাৎ দেখছি না।”দেবাংশু আরও বলেন, “জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলন দেখে মনে হচ্ছে স্বাস্থ্য মাফিয়া, বেসরকারি নার্সিংহোমের মালিক ও চিকিৎসকরা জুনিয়র ডাক্তারদের শ্রীখন্ডী হিসাবে দাড় করিয়ে কলকাঠি নাড়ছে। কারণ সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা যত ভেঙে পড়বে তত বেসরকারি নার্সিংহোমগুলি ফুলে ফেঁপে উঠবে।” ২০০১ সালের ২৫ আগষ্ট আর জি করের হোস্টেল থেকে চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া সৌমিত্র বিশ্বাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার নিয়েও এদিন সরব হলেন দেবাংশু। সব শেষে তাঁর একটাই প্রত্যাশা, জুনিয়র ডাক্তারদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

Card image cap

তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদ ছাড়ার ইঙ্গিত অনুব্রতর!

তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদ ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে এখনই দায়িত্ব ছাড়ছেন না তিনি। ২০২৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন করে বীরভূমের জেলা সভাপতির দায়িত্ব ছাড়বেন। সোমবার সিউড়ির ২ ব্লকের পুরন্দরপুরের মাঠে বান্ধব সমিতির সভা থেকে একথা জানালেন ‘কেষ্ট’ নিজেই।সিউড়ি ২ ব্লক থেকে সাধারণত নিজের সমস্ত রাজনৈতিক যাত্রা, সভা শুরু করেন অনুব্রত মণ্ডল। এবার সেই রীতি ভেঙে তিহাড় জেল থেকে ফিরে প্রথম সভা করেন মুরারইয়ে।  সিউড়ি ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলাম আবার অনুব্রতর কাছের বন্ধু। দুজনে প্রায় একসঙ্গেই রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন। একসঙ্গে আন্দোলন করেছেন তাঁরা। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পদেও রয়েছেন নুরুল ইসলাম। তিনি ব্লক সভাপতির পদ ছাড়তে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বকে। এদিন তা নিয়ে মুখ খোলেন অনুব্রত।কেষ্ট মণ্ডলের কথায়. “বন্ধু নুরুল, ২০২৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে জেলা সভাপতি পদ থেকে আমি সরে দাঁড়াব। তখন তুমিও ব্লক সভাপতি পদ ছেড়ে দিও।” তাঁর এহেন মন্তব্য ঘিরে তীব্র জল্পনা ছড়িয়েছে জেলা রাজনীতিতে। প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে অনুব্রত-হীন বীরভূমে নির্বাচনে তৃণমূূলের ফলাফল ভালোই হয়েছে। এবার জেলা সভাপতি নিজে ফিরেছেন ফের সংগঠনের হাল ধরতে। 

Card image cap

মোদিকে চিঠি মমতার

৫০ শতাংশ দাম বেড়েছে বহু জীবনদায়ী ওষুধের। এই মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সোমবার চিঠি লিখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জীবনদায়ী ওষুধের আচমকা দাম বৃদ্ধির ফলে চরম সমস্যায় পড়েছে আমজনতা। অন্যদিকে বাংলার মতো রাজ্য যারা সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ দেয়, তাদের বাজেটের উপর চাপ বাড়বে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপের জন্য আরজি জানালেন মমতা।গত ১৪ অক্টোবর ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথোরিটি বা এমপিপি একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি দেয়। সেখানে দেখা গিয়েছে, জীবনদায়ী কিছু ওষুধের ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যেমন যক্ষ্মা, হাঁপানি, থ্যালাসেমিয়া, চোখ ও মানসিক অসুস্থতাজনিত রোগের ওষুধও। এই গুরুত্বপূর্ণ জীবনদায়ী ওষুধের দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তাঁর দাবি, এর ফলে আমজনতার পকেটে চাপ পড়ছে। যার ফলে চিকিৎসা করাতে সমস্যা পড়বেন মধ্যবিত্তরা। শুধু তাই নয়, বাংলার মতো রাজ্য যেখানে সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয় সেখানে সরকারে বাজেট অনেকটা বেড়ে যাবে। ধাক্কা খাবে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা।

Card image cap

২০২৬ সালে ২৫০ আসন নিয়ে মমতাই চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী

বিরোধীদের তরফে যতই পরিকল্পিত কুৎসা এবং অপপ্রচার হোক না কেন, ২০২৬ সালে কমপক্ষে ২৫০ আসন নিয়ে বাংলায় চতুর্থবার সরকার গড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যে সিপিএম মুখে যতই বলুক না কেন, তাদের ভোট ব‌্যাঙ্ক গেরুয়া শিবির থেকে ফিরছে, বাস্তবে তারা নির্বাচনী ফলে তৃতীয় হবেই হবে। দলের বিজয়া সম্মিলনীতে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ১নং ব্লকের কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ‌্য দিয়ে শনিবার এমনই দাবি করেছেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়ের সঙ্গে ছিলেন, আছেন, থাকবেনও। কারণ একের পর এক সামাজিক প্রকল্প এবং বাংলাকে বিশ্ব দরবারে সম্মানের শিখরে পৌঁছে দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। ২০১১ ও ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের পর ২০২১-এর নির্বাচনেও দেখেছেন প্রতিবার আসন বেড়েছে তৃণমূলের। এবারও আমরা হলফ করে বলছি, আমরা তৃণমূল কর্মীরা সকলে যদি ঐক‌্যবদ্ধ থাকি, তবে ২০২৬-এর ভোটেও ২৫০ আসনের নিচে জোড়াফুলকে নামানোর সাধ‌্য অন‌্য কোনও শক্তির নেই।’’ উল্লেখ‌্য, ২০১১ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট থাকায় তৃণমূল ১৮৪, ২০১৬ সালে ২১১ এবং ২০২১ সালে ২১৩টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। পরে উপনির্বাচনে আরও অনেকগুলি বিধানসভার আসনে জিতেছিল তৃণমূল। শুধু তাই নয়, ২০১৬ সালে তৃণমূল এককভাবে ৪৫.০৬ শতাংশ ভোট পেলেও ২০২১ সালে তা বেড়ে হয় ৪৭.৯৪ শতাংশ। যদিও ২০১৬ ও ২০২১-এ দু’বারই একদিকে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ এবং অন‌্যদিকে বাম-কংগ্রেস প্রবল কুৎসার পাশাপাশি গোপনে বোঝাপড়া করেও তৃণমূলের ভোট এবং আসন কমাতে পারেনি বলে জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়ের নেতৃত্বে বাম জমানায় জমি আন্দোলনের অন‌্যতম গর্ভগৃহ নন্দীগ্রামের ব্রজমোহন তিয়ারী শিক্ষানিকেতনের মাঠে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে বিশাল জমায়েতে বিজয়া সম্মিলনী হয়। প্রধান বক্তা ছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। উৎসবের প্রথম দফা শেষ হতেই তৃণমূল যে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের প্রচারে কার্যত নেমে পড়ল, তা এদিন কুণালের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে যায়। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে‌ তিনি মূলত তিন দফা গাইডলাইন জানিয়ে দেন। বলেন– ১) মমতা বন্দে‌্যাপাধ‌্যায়ের সরকারের যে ৭২টি সামাজিক প্রকল্প রয়েছে, তা আবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে সমস্ত ভোটারকে ভালো করে বুঝিয়ে বলতে হবে। যাঁরা এখনও মা-মাটি-মানুষ সরকারের নানা পরিষেবা ও প্রকল্পের আওতায় আসেননি, তাঁদের নিয়ে আসতে হবে। ২) কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যে বাংলাকে লাগাতার বঞ্চনা চালিয়ে যাচ্ছে তা মানুষকে তথ‌্য দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে। একই সঙ্গে কেন্দ্রের যে বরাদ্দ দেওয়ার কথা ছিল, সেই আবাস প্রকল্প এবং ১০০ দিনের টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায় দিচ্ছেন, তাও সাধারণ মানুষকে ধীরস্থিরভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে। ৩) খুন-ধর্ষণের মতো বিচ্ছিন্ন সামাজিক ব‌্যাধি রুখতে রাজ‌্য সরকার অপরাজিতা বিল পাস করানোর মতো নানা ধরনের কড়া ব‌্যবস্থা যে নিচ্ছে, তা প্রতিটি ভোটারকে জানাতে হবে। নাম না করে আর জি করের ঘটনা উল্লেখ করে কুণাল বলেন, ‘‘প্রথম দিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায় অপরাধীদের ফাঁসি চেয়ে আসছেন, কিন্তু বিরোধীরা শুধুমাত্র রাজনীতির স্বার্থে সোশ‌াল মিডিয়ায় ফেক নিউজ ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।’’ পূর্ব মেদিনীপুরের কর্মীদের উদ্দেশে‌ এদিন কুণাল লোকসভা ভোটে জেলার নির্বাচনী তথ‌্য তুলে ধরে আত্মসমালোচনায় সরব হন। বলেন, ‘‘জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে ১৫টিতেই কেন আমরা হেরে গেলাম, তা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আত্মসমালোচনা করতে হবে। উন্নয়নকে মানুষ সমর্থন করলেও শুধুমাত্র নিজেদের বিবাদে আমরা যে হেরে যাচ্ছি, তা চিহ্নিত করে আসন্ন নির্বাচনে জিততে হবে। এবার ১৫টিতে জিতে লোকসভা ভোটে পরাজয়ের গ্লানি দূর করতে হবে। নন্দীগ্রাম ১নং ব্লক যদি জিততে পারে, তবে অন‌্য ব্লকগুলি কেন পারবে না?’’
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের বিষয় উত্থাপন করে এদিন কুণাল বলেন, ‘‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১৯৮৩ সালে জ্যোতি বসু কীভাবে পুলিশ দিয়ে লাঠি চালিয়ে আর জি করে ধরনায় বসা জুনিয়র ডাক্তারদের তুলে দিয়েছিলেন সে কথা বলতে হবে। বাম-অতিবাম যৌথভাবে যে কুৎসা ও অপপ্রচার করছে, তার জবাব দিতে হবে।’’ এর পরই কুণাল বলেন, ‘‘জেলায় জেলায় মুখ‌্যমন্ত্রী প্রচুর নতুন হাসপাতাল করেছেন, সেখানে অনেক ডাক্তারকে পোস্টিং দিয়েছেন। খবর আসছে, একাংশের ডাক্তার সপ্তাহে সাতদিন ডিউটি করে গরিব রোগীদের পরিষেবা দিচ্ছেন। আর কিছু ফাঁকিবাজ ডাক্তার কোনওক্রমে দু’দিন ডিউটি করে পালিয়ে গিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করছেন। গ্রামের হাসপাতালে কাজ করা এই মানবিক চিকিৎসকদের যেমন আগলে রাখুন, তেমনি ফাঁকিবাজ ডাক্তারদের তালিকা তৈরি করে স্বাস্থ‌্য প্রশাসনে জমা দিন।’’ সভায় অন‌্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম‌্যান চিত্তরঞ্জন মাইতি, সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ‌্যায়, সহ-সভাপতি শেখ সুফিয়ান, জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি সুহাসিনী কর, ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত‌্য গর্গ প্রমুখ।