CATEGORY politics:

Card image cap

রাজ্যের ৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির

ছুটির মুডে নেতারা, উপনির্বাচনের প্রস্তুতি সেভাবে শুরু হয়নি। তবে প্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রে শাসকদল এবং বাম-কংগ্রেসকে টেক্কা দিল বিজেপি। রাজ্যের ৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করে দিল গেরুয়া শিবির।নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালড্যাংরা, মাদারিহাট, সিতাই। এই রাজ্যের এই ছয় বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ১৩ নভেম্বর। শাসকদলের একাধিপত্য ভাঙতে এবার উপনির্বাচনে স্থানীয় মুখে ভরসা রাখছে গেরুয়া শিবির। সিতাই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন দীপক কুমার রায়, মাদারিহাটের প্রার্থী রাহুল লোহার, নৈহাটি থেকে রূপক মিত্র, হাড়োয়ায় বিমল দাস, মেদিনীপুরে শুভজিৎ রায় এবং তালড্যাংরায় অনন্যা রায় চৌধুরী গেরুয়া শিবিরের হয়ে ভোটে লড়বেন।এবার যে ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে সেগুলির মধ্যে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটই রয়েছে বিজেপির দখলে। বাকি ৫ কেন্দ্র রয়েছে তৃণমূলের দখলে। মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা এবার আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসন থেকে জিতে সাংসদ হয়েছেন। দখলে থাকা এই মাদারিহাট আসনটি এবার ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। পাশাপাশি অন‌্য দু-একটি আসন যদি তাদের হাতে আসে সেই লক্ষ‌্যও রয়েছে বিজেপির। মঙ্গলবার দলের সল্টলেক অফিসে বিজেপির একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে রাজ‌্য সাধারণ সম্পাদকদের পাশাপাশি ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব‌্যরাও। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মেদিনীপুর ও নৈহাটি বিধানসভা আসনে জোরদার প্রচার চালাতে হবে। অন‌্যত্রও প্রচার চলবে। একটা সময় মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসাবে দিলীপ ঘোষের নাম শোনা যাচ্ছিল। তবে দলের শীর্ষস্থানের কোনও নেতাকে উপনির্বাচনে নামানো হল না।আর জি কর কাণ্ডের পর রাজ্যে এটাই প্রথম নির্বাচন। এতেই বোঝা যাবে আর জি করের কতটা প্রভাব জনমানসে পড়েছে। বিজেপিও এই উপনির্বাচনকে লোকসভার ধাক্কা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ হিসাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। আর জি কর ইস্যুতে আন্দোলনে বামেরা টেক্কা দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। ফলে আর জি কর ইস্যুতে গেরুয়া ভোটব্যাঙ্কে ভাঁটা পড়ছে কিনা সেটাও বোঝা যাবে।

Card image cap

কৃষ্ণনগরের নিহতের বাড়িতে শুভেন্দু

কৃষ্ণনগরের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যুতে এখনও ধোঁয়াশা অব্যাহত। সিট গঠন করে তদন্ত করছে পুলিশ। নেওয়া হচ্ছে সিআইডির সহযোগিতাও। তবে তদন্তে খুশি নন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সকালে ‘রানিমা’ অমৃতা রায়কে সঙ্গে নিয়ে নিহতের বাড়িতে যান তিনি। ছাত্রীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। আইনি সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।শুভেন্দু বলেন, “আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি ময়নাতদন্তে আত্মহত্যা বলে লেখা থাকবে। যেহেতু তৃণমূলের চিকিৎসকরা এই ময়নাতদন্ত করিয়েছে, সেই কারণে পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করবে। তবে আমি বলছি ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছে। এবং এই ঘটনায় একাধিক অভিযুক্ত রয়েছে। পরিবার যা দাবি করছে, আমরা সেই দাবি মতো কাজ করার চেষ্টা করব। আমি বলছি একজন অভিযুক্তও ছাড়া পাবে না।” তরুণীর পরিবারকে আইনি সহযোগিতার আশ্বাস দেন বিরোধী দলনেতা।উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর, বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের অফিস থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি পুজো মণ্ডপের সামনে থেকে অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার পরিচয় জানা যায়। অভিযোগ, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন এবং খুনের পর প্রমাণ লোপাটে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ছাত্রীর প্রেমিক রাহুল বসুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও পুলিশে আস্থা নেই বলেই দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনায় নিহতের পরিজনেরা। টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝেই এই খুনের ঘটনায় এবার তদন্তকারী অফিসার বদল করা হল। এই মামলায় তদন্তকারী অফিসারের দায়িত্বে ইন্সপেক্টর কৌশিক সাউ। শুক্রবার নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সাংসদ মহুয়া মৈত্রও।

Card image cap

ধর্মতলার অনশন মঞ্চে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কেন ধরনা মঞ্চে আসছেন না, সে প্রশ্ন তুলেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শুক্রবার রাতে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার ধরনা মঞ্চে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। অনশনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে ফোনে কথা মুখ্যমন্ত্রীর। কোথায়, কতটা কাজ হয়েছে তা আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানালেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন ফোনে বলেন, “আপনাদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত। আমি আপনাদের শুভকামনা করছি। সাধ্যমতো যতটা পারব, সহযোগিতা করব। আন্দোলন করা আপনাদের অধিকার। বেশিরভাগ দাবিপূরণ করেছি। পুলিশ কমিশনারকে সরিয়ে দিয়েছি। একটি দপ্তর থেকে সবাইকে একসঙ্গে সরিয়ে দিলে দপ্তরটা চলতে পারে না। সরকারেরও কিছু ব্যাপার আছে। আমি বলব, তাড়াতাড়ি আন্দোলন থেকে বেরিয়ে আসুন। এটা আমার অনুরোধ। মানবেন কী মানবেন না, সেটা আপনাদের ব্যাপার। আমি চাই পরেরবার থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে একসঙ্গে নির্বাচন হোক। কালীপুজো, দীপাবলি, উপনির্বাচন আছে। আমি কথা দিচ্ছি, ৩-৪ মাস সময় দিন। আপনাদের সমস্যাগুলো নিশ্চয়ই দেখে নেব। আপনাদেরও পরীক্ষা আছে। পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। আন্দোলন থেকে সরে আসুন। আদালতে মামলা চলছে। সুবিচার মিলবে। আমি মানবিকতার পক্ষে। সাধ্যমতো যতটা পারব সহযোগিতা করব।” অনশন প্রত্যাহারের আর্জিও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, “অনশন প্রত্যাহার করে আমার সঙ্গে বসতে পারো।”মুখ্যমন্ত্রীর কথা শেষ হওয়ার পরই ধরনা মঞ্চে ওঠে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান। জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদারের সঙ্গেও ফোনে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। দেবাশিস বলেন, “আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, আমরা শুধু ভোটের জন্য অনশন করছি।” এর পর মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র চিকিৎসকদের নবান্নে সময় দেন। সোমবার বিকেল পাঁচটায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী।  উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তরুণী চিকিৎসককে। এই ঘটনার পর থেকে সুবিচার, নিরাপত্তা-সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলনে শামিল জুনিয়র চিকিৎসকরা। বর্তমানে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ৮ জন জুনিয়র চিকিৎসক। আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা স্থির করতে শুক্রবার সিনিয়রদের সঙ্গে বৈঠক করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বৈঠকের পর জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার জানান, শনিবার সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করা হবে। রবিবার ধর্মতলার মঞ্চে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। ওই মহাসমাবেশে জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকদের পাশাপাশি নাগরিক সমাজের প্রত্যেককে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়েছে।সোমবার রাজ্যের প্রত্যেকটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হবেন চিকিৎসকরা। সোমবার পর্যন্ত রাজ্য সরকারকে ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনায় বসতে হবে। মেনে নিতে হবে দশ দফা দাবি। অন্যথায় মঙ্গলবার সর্বাঙ্গীণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাতে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের প্রত্যেক জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকরা শামিল হবেন। ডেডলাইন বেঁধে দেওয়ার পরই ধরনা মঞ্চে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব। জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রীও।

Card image cap

মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই ওমর আবদুল্লাহর বড় সিদ্ধান্ত

ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লাহ বুধবার (১৬ অক্টোবর) জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপিকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, তার কনভয়ের কারণে কোনো সাধারণ মানুষকে কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়।



তিনি বলেছেন, রাস্তার পথে যাওয়ার সময় তার জন্য কোনো 'গ্রিন করিডোর' তৈরি করা হবে না।

তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “আমি ডিজির সঙ্গে কথা বলেছি যে, যখন আমি সড়কপথে যেখানেই যাই না কেন, যেন কোনো ‘গ্রিন করিডোর’ তৈরি না হয় বা ট্রাফিক না থামে। আমি তাদের জনসাধারণের অসুবিধা কমাতে এবং সাইরেনের ব্যবহার কম করার নির্দেশ দিয়েছি।”


জনগণের জন্য আমাদের আচরণ ইতিবাচক হওয়া উচিত – ওমর আবদুল্লাহ


তিনি আরও বলেন, “কোনো ধরনের প্রটোকলের লাঠি না উঁচিয়ে বা আক্রমণাত্মক ইঙ্গিত দেওয়ার মতো আচরণ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে হবে। আমি আমার মন্ত্রিসভার সহযোগীদেরও একই উদাহরণ অনুসরণ করতে বলছি। আমাদের প্রতিটি আচরণ জনগণের জন্য ইতিবাচক হওয়া উচিত। আমরা এখানে জনগণের সেবা করতে এসেছি, তাদের অসুবিধা সৃষ্টি করতে নয়।”


উপ-রাজ্যপাল মনোজ সিনহা শপথ বাক্য পাঠ করান


জানা গেছে যে, জম্মু ও কাশ্মীরের উপ-রাজ্যপাল মনোজ সিনহা বুধবার (১৬ অক্টোবর) ওমর আবদুল্লাহকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করান। আবদুল্লাহ দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন এবং তিনি তার দাদা শেখ আবদুল্লাহ এবং পিতা ফারুক আবদুল্লাহর পর আবদুল্লাহ পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের মুখ্যমন্ত্রী। ওমর আবদুল্লাহর সঙ্গে পাঁচজন মন্ত্রী – সাকিনা মাসুদ (ইতু), জাভেদ দার, জাভেদ রানা, সুরিন্দর চৌধুরী এবং সতীশ শর্মাও শপথ গ্রহণ করেছেন।


জানা গেছে যে, ২০১৯ সালে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর জম্মু ও কাশ্মীরে এটি প্রথম নির্বাচিত সরকার। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ন্যাশনাল কনফারেন্স ৯০টির মধ্যে ৪২টি আসন জিতেছে, যখন তাদের জোটসঙ্গী কংগ্রেস ৬টি আসন পেয়েছে। এছাড়াও, আপ একটি আসন জিততে সক্ষম হয়েছে।

Card image cap

কবে দেশে রিজার্ভেশন শেষ করবে কংগ্রেস?

আমেরিকা সফরে বিরোধী দলীয় নেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এরই মধ্যে রিজার্ভেশনের অবসান নিয়ে বড়সড় বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন যে কংগ্রেস যখন সঠিক সময় হবে তখন সংরক্ষণের অবসানের কথা ভাববে, যা এখন নেই। জর্জটাউন ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলার সময় রাহুল গান্ধী এই বক্তব্য দেন।


তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জিজ্ঞাসা করেছিল যে দেশে কতদিন সংরক্ষণ চলবে, যার উত্তরে রাহুল গান্ধী।


রাহুল গান্ধী বলেন, 'আপনি যখন আর্থিক তথ্য দেখেন, উপজাতিরা ১০০ টাকার মধ্যে ১০ পয়সা পায়, দলিতরা ১০০ টাকার মধ্যে ৫ টাকা পায় এবং ওবিসিরাও প্রায় একই পরিমাণ পায়। বাস্তবতা হলো তারা অংশগ্রহণ পাচ্ছে না। ভারতের প্রতিটি ব্যবসায়ী নেতার তালিকা দেখুন। আমাকে আদিবাসী ও দলিতদের নাম দেখান। আমাকে ওবিসির নাম দেখান। আমি মনে করি শীর্ষ ২০০ জনের একজন ওবিসি। তারা ভারতের ৫০ শতাংশ, কিন্তু আমরা এই রোগ নিরাময় করছি না। এখন, সংরক্ষণই একমাত্র উপায় নয়। এছাড়াও অন্যান্য উপায় আছে।'


ইউনিফর্ম সিভিল কোড সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে রাহুল গান্ধী বলেন যে, "বিজেপির প্রস্তাব কী তা জানার পরেই তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করবেন।" রাহুল গান্ধী আরও বলেন যে, "ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্সের সদস্যদের মধ্যে মতপার্থক্য ছিল, তবে তারা অনেক বিষয়ে একমত।"


এর আগে রাহুল গান্ধী বলেন, 'নির্বাচনের আগে আমরা এই ধারণার উপর জোর দিয়েছিলাম যে প্রতিষ্ঠানগুলি দখল করা হয়েছে। আরএসএস শিক্ষা ব্যবস্থার দখল নিয়েছে। সংবাদমাধ্যম ও তদন্তকারী সংস্থাগুলো ধরা পড়েছে। আমরা এটা বলতে থাকলাম কিন্তু মানুষ তা বুঝতে পারছে না। আমি সংবিধান পেশ করতে শুরু করলাম এবং আমি যা বলেছিলাম তা হঠাৎ করেই ফেটে গেল। গরীব ভারত, নিপীড়িত ভারত, যে বুঝেছিল সংবিধান বাতিল হলে পুরো খেলা শেষ হয়ে যাবে। দরিদ্র জনগণ গভীরভাবে বুঝতে পেরেছিল যে এটি সংবিধান রক্ষাকারী এবং যারা এটি ধ্বংস করে তাদের মধ্যে লড়াই।'


কংগ্রেস নেতা বলেন, 'নির্বাচনের পরে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। কেউ কেউ বললেন, 'আমার আর ভয় লাগে না, ভয় এখন কেটে গেছে'। এটা আমার কাছে কৌতূহলোদ্দীপক যে বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী ছোট ব্যবসার উপর এজেন্সি থেকে এত ভয় এবং চাপ ছড়িয়েছেন, এক সেকেন্ডে সবকিছু অদৃশ্য হয়ে গেছে। এই ভয় ছড়িয়ে দিতে তাদের বছর লেগেছে এবং তা এক সেকেন্ডের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল। আমি সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে সামনাসামনি দেখি এবং আমি আপনাকে বলতে পারি যে মোদির ধারণা, ৫৬ ইঞ্চি বুক, ঈশ্বরের সাথে সরাসরি সংযোগ, এই সব এখন শেষ, এই সব এখন ইতিহাস।'

Card image cap

বড় পদক্ষেপ নিলেন শুভেন্দু অধিকারী

আরজি কর কাণ্ড নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল। এই পরিস্থিতে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী।



তিনি ট্যুইট করে এই বিষয়ে জানিয়েছেন। এবার তার লক্ষ্যে তৃণমূল। তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে পথে নেমে মাথাভাঙার ঘটনার প্রতিবাদ জানাবেন। 

তিনি ট্যুইট করে বলেছেন, "৪ ঠা সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায়, টিএমসি গুন্ডারা মাথাভাঙ্গায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালায়; কোচবিহার জেলা, যারা আরজি কর পিজিটি লেডি ডাক্তারের জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে "রাত্রি পুনরুদ্ধার করুন" এবং "বিচারের জন্য আলো" আন্দোলনে অংশ নিচ্ছিল।


অসংস্কৃত টিএমসি রাউডিস বিক্ষোভকারীদের রুক্ষ করেছে এবং এমনকি জোরপূর্বক তাদের আঁকা ছবিগুলিকে হোয়াইটওয়াশ করেছে। আজ আমি ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে, রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস দলের গুন্ডা ও দলীয় কর্মীদের দ্বারা প্রতিবাদকারীদের পূর্ব পরিকল্পিত হামলার প্রতিবাদে "নিন্দা মিছিলে" অংশ নিতে আমি মাথাভাঙ্গা শহরে যাচ্ছি। বিচারের দাবি অব্যাহত থাকবে"।

Card image cap

‘অপরাজিতা’ বিলে সই না করার ইঙ্গিত রাজ্যপালের

রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া ‘অপরাজিতা’ বিলে এখনই ছাড়পত্র দেবে না রাজভবন। স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের দাবি, “এই বিলের সঙ্গে রাজ্যের তরফে কোনও টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। যা বিলে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য জরুরি। সেটা জানা সত্ত্বেও রাজ্য কোনও টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাঠায়নি।”বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, “বাংলার অপরাজিতা বিল নতুন কিছু নয়। অন্ধ্র, অরুণাচল, মহারাষ্ট্রের নারী সুরক্ষা বিলের অনুকরণ মাত্র। এই বিলগুলি এখন রাষ্ট্রপতির কাছে পড়ে রয়েছে। সেটা জানা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে একই রকম বিল এনেছেন।” রাজভবনের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিলের সঙ্গে তার টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাঠানোটা রাজ্য সরকারের কর্তব্য। রাজ্য সরকার সেটা পাঠায়নি। এই প্রথমবার নয়, এর আগেও একাধিকবার টেকনিক্যাল রিপোর্ট না পাঠিয়েও বিল আটকে রাখার জন্য রাজভবনকে দুষেছে রাজ্য সরকার।” ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “রাজ্যপাল এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এবং জানিয়েছেন, বিল পেশের আগে আরও হোমওয়ার্ক করা উচিত রাজ্যের।”গত মঙ্গলবার বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয় ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’ (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪)। ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মামলার নিস্পত্তির কথাও বলা আছে বাংলার বিলে। রীতি অনুযায়ী, বিধানসভায় পাশ হওয়া যে কোনও বিল পাঠানো হয় রাজভবনে। সেই বিলে রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হয়। রাজ্যপাল যদি বিল নিয়ে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন তাহলে সেটি রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঠাতে পারেন। এই ধরনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। বিল পাশের পরদিনই সেটি রাজভবনে পাঠিয়ে দেন।‘অপরাজিতা’ বিল পেশের দিন বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, দায়িত্বশীল বিরোধী হিসাবে বিলটিকে পাশ করাতে সাহায্য করবেন তাঁরা। এটিকে আইনে পরিণত করার দায়িত্ব সরকারের। আবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতা রাজ্যপালকে বলুন বিলে তাড়াতাড়ি অনুমোদন দিতে।’’ বস্তুত রাজভবনের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের মহিলা মোর্চার তরফেও জানানো হয়, রাজ্যপাল বিলে ছাড়পত্র না দিলে রাজভবনের সামনে ধরনা দেবেন মহিলা কর্মীরা। তবে সেসব চাপে মাথা নোয়াতে নারাজ সি ভি আনন্দ বোস।

Card image cap

বিধায়ক লাভলির বিরুদ্ধে মামলা হাই কোর্টে

এবার তৃণমূলের অভিনেত্রী বিধায়কের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হল মামলা। আর জি কর কাণ্ডে চিকিৎসকদের আন্দোলনকে অসন্মান, ডাক্তারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে হাই কোর্টে সোনারপুরের বিধায়ক লাভলি মৈত্রর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। সম্ভবত মামলার শুনানি শুক্রবার।রবিবার এক প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়েছিবলে ‘জলনুপূর’ সিরিয়াল খ্যাত লাভলি মৈত্র। বলেন, “দিনের পর দিন আন্দোলনের নামে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। গরিব মানুষ যারা চিকিৎসার জন্য আসে, যারা গ্রামবাংলা থেকে আসে, যারা প্রান্তিক এলাকা থেকে আসে, যাদের চিকিৎসা করার ক্ষমতা নেই প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে, আজকে তারা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।” তাঁর আরও সংযোজন, “কোনও চিকিৎসা হচ্ছে না। এরা মানবিক? এরা মানুষ? কসাইতে পরিণত হচ্ছে দিনের পর দিন ডাক্তাররা।” এর পরই তাঁকে সতর্ক করেছিল তৃণমূল। দলের তরফে সতর্ক করা হয় সোনারপুরের বিধায়ককে। তাঁকে আগামীতে এধরনের ‘বাজে’ মন্তব্য করার থেকে বিরত থাকতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সিপিএম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সরাসরি আদালতে মামলা হল লাভলি মৈত্রের বিরুদ্ধে। 

Card image cap

প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর ধর্ষণবিরোধী কড়া বিল পেশ করল রাজ্য সরকার। বিধানসভায় মঙ্গলবার বিলটি পেশ করেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।  ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’ (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪) বিল নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। এরাজ্যের নারী নিরাপত্তার সঙ্গে বিজেপি  শাসিত রাজ্যগুলিতে পরিস্থিতির তুলনা করতে গেলে বিরোধীরা হইহই করে ওঠেন। তাতেই মুখ্যমন্ত্রীর পালটা দাবি, ”এই বিল একটা ইতিহাস! প্রধানমন্ত্রী পারেননি। আমরা পারলাম। করে দেখালাম। বিজেপি শুধু বাংলার নামে কুৎসা করে যাচ্ছে। এই কুৎসাকারীদের বলি, এটা করে আপনারা আর জি করের বীভৎসতাকে কমিয়ে দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের মেয়েদের রক্ষা করতে পারেননি। উনি জাতীয় লজ্জা! ওঁকে আগে পদত‌্যাগ করতে বলুন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলুন।”পূর্ব ঘোষণামতো মঙ্গলবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে পেশ হয়েছে ‘অপরাজিতা’ বিল। আলোচনার জন্য ঘণ্টা দুয়েক সময় ছিল। প্রথমে বিরোধী দলের বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা বক্তব্য রাখেন। ‘বিলে নতুন কিছু নেই’ বলেও তাকে পূর্ণ সমর্থন জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। এর পর মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে উঠলে  বিরোধীরা শোরগোল শুরু করেন। তাঁর সামনেই স্লোগান উঠতে থাকে, ”দাবি এক, দফা এক/মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ”। তা শুনে মুখ্যমন্ত্রী পালটা বললেন, ‘‘আগে নরেন্দ্র মোদীর পদত্যাগ চাই। তার পরে বাকি কথা।’’নারী নিরাপত্তায় দেশের সামগ্রিক চিত্রের কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গুজরাট, উত্তরপ্রদেশের প্রসঙ্গে তোলেন। দেশে ধর্ষণ, গণধর্ষণের একাধিক ঘটনার উল্লেখ করেন। সেসব ঘটনার নিন্দা করে প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেন তিনি। ধর্ষণ রুখতে কড়া আইন প্রণয়নে প্রধানমন্ত্রীকে ২ বার চিঠি লেখেন। তার সদর্থক জবাব মেলেনি, এই অভিযোগ তুলে বলেন, ”এই বিল একটা ইতিহাস! প্রধানমন্ত্রী পারেননি। আমরা পারলাম। করে দেখালাম। বিজেপি শুধু বাংলার নামে কুৎসা করে যাচ্ছে। এই কুৎসাকারীদের বলি, এটা করে আপনারা আর জি করের বীভৎসতাকে কমিয়ে দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের মেয়েদের রক্ষা করতে পারেননি। উনি জাতীয় লজ্জা! ওঁকে আগে পদত‌্যাগ করতে বলুন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলুন।”

Card image cap

কর্মরতা মেয়েদের নিরাপত্তায় পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর

‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পে বলা হয়েছিল, মেয়েদের নাইট ডিউটি নয়। এবার বিধানসভায় দাঁড়িয়েও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গেল একই রকমের কথা। বললেন, “মেয়েদের ১২ ঘন্টা ডিউটি দাও। যত দ্রুত সম্ভব ছেড়ে দাও।” মূলত মহিলা চিকিৎসকদের জন্যই এই বার্তা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মুখ্যমন্ত্রী এই কথা বলতেই ফুঁসে ওঠেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ নিয়ে কার্যত দুজনের মধ্যে তরজা শুরু হয়ে যায়।মঙ্গলবার ধর্ষণবিরোধী ‘অপরাজিতা’ বিল পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই কর্তব্যরত মহিলাদের কাজের সময় নিয়েও বক্তব্য রাখেন তিনি। জোর দেন নিরাপত্তা নিয়েও। মমতার কথায়, “মহিলা ডাক্তার বা নার্সদের যাতায়াতের জায়গা আলো দাও। সিসিটিভি লাগাও। রেস্ট রুম কর। আমরা ১০০ কোটি দিয়েছি।” এর পরই তিনি বলেন, “মেয়েদের ১২ ঘন্টা ডিউটি দাও। যত দ্রুত সম্ভব ছেড়ে দাও।” সঙ্গে সঙ্গে ফুঁসে ওঠেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রশ্ন করে, “কেন এটা হবে?” উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নিরাপত্তার জন্য।” সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “রাতে কেউ কাজ করলে বাড়তি নিরাপত্তা দাও।”কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ড তোলপাড় ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে। বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে নারী নিরাপত্তা নিয়ে।  আর জি কর হাসপাতালের সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই তড়িঘড়ি নারী সুরক্ষায় বড়সড় পদক্ষেপ নেয় রাজ্য প্রশাসন। তাঁর নির্দেশে রাজ্য সরকারের তরফে চালু হল ‘রাত্তিরের সাথী’ নামে নয়া প্রকল্প। সেখানে রাতের শিফটে মহিলাদের যথাসম্ভব বাদ রাখার পক্ষে সওয়াল রাজ্য সরকারের। যদি কাজ করতে হয়, তাহলে মহিলারা দুজন কিংবা গোষ্ঠীবদ্ধভাবে কাজ করবেন। এর পর বিধানসভায়ও মেয়েদের কাজের সময় কমানো ও রাতে তাঁদের ডিউটি না দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন তিনি। 

Card image cap

আরজি কর কাণ্ডে ফের স্বমহিমায় দিলীপ

আরজি কর কাণ্ডে রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুলিশকে নিশানায় নিয়ে ফের স্বমহিমায় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। কড়া সুরে জানালেন, ‘পাবলিকের মার দুনিয়া পার।’ এমনকী ধর্ষণ বিরোধী আইন নিয়েও রাজ্য সরকারকে নিশানায় নিলেন প্রাক্তন সাংসদ। প্রশ্ন তুললেন, ‘বিধানসভায় কোনও মৃত্যুদন্ডের আইন পাশ করা যায় কিনা জানি না। আর যদি হয়, তাহলে এতদিন লাগলো কেন?’আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ধরনা কর্মসূচি চলছে বিজেপি। শনিবার এই কর্মসূচির তৃতীয় দিনে, দিলীপ ঘোষ, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, শমীক ভট্টাচার্যের মতো শীর্ষ নেতৃত্বরা। সেখানেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কড়া সুরে আক্রমণ শানিয়ে দিলীপ বলেন, “ধর্ষণে ফাঁসির আইন আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। যার জন্য আগামী সপ্তাহে দুদিনের বিশেষ অধিবেশন বসতে চলেছে বিধানসভায়। কিন্তু প্রশ্ন হল বিধানসভায় কোনও মৃত্যুদন্ডের আইন পাশ করা যায় কি? আদালত কি সেটা মানবে? যদি আইন আনা যায় সেক্ষেত্রে এত বছর সময় লাগল কেন?”পাশাপাশি দিলীপ অভিযোগ করেন, “কেন্দ্র নতুন আইন ন্যায় সংহিতা চালু করেছে। এই বিষয়ে লোকসভায় ৩ মাস ধরে আলোচনার পাশাপাশি রাজ্যগুলির থেকে পরামর্শ চাওয়া হয়েছিল। অথচ রাজ্য তার মতামত পাঠায়নি। এই রাবড়ি পলিটিক্স চলবে না।” আরজি কর ইস্যুতে মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে দিলীপ বলেন, “সুপার ভুল বোঝাচ্ছে। ডিসি সেন্ট্রাল তিনিও ভুল বোঝাচ্ছেন। একটা চক্রান্ত চলছে তার হাত কালিঘাট অবধি আছে। তবে পালাবার পথ নেই।” মামলা যদি সিবিআইকে দেওয়ার হলে প্রথমেই কেন দেওয়া হল না সে প্রশ্ন তোলেন দিলীপ। অভিযোগ করেন, “অনেক চেষ্টা করে ভয় দেখিয়েও আন্দোলন বন্ধ করতে পারছে না ওরা। এই রাজ্যে তৃণমূল না বললে পুলিশ কেস রেজিস্ট্রার হয় না। সবজায়গায় কাটমানি।”পুলিশকে নিশানায় নিয়ে তিনি আরও বলেন, “মানুষের মননে আঘাত লেগেছে। তাই মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। অন্যদিকে পালটা স্লোগান লিখছে পুলিশ। আমি পুলিকে বলব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় প্রভাবিত হও না।” একইসঙ্গে চেনা ভঙ্গিতে দিলীপ বলেন, “পাবলিকের মার দুনিয়ার পার।” যতদিন না নির্যাতিতা বিচার পাচ্ছে ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলীপ বলেন, “গনেশ পুজো আসছে, তার পর বিশ্বকর্মা পুজো, এর পর পুজো। ওরা ভাবছে সবাই ভুলে যাবে। আমরা কিন্তু রাস্তায় আছি।” দূর্গাপুজো কমিটিগুলিকে বার্তা দিয়ে তিনি আরও জানান, “অনেক পুজো কমিটির দম আছে, তারা টাকার কাছে বিক্রি হয়নি। সরকারি টাকায় কবে দূর্গাপুজো হয়েছে? বিবেক থাকলে ওই পাপের টাকা নেবেন না।”

Card image cap

বিজেপির মহিলা মোর্চার অভিযানে ধুন্ধুমার

রাজ্য মহিলা কমিশনে বিজেপির তালাবন্ধ অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। ব্যারিকেড ভেঙে রাজ্য মহিলা কমিশনের দপ্তরের দিকে এগনোর চেষ্টা নেতা-কর্মীদের। বাধা দিলে পুলিশ ও বিজেপি মহিলা মোর্চার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাজ্য মহিলা কমিশনের অফিসের সামনে ধরনায় নেতা-কর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণ পর মিছিলকারীদের মধ্যে পাঁচজন মহিলা কমিশনের অফিসে ঢোকার অনুমতি পান।গত ৮ আগস্ট, নাইট ডিউটি করছিলেন তরুণী চিকিৎসক। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় তিনি প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল। শরীরে ছিল একাধিক ক্ষতচিহ্ন। প্রায় তিন সপ্তাহ পরেও সুবিচারের দাবিতে ফুঁসছেন প্রায় সকলেই। ক্রমশ আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির। রাজ্যে এত বড় ঘটনা ঘটলেও, রাজ্য মহিলা কমিশন কোনও কাজ করছে না বলেই অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে রাজ্য মহিলা কমিশনের অফিসে তালা লাগাও অভিযান ছিল বিজেপির। লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে প্রতীকী তালা হাতে মিছিল করেন বিজেপি মহিলা মোর্চার নেতা-কর্মীরা।কর্মসূচি শুরুর বেশ কিছুক্ষণ আগেই এয়ারপোর্ট আড়াই নম্বর গেটের কাছে জমায়েত করেন বিজেপি মহিলা মোর্চার নেতা-কর্মীরা। সেখানেই ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আটক করা হয়। পরে অবশ্য মিছিল শুরু করে বিজেপি মহিলা মোর্চা। রাজ্য মহিলা কমিশনের অফিসে অদূরে ব্যারিকেড করে দেয় পুলিশ। সেই ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগনোর চেষ্টা করা হয়। তাতেই পুলিশ ও মিছিলকারীরা বচসা ও ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন মিছিলকারীরা। দিতে থাকেন স্লোগান। পরে অবশ্য লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল-সহ বিজেপি মহিলা মোর্চার পাঁচ প্রতিনিধিকে রাজ্য মহিলা কমিশনে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়।

Card image cap

শুভেচ্ছার ছলে শাহকে খোঁচা মমতার

ইতিহাসে কনিষ্ঠতম হিসাবে আইসিসি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জয় শাহ। এবার তাঁর বাবা অর্থাৎ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ‘শুভেচ্ছা’ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘আপনার ছেলে রাজনীতিবিদ হয়নি। কিন্তু তার থেকেও আরও গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেছে।’ ওয়াকিবহাল মহলের অধিকাংশের মতে, জয় শাহকে শুভেচ্ছা জানানোর ছলে আসলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।  ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিদেয় করার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর ছেলে জয় শাহ পুরোপুরি আধিপত্য স্থাপন করেছেন। তাঁর উদ্দেশ্য ও বিধেয় অনেকেই আন্দাজ করতে পারছিলেন। শেষমেশ দেখা গেল, হয়েছেও তাই। দুদিন আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল তথা আইসিসি-র চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন জয় শাহ। খুব স্বাভাবিক ভাবে তা নিয়ে সমাজ মাধ্যমে ও রাজনৈতিক পরিসরে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। এদিন তা নিয়েই এক্স হ্যান্ডেলে একটা পোস্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে মমতা লিখেছেন, “অভিনন্দন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।” মমতার কথায়, “আপনার ছেলে রাজনীতিক হননি, তবে তিনি আইসিসি-র চেয়ারম্যান হয়েছেন—যে পদ অনেক রাজনীতিকের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ । আপনার ছেলে সত্যিই খুব খুব ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছেন, এবং তাঁর এই সাফল্য ও উচ্চতালাভের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি”।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, অনেকেরই ধারণা হল, অমিত শাহ তাঁর রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে জয় শাহকে ক্রিকেট বোর্ডের সচিব করেছিলেন। নইলে যে ছেলের সঙ্গে কোনওদিনও ক্রিকেটের উল্লেখযোগ্য সম্পর্ক ছিল না, সেই তিনি ভারতীয় ক্রিকেটে এত উঁচু পদ হঠাৎ করে দখল করে ফেললেন কীভাবে? সৌরভকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে সরানোও অনেকটাই কৌশলগত বলেও একাংশের ধারণা রয়েছে।
বস্তুত পরিবারতন্ত্র নিয়ে প্রায়ই বিজেপি খোঁচা দেয় তৃণমূল কংগ্রেসকে। এদিন তারই পাল্টা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রের যে কোনও মন্ত্রীর পদের তুলনায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বোর্ডের হাতে যে বাজেট রয়েছে তা বহু সরকারি দফতরের হাতে থাকে না। সেই পরিসরে জয় শাহর উত্থান কীভাবে হয়েছে, তাও বহু মানুষের কাছে পরিষ্কার। তাই মমতাও এদিন রাজনৈতিক ভাবেই খোঁচাটা দিতে চেয়েছেন। সন্দেহ নেই মমতা এভাবে মুখ খোলার পর আরও অনেকে এ বিষয়ে সরব হবেন।

Card image cap

সুকান্ত দিলীপের সঙ্গে ২ ঘণ্টার বৈঠক রাজ্যপালের

আর জি কর কাণ্ড নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজভবনে যান রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ-সহ অন্যান্যরা। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পর রাজভবন থেকে বেরিয়ে সুকান্ত জানান, আর জি কর নিয়ে রাজ্যে যা যা ঘটেছে তা বিস্তারিত জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথাও বলেছেন। জানা গিয়েছে, সুকান্ত-দিলীপের সঙ্গে বৈঠকের পরই দিল্লি যাচ্ছেন আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, আর জি কর ইস্যুতেই অমিত শাহ তলব করেছেন রাজ্যপালকে।আর জি কর কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। সুবিচারের দাবিতে সুর চড়াচ্ছে আমজনতা। বুধবারও TMCP’র প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে দোষীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠান থেকে করা মুখ্যমন্ত্রীর ‘ফোঁস’ মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। আর জি কর ইস্যু থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য, গোটা বিষয়টা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ-সহ অন্যান্যরা। দীর্ঘ বৈঠকের পর রাজভবন থেকে বেরিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আর জি কর নিয়ে বিস্তারিতভাবে সমস্ত অভিযোগ জানিয়েছি। রাজ্যের সর্বোচ্চ পদে থেকে মুখ্যমন্ত্রী যা মন্তব্য করছেন তাতে বাংলাদেশের জামাতের মিল পাওয়া যাচ্ছে। অসম, ওড়িশার মতো রাজ্যের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা রাজ্যপালকে জানিয়েছি। বলেছি, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, সাংবিধানিকভাবে আপনার যা করার করুন।” এর পর তিনি জানান, আজ বিকেলেই দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল।উল্লেখ্য, বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমায় অনেক গালাগালি দিয়েছেন। অনেক অসম্মান করেছেন। আমি অনেক ভেবেছি। আমি ভেবে দেখলাম, এদের বিরুদ্ধে কোনও দিনও বদলা নিইনি। আমরা বলেছিলাম বদলা নয়, বদল চাই। আজ বলছি, ওই কথা নয়। আজ বলছি, যেটা করার দরকার, সেটা আপনারা ভালো বুঝে করবেন।” এই মন্তব্যের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অশান্তিতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ তুলে শাহকে চিঠি লেখেন সুকান্ত। দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি করেছিলেন তিনি। মনে করা হচ্ছে সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যপালকে তলব করেছেন অমিত শাহ।

Card image cap

অভিষেকের নিশানায় সিবিআই

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে সিবিআইকে একহাত নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের এতদিন কেটে গেলেও ওই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ গ্রেপ্তার হননি কেন, প্রশ্ন করলেন অভিষেক। তিনি বলেন, “৪ দিন পুলিশের হাতে কেস ছিল। তার পর থেকে সিবিআইয়ের হাতে। এই কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ গ্রেপ্তার হয়নি কেন সিবিআই জবাব দিক।”আর জি কর কাণ্ডে ওই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠছে। হাই কোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টেও ঘটনার দিনে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আন্দোলনকারীদের একাংশও সন্দীপের গ্রেপ্তারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সিবিআই এই ঘটনার তদন্তভার নেওয়ার পর প্রায় প্রতিদিন জেরার মুখোমুখি হয়েছেন সন্দীপ। এমনকী আর জি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি সিবিআই।সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিষেক এদিনের সভা থেকে বলেন, “৪ দিন পুলিশের হাতে কেস ছিল। একজন গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তার পর থেকে সিবিআইয়ের হাতে। এখনও পর্যন্ত খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন, সিবিআইকে জবাব দিতে হবে। সাধারণ মানুষ  বলছে বিচার চায়। আমরা বলছি বিচার চাই। এই ঘটনার সবাই বিচার চায়। বিজেপি বলছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই।”পাশাপাশি, সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। নোবেল চুরি থেকে সারদা মামলায় সিবিআইয়ের দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা মামলা নিয়েও প্রশ্ন তুলে বলেন, “এর আগে সারদা, রবীন্দ্রনাথের নোবেল, কী বিচার হয়েছে?” এর পাশাপাশি,  ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠিন আইন আনা নিয়ে সরব হয়েছেন অভিষেক। কেন্দ্র আইন না আনলে তিনি নিজের এমপি কোটা ব্যবহার করে সেই বিল আনবেন বলে জানিয়েছেন।

Card image cap

অমিত শাহকে চিঠি সুকান্তর

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অশান্তিতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, সাংবিধানিক পদে বসে অশান্তিতে উসকানি দিয়েছেন মমতা। বিদ্বেষ ছড়ানোর পাশাপাশি হুমকি দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন সুকান্ত। দ্রুত পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিনি। বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমায় অনেক গালাগালি দিয়েছেন। অনেক অসম্মান করেছেন। আমি অনেক ভেবেছি। আমি ভেবে দেখলাম, এদের বিরুদ্ধে কোনও দিনও বদলা নিইনি। আমরা বলেছিলাম বদলা নয়, বদল চাই। আজ বলছি, ওই কথা নয়। আজ বলছি, যেটা করার দরকার, সেটা আপনারা ভালো বুঝে করবেন।” শুধু তাই নয়, বাংলায় ‘বাংলাদেশ মডেলে’ অরাজকতা তৈরির চক্রান্ত নিয়েও সরব হয়েছিলন তিনি। বলেছিলেন, “মোদিবাবু আপনার পার্টিকে দিয়ে আগুন লাগাচ্ছেন! মনে রাখবেন বাংলায় যদি আগুন লাগান, অসমও থেমে থাকবে না। নর্থ ইস্টও থেমে থাকবে না। উত্তরপ্রদেশও থেমে থাকবে না। বিহার-ঝাড়খণ্ড-দিল্লিও থেমে থাকবে না।” চিঠিতে তৃণমূল নেত্রীর এই দুই মন্তব্যের উল্লেখ করেছেন সুকান্ত।শাহকে লেখা চিঠিতে তাঁর দাবি, সাংবিধানিক পদে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশবিরোধী, উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন। বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন। তাঁর আর এই গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার অধিকার নেই। এখনই পদত্যাগ করা উচিত।” এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

Card image cap

‘প্রস্তুত থাকুন’, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

একইদিনে নবান্ন, লালবাজার ও কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন অভিযানের ঘোষণা শুভেন্দু অধিকারীর। বুধবার নন্দীগ্রাম থেকে এই কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে এই অভিযান কবে, কখন তা এখনও জানা যায়নি।বুধবার নবান্ন অভিযানে ছাত্রদের উপর পুলিশি অত্যাচার হয়েছে বলে ফের অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশকে তুলোধোনা করেন তিনি। এর পরই শীঘ্রই একদিনে ত্রিফলা অভিযানের কথা ঘোষণা করেন। বলেন, ‘‘প্রস্তুত থাকুন, একই দিনে তিনটে অভিযান হবে। নবান্ন, লালবাজার ও কালীঘাট। কারা করবে, কবে করবে সব জেনে যাবেন। দফা এক, দাবি এক, মমতার পদত্যাগ। আমার বোনের রক্ত, হবে নাকো ব্যর্থ।’’প্রসঙ্গত, আর জি কাণ্ডের প্রতিবাদ গতকাল, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকা। বিভিন্ন পয়েন্টে আন্দোলনকারীদের পথ আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় আন্দোলনকারীদের। পালটা ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস, জলকামান। আহত হন বহু আন্দোলনকারী। বিজেপির দাবি, আন্দোলনকারীদের উপর অত্যাচার করেছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে বুধবার রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট ডেকেছিল বিজেপি।

Card image cap

বুধে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট বিজেপির

তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মঘটের ডাক বিজেপির। বুধবার ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক গেরুয়া শিবিরের। এদিকে, আগামিকাল বাংলাকে সচল রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। তৃণমূলেরও হুঁশিয়ারি, “কাল কোনও ধর্মঘট হবে না।”‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজে’র ডাকে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। তা রুখতে একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করে রাজ্য প্রশাসন। যদিও তা সত্ত্বেও মিছিল বের হয়। নবান্নে পৌঁছতে না পারায় দফায় দফায় ব্যারিকেড ভাঙেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়া হয়। পালটা আন্দোলনকারীদের হঠাতে কোথাও কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামানকে কাজে লাগানো হয়। তাতে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হন। চোটাঘাত লাগে আন্দোলনকারীদেরও। পুলিশের ভূমিকার সমালোচনায় সরব বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বুধবার রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেন। বলেন, “শান্তিপূর্ণ মিছিলে কেন পুলিশ লাঠিচার্জ করল? কাঁদানে গ্যাস ছুড়ল? আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে কেমিক্যাল স্প্রে করা হয়। বাংলার ছাত্র সমাজকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রক্তস্নান করাতে চাইছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আর পারবেন না আটকাতে। বাংলার মানুষের জবাব দেওয়ার সময় এসেছে।” আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী কর্মসূচিও ঘোষণা করেন সুকান্ত। বৃহস্পতিবার থেকে ধর্মতলায় লাগাতার ধরনা কর্মসূচির কথাও জানান। এছাড়া তিনি আরও বলেন, “নবান্ন অভিযানে আক্রান্তদের আইনি বা চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহায়তা করা হবে। চালু করা হয়েছে হেল্পলাইনও। আগামী ৩০ আগস্ট  রাজ্য মহিলা কমিশন ঘেরাও করা হবে। আগামী ২ সেপ্টেম্বর গোটা রাজ্যে জেলাশাসকের দপ্তর দিনভর ধরনা দেবেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ৪ সেপ্টেম্বরের বদলে ৬ সেপ্টেম্বর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত দুঘণ্টার চাক্কা জ্যাম।”যদিও ধর্মঘট যে কোনওভাবে মানা হবে না, তা সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “ছাত্রদের প্রতি পূর্ণ সমবেদনা আছে। যে মর্মান্তিক অপরাধ হয়েছে তার সুবিচার সকলেই চাইছি। এখন তদন্তভার সিবিআইয়ের কাছে। সুবিচার চাওয়ার অধিকার সকলের আছে। আজ মহানগরী তথা বাংলাকে স্তব্ধ ও অচল করার যে প্রয়াস হচ্ছে, তা অসমর্থনযোগ্য। শারদোৎসবের বেচাকেনা শুরু হয়ে গিয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য-সহ সকল জনক্ষেত্র বিপন্ন। আগামিকালের প্রস্তাবিত ধর্মঘটকে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অংশ নেবেন না। সব কিছু চালু থাকবে। অফিস-কাছারিতে আসতে হবে সরকারি কর্মীদের। দোকানপাট খুলে রাখবেন। যানবাহন স্বাভাবিক রাখতে হবে। বেসরকারি বাস, মিনিবাস মালিকদের প্রতিও একই অনুজ্ঞা। বাংলাকে সর্বতভাবে সচল রাখতে হবে।”  তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও ধর্মঘটের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলেন, “আগামিকাল কোনও বন্‌ধ হবে না। মানুষ বাংলা বন্‌ধের ডাক ব্যর্থ করুন। চক্রান্ত ভেস্তে গিয়েছে বলে ধর্মঘটের ডাক। জনজীবন স্বাভাবিক রাখুন। এটা বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত।” নবান্ন অভিযানের চূড়ান্ত সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, “নবান্ন অভিযান নয়, সমাজবিরোধীদের অভিযান। এখন জাস্টিস নয়, চেয়ার চাই। বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে। বিজেপির কিছু গুন্ডা অরাজকতা করেছে। এর মধ্যে অনেক বাংলা বিরোধী অপশক্তি আছে। একটা বড় প্লট। পুলিশ সমস্ত আক্রমণের মুখে পড়ে, রক্তাক্ত হয়েও গোটা পুলিশবাহিনী সংযমের পরিচয় দিয়েছে। উত্তেজিত জনতাকে হঠাতে যা করার তাই করেছে।”