CATEGORY politics:

Card image cap

অভিষেকের মেয়েকে ‘হেনস্তা’র হুমকি!

আর জি কর কাণ্ডের পর দেশজুড়ে নারী নির্যাতন নিয়ে নতুন করে ভাবনা শুরু হয়েছে। যৌন হেনস্তা, খুনের মতো ঘৃণ্য অপরাধের শাস্তি আরও কঠোর যাতে হয়, তার জন্য নতুন আইন প্রণয়ন নিয়ে আলোচনাও চলছে। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। এবার রাজ্যের শাসকদলেরই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণের হুমকির ভিডিও ভাইরাল! আর তা দেখেই প্রতিবাদে গর্জে উঠল গোটা দল। রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, সাকেত গোখলেরা সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তোপ দেগেছেন বিজেপিকে। স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে শিশু সুরক্ষা কমিশন।ভাইরাল হওয়া ভিডিও জনৈক ব্যক্তিকে বলতে শোনা গিয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তার জন্য আর্থিক পুরস্কারের কথাও বলা হচ্ছে। আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে একটি জমায়েত থেকেই ওই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে বলে দাবি। যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’। এনিয়ে দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন সোশাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘‘আপনাদের নোংরা কৌশলের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করুন। আগেও এরকম করেছেন। কিন্তু এবার আপনারা সব সীমা অতিক্রম করে ফেললেন। শিশুদের হুমকি দেওয়া বন্ধ করুন। আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কন্যাকে এই ধরনের হুমকি! প্রতিবাদের ভাষা নেই। এখনই এসব বন্ধ করুন।’’এই পোস্ট রিটুইট করেছেন আরেক সাংসদ সাকেত গোখলে। তিনি বিষয়টি নিয়ে শিশু সুরক্ষা কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এদিকে, এমন নিন্দনীয় অভিযোগকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখেছে শিশু সুরক্ষা কমিশন। তারাও বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এ ধরনের হুমকি একেবারেই বেআইনি। পকসো, UNCRC-সহ একাধিক আইনি ধারায় মামলা দায়ের করা উচিত। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তারির জন্য পুলিশের কাছেও আর্জি জানিয়েছে কমিশন।এনিয়ে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”অত্যন্ত আপত্তিকর বিষয়। এখন তো সেলিম, সুকান্তবাবুরা মুখ খুলছেন না। অভিষেকের পরিবারকে টেনে যে ভয়ংকর কথা বলা হয়েছে, এর প্রতিবাদ এখন কেউ করবেন না? রাজনীতি করতে গিয়ে তৃণমূলের নেতা অভিষেকের পরিবারকে কীভাবে আক্রমণ করছেন, একজন বাম অভিনেত্রী পারভার্ট তিনি বিকৃত পোস্ট করছেন, সেগুলোর প্রতিবাদ করবেন না?” 

Card image cap

নবান্ন অভিযান নিয়ে বিস্ফোরক কুণাল

রাত পোহালেই পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান। অশান্তির আশঙ্কায় প্রস্তুত প্রশাসন। এবার এই নবান্ন অভিযান নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূলের। অশান্তি পাকাতে আগামিকালের জন্য বিজেপি ভয়ংকর প্লট তৈরি করেছে বলেই দাবি কুণাল ঘোষের। দুটি ভিডিও দেখিয়ে তৃণমূল নেতার আরও দাবি, গুলি চালানো এমনকী ওই মিছিল থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে খুনের ষড়যন্ত্রও করা হতে পারে।সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের তরফে দুটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ভিডিওগুলিতে একাধিক ব্যক্তির মুখ থেকে ‘বডি চাই’ শব্দবন্ধ শোনা গিয়েছে। যদিও এই ভিডিও দুটির সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। ‘বডি চাই’ শব্দবন্ধের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কুণাল ঘোষ বলেন, “মঙ্গলবারের মিছিল নিয়ে একটা চক্রান্ত চলছে। আমরা তৃণমূলের সবাই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেকে আর জি করের ঘটনার বিচার চাই। আপনারা যদি বলেন, জাস্টিস ফর আর জি কর। আমরা বলব তোমার আমার এক স্বর। কিন্তু যদি বলেন রিজাইন মমতা। তবে আমরা বলব, ময়দানে বুঝে নেবে বাংলার জনতা। কিন্তু মঙ্গলবারের ওই মিছিল বেআইনি এবং অবৈধ। ওই মিছিলের জন্য পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয়নি।”আশঙ্কা প্রকাশ করে তৃণমূল মুখপাত্র আরও বলেন, “একটা চক্র কাজ করছে। তার মধ্যে বিজেপি, এবিভিপি, আরএসএস প্রমোট করছে। সিপিএম মনোভাবাপন্ন কিছু গোষ্ঠী মধ্যে রয়েছে। বঙ্গবিরোধী কিছু গোষ্ঠী-অপশক্তি, যাঁরা এলোমেলো করে দিতে চাইছে বাংলাকে। আমাদের আশঙ্কা, আমরা বারবার পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টা বলেছি। ওই মিছিলে বাইরের রাজ্য থেকেও লোক আনা হতে পারে। এমনকি, তাদের পুলিশের নকল পোশাক পরিয়ে গুলি চালানোর মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। একটা বড় চক্রান্ত চলছে কালকের মিছিল ঘিরে। শকুনের রাজনীতি করছে বিজেপি। ওরা বলছে বডি চাই। সোশাল মিডিয়ায় লোক খেপিয়ে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা চলছে। তদন্তে সিবিআই, মামলা সুপ্রিম কোর্টে দিল্লিতে, আর কলকাতায় নবান্ন চলো বলে গদির রাজনীতি করা হচ্ছে। যাঁরা বাংলায় নির্বাচনের মানুষের দ্বারা প্রত্যাখিত হয়েছে, তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা অন্য কোনও শক্তিকে জড়িত করার চেষ্টা করছে।” এছাড়া নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া ছাত্রনেতা শুভঙ্কর হালদারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগও তুলেছে তৃণমূল।  যদিও কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের জোরাল সমালোচনা করেছেন বিজেপি মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “আন্দোলন গতি পাওয়ায় তৃণমূল হতাশায় ভুগছে, তাই এমন অদ্ভুত আচরণ।”

Card image cap

মেগা কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা দেশ। ঘটনার ষোলোদিন পরেও আন্দোলনে আঁচ প্রায় একইরকম। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনের আরও ঝাঁজ বাড়াতে চলেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।রবিবার শ্যামবাজারের ধরনা মঞ্চ থেকে একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। সোমবার বাড়িতে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদের ডাক সুকান্ত মজুমদারের। তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রত্যেক আন্দোলনে আমাদের সমর্থন আছে। আন্দোলনকারীদের উপর অত্যাচার হলে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে পাশে থাকব। আগামী ২৮ আগস্ট থেকে ধর্মতলায় ধরনা। পুলিশ অনুমতি না দিলে, আদালতে যাব। আদালতের পথ খোলা।” রাজ্য মহিলা কমিশনের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন সুকান্ত। বলেন, “রাজ্য মহিলা কমিশন গোটা বছর ঘুমোয়। যদি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসে তখন জাগে। মহিলা মোর্চার নেতৃত্বে ঘুমন্ত মহিলা কমিশনের দপ্তরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেওয়া হবে।” মূলত গেরুয়া শিবিরের নারী ব্রিগেড আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে। দলের মহিলা সদস্যদের কাছে সুকান্তর আর্জি, কমপক্ষে ১ জন করে পরিচিত মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে যোগদান করতে হবে।আগামী ২৯ আগস্ট জেলায় জেলায় জেলাশাসক দপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। ওইদিন দুপুর ১২টা থেকে থেকে শুরু হবে ঘেরাও। এর পর আগামী ২ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রত্যেকটি ব্লকে বিজেপি কর্মীদের একদিনের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা-১২টা প্রতিটি মণ্ডলে রাস্তা অবরোধ করবে বিজেপি। সুকান্তর হুঁশিয়ারি, “ওইদিন একটি যানবাহনও চলতে দেওয়া হবে না। এক ঘণ্টার জন্য বাংলা স্তব্ধ থাকবে। আবশ্যিক পরিষেবায় শুধুমাত্র সহযোগিতা করবেন বিজেপি কর্মীরা।” ওইদিন বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে রাজ্যে অশান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

Card image cap

শুভেন্দুর উলটো সুর সুকান্তর!

ছাত্রসমাজের নামে ডাকা রাজনৈতিক পতাকা ছাড়া নবান্ন অভিযান নিয়ে বিজেপির মধ্যেই দ্বন্দ্ব চরমে। আর জি কর ইস্যুতে আগামী ২৭ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের নামে ডাকা হয়েছে নবান্ন অভিযান। যে কর্মসূচির নেপথ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু চান পতাকা ছাড়া বিজেপির লোকজন ওই অভিযানে অংশ নিক। নিজেও থাকবেন বলে জানিয়েছেন। সেই মতো নিজের অনুগামী বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের ওইদিন পথে নামাতে চাইছেন শুভেন্দু। কিন্তু এভাবে দলীয় পতাকা ছাড়া কোনও মিছিলে শামিল হতে এখনও নারাজ স্বয়ং রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দ্বিমত পোষণ করে সুকান্তর কথায়, “অরাজনৈতিক মিছিলে রাজনৈতিক লোকেদের একটু দূরে থাকাই উচিত। মিছিলে যাব কি না ঠিক করিনি।”সুকান্ত শিবিরও বলছে, ওই আন্দোলন বিজেপির নয়। তাই কারও যোগদানের প্রশ্ন নেই। তবে যে কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দলের যে নৈতিক সমর্থন আছে তা অবশ্য বলেছেন সুকান্ত। ফলে ‘রংহীন’ নবান্ন অভিযানে সরাসরি গেরুয়া রং লাগাতে নারাজ সুকান্ত শিবির। শুভেন্দু বিরোধী বিজেপি শিবিরের যুক্তি, আর জি কর ইস্যুতে যা আন্দোলন হবে, দলের ব্যানারে হবে। ফলে এটা স্পষ্ট, শুভেন্দু বারবার ‘পতাকাহীন’ আন্দোলনের কথা বলছেন। কিন্তু তাতে কার্যত সায় নেই বিজেপির একটা বড় অংশের।পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের ব‌্যানারে বিজেপির ছদ্মনামে ২৭ আগস্ট নবান্ন অভিযানের দিন অশান্তি পাকানোর ছক স্পষ্ট বলে অভিযোগ শাসক দলের। আর জি কর ইস্যুকে সামনে রেখে গত ১৮ আগস্ট মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি ম‌্যাচে সমর্থক সেজে অ‌্যাসিড বোমা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঢুকে স্টেডিয়ামে গণ্ডগোল পাকানোর পরিকল্পনা ছিল একটি মহলের। কিন্তু পুলিশ আগাম খবর পেয়ে সেই ছক ভেস্তে দেয় রাজ‌্য প্রশাসন। বামেদের একাংশও যোগ দিতে পারে গেরুয়া শিবিরের এই কর্মসূচিতে। বামেদের বিভিন্ন ফেসবুক পেজ থেকে শুরু করে এবিভিপি ও আরএসএসের ছদ্মনামের প্রোফাইল থেকে পোস্ট করা হচ্ছে এই কর্মসূচির।নবান্ন অভিযানের নামে ২৭ আগস্ট পথে নেমে রাম-বাম যৌথভাবে অশান্তি ও হিংসা ছড়ানোর চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূলও। কারণ, শুভেন্দু হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘‘মুখ‌্যমন্ত্রী ২৬ তারিখ পদত‌্যাগ করুন, যাতে গুলি না চালাতে হয়।’’ তবে শেষমেশ এই কর্মসূচি এড়িয়ে থাকার দাবি করছে বাম-সহ অন‌্যান‌্য ছাত্র সংগঠনগুলি। ২৭ তারিখ বেলা ১টায় কলেজ স্কোয়ার ও হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে।

Card image cap

বৃষ্টিতে ভিজেই লালবাজার অভিযানে মীনাক্ষি-দীপ্সিতা

আর জি কর হাসপাতালে মধ্যরাতে ভাঙচুরের ঘটনার ফুটেজে নাকি দেখা গিয়েছিল, DYFI-এর পতাকা হাতে নিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে লালবাজারের তরফে বাম যুব সংগঠনের সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক নেতানেত্রীকে। সেই নোটিসের জবাবে শনিবার মীনাক্ষীরা লালবাজার গেলেন ঠিকই, তবে তার আগে বৃষ্টি মাথায় করে কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তরে বাম ছাত্র-যুবদের মিছিল বুঝিয়ে দিল, যে কোনও প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে আন্দোলনে সর্বদা পথে প্রতিবাদে রয়েছেন তাঁরাই।বাংলার মাটিতে ‘শূন্যতা’ কাটিয়ে রাজনৈতিক জমি ফের শক্ত করতে এবার আর জি কর ইস্যুকে হাতিয়ার করেছে বামফ্রন্ট। আর এ বিষয়ে দলের ছাত্র-যুব সংগঠনকে সামনে এগিয়ে দিয়েছেন কমরেডরা। শনিবার কলেজ স্ট্রিট থেকে লালবাজার পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল এসএফআই, ডিওয়াইএফআই। দুপুরে তুমুল বৃষ্টি মাথায় করেই কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল শুরু করেন দীপ্সিতা, সায়ন, কনিনীকা, গার্গীরা। তাঁদের সঙ্গে মিছিলে যোগ দেন পর্বতারোহী পিয়ালি বসাকও। তিনি বৃষ্টি ভিজতে ভিজতেই বলেন, ”একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তার তদন্ত কী হচ্ছে, আমরা জানি না। আর সঠিক তদন্ত হবেই বা কীভাবে? অনেক প্রমাণই তো এতদিনে লোপাট হয়ে গিয়েছে। কেন দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আগেই দেহ পোড়ানো হল?”দীপ্সিতা ধরদের সাফ কথা, ”বৃষ্টি হোক কিংবা ঝড়-তুফান, আমাদের এক বোন, আমাদের সহনাগরিকের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। তার সুবিচারের দাবিতে আমরা পথে নেমেছি। সুবিচার চাই। আর এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কীভাবে জড়িয়ে ফেলা হয়েছে, আমাদের নোটিস দেওয়া হয়েছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা।” মিছিল থেকে অশান্তি হতে পারে, এই আশঙ্কায় বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল, ছিল ব্যারিকেডও। তবে তেমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। টানা বৃষ্টিতে জলে ডোবা রাস্তা পেরিয়ে মীনাক্ষী-সহ নোটিস পাওয়া ৭ জন লালবাজারের ভিতরে ঢোকেন। বাইরে তখন মিছিলে শামিল অগণিত মানুষ অপেক্ষায়।এদিকে RG KAR কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ বেলা ১২ টায় কলকাতা অ্যাপ ক্যাব অপারেটর অ্যান্ড ড্রাইভারস ইউনিয়ন একটি গাড়ির মিছিল করে। রাসবিহারী মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে ধর্মতলার গান্ধীমূর্তি পর্যন্ত মিছিল হয়। গাড়িতে CITU-র পতাকা ছাড়াও ছিল ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘দাবি এক, দফা এক, পুলিশমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’-সহ একাধিক স্টিকার। প্রায় ৩৫০ টি গাড়ি এবং ৫০ টি বাইক ট্যাক্সি এই মিছিলে অংশগ্রহণ করে।

Card image cap

স্বাস্থ্যভবন অভিযানে দিলীপ-সুকান্ত-শুভেন্দুরা

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশের পরই নড়েচড়ে বসল বঙ্গ বিজেপি। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়াল গেরুয়া শিবির। ‘ঘরোয়া কোন্দল’ ভুলে বৃহস্পতিবার পথে সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপরা। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় বাকবিতণ্ডার পরেও স্বাস্থ্যভবন অভিযানে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। ব্যারিকেড ভেঙে স্বাস্থ্যভবনের উদ্দেশে রওনা নেতা-কর্মীরা।আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার হাডকো মোড় থেকে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপি। মিছিলের একেবারে প্রথম সারিতে ছিল বঙ্গ বিজেপির মহিলা ব্রিগেড। ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল, দেবশ্রী চৌধুরী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো-সহ বঙ্গ বিজেপি নেতারা। স্বাস্থ্যভবন অভিযানকে রুখতে সল্টলেকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করে বিধাননগর কমিশনারেট। জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। বিশাল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে পুলিশি নিরাপত্তা এড়িয়ে স্বাস্থ্যভবন অভিযানে এককাট্টা বঙ্গ বিজেপি। ৪ কিমি দূরে ইন্দিরা ভবনের পাশে প্রথম ব্যারিকেড ভাঙে বিজেপি। দফায় দফায় মোট চারটি ব্যারিকেড ভাঙা হয়।শেষমেশ বিজেপি কর্মীদের করুণাময়ীতে আটকানো হয়। সেখানে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের একপ্রস্থ ধস্তাধস্তি হয়। আটক করা হয় শুভেন্দু অধিকারী এবং শমীক ভট্টাচার্যকে। প্রিজন ভ্যানে করে বিধাননগর পূর্ব থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। স্বাস্থ্যভবন থেকে ৫০০ মিটার দূরে রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের গাড়ির উপর দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখে দিলীপ-সুকান্তরা। শুক্রবার রাজ্যজুড়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত গেরুয়া শিবিরের।উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। তার পর থেকেই আন্দোলনে শামিল প্রায় সব মহল। পথে নামছে সাধারণ মানুষ, গণসংগঠন, বুদ্ধিজীবী সংগঠন। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যেও বিজেপির তুলনায় বামপন্থী সংগঠনগুলিকে বেশি সক্রিয় মনে হয়েছে। সরসরি নিজেদের ব্যানারে না হলেও বহু গণসংগঠনের ব্যানারে, বা অরাজনৈতিক আন্দোলনের আড়ালে পথে নামছেন বাম কর্মীরা। সে তুলনায় বঙ্গ বিজেপি ‘খাপছাড়া’। আন্দোলন যেটুকু হচ্ছে তাতে সংহতি এবং লোকবল- দুক্ষেত্রে অভাব ছিল। সূত্রের খবর, তা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মনে করা হচ্ছে তার পরই আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়ালেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা।

Card image cap

আর জি কর কাণ্ডে অন্তর্ঘাতের দাবি মদনের

আর জি কর কাণ্ডে অন্তর্ঘাতের দাবি করলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। নাম না করে সুখেন্দুশেখর রায়, শান্তনু সেনদের বিঁধলেন তিনি। বললেন, “দলে অনেক বিভীষণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপদের সময়। দলের কিছু লোক এখন ছোবল মারছেন।”দলে অন্তর্ঘাতের প্রশ্ন উস্কে দিলেন মদন।  মদন বলেন, "দুর্ভাগ্যের বিষয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা ঘটনার মাহাত্ম্য এবং গুরুত্ব বুঝে কাজ করতে চাইছেন। সমস্যার সমাধান করতে চাইছেন উনি। কিন্তু আমাদের দলের কিছু লোক, যাঁরা ক্ষমতার জন্য প্রতি মুহূর্তে ঠুকরে ঠুকরে খায়, বিভীষণ, বেইমান। তাঁরা চেষ্টা করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপদ এসেছে, এই সময় ছোবল মারা যাক।"

দলের অন্দরে মমতার একাধিপত্য, দেশের সর্বত্র যেভাবে মমতার জনপ্রিয়তা বাড়ছে, সেটাও অনেকের সহ্য হচ্ছে না বলে দাবি মদনের। তাঁর কথায়, "এই জায়গাটা অনেকের সহ্য হচ্ছে না, হিংসে হচ্ছে। অথচ সিপিএম-বিজেপি-কে হারানোর ক্ষমতা নেই ওঁদের। এই যে মিছিল হচ্ছে জনজাগরণের, তাতে সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস রয়েছে। তৃণমূলের অনেকেও গিয়েছেন। ডাক্তারদের আন্দোলন অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত। একটা মেয়ে মারা গিয়েছেন, আমার মেয়ে বা বোন হলে, আমি কী করতাম? কিন্তু ডাক্তারদের দরজায় আগল দিয়ে আন্দোলন করতে হবে। বেহুলা-লখিন্দরের তো আগলের ফাঁক দিয়ে কাল-কেউটে বা গোখরো ঢুকে না পড়ে। সেগুলি কিন্তু ঢুকে পড়ছে।"

বাইরের লোকজন তো বটেই, দলের মধ্যে থেকেও কেউ কেউ মমতাকে ছোবল মারার চেষ্টা করছেন বলে দাবি মদনের। তাঁর কথায়, "দলের মধ্যে একটা শ্রেণি...জলে নামিব, সাঁতারও কাটিব, কিন্তু জল ছোঁব না। আমি ট্যুইটও করিব, পাবলিসিটি নেব, কিন্তু ট্যুইট রেখে দেব না। ডিলিট করব না। আমি মদন মিত্র, আমি এসব করি না। ট্যুইট করিও না, ডিলিটও করি না।"

মদনের দাবি, মমতার ক্ষমতায় ঈর্ষাণ্বিত হয়ে পড়ছেন কেউ কেউ। কখনও শরীর খারাপের দোহাই দিচ্ছেন, কখনও বলছেন, বয়স হয়েছে, হুইল চেয়ার লাগবে। কিন্তু বয়সের দোহাই দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরাতে গেলে বলছেন, কিচ্ছু হয়নি, চাঙ্গা রয়েছেন। মতনের বক্তব্য, "শীঘ্রই এই বিভীষণদের শনাক্তকরণের কাজ হয়ে যাবে। রামায়ণে একটা বিভীষণ ছিল, যে পিছনের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিল। এখানে অনেক বিভীষণ রয়েছে। একটাকে দেখালে, বাকিরা চালাকি করে মুখ লুকিয়ে ফেলবে। ফাইল রেডি হচ্ছে।"

মদনের দাবি, সুবিধেবাদীরা ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন। একদিকে, সঙ্গে আছি বলে ক্ষমতা ভোগ করছেন। আবার, বিরোধীদের সঙ্গে তলায় তলায় রাতের অন্ধকারে বন্ধুত্ব রাখছেন, যাতে পাল্টা মার এলে নন্দলালের মতো নিজেরটুকু গুছিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু মমতাই আসল বলে জানিয়েছেন মদন। মদনের বক্তব্য, "এঁরা ইঁদুর। জাহাজ ডুবছে মনে হলে সবার আগে ইঁদুরগুলি লাফ দিয়ে পালায়। সেরকম কিছু ইঁদুর আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি রণংদেহি মূর্তিতে রাস্তায় নামেন, এই ইঁদুরগুলি পালিয়ে যাবে, খুঁজে পাওয়া যাবে না।"

Card image cap

মমতাকেও গুলি করে হত্যার নিদান! গ্রেপ্তার কলেজ পড়ুয়া

১৯৮৪ সালে ৩১ অক্টোবর নিজের দেহরক্ষীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ঠিক একইভাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুলি করে হত্যার নিদান দিয়ে গ্রেপ্তার হলেন এক কলেজ পড়ুয়া। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্তের নাম কীর্তি শর্মা। তিনি বি’কম দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের নিদানের পাশাপাশি সোশাল মিডিয়ায় আরজি কর হাসপাতালে নিহত চিকিৎসকের নাম ও ছবি প্রকাশের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তারি পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। নির্যাতিতার বিচার চেয়ে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে আন্দোলন। এই ঘটনাতেই সোশাল মিডিয়ায় ওই পড়ুয়া পোস্ট করেন, ‘ইন্দিরা গান্ধীর মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুলি করুন। আপনি যদি এটি করতে না পারেন তবে আমি হতাশ করব না।’ মুহূর্তে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় এই পোস্ট। বিষয়টি পুলিশের নজরে আনে শাসকদল তৃণমূল। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে তা তুলে ধরে লেখেন, ‘এবার কি ঘুরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাণনাশের বার্তা বাজারে ছাড়া শুরু?’ বিষয়টি শোরগোল শুরু হতেই তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। এর পর সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে তালতলা থানার পুলিশ।পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আরজি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে ‘Kirtisocial’ নামে ইনস্টাগ্রাম আইডি থেকে মোট ৩টি পোস্ট করা হয়। যেখানে নির্যাতিতার নাম ও ছবি প্রকাশের পাশাপাশি ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের মতো করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হত্যা করতে অন্যদের উৎসাহিত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে তা অত্যন্ত অবমাননাকর এবং আপত্তিজনক। যার প্রেক্ষিতেই অভিযুক্ত ওই কলেজ পড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে  জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।এদিকে আরজি কর কাণ্ডে শহরের রাজপথ দখলের পাশাপাশি সোশাল মিডিয়াতেও আছড়ে পড়েছে প্রতিবাদের ঢেউ। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা সুখেন্দু শেখর। তিনি পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ও আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সিবিআইয়ের কাছে। যার জেরে লালবাজারের তরফে তলব করা হয়েছে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে। পাশাপাশি নির্যাতিতার নাম পরিচয় প্রকাশ্যে আনার অভিযোগে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও তলব করা হয়েছে।

Card image cap

সিবিআইয়ের কাছে সন্দীপ ঘোষ এবং কলকাতার সিপির গ্রেপ্তারি দাবি

আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন তিনি। শাসকদলের সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও শামিল হয়েছেন বিক্ষোভে। এবার রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটালেন সুখেন্দুশেখর রায়। সরাসরি আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের গ্রেপ্তারি চেয়ে বসলেন তিনি।সুখেন্দু শেখরের দাবি, আর জি কর কাণ্ডে বহু প্রশ্নের উত্তর অজানা। যা বলতে পারবেন মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তৃণমূল সাংসদ বলছেন, সিবিআইয়ের উচিত এদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা। বস্তুত, শাসকদলের একজন সাংসদ এভাবে সরাসরি কলকাতার পুলিশ কমিশনারের গ্রেপ্তারি চাইছেন, সেটা শাসকদলের জন্য কিছুটা হলেও অস্বস্তিকর।সুখেন্দুশেখরের প্রশ্ন, “কারা আত্মহত্যার কথা রটিয়েছিল, কেন ৩দিন পরে ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ? কেন দেওয়াল ভাঙা হল? এরকম শতাধিক প্রশ্ন আছে, ২ জনকে হেফাজতে নিক সিবিআই, ওদের মুখ খোলানো দরকার।” সন্দীপ ঘোষ এত প্রভাবশালী হলেন কীভাবে? কার পৃষ্ঠপোষকতায়, সে প্রশ্নেরও উত্তর জানতে চান তৃণমূল সাংসদ।যদিও সুখেন্দুশেখরের এই দাবির বিরোধিতা করেছেন প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষ। সুখেন্দুশেখরের পোস্টটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ তকমা দিয়ে কুণাল বলেন, “আর জি কর কাণ্ডের বিচার আমিও চাই। কিন্তু পুলিশ কমিশনারের গ্রেপ্তারির দাবির প্রবল বিরোধিতা করছি। তিনি খবর পাওয়ার পর সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। কমিশনার নিজের কাজ করছিলেন। তদন্তও সঠিক পথেই এগোচ্ছিল। আমার সিনিয়র সহকর্মীর এই পোস্ট দুর্ভাগ্যজনক।”  

Card image cap

বিজেপি-পুলিশ ধস্তাধস্তিতে শ্যামবাজারে ধুন্ধুমার

বিজেপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শ্যামবাজারে তুমুল উত্তেজনা। টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের। ঘটনাস্থলে রয়েছে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষেরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ধরনা কর্মসূচির ডাক দেয় বিজেপি। শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের সামনে ধরনা মঞ্চ বাঁধে গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার রাতে মঞ্চ বাঁধার কাজ শেষ হয়। শুক্রবার সকালে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা দেখেন মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এদিন ওই জায়গাতেই ফের মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়। অভিযোগ, তাতে বাধা দেয় পুলিশ। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন অগ্নিমিত্রা পল, শমীক ভট্টাচার্য। পরে একে একে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং রুদ্রনীল ঘোষরা পৌঁছন।
সময় যত গড়াতে থাকে, পুলিশ ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটিও বাড়তে থাকে। ঘটনাস্থল থেকে রুদ্রনীল ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থককে আটক করে পুলিশ। তাঁদের টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বলেই অভিযোগ।গ্রেপ্তারির পর রুদ্রনীল বলেন, “রাস্তায় নেমে আসুন। দলমত, ঝান্ডা ছাড়া রাস্তায় নেমে আসুন। জোর করে একটা মেয়েকে মেরে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছে। কত লালবাজারে জায়গা আছে? কতজনকে জেলে ভরবেন? এবার গোটা পশ্চিমবঙ্গ রাস্তায় নামবে। সকলে গর্জে উঠুন। রাস্তায় নামুন। প্রতিবাদ করুন।” পুলিশ এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও। “রোজ রাস্তায় থাকব”, বলে হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি নেত্রী।

Card image cap

দিল্লিতে চিঠি শুভেন্দুর

পুলিশি নিরাপত্তার মাঝেই বুধবার মাঝরাতে আর জি কর হাসপাতালে ঢুকে বহিরাগত তাণ্ডব, আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের মারধর, জরুরি বিভাগ-সহ একাধিক বিভাগে ভাঙচুরের মতো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার আর জি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়ে সেই দাবি তুললেন তিনি। নিজেই সোশাল মিডিয়া পোস্টে তা জানিয়েছেন।একই দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা ও সিবিআই-এর অধিকর্তাকেও চিঠি পাঠিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বাংলা বন্‌ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। রাজ্যবাসীর কাছে শুভেন্দুর আবেদন, যেভাবেই হোক, রাজ্যকে স্তব্ধ করে দিতে হবে প্রতিবাদের জন্য। শুক্রবার থেকে আর জি কর হাসপাতালের সামনে লাগাতার অবস্থান শুরু করতে চান সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে, এসইউসিআইও ১২ ঘণ্টার বন্‌ধ ঘোষণা করেছে। আবার বামেদের তরফে রাজ্যজুড়ে ধিক্কার দিবস পালিত হবে শুক্রবার। শনিবার রাসবিহারী থেকে অ্যাকাডেমি পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করবে বামফ্রন্ট।বিরোধী দলগুলির একাধিক কর্মসূচিতে শুক্রবার অবরুদ্ধ হতে চলেছে। তারই মাঝে আর জি কর হাসপাতালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠালেন বিরোধী দলনেতা। তাতে বুধবার রাতের হামলার ঘটনায় পুলিশের নিরাপত্তাহীনতার ছবিটা যেভাবে খোলামেলাভাবে সামনে চলে এসেছে, তাতে শুভেন্দুর দাবি, আর জি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। সিবিআই-এর কাছেও একই আর্জি তাঁর।

Card image cap

RG Kar-এ হামলায় রাম-বামকে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী

মধ্যরাতে মেয়েদের রাস্তা দখল চলাকালীনই আর জি কর হাসপাতালে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের হামলা নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজভবনে চায়ের আমন্ত্রণে যাওয়ার পথে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন, ”এটা ছাত্রছাত্রীদের কাজ নয়। ওদের উপর কোনও রাগ নেই, আমাদের সমর্থন আছে। কিন্তু আমাদের রাগ যারা এই আন্দোলনের নামে হামলা চালিয়েছে, ভাঙচুর করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ঢুকে অশান্তির সৃষ্টি করছে। রাম এবং বামেদের কাজ এটা। এই ঘটনায় আমাদের ডিসি অত্যন্ত জখম হয়েছে। ওঁর অনেকক্ষণ জ্ঞান ছিল না। প্রচুর রক্তও বেরিয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, ”আপনারা ভালো করে ভিডিওগুলো দেখুন। এখন তো AI দিয়ে নানারকম মুখ বসিয়ে ভিডিও বানানো হয়। সোশাল মিডিয়ায় প্রচুর ভুয়ো ভিডিও ছড়াচ্ছে।”কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের উপর যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় এমনিতেই উত্তপ্ত আর জি কর হাসপাতাল। ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে যখন মধ্যরাতে মেয়েদের রাস্তা দখলের ডাক দিয়ে আন্দোলন চলছিল, সেই সুযোগে শতাধিক বহিরাগত হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে মারধর, তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। এমনকী পুলিশকেও আত্মরক্ষার্থে লুকিয়ে যেতে হয়। এর মধ্যে হামলা ঠেকাতে গিয়ে কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক জখম হন। সেসময় হাসপাতালে কর্তব্যরত ডিসিও মারধরের মুখে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ”আমাদের ডিসি অত্যন্ত জখম হয়েছেন। তাঁর অনেক্ষণ জ্ঞান ছিল না। প্রচুর রক্তপাতও হয়েছে। পরে তাঁর জ্ঞান ফেরায় আমরা নিশ্চিন্ত হই।”মাঝরাতে হামলার ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিদের সন্ধান পেতে সোশাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, বহিরাগত রাজনৈতিক দলের লোক এর মধ্য়ে ঢুকে অশান্তি বাঁধাচ্ছে। বাম এবং রাম – এরা ঝামেলা করছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তা, অনেক ভুয়ো ভিডিও ছড়াচ্ছে। যা অসত্য। সেসবে বিশ্বাস করবেন না। পুলিশের উপর হামলা নিয়েও সরব হলেন তিনি। 

Card image cap

অখিলের বদলে নতুন কারামন্ত্রী নিয়োগ

সরকারি আধিকারিককে হুমকি দিয়ে কারামন্ত্রীর পদ হারিয়েছেন অখিল গিরি। এর পর থেকেই পদটি ফাঁকা পড়েছিল। বুধবার অখিলের জুতোতে পা গলালেন চন্দ্রনাথ সিনহা। এতোদিন তিনি রাজ্যের ক্ষুদ্র,মাঝারি ও কুটির শিল্পদপ্তরের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। এবার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কারাদপ্তরের দায়িত্ব সামলাবেন বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা।উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছিল। সেই মত এই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে সমুদ্র সৈকতের ধারে বনদপ্তরের জমিতে বেআইনিভাবে দোকান তৈরির অভিযোগ উঠেছিল। বনদপ্তরের তরফে চলছিল উচ্ছেদ অভিযান। অভিযোগ, ৩ আগস্ট সেখানে হাজির হয়ে বনদপ্তরের মহিলা আধিকারিককে কার্যত হুমকি দেন রামনগর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।পরিস্থিতি সামাল দিতে তৃণমূলের তরফে সুব্রত বক্সি তাঁকে কারামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফার নির্দেশ দেন। ৪ আগস্ট সেই মত কারামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন অখিল গিরি। এতদিন এই দপ্তর খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই ছিল। তবে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, এই দপ্তরের দায়িত্ব বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহকে দেওয়া হবে। নতুন একটি দায়িত্ব পেয়ে চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। দপ্তরে গিয়ে সবার সঙ্গে পরিচয় করে কাজ বুঝতে হবে। ভালো কাজ করে দেখিয়ে দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী ভরসা করেছেন আমাকে, সেই ভরসা আমাকে রাখতে হবে।”

Card image cap

অভিষেক- রুজিরাকে ইডির তলব কলকাতাতেই

দিল্লিতে নয়, তদন্তের প্রয়োজন হলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকতে হবে কলকাতাতেই। শীর্ষ আদালতের রায়ে সাময়িক হলেও স্বস্তি পেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বার বার তদন্তের নামে দিল্লিতে ডেকে ‘হেনস্তার’ প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক।
অভিষেকের বক্তব্য ছিল, তথাকথিত যে দুর্নীতির তদন্তে তাঁকে তলব করা হচ্ছে, সেটার চারণভূমি পশ্চিমবঙ্গ। অভিষেক-রুজিরা দু’জনই কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা। কলকাতায় ইডির পূর্ণাঙ্গ দপ্তর থাকলেও কেন তাঁদের দিল্লিতে ডাকা হবে? বাড়িতে ছোট ছোট দুই শিশু থাকা সত্ত্বেও কেন তাদের মাকে কলকাতার বদলে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে ডাকা হচ্ছে?
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির পর রায় সংরক্ষণ করে আপাতত অন্তর্বর্তী নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। সেক্ষেত্রে তদন্তের প্রয়োজনে আপাতত বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতিকে যদি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের তলব করতেই হয়, তবে দিল্লি নয়, করতে হবে কলকাতাতেই। বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা হাই কোর্টের আগের নির্দেশ মতোই সাংসদ অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রীকে প্রয়োজনে কলকাতাতেই কয়লা পাচার সংক্রান্ত মামলায় জেরা করতে পারবে ইডি। তাঁদের দিল্লিতে তলব করা যাবে না। সাময়িক হলেও এই সিদ্ধান্তকে অভিষেকের বড় জয় হিসাবে দেখা হচ্ছে।
এদিনের শুনানিতে ইডির হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী জোহেব হোসেন। অভিষেকের আইনজীবী ছিলেন কপিল সিবল, রুজিরার তরফে ছিলেন অভিষেক মনু সিংভি। ছিলেন আরেক প্রবীণ আইনজীবী গোপাল শঙ্কর আইয়ারও। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ দীর্ঘ শুনানির পর রায় সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি অন্তবর্তী নির্দেশে জানিয়েছে, বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতিকে দিল্লিতে নয়, প্রয়োজন হলে জেরা করতে হবে কলকাতাতেই।

Card image cap

ফের ‘মুখোমুখি’ কল্যাণ-অভিজিৎ

লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ হলেও বিরোধীদের আপত্তিতে তা পাশ করাতে পারেনি সরকার। বিলটিকে পাঠানো হয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। শুক্রবার সেই সংসদীয় কমিটির ২১ সদস্যের নাম ঘোষণা করল সংসদের সচিবালয়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই কমিটিতে ফের মুখোমুখি হবেন বিজেপির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিজিৎবাবু কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন এবং পরে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর বেশ কয়েকবার তাঁর সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত প্রকাশ্যে একাধিকবার অভিজিৎকে নিয়ে রীতিমতো রসিকতা করেছেন কল্যাণ। এবার একই কমিটিতে একই সঙ্গে কাজ করতে হবে। যদিও তাঁরা যে একে অপরের বিরোধিতা করবেন, সেটা বলাই বাহুল্য।
শুক্রবার সেই কমিটি তৈরি হয়েছে। তাতে লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যসভার ১০ জন সদস্য রয়েছেন। ২১ জন সদস্যের সেই কমিটিতে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ জগদম্বিকা পাল, নিশিকান্ত দুবে, তেজস্বী সূর্যরা। রয়েছেন আইনজীবী সাংসদ অভিজিৎও। কংগ্রেসের তরফে রয়েছেন গৌরব গগৈ, ইমরান মাসুদ, মহম্মদ জাভেদ। তৃণমূলের একমাত্র প্রতিনিধি কল্যাণ। ওয়াকফ বিল পর্যবেক্ষণের যে কমিটি হয়েছে তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য অবশ্য প্রত্যাশিতভাবেই এনডিএ শিবিরের।
শুক্রবার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়েছে সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন। ২১ সদস্যের এই যৌথ সংসদীয় কমিটিকে আগামী অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ওই যৌথ কমিটির বৈঠকগুলিতে ফের কল্যাণ এবং অভিজিৎ বাদানুবাদে জড়ান কিনা, সেটাই দেখার। 

Card image cap

ভিনেশের জন্য ‘ব্যথিত’ মমতা!

মাত্র ১০০ গ্রাম বাড়তি ওজনের জন্য অলিম্পিক ফাইনাল থেকে ছিটকে যান ভিনেশ ফোগাট। নাম না করে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সে প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মমতা। ‘সংগ্রামী অভিনন্দন’ও জানান তিনি।

মমতা বলেন, “আমি ব্যথিত। যে মেয়েটি সোনা আনতে পারত, কী কারণে বা কেন কীভাবে তাকে বঞ্চিত করা হল, সেটা দেশবাসী জানবে আগামী দিন। কিন্তু তাকেও আমি সংগ্রামী অভিনন্দন জানাই।” এর আগে সদ্য অবসর নেওয়া কুস্তিগির ভিনেশ ফোগাটকে সমর্থন করে X হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে লেখেন তিনি, “সরকার এবং বিরোধীরা একমত হয়ে ভিনেশকে ভারতরত্ন দিন। নয়তো তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে মনোনীত করা হোক। যেভাবে তিনি লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন, সেটাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই এমন পদক্ষেপ করা যেতে পারে। আমি মনে করি, ভিনেশকে যা সহ্য করতে হয়েছে তার তুলনায় এই পদক্ষেপ খুবই কম। কারণ কোনও পদকই ভিনেশের সংগ্রামের সমান হতে পারে না।”রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূল সাংসদের এমন প্রস্তাবে সমস্যা বাড়তে পারে বিজেপির। কারণ বিজেপির তৎকালীন সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগে গ্রেপ্তারির দাবি তুলে আন্দোলনে নেমেছিলেন ভিনেশ। দিল্লির রাজপথে ভিনেশদের মার খাওয়ার দৃশ্য আজও ভার‍তবাসীর মনে অমলিন। আবার অন্যদিকে, অভিষেকের এই প্রস্তাবে সহমত হতে পারে ইন্ডিয়া জোটও। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের উপরে চাপ বাড়াতেও পারে বিরোধীরা।

Card image cap

বিধানসভায় বুদ্ধবাবুর দেহ, শেষশ্রদ্ধা জানাতে হাজির অভিষেকও

শেষবারের মতো বিধানসভায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে হাজির স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল-বিজেপির বিধায়করা। বুদ্ধবাবুর মরদেহে মাল্যদানের পর মীরা ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রয়েছেন ডিজি, পুলিশ কমিশনার।পরিবার ও দলের সহযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সকলকে শক্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন বলে জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। ভাগ করে নিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর প্রথমবার কথা বলার স্মৃতি। তিরিশ মিনিট পর বিধানসভা থেকে বের হল বুদ্ধবাবুর দেহ। এবার গন্তব্য মুজফফর আহমেদ ভবন। তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল।প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।


Card image cap

রাজ্যের মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল

লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই ইঙ্গিত মিলেছিল, রদবদল হবে মন্ত্রিসভায়। নতুন দফতর পেতে পারেন কোনও কোনও মন্ত্রী। বুধবার প্রকাশ হল সেই তালিকা। তবে এখনও বেশ কিছু দফতর ফাঁকা রয়ে গেল। কয়েকদিন ধরে রাজভবনে এই রদবদল সংক্রান্ত ফাইল পড়েছিল। রাজ্যপালের সইয়ের অপেক্ষায় ছিল। অবশেষে রাজ্যপাল সেই ফাইল সই করে ছেড়েছেন।


আজ নবান্ন থেকে মন্ত্রীদের রদবদলের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।


নির্দেশিকা অনুযায়ী , সেচ দফতরের নতুন মন্ত্রী হলেন মানস ভুঁইয়া। বর্তমানে জল সম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী তিনি। অর্থাৎ তাঁকে এবার থেকে দুটি দফতর সামলাতে হবে।


আরও গুরুত্ব বাড়ল মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। বর্তমানে স্বাস্থ্য দফতর ও ভূমি সংস্কার দফতরের প্রতিমন্ত্রী তিনি। এছাড়া অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী তিনি। এবার অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন। পরিবেশ দফতরের নতুন মন্ত্রী হলেন চন্দ্রিমা।


পরিবেশ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন গুলাম রব্বানী। তাঁর দফতর বদল করা হল। অচিরাচরিত শক্তি দফতরের দায়িত্ব পেলেন তিনি। এছাড়াও বাবুল সুপ্রিয়র দায়িত্বও আরও বাড়ানো হয়েছে। তৃণমূলের বিধায়ক হওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তি দফতর দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এবার অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন শিল্প পুনর্গঠন দফতরে।


তবে কারা দফতরের দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ আপাতত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই থাকবে ওই দফতর। সদ্য ওই দফতরের মন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন অখিল গিরি। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই দফতরে নতুন কারও নাম ঘোষণা করা হল না আপাতত। সূত্রের খবর, কিছুদিনের মধ্যেই নতুন মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবে নবান্ন।