CATEGORY politics:

Card image cap

সুকান্তর মন্তব্যে আলোড়ন বিজেপিতে

সংগঠন পোক্ত না করে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে এজেন্সি নির্ভরতা নিয়ে কদিন আগেই দলীয় বৈঠকে মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর সুকান্তর এই মন্তব্যের পরই দলের মধ্যে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের বড় অংশের প্রশ্ন, এই ইডি-সিবিআই নির্ভরতা তো শীর্ষ নেতারাই তৈরি করেছিলেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কথায় কথায় শাসক দলকে হুমকি দিতেন ইডি-সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে লেলিয়ে দেওয়ার ভয় দেখাতেন। তাই নিচুতলার নেতা কর্মীদের মধ্যে এজেন্সি নির্ভরতা চলে আসাটা স্বাভাবিক।

সোশাল মিডিয়া থেকে শুরু করে দলের বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কর্মীদের বক্তব্য, এজেন্সি নির্ভরতা তৈরি করেছিলেন রাজ্যের শীর্ষ নেতারাই। এখন কর্মীদের উপর দোষ দিয়ে লাভ কি! ভোটে ধাক্কা খাওয়া বা বিপর্যয়ের দায় নিচুতলার কর্মীদের উপর কেন চাপানো হবে, প্রশ্ন গেরুয়া শিবিরের একাংশের। গত রবিবার সুকান্ত মজুমদারের কর্মসূচি ছিল হুগলিতে। পাণ্ডুয়া ও হিন্দমোটরে দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে সুকান্ত বলেছিলেন, "দাদা সিবিআইকে বলুন একে আরেস্ট করিয়ে দিতে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা জিতে যাব। হবে না! ওকে জেলে ঢুকিয়ে দিন, জিতে যাব। হবে না!"
এর পরই সুকান্তর প্রশ্ন ছিল, "অনুব্রত মণ্ডল তো জেলে আছে, সেই বীরভূমে আমরা জিতেছি?" পরিশ্রম করে সংগঠন তৈরি করলে তবেই জেতা যায়, কাউকে অ্যারেস্ট করিয়ে নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন সুকান্ত। দলের রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যের পরই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে দলের মধ্যে। দলের এক জেলা ইনচার্জের কথায়, এই এজেন্সি নির্ভরতা আর রাজভবন নির্ভরতা তো দলে প্রথমে শুভেন্দুদাই দেখিয়েছিলেন। বিজেপিতে  সংগঠন সব। দলের সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে শুভেন্দুদার ধারণা কম।" তৃণমুলের তরফে বারবার অভিযোগ করা হয়, এজেন্সিকে দিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। প্রাক্তন তৃনমূল সাংসদ কুণাল ঘোষেরও  বক্তব্য ছিল, ইডি ও সিবিআইকে তাদের শাখা সংগঠনে পরিণত করেছে বিজেপি । এবার বিজেপি দলের মধ্যেই সেই এজেন্সি নির্ভরতা নিয়ে আলোড়ন তুঙ্গে উঠে গেল। পাশাপাশি দলের একাংশ মনে করছে, এজেন্সি নির্ভরতা নিয়ে শুভেন্দুকেও পরোক্ষে বার্তা দিয়েছেন সুকান্ত। এজেন্সি নির্ভরতা নিয়ে শুভেন্দু ও সুকান্তর ভিন্ন অবস্থান সামনে এসে গেল। দলের এক রাজ্য নেতার কথায়, এজেন্সি নির্ভরতার কথা শুভেন্দুদা আগে শুরু করেন। সুকান্তদা অবশ্য অনেক পরে এসব বলেছেন।

Card image cap

১০০ মিলিয়ন পার! X হ্যান্ডেলে ফলোয়ার্সের নিরিখে বিশ্বসেরা মোদি

লোকসভা নির্বাচনে আসন সংখ্যা কমতে পারে তবে সোশাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। বিশ্বের সকল রাষ্ট্রনেতাকে টপকে রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে ১০০ মিলিয়ন ফলোয়ারের গণ্ডি পার করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এক্স (সাবেক টুইটার)-এ যোগ দেওয়ার মাত্র ১৫ বছরের মধ্যেই জনপ্রিয়তার শিখরে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী।

রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে নেতাকে বর্তমানে মানুষ ফলো করেন তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে মোদির ফলোয়ার্সের সংখ্যা ১০০ মিলিয়ন পার করলেও মোদি ফলো করেন মাত্র ২ হাজার ৬৭১ জনকে। তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন টুইটারে অ্যাকাউন্ট খোলেন নরেন্দ্র মোদি। বর্তমানে এলন মাস্কের আওতাধীন হয়ে এই টুইটারই হয় এক্স হ্যান্ডেল। টুইটারে যোগ দেওয়ার মাত্র ১ বছরের মধ্যে তাঁর ফলোয়ার্স সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। জুলাই ২০২০ সালে এই সংখ্যা পৌঁছয় ৬০ মিলিয়নে।
তবে সোশাল মিডিয়ায় ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়লেও দেশে তাঁর জনপ্রিয়তায় যে ধীরে ধীরে কমতির দিকে তা লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলেই স্পষ্ট। এবার ৪০০ পারের লক্ষ্য নিয়ে ময়দানে নেমে মাত্র ২৪০ আসনে থামতে হয়েছে বিজেপিকে। লোকসভা ভোটে এবার সেভাবে কাজ করেনি মোদি ম্যাজিক। দেশের পাশাপাশি নিজের কেন্দ্র বারাণসীতেও এবার হতাশ হতে হয়েছে মোদিকে। জয়ী হলেও গতবারের তুলনায় এবার অনেকটাই কমেছে মোদির ভোট। ফলে এক্স হ্যান্ডেলে ফলোয়ার্স বাড়লেও বাস্তবের মাটিতে নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা রীতিমতো প্রশ্নের মুখে।

Card image cap

তৃণমূলের 'শহিদ দিবসে'র পালটা বিজেপির 'গণতন্ত্র হত্যাদিবস'!

ভোট পরবর্তী অশান্তিতে বিরোধীরা আক্রান্ত হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে রবিবার রাজভবনের সামনে ধরনায় বিজেপি। আর সেখান থেকেই নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাও আবার ২১ জুলাই, তৃণমূলের 'শহিদ দিবস'কে সামনে রেখে। পর পর কয়েকদিন টানা কর্মসূচি রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। এদিন ধরনা মঞ্চে তা ঘোষণা করেন শুভেন্দু। ১৮ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত চলবে একাধিক বিক্ষোভ কর্মসূচি।

হাই কোর্টের অনুমতি সাপেক্ষে, একাধিক শর্ত মেনে রবিবার রাজভবনের সামনে ধরনা হয়েছে শুভেন্দুর নেতৃত্বে। সঙ্গী দলের ৩০০ নেতা-কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। ধরনামঞ্চে শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা গিয়েছে দলবদলকারী নেতা তাপস রায়, অর্জুন সিং, কৌস্তভ বাগচীদের। এই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়েই বিরোধী দলনেতা দলের নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন। নজরে অবশ্যই ২১ জুলাই, তৃণমূলের 'শহিদ দিবস'। এই দিনটিকে 'গণতন্ত্র হত্যা দিবস' হিসেবে পালন করতে চায় বিজেপি । রাজ্যের প্রত্যেক থানার সামনে মুখ্যমন্ত্রী ও মেয়রের বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখানো হবে। দুপুর ১২টায় যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখবেন, তখনই বিজেপির তরফে তাঁদের কুশপুতুল পোড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু।

Card image cap

ভোটে জিতেই বীণাপানির দেবীর ঘরের তালা ভেঙে প্রণাম মধুপর্ণার

নিজের শ্রদ্ধেয় ঠাকুমার ঘর তালা দিয়ে দিয়েছিলেন সাংসদ কাকা। তাই ঢুকতে না পেরে রাগে, দুঃখে, ক্ষোভে অনশনে বসেছিলেন। মাত্র ২৫ বছর বয়সি মেয়ের সেই অনমনীয় জেদ বুঝিয়ে দিয়েছিল, লড়াইয়ে তিনি ভয় পান না। আর তা দেখেই তাঁকে নির্বাচনী ময়দানে নামানোর পরিকল্পনা করে রাজ্যের শাসকদল। ঠাকুরবাড়ির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য মধুপর্ণা ঠাকুরকে বাগদা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়। দলের সেই ভরসা তিনি রেখেছেন। বিজেপির দখলে থাকা বাগদায় ঘাসফুল ফুটিয়েছেন তিনি। আর ভোটে জিতেই প্রতিজ্ঞা রেখেছেন। শনিবার ফলপ্রকাশের পরই মধুপর্ণা ঠাকুরবাড়ি গিয়ে 'দখল' হয়ে যাওয়া ঠাকুমা তথা মতুয়া মহাসংঘের প্রাক্তন সংঘাধিপতি বীণাপানি দেবীর ঘরের তালা ভেঙে সেখানে ঢোকেন। কলকাতা হাই কোর্টের অনুমতি পেয়েই এই কাজ তাঁর।

আসলে মধুপর্ণার এই কাজের নেপথ্যের ইতিহাস নেহাৎ কম দীর্ঘ নয়। মাস খানেক আগে মতুয়া ধর্মীয় মহামেলার সময়ে 'বড়মা' বীণাপাণি দেবীর ঘরের তালা ভেঙে ঘর দখল করার অভিযোগ উঠেছিল ঠাকুরবাড়ির আরেক সদস্য, বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে শান্তনু ঠাকুর ওই ঘরে তালা মেরে দেন। সেখানে ঢোকা বন্ধ হয়ে যায় মমতাবালা ঠাকুরের পরিবারের। মমতাবালা ঠাকুর এই মুহূর্তে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। তাই শান্তনুর ওই কাজে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে ঠাকুরবাড়ির দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে আসে। তালা ভেঙে ঘরে ঢোকার দাবিতে অনশনে বসেন মমতাবালা ঠাকুর, মধুপর্ণা ঠাকুর।
এই ঘটনার পর পরই বাগদার উপনির্বাচনে মধুপর্ণাকে তৃণমূলের প্রার্থী করার বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। বিজেপির জেতা আসনে তৃণমূলের বাজি ছিলেন তিনি। কোন জাদু মন্ত্রে আবার মতুয়াদের কাছে টানল তৃণমূল? দলীয় নেতৃত্ব মনে করছেন, মধুপর্ণা ঠাকুরবাড়ির মেয়ে, তাঁকে প্রার্থী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন। ঠাকুরবাড়ির সদস্যদের প্রতি মতুয়াদের আলাদা আবেগ কাজ করে, তার ফল মধুপর্ণা এবারের ভোটে পেয়েছেন। এছাড়া উপনির্বাচন ঘিরে বারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক, মন্ত্রী সুজিত বসু, রথীন ঘোষ, জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী-সহ একাধিক নেতা কার্যত বাগদার বাসিন্দা হয়ে গিয়েছিলেন| গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে তাঁরা পদক্ষেপ করেন। এর প্রভাবও পড়েছে ভোটের ফলাফলে।

Card image cap

উপনির্বাচনের ফল নিয়ে কী বার্তা মমতার?

লোকসভা নির্বাচনের পর বিধানসভা উপনির্বাচন। বঙ্গে ফের ঘাসফুল ঝড়! উপনির্বাচনে চার ৪ তৃণমূলের। শনিবার ফলপ্রকাশের পরই মুম্বই থেকে কলকাতায় ফিরেছেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর দমদম বিমানবন্দরে নেমেই ফলাফল নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন তিনি। জয়ের উচ্ছ্বাস পরিমিত রেখেই সংক্ষেপে বললেন, ''এই জয় মা-মাটি-মানুষের জয়। জয় রাজ্যবাসীকে উৎসর্গ করলাম। চারটের চারটেতেই আমরা জিতেছি।'' তবে এই ফলাফলের আলাদা রাজনৈতিক গুরুত্বের কথাও বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষত চারটির মধ্যে তিনটি আসনই বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। কোথায় কে কোন ফ্যাক্টরে জিতলেন, তা ব্যাখ্যা করেন দলনেত্রী।

মুম্বইতে আম্বানিপুত্রের রাজকীয় বিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিকেল চারটের একটু পর তিনি কলকাতায় ফিরেছেন। বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই উপনির্বাচনের ফলাফলের জন্য দলের জয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানালেন। বললেন, ''যে আসন অর্থাৎ মানিকতলা আমাদের ছিল, আমাদেরই আছে। কিন্তু বাকি তিনটি আসনে গত বিধানসভা আর লোকসভা- দুটোতেই বিজেপি জিতেছিল। সেই আসনগুলোও আমরা জিতেছি।

Card image cap

২১ জুলাইয়ের আগে 'চায়ের আড্ডা' তৃণমূলের

বিজেপির শত চেষ্টা নস্যাৎ করে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে দারুণ ফলাফল করেছে রাজ্যের শাসকদল। ৪২ টি আসনের মধ্যে ২৯টিতেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। এহেন 'রেজাল্টে' মেগা উদযাপন হতে চলেছে ২১ জুলাই, শহিদ দিবসের মঞ্চে। এমনই জানিয়েছিলেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শুক্রবার নতুন কর্মসূচির কথা জানা গেল তৃণমূল সূত্রে। শহিদ দিবসের আগের দিন 'চায়ের আড্ডা'য় মিলিত হবে তৃণমূলপন্থী একাধিক সোশাল মিডিয়া গ্রুপ। আড্ডার পাশাপাশি চলবে মত বিনিময়। তাতে যোগ দিতে সকলকে আহ্বান জানানো হয়েছে। আড্ডার স্থান, সময় সবই সোশাল মিডিয়া পোস্টে প্রকাশ করা হয়েছে। রয়েছে আয়োজকদের নাম ও যোগাযোগের নম্বরও।

প্রতি বছরই তৃণমূলপন্থী সোশাল মিডিয়া গ্রুপগুলির সমবেত মিলনোৎসব হয়ে থাকে 'চায়ের আড্ডা'য়। এভাবেই সকলে একজায়গায় মিলিত হয়ে মত বিনিময় করেন। উঠে আছে বেশ কিছু পরামর্শ, যা পরবর্তী সময়ে দলকে আরও এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। কিছু ভুলত্রুটি শুধরে নেওয়ার সুযোগও মেলে এই অনুষ্ঠানে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া সংগঠনগুলি একত্রিত হচ্ছেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিনে। আগামী শনিবার, ২০ জুলাই। ২১ জুলাইয়ের ঠিক আগের দিন। সোশাল মিডিয়া পোস্টে জানানো হয়েছে, হাজরার সুজাতা দেবী স্মৃতি সদনে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলবে এই আড্ডা।

Card image cap

বিজেপিকে উৎখাত করতে হাত মেলালো বড় দুই দল

বিজেপিকে উৎখাত করার লক্ষ্য নিয়ে রাজ্যে হাত মেলালো দুই দল। আসন্ন বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে উৎখাত করার লক্ষ্য নিয়ে এক কথায় ময়দানে নামল দুই দল। জানা গিয়েছে, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে একসঙ্গে লড়ার ঘোষণা দিয়েছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল ও বহুজন সমাজ পার্টি।


আজ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন আইএনএলডি নেতা অভয় সিং চৌটালা।


তিনি বলেছেন, "আজ সাধারণ মানুষের কাছে আলাদাই সেন্টিমেন্টের জায়গা হল বিজেপি। দলটি হরিয়ানা রাজ্যকে টানা ১০ বছর ধরে লুট করছে। তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত এবং কংগ্রেস দলকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখা উচিত। আমরা হরিয়ানায় যারা তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠন করেছে, যারা বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়েরই বিরোধী তাদের একত্রিত করব এবং আমরা এমন একটি ফ্রন্ট গঠন করব যেখানে মানুষের বিশ্বাস বাড়বে এবং আগামী দিনে এই রাজ্যে একটি জোট সরকার গঠন করা হবে।"


হরিয়ানার ৯০টি আসনের মধ্যে বিএসপি লড়বে ৩৭টি আসনে। জোটের নেতা হবেন অভয় চৌটালা। জোটের কথা ঘোষণা করে অভয় চৌটালা বলেন, এই জোট স্বার্থপরতার জন্য নয়, মানুষের ইচ্ছানুযায়ী করা হয়েছে। বিজেপি ও কংগ্রেস দেশকে লুঠ করেছে।


প্রকৃতপক্ষে, এই নিয়ে তৃতীয়বার দুই দল একত্রিত হচ্ছে। ১৯৯৬ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল এবং বিএসপি প্রথমবারের মতো একটি জোট গঠন করে। এ বছর আইএনএলডি সাতটি লোকসভা আসনে এবং বিএসপি তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। দুই দলের মধ্যে দ্বিতীয় জোট ছিল ২০১৮ সালে। কিন্তু বিধানসভা ভোটের আগেই সেই জোট ভেঙে যায়।


আইএনএলডি এবং বিএসপির জোট বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে ধাক্কা দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিএসপি ১৯৮৯ সাল থেকে হরিয়ানার রাজনীতিতে নিজেদের ভাগ্য বদলানোর চেষ্টা করছে। ১৯৯৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে মায়াবতী ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধেছিলেন। প্রার্থী দেওয়া হয়েছে তিনটি আসনে। এর মধ্যে একটি আসনে জয় হয়েছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে দুই দল হাত মিলিয়েছিল, কিন্তু নির্বাচনের আগে জোট ভেঙে যায়।


Card image cap

মুম্বই পৌঁছেই আম্বানির সঙ্গে দেখা করলেন মমতা

ছেলের বিয়েতে আম্বানি পরিবারের আমন্ত্রণে দুদিনের জন্য মুম্বই গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা মুম্বই পৌঁছেই তিনি সবার আগে দেখা করলেন আহ্বায়ক, শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির সঙ্গে। যাঁর আমন্ত্রণে কলকাতা থেকে এত দূরে ছুটে এসেছেন তিনি, সেই আম্বানির হাতে ফুলের স্তবক দিয়ে তাঁকে ধন্যবাদ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানালেন রিলায়েন্স কর্তা। আর বিবাহ অনুষ্ঠানের আবহে সৌজন্যের সম্পর্ক আরও একবার ঝালিয়ে নিলেন উভয়েই। 

শুধু আম্বানিপুত্রের বিয়ে উপলক্ষে যোগ দিতে নয়, সংক্ষিপ্ত মুম্বই সফরে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিও রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। এদিন মুম্বই রওনা হওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি জানান, উদ্ধব ঠাকরে  ও  শরদ পওয়ার  সঙ্গে দেখা করবেন। বিকেলে অখিলেশ যাদবের সঙ্গে সাক্ষাৎপর্ব রয়েছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেল ৪ থেকে ৫টার মধ্যে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মমতার দেখাসাক্ষাৎ, কথাবার্তা হবে। সন্ধেবেলা বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শনিবার কলকাতায় ফিরে আসবেন।বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা মুম্বইয়ে নেমেই তিনি চলে যান মুকেশ আম্বানির সঙ্গে দেখা করতে। ছেলের বিয়ের হাজারও রীতিনীতি সামলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান আম্বানি। তাঁর পরনে ছিল ঘি-সাদা রঙের ট্র্যাডিশনাল কুর্তা-পাজামা-জ্যাকেট। মমতাকে  উত্তরীয় পরিয়ে উষ্ণ অভ্য়র্থনা জানান আম্বানি। দেখেই বোঝা গেল, 'দিদি'র আগমনে কতটা খুশি হয়েছেন শিল্পপতি। এখন শুক্রবার সন্ধেয় অনন্ত-রাধিকার রাজকীয় বিয়েতে একঝাঁক সেলিব্রিটির মাঝে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতির দিকে তাকিয়ে সকলে। 

Card image cap

দিল্লি এইমসে ভর্তি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

হাসপাতালে ভর্তি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পিঠে অসহ্য ব্যথার কারণেই তাঁকে দিল্লি এইমসে ভর্তি করা হয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে। তবে ৭৩ বছরের রাজনাথ আপাতত স্থিতিশীল বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলে হাসপাতাল সূত্রের দাবি।


জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই পিঠের ব্যথায় কাবু ছিলেন রাজনাথ। লোকসভা নির্বাচনের সময় ভোটপ্রচারে অন্ধ্রপ্রদেশে থাকার সময়ও পিঠে যন্ত্রণা শুরু হয়েছিল তাঁর। কিন্তু বুধবার রাতে ব্যথা অত্যন্ত বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে এদিন সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বর্ষীয়ান বিজেপি নেতাকে। নিউরোসার্জারি বিভাগে ভর্তি হন তিনি। তাঁর এমআরআইও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলেই শুক্রবারই রাজনাথকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে এইমসের তরফে জানানো হয়েছে।২০১৯ সালে প্রথমবার দেশের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী হন রাজনাথ। তার আগে মোদি সরকারের প্রথম পাঁচ বছরে তিনি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাজপেয়ীর আমলেও তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব সামলেছেন। দুবছর ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতিও। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দেড় লক্ষের কাছাকাছি ভোটে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে জয়লাভ করেন তিনি। নতুন করে তাঁকেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। গতকাল, বুধবার ছিল রাজনাথের জন্মদিন। কিন্তু সেদিনই পিঠে অত্যন্ত ব্যথা অনুভূত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হল ৭৩ বছরের নেতাকে।

Card image cap

জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে তৃণমূল

গতকাল কি করে নির্বাচন হয়েছে, তা গোটা রাজ্যের মানুষ দেখেছে। এই নির্বাচন করে কি লাভ, এটাই তো বড় প্রশ্ন এখন সকলের মধ্যে। যেখানে তৃণমূল নিজেরাই সব আসন দখল করবার জন্য শুধু সন্ত্রাস চালাবে এবং পুলিশকে নিয়ে বিরোধীদের ওপর হামলা করবে, তখন ভোটের কি দরকার?


তবে স্বাভাবিক নিয়মে মানুষের ভোট পেয়ে যে তৃণমূল জিততে পারবে না, এটা বুঝতে পেরেই তারা এখন এই সন্ত্রাসের আশ্রয় নিচ্ছে। যার ফলে একটা জিনিস গতকালের ভোটের পর আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, তৃণমূল কংগ্রেস এই রাজ্যে কার্যত জনবিচ্ছিন্ন। এদিন তেমনটাই বললেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।


প্রসঙ্গত, এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। আর সেখানেই তিনি বলেন, "এদিনের ভোটের পর আরও প্রমাণ হয়ে গেল, তৃণমূল কংগ্রেস জনবিচ্ছিন্ন। গ্রামের পর গ্রাম তারা পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে মানুষকে আতঙ্কের মধ্যে ফেলে এই নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করেছে।" অর্থাৎ এই রাজ্যের শাসক দল হয়ত এবারও উপনির্বাচনে বিপুলভাবে জয়লাভ করবে। কিন্তু তারা কতটা নিজেদের সর্বনাশ নিজেরা করছে, সেটা বুঝতে পারছে না।


কারণ সবকিছুর শেষ বলে একটা জিনিস আছে। তাই মানুষকে ভোট দিতে না দিয়ে ভয় দেখিয়ে যে কণ্ঠরোধের চেষ্টা তৃণমূল কংগ্রেস করছে, তাতে প্রমাণিত যে, মানুষ তাদের সঙ্গে নেই। যেদিন সুযোগ আসবে, সেদিন মানুষের দ্বারা পরিচালিত নির্বাচনে অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়বে এই তৃণমূল কংগ্রেস। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

Card image cap

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিচ্ছেন নৃত্যশিল্পী?

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন নৃত্যশিল্পী? মঙ্গলবার এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন তিনি। বিবৃতি দিয়ে নৃত্যশিল্পীর দাবি, মামলা প্রত্যাহার করতে চাননি তিনি। তবে কিছু কারণ বশত বিষয়টি নিয়ে আর এগোতে চান না। এ নিয়ে তাঁর মন্তব্যের 'ভুল' ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলেও দাবি ওই নৃত্যশিল্পীর।দিল্লির তাজ হোটেলে আনন্দ বোস ও নৃত্যশিল্পীকে ঘিরে কী ঘটনা ঘটেছিল, তা ফাঁস করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনিই জানান, "অভিযোগকারিণী নিজের বিবৃতি আমাকে পাঠিয়েছেন। আমি তাঁর অনুরোধ রক্ষা করে তা সংবাদমাধ্যমকে দিয়েছি। সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছি।" কী রয়েছে সেই বিবৃতিতে?অভিযোগকারিণীর দাবি, সংবাদ সংস্থা পিটিআই-তে তাঁর 'ভুল' মন্তব্য় প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁর কথায়, 'কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক (নাম নেওয়া হয়নি) আমাকে উদ্ধৃত করে পিটিআইকে যা বলেছেন, তা আমি অস্বীকার করছি।' উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৭ জুলাই পিটিআইয়ে এক খবর প্রকাশিত হয়। শিরোনাম ছিল, ‘রাজভবন কলঙ্কিত করার জন্য কলকাতার সিপি, ডিসিপির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা সংক্রান্ত পদক্ষেপ করতে চলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক’। যেখানে লেখা হয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘২০২৪ সালের ১৭ জুন অভিযোগকারিণী বলেছেন, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই এবং তিনি তা প্রত্যাহার করতে চান। কিন্তু কলকাতা পুলিশ তা করতে দিচ্ছে না।’’ এই দাবি সত্য নয় বলেই জানিয়েছেন অভিযোগকারিণীর। তিনি রাজ্যপালসংক্রান্ত বিষয়টি আর এগিয়ে নিয়ে যেতে চান না।কারণ হিসেবে এদিনের বিবৃতিতে অভিযোগকারিণী জানান, "আমি আমেরিকার অন্যায় ও তাদের বিচারব্যবস্থার স্বৈরাচারের শিকার। সে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং ভারত সরকারের কাছে বিষয়টি আটকে রয়েছে। আমি একজন অসহায় ভারতীয় হিন্দু বধূ। আমার বিরুদ্ধে আমেরিকার যে গুণ্ডামি, তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেষ্টা করছি।" তাঁর আরও দাবি, তাঁর শরীরও খারাপ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল বোসের বিষয়টি নিয়ে তিনি আর এগোতে চাইছি না।

Card image cap

১০ দিনের মধ্যে দাম কমাতে কড়া দাওয়াই মুখ্যমন্ত্রীর

অগ্নিমূল্য বাজার। মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে কড়া দাওয়াই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানালেন, ১০ দিনের মধ্যে দাম কমাতে হবে। কীভাবে কমবে দাম? সেই গাইডলাইনসও তৈরি করে দিলেন তিনি।


মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, কোল্ড স্টোরেজে অতিরিক্ত আলু মজুত রাখা চলবে না। নাসিকের বদলে রাজ্যের চাষিদের কাছ থেকে কিনতে হবে পিঁয়াজ। রাজ্যের চাহিদা না মিটিয়ে ভিনদেশে পাঠানো যাবে না সবজি। প্রয়োজনে বর্ডারে চেকিং চলবে। বাজারে সিআইডি, পুলিশ, আইবির নজরদারির নির্দেশ। নজরদারি চালাতে গিয়ে তোলাবাজি করলে অ্যাকশন নেওয়ার হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর। ধানের মতো চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি সবজি কেনার পক্ষেও সওয়াল মমতার। প্রয়োজনে মাল্টিপারপাস কোল্ড স্টোরেজ তৈরির পরামর্শও দিলেন তিনি। বাজারে বেশি দামে সবজি বিক্রি আটকাতে টাস্কফোর্সকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি। যত দিন না দাম কমছে ততদিন বাজারে নিয়মিত নজরদারি চালাবে টাস্কফোর্সের সদস্যরা। নজর রাখবে পুলিশও। একইসঙ্গে নিয়মিত বৈঠকে বসতে হবে তাঁদের। থাকবেন মুখ্য সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি। প্রতি সপ্তাহে সেই রিপোর্ট দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। এর পরই তাঁর নির্দেশ, "১০ দিনের মধ্যে দাম কমাতেই হবে।"

বর্ষা এলেও সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া। মধ্যবিত্তের হেঁশেলে কার্যত আগুন লেগেছে। বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে মঙ্গলবার নবান্নে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। মমতার খোঁচা, "তিন মাস ধরে ভোট হয়েছে। নির্বাচনী বন্ডের টাকা তুলতেই সব্জির দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে কি না, খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।" কারা, কী উদ্দেশে দাম এতটা বাড়িয়ে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। কিছু লোক অতিরিক্ত লাভের আশায় দাম বাড়াচ্ছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। 

Card image cap

'না জানিয়ে দাম বাড়িয়েছে CESC

বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়. সরকারকে না জানিয়ে বিদ্য়ুতের দাম বাড়িয়েছে সিইএসসি। তবে WBSEDCL বিদ্য়ুতের মূল্য বাড়ায়নি বলেও জানিয়ে দিলেন তিনি।উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানে উত্তরের দুর্যোগের পাশাপাশি বর্ষায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় রুখতেও দাওয়াই দিলেন তিনি। সঙ্গে বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি নিয়েও বার্তা দিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "এই সুযোগে শুনলাম সিইএসসি ক'পয়সা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদেরকে কিছুই জানায়নি। বিদ্যুৎ দপ্তরকেও কিছু জানায়নি‌।" তাঁর সংযোজন, "যাই হোক, আমাদের WBSEDCL এক পয়সাও দাম বাড়ায়নি।"

প্রসঙ্গত, বর্ষা এলেই প্রতিবছর বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গ। বৃষ্টি বাড়লে পরিস্থিতির জটিলতা বাড়ে। এবারও কার্যত একই অবস্থা। টানা বৃষ্টিতে ফুঁসছে উত্তরবঙ্গের নদীগুলো। এদিকে ভুটান থেকে আসছে জল। যার জেরে উত্তরবঙ্গ রীতিমতো বেহাল। একাধিক রাস্তায় নেমেছে ধস। যার জেরে শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সিকিমের।

এর মধ্যেই বিদ্যুতের বিপর্যয় ঘটতে পারে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। এই বিপর্যয় এড়াতে একাধিক পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়লে তা তৎক্ষনাৎ সারাতে হবে। রাস্তায় জল জমলে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। 

Card image cap

মুকুল রায়ের শারীরিক অবস্থার কথা জানালেন ছেলে

অবশেষে উন্নতির ইঙ্গিত। ভেন্টিলেশন সাপোর্ট থেকে বেরিয়েছেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। তবে বাইরে থেকে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে এখনও। আচ্ছন্নভাব পুরোপুরি না কাটলেও একটু-আধটু সাড়া দিচ্ছেন। বাবার সামগ্রিক শারীরিক অবস্থা নিয়ে ইতিবাচক কথা জানালেন ছেলে শুভ্রাংশু রায়। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে, সহযোগিতায় মুকুলবাবু উন্নতির দিকে এগোচ্ছেন বলেই জানিয়েছেন ছেলে। সেইসঙ্গে এও জানান, রাজনৈতিক ক্ষেত্রের বন্ধু, সতীর্থরা সর্বক্ষণ খোঁজখবর নিচ্ছেন বর্ষীয়ান বিধায়কের।চারদিনের মাথায় মুকুল রায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে খানিকটা সুখবর শোনা গেল। শনিবার বিকেলে ছেলে শুভ্রাংশু বাবার শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানালেন সংবাদমাধ্যমে। তাঁর কথায়, ”অস্ত্রোপচারের পর যেমন অবস্থা হয়েছিল, তার চেয়ে কিছুটা ভালো এখন। অক্সিজেন সাপোর্ট আছে, তবে ভেন্টিলেশনের বাইরে আনা হয়েছে। ডাকলে এখন একটু সাড়া দিচ্ছেন। আমরা আশা করি, উনি ভালোর দিকে যাবেন। চিকিৎসকরা অত্যন্ত সহযোগিতা করছেন। সর্বক্ষণ বাবাকে নজরে রেখেছেন। যে সমস্যাটা ছিল সেইসময় পড়ে যাওয়ার পর, মাথায় রক্ত জমাট বেঁধেছিল। এখন আর সেই সমস্যাটা নেই।
মুকুল রায় ২০২১ সালে বিজেপির টিকিটে লড়াই করে বিধায়ক হয়েছিলেন। খাতায়-কলমে এখনও তিনি গেরুয়া শিবিরের জনপ্রতিনিধি। বিজেপির সদস্যরাও কি তাঁর খোঁজখবর রাখছেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে শুভ্রাংশু বলছেন, সব দলের সকলেই খোঁজ নিচ্ছেন সবসময়। তবে এখন রাজনীতি সরিয়ে রেখে বাবার সুস্থতাটাই জরুরি। তাই আলাদা করে তৃণমূল বা বিজেপিকে নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি মুকুলপুত্র। গত বুধবার সন্ধেবেলা নিজের বাড়িতে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন ৭০ বছরের বিধায়ক। তাঁকে বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার সময় জ্ঞান ছিল না। যথেষ্ট সংকটজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলেছে। এখনও পুরোপুরি সেই সংকট না কাটলেও সামান্য উন্নতি হয়েছে তাঁর।

Card image cap

অনায়াসে জিতে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করতে চান হেমন্ত সোরেন

জেলমুক্তির পরে সদ্যই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন হেমন্ত সোরেন। আর তাঁর ক্ষমতায় আসার পর আগামিকাল, সোমবার আস্থা ভোট। রাজ্যের ক্যাবিনেট শনিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আস্থা ভোটে সোরেনের জয় একরকম নিশ্চিতই। আর তার পরই তিনি তাঁর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করবেন বলেই জানা যাচ্ছে।এই মুহূর্তে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভায় শাসক জোট অনেক এগিয়ে। কেননা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ২৭ জন বিধায়কের পাশাপাশি কংগ্রেসের ১৭টি এবং আরজেডির একজন বিধায়ক মিলে সোরেনের হাতে রয়েছে ৪৫ জনের সমর্থন। অন্যদিকে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটে সবশুদ্ধ ৩০ জন রয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের কারণে কক্ষের সদস্য সংখ্যা কমে যাওয়ায় ৩৮টি ভোটই যথেষ্ট আস্থা ভোটে জয়ী হতে। ফলে সোরেন যে অনায়াসে তাতে জয়ী হবেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।
গত ৩১ জানুয়ারি জমি দুর্নীতি মামলায় আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেপ্তার হন হেমন্ত। তার আগেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। জেএমএমের চম্পাই সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হন। প্রায় পাঁচ মাস জেলে থাকার পর গত ২৮ জুন হেমন্তকে জামিন দেয় ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। এর পরই চম্পাই ইস্তফা দিলে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে কামব্যাক করেন তিনি।

Card image cap

তৃণমূলের নাম করে যদি কেউ কাজ করিয়ে দেবে বলে টাকা চায় ফোন করবেন,

আগামী ১০ তারিখ বাগদাতে উপনির্বাচন। দলীয় প্রার্থী মধুপর্না ঠাকুরের সমর্থনে প্রচারে আসছেন তৃণমূলের হেভি ওয়েট নেতারা। তেমনি শুক্রবার বাগদার মেহেরানিতে ভোট প্রচারে এসেছিলেন ব্যারাকপুরে নবনির্বাচিত সাংসদ পার্থ ভৌমিক।


অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, আপনার এলাকাতে যে ছেলেরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে আপনাদের অসুবিধা শুনতে তাদের নম্বর নিয়ে রাখুন। কেউ যদি তৃণমূল বা বিডিও অফিসের নাম করে কাজ করে দেবে বলে টাকা তোলে তাহলে ফোন করবেন আমি নিজে দায়িত্ব করে তাদের জেলে ঢুকিয়ে দেবো।


পার্থবাবু আরো বলেন, নরেন্দ্র মোদি ১১ লাখ ৩৬ মানুষের যে ঘরের টাকা আটকে রেখেছে তার টাকা যদি না দেয় মমতা ব্যানার্জি সেই টাকা আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে কিস্তিতে দেওয়া শুরু করবে।

Card image cap

বিজেপিতে রদবদল, দায়িত্ব ভাগ করে দিলেন সভাপতি নড্ডা

লোকসভা ভোট শেষ হওয়ার পর সংগঠনে রদবদল ঘটাল বিজেপি। শুক্রবার ২৪টি রাজ্যের পর্যবেক্ষক এবং সহ-পর্যবেক্ষকের তালিকা প্রকাশ করেছে পদ্মশিবির। তবে এই পর্যবেক্ষকদের তালিকায় বাংলার কেউ নেই। নাম নেই কোনও বাঙালিরও।বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা নতুন করে সংগঠনের দায়িত্ব বণ্টন করেছেন ২৪ রাজ্যে। বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা হেডকোয়ার্টার ইনচার্জ অরুণ সিংহের সই করা যে তালিকা বার করেছে বিজেপি, তাতে ২৪টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে। আন্দামান নিকোবর, অরুণাচল প্রদেশ, বিহার, ছত্তীসগঢ়, দমন-দিউ, গোয়া, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু এবং কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ওড়িশা, পুদুচেরি, পাঞ্জাব, সিকিম, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির জন্য পর্যবেক্ষক এবং সহ-পর্যবেক্ষকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে বেশ কয়েক জনকে সাংগঠনিক কাজে বড় দায়িত্বে উঠিয়ে এনেছে বিজেপি। যেমন, সম্বিত পাত্র। ওড়িশায় ভাল ফলের পর সেই রাজ্যের পদ্মশিবিরের বড় মুখকে উত্তরাখণ্ডের সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওড়িশায় পর্যবেক্ষক এবং সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজয়পাল সিংহ তোমর এবং সুশ্রীলতা উসেন্দিকে। বিজয়পাল উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ। আগেও তিনি ওড়িশার দায়িত্ব সামলেছেন। বিহারে বিজেপির পর্যবেক্ষক বিনোদ তাওড়ে, সহ-পর্যবেক্ষক করা হয়েছে সাংসদ দীপক প্রকাশকে। গোয়া এবং জম্মু-কাশ্মীরে পর্যবেক্ষক হয়েছেন আশিস সুদ। হরিয়ানায় পর্যবেক্ষক সতীশ পুনিয়া এবং সহ-পর্যবেক্ষক সুরেন্দ্র সিংহ নগর, হিমাচল প্রদেশে পর্যবেক্ষক শ্রীকান্ত শর্মা, সহ-পর্যবেক্ষক সঞ্জয় টন্ডন। এ ছাড়া কর্নাটকের জন্য বিজেপি পর্যবেক্ষক এবং সহ-পর্যবেক্ষক করেছে সাংসদ রাধামোহন দাস আগরওয়াল এবং সুধাকর রেড্ডিকে। ঝাড়খণ্ডে পর্যবেক্ষক হয়েছেন সাংসদ লক্ষ্মীকান্ত বাজপেয়ী।উল্লেখযোগ্য ভাবে, বাংলার কাউকে এ বার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেয়নি বিজেপি। উত্তরাখণ্ডে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। দ্বিতীয় বার হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে তাঁকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বিদায়ী সাংসদ হেরে যান তৃণমূলের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এক সময় বিহারের পর্যবেক্ষকের পদ সামলেছেন। এ ছাড়া বাংলা থেকে অনুপম হাজরা বিহারের সহ-পর্যবেক্ষক ছিলেন। কিন্তু এ বার বাংলা থেকে কোনও বিজেপি নেতার নাম নেই। তা ছাড়া বাংলার জন্য কোনও পর্যবেক্ষক এবং সহ-পর্যবেক্ষকের নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি।

Card image cap

৪০০ পার করে ব্রিটেন জয় লেবার পার্টির!

১৯৪৫ সালের পর এই প্রথম বার জুলাই মাসে ভোট হল ব্রিটেনে। এ বারের নির্বাচনে মোট ৪৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় (ভারতে দুপুর সাড়ে ১২টা) শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলেছে রাত ১০টা পর্যন্ত। তার পরেই শুরু হয়েছে গণনা। শুক্রবার সকাল থেকেই ভোটের ফল সামনে আসতে থাকে। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, ৪০০ বেশি আসন জিতে ব্রিটেন জয় করল লেবার পার্টি।

লড়াই ছিল দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল, লেবার পার্টি ও কনজ়ারভেটিভ পার্টির (টোরি) মধ্যে। লেবার পার্টির নেতৃত্বে ছিলেন কায়ের স্টার্মার আর কনজ়ারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বে সুনক। ভোটপর্ব শুরু থেকেই হাওয়া ছিল পালবদলের পালে। বিভিন্ন জনসমীক্ষা আভাস দিয়েছিল, সুনককে আর প্রধানমন্ত্রী চাইছেন না ব্রিটেনবাসী। ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনকের উপর আস্থা হারিয়েছেন তাঁরা।

২০১৯ সালে ভোটে লেবার পার্টি আশা জাগালেও ব্রিটেনবাসী কনজ়ারভেটিভ পার্টির পক্ষেই রায় দিয়েছিলেন। সে বার কনজ়ারভেটিভ পার্টি পায় ৩৬৫টিআসন। আর লেবার পার্টির ঝুলিতে ছিল ২০৩টি আসন। কনজ়ারভেটিভ পার্টির অনুকূলে তথা ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রচারে বিপুল সাড়া মিলেছিল। ‘গেট ব্রেক্সিট ডান’ স্লোগানে ভর করে ব্রিটেন জয় করেছিল তারা। প্রধানমন্ত্রী হন বরিস জনসন। কিন্তু ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সরকারি বাসভবনে আড়াই বছরের বেশি কাটাতে পারেননি তিনি। দলের অন্দরে বিদ্রোহ এবং কোভিডবিধি ভেঙে পানভোজনের আসর বসানোর অভিযোগ মাথায় নিয়ে ২০২২ সালে জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তার পর লিজ় ট্রাসের ৪৯ দিনের প্রধানমন্ত্রিত্ব পর্বের শেষে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন ঋষি।দু’বছর পর জাতীয় নির্বাচনের মুখোমুখি হতে হয় ঋষিকে। তাঁর শাসনকালে একাধিক বিষয় ঋষির বিপক্ষে ছিল। টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকা কনজ়ারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ছিল ‘প্রতিষ্ঠানবিরোধী ক্ষোভ’। শুধু তা-ই নয়, কনজ়ারভেটিভ সরকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল অর্থনীতি, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং অভিবাসন। ব্রেক্সিট–পরবর্তী সময় থেকে ভঙ্গুর অর্থনীতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, অভিবাসন সমস্যা-সহ সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ব্রিটেনের জনগণ বিরক্ত ছিল ঋষি সুনকের সরকারের বিরুদ্ধে। সেটাই ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলল।

লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা এ বারের ভোটে ভাল ফল করল। গত বার তারা মাত্র ১১টি আসন পেয়েছিল। ২০২৪ সালে সেই দলই ৭০-এর বেশি আসন জিতল। এ ছাড়াও নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন কট্টরপন্থী দল রিফর্ম ইউকে-ও নতুন দল হিসাবে ভাল শুরু করল। চারটি আসন তারা জেতে। বলাই চলে, কনজ়ারভেটিভদের ভোট কাটতে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছে লিবারেল।ঋষির স্থলাভিষিক্ত হলেন স্টার্মার। ভোটের ফল স্পষ্ট হতেই সুনক অভিনন্দন জানান তাঁর উত্তরসূরি হতে যাওয়া স্টার্মারকে। এর পরে প্রথা মেনে বাকিংহাম প্রাসাদে গিয়ে রাজা তৃতীয় চার্লসকে ভোটের ফলাফল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন সুনক। এর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরে বিদায়ী বক্তৃতা করেন তিনি।