CATEGORY politics:

Card image cap

মোদীর চিন্তা বাড়িয়ে ফাটল ধরল NDA জোটে

ইসবার ৪০০ পার হয়নি, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির । ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে ২৪২ টি আসনে জয়ী হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি । ফলে জোটকে ভরসা করেই এগোতে হচ্ছে বিজেপিকে । বড় শরিক তেলেগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডু ও জেডি(ইউ)-এর নিতীশ কুমারকে বাজেটে ভরিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।


অন্যান্য জোট সঙ্গীদের দেওয়া হয়েছে ক্যাবিনেট মিনিস্ট্রি।


এদিকে মন্ত্রীসভা গঠন হওয়ার ২ মাস পেরিয়ে যাওয়ার আগেই মোদীর চিন্তা বাড়িয়ে ফাটল ধরল NDA জোটে। বিজেপির কীর্তিকে চরম ক্ষুব্ধ JDS, সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিতে পারে কুমারস্বামীর দল। গত বিধানসভা ভোটে প্রাক্রন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার দল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল কর্নাটকে। নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন NDA জোটে সামিল হয় JDS। লোকসভা নির্বাচনে কুমারস্বামীর দলকে ৩ টি আসন ছাড়ে বিজেপি। কিন্তু এবার যেন আর বিজেপি-র কর্তৃত্ব মানতে পারছে না JDS।


বিজেপির ডাকে আয়োজিত পদযাত্রা থেকে বুধবার নিজেদের সরিয়ে নিল জোটসঙ্গী জেডিএস। আর এর দায় সরাসরি গেরুয়া শিবিরের উপরেই চাপিয়েছেন দলের সুপ্রিমো এইচ ডি কুমারস্বামী। তাঁর সাফ কথা, 'বিজেপি যদি আমাদের বিশ্বাসই না করে, তাহলে আমরা সমর্থন করব কেন?' আর এই মন্তব্যেই স্পষ্ট যে বিরোধী মহাজোট 'ইন্ডিয়া' যত ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, ততইহচ্ছে, ততই অন্তর্কলহ বাড়ছে শাসক এনডিএ শিবিরে।


লোকসভা নির্বাচনের আগে কুমারস্বামীর ভাইপোর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ সামনে আসে। পারিবারিক শক্ত ঘাঁটি হাসান কেন্দ্রে হেরে যান প্রোজ্জ্বল রেভান্না। তাঁকে হারাতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছিলেন হাসানের বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক প্রীতম গৌড়া। তিনিই প্রোজ্জ্বলের যৌন হেনস্তার পেনড্রাইভ সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বড় ভূমিকাও নেন। সেই প্রীতম গৌড়াকে বিজেপি মুদা-দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদযাত্রায় নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়ায় চটেছেন কুমারস্বামী।

Card image cap

রাজভবনের সাংবিধানিক ক্ষমতা বাড়ানো হোক, জোরাল সওয়াল একাধিক রাজ্যপালের

পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রে সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই সংবিধান লঙ্ঘন করেও ছাড় পেয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকারগুলি। এমনকী, রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কুৎসা করতেও পিছপা হচ্ছেন না রাজনৈতিক নেতারা। যাতে কড়া পদক্ষেপ করতে পারেন তাই রাষ্ট্রপতির কাছে সাংবিধানিক ক্ষমতা বৃদ্ধির দাবি জানালেন একাধিক রাজ্যের রাজ্যপাল। শুক্রবার থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে শুরু হওয়া দুদিনের রাজ্যপালদের সম্মেলনে রাজভবনে বসে নয়, জেলায় গিয়ে জনসংযোগ করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

নরেন্দ্র মোদি জমানায় অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালদের সংঘাত নতুন নয়। অবিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যের বিল রাজভবন আটকে রেখেছে। তা নিয়ে মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপালদের সতর্ক করলেও সমস্যা মেটেনি। সূত্রের খবর, দুদিনের সম্মেলনে রাজ‌্যপালরা কীভাবে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারেন সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আরও বেশি দায়িত্ব নিয়ে রাজ্যপালদের কাজ করতে হবে। বিশেষ করে আদিবাসী এলাকায়। সরকারি পরিষেবা তাঁদের কাছে আদৌ পৌঁছচ্ছে কি না তা দেখতে হবে।” এছাড়াও কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের সেতুবন্ধনে তাঁদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সম্মেলনের শেষদিনে উল্লেখযোগ্য দিক কর্নাটক, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাবের রাজ্যপালদের কিছু দাবি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের কাছে সাংবিধানিক অধিকার বাড়ানোর দাবি করেন তাঁরা। সংবিধানে তাঁদের হাত-পা বাঁধা থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজন হলেও তা করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন বলে সূত্রের খবর।

কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি অবিজেপি রাজ্যে যেভাবে রাজ্যপালদের সঙ্গে সরকারের সংঘাত চলছে, তারপর রাজভবনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করলে অনেক ক্ষেত্রে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে। এখনই নির্বাচিত সরকারের কাজে রাজ্যপালরা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। এরপর তাঁদের আরও ক্ষমতা বৃদ্ধি করলে রাজ্য সরকারের স্বাধীন কাজকর্মে রাজ্যপালরা প্রতি মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Card image cap

কুণালের বিরুদ্ধে ইউটিউব চ্যানেলের মানহানিকর ভিডিও বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের

তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ সম্পর্কে মানহানিকর 'ভিডিও কন্টেন্ট' প্রকাশ করে বিপাকে ইউটিউব চ্যানেল 'বঙ্গটিভি'। সংশ্লিষ্ট ইউটিউব চ্যানেলের 'ফেসবুক পেজ' ও 'ইউটিউব' থেকে কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে ওই সমস্ত আপত্তিকর ভিডিও সরানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্রের গ্রিভান্স 

কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী জানান, সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষকে নিয়ে মানহানিকর ভিডিও প্রকাশ করে বঙ্গটিভি। অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট ইউটিউব চ্যানেলে তাঁর ছবি ব্যবহার করে আপত্তিকর ভাষায় কুৎসামূলক মন্তব্য করেন ওই চ্যানেলের সঞ্চালিকা। কুণালকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে একাধিক অবমাননাকর মন্তব্যই শুধু তাই নয়, তাঁর পরিবার সম্পর্কেও একাধিক আপত্তিকর কথা বলা হয়।

আইনজীবী আরও বলেন, প্রকাশিত ভিডিওতে কুণাল ঘোষের নাম বিকৃত করে, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাজের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে অবমাননাকর কথা বলেন সঞ্চালিকা। যা নিয়ে কেন্দ্রের গ্রিভান্স সেল অর্থাৎ সেন্ট্রালাইজড পাবলিক গ্রিভান্স রিড্রেস অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেমে অভিযোগ জানান কুণাল। সেই মানহানির অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সংশ্লিষ্ট ইউটিউব চ্যানেল থেকে কুণাল ঘোষ সম্পর্কে আপত্তিকর ভিডিও সরানোর নির্দেশ দিয়েছে গ্রিভান্স সেল। অবিলম্বে ওই সমস্ত ভিডিও সরাতে হবে।

Card image cap

সাত সকালে বড় আশঙ্কা রাহুল গান্ধীর!

যে কোনও মুহূর্তে হানা দিতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সাত সকালে এমনটাই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করলেন রাহুল গান্ধী। গত কয়েকদিন আগেই লোকসভায় 'চক্রব্যূহ' মন্তব্য করছিলেন। আর সেই কারণেই ইডি হানার আশঙ্কা বলে দাবি কংগ্রেস সাংসদের। আর এহেন দাবি ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।


বিষয়টি নিয়ে মোটেই বিচলিত নন,বরং ইডির আধিকারিকদের জন্য চা-বিস্কুট নিয়ে অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন সোনিয়া পুত্র  । গত ২৯ জুলাই সংসদে কড়া ভাষায় ভাষণ দেন রাহুল। একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে কার্যত মোদী সরকারকে বার্তা দেন।


আর তা বলতে গিয়ে রায়বেরেলির সাংসদ বলেন, অভিমুন্যকে চক্রব্যুহে ফাঁসিয়ে মহাভারতে হত্যা করা হয়, ভারতের অবস্থাও আজকের দিনে তেমন। তৈরি হয়েছে এক পদ্মব্যুহ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যার ছবি বুকে বয়ে নিয়ে বেড়ান। আর এই পদ্মব্যুহ ছয়জন মিলে তৈরি করছেন বলেও দাবি করেন রাহুল গান্ধী। আর এই ছয়জন কে তাও জানান।


বলেন, নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, অজিত দোভাল (জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা), আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবাত এবং শেষে অনিল আম্বানি এবং গৌতম আদানির নাম করেন বিরোধী দলনেতা। যদিও আম্বানি এবং আদানিদের নাম নেওয়া নিয়ে শুরু হয় জোর বিতর্ক।


এমনকি স্পিকারও এই বিষয়ে বার্তা দেন। সংসদের সদস্য তাঁরা কেউ নন। ফলে সংসদের রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরে যদিও দুই নাম নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র তোপ দাগেন রাহুল।


আর এহেন মন্তব্যের পরেই কার্যত বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ সামনে এনেছেন। শুধু তাই নয়, এক বড় আশঙ্কার কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইটও করেছেন। সেখানে লিখছেন, যে কোনও সময় হানা দিতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। চক্রব্যুহ সংক্রান্ত বক্তব্যে দু'জনের মধ্যে একজন অসন্তুষ্ট।তবে কে অসন্তুষ্ট সে বিষয়ে কোনও মইন্তব্য করেননি রাহুল গান্ধী। তবে ইঙ্গিত যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে তা কার্যত স্পষ্ট। কিন্তু কীভাবে জানলেন ইডির তল্লাশি হতে পারে? টুইটে বিরোধী দলনেতার দাবি, ইডির মধ্যেকার একজন এই তথ্য তাঁকে দিয়েছেন। তবে খালি হাতে চা-বিস্কুট নিয়ে আধিকারিকদের জন্য অপেক্ষা করবেন বলেও এদিন জানান রাহুল। এমন আশঙ্কা ঘিরে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।

Card image cap

জীবন ও স্বাস্থ্যবিমায় GST প্রত্যাহার না করলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন

এবার জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমার উপর জিএসটি চাপানোর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র সরকার সদর্থক পদক্ষেপ না করলে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘ভারত সরকারের কাছে আমাদের দাবি, জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম থেকে জিএসটি তুলে নিন। কারণ এগুলি সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলির সঙ্গে জড়িত। জিএসটি বিষয়টি খারাপ কারণ, এটা মানুষের যে মৌলিক চাহিদা রয়েছে তার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। যদি জনবিরোধী জিএসটি সরকার তুলে না নেয় তবে আমরা এবার রাস্তায় নামতে বাধ্য হব।’বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় প্রসঙ্গটি তোলেন সাংসদ দোলা সেনও। শুক্রবার জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে লোকসভায় মুলতবি প্রস্তাব জমা দেবে তৃণমূল। এক্স হ্যান্ডলে সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন জানিয়েছেন, ২৯ জুলাই সংসদে প্রথম বিষয়টি উত্থাপন করে তৃণমূল কংগ্রেস।এই ইস্যুতে সরকারের অন্দরেও মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। খোদ কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নীতীন গড়করি অর্থমন্ত্রীকে জীবন বিমা এবং স্বাস্থ্যবিমাকে করমুক্ত করার দাবিতে চিঠি লেখেন। তাঁরও বক্তব্য, জীবন এবং স্বাস্থ্য বিমায় ১৮ শতাংশ জিএসটি বিমাক্ষেত্রকে সংকুচিত করছে। একই সঙ্গে প্রবীণ নাগরিকদের সমস্যার মুখে ফেলছে। তাছাড়া এই দুটি ক্ষেত্রই স্পর্শকাতর। বর্তমানে জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামের উপরে ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়।

Card image cap

নির্মলাকে পালটা দিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি অভিষেকের

বাজেটে বাংলাকে বঞ্চনা করা হয়েছে, এমনই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। বাজেট সওয়ালে তা নিয়ে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। দাবি করেছেন, কেন্দ্রের একাধিক জনমুখী প্রকল্প বাস্তবায়নই হচ্ছে না বাংলায়। এবার তাঁর পালটা দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানালেন তিনি।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার পরই বিরোধীরা এই বাজেটকে ‘কুর্সি বাঁচানোর বাজেট’ বলে তোপ দেগেছেল। তালিকায় ছিল বাংলার শাসকদল তৃণমূলও। এদিকে অর্থমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, কোনও রাজ্যকেই অবহেলা করা হয়নি বাজেটে । বঞ্চনার দাবি করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফের প্রশ্ন করেন, ২১-এর নির্বাচনের পর ১০০ দিনের প্রকল্পে বাংলাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার লোকসভায় বাজেট বিতর্কে অভিষেকের মন্তব্যের পালটা দিয়েছেন নির্মলা সীতারমণ। তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর একাধিক জনমুখী প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি বাংলায়।" বিতর্ককে কেন্দ্র করেই এদিন লোকসভা অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে তৃণমূল।
এর পর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, "কেন্দ্রের তরফে বারবার বলা হচ্ছে কেন্দ্রের প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে না। টাকা যথাযথ কাজে লাগানো হচ্ছে না। আমি বলছি ওরা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে দেখাক, কত টাকা দেওয়া হয়েছে যা খরচ করা হয়নি।" নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমানের প্রসঙ্গও তোলেন অভিষেক। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীও বঞ্চনার কথাই বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে সেই কথা বলার সুযোগই দেওয়া হয়নি।" লোকসভায় নির্বাচনে বাংলায় ১২ টি আসন জিতেছে বিজেপি। অভিষেকের দাবি, এই ১২ সাংসদ কেন্দ্রের কাছে বকেয়া চেয়ে আর্জি করুন।

Card image cap

নীতি-বৈঠকে মমতার 'অপমান' নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা

নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার দাবি, বাজেট বঞ্চনার কথা তুলে ধরতে গিয়ে 'অপমানিত' মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বার বার বেল বাজিয়ে 'স্টপ স্টপ' বলে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। সূত্রের খবর, সোমবার রাজ্য বিধানসভায় জিরো আওয়ারে এই নিয়ে আলোচনা হতে পারে। থাকতে পারেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তার স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভায় তৃণমূলের প্রতিবাদের ঝড় উঠতে পারে।

নীতি আয়োগের বৈঠকে অংশ নিলেও, তাঁর কণ্ঠরোধ করার আশঙ্কা আগেই করেছিলেন মমতা। শুক্রবারই মমতা বলেছিলেন, "আমি আমার বক্তব্য রেকর্ড করাতে বৈঠকে যোগ দিচ্ছি। বলতে না দিলেই কক্ষত্যাগ করব।" কার্যক্ষেত্রে হলও তাই। শনিবার বৈঠকের শুরুতে প্রায় ২০ মিনিট বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একে একে মুখ্যমন্ত্রীদের বলতে দেওয়া হয়। মমতা বঞ্চনার কথা তুলে ধরতেই বৈঠকের তাল কাটে। ফলে ৫ মিনিটেরও বেশি মমতাকে বলতে দেওয়া হয়নি।

সাধারণত সংসদ এবং বিধানসভায় সময়ের অতিরিক্ত বলতে গেলে মাইক বন্ধ করে দেওয়ার রীতি আছে। কিন্তু নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা বন্ধ করে দেওয়া নজিরবিহীন। তাই চূড়ান্ত 'অপমানিত' হয়ে নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর 'অপমানে'র প্রতিবাদে রাজ্যে দিকে দিকে প্রতিবাদে নামেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। সোমবার তার আঁচ পড়তে পারে বিধানসভায়। এই ইস্যুতে আলোচনার সম্ভাবনা। বিধানসভায় প্রতিবাদে সোচ্চার হতে পারেন তৃণমূল বিধায়করা।

Card image cap

রাজ্যে ফিরে ফের কেন্দ্রকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর

নীতি আয়োগের বৈঠকে মাইক বন্ধ ইস্যুতে ফের কেন্দ্রকে একহাত নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই মমতার আনা মাইক বন্ধের অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেন্দ্র। সাফাইয়ের সুরে বলে হয়েছে, প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রী বলার সুযোগ পেয়েছেন। মোদি সরকারের সেই দাবিকে স্রেফ ‘শাখ দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা’ হিসাবে বর্ণনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, নিজেদের মুখ বাঁচাতে শাখ দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে কেন্দ্র।

নীতি আয়োগের বৈঠক ছেড়ে মাঝপথে বেরিয়ে এসে সোজা কলকাতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই তিনি অভিযোগ করলেন, “আমার আগে চন্দ্রবাবু নায়ডু বলেছে ২০ মিনিট। অসম, অরুণাচল, ছত্তিশগড়, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীরা কেউ ১৫ মিনিট বলেছে, কেউ ১৬ মিনিট বলেছে, কেউ ২০ মিনিট বলছে। আর আমারটা যেই পাঁচ মিনিটে পড়তে যাবে সঙ্গে সঙ্গে বেল টিপে টিপে ‘স্টপ’ স্টপ স্টপ’ বলে দেওয়া হল।” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এরপরই তিনি ওয়াকআউট করে চলে আসেন।বস্তুত নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে বেরিয়েই মমতা দাবি করেছিলেন, তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র অবশ্য মমতার মাইক বন্ধের অভিযোগ অস্বীকার করছে। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তরফে টুইট করে দাবি করা হয়েছে, নীতি আয়োগের বৈঠকে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়ার যে অভিযোগ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সেটা বিভ্রান্তিকর। পিআইবির দাবি, মমতাকে একটি ঘড়ি দেখানো হয়েছিল, তাঁর বলার সময়সীমা শেষ হয়ে আসছে সেটা বোঝাতে। এমনকী ঘণ্টাও বাজানো হয়নি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও দাবি করেছেন, “সব মুখ্যমন্ত্রীকে সমানভাবে বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। মমতা যে অভিযোগ করেছেন, সেটা সঠিক নয়।”নির্মলার সাফাই সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী সাফ বলে দেন, “এটা পুরোটাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা। নিজেদের মুখ বাঁচাতে এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছে। আমি একজন সিনিয়র পলিটিসিয়ান। এতবারের জনপ্রতিনিধি। তাঁকে অসম্মান করা হয়েছে। পাঁচ মিনিট হতে হতেই বার বার ঘণ্টা বাজিয়ে থামানো হয়েছে। সেটার মানেটা কী!” মমতার কথায়,”বিরোধী দলগুলির একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে আমি গিয়েছিলাম। অথচ, আমার সঙ্গেই এই আচরণ করা হল। এটা সব বিরোধীদের অপমান। এখন মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করছে। বাংলার বঞ্চনা মানছি না। বৈঠক বয়কট করে ঠিক করেছি।”

Card image cap

বাংলার ৫ জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের দাবি বিজেপি সাংসদের

বাংলার ৫ জেলাকে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করতে হবে। তা না হলে হিন্দুদের অস্তিত্বই মুছে যাবে ওই এলাকা থেকে। সংসদে দাঁড়িয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। ঝাড়খণ্ডের সাংসদের দাবি, মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে বিশাল পরিমাণে অনুপ্রবেশ হচ্ছে। তার জেরে ওই এলাকার জনবিন্যাসে বড়সড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ফলে হিন্দু ধর্মের অস্তিত্ব সংকট দেখা দিচ্ছে। 

বাংলার উত্তরের জেলাগুলো ভাগ করা নিয়ে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত মজুমদার। বৈঠক শেষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, “উন্নয়নের স্বার্থে উত্তরবঙ্গের আট জেলাকে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি করেছি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে।” তাঁর দাবি, বাংলার উন্নয়নের স্বার্থেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই দাবি রেখেছেন তিনি। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে বঙ্গ বিজেপির সব সাংসদকে প্রধানমন্ত্রীর সামনে হাজির করতে পারেন বলেও দাবি করেন। তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময়ও চেয়েছেন।এই মন্তব্যের পরদিন সংসদে সরাসরি বাংলা ভাগের দাবি তোলেন নিশিকান্ত দুবে । তাঁর দাবি, মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে প্রচুর অনুপ্রবেশ হচ্ছে দেশে। তার জেরে বাংলা-সহ প্রতিবেশী রাজ্যগুলোর জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে। মুসলিম অনুপ্রবেশকারীরা এসে বিয়ে করছেন তফসিলি জাতি-উপজাতির মহিলাদের। তার জেরে তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত মানুষের সংখ্যা লাফিয়ে কমছে। কিন্তু তাঁদের কথা সংসদ ভেবে দেখে না। 

Card image cap

শুভেন্দুকে হাতিয়ার করেই সংসদে ঝাঁজাল ভাষণ অভিষেকের

সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ বদলে হয়েছে ‘জো হামারা সাথ, হম উনকে সাথ’। স্পষ্ট ভাষায় এভাবেই বিজেপির নীতি স্পষ্ট করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃতীয় মোদি সরকারের পুর্ণাঙ্গ বাজেটকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সেই বক্তব্যকে হাতিয়ার করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুর চড়িয়ে জানালেন, শরিক দলগুলিকে তুষ্ট করতেই এই বাজেট পেশ করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এই বাজেট আসলে দেশবাসীর সঙ্গে প্রতারণা।

নির্মলার পেশ করা বাজেটে সার্বিকভাবে বিরাট কোনও ঘোষণা না করলেও এনডিএর দুই প্রধান শরিকদল টিডিপি এবং জেডিইউ শাসিত দুই রাজ্যের ঝুলি ভরে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বিরাট বিরাট আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে দুই রাজ্যের জন্য। এই ইস্যুতেই দেশের অবিজেপি রাজ্যগুলির প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে অভিষেক বলেন, ‘এই বাজেটে বেছে বেছে ৩টি রাজ্যকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তা হল তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ ও কর্নাটক।’ অভিষেকের কথায় এটা কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়, “এই তিন রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে অবিজেপি দল। তাই এই বঞ্চনা।” একইসঙ্গে ইংরেজি BUDGET শব্দের ৬টি অক্ষরের আলাদা আলাদা ব্যাখ্যা তুলে ধরেন অভিষেক। ইংরাজি ‘B’ শব্দটির অর্থ ‘বিট্রেয়াল’ অর্থাৎ বিশ্বাসঘাতকতা।ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “আচ্ছে দিনের ১০ বছরে আজ ৪০ টাকা আলুর দাম, হাজার টাকা গ্যাসের দাম। মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে বিজেপির আচ্ছে দিনে।”
এছাড়া ‘U’ অর্থে আনএমপ্লয়মেন্টকে তুলে ধরেন অভিষেক । বলেন, “বিজেপির ১০ বছরে বেকারত্ব ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। ৫টি প্রকল্প এবং ৪ কোটি ১০ লক্ষ যুবকের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অর্থমন্ত্রী ২ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। এর আগে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রতি বছর ২ কোটি চাকরি দেওয়ার। তা পূরণ করা হয়নি। এখন অবাস্তব লক্ষ্য নিয়ে দৌড়চ্ছে এরা।” ‘D’ বলতে তিনি বোঝান ডিপ্রাইড অর্থাৎ বঞ্চিত। তাঁর দাবি, “গত ১০ বছরে দেশের নারী থেকে শিশু এই সরকারের আমলে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ ছাড়া সকলে শুধু বঞ্চিত হয়েছেন। বাংলায় হেরে এরা ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকাও আটকে দিয়েছে। ‘G’ অর্থাৎ গ্যারেন্টি ও ঘোটালা।” এমন আক্রমণাত্মক বক্তব্যের মাঝেই শাসক শিবির থেকে অভিষেককে থামাতে আওয়াজ ওঠে।
এরই মাঝে অভিষেক বলেন, “বিজেপি সবকা সাথ সবকা বিকাশ-এর মন্ত্র ভুলে ‘জো হামারে সাথ, হম উনকে সাথ’ মন্ত্রে চলছে। বাংলার বিরোধী দলনেতা নিজেই একথা বলেছেন। লোকসভা, রাজ্যসভায় বিজেপির একজনও মুসলিম সদস্য নেই। সংসদে বৈচিত্রের অভাবে, সংসদে সংখ্যালঘুদের আকাঙ্খা পূরণ হচ্ছে না। সরকারি নীতি অসাম্যকে বাহবা দিচ্ছে। তাই লোকসভা নির্বাচনে মোদি সরকারকে তারা প্রত্যাখ্যান করেছে।” এছাড়া বাজেটের শেষ ‘T’-এর ব্যাখ্যা করে অভিষেক বলেন, “টি ফর ট্র্যাজেডি। এই সরকারের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি হল কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে অপব্যবহার করা। বিরোধী দলের লোক হলেই মুখ বন্ধ করতে এজেন্সি লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”

Card image cap

কংগ্রেস সাংসদকে নিশানা করে বিতর্কে অভিজিৎ

সংসদে প্রথমবার বক্তব্য রেখেই বিতর্কে জড়ালেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বাজেট নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। সেই সময় ‘স্টুপিড’ বলেন বিজেপি সাংসদ। অভিজিতের কথার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “নির্বোধের মতো কথা বলবেন না।”

মঙ্গলবার বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তা নিয়ে বুধবার আলোচনা হয় সংসদে। বাজেট তেমন জনমোহিনী নয় বলেই দাবি বিরোধীদের। অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায় এদিন এই ইস্যুতে ঝাঁজাল আক্রমণ করেন বিজেপিকে। সাংসদ হওয়ার পর বাজেট আলোচনা সভায় প্রথমবার বক্তব্য রাখেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। সেই সময় বিরোধী শিবির থেকে নানা মন্তব্য শুরু হয়। তাতেই মেজাজ হারান প্রাক্তন বিচারপতি। তিনি আচমকাই ‘স্টুপিড’ শব্দ প্রয়োগ করেন। যার বাংলা তর্জমা ‘নির্বোধ’। এর পর রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করে তমলুকের বিজেপি সাংসদ বলেন, “ভগবান শিবের আশ্রয় না নিয়ে রাহুল গান্ধীর উচিত মানুষের আশ্রয় নেওয়া।”
তাতেই কার্যত উত্তেজিত হয়ে পড়েন কংগ্রেস সাংসদরা। প্রতিবাদ করতে গেলে অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন অভিজিৎ। তিনি বলেন, “গডসেও জানেন না, গান্ধীও না। (স্টুপিড) নির্বোধের মতো কথা বলবেন না।” ‘স্টুপিড’ অসংসদীয় শব্দ। স্পিকার ওম বিড়লার কাছে লোকসভার কার্যবিবরণী থেকে তা বাদ দেওয়ার দাবি জানান বিরোধীরা। প্রথমে বিবেচনার আশ্বাস। এবং পরে তা বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনী আবহে এক রবিবাসরীয় দুপুরে বোমা ফাটান। বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান। সেই মতো ইস্তফা দেন। তার কয়েকদিন পর হাতে তুলে নেন পদ্মশিবিরের পতাকা। লোকসভা নির্বাচনে তমলুক থেকে তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। ভোটপর্ব চলাকালীন বিতর্কে জড়ান। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর আক্রমণ করেন। তার জল গড়ায় নির্বাচন কমিশনেও। যদিও শেষমেশ বিরোধীদের হারিয়ে তমলুকে জয়ী হন অভিজিৎই। জেতার পর প্রথমবার সংসদে বক্তব্য রেখেও বিতর্কে জড়ালেন তিনি। 

Card image cap

একুশের মঞ্চে মমতার পাশে থাকার বার্তা অখিলেশের

একুশের সমাবেশে বক্তা তালিকায় অন্য দলের নেতা! খানিক চমকপ্রদভাবেই সভার একদিন আগে ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্দেশ্য, সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের সঙ্গে তাঁর রসায়ন গোটা দেশের সামনে তুলে ধরা। রবিবারের মঞ্চে সেই রসায়ন স্পষ্ট ফুটে উঠল। বিরোধী শিবিরের দুই বড় শরিক দল যে আগামী দিনে হাত ধরাধরি করেই চলবে, একুশের মঞ্চ থেকে ভালো মতো বুঝিয়ে দিলেন অখিলেশ যাদব এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়|

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ডাকে লখনউ থেকে একুশের সভায় আসার সিদ্ধান্ত নেন অখিলেশ। এদিন বিমানবন্দর থেকে সোজা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যান তিনি। সেখান থেকে সভাস্থলে যান দুজনে একসঙ্গে। ততক্ষণে অবশ্য সুর বেঁধে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তিনি জানিয়ে দেন, “গোটা দেশে বিজেপির যে পরাজয় হয়েছে, সেটার কৃতিত্ব দুজনের। এক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই অখিলেশ যাদব।”
ভাষণ দিতে উঠে মমতার লড়াইকে কুর্নিশ জানালেন অখিলেশ । সপা সুপ্রিমো বললেন, “এমন নেতা বড় কম পাওয়া যায়, যারা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেন। দিদি সেই লড়াই লড়েছেন। যারা দিদির সঙ্গে শুরুর দিকে লড়েছেন, আজও তাঁর সঙ্গে লড়ছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। আজকের লড়াই কঠিন। সাম্প্রদায়িক শক্তি ষড়যন্ত্র করছে। যারা দিল্লিতে বসে আছে তাঁরা বারাবার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু আপনারা দিদির পাশে থাকলে এই লড়াইয়ে জয় হবেই। যারা ইনসাফ এবং ইনসানের পাশে থাকে, জয় তাঁদেরই হয়।”
অখিলেশের বক্তব্য, “যারা কিছুদিনের জন্য মসনদ দখন করেছে, তারা আর কিছুদিনেরই অতিথি। যারা দিল্লিতে সরকার গড়েছে, তাঁদের সরকার ভেঙে পড়বে। আপনাদের-আমাদের জন্য খুশির খবর আসতে চলেছে। এদের উদ্দেশ্য ভালো নয়। পজিটিভ রাজনীতির সময় আসছে। সবে মিলে দেশ ও সংবিধানকে বাঁচাতে লড়তে হবে। সবাইকে একসঙ্গে লড়তে হবে। একজোট হতে হবে। আপনাদের নেতা অনেক বড় নেতা। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই দলকে এতদূর এনেছেন। আরও অনেক দূর যেতে হবে। এই লড়াইয়ে আপনাদের পাশে আছি।” পালটা অখিলেশকে ধন্যবাদ জানান মমতাও। তিনি বলে দেন, “উত্তরপ্রদেশে অখিলেশরা দারুন খেলা করেছেন। বিজেপির উচিত ছিল এই হারের পর পদত্যাগ করা। কিন্তু ওরা নির্লজ্জ।”

Card image cap

ভোট বিপর্যয়ের কারণ ব্যাখ্যা দিলীপের

২০১৯-এ বাংলার প্রায় প্রতিকূল মাটিতেও পদ্ম ফুটিয়েছিলেন। ১৮টি সিট পেয়ে বাংলার রাজনৈতিক মানচিত্রে বিজেপিকে তীব্র ভাবে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছিলেন। অথচ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি। নিজেও জিততে পারেননি দিলীপ ঘোষ। লোকসভা নির্বাচন এবং উপনির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির সামগ্রিক ফলাফল মোটেও ভালো নয়। সবুজ ঝড়ে কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ গেরুয়া শিবির। তলানিতে পদ্ম শিবিরের কর্মীদের আত্মবিশ্বাস। এই পরিস্থিতিতে ভোটে ভরাডুবির কারণ ব্যাখ্যা করলেন দিলীপ ঘোষ। আর তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিজেপির অন্দরেই চলছে জোর চর্চা। পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

বাঁকুড়ায় দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। এবারের ভোটের ফলাফল কেন এত খাারাপ হল, সেই ব্যাখ্যা করেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। তিনি বলেন, “গতবার আমাদের লড়াইয়ের কারণেই আমরা ৭৭-এ পৌঁছেছিলাম। ভেবেছিলাম এবার আরও বেশি হবে। কিন্তু হয়নি। তার মানে কোথাও ফাঁক আছে। আমাদের অভিজ্ঞতা কম আছে। আমরা সংগঠন জানি, আন্দোলন জানি, ভোট করাতে জানি না। ভোট কীভাবে করাতে হয় তা শিখতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “প্রত্যেক নির্বাচন থেকে সঞ্চিত অভিজ্ঞতা আমাদের পরবর্তী নির্বাচনে কাজে লাগাতে হবে।” দলীয় নেতা-কর্মীদের সংগঠনে আরও মন দেওয়ার কথাও বলেন দিলীপ। তাঁর কথায়, “পার্টিতে এসে গিয়েছি। পদ পেয়ে গিয়েছি। আসছি, যাচ্ছি, খাচ্ছি করলে হবে না।
বিজেপি করলে এরকম চলবে না। এখানে প্রত্যেককে সমানভাবে সংগঠনে মন দিতে হবে।”দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই জোর চর্চা। বিপর্যয়ের কারণ হিসাবে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির ব্যাখ্যা নিয়ে দলের অন্দরে শুরু হয়েছে কানাঘুষো। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কার্যত দিলীপের মন্তব্যের বিরোধিতাই করেছেন। তিনি বলেন, “বিজেপি নতুন পার্টি। নতুন পার্টি বলতে, আমরা ২০১৭, ২০১৮ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে লড়াইয়ে আসতে শুরু করেছি। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের শিখতে সময় লাগে। মায়ের পেট থেকে তো কেউ সব শিখে আসে না। আমরা সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু শিখছি।”রাজনৈতিক ওয়াকিবহালের মতে, বঙ্গ বিজেপিতে দলীয় অন্তর্কলহ যে তুঙ্গে তা দিলীপের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্তর কথাতেই আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

Card image cap

দলনেত্রীর বার্তা শুনতে নানা বেশে হাজির অনুগামীরা

আজ ২১ জুলাই। শহিদ স্মরণে ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সভা। আজ শহরের সব পথ মিশেছে ধর্মতলায়। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা শুনতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড়ো হচ্ছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। ছাব্বিশের বিধানসভাকে মাথায় রেখে কী বার্তা দেন দলনেত্রী, তার দিকে তাকিয়ে দলের নেতা-কর্মী থেকে রাজনৈতিক মহল।


সকাল থেকেই শহরের রাস্তায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ভিড়। লক্ষ্য় একটাই ধর্মতলায় দলনেত্রীর বক্তব্য শোনা।
দলীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি নানা ফ্রন্টের নেতৃত্ব অর্থাৎ যাঁরা মূলত সমাজের নানা অংশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তাঁদেরএবার বক্তা তালিকায় রাখা হয়েছে। যেমন সংখ্যালঘু, তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি, বুদ্ধিজীবী। ভাষণ দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতিথি অখিলেশ যাদব। সভা শেষে অখিলেশের সঙ্গে কালীঘাটে মমতা অভিষেকের সঙ্গে আলাদা করে ঘরোয়া বৈঠক হতে পারে।সভাস্থলে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। 

Card image cap

দলনেত্রীর জন্য পৃথক র‌্যাম্প! কেমন হবে একুশের মঞ্চ?

একুশে জুলাই, তৃণমূলের শহিদ দিবসের দিকে বরাবরই বিশেষ নজর থাকে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলের। এবছর আবার এই দিনটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদলের দারুণ ফল উৎসর্গ করা হবে শহিদদের প্রতি, এদিনের মঞ্চ থেকে। আগেই তা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ফলে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন আর লোকসভার ফলাফলের উদযাপন, জোড়া অনুষ্ঠান। তাই এবছরের মঞ্চসজ্জাতেও একটু বদল আসছে। সূত্রের খবর, একুশের মঞ্চে সামনের ভাগের স্টেজ চওড়ায় খানিকটা বাড়ানো হচ্ছে। থাকছে দলনেত্রীর জন্য আলাদা র‌্যাম্পও।

ইতিমধ্যে সেই মঞ্চ বাঁধার কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। শুক্রবার তা পরিদর্শন করেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, সপ্তাহান্তে ঝড়বৃষ্টিতে ভাসবে কলকাতা অর্থাৎ একুশে জুলাইও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেকথা মাথায় রেখে এবার একুশের মঞ্চ আরও শক্তপোক্ত করা হয়েছে। ব্যাকড্রপ অনেকটা মোটা করা হচ্ছে। ৪০ ফুট বাই ৩০ ফুট। সাধারণত এই ব্যাকড্রপ পাতলাই থাকে। এবারই তা এতটা বাড়ানো হচ্ছে ঝড়বৃষ্টির কথা ভেবে। এছাড়া মূল মঞ্চ আরও চওড়া করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ১৩ জায়ান্ট স্ক্রিন থাকছে৷ প্রায় ৪০০০ স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন গোটা আয়োজনে।
  • মঞ্চের সামনের ভাগ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। তার মাপ ৫২ ফুট বাই ২৮, উচ্চতা ১০ ফুট। এই মঞ্চ আগে ৪৮ ফুট হতো। L আকৃতির মঞ্চ এবার চওড়ায় আরও ৪ ফুট বাড়ছে।
  • দ্বিতীয় ভাগ ৪৮ ফুট বাই ২৪ ফুট, উচ্চতা ১১ ফুট।
  • আর তৃতীয় ভাগ হবে ৪৮ ফুট বাই ২০ ফুট, উচ্চতা ১২ ফুট।

Card image cap

রাজ্যপাল বনাম মুখ্যমন্ত্রী মানহানি মামলা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গত ১৬ জুলাই ওই মামলার প্রেক্ষিতে এক অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি করে কলকাতা হাই কোর্ট। আপাতত রাজ্যপালের নামে কোনও আপত্তিজনক মন্তব্য করা যাবে না বলে জানিয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা রাও। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী-সহ তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ ও দুই সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন – মামলায় পক্ষভুক্ত চারজনকেই রাজ্যপাল সম্পর্কে কোনও আপত্তিকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হল। কলকাতা হাই কোর্ট  সূত্রে খবর, আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে হাই কোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন 
প্রথমে রাজ্যপালের মানহানির মামলা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে করা হলেও পরে মামলায় যুক্ত করতে হয়েছে আরও তিনজনের নাম। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ, ও সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁকে অসম্মানের অভিযোগে মামলা করলেও আদালতে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মামলায় পক্ষভুক্ত সব পক্ষই। যদিও অন্তর্বর্তী নির্দেশে আদালত জানিয়েছিল, রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদে রয়েছেন। এই অবস্থায় কোনও অন্তবর্তী নির্দেশ না দিলে যাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ, তাঁদের আরও আপত্তিজনক মন্তব্য করতে প্রশ্রয় দেওয়া হবে।
এই নির্দেশ আগামী ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে স্পষ্ট করে আদালত জানিয়েছে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মহিলা সংক্রান্ত অভিযোগ প্রকাশ্যে রয়েছে। সকলে অবগত আছেন, অভিযোগ হয়েছে, আইন সেটা বিচার করে দেখছে। তার পরেও এহেন মন্তব্য কাম্য নয়।

Card image cap

এবার শুভেন্দু ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্জুনকে সতর্ক করলেন সুকান্ত!

বঙ্গ বিজেপিতে কোন্দল চরমে উঠল। লোকসভা থেকে সদ‌্য চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ব‌্যর্থ দল। তারপরই দলের মধ্যে বিদ্রোহের আগুন ও ক্ষোভ বিক্ষোভ চরমে উঠেছে। প্রকাশ্যেই দুর্বল সংগঠন ও শীর্ষ নেতৃত্বের যোগ‌্যতা নিয়ে মুখ খুলছেন বিজেপির একাধিক নেতারা। প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং থেকে সাংসদ সৌমিত্র ধাঁ প্রকাশ্যে রাজ‌্য নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সাংগঠনিকস্তরে বদলের দাবিও তুলেছেন তারা। এবার শুভেন্দু ‘ঘনিষ্ঠ’ বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংকে সতর্ক করলেন বিজেপির রাজ‌্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

বুধবার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে বিজেপির রাজ‌্য কর্মসমিতির বৈঠক ছিল। সেখানে প্রকাশ্যেই দলের সাংগঠনিক দুর্বলতাকে নিশানা করে অর্জুন সিং বলেছিলেন, ‘‘বাংলায় ভোট করাতে হয়। ভোট করাতে গেলে শক্তিশালী সংগঠন দরকার। ঘরে বসে আলোচনা করলে হবে না। মাঠে-ময়দানে তা বাস্তবায়িত করতে হবে।’’ নিচুতলায় সংগঠন ‘জিরো’ বলেও মন্তব‌্য করেছিলেন প্রাক্তন সাংসদ। রাজ‌্য বিজেপির সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতাদের দিকেই যে অর্জুনের নিশানা ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
অর্জুনের এই মন্তব‌্য নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘এসব কথা দলের ভিতরে বলা উচিত। সংবাদমাধ‌্যমের সামনে বলা উচিত নয়। কোথাও সংগঠন জিরো হলে সেখানে উঁচু থেকে নিচুতলার সকলকেই দায়িত্ব নিতে হবে। দায়িত্ব আমাদের সকলের। কারও কিছু বলার থাকলে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডাজিকে বলুন, সাধারণ সম্পাদক সংগঠন সন্তোষজিকে বলুন। বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব‌্যরা আছেন, তাদের বলুন।’’ বিজেপি নেতা-কর্মীদের ডেডিকেশনের অভাব রয়েছে বলেও মন্তব‌্য করেছিলেন অর্জুন সিং। পাল্টা সুকান্তর কথায়, ‘‘আমার সকল কার্যকর্তা ও কর্মীদের সকলেরই দলের প্রতি ডেডিকেশন রয়েছে। সকলেই লড়াই-পরিশ্রম করছেন।’’অর্জুনকে এদিন সুকান্তর সতর্ক করা নিয়ে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রসিকতার সুরে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘মনে হয় সুকান্ত অর্জুনকে দূর থেকে সতর্ক করছেন। আগামী দু-তিন মাস বিজেপির রাজ‌্য সভাপতি বারাকপুরে পা রাখবেন না। অন‌্য কোথাও যেতে হলেও বারাকপুর এড়িয়ে ঘুরপথে যাবেন।’’ এদিকে, অর্জুন প্রসঙ্গে সুকান্ত এদিন সতর্ক করলেও পরোক্ষে দলের বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁকেও তিনি সতর্ক করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

Card image cap

‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ নিয়ে ভিন্ন সুর শুভেন্দু-সুকান্তর

২১ জুলাই গণতন্ত্রহত্যা দিবস পালনের ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় সেই কর্মসূচি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জানালেন, ২১ তারিখ কোনও দলীয় কর্মসূচিই নেই। ২১ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত যে কোনও দিন যে কেউ আন্দোলন কর্মসূচি নিতে পারে। যা দেখে রাজনৈতিক মহল বলছে, বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের মধ্য়ে যে কোনও সংযোগ নেই, এই ঘটনায় তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।

২১ জুলাই, তৃণমূলের ‘শহিদ দিবস’। এই দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করতে চেয়েছিল বিজেপি । শুভ রাজ্যের প্রত্যেক থানার সামনে মুখ্যমন্ত্রী ও মেয়রের বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখানো হবে। দুপুর ১২টায় যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখবেন, তখনই বিজেপির তরফে তাঁদের কুশপুতুল পোড়ানো হবে বলে জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু সেই দিনক্ষণ নিয়ে ভিন্নমত সুকান্তর।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির সাফ জানিয়েছেন, “২১ জুলাই আমাদের কোনও কর্মসূচি নেই। ২১ থেকে ২৬ জুলাই, সপ্তাহভর গণতন্ত্র হত্যা সপ্তাহ পালন করব। এর মধ্যে যে কোনওদিন নিজেদের সুবিধা মতো নিজেদের জেলায় কর্মসূচি নিতে পারে।” স্বাভাবিকভাবেই দলীয় কর্মসূচি নিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি ও বিরোধী দলনেতার মধ্য়ে ভিন্নসুর ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। কীভাবে দুই শীর্ষনেতার সঙ্গে সংযোগ ছাড়া দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।