CATEGORY state:

Card image cap

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জরুরি বৈঠক টাস্ক ফোর্সের

মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরকে আড়ালে রেখেই হু হু করে আলু রপ্তানি হচ্ছিল ভিনরাজ্যে। যার জেরে দাম বাড়ছে এ রাজ্যের বাজারে। এই অভিযোগ পেতেই মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেন। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে আলু রপ্তানি নিয়ে যথেষ্ট উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন, কেন তাঁকে না জানিয়ে আলু রপ্তানি হচ্ছে? তাতে রাশ টানতে দায়িত্ব দিয়েছিলেন টাস্ক ফোর্সকে। আর তাঁর নির্দেশ পেয়ে শুক্রবারই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসলেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা।  আর তাতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রপ্তানি আপাতত বন্ধ করা হল। তাতে খানিকটা দাম কমার আশায় ব্যবসায়ী-ক্রেতারা। শুক্রবার নবান্নে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক থেকে আরও একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ তুলেছিলেন, স্থানীয় থানার পুলিশের একাংশের হাত ধরে বেআইনিভাবে আলু ভিনরাজ্যে রপ্তানি হচ্ছে। সেই কারণে এদিন টাস্ক ফোর্সের সিদ্ধান্ত, সেই পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই বাজারে বাজারে অভিযান চালাবেন সদস্যরা। এদিন সকালেও বাজার পরিদর্শন করে টাস্ক ফোর্স। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, সবজির দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। স্থানীয় সবজি বাজারে উঠতে শুরু করলে দাম আরও কমবে। তবে আলুর দাম নিয়ে চিন্তা থাকছেই। এদিনের বৈঠকে টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য রবীন্দ্রানাথ কোলে জানান, আলু ব্যবসায়ী সমিতি কেজি প্রতি ২৬ টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে অন্তত ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তা হাত ঘুরে বাজারে আসতে আসতে দাম দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ২ টাকা বেশি দামে আলু বিক্রি করায় বাজারে দাম এতটা ঊর্ধ্বমুখী। মুখ্যমন্ত্রী পিঁয়াজের দাম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন গতকাল। নাসিক থেকে কেন এখনও আমদানি করতে হচ্ছে? তবে এদিন পিঁয়াজের দাম নিয়ে আশ্বস্ত করল টাস্ক ফোর্স। তাঁদের মতে, পিঁয়াজ রাজ্যে ঢুকছে। কয়েকদিনের মধ্যেই দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসবে। সবমিলিয়ে মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানতে নজরদারি বাড়াচ্ছে টাস্ক ফোর্স।

Card image cap

চায়ের দোকানে দুধের শিশুকে ফেলে রেখে উধাও যুগল!

 চায়ের দোকানে দুধের শিশুকে ফেলে রেখে উধাও যুগল। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নবদ্বীপে। দীর্ঘক্ষণ চায়ের দোকানের মালিক শিশুটিকে নিজের কাছে রাখেন। অবশেষে থানার দ্বারস্থ হন তিনি। খুদের ঠাঁই হয় হাসপাতালে। কিন্তু এখনও দেখা মেলেনি যুগলের। তাঁদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধেয় নবদ্বীপের রানিঘাট এলাকার চায়ের দোকানে আসেন এক যুবক-যুবতী। তাঁরা নিজেদের দম্পতি বলে পরিচয় দেন। সঙ্গে ছিল এক খুদে। কিছুক্ষণ চায়ের দোকানদারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এর পর সুযোগ বুঝে শিশুটিকে ফেলে রেখে উধাও হয়ে যান। ঘড়ির কাঁটা এগোতে থাকে। অনেক রাত হয়ে গেলেও দেখা মেলেনি তাঁদের। একটা সময়ের পর খিদেয় কান্নাকাটি শুরু করে খুদে। কী করবেন বুঝে উঠতে পারেননি কেউ। পরে এক সদ্যমায়ের দেখা পাওয়ায় খুদেকে স্তন্যপান করানো হয়।দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর গভীর রাতে থানার দ্বারস্থ হন চায়ের দোকানের মালিক। রাতেই পুলিশের সহযোগিতায় শিশুটিকে নবদ্বীপ ষ্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে শিশুটি সেখানেই রয়েছে। শিশুটিকে দেখভাল করছেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স-অন্যান্য বাচ্চার মায়েরা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, পরিকল্পনামাফিকই ওই যুগল খুদেকে ফেলে রেখে গিয়েছেন।

Card image cap

প্যারোলে ৫ দিনের জন্য বাড়ি ফিরছেন অর্পিতা

দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। বুধবার রাতে বাড়িতেই মৃত্যু হল নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মায়ের। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন অর্পিতা। তা মঞ্জুর হয়েছে বলেই খবর। ২০২২ সালে ২৩ জুলাই ফ্ল্যাটে টানা তল্লাশিতে টাকা উদ্ধার হওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। সেই থেকেই জেলবন্দি তিনি। একাধিকবার মায়ের অসুস্থতার কথা জানিয়ে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মেলেনি। ফলত মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ বলতে মাঝে মধ্যে ফোনে কথা। তবে মেয়ের বাড়ি ফেরার অপেক্ষা করতেন তিনি। প্রতিবেশীদের বলতেন সেকথা। কিন্তু জীবদ্দশায় মেয়ের দেখা মিলল না। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর বুধবার রাতে বাড়িতেই মৃত্যু হয় অর্পিতার মায়ের। রাতেই খবর পৌঁছয় জেলে। বৃহস্পতিবার সকালেই প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন অর্পিতা। এদিনই পাঁচদিনের জন্য বাড়ি ফিরবেন অর্পিতা।উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারির পর দুবছর পেরিয়ে গিয়েছে। তবে জামিন মেলেনি অর্পিতা। এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্ত হয়েও হতে পারেননি। পার্থ-সহ চারজন অভিযুক্তের জামিন নিয়ে মতানৈক্য দেখা যায় দুই বিচারপতির মধ্যে। যার জেরে মামলা গিয়েছে প্রধান বিচারপতির কাছে। পার্থদের জামিন নিয়ে গঠিত তৃতীয় বেঞ্চ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

Card image cap

‘কন্যাশ্রী’ নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা রাজ্যের


‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য ট্যাব কেনার টাকা নিয়ে দুর্নীতিতে এই মূহুর্তে উত্তাল রাজ্য। আঁতুড়ঘর উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। সেখান থেকে গোটা রাজ্যে জাল ছড়িয়েছে জালিয়াতির। জেলা পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের তৈরি SIT এনিয়ে তদন্ত করছে। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যে তদন্তকারীদের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ২১ জন। এনিয়ে আলোড়নের মাঝে রাজ্যের আরও এক জনপ্রিয় প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৬ দফা গাইডলাইন জারি করল রাজ্য সরকারের নারী, শিশু এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তর। স্পেশাল কমিশনারের জারি করা ওই চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, রাজ্যের দেওয়া এই গাইডলাইন মেনে চলতে হবে সকলকে। ন্যাশনাল ইনফরমেটিভ সেন্টার (এনআইসি) এই মর্মে একটি এসওপি জারি করেছে। মূলত তার ভিত্তিতেই এদিন গাইডলাইন দিল নবান্ন।
প্রথমত, প্রতিটি অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড রিসেট করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত যাবতীয় সরঞ্জামের সফটওয়্যার আপডেট করতে হবে।
তৃতীয়ত, কোনও কম্পিউটার যদি ভাইরাস আক্রান্ত হয়, তবে সেই কম্পিউটারটি বাদ দিতে হবে।
চতুর্থত, ফায়ারওয়াল, অ্যান্টিভাইরাস, অ্যান্টি রামসামওয়ার, ম্যালওয়ার, অ্যান্টি এক্সপ্লয়েড সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হবে।
পঞ্চমত, নিয়মিত সিস্টেম স্ক্যান করতে হবে।
সর্বশেষ, ব্যবহারকারীদের গুরুত্বপূর্ণ নথি বা তথ্য কোনও ওয়েবে, মেলে যেন সেভ করা হবে না।
সময়মতো এই গাইডলাইনগুলো মানা হয়েছে কিনা, তা দ্রুত জানাতে হবে এনআইসিকে। সবমিলিয়ে ট্যাব দুর্নীতির পুনরাবৃত্তি আর যাতে না হয়, সামাজিক প্রকল্পগুলির জন্য রাজ্যের কোষাগার যে অর্থ দেওয়া হচ্ছে, তা যাতে কোনওভাবে নয়ছয় না হয়, তার জন্য কড়া হল রাজ্য সরকার।

Card image cap

মন্দারমণির হোটেল ভাঙার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ

মন্দারমণির হোটেল ভাঙার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ। এবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন হোটেল মালিকেরা। তাঁদের দাবি, সমস্ত রকম প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এই হোটেলগুলো চালু করা হয়েছিল। অবৈধ ঘোষণা করার পদক্ষেপ সঠিক নয় বলেই দাবি তাঁদের।সমুদ্রপাড় দখল করে মন্দারমণি পর্যটনকেন্দ্রে গজিয়ে উঠেছে একের পর এক হোটেল। অভিযোগ, রীতিমতো প্রাচীর দিয়ে তার উপরেই পর্যটকদের আমোদ প্রমোদের ব্যবস্থা করেছে একাধিক হোটেল। যার ফলে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে শতাধিক ‘বেআইনি’নির্মাণ ভেঙে ফেলার নোটিস দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তরের কোনও আধিকারিক, এমনকী, মুখ্যসচিবও জানতেন না বলেই পরবর্তীতে জানা যায়। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে হোটেল মালিকদের সঙ্গেই দ্রুতই বৈঠকে বসার কথাও বলেন মুখ্যসচিব। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “বুলডোজার কোনও সমাধানের পথ নয়। কোনওরকম বুলডোজার চলবে না।”এই পরিস্থিতিতে বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন হোটেল মালিকরা। তাঁদের কথায়, “এই হোটেল ব্যবসা থেকে আমাদের আয় হয়। এই উপার্জনেই সংসার চলে। এই ব্যবসার সঙ্গে কয়েক হাজার পবিবার যুক্ত। তাঁরা এই হোটেল চালু করার আগে প্রশাসনের সব রকম অনুমতি নিয়েছে। তাই এখন অবৈধ ঘোষণা সঠিক পদক্ষেপ নয়।”

Card image cap

কলকাতার রাস্তায় বৃদ্ধাকে ধাক্কা

ফের কলকাতার রাস্তায় বেপরোয়া গতির জেরে বিপত্তি! বুধবার বিবেকানন্দ পার্কের কাছে বৃদ্ধাকে ধাক্কা মারে একটি চারচাকা গাড়ি। সেই ঘটনায় এবার গ্রেপ্তার তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে।জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বিবেকানন্দ পার্কের কাছে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধাকে ধাক্কা মারে একটি বেপরোয়া গাড়ি। বর্তমানে তারা সাহা নামে ওই মহিলা এসএসকেএমে ভর্তি। গাড়িতে ছিলেন  ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুই ছেলে। ছোট ছেলে শুদ্ধসত্ত্ব বন্দ্যোপাধ্যায় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ। মামলা রুজু হয়েছে জামিন অযোগ্য ধারায়।উল্লেখ্য, গাড়িটিতে মেয়র পারিষদ মিতালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের ফলক লাগানো ছিল। গাড়িটি তাঁর নামেই রেজিস্টার করা বলেই সূত্রের খবর। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।রাজ্যে একের পর এক পথ দুর্ঘটনা। বেপরোয়া গতির বলি খুদে থেকে বৃদ্ধ। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি ফোন করেছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে। তাঁর নির্দেশ ছিল, দুর্ঘটনা রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই মতো বৈঠক করে কড়া বার্তাও দিয়েছেন মন্ত্রী। তার পরেও পরিস্থিতির বিশেষ বদল হয়নি। উলটে তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের গাড়ির বেপরোয়া গতিতে জখম হলেন বৃদ্ধা।

Card image cap

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ৫ ছাত্রের সাসপেনশন খারিজ হাই কোর্টে

বিশ্ববিদ্যালয়ে সাসপেনশন তুলে দিল হাই কোর্ট! ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ পড়ুয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল ক্লাস করা, পরীক্ষায় বসায়। এহেন ‘শাস্তি’র বিরোধিতায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পড়ুয়ারা। আর তাতেই মিলল স্বস্তি। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিলেন। জানানো হয়েছে, কোনও সাসপেনশন নয়, ওই ৫ পড়ুয়া ক্লাস করতে পারবে, পরীক্ষাও দিতে পারবে। এদিন পড়ুয়াদের হয়ে মামলাটি লড়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সেপ্টেম্বরে উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রীকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে আট ছাত্রের বিরুদ্ধে। কলেজ কাউন্সিল নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে ৫ জনকে সাসপেন্ড করে। হস্টেলে থাকা, কলেজে ক্লাস করা, পরীক্ষা দেওয়া – সব কিছুতেই তাঁদের উপর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। গত ৮ নভেম্বর বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চে এনিয়ে মামলার শুনানি ছিল। সেদিনই তিনি সাসপেনশনের বিরোধিতা করেছিলেন। আর মঙ্গলবারের শুনানিতে সাসপেন্ডেড পড়ুয়াদের হয়ে সওয়াল করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আদালতে তাঁর সওয়াল, “পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করার ক্ষমতা কলেজ কাউন্সিলের নেই। এটা করতে পারে একমাত্র অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল। তাছাড়া আন্দোলনকারীদের ‘থ্রেটে’র মুখে পড়ে ওই পাঁচ ছাত্রছাত্রীকে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হয়েছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এটা কি থ্রেট কালচার নয়?” সওয়াল-জবাব শেষে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানান, সাসপেনশন নয়। ওই ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস করতে পারবেন, পরীক্ষাও দিতে পারবেন। তবে প্রয়োজনের বাইরে কলেজ চত্বরে থাকা যাবে না বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। 

Card image cap

মন্দারমণিতে ‘চলবে না বুলডোজার

এখনই ভাঙা পড়ছে না মন্দারমণির ১৪৪টি ‘বেআইনি’ রিসর্ট। হোটেল ভাঙা নিয়ে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে স্তম্ভিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, কোনওরকম বুলডোজার চলবে না।জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে মোট ১৪৪টি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নোটিস জারি করেছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তরের কোনও আধিকারিক, এমনকী, মুখ্যসচিবও জানতেন না। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা বা পরামর্শ ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মমতা। এ নিয়ে হোটেল মালিকদের সঙ্গেই দ্রুতই বৈঠকে বসবেন মুখ্যসচিব। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “বুলডোজার কোনও সমাধানের পথ নয়। কোনওরকম বুলডোজার চলবে না।”১৪৪টি হোটেলের মধ্যে শুধু দাদনপাত্রবাড়েই রয়েছে ৫০টি হোটেল। সোনামুই এলাকায় রয়েছে ৩৬টি। সিলামপুরে ২৭টি, মন্দারমণিতে ৩০টি এবং দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুরে একটি লজ রয়েছে। উপকূলবিধি না মেনেই সিআরজেড (কোস্টাল রেগুলেশন জোন) এলাকার মধ্যে হোটেলগুলি গড়ে তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই হোটেলগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ২ মে জাতীয় পরিবেশ আদালত এই নির্দেশ জারি করেছিল। তবে জেলা প্রশাসন দুই বছর সেই নির্দেশ কার্যকর করেনি। এবার ২০ নভেম্বরের মধ্যে এই নির্দেশিকা কার্যকর করতে চেয়েছিল জেলা প্রশাসন। যা আপাতত আটকে গেল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। হাসি ফুটল হোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে।

Card image cap

কসবা শুটআউটে নারী-যোগ!

কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের ষড়যন্ত্রের নেপথ্যেও নারী-যোগ? ধৃতদের মোবাইল ফোন ঘেঁটে একাধিক মহিলার ফোন নম্বর এবং তাঁদের সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়টি জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এই মহিলা কারা? কোথায় বসবাস? কী তাদের কাজ? এই ঘটনায় তারা কীভাবে জড়িত? এমন একাধিক প্রশ্ন উঠে আসে। সেসব খতিয়ে দেখতে গিয়ে যে সত্যের মুখোমুখি হয়েছেন তদন্তকারীরা, তাও বেশ চমকপ্রদ। আর তাতেই আরও স্পষ্ট হয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত বিহারের পাপ্পু-গ্যাং কতটা কূট কৌশলে নিজেদের কাজ হাসিল করে।সুশান্ত ঘোষকে হত্যার চেষ্টায় যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তারা সকলে বিহারের বাসিন্দা। এক্ষেত্রে বিহারের দুষ্কৃতীদের কে বা কারা কাজে লাগিয়েছে, তা জানতে তদন্তে নামে পুলিশ। এনিয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার চারজনকে জেরায় উঠে আসে বেশ কয়েকটি তথ্য। ধৃত গুলজার এবং যুবরাজের ফোনে বহু মহিলার নম্বর পাওয়া যায়। দেখা যায়, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার কথোপকথনও হয়েছিল। এই মহিলাদের খোঁজ করতে গিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বিহারের পাপ্পু-গ্যাংয়ের সদস্য তারা এবং কেউ মহিলা নন! প্রথামিকভাবে বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য না হলেও এটাই সত্যি।তদন্ত সূত্রে খবর, কুখ্যাত গুন্ডাদের দল সহকর্মীদের নম্বর সেভ করত মহিলাদের নামে, যাতে কথাবার্তা বললে অথবা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট করলে প্রাথমিকভাবে কোনও মহিলার সঙ্গে ব্যক্তিগত চ্যাট বলে মনে হয় এবং এর আড়ালে যে কোনও কুকর্ম চলছে, সেই সন্দেহ এড়ানো সম্ভব হয়। কিন্তু কসবায় গুলি করে কাউন্সিলরকে খুনের চেষ্টার পর পাপ্পু-গ্যাং সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জোগাড় করেছে পুলিশ। আর তাদের এই কৌশল দেখে বিস্মিত দুঁদে পুলিশকর্তারা। এভাবে ‘শিখণ্ডী’ খাঁড়া করে তারা বহুদিন ধরেই দুষ্কর্ম হাসিল করেছে। এই পাপ্পু-গ্যাং নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”অন্য জেলাতেও এসব হচ্ছে। বাংলা শান্ত জায়গা। বিহার বা অনুপ্রবেশ রাজ্য সরকারের বিষয় নয়। কলকাতা পুলিশ বা রাজ্য পুলিশের বিষয় নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের তা রোখা দরকার। কলকাতা পুলিশ তো সীমান্ত আটকাবে না। ”এদিকে, গত ১৫ তারিখ রাতে যে স্কুটার নিয়ে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছিল সুশান্ত ঘোষের উপর, সেই স্কুটিটা পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজখবর নিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন, অপারেশনের জন্য দুষ্কৃতীরা এখানে আসার পর সেকেন্ড হ্যান্ড স্কুটি কিনেছিল। মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর সেই স্কুটি ফেলে চম্পট দেয় তারা। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন নম্বর অনুযায়ী সে দুচাকার যানটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গত কয়েকদিন ধরে পড়ে ছিল রাস্তার উপর। এলাকার বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। পুলিশের কাছে খবর দেওয়া হয়। এর পরেই পুলিশ সেকেন্ড হ্যান্ড স্কুটিটি নিয়ে যায়। এই স্কুটিতে চড়ে যুবরাজ সিং ভয় দেখাতে এসেছিল বলে অভিযোগ।

Card image cap

ফের বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

এবার পরীক্ষার খাতা দেখা নিয়েও বিতর্ক যাদবপুরে। সাংবাদিকতা বিভাগের পরীক্ষার খাতায় বিস্তর গরমিলের অভিযোগ উঠল বিশ্ববিদ্যালয়ে। দাবি, কমপক্ষে ৫০ জন পড়ুয়ার খাতা না দেখেই নাকি নম্বর দিয়েছেন এক অধ্যাপক। যা ধরা পড়েছে ওই খাতাগুলি পুনর্মূল্যায়নের সময়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণজ্ঞাপন এবং সাংবাদিকতা বিভাগের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুনর্মূল্যায়ন থেকে শুরু করে ফের ফলপ্রকাশ, সব দিক ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্যের কাছে একাধিক ডেপুটেশনও জমা পড়েছে ।
ঠিক কী ঘটেছে?
অভিযোগ, সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় সেমেস্টারের কমপক্ষে ৫০ জন পড়ুয়ার খাতাই দেখা হয়নি। মিডিয়া এথিক্স এবং ল’ পেপারের একাধিক খাতা না দেখেই নম্বর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর যে কারণে, একের পর এক পড়ুয়া ওই বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন বলে দাবি। যদিও ঘটনাটি বেশ কিছুদিন আগের হলেও সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে। এর পরই তোলপাড় শুরু হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়াময় সাত্যকি ভট্টাচার্যের দাবি, “ছাত্ররা রিভিউয়ের আবেদন করার পর আমার নজরে আসে। বহু খাতায় কিছু ত্রুটি চোখে পড়ে। এরপর আমি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে বিষয়টি জানাই। বিভাগীয় প্রধানের নজরে আনি।” এই বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক পার্থসারথি চক্রবর্তী জানান, “ঘটনাটি জানতে পেরেছি। গুরুতর অভিযোগ। উপাচার্য নিজে দেখছেন। উপযুক্ত পদক্ষেপ অবশ্যই হবে। গাফিলতি তো ছিলই, না হলে এভাবে অভিযোগ উঠবে কেন! খুবই খারাপ বিষয়।”বর্তমানে ওই বিভাগের তৃতীয় সেমেস্টারের ছাত্র প্রসেনজিৎ ঘোষ। তাঁদের সঙ্গেই এমন ঘটেছে বলে দাবি। তিনি বলেন, “আমরাও বিষয়টি বুঝতে পারিনি। বিভিন্ন জায়গা থেকে জানতে পারি। অভিযোগ করেছি। এভাবে অনেকেই ভুক্তভোগী। বহু বন্ধু সাপ্লি পেয়েছে। রিভিউয়ের আবেদন করেছি। কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন।”
সূত্রের দাবি, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে এক অধ্যাপকের নাম। যদিও তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল ‘সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন’। তিনি জানান, “আমি জানি না, আমার নাম কেন উঠছে। যদি কিছু ঘটে, সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাকে কর্তৃপক্ষ কিছু জানতে চাইলে লিখিত জানাব। কোনওভাবেই সংবাদমাধ্যমে বলব না।” বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত এবং রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হলে, তাঁরাও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Card image cap

হিমেল হাওয়ায় কমছে তাপমাত্রা

উৎসবের মরশুম শেষ হতে না হতেই বঙ্গে বেশ ঠান্ডার আমেজ টের পাওয়া যাচ্ছিল। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে পারদ পতন হচ্ছিল হু হু করে। বিশেষত পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় তাপমাত্রা দশের কাছাকাছি নেমেছিল। কলকাতাতেও ২০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা দেখা গিয়েছিল। মাঝ নভেম্বরে বাংলার হাওয়ায় এমন পরিবর্তন শেষ কবে দেখা গিয়েছিল, মনে করতে পারছেন না। তবে এত আয়োজন করেও শীত কিন্তু এখনও বেশ খানিকটা দূরে। সপ্তাহের প্রথম দিন এমনই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। বলা হচ্ছে, পুরোপুরি শীতকাল আসতে আরও দেরি।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সকালে কুয়াশার দাপট থাকবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কেটে যাবে, সেইসঙ্গে সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে তাপমাত্রা। সামগ্রিকভাবে শুষ্ক আবহাওয়া রাজ্যের সর্বত্র। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই আপাতত। রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই সকালে  ও রাতে শীতল আমেজ। গ্রামাঞ্চলে কোথাও কোথাও শীতবস্ত্রের ব্যবহারও শুরু করেছেন মানুষজন। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী কয়েকদিন এমনই থাকবে রাজ্যের সামগ্রিক আবহাওয়া। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কুয়াশার দাপট এবং কনকনে উত্তুরে হাওয়ার পরশ টের পাওয়া যাচ্ছে এখন থেকেই। দার্জিলিঙে দশ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা। মালদহ ও দুই দিনাজপুরে কুয়াশা সবচেয়ে বেশি। 
সোমবার, সপ্তাহের প্রথম দিনও কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ ফের ২০ ডিগ্রির নিচে পারদ। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৪ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৩৮ থেকে ৯৩ শতাংশ। চলতি সপ্তাহে কলকাতার আবহাওয়া এমনই থাকবে, জানিয়েছেন আবহবিদরা। সকাল-সন্ধেয় বাতাসে শীতল ছোঁয়া হেমন্তের জানান দিচ্ছে। তবে এত কিছুর পরও বঙ্গে শীতের আগমন এখনই হচ্ছে না। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এ মাসে নয়, বঙ্গে জাঁকিয়ে শীত পড়তে ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। 

Card image cap

হাসপাতালের ছাদ থেকে মরণঝাঁপ রোগীর!

হাসপাতালের ছাদ থেকে মরণঝাঁপ রোগীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চন্দননগর হাসপাতালে। কিন্তু কেন এই ঘটনা? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও।জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম প্রকাশচন্দ্র বাইন। আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা তিনি। গত সাতবছর ধরে চন্দননগরের মহাডাঙা কলোনিতে থাকেন। তিনদিন আগে চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। জানা গিয়েছে, রবিরার রাত দেড়টা নাগাদ হঠাৎই হয়ে আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠেন প্রকাশ। টেবিল থেকে একটি কাঁচি নিয়ে অন্য রোগী ও নার্সদের দিকে তেড়ে যান। আচমকা ঢুকে পড়েন ফিমেল মেডিসিন বিভাগে। এর পর নার্সিং স্টাফদের ঘরের ভিতর দিয়ে গিয়ে সিঁড়ি বেয়ে সটান হাজির হন ছাদে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকা ঝাঁপ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় জরুরি বিভাগে। রাত তিনটে নাগাদ মৃত্যু হয় প্রকাশবাবুর। খবর পেয়ে সোমবার ভোরে হাসপাতালে যান পরিবারের সদস্যরা।সকালেই হাসপাতালে যান হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলি কর। সুপারকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। মৃতের স্ত্রী মিঠু বাইন বলেন, “হাসপাতাল থেকে ফোন করা হয় তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য। এমন কিছু হতে পারে ভাবিনি।” মৃতের শ্যালিকা জানান, প্রকাশবাবু নিয়মিত মদ্যপান করতেন। হাসপাতাল সুপার সন্তু ঘোষ বলেন, “তিনদিন আগে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসা চলছিল। ক্রনিক অ্যালকহলিক রোগী ছিলেন। মদ না খেলে এইরকম আক্রমনাত্মক হয়ে উঠতেন। তার জেরেই এই ঘটনা।”

Card image cap

বীরভূমে হেনস্তার শিকার নার্স!

আর জি কর আবহে এবার বাংলায় হেনস্তার শিকার নার্স। দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে রীতমতো তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরকে। নার্সের সঙ্গে বচসা, তাঁর দিকে তেড়ে যাওয়ার অভিযোগ। ওই কাউন্সিলর হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীকেও মারধর করেন বলে অভিযোগ।বীরভূমের দুবরাজপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ নাজিরুদ্দিন। রবিবার গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বীরভূমের দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, উচ্চ রক্তচাপের জন্যই নাকি শ্বাসকষ্ট। প্রেসার মাপার জন্য নার্সের কাছে যেতে বলেন ডাক্তার। অভিযোগ, সেই সময়ই নাকি নার্সের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন কাউন্সিলর। মারধর করেন এক পুলিশ কর্মীকেও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে।কী সাফাই শেখ নাজিরুদ্দিনের? কাউন্সিলরের দাবি, তাঁকে প্রেসার মাপতে নার্সের কাছে যেতে বলেছিলেন চিকিৎসক। তিনি গিয়েওছিলেন। অভিযোগ, তাঁকে বসিয়ে রাখলেও প্রেসার মাপেননি নার্স। তাতেই একটা সময়ের পর মেজাজ হারান কাউন্সিলর। তিনি তেড়ে যান নার্সের দিকে। শেখ আসমাউল নামে কনস্টেবলকেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সিএমওএইচ বলেন, “আমি বিষয়টা শুনেছি। বিএমওএইচের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।”

Card image cap

এন্টালির পরিত্যক্ত কারখানায় গিয়েছিলেন চোর ধরতে, ফিরল ২ ভাইয়ের নিথর দেহ

একেই বলে নিয়তি! শব্দ কানে যেতেই এন্টালির পরিত্যক্ত কারখানায় চোর ধরতে গিয়েছিলেন কেয়ারটেকার ও তাঁর ভাই। কিছু বোঝার আগেই সব শেষ। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল দুই ভাইয়ের।মৃত দুই যুবক শেরিজুল রহমান ও মুজিবর রহমান। এন্টালি থানার ২৩ নম্বর কনভেন্ট রোডের অ্যাসিড কারখানার দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন শেরিজুল শেখ। কারখানার কোয়ার্টারে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। ভাই মুজিবর ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা থাকতেন তিলজলায়। রবিবার সন্ধ্যেয় বউদি ও ভাইপো-ভাইজিকে আনতে দাদার কোয়ার্টারে গিয়েছিলেন মুজিবর। সবাই মিলে একসঙ্গে গল্প করছিলেন তাঁরা। ঘড়ির কাঁটায় সাড়ে আটটা নাগাদ আচমকা শব্দ পান তাঁরা।কিন্তু তাতেও তাঁরা বোঝেননি কত বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। শেরিজুল ভেবেছিলেন, রাতের অন্ধকারে চোর ঢুকেছে। চোর ধরতে কোয়ার্টার থেকে বের হন তিনি। মুজিবর তাঁর সঙ্গে যান। পরিকল্পনা ছিল, ঝামেলা মিটিয়ে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু, ভাগ্য বদলায় কে! চোর ধরতে কারখানার মূল বিল্ডিংয়ের ভিতরে ঢুকতেই হুড়মুড়িয়ে তা ভেঙে পড়ে। কিছু বোঝার আগেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান দুই ভাই। খবর পেয়ে পুলিশ-প্রশাসন পৌঁছতে পৌঁছতে পেরিয়ে যায় বেশ কিছুটা সময়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Card image cap

স্বাস্থ্যভবনের সামনে নিষেধাজ্ঞায় ‘না’

নবান্নের মতোই কড়াকড়ি হতে চলেছে স্বাস্থ্যভবনের নিরাপত্তা। এবার থেকে আর স্বাস্থ্যভবনের সামনে জমায়েত করতে পারবেন না ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরা। আজ, সোমবার থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী ১৬৩ ধারা কার্যকর করা হল। এবার প্রশ্ন উঠছে, আর জি কর কাণ্ডের পর থেকেই স্বাস্থ্যভবনের সামনে বার বার আন্দোলন হয়েছে, তাই কি এবার জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল?আগেই নিয়ম করা হয়েছিল, যখন তখন কাজের সময় স্বাস্থ্যভবনে আসতে পারবেন না ডাক্তারবাবুরা। আসতে গেলে মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল, এমএসভিপি না হলেও নিদেনপক্ষে বিভাগীয় প্রধানের চিরকুট নিয়ে স্বাস্থ্যভবন যেতে হবে। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, সল্টলেকের স্বাস্থ্যভবনের সামনে ৫ জনের বেশি জমায়েত করতে পারবেন না। ফলে আর স্বাস্থ্যভবনের সামনে ক্ষোভ-বিক্ষোভ করা যাবে না। এই নিয়ম নিয়ে ক্ষুব্ধ চিকিৎসকর, নার্স থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা। প্রতিবাদে সকাল থেকেই স্বাস্থ্যভবনের সামনে বিক্ষোভ দে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা।আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের পর থেকেই স্বাস্থ্যভনের সামনে যখন তখন জমায়েত করতেন ডাক্তাররা। সামনে দীর্ঘসময় অবস্থান বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারীরা। যা নিয়ে বার বার বিব্রত হয়েছে রাজ্য ও স্বাস্থ্য প্রশাসন। তাদের দাবি, স্বাস্থ্যবিভাগের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ভবন এটি। তার সামনে যখন তখন আন্দোলন হলে বিভাগীয় কাজে সমস্যা তৈরি হয়। তাই এবার কড়া আইন আনল রাজ্য।

Card image cap

দুর্ঘটনার কবলে তৃণমূল বিধায়কের গাড়ি

দুর্ঘটনার কবলে তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার গাড়ি। বেপরোয়া গতির বলি বিধায়কের চালক-সহ এক নাবালক। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও তিনজন। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে ছিলেন না বিধায়ক। শনিবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার শিবপুরের কাছে ফরসোর রোডে।দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। তাঁর গাড়ির চালক মহম্মদ মুস্তাক খানের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর সঙ্গে বারো বছরের এক নাবালক ছিল, দুর্ঘটনাস্থলেই তারও মৃত্যু হয়। বাকিরা হাসপাতালে ভর্তি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি তৃণমূল বিধায়কের নামেই রেজিস্টার করা। গাড়িতে তাঁর নামের স্টিকারও লাগানো ছিল। জানা গিয়েছে, নিজের আত্মীয়দের হাওড়ার বাঁকড়ায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন তৃণমূল বিধায়কের চালক। রাত একটা নাগাদ সেখান থেকে ফেরার পথে গাড়ির গতি ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ফরসোর রোডে প্রথমে একটি ট্রেলারে ধাক্কা মারে গাড়িটি। তার পর আবার রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি ট্রেলারে ধাক্কা মেরে তার নিচে ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চালক ও সঙ্গে থাকা নাবালকের। বাকিদের উদ্ধার করে প্রথমে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় এসএসকেএমে পাঠানো হয় । 

Card image cap

বড়দিনের আগেই দামি হচ্ছে কেক-পাউরুটি-বার্গার

দাম বেড়েছে আটা-ময়দা-চিনির। বেড়েছে কর্মচারীদের বেতনও। আর তারই প্রভাব পড়তে পারে আম-আদমির ব্রেকফাস্ট বা টিফিনে। শুধু তাই নয়, প্রভাব পড়তে পারে পিৎজা, বার্গারের দামেও। চলতি মাসেই বাড়তে পারে কেক-পাউরুটির দাম। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও দামবৃদ্ধি নিয়ে বেকারি মালিকরা জেলায় জেলায় একাধিক বৈঠক করেছেন। বেশ কয়েকটি সংস্থা তো নতুন দামে প্রিন্ট করাও শুরু করেছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও বেকারি সংগঠনের তরফে নেওয়া হয়নি। আগামী সপ্তাহেই তা নেওয়া হতে পারে।সেক্ষেত্রে ৪০০ গ্রাম পাউরুটির দাম দুই থেকে চার টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। এখন এক পাউন্ড পাউরুটির দাম ৩২ টাকা। এখন সেই দাম কত হয়, সেটাই দেখার। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে শেষবার পাউরুটির দাম বেড়েছিল। তখন এক পাউন্ডের দাম ২৮ টাকা থেকে ৩২ টাকা হয়েছিল। দুবছরের মাথাতে ফের দামবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। শুধুমাত্র কলকাতায় একদিনে ২ লক্ষ ৩০ হাজার পাউরুটি সরবরাহ করা হয়। বেকারি মালিকরা জানাচ্ছেন, পাউরুটি তৈরির কাঁচামাল ময়দা, চিনি, ভোজ্য তেল থেকে জ্বালানি ইত্যাদির খরচ একলাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। কর্মচারীদের মাইনে বেড়ে গিয়েছে। যে কারণে এই দাম বাড়ানোর কথা ভাবছেন তাঁরা। এর ফলে পাউরুটিজাত সমস্ত দ্রব্যের দামই বাড়তে পারে। বড়দিনের আগে পিৎজা থেকে স্যান্ডউইচ –সবই হয়ে উঠতে পারে দামি।অক্টোবর মাসে প‌্যাকেটজাত এক কেজি আটার দাম ছিল ৪৫ টাকা। সেই দামই নভেম্বরে ৫২ হয়ে গিয়েছে। প‌্যাকেটছাড়া আটার দাম ছিল ৩৫, তা এখন ৪০ টাকা। তেমনই প‌্যাকেটজাত ময়দার দাম যেখানে ছিল ৪৮ টাকা, তাই এখন ৫৫ টাকা। আর প‌্যাকেটছাড়া ময়দা এক মাস আগেও যেখানে ৩৫ টাকা ছিল, তাই এখন ৪০ টাকা প্রতি কেজি। স্বাভাবিক নিয়মেই তাই কেক-পাউরুটির দাম বাড়ানোর দাবি করছেন বেকারি মালিকরা।ওয়েস্টবেঙ্গল বেকার্স অ‌্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, “আসলে ময়দা থেকে চিনি, কর্মীদের মজুরি সব কিছুর দাম বেড়ে গিয়েছে। ফলে দাম বাড়ানো নিয়ে বেকারি মালিকদের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে কত বাড়বে সেবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।”

Card image cap

নিমকাঠে জগন্নাথের মূর্তি, শহরে ফিরে ঘোষণা মমতার

ধর্ম নিয়ে নাম না করেই ‘বিভেদকারী’ বিজেপিকে ফের একহাত নিলেন মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।উত্তরবঙ্গের পাহাড় সফর শেষে শুক্রবার বিকেলে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে মুখ‌্যমন্ত্রী সোজা নিউটাউন অ‌্যাকশন এরিয়া থ্রি-তে অবস্থিত আদিবাসী ভবনে বিরসা মুন্ডার ১৫০-তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে কারও নাম না করেই বাংলার মুখ‌্যমন্ত্রী বলেন, “ভোট এলেই ওরা ধর্ম করে। আর আমরা ৩৬৫ দিন মানুষের কাজ করি। ওরা স্বামীজিকে নিয়ে রাজনীতি করে।” এখানেই মমতার প্রশ্ন, স্বামীজির বাড়ি বিক্রি হয়ে যাচ্ছিল। তখন ওরা কোথায় ছিল? দার্জিলিংয়ে ভগিনী নিবেদিতার বাড়ি বিমল গুরুংদের হাতে চলে গিয়েছিল। কলকাতায় সিস্টার নিবেদিতার বাড়িও দখল হয়ে যাচ্ছিল। সবটাই তো আমি রক্ষা করেছি!এ প্রসঙ্গ টেনে মমতা জানিয়ে দেন, “আমি শীঘ্রই দিঘায় যাব জগন্নাথ মন্দিরের কাজ দেখতে। সেখানে জগন্নাথের মার্বেল মূর্তি এসে গিয়েছে। তবে ট্রাডিশন মেনে ছোট্ট একটি নিমকাঠের ঠাকুর করেছি। সেটাই পুজো হবে। এছাড়াও বড় ঠাকুর, ভোগঘর, ট্রাস্টি বোর্ড, পুরোহিত, সব কিছুই হবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলেই।” পাশাপাশি সেখানে একটি চৈতন‌্যদেবের তোরণ হচ্ছে। মুখ‌্যমন্ত্রী সেটির নাম দিয়েছেন ‘চৈতন‌্যদ্বার’। রামমন্দির অসমাপ্ত অবস্থায় উদ্বোধন হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গেও বিজেপির নাম না করে মমতার খোঁচা, “অসমাপ্তভাবে কিছু উদ্বোধন করা মানে, তাঁকে অসম্মান করা হয়। দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের কাজ শেষ হলে তবেই আমরা সেটি উদ্বোধন করব। কালীঘাটের স্কাইওয়াকের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। পুরো সম্পূর্ণ হলে তবেই চালু করব।’’এদিনের মঞ্চ থেকে মুখ‌্যমন্ত্রীর ঘোষণা, বাংলার পুজো উৎসবে পুলিশ-প্রশাসন সহ জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িত যেমন– দমকল, মিউনিসিপ্যাল ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের জন‌্য বাড়তি ছুটি বাড়িয়ে পনেরো দিনের করা হল। আগে এই ছুটি ছিল দশ দিন। বিরসা মুন্ডার ১৫০-তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী রাজ্য জুড়ে বিরসা মুন্ডার জন্মের সার্ধ শতবর্ষ উৎসব পালনের কথা জানান মুখ‌্যমন্ত্রী। আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত তা চলবে। মমতা মনে করেন, আগামী প্রজন্মের কাছে বিরসা মুন্ডার অবদান তুলে ধরতে হবে। তাই রাজ্যের তরফে এমন উদ্যোগ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেকেই জঙ্গলের জমি দখলের চেষ্টা করছে। আমরা বিধানসভায় আইন করেছি ট্রাইবালদের জমির অধিকার তাদের হাতেই তুলে দিয়েছি। জঙ্গলের অধিকার আদিবাসীদের হাতেই থাকবে।”
এদিন আদিবাসী সম্প্রদায়ের হাতে মুখ্যমন্ত্রী ধামসা-মাদল তুলে দেন। সেইসঙ্গে শিক্ষা, শিল্প, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ক্ষেত্রে কৃতী আদিবাসীদের সম্মান প্রদান করেন। মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, আগে জঙ্গল রক্তাক্ত ছিল। আমরাই সেখানে শান্তি এনেছি। এরপর একে একে আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য তাঁর সরকারের সাফলে‌্যর খতিয়ান তুলে ধরেন। মমতা জানান, ষাট ঊর্ধ্ব প্রায় তিন লক্ষ আদিবাসীকে পেনশন দিই। আগে ট্রাইবাল দফতরের বাজেট ১৬০ কোটি টাকা ছিল। এখন বেড়ে তা হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা। রাজ্যে ২১ লক্ষ ৬২ হাজার ছাত্রছাত্রীকে স্কলারশিপ দিই। ১৭৩ কোটি টাকা শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপ দেওয়া হয় আদিবাসী পড়ুয়াদের। উচ্চ শিক্ষার জন‌্য বিদেশে গিয়ে পড়াশোনার খাতে ২০ লক্ষ টাকা স্কলারশিপের ব‌্যবস্থা করেছি। ঝড়গ্রামে কবি সাধু রামচাদ মুর্মুর নামে বিশ্ববিদ‌্যালয়। নয়াগ্রামে পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর নামে সরকারি কলেজ তৈরির পাশাপাশি আদিবাসী স্কুল, গার্লস স্কুল, মডেল স্কুল হস্টেল, আইসিডিএস সেন্টার ইত‌্যাদি গড়া হয়েছে। সাঁওতালি ও অলচিকি ভাষাকে আমরাই স্বীকৃতি দিয়েছি। এছাড়া বন্য অধিকার আইনের মাধ্যমে প্রায় ৪৯ হাজার আদিবাসী মানুষকে ফরেস্ট পাট্টা ও ৮৫১ কমিউনিটি পাট্টা বিলি করা হয়েছে। ১ কোটি ৬২ লক্ষের বেশি মানুষকে জাতি শংসাপত্র দিয়েছি।
আদিবাসীদের খেলাধুলা চর্চায় কোনওরকম সমস‌্যা না হয়, তা সুনিশ্চিন্ত করতে মঞ্চে উপস্থিত ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রীর। এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু, বিরবাহা হাঁসদা প্রমুখ।