CATEGORY state:

Card image cap

খুন করতে মুঙ্গের থেকে অস্ত্র আনে কাউন্সিলর ‘ঘনিষ্ঠ’ আততায়ী!

তৃণমূল কাউন্সিলরের উপর হামলার ঘটনায় চাঞ্চল‌্যকর দাবি গোয়েন্দাদের। হামলার মাস্টারমাইন্ড মহম্মদ ইকবাল ওরফে গুলজার নয়, এর পিছনে অন‌্য কেউ রয়েছে! এমনই অনুমান তদন্তকারীদের। কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ কেউ এর পিছনে থাকতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। এখনও পর্যন্ত হামলার ঘটনায় হামলাকারী যুবরাজ-সহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে ট‌্যাক্সিচালক আহমেদ খান। গুলজারকে বর্ধমান গলসি থেকে শনিবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হামলার জন‌্য মুঙ্গের থেকে সুপারি কিলাররা আগ্নেয়াস্ত্রও নিয়ে এসেছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।কসবার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টায় মূল ষড়যন্ত্রী হিসেবে গুলজার বলে একজনকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করছিল তদন্তকারীরা। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায়, সুশান্ত ঘোষের ঘনিষ্ঠ এক ব‌্যক্তির সঙ্গে গুলজারের সুসম্পর্ক ছিল। কাউন্সিলররের ওই ঘনিষ্ট ব‌্যক্তি বিহার থেকে আসা সুপারি কিলার যুবরাজ-সহ তিনজনকে লেক টাউনে এক হাউজিংয়ের ফ্ল‌্যাটে থাকার ব‌্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এই তথ‌্য হাতে পাওয়ার পর তদন্তকারীদের অনুমান, মাস্টারমাইন্ড অন‌্য কেউ। গুলজারের মাধ্যমে কার্যসিদ্ধির চেষ্টা করা হয়েছে।আরও জানা গিয়েছে, কাউন্সিলরকে খুনের ছক কষা হয়েছিল একমাস আগে থেকে। দুটি টিম তৈরি হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম টিমের কাজ ছিল কাউন্সিলরকে ভয় দেখানো। এই কাজের দায়িত্ব যুবরাজকে দেওয়া হয়েছিল। তার পিছনে আর একটি বাইকে থাকবে দ্বিতীয় টিম। পিস্তল নিয়ে ভয় দেখিয়ে যুবরাজ সেখান থেকে পালিয়ে গেলে তার পিছনে থাকা দ্বিতীয় টিম এসে সুশান্তবাবুর উপর গুলি চালিয়ে সেখান থেকে সোজা ভিন রাজ্যে পালিয়ে যাবে। পরিকল্পনা মাফিক যুবরাজ শুক্রবার ভর সন্ধ‌্যায় বাড়ি সামনে ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথ‌া ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম‌্যান সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ‌্য করে গুলি চালাতে যায়। কিন্তু গুলি চালাতে গিয়ে ধরা পড়ে ওই যুবক। তাঁকে জেরা করে আহমেদ খান নামে এক ট‌্যাক্সি চালককেও গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের জেরা করে ইকবালের নাম উঠে আসে।তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বছর চল্লিশের ইকবাল আসলে আফরোজের ছদ্মনাম। সে ঝাড়খণ্ডের জামুয়ার বাসিন্দা। বেশ  কয়েক বছর ধরে সে পঞ্চাননতলা গুলশন কলোনিতে থাকছে। এখানে সে গুলজার নামে পরিচিত। এই গুলজার বিহারের বৈশালি থেকে সুপারি কিলারদের ভাড়া করে নিয়ে এসেছিল। বিহার থেকে মোট তিনজনকে এই কাজে ভাড়া করা হয়েছিল। তার মধ্যে একজন মাস খানেক আগে কলকাতায় এসে পৌঁছয়। গুলজার তাকে কলকাতায় থাকার ব‌্যবস্থা করে দিয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, পরিকল্পনা মাফিক হামলার আগের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে বিহার থেকে যুবরাজ-সহ দুজন হাওড়ায় আসে। গুলজারের কথা মত তাদের নিতে হাওড়ায় যায় বিহার থেকে আগে চলে আসা ওই যুবক। ওই তিনজনকে লেকটাউনের ১৪৫, কালিন্দি হাউজিং স্টেটের ফ্ল‌্যাটে থাকার ব‌্যবস্থা করা হয়েছিল।

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তিনজনকে লেকটাউনে যে ফ্ল‌্যাটে রাখা হয়েছিল তা সুশান্তবাবুর ঘনিষ্ঠ লোকই ব‌্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। গুলজার তাঁকে বলেছিল, বিহার থেকে তাঁর পরিচিতরা চোখের অস্ত্রোপচার করাতে কলকাতায় আসছে। মোট তিনজন আসবে। কলকাতায় কোথাও থাকার ব‌্যবস্থা করে দেওয়া হোক। সেইমত সুশান্ত- ঘনিষ্ঠ ওই ব‌্যক্তি লেকটাউনে থাকার ব‌্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তবে এই তথ‌্য কতটা সত‌্য, তা গোয়েন্দারা যাচাই করে দেখছেন।

Card image cap

গঙ্গাস্নানে গিয়ে বিপত্তি!

গুরু পূর্ণিমার সকালে গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল চার নাবালক। মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নোদাখালি থানার বিড়লাপুর ১ ফটক জেটিঘাটে। উদ্ধারকার্যে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলার দল। এখনও পর্যন্ত কারও খোঁজ পাওয়া য়ায়নি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বিড়লাপুর জুটমিল কোয়ার্টারের বাসিন্দা চার নাবালক গঙ্গায় স্নান করতে যায়। জলে নেমে তাদের মধ্যে একজন স্রোতের টানে তলিয়ে যেতে থাকে। তা দেখে বাকি তিনজন তাকে বাঁচাতে যায়। কিন্তু তাল সামলাতে না পেরে প্রত্যেকেই তলিয়ে যেতে থাকে। নিখোঁজ ওই চার নাবালকের মধ্যে দিপুকুমার শা, বয়স ১৬ বছর ও পিন্টুকুমার শা, বয়স ১৪ বছর সম্পর্কে দাদা-ভাই। তলিয়ে যাওয়া বাকি দুজন ১৫ বছরের দীপক মাহাতো ও ১৬ বছরের বিভাসকুমার শা একই এলাকার বাসিন্দা।নাবালকদের তলিয়ে যেতে দেখে প্রাথমিকভাবে খোঁজ চালায় স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ, প্রশাসন-সহ দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা। এখনও নাবালকদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। চার নাবালকের তলিয়ে যাওয়ায় শোকের ছায়া এলাকায়।

Card image cap

সপ্তাহান্তে রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ

বইছে উত্তুরে হাওয়া। নামছে পারদ। উইকেন্ড বা সপ্তাহান্তে রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ। আগামী পাঁচ দিনে ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। হাওয়া অফিস বলছে, আগামী সপ্তাহের শুরুতে ১৮-এর ঘরে নামতে পারে কলকাতার পারদ। পুরুলিয়ার তাপমাত্রা হবে ১৫ ডিগ্রি। সবমিলিয়ে এবার রাজ্যের দুয়ারে শীত হাজির।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে,সপ্তাহান্তে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার বড় পরিবর্তন হতে পারে। উত্তুরে হাওয়াতে মনোরম পরিবেশ তৈরি হবে। আজ, শুক্রবার থেকেই পারা পতন শুরু। পশ্চিমের জেলাগুলিতে পারা পতন একটু বেশি। আগামী এক সপ্তাহের আবহাওয়া মনোরম হলেও ডিসেম্বরের মাঝামাঝির আগে জাঁকিয়ে শীতের কোনও সম্ভাবনা নেই। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ছিল ১৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আগামী দু-তিনদিনে আরও কিছুটা নামবে তাপমাত্রা। ডিসেম্বরের মাঝামাঝির আগে কলকাতায় জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই। দার্জিলিং-এ এই মুহূর্তে রাতের তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরও ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস মতো নামতে পারে পারদ।পার্বত্য এলাকা ছাড়া বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। রবিবার দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। তবে উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশার দাপট। দক্ষিণের ছয় জেলায় সকালে কুয়াশা ও ধোঁয়াশা থাকবে। দৃশ্যমানতা কোথাও ৫০ মিটার ছুঁতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও উত্তরবঙ্গ সংলগ্ন ছয় জেলায় সকালের দিকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। পরে দিনভর পরিষ্কার আকাশ। মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে।উল্লেখ্য, আজ সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ০.৩ ডিগ্রি কম। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শহরের তাপমাত্রা থাকবে ২০ ডিগ্রি থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে। ফলে শহরের পরিবেশও মনোরম থাকবে।

Card image cap

কলকাতায় ফের নোটের পাহাড়!

শহরে ফের নোটের পাহাড়! ইডির তল্লাশিতে বিপুল নগদের হদিশ মিলল লেক মার্কেটের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। শুক্রবার সকালে টাকা গোনার মেশিন নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত ৩ কোটি টাকা গোনা হয়েছে। এখনও নোট গোনা চলছে। গতকাল, বৃহস্পতিবার লটারি দুর্নীতি মামলায় লেক মার্কেট এবং মধ্যমগ্রাম সংলগ্ন মাইকেলনগর এলাকার দুই জায়গায় অভিযান চালায় ইডি। শুক্রবারও চলছে সেই অভিযান। সূত্রের দাবি, এদিন সকালে টাকা গোনার মেশিন নিয়ে লেক মার্কেটে প্রিন্স গোলাম মহম্মদ রোডের ওই বাড়িতে ঢোকেন ইডি আধিকারকিরা। ইতিমধ্যে ৩ কোটি টাকা গোনা হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে মধ্যমগ্রামেও টাকা গোনার মেশিন নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। উল্লেখ্য, মাইকেল নগরের দোতলা বিল্ডিংয়ের পুরোটাই লটারি সংস্থার পূর্বাঞ্চলের গোডাউন এবং দপ্তর বলে খবর। তবে টাকা উদ্ধারের প্রসঙ্গে ইডির তরফে কিছু জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, লটারি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, লটারি জেতার টাকা থেকে কর বাবদ অর্থ সরকারের কোষাগারে না দিয়ে হাওলার মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হত। সেই সূত্রে খরে দিল্লিতে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে। এর পর কলকাতায় হানা দেয় ইডি। পর পর দুদিন ম্যারাথন তল্লাশি চালাচ্ছে তারা। সেখান থেকে একাধিক নথিপত্র ছাড়াও টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। 

Card image cap

শালিমার স্টেশনে পার্কিং ফি নিয়ে বচসা

পার্কিং ফি নিয়ে রক্তারক্তি কাণ্ড শালিমার স্টেশনে। বৃহস্পতিবার রাতে অনৈতিকভাবে টাকার দাবি করে এক ব্যবসায়ীর মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। মারধর করা হয় তাঁর এক ছেলেকেও। ব্যবসায়ীর বড় ছেলের স্মার্টফোন ও টাকার ব্যাগ কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। আক্রান্তকে দক্ষিণ হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে বি গার্ডেন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবারটি। তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ।দিন কয়েক আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নিজের গ্রামের বাড়িতে সপরিবারে আসেন মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী বনি আমিন রাজ। বৃহস্পতিবার রাত আটটার জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে শালিমার স্টেশন থেকে মুম্বইয়ে ফেরার কথা ছিল তাঁদের। সেই মতো স্টেশনে এসে শালিমার স্টেশনের পার্কিং লটে জিনিসপত্র নামান তাঁরা। অভিযোগ, তখনই সশস্ত্র ১০ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতী টাকা দাবি করতে থাকে। তা নিয়ে ব্যবসায়ীর সঙ্গে বচসা বাধে। তা থেকে হাতাহাতি। লোহার রড দিয়ে ব্যবসায়ীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে আমিনের মাথায় ছয়টি সেলাই পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।কয়েকদিন আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল শালিমার স্টেশন এলাকা। ঘটনায় আহত হন অন্তত ৬জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে র‍্যাফ নামায় পুলিশ। তার আগেও জুন মাসে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে। আরও একবার শালিমার স্টেশনে ঝামেলা নিয়ে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে।

Card image cap

কীভাবে ট্যাবের টাকা চুরি?মুখ খুললেন মমতা

ট্যাব ‘কেলেঙ্কারি’ নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আঙুল তুললেন ভিনরাজ্যের হ্যাকারদের দিকে। তবে তদন্তে প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করে মমতার আশ্বাস, টাকা যারা পায়নি তাদের টাকা দেবে রাজ্য।শুক্রবার দার্জিলিং থেকে ফেরার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা ‘চুরি’ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। বলেন, “ট্যাব নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছে। এটা প্রশাসনের কাজ, প্রশাসন করুক। এটা মিডিয়া ট্রায়ালের ব্যাপার নয়।” তাঁর দাবি, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের প্রকল্পের টাকাও হাইজ্যাক করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের প্রশংসা করে মমতার দাবি, “আমরাই একমাত্র এই গ্রুপের ছজনকে ধরতে পেরেছি। আমাদের প্রশাসন যথেষ্ট স্ট্রং, রাফ অ্যান্ড টাফ। ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি যা করার ওরা করবে।” রাজ্যের প্রায় হাজার পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা উধাও হয়েছে। তারা কি সেই টাকা ফেরত পাবে, তা নিয়ে চিন্তা ছিল। এদিন সেই চিন্তা দূর করে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, “যারা ট্যাবের টাকা পায়নি, তাদের ট্যাবের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসের সুবিধার জন্য ট্যাব কিনতে ১০ হাজার টাকা দেয় রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের নাম ‘তরুণের স্বপ্ন’। এবছর থেকে দুর্গাপুজোর আগে ওই অর্থ পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু অনেক পড়ুয়াই ট্যাবের টাকা পাননি বলে অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান, সরকারি কোনও কর্মী এই চক্রের মাথাকে তথ্য দিচ্ছে। এটি স্পষ্ট করতে ফরেনসিক অডিট করা হবে এবং সবকটি দপ্তরের কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেস খতিয়ে দেখা হবে। কলকাতায় দায়ের হওয়া অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চোপড়া, ইসলামপুর ও তার আশপাশের এলাকার বাসিন্দার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট টাকাগুলো ঢুকেছে। বছরখানেক আগে আধার কার্ডের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা এইপিএস জালিয়াতি করে টাকা হাতানোর ঘটনা ঘটছিল। সেই চক্রটি আবার সক্রিয় হয়ে এভাবে জালিয়াতি করে থাকতে পারে বলেও অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের উপরই আস্থা রাখলেন মমতা। 

Card image cap

‘কর্মবন্ধু’দের বেতন বাড়াল রাজ্য সরকার

বছর শেষে সুখবর।  রাজ্য সরকারের অধীনস্থ ‘কর্মবন্ধু’ দের ভাতা বাড়ানো হল।বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে উল্লেখ, এবার থেকে মাসে ৩ হাজারের বদলে ৫০০০ টাকা করে ভাতা পাবেন ‘কর্মবন্ধু’রা। এই বিজ্ঞপ্তিতে স্বভাবতই খুশি তাঁরা। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নয়া কাঠামো কার্যকর হচ্ছে চলতি বছরের পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে। সেই হারে পরবর্তীতে তাঁদের ভাতা দেওয়া হবে।  বৃহস্পতিবার নবান্নের অর্থ দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।  যাতে উল্লেখ, ২০১৮ সালে ‘কর্মবন্ধু’দের যে ভাতা কাঠামো ঠিক ছিল, সেই অনুযায়ী মাসে ৩০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এই পদে কর্মরতরা মূলত সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করেন। সাফাইকাজ কিংবা নৈশপ্রহরী হিসেবে তাঁদের কাজের সুযোগ রয়েছে। তা রাজ্য সরকারের অধীনস্থ  এবং আংশিক সময়ের কাজ। মূলত বিভিন্ন দপ্তরে সাহায্যের জন্যই এই পদে কর্মী নিয়োগ চালু করেছিল রাজ্য সরকার। ২০১৮ সালে তাঁদের ভাতা ছিল মাসে ৩০০০ টাকা। এবার ৬ বছর পর ‘কর্মবন্ধু’দের ভাতা বৃদ্ধি হল। এবার থেকে তাঁরা মাসে পাবেন ৫ হাজার টাকা করে।  বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ থেকে নয়া ভাতা কাঠামো কার্যকর হচ্ছে। অর্থাৎ এখন তাঁদের যে বেতন দেওয়া হবে, তার সঙ্গে আগের দুমাসের বাড়তি ভাতা যোগ করে দেওয়া হবে। ২০১৮ সাল থেকে একই হারে ভাতা মিলছিল এতদিন। এখন ভাতাবৃদ্ধির এই বিজ্ঞপ্তি দেখে স্বভাবতই খুশি ‘কর্মবন্ধু’রা। এতদিন বাদে ভাতা বৃদ্ধিতে কিছুটা সুরাহা হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। 

Card image cap

কলকাতার রাস্তায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা

ফের শহরের রাস্তায় পথ দুর্ঘটনা। আহত এক পড়ুয়া-সহ তিনজন। তাঁদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সকালে ইএম বাইপাস লাগোয়া ধাপা রোডের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কন্টেনারে ধাক্কা মারে একটি পুলকার। তাতেই আহত হয় এক নাবালিকা পড়ুয়া, পুলকারের চালক-সহ তিন। আহত চালক রাজু দাস ও পড়ুয়া অঙ্কিতা পালকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে  নিশ্চিন্তের বিষয়, কারও আঘাত তেমন গুরুতর নয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ধাপা রোড ধরে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে থাকা কন্টেনারে ধাক্কা মারে পুলকারটি। ধাক্কার অভিঘাতে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পড়ুয়ারা। গাড়ি থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ।মঙ্গলবার সল্টলেকে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় চতুর্থ শ্রেণির এক পড়ুয়ার। মায়ের স্কুটি করে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হয় সে। হাসপাতালে ভর্তি করার পর ওইদিনই মৃত্যু হয় তার। দুটি বাসের রেষারেষিতে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় পুলিশ সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। তাই পড়ুয়ার দেহ রেখে বিক্ষোভও চলে বেশ কিছুক্ষণ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের দুর্ঘটনা কলকাতায়। পর পর এ ধরনের দুর্ঘটনায়, বিশেষত যেখানে ছোট ছোট স্কুলপড়ুয়ারা বিপদে পড়েছে, তাতে পথ নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গেল। 

Card image cap

বিষ্ণুপুরে অফিস ঘর থেকে উদ্ধার ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ

ব্যবসায়ীর রহস্যমৃত্যু বিষ্ণুপুরে! মঙ্গলবার বিকেলে অফিস ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। ব্যবসায়ীর নাম শ্যামাপদ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বিষ্ণুপুর শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। আত্মহত্যা না কি খুন? তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিষ্ণুপুরে শ্যামাপদের জামা, গেঞ্জির কারখানা রয়েছে। সঙ্গে রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসাও ছিল। এছাড়া প্রোমোটারিও করতেন। কিছুদিন আগে একটি বাংলা ছবিতে বিনিয়োগ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কিছুদিন যাবৎ ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন। তা নিয়ে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ব্যবসায়ী আত্মঘাতী হয়েছেন।কর্মচারীদের থেকে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ১টার দিকে বাড়ির কাছের অফিসে আসতেন শ্যামাপদ। তবে মঙ্গলবারে ১১টার সময় অফিসে চলে আসেন তিনি। অফিসের পিছনে একটি আলাদা ঘরে তিনি বিশ্রাম নিতেন। ঘটনার দিন সেই ঘরেই কাজ করছিলেন। বিভাস রায় নামে এক কর্মচারী দুপুরে খেতে যাওয়ার আগে ওই ঘরেই মালিককে দেখেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, মালিক অফিসেই ছিলেন। সেই সময় সময় ব্যবসায়ীর ঘনিষ্ঠ এক কর্মচারী অফিসে কাজ করছিলেন। তিনি অর্থনৈতিক দিকটি দেখেন। পরে ওই কর্মচারী খেতে বেরিয়ে যান বলে জানিয়েছেন বিভাস।বিকেল চারটে নাগাদ বিভাস ফিরে আসেন। সেই সময় দেখেন, অফিসের বাইরে শ্যামাপদবাবুর বাইক রয়েছে। তিনি ভিতরে যাওয়ার পর মালিকের কোনও সাড়াশব্দ পাননি। সন্দেহ হতেই তাঁর ঘরে গিয়ে দেখেন ওই ব্যবসায়ীর দেহ ঝুলছে। সেই সময় কেউ ছিলেন না বলেই জানিয়েছেন তিনি। খবর পাঠানো হয় পুলিশে। বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।কর্মচারী বিভাস রায় বলেন, “দুপুর ২টোর দিকে আমি খেতে বেরিয়ে যাই। পার্থ চন্দ্র অফিসে ছিলেন। পরে তিনিও বেরিয়ে যান। সাড়ে চারটের দিকে ফির এসে দেখি বাইরে মালিকের বাইক রয়েছে। অন্যদিনের মতো অর্ধেক নামানো শাটার তুলে ভিতরে গিয়ে নিজের কাজ করছিলাম। অন্যদিন আমরা গেলে মালিক বুঝতে পারতেন। কিন্তু মঙ্গলবার কোনও সাড়াশব্দ পাইনি। সন্দেহ হতেই পাশের ঘরে গিয়ে দেখি ওঁর দেহ ঝুলছে। কেন এই রকম করল, জানি না। তবে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কিছুদিন আগে একটি বাংলা মুভিও করেছিলেন। সেখানে অনেক টাকা লস হয়েছে শুনেছিলাম। আমাদের সেভাবে কিছু বলতেন না।” অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।

Card image cap

বিচারপর্বের শুরুতে সঞ্জয়কে নিয়ে বাড়তি সতর্ক পুলিশ

বাড়ানো হল নিরাপত্তা। পালটানো হল গাড়ি। অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এল আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের ‘বদ-আচরণ’। বন্ধ হল অকারণে চিৎকার করে ইচ্ছামতো সবাইকে দোষারোপ করা। বার বার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ও ‘ফাঁসানোর দাবি’ও এতে বন্ধ হয়েছে বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।আদালতে চার্জ গঠনের দিন সঞ্জয় রায় প্রিজন ভ‌্যান থেকে চিৎকার করে সাফাই দেয় যে, তাকে ‘আসলদের বাঁচাতে’ ফাঁসানো হচ্ছে। সোমবার বিচারপর্বের প্রথম দিনের শুনানির পর শিয়ালদহ আদালত থেকে প্রিজন ভ‌্যানে করে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নিশানা করে। ফের তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করতে থাকে।সূত্রের খবর, বিশেষ নিরাপত্তার কারণেই এদিন দুপুরে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে সঞ্জয় রায়কে নিয়ে রওনা দেয় একটি ‘কনভয়’। ৬টি গাড়ির কনভয়ে ছিল প্রিজন ভ‌্যানও। যদিও পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, ওই ‘ডামি’ প্রিজন ভ‌্যানে সঞ্জয় ছিল না। তার গাড়ি পাল্টানো হয়। একটি সাদা রঙের কাচতোলা গাড়িতে তাকে নিয়ে আসা হয়। কাচের উপর রয়েছে তারের জাল। সূত্রের খবর, বিশেষভাবে তৈরি ওই গাড়িতে গুরুত্বপূর্ণ মামলার অভিযুক্তদের নিয়ে যাতায়াত করা হয়। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সও ব‌্যবহার করে ওই গাড়ি। এদিন ওই গাড়ি থেকে শিয়ালদহ আদালত চত্বরে নামানোর পরই সঞ্জয় চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘‘আমার গাড়ি পালটানো হয়েছে।’’ যদিও প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আদালতের লকআপে। এদিন শুনানির শেষেও ওই গাড়ি করেই তাকে প্রেসিডেন্সি জেলে ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়। গা়ড়ির কাচ বন্ধ ছিল। সঞ্জয়ের দু’পাশে ছিলেন দুই পুলিশকর্মী। কঠোর নিরাপত্তায় থাকা সঞ্জয়ের গাড়ির পিছনের সিটেও ছিলেন সশস্ত্র পুলিশকর্মীরা। তাই এদিন আদালত থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার পথে সঞ্জয় রায় আর চিৎকার করে কিছু বলতে পারেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।এদিকে মঙ্গলবার আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিচারপর্ব। তারই অঙ্গ হিসাবে রুদ্ধদ্বার কক্ষে শুরু হয়েছে সাক্ষ‌্যগ্রহণ। সোমবার বিচারপর্বের প্রথম দিনেই সাক্ষ‌্য দেন নির্যাতিতার বাবা ও এক পারিবারিক বন্ধু। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে নির্যাতিতার সহকর্মী দুই ডাক্তারি পড়ুয়ার সাক্ষ‌্যগ্রহণ করা হয়। বুধবার ট্রায়ালের তৃতীয় দিনে আর জি করের চেস্ট বিভাগের এক চিকিৎসক ও অন‌্য এক মহিলা চিকিৎসক সাক্ষী দিতে পারেন। এদিনও অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারকের রুদ্ধদ্বার কক্ষে হাজির করা হয় অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে।আদালতের সূত্র অনুযায়ী, আদালত কক্ষেও সে নিজের মতো কিছু বলার চেষ্টা করে। যদিও বিচারপর্বে এই অবস্থায় তার কিছু বলার কথা নয়। সঞ্জয়ের দুই আইনজীবী সাক্ষীদের ‘ক্রস’ করেন। তবে গত কয়েকদিন ধরে সঞ্জয় রায় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে প্রিজন ভ‌্যানে বসে চিৎকার করে যে আচরণ করছিল, সেই ব‌্যাপারে এদিন আইনজীবীরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এদিন আদালতে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেও সঞ্জয় রাইয়ের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ আধিকারিক ও পুলিশকর্মীদের বিশেষ সতর্ক করা হয়।

Card image cap

জেলায় জেলায় নামল পারদ!

পূর্বাভাস সত্যি করে মাঝ নভেম্বরে জেলায় জেলায় নামল তাপমাত্রার পারদ। পুরুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১৬ ডিগ্রিতে। কিন্তু তিলোত্তমাবাসীদের এখনও বেলা গড়ালেই নাভিশ্বাস উঠছে। প্রশ্ন, কবে নিম্নমুখী হবে তাপমাত্রা? অনুভূত হবে শীতের আমেজ? হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সপ্তাহান্তে বদলাবে কলকাতার আবহাওয়া। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে ২০ ডিগ্রিতে।আগামিকাল আসছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। উত্তর-পশ্চিমে হাওয়া বদলের ইঙ্গিত। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের অবস্থান। এই নিম্নচাপ ক্রমশ পশ্চিমমুখী অগ্রসর হবে। উত্তর তামিলনাডু ও দক্ষিণ অন্ধপ্রদেশ উপকূলে এর প্রভাব পড়বে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে নামবে তাপমাত্রার পারদ। সবজেলায় অনুভূত হবে শীতের আমেজ। পুরুলিয়াতে ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা নেমেছে ১৬ ডিগ্রিতে। আগামী দু-তিন দিনে আরও কিছুটা নামবে তাপমাত্রা। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রিতে নামতে পারে চলতি সপ্তাহেই। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।এদিকে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির খুব সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি কোনও জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মূলত শুষ্ক থাকবে আবহাওয়া। পার্বত্য এলাকায় জলীয় বাষ্প থাকায় বাতাসে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হবে। সকালের দিকে নিচের জেলা মালদহ ও দুই দিনাজপুরে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। উল্লেখ্য, আজ ও আগামিকাল কুয়াশা থাকবে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডিগড়, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশে। পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশে কুয়াশা দাপট বেশি থাকবে।

Card image cap

দক্ষিণ কলকাতার বেকারি বাজারে দাউদাউ আগুন

ভরদুপুরে ফের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড দক্ষিণ কলকাতায়। বুধবার দুপুরে লেক গার্ডেন্সের একটি ঝুপড়ি এলাকায় দাউদাউ আগুন লাগে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। আতঙ্কে এলাকাবাসী।  পাশের আনোয়ার শাহ রোড দিয়ে যানবাহন চলাচলও ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে দমকলের ৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ঘটনাস্থলে যায় যাদবপুর থানার পুলিশ। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রাণহানি হয়নি। দিন কয়েক আগে লেক গার্ডেন্সের কাছে একটি বসতিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দমকল দেরিতে পৌঁছয় বলে অভিযোগ। ঝুপড়ির বেশিরভাগ ভস্মীভূত হয়ে যায়। সেবার দমকল ও জনপ্রতিনিধিদের দিকে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। বুধবার এই এলাকারই বেকারি বাজারের মতো ঘিঞ্জি জায়গায় আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল। কালো ধোঁয়া দেখে প্রথম আগুনের খবর জানতে পারেন পথচারীরাই। খবর পাঠানো হয় দমকলে। তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে আরও ইঞ্জিন পাঠানো হয় বলে খবর। ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছে অনেকটা দূর। চারপাশ থেকে দোকানদাররাও বেরিয়ে আসেন আতঙ্কে। জানা গিয়েছে, বেকারি বাজারের অন্তত ১০ থেকে ১২টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। প্রচুর ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। লেক গার্ডেন্সের এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর মৌসুমী দাস, বিধায়ক দেবাশিস কুমার। আগুন এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে আনোয়ার শাহ রোড দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে ট্রাফিক পুলিশ। দক্ষিণ কলকাতার এমন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। 

Card image cap

ট্যাব দুর্নীতির তদন্তে নেমে খতিয়ে দেখছে পুলিশ

পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়ার জন্য টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন স্কুল থেকে এই ধরনের অভিযোগ ওঠায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী আসরে নেমে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেইমতো রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশ যৌথভাবে তদন্তে নেমেছে। ইতিমধ্যে তাদের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ১০ জন। কলকাতা পুলিশের হাতে ধৃত ২ জন। কীভাবে এই দুর্নীতি ঘটল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কোথাও কোথাও ‘সর্ষের মধ্যে ভূত’ আছে বলেও তদন্তে উঠে এসেছে। অর্থাৎ ট্যাব দুর্নীতিতে স্কুলে কোনও কোনও কর্মীরা জড়িত থাকতে পারেন। হাতে আসা তথ্য দেখে প্রাথমিকভাবে তা মনে করছে পুলিশ।বুধবার প্রেস বিবৃতিতে রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ট্যাব দুর্নীতি নিয়ে ৫৬ টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ১০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানে ৫, পূর্ব মেদিনীপুরে ৩ এবং চোপড়া থেকে কলকাতা পুলিশের জালে দুজন ধরা পড়েছে। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত সরাসরি কোনও যোগ পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ খতিয়ে দেখছে, এরা একই গোষ্ঠীর সদস্য নাকি প্রত্যেকে পৃথকভাবে এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ব্যাঙ্কের লেনদেন। ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড কীভাবে এবং কাদের মাধ্যমে অভিযুক্তরা পেয়েছিল, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জেলাগুলি থেকে অহরহ এই অভিযোগ আসছে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ঝাড়গ্রামে।উল্লেখ্য, স্কুলের উচ্চশিক্ষা অর্থাৎ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প চালু হয়েছে সেই করোনাকাল থেকে। প্রত্যেক পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় সরকারের তরফে। তা দিয়ে ট্যাব কিনে অনলাইন ক্লাস করতে পারে পড়ুয়ারা। এখন দেখা যাচ্ছে, সেই ট্যাব কেনার টাকাতেই বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে। মূলত অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রেই এই গরমিল চোখে পড়েছে। বর্ধমানের একটি স্কুলে এই ঘটনা প্রথম চোখে পড়ে। সেখানে ২৮ জনের অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা গায়েব। বর্ধমান সাইবার থানায় অভিযোগ জানালে তদন্ত শুরু হয়। এর পর অন্যান্য জেলা থেকেও এক অভিযোগ ওঠে। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের নজরে পড়তেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা দ্রুত দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি পড়ুয়াদের জন্য প্রকল্পের অর্থ নিয়ে কারা জালিয়াতি করেছে, তার জন্য তদন্ত শুরু হয়।

Card image cap

দার্জিলিং ম্যালের পথে জনসংযোগে মমতা

সোমবারই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকালে দার্জিলিং ম্যালের রাস্তায় প্রাতঃভ্রমণের পাশাপাশি জনসংযোগ সারলেন তিনি। কথা বললেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। খুদেদের হাতে তুলে দিলেন চকোলেট। ঢুকলেন বিশ্ববাংলা স্টলে। ঘুরে দেখলেন শীতপোশাকের দোকান। মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ দার্জিলিং ম্যালের রাস্তায় প্রাতঃভ্রমণে বের হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন অরূপ বিশ্বাস-সহ অন্যান্যরা। ম্যালের রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। খোঁজ খবর নেন। ঢুকে পড়েন বিশ্ববাংলার স্টলে। ঘুরে দেখেন একাধিক শীতপোশাকের দোকান। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথাও বলেন। মুখ্যমন্ত্রী যে বাচ্চাদের ভীষণ ভালোবাসেন, তা বলাই বাহুল্য। এদিনও একদল খুদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আদর করেন, উপহার হিসেবে সকলের হাতে চকোলেটও দেন। মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত সকলে। তবে এই প্রথম নয়, মুখমন্ত্রী বরাবরই ঠিক ঘরের মেয়ের মতো মিশে যান আমজনতার ভিড়ে।উল্লেখ্য, একাধিক কর্মসূচি নিয়ে সোমবার দার্জিলিং গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার জিটিএ ও অন্যান্য উন্নয়ন বোর্ডগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। পরেরদিন, বুধবার দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তায় সরস মেলার উদ্বোধন করবেন। তার পরের দিন ফিরবেন কলকাতায়। মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

Card image cap

দুই বাসের রেষারেষির বলি খুদে স্কুল পড়ুয়া

বেহালা, বাঁশদ্রোণীর পর এবার সল্টলেকে বেপরোয়া গতির বলি স্কুল পড়ুয়া। দুই বাসের রেষারেষিতে প্রাণ গেল খুদের। মঙ্গলবার দুপুরে সল্টলেকের ২ নম্বর গেটের কাছে বাসের ধাক্কায় দুই স্কুল পড়ুয়া আহত হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। আহত স্কুটি চালক-সহ আরও এক পড়ুয়া। দুর্ঘটনার পর দেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ জনতার।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ উল্টোডাঙা-সল্টলেকের প্রবেশের দুনম্বর গেটের কাছে ঘটেছে দুর্ঘটনাটি। সল্টলেক বিডি ব্লকের একটি বেসরকারি স্কুলের ছুটির পর দুই ছাত্রকে স্কুটিতে চাপিয়ে কলকাতার বাড়ির পথে ফিরছিলেন এক অভিভাবক। সেই সময় সল্টলেকের দুনম্বর গেটের কাছে বেসরকারি ২১৫ এ রুটের দুটি বাসের মধ্যে রেষারেষি চলছিল। সেই রেষারেষির জেরে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন স্কুটি চালক।অভিযোগ, একটি বাস ধাক্কা মারে স্কুটিতে। সেই অভিঘাতে পড়ুয়া-সহ রাস্তায় আছড়ে পড়েন বাইক চালক। তাতে পিচ রাস্তায় গুরুতর জখম হন তিনজনে। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে উল্টোডাঙায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানেই এক খুদে পড়ুয়ার অবস্থার অবনতি ঘটে। এর পর তাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানেই মৃত্যু ঘটে ওই পড়ুয়ার। নাম আয়ুষ পাইন। বয়স ১১ বছর। চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া। এর পরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকেরা। উল্টোডাঙার হাডকো মোড়েই জমায়েত করে চলে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ। পরে দেহ রাস্তায় রেখে চলে বিক্ষোভ। ভাঙচুর করা হয় বাসে। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে।উল্লেখ্য, আগস্ট মাসে বেহালায় বেপরোয়া লরির ধাক্কায় প্রাণ গিয়েছিল খুদে পড়ুয়ারা। পুজোর মুখে বাঁশদ্রোণী এলাকায় ডাম্পারের ধাক্কায় প্রাণ দিয়েছিল আরেক স্কুল ছাত্রের। এবার সল্টলেকে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। 

Card image cap

মেটিয়াবুরুজে জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ!

খাস কলকাতায় ফের বেআইনি নির্মাণ! মেটিয়াবুরুজে জমি দখল করে পাঁচতলা আবাসন নির্মাণের অভিযোগ। এই ঘটনায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন জমির মালিক। মঙ্গলবার সেই মামলা ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রের এজলাসে। মামলার রায়ে পুরসভাকে নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র। একমাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি আদালতের প্রশ্ন, চোখের সামনে অবৈধ নির্মাণ হয়ে গেল, পুরসভা জেনে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে?পুরসভার ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেটিয়াবুরুজ থানার অন্তর্গত এন ১৪৭/সি বল্লামতলা লেনের ওই জমির মালিক মহম্মদ আতাউল্লা। অভিযোগ, কিছু অসাধু প্রোমোটার তাঁর জমি জোর করে দখল করে পাঁচতলা আবাসন গড়ে তোলে। তা নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর থেকে পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি বলে দাবি করেছেন আতাউল্লা। উপায় না পেয়ে তিনি হাই কোর্টে মামলা করেন।আদালতে আতাউল্লা জানান, জমির মিউটেশন তাঁর নামেই। অথচ স্থানীয় কিছু প্রোমোটার জমি দখল করে বেআইনি পাঁচতলা আবাসন তৈরি করে বিক্রি করেছে। মামলাকারীর আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানান, “মালিক মহম্মদ আতাউল্লার নামেই জমির মিউটেশন আছে। এবং তিনি নিয়মিত কর দেন। অথচ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাঁরই জমি দখল করে নেয়। জমির মালিক একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুরসভার কাছে অভিযোগ জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা। এটা একটা চূড়ান্ত অপব্যবস্থার লক্ষণ। কলকাতা পুরসভা সঠিক সময় ব্যবস্থা নিলে মামলাকারীকে হাই কোর্টে ছুটে আসতে হত না।” কলকাতা পুরসভার ৩৯৩ ও ৪০০ আইনে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারত তারা, সেটাও নেয়নি বলে অভিযোগ।বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র কলকাতা পুরসভার থেকে রিপোর্ট তলব করেন। পুরসভার পক্ষের আইনজীবী জানান, “মেটিয়াবুরুজে ওই পাঁচতলা নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্মাণকারীরা কোনও অনুমতি নেয়নি।” বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র পালটা প্রশ্ন করেন, চোখের সামনে অবৈধ নির্মাণ হল, পুরসভা কি পদক্ষেপ করছে? আইনজীবী জানান, পুরসভা তদন্ত শুরু করেছে।

Card image cap

পোষ্য নিয়ে জগদ্ধাত্রীর মণ্ডপে গিয়ে ভর্ৎসিত!

পোষ্যকে নিয়ে জগদ্ধাত্রী পুজো মণ্ডপে গিয়ে ভর্ৎসিত হওয়ার জের। অপমান-অবসাদে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন তরুণী। ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির ফটকগোড়া এলাকায়। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।বিষয়টা ঠিক কী? চন্দননগর ফটকগোড়া জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সদস্য সুশ্রিকা দত্ত(২৩)। ফটকগোড়া নন্দঘোষ লেনে তাঁর বাড়ি। যুবতীর বাবা সুমন দত্তর অভিযোগ, ষষ্ঠীর দিন তাদের দুটি পোষ্য কুকুর নিয়ে মেয়ে আর তাঁর স্ত্রী মণ্ডপে গিয়েছিলেন। একটি চারপেয়েকে কোলে নিয়ে ভিতরে গিয়েছিলেন সুশ্রিকা। সেখানেই বাধে বিপত্তি। কমিটির এক প্রবীন সদস্য তাঁকে কুকুর মণ্ডপে নিয়ে ঢোকায় ভর্ৎসনা করেন। এর পর তরুণী বাড়ি চলে যান। ফেসবুকে গোটা ঘটনাটি লেখেন। তার পরই পালটা তাঁকে আক্রমণ করা হয়। ফটকগোড়া পুজো কমিটিও একটি পোস্ট করে পালটা দেয়। চাপে পোস্ট ডিলিট করেন সুশ্রিকা। পরে আরও একটি পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন, সব মিটে গিয়েছে। তবে গোটা ঘটনায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পরেন তরুণী।এই পরিস্থিতিতে শনিবার রাতে তরুণীকে বাড়িতে রেখে ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা। ফিরে দেখেন ভয়ংকর দৃশ্য। গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে মেয়ে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায়। চন্দননগর থানা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। ফটকগোড়া পুজো কমিটির সম্পাদক বিপ্লব দাস বলেন, “খুবই মর্মাহত আমরা এই ঘটনায়। ওনার বাবা যে অভিযোগ করছেন সেটা হয়ত ঘটনার আকস্মিকতায়। পুজো এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়। সেদিনকার ঘটনাটা খুব সামান্য। ষষ্ঠীর রাতে খুব ভিড় ছিল। অনেক দর্শনার্থী সরাসরি পুজো কমিটির দিকে আঙুল তুলেছিল। তখন অনুরোধ করা হয় কুকুর নিয়ে বেরিয়ে যান। ব্যক্তিগতভাবে সোশাল মিডিয়ায় কে কী পোস্ট করেছে সে বিষয়ে পুজো কমিটির কিছু জানে না। কেউ কিছু মন্তব্য করে থাকলে তার দায়িত্ব পুজো কমিটির নয়।”

Card image cap

কলকাতা মেডিক্যালে ‘অভয়া’র মূর্তি ভাঙচুর!

 শ্যামবাজার থেকে উধাও হয়েছিল অভয়ার মূর্তি। এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের দ্রোহের গ্যালারিতে থাকা মূর্তিতে ভাঙচুর চালালো দুষ্কৃতীরা। দুটি ঘটনায় কি যোগ রয়েছে? তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযু্ক্তদের শনাক্ত করতে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ।আগস্ট থেকে নভেম্বর। আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার পর পেরিয়েছে তিনমাস। এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার মাত্র ২। জট খোলেনি রহস্যের। সুবিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার রাতেও প্রতিবাদে পথে নেমেছিল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট ও নাগরিক সমাজ। মশাল হাতে মিছিল করেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা দ্রোহের গ্যালারি করেন। সেখানেই ছিল অভয়ার মূর্তি। শনিবার রাতে সেখানে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ভেঙে দেওয়া হয় অভয়ার মূর্তি। রবিবার সকালে বিষয়টি সকলের নজরে পড়ে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।এই ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের কথায়, অভয়ার মতো তাঁর মূর্তিও রক্ষা করতে পারেননি তাঁরা। কিন্তু ঘটনার নেপখ্যে কারা তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের একাংশের দাবি, এর নেপথ্যে অ্যাসোসিয়েশনের যোগ থাকতে পারে। পাশাপাশি শ্যামবাজার থেকে অভয়ার মূর্তি উধাওয়ের সঙ্গে এই ভাঙচুরের যোগ রয়েছে বলেও দাবি আন্দোলনকারীদের একাংশের।