CATEGORY state:

Card image cap

আদালত থেকে বেরিয়ে ফের বিস্ফোরক সঞ্জয় রায়

ফের বিস্ফোরক আর জি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। তাঁর দাবি, পুলিশের বড়কর্তারা ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ফাঁসিয়েছেন। সব সত্যি পুলিশ কর্তারা জানেন। স্বাভাবিকভাবেই সঞ্জয়ের মুখে ফের ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।এমনকী ঘটনায় সময়কার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েলের নাম করেও একথা বলে সঞ্জয়। অভিযুক্ত বলে, 'বিনীত গোয়েল, ডিসি স্পেশাল আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি নাম বলে দিচ্ছি। ওরা সাজিশ করে আমাকে ফাঁসিয়েছে। ওরা জানে কেন ফাঁসিয়েছে।'আরজি করে তরুণী চিকিত্সকের ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে চার্জ গঠন করা হয়। চার্জশিট পেশের ২৮ দিনের মাথায় মোট ৩ ধারায় চার্জ গঠন হয়। সিবিআইয়ের চার্জশিটে সিভিক ভল্য়ান্টিয়ার সঞ্জয়েরই নাম রয়েছে।এর আগের দিনও প্রিজন ভ্যানের ভেতর থেকে তাকে বলতে শোনা যায়, আমি খুন ধর্ষণ করিনি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এতদিন চুপ ছিলাম। আমাকে চাপ দিয়ে অনেককিছু বলিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমাকে শেখানো হচ্ছে কী বলতে হবে। ডিপার্টমেন্ট আমাকে কিছু বলতে দেয়নি। সঞ্জয় রায় নিজেকে বারবার নির্দোষ বলে দাবি করলেও সিবিআইয়ের চার্জশিটে সিসিটিভির ফুটেজ, পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ, ডিএনএ রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করে সঞ্জয়কেই দোষী বলে মনে করছে। আরজি করের মৃত চিকিত্‍সক-পড়ুয়ার ময়না তদন্তের রিপোর্টে নির্যাতিতার শরীরে ২৫টিরও বেশি গভীর ক্ষতের উল্লেখ পাওয়া যায়। ১৬টি বাহ্যিক আঘাত, ৯টি অভ্য়ন্তরীণ। নির্যাতিতার মাথা, মুখ, ঠোঁট, চোখ, ঘাড়, হাত ও যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষতের উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। 

Card image cap

দক্ষিণে নামবে পারদ, উত্তরের দুই জেলায় বৃষ্টি

ট্রাঙ্কবন্দি শীতের কম্বল। আলমারির কোনায় গড়াগড়ি খাচ্ছে চাদর-সোয়েটারও। টুপিটাও মুখ লুকিয়েছে হাজার জামার মাঝে। এবার তাদের ধুলো ঝাড়ার সময় আগত। অন্তত আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাদের পূর্বাভাস, এবার পারা পতনের পালা। নতুন সপ্তাহেই রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ।হাওয়া অফিস বলছে, নভেম্বরের মাঝামাঝি আবহাওয়ার পরিবর্তন। উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের জন্য পরিবেশ অনুকূল হবে। ফলে নভেম্বরের ১৫ তারিখ থেকেই নিম্নমুখী হবে পশ্চিমের জেলাগুলির পারা। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শীতের আমেজ মিলবে। কলকাতাতেও নামবে পারদ। দাপট দেখাবে শুষ্ক আবহাওয়াষ তবে আজ, রবিবার ও সোমবার হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
অন্যদিকে উত্তরের দুই জেলায় হালকা বৃষ্টি চলবে। দার্জিলিংয়ে হালকা বৃষ্টি চলবে। কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের বাকি কোনও জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সেখানে মূলত শুষ্ক আবহাওয়া। কাঞ্চনজঙ্ঘা রেঞ্জে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে জলীয়বাষ্প থাকায় বাতাসে ধোঁয়াশারসৃষ্টি হবে। সোমবার পর্যন্ত সকালের দিকে সুস্পষ্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সম্ভাবনা রয়েছে। তার পর থেকে দৃশ্যমানতা কমতে পারে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর।

Card image cap

শিয়ালদহে অস্ত্রভাণ্ডার!

খাস কলকাতায় উদ্ধার বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (স্পেশাল টাস্ক ফোর্স)। সুরেন্দ্রনাথ কলেজের উলটোদিকে অত্যন্ত ব্যস্ততম বৈঠকখানা রোডে উদ্ধার হয় ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ৯০ রাউন্ড কার্তুজ। এই ঘটনায় মহম্মদ ইসমাইল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ইসমাইল থাকত শিয়ালদহের রাজাবাজারে। পুলিশের অনুমান, অভিযুক্ত ইসমাইল আসলে একজন ক্রেতা। কলকাতায় এই অস্ত্র আনা হয়েছিল বিহারের মুঙ্গের থেকে। আগাম চুক্তি অনুযায়ী বৈঠকখানা রোডে ইসমাইলের সঙ্গে অস্ত্রের লেনদেন করে। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে অভিযানে নামে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হলেও অস্ত্র বিক্রেতা পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। অনুমান করা হচ্ছে, অভিযুক্ত এখনও কলকাতা চত্বরেই রয়েছে। কোনওভাবে যাতে সে ট্রেন বা বাসে পালাতে না পারে সেই লক্ষ্যে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে হাওড়া ও বাবুঘাটে।এদিকে অভিযুক্ত ইসমাইলের কাছ থেকে যে সব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলি হল, ২টি ৭ এমএম পিস্তল, ৩টি সিঙ্গেল শাটার ও ৯০ রাউন্ড কার্তুজ। অস্ত্রগুলি মুঙ্গেরের বলেই অনুমান করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, ইসমাইলের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার হলেও এই ব্যক্তি আসলে একজন মিডিল ম্যান। অস্ত্রগুলি নিয়ে নিজের ডেরায় যাওয়ার কথা ছিল তার। সেখান থেকে এই সব অস্ত্র ছড়িয়ে পড়ত রাজ্যের নানা প্রান্তে। গোটা চক্রের খোঁজ পেতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইসমাইলকে জেরা করে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে কারা কারা যুক্ত রয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে।এদিকে খাস কলকাতায় এভাবে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে। গোটা ঘটনায় বিস্মিত ওই অঞ্চলের বাসিন্দারাও।

Card image cap

ভিন রাজ্যের হোটেলের ঘরে পড়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের দেহ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের রহস্যমৃত্যু! শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের একটি হোটেল থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। হাতের শিরা কাটা ছিল বলে সূত্র মারফত খবর। মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা রয়েছে। আত্মহত্যা নাকি খুন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।তদন্তে নেমেছে পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পরিবার। মৃত অধ্যাপকের নাম মৈনাক পাল। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। বরাহনগরের বাসিন্দা মৈনাকের পাহাড়ে ঘোরার নেশা ছিল বলে জানা গিয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দিনকয়েক আগে দুই বন্ধুর (তারা কেউই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত নন) সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। বাঘ এক্সপ্রেসে তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। সেই কারণে স্টেশনের কাছে ছিলেন তিনি। শুক্রবার রাতে সেই হোটেলের একটি ঘর থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। শনিবার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। দেহ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।মেধাবী এই অধ্যাপক প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। সেখানেই অধ্যাপনা শুরু করেন। তার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণ করেন। ২০২২ সাল থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছিলেন তিনি। অত্যন্ত হাসিখুশি স্বভাবের অধ্যাপকের রহস্যমৃত্যুতে অবাক সহকারীরা।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত বলেন, “মৈনাকের চলে যাওয়াতে আমরা মর্মাহত, শোকাহত। শুধু অধ্যাপক নয় একজন উজ্জ্বল গবেষক, শিক্ষককে আমরা হারালাম। বুঝতে পারছি না কীভাবে এই ঘটনা ঘটল।” যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, ” রবিবার সকাল পর্যন্ত অফিসিয়ালি কিছু জানতে পারিনি। তবে শুনেছি অধ্যাপক মৈনাক পালের মৃত্যু হয়েছে।” দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক দীপায়ণ পট্টনায়ক বলেন, “মেধাবী অধ্যাপক ছিলেন মৈনাক। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি শোনার পর বিশ্বাস করতে পারিনি। আমরা ছাত্র, শিক্ষকরা প্রত্যেকেই মর্মাহত।” শোকপ্রকাশ করে জুটার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থপ্রতিম রায় জানান, “মৈনাক এখানে ২০২২ সাল থেকে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। আমরা পরিচিত ছিলাম। এই খবর পর আমরা ভেঙে পড়েছি। আমরা শোকাহত।”

Card image cap

তিন জেলায় পর পর দুদিন বৃষ্টির ভ্রুকুটি

পর পর দুদিন বৃষ্টির ভ্রুকুটি। আগামী কাল অর্থাৎ রবি ও সোমবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দুই পার্বত্য জেলা এবং উপকূলের তিন জেলায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। সেই নিম্নচাপ পশ্চিমমুখী শ্রীলঙ্কা ও তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে। এছাড়া দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর থেকে একটি অক্ষরেখা রয়েছে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। ফলে আগামী দুদিন পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির খুব সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের বাকি কোনও জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে সকালের দিকে মালদহ ও দুই দিনাজপুরে কুয়াশার সম্ভাবনা থাকবে।নভেম্বরের মাঝামাঝি রাজ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস। উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের জন্য পরিবেশ অনুকূল হবে। নভেম্বরের ১৫ তারিখ থেকেই পারা পতন। চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে শীতের আমেজ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই। কলকাতাতেও একই সময় থেকে আবহাওয়া পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন আবহবিদরা। তবে আগামী চার-পাঁচ দিন নতুন করে তাপমাত্রা নামার সম্ভাবনা নেই।

Card image cap

কখনও ডুবে জলে, পরক্ষণেই তিনতলার জানলায়!

শনিবার সাতসকালে এক ব্যক্তির অদ্ভুত ব্যবহারে হুলস্থুল কাণ্ড বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে! প্রথমে রসায়ন বিভাগের সামনের একটি পুকুরে গলা অবধি জলে ডুবে চিৎকার করতে থাকেন ওই যুবক। নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে ছোড়েন ইট, পাটকেল। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে কিছু পরে ঝুলতে থাকেন তিনতলার জানলায়। দীর্ঘ চেষ্টার পর দমকলের সাহায্যে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ক্যাম্পাসে।প্রতিদিনের মতো এদিন সকালে এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস চত্বরে প্রাতঃভ্রমণে বেরোন। সেই সময় তাঁরা দেখেন অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি প্রায় ১৭ফুট গভীর পুকুরে গলা অবধি ডুবে চিৎকার করছেন। বিষয়টি নজরে আসতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীদের খবর দেন তাঁরা। তাঁকে জল থেকে উদ্ধার করা হয়।অভিযোগ, এর পরই ওই ব্যক্তি আচমকা ইট, পাটকেল ছুড়তে থাকেন। কাচের বোতল ভাঙেন নিজের মাথায়। থামাতে গেলে সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। বিস্তর খোঁজাখুঁজির পর বটানি বিভাগের পিছনের একটি ভবনের তিনতলার জানলা ধরে ঝুলতে দেখা যায় তাঁকে। অনেক চেষ্টার পরও পুলিশ নিচে নামাতে না পারায় খবর দেওয়া হয় দমকলে। ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা দরজার তালা ভেঙে জানলাটি খুলে তাঁর হাত মুক্ত করেন। ফের উপর থেকে ঝাঁপিয়ে পালাতে গেলেও কর্মীরা ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ওই ব্যক্তি কে? কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এলেন? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ব্যক্তি কেন এই রকম কাণ্ড ঘটালেন, তাও জানার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি ভবঘুরে। নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

Card image cap

হাওড়ার দুর্ঘটনায় ঘনাচ্ছে রহস্য

সাতসকালে শালিমার-সেকেন্দ্রবাদ এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা নিয়ে বাড়ল ধোঁয়াশা। ডাউন লাইনে ট্রেনটি যাওয়ার কথা। সেইমতো ঘোষণাও হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বও তা মিডল লাইনে ঢুকে গেল কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এখন মাথা ঘামাতে হচ্ছে রেল কর্তাদের। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন খড়গপুর ডিভিশনের জিএম অনিল মিশ্র। ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।রেল সূত্রে খবর, শনিবার সকালে ট্রেনটি সেকেন্দ্রাবাদ থেকে শালিমারে দিকে আসছিল। হাওড়ার নলপুরের আগের স্টেশন বাউরিয়া থেকে ট্রেনটি এক নম্বর লাইনে যাওয়ার সিগন্যাল পায়। নলপুর স্টেশনেও ঘোষণা করা হয়, এক নম্বর লাইন দিয়ে থ্রু ট্রেন যাবে। টেনটি নলপুর স্টেশনে ঢোকার আগে ক্রসিংয়ের কাছে লাইনচ্যুত হয়। দেখা যায়, ট্রেনের ইঞ্জিন রয়েছে পাশের ডাউন লাইনে। ‌ ইঞ্জিনের পিছনেই পার্সেল ভ্যান এবং তার পিছনের মোটর ভ্যান ছিল। পার্সেল ভ্যানটি ডাউন ও মিডল লাইনের মাঝামাঝি চলে এসেছে। মোটর ভ্যানটি লাইনচ্যুত অবস্থায় রয়েছে মিডল লাইনের উপরে। চারটি কামরাও রয়েছে মিডল লাইনে। দুটি কামরা আবার মিডল ও ডাউন লাইনে রয়েছে। এর পরে পিছনের দিকের কামরাগুলিও ডাউন লাইনে রয়েছে।স্বাভাবিকভাবে রহস্য দানা বাঁধছে, কীভাবে এমনটা ঘটল। রেলের কর্তাদের প্রাথমিক বক্তব্য, ইঞ্জিনের সঙ্গে ট্রেনের কামরাগুলি ঠিকঠাকই চলছিল, কিন্তু তার পরই সেসব কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। স্লিপারের উপর দিয়ে ঘষতে ঘষতে আসায় এক নম্বর লাইনের স্লিপার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পেনড্রল ক্লিপ ভেঙে গিয়েছে, কোথাও তা খুলে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০০ মিটারের বেশি ডাউন লাইন। প্রশ্ন উঠছে, এক নম্বর লাইনে ইঞ্জিন থাকা সত্ত্বেও কিভাবে বাকি ছটি কামরা আপ লাইনে চলে এল। তাহলে কি ক্রসিংয়ের মুখ দু নম্বর লাইনের দিকে ঘোরানো ছিল? যে কারণে ইঞ্জিনটি ক্রসিং পেরিয়ে এক লাইনেই থাকতে পারলেও বাকি ক্যামেরাগুলো ডাউন লাইনে আসতে না পেরে মিডল লাইনে চলে আসে এবং পার্সল কামরাটি ডাউন ও মিডল লাইনের মাঝ দিয়ে ঘষটে ঘষটে আসে। ফলে ডাউন লাইনের স্লিপার পেনড্রল ক্লিপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার একাংশের বক্তব্য, যদি ইঞ্জিন-সহ গোটা ট্রেনটাই সিগন্যাল ভুল করে বা ক্রসিং দিয়ে মিডল লাইনে চলে আসে, তাহলে ফের ইঞ্জিন ডাউন লাইনে গেল কীভাবে? ফলে সবমিলিয়ে এই ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে রীতিমতো ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ডিআরএম খড়গপুর আর কে চৌধুরী, এজিএম সৌমিত্র মজুমদার-সহ রেলের উচ্চপদস্থ কর্তারা সেখানে পৌঁছন। ধীরে ধীরে ট্রেন সরানো হয়। দুর্ঘটনার ফলে মিডলাইন এবং ডাউন লাইনে পুরোপুরি ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। আপলাইন দিয়ে বন্দে ভারত-সহ কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেন পাস করানো হয়। কিন্তু তিনটি লাইনেই লোকাল ট্রেন পুরোপুরি বন্ধ ছিল। এজিএম সৌমিত্র মজুমদার বলেন, ”ট্রেনটি ডাউন লাইন দিয়েই যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কীভাবে মিডল লাইনে চলে গেল, সেটাই তদন্ত করে দেখা হবে।”

Card image cap

আর জি করে ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যু

রাজ্যে ফের ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যু। এবার খাস কলকাতায় আর জি কর হাসপাতালে মৃত্যু হল যুবকের। এনিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হল ডেঙ্গুতে।মৃতের নাম বিট্টু সিংহ। বয়স ৩৬ বছর। জোড়াবাগান এলাকার বাসিন্দা। গতকাল জ্বর নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ডেথ সার্টিফিকেট ডেঙ্গু জ্বরের উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ্য, কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্ত সাড়ে সাত হাজার। ফিভার ক্লিনিকে টেস্ট করে রিপোর্ট তাঁদের পজিটিভ হয়েছে। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যাটা ১৫ হাজার পার করেছে। তবে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর এবং পুরসভার বক্তব্য, এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ গতবারের তুলনায় অনেক কম।প্রসঙ্গত, কালীপুজো শেষ না হতেই কলকাতা-সহ রাজ্যের সাতটি জেলায় সাড়াশির মতো আক্রমণ করছে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মশা। একই ব্যক্তি সরকারি ফিভার ক্লিনিকে জ্বর, গা ব্যথার উপসর্গ নিয়ে আসছে। একই শরীরে ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়ার জোড়া আক্রমণ। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্তত ৬টি জেলায় প্রতি দশ রোগীর মধ্যে ৫ জন ডেঙ্গু এবং ফ্যালসিফেরাম ম্যালেরিয়া রোগী পাওয়া যাচ্ছে। অবস্থা সামাল দিতে মেডিক্যাল কলেজ থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফিভার ক্লিনিক চালু হয়েছে। যথেষ্ট পরিমাণে ডেঙ্গুর টেস্ট কিট জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দপ্তর থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। রোজ কত ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া টেস্ট হচ্ছে তার তথ্য পরদিন স্বাস্থ্য দপ্তরের কমিউনিটি মেডিসিন ও পাবলিক হেলথ বিভাগে পাঠাতে হচ্ছে। ডেঙ্গুর হট স্পট চিহ্নিত করে ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগে পাঠাতে হচ্ছে।

Card image cap

ফের রাজপথে জুনিয়র ডাক্তাররা

অভয়া কাণ্ডের  তিনমাস হয়ে গিয়েছে।  বিচারপ্রক্রিয়া চলছে। আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের মামলায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে মূল অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়েছে। ১১ নভেম্বর থেকে শিয়ালদহ আদালতে শুরু হবে বিচারের প্রক্রিয়া। এই পরিস্থিতি শনিবার, তিনমাসের মাথায় ফের রাজপথে আন্দোলনে নামল জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন। শনিবার একদিকে এসএসকেএমে গণ কনভেনশনের ডাক দিল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। অন্যদিকে, ‘দ্রোহের গ্যালারি’ সাজিয়েছেন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্যরা। আর একযোগে কলকাতার পথে মিছিলে নেমেছে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট, জয়েন্ট ডক্টরস প্ল্যাটফর্ম  এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট ডক্টরস ফোরাম। শামিল  নাগরিক সমাজেও। গত ৯ আগস্ট হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনা তোলপাড় ফেলেছিল গোটা দেশে। নারী সুরক্ষা নিয়ে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠেছিল।  দেশজুড়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।  তাঁদের সমর্থন করেন সিনিয়র ডাক্তাররাও। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে সিবিআই সেই তদন্তভার নেওয়ার পর মাস দুয়েকের মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।অভয়ার সুবিচারের দাবিতে গত কয়েক মাস ধরে কলকাতার রাজপথ সাক্ষী ছিল আন্দোলনের। উৎসবের মরশুমেও তা চলেছে। ঘটনার তিনমাসের মাথায় ফের তা পথে প্রতিবাদে নামলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শনিবার প্রতিবাদী সমস্ত ছবি দিয়ে আর জি কর এবং এসএসকেএমের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে সাজানো হয়েছে ‘দ্রোহের গ্যালারি’।  জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে আবেদন, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে এমন গ্যালারি হোক।‘দ্রোহের গ্যালারি’র পাশাপাশি শনিবার ফ্রন্টের তরফে মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলে শামিল হয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। রয়েছেন জয়েন্ট ডক্টরস প্ল্যাটফর্ম  এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট ডক্টরস ফোরামের সদস্যরাও। অন্যদিকে, এসএসকেএমের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে গণ কনভেনশনের আয়োজন করেছে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের পালটা সংগঠন জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। অ্য়াসোসিয়েশনের তরফে সৌরভ কুমার দাসের বক্তব্য, ”আমরাই প্রথম দিন সব কিছু নির্বিশেষে মানুষকে আহ্বান জানাই। আর জি কর হাসপাতাল অন্য অনেক হাসপাতাল থেকে বেশি নিরাপদ। প্রত্যেক মেয়ের সম্মান আর জি করে ছিল। আমরা আন্দোলনের নামে রাজনীতি চাইনি। আমরা চাই দোষীদের ফাঁসি হোক। সিবিআই দ্রুত তদন্ত করুক। আমরা চাই ২৬ জানুয়ারির মধ্যে এর বিচার শেষ হোক। ‘অভয়া’ ওয়ার্ড ওর নামে হোক। যাঁরা রাজনীতির শিকার বলছেন, তাদের সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হোক। দিদির কাজের ওয়ার্ডের নিচের তলায়, আসফকুল্লা, উপরের তলায় অনিকেত কাজ করেন। যাঁরা বলছেন, রাজনীতির শিকার, তাঁদের হেফাজতে নিক। যাদের দরকার নিক। ওরা কী জানে খুঁজে বার করতে হবে। নাকি শুধুই টাকার খেলা!” তাঁর আরও বক্তব্য, ”সব তোলা টাকার হিসাব চাই। ৪.৭৫ কোটি টাকার হিসাব চাই। এই টাকা অভয়া দিদির বাড়ির লোককে দেওয়া হোক। এত টাকা কোথায় গেল? কেন পার্সোনাল অ্যাকাউন্টে গেল? রাজ্য সরকার তদন্ত করুক। ইডি নজর রাখুক। আর জি করের দুর্নীতির চেয়ে বেশি টাকার দুর্নীতি উঠে আসবে।” 

Card image cap

স্ত্রী-দিদিশাশুড়িকে কুপিয়ে ‘খুন’ যুবকের

ধারাল অস্ত্রের কোপে স্ত্রী ও দিদাশাশুড়িকে খুনের অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কালীগঞ্জ থানার পলাশি স্টেশন পাড়া এলাকায়। আহতদের চিৎকার শুনে ফাঁড়িতে খবর দেয় প্রতিবেশীরা। পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।মৃত তরুণীর নাম রিয়া হালদার। বয়স ২২ বছর। মৃত রিয়ার দিদা ৬২ বছরের সারথি হালদার। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে তরুণীর স্বামী দীনেশ হালদার কুপিয়ে খুন করে। খুনের কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা রয়েছে।তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে রিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় দীনেশের। কিন্তু তাঁদের বনিবনা হচ্ছিল না বলেই খবর। রিয়া কর্মসূত্রে বাইরেও চলে যান। দিনকয়েক আগে বাড়ি এসেছিলেন।গতকাল রাতে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে পলাশীপাড়া এলাকায় দিদিশাশুড়ির বাড়িতে যায় অভিযুক্ত। সেখানেই ছিলেন রিয়া। এর পরই ধারাল অস্ত্র দিয়ে দুজনকে এলোপাথাড়ি কোপায় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক। মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদের এক আত্মীয় বলেন, “ঘটনার খবর শুনে এসেছি। কী কারণে এই কাণ্ড কিছুই জানি না।” 

Card image cap

অভিযুক্ত ৭ ডাক্তারি পড়ুয়াকে ক্লাস করার অনুমতি হাই কোর্টের

‘থ্রেট কালচারে’ অভিযুক্ত থাকলেই সাসপেন্ড করে ক্লাস থেকে বিরত করা যাবে না। তা জানিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সাসপেন্ডেড পড়ুয়াদের ক্লাস করার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আপাতত ডাক্তারি ক্লাস করতে পারবেন ৭ জন পড়ুয়া। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ ইন্টার্ন এবং বাকিরা পিজিটি চিকিৎসক। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, তাঁরা ক্লাস করলেও এখনই হস্টেলে ঢুকতে পারবেন না। তবে ক্লাস করতে কোনও বাধার মুখে পড়লে স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হতে পারবেন ওই পড়ুয়ারা।গত সেপ্টেম্বরে এই সাত জুনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্রী র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচারে’র অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। কলেজ কাউন্সিল অবশ্য অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে। জরুরি বৈঠকে অভিযোগ খতিয়ে দেখে সাত পড়ুয়া-সহ বেশ কয়েকজনকে সাসপেন্ড করে কাউন্সিল। হস্টেলে প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়। কলেজ কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের হয়ে মামলা লড়েন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সওয়াল করেছিলেন যে র‌্যাগিংয়ে ঠিক কী অভিযোগ, তা জানানো হয়নি। একতরফাভাবে কীভাবে কলেজ কাউন্সিল এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে?শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলাটি উঠলে তিনি অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানান, আপাতত ক্লাস করতে পারবেন ওই ডাক্তারি পড়ুয়ারা। আর তা করতে গিয়ে কোনও বাধা পেলে স্থানীয় থানার সাহায্য নিতে পারবেন। তবে এখনই হস্টেলে প্রবেশে করতে পারবেন না। পরবর্তী শুনানি আগামী ১১ নভেম্বর। উল্লেখ্য, এর আগে এই থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ৫১ জনকে সাসপেন্ড করা হলে, প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কর্তৃপক্ষকেই। এবার বর্ধমান মেডিক্যালের অভিযুক্তদের সাসপেনশন স্থগিত করে হাই কোর্ট ক্লাসের অনুমতি দেওয়ায় তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Card image cap

ফের মেট্রোয় ‘আত্মহত্যা’র চেষ্টা!

ভরদুপুরে ফের মেট্রোয় ঝাঁপ। এবার ঘটনাস্থল শোভাবাজার। এদিন দুপুর ১২ টা বেজে ৪৫ মিনিট নাগাদ কবি সুভাষগামী মেট্রো ঢুকতেই লাইনে ঝাঁপ দেন এক ব্যক্তি। তড়িঘড়ি লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনার জেরে ব্যহত মেট্রো পরিষেবা। প্রবল ভোগান্তির শিকার আমজনতা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বেলা ১২ টা বেজে ৩৬ নাগাদ মেট্রোটি দমদম ছাড়ে। ১২ টা বেজে ৪৫ মিনিট নাগাদ পৌঁছয় শোভাবাজারে। প্রচুর যাত্রীর ভিড় ছিল স্টেশনে। সেই সময় আচমকাই এক ব্যক্তি লাইনে ঝাঁপ দেন। স্বাভাবিকভাবেই সকলে হতচকিত হয়ে পড়েন। বিষয়টি বোঝামাত্রই লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আপ ও ডাউন-দুই লাইনেই আংশিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় পরিষেবা। শুরু হয় উদ্ধার কাজ।এই ঘটনার জেরে প্রবল সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। কেউ বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন। কেউ আবার অপেক্ষা করেন মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার জন্য। শহরের লাইফ লাইন মেট্রো। অতি অল্প সময়ে যা যাত্রীদের পৌঁছে দেয় গন্তব্যে। সেখানেই লাগাতার এহেন ঘটনায় বিরক্ত যাত্রীরা।

Card image cap

ঝাড়গ্রাম মেডিক্যালের ডাক্তারের রহস্যমৃত্যু!

আর জি কর আবহে এবার ঝাড়গ্রাম মেডিক্যালের রেসিডেন্ট ডাক্তারের রহস্যমৃত্যু। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার দেহ। পাশে মিলেছে একটি সিরিঞ্জ ও সুইসাইড নোট। সম্পর্কের জটিলতা নাকি থ্রেট কালচারের জেরে এই চরম পরিণতি? ক্রমশ ঘনাচ্ছে রহস্য।জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের নাম দীপ্র ভট্টাচার্য। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগে কর্মরত ছিলেন তিনি। একাই থাকতেন ঝাড়গ্রামের ঘোড়াধরা এলাকার একটি ফ্ল্যাটে। স্ত্রী ও পরিবার অন্যত্র থাকতেন। সূত্রের খবর, এদিন দীর্ঘক্ষণ স্ত্রী দীপ্রর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তাতেই তাঁর সন্দেহ হয়। ছুটে আসেন ফ্ল্যাটে। ডাকাডাকি করেও কোনও লাভ হয়নি। দরজা ভাঙতেই উদ্ধার হয় দীপ্রর দেহ। পাশে পড়েছিল একটি সুইসাইড নোট ও সিরিঞ্জ।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন চিকিৎসক। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। রিপোর্ট হাতে এলে স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ। তবে এই ঘটনায় উঠে এসেছেন একাধিক বিষয়। শোনা যাচ্ছে, স্ত্রীর সঙ্গে কিছু সমস্যা চলছিল দীপ্রর। এদিকে আর জি কর নিয়েও উদ্বিগ্ন ছিলেন। থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও সোশাল মিডিয়ায় অভয়ার মৃত্যু সংক্রান্ত পোস্ট করেছেন তিনি। কিন্তু কেন মৃত্যু? নেপথ্যে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি নাকি অন্যকিছু? তা এখনও স্পষ্ট নয়। আর জি কর আবহে এই ঘটনায় প্রবল শোরগোল এলাকায়।

Card image cap

হাওড়া-বাঁকুড়া রুটে ছুটবে লোকাল

হাওড়া থেকে এবার সরাসরি বাঁকুড়া পৌঁছে যাওয়া যাবে একই লোকাল ট্রেনে। ফলে বিষ্ণুপুর, মুকুটমণিপুর পর্যটনস্থলে যেতে এবার আর খড়গপুর হয়ে ঘুরপথে যেতে হবে না। এতোদিন হাওড়া থেকে ঘুরপথে ২৩১ কিলোমিটারের পথে পাড়ি দিতে হত। যে পথ এবার সংক্ষিপ্ত হয়ে দাঁড়াবে ১৮৫ কিলোমিটারে।হাওড়া থেকে মশাগ্রাম হয়ে বাঁকুড়া যাওয়ার এই রেলপথে সংযোগস্থল মশাগ্রামে নন ইন্টারলকিংয়ের কাজ হবে। মশাগ্রাম থেকে শক্তিগড় স্বয়ংক্রিয় সিগন‌্যালের কাজ হবে আগামী ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। এজন‌্য বহু দূরপাল্লা ও লোকাল ট্রেন বাতিলের পাশপাশি ঘুরপথে যাতায়াত করবে বলে জানিয়েছে হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জীবকুমার। ১৭ নভেম্বরই হবে কমিশন। হাওড়া থেকে বাঁকুড়া ওই লাইনে ১১০ কিলোমিটার বেগে চলবে ট্রেন। তবে মশাগ্রাম থেকে সিঙ্গল লাইন হওয়ায় সময়ের তারতম‌্য ঘটবে। এজন‌্য মশাগ্রামে নতুন প্ল‌্যাটফর্মও তৈরি করেছে রেল।হাওড়া থেকে শক্তিগড় নতুন এই সিগন‌্যাল ব‌্যবস্থায় ৭৫ মিটার ব‌্যবধানে ট্রেন চলতে সক্ষম হবে বলে রেলের দাবি। নতুন এই সিগল‌্যালিংয়ের কাজের জন‌্য কর্ড শাখা ও মেন শাখার বাতিল হবে আটজোড়া দূরপাল্লার ট্রেন। ঘুরপথে চলবে আরও আরও আটজোড়া দূরপাল্লার ট্রেন। ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর বাতিলের তালিকায় প্রথম দিন কর্ড শাখায় ১১টি আপ ও ১২টি ডাউন, মেন শাখায় ১৫ আপ ও ১৪টি ডাউন ট্রেন। দ্বিতীয় দিন কর্ড শাখায় আপে বাতিল ১৫টি ডাউনে ১৭টি ট্রেন। মেন শাখায় আপে বাতিল ১৮টি, ডাউনে ১৬টি ট্রেন বাতিল। শেষ দিনে আপ কর্ডে ১৪টি, মেনে ১৬টি ট্রেন বাতিল। মেন শাখায় ওই দিন ১৮টি আপ ও ১৫টি ডাউন ট্রেন বাতিল।হাওড়া থেকে বাঁকুড়ার মধ্যে যে লোকাল ট্রেন চলবে তার দায়িত্ব সামলাবে কোন ডিভিশন? কারণ মশাগ্রাম থেক বাঁকুড়া দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আওতায়। তবে হাওডা় কারসেড থাকায় মূলত পূর্ব রেলই ট্রেন চালাবে বলে জানিযেছেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রার ডিআরএম সুমিত নারুলা।

Card image cap

জগদ্ধাত্রী পুজোয় হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় বিশেষ ট্রেন

 দুর্গাপুজো, কালীপুজোর পর জগদ্ধাত্রী পুজোতেও যাত্রী সুবিধার্থে বাড়তি ট্রেন চালানো হবে। বুধবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এমনই সুখবর শোনাল পূর্ব রেল। চন্দননগরের বিখ্যাত জগদ্ধাত্রী পুজো দেখে যাতে সকলে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরতে পারে, তার জন্য রাতের দিকে হাওড়া শাখায় আপ ও ডাউন মিলিয়ে ৫ জোড়া অর্থাৎ মোট দশটি বাড়তি ট্রেন চলবে বলে জানানো হয়েছে। কোন লাইনে, কখন, কটি ট্রেন চলবে, সেই সূচিও প্রকাশ করেছে পূর্ব রেল। আগামী ৮ নভেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার থেকে ১২ তারিখ, মঙ্গলবার পর্যন্ত বাড়তি ট্রেনগুলি চালানো হবে।জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই চন্দননগরে আলোর আকর্ষণ। সেখানে পাঁচদিন ধরে পুজো হয়। সেসময় মণ্ডপ দর্শন ছাড়াও শুধু আলোর কাজ দেখতেই অনেকে যান চন্দননগরের পুজো দেখতে। এই সময় ভিড়ে ঠাসা হয়ে পড়ে প্রাচীন ফরাসি উননিবেশ। চন্দননগর থেকে যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়ে। সেই দিক মাথায় রেখে এবছর জগদ্ধাত্রী পুজোতেও বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। জানানো হয়েছে, শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিকেলের পর থেকে হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় বাড়তি ট্রেন চলবে। হাওড়া-বর্ধমান শাখায় চলবে একজোড়া বিশেষ ট্রেন। তার সূচিও প্রকাশ করা হয়েছে। একনজরে দেখে নিন ট্রেনের টাইম টেবিল।
বিকেল ৫.২০
সন্ধ্যা ৭.৫৫
রাত ৮.৩৫
রাত ১১.৩০
রাত ১২.৩০এ
ব্যান্ডেল থেকে হাওড়াগামী বিশেষ ট্রেন ছাড়বে –

সন্ধ্যা ৬.৩৫
রাত ৯.২০
রাত ৯.৫৫
রাত ১
রাত ২
হাওড়া থেকে বর্ধমানগামী বিশেষ ট্রেনটি ছাড়বে রাত ১টা ১৫ মিনিটে। বর্ধমান থেকে হাওড়াগামী লোকাল ট্রেন পাওয়া যাবে রাত ১০.৩০এ। এছাড়া বিসর্জনের দিন, অর্থাৎ ১২ তারিখ হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় আরও অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রেল। কয়েকটি লোকালের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। পুজোর চারদিন হাওড়া-মশাগ্রাম লোকাল বর্ধমান পর্যন্ত যাবে।

Card image cap

খাস কলকাতায় ২ তরুণীকে হেনস্তা-মারধর!

খাস কলকাতায় ২ তরুণীকে হেনস্তা! প্রতিবাদ করে আক্রান্ত পুরুষ বন্ধু। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে লেকটাউনে। রাতেই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই তরুণী। লেকটাউনের হোটেল থেকে ২ অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।বিষয়টা ঠিক কী? মঙ্গলবার রাতে নাচের ক্লাস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ২ তরুণী। সঙ্গে ছিলেন এক পুরুষ বন্ধু। অভিযোগ, দমদম পার্কের কাছে যেতেই বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী ওই যুবতীদের কটূক্তি করে। প্রতিবাদ করতেই তাঁদের হেনস্থা এবং মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুরুষ বন্ধু বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। এই ঘটনার পরই আক্রান্ত যুবতী ও যুবকের পরিবার স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ প্রসাদের দ্বারস্থ হন। তার পরই স্থানীয় কাউন্সিলর লেকটাউন থানাকে বিষয়টি জানান। রাতেই লেকটাউন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। দমদম পার্কের একটি হোটেল থেকে দুজন দুস্কৃতীকে আটক করেছে লেকটাউন থানার পুলিশ।উল্লেখ্য, দুদিন আগেই লেকটাউনে মহিলাকে কটূক্তির প্রতিবাদ করে স্বামী আক্রান্ত হয়েছিলেন। ওইদিনই বির্সজনকে কেন্দ্র করে লেকটাউন থানার এক ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকও আক্রান্ত হয়। এর পর আবার ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

Card image cap

মুখ্যসচিবকে ফের চিঠি ‘অসন্তুষ্ট’ জুনিয়র ডাক্তারদের

ফের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় তুলে ধরা আন্দোলনকারীদের ১০ দফা দাবির কতটা পূরণ হল, তার হিসেব নিকেশ নিয়ে টাস্কফোর্সের বৈঠক ডাকার আরজি জানাল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। তাঁদের অভিযোগ, ২১ অক্টোবরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বেশ কিছু বিষয়ের উল্লেখ বৈঠকের ‘রেকর্ডে’ নেই।ইমেলে জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে ‘রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন’ গঠন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু রেকর্ডে তার উল্লেখ নেই। তবে ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে ছাত্রভোট করানো হবে, তার উল্লেখ আছে ‘রেকর্ডে’। এমনকী, আরডিএ গঠন নিয়ে যে আলোচনা হয়েছিল, তার উল্লেখ নেই রেকর্ডে।ডাক্তারদের দাবি, বৈঠকের ‘রেকর্ড’ অনুযায়ী, মেডিক্যাল কলেজগুলির সমস্ত অভিযোগ প্রথমে শুনবেন হাসপাতালের অধ্যক্ষ। তার পর তা স্বাস্থ্যদপ্তরের মাধ্যমে মুখ্যসচিবের কাছে যাবে। বর্তমানে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের একাধিক নিয়মের উল্লেখ করে জুনিয়র ডাক্তাররা দাবি করেছেন, রাজ্য সরকারের কাছে নয়, ওই অভিযোগগুলি অধ্যক্ষের কাছ থেকে সরাসরি মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে পাঠানো উচিত।বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ওবিসি সংরক্ষণের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, কোনও একটি সংরক্ষণ মামলার জন্য সম্পূর্ণ নিয়োগ আটকে থাকতে পারে না। পাশাপাশি রেফারেল সিস্টেম নিয়েও তারা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী এবং ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সেই সংক্রান্ত উদ্যোগ জুনিয়র ডাক্তারদের চোখে পড়েনি। বেশিরভাগ হাসপাতালেই দেখা মেলেনি সরকারের ‘উইনার্স টিম’ এবং ‘শক্তি টিম’-এর। সবমিলিয়ে রাজ্য সরকারের আশ্বাস ও কাজের মধ্যে ফারাক রয়েছে বলেই দাবি ফ্রন্টের। এসব নিয়ে টাস্কফোর্সের সঙ্গে বৈঠক চেয়ে চিঠি দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

Card image cap

সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল আর জি কর মামলার শুনানি

পিছিয়ে গেল আরজি কর মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতির জেরে মঙ্গলবারের পরিবর্তে বুধবার এই মামলা শুনবে শীর্ষ আদালত। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে আজ রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়েছেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। যার জেরেই পিছিয়ে যায় এই মামলা।কথা ছিল মঙ্গলবার তিনটের সময় শুরু হবে আর জি কর মামলার শুনানি। সেই মতো প্রস্তুত ছিল সব পক্ষ। যদিও একেবারে শেষ মুহূর্তে জানা যায়, প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ভবনে। বিশেষ কারণে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ফলে চন্দ্রচূড়ের অনুপস্থিতির জন্য আজ শুনানি হবে না। আগামিকাল মামলার শুনানির তালিকায় আর জি কর মামলাকে দিনের প্রথম মামলা হিসেবে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।  সেক্ষেত্রে সকাল সাড়ে দশটায় শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।এর আগে ১৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে ছিল আর জি কর মামলার শুনানি। সেখানে চিকিৎসকদের তরফে অভিযোগ করা হয়, ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পের মাধ্যমে হাসপাতালের নিরাপত্তায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করছে রাজ্য সরকার। এদিকে আর জি কর মামলায় যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই সঞ্জয়ও একজন সিভিক। এই প্রেক্ষিতে মামলায় শেষ শুনানিতে সিভিক নিয়োগ, কর্মপদ্ধতি, বেতন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য হলফনামা আকারে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। পাশাপাশি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় হাসপাতাল ও স্কুলের মতো জায়গায় সিভিক নিয়োগ করা যাবে না। আদালতের নির্দেশ মতো মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দেয় রাজ্য সরকার। তবে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে গেল এই মামলা।উল্লেখ্য, আগামী ১০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেবেন চন্দ্রচূড়। আগামী ৮ নভেম্বর শুক্রবার শেষ বেঞ্চ বসতে চলেছে তাঁর। ফলে অনুমান করা হচ্ছে আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার মঙ্গলবারই শেষ বার আরজি কর মামলা শুনবেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।