CATEGORY state:

Card image cap

গৃহশিক্ষকের লালসার শিকার নাবালিকা

স্নানের ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কিশোরীকে লাগাতার ধর্ষণ! ঘটনাস্থল আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায়। এদিকে নদিয়ার তেহট্টে ৯ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।আলিপুরদুয়ারের কালচিনির গারোপাড়ার ভাতখাওয়া চা-বাগান এলাকার বাসিন্দা নির্যাতিতা। অভিযোগ, কোনওভাবে তার স্নানের ভিডিও রেকর্ড করে অভিযুক্ত। সেই ছবি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই যুবক দীর্ঘ ২ মাস কিশোরীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। এর পর পরিবারের তরফ সোমবার রাতে কালচিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ভিকি মুণ্ডা নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।এদিকে অন্যান্যদিনের মতোই এদিন গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যায় নদিয়ার তেহট্ট থানার কড়ুইগাছি এলাকার বাসিন্দা নাবালিকা। তবে খানিকটা আগেই চলে গিয়েছিল সে। তখনও আর কেউ যায়নি। সেই সুযোগই কাজে লাগায় অভিযুক্ত। গৃহশিক্ষক ঘরে একা পেয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবেই মেয়েটি ভয় পেয়ে যায়। কান্নাকাটি করতে করতে বাড়ি চলে যায়। বাড়িতে গিয়ে গোটা বিষয়টা জানায়। জানাজানি হতেই গৃহশিক্ষকের উপর জনরোষ তৈরি হয়। তেহট্ট থানার পুলিশ গৃহশিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বিকেলে নাবালিকার মা সমস্ত ঘটনার কথা উল্লেখ করে তেহট্ট থানায় ধর্ষণের চেষ্টা, শ্লীলতাহানি ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Card image cap

ইকো পার্কের মূল আকর্ষণ ‘সৌর গম্বুজ’

চারিদিকে জলধারা। তার মাঝখানে মস্ত আকৃতির গম্বুজ। গগনচুম্বী পুরো গম্বুজটিই সোলার প‌্যানেলে মোড়া। স‌্যাটেলাইট নিউটাউন শহরের মূল আকর্ষণীয় ইকো পার্কের ভিতরের এক প্রান্তে সেটি গড়ে উঠেছে। কর্তৃপক্ষ যার নামকরণ করেছে ‘সোলার ডোম’ বা সৌর গম্বুজ। যা পার্ক ঘুরতে আসা দর্শকদের কাছে ইতিমধ‌্যেই নজর কাড়তে শুরু করেছে।এ রাজ‌্য তো বটেই, অল্প সময়ে দেশের পর্যটন মানচিত্রে বিরাট পরিচিতি লাভের পাশাপাশি ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে সুনাম কুড়িয়েছে ইকোপার্ক। প্রকৃতি তীর্থের ভিতর ‘ধামসা’ ট্রাইবাল রেস্তোঁরা রয়েছে। তার পাশেই প্রায় ৭-৮ তলা বাড়ি সমান নজর কাড়া সোলার ডোমটি ঘিরে এই মূহূর্তে পার্ক ঘুরতে আসা দর্শকদের কৌতূহলে তুঙ্গে। সেই ঔৎস‌ুক‌্যের অবসান ঘটাতে সোলার ডোমটি খুলে দিচ্ছে পার্ক কর্তৃপক্ষ হিডকো। সংস্থার মতে, আগামী শীতের মরশুমের আগে ইকো পার্কের দর্শনার্থীদের আরও আকর্ষণ বাড়াবে সৌর গম্বুজটি। আজ, মঙ্গলবার বিকেল ৪-টে নাগাদ রাজ‌্যের মন্ত্রী তথা হিডকোর চেয়ারম‌্যান ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে সোলার ডোমের গেট খুলে দেওয়া হবে। রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা, হিডকো ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের সহযোগিতায় সুইজারল্যান্ডের একটি নামজাদা সংস্থার পরামর্শে তৈরি হয়েছে সৌর গম্বুজটি।হিডকো সূত্রে খবর, বিশ্ব উষ্ণায়নের যুগে বিকল্প শক্তি ব‌্যবহারে পড়ুয়া ও পার্ক দর্শনার্থীদের হাতে-কলমে পাঠ দিতে ২০১৯ সাল থেকে সৌর গম্বুজটির তৈরির উদ‌্যোগ নেওয়া হয়। মূলত লোহার কাঠামো, কাঁচ, সোলার প‌্যানেল ইত‌্যাদিতে তৈরি গম্বুজটির প্রায় ছ’বছর ধরে কাজ চলেছে। সেটি জুড়ে প্রায় ২ হাজার সোলার প্যানেল রয়েছে। সেখান থেকে রোজই ১৮০ কিলোওয়াটের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা। এই সৌর বিদ‌্যুত ব‌্যবহারে সোলার ডোমের ভিতরের আলো, পাখা, কম্পিউটার, লিফট-সহ পার্কের আলোও জ্বলবে। হিডকোর আধিকারিকদের মতে, আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে গেলে দরকার বিকল্প শক্তির ব্যবহার। বর্তমানে বিশ্বের উন্নতশীল দেশগুলিতে সৌর, বায়ু, গোবর ইত‌্যাদি শক্তির প্রচলন অনেকটাই বেড়েছে। তাই এ রাজ‌্যে বিকল্প শক্তির ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমজনতার উৎসাহ বাড়াতে বিরাট আকারের সোলার ডোমটি তৈরি হয়েছে। যার ভিতর জুড়ে থাকছে গ্যালারি, স্ক্রিন-প্রজেক্টর, সেমিনার হল, প্ল্যানেটরিয়াম, মেরিন একোয়ারিয়াম, ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পয়েন্ট ইত‌্যাদি।

Card image cap

SSKM-এ ‘গাফিলতি’তে রোগীমৃত্যু

রেফার ‘রোগ’ বন্ধ করতে সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম চালুর দাবিতে সরব হয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দাবি পূরণে পদক্ষেপও করেছে রাজ্য। এই পরিস্থিতিতেও রেফার রোগের বলি আরও একজন। সোমবার রাতে ওই রোগীকে এনআরএস থেকে রেফার করা হয়েছিল এসএসকেএমে। কিন্তু সেখানে ভর্তি নেওয়া হয়নি। উলটে ফের পাঠিয়ে দেওয়া হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যালে। রাতেই আবার পাঠানো হয় এসএসকেএমে। কিন্তু মেলেনি চিকিৎসাও। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের সুপারিশ পত্র হাতে পেয়ে রোগীকে এমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সুশীল হালদার। তিনি গড়িয়ার বাসিন্দা। সোমবার আচমকা তাঁর নাক-মুখ থেকে শুরু হয় রক্তক্ষরণ। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস মেডিক্যালে। কিন্তু সেখানে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। রেফার করে দেওয়া হয় এসএকেএমে। কিন্তু সেখানে ছুটে গিয়েও কাজ হয়নি। ফের ওই রোগীকে পাঠানো হয় এনআরএস-এ। গভীর রাতে আবার ওই রোগীকে পিজি অর্থাৎ এসএসকেএম হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু বেড না থাকায় তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। মেলেনি নূন্যতম চিকিৎসাও।উপায় না দেখে রোগীকে সঙ্গে নিয়েই পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার সাতসকালে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অফিসে হাজির হন। বিষয়টি জানামাত্রই তৎক্ষণাৎ মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ভর্তির সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়। সেই চিঠি নিয়ে রোগীর পরিবার ফের আসেন পিজি হাসপাতালে। এর পর রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় এমার্জেন্সিতে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি। চিকিৎসকরা জানান, সুশীল বাবুর মৃত্যু হয়েছে। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে হাসপাতালগুলোর ব্যবস্থাপনা। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয়ে চিকিৎসক সুর্বণ গোস্বামী বলেন, “দিনের পর দিন এই ঘটনা ঘটছে। এই সব সমস্যা দূর করতেই জুনিয়র চিকিৎসকরা বারবার সরব হয়েছেন।”

Card image cap

শুভেন্দুকে আর্জি অভয়ার বাবা-মায়ের

মেয়ের সুবিচারের আশায় এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দ্বারস্থ অভয়ার বাবা-মা। বললেন, “আপনি আপনার বোনের বিচারের ব্যবস্থা করুন।” শুভেন্দু বললেন, “আমি ওনাদের সঙ্গে ছিলাম। বিচার না পাওয়া অবধি পাশে থাকব।”আর জি কর কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। ঘটনার পর প্রায় তিনমাস হতে চলেছে, তবে এখনও সুবিচার মেলেনি। বর্তমানে প্রত্যেকের দাবি একটাই, দ্রুত সুবিচার। এই পরিস্থিতিতে রবিবার রাতে আর জি করের মৃত চিকিৎসকের বাড়িতে যান শুভেন্দু অধিকারী, কৌস্তভ বাগচী-সহ অন্যান্যরা। অভয়ার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। শুভেন্দুকে কাছে পেয়ে মৃতার বাবা-মা বলেন, “আপনি আপনার বোনের বিচারের ব্যবস্থা করুন।” বাড়ি থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমি বারবার বিভিন্ন মঞ্চ থেকে ওকে আমার বোন বলেছি। আজ অভয়ার বাবা-মা আমাকে বলেছেন, আমি যখন তাঁদের মেয়েকে বোন বলে ডেকেছি তখন এরকম নারকীয় ঘটনার শাস্তি দেওয়ার দায়িত্বও আমার। এর জন্য যা যা করণীয় আমি যেন তাই করি।”প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার পর থেকে ফুঁসছে প্রায় গোটা রাজ্য। আন্দোলনে শামিল চিকিৎসকরা। দুদফায় কর্মবিরতি করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সুবিচারের দাবিতে ‘রাত দখল’ এবং ‘ভোর দখল’ও করেন আন্দোলনকারীরা। দফায় দফায় রাজপথে মিছিলও করেছেন তাঁরা। এদিকে তদন্তভার হাতে পেয়েই রহস্যভেদে ঝাঁপিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। গ্রেপ্তার হয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তবে ঠিক কী ঘটেছিল, তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। সেই রহস্যভেদেই চলছে জেরা।

Card image cap

লেকটাউনে মহিলার ‘শ্লীলতাহানি’

কালীপুজোর বিসর্জন সেরে ফেরার পথে গৃহবধূকে অশালীন মন্তব্য, মারধর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে লেকটাউনে ধুন্ধুমার। এই ঘটনায় লেকটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া, গতরাতে বাজি ফাটানো নিয়ে লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়ি এলাকাতেও উত্তেজনা তৈরি হয়। পাতিপুকুর জে এম সরকার ষ্ট্রিট এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা। রবিবার রাতে স্বামীর সঙ্গে স্পোর্টিং ক্লাবের কালীপ্রতিমা নিরঞ্জনে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথেই বিপত্তি। অভিযোগ, বেশ কয়েকজন যুবক ওই মহিলার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। কুরুচিকর মন্তব্য করা হয় তাঁকে। শ্লীলতাহানি এবং প্রতিবাদ করায় মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। বাধা দিতে যান মহিলার স্বামী। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।এর পর ওই দম্পতি লেকটাউন থানার দ্বারস্থ হন। সেখানে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ামাত্রই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। রবি রাজভর, মনোজ রাজভর এবং সিরাজ হোসেন নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা প্রত্যেকেই উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের বাসিন্দা। ধৃতদের বিরুদ্ধে মহিলার শ্লীলতাহানি এবং মারধর-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।এদিকে, কালীপ্রতিমা বিসর্জনের সময় বাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করে লেকটাউন দক্ষিণদাঁড়ি এলাকাতেও অশান্তির ঘটনা ঘটে। দেবীঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন চলছিল। সেই সময় বাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয়। পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ। এই ঘটনাতেও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মারধর ও সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়।

Card image cap

‘সরকার ফাঁসাচ্ছে’, দাবি একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয়ের

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার ৮৭ দিন পর শুরু হল চার্জ গঠন প্রক্রিয়া। শিয়ালদহের জেলা ও দায়রা আদালতে সোমবার অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে পেশ করা হয়। সিবিআইয়ের চার্জশিটে একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে এই সঞ্জয় রায়ের নামই রয়েছে। বিচারক রুদ্ধদ্বার কক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয় চার্জ গঠন প্রক্রিয়া। গত ৯ আগস্ট আর জি করের ঘটনার ৮৭ দিনের মাথায় চার্জ গঠন শুরু হল। সূত্রের খবর, ১১ নভেম্বরের পর থেকে প্রায় প্রতিদিন শুনানি হবে।  এদিন আদালত থেকে বেরনোর সময়ে অভিযুক্ত সঞ্জয় দায়ী করল সরকারকে। তার কথায়,  ”সরকার আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমাকে ভয় দেখাচ্ছে যে তুমি কিছু বলবে না। ডিপার্টমেন্ট আমাকে ভয় দেখাচ্ছে।”গত ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। অক্টোবর মাসে সেই চার্জশিট গঠন করা হয়েছিল। এর পর সোমবারের শুনানিতে শিয়ালদহ আদালত চার্জ গঠনের দিন ঘোষণা করতে পারে বলে সম্ভাবনার কথা শোনা গিয়েছিল। তবে চার্জশিট পেশের ২৮ দিন পর, এদিন থেকেই চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হল।এদিকে, আদালতে দাঁড়িয়ে ফের নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে সঞ্জয় রায়। তার বক্তব্য, ”আমি যখন বলেছি, আমার কথা শোনেনি। আমি এতদিন চুপ ছিলাম। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার নামে সব কিছু বার হচ্ছে। আমি কিন্তু রেপ অ্যান্ড মার্ডার করিনি। আমি বললাম যে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমাকে সেখানেও যেতে দিল না। সরকার আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমাকে ভয় দেখাচ্ছে যে তুমি কিছু বলবে না। ডিপার্টমেন্ট আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। আমি পুরোপুরি নির্দোষ।” এর আগেও শুনানির সময় একাধিকবার সঞ্জয় বার বার দাবি করেছে, সে নির্দোষ। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এদিনও সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, এর নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিত মণ্ডল জড়িত। তাদের বিরুদ্ধেও চার্জশিট পেশ করতে চায় সিবিআই। তবে  তাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত প্রমাণ এখনও হাতে আসেনি বলে খবর সূত্রের।এনিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ তথা মিডিয়া কমিটির অন্যতম সদস্য কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”পুলিশ সঞ্জয়কে প্রথম গ্রেপ্তার করে। সিবিআই তাকেই দোষী বলে ৫৭ দিনের মাথায় চার্জশিট দিয়েছে। সিবিআই এখন সঞ্জয়কে দোষী বলে চার্জশিট দিয়েছে, তাহলে মেনে নিন পুলিশের গ্রেপ্তার ঠিক ছিল। এটা তদন্তের বিষয়। কিছু মন্তব্য করব না।”

Card image cap

পুজো করতে এসে নাবালিকার ‘শ্লীলতাহানি’

 পারিবারিক কালীমন্দিরে দীর্ঘ আট বছর ধরে পৌরোহিত্য করতেন। বাড়ি থেকে আসার পর ওই বাড়িতেই পোশাক বদলে ধূতি পরে উত্তরীয় গলায় পুজোয় বসতেন। তখন পরিবারের বধূ দেবীর পুজোর জোগাড় করতে ব্যস্ত। পোশাক বদলের অছিলায় দোতলার ঘরে গিয়ে যজমানের ১২ বছরের নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার ঘটনায় গ্রেপ্তার পুরোহিত। পুলিশ জানায়, ধৃত ষাটোর্ধ্ব বিমল কুমার রায়। ভাতারের রায়রামচন্দ্রপুর গ্রামে তার বাড়ি। পৌরহিত্যের পাশাপাশি বিমল রায় তবলাবাদক বলেও পরিচিত। গুসকরা শহরের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে পারিবারিক কালীপুজো হয়। বসতবাড়ি লাগোয়া মন্দির। সারাবছর দেবীর নিত্যসেবা হয়। ওই বাড়িতেই আট বছর ধরে পৌরোহিত্য করেন বিমল কুমার রায়। সাইকেল চড়ে গুসকরা শহরে যাতায়াত করতেন। তবলার টিউশন এবং পৌরহিত্য করতেন। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে পুজোর পর বিমল রায় বাড়ি চলে যান। শুক্রবার সকালে ফের পুজো করতে যান। তার আগেই গৃহকর্ত্রী পুজোর জোগাড় করতে ব্যস্ত। মন্দিরে বসে তিনি নৈবেদ্য সাজাচ্ছিলেন। গৃহকর্তা দোকানে ছিলেন। নাবালিকার মা বলেন,”পুরোহিতকে কাকা বলতাম। কাকা আসার পর আমাদের ঘরের একতলার বারান্দায় পোশাক ছাড়তে যান। ওখানেই পুজো করার ধূতি রাখা থাকত। আমি তখন মন্দিরে। দোতলার ঘরে আমার মেয়ে ছিল। ছয় বছরের ছেলে বাড়িতে খেলা করছিল।”অভিযোগ, পোশাক ছাড়তে গিয়ে পুরোহিত দোতলার ঘরে চুপিসারে চলে যায়। তার পর নাবালিকার হাতে একটি কেক দেন। তার সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেন। নাবালিকা কোনওক্রমে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। কাঁদতে কাঁদতে গিয়ে মাকে গোটা ঘটনাটি জানায়। মেয়ের মুখে অভিযোগ শুনে বধূ পাড়াপড়শিদের ডাকেন। পাড়ার লোকজন তাকে ঘিরে ধরে। শুরু হয় চড়, থাপ্পর। তার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আটক করে নিয়ে যায় অভিযুক্তকে। গুসকরা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।

Card image cap

ভাইফোঁটার বাজারও আগুন

দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো শেষ। এবার পালা ভাইফোঁটার। শনিবার সকাল থেকে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভাইফোঁটার প্রস্তুতি। সারাবছর ব্যস্ততার মধ্যে দেখাসাক্ষাৎ না হলেও এইদিনে এক জায়গায় হন ভাইবোনেরা। হইহুল্লোড় যেমন হবে, তেমনই আবার কবজি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়াও চাই। তাই ব্যাগ হাতে বাজারে গৃহস্থের ভিড়। কিন্তু ভাইফোঁটার আগের দিন থেকেই বাজার আগুন। রীতিমতো পকেটে ছেঁকা দিচ্ছে সবজি থেকে মাছ, মাংস, ফল, মিষ্টির দাম।চলতি বছর পুজোর ঠিক আগেই দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। তার ফলে পচে যায় প্রচুর শাকসবজি। তাই স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে দাম। চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৩৬ টাকা কেজি। জ্যোতি ৩০-৩২ টাকা। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা কেজিতে, পটল ৮০, কাঁচালঙ্কা ২০০-২৫০, টম‌্যাটো ১০০-১২০, বিনস ১০০ টাকায়। ফুলকপি, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা প্রতি পিসে।শুধু সবজির বাজারই নয়, একই অবস্থা মাছ-মাংসের বাজারেরও। কলকাতার বাজারে এক কেজি ইলিশের দাম ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার কাছাকাছি। দেড় কেজি ওজনের দাম ঘোরাফেরা করছে আঠারোশোর মধ্যে। ভাইফোঁটা আর তাতে পাবদা, ভেটকি থাকবে না তা হয় নাকি? বাজারে পাবদা বিকোচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে। ভেটকির দাম ৫০০-৫৫০ টাকা। পারশে মাছ এক কেজি প্রায় ৫০০ টাকা, মাঝারি মাপের বাগদার দাম ৮০০ টাকা। মুরগির মাংসের দাম কলকাতার বাজারে ঘোরাফেরা করছে ২৫০-এর মধ্যে। খাসির মাংসের দাম প্রতি কেজি এক হাজার টাকার আশেপাশে।এক ধাক্কায় অনেকখানি দাম বেড়েছে ফলেরও। আপেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ টাকায়, বেদানা ২৫০-৩০০, নাসপাতি ১৫০-২০০, পেয়ারা ও শশা ৬০-৮০, আনারসের ১০০ টাকা। তবে দাম যতই চড়া হোক, বছরের এই একটা দিনে ভাইয়ের পাতে পছন্দের খাবার তুলে দিতে সকাল থেকেই ভিড় বাজারে। সবজি, মাছ, মাংসের পাশাপাশি মিষ্টির দোকানেও লম্বা লাইন ক্রেতাদের।

Card image cap

বন্ধুর ফ্ল্যাটে রহস্যমৃত্যু তরুণীর!

বন্ধুর ফ্ল্যাটে রহস্যমৃত্যু তরুণীর। পার্টির পরই ফ্ল্যাটের সিঁড়িতে পড়ে যান। আর তার পরই মৃত্যু বলেই দাবি। শারীরিক অসুস্থতায় মৃত্যু নাকি ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ২/৭ শহিদ নগর এলাকার এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গড়ফা থানার পুলিশ।নিহত বছর ছত্রিশের মধুরিমা রায়। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার সন্ধেয় বন্ধুর বাড়িতে পার্টি ছিল। ওই পার্টিতেই যোগ দিয়েছিলেন তরুণী। সঙ্গে পার্টিতে যান তরুণীর বোনও। জানা গিয়েছে, পার্টিতে আকণ্ঠ মদ্যপান করেছিলেন তরুণী। রাত ১২টা নাগাদ বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছিলেন তিনি। সেই সময় আচমকাই বেসামাল হয়ে পড়ে যান। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। চিকিৎসকরা ওই তরুণীকে মৃত বলে জানান।এই ঘটনা জানাজানি হওয়ায় গড়ফা থানার পুলিশ ওই তরুণী দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। যে ফ্ল্যাটের সিঁড়িতে পড়ে গিয়েছিলেন তরুণী, সেখানেও যায় পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রায়শয়ই নাকি ওই ফ্ল্যাটে আসা যাওয়া ছিল তরুণীর। পার্টি করে বন্ধুর সঙ্গে নিত্যদিন মদ্যপানও করতেন তিনি। নিত্যদিন মদ্যপানের জেরে শারীরিক অসুস্থতায় প্রাণহানি নাকি এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তরুণীর বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

Card image cap

এবার উচ্চ মাধ্যমিকের সঙ্গে যুক্তদের সাম্মানিক সংসদের

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য সুখবর। ২০২৫ সাল থেকে তাঁদের বিশেষ সাম্মানিক দেবে উচ্চ মাধ্যমিক সংসদ। এই প্রথমবার পরীক্ষার সঙ্গে যুক্তদের সাম্মানিক দেবে সংসদ। উল্লেখ্য, গত দুবছর ধরে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ পরীক্ষা পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত সকলকে সাম্মানিক দেয়। এবার সেই পথে হাঁটল উচ্চ মাধ্যমিক সংসদও।সংসদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, উচ্চ মাধ্যমিকের সঙ্গে যুক্ত ডিস্ট্রিক্ট ইন্সট্রাক্টরদের বা ডিআই পরীক্ষার খরচ সামলাতে দেওয়া হবে ২০ হাজার টাকা। তাঁদের আগেও পরীক্ষার খরচ সামলাতে টাকা দেওয়া হত। পরের ধাপে জয়েন্ট কনভেনার তথা যুগ্ম আহ্বায়ককে সাম্মানিক হিসেবে দেওয়া হবে আড়াই হাজার টাকা। যুগ্ম আহ্বায়কের তত্ত্বাবধানে থাকবেন ১০ শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাঁদের মাথাপিছু সাম্মানিক দেওয়া হবে দেড় হাজার টাকা। এই টাকা যুগ্ম আহ্বায়ককে দেওয়া হবে। তিনিই তা বাকিদের দেবেন। এর পাশাপাশি সংসদ মনোনীত সদস্যকে সাম্মানিক হিসেবে দেওয়া হবে ৬০০ টাকা। পরীক্ষাকেন্দ্রের ইন চার্জ ও সেক্রেটারি পাবেন দেড় হাজার টাকা। পাশাপাশি ভেনু সুপার ভাইজার পাবেন ১ হাজার টাকা। পরীক্ষাকেন্দ্রের কাস্টোডিয়ান পাবেন ৭০০ টাকা। এই প্রথমবার এই সাম্মানিকের ব্যবস্থা করল সংসদ।এ প্রসঙ্গে সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “শিক্ষা সংসদের তরফে এর আগে সাম্মানিক দেওয়া হত না। আমরা তা চালু করলাম। পরীক্ষা সংক্রান্ত খরচ বাবদ শুধুমাত্র ডিআই-দের টাকা দেওয়া হত। পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত সকলেই প্রচুর পরিশ্রম করেন, তাঁদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে এই ব্যবস্থা।”

Card image cap

কালীপুজোয় অন্য ‘ভুলভুলাইয়া’ জলপাইগুড়ির ভূতপাড়ায়

কালীপুজো, দিওয়ালিতে রূপোলি পর্দা কাঁপাতে আসছে ‘মঞ্জুলিকা’ বিদ্যা বালানের ‘ভুলভুলাইয়া ৩’। কার্তিক আরিয়ান, বিদ্যা বালান, মাধুরী দীক্ষিতকে নিয়ে যতটা না চর্চা, তার চাইতে বেশি চর্চায় এখন জলপাইগুড়ির ‘ভূত পাড়া’। ভুলভুলাইয়া ফ্র্যাঞ্চাইজির মতো পর পর কালীপুজোয় দাপুটে ভূতেদের হাজির করে ভিড়ের নিরিখে চমক দেওয়া ভগত সিং কলোনির এবারের ভাবনায় অভিশপ্ত অট্টালিকা, যা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে শহরজুড়ে।ভূত নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের খামতি নেই। বাঙালি ভূত ‘মঞ্জুলিকা’কে চেনেন না, আসমুদ্র হিমাচলে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। ‘ভুলভুলাইয়া’র সেই মঞ্জুলিকা আবারও আসছে কালীপুজোয়। তাও আবার কালীপুজোয়। স্বাভাবিকভাবেই যাদের পরিচিতি ভুলভুলাইয়া আর ভূত নিয়ে, সেই জলপাইগুড়ির ভগত সিং কলোনি কালচারাল অ্যান্ড স্পোর্টিং ক্লাবও এবার সতর্ক মঞ্জুলিকাকে নিয়ে।আজ থেকে আট বছর আগে ‘ভুলভুলাইয়া’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কালীপুজোয় জ্যান্ত ভূতের প্রদর্শনী শুরু করে শহরের এই ক্লাব। কখনও ভয়মহল, কখনও আবার ভূতের হাসপাতাল। মেছো, গেছো, পেত্নি, শাকচুন্নি, ব্রক্ষ্মদত্যি, স্কন্ধকাটাদের নিয়ে গায়ে কাঁটা দেওয়া সব কর্মকাণ্ড! যা দেখার আগ্রহে কয়েকঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়েও বিরক্ত বোধ করেননি দর্শনার্থীরা। বছরের পর বছর কালীপুজোয় ভূতের শো করে ভূতপাড়া হিসেবেও পরিচিতি পায় গোটা এলাকা।

Card image cap

বর্ধমানে বড় দুর্ঘটনা এড়াল দুটি ট্রেন

কালীপুজোর সকালে বড়সড় ট্রেন দুর্ঘটনা এড়ানোর সাক্ষী রইল বর্ধমান। একটি মালগাড়ির পিছনে চলে এসেছিল শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস। কিন্তু স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালই এযাত্রা বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করল। যাত্রীরা সকলে সুরক্ষিত থাকলেও ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। কিছুক্ষণের জন্য বর্ধমান লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। রেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে গোটা বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি যাত্রীদের সমস্যার জন্য দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ৫৫ নাগাদ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি মালগাড়ি হুগলির গুড়াপ স্টেশন পার হওয়ার পর তার ইঞ্জিনটিতে ত্রুটি ধরা পড়ে। গুড়াপ ও জৌগ্রাম স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে ট্রেনটি থেমে যায়। গুড়াপ স্টেশনে মালগাড়ির ইঞ্জিনে ত্রুটির জন্য এই লাইনে ট্রেন চলাচলে বিলম্ব ঘটে। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। এই খবর পাওয়ার পর পূর্ব রেলওয়ে সঙ্গে সঙ্গে একটি উদ্ধারকারী ইঞ্জিন মশাগ্রাম থেকে ১১টা ৩৬ নাগাদ সেখানো পাঠানো হয়। জৌগ্রাম স্টেশনে দুপুর ১২টা ১০-এ তা পৌঁছয়।এদিকে, ইঞ্জিন বিকল হওয়া মালগাড়ির পিছনে একই লাইনে এসে পড়ে শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস। কিন্তু এই লাইনের স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল সক্রিয় থাকায় তা জানান দেয় এবং যাত্রীবাহী ট্রেনটি নিরাপদ দূরত্বে থেমে যায়। প্রায় ১১টা থেকে শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস থমকে যায়। যাত্রীরা সমস্যার মুখে পড়েন। দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার ফলে অনেকে ট্রেন থেকে নেমেও পড়েন। এক যাত্রীর কথায়, ”সিগন্যালের সমস্যা ছিল। সবুজের বদলে লাল সিগন্যাল দেওয়া দরকার ছিল। সামনেই একটা মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। আরেকটু হলে বড় দুর্ঘটনাই ঘটত। তবে আমাদের ট্রেনের চালক সময়মতো ট্রেন থামিয়ে দিতে পেরেছেন। তাঁকে অজস্র ধন্যবাদ। রাতে এই ঘটনা ঘটলে রক্ষা পেতাম না মনে হয়।”

Card image cap

ব্যারাকের ঘর নিয়ে ওসির সঙ্গে অশান্তি চরমে!

ওসির বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ। কালীপুজোর সকাল থেকে নাদিয়াল থানা এলাকায় ধরনায় এক মহিলা সাব ইনস্পেক্টর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল এলাকায়। পরে পুলিশের গাড়ি গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।বিষয়টা ঠিক কী? জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম সোমা তরফদার। তিনি নাদিয়াল থানায় কর্তব্যরত। সম্প্রতি ছুটিতে গিয়েছিলেন তিনি। ব্যারাকে ফিরে দেখেন, তাঁর ঘর দখল হয়ে গিয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তা নিয়েই শুরু অশান্তি। বিষয়টা নিয়ে ওসির সঙ্গে রীতিমতো কথা কাটাকাটি হয় সোমার। জল গড়ায় অনেক দূর। এবিষয়ে ওসি কলকাতা পুলিশের ডিসি (বন্দর)-এর কাছে রিপোর্ট পাঠান। তাতেও সোমা কোনও কথা শুনতে চাইছিলেন বলেই অভিযোগ। পরবর্তীতে ওই এসআইকে ‘ক্লোজ়’ করা হয়।সেই অশান্তিই বৃহস্পতিবার চরম আকার নেয়। এদিন সকালে নাদিয়াল থানা এলাকায় রাস্তার উপরেই ধর্নায় বসে পড়েন ওই সাব ইনস্পেক্টর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ আধিকারিকরা সেখানে যায়। উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী, ব্যারাকে এক ঘরে একাধিক পুলিশ কর্মী থাকতেই পারেন। কজন থাকবেন তা ঠিক হয় পুলিশকর্মীর সংখ্যার উপর। ফলত সোমার আপত্তি অযৌক্তিক বলেই দাবি পুলিশের।

Card image cap

প্রতিমাসজ্জা থেকে ভোগের আয়োজন, তদারকিতে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী

আলোর উৎসবে মাতোয়ারা গোটা দেশ। বাংলার বিভিন্ন সতীপীঠের পাশাপাশি বাড়ি এবং বারোয়ারি শ্যামা আরাধনারও বিপুল আয়োজন। এই দিন সকলের বিশেষ নজর থাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে। কারণ, এখানে প্রতি বছর কালীপুজোর নেতৃত্বে থাকেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। বাড়ির ভিতরে ছোট্ট মণ্ডপ, প্রতিমার সাজসজ্জা থেকে শুরু করে অতিথি আপ্যায়ণ, ভোগ রান্না – সমস্ত কাজের দায়িত্বে থাকেন তিনি নিজেই। এবছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।বৃহস্পতিবার সকালে নিজের বাড়ির প্রতিমার ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হলুদ-লাল শাড়ি, সোনার গয়না, ঈষৎ নীলচে বর্ণ প্রতিমাকে ‘দিগম্বরী’ রূপে বর্ণনা করেছেন তিনি। বঙ্গবাসীকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। আর সন্ধে নাগাদ দেখা গেল কালীঘাটের বাড়িতে কালী আরাধনার ছবি। বাড়ির সামনে লেখা – শুভ দীপাবলি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের হাতে আঁকা একটি ছবিও দেখা গেল।পরনে সরু বেগুনি পাড়ের সাদা শাড়ি, কাঁধে সাদা উত্তরীয়। এমন সাদামাটা গৃহকর্ত্রীর সাজেই কালীপুজোয় দেখা যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। আজও সেই রূপ তাঁর। কিছুক্ষণ পুজোর সাজসজ্জার কাজ দেখলেন মমতা। তার পর চলে গেলেন অন্যদিকে। ততক্ষণে কালীঘাটের বাড়িতে এসে পৌঁছেছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর থালায় প্রদীপ সাজিয়ে তিনি গেলেন অন্দরমহলে। তিথি মেনে আজ রাতেই তাঁর বাড়িতে কালীপুজো। সন্ধের পর থেকে শুরু হয়ে যাবে ভোগ রান্নার আয়োজন। তাতেও হাত লাগাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে বাড়িতে অতিথি-অভ্যাগতদেরও আপ্যায়ণের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি নিজে। দিন থেকে রাত, আজকের দিনটা তাঁর ব্যস্ততাতেই কাটছে।

Card image cap

আসানসোল পুরনিগমের অ্যাকাউন্ট সাফ!

এবার সাইবার অপরাধের শিকার খাস আসানসোল পুরনিগম। পুরনিগমের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৪০ লক্ষ টাকা। ভুয়ো লেটারপ্যাডে ফোননম্বর বদলের আবেদন জানিয়ে হাতানো হয় টাকা। আসানসোলের মেয়র বিষয়টি জানতে পেরে অভিযোগ দায়েরের নির্দেশ দেন পুরনিগমের অর্থ বিভাগকে। ইতিমধ্যেই তারা আসানসোল সাইবার সেলে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানান, আসানসোলের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে পুরনিগমের অ্যাকাউন্ট আছে। ২৮ অক্টোবর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যায়। যদিও পরে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ১২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে। ঘটনা প্রসঙ্গে বিধান উপাধ্যায় বলেন, “পুরনিগমের উধাও হওয়া টাকা মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে গিয়েছে। সাইবার অপরাধীরাই এই টাকা উধাও করেছে।”এই ঘটনায় আসানসোল পুরনিগমের তরফে সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মেয়র জানান, পুরনিগমের ভুয়োলেটার প্যাডে মোবাইল নম্বর বদল করার আবেদন জমা পড়েছিল ব্যাঙ্কে। সেই সূত্র ধরেই পুরনিগমের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পুরনিগমকে বিষয়টি জানানোর পরই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হওয়ার বিষয়টি নজরে আসে। এ সম্পর্কে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি সদর অরবিন্দ কুমার আনন্দ বলেন, “গতকাল রাতে মৌখিকভাবে তাদের জানানো হয়েছিল। আজ লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার কথা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Card image cap

কল্যাণীতে বধূকে ‘গণধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৮

কাকভোরে স্বামীর সঙ্গে হাঁটছিলেন মহিলা। স্বামীর কাছ কার্যত ছিনিয়ে নেয় বেশ কয়েকজন যুবক। রেলব্রিজের নিচে ঘন জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে বধূকে গণধর্ষণ করা হয় বলেই অভিযোগ। নদিয়ার কল্যাণীর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহে ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম।বুধবার ভোরে স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে বিশেষ কাজে কল্যাণীর কাঁচরাপাড়া রেলব্রিজের ধার দিয়ে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, তখন তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বেশ কয়েকজন। মহিলাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় ব্রিজের নিচে। সেখানেই তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এর পর নির্যাতিতা এবং নির্যাতিতার স্বামী কল্যাণী থানার দ্বারস্থ হন। লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে চারজন এবং পরবর্তীকালে আরও তিনজন এবং দুপুরের দিকে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে কল্যাণী থানার পুলিশ।তদন্ত নেমে ঘটনাস্থল কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেনসিক টিম। তিনজনের ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। ঘটনাস্থলের দুই জায়গায় মিলেছে নির্যাতিতার হাতের ভাঙা চুরি। আরও একটি টিফিন কৌটোও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। সেই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে বুধবার সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তারই মাঝে রাজ্যে গণধর্ষণ। কল্যাণীর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা।

Card image cap

কালীপুজোর রাতে চলবে বাড়তি মেট্রো

হাতে আর একটা দিন। পরশু অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কালীপুজো। স্বাভাবিকভাবেই অনেকেরই প্ল্যানিং রয়েছে প্যান্ডেল হপিংয়ের। সেই কথা মাথায় রেখে কালীপুজোর রাতে বাড়তি মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। তবে দিনভর অন্যান্যদিনের তুলনায় কম চলবে মেট্রো।মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার অর্থাৎ কালীপুজোর দিন দিনভর কম চলবে মেট্রো। ২৯২ টির বদলে ওইদিন চলবে ১৯৮ টি মেট্রো। তবে রাতের দিকে চলবে বাড়তি মেট্রো। জানা গিয়েছে, কবি সুভাষ ও দক্ষিণেশ্বর দুদিক থেকেই দিনের প্রথম মেট্রো ছাড়বে স্বাভাবিক সময়েই। রাতে চলবে আটটি স্পেশাল মেট্রো। রাত ৯ টা বেজে ৪০ মিনিটের পর থেকে ২০ মিনিটের ব্যবধানে মেট্রো মিলবে ১১ টা পর্যন্ত (কবি সুভাষ ও দক্ষিণেশ্বর দুদিক থেকেই)। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী মেট্রো ছাড়বে ১০ টা, ১০.২০, ১০.৪০ ও ১১ টায়। এদিকে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষগামী মেট্রো ছাড়বে ৯ টা ৪৮, ১০ টা ০৮, ১০ টা ২৮ ও ১০ টা বেজে ৪৮ মিনিটে। তবে শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক ও সল্টলেক থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত পরিষেবা স্বাভাবিকই থাকবে।উল্লেখ্য, পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতি ও শুক্রবার কালীপুজো ও দীপাবলির সময় অতিরিক্ত ভিড় সামলাতে অতিরিক্ত ৮টি ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোন রুটে কত রাত পর্যন্ত চলবে ট্রেন?
শিয়ালদহ-ডানকুনি-শিয়ালদহ ইএমইউ স্পেশাল (এক জোড়া): বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে রাত সোয়া ১২টায় ডানকুনি পৌঁছবে। ডানকুনি থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে রাত ১টা ৫ মিনিটে শিয়ালদহ পৌঁছবে।

শিয়ালদহ-বারাসত-শিয়ালদহ ইএমইউ স্পেশাল (এক জোড়া): শিয়ালদহ থেকে রাত ১২টা ১০ মিনিটে ছেড়ে রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে বারাসত পৌঁছবে। বারাসত থেকে রাত ১টা ১০মিনিটে ছেড়ে রাত ১টা ৫৫ মিনিটে শিয়ালদহ পৌঁছবে।

শিয়ালদহ-রানাঘাট-শিয়ালদহ ইএমইউ স্পেশাল (এক জোড়া): শিয়ালদহ থেকে রাত ১২ টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে রাত আড়াইটেয় রানাঘাট পৌঁছবে। রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে রানাঘাট থেকে ছেড়ে রাত ১টা ৪০ মিনিটে শিয়ালদহ পৌঁছবে।

শিয়ালদহ-বারুইপুর-শিয়ালদহ ইএমইউ স্পেশাল (এক জোড়া): শিয়ালদহ থেকে রাত সাড়ে বারোটায় ছেড়ে সোয়া একটায় বারুইপুর পৌঁছবে। এবং বারুইপুর থেকে রাত ১টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে রাত ২টো ১০ মিনিটে শিয়ালদহ পৌঁছবে।

Card image cap

কত দিন ছুটি পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা?

অক্টোবর মাসে লম্বা ছুটি পেয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। নভেম্বর মাসজুড়েও ছুটির মেলা! লম্বা উইকেন্ডের পাশাপাশি রয়েছে একাধিক পুজোর ছুটিও। নভেম্বরে মাসের ছুটির তালিকা এক নজরে।চলতি মাসের শেষদিন অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর কালীপুজো। ফলে সেদিন ছুটি থাকছে সরকারি অফিস। কালীপুজোর পরদিন অর্থাৎ ১ নভেম্বরও পুজো উপলক্ষে ছুটি দিয়ে রেখেছে নবান্ন। তার পর শনি ও রবিবার। ছুটি থাকছে। রবিবার আবার ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। সেই উপলক্ষে সোমবারও ছুটি দিয়েছে সরকার। অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ছুটি পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।দুদিন অফিস করার পরই ফের ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ছটপুজোর ছুটি রয়েছে। পুজো উপলক্ষে ৮ নভেম্বর অর্থাৎ শুক্রবারও ছুটি দিয়েছে সরকার। এর পর আবার শনি ও রবিবার। ফলে আবার ৭-১০ নভেম্বর আবার টানা ছুটি রয়েছে। আবার ১৫ নভেম্বর শুক্রবার গুরুনানকের জন্মদিন। ফের শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার পর পর তিনদিন ছুটি পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এর পর আর সপ্তাহান্ত ছাড়া আরও কোনও ছুটি নেই।ডিসেম্বরে প্রথমদিন অর্থাৎ ১ তারিখও রবিবার। ছুটি থাকছে ওইদিন। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর ছুটি পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা।