CATEGORY state:

Card image cap

'দানা' পরিস্থিতি মোকাবিলায় নবান্নে হেল্পলাইন নম্বর

'দানা' পরিস্থিতি মোকাবিলায় নবান্নে হেল্পলাইন নম্বর। নবান্নের হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২২১৪৩৫২৬, ১০৭০। ধেয়ে আসছে 'দানা', আতঙ্কে প্রহর গুণছে বাংলা! পুরী-সাগরদ্বীপের মাঝেই ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা, ঝড় বইতে পারে ১২০ কিমি গতিতে!ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে 'দানা', দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।পারাদ্বীপ থেকে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র দূরত্ব ২১০ কিমি। ধামারা থেকে 'দানা'র দূরত্ব ২৪০ কিমি। সাগরদ্বীপ থেকে ৩১০ কিমি দূরে অবস্থান করছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা'পারাদ্বীপ থেকে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র দূরত্ব ২১০ কিমি। ধামারা থেকে 'দানা'র দূরত্ব ২৪০ কিমি। সাগরদ্বীপ থেকে ৩১০ কিমি দূরে অবস্থান করছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা'আকাশ থেকে রেলপথ, ঘূর্ণিঝড় 'দানা'-র জেরে সর্বত্র শাটডাউন। স্থলভাগের আরও কাছে এগিয়ে এসেছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। আজ মধ্যরাতের মধ্যে ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারার মধ্যে তার আছড়ে পড়ার কথা।

Card image cap

‘ডানা’র ঝাপটায় বন্ধ থাকবে মেট্রো?

সময় যত গড়াচ্ছে, ততই যেন শক্তি বাড়ছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র। ধীরে ধীরে ক্রমশ এগিয়ে আসছে ল্যান্ডফলের সময়সীমা। বিপদ এড়াতে লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন, বিমান পরিষেবা বেশ কয়েক ঘণ্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্বাভাবিক থাকবে মেট্রো পরিষেবা।বৃহস্পতিবার মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “মেট্রো রেল কলকাতার লাইফলাইন। ঝড়ের সময়ে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে কিনা, তা নিয়ে সকলের মনেই হাজার প্রশ্ন। আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, মেট্রো পরিষেবা সমস্ত রুটেই একেবারে স্বাভাবিক থাকবে। কোথাও কোনও বদল করা হচ্ছে না।” তিনি আরও জানান, “দমদম থেকে কবি সুভাষ, কবি সুভাষ থেকে দমদম, হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা, ধর্মতলা থেকে হাওড়া ময়দান, সল্টলেক থেকে শিয়ালদহ, শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে কবি সুভাষ, কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, জোকা থেকে মাঝেরহাট, মাঝেরহাট থেকে জোকা – সমস্ত রুটে নির্দিষ্ট সময়ে মেট্রো পরিষেবা শুরু এবং শেষ হবে।”প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। ল্যান্ডফলের সময় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝড়। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন। নবান্নে রাত জাগবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চালু হয়েছে একাধিক হেল্পলাইন নম্বর। খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে শিয়ালদহ ডিভিশনে ১৯০টি এবং হাওড়া ডিভিশনে ৬২টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ১৫ ঘণ্টা বন্ধ বিমান পরিষেবা। ফেরি পরিষেবায় বন্ধ রাখা হয়েছে।

Card image cap

উত্তাল দিঘা সৈকতে ‘সাইক্লোন সেলফি’র হিড়িক

ধেয়ে আসছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা। কিন্তু সেই চোখ রাঙানিকে পাত্তা নিতে রাজি নয় পর্যটকেরা। ঝড়ের দাপট দেখতে দিঘা-তাজপুর-মন্দারমণি থেকে পুরীর সমুদ্র সৈকতে জড়ো হচ্ছে ‘সাহসী’ মানুষজন। প্রবল ঢেউ, জলোচ্ছ্বাসকে উপেক্ষা করে সেলফি তোলার হিড়িক পড়েছে সমুদ্র সৈকতে।ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র আতঙ্কে কাঁপছে বাংলা-ওড়িশা। আজ, বৃহস্পতিবার রাতেই ধামরা  বন্দর ও ভিতরকণিকার মাঝে ল্যান্ডফল। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। বাংলার উপকূলীয় এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা মারাত্মক। বিপদ এড়াতে ইতিমধ্যে প্রস্তুত প্রশাসন। উত্তর ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ভিতরকণিকার কাছে ধামরায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলায় সবচেয়ে বেশি থাকবে ঝড়ের গতিবেগ। প্রতি ঘণ্টায় ১১০-১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিমি।বিপদ এড়াতে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় (দিঘা, শংকরপুর, তাজপুর, মন্দারমনি) এলাকায় ২৩-২৫ অক্টোবর পর্যন্ত নতুন করে হোটেলে বুকিং নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পূর্ব মেদিনীপুর প্রশাসন। সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মাইকিং করা হচ্ছে। প্রশাসনিক তৎপরতা সত্ত্বেও হুঁশ ফেরেনি আমজনতার।সোশাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ট্রেন্ডিং ‘সাইক্লোন টুরিজম’। অর্থাৎ ঝড় দেখতে উপকূল বা ল্যান্ডফল যেখানে হচ্ছে সেখানে ভিড় জমানো। আর এই অ্যাডভেঞ্চারে গা ভাসিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন তাঁরা। প্রশাসনিক তৎপরতা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার সকালেও সমুদ্রের পাড়ে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। তাঁদের সেলফি তোলার হিড়িকও চোখে পড়ার মতো।তাঁদের সরাতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতেও দেখা গিয়েছে।  

Card image cap

ডিভিসিকে ফের তোপ মমতার

পুজোর মুখে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় দক্ষিণবঙ্গে। বিনা নোটিসে ডিভিসি জল ছাড়ার ফলে জল থইথই দশা হয়েছিল বলেই দাবি রাজ্য প্রশাসনের। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র চোখ রাঙানি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিভিসিকে তোপ মমতার।মমতা এদিন বলেন, “কিছুদিন আগে বন্যা, আবার ডিভিসি গতকাল জল ছেড়েছিল। বাংলা তো জল হজম করার জায়গা হয়ে গিয়েছে। কলকাতায় জল জমলেও নেমে যায়। পাম্পিং সিস্টেমের উন্নতি হয়েছে। ড্রেনেজ সিস্টেমের উন্নতি হয়েছে। তা ছাড়া পলি সরানোর কাজটাও আমরা করেছি। অনেক সময় বাড়ি তৈরি হচ্ছে। রাস্তায় ইট, বালি ফেলে রেখেছে। নর্দমা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের এটা বোঝা উচিত। যাতে নর্দমা বন্ধ না হয়। সাধারণ মানুষের বিপদ না হয়। কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে।”প্রসঙ্গত, পুজোর আগে টানা বৃষ্টি হয় দক্ষিণবঙ্গ। তার পরই জল ছাড়ে ডিভিসি। জলমগ্ন হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুর, হুগলির খানাকূল, পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল। বিপর্যস্ত জনজীবন। নিজেই প্লাবন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ম্যান মেড বন্যা’ বলে ক্ষোভ উগরে দেন। ডিভিসির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও জানিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী অবশ্য সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি নস্যাৎ করে ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন মমতা। এর পরই ডিভিসির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন রাজ্যের দুই প্রতিনিধি। এবার ‘ডানা’ আবহে ফের ডিভিসিকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Card image cap

এবারও নবান্নে রাত জেগে ‘ডানা’য় নজর মমতার

প্রশাসনিক প্রধান বলে দায়িত্ববোধ তাঁর আরও খানিকটা বেশি। যে কোনও দুর্যোগ মোকাবিলায় নিখুঁত পরিকল্পনা, জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে কাজের ব্লুপ্রিন্ট সাজিয়ে দেওয়ার পরও সরাসরি ময়দানে নেমে নজরদারি তাঁর বরাবরের অভ্যেস। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। বাংলা, ওড়িশার উপকূলে আজ রাতের মধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, রাতে তিনি নিজেই নবান্নে থেকে গোটা পরিস্থিতিতে নজর রাখবেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান তিনি। সেইসঙ্গে যাবতীয় প্রয়োজনীয় সতর্কতার কথা মনে করিয়ে দেন সকলকে।২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে প্রশাসনিক কাজকর্মে বিপুল পরিবর্তন এসেছে। তার অন্যতম মূল কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হওয়ার পর তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত। তাতে বদলেছে কাজের ধরন। যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েন। এর আগে বাংলায় আছড়ে পড়া যাবতীয় বিপর্যয়ের সময় তিনি রাত জেগে নজরদারি চালান। বিপর্যয় মোকাবিলায় নবান্নের কন্ট্রোলরুমে আধিকারিকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কাজ করেন মমতা নিজেও। মনিটরে চোখ রেখে সর্বক্ষণ বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেন, পরিস্থিতি কতটা প্রতিকূল। সেইমতো বাতলে দেন দুর্যোগ সামলানোর উপায়ও।তাই যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের রাত্রি জাগরণ এখন রাজ্যবাসীর কাছে পরিচিত দৃশ্য। এবার পুজো কাটতেই ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। প্রতিবেশী ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামরা বন্দরের মাঝে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হওয়ার কথা থাকলেও লাগোয়া পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় জারি হাই অ্যালার্ট। ‘ডানা’র ঝাপটানিতে ক্ষতি হতে পারে সেখানকার বিস্তীর্ণ এলাকা। এছাড়া বিপদের আশঙ্কা দুই ২৪ পরগনার উপকূলীয় অঞ্চলে।এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”রাতে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে থাকব। নাইটটা টোটাল আমি ওয়াচ করছি। নবান্নে হেল্পলাইন নং খোলা থাকবে। নম্বর – ০৩৩-২২১২৩৫২৬, ১০১৭০।” জনতার প্রতি তাঁর বার্তা, ”অযথা ভয় পাবেন না। গুজবে কান দেবেন না। কুৎসা বা প্ররোচনায় কান দেওয়ার দরকার নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে সকলকে। আর ঝড়বৃষ্টি না থামলে সমুদ্রে যাওয়া বা বাড়ি থেকে বেরনো বারণ। এর পর আবার চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ থাকবে।” এদিন রাতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নবান্নে রাত জেগে পরিস্থিতি নজরে রাখবেন স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীও।

Card image cap

সকাল থেকেই কলকাতায় বৃষ্টি শুরু

ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলকাতায় আকাশের মুখভার। শুরু হয়েছে বৃষ্টিও। রাজ্যের সমুদ্র উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ওই দুই জেলায় মাঝেমধ্যে ঝোড়ো হাওয়াও বইছে। তবে এখনও পর্যন্ত সমুদ্র মোটের উপরে শান্ত রয়েছে।বৃহস্পতি এবং শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে দুর্যোগ চলার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। দু’দিনই অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়। দিনভর ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশেও।

Card image cap

‘ডানা’র বিপদ এড়াতে বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেনও

‘ডানা’র বিপদ এড়াতে দূরপাল্লার পাশাপাশি বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেনও! বৃহস্পতিবার রাত আটটার পর পূর্ব রেলের শিয়ালদহ স্টেশন থেকে আর কোনও লোকাল ট্রেন ছাড়বে না। একইভাবে হাসনাবাদ, নামখানা স্টেশন থেকেও শিয়ালদহের উদ্দেশে কোনও ট্রেন রওনা দেবে না। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে।রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২৪ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শিয়ালদহ ডিভিশনে কোনও লোকাল ট্রেন ছাড়বে না। ২৫ তারিখ সকাল দশটা পর্যন্ত ট্রেন বন্ধ থাকবে। রাত আটটার পর থেকে উপকূলবর্তী জেলার স্টেশন নামখানা, হাসনাবাদ এই সমস্ত স্টেশন থেকে কোনও লোকাল ছাড়বে না। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, “ঝড়ের দাপট চলাকালীন ট্র্যাকে যাতে কোনও ট্রেন না থাকে, তার জন্য এই ব্যবস্থা। সাধারণ মানুষের সুরক্ষাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার গভীর রাত বা শুক্রবার সকালে ‘ডানা’ পুরী ও সাগরদ্বীপের মাঝে আছড়ে পড়তে পারে। এই আশঙ্কায় পুরীগামী সব ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দক্ষিণ ভারতে যাতায়াতকারী প্রায় সব ট্রেনেই প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এর মধ্যে রয়েছে পুরীগামী বন্দে ভারতও। রেল সূত্রে খবর, হাওড়া, শালিমার, সাঁতরাগাছি থেকে ৮৫টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করল রেল। ডাউনেও যে ট্রেনগুলি আসবে তার মধ্যেও বাতিল ৯৩টি ট্রেন। সেখানেও একাধিক সুপারফাস্ট ট্রেন রয়েছে। ঝড়ের দাপটে ট্রেন যাতে ‘রোল ডাউন’ না করতে পারে সেজন‌্য কারসেডে ট্রেনগুলির চাকায় পরানো হচ্ছে বেড়ি। চাকার তলায় দেওয়া হবে ‘গুটকা’। বিপজ্জনক নদী ব্রিজগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা শুরু করেছে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। পাশাপাশি বৃহস্পতি ও শুক্রবার এমার্জেন্সি কন্ট্রোল খোলা হবে। প্রতিটি স্টেশনে ট্রেন চলাচলের পরিস্থিতি ঘোষণা করা হবে। 

Card image cap

‘ডানা’য় লাল সতর্কতা চার জেলায়

ক্রমশ এগিয়ে আসছে ‘ডানা’। বিপদ বাড়াচ্ছে তার ঝাপটা। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হবে না বাংলায়। তবে অতি ভারী বৃষ্টিতে ভাসবে ৪ জেলা। চার জেলায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। কলকাতায় কমলা সতর্কতা জারি করল হাওয়া অফিস। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে কোমর বেঁধেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরানো হচ্ছে। মাইকিং করে করা হচ্ছে সতর্কও। সমুদ্রে নামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। দিঘা-তাজপুর-শংকরপুর থেকে সুন্দরবন খালি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। সবমিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কোমর বেঁধে নবান্ন।বুধবার বিকেলের আবহাওয়া দপ্তরের বুলেটিন বলছে, আপাতত পারাদ্বীপ থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ‘ডানা’। ধামরা থেকে দূরত্ব ৫২০ কিলোমিটার। আগামী কাল সকালে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে সেটি। উত্তর ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ভিতরকণিকার কাছে ধামরায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলায় সবচেয়ে বেশি থাকবে ঝড়ের গতিবেগ। প্রতি ঘণ্টায় ১১০-১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিমি। সাগর এবং সুন্দরবনে ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিমি। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি প্রতি ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে বইবে হাওয়া। দমকা হাওয়ার বেগ হতে পারে সর্বোচ্চ ৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টা।সবচেয়ে খারাপ আবহাওয়া থাকবে ২৪-২৫ অক্টোবর। আগামিকাল ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। শুক্রবার লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে ভাসবে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রাম। কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, বাঁকুড়ায় প্রচুর বৃষ্টির আশঙ্কা। জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। শনিবার থেকে ঝড়বৃষ্টির দাপট কমবে। তবে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে বৃষ্টি চলবে। পূর্ব মেদিনীপুর ১ থেকে ২ মিটার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ০.৫ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা।বিপদ এড়াতে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় (দিঘা, শংকরপুর, তাজপুর, মন্দারমনি) এলাকায় ২৩-২৫ অক্টোবর পর্যন্ত নতুন করে হোটেলে বুকিং নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পূর্ব মেদিনীপুর প্রশাসন। সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মাইকিং করা হচ্ছে। তিন কোম্পানি এনডিআরএফ পৌঁছে গিয়েছে জেলায়। পাঁচটি ব্লকে ৬০টি ত্রাণশিবির প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। প্রাথমিক স্কুল ও হাই স্কুলগুলিতেও ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। পাঁচটি মাল্টি পারপাস রেসকিউ শেল্টার (এমপিআরএস) তৈরির কাজ শেষের পথে। তার মধ্যে চারটির কাজ সম্পূর্ণ। এছাড়াও ১৭টি স্থায়ী ফ্লাড শেল্টার রয়েছে।
সুন্দরবনের দুর্বল নদীবাঁধগুলির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে প্রশাসন। নদী ও সমুদ্রবাঁধ ভেঙে বা উপচে জনবসতি এলাকায় জল ঢুকলে জলবন্দি বাসিন্দাদের তৎক্ষণাৎ উদ্ধারে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে সেচদপ্তরকে। নামখানার বকখালি ও মৌসুনি, সাগরের ঘোড়ামারা ও পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুরে বাসিন্দাদের উঁচু স্কুলবাড়ী অথবা ফ্লাডশেল্টার সরানো হয়েছে। বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ ও গঙ্গাসাগরে বুধবার থেকে পর্যটক ও পূন্যার্থীদের সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। সমুদ্রসৈকতগুলিতে বিপর্যয় মোকাবিলাবাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়েছে পাহারায়। সতর্ক রয়েছে কলকাতা, হাওড়া পুরসভাও। নবান্নে চালু হয়েছে কন্ট্রোলরুমও।

Card image cap

সকালেই তৈরি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, কখন, কোথায় আছড়ে পড়বে ‘দানা’?

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছিল মঙ্গলবারই। বুধবার তা থেকে জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। এ বার হাওয়া অফিস জানিয়ে দিল, ২৪ তারিখ ভোরেই তা উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তার পর পুরী এবং সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারা দিয়ে স্থলভাগে ঢুকবে।মৌসম ভবন জানিয়েছে, গত ছ’ঘণ্টায় ‘দানা’ ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে এগিয়েছে। এই মুহূর্তে ওড়িশার পারাদ্বীপ উপকূল থেকে প্রায় ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে ‘দানা’। ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবরের সকালের মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে সে। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতিবেগ পৌঁছবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটারে।মৌসম ভবন জানাচ্ছে, ওড়িশার জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রাপাড়া, ভদ্রক এবং বালেশ্বরে হাওয়ার সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে। অপেক্ষাকৃত কম প্রভাব পড়বে ময়ূরভঞ্জ, পুরী, ভুবনেশ্বর, কটক, সম্বলপুরে। তবে ‘দানা’ বাঁধার আগে থেকেই এর প্রভাবে শুরু হয়ে যাবে বৃষ্টি। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই ভিজতে পারে উপকূলীয় ওড়িশার বালেশ্বর, ভদ্রক, কেন্দ্রাপাড়া, পুরী এবং জজপুর। বৃহস্পতিবার কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রাপাড়া, ময়ূরভঞ্জ, কটক, ভদ্রক এবং বালাসোরে জারি হয়েছে অতিভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এই ছয় জেলায় ছয় অভিজ্ঞ আইএএস অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন হয়েছে ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল। ১৪ জেলায় আগামী তিন দিনের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বাতিল হয়েছে ২০০-রও বেশি ট্রেন। রাজ্যের ৮০০টি দুর্যোগ আশ্রয়শিবিরের পাশাপাশি ৫০০টি অতিরিক্ত শিবির তৈরি করা হয়েছে।উপকূলীয় এলাকা থেকে মানুষকে সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সম্ভাব্য দুর্যোগের আশঙ্কায় পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হয়ে গিয়েছে আগাম প্রস্তুতি। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। সোমবার থেকেই প্রশাসনের তরফে মাইকিং শুরু হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা, সাগরদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, বকখালি-সহ বিভিন্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলে। তৈরি রয়েছে কন্ট্রোল রুমও।

Card image cap

‘ডানা’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু পুরসভার

বৃহস্পতিবার বাংলা-ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। যার জেরে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে তুমুল বৃষ্টির সম্ভাবনা শহর কলকাতায়। সোমবার কলকাতা পুরসভায় ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। নিকাশি দপ্তরের সমস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংও। আজ, মঙ্গলবার ফের একবার কলকাতার ষোলোটি বরোর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মেয়র পারিষদ। দুর্গাপুজো শেষ হয়েছে সবে। শুরু হয়েছে কালীপুজোর প্রস্তুতি। এখনও শহরের একাধিক জায়গায় পুজোর প‌্যান্ডেল খোলা হয়নি। রয়েছে বিজ্ঞাপনের ব‌্যানার। এমতাবস্থায় শহরের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেলে কী হবে? দুর্ঘটনা ঠেকাতে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কলকাতা পুরসভার তরফে। ঝড়ের জন‌্য কলকাতা পুরসভা কন্ট্রোল রুম খুলেছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর (০৩৩) ২২৮৬-১২১২ এবং (০৩৩) ২২৮৬-১৩১৩। এখনও শহরের একাধিক জায়গায় প‌্যান্ডেলের বাঁশের কাঠামো খোলা হয়নি। দ্রুত তা খোলার নির্দেশ দিয়েছে পুরসভার আধিকারিকরা। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কলকাতায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেলে এই ধরনের বাঁশের কাঠামো পড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নজর দেওয়া হচ্ছে শহরের একাধিক বড় হোর্ডিংয়ের দিকেও। শহরের সমস্ত ব‌্যানার, হোর্ডিং খতিয়ে দেখছেন কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। জোরে হাওয়া বইলে খুলতে পড়তে পারে, এমন হোর্ডিং সরিয়ে ফেলা হবে আজ মঙ্গলবারের মধ্যেই।নির্দেশ গিয়েছে বিল্ডিং বিভাগেও। শহরাঞ্চলের নিচু এলাকায় বস্তিতে থাকেন, এমন বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। বিপজ্জনক বাড়িগুলি থেকেও বাসিন্দাদের অন‌্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে কলকাতা পুরসভা। শহরে তৈরি হয়েছে ডিজাস্টার রেসপন্স টিম। সেখানে কলকাতা পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মী ছাড়াও থাকবেন এনডিআরএফ বা ন‌্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স আর স্টেট এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম।ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়, গাঙ্গেয় তীরবর্তী জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়ও। মেয়র পারিষদ তারক সিং এদিন জানিয়েছেন, জোয়ারের কারণে দিনে দুবার লকগেট বন্ধ থাকে। সে সময় অতিভারী বৃষ্টি হলে জল জমবেই। তবে দ্রুত সেই জল নেমে যাবে।

Card image cap

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে টাস্ক ফোর্স গঠন

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মানল নবান্ন। কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যস্তরে তৈরি করা হল টাস্ক ফোর্স। রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতালের নিরাপত্তা-সহ সার্বিকভাবে সমস্ত অভিযোগ এবার থেকে খতিয়ে দেখবে এই টাস্ক ফোর্স। জুনিয়র ডাক্তারদের বিচারের দাবি যে মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করেছেন এবং অতি দ্রুত তা বাস্তবায়িত করেছেন, এটা স্পষ্ট। সোমবারের বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আস্থা থাকার কথা জানিয়েছিলেন।জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল রাজ্যস্তরে টাস্ক ফোর্স গঠন। সোমবারের বৈঠকে বার বার এনিয়ে আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন, মঙ্গলবার দুপুর তিনটের মধ্যে টাস্ক ফোর্সের এসওপি পাঠিয়ে দেবেন। কথা রেখে সেই টাস্ক ফোর্স গড়ে দিলেন তিনি। নেতৃত্বে রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। রয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী মুখোপাধ্যায়, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের প্রিন্সিপাল সচিব, কলকাতার পুলিশ কমিশনার। ডাক্তারদের তরফে থাকছেন ২ জন সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার, ২ জুনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার, রাজ্যস্তরের গ্রিভান্স সেলের এক প্রতিনিধি এবং ডাক্তারি পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে এক ছাত্রী।
স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মজবুত করা। মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সিসি টিভি বসানো, চিকিৎসকদের জন্য আলাদা শৌচাগার-ডিউটি রুম তৈরি। পানীয় জলের ব্যবস্থার দিকে নজর রাখবে এই কমিটি। 

মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তায় পুলিশ, নিরাপত্তারক্ষী ও নজরদারি মোবাইল ভ্যান মোতায়েন সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

কেন্দ্রীয় হেল্পলাইন ও প্যানিক বাটন বাস্তবায়ন।

কেন্দ্রীয় রেফারেল সিস্টেম ও রিয়েল টাইম কত বেড ফাঁকা আছে, তা জানানোর পরিকাঠামো বাস্তবায়ন।

মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অভ্য়ন্তরে থাকা সিকিওরিটি অডিট কমিটি এবং অভ্যন্তরীণ কমপ্লেন কমিটির কার্যবিধির উপর নজরদারি। 

নাগরিকদের উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা।

অন্য যে কোনও বিষয় রাজ্যস্তরীয় টাস্ক ফোর্সের নজরে আনলে সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

Card image cap

‘বন্ধু’দেশকে বার্তা উদ্বিগ্ন মমতার

বাংলাদেশে আটক বাংলার ৮৪ মৎস্যজীবী। উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৎস্যজীবীদের আটক করা নিয়ে ‘বন্ধু’ দেশকে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন তিনি।মঙ্গলবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুটো ট্রলার বাংলাদেশের দিকে চলে গিয়েছিল। তাতে ৩৬ জন ছিলেন। তাঁদের জেলে রাখা হয়েছে। মমতার আক্ষেপ, “তাঁরা জেনে গিয়েছেন, না কি না জেনে গিয়েছেন, সেটা জানি না। এত কিছু জানার পরেও আবার তিনটে ট্রলার গিয়েছে।” সেই ট্রলারে ৪৮ জন ছিলেন। তাঁরাও জেলে আছেন। বাংলার মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন বলেই আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী। দিন কয়েক আগে বাংলাদেশের ট্রলার বাংলায় ডুবে গিয়েছিল। ট্রলারের সমস্ত মৎস্যজীবীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মমতা জানান, “তাঁদের কাছে নথিপত্রও ছিল না। আমাদের যাঁরা গিয়েছেন তাঁদের‌ আধার কার্ড রয়েছে।”এর পরই বাংলাদেশ নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, “বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু দেশ। সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান রয়েছে। এক‌ই ভাষায় কথা বলি। রাজনীতিতে কখনও কখনও চেহারা বদলায়। আমি আশা করি, দুই দেশের সম্পর্ক আবার ভালো হয়ে যাবে। সীমান্তবর্তী দেশগুলো যদি একে অপরের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রেখে চলে তাহলে সবার‌ই ভালো।”প্রসঙ্গত, ঢাকার সঙ্গে বাংলার বরাবরই সুসম্পর্ক। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সখ্যতাও ছিল দারুণ। এর পর সে দেশে রাজনৈতিক পালাবদল হয়েছে। শেখ হাসিনার বদলে আপাতত সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনুস। স্বাভাবিকভাবেই বদল এসেছে সমস্ত সম্পর্কের সমীকরণেও। এদিন সেই কথাই কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে এল। একইসঙ্গে বাংলাদেশ-বাংলার সম্পর্ক ফের আগের মতোই হবে বলে আশাবাদী মমতা। 

Card image cap

সর্বোচ্চ ১৩৫ কিমি বেগে হাওয়া, ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গ

ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। তার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে ধেয়ে আসছে দুর্যোগ। উত্তরবঙ্গেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত প্রশাসন।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। সোমবার তা নিম্নচাপে পরিণত হবে উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে। মঙ্গলবার মধ্য বঙ্গোপসাগরেই গভীর থেকে নিম্নচাপে পরিণত হবে। বুধবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এর পর শক্তি বাড়িয়ে ওড়িশা থেকে বাংলাদেশের যেকোনও উপকূলেই স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে ঘূর্ণিঝড়।মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। বিকেলের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে আবহাওয়া পরিবর্তনের সম্ভাবনা। বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। বুধবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। বৃহস্পতিবার অতি ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম। পরবর্তী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে মূলত ওড়িশা ও উপকূলের জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা।বৃষ্টির পাশাপাশি বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। হাওয়ার গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। সমুদ্র উত্তাল থাকবে। তাই সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে, চলতি সপ্তাহে উত্তরবঙ্গ জুড়েও ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা। দার্জিলিং থেকে মালদহ সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে বুধবার থেকে। মূলত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

Card image cap

হাইড্রোজেন বোমায় কলকাতা বিমানবন্দর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি!

কলকাতা বিমানবন্দরে ফের হুমকি ফোন। মাঝ আকাশ থেকে বিমান হাইজ্যাকের হুমকি। উড়ো ফোনে জানানো হয়, বিমানবন্দরে বিমানে রাখা আছে হাইড্রোজেন বোমা। উড়িয়ে দেওয়া হবে বিমানবন্দর। এই ফোনকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই প্রবল শোরগোল বিমানবন্দরে। তড়িঘড়ি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও সিআইএসএফ।সোমবার সকাল, ঘড়ির কাঁটায় ১০ বেজে ৫৫ মিনিট। আচমকাই কলকাতা বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার সিকিউরিটি চেকিংয়ের ই-পোর্টালের ফোনটি বেজে ওঠে। অপরপ্রান্ত থেকে জানানো হয়, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঝআকাশ থেকে একটি বিমান হাইজ্যাক করা হবে। এপ্রান্ত থেকে কিছু বলার আগেই কেটে যায় ফোন। ঠিক দুমিনিটের মাথায় ফের ফোন বেজে ওঠে। জানানো হয়, বিমানবন্দরে বিমানে হাইড্রোজেন বোমা রাখা রয়েছে। যেকোনও সময় ঘটবে বিস্ফোরণ। এই ফোন ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই প্রবল আতঙ্ক ছড়ায়।তড়িঘড়ি বিমানবন্দরে জারি করা হয় হাই এলার্ট। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক শুরু করে। প্রায় ২ ঘণ্টা চলে সেই বৈঠক। তার পর লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানায়। যে নম্বরটি থেকে ফোন এসেছিল সেটি কোথাকার? নেপথ্যে কে বা কারা থাকতে পারে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Card image cap

ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে মমতার কাছে বড় দাবি ‘শঙ্কিত’ জুনিয়রদের

ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি কলেজে অন্তর্বর্তী মনিটরিং কমিটি গড়তে হবে। সেই কমিটির সদস্যরাও স্নাতকস্তরের সংখ্যাগরিষ্ঠ ডাক্তারি পড়ুয়া বা সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার দ্বারা মনোনীত হতে হবে। সদস্যরা শুধুমাত্র মনোনীত হলে ‘থ্রেট কালচার’ ফিরে আসতে পারে, আশঙ্কিত জুনিয়ররা। সোমবার বিকেলে নবান্নের সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দাবি জানালেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার।জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবির মধ্য়ে অন্যতম ছিল ছাত্র সংসদ নির্বাচন। শনিবার অনশন মঞ্চে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন তিনি বলেছিলেন, “পরের বার সব মেডিক্যাল কলেজে একেবারে ভোট হোক আমি চাই। সামনে কালীপুজো, ভাইফোঁটা আছে। তোমাদের পরীক্ষা আছে। ৩-৪ মাস সময় দাও, করিয়ে দেব। এটা নিয়েও আদালতে মামলা করেছে কেউ। আদালত আমার হাতে নেই।” এদিনও নবান্নের বৈঠকের সেই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি ওঠে একাধিকবার। এখনই ভোট সম্ভব নয়, মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথা মেনে নিয়ে পালটা দাবি জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কী প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা?মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ছাত্রভোট না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীনভাবে মনিটরিং কমিটি তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন কিঞ্জল-অনিকেত-দেবাশিসরা। তবে সেখানে যে সদস্যরা থাকবেন তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠের (স্নাতকস্তর ডাক্তারি পড়ুয়া এবং সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের) জনমত নিয়ে মনোনীত হবেন। কেন তাঁরা সাধারণ মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় কমিটির সদস্যদের বাছাই করতে রাজি নন, তারও ব্যাখ্যা দেন জুনিয়ররা।কিঞ্জল-আসফাকুল্লাদের দাবি, সন্দীপ ঘোষের মতো লোকেরা মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচার চালাত। প্রভাবশালীদের অঙ্গুলিহেলনে এরা ক্ষমতাপুষ্ঠ হয়। তাই সিলেকশনে যে আবার এমনই দানব তৈরি হবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়? তাই সিলেকশন নয়, ইলেকশনেই আস্থা জুনিয়র ডাক্তারদের। তাঁদের বক্তব্য শোনার পর মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানালেন, ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করানো হবে। 

Card image cap

আর জি করের অধ্যক্ষের কাছে জবাব চাইলেন মমতা

‘থ্রেট  কালচারে’র অভিযোগে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সোমবার নবান্নের বৈঠকে এ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়েই ক্রমে আলোচনা পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শুরু হয় বাদানুবাদ।আলোচনা চলাকালীন আর জি করের অধ্যক্ষ ডা. মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, “”প্রশাসনকে না জানিয়ে ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করলেন। কীভাবে নিজে সিদ্ধান্ত নিলেন? এটা থ্রেট কালচার নয়? আমাদের জানালেন না কেন? স্বাস্থ্যবিভাগকে জানালেন না কেন? সরকার বলে একটা পদার্থ আছে।”  বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী-ডাক্তারি ছাত্রদের মধ্যে বাদানুবাদ তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, “তদন্ত না করে কাউকে সাসপেন্ড নয়। ইচ্ছেমতো কাজ করবেন না। কেউ কাউকে থ্রেট করবেন না। আমি ক্ষমতায় আছি বলে থ্রেট করতে পারি না।’’অধ্যক্ষ জানানোর চেষ্টা করেন, তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলেজ কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে তাঁর পাশে দাঁড়ান জুনিয়র ডাক্তাররা। আর জি করের ডাক্তারি পড়ুয়া অনিকেত মাহাতো বলেন, “কমিটি তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার পর সাসপেন্ড করা হয়েছে।’ আপনি তদন্ত করে দেখুন। যদি মনে হয় নির্দোষ, ফিরিয়ে আনুন।” অনিকেত আরও বক্তব্য, “যারা সাসপেন্ড হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ভূড়ি ভূড়ি অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত করেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।” তাঁর আরও সংযোজন, “কলেজ ক্যাম্পাস সুস্থ জায়গা হতে হলে, সেখানে আমাদেরও থাকতে হবে। একজন ছাত্র কলেজে প্রবেশের পর কী এমন ঘটছে যে সে পচা হয়ে উঠছে? সে কারণে ক্যাম্পাসের পরিবেশ সুস্থ, স্বাভাবিক করা প্রয়োজন।’’সকলের কথা শোনার পর পরিশেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামী দিনে দেখা হবে বিষয়টি।  তদন্ত করা হবে। পক্ষপাতিত্ব চলবে না। আপনার যাকে পছন্দ নয়, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব, এটা হতে পারে না।” তাঁর প্রশ্ন, “সরকারকে না জানিয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কী ভাবে তৈরি হল?” ভবিষ্যতে ৪৭ জনের সাসপেনশন নিয়ে তদন্তের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন তিনি। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ রাজ্যস্তরের টাস্ক ফোর্সে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

Card image cap

গো ব্যাক স্লোগান শুভেন্দুকে

বন্যার জল শুকিয়ে যাওয়ার পর বন্যা পরিদর্শনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা! আর এতেই চরম অপমানিত বোধ করে ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি মালদহের ভুতনিবাসী। ‘শুভেন্দু আসছেন’ শুনেই ভুতনি চরের মানুষজন শনিবার বিকেলে কালো পতাকা হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। যে পথে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি ভুতনিতে ঢুকবে, দেড়শো কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্য সরকারের তৈরি করা সেই ভুতনি সেতুর উপরে গিয়ে আগে থেকেই ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন ভুতনিবাসী। হাতে হাতে কালো পতাকা। মুখে মুখে স্লোগান, “শুভেন্দু গো ব্যাক”‌। এক সময় দুর্গতদের এই ভিড়ের মধ্যে কিছু বিজেপি কর্মী দলীয় পতাকা নিয়ে ঢুকে পড়লে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় সেতু পেরিয়ে ভুতনিতে ঢোকে। সেই সময় দুপাশে দাঁড়িয়ে কালো পতাকা দেখিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দিয়েছেন মালদহের মানিকচকের ভুতনি চরের বাসিন্দারা। অভিষেক মণ্ডল নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, “আমরা ভুতনির বাসিন্দা। দেড় মাস ধরে বন্যার জলে ডুবে ছিলাম, তখন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী খোঁজ নিতে আসেননি। আজকে বন্যার জল শুকিয়ে গিয়েছে। তার পর বন্যা দেখতে এসেছেন। আমরা ভুতনিবাসী শুভেন্দু অধিকারীকে চাই না। তাঁকে কালো পতাকা দেখিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দিয়েছি‌।” এদিন সকালে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দেখা যায় মালদহের মানিকচকে। ভুতনি সেতুর কাছেও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পোস্টার লক্ষ্য করা যায়। পোস্টারে লেখা ছিল, ”শুভেন্দু অধিকারী গো ব্যাক”। কিছু পোস্টারে লেখা ছিল, ”কেন্দ্র সরকার গঙ্গা ভাঙন রোধের টাকা দিচ্ছে না কেন? শুভেন্দু অধিকারী জবাব দাও।” পোস্টারে এ-ও উল্লেখ ছিল, বন্যা কবলিত ভুতনিবাসী।এদিন ভুতনিতে গোবর্দ্ধনটোলার হাটে শুভেন্দুর আগমন উপলক্ষে সুবিশাল মঞ্চ তৈরি করেছিল বিজেপি। মঞ্চে ছিলেন দলের দক্ষিণ মালদহের জেলা সভাপতি পার্থসারথি ঘোষ, মানিকচকের নেতা গৌরচন্দ্র মণ্ডল প্রমূখ। সেই মঞ্চে দলের ‘সেবাদান’ কর্মসূচিতে অংশ নেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মঞ্চ থেকে ভুতনির ভাঙন দুর্গতদের উদ্দেশে মাত্র সাড়ে সাত মিনিট ভাষণ দেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, “ভাঙন রোধের প্রকল্প তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠাচ্ছে না রাজ্য সরকার। ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করার জন্য রাজ্যকে ৫০ শতাংশ বরাদ্দ করতে হবে এবং জমির প্রয়োজন পড়লে রাজ্য ব্যবস্থা করবে। এসব তৃণমূলের সরকার করছে না।” তাঁকে কালো পতাকা দেখানোর প্রতিক্রিয়া ভুতনির দলীয় মঞ্চ থেকেই দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তাঁর ভাষণে বলেন, “ওখানে রাস্তায় যাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদের কত দিয়েছে? হাজার না বারোশো? ওসব করে কিছু হবে না। আপনাদের মালিককেও আমি ভোটে হারিয়েছি। আমি ভয় পাই না।” এদিন দলের ‘সেবাদান’ কর্মসূচিতে কিছু মানুষের হাতে সাহায্য তুলে দিয়েই ভুতনি ছাড়েন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Card image cap

কালীপুজোর আগে বাড়ছে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা আরও প্রবল হচ্ছে। শনিবার মধ‌্য আন্দামান সাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এটি বুধবারে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। দুর্যোগের মোকাবিলা করতে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিলেন মুখ‌্য সচিব মনোজ পন্থ।বৃহস্পতি থেকে শনিবারের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির হওয়ার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। যার নাম হতে চলেছে ‘ডানা’। এই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা, অন্ধপ্রদেশ অথবা বাংলাদেশের দিকে আছড়ে পড়তে পারে বলে অনুমান করছে আন্তর্জাতিক মডেলগুলি। বাংলায় এর কতটা প্রভাব পড়বে তা স্পষ্ট নয়। তবুও ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ‌্য সরকার। দুর্যোগ মোকাবিলা করতে তাই সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে। এদিন নবান্ন মুখ‌্যসচিব জেলা প্রশাসকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। নবান্ন সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে জেলাশাসকদের বলা হয়েছে। বিশেষ করে উপকূলবর্তী এলাকায় বাঁধগুলি কেমন রয়েছে তা সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব‌্যবস্থা নেওয়া। এলাকাবাসী ও মৎস‌্যজীবীদের সতর্ক করা। ত্রাণ শিবির খোলা। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত করে রাখতে হবে।আন্তর্জাতিক মডেলগুলির তথ‌্য অনুযায়ী, বৃহস্পতি থেকে শনিবারের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে চলেছে। যার গতিবেগ ঘন্টায় ১২০ কিমি হতে পারে। সেটি ওড়িশা থেকে বাংলাদেশের বরিশালের মধ্যে কোথাও আছড়ে পড়তে পারে। যদিও আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর ঘূর্ণিঝড় নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সতর্কতা জারি করেনি। শনিবার আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, “আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। সোমবার মধ‌্য বঙ্গোপসাগরে এসে এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। শক্তি বাড়িয়ে বুধবার অতি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়ে মায়ানমার বা অন্ধ্রের যে কোনও উপকূলের স্থলভাগে প্রবেশ করবে। ফলে উত্তাল থাকবে সমুদ্র। মৎস‌্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে নামার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইতিপূর্বে মধ‌্য আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ হয়েছে। দুদিন পর এই নিম্নচাপ পশ্চিমবঙ্গ উত্তর পশ্চিম দিকে ভারতীয় উপকূল বিপরীতে সরে যাবে। এই নিম্নচাপ এলাকা থেকে অন্ধ্র উপকূল পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা রয়েছে যেটি কর্ণাটকের উপর দিয়ে গিয়েছে।”মঙ্গল থেকে আবার হাওয়া বদল হবে। বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর। উল্লেখ‌্য, দুর্গাপুজোর আগেই বন‌্যায় বাংলার একাধিক জেলা বিধ্বস্থ। কালীপুজোর আগে ফের দুর্যোগের আশঙ্কা করছে বাংলা। গত মে মাসে সাগরে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সুন্দরবনকে লণ্ডভণ্ড করে গিয়েছিল।