CATEGORY state:

Card image cap

নারকেলডাঙায় শুটআউট, যুবককে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা

ভোরের কলকাতা কার্যত গ্যাং ওয়ারের সাক্ষী রইল! নারকেলডাঙায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে প্রকাশ্যে শুটআউট। যুবককে রাস্তার উপর কুপিয়ে খুনের চেষ্টা। এমনই ধারাবাহিক অশান্তির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল নারকেলডাঙার কাইজার স্ট্রিটে। আহত যুবক আপাতত এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। অভিযুক্তরা পলাতক। তদন্তে নেমে তাদের খোঁজ চালাচ্ছে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ। এই ঘটনায় চরম আতঙ্কের পরিবেশ এলাকায়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার ভোরের দিকে আচমকা নারকেলডাঙা নর্থের কাইজার স্ট্রিটে অশান্তি ছড়ায়। এই এলাকাটি শিয়ালদহের কাছাকাছি। গুলির শব্দ শুনতে পান বলে জানান এলাকাবাসীরা। ঘড়িতে সময় তখন ৩টে ১৫। বেরিয়ে এসে দেখেন, রাস্তার উপরই ছুরি হাতে এক যুবকের উপর হামলা চালিয়েছে কয়েকজন।  তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এলোপাথাড়ি কোপে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে ওই যুবক। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে NRS মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের নাম ইমরান, বয়স ২৬ বছর। তাঁর ঠিকানা ৭০, নারকেলডাঙা রোড। সাতসকালে অশান্তির খবর পেয়ে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে।  যদিও শুটআউটের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ইমরানের উপর হামলা চালিয়েছিল ৪ যুবক। পুরনো শত্রুতার জেরে এই হামলা বলে অনুমান। তবে অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক। তদন্তে নেমে তাদের খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। সাতসকালে প্রকাশ্য রাস্তায় এমন সংঘর্ষের ঘটনা স্বভাবতই আতঙ্কিত এলাকাবাসী। পুলিশের তরফে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Card image cap

আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়া হবে ‘মানবিক’ দৃষ্টিভঙ্গিতে!

কেন্দ্রের চাপানো শর্তে নয়। রাজ্যে আবাস যোজনার বাড়ি বিলি করার ক্ষেত্রে মানবিক অভিমুখ নেবে সরকার। মঙ্গলবার নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মন্ত্রীদের এই নির্দেশই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।শস্য বিমা এবং আবাস যোজনার অর্থবিলির শর্ত কী হবে, এই নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার নবান্নে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “কেন্দ্রের শর্ত অনুযায়ী নয়, আবাসের বাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অভিমুখ হবে মানবিক। বাংলা আবাস প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় শর্ত লাগু করা হবে না।”আবাস যোজনা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের বিবাদ দীর্ঘদিনের। প্রকল্পে বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ তুলে কেন্দ্র আবাস যোজনার জন্য রাজ্যের বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাপ্য টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। শাসকদলের তরফে এ নিয়ে বারবার দিল্লিতে দরবার করা হলেও কাজের কাজ হয়নি। আবাসের টাকা মেলেনি। শেষমেশ রাজ্য সরকারের তরফেই আবাসের টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এসবের মধ্যে মঙ্গলবারই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, “আবাস যোজনার তালিকা ভুলে ভরা। ১৭টা টিম পাঠিয়েছিল ভারত সরকার। তাতে দেখা গিয়েছে, অযোগ্যরা আবাসের টাকা পেয়েছে, যোগ্যরা পায়নি।” তৃণমূল অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “দু-একটি বিভ্রান্তি থাকলে কেটে যাবে। কিন্তু বিরোধী দলের লোকেরা এই প্রকল্প যাতে বন্ধ রাখা যায়, তাই অপপ্রচার চলছে। কেন্দ্র টাকা দেবে বলেছিল দেয়নি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছেন তাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।” এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত, কেন্দ্রের শর্তে নয়, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে আবাসের বাড়ি দেওয়া হবে।শুধু আবাস নয়, শস্যবিমার ক্ষেত্রেও সেই ‘মানবিক’ দৃষ্টিভঙ্গির কথাই মাথায় রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, কোনও শর্ত নয়। যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের সকলকেই দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ। নবান্ন সূত্রের খবর, ঘুর্ণিঝড় ‘ডানা’র জেরে বাংলার কৃষকরা কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সেটা খতিয়ে দেখতে দিওয়ালি মিটলে রাজ্যের দুই মন্ত্রী জেলায় জেলায় যাবেন।

Card image cap

আলোর উৎসবে কেমন থাকবে বঙ্গের আবহাওয়া

আলোর উৎসবের আগে রাজ্যের আবহাওয়া নিয়ে সুখবর! মেঘমুক্ত আকাশ, কাটছে বৃষ্টি-কাঁটা। দু-একটা জায়গায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস ছাড়া আর রাজ্যের সর্বত্রই পরিষ্কার আকাশ ও রোদ ঝলমলে আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই কোথাও। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমায় ফিরছে শুষ্কতা। আবহাওয়া ঘোরাফেরা করবে ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে।আগামী ৩১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার কালীপুজো ও দীপাবলি। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই উৎসবে রাজ্যের আবহাওয়া ভালোই থাকবে। মূলত পরিষ্কার আকাশ, দু-এক জায়গায় স্থানীয়ভাবে হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বেশিরভাগ জেলাতেই মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ। কখনো কখনো দু, এক জেলায় আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। উত্তরবঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়ার শুরু। দক্ষিণবঙ্গেও ধীরে ধীরে শুষ্কতা বাড়বে। বাতাসে কমবে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা কয়েকটি জেলায়। মঙ্গল ও বুধবার উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা।
পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে।কলকাতার আবহাওয়া ভালো থাকলেও সোমবার ও বুধবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কয়েক পশলা হালকা বৃষ্টি হতে পারে। মূলত পরিষ্কার আকাশ, তবে কখনও কখনও আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে শহরে। বাতাসে কমবে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। শুষ্ক আবহাওয়া ক্রমশ ফিরবে। কলকাতায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৪ ডিগ্রি। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৬৬ থেকে ৯৫ শতাংশ।

Card image cap

বিশ্বের অন্যতম সেরা শহর কলকাতা

ব্রিটিশ আমলের রাজধানী থেকে দেশের সংস্কৃতি চর্চার প্রাণকেন্দ্র। প্রাচীন শহরের গায়ে কতই না গৌরবের স্পর্শ! সাবেক সুতানুটি, গোবিন্দপুর আর কলকাতা থেকে শহর কলকাতার পুনর্জন্ম, শৈশব-কৈশোর কাটিয়ে ওঠা মহানগরীর নামেই পরিচিতি বিশ্বের দরবারে। কতই না আন্তর্জাতিক খেতাব রয়েছে ‘সিটি অফ জয়’-এর ঝুলিতে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়েই চলেছে। এবার বিশ্বের অন্যতম সেরা শহরের তালিকায় ঢুকে পড়ল কল্লোলিনী তিলোত্তমা। সৌন্দর্যায়ন, ভ্রমণ, উন্নয়ন – আন্তর্জাতিক সংস্থার সমীক্ষায় সব কিছুর নিরিখেই বিশ্বের আর ২৪ টি শহরের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে কলকাতা। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সুখবর জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীই। এহেন কীর্তি স্থাপনের জন্য শহরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন ‘জয় হিন্দ’, ‘জয় বাংলা’।ঠিক এক যুগ আগে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে নানা স্তরে ব্যাপক বদল এসেছে। উন্নয়ন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের মানোন্নয়ন, সামাজিক সুযোগসুবিধা প্রদান, পর্যটন ক্ষেত্রগুলিকে ঢেলে সাজানো-সহ একগুচ্ছ কাজ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। তার সুফলও পেয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে কলকাতার কদর বেড়েছে আরও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক প্রকল্প বিশ্বমানের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এবার কলকাতার মুকুটে জুড়ল আরও এক পালক। বিশ্বের সেরা ২৫ শহরের মধ্যে ১৯ নম্বরে আমাদের প্রিয় শহর। রয়েছে রাজস্থানের জয়পুর ও উদয়পুরও।মুখ্যমন্ত্রী নিজে ফেসবুক পোস্ট করে কলকাতার নয়া গৌরবের কথা জানিয়েছেন। পর্যটন ক্ষেত্রে বিশ্বের ২৫ শহরের মধ্যে ১৯ নম্বরে কলকাতা। দ্রুত উন্নয়নের নিরিখে কলকাতার স্থান ১১ নম্বরে। ঐতিহ্য, আধুনিকতা, গতিশীলতা আর সংস্কৃতির সুন্দর মেলবন্ধনেই এ শহর বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের রাজধানীকে আরও সমৃদ্ধশালী ও সুন্দর করে তুলতে শহরবাসীর কাছে তাঁর আবেদন, ‘আসুন সকলে হাতে হাত মিলিয়ে কাজের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাই।’ 

Card image cap

বেঙ্গালুরু-দমদম বিমানে বোমাতঙ্ক!

ফের বিমানে বোমাতঙ্ক। এবার বেঙ্গালুরু-দমদম বিমানে বোমা রয়েছে বলেই হুমকি। সোশাল মিডিয়ায় লাগাতার হুমকি পোস্টে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আপাতত ওই বিমানটিকে আইসোলেশন বে-তে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।দমদম বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ভিস্তারা এয়ারওয়েজের বেঙ্গালুরু থেকে দমদমগামী বিমানে বোমা রাখা রয়েছে বলে হুমকি আসে। বিমানটি ৩টে ১০মিনিট নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রত্যেক যাত্রীকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। সকলেই সুরক্ষিত রয়েছেন। এই মুহূর্তে বিমানটিকে আইসলেশন বে-তে রাখা হয়েছে। সেখানে বিমানটিকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আদতে বিমানের কোথাও বোমা রাখা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি বিমানে বোমা রাখা রয়েছে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। সেই বিমানগুলিকেও চিহ্নিত করার কাজ চলছে। লাগাতার হুমকিতে দমদম বিমানবন্দরে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।উল্লেখ্য, রবিবারই কেন্দ্র নির্দেশিকা জারি করেছে, কোনও সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ভুয়ো বার্তা ছড়ালে, দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে সোশাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিকে। এর পরেও বিমানে আতঙ্ক ছড়ানোর কমতি নেই। রবিবারও একাধিক ভারতীয় উড়ান সংস্থার অন্তত ৫০টি বিমানে ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে বলে খবর। যার সবগুলিই ছিল ভুয়ো। এই নিয়ে গত দুই সপ্তাহে ৩৫০টিরও বেশি বিমানে ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগ উঠল।

Card image cap

চলতি বছর হচ্ছে না প্রাথমিক টেট

আগেরবারের উত্তীর্ণরা এখনও চাকরি পাননি। তার সঙ্গে রয়েছে আইনি জটিলতা। তার ফলে চলতি বছর আর হচ্ছে না প্রাথমিক টেট। সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে তা জানানো হয়েছে।দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ২০২২ সালে টেট পরীক্ষা হয়। সাত লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে অন্তত দেড় লক্ষ উত্তীর্ণ হন। পরের বছরেও টেট হয়। রেজিস্ট্রেশন করান ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন। তবে পরীক্ষায় বসেন ২ লক্ষ ৭২ হাজার। তবে এখনও সেই পরীক্ষার ফল বেরয়নি। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “আইনি জটিলতা রয়েছে বলে ফলপ্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। সমস্যা সমাধানের পরই হবে ফলপ্রকাশ। আমরা স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাই।” তিনি আরও বলেন, “প্রতি বছর টেট করাই আমাদের লক্ষ্য। দুবছর তা হয়েছে। কিন্তু আইনি জটিলতায় নিয়োগ হয়নি। তাই এবার টেট হবে না। কিন্তু কিছুটা পিছিয়ে ৬ মাসের মধ্যে পরীক্ষা নিশ্চয়ই নেওয়া হবে।”শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। পথে নেমে একসময় আন্দোলনেও শামিল হন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রাথমিক টেট না হওয়ার সিদ্ধান্তে হতাশ আরও কিছু চাকরিপ্রার্থী। পরীক্ষা না হলে ডিএলএড পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা আরও বাড়বে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

Card image cap

কালীপুজোর আগের দিনই ফের রাজপথ দখলে জুনিয়র ডাক্তাররা!

ফের রাজপথে জুনিয়র ডাক্তাররা! ‘অভয়া’র সুবিচারের দাবিতে এবার কালীপুজোর আগের দিন সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দপ্তর ঘেরাও করবেন তাঁরা। প্রয়োজনে সেখানে ধরনাও দিতে পারেন।জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের কিঞ্জল নন্দ-অনিকেত মাহাতো-দেবাশিস হালদারদের দাবি, সিবিআইয়ের চার্জশিট মানি না। সঞ্জয় রায় একা এমন নারকীয় ঘটনা ঘটাতে পারে না। কলকাতা পুলিশ ও সিবিআইয়ের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। তারই ফল এই চার্জশিট। এর প্রতিবাদেই বুধবার দুপুর তিনটেয় সিজিও কমপ্লেক্স ঘেরাও করবেন তাঁরা। তবে এই কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলনকারীদের মধ্যেই মতানৈক্য় রয়েছেন।জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সমর্থক সিনিয়র অ্যাডভোকেট পার্থসারথী সেনগুপ্ত কথায়, “সিবিআই দপ্তর ঘেরাও করা অনুচিত। এভাবে তদন্ত হয় না। তদন্ত করতে সময় লাগে।” কিন্তু সে কথা কর্ণপাত করতে রাজি নন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা এবার সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়াতে কোমর বাঁধছেন। ৯ আগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সুবিচার চেয়ে পথে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মিটিং-মিছিল-ধরনা-কর্মবিরতি, এমনকী অনশনও করেছেন তাঁরা। অবশেষে গত সোমবার অনশন তোলেন তাঁরা। কিন্তু শনিবারের গণ কনভেনশন থেকে আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজপথ তাঁরা ছাড়ছেন না। সোমবার নিজেদের আগামী কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে দিল তাঁরা।

Card image cap

দক্ষিণবঙ্গে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস

বাংলা থেকে কেটেছে ‘ডানা’র প্রভাব। তবে এখনও বৃষ্টির হাত থেকে পুরোপুরি রেহাই মিলল না দক্ষিণবঙ্গবাসীর। রবিবার বিভিন্ন জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা কমেছে বেশ খানিকটা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও কমেছে বেশ খানিকটা।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ শক্তি হারিয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। উত্তর ওড়িশা থেকে নিম্নচাপ আরও শক্তি হারিয়ে ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশের দিকে এগবে। রবিবার সকালের পর আর কোনো গুরুত্ব থাকবে না। তবে উত্তর-পূর্ব অসম এবং দক্ষিণ কেরল উপকূলে দুটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হচ্ছে। আপাতত দক্ষিণবঙ্গে জেলায় জেলায় মূলত আকাশ পরিষ্কার থাকবে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির খুব সামান্য সম্ভাবনা। আপাতত উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। পার্বত্য এলাকার দু-এক জেলায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে।কলকাতাতেও মূলত আকাশ পরিষ্কার থাকবে। বাতাসে কমবে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। রবিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৮ ডিগ্রি। শনিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৭ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭৭ থেকে ৯৭ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে সামান্য। এদিকে, বাংলার মতো ওড়িশাতেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা। তামিলনাড়ু, পণ্ডিচেরি, করাইকাল, কেরল, মাহে এবং অসমেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে।

Card image cap

মহিলা সাংবাদিকের ‘শ্লীলতাহানি’!

সাক্ষাৎকারের নামে মহিলা সাংবাদিককে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এবার কাঠগড়ায় সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। সোশাল মিডিয়ায় গোটা বিষয়টা তুলে ধরে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিগৃহীতা সাংবাদিক। পোস্টটি শেয়ার করে ধিক্কার জানিয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। এবিষয়ে তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, “একটা বাচ্চা মেয়ে। ওকে আমি মা বলে ডাকি। ও একথা বলবে ভাবতে পারছি না।” বিষয়টা ঠিক কী? রবিবার দুপুরে এক তরুণী সাংবাদিক ফেসবুক লাইভ করেন। সেখানেই তিনি দাবি করেন, এদিন তাঁর তন্ময় ভট্টাচার্যের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো তিনি সিপিএম নেতার কাছে পৌঁছে যান। তাঁর অভিযোগ, ইন্টারভিউ নেওয়ার আগেই তন্ময়বাবু নাকি তাঁর কোলে বসে পড়েন। মহিলা স্পষ্টভাবে জানান, তিনি এসব পছন্দ করেন না। ওই সাংবাদিকেদর অভিযোগ, বরাবরই নিজের মাত্রার বাইরে গিয়ে ইয়ার্কি-ঠাট্টা করেন তন্ময় ভট্টাচার্য। পছ্ন্দ না হলেও বিষয়টাকে নিজের মতো করে এড়িয়ে যেতেন তিনি। তবে এদিন বিষয়টা মাত্রা ছাড়ানোয় ফেসবুক লাইভ করেন নিগৃহীতা।এবিষয়ে তন্ময়বাবু বলেন, “আমি ওকে চিনি। একাধিকবার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। বরাবরই ঠাট্টা করি। আজ দেখলাম লাইভে…কথা প্রসঙ্গ আমি ওর বাঁদিকের পায়ের উপর আঙুল রেখে বলেছি, এখানে? তাতে ও পোটেনশিয়াল রেপিস্ট বলে মন্তব্য করল। এত মানুষের সঙ্গে মিশি, এতজনের সঙ্গে ইয়ার্কি-ফাজলামি করি। কেউ কোনওদিন কিছু বলেনি।” তিনি আরও বলেন, “ওই মেয়েটিকে আমি মা বলে ডাকি। এমন কথা হতে পারে ভাবিনি।” তৃণমূল নেতা দেবাংশুর কথায়, “তন্ময়বাবুকে সম্মান করতাম। মেয়েটি যখন এমন অভিযোগ করেছে সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার।”

Card image cap

‘ডানা’র দাপট কাটতেই আবহাওয়ার উন্নতি

কেটেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র দাপট। শনিবার সকাল থেকেই কলকাতায় আবহাওয়া বদল। দেখা মিলল রোদের। তবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই। ৩ জেলায় আজও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। উত্তর ওড়িশা থেকে নিম্নচাপ আরও শক্তি হারিয়ে ছত্তিশগড় মধ্যপ্রদেশের দিকে এগোবে। শনিবার গভীর নিম্নচাপ সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হয়ে ক্রমশ সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হবে। তবে তার প্রভাবে শনিবারও পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের আরও বেশ কয়েকটি জেলায়। বিকেলের পর বৃষ্টির সম্ভাবনা ক্রমশ কমবে। রবিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলবে। উত্তরবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।‘ডানা’র প্রভাবে অবিরাম বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও কমেছে তাপমাত্রা। শনিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৪ ডিগ্রি। শুক্রবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.২ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৮৮ থেকে ৯৮ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘন্টায় শহরের তাপমাত্রা থাকবে ২৪ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। বৃষ্টি হয়েছে ১৫২.৮ মিলিমিটার। বাংলার ছাড়া ওড়িশাতেও এদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝাড়খণ্ডের পশ্চিমের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তামিলনাড়ু,কেরল এবং মাহেতেও বৃষ্টির হতে পারে।

Card image cap

প্রসন্নর ১৬৩ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ED

 এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রসন্ন রায়ের ১৬৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। তালিকায় রয়েছে হোটেল এবং রিসর্টও। প্রসন্নর স্ত্রী কাজল সোনি রায়ের নামে থাকা সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শনিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে X হ্যান্ডেলে একথা জানানো হয়েছে।প্রসন্ন রায় ছিলেন মূল মিডলম‌্যান বা এজেন্ট যিনি চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলতেন। তাঁর সঙ্গে যোগ ছিল নিয়োগ দুর্নীতির অন‌্য মাথাদের। প্রসন্ন ও তাঁর স্ত্রী কাজল সোনি রায় ৯০টির উপর সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করতেন। কয়েকটিতে নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রসন্নর সঙ্গী রোহিতকুমার ঝাঁয়ের। এই সংস্থাগুলির মাধ‌্যমেই নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল টাকা পাচার হত। প্রসন্নর অফিস থেকে ৩৯০টি সম্পত্তির দলিল ও ‘ডিড’উদ্ধার হয়। দেখা গিয়েছে, গত ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রসন্ন রায়, তাঁর স্ত্রী, মা ও বাবার নামে এই সম্পত্তিগুলি কেনা হয়। সাধারণভাবে সরকার নির্ধারিত দরের থেকে অনেক কম দামে এই সম্পত্তিগুলি কেনা হয়। টাকা পাচারের জন‌্য প্রসন্ন, তাঁর স্ত্রী ও সংস্থার নামে ২০০টি ব‌্যাঙ্ক অ‌্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়। ওই অ‌্যাকাউন্টগুলিতে নিয়োগ দুর্নীতির কয়েক কোটি টাকা জমা হয় বলে অভিযোগ ইডির।
ইডির নজরে ছিল প্রসন্নর নামে ৯১টি সংস্থার অধীনে থাকা সাত কাঠা করে জমিও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে প্রসন্ন একসময় দাবি করেন, তিনি জমিতে চাষ করান। পেঁপে, ক্যাপসিকাম, টমেটো, কলা, বিনস, সরষে-সহ বিভিন্ন ফল ও সবজি চাষ হয় বলে দাবি করেন। তার থেকেই নাকি এত বিপুল আয় হয়েছে প্রসন্নর। ইডির দাবি, প্রসন্নের জমিতে কোনও চাষবাস হয়নি। যে টাকা লেনদেন হয়েছে তা নিয়োগ দুর্নীতিরই। তদন্তকারীদের দাবি, ইডির নজর এড়াতে চাষের গল্প ফেঁদেছিলেন প্রসন্ন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যুক্ত সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে চাষের কোনও তথ্য পাননি ইডি আধিকারিকরা। ইডি জানায়, আইন অনুযায়ী কোনও সংস্থার অধীনে সর্বোচ্চ সাত কাঠা জমি রাখা যায়। প্রসন্নর নামে থাকা ৯১টি সংস্থার অধীনে সাত কাঠা করেই জমি রয়েছে। আইনের চোখ এড়াতেই এত সংস্থাকে ব্যবহার করা হয়েছে বলেই অনুমান।

Card image cap

‘টেরর কালচারে’র অভিযোগ জুনিয়র ডাক্তারদের নতুন সংগঠনের

‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে জুনিয়র ডাক্তার বনাম জুনিয়র ডাক্তার। অনিকেত, দেবাশিস, কিঞ্জলদের বিরুদ্ধে এবার শ্রীশ, প্রণয়রা। শনিবার দুপুরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যখন গণ কনভেনশন চলছে, ঠিক সেই সময়ই জুনিয়র চিকিৎসকদের আরেকাংশ গঠন করে ফেলল নয়া সংগঠন ‘জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন’। আর তাদের পালটা নিশানায় অপর পক্ষের ‘টেরর কালচার’। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের লোগো প্রকাশ হয় শুক্রবার রাতেই। ‘অপপ্রচার’ রুখতেই যে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ নয়া সংগঠন তৈরি করেছেন, তা উল্লেখ করা হয়েছিল বিবৃতিতেও। শনিবার দুপরে সাংবাদিক বৈঠকে নয়া সংগঠনের আহ্বায়ক তথা জুনিয়র চিকিৎসক শ্রীশ চক্রবর্তী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, “আমাদের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায় ঘটে চলেছে। আমাদের মানসিক, শারীরিক ক্ষতি হয়েছে। গত ৯ আগস্ট খুবই খারাপ ঘটনা ঘটে। কিছু লোক রাজনৈতিক স্বার্থপরতায় কর্মবিরতির দিকে এগিয়ে যায়। আমরা বলি, আমরা প্রতিবাদ জানাব। আমরাই প্রথম আন্দোলন শুরু করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, রোগী পরিষেবাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের বয়কট করা হয়। বলা হয় আমরা নাকি থ্রেট কালচার চালাই। একটি তদন্ত কমিটি বসে। আমাদের কথা শুনল না। আমাদের কলেজে ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়।”তাঁর আরও অভিযোগ, “আমাদের ক্রিমিনাল বলা হয়। অথচ অভয়া দিদির নামে ৪.৭৫ কোটি টাকা তোলা হয়েছে। রিয়া বেরার নামে টাকা তুলছে। তারা কি নটোরিয়াস ক্রিমিনাল নন! আমাদের কেরিয়ার শেষ করার জন্য লেগে পড়ে। আমরা সব মেডিক্যাল কলেজের সকলকে আমন্ত্রণ জানাই। আপনারা আসুন। সবাইকে আহ্বান জানাই। ঘোষণা করছি, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন সবার জন্য আছে। সবরকম বাধা দেওয়া হলেও আছি। থ্রেট কালচার না, টেরর কালচার বলছি। আমাদের টেরর করা হয়েছে।” কিঞ্জল নন্দও অবশ্য আরও একবার গণ কনভেনশনেও ‘হুমকি সংস্কৃতি’ বা ‘থ্রেট কালচারে’র বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তিনি বলেন,”আর জি কর কাণ্ডে দীর্ঘ ৩-৪ বছর ধরে ‘থ্রেট কালচার’ চলছে। আর জি কর কাণ্ডে সত্যিটা এখনও অধরা।” থ্রেট কালচার নাকি সত্যের পাশে থাকবেন, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। রাজ্য প্রশাসন থ্রেট কালচারের পক্ষ নিতে চাইছে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতোর।

Card image cap

‘ডানা’য় ক্ষতিগ্রস্ত দিঘা

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকা। যার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। নবান্ন সূত্রেই এই তথ্য জানা গিয়েছে। বিপদের আশঙ্কায় পর্যটনের ভরা মরশুমে ‘ডানা’র আগেই দিঘা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল পর্যটকদের। তাতে ব্যবসার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। দুর্যোগ কেটে গেলে দ্রুত তা পুনর্গঠনের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শুক্রবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, ”দিঘায় আজও খুব বৃষ্টি হবে। কাঁথি, রামনগরেও হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা সতর্ক থাকতে হবে। আর যা যা ক্ষতি হয়েছে, তা দ্রুত মেরামত করে ফেলতে হবে। দিঘায় অনেক পর্যটক যাবে। তাদের নিরাপত্তার দিকে নজর রাখতে হবে।”উপকূলীয় অঞ্চলে সাইক্লোন ডানা দাপট দেখিয়েছে ভালোই। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় জাতীয় ও রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দল রয়েছে। তারাই গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় একেবারে ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছিল সৈকত। পুজোর ছুটিতে যাঁরা দিঘা বেড়াতে গিয়েছিলেন, তাঁরা কিছুটা হতাশ। এই পরিস্থিতিতে পর্যটন ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।  এর আগেও বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে দিঘার মতো উপকূলীয় এলাকা বার বারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেসব এলাকা পুনর্গঠনে ম্যানগ্রোভ অরণ্য গড়ে তোলার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী।ডানা’র পরও তিনি একই পরামর্শ দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে। শুক্রবার নবান্ন থেকে ভারচুয়াল বৈঠকে জেলাশাসককেই সরাসরি বললেন, ”দুর্যোগের সময় ঘন ঘন আপডেট দিয়েছেন আপনারা। আমি জেলার পরিস্থিতি সবটাই জানি। প্রশাসনের সব স্তরের অফিসারদের নিয়ে বিপদ মোকাবিলায় যা প্রয়োজন, করবেন। ম্যানগ্রোভ ভালো করে লাগাতে হবে ওখানে। আর দিঘার দিকে বেশি নজর দিতে হবে। ওখানে যে জগন্নাথ মন্দির তৈরি হচ্ছে, সেটা ঠিক আছে তো? খেয়াল রাখবেন, কোনও ক্ষতি যেন না হয়। আর এখনই NDRF, SDRF কে তুলবেন না। আগামী ৪৮ ঘণ্টা দুর্যোগ চলতে পারে। ওদের কাজে লাগবে।” 

Card image cap

মুখ্যসচিবকে ইমেল আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের

দশ দফার পর এবার ৬ দফা দাবিতে ফের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সমস্যার দ্রুত সমাধান, টাস্ক ফোর্সের বৈঠক, সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম সর্বত্র চালু এবং সেই সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিত দেওয়া-সহ একগুচ্ছ দাবি রয়েছে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের এই চিঠিতে। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে ইমেলের মাধ্যমে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে তা পাঠানো হয়েছে। এনিয়ে অবশ্য এখনও প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবি, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সুরক্ষার জন্য শুধুমাত্র কিছু কমিটি তৈরি করাই যথেষ্ট নয়, তা কতটা সক্রিয় এবং কার্যকর, তাও দেখার দায়িত্ব সরকারের।আর জি কর কাণ্ডের পর থেকে হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। দফায় দফায় সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও একাধিকবার তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসে দাবিদাওয়া শুনেছেন, সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁদের দাবি মেনে ১০ দফা দাবির মধ্যে ৭টি ইতিমধ্যে পূরণ করা হয়েছে। শুধুমাত্র জুনিয়র চিকিৎসকদের নিরাপত্তাই নয়, রোগীস্বার্থেও বেশ কিছু দাবি রয়েছে তাঁদের। যার মধ্যে অন্যতম সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম। এই পদ্ধতি সব হাসপাতালে চালু করতে হবে বলে এদিনের চিঠিতে উল্লেখ করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে লেখা চিঠিতে মোট ৬ দফা দাবি তুলেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। ভূমিকাতেই তাঁরা লিখেছেন যে এসব নিতান্তই পরামর্শ নয়, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কেন্দ্রীয় রেফারেল সিস্টেমের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় জনস্বার্থে ভালোভাবে প্রচার করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। স্বচ্ছতার সঙ্গে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা, বিভিন্ন হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর কথাও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁদের মতে, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নের স্বার্থে এসব এখনই প্রয়োগ করা জরুরি। এনিয়ে মুখ্যসচিবের তরফে ইতিবাচক পদক্ষেপ আশা করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

Card image cap

প্রায় ২৮ ঘণ্টা পর নবান্ন থেকে বেরলেন মুখ্যমন্ত্রী

পূর্বাভাস সত্যি করে বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার ধামরা এবং ভিতরকণিকার মাঝামাঝি এলাকায় শুরু হয় ঘূর্ণিঝড় ডানার ল্যান্ডফল। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ শেষ হয় প্রক্রিয়া। নজরদারিতে রাতভর নবান্নেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডানার দাপটে রাত থেকেই বাংলা ও ওড়িশা জুড়ে চলছে প্রবল বৃষ্টি। একাধিক এলাকা জলমগ্ন।‘ডানা’র নজরদারিতে প্রায় ২৮ ঘণ্টার বেশি নবান্নে কাটালেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ বেরিয়ে যান তিনি।জল থইথই লেক গার্ডেন্স থেকে সল্টলেক।বৃষ্টিভেজা কলকাতার পথঘাট একেবারে ফাঁকা। কার্যত ফিরে এসেছে লকডাউনের ছবি। জলমগ্ন এসএসকেএম, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ। প্রবল সমস্যায় রোগীরা। সাউথ সিটির সামনে ভেঙে পড়ল গাছ। বন্ধ যান চলাচল।কালিপুজোয় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা দেখার নির্দেশ মমতার। আইবি, পুলিশ ও গোয়েন্দাদের  সতর্ক করলেন তিনি।

Card image cap

শেষ হয়েছে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া, কমেছে গতি

রাত সাড়ে এগারোটায় শুরু হয়েছিল। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ শেষ হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ডানার ল্যান্ডফল। ফলে গতি কমেছে। দুপুরের মধ্যে শক্তি হারিয়ে সাইক্লোন থেকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ডানা। পূর্বাভাস সত্যি করে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ডানার ফরওয়ার্ড সেক্টর স্থলভাগ স্পর্শ করে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র অর্থাৎ ‘আই’ দেড়টা থেকে ভোর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত স্থলভাগে প্রবেশ করে। লেজের অংশ সম্পূর্ণভাবে স্থলভাগে ঢুকে পড়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটায়। এর পরই গতি কমেছে ঘূর্ণিঝড় ডানার। তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের আকারে থাকলেও গতিবেগ ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হয়েছে। যা ছিল সর্বোচ্চ একশো কুড়ি কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। দুপুরের মধ্যে এটি সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এর পর আরও শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার পর দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বাঁক নিতে পারে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর।ডানার দাপটে ওড়িশা ও বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় চলছে প্রবল বৃষ্টি। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। বাংলার সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। ভেঙে পড়েছে প্রচুর কাঁচাবাড়ি। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনাতেও চলছে তুমুল বৃষ্টি। বিভিন্ন জায়গায় জমেছে জল। প্রবল ভোগান্তির শিকার আমজনতা।

Card image cap

এখনও নবান্নেই রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী!

ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র গতিবিধি নজরে রাখতে রাতভর নবান্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুরেও তিনি সেখানেই রয়েছেন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল থেকে একাধিক বার নিজের ১৪ তলার দফতর থেকে কন্ট্রোল রুমে নেমে এসে দুর্যোগ-পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর ফের নিজের দফতরে ফিরে জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন বলে ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জেলায় ‘ডেনা’র প্রভাব কেমন, সেই সম্পর্কে এখনও খোঁজখবর নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনও তিনি যোগাযোগ করছেন জেলাশাসকদের সঙ্গে, কখনও বা শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে। পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে তৎক্ষণাৎ প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিচ্ছেন তিনি। দুপুরেই সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং উদ্ধারকাজের বিষয়ে সবিস্তারে জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।বৃহস্পতিবার বিকেলেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধির দিকে নজর রাখতে সারা রাত নবান্নেই থাকবেন তিনি। সেই মতো তাঁর নজর ছিল নবান্নের কন্ট্রোল রুমে থাকা জায়ান্ট স্ক্রিনে। তবে প্রশাসনের তরফে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া থাকলেও ‘ডেনা’ তেমন প্রভাব ফেলতে না পারায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।

দুর্যোগ পরিস্থিতির উপরে নজরে রাখতে সারা রাত পুরসভাতেই ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। রাতের দিকে এক বার পুরসভার ছাদে উঠে আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি বোঝার চেষ্টা করেন তিনি। ঠনঠনিয়া কিংবা মোমিনপুরের মতো শহরের নিচু এলাকাগুলিতে বৃষ্টির কারণে জল জমেছে কি না, সেই সম্পর্কে খোঁজখবর নেন ফিরহাদ। বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি জানতে তিনি নিয়মিত খবর নেন মেয়র পারিষদ, বরো চেয়ারম্যান এবং অন্য পুর আধিকারিকদের কাছ থেকে। পরিস্থিতি মোটের উপরে নিয়ন্ত্রণে, এই খবর পাওয়ার পর ভোর ৫টা নাগাদ পুরসভা থেকে বেরিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন মেয়র।

Card image cap

ডেনা’র প্রভাব কোথায় কেমন পড়ল

ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী স্থানে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় 'ডেনা'। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত চলেছে 'ল্যান্ডফল' প্রক্রিয়া। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওড়িশায় রাত থেকে ঝড়ের গতি ছিল ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। সর্বোচ্চ একশো কুড়ি কিলোমিটার বেগেও ঝড় বয়ে গিয়েছে কোথাও কোথাও। পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকাতেও ঝড় হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে ভারী বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকাতেও ঝড়ের প্রভাব পড়বে বলে জানানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী উপকূল এলাকায় রাত থেকে চলছে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব। যদিও এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সে ভাবে পড়তে দেখা যায়নি কলকাতায়। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত, এমনকি ল্যান্ডফলের সময়েও কলকাতায় ঝিরঝিরে বৃষ্টি ছাড়া কিছু দেখা যায়নি। তবে ভোর থেকে বৃষ্টি বেড়েছে। টানা বৃষ্টি হয়েই চলেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার পর্যন্ত কলকাতায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রামেও একই সর্তকতা রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বৃষ্টি চলতে পারে শনিবার পর্যন্ত।