CATEGORY state:

Card image cap

কলকাতা পুলিশ প্রথম থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে, কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করেনি!

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তাণ্ডবের পর বুধবার গভীর রাতে সেখানে পৌঁছে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন 'গুজব' নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিনীত বলেন, 'আমি ক্রুদ্ধ।' ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি আরও বলেন, 'ডিসি নর্থ প্রতিবাদকারীদের রক্ষা করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন।


তিনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন। এখানে যা হয়েছে তা ভুল প্রচারের জন্য হয়েছে। কলকাতা পুলিশ এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।'

এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিনীত। তিনি বলেন, 'কলকাতা পুলিশ কী করেনি! আরজি করের ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশ সব কিছু করেছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে এই কথা বলছি। আমার সহকর্মীরা দিন-রাত এক করে দিয়ে এই তদন্তের কিনারা করার চেষ্টা করেছেন। তাঁরা প্রমাণ সংগ্রহে কোনও রকম ত্রুটি রাখেননি। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা পরিবারের ওই চিকিৎসকের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। নানা রকম গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও 'মহাপাত্র'-এর নাম হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই 'মহাপাত্র'-এর রাজনৈতিক যোগ রয়েছে এবং তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত! যাঁর নামে এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে তিনি এক জন ইন্টার্ন। খুব ছোট জায়গা থেকে তিনি উঠে এসেছেন। আমরা সেটি খতিয়ে দেখেছি। তাঁর বাবা এক জন প্রাথমিক শিক্ষক। তাঁর রাজনৈতিক কোনও যোগ নেই। সাধারণ মানুষ এই গুজব ছড়িয়েছেন। এদের মধ্যে ওঁর নিজের বন্ধুরাও রয়েছেন। যা কি না আরও মর্মান্তিক। আমি ক্রুদ্ধ। যা হয়েছে তার জন্য আমি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ। আমরা কোনও ভুল করিনি। নানা ভুল এবং ক্ষতিকারকে প্রচারের কলকাতা পুলিশের সম্মানহানি ঘটেছে। মানুষ আমাদের উপর থেকে ভরসা হারিয়ে ফেলেছেন।'


তিনি আরও বলেন, 'আমরা কখনই বলিনি যে আরজি করের ঘটনায় এক জন জড়িত। আমরা সায়েন্টিফিক তথ্যের অপেক্ষা করেছিলাম। যার জন্য সময় লাগত। অভিযুক্ত বার বার বয়ান পরিবর্তন করছিল। আমাদের কাছেও অকাট্য প্রমাণ ছিল না। আমি কোনও গুজবের ভিত্তিতে কোনও পিজি ছাত্রকে গ্রেফতার করতে পারি না। নানাবিধ ভাবে আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। প্রথম থেকেই আমরা স্বচ্ছ্ব ছিলাম। যা যা করা প্রয়োজন ছিল আমরা তাই-ই করেছি। আমাদের হাত থেকে তদন্ত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা তা নিয়েও কিছু বলিনি। সিবিআই এখন তদন্ত করছে। আমরা সব রকম ভাবে তাদের সাহায্য করব। আমরা প্রথম থেকেই স্বচ্ছ্ব ভাবে তদন্ত করে আসছি।''

নিহত চিকিৎসকের পরিবার এবং সকলের সঙ্গে স্বচ্ছ্বতা বজায় রেখে পুলিশ চলছে বলেও দাবি করেন সিপি। তিনি বলেন, ''ছাত্রদের একটি সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে তদন্তে সব রকম তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে বলা হয়েছিল। তাঁরা সেটাও করেননি। মৃতার দেহ নিয়েও নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে যার কোনও বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা ছিল না। এই নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারও চালানো হয়েছে। যা কি না শহরের জন্য দুর্ভাগ্যজনক এবং দুঃখজনক। এর ফলে কলকাতা পুলিশের সম্মানহানি হয়েছে। ভ্রান্তিমূলক প্রচার থেকে বিরত থাকলেই এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যেত। আমি এটুকু দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি আমরা কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করিনি। যদি সিবিআই প্রমাণ করতে পারে আমরা এ ধরনের কাজে যুক্ত বা প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছি তা হলে আমাদের ধারা ২০১ অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।'

Card image cap

আমরা ১০ লাখ দিতে চেয়েছিলাম', উত্তরে কী বলেন আরজি করের নির্যাতিতার মা?

আরজি কর ঘটনায় রাজনীতি হচ্ছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএম ও বিজেপিকে একযোগে বেঁধেন মুখ্যমন্ত্রী। ধর্ষিতা-খুন চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে তিনি কী কথা বলেছিলেন তাও প্রকাশ্যে আনেন। তরুণীর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতে চেয়েছিলেন মমতা।


এদিন সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম আমাদের একটা কর্তব্য আছে, মেয়ে তো আর ফিরে আসবে না। আমি ওনাকেও বলেছিলাম, ওঁর নামে যদি কিছু করতে চান, করে দেব। আমরা ১০ লক্ষ টাকা তো দিতেই পারি। তবে তাঁর মা বলেছেন, আগে মেয়ের বিচার হোক, তারপর দেব। যারা কম্পেনসেশনের কথা বলছেন, তাদের জানিয়ে রাখি আমরা আগেই বলেছি।”


তিনি আরও বলেন, “যদি কোনও সন্দেহ থাকে তাঁদের থেকে কথা শোনার জন্য। কী কী খবর আছে বলুন। আমাকে রবিবার পর্যন্ত খবর দিন। সাথে যদি কেউ থাকে তাদের ডাকব এবং তার বিরুদ্ধএ ব্যবস্থা নেব। এবং জুনিয়র ডক্টরদের তারা ডেকেছিল, তাছাড়াও, অনেক কাউকে ডেকেছিল। প্রমাণ কলকাতা পুলিশের হাতে ছিল, আমরা ওটা সিবিআইকে দিয়ে দিয়েছি। আমরা রবিবার সময় দিয়েছিলাম। আমাদের টার্গেটের টাইম ছিল, তারা রবিবারের মধ্যে কেস করে ফাঁসি দেবে, এটা আমরা চাই। আমি কিন্তু বালুরঘাটের কেসে করে দিয়েছিলাম। কামদুনির কেস যাঁরা বলছেন, তাঁরা জেনে রাখুন, ২ জনকে ফাঁসির কথা বলেছিলাম, কিন্তু হাইকোর্ট তাঁদের শাস্তি মকুব করে।”


সিপিএমকে বিঁধে বললেন মমতা…


মমতা এদিন বলেন, “রাজারহাটে কৃষক মেরেছেন, কত মানুষের কঙ্কাল পুঁতে দিয়েছেন। একসঙ্গে কত মানুষকে হত্যা করেছেন, সব ভুলে গেছি আমরা? সহানুভূতি না দেখিয়ে রাজনীতি করছেন। আমি ক্ষমতার মায়া করি না। আমি মনে করি মানুষের সেবা করে যাব। হঠাৎ করে চাকরি বাতিল করে দেন আপনারা।মামলা করে চাকরি বাতিল করে দেন। ২৬ হাজার চাকরি খাচ্ছেন, তারাও কিন্তু নতুন যৌবন, তখন ভাবনা আসে না? কী ব্যবস্থা জানি না। কেন একজন রাজ্যসভার সাংসদ লড়বেন এই কেসে লড়বেন? অনেক আইনজীবী আছেন, তারা তো কোনও এমপি নন। আপনারা কি চান না, আসল দোষী শাস্তি পাক? কালপ্রিট ধরা পরুক? আপনাদের সব চলাচল লক্ষ্য করছি। অকথা-কুকথা বলছেন, সবটাই মিথ্যে, অপ্রপচার। কারণ, আপনারা চান না বাংলায় শান্তি থাক। তাই এই রাজনীতি করছেন আপনারা। আমরা কিন্তু এই রাজনীতি করিনি। আন্দোলন করতে করতে আমার ব্রেন সার্জারি হয়েছে।”

Card image cap

আরজি করে হামলার প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক

রাত দখল-কে ঘিরে ধুন্ধুমার। আরজি কর হাসপাতালে দুষ্কৃতী হামলা। কার্যত তাণ্ডব চালানো হল হাসপাতালের ভিতরে। ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ে এক দল জনতা। হাসপাতালের ভিতরে এমার্জেন্সি ওয়ার্ডেও ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবার ধর্মঘটের ডাক। শুক্রবার ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসইউসিআই(সি)।


আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদেই পথে নেমেছিল সাধারণ মানুষ। মহিলারা রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন। রাজ্যের বিভিন্ন অংশেই প্রতিবাদ মিছিল চলছিল। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হঠাৎই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।


একদল উন্মত্ত জনতা পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পড়ে। এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়। এমনকী, অগ্নিসংযোগেরও চেষ্টা করা হয়। পুলিশের পোড়া ইউনিফর্ম, ছাতা উদ্ধার হয়েছে।


এই ঘটনার পিছনে কারা জড়িত, তা এখনও জানা যায়নি। আরজি কর হাসপাতালে এই ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে ১৬ অগস্ট, শুক্রবার ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, এসএফআই-ডিওয়াইএফআই-এআইডিডব্লুএ-র তরফে আজ, ১৫ অগস্ট প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। শিয়ালদহ থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে।

Card image cap

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিতে ভাসবে এই জেলা

ঘূর্ণাবর্ত ও মৌসুমী অক্ষরেখার জোড়া ফলা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা দক্ষিণবঙ্গে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গেও।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মৌসুমী অক্ষরেখা ফের বাংলায় সক্রিয়। এই অক্ষরেখা শ্রীগঙ্গানগর, দিল্লি, হামিরপুর, চুর্ক, বাঁকুড়া, দিঘার পর পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এগিয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এদিকে রাজস্থানের থেকে ঘূর্ণাবর্ত বাংলাদেশ পর্যন্ত রয়েছে। যেটি উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। এর প্রভাবেই আজ বুধবার দক্ষিণবঙ্গের তিনজেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। সব জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবারও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টি হতে পারে অন্তত পাঁচ জেলায়। তালিকায় হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। অন্যান্য জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। ছয় জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে।আজ অর্থাৎ বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কিছুটা বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ির সঙ্গে মালদহ ও দুই দিনাজপুরেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা। প্রসঙ্গত, আগামী দু-তিনদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রাজস্থান, কর্ণাটক, কেরল ও মাহেতে। আগামী দু’দিনে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা বিহার, অসম, মেঘালয়, মণিপুর-সহ একাধিক রাজ্যে।

Card image cap

চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর

আর জি কর কাণ্ডের জেরে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা কার্যত শিকেয়। বুধবার দিনভর জুনিয়র চিকিৎসক এবং ইন্টার্নদের কর্মবিরতির জেরে আউটডোর পরিষেবা কার্যত স্তব্ধ ছিল। বৃহস্পতিবারও পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা নেই। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের কাজে ফেরার জন্য কার্যত কাতর আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মনে করালেন, ‘চিকিৎসকরা পরিষেবা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’বুধবার প্রাক স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বেহালার এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের দ্রুত কাজে ফেরার অনুরোধ করলেন। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “বারবার আবেদন করছি চিকিৎসকদের যারা এখনও ডিউটি জয়েন করেননি। ইতিমধ্যেই ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বিনা চিকিৎসায়। এর মধ্যে একটি শিশু এবং অন্তঃসত্ত্বা মহিলাও রয়েছে। সাধারণ মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে বলছি, আপনারা কিন্তু চিকিৎসা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। পাঁচ দিন তো হয়ে গেল এবার পরিষেবা দিন। চিকিৎসাটা দিন।”
কার্যত কাতর স্বরে মমতার আর্জি, “আপনাদের পায়ে ধরছি। তাতে যদি আপনাদের চরণযুগল শান্ত হয়। আন্দোলন করেছেন তো চার পাঁচদিন। কেউ কিছু বলেনি। এবার পরিষেবা দিন। আপনারা প্র্যাকটিস করলেও একটা জায়গায় চাকরি করেন সেটা মনে রাখুন। এখন সিনিয়র ডাক্তাররা অনেক জায়গায় পরিষেবা দিচ্ছেন। তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।”বস্তুত চিকিৎসকদের কর্মবিরতি রাজ্যের চিকিৎসাক্ষেত্রে অচলাবস্থা তৈরি করেছে। ওপিডি পরিষেবা কার্যত শিকেয়। কোনওক্রমে সিনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে আংশিকভাবে আউটডোর পরিষেবা চালানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসেও ওপিডি পরিষেবা স্বাভাবিকভ হবে না। সেদিকে নজর রেখে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। এদিন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজের সুপার, প্রিন্সিপাল এবং সিএমওএইচদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি স্বাস্থ্যকর্তাদের বুঝিয়ে দেন, জনরোষ বাড়ছে। তাই দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীও চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক করতে চিকিৎসকদের অনুরোধ করলেন।

Card image cap

আর জি কর কাণ্ডে পথে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী

আর জি কর কাণ্ডে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতি। হাই কোর্টের নির্দেশে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। প্রাক স্বাধীনতার অনুষ্ঠানে বেহালা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগামী তিনদিনের মধ্যে সিবিআইকে চার্জশিট গঠন করে ফাঁসির আবেদন করতে হবে।” উল্লেখ্য, পুলিশকে রবিবার পর্যন্ত সময় দিয়ে রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগেই সিবিআই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। এদিকে ১৬ তারিখ আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দোষীর ফাঁসির দাবি জানিয়ে পথে নামতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৌমালি মোড় থেকে ডোরিনা কসিং পর্যন্ত মিছিল করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

Card image cap

জারি হল নয়া নির্দেশ, RG Kar কান্ডের পরেই সিভিকদের নিয়ে কড়া নবান্ন

অতীতে রাজ্যে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বিরুদ্ধে উঠেছে একাধিক অভিযোগ। আর জি কর কাণ্ডের পর নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের  নিয়ে। নিয়ম অনুযায়ী সিভিক ভলেন্টিয়াররা শুধুমাত্র পুলিশের 'সহকারী' হিসেবে কাজ করতে পারবেন।


সিভিকদের জন্য নয়া নির্দেশিকা


কোনও রকম তল্লাশির কাজে যেতে পারবেন না সিভিক ভলেন্টিয়াররা। এছাড়াও থানায় জিডি করা বা তদন্ত সংক্রান্ত ফাইল দেখার অনুমতিও নেই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। তবে তার পরেও রাজ্যের একাধিক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ উঠছে যার জেরে বিপাকে পড়ছে পুলিশ  ও রাজ্য সরকার ।


এই আবহে নবান্নের  তরফ থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে নতুন নির্দেশিকা। নবান্নের একটি সূত্র বলছে, উপেক্ষিত হচ্ছে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে তৈরি আইন। প্রশাসনের কাছে সেই সংক্রান্ত খবর ও প্রমাণ রয়েছে। রাজ্যের অধিকাংশ থানা এখন সিভিক ভলেন্টিয়ার 'নির্ভর' হয়ে উঠেছে।


তাই অনেকেই অভিযোগ তুলছেন সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ঔদ্ধত্য বেড়ে গেছে বহুগুণ। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে পুলিশের সাথেই তদন্তের কাজে সিভিক ভলেন্টিয়াররা সহায়তা করছেন। পুলিশ স্টেশনের  বিভিন্ন কাজে সরাসরি যুক্ত হচ্ছেন তারা যা সম্পূর্ণ নিয়ম বিরুদ্ধ।


অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গের  অধিকাংশ থানায় রয়েছে পর্যাপ্ত পুলিশ কর্মীর অভাব। রাজ্য সরকার সেই সংকট মেটানোর চেষ্টা করছে সিভিক ভলেন্টিয়ার  নিয়োগের মাধ্যমে। তবে দেখা যাচ্ছে পুলিশ কর্মীরা নিজেদের দায়-দায়িত্ব সিভিক ভলেন্টিয়ারদের উপর ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে যাচ্ছেন।


রাজ্য সরকার এমনকি আদালতেরও নির্দেশ রয়েছে যে সিভিক ভলেন্টিয়াররা শুধুমাত্র পুলিশের 'সহযোগী' হিসেবেই কাজ করবেন। তবে নবান্নের কাছে খবর রয়েছে রাজ্যের একাধিক জায়গায় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে লাগানো হচ্ছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে তাদের হাতে দেওয়া হচ্ছে লাঠি, ওয়াকিটকি।


আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক খুনের পর অভিযোগের মূল তীর এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের দিকে, যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন পুলিশ-প্রশাসন। এই অবস্থায় নবান্ন সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য তৈরি করছে নতুন নির্দেশিকা। সেই নির্দেশিকায় স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ থাকবে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কাজ বা দায়িত্ব সম্পর্কে।

Card image cap

পড়ুয়াদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ১০ হাজার টাকার অনুদান প্রকল্প!

রুণের স্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় ২০২১ সালে প্রথম ট্যাব অথবা স্মার্টফোন কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের সূচনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বছরের পর বছর ধরে টাকা দেওয়া হচ্ছে। এবার নতুন নিয়ম অনুযায়ী দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের পাশাপাশি একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারাও ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা পাবে।


এবার যারা মাধ্যমিক পাশ করার পর একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে তারা এই প্রকল্পের আওতায় টাকা পাওয়ার জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত।


তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় টাকা প্রদানের জন্য মূলত জুলাই মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বেছে নেওয়া হয়েছিল। তবে ১৫ তারিখ পেরিয়ে গেলেও টাকা এখনো অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি। কিন্তু কেন সেই টাকা ঢোকেনি তা নিয়ে এবার একটি অন্যরকম তথ্য সামনে এলো। একাধিক স্কুলের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, টাকা না ঢোকার পিছনে রয়েছে সাইবার প্রতারণা। সাইবার প্রতারণার ফলে পড়ুয়াদের এক অ্যাকাউন্ট নম্বর এন্ট্রি করা হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে যাচ্ছে।


পুরো বিষয়টি এবার শিক্ষা দপ্তর খতিয়ে দেখছে। কেননা ২৫ জুলাইয়ের পরেও একাদশ শ্রেণির ৫১ হাজার অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল রয়েছে এবং সাত হাজারের বেশি পড়ুয়াদের আইএফএসসি কোড ভুল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ১৯ হাজারের বেশি পড়ুয়ার অ্যাকাউন্ট নম্বর ও চার হাজারের বেশি পড়ুয়াদের আইএফএসসি কোড ভুল রয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই সমস্ত রকমের ভুলভ্রান্তি দূর করে আগামী মাস দুয়েক অর্থাৎ অক্টোবর মাসের মধ্যে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

Card image cap

চেস্ট ডিপার্টমেন্টের গোপন তথ্য জেনে গিয়েছিলেন তরুণী!

ক্রমাগত রহস্য আরও জটিল হচ্ছে আরজিকর কাণ্ডে। এবার গুরতর অভিযোগ উঠল দুইজন হাউজ স্টাফ ও ইন্টার্নের বিরুদ্ধে। চেস্ট ডিপার্টমেন্ট সম্পর্কে কী এমন কিছু জেনে গিয়েছিল নির্যাতিতা? যার দরুণ এই ভয়ঙ্কর পরিণাম হল তাঁর? উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি।


শুধু তাই নয়, গত ২ মাস ধরে নাকি মৃত চিকিৎসককে সম্ভাব্য সব উপায়ে হয়রান করা হচ্ছিল বলেও জানা গিয়েছে।


কিন্তু কাদের কারণে হয়রানি পোহাতে হচ্ছিল? অভিযোগ একেবারে চুপ ছিলেন সহকর্মীরাও। সহকর্মীদের কী নিজের ভোগান্তির কথা জানিয়েছিল আরজিকরের তরুণী চিকিৎসক? হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে আরও গুরতর অভিযোগ।


ইতিমধ্যেই আরজিকর ঘটনার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। অন্যদিকে ৭ দিনের মধ্যে দোষীদের ধরার ডেডলাইন দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু সেই ডেডলাইনের পরোয়া না করেই সিবিআইকে তদন্ত ভার দিয়ে দেয় আদালত।


অন্যদিকে তরুণী খুনের দোষীদের শাস্তির দাবিতে তোলপাড় রাজ্য তখা দেশ। আগু জ্বলছে সমাসমাধ্যমের পাতায়।


এরপর বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল একটা চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন । তিনি দাবি করেন আরজি কর মেডিকেল কলেজের তরুনী চিকিৎসককে গনধর্ষণ হত্যায় যুক্ত খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের এক সাংসদের ভাগনা। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, "আশ্চর্যজনক যে কী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতটা নিশ্চিত হতে পারে যে তার পুলিশ রবিবারের মধ্যে এই মামলাটি সমাধান করতে পারবে? তিনি কি জ্যোতিষশাস্ত্রীয় শক্তির উপর নির্ভর করছেন, নাকি অন্য কিছু আছে? ধর্ষণ এবং নৃশংস হত্যার যে জঘন্য অপরাধ ঘটেছে,তা সমাধানের জন্য কি মুখ্যমন্ত্রী কি আদেও ভাবছে ? নাকি আসলে তিনি কাউকে আড়াল চেষ্টা করছেন?"

Card image cap

দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় এবারও শীর্ষে আইআইটি মাদ্রাজ

দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় এবারও শীর্ষ স্থান ধরে রাখল আইআইটি মাদ্রাজ। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র‌্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক বা এনআইআরএফ ২০২৪-এর বিচারে সম্প্রতি দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে যে, এবারও দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (সামগ্রিক) এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শীর্ষে আইআইটি মাদ্রাজ।
সোমবার দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এই নিয়ে আটবার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সেরার শিরোপা ধরে রাখল আইআইটি মাদ্রাজ। এদিকে, দেশের সেরা আইন বিষয়ক কলেজের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে কলকাতার দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্স। দেশের সেরা ম‌্যানেজমেন্ট কলেজের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে আইআইএম কলকাতা। আর দেশের সেরা ১০টি বিশ্ববিদ‌্যালয়ের তালিকায় নবম স্থান দখল করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ‌্যালয়।
এদিকে, মানের নিরিখে জাতীয় স্তরে আরও পিছিয়ে গিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা মন্ত্রকের র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী ১৫০ নম্বর স্থানে রয়েছে কবিগুরুর স্বপ্নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে এক দশক আগেও যে প্রতিষ্ঠান ১১ নম্বরে ছিল, গত কয়েক বছরে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শুধুই অবনমন ঘটেছে। ২০২০ সালে ৫০ নম্বরে ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরের বছর আরও নিচে নেমে হয় ৬৪। ২০২২-এ ৯৮ নম্বরে এবার ২০২৪ সালেও ১৫০ -এ ঠাঁই হয়েছে বিশ্বভারতীর। এর পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। তবে কি বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ধাক্কা খাচ্ছে ? পৃথিবীজুড়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতীরা রয়েছেন। কেন সেখানে শিক্ষার মানের অবনমন হচ্ছে। তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন প্রবীণ আশ্রমিক থেকে প্রাক্তনীরা।

Card image cap

মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিক্ষোভে উত্তাল R G Kar হাসপাতাল

মেরামতির নামে সেমিনার হলের পাশের দেওয়াল ভেঙে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে। এই অভিযোগেই সরব বাম ছাত্রনেতারা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এমার্জেন্সির গেট ভেঙে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আর জি কর হাসপাতালে ঢোকেন এসএফআই-ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্য-সমর্থকরা। বাম  ছাত্রযুবদের বিক্ষোভে নতুন করে রণক্ষেত্র হাসপাতাল। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন পড়ুয়া চিকিৎসকরাও। তাঁদের কথায়, কোনও পরিস্থিতিতেই হাসপাতালের ভিতরে এহেন অশান্তি কাম্য নয়। 
তরুণী চিকিৎসককে যৌন নির্যাতন ও খুনকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য। প্রতিবাদে সরব সবমহল। মঙ্গলবার খোদ অপর্ণা সেন আর জি কর হাসপাতালে দাঁড়িয়ে ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীর শাস্তির দাবিতে সুর চড়ান। তার কিছুক্ষণ পরই বাম ছাত্রনেতাদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল হাসপাতাল। জানা গিয়েছে, আর জি কর হাসপাতালের যে সেমিনার হল থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে তার পাশের দেওয়াল ভাঙা হচ্ছে। হাসপাতালের একাংশের দাবি, রেস্ট রুম তৈরির জন্য এই কাজ। বাম ছাত্রনেতাদের দাবি, সিবিআই তদন্তের আগে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছে। সেই কারণে তড়িঘড়ি এই কাজ।
তাঁদের প্রশ্ন, যে সেমিনার হলকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা। গোটা বিষয়টা তদন্তাধীন। এই পরিস্থিতিতে কেন কাজ শুরু করা হল? নির্দেশই বা কে দিয়েছে? এহেন একাধিক প্রশ্ন সামনে রেখেই এদিন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে SFI-DYFI কর্মীরা এমার্জেন্সির গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন। হাসপাতালের ভিতরে বসে বিক্ষোভে শামিল হন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে হাসপাতাল। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ময়দানে নামে পুলিশ। কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। এর পর হাসপাতাল চত্বর থেকে ঘটনার প্রতিবাদে সুর চড়ান মীনাক্ষী।

Card image cap

ডায়াবেটিস মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকার ভুয়সী প্রশংসা ইউনিসেফের

টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকার ভুয়সী প্রশংসা করল ইউনিসেফ। এ ব‌্যাপারে গোটা দেশের মধ্যে বাংলা ‘রোল মডেল’ হয়ে উঠেছে বলে মনে করছে রাষ্ট্রসংঘের এই সংস্থা। মঙ্গলবার নবান্নে ইউনিসেফের একটি দল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। রাজ্য সরকার যেভাবে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস রোধে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে, সেটার ভূয়সী প্রশংসা করেন ইউনিসেফের প্রতিনিধিরা। কন‌্যাশ্রী থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে বাংলা গোটা দেশে রোল মডেল হয়ে উঠেছে। এবার স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও রোল মডেল হয়ে উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য। 
সূত্রের খবর, ওই প্রতিনিধি দলটি শিশুদের টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস রোধে রাজ্য সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। যৌথ প্রকল্পের সম্ভাবনা নিয়েও সদর্থক আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের পর নিজেই এক্স হ্যান্ডেলে এই কথা জানালেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘ইউনিসেফের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল আজ নবান্নে আমার সঙ্গে দেখা করেছে। টাইপ ১ ডায়াবেটিস মোকাবিলায় রাজ্য যে মডেল অনুসরণ করছে তার প্রশংসা করেছে।  শিশুদের ‘নন-কমিউনিকেবল ডিজিস’ মোকাবিলায় আরও বেশি করে একযোগে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
আসলে টাইপ ওয়ান মোকাবিলায় বিপ্লব এনেছে রাজ্যের স্বাস্থ‌্য দপ্তর। তিন বছর আগে এসএসকেএম হাসপাতালে একটি পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়। সিরিঞ্জের বদলে ইনসুলিন পেনের সাহায্যে ইনসুলিন প্রবেশ করানো শুরু হয় শরীরে। এরপর গত দু’বছরে পাঁচটি জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় এই প্রকল্প। জেলা হাসপাতালগুলিতে স্পেশালিটি ডায়েবেটিক ক্লিনিক খোলা হয়। ষেখানে কলকাতা থেকে বিশেষজ্ঞ এন্ডোক্রিনোলজিস্টরা গিয়ে হাতেকলমে জেলার ডাক্তারবাবুদের টাইপ ওয়ান চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। জেলা হাসপাতালে ইনসুলিন সরবরাহের ‘কোল্ড চেন’ তৈরি করা হয়। এইচবিএ১সি পরীক্ষার ব‌্যবস্থা করা হয়। এবার আরও দশটি জেলা হাসপাতালে টাইপ ওয়ান চিকিৎসার সুযোগ সম্প্রসারিত হচ্ছে। এমনটাই জানালেন ‘ডায়াবেটিস অ‌্যাওয়ারনেস অ‌্যান্ড ইউ’-র সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ মজুমদার।বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, দ্য ল্যানসেট ডায়াবেটিস অ্যান্ড এন্ডোক্রিনোলজির রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, চীন, জার্মানি, স্পেন, কানাডা, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া এবং সৌদি আরবে টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২০২১ সালের এই রিপোর্ট অনুসারে, বর্তমানে প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ এই রোগের কবলে রয়েছে, যা ২০৪০ সালের মধ্যে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ থেকে শুরু করে ১ কোটি ৭৫ লক্ষ পর্যন্ত হতে পারে। টাইপ ১ ডায়াবেটিসে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন একেবারেই তৈরি হয় না। যে কারণে আলাদা করে ইনসুলিন নিতে হয়।

Card image cap

ভ্যাপসা গরমের মধ্যেই ঝেঁপে বৃষ্টি!

আগামী এক ঘণ্টার মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের ছয় জেলায় আসছে বষ্টি, পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।যদিও আবহাওয়া দফতর আগে জানিয়েছিল, সপ্তাহের শেষ লগ্নে দক্ষিণবঙ্গে সেভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি রয়েছে যার ফলে, কলকাতা-সহ দক্ষিণ বঙ্গের সব জেলাতে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে।এ দিকে সপ্তাহের শুরু থেকেই আকাশের মুখ ভার। আবহাওয়া দফতরের হিসেব বলছে, এক ঘন্টায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিতে ভাসবে বাঁকুড়া দার্জিলিং পূর্ব বর্ধমান হুগলি মালদা ও নদীয়া। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।আবহাওয়ার বড় খেলা শুরু হতে চলেছে রাজ্য জুড়ে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, বুধবার ভারী বৃষ্টি অন্তত ৬ জেলাতে। সব জেলাতেই ওয়াইড স্প্রেইড রেইনের সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা হুগলি বীরভূম পূর্ব মেদিনীপুর পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হতে চলেছে বাংলায়। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি কয়েকটি জেলায়। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকবে।আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, বুধবার ভারী বৃষ্টি অন্তত ৬ জেলাতে। সব জেলাতেই ওয়াইড স্প্রেইড রেইনের সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা হুগলি বীরভূম পূর্ব মেদিনীপুর পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা ফের বাংলায়। এই অক্ষরেখা বিকানির গোয়ালিয়র চুর্ক জামশেদপুর ও দীঘা হয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এগিয়ে উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মধ্যপ্রদেশ বাংলাদেশ ঝাড়খন্ড এবং অসমে রয়েছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। যে কারণে আপাতত এই অস্বস্তিকর গুমোট পরিবেশ।বুধবার ভারী বৃষ্টি অন্তত ছয় জেলাতে। সব জেলাতেই ওয়াইড স্প্রেইড রেইনের সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা হুগলি বীরভূম পূর্ব মেদিনীপুর পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।বৃহস্পতিবারও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গেক অন্তত ছয় জেলায়। হাওড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদিয়া জেলাতে ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা। বাকি জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। চার জেলাতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে- দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুর জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম থাকলেও শনিবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হবে। তিন জেলা পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে ভাল বৃষ্টি হবে। অন্য়িকে, উত্তরের ৪ জেলায় বজ্রবিদ্য়ুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।আবহাওয়া দফতরের সতর্কতাবার্তা:- পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের সম্ভাবনা। বিশেষ করে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ। উত্তরবঙ্গের নদী গুলোর জলস্তর বাড়বে। উত্তরবঙ্গের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হতে পারে।

Card image cap

হুড়মুড়িয়ে গ্যাসের দাম কমে হল ৪৫০ টাকা

শুধুমাত্র শহর নয়, বর্তমানে এ দেশের অনেক গ্রামেই এখন এলপিজি গ্যাসের কানেকশন পৌঁছে গেছে, কাঠ জ্বালিয়ে রান্না করার দিন একেবারে শেষ, ষ্টোভ অনেকেই ব্যবহার করেন, তবে তা নেই বললেই চলে। দিন দিন সাধারণ মানুষের ঘরেও ঢুকে পড়ছে এলপিজি গ্যাস। দিন দিন গ্যাসের যেভাবে দাম বেড়েই চলেছে, সেই জন্য সাধারণ মানুষের পকেটে ক্রমাগত চাপ করতে শুরু করেছে, জনগণের সুরাহা করতে এবার বিরাট ঘোষণা করল সরকার।


শুধুমাত্র শহর নয়, এবার বিভিন্ন গ্রামেও পৌঁছে গেছে এলপিজি গ্যাস। এবার জনগনের সুরাহা করতেই বিরাট ঘোষণা করতে চলেছে সরকার। আপনি কি জানেন? মাত্র ৪৫০ টাকা খরচা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন এলপিজি গ্যাস। আর কয়েকদিন পরই পালিত হবে, রাখি বন্ধন উৎসব। গৃহস্থদের মুখে হাসি ফোটাতে গ্যাস নিয়ে একটা বিরাট ঘোষণা করে দিল রাজ্য সরকার। এবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে মাত্র ৪৫০ টাকা খরচ করলেই আপনি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার পেয়ে যাবেন। জানা যাচ্ছে, সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ১.২৯ কোটি মহিলা।


রাখী বন্ধনের ঠিক আগে এমন একটা খবর শুনে প্রত্যেকেই দেশ আনন্দ পাচ্ছেন। অনেকেই হয়তো ভাবছেন আমাদের পশ্চিমবঙ্গে এমন গ্যাসের দাম কমে গেল নাকি বিষয়টা একেবারেই নয়। এমন ঘোষণা করেছেন মধ্যপ্রদেশ সরকার। সম্প্রতি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মোহন যাদব ঘোষণা করেছেন। সম্প্রতি তিনি ঘোষণা করেছেন যে, লাডলি বেহেনা যোজনার অধীন মাত্র সাড়ে ৪০০ টাকা খরচ করলেই পেয়ে যাবে গ্যাস সিলিন্ডার, সরকারের তরফ থেকে এমন ঘোষণা শুনে সকলের মুখেই বেশ হাসি ফুটেছে।


জানা যাচ্ছে যে, এর জন্য সরকারের তরফ থেকে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে। সরকারের ঘোষণার ফলে বলা হয়েছে যে, লাডলি বেহেনা যোজনার আওতায় এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারে ভর্তুকি প্রদান করে দেওয়া হবে, প্রায় ৩৯৮ টাকা ভর্তুকিও দেওয়া হবে। সেই হিসাবে ১৪.২ কেজির গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে ৮৪৮ টাকার বদলে মাত্র ৪৫০ টাকা খরচ হবে। অনেক টাকায় খরচ কম হলে হবে বলে দেখা যাচ্ছে।


এমনটা কিন্তু প্রথম নয়, এর আগেও জুলাই মাসে এই ভাবেই লাডলী বেহানা যোজনায় অতিরিক্ত ভর্তুকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সেবার অতিরিক্ত প্রায় ২৫০ টাকা সাবসিডি দেওয়া হয়েছিল, এই টাকা অগাস্ট মাসের প্রথম থেকেই উপভোক্তাদের একাউন্টে ঢুকে যাবে বলে জানানো হয়েছিল। তারপরে এমন কথা শুনে প্রত্যেকেই আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছেন।

Card image cap

বাংলা জুড়ে টানা ৭দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি, কলকাতায় হলুদ সতর্কতা

বাংলাজুড়েই বৃষ্টি চলছে। উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ, সব জেলাতেই বৃষ্টি হচ্ছে। হাওয়া অফিস বলছে আজ থেকে শুরু হওয়া নতুন সপ্তাহেও বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে জেলায় জেলায়। আগামী কয়েকদিন কেমন থাকতে চলেছে আপনার জেলার আবহাওয়া? চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই আপডেট।


কী বলছে হাওয়া অফিস?


মৌসুমী অক্ষরেখা স্বাভাবিক অবস্থানের কাছাকাছি থেকে দিঘা হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের দিকে গিয়েছে। একটি অক্ষরেখা বিহার হয়েছে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের ওপর অবস্থান করছে। ফলে শুরু হওয়া নতুন সপ্তাহেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দুই বঙ্গেই সপ্তাহভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া রয়েছে। সোমবার থেকেই রাজ্যের দক্ষিণের সাতটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার সেই একই সতর্কতা জারি করা হয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও। পরের দিন অর্থাৎ বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। তবে চলতি সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে বিশেষ দুর্যোগের পূর্বাভাস নেই।


দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতি

উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় বজ্রপাতের হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের বাকি সব জেলাতেও আজ বৃষ্টি হবে। মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে দক্ষিণের সবকটি জেলাতেই। ১৩ জুলাই কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় হলুদ সতর্কতা জারি করা রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমানে। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও নদিয়া জেলায়। ১৮ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি জারি থাকবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায়।

Card image cap

‘৬ দফা দাবি না মিটলে কর্মবিরতি চলবে’

অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের পরেও আন্দোলনের আঁচ কমেনি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সোমবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে ৬ দফা দাবির কথা বলেছেন আন্দোলনকারীরা। দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মবিরতি জারি থাকবে বলেই হুঁশিয়ারি তাঁদের।
তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। সিসিটিভি ফুটেজ, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট-সহ যাবতীয় নথিপত্র আন্দোলনকারীদের হাতে দিতে হবে।
হাসপাতালের অধ্যক্ষ, এমএসভিপি, ডিন অফ স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার, রেসপিরেটরি মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকে পদ থেকে সরাতে হবে। তাঁদের লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। ভবিষ্যতে তাঁদের আর কোনও পদে রাখা যাবে না।
রাজ্যের প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজ ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি নজরদারি, নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন, পুলিশি নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের জন্য বিশ্রাম নেওয়ার ঘরের বন্দোবস্ত করতে হবে।
আন্দোলনকারীদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় পুলিশকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

সমাজমাধ্যমে মানহানির জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

তরুণী চিকিৎসকের পরিবারকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আর্থিক সাহায্য দিতে হবে।
এই ৬ দফা দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেই হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। রাজ্য-সহ দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বন্ধ পরিষেবা। তার ফলে চরম ভোগান্তির শিকার রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা। এই কর্মবিরতি নিয়ে সোমবার বিকেলে নবান্নে বৈঠকে বসবেন মুখ্যসচিব।

Card image cap

বুধে দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা

উত্তরবঙ্গবাসীর জন্য সুখবর। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কমতে পারে বৃষ্টি। তার ফলে লাগাতার জলযন্ত্রণা থেকে মিলতে পারে রেহাই। তবে দক্ষিণবঙ্গে ফের ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। মঙ্গলবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। বুধ ও বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখার প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে বাকি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ। মঙ্গলবার প্রায় সব জেলাই ভিজতে পারে বৃষ্টিতে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও নদিয়ায়। বুধবার ছয় জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
ভিজতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান। বৃহস্পতিবার হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং নদিয়া জেলায় ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা। বাকি জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। আবার উত্তরবঙ্গে বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকবে। তবে আলিপুরদুয়ার ও কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতায় দফায় দফায় বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রার হেরফের হবে না। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় বজায় থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.১ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৮১ থেকে ৯৪ শতাংশ। এদিকে, শুধু বাংলাই নয় আগামী দু-তিনদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি রয়েছে দিল্লি, রাজস্থান, বিহার, অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, কেরল, মাহে, উত্তরাখণ্ড, তামিলনাড়ুতে।

Card image cap

RG Kar কাণ্ডে পুলিশকে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের যৌন হেনস্তা-খুনের ঘটনার কিনারা করতে পুলিশকে সময়সীমা বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার পানিহাটিতে, তরুণীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলার পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ”আমি পুলিশকে রবিবার পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। যদি দেখা যায় কূলকিনারা করতে না পারে, তাহলে এই মামলা আমরা আর নিজেদের হাতে রাখব না। সিবিআইকে দিয়ে দেব। কারণ, এতে আমার কোনও লেনাদেনা নেই। আমি প্রথম থেকেই বলছি। যদিও ওদের সাফল্যের হার  খুব কম। তাপসী মালিক, রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি, রিজওয়ানুর রহমানের মতো মামলায় কিছু করতে পারেনি। তবে মানুষের সন্তোষের জন্য আমরা এই মামলা ওদের হাতে দেব।
কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের খুনের খবর পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমে  মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সিবিআই তদন্তে রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই। সোমবার মৃতার বাড়ি গিয়ে পুলিশ কমিশনারকে পাশে নিয়েও সেকথাই তিনি বললেন। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাজের মান নিয়ে সমালোচনার সুর জারি রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ঘটনা নিয়ে তাঁর দাবি, ”যদিও কলকাতা পুলিশই বিশ্বের সেরা। সবচেয়ে দক্ষ অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করানো হচ্ছে। আমি আশা করি, খুব দ্রুত দোষীরা ধরা পড়বে। আমরা সেক্ষেত্রে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচারের কথা বলেছি। দোষী সাব্যস্ত হলে তার ফাঁসির চাইব।”
কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে হাজারও আলোচনা চলছে।  এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, ওখানে নার্স ছিল, সিকিউরিটিও ছিল। তার পরও এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল, আমি বুঝতে পারছি না। পুলিশের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। ওঁর মা-বাবাও আমাকে বলছিলেন, ভিতরের কেউ জড়িত আছে। আমি বিনীতকে (পুলিশ কমিশনার) বলেছি, ভিতরের কেউ থাকলে যেন তাঁকে খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। সেদিন যে খবরটা প্রথম পরিবারকে দিয়েছিল, সেই পড়ুয়াকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। এছাড়া এই তরুণী চিকিৎসকের যে সহকর্মী, বন্ধু, সেদিন যাঁরা ডিউটিতে ছিলেন, সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দ্রুত তদন্তের কিনারা হোক।”