CATEGORY state:

Card image cap

মমতার গ্রেফতারির সম্ভাবনা

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআই সঠিকভাবে তদন্ত করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। শনিবার মৃত চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর তিনি এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তার মতে, এই ঘটনাটি কেবলমাত্র ধর্ষণ বা খুনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এর পেছনে আরও গভীর রহস্য লুকিয়ে আছে।



নওসাদ সিদ্দিকি মনে করেন, আরজি করের ঘটনার যথাযথ তদন্ত হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও আইনের আওতায় আসতে পারেন। তিনি দাবি করেন, এই মামলায় সত্য উদঘাটিত হলে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি গ্রেফতার হতে পারেন। তার বক্তব্য, “সত্য সামনে এলে সাধারণ মানুষ দেখবে কিভাবে প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে।”


নওসাদ সিদ্দিকি আরও জানান, পূর্ব বর্ধমানের নান্দুরে রাস্তার পাশে আদিবাসী তরুণীর গলাকাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তিনি এ বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “গ্রামের মানুষ বরাবরই উপেক্ষার শিকার। তারা কেবল শহরের রাজনৈতিক দলের জনসভা ভরানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু তাদের জীবনের নিরাপত্তা, সুরক্ষা কোনো কিছুই নিশ্চিত করা হয় না।”


আইএসএফ বিধায়কের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। নওসাদ সিদ্দিকির মন্তব্যের প্রভাব কতটা গভীর হবে এবং এটি কীভাবে তদন্তের গতিপথকে প্রভাবিত করবে, তা দেখার বিষয়। তবে এই ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনকে আরও বেশি চাপের মুখে ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Card image cap

আরজি কর কাণ্ডে নয়া মোড়! CBI স্ক্যানারে সন্দীপের কল রেকর্ড

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনায় টানা তিনদিন সিবিআইয়ের মুখোমুখি হলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ । শুক্রবার মাঝরাস্তা থেকে তাঁকে পাকড়াও করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এরপর শনিবার এবং রবিবার নিজেই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন। এবার শোনা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে তাঁর ফোন রেকর্ড।


সন্দীপের  কল ডিটেলসে নজর সিবিআইয়ের!


সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই। সেই সঙ্গেই নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেও জেরা করা হবে বলে খবর। ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় সেমিনার হলের পাশের দেওয়াল কেন ভাঙা হল, সেটাও তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানতে চান বলে খবর।


আরজি কর কাণ্ডের  তদন্তভার পাওয়ার পর থেকেই জোরকদমে তদন্ত করছে সিবিআই। হাসপাতালে গিয়ে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখার পাশাপাশি একাধিক ব্যক্তিকে জেরাও চলছে। শুক্রবার যেমন সন্দীপকে ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল বলে খবর। এরপর গতকাল তাঁকে ১০ ঘণ্টা জেরা করা হয়। আজ ফের সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ সিবিআই দফতরের হাজির হন তিনি।


এদিন সন্দীপ বাড়ি থেকে সিজিও কমপ্লেক্সের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার সময় তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি কি সিবিআইয়ের  সঙ্গে ঠিকভাবে সহযোগিতা করছেন না? কেন বারবার তলব করা হচ্ছে? এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে সন্দীপ  মেজাজ হারান বলে খবর। গাড়িতে উঠে দরজা বন্ধ করে দেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।


এদিকে আবার খবর, আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের একাধিক 'কীর্তি' জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। জানা যাচ্ছে, তাঁকে মানসিক রোগী বলে সন্দেহ করছে সিবিআই। তাই এবার তাঁর মন বুঝতে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

Card image cap

'বাঙালি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা হারাচ্ছি

আর জি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উত্তাল পরিস্থিতি বাংলায়। তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিরোধী শিবিরগুলো। আমজনতা থেকে শিল্পী, সকলেই পথে নেমেছেন বিচারের দাবিতে। রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলার আন্দোলনে যখন শামিল হয়েছে দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলোও, তখন মৌনব্রত ভাঙলেন 'মহাগুরু'।


আর জি কর কাণ্ডে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী ।


ভিডিও বার্তায় বিজেপি নেতা তথা মেগাস্টার মিঠুনের মন্তব্য, “আমি অনেক দিন ধরে, অনেক জায়গায় একই কথা বলে এসেছি যে, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠবে। বাঙালি হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি।” পাশাপাশি নিহত তরুণী ডাক্তারের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে মহাগুরুর মন্তব্য, “ওঁর পরিবারের প্রতি আমার সম্পূর্ণ সহানুভূতি রইল, আর যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, যত দ্রুত সম্ভব তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়া হোক। এটাই আমার কাছে সবথেকে বড় কাম্য।”


 


প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফটে কর্তব্যরত ছিলেন ওই তরুণী চিকিৎসক। পরদিন সকালে হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের সিট সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। ১২ আগস্ট এই ঘটনার জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে। মোট চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীরা সকলেই পুলিশের উপর আস্থা না রেখে তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার আর্জি জানান। পরদিন মামলার শুনানিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। আপাতত ধৃত সঞ্জয়কে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এছাড়া দফায় দফায় আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। তদন্তভার নেওয়ার চারদিন পরেও যদিও সিবিআই এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করেনি।

Card image cap

আর জি কর কাণ্ডে বিরাট পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের,

আর জি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। গত শুক্রবার রাতে আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলের একটাই দাবি 'বিচার চাই'।


আর জি কর কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা সুপ্রিম কোর্টের 

নির্যাতিতা মৃতা চিকিৎসকের বাবা-মা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে চলছে মামলা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তভার গিয়েছে সিবিআই এর হাতে। আর এবার এই আর জি কর কাণ্ড নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট।

মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে এ নিয়ে শুনানি রয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ মামলার শুনানি হবে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই মামলায় হস্তক্ষেপ করছে সুপ্রিম কোর্ট। 

কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সি ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে উত্তাল দেশ। গত ৮ আগস্ট, মারা যাওয়ার দিন নাইট শিফটে ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ যখন উদ্ধার করা হয়েছিল, তখন পরনের পোশাক অবিন্যস্ত অবস্থায় ছিল। সেমিনার হলে ছিল না কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা। তরুণী চিকিৎসকের দুই চোখ, মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। যৌনাঙ্গে ও গলায় ছিল ক্ষত। আঘাতের চিহ্ন ছিল মুখে, পায়ে, নখে, পেটে, হাতে, ঠোঁটে।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল তরুণী চিকিৎসককে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি আরও কেউ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল কিনা সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আর জি করে ডাক্তারের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওদিকে দফায় দফায় মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুন্দীপ ঘোষকে জেরা করছে সিবিআই। শুক্র ও শনিবার ম্যারাথন জেরার পরও এদিনও সিজিওতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সন্দীপকে।

Card image cap

আর জি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার চালককে ডাকল CBI

আর জি কর কাণ্ডে কোমর বেঁধে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। পর পর দুদিন জিজ্ঞাসবাদের পর রবিবার ফের মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ ডা. সন্দীপ ঘোষকে ফের তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। শুধু সন্দীপ ঘোষ নয়, রবিবার ডাকা হয়েছে তরুণী ডাক্তারের ব্যক্তিগত গাড়ি চালককেও। অন্যদিকে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনা গুজব আটকাতে তৎপর কলকাতা পুলিশও। নির্যাতিতার নাম-পরিচয় প্রকাশের অভিযোগে লকেট চট্টোপাধ্যায়, ডা. কুণাল সরকার-সহ আরও কয়েকজনকে তলব করা হয়েছে লালবাজারে।সিবিআই সূত্রে খবর, এবার নির্যাতিতা পড়ুয়া ডাক্তারের ব্যক্তিগত চালকের বয়ান রেকর্ড করতে চাইছে সিবিআই। সেই সূত্রে এদিন তাঁকে পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে চায়, তরুণীর সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল কি না। ধৃত সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে তাঁর কোনও শত্রুতা তৈরি হয়েছিল কি না। কেন তরুণী মেডিক্যাল কলেজে আসতে চাইতেন না? আর এর জন্য তরুণী চিকিৎসকের কাছের লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই।এদিকে ইতিমধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে গিয়েছে সন্দীপ ঘোষ। তাঁর মোবাইল ফোনটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, চতুর্থ ব্যাটালিয়নে এক এএসআইয়ের বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, এই পুলিশ কর্ণী সঞ্জয়কে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। অন্যদিকে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে তলব করেছে কলকাতা পুলিশ। রবিবার বিকেলে তাঁকে লালবাজারে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি নির্যাতিতার নাম-পরিচয় প্রকাশ করে দিয়েছিলেন। যদিও প্রাক্তন সাংসদের দাবি, “আমি কোনও তলবের চিঠি এখনও হাতে পাইনি। প্রথমে এক বার আমি ভুল করে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে ফেলেছিলাম। কিন্তু তার পর ভুল বুঝতে পেরে সেই পোস্ট মুছে দিয়েছি।” একই অভিযোগে চিকিৎসক ডা. কুণাল ঘোষ এবং ডা. সুবর্ণ গোস্বামীকেও তলব করা হয়েছে বলে খবর।

Card image cap

পুলিশের পিসিসি ওয়েবসাইট হ্যাক দুস্কৃতীদের!

আর জি কর কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। একের পর প্রতিবাদ মিছিল হচ্ছে রাজপথে। মেয়েদের রাত দখলের পর ফের মিছিলের ডাক উঠছে। চিকিৎসকদের প্রতিবাদ চলছেই। এবার ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশের, পুলিশ কম্পিউটার সেল হ্যাক করল দুস্কৃতীরা।সরকার বিরোধী পোস্টার ছেয়ে গিয়েছে ওয়েবসাইট। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও পোস্টার দেখা গিয়েছে। এছাড়া রাজ্যের থানা ঘেরাও থেকে নবান্ন ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়েছে। তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ করে খুনের কাণ্ডে দোষীদের শাস্তি ও নারী সুরক্ষার কথা বলে আক্রমণ করা হয়েছে। যা নিয়ে শোরগোল পুলিশ মহলে। পরে হ্যাকারদের কবল থেকে ওয়েবসাইটি উদ্ধার করা গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।বিষয়টি কী? পুলিশ কম্পিউটার সেলটাই বা কী? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নথিবদ্ধ করা হয় এই পুলিশ কম্পিউটার সেলে। ভিসা আবেদন বা অনেক ক্ষেত্রে চাকরির আবেদনের জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়। নাগরিকরা এই ওয়েবসাইটে আবেদন করেন। সাইবার অপরাধীরা সেই ওয়েবসাইটটিই হ্যাক করে।সিআইডির পক্ষ থেকে চলতি বছরের জুলাই মাসে এই ওয়েবসাইটির উদ্বোধন করা হয়। কী করে বোঝা গেল ওয়েবসাইটি হ্যাক হয়েছে? শনিবার রাতে হুগলি রুরাল পুলিশের ওয়েবসাইটে গিয়ে সিটিজেন সার্ভিস অপশান থেকে পুলিশ ক্লিয়ারিং সার্টিফিকেট অপশন ক্লিক করলেই সেখানে দেখা যাচ্ছিল সরকার বিরোধী পোস্টার।
হুগলি রুরাল পুলিশ একটি সূত্রে খবর, হ্যাক হওয়ার বিষয়টি সত্য। তবে সেটি সরাসরি হুগলি রুরাল পুলিশের ওয়েবসাইট নয়। সেটি হল রাজ্য পুলিশের কম্পিউটার সেল অর্থাৎ পিসিসি। যদিও শনিবার রাতেই হ্যাকারদের কাছ থেকে ওয়েবসাইটটি উদ্ধার করা গিয়েছে বলে ওই পুলিশ সূত্রের দাবি। এই ঘটনার পর নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষিত কি না প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Card image cap

অর্ধনগ্ন করে ৩০০ মিটার রাস্তা টানা হ্যাঁচড়া মহিলাকে!

আর জি করের নৃশংসতার মাঝেই আগেই ফের পাশবিক অত্যাচারের শিকার আরও এক মহিলা। অভিযোগ, নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে অর্ধনগ্ন অবস্থায় এক গৃহবধূকে ৩০০ মিটার রাস্তায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জল চাইলে, গৃহবধূর মুখে প্রস্রাব করার হুমকিও দেওয়া হয় বলেও দাবি। তার আগে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগও উঠেছে। গোটা ঘটনায় কাঠগড়ায় বিজেপি। এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে নন্দীগ্রাম যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।নির্যাতিতা মহিলা তৃণমূল কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিতা। তাঁর প্রতিবেশী বিজেপি সমর্থক। জানা গিয়েছে, জল নিকাশি নিয়ে ওই মহিলার পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশীর দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল। দুই পরিবারের অশান্তির মাঝে বিজেপির লোকজন খবরদারি করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতে মহিলার স্বামী‌ বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগে বিজেপির লোকজন বাড়িতে দরজা ভেঙে গৃহবধুর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে বেদম মারধর করা হয়। পিঠ-হাত-পা-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কালশিটে দাগ পড়ে গিয়েছে। এমনকী, অর্ধনগ্ন অবস্থায় ৩০০ মিটার রাস্তায় তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জল চাইলে, গৃহবধূর মুখে প্রস্রাব করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রমাণ লোপাটের জন্য বাড়ির সিসি ক্যামেরাও ভেঙে ফেলেছেন তাণ্ডবকারীরা। জখম গৃহবধূকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিজেপির স্থানীয় বুথ সভাপতি শম্ভু দাসকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশের কড়া টহলদারি।এই ঘটনায় বিজেপির নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক আহ্বায়ক অভিজিৎ মাইতি জানিয়েছেন,”এটা পারিবারিক ঘটনা । তাতে রাজনৈতিক রঙ চড়িয়ে তৃণমূল ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।” যদিও ঘটনাটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে বলে দাবি প্রহৃত গৃহবধূর স্বামী। তিনি বলেন, “আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন বিজেপির প্রতি ঘৃণা থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। বিজেপির নিয়মশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। তা দেখেই আমি দলটা ছেড়েছি। তৃণমূলের হয়ে এলাকায় সংগঠন করি বলে ওরা ক্ষুব্ধ। আমারও বর্তমানে আমার স্ত্রীর উপরে ওঁরা তাই প্রতিশোধ নিল। এলাকার মানুষ সবটাই জানে। আমি দোষীদের শাস্তি চাই।”
এই ঘটনা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল বলে তৃণমূলের দাবি। এ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ জানিয়েছেন,”গৃহবধূ ও তাঁর পরিবারের লোকজন তৃণমূল করে বলে বিজেপির গায়ে জ্বালা। গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগ নিয়ে বিজেপির লোকজন বাড়ির দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে বেদম প্রহার করেছে। তাতেও তাদের রাগ মেটেনি। অর্ধনগ্ন অবস্থায় বাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূর পর্যন্ত রাস্তায় টেনে হিচরে নিয়ে গিয়েছে। এই বর্বর নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই । সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত দোষীদের চিহ্নিত করে কঠিন সাজা হোক।” ঘটনা সম্পর্কে নন্দীগ্রাম থানার আইসি অনুপম মণ্ডল জানিয়েছেন,”গোকুলনগরের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছ । বাকিদের খোঁজ চলছে।”ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ও নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে রবিবার নন্দীগ্রামে যাচ্ছে তৃণমূলের ৮ প্রতিনিধি। তালিকায় রয়েছেন শিউলি সাহা, বীরবাহা হাঁসদা, সায়নী ঘোষ, উত্তরা সিং, মমতাবালা ঠাকুর, দোলা সেন, দেবাংশু ভট্টাচার্য এবং কুণাল ঘোষ।

Card image cap

আর জি কর বিক্ষোভ নিয়ে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের

আর জি করের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। বিশেষত চিকিৎসক মহল এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার। যার জেরে একাধিক রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বিশেষ নির্দেশ পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।অমিত শাহের মন্ত্রকের তরফে প্রতিটি রাজ্যকে জানানো হয়েছে, আরজি কর সংক্রান্ত প্রতিবাদ কোথায় কী হচ্ছে, প্রতি ২ ঘণ্টা অন্তর তার রিপোর্ট পাঠাতে হবে কেন্দ্রকে। রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলাকে এই রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইমেল, ফ্যাক্স বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও রিপোর্ট পাঠানো যাবে। গত ১৬ আগস্ট ওই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওই নির্দেশের ফ্যাক্স কপি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।উল্লেখ্য, আর জি কর কাণ্ডের জেরে চিকিৎসাক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে সেটা মেটাতেও উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে চিকিৎসক সংগঠনগুলির কাছে আর্জি জানানো হয়েছে, আপনারা দ্রুত কাজে ফিরুন। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র যথেষ্ট সংবেদনশীল। চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে কী কী করণীয়, সেই নিয়ে পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।কেন্দ্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ২৬টি রাজ্য চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য কড়া আইন এনেছে। কেন্দ্রীয় স্তরে কী কী পদক্ষেপ করা যায় সেটা ভেবে দেখতে কমিটি গড়া হচ্ছে। সেই কমিটিতে নিজেদের মতামত দিতে পারবেন চিকিৎসকরাও। বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিদেরও ডাকা হবে মতামত দিতে।

Card image cap

যাত্রীদের সুখবর এবার এই স্টেশনে স্টপেজ দেবে একটি লোকাল ট্রেন

অফিস যাত্রী হোক অথবা নিত্যযাত্রী, প্রত্যেকের কাছেই লোকাল ট্রেন  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ওই সকল যাত্রীরা লোকাল ট্রেনের উপর ভর করে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। লোকাল ট্রেনে সাধারণ যাত্রী থেকে শুরু করে অফিস যাত্রী ও নিত্যযাত্রীদের যাতায়াতের কারণে প্রতিদিনই চরম চাপ থাকে।


আর এবার এই চাপের কথা মাথায় রেখে পূর্ব রেল একটি স্টেশনে একটি গুরুত্বপূর্ণ লোকাল ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।


দিন কয়েক আগেই একই প্লাটফর্মে তিনটি ট্রেনের ঘোষণা হওয়া নিয়ে চরম বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল যাত্রীদের মধ্যে। যে স্টেশনে এমন বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল সেই স্টেশনের যাত্রীদের জন্যই এবার সুখবর দিয়েছে পূর্ব রেল। আশা করি কোন স্টেশনের কথা বলা হচ্ছে তা অনেকেই টের করতে পারছেন। ঠিকই ধরেছেন, যে স্টেশনটির কথা বলা হচ্ছে সেটি হল বিধাননগর রোড স্টেশন।


বিধাননগর রোড স্টেশনে প্রতিদিনই প্রচুর সংখ্যক নিত্যযাত্রীদের অধীর আগ্রহে থাকতে দেখা যায় অফিস অথবা অন্য কোন কাজকর্ম ছেড়ে বাড়ি ফেরার জন্য। এমন আগ্রহ দেখেই পূর্ব রেলের তরফ থেকে শিয়ালদা-কল্যাণী সীমান্ত লোকাল ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেননা ওই স্টেশন থেকে কল্যাণী শাখায় প্রচুর যাত্রী থাকেন যারা সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় থাকেন।



পূর্ব রেলের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৩১৩৩৭ আপ শিয়ালদা-কল্যাণী সীমান্ত লোকাল ট্রেনটির স্টপেজ এবার বিধান নগর রোড স্টেশনে দেওয়া হবে। এই ট্রেনটির স্টপেজ আগে ছিল না। অথচ ট্রেনটির যে সময় রয়েছে সেই সময় প্রচুর যাত্রীদের বিধান নগর রোড স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। যাত্রী চাহিদা এবং পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রেলের তরফ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


৩১৩৩৭ আপ শিয়ালদা-কল্যাণী সীমান্ত লোকাল ট্রেনটি শিয়ালদা থেকে সন্ধ্যা ৭:১০ মিনিটে কল্যাণী সীমান্তের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এই ট্রেনটি ৭:১৭ মিনিটে বিধান নগর রোড স্টেশনে এসে পৌঁছায়। এবার ওই ট্রেনটি হাফ মিনিটের জন্য বিধান নগর রোড স্টেশনে স্টপেজ দেবে। রেলের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ওই ট্রেনটির স্টপেজ যাওয়ার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তের ফলে বহু যাত্রী রয়েছেন যারা উপকৃত হবেন, কেননা তাদের আর শিয়ালদা অথবা নিকটবর্তী স্টেশনে গিয়ে ট্রেন ধরতে হবে না।

Card image cap

যে কাজ সারা বিশ্ব করতে পারেনি তা একটা ফোন কলেই করে ফেলবেন মোদী?

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বছর তৃতীয়বারের মতো দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এমতাবস্থায়, ভারতকে আন্তর্জাতিক স্তরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন। কূটনীতি অবলম্বন করে বহু দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করা হয়েছে।


এর ফলে একদিকে যেখানে গোটা বিশ্বের চোখ গাজা ও ইজরায়েলের যুদ্ধের দিকে রয়েছে ঠিক সেই আবহে প্রধানমন্ত্রী মোদীর একটি পদক্ষেপ উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। যেটি সমগ্র বিশ্বকে চমকে দিয়েছে।


সবার নজর প্রধানমন্ত্রী মোদীর দিকে:


জানিয়ে রাখি, ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। প্রধানমন্ত্রী মোদী  ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো ইজরায়েল সফর করেন। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তিনি ইজরায়েল সফরকারী ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবও বিবেচিত হন। এদিকে, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর মধ্যে সুসম্পর্কের উদাহরণ বহুবার দেখা গেছে। এমতাবস্থায়, ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে গাজা ও ইজরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ থামানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন: উল্লেখ্য যে, গত ১৫ অগাস্ট ভারত ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে। সেই উপলক্ষ্যে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করে স্বাধীনতা দিবসের অভিনন্দন জানান। নেতানিয়াহুর সাথে ফোনালাপের কথা উল্লেখ করে, প্রধানমন্ত্রী মোদী সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন।


গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী মোদী  বলেছেন যে তিনি নেতানিয়াহুর সাথে বিশ্বের একাধিক গুরুতর সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, "আমরা পশ্চিম এশিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি।" জানিয়ে রাখি যে, গত বছর শুরু হওয়া গাজা এবং ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধে, ইজরায়েল এবং হামাস উভয়ই একে অপরের দেশের নাগরিকদের বন্দি করেছে। যার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী ব্যক্ত করেছেন যে, তাঁদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত।


যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নিলেন প্রধানমন্ত্রী: একই সাথে আমেরিকা, মিশর, কাতারসহ একাধিক দেশ ইজরায়েল ও গাজার মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করছে এবং সবাই চায় হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের আগুন নিভে গাজায় শান্তি বজায় থাকুক। এমতাবস্থায়, প্রধানমন্ত্রী মোদী ফের নেতানিয়াহুকে জানান যে, যুদ্ধবিরতি হওয়া উচিত। যুদ্ধক্ষেত্রে ক্রমাগত মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। জানিয়ে রাখি যে, শুধু ইজরায়েল ও গাজার যুদ্ধ নয়, বরং এর আগে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যেও চলমান যুদ্ধ থামানোর উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

Card image cap

নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে তীব্র বৃষ্টিপাত, সমুদ্র উত্তাল: কমলা সতর্কতা জারি

সপ্তাহের শুরুতেই দক্ষিণবঙ্গজুড়ে তীব্র বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া একটি নিম্নচাপের প্রভাবে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে, যা সোমবার এবং মঙ্গলবারও অব্যাহত থাকতে পারে।


হাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের দিকে অগ্রসর হবে, যার ফলে এই অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।


বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপটি ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সবকটি জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলাগুলিতে বিশেষ করে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, মঙ্গলবার পর্যন্ত এই নিম্নচাপের প্রভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং বীরভূমের মত জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে। হাওয়া অফিস থেকে কমলা সতর্কতা জারি করার ফলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।


মৌসুমী অক্ষরেখা এবং নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে অব্যাহত রয়েছে বৃষ্টিপাত। এর পাশাপাশি, সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতেও মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে। ২০ আগস্ট পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া, রাজ্যের বিভিন্ন অংশে গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে, যা বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।


উত্তরবঙ্গের তুলনায় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হলেও উত্তরবঙ্গের কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারের মত জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এই অঞ্চলে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ফলে সামগ্রিকভাবে, গোটা রাজ্যেই আগামী কয়েকদিন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রভাব থাকবে।


কলকাতার আকাশ আগামী তিনদিন সাধারণভাবে মেঘলা থাকবে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শহরের তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে, যা বাতাসে উচ্চ আর্দ্রতার কারণে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।

Card image cap

মমতার অনুদান ফেরাল একাধিক পুজো কমিটি! রেগে লাল কুণাল

কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। গোটা দেশজুড়ে চলছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। একই সঙ্গে ১৭ অগাস্ট সকাল থেকে ১৮ অগাস্ট সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।


এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সব মিলিয়ে পরিচিতি এখন উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। তবে অন্যদিকে 'তিলোত্তমা'-কাণ্ডে এবার বাংলার একের পর এক পুজো সংগঠনগুলি বড় সিদ্ধান্ত নিল। দুর্গাপুজোর অনুদানের টাকা রাজ্যকে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বহু পুজো সংগঠনগুলি।


বড় সিদ্ধান্ত পুজো সংগঠনগুলির


মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সমগ্র বাংলার তথা দেশ উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে জায়গায় জায়গায় চলছে তুমুল বিক্ষোভ। অন্যদিকে জুনিয়র থেকে শুরু করে সিনিয়র ডাক্তার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরাও কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন দেশজুড়ে। এদিকে চিকিৎসা করাতে এসে বহু রোগীকে রীতিমতো খালি হাতেই ফিরে যেতে হচ্ছে। যাইহোক এবার এই ঘটনায় বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল বাংলার বহু পুজো সংগঠনগুলি। আর পুজো সংগঠনগুলির এহেন সিদ্ধান্তকে রীতিমতো কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ। বহু পুজো সংগঠনগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আরজি করের প্রতিবাদের জন্য বহু পুজো সংগঠন সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের কথা প্রথম জানিয়েছে উত্তরপাড়ার শক্তি সংঘ ক্লাব। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। পুজো কমিটির বক্তব্য, 'মেয়ের বিচার দিন, মায়ের পুজো নিজেরা বুঝে নেবো।'


কড়া সমালোচনা কুণাল ঘোষের


এদিকে পুজো কমিটিগুলির এহেন সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'পুজো একটা অর্থনীতি। সেই অর্থনীতিকে সচল রাখতেই মুখ্যমন্ত্রীর ওই অনুদান ঘোষণা। যদি আপনারা তা প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে পুজোর সঙ্গে জড়িত সকলকে সাহায্য করবেন।'


তিনি আরও বলেন, 'এটা একটা ক্যাম্পেন, বীরত্ব দেখানোর। আপনাদের অনেক টাকা আছে, তাই নিচ্ছেন না, ভালো। কিন্তু এই যে আবেগের চিমটি কাটা কথাবার্তা, আসল দুর্গাদের নিরাপত্তা বাড়ান, ৮৫ হাজার টাকা নয়। বাংলায় আসল দুর্গারা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ । যাঁরা ৮৫ হাজার টাকা নিচ্ছেন না, তাঁদের বলি, পুজো একটা অর্থনীতি কুমোরটুলির মায়েরা অপেক্ষা করে থাকেন, কবে শরৎকাল আসবে। ডেকরেটর্স, আলো, প্রতিমাশিল্পী, ফুলচাষি, কুটিরশিল্প - এই সকলের কাছে যাতে টাকা পৌঁছয়, শ্রমজীবী মানুষ যাতে হাতে টাকা পান, তার জন্য ৮৫ হাজার টাকা দেওয়া। যাঁরা বয়কট করছেন, তাঁরা যেন গরিব মানুষের কাছে সেই টাকা পৌঁছে দিয়ে আসেন। এই টাকা যাতে পুজো অর্থনীতিতে সঞ্চালিত হয়, তার জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায় ৮৫ হাজার টাকা দিচ্ছেন।'

Card image cap

আজ থেকেই শুরু হবে বৃষ্টির তাণ্ডব!

দিন কয়েক ধরেই বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তবে এবার গরম কমবে আর টানা ৩ দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি তুফান তুলবে রাজ্যের একাধিক জেলায়।


দিন দুয়েক ধরে আকাশ মেঘে ঢাকা থাকলেও সেই ভাবে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। কোথাও কোথাও ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রার পারদ কমেনি।


বরং দিন কয়েক ধরেই বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ।


 

টানা ৩ দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে তুফান উঠবে রাজ্যের একাধিক জেলায়। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে  এমনই জানানো হয়েছে, আর সঙ্গে সঙ্গে জারি করা হয়েছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট।


আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গঙ্গানগর থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, দিঘা হয়ে পূর্ব দক্ষিণ-পূর্ব থেকে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত।


 

এছাড়াও একটি ঘূর্ণাবর্তের অবস্থান রয়েছে দক্ষিণ বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার তৈরি হয়েছে।


আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ১৭ আগস্ট অর্থাৎ শনিবার অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।


 

শনিবার অর্থাৎ ১৭ আগস্ট ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার অর্থাৎ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে হুগলি, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। এই চার জেলার জন্য অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।


অন্যদিকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতা, হাওড়া জেলার জন্য। এই দুই জেলায় ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে এবং যে কারণে ইয়োলো অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।


৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার অর্থাৎ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে অন্যান্য জেলাগুলিতে। অন্যান্য জেলাগুলিতে শনিবার হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে।


 

রবিবার দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম ও পুরুলিয়ায় ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।


উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার জেলায় ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও মালদা ও উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

Card image cap

সিবিআইয়ের হাতে পাকড়াও আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ

সময়মতো হাজিরা দেননি। মাঝরাস্তা থেকে আর জি করের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে পাকড়াও করল সিবিআই। সল্টলেক থেকে পাকড়াও করে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। সূত্রের খবর, সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকে। গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। সেই সময় আর জি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। ঘটনার পর থেকে তৎকালীন অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। চাপের মুখে অবশেষে গত ১২ আগস্ট ঘটনার ‘নৈতিক দায়িত্ব’ কাঁধে নিয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন সন্দীপ ঘোষ। ইস্তফার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে পুনর্বাসন দেওয়া হয় তাঁকে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে বহাল করা হয়। তবে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশমতো ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।ইতিমধ্যে সিবিআই আর জি কর কাণ্ডের তদন্তভার নেয়। অভিশপ্ত রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, সে সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের আশায় সিবিআই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে তলবও করে। তবে হাজিরা দেননি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। অথচ শুক্রবার পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সন্দীপ।আদালতে দাঁড়িয়ে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, “সিবিআই নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও সন্দীপবাবু যেতে পারেনি কারণ জনতার ভিড়।” পালটা বিচারপতি কটাক্ষ করে বলেন, “রাজ্যকে বলুন নিরাপত্তা দিতে। আপনি তো প্রভাবশালী। ৫০০ পুলিশ দিয়ে দেবে। না দিলে আদালতে আসুন। কেন্দ্রীয় বাহিনী আপনার বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছি।” এর পরই মাঝরাস্তা থেকে সিবিআইয়ের হাতে পাকড়াও সন্দীপ ঘোষ।

Card image cap

আর জি করে তাণ্ডবে ‘ব্যর্থতা’র দায় মানলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার

মহিলাদের রাত দখল কর্মসূচির মাঝে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা। ঘটনায় ‘ব্যর্থতা’র দায় কার্যত মেনে নিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে দুটি ভিডিও দেখিয়ে হামলার মুহূর্তের ব্যাখ্যাও দেন পুলিশ কমিশনার।সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতে এদিন দুটি ভিডিও দেখান পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। একটি ১ মিনিট ২৮ সেকেন্ডের এবং অপর ভিডিওটি ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের। কীভাবে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বহিরাগতরা ঢুকে পড়লেন, তা ওই ভিডিও দুটির মাধ্যমে দেখানো হয়। এর পর বিনীত গোয়েল বলেন, “যখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে জমায়েত হয়, নেতা থাকে না, নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। সেদিন সারা শহরে জমায়েত ছিল। অনেক পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছিল। আর জি করে ডিসিপি ছিলেন। ফেসবুকে ছবি, ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে।”ব্যর্থতার দায় কার্যত স্বীকার করে নিয়ে তিনি আরও বলেন, “আরজি করের সামনে আন্দোলন যে আচমকা হিংসাত্মক হয়ে উঠবে, ভাবতে পারিনি। আমাদের ভাবনায় ভুল ছিল। একে আমাদের ব্যর্থতা বললে বলতে পারেন।” পুলিশ সেদিনের তাণ্ডব রুখতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেও উঠেছে অভিযোগ। সে প্রসঙ্গে সিপি বলেন, “ডিসিপির মাথা ফাটায় আমাদের ফোর্স ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছিল, সামলে নিতে সময় লাগে। আমাদের উপর হামলা চালানো হয়।” পুলিশ প্রকৃত অপরাধীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ। সে অভিযোগও এদিন খারিজ করে দেন পুলিশ কমিশনার।আর জি কাণ্ড নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় গুজব না ছড়ানোর আরজি জানান পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তিনি বলেন, “আমাদের প্রমাণ দরকার। প্রমাণ ছাড়া কাউকে আমরা ধরতে পারি না। আমাদের কাউকে বাঁচানোর নেই। প্রমাণের অপেক্ষায় রয়েছি। দয়া করে গুজব ছড়াবেন না।” সিবিআইয়ের উপর আস্থা রাখার কথাও বলেন পুলিশ কমিশনার।

Card image cap

CBI-কে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন মমতা

আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের যৌন হেনস্তা-হত্যাকাণ্ডের ঘটনার কিনারা করতে পুলিশকে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার অর্থাৎ ১৮ আগস্টের মধ্যে পুলিশ তদন্ত শেষ করে পদক্ষেপ না নিতে পারলে মামলাটি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই কলকাতা হাই কোর্ট এই মামলা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তভার তুলে দিয়েছে। আর তা নিয়ে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুললেন তিনি। পাশাপাশি সিবিআই-কেও তিনি ডেডলাইন বেঁধে দিলেন।শুক্রবার আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ডোরিনা ক্রসিংয়ের জনসভা থেকে তাঁর স্পষ্ট ঘোষণা, ”সিবিআই যদি রবিবারের মধ্যে দোষীকে ধরতে না পারে, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। দিল্লিতে গিয়ে আমরা ধরনা করব। সোমবার, রাখিবন্ধনের দিন আমাদের কর্মসূচি হবে সব ভাইবোনদের রক্ষার জন্য।” এদিন বক্তব্যের শেষে মমতা নিজেই স্লোগান তোলেন, ”দোষীদের ফাঁসি চাই। রবিবারের মধ্যে ফাঁসি চাই।”  জনতার কাছে তাঁর আবেদন, ”রাম-বামের চক্রান্ত ব্যর্থ করুন। কুৎসাকারীদের জবাব দিন। বাংলা মাকে অসম্মানের জবাব দাও বিজেপি।”মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর কলকাতা পুলিশকে সময় না দিয়ে সিবিআই-কে তদন্তভার তুলে দেওয়া আদালতের নির্দেশ হলেও এর মধ্য়ে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন তিনি। শুক্রবার সরাসরি তা বললেনও। তাঁর কথায়, ‘‘আমি বলেছিলাম বাবা-মাকে, আমরা দোষীদের শাস্তি দেব। রবিবার পর্যন্ত সময় দিন। নয়তো সিবিআইকে মামলার তদন্তভার দিয়ে দেব। সিপিএম, বিজেপি  – আপনারা অপেক্ষা করতে পারতেন! পরিবারকে দোষ দিই না। আপনারা সময় দিলেন না। হাসপাতালের নমুনা সংগ্রহ করতে সময় লেগেছে। এগুলো বাইরে বলা যায় না। দোষীরা নিজের মতো ব্যবস্থা নিতে পারে। আমি এটা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। আপনারাই রাজনীতি করলেন। আপনাদের তর সইছিল না।’’

Card image cap

জেলার রোগীদের স্থানান্তরে ‘না’ মুখ্যমন্ত্রীর

আর জি কর কাণ্ডে ন্যায় বিচারের দাবিতে কয়েকদিন ধরে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতিতে। যার জেরে ব্যাহত রোগী পরিষেবা। প্রবল ভোগান্তির শিকার রোগীরা। স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে রোগী হয়রানি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “কোনও পরিস্থিতিতেই রোগীদের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা যায় না। জেলার হাসপাতালগুলোকে বলব যেন আপাতত রোগীদের রেফার না করা হয়।”আর জি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে চিকিৎসককে যৌন হেনস্তা ও খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উত্তাল রাজ্য। অধ্যক্ষ অপসারণ-সহ একাধিক দাবিতে সরব হন জুনিয়র চিকিৎসক, ইন্টার্নরা। কর্মবিরতিতে শামিল হন সকলে। যার জেরে ব্যাহত হয় চিকিৎসা ব্যবস্থা। অধ্যক্ষ অপসারণের পরও চলছে কর্মবিরতি। আন্দোলনরতদের দাবি, ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ আর পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট তাঁদের দেখাতে হবে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতিদের জেরে স্বাভাবিকভাবেই প্রবল সমস্যায় পড়ছেন রোগীরা। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বহু রোগী কলকাতা আসেন চিকিৎসার জন্য। অনেকের পক্ষেই সরকারি হাসপাতাল ছাড়া অন্যত্র যাওয়ার সামর্থ্য নেই। নিরুপায় হয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছেন তাঁরা। কিন্তু অনেক সময়ই লাভ হচ্ছে না।বৃহস্পতিবার রাজভবনে যাওয়ার পথে এই নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসেন। পরিষেবা দিতে না পারাটা কাম্য নয়।” এর পরই তিনি বলেন, জেলা হাসপাতালগুলোকে আপাতত রোগী রেফার না করার পরামর্শ দেবেন তিনি। উল্লেখ্য, আন্দোলনকারীদের উপর হামলার ঘটনায়ও মুখ খুলেছেন তিনি। বললেন, “এটা ছাত্রছাত্রীদের কাজ নয়। ওদের উপর কোনও রাগ নেই, আমাদের সমর্থন আছে। কিন্তু আমাদের রাগ যারা এই আন্দোলনের নামে হামলা চালিয়েছে, ভাঙচুর করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ঢুকে অশান্তির সৃষ্টি করছে। আমাদের ডিসি অত্যন্ত জখম হয়েছে। ওঁর অনেকক্ষণ জ্ঞান ছিল না। প্রচুর রক্তও বেরিয়েছে।”

Card image cap

আরজি কর নিয়ে মন্তব্য করে ফেঁসে গেলেন নুসরত!

আরজিকরের  তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যার নারকীয় ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা বাংলা। প্রতিক্রিয়া আসছে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। কিন্তু রাজ্যের এমন অশান্ত পরিস্তিতিতেও এতদিন মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছিলেন বাংলার তারকা সংসদ নুসরত জাহান।


আরজিকরের এই নক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রাতেই রাত দখলে নেমেছিলেন গোটা রাজ্যের মেয়েরা।


আরজিকর কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিয়ে চরম ট্রোলড নুসরত জাহান 


রাতের অন্ধকারে তিলোত্তমার বুকে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যার ঘটনা ভীতটাই নড়বড়ে করে দিয়েছে রাজ্যের নারী সুরক্ষার। তাই গতকাল রাতেই এগারো দফা দাবি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় রাত দখলে নেমে বিচারের দাবি তুলেছিলেন শহরবাসী। কিন্তু এত বড় ঘটনার পরেও এতদিন মুখ দিয়ে একটাও শব্দ খরচ করেননি অভিনেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ নুসরত।


এতদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একাধিক ছবি পোস্ট করলেও সেখানে আর জি কর নিয়ে কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি নুসরতের । তাই কমেন্টস সেকশনে এসে একাধিকবার তাঁর প্রতিক্রিয়া চেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন নেট পাড়ার বাসিন্দাদের একাংশ। তবে অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন নুসরত। ১৪ই আগস্ট এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার একটি লম্বা পোস্ট করলেন অভিনেত্রী।


সেখানে তিনি লিখেছেন, 'আরজি করের এই ঘটনা অনেক অস্বস্তিকর প্রশ্ন তুলেছে। সত্যি কি মহিলারা সুরক্ষিত? রাত পর্যন্ত কাজ করার অর্থ বিপদ ডেকে আনা? আমরা কি সত্যি স্বাধীন? আমরা ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবসে পা রাখতে চলেছি। যন্ত্রণাদায়ক, তবে এটাই সত্যি কলকাতা আর সিটি অব জয় রইল না। একজন কর্মনিষ্ঠ ডাক্তার রাতে নিজের কর্তব্য পালন করছিলেন, তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।'


সেইসাথে অভিনেত্রীর সংযোজন, 'এই মর্মান্তিক ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় শহরের নিরাপত্তা হারাচ্ছে। এটা আমাদের ভাবনার অতীত, এই খবরে তাঁর পরিবারের অবস্থা কি ছিল? ন্যায় বিচারের এই লড়াইতে আমি আছি। কর্তৃপক্ষ, ক্ষমতাবানদের কাছে আমার অনুরোধ দ্রুত পদক্ষেপ করা হোক। আমি এমন নিষ্ঠুর কাজের তীব্র নিন্দা জানাই। প্রত্যেকের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করার সময় এসেছে।'



নুসরতের এই পোস্ট দেখা মাত্রই সোশ্যাল মিডিয়ায় রে রে করে উঠেছেন আমজনতা। আরজিকরের তরুণীর নৃশংস হত্যার পর নুসরতের প্রতিক্রিয়া দিতে সময় লেগে গেল পাঁচ দিন। তাই এতদিন পর নারী সুরক্ষা আর আরজিকরের তরুণীর মৃত্যুর বিচার চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে উল্টে নিজেই ট্রোলড হলেন অভিনেত্রী। তাই নুসরাতের পোষ্টের বহর দেখে কেউ লিখলেন, 'এর জন্যই তো বিচার আটকে ছিল'। আবার কারও কটাক্ষ, 'ম্যাম আপনি খুব তাড়াতাড়ি মন্তব্য করেছেন, দারুণ।' তো প্রশ্ন করেছেন, 'আপনার এতক্ষণে ঘুম ভাঙল?'