CATEGORY state:

Card image cap

আর জি করের নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী

হাসপাতালের কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। ঘটনার ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে উদ্বিগ্ন খোদ শীর্ষ আদালত। আর এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আর জি কর হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ পেয়ে মঙ্গলবারই হাসপাতালে পৌঁছয় সিআইএসএফ।  মঙ্গলবার শুনানির সময়ে পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কথা বলে। বলা হয়, এমন অনেক হাসপাতাল আছে, যেখানে নামী ডাক্তারদের দেখানোর জন্য  দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়, সেই দিনক্ষণে পরিষেবা না পাওয়ার অর্থ চিকিৎসা পাওয়া আরও পিছিয়ে যাওয়া। তাতে চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফে বলা হয়, ”১৪ আগস্ট রাতে শুধু হাসপাতাল নয়, হস্টেলেও আক্রমণ করা হয়েছিল। মহিলা রেসিডেন্টদের সর্বোচ্চ হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, আন্দোলন করা যাবে না। ভয়ে মা-বাবারা বাড়িতে ডেকে নেয়। আর আপনারা বলছেন কাজে যোগ দিতে! এই আতঙ্কের আবহে তা কীভাবে সম্ভব?”তা শুনে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, ৭০০ রেসিডেন্ট ডাক্তারের মধ্যে বেশিরভাগই নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় জন্য চলে গিয়েছে। ৩০-৪০ জন মহিলা, ৬০-৭০ জন পুরুষ ডাক্তার আছেন। শুধু নিজেদের পড়াশোনা নয়, পরিষেবা দেওয়ার স্বার্থে সমস্ত চিকিৎসকের হাসপাতালে ফিরে আসা উচিত। তাই CISF, CRPF পর্যাপ্ত পরিমাণে মোতায়েন করতে হবে আর জি কর হাসপাতাল।  তা শুনে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল মন্তব্য করেন, ”এর পর থেকে রাজ্য পুলিশের আর কোনও দায়িত্ব রইল না।” তবে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়ার পরও কর্মবিরতি প্রত্যাহার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি চিকিৎসক সংগঠনগুলি। তাদের প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে তার পরও তাদের নিরাপত্তা কতটা থাকবে? তাই সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতালের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই তা স্থির করা হবে।‘সুপ্রিম’ সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ সুকান্ত মজুমদারের প্রতিক্রিয়া, ”এটাই তো কাম্য ছিল। রাজ্যের মানুষের এই সরকারের প্রতি আস্থা নেই।” আর জি কর হাসপাতালে নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান কলকাতার এক অনুষ্ঠানে বলেন, ”এই রাজ্যের মা-মাটি-মানুষ সরকার ভোটে গণতান্ত্রিকভাবে জিতেছে। অথচ আর জি কর হাসপাতালের মর্মান্তিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে। সংবেদনশীল ভূমিকা নেই বর্তমান সরকারের। তাদের সদিচ্ছা নেই। প্রতি পদে তা প্রমাণিত। এই নৃশংস ঘটনা ধামাচাপা দিতেই বরং তৎপর রাজ্য সরকার। একজন সিভিক পুলিশ ধৃত। সে আবার কলকাতা পুলিশের কর্মী!” 

Card image cap

ABVP-র স্বাস্থ্যভবন অভিযানে ধুন্ধুমার

আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের পর ১২ দিন কেটে গেলেও আন্দোলনের ঝাঁজ একফোঁটাও কমেনি। মঙ্গলবার দুপুরে তুমুল বৃষ্টির মধ্যেও জারি রইল আন্দোলন। এদিন প্রতিবাদে রাস্তায় নামে বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেন তাঁরা। মাঝ পথে সেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের রীতিমতো লাঠিপেটা করা হয় বলে অভিযোগ। পালটা পুলিশকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।এদিন দুপুরে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সল্টলেক সিটি সেন্টারের কাছে জমায়েত করে এবিভিপির সদস্যরা। সেখান থেকে মিছিল করে স্বাস্থ্যভবনের উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু ইন্দিরা ভবনের কাছে মিছিল আটকে দেয় বিধাননগর পুলিশ। গার্ড রেল দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। তাতে অবশ্য আন্দোলনকারীরা দমে যায়নি।পালটা টেনে হিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিও চালায় বলেও অভিযোগ। কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে খবর। তবে ইন্দিরা ভবন থেকে মিছিল আর এগোতে পারেনি। এদিনের মিছিল ঘিরে ফের একবার উত্তপ্ত হয় সল্টলেক এলাকা।

Card image cap

বিচার চেয়ে পথে নামছেন সৌরভ-ডোনা

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার বাংলা। ফুঁসছে গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই পথে নেমেছেন বাংলার বিভিন্ন ক্ষেত্রের সেলিব্রিটিরা। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ও। সোশাল মিডিয়ায় প্রোফাইল পিকচার কালো করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সেখানেই তাঁদের প্রতিবাদ সীমাবদ্ধ নেই। এবার আর জি করের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামছেন সৌরভ ও ডোনা। আগামী বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় বড়িষা থেকে মিছিলে পা মেলাবেন দুজন।ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচের স্কুল থেকে দীক্ষামঞ্জরী থেকে ডাক দেওয়া হয়েছে প্রতিবাদ মিছিলের। মহিলাদের বিরুদ্ধে বর্বরতা বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠার দাবি জানিয়েছেন তিনি। কলকাতার নৃত্যশিল্পীদের একত্রিত হওয়ার ডাক দিয়ে আগামী বুধবার মিছিল করবেন তাঁরা। ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেখানে থাকবেন সৌরভও। বড়িষা প্লেয়ার কর্নারে জমায়েত হবেন সকলে, সেখান থেকে জেমস লং সরণি, বেহালা চৌরাস্তা ব্লাইন্ড স্কুল হয়ে ফের দীক্ষামঞ্জরীর সামনে এসে থামবে এই মিছিল। প্রতিবাদ মিছিলে সকলকে কালো পোশাক পরে আসার কথা জানানো হয়েছে। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সারা বাংলা জুড়েই অসংখ্য মিছিল হয়েছে। সেখানে পা মিলিয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি, সকলেই। সৌরভ-ডোনাও প্রথম থেকেই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। একাধিকবার এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য রাখেন তিনি। সৌরভ বলেছিলেন, “এটা নারকীয় ঘটনা। আশা করব এর কঠোর শাস্তি হবে।” দোষীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পক্ষেও সওয়াল করেছিলেন তিনি। ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছিলেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ও। তাঁরও বক্তব্য, এই ধরনের নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদ হওয়া উচিত।সম্প্রতি দুজনেই নিজেদের সোশাল মিডীয়ার প্রোফাইল পিকচার কালো করে দেন। ইনস্টাগ্রাম ও এক্স হ্যান্ডেলের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ নেন তাঁরা। যদিও শুধু সোশাল মিডিয়া নয়, এবার প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটবেন দুজনে। এর আগে ১৪ আগস্ট মহিলাদের ‘রাত দখল’-এর কর্মসূচিতে হাঁটার ইচ্ছা ছিল ডোনার। কিন্তু কন্যার সানার শরীর খারাপ থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। এবার নিজেরাই প্রতিবাদের রাস্তায় বড় পদক্ষেপ নিলেন।

Card image cap

অভিশপ্ত রাতে সঞ্জয়ের ‘ফোন সঙ্গী’

এবার সিবিআইয়ের নজরে এক পুলিশকর্মী। মঙ্গলবার এএসআই অনুপ দত্তকে তলব করা হয়েছিল সিজিও কমপ্লেক্সে। তিনি হাজিরাও দিয়েছেন। বর্তমানে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। জানা গিয়েছে, পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের বারাকে এই অনুপের সঙ্গে থাকত সঞ্জয়। সেদিনের ঘটনার পর এই পুলিশ কর্মীকেই ফোন করেছিল সে। তাহলে কি অনুপই সঞ্জয়ের ‘গডফাদার ছিলেন? উত্তর খুঁজছে সিবিআই।এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নে এএসআই অনুপ দত্ত। তবে সেখানে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখেই দৌড় দেন তিনি। সংবাদকর্মীরা ওই পুলিশকর্মীকে একাধিক প্রশ্ন করলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি। সূত্রের দাবি, ৮ আগস্ট সেই অভিশপ্ত রাতে অনুপকেই ফোন করেছিল সঞ্জয়। সেই রাতে কী কথা হয়েছিল দুজনের? আর জি করের নৃশংসতার কথা কি পুলিশ কর্মীকে ফোনে জানিয়েছিল সঞ্জয়? তাঁর প্রশয়েই কি রাতে পুলিশ বারাকে ফিরে ঘুম দিয়েছিল সঞ্জয়? এই সমস্ত প্রশ্ন উত্তর অনুপের থেকে জানার চেষ্টা করবে সিবিআই।এদিকে সঞ্জয়কে আজ শিয়ালদহ কোর্টে তোলার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তাকে এদিন আদালতে তোলা হয়নি। সিবিআই বলেছে, ২৩ তারিখ বা তার আগে কোর্টে তোলা হতে পারে। ওইদিন পরবর্তী শুনানি।মাস তিনেক আগে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের এক মহিলা চিকিৎসকের ‘শ্লীলতাহানি’র অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তার পরও কেন ধৃত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে কোনও ব‌্যবস্থা নেওয়া হল না? তদন্ত শুরুর পর এই প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও সঞ্জয় রায় নিজেকে ‘ক্ষমতাবান’ বলে পরিচয় দিত। গত কয়েকমাস ধরে মহিলা চিকিৎসক ও ডাক্তারি পড়ুয়াদের শ্লীলতাহানি, হেনস্তা করার অভিযোগ রয়েছে। তা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয়নি বলে অভিযোগ এসেছে সিবিআইয়ের কাছে। এই ব‌্যাপারে তার মদতকারী কে বা কারা, সেই উত্তর খুঁজছে সিবিআই। তবে কি অনুপই ছিল সঞ্জয়ের ক্ষমতার উৎস? উত্তর খুঁজছে তদন্তকারীরা।

Card image cap

সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তায় প্রাক্তন সেনা ও পুলিশ কর্মী

আর জি কর কাণ্ডের জের! সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তার দেখভালের দায়িত্বে এবার প্রাক্তন পুলিশ ও সেনাকর্মীরা। এমন সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। ইতিমধ্যে প্রতি পুলিশ সুপারকে তাঁদের এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা ও পুলিশ আধিকারিকদের তথ্য সংগ্রহ করে চারদিনের মধ্যে রাজ্যকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসে। তাতে দেখা যায় রাজ্য পুলিশের তরফে প্রতি এলাকার কমিশনারদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, রাজ্য়ের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল এবং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিরাপত্তাব্যবস্থার দেখভালের দায়িত্ব প্রাক্তন সেনা ও পুলিশ কর্মীদের নিয়োগ করা হবে। তাঁদের পারিশ্রমিকের খরচ দেবে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। কারা নিযুক্ত হবেন?বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্থল-বায়ু ও নৌসেনার প্রাক্তন নায়েব সুবেদার, সুবেদার, ক্যাপ্টেন, মেজর অথবা সমতুল্য় পদমর্যাদার অফিসারদের নিয়োগ করা হতে পারে। গত দুবছরের মধ্যে অবসর নেওয়া ইন্সপেক্টর, ডেপুটি সুপার, অ্যাডিশনাল সুপারদেরও সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তার দেখভালের দায়িত্বে নিয়োগ করা হতে পারে। তবে তাঁদের শারীরিকভাবে সক্ষম ও কাজে ইচ্ছুক হতে হবে। তবেই হাসপাতালের সিকিউরিটি অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হবে। পুলিশ সুপারদের বলা হয়েছে, তাঁদের এলাকার প্রাক্তন সেনা ও পুলিশ কর্মীর নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ, ফোন নম্বর, কোন পদে ছিলেন, কবে অবসর নিয়েছেন সেই সব তথ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট ইমেল আইডিতে পাঠাতে হবে। পুরো কাজটি করতে হবে ২৪ তারিখের বেলা ১১টার মধ্যে। 

Card image cap

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা

আর জি কর আন্দোলনে উত্তাল কলকাতা। সুবিচার চেয়ে মিছিল চলছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এবার হাওড়া ব্রিজ আটকে আন্দোলনে বিজেপি। মঙ্গলবার রাস্তায় নামে গেরুয়া শিবির। সন্ধেয় হাওড়া ব্রিজের মুখে আন্দোলনের জেরে তীব্র যানজট তৈরি হয়।একদিকে কলেজ স্কোয়ারে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব মিছিল করে তারা। অন্যদিকে অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বেও মাঠে নামে আরেক দল। এপিসি রোডে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তিও বেঁধে যায়। এর মধ্যে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের একাংশ হাওড়া ব্রিজের মুখে পৌঁছে যায়। সেখানে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়ায়। দিনের ব্যস্ত সময় এই কর্মসূচির জেরে ব্যাপক যানজট তৈরি হয় হাওড়া ব্রিজের মুখে। প্রসঙ্গত, আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের পর ১২ দিন কেটে গেলেও আন্দোলনের ঝাঁজ একফোঁটাও কমেনি। মঙ্গলবার দুপুরে তুমুল বৃষ্টির মধ্যেও জারি রইল আন্দোলন। এদিন প্রতিবাদে রাস্তায় নামে বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেন তাঁরা। মাঝ পথে সেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের রীতিমতো লাঠিপেটা করা হয় বলে অভিযোগ। 

Card image cap

১ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে নতুন Traffic Rule

আপনি যদি বাইক বা স্কুটার চালান, তাহলে এই খবরটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন ট্রাফিক আইন  কার্যকর হতে চলেছে। মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট অনুযায়ী, বাইক আরোহীদের হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক হলেও দেশের বেশিরভাগ জায়গায় তা মানা হয় না।



অন্ধ্রপ্রদেশের বড় শহর বিশাখাপত্তনমে লাগু হতে চলেছে নতুন নিয়ম।


এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে দু'চাকার গাড়ি চালানোর সময় চালক এবং পিছনে বসা ব্যক্তিকে যে কোনও পরিস্থিতিতে হেলমেট পরতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর ১ সেপ্টেম্বর থেকে বিশাখাপত্তনমে বাইক ও স্কুটারে যাঁরা পিছনে থাকবেন, তাঁদেরও হেলমেট পরতে হবে।


নগরীতে ক্রমবর্ধমান সড়ক দুর্ঘটনা যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে জন্য সরকার এই নতুন নিয়ম বাস্তবায়ন করেছে। বিশাখাপত্তনমের পুলিশ কমিশনার শঙ্খব্রত বাগচী এবং ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর, ডিস্ট্রিক্ট রোড সেফটি কমিটির চেয়ারম্যান হরেন্দ্রীরা প্রসাদ সম্প্রতি একটি বৈঠক করেছেন এবং বলেছেন যে যদি এই নিয়মগুলি না মণ হয় তবে সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, কেউ এই নিয়ম না মানলে ১০৩৫ টাকা চালান কাটা হবে। শুধু তাই নয়, নিয়ম ভঙ্গকারীদের লাইসেন্সও তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হতে পারে।


 


হেলমেটের মান সম্পর্কেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। শুধু আইএসআই মার্ক হেলমেট পরার কথা বলা হয়েছে। কেউ খারাপ মানের হেলমেট পরলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাথায় হেলমেট না থাকার কারণে অনেক ক্ষেত্রে মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

Card image cap

অভিশপ্ত' সেমিনার হল নিয়ে হাড়হিম করা তথ্য সামনে আনল CBI

যত সময় গড়াচ্ছে আর জি কর  কাণ্ডে উঠে আসছে হাড়হিম করা সব তথ্য। গত শুক্রবার খাস কলকাতার নামী সরকারি হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায়  উত্তাল গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তভার গিয়েছে সিবিআই এর হাতে।


কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চিকিৎসক মৃত্যুর তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আর তারপর থেকেই চাঞ্চল্যকর সব তথ্য সামনে উঠে আসছে।


সেমিনার হল নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য 


কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সি ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে উত্তাল দেশ। গত ৮ আগস্ট, মারা যাওয়ার দিন নাইট শিফটে ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তরুণীর নিথর দেহ। এবার সেই সেমিনার হল নিয়ে সামনে আসছে বিস্ফোরক তথ্য।


সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে সেমিনার হলে ঢোকার জন্য ছিল একাধিক প্রবেশ পথ। ছিল একাধিক দরজা। পেছনের দরজা দিয়েও ঢোকা যায় সেমিনার হলে। ফলত গোটা ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার আশঙ্কা সামনে আসছে। প্রসঙ্গত, এর আগে তদন্তে সেমিনার হলের ম্যাটের উপর একাধিক পায়ের চিহ্ন মিলেছিল।


আগেই গোটা ঘটনার সূত্র ধরে সঞ্জয় নামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দারা। পাশাপাশি আরও কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।


মারা যাওয়ার দিন নাইট শিফটে ছিলেন 'তিলোত্তমা'। হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ যখন উদ্ধার করা হয়েছিল, তখন পরনের পোশাক অবিন্যস্ত অবস্থায় ছিল। সেমিনার হলে ছিল না কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা। তরুণী চিকিৎসকের দুই চোখ, মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। যৌনাঙ্গে ও গলায় ছিল ক্ষত। আঘাতের চিহ্ন ছিল মুখে, পায়ে, নখে, পেটে, হাতে, ঠোঁটে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল তরুণী চিকিৎসককে।

Card image cap

অতি ভারী বৃষ্টি কাঁপাবে দক্ষিণের ৮ জেলা!

  দক্ষিণ বাংলাদেশের নিম্নচাপ সরে আজ সোমবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি আরও শক্তিশালী হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে যাবে।


  এর প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাংলার পর ঝাড়খণ্ড ও বিহারেও অতিবৃষ্টির সতর্কতা।


নতুন করে নিচু এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গে।


  নিম্নচাপের জেরে সমুদ্র উত্তাল হবে। ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে সমুদ্রের ভেতরে। মৎস্যজীবীদের জন্য তাই জারি হয়েছে সতর্কবার্তা। মঙ্গলবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।


  আজ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে। বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে।


  মঙ্গলবার থেকে পশ্চিমের জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। উত্তরবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে পার্বত্য ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। মালদহ-সহ নীচের তিন জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সতর্কতা।


  বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ দক্ষিণ বাংলাদেশে অবস্থান করছে। মঙ্গলবারের মধ্যে বাংলাদেশ ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে এই নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হবে। এটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা।


  নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই এটি আরো শক্তিশালী হয়ে পশ্চিমবঙ্গ উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করে ঝাড়খণ্ডের দিকে এগিয়ে যাবে।


  তিন দিনের মধ্যে এটি ঝাড়খণ্ড ও সংলগ্ন উত্তর প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের দিকে অবস্থান করবে। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা। অতিভারি বৃষ্টির সতর্কতা বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশে।


  সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা বাংলাতেই। এই অক্ষরেখা বিকানির জয়পুর গোয়ালিয়ার সাতনা রাঁচির পর গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গতে বাংলাদেশের নিম্নচাপ এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। অসম থেকে ওড়িশা পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা রয়েছে। কর্ণাটক ও রাজস্থানে রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত।


  দক্ষিণবঙ্গ: সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে মূলত পশ্চিমের জেলাগুলিতে। হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলাতে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টি হবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে। বৃষ্টির সঙ্গে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি ও থাকবে।


  মঙ্গলবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, এবং বীরভূম জেলাতে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলাতে। বাকি জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা।


  বুধবারে ও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলাতে। পশ্চিমের দিকের বাকি জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সর্তকতা।


  উত্তরবঙ্গ: সোমবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার জেলাতে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। বেশি সম্ভাবনা থাকবে জলপাইগুড়ি, মালদহ, এবং দুই দিনাজপুরে।


  মঙ্গলবার সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে। দার্জিলিং থেকে মালদহ পর্যন্ত সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃষ্টি বেশি হবে, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে।


  বুধবার বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা কমবে। ভারী বৃষ্টি থাকবে, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার কালিম্পং এবং মালদহ জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে বাকি জেলাতে।


  কলকাতা: আজ কয়েক পশলা নিবিড় বৃষ্টি। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। নিম্নচাপের বৃষ্টি শহরে।মূলত মেঘলা আকাশ। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় বৃষ্টি না হলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও হবে।


  আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।


  বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭৮ থেকে ৯৭ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২৬ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৫৯.৫ মিলিমিটার।

Card image cap

পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার ইঙ্গিত?

রাজ্যের পরিস্থিতিতে তৃণমূল কি পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার ইঙ্গিত পাচ্ছে ? শাসক দলের বক্তব্যে খানিকটা তেমনই 'শঙ্কা' ধরা পড়েছে বলে অভিমত অনেকের। তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলের নেতা কুণাল ঘোষ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উদ্দেশে একাধিক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন।


তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে 'বিড়ম্বিত' করতে রাজ্যপালের উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। বিজেপির উপরতলা থেকে চাপ তৈরি করে রাজ্যপালকে দিয়ে কিছু করানো হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল।


কুণাল বলেন, ''আমাদের কাছে সূত্রের খবর রয়েছে, রাজ্যপালের উপর বিজেপির উপরতলার চাপ আছে নির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ করে দিল্লিতে পাঠানোর। রাজ্যপাল বলুন, তা ঠিক কি না।'' কুণালের আরও বক্তব্য, নির্বাচিত সরকারকে 'বিড়ম্বিত' করার চেষ্টা হচ্ছে কি না তা রাজ্যপাল প্রকাশ্যে এসে বলুন। তৃণমূলের এ-ও অভিযোগ, রাজ্যপাল যা করছেন বা করতে চলেছেন, তাতে রাষ্ট্রপতিকেও জুড়ে নেওয়া হতে পারে। যদিও রাজভবন থেকে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি সোমবার রাত পর্যন্ত।

Card image cap

২১ অগাস্ট ভারত বনধ! বন্ধ থাকবে স্কুল কলেজ রাস্তাঘাট?

২১ তারিখ ভারত বনধ! তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এই বনধের ডাক দিয়েছে সংরক্ষণ বাঁচাও সংঘর্ষ সমিতি।



সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ ২০২৪ সালের ১ আগস্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। তারা রাজ্যগুলিকে তফসিলি জাতি ও উপজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে উপ-বিভাগ তৈরি করার অনুমতি দিয়ে বলেছে, "যাদের সত্যই প্রয়োজন তাদের সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।


সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তই ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এবং ভারত বনধ ডেকেছে দিয়েছে বসংরক্ষণ বাঁচাও সংঘর্ষ সমিতি। সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি তোলাই এই ভারত বনধের মূল উদ্দেশ্য বলে জানা গিয়েছে। এই বনধ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের সমর্থন পাবে বলেই মনে করছে সংরক্ষণ বাঁচাও সংঘর্ষ সমিতি।


অন্যদিকে ভারত বনধের প্রস্তুতি ও বনধ চলাকালীন সম্ভাব্য হিংসা রোধ করতে শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরা একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি বিশেষ বৈঠক করেন।


এই সভায় যোগ দিয়েছিলেন সকল বিভাগীয় কমিশনার, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। স্বরাষ্ট্র


এ বছর ভারত বনধ এই প্রথম নয়। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষক সংগঠনগুলি তাদের দাবিতে ১৬ ফেব্রুয়ারি বনধের আয়োজন করে। তবে ভারতের বেশিরভাগ অংশে এর তেমন প্রভাব না পড়লেও কৃষকদের আন্দোলনের কারণে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় প্রভাব ফেলেছিল এই বনধ।

Card image cap

মালদহে সরকারি অফিসে মধুচক্র!

আর জি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। সরকারি অফিস থেকে হাসপাতাল সর্বত্র রাত্রিকালীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি উঠছে। এরই মাঝে সরকারি অফিসে মধুচক্রের হদিশ! ঘটনাস্থল মালদহের হরিশচন্দ্রপুর। দপ্তরের ঘরের মধ্যেই চলছিল অশালীন কাজকর্ম এবং মদ-বিরিয়ানির ফোয়ারা।গ্রামবাসীদের অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ভূমি সংস্কার দপ্তরের কার্যালয়টি গ্রামের একপ্রান্তে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়েই প্রতি শনি-রবিবার সন্ধ্যে নামলেই অফিস চত্বরের মধ্যে থাকা হাইমাস্ট ল্যাম্পের আলো বন্ধ করে দিতেন নাইট গার্ড। এর পরই বাইরে থেকে যুগলরা নিরাপত্তারক্ষীর মদতে দপ্তরে প্রবেশ করতেন। তার পরই চলতো অশালীন কাজকর্ম। গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হঠাৎ করে দপ্তরের সামনের লাইট বন্ধ হয়ে যায়। এর পরই গ্রামের কিছু ছেলে লক্ষ্য করে বাইরে থেকে এক যুবক এবং যুবতী দপ্তরে ঢুকল। গ্রামবাসী ছুটে গিয়ে তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। গ্রামবাসীরা চিৎকার চেঁচামেচি করলে আরও লোক জড়ো হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ছুটে যায়। উত্তেজিত গ্রামবাসীদের সঙ্গে সেখানে বচসায় জড়িয়ে যায় পুলিশকর্মীরা।এর পর উত্তেজিত জনতার কাছ থেকে কোনওরকম অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষী ও যুবক-যুবতীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ। প্রসঙ্গত, আর জি কর ইস্যুর মাঝে সরকারি অফিসে রক্ষকের দ্বারা মধুচক্রের আসর সামনে চলে আসায় চরম অস্বস্তিতে জেলা প্রশাসন। ভূমি সংস্কার আধিকারিক, রেভিনিউ অফিসার দেবরাজ মুখোপাধ্যায় বলেন, “কী ঘটেছে খোঁজ নিয়ে দেখছি।”

Card image cap

আর জি কর কাণ্ডের মাঝেই আরও এক গণধর্ষণ!

আর জি কর কাণ্ডের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদের ঝড়। গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কাটোয়ার গুসুম্বা গ্রাম। একটি লজে নিয়ে গিয়ে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে বেহুঁশ করে এই ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ। গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিরা অধরা। ধৃতকে চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন কাটোয়া মহকুমা আদালতের বিচারক। অপরজনের খোঁজ চলছে।পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম বিশ্বজিৎ হালদার। তাঁর বাড়ি কাটোয়ার গুসুম্বা গ্রামে। কাটোয়া থানা এলাকার এক বধূ গত রবিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, ওই বধূর স্বামী কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন। বধূ জানান, ঘটনার সূত্রপাত গত ১৫ আগস্ট। ওইদিন তিনি কাটোয়া শহরে ডাক্তার দেখাতে আসছিলেন। তখন কাটোয়ার গাঁফুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা রাজেশ নন্দী ওরফে রাজা নামে এক যুবকের টোটোয় চড়ে বধূ কাটোয়া শহরে আসছিলেন।বধূর অভিযোগ, টোটোচালক যুবক কাটোয়ার লেনিন সরণিতে একটি লজের দোতলার ঘরে তাঁকে নিয়ে যায়। ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মাদক জাতীয় কিছু মিশিয়ে বেহুঁশ করে। তার পর রাজেশ ও তাঁর এক বন্ধু বিশ্বজিৎ হালদার দুজনে মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। গৃহবধূর আরও অভিযোগ, “আমি ঘটনার কথা স্বামীকে জানিয়ে দেব যখন বলি তখন ওই দুজন আমাকে হুমকি দেখিয়ে বলে, ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ক্যামেরায় তোলা আছে। কাউকে জানালে ভাইরাল করে দেব।”বধূর অভিযোগ, ওদিনই অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ হালদার তাঁকে ভয় দেখিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে জোর করে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এরপর বধূ ঘটনার কথা তাঁর স্বামীকে ফোনে জানান। বধূর স্বামী কাজের সূত্রে হায়দরাবাদে থাকেন। স্বামীকে ফোনে জানানোর পর বধূর স্বামী তাঁর মামাতো ভাইদের ঘটনার কথা জানান। এর পর নির্যাতিতার মামাতো দুই দেওর গত শনিবার বিকেলে বিশ্বজিতের বাড়ি থেকে বধূকে উদ্ধার করে আনেন। রবিবার বধূ কাটোয়া থানায় রাজেশ নন্দী ও বিশ্বজিৎ হালদারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। রবিবার রাতেই বিশ্বজিৎকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যজন পলাতক বলে জানা গিয়েছে।আরও জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক কলকাতা শহর সংলগ্ন এলাকায় একটি গেস্ট হাউসে কাজ করেন। কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কাশীনাথ মিস্ত্রি জানিয়েছেন, গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

Card image cap

সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি আদালতের

আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফের অনুমতি দিল আদালত। তবে কবে টেস্ট হবে তা এখনও জানা যায়নি। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে হানা দিয়ে সিবিআই বেশ কিছু জিনিস, নমুনা উদ্ধার করেছে। এদিন সেই খতিয়ান আদালতে দেওয়া হয়েছে।জানা গিয়েছে, পলিগ্রাফ টেস্টের আগে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সঞ্জয় রায়কে হাজির করা হবে। ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে জিজ্ঞেস করবেন, সে পলিগ্রাফ টেস্টে রাজি কি না। তার পর হবে পরীক্ষা। এদিন পলিগ্রাফ টেস্ট ছাড়াও সঞ্জয়ের মোবাইল থেকে তথ্য উদ্ধারের জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। এদিকে আর জি করে ঘটনাস্থলে হানা দিয়ে বেশ কিছু নমুনা উদ্ধার করে সিবিআই। সেই উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর তালিকা জমা পড়েছে আদালতে। কিন্তু কী কী সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।এদিন সিবিআই তদন্তকারীরা লালবাজারে যান। পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করেন তাঁরা। সূত্রের দাবি, ঘটনার রাতের আগে সঞ্জয় রায় কোথায় গিয়েছে, তার সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হয়েছে।তদন্ত শুরু করার পর থেকে অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে টানা জেরা করছে সিবিআই। এই বীভৎস ও নারকীয় ঘটনাটির পিছনে সঞ্জয় ছাড়াও একাধিক ব‌্যক্তি রয়েছে কি না, তদন্তের ক্ষেত্রে সেই ব‌্যাপারেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার সময় কেউ উপস্থিত না থাকলেও পিছন থেকে তাকে কেউ মদত জুগিয়েছে কি না, তা-ও তদন্তসাপেক্ষ। কিন্তু সিবিআইয়ের মতে, জেরার মুখে সঞ্জয় বেশ কিছু তথ‌্য চেপে যাচ্ছে। জেরায় সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছে না সঞ্জয়। তার বয়ানেও রয়েছে বহু অসঙ্গতি। ঘটনার আগে ভোররাতে কেন সঞ্জয় ট্রমা কেয়ারে ভর্তি এক রোগীর দেখভালের নাম করে অত‌্যন্ত মদ‌্যপ অবস্থায় আর জি কর হাসপাতালে গেল, তা নিয়ে তার বক্তব‌্য অনেক সময়ই মিলছে না। বরং বেশি প্রশ্ন করলেই সঞ্জয় সিবিআইয়ের কাছে দাবি করছে, যেহেতু সে সন্ধ‌্যার পর থেকে একাধিক যৌনপল্লিতে মদ‌্যপান করেছিল, তাই তার অনেক কিছুই মনে নেই।

Card image cap

গণধর্ষণের শিকার আর জি করের তরুণী চিকিৎসক

আর জি করের মৃত তরুণী চিৎসক যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন আগেই আন্দাজ করা হয়েছিল। সোমবার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তা আরও স্পষ্ট হয়েছে। বলা হয়েছে, তাঁকে গলা টিপে, নাক-মুখ চেপে ধরে খুন করা হয়। ফরেনসিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞদের কথায়, এমন নৃশংস কাজ করতে গেলে একাধিক ব্যক্তির প্রয়োজন। কারও একার পক্ষে একইসঙ্গে গলা টিপে, নাকমুখ চেপে ধরে খুন করা সম্ভব নয়। প্রশ্ন একটাই, খুনের আগেই কি তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল? নাকি, খুনের পর ধর্ষণ করা হয়? ফরেনসিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞদের কথায়, তা নির্ভর করবে পারিপাশ্বিক পরিস্থিতির উপর। মৃত্যুর আগে অথবা পরে তরুণীকে নির্যাতন করা হয়েছিল। গণধর্ষণও চলে।ধর্ষণ নাকি গণধর্ষণ? কীভাবে খুন করা হয়েছিল আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে? তা নিয়ে একাধিক তথ্য প্রকাশ্যে। সোশাল মিডিয়াতেও ঘোরাফেরা একাধিক তথ্য। তার কতটা সত্য, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ছিলই। এসবের মাঝে এবার হাতে এল নিহত চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। সেখানেই বলা হয়েছে, গলা টিপে, নাক-মুখ চেপে ধরে খুন করা হয়। ফরেনসিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞদের কথায়, এমন নৃশংস কাজ করতে গেলে একাধিক ব্যক্তির প্রয়োজন। কারও একার পক্ষে একইসঙ্গে গলা টিপে, নাকমুখ চেপে ধরে খুন করা সম্ভব নয়। করা হয়েছে গণধর্ষণও। তবে সোশাল মিডিয়ায় যে হাড় ভাঙার তথ্য মিলছিল, তার উল্লেখ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নেই। ‘সিমেন’ সংক্রান্ত কোনও উল্লেখও নেই। দেশের ফরেনসিক মেডিসিনের প্রবীণ অধ্যাপক ড. অজয় গুপ্তের কথায়, “দুটোই সম্ভব। অর্থাৎ খুন করার আগে বা পরে ধর্ষণের শিকার হতেই পারে। সেজন্যই সম্ভাবনার কথা বলা হয়। কারণ মৃত্যুর খানিক পরেও শরীর গরম থাকে। নির্যাতিতার শরীরে জমে থাকা বীর্যের ডিএনএ পরীক্ষা করলেই জানা যাবে গণধর্ষণ না একই ব্যক্তি এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।”  

Card image cap

আর জি করের দোষী কে?

আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে দেশ। ইতিমধ্যেই এই নারকীয় কাণ্ডের তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এবার সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলে যুক্ত হলেন উত্তরপ্রদেশের হাথরস কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার সীমা পাহুজা। জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের প্রায় ৬৫ জন আধিকারিক এসেছেন কলকাতায়।  তদন্ত শুরু করার পর থেকে অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে টানা জেরা করছে সিবিআই। এই বীভৎস ও নারকীয় ঘটনার পিছনে সঞ্জয় ছাড়াও একাধিক ব‌্যক্তি রয়েছে কি না, তদন্তে সেই ব‌্যাপারেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সোমবার তাঁকে চতুর্থ বারের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। গত ৯ আগস্টের এই ঘটনার তদন্তে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। যদিও সিবিআইয়ের হাতে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হননি। কিন্তু এবার জানা গিয়েছে, হাথরসের ঘটনায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দেওয়া তৎকালীন ডিএসপি সীমা পাহুজাকে আর জি করের ঘটনার তদন্তকারী দলে যুক্ত করা হয়েছে।  এদিকে, সিবিআইয়ের হাতে আর জি কর কাণ্ডের তদন্তভার যাওয়ার পর দিল্লি থেকে ক্রমে ৬৫ জনের একটি দল কলকাতায় এসেছে। দিল্লি থেকে নিয়ে আসা হয় কিছু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কম্পিউটারও। মোবাইলের কল, হোয়াটস অ‌্যাপ মেসেজ ও কলের উপর নজরদারি করার জন‌্যই এই যন্ত্রগুলো এখন ব‌্যবহার করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়। দুসপ্তাহ লড়াইয়ের পর হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। রাজনৈতিক চাপানউতোরও তৈরি হয় বিস্তর।   

Card image cap

কবে থামবে দুর্যোগ? 'দিন-তারিখ' বলে দিল আলিপুর

  বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী! আরও সক্রিয় মৌসুমী বায়ু। একাধিক ঘূর্ণাবর্ত। আর এই সিস্টেমের জেরেই সোমবার থেকে আমূল বদলের ইঙ্গিত আবহাওয়ার। আগামী ২৪ ঘণ্টা কী হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে? ফের ভাসতে চলেছে উত্তর? সব জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর।


  রাজ্য জুড়ে কার্যত দুর্যোগ শুরুর ইঙ্গিত দেখা গেল রবিবারেই।


কিন্তু এমন আবহাওয়ার জের চলবে আর কতদিন? পূর্বাভাস জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সর্বশেষ ওয়েদার রিপোর্ট বলছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপটি দক্ষিণ বাংলাদেশে অবস্থান করছে।


  আগামিকাল সপ্তাহের শুরুর দিনেই সম্ভবত বাংলাদেশ ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে এই নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হবে। সোমবার নিম্নচাপটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা।


  পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এটি আরও শক্তিশালী হয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করে ঝাড়খণ্ডের দিকে এগিয়ে যাবে নিম্নচাপ।


  এরই জেরেই চলবে নাগাড়ে বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গে রবিবার থেকে বুধবার অর্থাৎ ১৮ থেকে ২১ অগাস্ট পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে। এই সময়ে বৃষ্টির পরিমাণও বেশি থাকবে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে একাধিক জেলায়।


  রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়া জেলাতে।


  সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি ও বাঁকুড়া জেলাতে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে।


  মঙ্গলবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম জেলাতে। বাকি মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাকি জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা।


  বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা কিছুটা কমবে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়া এবং মুর্শিদাবাদ এই তিন জেলাতে।


  উত্তরবঙ্গে রবিবার বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি উপরের দিকের পাঁচ জেলার কিছু অংশে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা।


  সোমবার উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে।


  বৃষ্টি বাড়বে মঙ্গলবারে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে। দার্জিলিং থেকে মালদহ পর্যন্ত সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।


  বুধবার বৃষ্টি কিছুটা কমবে উত্তরবঙ্গে। মালদহ এবং জলপাইগুড়ি, আলিপুর দুয়ারে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।


  নিম্নচাপের জেরে সমুদ্র উত্তাল হবে। ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া চলার সম্ভাবনা সমুদ্রের ভেতরে। মৎস্যজীবীদের জন্য তাই জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কবার্তা।


  মঙ্গলবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৌসম ভবন আইএমডি।