CATEGORY state:

Card image cap

খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার কমে ৩.৫৪ শতাংশ

জুন মাসে আগুন হয়ে উঠেছিল বাজার। সেই তুলনায় মধ্যবিত্তকে অনেকটাই স্বস্তি দিল জুলাই মাসের খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার। কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী যা নেমে আসে ৩.৫৪ শতাংশে। এর ফলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মূল্যবৃদ্ধির হারকে ৪ শতাংশের মধ্যে রাখার যে লক্ষ্য, তাও পূরণ করা গিয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, গত পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল বিগত জুলাই মাস।
গত জুনে গোটা দেশের উদ্বেগ বাড়িয়ে মূল্যবৃদ্ধি ৫.৮ শতাংশে পৌঁছেছিল। চার মাসের মধ্যে সব থেকে বেশি। এক বছর আগের হার ছিল ৪.৮৭ শতাংশ আর গত মে মাসে ৪.৭৫ শতাংশ। জুনে গোটা দেশের উদ্বেগ বাড়িয়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। শুধু আনাজেরই দাম বাড়ে ২৯.৩ শতাংশ হারে। দেশবাসীর প্রধান খাবার যেগুলি, চাল-গমের মতো সেই সব খাদ্যশস্যের মূল্যবৃদ্ধি পৌঁছে যায় ৮.৭৫ শতাংশে। একমাত্র ভোজ্যতেল এবং চর্বি বাদে দাম বেড়েছিল প্রায় সব রকম খাবারের।
সোমবার সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স অনুযায়ী ২০২৪ এর জুলাই মাসের মূল্যবৃদ্ধির হার গত ৫৯ মাসের মধ্যে সবচেয় কম। অর্থাৎ প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে দ্রব্যমূল্য সবচেয়ে কম বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাম ও শহরের বাজার মিলিয়ে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার ৩.৫৪ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে মৃল্যবৃদ্ধির হার ২.৯৮ শতাংশ, অন্যদিকে শহরাঞ্চলে তা কিছুটা বেশি ৪.১০ শতাংশ। উল্লেখ্য, জুন মাসে মূল্যবৃদ্ধির সার্বিক হার পৌঁছে গিয়েছিল ৫ শতাংশে। মূল্যবৃদ্ধির হার কমার অন্যতম কারণ খাদ্যপণ্যের দাম কমা, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

Card image cap

আর জি কর ছেড়ে এবার অন্য দায়িত্বে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ

সকালে আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের অধ্যক্ষ পদে ইস্তফা, বিকেলেই নতুন দায়িত্ব নিলেন ডাঃ সন্দীপ ঘোষ। স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে স্থানান্তর করা হয়েছে। আর জি করের অধ্যক্ষের পাশাপাশি এদিন সন্দীপ ঘোষ অধ্যাপক হিসেবেও পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তাঁর ইস্তফা গৃহীত হয়নি। স্বাস্থ্যভবনের তরফে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের প্রিন্সিপাল পদে বহাল করার কথা জানানো হয়। সেই জায়গায় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হচ্ছেন স্বাস্থ্যভবনের ওএসডি সুহৃতা পাল। আর ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ অজয় রায়কে আনা হল ওএসডি পদে।
আর জি করে  তরুণী চিকিৎসকের মর্মান্তিক পরিণতির জেরে গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে শুরু হয়েছে কর্মবিরতি। বন্ধ আউটডোর, এমারজেন্সিও। হয়রান রোগীরা। চিকিৎসা পরিষেবা ফের সচল করতে সোমবার স্বাস্থ্যবিভাগে বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সকালে আর জি করের অধ্যক্ষ হিসেবে ইস্তফা দেওয়া সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে অবশ্য তেমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার পানিহাটিতে মৃত তরুণী চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, আর জি করের প্রিন্সিপাল পদত্যাগ করেছেন। তাঁর কথায়, ”উনি বলছিলেন, তাঁরও বাড়িতে বাচ্চারা আছে। এই ঘটনার পিছনে তাঁকে এমনভাবে দায়ী করা হচ্ছে যে তিনি সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা বলেছি, ওখানে (আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ) আর কাজ করতে হবে না। ওঁকে অন্যত্র সরিয়ে দেব।” মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথা অনুযায়ী বিকেলেই ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে পুনর্বাসন দেওয়া হল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। স্বাস্থ্যভবনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে থাকবেন তিনি।

Card image cap

বর্ষায় এসি নিয়ে চরম ভোগান্তি, মুহূর্তে হবে দূর

প্রবল বৃষ্টিতে অনেকেই এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করেন। কিন্তু ভারী বৃষ্টির মধ্যে এসি ব্যবহার করা সঠিক? যদি না জানেন আজকের এই প্রতিবেদনে রইল বিস্তারিত তথ্য।


ভারী বৃষ্টিপাতের সময়, বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, যার ফলে ভোল্টেজ ওঠানামা হতে পারে। যদি আপনার এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অনিয়মিত হয় বা ভোল্টেজ ওঠানামার ঝুঁকি থাকে, তাহলে এসি চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।


প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই অনেককেই এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করতে দেখা যায়। বৃষ্টিতে আবহাওয়া কিছু সময়ের জন্য ঠাণ্ডা হলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকে। যার থেকে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র এসি মেশিন'ই।


আপনি যদি বর্ষাকালে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করেন তবে আপনাকে অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ সাবধান না হলে সমস্যায় পড়তে পারেন।


বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা

ভারী বৃষ্টির সময়, বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, যার ফলে ভোল্টেজ ওঠানামা হতে পারে। যদি আপনার এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অনিয়মিত হয় বা ভোল্টেজ ওঠানামার ঝুঁকি থাকে, তাহলে এসি চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এ অবস্থায় স্টেবিলাইজার ব্যবহার করুন বা এসি বন্ধ রাখা ভালো।



বাইরের ইউনিট

এসির বাইরের ইউনিট সাধারণত এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে বৃষ্টিতে তা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তবে ভারী বৃষ্টির সময়, জলের সঙ্গে মাটি কাদা বাইরের ইউনিটের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে, যার ফলে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যআউটডোর ইউনিটটি সঠিক ভাবে ইনস্টল করা এবং এটির সঠিন রক্ষণাবেক্ষণ একান্ত জরুরি।


আর্দ্রতা

বৃষ্টির সময় আর্দ্রতা বেড়ে যায়, যার কারণে এসি মেশিনকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এতে বিদ্যুতের খরচ বেড়ে যায় এবং এসি ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না করলে এসি মেশিন ঠিকমতো সার্ভিস প্রদান করতে পারেনা।



রক্ষণাবেক্ষণ

বর্ষাকালে এসি ব্যবহারের আগে এর রক্ষণাবেক্ষণের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। এসির ফিল্টারটি পরিষ্কার, নিষ্কাশন ব্যবস্থা সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা পাশাপাশি এসির সকল বৈদ্যুতিক সংযোগ নিরাপদ রয়েছে তা খতিয়ে দেখে নেওয়া উচিত।

Card image cap

আরজি কর কাণ্ডে ধৃতের দিদি যা জানালেন

সরু গলিতে ঘিঞ্জি বাড়ি। গা লাগোয়া সব। সেখানেই পাশাপাশি পাড়ায় দিদি-ভাইয়ের বাড়ি। ভাই কিংবা বাপেরবাড়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নেই প্রায় ১৭ বছর হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি পাড়াতেই থাকেন। কিন্তু ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয় না খুব একটা বেশি। আরজি কর কাণ্ডে ধরা পড়ার আগেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে।


পাড়ায় মদ্যপ অবস্থায় প্রতিবেশীদের বাড়ি লাথি, মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ আগেও রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। বিয়ে করেছেন চারটে, বলছেন দিদিই। এরকমই নৃশংসকাণ্ড ঘটানোর অভিযোগে ভাই গ্রেফতার হয়েছেন, তিনি সে কাজ করে থাকতে পারেন, ভাবতেও পারছেন না দিদি। TV9 বাংলায় বলতে গিয়েই কেঁদে ফেললেন, “নিজের ভাই তো, কী বলি বলুন তো।”

ধৃতের চার বোন, এক বোন আত্মঘাতী হয়েছেন আগেই। বাকি দুই বোন পুলিশেই চাকরি করেন। বাড়ির লোক, পাড়া প্রতিবেশীদের কাছে কয়েক মাস আগে ধৃত জানিয়েছিলেন, তিনিও পুলিশে চাকরি পেয়েছেন। ধৃতের এই দিদিও তাই জানেন। ১৭ বছর আগে পাশের পাড়াতেই বিয়ে হয়েছে তাঁর। কিন্তু কোনওকারণে বাপের বাড়ি, পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ সে অর্থে নেই।

ধৃতের দিদি বললেন, “⁠কাল থেকে মনের ভেতরে কী চলছে বলতে পারব না। এক জন মেয়ে তো আমি, বুঝতে পারছি সবই। কিন্তু সরকার যা ভালো বুঝবে চাই করবে।” ধৃতকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার দাবি উঠছে সব মহল থেকে। সে ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই কেঁদে ফেললেন দিদি। ফুঁপিয়ে বললেন, “যতই হোক ভাইতো।”

ধৃতের এলাকায় যে খুব একটা ভাল নাম ডাক ছিল না, তা প্রতিবেশীদের কথাতেই স্পষ্ট।
এক প্রতিবেশী বললেন, “মদ খেয়ে বাড়ির দরজায় লাথি মারে। তবে এখানে বেশিরভাগ সময় থাকতই না। বিয়ের ব্যাপারে আর কিছু বলার নেই। মদ থেকে বাড়িতেও প্রচুর চিৎকার চেঁচামেচি করত।”

পুলিশ সূত্রেও খবর, একাধিকবার বিভিন্ন সময় ব্যবহার খারাপ করেছে। তার আচরণও নাকি অদ্ভুত ছিল। আরজি কর কাণ্ডে ধৃতের পাড়ায় এখন জোর চর্চা। গলির মুখে অত্যুৎসাহী মানুষদের ভিড়। এত্ত নৃশংস, এত্ত কিচ্ছু করতে পারে পাড়ার ছেলেটা! বিস্মিত সবাই। তবে অভিযুক্তই একমাত্র নন, এই নৃশংসতার পিছনে আরও অনেকেই রয়েছেন কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

Card image cap

আরজি কর-কাণ্ডের পর কী দাবি করলেন অভিষেক?

আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্ষণের মতো ঘটনা রুখতে কড়া আইন আনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন তিনি। শনিবার ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করেন অভিষেক। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আরজি কর হাসপাতাল নিয়ে মন্তব্য করেন।


অভিষেক বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই দোষীর। এসব কাজ যারা করে তাদের সমাজে থাকার অধিকার নেই।’


ধর্ষণের মতো ঘটনা রুখতে আইন সংশোধন করা উচিত বলেও মনে করেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। অভিষেক বলেন, ‘দেশের আইন এমন আপনি কিছু করতে পারবেন না। ধর্ষকের কোনও জাত হয় না। তার পরিচয়টা এখানে বিচার্য নয়। এসব ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।’


ধর্ষণের মতো ঘটনা রুখতে আইন সংশোধনের প্রয়োজন। অর্ডিন্যান্স আনা উচিত বিজেপির। ৬ মাস পরে বিল আনা উচিত। যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। চাইলেই করা যায়। সব দলের তাতে সমর্থন করা উচিত। তৃণমূল ও কংগ্রেসেরও সমর্থন করা দরকার। সিপিএমের উচিত সেই বিলকে সমর্থন করা। সেটা না করে আমরা রাজনীতি করছি। কেন ৫-৬ বছর লাগবে ট্রায়াল হতে? একটা মায়ের কোল খালি হয়ে গেল, বাবা তাঁর মেয়ে হারালেন। বাবা-মায়েদের কাছে সন্তানের দাম কী তা তাঁরাই জানেন। এই ধরনের ঘটনা রোখার জন্য সবার দায়িত্ব রয়েছে। রাজনৈতিক দলের, সাংবাদিকদের, বিচারবিভাগের জনপ্রতিনিধিদেরও দায়িত্ব রয়েছে। সমষ্টিগতভাবে সবাইকে করতে হবে। সব কিছু নিয়ে রাজনীতি করা হবে কেন?’


আরজি করের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়ে দিয়েছেন যে সিবিআই তদন্তে তাঁর আপত্তি নেই। এই বিষয়ে অভিষেক বলেন,’ সিবিআই তদন্ত করলে কি মেয়েটা ফিরে আসবে? কেউ কি বলতে পারবে এসব ঘটনা আর ঘটবে না। যারা বিজেপি-সিপিএমের পতাকা নিয়ে ঘুরছে তারা কি বলতে পারবে। এটা উত্তরপ্রদেশ হলে মৃতদেহটাও পাওয়া যেত না। হাথরসে কী হয়েছিল মনে আছে। তাই আইন না পরিবর্তন করলে পরিবর্তন হবে না।’

Card image cap

মহিলা ডাক্তারদের নিরাপত্তায় জোর, আর জি কর হাসপাতালকে জমি দিচ্ছে সরকার

আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের যৌন নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনার পর নিরাপত্তায় আরও জোর দিল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে মহিলা ডাক্তারদের জন্য পৃথক শৌচালয়, পোশাক বদলের জন্য আলাদা ঘর তৈরির জন্য হাসপাতালকে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ঠিক হয়েছে, ৩ একর জমি বরাদ্দ করা হল। সেখানে নতুন বিল্ডিং তৈরি হবে। শনিবার এনিয়ে নবান্নে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে বৈঠক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো সেখানে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।

শনিবার রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম-সহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক। সেখানেই ঠিক হয়েছে, বেলগাছিয়া ট্রাম ডিপোর কাছে অর্থাৎ হাসপাতাল থেকে সামান্য দূরে ৩ একর সরকারি জমি আর জি করের জন্য দেওয়া হচ্ছে। সেখানে নতুন বিল্ডিং তৈরি হবে। একটি তলের নাম হবে নিহত তরুণী চিকিৎসকের নামে। তবে তাঁর নাম যেহেতু প্রকাশ্যে আনা যাবে না, তাই ঠিক কীভাবে নামকরণ হবে, তা ভাবনার বিষয়।অন্যদিকে, হাসপাতালের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে আর জি করে  প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দিনভর পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। শনিবার সেখানে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। তিনি আশ্বাস দেন, পড়ুয়া-চিকিৎসকরা পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা, অন ডিউটি রুমে যথাযথ শৌচাগারের ব্যবস্থা করা, অনিয়ন্ত্রিত প্রবেশ রুখে দেওয়া, হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দাবিগুলি অবিলম্বে পূরণ করা হবে। পূর্ত দপ্তরকে অবিলম্বে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যত সিসি ক্যামেরা দরকার, তা দ্রুত দিতে হবে বলে নির্দেশ তাঁর।

Card image cap

চারদিন ধরে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় তরুণী

৬ বছরের প্রেমের পর বিয়েতে না প্রেমিকের। চারদিন ধরে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় তরুণী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল হুগলির চণ্ডীতলা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা ওই তরুণী। প্রায় ৬ বছর ধরে হুগলির চণ্ডীতলার বাসিন্দা মেহবুব মল্লিকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক তাঁর। তরুণীর দাবি, তিনি বারবার প্রেমিককে বিয়ের কথা বললেও তিনি রাজি হননি। এদিকে প্রেমিকের বাড়িতে যাতায়াত ছিল তাঁর। এই পরিস্থিতিতে তরুণীর জন্য পাত্র খোঁজা শুরু করে পরিবার। বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। এর পরই সোজা প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হন তরুণী। দেখেন বাড়িতে নেই মেহবুব। এর পরই বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে ধরনায় বসে পড়েন তিনি। ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যান এলাকার বাসিন্দারা।
তরুণীর কথায়, “আমার বাড়িতে পাত্র এসেছে শুনেই আমাকে চলে আসতে বলেছিল। বলেছিল অন্য কাউকে বিয়ে করবে না। এখন আর বিয়ে করতে চাইছে না।” অভিযুক্ত মেহবুবের মায়ের দাবি তাঁর ছেলের সঙ্গে এই যুবতীর শুধুমাত্র ফোনে কথা হয়েছিল। এখন জোর করে বাড়িতে এসে বিয়ে করতে চাইছেন। ছেলের সঙ্গে ওই যুবতীর শারীরিক সম্পর্ক ছিল না বলেও দাবি করেছেন তিনি।

Card image cap

আর জি কর কাণ্ডে কড়া বার্তা অভিষেকের

আর জি কর কাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে ‘এনকাউন্টার’ দাওয়াই। তাঁর দাবি, সাতদিনের মধ্যে খুনি এবং ধর্ষকদের এনকাউন্টার করে মারা উচিত। ধর্ষণকাণ্ডে বিচারবিভাগে দীর্ঘসূত্রিতার বিরোধিতা করেছেন অভিষেক। তাঁর সাফ কথা, “এসমস্ত ঘটনা যারা ঘটায় তাদের সমাজে থাকার অধিকার নেই। আপনারা মনে করেন, যারা এই ঘটনা ঘটাল তার বেঁচে থাকার অধিকার আছে?”
শনিবার ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক ছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে আর জি কর কাণ্ড নিয়ে মুখ খোলেন। সাংসদের প্রশ্ন, “কোনও ঘটনা না ঘটলে আমাদের ঘুম ভাঙে না। এধরনের ঘটনায় ৭ দিনের মধ্যে যাতে ব্য়বস্থা নেওয়া যায়, সেই আইন আনা হয় না কেন? চাইলেই আনা যায়। যারা ক্ষমতায় আছে তারা এই বিল আনুক। আইনসভায় অধ্য়াদেশ আনুন। আইন সংশোধনী আনুন। যাতে সাতদিনে ধর্ষকদের বিচার করা যায়। তৃণমূল, কংগ্রেসের উচিত এই বিলকে সমর্থন করা। কেন ৫-৬ বছর ট্রায়াল চলবে?”

Card image cap

আরজিকরকাণ্ডে ধৃত যুবকের ৫টা বিয়ে, বলছেন প্রতিবেশী!

আরজিকরে ডাক্তার পড়ুয়া ছাত্রীর নৃশংস পরিণতিতে উত্তাল শহর, গর্জে উঠেছে গোটা রাজ্য। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে তীব্র প্রতিবাদ। এই আবহে একজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসআইটি (SIT)। অভিযোগ উঠছে, চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিলেন ধৃত। কিন্তু ধৃতের পরিবার কী বলছে?



একেবারে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার।


ধৃতের মা বলেন, “আমার ছেলে পুলিশের কাজ করত। সকলেই জানে। পুলিশের কি আর কোনও মর্যাদা আছে? পুলিশকে জুতো মেরে দেয়। লাগাতার সকলে পুলিশকে অপমান করে যায়।”


ধৃতের মা বলেন, বেশ কয়েক মাস আগে ছেলে বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন না তাঁর ছেলে এমনটা করতে পারে। গলা সপ্তমে, মা বলে চলেন, “আমাকে এটা জানতে হবে। এত বড় একটা ঘটনা। আমি একা, কেউ আমার সঙ্গে নেই। আমার ছেলেও একা।”


ধৃতের মা জানান, এক সময় বাড়িতে চার মেয়ে, এক ছেলে, স্বামী এবং তিনি থাকতেন। ছেলের বিয়েও হয়েছিল। তবে বৌমা ক্যান্সারের রোগী ছিলেন বলে দাবি ধৃতের মায়ের। মারাও যান। তিনি বলেন, “একটা বিধবা মায়ের জীবন চলে যাচ্ছে। ছেলেটাকে নিয়ে এসব চলছে। ছেলেটা তো এতদিন বাড়িতেও আসেনি। মেয়েরা খরচ চালায় আমার।”


এ তো গেল মায়ের কথা। কিন্তু প্রতিবেশীরা বলছেন, ২ বছর বাড়িতে দেখা যায়নি ধৃতকে। বলছেন, “ছেলে একেবারেই ভাল নয়। তবে যা করত বাইরে করত। পাঁচটা বিয়ে করেছে। কেউ ছেড়ে চলে যাচ্ছে, কাউকে নিয়ে এসেছেন। এটাই গল্প।”


আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুনTv9 বাংলা অ্যাপ(Android/ iOs)

Card image cap

আরজি কর-কাণ্ডে ফাঁসির শাস্তি চান মমতা!

আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় দোষীর ফাঁসির শাস্তি চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবিপি আনন্দকে টেলিফোনে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এই ঘটনায় ফাস্টট্র্যাক আদালতে ফাঁসির আবেদন জানানো উচিত। রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা না থাকলে অন্য কোনও এজেন্সির দ্বারস্থও হতে পারেন আন্দোলনকারীরা।


কারণ, সরকার উপযুক্ত তদন্ত চায়।


আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ''আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকের মৃত্যু ন্যক্কারজনক এবং অমানবিক। আমার মনে হচ্ছে, যেন নিজের পরিবারের কাউকে হারিয়ে ফেলেছি। এই ঘটনাকে কখনওই সমর্থন করা যায় না। জুনিয়র চিকিৎসকেরা যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তা সঙ্গত বলেই আমি মনে করি। আমি ওদের দাবির সঙ্গে একমত।''


মমতা বলেন, ''আমি কাল ঝাড়গ্রামে ছিলাম। রাস্তা থেকে খবর নিচ্ছিলাম। মেয়েটির বাবা এবং মায়ের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। আমি আমার প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, দোষীদের চিহ্নিত করে তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ফাস্টট্র্যাক আদালতে এই মামলা তুলতে এবং প্রয়োজনে ফাঁসির আবেদন জানাতে। কিন্তু, এই অপরাধের কোনও ক্ষমা নেই।''


অপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে মমতা আরও বলেন, ''আমি ব্যক্তিগত ভাবে ফাঁসির বিরোধী। কিন্তু কিছু কিছু ঘটনায় এই ধরনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজন আছে। যাতে আর কেউ ভবিষ্যতে এর সাহস না পায়।''


এই মামলায় রাজ্য় সরকারের পুলিশের প্রতি আস্থা না থাকলে আন্দোলনকারীরা যে কোনও এজেন্সির কাছে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন মমতা। কারণ, সরকারের লক্ষ্য উপযুক্ত তদন্ত। এই ঘটনায় সরকারের কিছু লুকনোর নেই।


মমতা বলেন, ''যাঁকে ধরা হয়েছে, তাঁর ওখানে যাতায়াত ছিল। যাঁরা হাসপাতালের ভিতরে যাতায়াত করেন, তাঁদের মধ্যেই কেউ এই কাজ করে থাকবেন। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পাশে আমি আগেও ছিলাম, এখনও থাকব। ওঁদের সঙ্গে আমি একমত।''


উল্লেখ্য, শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে। শনিবার সকাল থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকেরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। মিছিল থেকে স্লোগান উঠছে, 'বিচার চাই!' এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভের পক্ষেই কথা বললেন মমতা। সঙ্গে ফাঁসি চাইলেন অভিযুক্তের।

Card image cap

নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবারকে ফোন মমতার

বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঝাড়গ্রামে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা মুখ্যমন্ত্রীর। পানিহাটি পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সোমনাথ দে সেকথা জানান।

বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরন তরুণী। শেষবার রাতে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিকিৎসক তরুণীর। কান্নাভেজা গলায় তরুণী চিকিৎসকের মা বলেন, “ও বলল খাবার অর্ডার দিয়েছে। আমাদের খেয়ে নিতে বলল। তার পর আর কোনও কথা হয়নি। আমার মেয়েটাকে ওরা খুন করেছে। ওর মতো ভালো মেয়ে হয় না। অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে ছিল দেহটা। গায়ে কাপড় ছিল না। চশমাটাও ভেঙে গিয়েছে। মুখে আঘাতের দাগ। রাতে ও একাই ছিল সেমিনার হলে। লোকের সেবা করতে এসে ও নিজেই খুন হয়ে গেল।” তরুণীর বাবা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দোষীদের যোগ্য শাস্তি দেওয়া হবে বলেই সদ্য সন্তানহারা বাবাকে আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার সকালে সেমিনার হল থেকে জুনিয়র ডাক্তারের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল। ধর্ষণ করে খুন নাকি অন্য কিছু, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু কীভাবে হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তের স্বার্থে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে আর জি কর কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে রয়েছেন ডা. বুলবুল মুখোপাধ্যায় (ডিন অফ স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার), ডা. পার্থ দাশগুপ্ত (রেডিওথেরাপির বিভাগীয় প্রধান), ডা. রামতনু বন্দ্যোপাধ্যায় (মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান), ডা. অনুভা সাহা (অ্যানাটমির বিভাগীয় প্রধান), ডা. পায়েল তালুকদার (মনোরোগ বিভাগের প্রধান)। এছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন পিজিটির তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ডা. অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য এবং ডা. রমা বেরা এবং ডা. দেবকুমার মণ্ডল। পিজিটির দ্বিতীয় বর্ষের ডা. রণিত চক্রবর্তী। এছাড়াও দুই ইন্টার্ন ডা. নির্জন বাগচি এবং ডা. শরিফ হাসান। তাঁরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

Card image cap

আর জি করের চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ প্রতিবেশীরা

বরাবরের মেধাবী। লক্ষ্য ছিল চিকিৎসক হওয়ার। পাড়ার ছোট্ট মেয়েটি লক্ষ্যপূরণ করতেও পেরেছিলেন। কিন্তু অকালেই ছন্দপতন। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ট্রেনি চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তাঁর পরিবার। হতাশ প্রতিবেশীরাও। চোখের জল বাঁধ মানছে না তাঁদের।ওই ট্রেনি চিকিৎসক উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের নাটাগড়ের বাসিন্দা। মৃত চিকিৎসকের বাবা শেখর দেবনাথ পেশায় বস্ত্র ব্যবসায়ী। মা গৃহবধূ। দম্পতির একমাত্র সন্তান তিনি। আদিবাড়ি সোদপুরের মহেন্দ্র নগরে। পরবর্তীতে তাঁরা নাটাগড় কদমতলায় বসবাস শুরু করেন। সোদপুর চন্দ্রচূড় বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। পরবর্তীতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পড়াশোনা শুরু করেন। দ্বিতীয় বর্ষের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বরাবর শান্ত ও মিশুকে স্বভাবের ছিলেন বছর ঊনত্রিশের ওই চিকিৎসক। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হলে শুক্রবার তাঁর ক্ষতবিক্ষত অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়।প্রতিদিন বাড়ি থেকে হাসপাতালে যাতায়াত করতেন। সম্প্রতি চারচাকা গাড়িও কিনেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে আর জি কর হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে গাড়ি নিয়েই গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা নাগাদ তাঁর বাড়িতে দুঃসংবাদ পৌঁছয়। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে যান। মেয়ের মর্মান্তিক পরিণতির কথা জানতে পারেন। সোদপুর নাটাগড় এলাকাটি পানিহাটি পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সোমনাথ দে পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলরও। তাঁর সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ দেবনাথ পরিবার।সোমনাথবাবুও মৌমিতার মৃত্যুর খবর পেয়ে বিধায়ক নির্মল ঘোষের সঙ্গে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান। তিনি জানান, “শেখর দেবনাথকে হাসপাতাল থেকে ফোন করে বলা হয়েছিল মেয়ে খুবই অসুস্থ। এই খবর পেয়ে আমরা গিয়ে দেখি অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। গলায় আঘাতের চিহ্ন। মুখে রক্তের দাগ। হাত-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতচিহ্ন। এই মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” মৃতের পরিবারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ফোনে কথা বলে আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

পাড়ার মেয়ের এভাবে মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছেন না বাসিন্দারা। তাই শুক্রবার সকালে চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই একে একে এলাকার অনেকেই যেতে শুরু করেছেন আর জি কর হাসপাতালে। শোকস্তব্ধ মৃতার প্রতিবেশী কৃষ্ণা দে। বলেন,”প্রথমে শুনেছিলাম আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু ও আত্মহত্যা করার মেয়ে না। পাড়ার এত ভালো একজন মেয়ে আর নেই, এটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।” আরেক প্রতিবেশী প্রিয়াঙ্কা চক্রবর্তী বলেন, “খুবই ভালো মেয়ে, শান্ত স্বভাবের। ছোটবেলা থেকে ওকে চিনি। পড়াশোনাতেও খুবই ভালো। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকত। গোটা ঘটনা মানতে পারছি না।”

Card image cap

সপ্তাহান্তে বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে

নিম্নচাপ কাটতেই ফের গরমে পুড়ছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। সেই গুমোটভাব কাটাতে সুখবর দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সপ্তাহান্তে বৃষ্টি বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গে। আগামী ৪৮ ঘন্টা উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং-সহ পাঁচ জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে। কাল, শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে।

হাওয়া অফিস বলছে, সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা বাংলা থেকে সরে গিয়েছে ওড়িশায়। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তটি সরে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের উপর। আপাতত এটি অবস্থান করছে ঝাড়খণ্ড, সংলগ্ন উত্তর ওড়িশা ও ছত্রিশগড় এলাকায়। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটি দক্ষিণ দিকে ঝুঁকে থাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
শুক্রবার বৃষ্টির সম্ভাবনা কম থাকলেও বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে। শনিবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের ছয় জেলায়। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে। রবিবার বৃষ্টি বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। শনিবার ও রবিবার কলকাতায় বৃষ্টি বাড়তে পারে।
উত্তরবঙ্গ, আজ শুক্রবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে। বাকি তিন জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি। শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায়। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এই তিন জেলাতেই বাড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস।

Card image cap

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রয়াত, বাম জমানার শেষ সেনাপতির

শ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জীবনাবসান। বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব। বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধদেবের মৃত্যুর খবর জানান তাঁর সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, সকালেও বুদ্ধদেব প্রাতঃরাশ করেছিলেন।



তার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকাল ৮টা ২০ মিনিটে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই তিনি প্রয়াত হন। খবর পেয়ে সুচেতন সেখানে পৌঁছেছেন। 


সূত্রের খবর, বুধবার রাতে বুদ্ধদেবের শ্বাসকষ্ট বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেটা রাতে সামাল দেওয়া হয়েছিল। তখনই ঠিক করা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ উডল্যান্ডসের চিকিৎসকেরা এসে তাঁকে পরীক্ষা করবেন। প্রয়োজনে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে। কারণ, হাসপাতালে যাওয়ার বিষয়টিতে তাঁর ঘোর অনীহা ছিল। তাই চিকিসকদের পরামর্শের কথা ভাবা হয়েছিল। সেই মতোই বিষয়টি এগোচ্ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন বুদ্ধদেব। সকালে উঠে প্রাতঃরাশের পর চা-ও খেয়েছিলেন। তার পরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে নেবুলাইজ়ার দেওয়ার চেষ্টা হয়। সূত্রের খবর, সেই সময়েই তিনি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন। চিকিৎসকদের খবর দেওয়া হয় দ্রুত। তাঁরা এসে বুদ্ধদেবকে প্রয়াত ঘোষণা করেন। 


বুদ্ধদেব মুখ্যমন্ত্রিত্বে তাঁর পূর্বসূরি জ্যোতি বসুর মতোই মরণোত্তর দেহদান করে গিয়েছেন। সেই প্রক্রিয়া কোথায় এবং কী ভাবে সম্পন্ন হবে, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। বুদ্ধদেবকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি নিয়েও তাঁরা আলোচনায় বসবেন। বুদ্ধদেব পলিটব্যুরোর সদস্য ছিলেন। ফলে দিল্লির নেতাদেরও তাঁর শেষযাত্রায় একটা ভূমিকা থাকবে। আপাতত পাম অ্যাভিনিউয়ের দু'কামরার ফ্ল্যাটেই তাঁর মরদেহ রাখা হচ্ছে। 


গত বছরের ৯ অগস্ট হাসপাতাল থেকে বিপন্মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন বুদ্ধদেব। ২৯ জুলাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। বেশ কয়েক দিন তাঁকে ভেন্টিলেশন (ইনভেনসিভ) সাপোর্টে রাখেন চিকিৎসকেরা। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে মারাত্মক রকমের সংক্রমণ ধরা পড়ে। হাসপাতালে প্রথম কয়েক দিন মূলত আচ্ছন্ন অবস্থাতেই ছিলেন বুদ্ধদেব। তবে ক্রমশ তিনি চিকিৎসায় সাড়া দেন। ১২ দিনের মাথায় ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। বাড়িতে ফিরিয়েও অবশ্য কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রাখা হয়েছিল তাঁকে। 


দীর্ঘ দিন ধরেই গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা (সিওপিডি)-তে ভুগছিলেন বুদ্ধদেব। অসুস্থতার কারণে শেষ কয়েক বছর কার্যত গৃহবন্দিই ছিলেন। আগেও একাধিক বার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তাঁকে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বুদ্ধদেব। সেই সময়েও কয়েক দিন ভেন্টিলেশনে রাখতে হয় তাঁকে। সেখান থেকে বিপন্মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন।


২০২১-এর মে মাসের মাঝামাঝি কোভিডে আক্রান্ত হন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১৮ মে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। একই সময় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও।একই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়মীরাকে। দু'জনেই কোভিড নেগেটিভ হয়ে ফেরেন কিছু দিনের মধ্যে।


২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি বুদ্ধদেব সংবাদের শিরোনামে আসেন পদ্মভূষণ প্রত্যাখ্যান করে। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর নাম মনোনীত করলেও, তিনি এই সম্মান নিতে অস্বীকার করেন।


বুদ্ধদেবের ১১ বছরের শাসনকালের শেষ পাঁচ বছর বাংলার রাজনীতিতে নানা দিক থেকেই এক সরগরম পর্ব। এই রাজনৈতিক উত্তাপের গোটাটাই ছিল তাঁর শিল্পায়ন-নীতিকে ঘিরে।যে শিল্পায়নকে বুদ্ধদেব বাজি ধরেছিলেন, সেই শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের পদ্ধতিই বুদ্ধদেবের পায়ের তলার জমি সরিয়ে দিয়েছিল। ২০০৬ সালে ২৩৫ আসনে জিতে ক্ষমতায় ফেরা মুখ্যমন্ত্রীকে পাঁচ বছর পরই শোচনীয় পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে অবসান হয় সাড়ে ৩৪ বছরের একটানা বাম শাসনের।

Card image cap

ভোরে উল্টোডাঙার গুদামে আগুন, দমকলের ৮টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এলো

মঙ্গলবার ভোরে কলকাতায় আগুন-আতঙ্ক। উল্টোডাঙায় ইস্ট ক্যানেল সার্কুলার রোডের ধারে একটি প্লাইউডের গুদামে আগুন লাগে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোর ৫টা ২০মিনিট নাগাদ আগুন লাগে ওই গুদামে। মুহূর্তে তা ভয়াবহ রূপ নিতে শুরু করে। 


প্রথমে এলাকাবাসীরাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলকর্মীরা।

দমকলের আটটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় সকাল ৮টার কিছু আগে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই। 

আগুন লাগার কারণ এখনই স্পষ্ট নয়। দমকলের তরফে এখনই এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি এড়ানো গেলেও ভোরের আগুনে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। ওই গুদাম সংলগ্ন কিছু বসত অঞ্চলও রয়েছে। সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়লে বড়সড় অঘটন ঘটতে পারত। কাঠের গুদামে আগুন লাগার খবর ছড়াতেই তড়িঘড়ি নিরাপদ দূরত্বে সরে যান সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।

Card image cap

টোটো নিয়ে এবার বড় নির্দেশ দিলেন মমতা!

রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গে মঙ্গলবার বিশেষ বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকাও। দীর্ঘ ৪৫ মিনিট নবান্নে এই বৈঠক হয় বলে সূত্রের খবর।


বৈঠকে রাজ্যের পরিবহন পরিষেবা সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


পরিবহন মন্ত্রীকে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এদিন টোটো নিয়ে পরিবহনমন্ত্রীকে বিশেষ নির্দেশ দেন মমতা। সূত্রের খবর, তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, আইনি বৈধতার অধীনে আনতে হবে টোটোকে। তার জন্য নির্দিষ্ট গাইডলাইন বা নীতি তৈরি করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পরিবহন মন্ত্রীকে।


অন্যদিকে, আলাদা করে আর কোনও নিগম নয়। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন নিগমের সঙ্গেই এসবিএসটিসি, এনবিএসটিসি-তে মিশিয়ে দিতে হবে। মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকার উপস্থিতিতে পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এমনই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, রাস্তায় বাস কমছে কিন্তু তেলের খরচ কেন বাড়ছে? আজ, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ৪৫ মিনিট পরিবহন মন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে এই নির্দেশ দেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর।


গত ১ অগাস্ট অটো টোটো, ই-রিকশা, ম্যাজিক ট্রেকার বেআইনি হলেই বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বেআইনি যান ধরার জন্য আচমকা পরিদর্শনের নিদানও দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিশেষ দল তৈরির কথাও বলা হয়েছে। নদিয়া জেলার একটি টোটো রুট সংক্রান্ত রায় দিতে গিয়ে একথা জানিয়েছে আদালত। এছাড়াও, সম্প্রতি হাওড়ায় টোটোর দৌরাত্ম্য নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এবং নগরপালকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত।

Card image cap

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কাদের পুড়লো কপাল?

এবারেও হল না। ফের পিছিয়ে গেল SSC ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। গত ১৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠলে সেই শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল ২১ দিনের জন্য। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ ছিল, এই মামলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


৩ সপ্তাহ পর গতকাল মঙ্গলবার ৬ অগস্ট ফের এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে তা হল না। ফের একবার পিছোলো ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। সময়ের অভাবে এদিন শুনাই পিছিয়ে যায়।


২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলায় বিরাট আপডেট 


এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চেই এসএসসি মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি চলছিল। তবে ওই বেঞ্চ অন্য মামলায় ব্যস্ত থাকায় এদিন ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হয়নি। আগামী ১৩ অগস্ট এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শীর্ষ আদালতে।



গত এপ্রিল মাসে নিয়োগ দুর্নীতির দায়ে এসএসসি  ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। যার জেরে এক ধাক্কায় চাকরি যায় প্রায় ২৬০০০ জনের। হাইকোর্টের রায়ের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই তার বিরোধীতা করে সুপ্রিম কোর্টে  যায় রাজ্য সরকার, এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এদিন সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল শীর্ষ আদালতে।


আদালত সূত্রে আরও খবর, মামলা সংক্রান্ত বেশ কিছু নতুন আবেদন জমা পড়েছে। সেই কারণেও শুনানি পেছনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন মামলাকারীদের বক্তব্য ৪ সদস্যের কমিটিকে সোমবারের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।