CATEGORY state:

Card image cap

তৃণমূলের হেভিওয়েট সাংসদকে ফোন অমিত শাহর

তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের আগেই জল্পনা ছড়িয়েছিল বিজেপি ছেড়ে জোড়াফুল শিবিরে যোগদান করছেন এক হেভিওয়েট সাংসদ। কিন্তু তা হয়নি। এরই মধ্যে অবশ্য ফুলবদল চলেছে পঞ্চায়েত স্তরে। কিন্তু এবার কি উলটপুরাণ? বিজেপিই কি তৃণমূল ভাঙছে? কারণ খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ  ফোন করেছেন বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীকে।


আর এই ফোন নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কি অরূপ ফুল বদলাচ্ছেন? যদিও সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন খোদ অরূপ চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সকালে ফোন করেছেন। ফোনালাপের মাঝেই শাহের কাছে আবাসের বকেয়া টাকা চান অরূপ চক্রবর্তী।


অরূপ চক্রবর্তী 'আনন্দবাজার পত্রিকা'কে বলেন, 'তখন সকাল ৮টা বাজে। আমি তখনও ঘুম থেকে উঠিনি। দেখি দিল্লি থেকে ফোন এসেছে। ফোনের ওপার থেকে বলা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলবেন। আমি ফোন ধরতেই আমাকে জন্মদিনের অভিনন্দন জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রত্যুত্তরে আমি তাঁকে নমস্কার জানিয়ে বলেছি, আমার মন ভাল নেই। লাগাতার বৃষ্টিতে বাঁকুড়ার বহু বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। দ্রুত আবাস প্রকল্পের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিন। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হেসে শুধু বলেছেন, দেখা যাবে।'


এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারকে হারিয়ে বাঁকুড়া আসন তৃণমূলকে উপহার দিয়েছেন অরূপ চক্রবর্তী। লোকসভা ভোটের সময় দলীয় প্রার্থী সুভাষ সরকারের হয়ে প্রচারে বাঁকুড়ায় এসেছিলেন অমিত শাহ। বাঁকুড়ায় রোড শো-ও করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু সুভাষ হেরে যান অরূপ চক্রবর্তীর কাছে।

Card image cap

হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ নিয়ে বার্তা মমতার

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সাবধানবাণী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যের মন্ত্রীদের তাঁর সতর্কবার্তা,'বাংলাদেশ নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করবেন না। ফেসবুক বা অন্যান্য নেট মাধ্যমে কোনও পোস্ট করবেন না'। সুত্রের খবর, রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, বাংলাদেশ নিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না।


যা বলার ভারত সরকার বলবে'।


উস্কানিমূলক মন্তব্য না করার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের তিনি বলেন,'এমন কোনও পোস্ট করবেন না যাতে এই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট নয়। এমন কোনও মন্তব্য করবেন না যাতে হিংসা বা প্ররোচনা তৈরি হতে পারে। বাংলাদেশের এই ঘটনায় আমরা সকলে উদ্বিগ্ন। এমন কিছু লিখবেন না যাতে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। বিজেপি নেতারা এমন কিছু পোস্ট করতে পারেন, যা প্ররোচনা দিতে পারে'। বাংলাদেশ নিয়ে ভারত সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা।


এদিকে, বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে। সে দেশে গঠিত হতে চলেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানিয়ে দেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। জামানের বার্তা,'রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হবে। সব হত্যার বিচার হবে। সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখুন। দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখুন। আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখুন। দয়া করে সাহায্য করুন। মারামারি সংঘাত করে আর কিছু পাব না। সংঘাত থেকে বিরত থাকুন'।

Card image cap

নার্সিং পরীক্ষায় ছাত্রীদের কি কান্ড!

পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতর নার্সিং প্রবেশিকা পরীক্ষার্থীদের যোনি থেকে উদ্ধার হল মোবাইল ফোন। রবিবার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় বীরভূমের সিউড়ির বেণীমাধব ইন্সটিটিউশনে। মোবাইল ফোনের সন্ধান মেলে জুতোর সোল থেকেও। অভিযুক্ত ছাত্রীদের পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করেছেন পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা।


রবিবার ANM ও GNM নার্সিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা ছিল। সিউড়ির বেণীমাধব স্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন মালদার কিছু ছাত্রী। পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে স্পষ্ট নির্দেশিকা ছিল মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকা যাবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় প্রতিটি পরীক্ষার্থীর শরীর পরীক্ষা করে দেখেন মহিলা নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু পরীক্ষা শুরু হতেই হলের ভিতরে কয়েকজনের হাব ভাব দেখে সন্দেহ হয় গার্ড দেওয়ার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের। এর পর সেই পরীক্ষার্থীদের অন্য একটি হলে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করা হয়।


মেটাল ডিটেকটর দিয়ে দেহ তল্লাশি করতেই শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে বেরোতে শুরু করে মোবাইল ফোন। দেখা যায় কেউ জুতোর সোল কেটে তার মধ্যে মোবাইল ফোন ভরে এনেছিলেন। কারও আবার মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে যোনির ভিতর থেকে।


এই ঘটনায় পরীক্ষাকেন্দ্রে চাঞ্চল্য ছড়ায়। যোনির ভিতরে সোনা বা মূল্যবান রত্ন পাচারের ঘটনা নতুন নয়। তাই বলে যোনির ভিতরে মোবাইল ফোন!


পরীক্ষাকেন্দ্রের নিয়ামকের তরফে জানানো হয়েছে, যাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে কাউন্সিলের কাছে প্রমাণ সহ তাদের পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। শুধুমাত্র মালদা থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকেই মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Card image cap

মন্ত্রী অখিলের আচরণ কেমন? এবার মুখ খুললেন খোদ তাঁর ছেলেই

বন দফতরের মহিলা আধিকারিকের উদ্দেশে কারামন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্য ঘিরে এখন শোরগোল তুঙ্গে। অখিলের পাশে নেই দলও। এবার তাঁর সাথ ছাড়লেন ছেলেও। 'বাবা হলেও কোনও সাফাই নয়'. অখিলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনও সাফাই-ই দিলেন না সুপ্রকাশ গিরি।


তিনি বললেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে এই মন্তব্য সমর্থন করি না।


ওঁ দায়িত্বশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। কোনও মন্তব্য করার আরও ভেবে নেওয়া দরকার। ওঁ এরকম ভাষায় কথা না বললেও পারতেন, ওঁ আমার বাবা হতে পারেন। কিন্তু আমি কোনও সাফাই দিচ্ছি না।”


সুপ্রকাশ গিরির বক্তব্য, “হিট অফ দ্য মোমেন্ট অনেক সময় আমরা এরকম ভাষা ব্যবহার করে ফেলি। কিন্তু এটাও তো দেখতে হবে কেন এরকম উত্তেজনা তৈরি হল? নিশ্চিতভাবে মন্ত্রীর বক্তব্য কেই দেখানো হবে এটাই স্বাভাবিক।” কিন্তু তাঁর কথায়, ” ওঁ তো হঠাৎ এরকম মন্তব্য করেননি রেঞ্জ অফিসারকে, কী ঘটনা হয়েছিল সেটাও জানা দরকার।”


প্রসঙ্গত, শনিবার তাজপুরে ‘অবৈধ দখলদার’ উচ্ছেদ করতে গিয়ে হুলুস্থুলকাণ্ড ঘটে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। তিনি গিয়ে বন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বাগ বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তখনই এক মহিলা অফিসারের উদ্দেশে অখিলকে বলতে শোনা যায়, ''আপনার আয়ু ৭-৮ দিন, ১০ দিন!'' তাঁকে জানোয়ার, বেয়াদব বলতেও শোনা যায় তাঁকে। তা নিয়ে চরম বিতর্ক ছড়ায়।


বাবার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ছেলে সুপ্রকাশ বলেন, “গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে, ওই রেঞ্জ অফিসারের সিদ্ধান্তে। কিন্তু মন্ত্রী যদি ওই প্রতিক্রিয়া না দিতেন তাহলে গ্রামবাসীরা যে পর্যায়ে উত্তেজিত হয়েছিল, তাতে হিতে বিপরীত হতে পারত। গ্রামবাসীদের উত্তেজনাকে প্রশমন করার জন্য এই আচরণ করেছেন।” তবে তিনি এও বলেছেন, “ওঁ ওভাবে আচরণ না করতেও পারতেন।” সুপ্রকাশের আরও বক্তব্য, “এই রেঞ্জ অফিসারকে এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী ভর্ৎসনা করেছেন জেলার মিটিংয়ে। ওঁর ব্যবহার ঠিক নয়।”


উল্লেখ্য, অখিল গিরির আচরণের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানাতে চলেছেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। ইতিমধ্যেই সেকথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন বনমন্ত্রী।

Card image cap

আনন্দপুরের পানশালায় ভাঙচুরে গ্রেপ্তার আরও ২

আনন্দপুরে পানশালায় ভাঙচুরে ধৃত আরও ২। শনিবার রাতে আনন্দপুর থানা চত্বর থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনিয়ে পানশালা ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পুরনো শত্রুতার জেরে হামলা করা 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুজন হলেন সৌগত সেনগুপ্ত এবং সুশান্ত ঘোষ ওরফে লম্বু। রাত ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ পোড়া বসতি এলাকায় হানা দেয় আনন্দপুর থানার পুলিশ। সেখান থেকে সৌগতকে গ্রেপ্তার করে। তার আগেই অবশ্য খাল পাড়ে অভিযান চালিয়ে সুশান্তকে গ্রেপ্তার করেছিল তারা। দুজকেই রবিবার আদালতে তোলা হবে। দুজনেই ভাঙচুরের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে খবর। ইতিপূর্বে আনন্দপুরে পোড়াবস্তির বাসিন্দা দীপঙ্কর দাস (৩৬) এবং মহিন্দ্রপ্রসাদ গুপ্ত (৩৫) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বিশ্বজিৎ মণ্ডল নামে একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। 

আনন্দপুরের পানশালায় একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। পানশালার বাইরে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ম্যানেজার-সহ কর্মীদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ভেঙে দেওয়া হয় পানশালার সিসিটিভি ক‌্যামেরাও। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, রাতভর পানশালার বাইরে বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।

কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, পানশালা বন্ধের সময় হয়ে এসেছিল। অভিযুক্ত যুবকরা পানশালা খোলা রাখতে জোর দেয়। কর্মীরা আপত্তি করলে তাঁদের উপর হামলা করে এবং ভাঙচুর চালায়। যদিও সূত্রে খবর, এই পানশালায় নিয়মিত আসত যুবকরা। কিছুদিন আগে বাউন্সারকে মারধর করা হয়েছিল। সেই ঘটনার জেরে হামলা বলে অনুমান। ধৃতদের জেরা করে পানশালায় হামলার কারণ জানার চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্তকারীরা। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান পুরনো শত্রুতার জেরে হামলা করা হয়েছে।



Card image cap

সৌরভের 'কথায়' ফ্ল্যাট কিনে প্রতারিত! মহেশতলা থানায় অভিযোেগ দায়ের

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় 'প্রচার' করছেন দেখে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই ফ্ল্যাট কিনে আজ তাঁরা 'প্রতারিত'! প্রতিশ্রুতি মতো ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা তো মিলছেই না, উল্টে চুক্তি-বহির্ভূত ভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে মালিক পক্ষের তরফে। এমনই অভিযোগ তুলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানার দ্বারস্থ হলেন আবাসিকেরা।


আবাসন প্রকল্পের মুখ্য প্রচারক হিসাবে সৌরভের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ও আবাসনে নিরাপত্তাজনিত সমস্যার সমাধান চেয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। 


আবাসিকদের অভিযোপত্রটি হাতে আসার পরেই সৌরভের সঙ্গে যোগাযোগ করে আনন্দবাজার অনলাইন। সৌরভ বলেন, ''আমি ওই প্রোজেক্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলাম মাত্র। এর সঙ্গে আমার আর কোনও যোগ নেই। আমি এ বিষয়ে কিছু জানিও না। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসাবে আমার যে টাকা পাওয়ার কথা ছিল, আমি নিজেই সেই টাকা এখনও পাইনি।'' 



পুলিশের কাছে জমা পড়া অভিযোগপত্রে সব মিলিয়ে ১২৭ জনের সই রয়েছে। অভিযোগকারীরা জানান, তাঁরা মহেশতলা থানার অন্তর্গত ১ নম্বর বাটানগর রোডের আবাসনের বাসিন্দা। গোটা আবাসন প্রকল্পে কমবেশি পাঁচ হাজার ফ্ল্যাট রয়েছে। ২০১৩ সালের প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। অভিযোগকারী আবাসিকদের দাবি, এর পর ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সৌরভ, তৃণমূলের অভিনেতা-সাংসদ দেব এবং আবাসন প্রকল্পের মালিক নিজে। সেই অনুষ্ঠানেই আবাসন প্রকল্পের সঙ্গেই ফিল্ম সিটি, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্রিকেট অ্যাকাডেমি ও হাসপাতাল উদ্বোধনের ঘোষণা করা হয়। সৌরভকেও নিয়োগ করা হয় প্রকল্পের 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর' হিসাবে। এর পর থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে, খবরের কাগজে প্রচার। শহর ছয়লাপ হয়েছে আবাসন প্রকল্পের পোস্টার, ফ্লেক্সে। অভিযোগকারীদের দাবি, সৌরভের কথায় 'ভরসা' পেয়ে, সৌরভের প্রতি আস্থা থেকেই তাঁরা ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। কিন্তু আবাসিক যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার একটিও পূরণ হয়নি! শুধু তা-ই নয়, আবাসন প্রকল্পের প্রথম দফার যে কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল ২০১৭ সালের মধ্যে, তা এখনও অসম্পূর্ণ বলেই দাবি আবাসিকদের।


অভিযোগকারীদের দাবি, চুক্তি মতো আবাসিকদের যে সব ন্যূনতম সুযোগসুবিধা, স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা পাওয়ার কথা ছিল, তা-ও মিলছে না। আবাসনে জলের সমস্যা রয়েছে। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা সেই ভাবে নেই। আবাসনে সিসি ক্যামেরার সংখ্যাও কম। আর যেগুলি লাগানো রয়েছে, সেগুলির অধিকাংশই আবার খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। এমনকি প্রায়ই বিকল হয়ে যায় আবাসনের লিফ্‌টও। বেশ কয়েক বার আবাসিকেরা লিফ্‌টে আটকেও পড়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। আবাসনে উপযুক্ত নিরাপত্তা-নজরদারি না থাকায় মধুচক্রের মতো বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্ম চলছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন আবাসিকেরা। 


টাকাপয়সা নিয়েও মালিক পক্ষের সঙ্গে বিবাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। অভিযোগকারীদের দাবি, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ফ্ল্যাট হস্তান্তরে দেরি হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ছিল মালিকপক্ষের। ২০১৭ সালে যাঁদের ফ্ল্যাট পাওয়ার কথা ছিল, সব টাকা মেটানোর পরেও তাঁদের অনেকেই এখনও ফ্ল্যাট হাতে পাননি। বাকিরা দেরিতে পেয়েছেন। চুক্তি মতো তাঁরা কেউই ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। উল্টে, চুক্তি-বহির্ভূত ভাবে ফ্ল্যাটমালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা চাওয়া হচ্ছে চাপ দিয়ে। আবার চুক্তি মতো ৮০ শতাংশ টাকা ক্রেতার থেকে নেওয়ার পরেও চুক্তি বাতিল করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে। 


অভিযোগকারী আবাসিকদের দাবি, যা পরিস্থিতি, তাতে এই আবাসন আর মোটেই বসবাসের উপযুক্ত নয়। ২০১৫ সালে যাঁরা ফ্ল্যাট কিনেছিলেন, তাঁদের অনেকেই কম দামে ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, এর দায় যদি মালিক পক্ষের হয়, তা হলে 'প্রচারক' হিসাবে সৌরভও এর দায় এড়াতে পারেন না। কারণ, তাঁর প্রতিশ্রুতিতেই অধিকাংশ লোক ফ্ল্যাট কিনতে আগ্রহী হয়েছিলেন। তাঁদের প্রতারিত করা হয়েছে বলে দাবি করেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন ফ্ল্যাটমালিকেরা। 


অভিযোগপত্রে যাঁরা স্বাক্ষর করেছেন, তাঁদেরই এক জন কাজি মাসুম আখতার আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ''সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, এটা বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান। তাঁর কথা শুনে আমরা ফ্ল্যাট কিনেছি। আজ যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে এর দায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপরেও বর্তায়। আমরা এর প্রতিকার চাই।''

Card image cap

বাস অতীত, এবার অটো-টোটো নিয়ে বিরাট নির্দেশ!

অটো, টোটোয় ছেয়ে গিয়েছে রাস্তা। প্রায়ই সাধারণ মানুষের মুখে এই অভিযোগ শোনা যায়। সেই সঙ্গেই যানজট এবং দুর্ঘটনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই নিয়ে রাজ্য পরিবহণ দফতর আগেই কড়াকড়ির পথে হেঁটেছিল। এবার বিরাট নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।


অটো, টোটো নিয়ে কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট ?


পরিবহণ দফতরের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়কের ওপর টোটো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি কয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই টোটো নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবহণ দফতরকে গাইডলাইন বেঁধে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল উচ্চ আদালত। এবার অবৈধ অটো, টোটো, ম্যাজিক ট্রেকার এবং ই-রিকশা নিয়ে কড়াকড়ি পথে হাঁটল হাইকোর্ট।


বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা উঠেছিল। মামলার বয়ান অনুসারে, ঘটনাটি নদিয়ার রানাঘাটে। অভিযোগ, সেখানকার এসবিআই মোড় থেকে পায়রাডাঙা অবধি রাস্তায় অসংখ্যা অটো চলাচলের কারণে যানজট তৈরি হচ্ছে। যে কারণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।


এখানেই শেষ নয়! অভিযোগ, এতকিছুর পরেও ওই রাস্তায় নতুন অটো চলার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে এই সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মর্মে বেশ কয়েকজন অটো চালক হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলার শুনানিতেই ওই সকল যান অবৈধ হলে তা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই অবৈধ যান ধরার জন্য হঠাৎ পরিদর্শনের পরামর্শও দিয়েছে আদালত। এর জন্য বিশেষ টিম তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।


উল্লেখ্য, ২০১০ সালে নতুন অটো অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবহণ দফতরের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, নতুন অটো অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে সেই রুটের অবস্থা আগে খতিয়ে দেখতে হবে। তবে অভিযোগ, রানাঘাটের ওই রুটের ক্ষেত্রে ওই নিয়মের পরোয়া করা হয়নি।


এদিনের শুনানিতে সকল বক্তব্য শোনার পর হাইকোর্টের  নির্দেশ, ৮ সপ্তাহের মধ্যে আরটিএ-কে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যদিও এই প্রথম নয়, এর আগে বসিরহাট পুরসভায় টোটো নিয়ন্ত্রণ সম্বন্ধিত একটি মামলায় উচ্চ আদালতের তরফ থেকে টোটো নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার এক্ষেত্রেও কার্যত একই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

Card image cap

১ টাকায় নিয়েছেন ৩৫০ একর জমি! সৌরভের কারখানা নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ

ইস্পাত কারখানার জন্য প্রয়াগ ফিল্ম সিটির ৩৫০ একর জমি এক টাকায় প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের  দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এই নিয়েই কলকাতা হাই কোর্টে  দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। অভিযোগ, প্রয়াগের লিজে থাকা জমি সংস্থাকে কিছু না-জানিয়েই সৌরভকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।


এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আমানতকারীরা।


সৌরভের কারখানা নিয়ে মামলায় বড় নির্দেশ হাই কোর্টের 


প্রয়াগ চিটফান্ডের আমানতকারীদের অভিযোগ, তাদের প্রাপ্য না মিটিয়ে কীভাবে ১ টাকায় ৩৫০ একর জমি দিল সরকার? এই নিয়ে জনস্বার্থ আবেদন হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তবে এদিন সেই আবেদন গেল কলকাতা হাই কোর্টের চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলার বিশেষ বেঞ্চে।


বর্তমানে চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলার শুনানির বিশেষ বেঞ্চে বর্তমানে রয়েছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত। তাদের বেঞ্চেই হবে এই মামলার শুনানি। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ।


প্রয়াগ চিটফাণ্ড সংস্থার অভিযোগ, তাদের লিজ রয়েছে ওই জমিতে। তারপরও রাজ্য সরকার তাদের কিছু না জানিয়ে কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই জমি হস্তান্তর করছে। যা ঠিক নয়। প্রয়াগ ফিল্মসিটির জন্য মোট ৭৫০ একর জমি নেওয়া হয়েছিল।আমানতকারীদের দাবি, তাদের ২৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে প্রয়াগ ফিল্ম সিটি প্রকল্পে। প্রয়াগ চিটফান্ড থেকে টাকা ফেরত চেয়ে আমানতকারীদের মামলার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে।


আমানতকারীদের কথায়, যেখানে মামলা এখনও বিচারাধীন সেখানে রাজ্য কিভাবে ১ টাকার বিনিময়ে সৌরভ কে জমি দিল। রাজ্যের এই জমি প্রদানের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই কলকাতা হাইকোর্টে  মামলা দায়ের হয়। এদিন এই জমি প্রদান নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলার বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ।

Card image cap

জলমগ্ন রাস্তায় তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হওড়ার তরুণীর

টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল আমজনতা। ছাতা ছাড়া বাড়ি থেকে বেরনো কার্যত অসম্ভব। এই পরিস্থিতিত ছাতা বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে আসায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল তরুণীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ার সালকিয়ায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা।

জানা গিয়েছে, শম্ভুনাথ ব্যানার্জি লেনের বাসিন্দা ওই তরুণী। নাম পূরবী দাস। বৃহস্পতিবার গোটা দিন প্রবল বৃষ্টি হয়েছে গোটা বাংলা জুড়ে। একই পরিস্থিতি হাওড়ারও। অধিকাংশ জায়গায় জমেছে জল। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার কারণে কোথাও কোথাও ভেঙে পড়েছে গাছ। বিদ্যুতের তার ছিড়ে পড়েছে বিভিন্ন জায়গায়। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ সালকিয়ার ভৈরব ঘটক লেন দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন পূরবী। স্বাভাবিকভাবেই ছাতা ছিল মাথায়। জানা গিয়েছে, ফেরার পথে একটি ভগ্নপ্রায় বাড়ি থেকে ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তার পূরবীর ছাতার সংস্পর্শে আসে। তখনই তড়িদাহত হয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়েন তরুণী।স্থানীয়দের চোখে পড়তেই তাঁরা তরুণীকে উদ্ধার করে এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পর এলাকার লোকজনই সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। সিইএসসি এসে ওই ভগ্ন প্রায় বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে প্রচুর ভিড় হয়ে যাওয়ায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

Card image cap

রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার আরও ২

রেশন দুর্নীতি মামলায় এবার গ্রেপ্তার বাকিবুর ঘনিষ্ঠ দেগঙ্গার তৃণমূল নেতা ও তাঁর ভাই। বৃহস্পতিবার ১৪ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরার পর গভীর রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আজ অর্থাৎ শুক্রবার তাঁদের তোলা হবে আদালতে। জানা যাচ্ছে, ধৃতরা রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার বাকিবুরের ঘনিষ্ঠ।

দীর্ঘদিন ধরেই রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-সহ বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানও। বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল দেগঙ্গার তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান ও তাঁর ভাই আলিফকে। দুপুর ১২ টা নাগাদ তাঁরা হাজিরা দেন। টানা ১৪ ঘণ্টা জেরা করা হয়। তার পর রাতে তাঁদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্রের খবর, জ্যোতিপ্রিয় ও বাকিবুরের সঙ্গে যোগ নিয়ে মুখ খোলেননি ধৃতরা।
প্রসঙ্গত, ভোট মিটতেই রেশন দুর্নীতি মামলার কিনারা করতে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইডি। গত সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ রাজারহাট, বসিরহাটে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বারিক বিশ্বাসের বাড়ি, কার্যালয়ে তল্লাশি চলে। রাত ১১টা নাগাদ তাঁরা বেরিয়ে যান। একইদিনে দেগঙ্গার বেড়াচাপার মুকুল রহমান ও আনিসুর রহমানের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। তাঁরা সম্পর্কে রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে ধৃত বাকিবুরের আত্মীয়। তাঁদের দুজনের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, বেড়াচাপা, দেগঙ্গায় রহমানদের ডিএলএড, বিএড কলেজ ছাড়াও আবাসিক মিশন রয়েছে। সেসবের আয়ের উৎস কী, তা জানতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা। এবার গ্রেপ্তার সেই আনিসুর-সহ ২।

Card image cap

স্টেশন মাস্টারের গাফিলতিতেই হাওড়া-মুম্বই ট্রেনে দুর্ঘটনা?

গত দুমাসে তিনবার রেল দুর্ঘটনা। বহু মানুষের প্রাণহানি। রেলের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বারবার। এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার লাইনচ্যুত হল হাওড়া-মুম্বই মেল। সেই দুর্ঘটনার নেপথ্যেও রয়েছে রেলের গাফিলতি, এমনটাই অনুমান বিশেষজ্ঞদের। উল্লেখ্য, চক্রধরপুরের কাছে হওয়া এই দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার ভোর পৌনে চারটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে জামশেদপুর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে বডাবাম্বুতে। লাইনচ্যুত হয় অন্তত ১৮টি বগি। লাইনচ্যুত হওয়া ১৮টি কামরার মধ্যে ১৬টিই যাত্রিবাহী কামরা। এছাড়াও বেলাইন হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগের কামরা এবং প্যান্ট্রি কার। এই ট্রেনটির অদূরেই লাইনচ্যুত হয় আরেকটি মালগাড়িও। সিংভূম জেলার পুলিশ আধিকারিক জানান দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা বেড়ে ২০।

ঘটনার পরেই প্রশ্ন ওঠে, একই এলাকায় দুটি ট্রেন লাইনচ্যুত হল কী করে? দুর্ঘটনার পরে দক্ষিণ পূর্বের রেলের ট্রেন ম্যানেজার মহম্মদ রেহান বলেন, "ভোর ৩:৩৯ নাগাদ মেল ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে হাওড়া-মুম্বই মেল লাইনচ্যুত হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই বেলাইন হয়েছিল একটি মালগাড়ি। ডাউন লাইনে এই দুর্ঘটনার প্রভাব পড়ে আপ লাইনেও। সেসময় ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে যাচ্ছিল মুম্বইগামী ট্রেনটি।"

রেলের এই বিবৃতির পরেই প্রশ্ন উঠছে, মালগাড়ি দুর্ঘটনার খবর পেয়েও কেন মুম্বই মেলকে এগিয়ে যাওয়ার সংকেত দেওয়া হল? কেনই বা গতি কমাতে বলা হল না যাত্রীবাহী ট্রেনকে? সূত্রের খবর, শেষ পেরনো স্টেশন থেকে মুম্বই মেলের ঘটনাস্থলের দূরত্ব মাত্র পাঁচ মিনিট। তাহলে কেন সতর্ক করা হল না মেল ট্রেনের চালককে? প্রশ্ন উঠছে স্থানীয় স্টেশনমাস্টারের ভূমিকায়। চক্রধরপুরের দুর্ঘটনায় ফের প্রকট হল রেলের গাফিলতির অভিযোগ।


Card image cap

গরুপাচার মামলায় জামিন অনুব্রত মণ্ডলের

অবশেষে গরুপাচার মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে এখনই জেলমুক্তি হচ্ছে না। সিবিআইয়ের মামলায় শর্তসাপেক্ষে অনুব্রতর জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। তবে ইডির মামলায় জামিন মেলেনি। ফলে আপাতত জেলেই থাকতে হবে কেষ্টকে।

Advertisement

দীর্ঘদিন ধরেই গরুপাচার মামলার তদন্তে সিবিআই-ইডি। বোলপুরের তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতেও একাধিকবার তল্লাশি চালানো হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১১ আগস্ট টানা জেরার পর নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টকে। একই মামলায় আরও অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।তালিকায় রয়েছেন অনুব্রতকন্যা সুকন্যাও। গ্রেপ্তারির পর তিহাড় জেলে পাঠানো হয় অনুব্রতকে। একাধিকবার তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু তা খারিজ করে দেওয়া হয়। অবশেষে সিবিআইয়ের মামলায় অনুব্রতর জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। তবে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা না করলে বাতিল করা হতে পারে জামিনও।কিন্তু সিবিআইয়ের মামলায় জামিন মিললেও এখনই জেলমুক্তি হচ্ছে না অনুব্রতর। কারণ, ইডির মামলায় জামিন পাননি তিনি। ফলে আপাতত তিহাড়েই থাকতে হবে কেষ্টকে। প্রসঙ্গত, অনুব্রতর গ্রেপ্তারির পর থেকে একাধিকবার তার হয়ে সওয়াল করেছেন। দাবি করেছেন চক্রান্ত করা হয়েছে। এমনকী ভোট থেকে দূরে রাখতে অনুব্রতকে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলেছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, ভোট মিটলেই জামিন দেওয়া হবে অনুব্রতকে। কার্যত সেই দাবিই সত্যি হল।

Card image cap

কুমার মঙ্গলম বিড়লার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক

বাংলায় ৫ হাজার কোটির বিনিয়োগ। তৈরি হবে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। এনিয়ে মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন কুমার মঙ্গলম বিড়লা। এক্স হ্যান্ডেলে সেই বৈঠকের ছবি পোস্ট করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকের পর রাজ্যে বিনিয়োগে আশা আরও বাড়ছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, এদিন দুপুরে আদিত্য বিড়লা গ্রুপের চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লা নবান্নে এসেছিলেন। এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। তবে বাংলায় বাণিজ্যের সুযোগ এবং রাজ্যে তাদের বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলায় ইতিমধ্যে তাদের (বিড়লা গ্রুপ) ৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। সিমেন্ট ও রং তৈরির ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বিড়লা গ্রুপ বাংলায় বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির পরিকল্পনা করছে। আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। মমতা লেখেন, 'আমরা এ নিয়ে আলোচনা করেছি। তাঁকে জানিয়েছি, আমরা সবক্ষেত্রে সহযোগিতা করব।"

প্রসঙ্গত,  রাজ্যে আগেই রং কারখানা গড়ে তোলার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে আদিত্য বিড়লা  শিল্পগোষ্ঠী। খড়গপুরে প্রায় ৮০ একর জমিতে হচ্ছে কারখানাটি। বিনিয়োগ হবে আনুমানিক এক হাজার কোটি টাকা। সূত্রের খবর, এই কারখানায় উৎপাদন শুরু হলে সরাসরি কর্মসংস্থান হবে ৬০০ জনের। ফলে রাজ্যে কাজের পরিবেশ আরও সুগম হবে। এর মধ্যেই ফের রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করলেন শিল্পপতি কুমার মঙ্গলম বিড়লা। 

Card image cap

CRPF কনস্টেবল ও CAPF নিয়োগে হলফনামা তলব হাই কোর্টের

এরাজ্য থেকে সিআরপিএফ কনস্টেবল ও কেন্দ্রীয় সরকারের আর্মড ফোর্সে ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেটে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। জল গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। অভিযোগ, ভিনরাজ্যের যুবক-যুবতীরা জাল সার্টিফিকেট দিয়ে বাংলা থেকে চাকরি পেয়েছেন। ফলে এ রাজ্যের ছেলেমেয়েরা বঞ্চিত হয়েছেন। এই অভিযোগের জেরে বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের স্টাফ সিলেকশন কমিশনের হলফনামা তলব করলেন। সিবিআইকেও দিতে হবে রিপোর্ট।

২০২১ সালে ও ২০২২ সালে সেন্ট্রাল স্টাফ সিলেকশন কমিশনের মাধ্যমে সিআরপিএফ কনস্টেবল ও আর্মড ফোর্স নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুধুমাত্র এ রাজ্যের ক্ষেত্রে একুশ সালের ৩ হাজার ও ২০২২ সালে ৬ হাজার ৩৮০ শূন্যপদে নিয়োগ শুরু হয়। এ পর্যন্ত একুশ সালে ১ হাজার ৫০০ ও ২০২২ সালের ৩ হাজার ৬২৭ পদে নিয়োগ হয়েছে। বাকি পদ শূন্য রয়েছে। এরই মধ্যে এই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সুপ্রতীপ পাল ও রাহুল মাঝি।

তাঁদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, সিআরপিএফে বহু ভুয়ো প্রার্থী নিয়োগ হয়েছে। ভিনরাজ্যের অনেক প্রার্থী এখান থেকে চাকরি পেয়েছেন। তাঁদের নিয়োগ বাতিল করা হলে যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পেতে পারেন। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বক্তব্য, ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী ভুয়ো নিয়োগ নিয়ে দায়ের হওয়া এক মামলায় সিবিআই তদন্ত করছে। সিবিআইকে বক্তব্য জানাতে সময় দিক আদালত।

নভেম্বর মাসে মামলার পরবর্তী শুনানি। আগামী শুনানিতে সেন্ট্রাল স্টাফ সিলেকশন কমিশনকে হলফনামা দিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে। একইসঙ্গে সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে। নিয়োগে কোনও বাধা নেই। তবে ২০২১ ও ২০২২ সালের ৩৯টি পদ ফাঁকা রেখে চলবে নিয়োগ। 

ভুয়ো সার্টিফিকেটে নিয়োগ নিয়ে বাংলা পক্ষের তরফে কৌশিক মাইতি বলেন, "কেন্দ্রীয় আধাসেনায় বাংলার রাজ্য কোটায় বাংলার স্থায়ী বাসিন্দাদের বঞ্চিত করে জাল ডোমিসাইল ও জাল কাস্ট সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি দখল করছিল বিহার ও ইউপির বহিরাগতরা। বাংলা পক্ষ ময়দানে নেমে লড়াই করে। বিভিন্ন জায়গায় জাল চাকরিপ্রার্থীদের ধরে পুলিশে দেওয়া হয়, FIR হয় এবং বিভিন্ন SDO অফিসে অভিযান করে বাংলা পক্ষ। হাই কোর্টে মামলাও করা হয়েছিল, যার প্রেক্ষতে সিবিয়াই তদন্ত হয়। এর ফলে CRPF ৫৫০০ জন সম্ভাব্য জাল চাকরিপ্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে।
আমরা চাই এই ৫৫০০ চাকরি ওই বছরগুলোয় লিস্টে পরে থাকা বাংলার যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা পাক। আজকেই হাই কোর্টের রায়কে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। বাংলা পক্ষ ভূমিপুত্র চাকরি প্রার্থীদের স্বার্থে লড়ে যাবে।"

Card image cap

বাবার সামনেই মাকে খুন 'কীর্তিমান' নাবালিকার

কথায় বলে, ভালোবাসার জন্য জান কবুল। কিন্তু বাস্তবে জান নয় বরং প্রেমের জন্য খুন কবুল। তাও আবার নিজের মাকে! মায়ের অপরাধ কী? ১৪ বছর বয়সি মেয়ের প্রেম মেনে নেননি তিনি। মেয়েকে নিত্যদিন বকাবকি করতেন। সেই শাসন থেকে রেহাই পেতে রাতের আঁধারে নাবালক প্রেমিককে ডেকে পাঠিয়েছিল কিশোরী প্রেমিকা। রীতিমতো ছক কষে বাবার সামনে মাকে খুন করে দুজনে। এখানেই শেষ নয়, মুখ খুললে বাবাকেও দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়ে রেখেছিল প্রেমী যুগল। কিন্তু কথায় আছে, ধর্মেক কল বাতাসে নড়ে! শেষপর্যন্ত সোমবার পুলিশের জালে পড়ল দুজনে। জেরায় নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করে নেয় তারা। ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতা-ঠাকুরপুকুরে।

পুলিশ সূত্রে খবর, বছর দেড়েক আগে ১৪ বছরের এক কিশোরী ফেসবুকে একটি ছেলের প্রেমে পড়ে। বাড়িতে জানাজানি হতেই সম্পর্কটা মানেনি পরিবার। উলটে মা চায়না স্যানাল বকাবকি শুরু করে তাকে। তার পর থেকেই মাকে খুনের ছক কষেছিল মেয়েটি। ৬ জুন গভীর রাতে মধ্যমগ্রাম থেকে নিজের প্রেমিককে ডেকে পাঠায় সে।

তখন ঘরে পাশাপাশি ঘুমোচ্ছিলেন চায়নাদেবী ও তাঁর স্বামী বাদল স্যানাল। এমন পরিস্থিতিতেই চায়নাদেবীর শ্বাসরোধ করে খুন করে তাঁর মেয়ে ও মেয়ের প্রেমিক। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মেয়েটির প্রেমিক তাঁর বুকে ঘুষিও মারে। বাদলবাবুকে আগেই ধাক্কা দিয়ে বিছানা থেকে ফেলে দিয়েছিল তারা। খুনের পর বাদলবাবুকে মুখ বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। মুখ খুললে তাঁকেও দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় মেয়ে ও তার প্রেমিক। পর দিন সকালে ডাক্তার স্বাভাবিক মৃত্যুর সার্টিফিকেট দেয়। চায়নাদেবীর দেহ দাহও করে দেওয়া হয়।

কিন্তু মেয়ে ও মেয়ের প্রেমিকের কুকীর্তি চেপে রাখতে পারেননি বাদলবাবু। প্রতিবেশীদের পুরো ঘটনা জানিয়ে দেন তিনি। এর পর সোমবার সকালে ওই ছেলেটিকে ঠাকুরপুকুরে ডেকে পাঠানো হয়। সে এলে পুলিশে খবর দিয়ে ধরিয়ে দেয় প্রতিবেশীরা। একটানা জেরায় ভেঙে পরে শেষ অবধি নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করে নেয় দুজনে।

Card image cap

লাইনচ্যুত হাওড়া-মুম্বই এক্সপ্রেসের ১৮টি বগি

ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুর ডিভিশনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে খবর। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আহত হয়েছেন ৬ জন। যদিও অসমর্থিত সূত্রের দাবি, আহতের সংখ্যা ১২। কেন ঘটল এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা, এখনও তার কারণ জানা যায়নি।


ফের বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে রেল। মঙ্গলবার ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল হাওড়া থেকে মুম্বইগামী ট্রেনে। লাইনচ্যুত হয়েছে অন্তত ১৮টি বগি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আহত হয়েছেন ৬ জন। যদিও অসমর্থিত সূত্রের দাবি, আহতের সংখ্যা ১২। ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুর ডিভিশনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে খবর। কেন ঘটল এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা, এখনও তার কারণ জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই হাওড়া-সহ একাধিক জায়গায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। 

Card image cap

ধামাকা অফার BSNL-এর, এই রিচার্জ গুলিতে মিলছে ১ লাখ টাকা পুরস্কার!

ইন্টারনেট পরিষেবার যুগে তাল মেলাতে প্রতিটা মুহূর্তে আপডেটেড রাখতে হয় নিজেদের। তাইতো সেক্ষেত্রে ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমে দুনিয়ার সমস্ত খবর নিজের মগজে সঞ্চয় করে রাখতে হয়। কিন্তু ট্যারিফ প্ল্যান বৃদ্ধির দরুন নিজেদের আপডেটেড রাখতে বেশ বাঁধার মুখে পড়তে হচ্ছে।

কারণ ট্যারিফ প্ল্যান বৃদ্ধির ফলে দেশের বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি রিচার্জ প্ল্যান বেশ বৃদ্ধি করে দেওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে গ্রাহকদের। তবে এই আবহে বেশ বড় সুবিধা হয়েছে BSNL এর।


কারণ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিকম সংস্থার এই রিচার্জ প্ল্যান বৃদ্ধির মাঝেই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা BSNL দারুণ ছক্কা হাতালো অসাধারণ রিচার্জ প্ল্যান এনে। একের পর এক সুবিধা এনে দেওয়ায় BSNL এর সিমের দিকে ঝুঁকছে বেশিরভাগ গ্রাহক। আর এই আবহে এবার কোটি টাকার অফার করল রাষ্ট্রীয় টেলিকম সংস্থা BSNL। যা দেখে Airtel ও Jio ইউজাররা হিংসায় জ্বলতে শুরু করেছে।


বিরাট অফার BSNL এর!


কোম্পানি কিছু বিশেষ রিচার্জ প্যাকের উপর 1 লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে। জানা গিয়েছে, যাঁরা কোম্পানির আঞ্চলিক মিউজিক অ্যাপ Zing ব্যবহার করেন তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হবে সংস্থার তরফে। ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এই সংক্রান্ত একটি পোস্টও শেয়ার করেছে। যেখানে কোম্পানি জানিয়েছে কিছু নির্বাচিত STV-তে এই পুরস্কার দিতে চলেছে। তবে এই অফারটি শুধুমাত্র ভারতে বসবাসকারী BSNL ব্যবহারকারীদের জন্য বৈধ থাকছে।


কোন কোন প্ল্যানে থাকবে এই অফার


পোস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অফারগুলি শুধুমাত্র 118 টাকা, 153 টাকা, 199 টাকা, 347 টাকা, 599 টাকা, 997 টাকা, 1999 টাকা এবং 2399 টাকাতেই BSNL রিচার্জ প্যাকে দেওয়া হচ্ছে। তবে এই রিচার্জ প্যাক থেকে রিচার্জ পেতে ব্যবহারকারীকে তার মোবাইল ফোনে Zing অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এবং এই ক্ষেত্রে পুরস্কারের জন্য যোগ্য হয়ে গেলে, ব্যবহারকারীকে কোম্পানি থেকে 1 লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হতে পারে। আসলে সবটাই এখানে নতুন গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য করা হচ্ছে।

Card image cap

অভিজিতের লোকসভা কেন্দ্রে সমবায়ের সবক'টি আসনে হারের পরও 'নৈতিক জয়' দেখছে বিজেপি!

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে তমলুক কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তমলুকের নিমতৌড়ি এলাকা থেকে এবারের ভোটে লিড পেয়েছিল বিজেপি। তবে রবিবার ওই এলাকার একটি সমবায়ের নির্বাচনে মোট ৮টি আসনের সবকটিতেই পরাজিত হয়েছেন পদ্মপ্রার্থীরা।


নিমতৌড়ি কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির মোট ভোটার ৩৬৭ জন। ৮টি আসনে জয়ের পর শাসকদল তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ বেরা এলাকার মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলছেন, "আমাদের একাংশের কিছু ত্রুটির জন্য এখানকার মানুষ মানুষ লোকসভাতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। বিজেপি লিড পেয়েছিল। তবে মানুষ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ফের তৃণমূলে ফিরেছেন, সমবায়ের সবকটি আসনে জয়ই তার প্রমাণ।"


জয়ের আনন্দে এদিন আবির খেলায় মেতে ওঠেন তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপির পাশাপাশি প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএমও। তবে ৮টি আসনের কোনওটিতেই জিততে পারেনি বিরোধীরা।



তাৎপর্যপূর্ণভাবে পদ্মশিবিরের তরফে ভোট লুট বা সন্ত্রাসের অভিযোগ আনা হয়নি। বরং সমবায়ে জয় না এলেও পুরো ঘটনায় নিজেদের 'নৈতিক জয়' দেখছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি তমলুক ৪ মণ্ডল সভাপতি স্বপনকুমার মান্নার দাবি, "অতীতে এখানে আমরা প্রার্থীই দিতে পারতাম না। সেখানে এবারে সমবায়ের সবকটি আসনে আমরা শুধু প্রার্থী দিতে পেরেছি তাই নয়, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইও দিতে পেরেছি। তাই এটা আমাদের কাছে নৈতিক জয়।"