CATEGORY state:

Card image cap

CBI দপ্তরে তালা ঝোলালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

আর জি কর ইস্যুতে ফের উত্তপ্ত রাজপথ। অভয়ার সুবিচারের দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের সিজিও অভিযানে ধুন্ধুমার। সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে প্রতীকী তালা ঝোলালেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ তা খুলে ফেলতেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন তাঁরা। আর জি কর কাণ্ডে বিচারের ক্ষেত্রে ঢিলেমি করা হচ্ছে, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখায় একাধিক চিকিৎসক সংগঠন।আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীর খুন ও ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়েছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল। তবে সিবিআই চার্জশিট দিতে না পারায় তাঁদের জামিন হয়। তারপর থেকে অভয়ার সুবিচারের দাবিতে ফের পথে নেমেছে ডাক্তারদের একাধিক সংগঠন। কেন্দ্র এবং রাজ্য মিলে তদন্তকে শীত ঘুমে পাঠানোর চক্রান্ত করছে, এমন অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার দুপুরে সেন্ট্রাল পার্ক মেট্রো স্টেশনের সামনে জমায়েত করেন মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার, সার্ভিস ডক্টর ফোরাম এবং নার্সেস ইউনিটির সদস্যরা।এদিন দুপুর ২টো নাগাদ চিকিৎসক ও নার্স সংগঠনের সদস্য থেকে শুরু করে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সিজিও কমপ্লেক্সের মেন গেটে প্রতীকী তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সেই তালা পুলিশের পক্ষ থেকে খুলে দিলে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন তাঁরা। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি বাধে। সিজিওর সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। উপস্থিত বিধাননগর পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা।অভিযান শুরুর সময় চিকিৎসক বিপ্লব চন্দ তাঁর ভাষণে অভিযোগ করেন, “সিএফএসএলের যে রিপোর্ট সামনে এসেছে তাতে আর জি করে চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনা একজনের পক্ষে সম্ভব নয়, সেটার ইঙ্গিত মেলে। চারমাস পেরিয়ে গেলেও বিচার মেলেনি, সিবিআই নির্ধারিত সময়ে চার্জশিট দিতে পারেনি, তাতেও প্রশ্ন উঠছে যে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের দুই তদন্তকারী সংস্থা কার্যত প্রকৃত সত্য গোপনের চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করা হবে।”

Card image cap

বড়দিনে বন্ধ শহরের একাধিক রাস্তা

বড়দিনে পার্ক স্ট্রিটে ভিড় সামলাতে কোমর বেঁধে নামছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। আজ, মঙ্গলবার থেকে যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে একাধিক রাস্তায়। বুধবার বড়দিনের দিন চৌরঙ্গী রোড থেকে উডস্ট্রিট হয়ে পার্ক স্ট্রিট-সহ মিডলটন স্ট্রিট সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে উৎসবের দিনে পার্ক স্ট্রিট-সহ দ্রষ্টব‌্যস্থানগুলিতে থাকছে পুলিশের কড়া নজরদারি।বড়দিনের উৎসবে সেজে উঠেছে পার্ক স্ট্রিট। আজ থেকে ভিড় আরও বেড়েছে। শয়ে শয়ে মানুষ হাজির হচ্ছেন সাহেবি পাড়ায়। সন্ধ্যা থেকে জনজোয়ার আছড়ে পড়ছে। আজ, ডিসি পদমর্যাদার দুজন আধিকারিক থাকছেন পার্ক স্ট্রিটে। বিকেল থেকে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে একাধিক রাস্তায়। আজ বিকেল ৪টে থেকে ২৫ ডিসেম্বর বুধবার ভোর ৪টে পর্যন্ত যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বুধবার বিকেল ৪টে থেকে ২৬ ডিসেম্বর নির্দেশিকা না দেওয়া পর্যন্ত একই বিজ্ঞপ্তি জারি থাকবে। কয়েকটি রাস্তা বন্ধ রাখা হবে, এছাড়াও বেশ কয়েকটি গাড়ির গতিপথ ঘোরানো হবে।আজ, মেয়ো রোড ও চৌরঙ্গী রোড হয়ে আসা গাড়িগুলির গতিপথ কিদওয়াই স্ট্রিট থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। তারপর ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, রয়েড স্ট্রিট এবং শেষপর্যন্ত রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের দিকে ঘুরিয়ে, শেষে পার্কস্ট্রিট। জওহরলাল নেহেরু রোডের দক্ষিণ দিকে যাওয়া যানবাহনগুলিকে হয় পার্কস্ট্রিট ফ্লাইওভারের দিকে বা মেয়ো রোডে দিকে ঘোরানো হবে, ডাফরিন রোড বা খিদিরপুর রোডের দিকে যাওয়ার অন্যান্য রুটগুলির সঙ্গে। তবে চৌরঙ্গী রোডে শেক্সপিয়ার সরণিগামী যানবাহন চলতে থাকবে ৷ ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, মারকুইস স্ট্রিট এবং রফি আহমেদ কিদওয়াই রোড বরাবর অটোগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। হো চি মিন সরণি থেকে শর্ট স্ট্রিট পর্যন্ত ক্যামাক স্ট্রিটে দ্বিমুখী যান চলাচলের অনুমতি থাকবে। প্রয়োজনে দক্ষিণগামী যানবাহনগুলিও ক্যাথেড্রাল রোড এক্সটেনশনের মাধ্যমে কুইন্সওয়েতে দিয়ে যাতায়াত করার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।কাল বড়দিনের দিন জওহরলাল নেহরু রোড থেকে উডস্ট্রিট হয়ে পার্ক স্ট্রিট সহ মিডলটন স্ট্রিট সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। হো চিন মিন সরণি থেকে শুধু মাত্র পূর্ব দিকে যাওয়ার গাড়ি চলার অনুমতি থাকবে। নো এন্ট্রি থাকবে রাসেল স্ট্রিটে। লিটল রাসেল স্ট্রিট থেকে শেক্সপিয়ার সরণি ক্রসিং বন্ধ করা হবে। যদি প্রয়োজন হয় ফ্রি স্কুল স্ট্রিট থেকে কিড স্ট্রিট পর্যন্ত পশ্চিমমুখী যানবাহনগুলির গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম দ্বারা অনুমোদিত না হলে শেক্সপিয়ার সরণি, ক্যামাক স্ট্রিট, লিটল রাসেল স্ট্রিট এবং লর্ড সিনহা রোডে কোনও দ্বিমুখী যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না।

Card image cap

তদন্তের গতি নিয়ে ক্ষুব্ধ নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিতের দাদা

সিবিআই তদন্তের উপর আস্থা হারিয়েছে ‘অভয়া’র পরিবার। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ। মঙ্গলবার তদন্তকারী সংস্থাকে ‘ভণ্ড’ বলে কটাক্ষ করলেন তিনি।ভোট পরবর্তী হিংসায় বেলেঘাটায় মৃত্যু হয়েছিল বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের। একুশ সালের সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। কিন্তু এখনও অধরা দোষীরা। ভাইয়ের রহস্যমৃত্যুর তদন্ত কত দূর এগোল, তা জানতে মাঝেমধ্যেই সিবিআই দপ্তরে আসেন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। বলে রাখা দরকার, তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল,কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁর। এই দুজনের নামে সিবিআইয়ের কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ। তারপর তদন্ত কতটা এগোল, জানতে এদিনও সিবিআই দপ্তরে এসেছিলেন বিশ্বজিৎ।সিবিআই আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে আসার সময় হাতে ‘ভণ্ড’ লেখা কাগজ ছিল বিশ্বজিতের হাতে। তাঁর সরাসরি দাবি, সিবিআই ভণ্ড। সিবিআই অধিকারিকদের সাথে কথা বলার পর তাঁর গলায় এদিন ছিল অসন্তোষের সুর।বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের ঠিক পরেরদিনই খুন হন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী  অভিজিৎ সরকার। বছর ত্রিশের বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় মোট আটজনের নামে এফআইআর করা হয়। তার মধ্যে আগেই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ। 

Card image cap

বাঘিনীকে ধরতে ছদ্মবেশ বনকর্তাদের

মহিষ, শূকরের টোপ দিয়ে বাগে আনা যায়নি বাঘিনীকে। রবিবার গভীর রাতে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ের চেক ড্যাম থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে আরেকটি জায়গায় টোপ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল সুস্বাদু ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট’ বা বাংলার কালো ছাগল। কিন্তু তাও গেলেনি জিনাত। খাঁচাবন্দিও হয়নি সে। এদিকে বাঘের ভয়ে রাইকা পাহাড়তলির একের পর এক গ্রামের মানুষজন গৃহপালিত পশুদের আগলে রাখছেন, জঙ্গলে পাঠাচ্ছেন না।বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ে বাঘিনী জিনাতের খোঁজ করা সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, যেখানে ছাগলের টোপ দেওয়া হয়েছিল, তার পাশ দিয়ে চলে যায় জিনাত। কিন্তু টোপ দেখেছিল কিনা, সেই তথ্য নেই ওই ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকদের কাছে। কারণ, বিধি অনুযায়ী এই টোপের পাশে বনদপ্তরের ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগানো উচিত। যাতে সহজেই বোঝা যায় পাতা ফাঁদের কাছে বাঘিনী এসেছে কিনা। কিন্তু সেখানে ট্র্যাপ ক্যামেরা না থাকায় সেই তথ্য হাতে পায়নি কংসাবতী দক্ষিণ বন বিভাগ। রাইকা পাহাড়ে আশ্রয় নেওয়ার পর সোমবার সকাল পর্যন্ত জিনাতকে কেউ দেখেননি। তবে রবিবার সকাল থেকে এই বনাঞ্চল এলাকায় জিনাতের একাধিক পায়ের ছাপ মিলেছে। দেখা গিয়েছে বিষ্ঠা, গোপনাঙ্গের পশমও।বাঘিনীর ভয়ে রাইকা পাহাড় লাগোয়া গ্রাম রাহামদা, কেশরা, উদলবনি, লেদাশাল, বারুডি, কেন্দডি গ্রামের মানুষজন তাদের গবাদি পশুকে ঘরেই বন্দি করে রেখেছেন। বাঘিনীর পেটে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় গরু, মহিষ, ছাগল রাইকা পাহাড়ের জঙ্গলে পাঠাচ্ছেন না তাঁরা। রাহমদা গ্রামের বাসিন্দা বেনুবালা মুর্মু, বাসন্তী টুডু বলেন, “রবিবারই বনদপ্তর ও পুলিশ মাইকিং করে জানিয়েছিল জঙ্গলে বাঘ রয়েছে। সতর্ক ও সচেতনভাবে চলাফেরা করতে বলেছে। তাই আমরা আর কোনও গবাদি পশুকে জঙ্গলে পাঠাইনি।” উদলবনি গ্রামের বাসিন্দা বাসুদেব মান্ডি বলেন, “গ্রামের গাছতলায়, ঘরে রেখেই গবাদি পশুদের পরিচর্যা করতে হচ্ছে। তাছাড়া আর কোনও উপায় নেই। কাঁচা জীবনকে তো আর বাঘের হাতে তুলে দিতে পারি না।”তবে ভোর ৫টার পর আর ট্র্যাক করা যাচ্ছে না জিনাতকে। রাইকা পাহাড়ের একাধিক গুহায় আশ্রয় নিতে পারে, বলছে বনদপ্তর। তবে ‘শ্যাডো জোন’ হওয়াতেই বারংবার টাওয়ার বিচ্ছিন্ন। রেডিও সিগনালে সমস্যা। তবে হাল ছাড়ছে না সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিক থেকে কর্মীরা। তাদের র‌্যাপিড রেসপন্স টিমের জোড়া গাড়ি রাইকার পাহাড় জঙ্গল রীতিমতো চষে বেড়াচ্ছে। ক্যামোফ্লেজ পোশাকে নজরদারি চলছে ওড়িশার ওই আধিকারিকদের। তাঁদের তত্ত্বাবধানে কংসাবতী দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মীদের টহলও চলছে। এদিকে চেক ড্যাম এলাকায় যে মহিষটিকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করা হয় তাকে এদিন সকালে তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে তিন কিমি দূরে বাংলার কালো ছাগলের টোপ এখনও রয়েছে। ওই এলাকায় কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। যৌথ বন পরিচালন কমিটির সদস্যরা কর্ডন করে রেখেছেন।

Card image cap

পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে ফিরল পাশ-ফেল

বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পাশ-ফেল প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনার ঘোষণা কেন্দ্রের। তবে সব শ্রেণিতে নয়। কেবল পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে। যার ফলে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়া হবে স্কুলে। সেই পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হলে তবেই পরের ক্লাসে ওঠার সুযোগ পাবে পড়ুয়ারা।এতদিন পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হলেও পাশ-ফেলের বিষয় ছিল না। তবে এই ব্যবস্থার ফলে শিক্ষামন্ত্রক মনে করছে পড়ুয়ারা পড়াশুনোর প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। যার জেরে শিক্ষা ব্যবস্থায় আনা হল বড়সড় সংশোধন। অতীতের ‘নো ডিটেনশন পলিসি’ তুলে দিয়ে কেন্দ্রের নয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বছর শেষের পরীক্ষায় পাশ করার পরই নতুন ক্লাসে ওঠার সুযোগ পাবে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা। যদি এই দুই ক্লাসে কোনও পড়ুয়া কোনও বিষয়ে ফেল করে, সেক্ষেত্রে দুই মাসের মধ্যে সেই বিষয়ে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। সেখানেও ফেল করলে অনুর্ত্তীর্ণ হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। ফলে আরও এক বছরের জন্য সেই ক্লাসেই থাকতে হবে পড়ুয়াকে।অবশ্য নয়া বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, পরীক্ষায় ফেল করা পড়ুয়াদের উপর বাড়তি নজর দিতে হবে শিক্ষকদের। প্রয়োজনে অভিভাবকদের ডেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক স্পষ্ট করে দিয়েছে যে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও শিশুকে কোনও স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হবে না।উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে শিক্ষার অধিকার বিল সংশোধন করেছিল মোদি সরকার। যে বিলের মাধ্যমে ফেরানো হয়েছিল পাশ-ফেলের পুরানো নিয়ম। সেই বিল পাশের পর ১৬ রাজ্য ও দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে তা লাগুও করা হয়। এবার কেন্দ্রের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর দেশের সব কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে নয়া নীতি লাগু হয়ে যাবে। তবে রাজ্যগুলি কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কিনা তা সম্পূর্ণ রূপে থাকবে রাজ্যের হাতে।

Card image cap

বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় ‘বেনিয়ম’

অল ইন্ডিয়া বার কাউন্সিলের পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ। ছবি তুলে প্রশ্নপত্র অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করল নারকেলডাঙা থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছেন তদন্তকারীরা।রবিবার অল ইন্ডিয়া বার কাউন্সিলের পরীক্ষা ছিল। বেলা ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হয়। বিভিন্ন জায়গাতে পরীক্ষার সিট পড়ে। খান্না হাইস্কুলও ছিল একটি পরীক্ষাকেন্দ্র। সেখানে পরীক্ষা যায় অলোক অধিকারী, সুব্রত সরকার, মাসাউল হোসেন এবং জগন্নাথ মান্না নামে চারজন। ওই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকে তারা। প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর ছবি তোলে। ওই ছবি বিভিন্ন নম্বরে ফরওয়ার্ড করে। তারপর পরীক্ষা দিতে শুরু করে। সুপারিনটেনডেন্টের নজরে আসে। তিনি গোটা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান।এরপর টিচার-ইন-চার্জ রাহুল দেও শর্মা নারকেলডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। এফআইআরে নাম থাকা অলোক, সুব্রত, মাসাউল এবং জগন্নাথকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই চারজন কাকে কাকে প্রশ্নপত্রের ছবি ফরওয়ার্ড করেছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা, তা-ও তদন্তসাপেক্ষ। অভিযুক্তদের দফায় দফায় জেরা করে আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করছে পুলিশ।

Card image cap

হাওড়ার পর হুগলিতেও এবার মেট্রো!

কলকাতার গণ্ডি পেরিয়ে হাওড়া পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে মেট্রো। কেন্দ্র ‘দয়া’ দেখালে হুগলিতেও মেট্রো চলবে। আশাবাদী হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্যর সঙ্গে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে হুগলির মেট্রো নিয়েও আলোচনা হয়।বৈঠক শেষে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মেট্রোটা যদি চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল পর্যন্ত আনতে পারি, মানুষের ভীষণ উপকার হয়। সেটা নিয়ে চিঠিপত্র দিয়েছি। এটা একটা বড় ব্যাপার। তবে কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়। সেটা নিয়ে আওয়াজ তোলা হচ্ছে। সেই বিষয় নিয়েও জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হল। জেলাশাসক বলেছেন, তা যদি করা যায় তাহলে বহু মানুষ উপকৃত হবে।”এরপরই যোগ করেন, “রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে আমি চিঠি দিয়েছিলাম। উনি উত্তর দিয়েছেন। সেটা সবথেকে বড় কথা। উনি বলেছেন কীভাবে এগোনো যায়, সেটা দেখছেন। জমি অধিগ্রহণের বিষয় থাকলে সেটাও দেখতে হবে কোথায় কীভাবে এগোনো যায়। এটা তো সরাসরি ব্যান্ডেল শুধু নয়, মাঝে শ্রীরামপুর আছে। হাওড়া আছে। হাওড়ায় রয়েছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলের সঙ্গে মিলিতভাবে এটা করতে হবে। আমার পক্ষে যতটা সম্ভব আমি চেষ্টা করব। বাকিটা কেন্দ্রের হাতে। তারা যদি একটু দয়াশীল হন, তাহলে আমরা লড়তে পারি। এ বিষয়ে মন্ত্রীরা রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে যদি বিষয়টা মিটে যায় তাহলে আর প্রশ্ন নেই।”ইচ্ছা থাকলেও সংসদে যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাননি, সে কথাও জানালেন রচনা। বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এখনও কথা হয়নি। সংসদে দেখা হয়, কিন্তু কথা হয় না। কথা বলতে গেলে ৫০০ জন সাংসদ আছেন। লটারিতে কার নাম উঠবে সেটা কপালের ব্যাপার। আমার যেমন একবার সুযোগ হয়েছিল, বলাগড়ের ভাঙন নিয়ে বলেছি। আবার চেষ্টা করছি সুযোগ পেলেই মেট্রো-সহ মানুষের অন্যান্য দাবি নিয়ে বলব।”আজমেঢ় শরিফ যাতায়াতকারীদের জন্য বিশেষ ট্রেনের দাবিও জানিয়েছেন রচনা। তিনি বলেন, “আজমেঢ় শরিফ যাওয়ার জন্য ব্যান্ডেল থেকে কোনও ট্রেন নেই। যাত্রীদের বর্ধমান আর না হলে কলকাতা থেকে ট্রেন ধরতে হয়। চেষ্টা করছি যাঁরা আজমেঢ় শরিফ যেতে চান, তাঁদের জন্য ব্যান্ডেল থেকে যদি একটা ব্যবস্থা করা যায়।” তিনি আরও বলেন, “জেলার কয়েকটি জায়গায় উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। মানকুন্ডুতে মানসিক হাসপাতাল, ধনেখালি হাসপাতালের কাজ চলছে। গ্রামের হাসপাতালে চিকিৎসকের একটা সমস্যা আছে। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। যাতে যোগ্য চিকিৎসকদের জেলায় পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়। সব চিকিৎসকই যদি শহরে চলে যান, তবে গ্রামের লোকেদের কে দেখবেন? তাই আমি চাই ভালো ডাক্তাররা আসুন গ্রামের হাসপাতালে। বড় বড় হাসপাতালগুলি আমরা তৈরি করছি। সেবাই যদি না দিতে পারি তাহলে কলকাতা ছুটতে হয়। রাস্তাতে অনেক অঘটন ঘটছে।”

Card image cap

বড়দিনের আগেই শীতের ছন্দপতন!

শীতের ছন্দপতন! বেশ কিছুদিন জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়লেও ফের খামখেয়ালিপনা শুরু করেছে উত্তুরে হাওয়া। রবিবার বৃষ্টি কমে তাপামাত্রা নামলেও তা স্থায়ী হবে না। বুধবার বড়দিনের আগে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও। মনোরম আবহাওয়া থাকবে রাজ্যজুড়ে।হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। সোম, মঙ্গলবার সেই তাপামাত্রা বজায় থাকার পর, বুধবারের মধ্যে আবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তারপর থেকে আগামী সপ্তাহজুড়ে তাপামাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। ফলত, জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই। তবে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। আজ রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপামাত্রা ১৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১.১ ডিগ্রি। সকালের দিকে সামান্য ধোঁয়াশা আংশিক মেঘলা আকাশ। বেলা বাড়লে পরিষ্কার আকাশ। ফিরবে শীতের আমেজ। রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও স্বাভাবিকের ওপরেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।দার্জিলিংয়ের উঁচু পার্বত্য এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা। সিকিমে তুষারপাতের প্রভাব পড়বে দার্জিলিং সংলগ্ন এলাকায়। উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় রবিবার ঘন কুয়াশার সর্তকবার্তা দেওয়া হয়েছে। কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং মালদহ জেলাতে। দৃশ্যমানতা কোথাও কোথাও ৫০ মিটারে নেমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।উত্তর-পশ্চিম ভারতে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আছড়ে পরার সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার ২২ ডিসেম্বর এবং শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঢুকবে ঝঞ্ঝা। চরম শৈত্য প্রবাহ হিমাচল প্রদেশে। শৈত্য প্রবাহ চলবে জম্মু-কাশ্মীর লাদাখ মোজাফফরাবাদে। ঘন কুয়াশার দাপট দেখা যাবে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডিগড়ে।

Card image cap

সোমবার থেকে কমছে মেট্রো

নতুন সপ্তাহের শুরুতেই মেট্রো পেতে হয়রানি বাড়বে যাত্রীদের। সাত নয়, সকালের দিকে ১৪ মিনিটের ব‌্যবধানে পাওয়া যাবে ট্রেন। সোমবার থেকে একধাক্কায় অনেকটাই কমে যাচ্ছে মেট্রোর সংখ‌্যা। আপ-ডাউন মিলিয়ে দিনে ৪০টি করে মেট্রো কম চলবে।মেট্রোর তরফে সাত মিনিটের ব‌্যবধানে দিনভর মেট্রো চালানোর কথা বলা হলেও সময়সূচিতে দেখা যাচ্ছে, সকাল এবং রাতের দিকে ৮, ১০, ১১ এমনকি ১৪ মিনিটের ব‌্যবধানেও বেশ কিছু মেট্রো দুই প্রান্ত থেকে চলবে। আর এভাবেই সময়ে অদল-বদল করে আপ এবং ডাউন লাইনে ৪০ ট্রিপ মেট্রো কম চালাবে কর্তৃপক্ষ। মেট্রো সূত্রে খবর, এতদিন সোম থেকে শুক্র এতদিন আপ-ডাউন মিলিয়ে রোজ ২৮৮ ট্রিপ করে মেট্রো চলত। কিন্তু আগামীকাল থেকে তা কমে ২৪৮টি হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে মেট্রোর অনেক টাকা সাশ্রয় হবে। এমনিতে মেট্রোয় ১০০ টাকা আয় করতে ২৫০ টাকার বেশি খরচ হয়। ফলে দিনে ৪০ ট্রিপ মেট্রো কম চালালে অনেকটাই খরচ বাঁচাতে সক্ষম হবে কর্তৃপক্ষ।বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সোচ্চার হয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষের একাংশ। তাঁদের বক্তব‌্য, কখনও বেসরকারিকরণের পথে হাঁটা, কখনও যাত্রীস্বাচ্ছন্দ‌্য শিকেয় তুলে মেট্রোর সময়ে পরিবর্তন–যেন তুঘলকি আচরণ চলছে মেট্রোভবনে। যাত্রীদেরও মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় থাকছে না। অনেকেই বলছেন, এমনিতেই প্রয়োজনের তুলনায় মোটরম‌্যান কম মেট্রোয়। তার উপর অন‌্যান‌্য মেট্রোর লাইনগুলো চালুর পথে। ফলে সেখানে মোটরম‌্যানের প্রয়োজন। সবদিক বিচার করেই তাই মেট্রোর ট্রিপ কমানো হচ্ছে নিঃশব্দে। যাত্রীদের বলা হচ্ছে, দিনভর মেট্রো চলবে সাত মিনিট অন্তর। অথচ আদৌ তেমনটা হচ্ছে না। সেই ব‌্যবধান নানা সময়ে নানা রকম থাকছে। সর্বোচ্চ ১৪ মিনিট।যাত্রীদের বলা হচ্ছে, দমদমের বদলে এবার সব ট্রেনই দক্ষিণেশ্বর থেকে যাতায়াত করবে। এতে যাত্রীদের সুবিধা হলেও বাস্তবে মেট্রোর জন‌্য অপেক্ষা বাড়বে। কারণ এতদিন দিনের একটা বড় সময়ে ছমিনিট অন্তর ট্রেন চলত। তবে আপাতত পরীক্ষামূলকভাবেই এই পরিষেবা বলে জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। মেট্রোর যে সময়সূচি পাওয়া গিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, সকালের প্রথম একটি মেট্রোর ব‌্যবধান থাকছে ১৪ মিনিট। পরের দুটির ১১, তারপরের তিনটি ১০ মিনিট, একটি ন’মিনিট, চারটি আট মিনিট, তারপরে সাত মিনিট অন্তর চলবে। ১০৬টি ট্রেন চালানো হবে। রাত বাড়লে আবার চারটি আট মিনিট এবং দুটি ট্রেন ১০ মিনিট অন্তর ছুটবে। মেট্রো রেলের মুখ‌্য জনসংযোগ আধিকারিক রাকেশ কুমার বলেন, ‘‘এটা পরীক্ষামূলকভাবে করা হচ্ছে। প্রয়োজনে দুই মেট্রোর ব‌্যবধান কমানো হবে ভবিষ‌্যতে।’’ 

Card image cap

মা উড়ালপুল থেকে নিচে পড়ল বাইক

সাতসকালে গতির বলি শহরে। রবিবারের সকালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা মা উড়ালপুলে। ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ে মৃত্য়ু দুই বাইক আরোহীর। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অতিরিক্ত গতির জেরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বাইকটি।মৃত দুই যুবকের নাম দানিস আলম এবং অনিশ রানা। প্রথম জনের বয়স ১৮ বছর। দ্বিতীয় জনের বয়স ১৯ বছর।  দুজনেই বউবাজার এলাকার বাসিন্দা। এদিন সকালে দাদার বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন দানিস। সঙ্গে ছিলেন অনিশ। দুজনেরই আর বাড়ি ফেরা হল না। জানা গিয়েছে, বাইক চালকের মাথায় হেলমেট থাকলেও আরোহীর মাথা ফাঁকাই ছিল। ফলে উঁচু থেকে পড়া মাত্রই মৃত্যু হয় দুজনের। বাইকটি নিচে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত তিলজলা ও প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ কর্মীরা ছুটে আসেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত দুজনকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চিংড়িঘাটা থেকে সায়েন্স সিটির দিকে আসছিল বাইকটি। পরমা আইল্যান্ডের কাছে মা উড়ালপুলে একটি বাঁক বা কার্ভ রয়েছে। সেখানেই গার্ডওয়ালে ধাক্কা মারে বাইকটি। সঙ্গে সঙ্গে বাইক সমেত দুজনেই নিচে পড়ে যান। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, বেপরোয়া গতিতে চলছিল বাইকটি। বাঁকে নিয়ন্ত্রণ সামলাতে না পেরেই গার্ডওয়ালে ধাক্কা মারে।উল্লেখ্য, মা উড়ালপুরে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনার মুখে পড়ছে বাইক। বারবার সতর্কতা জারি করেও কোনও লাভ হচ্ছে না। 

Card image cap

মৌসুনি দ্বীপে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড!

পর্যটনের ভরা মরশুমে মৌসুনি দ্বীপে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! শনিবার সন্ধের পুড়ে খাক ১১টি কটেজ। বরাতজোরে বাঁচলেন পর্যটকরা। অভিযোগ, কাঠের কটেজে কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোস্টাল থানার পুলিশ। হতাহতের কোনও খবর নেই। তিনমাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার অগ্নিকাণ্ড ঘটল এই জনপ্রিয় পর্যটনস্থলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মহামায়া কটেজে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা এলাকার সল্টঘেরি বালিয়াড়ায় হোম স্টে-টি মাটি ও বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি হয়েছিল। যে মুহূর্তে আগুন লাগে ঠিক সেই সময় তিন পর্যটক পাশেই ডাইনিং রুমে খেতে গিয়েছিলেন। তাঁরা এবং আশপাশের অন্যান্যরা প্রথমে পোড়া গন্ধ ও ধোঁয়া দেখে ওই ঘরের কাছে গিয়ে আগুন দেখতে পান। মুহূর্তেই দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। হোম স্টে-টিতে মোট ২০টি ঘর রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি ঘর ভস্মীভূত হয়েছে।প্রত্যন্ত দ্বীপ এলাকা হওয়ায় সেখানে দমকলের পৌঁছনোর কোনও উপায় ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দারাই জল ঢেলে আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ওই কটেজটি সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত কটেজ মালিকের। যদিও ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানা যায়নি। অভিযোগ, এই জনপ্রিয় পর্যটনস্থলের অধিকাংশ কটেজেরই দমকলের ছাড়পত্র নেই। শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে হোম স্টে-র ব্যবসা চালাচ্ছেন মালিকরা। ফলে যে কোনও সময় এখানকার কটেজে বিপদ ঘটতে পারে। 
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসেও মৌসুনি দ্বীপের একটি কটেজে আগুন লেগেছিল। আগুন ছড়িয়েছিল কটেজের রান্নাঘর, স্টোর রুম এবং ডাইনিং রুমে। রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটেছিল।

Card image cap

ফের নিজেকে নির্দোষ দাবি সঞ্জয়ের

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে শিয়ালদহ আদালতে দাঁড়িয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেল মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। সূত্রের খবর, এই ঘটনার সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার। তরুণী চিকিৎসককে চিনতই না বলেও জানায় সে। সঞ্জয় আরও দাবি করে, সেমিনার হল থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া ব্লুটুথ হেডফোনটিও তার নয়।শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রুদ্ধদ্বার কক্ষে বিচারকের সামনে আত্মপক্ষ সমর্থন করে সে। উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। সূত্রের খবর, প্রতিবারের মতো এবারও নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করে সে। বলে রাখা ভালো, এর আগেও একাধিকবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে। ফাঁসানো হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছে সে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বছরের ২ জানুয়ারি। ওইদিন সিবিআই এবং অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শুনবে আদালত। এছাড়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যমে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী লিখিত আকারে নিজেদের অবস্থান জানাবেন।উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের নাইট ডিউটি ছিল। পরদিন হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তরুণী চিকিৎসককে। এই ঘটনায় গোটা দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ মূল অভিযুক্ত হিসাবে সঞ্জয় রায় নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। যদিও এই নৃশংস ঘটনার জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দিনচারেকের মাথায় ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। তারপর তদন্ত করে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।তবে চার্জশিট জমা দিতে না পারায় সম্প্রতি দুজনকেই জামিন দেয় আদালত। তার ফলে অভিজিৎ মণ্ডলের জেলমুক্তিও ঘটেছে। আর জি করের আর্থিক মামলাতেও নাম জড়ানোয় জামিনের পরেও শ্রীঘরেই দিন কাটছে সন্দীপ ঘোষের। তবে এই দুই অভিযুক্তের জামিনের পর থেকে স্বাভাবিকভাবেই সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর জি করের নৃশংস ঘটনার পর রাজ্যে ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি ধর্ষণ ও খুন মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করেছে রাজ্য সরকার। তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন মামলার তদন্তে এখনও বিশ বাঁও জলে সিবিআই। কবে মিলবে সুবিচার, ঘটনার মাসচারেক পরেও সে উত্তর অধরা।

Card image cap

অনশনে ‘কালীঘাটের কাকু’!

সিবিআই হেফাজতে অনশনে ‘কালীঘাটের কাকু’! নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে ওষুধ, খাবার কিছুই খাচ্ছেন না বলে খবর। যার জেরে তাঁর সুগার বেড়েছে। তৈরি হচ্ছে মেডিক্যাল এর্মাজেন্সি। শনিবার আদালতে এমনই দাবি করলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জেল থেকে ‘কালীঘাটের কাকু’কে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। শারীরিক পরীক্ষার পর গত চারদিন নিজাম প্যালেসে রয়েছেন তিনি। হেফাজতে থাকাকালীন খাবার এবং কোনও ওষুধ খাননি সুজয়কৃষ্ণ। আদালতে সিবিআইয়ের অভিযোগ, অকারণে মেডিক্যাল এর্মাজেন্সি তৈরির চেষ্টা করেছেন। এই অবস্থায় তাঁকে সিবিআই হেফাজতে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ‘কালীঘাটের কাকু’র জেল হেফাজতের আবেদন করেন তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী।এদিন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীর মন্তব্য, “ওঁ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ওঁ জানেন অনশন করলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।” পালটা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর আইনজীবীর আবেদন, “ওঁ অসুস্থ। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। ওঁকে হাউস অ‍্যারেস্ট বা গৃহবন্দি করে রাখা হোক।” দুপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারক ‘কালীঘাটের কাকু’কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান। পাশাপাশি, ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের সিবিআইয়ের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।প্রসঙ্গত, ২৫ নভেম্বর ইডি মামলায় হাই কোর্টে জামিনের আবেদনের শুনানির শেষের পরই জেল থেকে সিবিআই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেপ্তার করতে চায়। ৬৩ বছরের বৃদ্ধ সুজয়কৃষ্ণবাবু খুবই অসুস্থ। এর আগে তাঁর বাড়িতে সিবিআই অভিযান চালিয়েছে। জেরা করেছে। এবার ‘কালীঘাটের কাকু’কে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। কিন্তু সিবিআই হেফাজতে তিনি ‘অনশন’ করছেন বলেই খবর সামনে এল। 

Card image cap

সুন্দরবনের ভিতরে দৈনিক ঢুকতে পারবে ১৫০টি বোট-লঞ্চ

যত ইচ্ছে তত সংখ্যায় আর বোট, লঞ্চ ঢুকতে পারবে না সুন্দরবনে। সেই সংখ্যা বেঁধে দিল বন দপ্তর। এখন মাত্র ১৫০টি জলযান দৈনিক সুন্দরবনের নদী ও খাঁড়িতে ঢুকছে। সেই সিদ্ধান্ত থেকে শুরু হয়েছে চাপানউতোড়, ক্ষোভ।শীতকালে সুন্দরবনে পর্যটনের এখন ভরা মরশুম। বাদাবনের সৌন্দর্য দেখতে পর্যটকরা ভিড় করছেন। কিন্তু দিন কয়েক ধরে সেইসব কিছুতেই দেখা দিয়েছে সমস্যা। এখন জলযানের দৈনিক সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হল। জঙ্গলে ঢোকার জন্য অনলাইনে অনুমতি নিতে হয় প্রত্যেকটি জলযানকে। গত অক্টোবর মাস থেকে বাড়ানো হয়েছে সেই অনুমতির খরচ। পর্যটক পিছু ১৮০ টাকা করে এখন দিতে হচ্ছে। সঙ্গে বেড়েছে গাইড ও জলযানের খরচ।জানা গিয়েছে, আগে অনলাইন অনুমতির ক্ষেত্রে এমন কোনও নিয়ম ছিল না। বিপুল সংখ্যায় বোট অতীতে সুন্দরবনের গভীরে ঢুকতে পারত। বিভিন্ন খাঁড়ি, নদীতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ছাড়পত্র ছিল। তবে কোনওভাবেই সংরক্ষিত এলাকায় যাওয়ার অনুমতি ছিল না। এবার বিভিন্ন রুতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে খবর। জলপথে সুন্দরবন দেখতে হলে এখন দিনক্ষণ জানিয়ে এই বুকিং করতে হচ্ছে। তার ফলে বহু পর্যটক টাকা দিয়েও নদীপথে সুন্দরবনের ভিতর ঘুরে দেখতে পারছেন না। টুর অপারেটরদের সঙ্গে পর্যকটকদের ঝামেলাও হচ্ছে।এ বিষয়ে ক্যানিং লঞ্চ ইউনিয়নে সম্পাদক উপানন্দ বৈধ বলেন, “এখন সপ্তাহে শুক্রবার সুন্দরবন বন্ধ রাখা হচ্ছে। আমরা তা মেনেও নিয়েছি। কিন্তু পর্যটকদের স্বার্থে অন্তত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ পুরোপুরি জঙ্গল খোলা রাখা উচিত। সমস্ত জলযান যাতে জঙ্গলে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে পর্যটকরাও সমস্যায় পড়ছেন। সমস্যা পড়ছেন বোট এবং লঞ্চ মালিকরাও।”গোসাবা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কৈলাস বিশ্বাস বলেন, বছরের সব সময় সুন্দরবনে পর্যটকরা আসেন না। শীতের মরশুমেই বেশি পর্যটক ভিড় জমান। অতিরিক্ত পর্যটক জঙ্গলে ঢুকতে পারলে তাতে সরকারের রাজস্ব আরও বাড়বে। ডিসেম্বরের এই কয়েকটা দিন নিয়ম শিথিল করা উচিত।”কিন্তু কেন এই নিয়ম চালু করা হল? কেন জলযানের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হল? সুন্দরবনের দূষণ সম্পর্ক্বে মাঝেমধ্যেই চর্চা চলে। দূষণ নিয়ন্ত্রণের কারণেই কি এই নতুন নিয়ম? সেই চর্চা চলছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনও সাড়া মেলেনি।

Card image cap

বেলেঘাটা আইডি চত্বরে উদ্ধার নরকঙ্কাল

কলকাতায় ফের উদ্ধার নরকঙ্কাল। এবার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের ভিতর থেকে পাওয়া গেল মানুষের খুলি এবং হাড়গোড়। হাসপাতাল চত্বরে পরিত্যক্ত মর্গের বাইরে খুলি এবং হাড়গোড় দেখতে পাওয়া যায়। খুলি কিংবা হাড়গোড়ের উদ্ধার সম্পর্কে কোনও তথ্যই ছিল না হাসপাতাল অধ্যক্ষের কাছে। কীভাবে খুলি এবং হাড়গোড় এল, তা খতিয়ে দেখা হবে বলেই জানান তিনি।বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের মর্গ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন। সম্প্রতি সেখানকার ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হয়। পরিষ্কার করার পর দেখা যায়, পরিত্যক্ত মর্গের পাশে নরকঙ্কাল পড়ে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে তা নিয়ে জোর হইচই পড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হাসপাতাল চত্বর থেকে একটি খুলি উদ্ধার হয়েছে। অস্থিসন্ধি, পাঁজরা-সহ মোট ১৩টি হাড় উদ্ধার হয়েছে।প্রিন্সিপাল নবনীতা ভট্টাচার্যকে খবর দেওয়া হয়। বেশ কিছুক্ষণ পর বেলেঘাটা আইডিতে পৌঁছন। তিনি জানতেনই না হাসপাতাল চত্বরে খুলি এবং হাড়গোড় পড়ে রয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কীভাবে নরকঙ্কাল হাসপাতাল চত্বরে পড়ে রইল, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কাউকে খুন করে দেহ পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছে নাকি অন্য কিছু বিষয়, নেপথ্যে কী রহস্য রয়েছে, তা তদন্তসাপেক্ষ বলেই জানিয়েছে পুলিশ।

Card image cap

জঙ্গিদের নিশানায় ‘শিলিগুড়ি করিডর’

ভারতকে রক্তাক্ত করার ছক আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি)! বুধবার রাজ্য ও অসম পুলিশের যৌথ অভিযানে মুর্শিদাবাদ থেকে ধরা পড়ে বাংলাদেশের এই জঙ্গি সংগঠনটির দুই সদস্য। জেরায় ধৃতরা জানায়, তাদের নিশানা ছিল ‘শিলিগুড়ি করিডর’। ভূকৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় আঘাত হেনে গোটা ভারত উত্তপ্ত করার ছক কষেছে আল কায়দার ছায়া সংগঠন এবিটি। শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে আনসারুল্লা। এবার তাদের ষড়যন্ত্র ফাঁস করল রাজ্য পুলিশ।কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ এই শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেন নেক? শিলিগুড়ি শহরে অবস্থিত এই করিডর ভূকৌশলগত দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে সংকীর্ণ অংশে এটির প্রস্থ প্রায় ২০ কিলোমিটার। নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশ এই তিন দেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে শিলিগুড়ি করিডর। ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যকে বেঁধে রেখেছে এই সংকীর্ণ স্থলভাগ। যার তুলনা করা চলে মুরগির গলার সঙ্গে। সমরশাস্ত্রের সূত্র মেনে ভারতের মতো মহাশক্তিধর দেশকে দুর্বল করতে এই শিলিগুড়ি করিডরকেই পাখির চোখ করেছে আনসারুল্লা বাংলা টিম। তিনটি দেশের সীমান্ত এক জায়গায় মেশায় এই পথেই অস্ত্রশস্ত্র, মাদক ও জাল নোট ভারতে পাচার করার ছক কষেছে জেহাদিরা। পাশাপাশি সীমান্তের ছিদ্রপথে সন্ত্রাসবাদীদের এদেশে প্রবেশের রাস্তা তৈরি করারও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।সদ্য এমনই ‘টেরর নেটওয়ার্ক’ গুঁড়িয়ে দিতে ‘অপারেশন প্রঘাত’ শুরু করে অসম পুলিশ। তাদের সঙ্গে যৌথ অভিযানে নামে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। গোয়েন্দা সূত্রের খবর মোতাবেক তল্লাশি শুরু করা হয় মুর্শিদাবাদে। হরিহরপাড়া থেকে মহম্মদ আবাস ও মিনারুল শেখ নামে দুই এবিটি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ও একটি পেন ড্রাইভ উদ্ধার হয়। জেরায় শিলিগুড়ি করিডর নিয়ে ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সব মিলিয়ে দেশের মোট ৮টি রাজ্যে শুরু হয়েছে এই বিশেষ অভিযান। পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে আট জন এবিটি জঙ্গি। এদের মধ্যে ধৃত এমডি সাদ রাদি ওরফে মহম্মদ শাব শেখ বাংলাদেশের নাগরিক। তাকে পাকড়াও করা হয় কেরল থেকে। অসম থেকে গ্রেপ্তার পাঁচ।এনিয়ে আজ শুক্রবার সিআইডির সদর দপ্তর ভবানীভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য পুলিশ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এডিজি, দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার ও বেঙ্গল এসটিএফের এক শীর্ষকর্তা জানান, আনসারুল্লা বাংলা টিম ভারতজুড়ে স্লিপার সেল তৈরির পরিকল্পনা করছে। তরুণ প্রজন্মের মগজধোলাই করে জেহাদের বিষ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা। শিলিগুড়ি করিডর তাদের নিশানায়। গত ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বরের অভিযানে অসম এসটিএফ কেরল থেকে এমডি সাদ রাদি ওরফে মহম্মদ শাব শেখকে গ্রেপ্তার করে। সে বাংলাদেশের নাগরিক। আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্য ইসরাকের নেতৃত্বে রাদিকে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরলে মডিউল তৈরির জন্য পাঠানো হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল যুবকদের মধ্যে এবিটির আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া। এই সমস্ত কিছুর মাস্টারমাইন্ড আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান জসীমউদ্দিন রহমানি। সে এখন বাংলাদেশে। ইউনুস সরকার ক্ষমতায় আসার পর জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Card image cap

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জাল গোটাতে তৎপর ইডি

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় দুবছর ধরে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার সেই মামলার জাল গোটাতে মরিয়া আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবারই হতে পারে চার্জ গঠন। সোমবার সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র এবং এক শিল্পপতিকে বিচারভবনে ইডির বিশেষ আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। নির্ভর করছে তিনজনের হাজিরার উপর। তাঁরা কেউ যদি হাজির না থাকেন, তাহলে সোমবার চার্জ গঠন হবে না।ইডি সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য এই মুহূর্তে বিদেশে রয়েছেন। শনিবারের মধ্যে তিনি দেশে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। যে শিল্পপতির বিরুদ্ধে মামলা চলছে, তাঁর আইনজীবীকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন সোমবারের মধ্যে তাঁকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। তাঁর আইনজীবী ভারচুয়াল পদ্ধতিতে হাজিরার মৌখিক আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা নাকচ করে দেয় আদালত।অন্যদিকে, ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকেও সশরীরে হাজির হতে হবে আদালতে। তিনি অসুস্থতার কারণে বারবার আদালতে হাজিরা এড়ালেও বিচারকের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, যত অসুস্থই হোন, তাঁকে আদালতে হাজির হতেই হবে। দিনের প্রথমার্ধ্বে তিনজন গরহাজির থাকলে দ্বিতীয়ার্ধ্বে মামলার চার্জ গঠন হতে পারে।এই তিনজনের মধ্যে কেউ যদি সোমবার আদালতে উপস্থিত না থাকেন, সেক্ষেত্রে সোমবার চার্জ গঠন সম্ভব হবে না। শুক্রবার একাধিক কোম্পানি-সহ বাকি ৫১ জন অভিযুক্ত অথবা তাঁদের আইনজীবীরা হাজিরা দেন। গত ১৬ ডিসেম্বর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর পরই এই মামলায় চার্জ গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়। বিচার ভবনের নির্দেশ ছিল, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইডিকে নথিপত্র জমা দিতে হবে। সেইমতো ইডিও চার্জ গঠনে তৎপর। তদন্তের জাল গুটিয়ে আনতে সোমবারই সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।

Card image cap

জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে যাওয়াই কাল!

পেটের তাগিদে সুন্দরবনের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে যাওয়াই কাল। বাঘের হানায় মৃত্যু হল মৎস্যজীবীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি মইপীঠ কোস্টাল থানার বৈকন্ঠপুর এলাকায়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।জানা গিয়েছে, মৃতের নাম কর্ণধর মণ্ডল। তাঁর বয়স ৩৬ বছর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি মইপীঠ কোস্টাল থানার বৈকন্ঠপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, আরও চার মৎস্যজীবীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার সকালে সুন্দরবনের আজমলমারীর জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন কর্ণধর। ভাবেননি এতবড় বিপদ অপেক্ষা করছে। আচমকা হামলা চালায় দক্ষিণরায়। টেনে নিয়ে যায় কর্ণধরকে। সঙ্গে থাকা মৎস্যজীবীরা কোনওক্রমে তাঁকে উদ্ধার করে। তবে ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে কর্ণধরের।খবর পেয়েই দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় কুলতলির মইপীঠ কোস্টাল থানার পুলিশ। মৎস্যজীবীদের দলটির কোনও বৈধ অনুমতিপত্র ছিল না বলেই দাবি বনদপ্তরের। উল্লেখ্য, সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় এধরনের ঘটনা নতুন নয়। বনদপ্তরের নিষেধ সত্ত্বেও পেটের টানে প্রায়ই সুন্দরবনের জঙ্গলে যান মৎস্যজীবীরা। বহু মৎস্যজীবী বাঘের মুখে পড়েছেন। কেউ বেঁচে ফিরেছেন। মৃতের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।